Tumgik
Text
Tumblr media
500 days of no school: My journey as an online teacher
Last week, I learned from an article that it has been five hundred days since the closure of all schools in Bangladesh. It’s hard to believe this reality. It made me reflect on my teaching journey at Alokito Hridoy School. To cope with countless obstacles, I explored different interventions and innovations. Today, I want to talk about some obstacles (which I believe almost every teacher has faced) and share how I tried to overcome them.
Blended learning approach for digital inequality
Most of the students didn’t have any access to the internet. From the beginning, till now, after 500 days, it has remained the same. A very few students join my classroom daily. This obstacle of not having access to technology is unfair to my students.
To reach all the students, we started a blended learning approach where we did not solely rely on online classes but used various mediums to reach students. We use Imo (a social-media platform) groups to discuss the lessons taught in the online class.These groups are also used to answer questions from students and to collect snapshots of their homework. For the students who don’t have any smartphones at their homes, we text them to keep them updated and call them to provide consultation. We also put up a list of all the activities on our school notice board.
Though it has not been possible to reach all the students, many of them left school and went to the village because their parents lost their jobs. In this current situation, with schools being shut for an indefinite time, the blended learning approach could aid in connecting students to the classroom.
Social-Emotional Learning: Helping my students to face reality
When I started taking online classes, I could see most of my students were demotivated and, to be honest, I was too. We were facing an unknown situation for which we have never been prepared. “Miss, when will our school open again?”, “Miss where are our friends?” “Miss, will this world be ever normal again?” I am sure every teacher like myself faced these innocent yet compelling questions. How do you answer them when you do not know the answer yourself? I could not give my students false hopes, rather chose to face the uncertain reality with them.
Through my supervisor, I got introduced to the concept of social-emotional learning. According to CASEL, social-emotional learning is an integral part of education, and simply put, it is a lifelong process of learning how to better understand ourselves, connect with others, and work together to achieve goals and support our communities. I started conducting different social-emotional learning activities in my online classes. I tried to guide my students to identify their emotions, its driving factors and ways of controlling it through different social-emotional learning activities. We talked about our stress and ways to deal with it healthily. We celebrated empathy and kindness because our world will always need it.
No, I can not say all my students are motivated and full of optimism now but I can say we learned that we need empathy, we need each other, we need to understand ourselves to survive this tough time together. I can not remove the 500 days of trauma, but I can tell them “I am with you”.
Higher-Order thinking questions and Games: My mantra for interactive class
When my journey began as an online teacher, it felt simply impossible to make the online classes interactive and engaging. It’s difficult to attract students’ attention when there’s distance between us. It’s as if we have been parted by a huge wall and that’s why online classes lack the energy and motivation of students.
Students’ autonomy
To make my online classes interactive and engaging, I tried to do a lot of group discussion where my students came up with different questions and searched for the answers and I only guided them. This particular practice gave my students a sense of autonomy.They took more initiative and became more active in the classroom. Additionally, I started designing different games for online classes related to the learning outcome of my class. This made  my online class a little bit more fun and engaging. Games played an amazing role here, with proper incentives teachers can stir intrinsic motivation among students.
Nurturing creativity: Preparing students for future
This whole pandemic issue gave us a chance to re-think our role as teachers. Our role is not to provide knowledge but to guide the students to realize their inner creativity. Creativity is one skill that remains intact despite myriad paradigm shifts. Recently, I started a “Creative Class” where we share our creative works,it could be academic, non-academic, art, anything and everything. We evaluate each other’s work and give each other constructive feedback. To make our creative class inclusive, we conduct surveys to identify students' interests, what kind of things students want to learn. As per that, we arrange different workshops, talk with an expert, inspirational stories, etc.
It’s not easy to be an online teacher in Bangladesh, but this situation has taught me how a teacher can teach effectively with a handful of resources. At the very end, to deal with this crisis, what we teachers need the most is hope.
Shanaj Parvin Jonaki
Monitoring, Evaluation and Learning Officer
Alokito Teachers
0 notes
Text
Tumblr media
শিক্ষার্থীর মানসিক স্বাস্থ্যের যত্নে শিক্ষকের 'করণীয়'
আমরা তাকে শিক্ষক বলি যিনি আমাদের শিক্ষা প্রদান করে থাকেন। বাংলা, গণিত, বিজ্ঞান এর মতো বিষয় গুলো পড়িয়ে থাকেন। এছাড়া জীবনের নানান দিক আমরা শিখে থাকি সমাজ থেকে। যেমন-  কি করে প্রশ্ন করতে হয়, কি করে কারো সাথে ভালো ভাবে কথা বলতে হয়, কি করে রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, কি করে ঝগড়া বিবাদ মেটাতে হয়!  বিভিন্ন মানুষের সাথে মেশার ফলে আমরা এই সামাজিক আচরণগুলো বা সামাজিক নিয়ম গুলো একটা একটা করে অনুভব ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শিখে থাকি।
কিন্তু একবার চিন্তা করে দেখুন করোনা প্রকোপে লকডাউন এর কারণে সবকিছু বন্ধ থাকার ফলে শিক্ষার্থীরা কিন্তু এই সামাজিকীকরণের সুযোগ পাচ্ছে না। তাহলে তারা এগুলো কোথা থেকে শিখবে? কিভাবে নিজের চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, কিভাবে নিজের মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে হয় এগুলো শিখতে হলে তাকে যেতে হবে সমাজের কাছে। তাকে মিশতে হবে মানুষের সাথে।
কিন্তু সে ঘরে বন্দি আছে এক্ষেত্রে শিক্ষক হিসেবে আপনার দায়িত্ব শুধুমাত্র পড়ালেখার নির্দেশনা দেয়াই নয়, বরং শিক্ষার্থীকে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে তৈরি করার জন্য তার মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ভূমিকা রাখতে পারেন।
তাকে শেখাতে পারেন কিভাবে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হয়; কিভাবে সে মানসিকভাবে ভালো থাকতে পারে। তার মন ভালোলাগা খারাপ লাগা অস্থিরতাকে চিহ্নিত করতে সাহায্য করুন। এক্ষেত্রে আপনি আপনার ক্লাসে কিছু অ্যাক্টিভিটি করতে পারেন। এই অ্যাক্টিভিটি গুলো হল -
১. শিক্ষার্থী কি বোধ করছে এটা তাকে বুঝতে সহায়তা করুন:
এক্ষেত্রে আপনি একটি ইমোশন চার্ট ব্যবহার করতে পারেন, যার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ইমোশন সম্পর্কে তাকে জানাবেন। এবং প্রতিদিন আপনার অনলাইন ক্লাসের শুরুতে তাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন সে এখন কি রকম বোধ করছে বা কোন ছবিটি দিয়ে সেটা ইমোশনকে ব্যক্ত করতে  চায়। শিক্ষার্থীর মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ বা তার মানসিক স্বাস্থ্য যত্নের প্রথম ধাপটা কিন্তু এই ইমোশনকে চিহ্নিত করতে  তাকে সহায়তা করা।
২.  শিক্ষার্থীকে  শেখানো কিভাবে সে নিজেই তার ইমোশন ম্যানেজ করতে পারে:
শিক্ষার্থী তার ইমোশন আবেগ কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে, কিভাবে ম্যানেজ করবে তার জন্য তাকে  সরাসরি কোনো পরামর্শ না দিয়ে গাইড করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি তাকে একটি নোটবই সাথে রাখতে বলুন। ক্লাসের শুরু বা দিনের শুরুতে সে কি বোধ করছে সেটা সে যেন তাতে লিখে রাখে। আবার দিনের শেষে বা ক্লাস শেষে তার আবেগের যদি কোনো পরিবর্তন হয় তাও যেন সে সেখানে লিখে রাখে।  এটিকে বলা হয় ইমোশন লগবই। এবার তাকে চিহ্নিত করতে সাহায্য করুন কোন কাজটা করলে তার মনটা ভালো হচ্ছে। তাকে ওটা নিয়ে একটা গল্প বলতে উৎসাহ দিন।  যেমন- “ তুমি একটা গল্প বানাও কী কাজ করে তোমার মনটা ভাল হয়ে গেল।” এর ফলে সে নিজেই চিহ্নিত করতে পারবে কোন জিনিস বা কাজ তার ইমোশনকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। এবং তার মন খারাপ হওয়া বা খারাপ লাগার কারণটা আসলে কি সেটাও বুঝতে পারবে। এটি শিক্ষার্থীকে তার মানসিক সুরক্ষার প্রাথমিক পর্যায়।  বিশেষ করে প্রাইমারি শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য এই ইমোশান ম্যানেজমেন্ট শেখা খুবই দরকারি।
৩. শিক্ষার্থীকে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ শেখান:
জিজ্ঞেস করুন কিসে সে মানসিক চাপ বোধ করে।  সপ্তাহে একদিন যেমন রবিবার আপনি এই অ্যাক্টিভিটিটা করাতে পারেন। আবার পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে অথবা সপ্তাহের শেষে ওকে অ্যাক্টিভিটিটা করানো যায়।  শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞেস করুন সে কি কি  বিষয়ে মানসিক চাপ বোধ করছে অথবা কি নিয়ে তার দুশ্চিন্তা হচ্ছে। আপনার শিক্ষার্থী তখনই আপনার কাছে তার মানসিক চাপের কথা বলবে যখন আপনি তাকে আশ্বস্ত করতে পারবেন যে তার বলা কথাগুলো অন্য কথাও বলবেন না। এজন্য আপনার অনলাইন ক্লাসটাতে একটা নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে হবে।  নিরাপদ পরিবেশে এমন হবে যেন সবাই খোলা মনে তার কথা শুনতে পারে এবং সেটা নিয়ে কেউ সমালোচনা না করে।  শিক্ষার্থীদের বোঝাতে হবে কেউ যদি এরকম মানসিক চাপ বোধ করে বা তার বাসায় যদি কোন সমস্যা হয়, এবং সেটা যদি সে আমাদেরকে বলে তবে তা নিয়ে হাসি-তামাশা করা যাবে না।  তাকে খোঁচা দিয়ে কথা না বলে তার প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থেকেই একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি হয়।
শিক্ষার্থীর মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য তাকে হুট করে কোনো পরামর্শ দেয়া ঠিক নয়। বরং তাকে বলুন তার মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য সে নিজে কি করতে পারে তা চিন্তা করতে।  কিভাবে সে তার সমস্যা থেকে বের হতে পারে তা যেন সে ��পনাকে জানায়। এতে আপনি পরামর্শক হিসেবে না থেকে গাইড হিসেবে থাকবেন। শিক্ষার্থীর এই আত্মবিশ্বাস থাকা খুবই জরুরী যে সে নিজেই নিজের সমস্যা সমাধান করতে পারে।
৪. শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে ভালো থাকার কৌশল শেখান:
