কেন আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন?
আজ ২১শে ফেব্রুয়ারি, যদি সোশাল মিডিয়ার পোস্ট অথবা স্ট্যাটাস না দেখেন তাহলে হয়তো অনেকেই জানবেনা আজকের দিনটা কি জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য জাতীয় দিনের মতনি ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, সামাজিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব রাখে।
১৭ই নভেম্বর ১৯৯৯ সালে UNESCO প্রথম বার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল । প্রতি বছর এই দিনটি স্মরণ করা হয় যাতে সকল ভাষাকে সংরক্ষণ এবং প্রচার করা যায়। বিশেষ করে যেসকল ভাষা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে বা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে সেইসকল ভাষা গুলিকে সংরক্ষণ করার উদ্দেশ্য এই দিনটি পালন করা হয়।
Also, do watch this video to learn more about International Mother Language Day
youtube
সকলের জন্য নিজের মাতৃভাষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। কিন্তুু এখনকার Gen-Z ছেলে মেয়েরা কিভাবে ব্যাবহার করে মাতৃভাষা এবং কিভাবে পালন করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস দিনটিকে জানতে হলে ক্লিক করুন mother language day
কাতার বিশ্বকাপ আয়োজনে যে খরচ করা হয়েছে, তা অতীতের ২১ আসরের মোট খরচের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। এজন্য বর্তমান প্রযুক্তির যুগে বল ও অফ সাইড টেকনোলজি, অতিরিক্ত খেলোয়াড়ের সংখ্যাবৃদ্ধিসহ অনেক নতুন নিয়ম এবং প্রযুক্তি যুক্ত হয়েছে কাতার বিশ্বকাপে। প্রাইজমানিতেও প্রতিফলন দেখা যায় সর্বোচ্চ ব্যয়ের বিশ্বকাপে। আগের যে কোন আসরের চেয়ে এবারের প্রাইজমানি দেয়া হবে অনেক বেশি পরিমাণেই।
তৃতীয় বারের জন্য বিশ্বকাপ…
টপ নিউজ ডেস্কঃ শুরু হয়েছে বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার ডেথ রেফারেন্স, আসামিদের আপিল এবং জেল আপিল শুনানি।
আজ সোমবার (৫ ডিসেম্বর) শুনানি শুরু হয় বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে। প্রথম দিনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।
আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এবং ডেপুটি…
রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন ২১ নভেম্বর
রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন ২১ নভেম্বর
নিউজ রাজশাহী ডেস্কঃ রাজশাহী মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগগের সম্মেলনের সময় ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২১ নভেম্বর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
রোববার (৩০ অক্টোবর) রাতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন…
আগামী ২১ জুন ২০২৪ থেকে শুরু হতে হচ্ছে কোপা আমেরিকা কাপ এর ৪৮ তম আসর। Squad Copa America 2024 । প্রতিবারের মতো কোপা আমেরিকা কাপে ফেভারিট আর্জেন্টিনা দল। Copa America 2024 Argentina Squad এই পোস্টে আমরা দেখে নেব আর্জেন্টিনা দলের কোপা আমেরিকা স্কোয়াড। আর্জেন্টিনা ফুটবল টিমের তালিকা আপডেট করা হয়েছে । এইবার কোপা আমেরিকা ২০২৪ টুর্নামেন্টে দেখা যাবে মেসিকে। এটাই হয়তো মেসির শেষ কোপা আমেরিকা। এই আসরের পর হয়তো কোপা আমেরিকা কাপে দেখা যাবেনা মেসিকে। নিচে যে আপডেট স্কোয়াড টি দেয়া হয়েছে সেখানে এটি আর্জেন্টিনা দলের আপডেট টিম স্কোয়াড। Argentina Squad Copa America 2024.