নিয়মিত ঘুম: আপনার শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন সঠিক সময়ে ঘুমোচ্ছে কিনা, তাদের পর্যাপ্ত ঘুম হচ্ছে কিনা সেই জিনিসটা আপনি তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করুন। এবং তাদেরকে বোঝান স্কুল নেই বলে যেন তারা সারা রাত না জেগে থাকে। বরং ঠিক সময় ঘুমোতে যায়। এক্ষেত্রে আপনি তাদের সাথে কিছু তথ্য শেয়ার করতে পারেন যেমন- সঠিক সময়ে ঘুমোতে যাওয়া আর ঘুম থেকে উঠার উপকারিতা। এছাড়া প্রতিদিন নূন্যতম ৮ ঘন্টা ঘুমানো এবং বিশ্রাম নেওয়া তাদের জন্য কতটা দরকার । এটা তাদের মস্তিষ্কের বিকাশ ও পড়ালেখার জন্য যেটা কতটুকু দরকার তা বোঝান। প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরনের তথ্য উপাত্ত ইন্টারনেট থেকে বা কোন গবেষণা থেকে নিয়ে তাদেরকে দেখাতে পারেন।
ব্যায়াম: আপনার ক্লাসের শুরুতে কিছু শারীরিক বা মানসিক এক্সারসাইজ করাতে পারেন। যেমন- ব্রিদিং এক্সারসাইজ, ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ।  ব্যায়াম করার ফলে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে আরও মনোযোগী হয়। একটু বড় ক্লাসের ছেলেমেয়েদের ব্রিদিং এক্সারসাইজ করানো খুবই ভালো। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় ছোট ক্লাসের বাচ্চারা ব্রিদিং এক্সারসাইজ করতে চা���় না, সে ক্ষেত্রে আপনি যেটা করতে পারে আপনি তাদেরকে ছোট ছোট কিছু ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ করাতে পারেন। ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে আপনি ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করলেন এবং তাদেরকেও বললেন আপনাকে অনুসরণ করতে। এর ফলে যেটা হবে, এই ব্যায়াম গুলো তাদেরকে কিছুক্ষণের জন্য হলেও মনের অস্থির অবস্থা থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করবে।  ঠিক পরেই আপনি যদি তাদেরকে পড়ালেখায় ফিরিয়ে আনতে পারেন তবে সেটা তার জন্য আরো ভালো হবে।
কৃতজ্ঞতাবোধ: আপনার শিক্ষার্থীকে কৃতজ্ঞতা বোধ শেখান।   প্রতিদিন  সে কি কি জিনিস থেকে উপকৃত হচ্ছে তার একটা লিস্ট করতে বলুন। প্রত্যেকটি উপকারে সাথে কৃতজ্ঞতাবোধ যেন তার মধ্যে জাগ্রত হয়। শুধু থ্যাংক ইউ না বা পাল্টা কোন উপকার না এই কৃতজ্ঞতাবোধ তাকে মানুষের প্রতি বিশ্বাস তৈরি করার বা নির্ভরশীলতার একটি ক্ষেত্র তৈরি করে দিতে পারবে।  যাতে সে হতাশ হবে না।  শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা কাটাতে কৃতজ্ঞতা বোধ জাগ্রত করা খুবই প্রয়োজন।  সপ্তাহের যেকোনো একটা দিন সে পুরো সপ্তাহে কি কি বিষয়ে কৃতজ্ঞ ছিল তার একটা লিস্ট তাকে জমা দিতে বলুন বা তার ক্লাসমেটদের সামনে উপস্থাপন করতে বলুন।  কৃতজ্ঞতা লিস্টটির উপস্থাপন অনলাইন ও অফলাইন উভয় ধরনের ক্লাসেই করানো সম্ভব।
দয়াশীলতা: গবেষণায় বারবার দেখা গিয়েছে যে সকল ব্যক্তি দয়াশীলতা চর্চা করে তারা কিন্তু খুব কমই হতাশ হয়ে থাকেন বা মানসিক চাপ বোধ করে থাকে। মন ভালো রাখতে মানুষের উপকার করা এবং দয়াশীলতা খুবই ভাল একটি গুণ।  আপনার শিক্ষার্থীকে অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে শেখান।  কিভাবে কোন প্রাণী বা উদ্ভিদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া যায়- তা তাকে গল্পের মাধ্যমে শেখাতে পারেন।  এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের একটি টাস্ক দেওয়া যেতে পারে যে- সে এই মাসে কত বার দয়াশীলতা দেখিয়েছে। এবং এর ফলে তার কি বোধ হয়েছে? তার ভালো লেগেছে কিনা সেটি গল্প আকারে লিখতে বা বলতে হবে।
রুটিন মাফিক জীবন:  লকডাউন এর কারণে স্কুল না থাকায় শিক্ষার্থীরা অনেক অনেকটা খাপছাড়া ভাবে জীবন যাপন করছে। এতে যেটা হয়েছে তাদের নিয়মিত রুটিন ভাঙ্গার ফলে তারা বুঝতে পারে না তখন কি করবে? কখন পড়বে বা কখন খেলবে, টিভিই বা দেখবে! তাই তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করুন তারা যেন নিজের জন্য বাসায় রুটিন বানিয়ে নেয়। যেটাতে তারা তাদের খেলাধুলার সময়, খাওয়া-দাওয়া এবং অন্যান্য বিনোদনের সময় ও পড়াশোনার সময় এর পাশাপাশি ঘুমুতে যাওয়ার সময়ও যুক্ত করে। এতে তার আবার একটা রুটিন মাফিক জীবনে ফিরে আসার সম্ভাবনা তৈরি হবে, যা তাকে মানসিক চাপ এবং দুশ্চিন্তা থেকে দুরে রাখতে সাহায্য করবে।
প্রবাদ আছে- ‘সুস্থ দেহে সুস্থ মন’। অনেক সময় মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন না নিলে এর প্রভাব শারীরিক স্বাস্থ্যেও পড়ে।  আপনার শিক্ষার্থীর মানসিক বিকাশে  শিক্ষক হিসেবে আপনার ভূমিকা এই অ্যাক্টিভিটিগুলোর চেয়েও অনেক বেশি।  এ্যাক্টিভিটি গুলোর পাশাপাশি নিয়মিত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সাথে কথা বলতে হবে।  শিক্ষার্থীদেরকে সময় দিতে হবে, তাদের কথা শুনতে হবে।  একজন হাসিখুশি শিক্ষার্থীর পক্ষেই সম্ভব সব ধরনের ক্লাস অ্যাকটিভিটিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করা। তাই আপনার  ক্লাসটাকে ইন্টারঅ্যাকটিভ করতে শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থার প্রতি নজর দিতে হবে। এর পাশাপাশি শিক্ষক হিসেবে আপনাকে আপনার নিজের মানসিক স্বাস্থ্যেরও যত্ন নিতে হবে। যাতে আপনি সব সময় নিজের শিক্ষার্থীদের সহায়তায় পাশে থাকতে পারেন।
সারাফ আফরা সালসাবিল
কারিকুলাম ও ইন্সট্রাকশনাল স্পেশালিষ্ট
আলোকিত হৃদয় ফাউন্ডেশন
0 notes
Photo
Tumblr media
শিশুর ক্রমবিকাশের ৪ টি ধাপ এবং একজন শিক্ষক/অভিভাবকের করনীয়
শিশুর ক্রমবিকাশের মাইলফলক:
বয়সের ভিত্তিতে শিশুর বিভিন্ন দক্ষতার বিকাশ ঘটে। শিশুর বিভিন্ন দক্ষতা ও যোগ্যতার পাশাপাশি শিশুর সার্বিক বিকাশে আরো কিছু বিষয় নির্ভর করে যেমন: শিশুর পারিপার্শ্বিক পরিবেশ, পরিবার, আর্থসামাজিক অবস্থা, শিশুর যত্ন-নিরাপত্তা ও শিশুর প্রতি বড়দের আচরণ-ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার।
বস্তুত বিকাশের যে কোন দক্ষতাই কোনো একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্র থেকে আসে না বরং তা বিকাশের বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে বিভিন্ন ভাবে অর্জিত হয়। যেমন: শিশু জন্মের পর ভূমিষ্ঠ হয়েই হাটতে শিখে না বরং ধীরে ধীরে হাঁটার (পেশী সঞ্চালন) দক্ষতা অর্জন করে তেমনই দক্ষতার কিছু মাইলফলক আছে যা বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে শিশুর মধ্যে ঘটে। শিশুর ক্রমবিকাশের মাইলফলক কেন বোঝা প্রয়োজন?
শিশুদের সঠিকভাবে বুঝতে ও সক্রিয় রাখতে হলে তাদের সম্পর্কে আমাদের জানা দরকার শিক্ষাবিদ, শিক্ষক, অভিভাবক এবং যত্নকারী যখন শিশুর বিকাশ সম্পর্কে পর্যাপ্ত পরিমান জ্ঞান রাখেন, তখন শিশুর আচরণ বুঝতে, শিশুকে সঠিক মূল্যায়ন করতে এবং তার বিকাশকে নিশ্চিত ও ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করা সম্ভব হয়।যেমন:
১. শিশুকে বুঝতে পারা যায় এবং বয়সানুযায়ী শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ হচ্ছে কিনা তা লক্ষ্য করা সম্ভব হয়।
২. শিশুর মধ্যে স্বাভাবিকতা ও অস্বাভাবিকতা নির্ণয় করা যায়।
৩. সম্ভাব্য বিলম্বের সূচকগুলি "সনাক্ত" করতে পেরে তাকে প্রয়োজনীয় সহায়তা পেতে সাহায্য করা যায়।
৪. শিশুকে সুষ্ঠ পরিচালনা করা ও বেড়ে উঠতে সাহায্য করা সক্ষম হয়।
৫. শিশুকে বিভিন্ন পরিস্থিতি ও পরিবেশে খাপ খাওয়ানোর জন্য প্রস্তুত করা যায়।
৬. শিশুকে সঠিক ও উপযুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা প্রদান করা সক্ষম হয়।
৭. শিশুর বয়স এবং তার ক্রমবিকাশ অনুযায়ী বিভিন্ন দক্ষতা অর্জনে শিক্ষার পাঠক্রম প্রস্তুত করে তার বিকাশ নিশ্চিত করা।
কারা শিশু?
জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ এবং বাংলাদেশ জাতীয় শিশু নীতিমালা অনুযায়ী ১৮ বছরের নিচে সকল মানবসন্তানকে শিশু বলা হয়।
প্রতিটি শিশু আলাদা এবং একটি পূর্ণাঙ্গ সত্তা।
শিশুর বিকাশ ও শিশুর বৃদ্ধি কি?
বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে শিশুর বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন ঘটে পরিবর্তন. প্রধানত দুই ভাবে ঘটে।
১. শিশুর বৃদ্ধি: আকার আকৃতিতে শিশুর মধ্যে যে পরিবর্তন আসে তাকে শিশুর বৃদ্ধি বলে এবং বৃদ্ধি বলতে বিভিন্ন অঙ্গের পরিবর্তন ও আকারে বড় হওয়া কে বোঝায়. মূলত দৈহিক বৃদ্ধি তথা; ওজন ও উচ্চতা, দেহের বিভিন্ন অঙ্গের বৃদ্ধি (মাথার পরিধি, দাঁত ও মুখের আকার, শিশুর ধড়-হাত-পা), অস্থি ও অস্থিবৎ পেশী, মাংসপেশীর বৃদ্ধি, মস্তিষ্কের বৃদ্ধি, দেহের রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা, ক্ষরণ পদ্ধতি���
২. শিশুর বিকাশ: আর দক্ষতা ও যোগ্যতাতে শিশুর যে পরিবর্তনসমূহ ঘটে তাকে শিশুর বিকাশ বলে।
তবে আকার-আকৃতির মতো শিশুর বিকাশ সরাসরি দেখা যায় না,বয়সানুযায়ী শিশুর পারা ও না পারার দক্ষতা ও  বৈশিষ্ট্য বিচার করে এ পরিবর্তন বোঝা যায়. সঠিকভাবে শিশুর বেড়ে ওঠার জন্য বিকাশ ও বৃদ্ধি অপরিহার্য।
শিশুর ক্রমবিকাশ সাধারণত চারটি ক্ষেত্রকে কেন্দ্র করে  আবর্তিত হয়:
১. শারীরিক বিকাশ: পেশী সঞ্চালনের মাধ্যমে শিশুর এই বিকাশ ঘটে।
যেমন; অন্যান্য শিশুর সাথে খেলা করা, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে পারা, আর সহজভাবে চলাফেরা করতে পারা, লাফানোর পরে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারা, নিজের দাঁত ব্রাশ করতে পারা, কোন জিনিস হাতে নিয়ে চলাচল করতে পারা ইত্যাদি । 
পেশী সঞ্চালন আবার দুই ভাবে হয়:
ক. সূক্ষ্ম পেশির সঞ্চালন: শরীরের ছোট ছোট পেশী যেমন; হাত ও পায়ের আঙ্গুল চোখের পাতা ইত্যাদি। এসব পেশী নাড়াচাড়ার  মাধ্যমে শিশুর শারীরিক বিকাশ ঘটে। যেমন: আঙ্গুল দিয়ে ছোট ছোট জিনিস ধরতে পারা, চামচ ধরা, বইয়ের পাতা উল্টানো, পেন্সিল ধরা ইত্যাদি হচ্ছে সূক্ষ্ম পেশীর সঞ্চালন দক্ষতা।
খ.স্থুলপেশীর সঞ্চালন: শরীরের বড় পেশী যেমন; হাত পা ইত্যাদি হচ্ছে স্থুল পেশী. নাড়াচাড়ার মাধ্যমে শিশুর শারীরিক বিভিন্ন বিকাশ ঘটে। যেমন: হেলান দিয়ে বসতে শেখা, হামাগুড়ি দেযা, ধীরে ধীরে হাঁটতে শেখা ইত্যাদি হচ্ছে স্থুল পেশীর সঞ্চালন দক্ষতা।
২.ভাষা বৃত্তীয় বিকাশ:
শব্দ উচ্চারন ও শোনার মাধ্যমে শিশুর ভাষার বিকাশ ঘটে। যে দক্ষতা গুলো শিশুর ভাষা বৃত্তীয় বিকাশের নির্ণায়ক তা হল মৌখিক ভাষার দক্ষতা, অমৌখিক ভাষার দক্ষতা, প্রশ্ন করার দক্ষতা, গল্প ও ঘটনা ব্যাখ্যা করতে পারার দক্ষতা, বিভিন্ন জিনিসের নাম ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বলতে পারার দক্ষতা ইত্যাদি।
৩. বুদ্ধিবৃত্তিয় বিকাশ:
শিশুর যোক্তিক চিন্তাশক্তি, শিখন, সমস্যা সমাধানের দক্ষতাই বুদ্ধিবৃত্তিয় বিকাশ. মনোযোগ, একাগ্রতা, মানসিক সচেতনতা, প্রত্যক্ষণ (দেখা, শোনা, স্পর্শের অনুভূতি) কার্যকরণ সম্পর্কে বোঝা,কল্পনা শক্তি ও সৃজনশীলতা, গতি ও নাড়াচাড়া সম্পর্কিত ধারণা ইত্যাদি দক্ষতার বিকাশই হলো বুদ্ধিবৃত্তিয় বিকাশ। শিশুর বুদ্ধির বিকাশ পঞ্চ ইন্দ্রিয় দ্বারা বেষ্টিত।
৪. সামাজিক ও আবেগীয় বিকাশ:
অন্যের সাথে সম্পর্ক স্থাপন, সহযোগিতামূলক মনোভাব তৈরি, পরিবারের সবাইকে চিনতে পারা, পরিচিত কাউকে দেখলে হাসি দেয়া বা খুশি হওয়া. হাসি কান্না আনন্দ ও রাগ  প্রকাশ করা, অন্যের আচরণ অনুকরণ করতে পারা, বিদায় দিতে পারা, সালাম দিতে পারা,  সমবয়সী ও বড়দের সাথে খেলা করা, নিজের পছন্দের জিনিস অন্যের সাথে ভাগাভাগি করা, আত্মনিয়ন্ত্রণ সামাজিক রীতিনীতি শেখা ইত্যাদি দক্ষতাই হলো শিশুর সামাজিক ও আবেগীয় বিকাশ।
শিশুর ক্রমবিকাশের মাইলফলক অর্জনে অভিভাবক এবং শিক্ষক এর করণীয়:
শিশুর বিকাশের মাইলফলক অনুযায়ী শিশুকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
শিশুর সাথে মিথষ্ক্রিয়ার সময় তাকে পুরোপুরি মনোযোগ দিতে হবে।
শিশুকে "এটা করো না, ওটা ধরো না" এভাবে নির্দেশাবলী দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে বরং শিশু কি করতে পারে সেই সঠিক দিকনির্দেশনা শিশুকে বুঝিয়ে বলতে হবে এতে শিশুর বুদ্ধিবৃত্তীয় বিকাশ বৃদ্ধি পাবে।
শিশুর আবেগকে গুরুত্ব দিয়ে তার কথা শোনার পর তাকে বোঝাতে হবে।
শিশু খেলার মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি বিকশিত হয় তাই দৈনন্দিন বিভিন্ন ধরণের গঠনমূলক খেলায় তাকে উদবুদ্ধ করতে হবে এবং পাঠক্রমে খেলার মাধ্যমে শিখন ব্যবস্থা রাখতে হবে।
নৌশীন তাবাস্সুম বুশরা
এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট ইন্টার্ন
আলোকিত হৃদয় ফাউন্ডেশন
0 notes
Photo
Tumblr media
শিক্ষার্থীর অনলাইন শিখন নিরাপদ রাখতে ৬টি পদক্ষেপ
আপনি অনলাইনে যেই ক্লাসগুলো  নিচ্ছেন সেখানে আপনার শিক্ষার্থীরা কতটা নিরাপদ?
কোভিড-১৯ মহামারী প্রতিরোধে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই বন্ধ রাখা হয়েছে। তাই স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমের বিকল্প হিসেবে বেছে নেওয়া হয় ‘অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম’। অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম যেমন আমাদের জন্য সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে ঠিক তেমনই আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে কিছুটা ঝুঁকিতেও ফেলে দিয়েছে।
কিশোর, কিশোরী ও শিশুরা অনলাইন দুনিয়ার নানা ধরণের অপরাধ, ঝুঁকি বা এক্সপোজারের শিকারও হয় তুলনামূলক বেশি। অনলাইন ক্লাস করতে গিয়ে একজন ছাত্র যদি বুলিং, অনলাইন যৌন হয়রানি বা তার ব্যক্তিগত তথ্য চুরির শিকার হয় তবে তার পড়াশোনা যেমন বাঁধাগ্রস্ত হবে, ঠিক তেমনই তার সার্বিক ভালো থাকাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
অনলাইন ক্লাসে বিভিন্ন ধরনের হয়রানি সংক্রান্ত ঝুঁকি
বিভিন্ন ধরনের ভুয়া মেইল বা মেসেজে আসা হাইপারলিংকে ক্লিক করে একাউন্ট হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা।
বিভিন্ন ধরনের হয়রানিমূলক, আপত্তিকর ছবি, ভিডিও, টেক্সট মেসেজ ইনবক্সে পাওয়া।
অনলাইন ক্লাসে একে অপরকে বুলিং করা, টিটকারী করা, কারও উত্তর শুনে বা কাজ দেখে কটু মন্তব্য করা।
অনলাইন ক্লাসের সুবাদে ফোন নম্বর, ইমেইল আইডি, ছবি ইত্যাদির মাধ্যমে কোন শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসের বাইরেও উত্যক্ত হতে পারেন।
শিক্ষার্থীদের ছবি, ভিডিও, অডিও ও ব্যক্তিগত তথ্যচুরি হওয়া।
যেই প্লাটফরমটি অনলাইন ক্লাসের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে তা হ্যাক হওয়া বা সেখানে ক্লাসের বাইরের কেউ ঢুকে পড়া।
শিক্ষার্থীর অনলাইন শিখন নিরাপদ রাখতে শিক্ষক হিসেবে আপনি ৬ টি পদক্ষেপ নিতে পারেন তা হলো-
১. একাউন্ট প্রাইভেসি সম্পর্কে শেখানো। অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসের জন্যই নতুন ইমেইল, ফেসবুক, হোয়াটসএপ একাউন্ট খুলেছে। তারা অনলাইন প্রাইভেসি সেটিংস সম্পর্কে খুব কমই জানে। তাই নিজেদের বিভিন্ন তথ্য যেমন- মোবাইল ফোন, ছবি, এড্রেস, ইমেইল ইত্যাদি যোগাযোগ মাধ্যমে পাবলিক প্রাইভেসি অপশনে দিয়ে রাখে। তাদের শেখাতে হবে কি করে প্রাইভেসি সেটিংস বদলে “শুধু নিজে” বা খুব ছোট সারকেলের মধ্যে অডিয়েনস দেয়া যায়। সর্বোপরি, অনলাইন তথ্য চুরি, মিথ্যা নিউজ ইত্যাদি নিয়ে তাদের সর্তক করতে হবে।
২. প্রাইভেট জুম(অনলাইন ক্লাস) লিংক প্রদান করা। প্রতিবার অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হওয়ার সময় যে লিংক দিবেন তা যেন প্রাইভেট হয়। শিক্ষার্থী ব্যতীত অন্য কারো সাথে মিটিং আইডি ও পাসওয়ার্ড শেয়ার করবেন না। শিক্ষার্থীদের ও তাদের অভিভাবকদেরকেও নির্দেশনা দিবেন যেন তারা মিটিং আইডি অন্য কারো সাথে শেয়ার না করে। অনলাইন মিটিং আইডিতে যেন শিক্ষার্থীর সঠিক নাম ও রোল উল্লেখ থাকে যেন আপনি ক্লাস চলাকালে তাকে সহজে চিহ্নিত করতে পারেন।
৩. অনলাইন ক্লাস/গ্রুপে অংশ নেওয়া সদস্যদের এক্টিভিটি মনিটর করা। ক্লাস চলাকালে নিয়মিত কমেন্ট ও চ্যাটবক্স মনিটর করতে হবে। অনাকাংক্ষিত কেউ ম্যাসেঞ্জার বা হোয়াটসএপ গ্রুপে ঢুকলে তাকে সাথে সাথে রিমুভ করে দেয়া উচিত। কারণ তার মাধ্যমে অন্য শিক্ষার্থীরা ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। আপনার ছাত্রদের মধ্যেও যদি কেউ হোয়াটসএপ, ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার বা অনলাইন চ্যাট বক্সে আপত্তিকর কোন কমেন্ট, ভুয়া নিউজ বা স্প্যাম লিংক ছড়ায় তাকে সাথে সাথে জবাবদিহির আওতায়  আনুন। তার অভিভাবকদের সাথে কথা বলুন এবং ভবিষ্যতে সে যেন এমন না করে, করলে কি কি ক্ষতি হতে পারে তা বুঝিয়ে বলুন।
৪. হয়রানি বা যেকোন অভিযোগ রিপোর্ট করার অপশন রাখা। আপনার গুগল ক্লাস, ফেসবুকে পড়ানোর গ্রুপ বা অনলাইন লাইভ ক্লাসে কোন শিক্ষার্থী যদি অপর কোন শিক্ষার্থী বা অন্য কেউ দ্বারা হয়রানির শিকার হয়, তার জন্য অভিযোগ করার অপশন রাখুন। রিপোর্ট কমেন্ট গুলো রিভিউ করুন। শিক্ষার্থীদের অরিয়েন্টেশন ক্লাসে শেখান কীভাবে আপত্তিকর কমেন্ট, ম্যাসেজ বা কন্টেন্ট রিপোর্ট করতে হয়।
৫. শিক্ষার্থীদের পারস্পারিক সম্মানবোধ শেখানো। অনলাইনে হয়রানি বা ��ুলিং হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো পারস্পারিক সম্মানবোধের অভাব। অনেক সময় শিক্ষার্থী বা বড়রাও বুঝেন না কি নিয়ে মজা করা যাবে, আর কি নিয়ে মজা করা যাবে না। যার ফলশ্রুতিতে মজা করতে গিয়ে তারা একে-অপরকে দুঃখ দিয়ে কথা বলে ফেলেন। তাই শিক্ষকের উচিত এই সমস্যাগুলো নিয়ে আগে থেকেই ক্লাসে শিক্ষার্থীদের সচেতন করা। কারো লেখা বা কাজের উপর মতামত দিতে গিয়ে তারা যেন তাকে দুঃখ দিয়ে কথা না বলে। এবং অন্যের মতামত শোনার ব্যাপারে যেন মুক্ত মানসিকতা রাখে। এই মূল্যবোধ গুলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষক ক্লাসে এই সম্বন্ধীয় গল্প বলতে পারেন বা কোন কার্টুনও দেখাতে পারেন।
৬. অনলাইন নানা ধরনের ঝুঁকি নিয়ে অভিভাবকদের সতর্ক করা। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি যেমন- তথ্য চুরি, ভুয়া নিউজ, হয়রানি ও যৌন হয়রানির মতও বিষয়গুলো নিয়ে সচেতন করতে হবে। অনেক সময় শিক্ষার্থীর সাথে এমন কোন অনলাইন অপরাধ হয়ে গেলে অভিভাবক তাদেরই দোষারোপ করেন, তাদের থেকে ডিভাইস বা অনলাইন এক্সেস কেড়ে নেন। তাই অভিভাবকদেরও বোঝাতে হবে কীভাবে তাদের সন্তান অনলাইনে নিরাপদ থাকতে পারেন, কীভাবে তারা সন্তানদের অনলাইন পড়াশোনা মনিটর করতে পারেবন।
আপনার শিক্ষার্থী যদি অনলাইনে হয়রানির শিকার হয় কী করবেন?
আপনার শিক্ষার্থী যদি অনলাইন হয়রানির শিকার হয়েই যায় তবে লক্ষ্য রাখুন-
সে যেন ভেঙ্গে না পড়ে, প্রয়ো���নে তার কাউন্সিলিং করুন বা কোন চাইল্ড সাইকোলজিস্টের সাহায্য নিন। এতে যে তার কোন দোষ নেই তা তাকে বোঝান।
তার অভিভাবকদের সাথে কথা বলুন ও শান্ত থাকতে পরামর্শ দিন।
যে হয়রানি করেছে সে যদি আপনারই কোন শিক্ষার্থী হয়, তবে তাকে তার খারাপ কাজটির জন্য অনুতপ্ত করান, তাকে দিয়ে ক্ষমা চাওয়ান। ভবিষ্যতে সে এমন কিছু করে কিনা তার প্রতি লক্ষ্য রাখুন।  
আপনার পরিচিত গণ্ডির বাইরের কেউ আপনার শিক্ষার্থীদেরকে অনলাইনে হয়রানি করলে সাথে সাথে রিপোর্ট করুন, প্রয়োজনে বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ইউনিটে যোগাযোগ করুন।
অনলাইন শিখন শিক্ষার্থীদের জন্য একটি চমৎকার ব্যবস্থা। তাই শিক্ষক হিসেবে অনলাইনে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে  আপনি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি উন্নত শিখন পরিবেশ তৈরি করতে পারবেন। এছাড়া অনলাইন বা অফলাইন যেকোন অন্যায়ের প্রতিবাদ করা সকলেরই নাগরিক দায়িত্ব।
সারাফ আফরা সালসাবিল কারিকুলাম ও ইন্সট্রাকশনাল স্পেশালিষ্ট আলোকিত হৃদয় ফাউন্ডেশন
0 notes
Photo
Tumblr media
সাইফুল ইসলাম রনি: Social Emotional Learning ক্লাসরুমে প্রয়োগ করা কেন জরুরী?
সালমা তালুকদার: Social Emotional learning ক্লাসে প্রয়োগ করা জরুরী কারন এতে করে ক্লাস রুমে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী একে অপরের মনোভাব বুঝে তাদের মাঝে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে Empathy তৈরী হয়।
সাইফুল ইসলাম রনি:  আপনি কি ক্লাসরুমে সোশ্যাল ইমোশনাল লার্নিং প্রয়োগ করেন? এটি প্রয়োগের পরে আপনার ক্লাসরুমে কী ধরণের পরিবর্তন এসেছে?
সালমা তালুকদার: হ্যাঁ।ক্লাসরুমে এটি প্রয়োগের ফলে শিক্ষার্থীর মাঝে বিভিন্ন Emotional chart এর মাধ্যমে তাদের মধ্যে সহানুভূতি ও সহমর্মিতা তৈরি হয় এবং শিক্ষার্থীরা তারা তাদের মনের আবেগ গুলো প্রকাশ করে।
সাইফুল ইসলাম রনি:  কী কী একটিভিটি করিয়েছেন? কোন একটিভিটি টি আপনার কাছে সবচেয়ে বেশী কার্যকরী মনে হয়ছে এবং কেন?
সালমা তালুকদার: যে একটিভিটি গুলো করিয়েছি  সেগুলো: ১. Emotional chart ২. Kindness activities ৩. Blessing  and burden ৪. Colour chart
এখানে Emotional chart বেশী কার্যকর মনে হয়েছে কারন এই একটিভিটিতে একজন আরেকজনের   Emotional বুঝে তার সাথে সেই ধরনের আচরণ করতে পারে।
সাইফুল ইসলাম রনি:  শিক্ষক হিসেবে আপনি নিজে কী কোন ধরণের এক্টিভিটি করেন? সেটি আপনাকে কীভাবে শিক্ষকতায় সাহায্য করছে?
সালমা তালুকদার: শিক্ষক হিসেবে আমি Kindness activiti করি কারন এতে আমি আমার নিজের সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের বলতে পারি এবং তারাও তাদের নিজের সম্পর্কে বলে সেই ভাবে চলতে পারে।শিক্ষকতা পেশা হচ্ছে একটি মহান পেশা। তাই  শিক্ষকতায় নিজের  গুন গুলো শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরে তাদেরকে সেই ভাবে এগিয়ে চলতে সাহায্য করে।
সাইফুল ইসলাম রনি: একজন শিক্ষার্থীকে আত্মোউন্নয়নশীল করতে SEL কিভাবে ভূমিকা রাখে?
সালমা তালুকদার: একজন শিক্ষার্থীকে আত্নউন্নয়নশীল করতে SEL বিভিন্ন ভাবে কাজ করে। যখন  একজন শিক্ষার্থী বিভিন্ন Emotional  গুলো বুঝতে পারে তখন সে ঐ  ইমোশনাল বুঝে অন্যজনের সাথে  সহমর্মিতা মুলক আচরন করে।
0 notes
Photo
Tumblr media
এক সাক্ষাৎকারে আলোকিত হৃদয় বিদ্যালয়ের শিক্ষক শাকিলা খাতুন সোশ্যাল ইমোশনাল লার্নিং নিয়ে তার  অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তিনি বলেন সোশ্যাল ইমোশনাল লার্নিং তাকে সাহায্য করেছে শিক্ষার্থীদের সাথে সুসম্পর্ক তৈরী করতে ফলে ক্লাসরুম ম্যানেজমেন্ট করা তার জন্য সহজ হয়েছে।
সাইফুল ইসলাম রনি: Social emotional learning ক্লাসরুমে প্রয়োগ করা কেন জরুরী?
শাকিলা খাতুন: শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীর মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি করতে Social emotional learning খুবই জরুরী।এতে করে শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা সম্পর্কে জানা যায় এবং তাদের আস্থা অর্জন করা যায়। যার ফলে তারা তাদের অনুভূতি গুলো সহজে ব্যক্ত করতে পারে।
সাইফুল ইসলাম রনি: আপনি কি ক্লাসরুমে সোশ্যাল ইমোশনাল লার্নিং প্রয়োগ করেন? এটি প্রয়োগের পরে আপনার  ক্লাসরুমে কি ধরনের পরিবর্তন এসেছে?
শাকিলা খাতুন:  হ্যাঁ। এর ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের গুরুত্ব উপলব্ধি  করে এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্লাসে অংশ নেয় এবং পাঠের প্রতি মনোযোগী হয়ে ওঠে।
সাইফুল ইসলাম রনি: কি কি অ্যাক্টিভিটি করিয়েছেন? কোন অ্যাক্টিভিটি টি আপনার কাছে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী মনে হয়েছে এবং কেন?
শাকিলা খাতুন: Emotional chart, Kindness activities, Blessings and burdens, colour chart. আমার কাছে  Emotional chart সবচেয়ে বেশি কার্যকরী মনে হয়েছে  । কারণ এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনের ইমোশন গুলো সহজে জানতে পারা যায় এবং তাদের সেই Emotion এর উপর ভিত্তি করে পরবর্তী কাজগুলো সহজে সম্পন্ন করা যায়।
সাইফুল ইসলাম রনি: শিক্ষক হিসেবে আপনি নিজে কি কোন ধরনের অ্যাক্টিভিটি করেন? সেটি আপনাকে কিভাবে শিক্ষকতায় সহায়তা করছে?
শাকিলা খাতুন: ক্লাসের শুরুতে শিক্ষার্থীদের সাথে কুশল বিনিময় করি এবং তারা ভালো কোন কাজ করলে তার জন্য প্রশংসা করি। কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর পারিবারিক ও ব্যক্তিগত জীবনের খোঁজখবর নেয়ার ফলে শিক্ষার্থী নিজেকে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে মনে করে এবং শিক্ষকের সাথে একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়। ফলে সে তার সমস্যাগুলো সহজে শিক্ষকের সাথে শেয়ার করে। ভালো কাজের জন্য প্রশংসা করার ফলে সে আরো বেশি বেশি তার কাজের প্রতি উদ্যোগী হয়ে ওঠে এবং অন্যরাও তাকে দেখে ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা পায়।
সাইফুল ইসলাম রনি: একজন শিক্ষার্থীকে আত্ম উন্নয়নশীল করতে SEL কিভাবে ভূমিকা রাখে?
শাকিলা খাতুন: SEL এর মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী তার নিজের  সুখ দুঃখ গুলো সহজেই অন্যের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে পারেন। এতে করে একে অপরের প্রতি সহমর্মী  হয়ে ওঠে এবং তারা তাদের নিজেদের অনুভূতি উপস্থাপনের দক্ষতা অর্জন করে।
0 notes
Photo
Tumblr media
ক্লাসরুমের অনুপ্রেরণা
Theories of Motivation:
একটি ক্লাসে দুইজন শিক্ষার্থীর ঘটনা নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক। একজনের নাম রাহিব আরেকজন এর নাম হাফসা। রাহিব ক্লাসে প্রতিদিন আসে এবং ভালোভাবে পড়াশোনা করতে চেষ্টা করে। সে যদি পড়াশনা না করে তবে তার শিক্ষক এবং বাবা মা বকা দিবে, অনেকটা এরকম ভয়ের কারনেই সে পড়াশোনা করে। অন্যদিকে হাফসা নিয়মিত ক্লাসে আসে এবং শিক্ষকের কাছ থেকে সব পড়া বুঝে নিতে চায়। সেও খুব ভালভাবে পড়াশোনা করে। কারন কোন কিছু জানতে এবং শেখার ক্ষেত্রে সে অনেক আনন্দ পায়।
দুটি ঘটনা থেকে আমরা একটি  গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখতে পাই,তা হল রাহিব শিক্ষক ও বাবা মায়ের ভয়ে পড়াশোনা করছে। এক্ষেত্রে শংকা থেকে যায় যে একটা সময় পরে গিয়ে তার এই মোটিভেশনটি আর কাজ করছে না। অন্যদিকে হাফসার মোটিভেশন তার পড়াশোনাকে আনন্দদায়ক করে তুলছে এবং এতে তার পড়াশোনায় একঘেয়েমি আসার সম্ভবনা অনেক কম।
মনোবিজ্ঞানীরা মোটিভেশন এর তত্ত্ব কে দুইভাগে ভাগ করে একটি হলঃ
১। Intrinsic Motivation বা অভ্যন্তরীন অনুপ্রেরণা
২। Extrinsic Motivation বা বাহ্যিক অনুপ্রেরণা
Intrinsic motivation বা অভ্যন্তরীণ অনুপ্রেরণা মানুষের মনের ভেতরে কাজ করে এবং লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে। শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে যেমন “শেখার জন্য শিখতে চাওয়া” কিংবা “কাজের আনন্দ নিয়ে কাজটি করা” মানসিকতাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে এই ধরণের অনুপ্রেরণা। অন্যদিকে Extrinsic motivation মানুষের বাহ্যিক আকাঙ্খাকে পূর্ণ করার জন্য কাজ করে। যেমন অর্থ উপার্জন, পুরস্কার প্রাপ্তি, নম্বর পাওয়া ইত্যাদি।
কোন ধরণের অণুপ্রেরণা বা মোটিভেশন কেমন?
গবেষকদের মতে দুই ধরণের অনুপ্রেরণা বা Motivation এর মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু পার্থক্য। Extrinsic Motivation বা বাহ্যিক অনুপ্রেরণা বেশিদিন স্থায়ী হয় না, এটি দূর্বল প্রক্রিয়া এবং শুধুমাত্র লক্ষ্য অর্জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ধরা যাক, একজন শিক্ষার্থী ক্লাসে শিক্ষকের ভয়ে পড়াশোনা করে আসে। কিন্তু যখন ক্লাসে ঐ শিক্ষক থাকবেন না তখন সেই শিক্ষার্থী পড়াশোনা করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। এছাড়াও এ ধরণের অনুপ্রেরণা কোন কিছুর উপর নির্ভরতা বাড়িয়ে দেয় যেমনঃ অর্থ উপার্জনের জন্যর শেখা, বিখ্যাত হবার আশায় কাজ করা ইত্যাদি। ফলে শিক্ষার্থীরা শেখার আনন্দ হারিয়ে ফেলে।
অন্যদিকে Intrinsic motivation বা অভ্যন্তরীন অনুপ্রেরণা সাধারনত মানুষের মনের ভেতরের সন্তুষ্টি কেন্দ্র করে কাজ করে। অর্থাৎ কোন কাজের সন্তুষ্টি কিংবা ভালো লাগার জন্য করা। যেমনঃ একজন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে কারন তার শিখতে ও জানতে ভালো লাগে, তার ভেতরের কৌতুহল তাকে আরও পড়ার এবং জানার জন্য আগ্রহ সৃষ্টি করে দেয়। এই ধরণের অনুপ্রেরণা স্থায়ী হয় অর্থাৎ এক্ষেত্রে সহজেই একজন শিক্ষার্থীরা মোটিভেশন হারিয়ে ফেলে না। আরও একটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা হল, এই ধরণের অনুপ্রেরণা টাকা পয়সা, খ্যাতি, পুরস্কার ইত্যাদি ধরণের বাহ্যিক কোন কিছুর উপর নির্ভর করে না। তাই এটি শেষ হয়ে যাওয়ার ও কোন সুযোগ নেই।
শিক্ষার্থীদের জন্য আসলে দুই ধরণের মোটিভেশন প্রয়োজন। যদিও শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের কৌতুহলী করে তোলা, আনন্দের সাথে পড়াশোনা করা আর জানার আগ্রহ সৃষ্টি করা। শিক্ষক হিসেবে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে শিক্ষার্থী যেন Extrinsic Motivation এর দিকে বেশি ঝুঁকে না যায়। যেমনঃ কোন শিক্ষার্থী যদি শুধু ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য পড়াশোনা করে তবে সে পড়াশোনার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবে। আবার সে যদি অর্থ উপার্জনের জন্য পড়াশোনা করতে চায় তাহলে তার অর্থের উপর নির্ভরতা কাজ করে। আমরা প্রায়ই শুনে থাকি অভিভাবকেরা ভালো রেজাল্ট এর বিনিময়ে মোবাইল, খেলনা কিংবা বস্তুগত কিছু কিনে দেন। এটি যেমন একদিক থেকে ঐ বস্তুর উপর শিক্ষার্থীদের নির্ভরতা বড়িয়ে দেয় তেমনি অন্যদিকে এই জিনিসগুলো পাওয়া হয়ে গেলে তার নির্ভরতাও হারিয়ে ফেলে। এক্ষেত্রে পড়াশোনার জন্য আনন্দ সে ধরে রাখতে পারে না। অর্থাৎ বাহ্যিক অনুপ্রেরণা বা  extrinsic motivation বেশি সময় ধরে স্থায়ী হয় না। তাহলে কি বাহ্যিক অনুপ্রেরণার কোন প্রয়োজনীয়তা নেই শিক্ষার্থীদের? অবশ্যই আছে। তবে তা যেন সরাসরি বস্তুর উপর নির্ভরতা সৃষ্টি না করে তার দিক খেয়াল রাখতে হবে।
কিছু অভ্যন্তরীন ও বাহ্যিক মোটিভেশনের মাধ্যেম কিভাবে আমরা ক্লাসকে প্রাণবন্ত রাখতে পারি?
১। ক্লাসে শিক্ষার্থীদের কোন কাজ করতে দিলে উপহার না দিয়ে তাদের প্রশংসা করা উচিত। এতে করে তাদের পরবর্তীতে কাজের প্রতি আরও আগ্রহ সৃষ্টি হয়।
২। শিক্ষার্থীদের প্রত্যেককে আলাদাভাবে জানা প্রয়োজন। তারা কি চায়, তাদের মানসিকতা ,তারা কোন বন্ধুর সাথে পড়াশোনায় বেশি আগ্রহী, ইত্যাদি জানার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর সাথে শিক্ষকের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।
৩। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা এবং স্বাধীনভাবে চিন্তা করার জন্য সুযোগ দিতে হবে। সৃজনশীল এবং স্বাধীন চিন্তা-ভাবনা শিক্ষার্থীদের যেকোন কাজে অনুপ্রাণিত করে তোলে। তারা নিজেরাই যে কোন সমস্যা সমাধানেও নতুন নতুন উপায়গুলো খুঁজে পায়।
৪। আমাদের শিক্ষার্থীদের পড়ার বিষয়গুলো শুধু মাত্র ক্লাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। তাই মাঝেমধ্যেই আমরা শিক্ষার্থীদের ক্লাসের বাইরে নিয়ে যেতে পারি। যেমনঃ বিজ্ঞান ও ইতিহাস জানার জন্য জাদুঘর, লাইব্রেরি এমনকি পার্ক গুলোতেও নিয়ে যেতে পারি। এক্ষেত্রে তাদের মূল্যায়নের জন্য নতুন পদ্ধতিতে এইসাইনমেন্ট দেয়া যেতে পারে।
৫। শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। যেমনঃ গণিত ম্যারাথন, ব্যাকরণ প্রতিযোগিতা, বানান প্রতিযোগিতা ইত্যাদি। এতে করে শিক্ষার্থীদের অনেক উৎসাহ পাবার সাথে সাথে শেখার আগ্রহও বৃদ্ধি পাবে।
৬ বিজ্ঞান শেখার জন্য সাইন্স ফেয়ার খুব চমৎকার একটি উপায়। শুধুমাত্র বিজ্ঞানের প্রজেক্ট তৈরি নয় বরং শিক্ষার্থীদের মিলেমিশে করার জন্য তাদের মধ্যে সহযোগিতা মনোভাব, সহমর্মিতা এবং কৌতুহল তৈরির মত গুণাবলী সৃষ্টি হয়।
৭। যেকোন ক্লাসের শুরু একটি আনন্দের কিছু দিয়ে শুরু করার চেষ্টা করা যেতে পারে। যেমনঃ নিজের সাথে ঘটে যাওয়া কোন মজার ঘটনা শিক্ষার্থীদের সাথে শেয়ার করা, একটি মজার গল্প বলা, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোন ঘটনা শুনতে চাওয়া, এমনকি কোন ভিডিও অথবা মজার একটিভিটি দিয়ে শুরু করে এ কজাটি করা যেতে পারে।
একটি ক্লাসকে উতসাহমূলক ও আনন্দময় করার জন্য ছোট ছোট অনুপ্রেরণা গুলো অনেক কার্যকরী। বাহ্যিক অনুপ্রেরণা বা extrinsic motivation এর পাশাপাশি একটি বিষয় সবসময় মাথায় রাখতে হবে যে শিক্ষার্থীরা যেন পড়াশোনার আনন্দকে গ্রহণ করতে পারে। মনের ভেতরের কৌতুহল ও জানার ইচ্ছাকে কাজে লাগিয়ে পড়াশনায় সফলতা অর্জন করার জন্য অভ্যন্তরীন অনুপ্রেরণার কোন বিকল্প নেই।
Reference:
Intrinsic and Extrinsic Motivation in the Classroom « Notes on Teaching and Learning. (2014, November 3). University of Notre Dame. https://sites.nd.edu/kaneb/2014/11/03/intrinsic-and-extrinsic-motivation-in-the-classroom/
Howley-Rouse, A. (2020, February 10). The role of motivation in learning. THE EDUCATION HUB. https://theeducationhub.org.nz/motivation/
Poulos, H. (2019, June 9). Top 10 Motivation Tips for the Classroom. TeacherVision. https://www.teachervision.com/classroom-management/top-10-motivation-tips-classroom
Dwight D. Eisenhower Quotes. (n.d.). BrainyQuote. Retrieved April 29, 2021, from https://www.brainyquote.com/authors/dwight-d-eisenhower-quotes
0 notes
Photo
Tumblr media
শ্রেণীকক্ষ হয়ে উঠুক সৃজনশীলতার উৎস
“ক্রিয়েটিভরা একটু উলটা পালটা হয়”,  “ক্রিয়েটিভ সবাই হতে পারেনা” , “ক্রিয়েটিভ শুধু আর্টিস্টরা হয়”,  “ক্রিয়েটিভ ভাগ্যের উপর নির্ভরশীল” এরকম নানা কথা কিন্তু আমরা নিজেরা ভাবি বা আমাদের আশেপাশের মানুষজনকে বলতে শুনি। কিন্তু এই সবগুলোই কথাই ভুল। সঠিক কথাটি হলো, যে কেউ চাইলেই নিয়মিত চর্চার মাধ্যমেই যে কোন কাজেই সৃজনশীল হতে পারে।
সৃজনশীল হওয়া মানেই আপনাকে তথাকথিত শিল্পের কোন কাজ যেমন গান, লেখা-লেখি, নাচ, ছবি আঁকা ইত্যাদি কাজ-ই যে করতে হবে তা কিন্তু নয়। প্রতিদিনের যেকোন সমস্যার অভিনব সমাধান বের করাও সৃজনশীলতা। এডুকেশনাল সাইকোলজিস্টরা বলেন যেকেউ-ই যেকোন কাজে হয়ে উঠতে পারে সৃজনশীল।
একুশ শতকে সৃজনশীলতা সবচেয়ে জরুরী জীবন দক্ষতা। আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে শ্রেনীকক্ষে বিভিন্ন সুযোগ করে দিতে হবে যাতে তারা সৃজনশীল হয়ে উঠবার প্রেরণা পায়। শিক্ষক হিসেবে নানা উপায়ে আপনি তা বাস্তবায়িত করতে পারেন। চলুন জেনে নেই এরকম দশটি উপায়-
বৈষম্যহীন/ইনক্লুসিভ শ্রেনীকক্ষ তৈরী করুন- সবার প্রথমেই এটি জরুরী, কেননা মানুষ তখন-ই সৃজনশীল হতে পারে যখন তার পরিবেশ তার জন্য নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক হয়। যেখানে সে মন খুলে তার কথা বলতে পারে তার ভাবনা-চিন্তা শেয়ার করতে পারে।
আইডিয়া লিখে/এঁকে ফেলার অভ্যাস তৈরী- শিক্ষার্থীদেরকে একটি নোটবুক সাথে রাখতে বলতে পারেন। তাদের নিজস্ব চিন্তা, ভাবনা বা অভিনব আইডিয়াগুলো সেখানে লিখে রাখতে পারে। প্রতিনিয়ত যা আইডিয়া/চিন্তাই তাদের মাথায় আসে না কেন তা তাদের লিখে রাখতে উৎসাহ দিন।
প্রশ্ন করার সুযোগ তৈরী করে দিন- শিক্ষার্থীদেরকে প্রশ্ন করতে উৎসাহিত করুন। যে টপিকটি পড়াচ্ছেন তা সম্পর্কে যত প্রশ্ন তাদের মনে আসে তাই-ই তাদের করতে দিন। প্রশ্ন করে নিজেদের মত করে তাদেরকে উত্তরগুলো খুঁজতে বলুন। এভাবে করে তারা নিজেদের সৃজনশীল পদ্ধতিতে শিখতে পারবে।
সৃজনশীল কাজকে পুরস্কৃত করুন- শিক্ষার্থীরা যেকোন কাজে যদি সৃজনশীলতা দেখায়, তাকে উৎসাহ দিন। এমন পুরষ্কার দিন যা তার ভেতরের আগ্রহকে জাগিয়ে তুলবে। এমন কোনকিছু দেবেন না যা তাকে শুধু পুরষ্কারটি পাওয়ার প্রতি-ই আগ্রহী করে তোলে।
ক্রিয়েটিভ প্রজেক্ট করতে দিন- শিক্ষার্থীদেরকে এমন প্রজেক্ট বা এসাইনমেন্ট দিন যাতে তারা সৃজনশীলতার চর্চা করতে পারে। যেখানে তাদের হাতে-কলমে শেখার সুযোগটা এবং নতুন কিছু তৈরীর সম্ভাবনা বেশী থাকে।
গ্রুপ ওয়ার্ক ও আলোচনার সুযোগ দিন- শিক্ষার্থীদেরকে আলোচনার সুযোগ করে দিন। নিজেদের মতামত যদি তারা একে অন্যের সাথে শেয়ার করে সেক্ষেত্রে সবাই আলোচনার মাধ্যমে সৃজনশীল কিছু তৈরী করতে পারে। সেইসাথে অন্যের মতামতকে বোঝার চেষ্টাটাও তাদের মধ্যে তৈরি হয়।
শ্রেণীকক্ষে বাস্তব সমস্যা নিয়ে আসুন- অনেক সময়ই পড়ার বিষয় ও বাস্তবের সাথে এত দূরত্ব থাকে যে শিক্ষার্থীরা যা পড়ছে তা প্রয়োগ করতে পারে না। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতাকে আগ্রহ দেবার জন্য তাদেরকে বিভিন্ন বাস্তব সমস্যাকে শ্রেণীকক্ষের পড়ার আলোকে সমাধান করতে বলুন। দেখবেন একই সমস্যার কত অভিনব সমাধান তারা নিয়ে আসে।
ভিন্নমতকে অবহেলা নয়- ভিন্নমতকে অবহেলা না করে তাকেও গুরুত্ত্ব দেবার চেষ্টা করুন। অনেক সময়েই দেখা যায় ভিন্নমতের কাউকে শ্রেণীকক্ষে বুলিংয়ের শিকার হতে হয়। সকলের কথা আইডিয়া মনযোগ দিয়ে শুনুন, প্রত্যেকের নিজের পথে সৃজনশীল হবার জন্য এটি অত্যন্ত জরুরী।
সৃজনশীলতাকে ধ্বংস করে এমন পদ্ধতি পরিহার- তথাকথিত পরীক্ষায় ভালো ফলের জন্য অনেক সময়েই আমরা নিজের অজান্তে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতাকে ধ্বংস করে দেই। যেমন একই রকম নিয়মে অংক করা, সবাই একই ভাবে উত্তর দেয়া বা মুখস্ত করা। এসব পরিহার করা অত্যন্ত জরুরী।
নিজে সৃজনশীলতার চর্চা করুন- একজন সৃজনশীল শিক্ষকই পারেন শিক্ষার্থীদেরকে সৃজনশীল করে তুলতে। তাই নিজে সৃজনশীল হয়ে উঠবার চেষ্টা করুন। লেসন প্ল্যানে সৃজনশীল কাজ নিয়ে আসুন যাতে শিক্ষার্থীরা অনুপ্রাণিত হয়। অন্য শিক্ষকদের সাথে নিজেদের আইডিয়াগুলো শেয়ার করুন, একজন আরেকজনকে সাহায্য করুন।
শাহানাজ পারভীন জোনাকি
সোর্স
https://www.edutopia.org/article/4-ways-develop-creativity-students
http://psychlearningcurve.org/creative-teaching-and-teaching-creativity-how-to-foster-creativity-in-the-classroom/
https://blog.ed.ted.com/2015/05/08/10-ways-to-teach-creativity-in-the-classroom/
0 notes
Photo
Tumblr media
২১ শতকের একটি প্রাণবন্ত অনলাইন ক্লাস
আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মানে একটি স্থানকে বোঝানো হত যেখানে একটি ইট-কাঠের দালান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, চেয়ার-টেবিল ইত্যাদি থাকবে। কিন্তু ��ুব ধীরে ধীরে এই ধারণায় পরিবর্তন আসছে। বর্তমান বিশ্বে শিক্ষা কার্যক্রম অনেকটাই অনলাইন ভিত্তিক হয়েছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থী দূরে থাকলেও তাদেরকে এক করে ক্লাস নেয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে প্রযুক্তি। বিশেষ করে বর্তমান কোভিড-১৯ অবস্থায় এর ব্যবহার আরো বেশি। যদিও মুখোমুখি শিক্ষার কোন বিকল্প নেই, তবুও অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে দূরত্ব অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে।
২১ শতকের শিক্ষক হিসেবে শিক্ষায় যেমন প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের জানতে হবে তেমনি সেটি সফলভাবে প্রয়োগ করাও জরুরী।বর্তমানে প্রায় সকল শিক্ষকই অনলাইন এ ক্লাস নিচ্ছেন। কিন্তু যে সমস্যাটিতে তাদের মুখোমুখি হতে হয় তা হল অনলাইন ক্লাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ইন্টারেকশন অর্থাৎ পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায়। যেহেতু প্রযুক্তির ব্যবহার বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার একটি অপরিহার্য বিষয় তাই এটি পরিপূর্ণ ভাবে আয়ত্ত্ব করাটাও ২১ শতকের আধুনিক শিক্ষক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। অনলাইনে ক্লাসে কিছু সমস্যা প্রায়ই দেখা যায়। যেমনঃ
১। একঘেয়েমির কারনে শিক্ষার্থীরা মনোযোগ ধরে রাখতে পারছে না।
২। অনলাইন ক্লাসে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে।
৩। শিক্ষক সঠিক ইন্সট্রাকশন দিতে ব্যর্থ হয়।
৪। পাঠ মূল্যায়ন বেশির ভাগ অনলাইন ক্লাসে অকার্যকর থেকে যায়।
৫। শিক্ষকের সাথে শিক্ষার্থীর মানসিক ও পাঠকেন্দ্রিক সংযোগ স্থাপনটি ঠিক মত হয় না।
কিভাবে এই সমস্যাগুলোর সমাধান করা যায়? একটি অনলাইন ক্লাসকে ইন্টের‍্যাক্টিভ করতে একজন শিক্ষক ক্লাসে কার সাথে কার ইন্টের‍্যাকশন হচ্ছে এর ভিত্তিতে চারভাবে ডিজাইন বা প্রনয়ণ করতে পারেন।
১। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মাঝে ইন্টের‍্যাকশন বা সংযোগ। 
যেমনঃ একজন শিক্ষক যদি তার ক্লাসে শিক্ষার্থীদের সাথে কোন আলোচনা করেন, তবে ইন্টের‍্যাকশনটি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে তৈরি হচ্ছে।  (student-teacher interaction এর কোডটি হল- TS)
২। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইন্টের‍্যাকশন বা সংযোগ। 
যেমনঃ শিক্ষক যদি শিক্ষার্থীদের জোড়ায় জোড়ায় কাজ করতে দেন তবে শিক্ষার্থীর সাথে শিক্ষার্থীর ইন্টের‍্যাকশন তৈরি হবে। (student-student interaction এর কোডটি হল - SS)
৩। শিক্ষার্থী এবং বিষয়বস্তুর মাঝে ইন্টের‍্যাকশন বা সংযোগ। 
যেমনঃ শিক্ষক যদি কোন বিষয়বস্তু শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুলে ধরেন, (এটি হতে পারে ছবি বা ভিডিও) তবে বিষয়বস্তুর সাথে শিক্ষার্থীদের ইন্টের‍্যাকশন হবে। (student-content এর কোডটি হল SC)
৪। শিক্ষার্থী এবং বহিবিশ্বের সাথে ইন্টের‍্যাকশন বা সংযোগ। 
যেমনঃ শিক্ষার্থীরা ক্লাসে পানিদূষণ নিয়ে পড়ে তবে বাস্তবে যেমন তাদের বিদ্যালয়ের পাশে পুকুরে ময়লা ফেলার মাধ্যমে পানি দূষণ হয়ে থাকে, এধরনের বাস্তব সম্মত ব্যখ্যা করতে পারলে শিক্ষার্থী এবং বাস্তব বিশ্বের অবস্থার সাথে সংযোগ স্থাপন হবে।  (student-world এর কোডটি SW)
(TS, SS, SC এবং SW ইন্টের‍্যাকশন কোডগুলো নিচের আলোচনার সাথে যুক্ত হবে । এর মাধ্যমে অনলাইন ক্লাসে কার সাথে কার ইন্টের‍্যাকশনটা হচ্ছে তা বোঝা যাবে। এছাড়া এ চার ধরনের ডিজাইনকে মিশ্রন এর মাধ্যমে সবথেকে ভালো অনলাইন ক্লাস নেয়া সম্ভব।)
এখন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাক যা একজন শিক্ষকের অনলাইন ক্লাসকে আরো প্রাণবন্ত ও কার্যকরী করে তুলতে  পারেঃ
১) অনলাইন ক্লাসের জন্য কিছু নিয়ম পূর্ব থেকে ঠিক করে রাখাঃ
যেহেতু অনলাইন ক্লাসে অনেক সময় শিক্ষার্থীরা হঠাত কথা বলে উঠতে পারে কিংবা কে আগে কে পরে বলবে তা নিয়ে সমস্যা হতে পারে, এক্ষেত্রে কিছু নিয়ম পূর্ব থেকেই ঠিক করে দেয়া প্রয়োজন। যেমনঃ একটি ক্লাসে কথা বলার সময় হ্যান্ড রেইজ( জুম, গুগল মিট) অপশনটি ব্যবহার করা, প্রয়োজন ছাড়া মিউট করে রাখা, খুব বেশি সমস্যা না হলে ভিডিও অপশন ব্যবহার করতে বলা, ক্লাসে শিক্ষক ইন্সট্রাকশন দেয়ার সময় মনোযোগী হওয়া ইত্যাদি। একজন শিক্ষক নিজের মত এই নিয়মের তালিকাটি করে শিক্ষার্থীদের চর্চা করতে বলতে পারে তার ক্লাসে। এক্ষেত্রে শিক্ষক দেখতে পারবেন তার অনলাইন ক্লাসটি নিয়ম শৃংখলার মধ্যে চলে আসছে। ইন্টের‍্যাকশন কোড -(TS,SS)
২) মোটিভেশনঃ
যেকোন বিষয়ে পাঠদান এর জন্য মোটিভেশন এর প্রয়োজন অনেক বেশি। এটি শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষক হিসেবে যথেষ্ট কর্মশক্তি সম্পন্ন হওয়া প্রয়োজন। কেননা একজন শিক্ষক এর এই দক্ষতার মাধ্যমেই অনলাইনে শিক্ষার্থীরা অনুপ্রাণিত হয়। শিক্ষার্থীদের মানসিক বিষয়, ব্যক্তিগত মতামত, পাঠদান এর মত বিষয়ে আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে। শিক্ষার্থীরা মোটিভেটেড থাকলেই একটি কার্যকরী অনলাইন ক্লাস নেয়া সম্ভব। এতে করে ক্লাসে Positive energy বজায় থা��ে। ইন্টের‍্যাকশন কোড -(TS,SS,SC)
৩) শিক্ষার্থীদের আলোচনার মধ্যে আনাঃ
একটি অনলাইন ক্লাসে গতবাধা লেকচার প্রক্রিয়ায় পড়ানোর থেকে শিক্ষার্থীদের আলোচনায় এনে ক্লাস ডিজাইন করলে তা অনেক বেশি কার্যকর হয়। আলোচনা প্রক্রিয়াটিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শিক্ষার্থী-শিক্ষার্থী ( peer discussion) এর মধ্যে হতে পারে। আলোচনা প্রক্রিয়ার মাধ্যেম মস্তিষ্ক সঞ্চালন হয়ে থাকে যা একটি অনলাইন ক্লাসে কার্যকর প্রভাব রাখতে পারে। এক্ষেত্রে চ্যাটবক্স এ কিংবা মুখোমুখি আলোচনা ও হতে পারে। একটি বিষয় এখানে মনে রাখা জরুরী যে আলোচনায় যাওয়ার আগে কি নিয়ে আলোচনা, আলোচনার উদ্দেশ্য কি এ বিষয় গুলোকে পরিষ্কার নির্দেশনার মাধ্যেম শিক্ষককে বুঝিয়ে দিতে হবে। ইন্টের‍্যাকশন কোড-(SS,SW,SC)
৪) আলাদা আলাদাভাবে ফলাবর্তন করা বা ফিডব্যাক দেয়াঃ
অনলাইন ক্লাসে যেকোন শিক্ষার্থীর ফলাবর্তনের বিষয়ে যত্নশীল হতে হবে। শিক্ষার্থীদের কাজকে আলাদা ভাবে মুল্যায়ন করে ফীডব্যাক দিলে তারা তাদের উন্নয়নের জায়গাগুলো ধরতে পারে। এটি যেকোন অনলাইন ক্লাসে অধিক কার্যর্করী করে তোলে। ইন্টের‍্যাকশন কোড-(TS)
৫) শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নেয়াঃ
দূর শিক্ষণের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত রাখতে একটি কার্যকরী উপায় হল তাদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নেয়া। পাঠদান এর ক্ষেত্রে আলোচনা, কোন ভিডিও বা আর্টিকেল পড়তে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কি মনে হল তা জানা উচিত। এতে করে অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রম পরিপূর্ণ হয়। এক্ষেত্রে পোল, কুইজ, এম সি কিউ (MCQ) ইত্যাদি অপশন ব্যবহার করা যেতে পারে। ইন্টের‍্যাকশন কোড-(TS, SS)
আসিফ হাসান শাহরীয়ার
প্রশিক্ষনার্থী, আলোকিত টিচার্স
References:
“10 Tips to Increase Online Teacher-Student Interaction.” ManyCam Blog, 3 Aug. 2018, manycam.com/blog/increase-online-teacher-student-interaction/.
Castaneda, David. “The Importance Of Social Interaction In Online Courses.” ELearning Industry, 4 Mar. 2020, elearningindustry.com/social-interaction-in-online-courses-discussion-activating-learning.
For more information please contact: Michael Johnson. “Social Presence and Interaction in the Online Classroom.” Social Presence and Interaction in the Online Classroom | CENTER FOR TEACHING AND LEARNING, ctl.byu.edu/tip/social-presence-and-interaction-online-classroom.
0 notes
Photo
Tumblr media
পহেলা বৈশাখ আমাদের জীবনে খুব তাৎপর্যপূর্ন একটি সময়। এ বছর রমজান এবং বৈশাখ একই দিনে শুরু হয়েছে। বিষয়টি ভিন্ন আর চমৎকার । দিনটির উদযাপনে আলোকিত হৃদয় ফাউন্ডেশন এর পাশেই থাকুন। চলুন শুনে আসি আমাদের দলটির কাছে পহেলা বৈশাখ মানে কি!
আজওয়া নাঈম
ছোট বেলায় বৈশাখ মানেই ছিল সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে মার কাছে লালপাড় সাদা সাড়িপড়া, রমনা বটমূলে যেয়ে রবীন্দ্র সংগীত শোনা, খালার কাছে আপদার করে নতুন চুড়ি কেনা, সারাদিন মেলায়ে মেলায়ে ঘুরা আর কড়া রোদের নিচে কোন না কোন স্টলে বসে ইলিশ পান্তাখাওয়া। খেয়ে দেয়ে একেবারে যখন খুব ক্লান্ত তখন বন্ধুর বাড়ির ছাদে বসে কাল বৈশাখী ঝড়দেখে গরম গরম চা খাওয়া। এখন আর এসব হয়না, নানা ধরনের আয়োজন থাকলেওবাসায়ে বসে শুধু হয় স্মৃতিচারণ করা।
সানোয়ার হোসেন সজিব
বৈশাখ মনেই নতুনের আগমন। পুরনোকে ঠেলে দিয়ে নতুনকে বরন করে নেয়া। চোখ বন্ধকরে  বৈশাখের মানে খুজলে মনে হয় বাঙালি উৎসব, মেলা, খই মুড়ি, পান্তা ইলিশ, পিঠা পুলিইত্যাদি। বাঙ্গালি সংস্কৃতিকে তারুণ্যের মদ্ধ্যে তুলে ধরার এক বিশাল মাদ্ধ্যম হচ্ছে পহেলাবৈশাখ।
সাইফুল ইসলাম রনি
বৈশাখ মানেই গ্রাম্য মেলা, উদ্দ্যম মাঠে ঘুড়ি উড়ানো,  বাবার সাথে মেলায় গিয়ে ইলিশ মাছকিংবা ইলিশ শুটকি কেনা। বৈশাখ মানেই 'হালখাতা', মিষ্টি দিয়ে সবাইকে আপ্যায়ন করা।বৈশাখ মানেই ঘুম থেকে উঠে মাকে জড়িয়ে ধরে দই দিয়ে মুড়ি খাওয়ার বায়না ধরা।  
বৈশাখ মানেই আগামী একটি বছর নতুন করে নতুনভাবে পাওয়া।এই অনিশ্চিত স্বপ্নের বৈশাখের স্বপ্নে আমি কখনোই বিভোর ছিলাম না।
শাহানাজ পারভীন জোনাকি
আমার কাছে পহেলা বৈশাখ মানে আমার বাংগালী পরিচয়ের উদযাপন। আমাদেরপরিচয়,বিশ্বাস,ধর্ম,মত যাই হোক না তা সত্ত্বেও নতুন ভবিষ্যৎ এর জন্য একসাথে কাজ করারশিক্ষাই  পহেলা বৈশাখ থেকে আমি পেয়েছি। ঘরবন্দী এই পহেলা বৈশাখ সকলের জন্য মংগলবয়ে নিয়ে আসুক এই কামনা করি।
আসিফ হাসান শাহরীয়ার
আমার কাছে বাংলা নববর্ষ মানে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের “আনন্দ লগ্ন”। অতীত এর শোক,জরা আর গ্লানি কে দূর করে নতুন উদ্যমে সব কিছু গ্রহণ করাটা আমাকে অনুপ্রাণিত করে।নতুন ভোরের আলো আমাদের মনকে কলুষিত হওয়া থেকে বিরত রাখুক। নতুন বছর যেনশিক্ষা, সংস্কৃতি আর সমৃদ্ধিময় হয় এই প্রত্যাশা সকলের জন্য ।
কাজী সাদিকা নূর
ছোটবেলায় পহেলা বৈশাখ মানেই ছিল লাল সাদা জামা পরে মা, বাবা ও ভাইয়ের সাথে রমনাপার্কে মেলায় যাওয়া। প্রতিবারই চেষ্টা করতাম প্রভাত ফেরি দেখার কিন্তু প্রতিবারই শেষটুকুইদেখা হত। মেলা থেকে পাখা, হাতে বানানো মুখোশ, মাটির পুতুল, কাঠের খেলনা এই রকম টুকিটাকি জিনিস কিনা হত। ঘোড়ায় চড়া হত। পরে কোন না কোন আত্মীয় অথবা বাবার বন্ধুর বাসায় যেতাম পান্তা ইলিশ খেতে। এখন বন্ধুদের নিয়ে হয়ত বের হওয়া হয়, কিন্তু আগের মত মা, বাবা আর ভাইয়ের সাথে মেলায় ঘুরা হয় না।
কিওকো ভূইয়া
পহেলা বৈশাখ আমার ভারী পছন্দের একটি সময়। ছোটবেলায় পরিবার এবং বন্ধুদের সাথেএই সময়টাতে মজা করতাম। কিন্তু সত্যি কথা বলতে, আমি পহেলা বৈশাখ আসলে গত দশবছরে পালন করতে পারিনি বাংলাদেশে। তবে আমার মনে থাকতো, আমি যে দেশেই থাকি নাকেন বৈশাখ তো পালন করতেই হবে। তাই সেখানকার বন্ধুবান্ধব কে নিয়েই দিনটি উদযাপনকরতাম। পহেলা বৈশাখের যেই আনন্দ জেগে উঠে মানুষের মধ্যে তা দেখতে আমার সবচেয়েভালো লাগে। কারণ তখন কিছুক্ষণের জন্য মনে হয় যে আমরা সবাই একই রকমের মানুষ।
Written by Alokito Hridoy Foundation Team
0 notes
Text
আমাদের চিন্তার জগতে চিন্তাগুলো
Tumblr media
আমরা যারা শিক্ষার সাথে স্বক্রিয়ভাবে জড়িত তারা ক্ষেত্রবিশেষে খেয়াল করি যে, যখন কোন শিক্ষার্থী যদি পড়াশোনার ক্ষেত্রে কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হয়, প্রায় হতাশার কারনে সেই সমস্যার সমাধান করা থেকে দূরে সরে আসে । তাদের মধ্যে খুব সহজেই হাল ছেড়ে দেয়ার প্রবণতা দেখা যায়। শুধুমাত্র শিক্ষার্থী নয় বরং যেকোন মানুষই “আমি পারবো না” এই কথাটি বলে বসে। যেকোন কিছু শেখার জন্য এই মানসিকতাটি বাধা স্বরূপ। এই বাধাটি একজন মানুষ নিজে নিজেই করতে পারে মেটাকগনিশন বা চিন্তার রূপান্তর এর মাধ্যমে ।
আমাদের চিন্তার জগতটি অনেক বড়। এই জগতে আমরা এমন অনেক কিছুই করতে পারি যা সহজে ভাবতে পারি না। ২০১৩ সালে একটি গবেষণায় দেখা যায় ৬৫ শতাংশ আমেরিকানরা বিশ্বাস করে যে মানুষ তার মস্তিষ্কের ১০ শতাংশ ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু এ তথ্যটি রূপক ধরনের। আমেরিকান স্নায়ুবিজ্ঞানী ব্যারি গর্ডন এক সাক্ষাতকারে বলেন যে মানুষের মস্তিষ্ক প্রায় সবসময়ই ক্রিয়াশীল থাকে এবং সেটি ঘুমের মধ্যেও ক্রিয়াশীল। আমাদের মনোজগত খুব রহস্যময়।খুব মজার বিষয় হল, আমরা কখনো চিন্তা ছাড়া থাকতে পারি না। যেমন এই মূহর্তে যখন কেউ মেটাকগনিশন (Metacognition) এর এই আর্টিকেল নিয়ে নিয়ে পড়ছে, সে হয়ত চিন্তা করছে মেটাকগনিশন জিনিসটি কি কিংবা এই আর্টিকেল পড়ে সে সম্পর্কে কতটুকু জানা যাবে। এভাবে আমরা কিন্তু প্রতিনিয়ত চিন্তার মধ্যে থাকি। মেটাকগনিশন মূলত চিন্তার ভেতরে চিন্তা করাকে বোঝায়। অর্থাৎ চিন্তার মাধ্যমে শেখার কাজগুলো সাজিয়ে নেয়া, নতুন কৌশল বের করে আনা এবং সেটা কার্যকর করে তোলা। শিক্ষায় “মেটাকগনিশন” বা “চিন্তার রুপান্তর” এর একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে যা শেখার পদ্ধতিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়ের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
মেটাকগকনিশন এর ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধান এর প্রথম ধাপটি আসে নিজেকে কিছু প্রশ্ন করার মাধ্যমে । যেমন কোন সমস্যায় আটকে গেলে নিজেকে প্রশ্ন করা যেতে পারে-
১। “কেন আমি এই সমস্যার মধ্যে আটকে আছি?
২। কিভাবে আমি এই সমস্যা থেকে উদ্ধার পেতে পারি?
প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে গেলেই শিক্ষার্থীরা সমস্যা সমাধানে সৃষ্টিশীল হয়ে ওঠে এবং নিজেই সমাধানের উপায়গুলো খোঁজার দিকে অগ্রসর হয়।  তামান্না রোজিয়ের , যিনি একজন মেটাকগনিটিভ স্পেশালিস্ট, তাঁর মতে “ মেটাকগনিটিভ বা চিন্তার রূপান্তর বিষয়টি আমাদেরকে নিজেদের সম্পর্কে শেখায়” । একটি উদাহরণ এর মাধ্যমে তিনি বিষয়টি আরো স্পষ্ট করেছেন এভাবে যে, ধরা যাক গণিত পরীক্ষা আমাকে উদ্বিগ্ন করে। বিষয়টি এভাবে না ভেবে এভাবে ভাবতে পারি যে “ গণিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে কোন বিষয়টি আমাকে উদ্বিগ্ন করে এবং এটার পরিবর্তনের জন্য আমি কী কী করতে পারি?” । এখানে যে বিষয়টি  গুরুত্বপূর্ণ যে মেটাকগনিশন কোন সমস্যার সামগ্রিকতাকে উল্লেখ না করে বরং সমস্যা গভীরে কোথায় সমাধান প্রয়োজন তা তুলে ধরে।
এখন একটি প্রশ্ন আসে মনে যে মেটাকগনিশন কি শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের জন্য? মোটেও না, বরং একজন শিক্ষক হিসেবেও আমরা প্রতিনিয়ত শিখছি। এ কারনে এই প্রক্রিয়াটি শিক্ষকদের জন্য একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ । একজন শিক্ষকের জন্য দৈনন্দিন পাঠদান কার্যক্রম সাজানো, তার পাঠদান এর উদ্দেশ্য নিরূপন , কৌশল উদ্ভাবন, শিক্ষার্থীদের কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা তৈরি, শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের মূল্যায়নেও অনেক বেশি ভূমিকা রাখে। একটি আন্তজার্তিক কর্মশালায় দার্শনিক এবং স্নায়ুবিজ্ঞানীদের আলোচনা থেকে উঠে এসেছে যে মেটাকগনিশন কিভাবে মানুষের আত্মসচেতনতার সাথে সংযুক্ত। সেখানে বলা হয়েছে যে, আমাদের মস্তিষ্কের একটি অংশ (প্যারালিম্বিক নেটওয়ার্ক) আমাদের আত্মসচেতনতার সাথে সংযুক্ত যা নিরীক্ষণ এর টুল বা যন্ত্র হিসেবে কাজ করে। এই বিষয়টি আমাদের উচ্চ-ক্রম শিখনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগে সহায়তা করে। এছাড়া অভিনব শিখনের ক্ষেত্রেও নতুন দরজা খুলে দেয়। অর্থাৎ যা আমরা যা করতে পারবো না কিংবা যা আমাদের পক্ষে শেখা সম্ভব নয় বলে মনে হয় তা সুসম্পন্ন করতে সহায়তা করে থাকে। 
মেটাকগনিশনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দিক  তুলে ধরি- 
১। কিভাবে চিন্তা করতে হবে এবং চিন্তার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ
২। আত্ম সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বিশ্লেষণী ক্ষমতা তৈরি করা
৩। সমস্যা সমাধানে সঠিক কৌশল নির্বাচন করা
শিক্ষার্থীরা প্রায়ই একটি ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকে আর তা হল নতুন কিছু শিখতে যাওয়া কিংবা নতুন পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেয়া। এক্ষেত্রে দেখা যায় তারা পিছিয়ে পড়তে চায়। এ ধরনের চিন্তাভাবনা তাকে মানসিক��াবে বাধাগ্রস্থ করে এবং তা পরবর্তীতে অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়।মেটাকগনিশন নিয়ে একটি ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে যে এটি শুধু মাত্র সমস্যার গভীরে চিন্তা নয় বরং তা সমাধান এর নতুন নতুন পথ খুলে দেয়। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা নিজেদের শক্তি ও দূর্বলতার জায়গা চমৎকার ভাবে জানতে পারে।
মেটাকগনিশনের ধাপঃ
 এখন প্রশ্ন হল কিভাবে মেটাকগনিশন করব । কিছু ধাপের মাধ্যমে আমরা কিন্তু সহজেই মেটাকগনিশন বা চিন্তার রূপান্তরে অংশ নিতে পারি। এর জন্য তিনটি ধাপ রয়েছেঃ
ক)  Planning বা পরিকল্পনা ধাপঃ 
এই ধাপে শিক্ষার্থীকে ঐ উদ্দেশ্য গুলো নিয়ে  চিন্তা করতে হবে যা শিক্ষক তাদেরকে কাজ করতে দেয়ার মাধ্যমে দিয়েছেন। এক্ষেত্রে কাজ সম্পন্ন করার কৌশল নির্বাচন এর বিষয়টিকেও মাথায় রাখতে হবে। যে ধরণের প্রশ্নগুলো শিক্ষার্থীরা নিজেদের করতে পারে-
১। আমাকে কি করতে হবে?
২। আমি কি ধরনের কৌশল অবলম্বন করব?
৩। আমি কি অন্য কৌশল গুলো অবলম্বন করতে পারি?
খ) Monitoring phase বা নিরীক্ষণ ধাপঃ 
এই ধাপে শিক্ষার্থীরা তাদের পরিকল্পনাকে প্রয়োগ করবে। শিক্ষার্থীরা চাইলে এই ধাপে কৌশল এর পরিবর্তন ও আনতে পারে। এখানে যে ধরনের প্রশ্ন শিক্ষার্থীরা করতে পারে-
১। এটাই কি সেই কৌশল যা আমি প্রয়োগ করতে চেয়েছিলাম?
২। আমার কি এ ক্ষেত্রে ভিন্ন কিছু করা উচিত?
সর্ব শেষ ধাপ হল-
গ) Evaluation বা মূল্যায়নঃ 
এই মূল্যায়নটি শিক্ষার্থীরা নিজেদের কাজের ক্ষেত্রে করবে। এখানে তারা জানতে পারবে যে কৌশলটি তারা প্রয়োগ করেছে তা কতটুকু কার্যকর। এক্ষেত্রে যে ধরনের প্রশ্ন শিক্ষার্থীরা নিজেদের করতে পারে-
১। আমি কতটুকু ভালো করলাম?
২। কাজটির কোন অংশ ভালো হয়নি? কিভাবে তা পরবর্তীতে ভালো করতে পারি?
৩। কাজের কোন অংশটি ভালো হয়েছে? 
শিক্ষা বিজ্ঞান মেটাকগনিশন বা চিন্তার রূপান্তর সবসময় শিখনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একজন শিক্ষার্থীর কঠিন সমস্যা সমাধান, সৃজনশীলতা সৃষ্টি, আত্মসচেতনতা বৃদ্ধি,বিশ্লেষনী ক্ষমতা তৈরির মত কাজগুলোতে ইতিবাচক প্রভাব রাখে।সকলের শেখার ক্ষমতা এক নয় যেমনভাবে ভিন্ন ভিন্ন মানুষের মস্তিষ্কও সমস্যা সমাধানের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পথ অবলম্বন করে। কেউ হয়তো শব্দহীন জায়গায় পড়াশোনা করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে কেউ হয়ত সঙ্গীতের তালে তালে পড়াশোনা করলে তা অনেক কার্যকরী হয়। একটি অবাক করার বিষয় এই যে, ছন্দ কোন বিষয়কে স্থায়ীভাবে মনে রাখার জন্যও ভূমিকা রাখে। মূল বিষয়টি হল আমাদের “চিন্তা করা” কিংবা কিভাবে ‘চিন্তা করতে হয়”এই বিষয়টি চর্চায় আনা প্রয়োজন।
Written by: 
Ashif Hassan Shahriar, Intern at Alokito Hridoy Foundation 
References:
Jacobson, R. (n.d.). Metacognition: How Thinking About Thinking Can Help Kids [Web log post]. Retrieved March 3, 2021, from https://childmind.org/article/how-metacognition-can-help-kids/
Murrell, D. (n.d.). What percentage of our brain do we use? [Web log post]. Retrieved March 3, 2021, from https://www.medicalnewstoday.com/articles/321060#_noHeaderPrefixedContent
“Metacognition.” Getting Started with Metacognition, Cambridge International Education Teaching and Learning Team.Retrieved March 3, 2021, from https://cambridge-community.org.uk/professional-development/gswmeta/index.html 
Chick, N. (2013). Metacognition. Vanderbilt University Center for Teaching. Retrieved March 3,2021, from https://cft.vanderbilt.edu/guides-sub-pages/metacognition/
0 notes
Text
Why Questions?
Tumblr media
Children are forever curious. They have zillions of thoughts and notions in their mind which at times makes us wonder how little we explore our minds. However, as we grow up, we stop questioning and we tend to follow what is given to us. But children are quite the opposite, they tend to question everything. As adults, we sometimes try to avoid their questions because, truth be told; we at times do not know the answers to their questions. Now as a teacher, our responsibility is not only to teach our students, it is to derive from them what they have in their creative mind. 
Once, one of my students asked me in a science class, “ Miss, why do plants usually have green leaves and not pink or blue leaves? Is it because green is God’s favorite color?” I had to pause and think for a while before I could go back to my student to explain the reason for leaves being green because usually, I don’t expect a grade 1 student to have such a thoughtful and inquisitive question in mind. So as a teacher it is essential to encourage our students to ask questions and recognize the value that questions might add to learning. Because a  questioning student is one who is learning. As Albert Einstein said, “ The important thing is not to stop questioning. Curiosity has its own reason for existence.”
As a teacher, let me share a few insights which I have gathered that helped me understand the importance of asking questions to my students so that they never stop asking Questions! 
1. It helps students to think
You enter your class and as routine, you start delivering your lessons to your students. Now suppose you are teaching the importance of sunlight for plants before you delve into the content, you pose a question to the students, “ Suppose you live in a place, where there is no sun, what do you think will happen to the plants and to you as well, how would the place look like?” 
The question might be an easy one but this ignites their thought process and makes them think. After a while, you call on a student to answer, and this way everyone has a different picture in their mind. As a result, questions enable students to think.  
2. It helps students to learn
Why do we ask questions? Isn’t it because we want to know or learn something? This is true in all areas of life, questions and learning comes in a package. Learning that takes place without any questions being asked is not effective learning. It does not allow students to explore their minds. This type of learning is only information being absorbed from a content rather than fully understanding the depth of that content. Asking questions promotes higher-order thinking. It helps students to analyze, assess, and helps in developing critical abilities such as logical thinking, decision making. When students are asking questions it is because they are learning and when teachers ask questions to their students it helps them to spark their interest and hence motivate them to learn. 
3. Questions make classrooms a fun place to be 
Imagine while growing up, you had a place to be where there were no set boundaries. You could reach the stars or you could dig the earth, a place where you could explore your curiosity, wouldn’t that be great? It would have been, however, it is not too late because we can still make such a place in our classroom where our students can explore their minds. A classroom where only the teacher speaks is not a fun or effective classroom but a classroom where everyone is working, everyone is cramming their brains to find answers to questions, everyone has questions in their mind and the mindset to find answers to those questions is a fun classroom to be. Questions also break the monotony of classrooms. It pushes every participant present in that classroom to go beyond their boundary. 
4. Questions helps to remember
I, myself have experienced this multiple times that I tend to remember specific information or content if I learned about it through questioning. It is because that information or content is interesting or relevant and by asking questions, we become more invested in the answer. As a result, encouraging and pushing our students to ask questions can help them generate information that interests them, and for this reason, they will be able to remember those answers or their lesson more thoroughly over time. 
5. Questions helps to generate new knowledge
As a teacher, our main goal is to encourage our students’ curiosity and help that fire of curiosity burning in them. Learning is only effective when you know that your students have also contributed to the process and encouraging them to contribute through questioning is the way. 
As George Carlin, an American Author said, “ Don’t just teach your children to read, teach them to question when they read. Teach them to question everything.” 
Written by: 
Adiba Karim, Communications Manager at Alokito Hridoy Foundation 
Reference: 
Classteaching. (19 January, 2017).  The importance of questioning. Retrieved from: https://classteaching.wordpress.com/2017/01/19/the-importance-of-questioning/
H. Gary. (n.d.). The Importance of Questioning. Retrieved from: https://garyhall.org.uk/importance-of-questioning.html
0 notes
Text
The 7 Learning Styles
Tumblr media
We, as teachers at times, wonder why some of our students learn instantly whereas some lag behind and at times struggle to remember the lesson. At times, we end up concluding that those students aren’t hard-working or they do not have an interest in studying and as a result, we give up our hope in them.
However, did we once stop and ask ourselves as to why this is the case? Why would anyone not want to learn? Where is the obstacle? One of the most imperative reasons behind this issue is when students are not performing as well as they could/should be, is likely because they just need to be taught in a different way. It is vital to remember as teachers,  that not every student learns in the same manner. Assuming that all of your students will learn in the same manner or method is an old way of teaching which needs to be discarded in this new age. 
Contrary to the traditional educational framework, there is a multiple range of learning styles that cater to every students’ learning style. Some students learn through movements, some by hearing, and some by doing hands-on activities, while some need visual information to fully understand a lesson. 
The idea of learning styles started in the 1970s and since then has greatly influenced education. Neil Fleming is the mind behind this model. His VARK model is one of the common and widely used frameworks today. VARK stands for: visual, auditory, reading/writing preference, and kinesthetic.
To fully understand the concept of the seven learning styles, let us delve into them. 
1. Visual (Spatial): Does your student like to draw? 
 When you see your student continually doodling or presenting their ideas better through drawing or understands you better when you draw something out, in this case, you need to understand that he/she is a visual learner. Those students prefer using pictures, images, and spatial understanding to gather their knowledge. Concept maps, different types of picture usage, graphs, and symbols help the visual learners to create a relationship between ideas and concepts. This way such learners are able to focus on what is being taught and find meanings of the concept. 
2. Aural (Auditory-Musical): Does your student like listening to songs or music?
Here learners like to listen and hear information in order to process and understand a concept. Do you have some students who perform well when you play a song related to your lesson or when you rhyme? It is because they lean towards aural learning. Group discussions are a great way for auditory learners to grasp new ideas rather than reading. Auditory learners are able to notice the change between pitch and tone. For example, a student may easily learn the different types of seasons in Bangladesh by using the rhyme for seasons rather than reading it from a book. It is better to use songs or rhymes at times in your classroom to attract the attention of the auditory learners. 
3. Verbal (Linguistic) Does your student like to write?
There is always at least one student in our class who writes down everything that you say, it is that student who is a verbal learner. It is because he/she understands better while they write. When they jot down every piece of information regarding a concept, it is easier for them to understand and go back to those writings for review. By now you have understood that linguistic learners enjoy reading and writing and enjoy wordplay and mostly they are the ones who come up with writing role plays or scripts. They are able to express themselves better through words. As a result, try to incorporate activities which includes scriptwriting or essay competitions for such kind of linguistic learners. You might be amazed to see how much they have to say through words. 
4. Physical (Kinesthetic) Does your student prefer doing hands-on working activities? 
 If you have students who rush into doing activities in order to learn their way into a concept, you find yourself a kinesthetic learner. This could be as simple as making a paper boat and trying to figure out how it floats on water. In this learning style, the learner opts into divulging into physical activities rather than reading or writing. They prefer doing something rather than learning it from the book. They enjoy experimenting and learn from it. As a result, kinesthetic learners enjoy classes where hands-on activities like games are played. It is advised to include hands-on activities in your lesson plan in order to make your lesson more interesting for the students. 
5. Logical (Mathematical) Is your student good with numbers? 
You may know some students who are doing quite extraordinary in mathematics but average in other subjects, this is because they are logical learners. They have a mathematical brain. They can recognize patterns easily and connect concepts. They try to understand everything with numbers, this way their understanding becomes more transparent and thorough.  
6. Social (Interpersonal) Does your student have a lot of friends? 
You have some students who are more popular and have many friends. It is because they are interpersonal learners. Social learners are also known as interpersonal learners. They can communicate well both verbally and non-verbally. Such learners are able to express and work better when there is group work included. So as teachers, it is better to incorporate group work activities which aids these learners to showcase their talent better. 
7. Solitary (Intrapersonal) Does your student like their “alone” time?
Some students are also there in our class who function better when they are left alone. They are able to bring out the best in them when they are able to work independently. Such kinds of learners are solitary learners. They are able to focus on their work and can portray their thoughts clearly without much interference from others. Think about it, who is that one student who likes to be left alone? Our initial thought might be that they are introverts, however intrapersonal learners like their solitude. As a result, it is sometimes better to incorporate such tasks that could be done independently by students without much interference from others. This way the intrapersonal learners are able to focus on their work. 
As teachers, our foremost responsibility is to make our students feel comfortable and ensure that we are able to reach out to them. It becomes difficult to accommodate different types of learners 
in a classroom, however a combination of different activities may help all types of learners to interact and learn. As a teacher you may at first decide to focus on a particular learning type and then incorporate different activities for different types of learners for the lessons. However, the most important element is to at first recognize and understand the needs of our students, and then the rest will follow from there. 
Written by:
Adiba Karim, Communications Manager at Alokito Hridoy Foundation
Reference
https://www.learning-styles-online.com/overview/
0 notes
Text
5 Fun and Effective ways to do Assessment
Tumblr media
Whenever we hear the word assessment, the other words that pop up in our head are exams or tests, or quizzes. However, This is not the universal understanding of assessment. “Assessment is an integral part of instruction, as it determines whether or not the goals of education are being met”  (Wiggins, 2018) 
Assessments and feedback are essential to student learning. Exams or quizzes are not always sufficient indicators of check for student understanding. Assessment for learning mainly focuses on developing students' self-evaluation abilities to make judgments about their own performance and to improve upon it. As teachers, our main goal is to provide them with ample opportunities where they have the chance to evaluate themselves and progress. 
As we live in a world that is rapidly changing, our focus should not only be limited to improving basic literacy and numeracy skills. We also need to instill in our students  21st-century skills to help them think critically, analyze, explore their creativity, and communicate efficiently. So it is important to incorporate activities during assessments to ensure that these skills are being practiced. 
Let me share some  fun and effective ways to do assessment: 
1.Ask students to reflect/ Student Reflection 
As you approach the end of a  class, ask students to reflect on the lesson and write in points what they have learned. Ask them to add examples or write where they will apply the concept in a practical setting. This could be done with both elementary and middle school students
2. Ask open-ended question
While we deliver a lecture or a concept to our students, it is quite helpful as well as important to ask open-ended questions. This way, it will prompt the students to write or talk. Try to avoid close-ended questions that result in yes/no answers. “ How would you solve this problem if you were in a similar situation? Or, “ There is increased pollution in your country, imagine you are the health minister of the country, how do you plan to eliminate or reduce pollution?”. These are questions that help them improve their cognitive thinking abilities.
3. Response cards
Try to introduce response cards to quickly check for the understanding of the whole class. These could be index cards or small chart papers held up by all students in the class to indicate their responses to a question or problem, presented by the teacher. It could be a timed activity where you give them a short question and within a given time they write their positive or negative response. This way you can easily note the responses of individual students and get back to them accordingly. This can also help you design an informed lesson plan to address the caveats identified through student responses. 
4. Think-pair-share
This is one of the most profound activities that you may incorporate into your assessment list.  After you pose a question or prompt, ask students to take a few minutes to think about it t. Next, ask the students to form pairs to compare their thoughts and discuss any new insights with their partners before sharing with the whole class. This way they are learning how to think by themselves, then they learn how to discuss and collaborate with others to revisit or refine their views before communicating with everyone. 
5. Ask students to prepare a separate “I understand and I don’t understand” list 
After you complete a chapter or finish explaining a concept, ask students to prepare an “ I understand and don’t understand list” This way they will get a chance to do a  self-evaluation. Besides, you will also get a clear idea of what your students understand and don’t understand. 
 Apart from these five ways, there are many ways that you may adopt in assessing your students if you want to learn about game-based approaches you can enroll in our game-based learning course, for problem-based approaches, enroll in our problem based learning course and inquiry-based approaches, enroll in our inquiry-based learning online course. 
One important thing to remember is, as facilitators our curriculums, lesson plans, and assessments should be purpose-driven. We must remember that students are not empty buckets, rather they are unconventional, creative beings who can flourish with little guidance and lots of specific-praises and acknowledgments. As William Butler Yeats, an Irish poet quotes, “ Education is not the filling of a bucket, but the lighting of a fire. ”
Written by:
Adiba Karim, Communications Manager and Trainer at Alokito Hridoy Foundation
Reference: 
Why Is Assessment Important? (2008, July 15). Edutopia. Retrieved from: https://www.edutopia.org/assessment-guide-importance
Thomas, L. (2019, April 26). 7 Smart, Fast Ways to Do Formative Assessment. Edutopia. Retrieved from: https://www.edutopia.org/article/7-smart-fast-ways-do-formative-assessment
How to Assess Students’ Learning and Performance. (n.d.). Retrieved from: https://www.cmu.edu/teaching/assessment/assesslearning/index.html 
Wiggins, G. (2018, July 15). Why Is Assessment Important? [Editorial]. Edutopia. Retrieved from: https://www.edutopia.org/assessment-guide-importance 
1 note · View note