১৯-২১ শে মার্চ ২০২৪ তারিখে সন্ত গরীবদাসজী মহারাজের বোধ দিবস উপলক্ষ্যে সমস্ত সতলোক আশ্রমগুলিতে বিশেষ সমাগম অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। বিশাল ভাণ্ডারা, রক্তদান শিবির, দেহদান শিবির,নেশা মুক্তি কার্যক্রম এবং যৌতুক মুক্ত বিবাহ ইত্যাদি অনন্য কার্যক্রম চলছে। আপনাদের সকলকে সপরিবারে সদর আমন্ত্রন জানানো হচ্ছ।
শহিদ দিবসের ছুটিটাকে নষ্ট করতে চাই নাই দেখেই গত সপ্তাহে বন্ধুদের বলছিলাম যে, "চল পরের বুধবার বই মেলা ঘুরে আসি।" গ্রুপে সবাই পাগলের মতো "ভাই ইন" লিখলেও আজকে কারো খোঁজ নাই। কি সুন্দর। একটার "কারেন্ট" নাই, আরেকটা তো দাদা বাড়ি পালায় গেল, আরেকজনের নাকি ৩ টায় বই মেলা গিয়ে ৪ টায় ফেরত আসার একান্ত প্রয়োজন। তো বিকাল বেলার সিন্ডারেলাকে ছাড়াই রওয়ানা দিলাম।
বিজয় সরণির স্টেশন এ জীবনের প্রথম যাব বলে ঠিক করলাম। আমি ঠিক করি নাই অবশ্য, আব্বুই পথ ঠিক করে দিল। আব্বু হাতে ১ হাজার টাকা ধরায় দেয়ার পর আব্বুর প্রতি যে ভালোবাসা দেখালাম, তা দেখে নিজেরই কষ্ট লাগল । আমার বাচ্চাকাচ্চাও মনে হয় টাকা না দিলে কোনো আবেগ দেখাবে না আমার প্রতি। সে যাই হোক। নিজের হাওয়াই শার্ট আর ভাইয়ার ব্যাগ কাঁধে নিয়ে বের হয়ে পড়লাম। রোদেলা দুপুর পৌনে ২ টায়। রিক্সায় করে রেসিডেন্সিয়াল এর পিছনে গেলাম। বুড়ো রিক্সাওয়ালা ৪০ টাকায় রাজি হয়ে গেল। তাজমহল রোড এর রিকশা আর গাড়ি দেখে দেখেই গন্তব্যে পউছে গেলাম।
একা একা কোনোদিন বইমেলা যাব এইটা কখনো ভাবি নি। ভাবনার বাহিরের এই সত্যকে জীবনে বাস্তবায়িত করতেই হেটে গেলাম চন্দ্রিমা উদ্যান দিয়ে। এই লম্বা রাস্তাটা ভালোই লাগে। মানুষ কম তাই একটু ভয় লাগলেও চারিদিকের যে অসাধারণ দৃশ্য, যে দৃশ্য 'ইট-পাথরের' শহর কথাটাকেও এক কোমল ভাব দিতে পারে, সেই দৃশ্যই হয়তো আমার মোহাম্মদপুরবাসী হিসেবে চেপে থাকা ভয়টাকে একটু ঠাণ্ডা করে। আব্বু বলেছিল যে, "বিজয় সরণি গিয়ে হাঁটবা। ঐ রাস্তায় হেটে ভালো লাগবে।" আব্বু ভুল বলেনি। গরম লাগলেও একা একা ফাকা পথে হেটে যাওয়ার আনন্দ পেয়ে ভালোই লাগল। আশেপাশে দেখলেই বুঝা যায় যে আজকে একুশে ফেব্রুয়ারি।
মেট্রোরেল যতই ব্যস্ত থাকুক না কেন, এই বিজয় সরণি কখনোই ব্যস্ত দেখলাম না। আজকেও একি কাহিনি। এই স্টেশনটিকে অপদার্থ বলে সম্বোধন করা মানুষদেরও হয়তো একদিন না একদি�� এই স্টেশনের দরকার পড়বে। যেমনটা আজকে আমার পড়ল। ২ টা ১৯ এর ট্রেন এ উঠার জন্য ২ টা ১৮ তে দেয়া দৌড় এর সাথে এখন অনেক মানুষই সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। কিছু মিনিটের ব্যবধানে পউছে গেলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনের বই মেলায়।
মেলায় যতটা ভিড় হবে ভেবেছিলাম তার কিছুটাই চোখে পড়ল না। দুপুরের খাবার খাওয়াতে মানুষ ব্যস্ত দেখে হয়তো এত শান্তি। কিন্তু মেট্রোরেলে যে ভিড় সেটাতে হারায় যাওয়া অস্বাভাবিক মনে হয় না।
২০১৯ এ শেষ বইমেলায় গিয়েছিলাম। আব্বু-আম্মু আর ভাইয়ার সাথে। তখন আম্মু আব্বুর ছবি তুলা দেখে বিরক্ত হয়ে বলছিলাম যে, "তোমরা কি এইখানে বই কিনতে আসছ নাকি ছবি তুলতে?" যাওয়ার আগে আম্মু এইটা মনে করায় দিল। আজকে তো তাহলে আনন্দ হওয়ার কথা। আম্মু-আব্বু সাথে নেই, একা একা বই কিনব। কি মজা। তাই না? মনটা খারাপ হয়ে গেল। বাসায় গিয়ে আম্মু আব্বুকে সব বলব বলে ঠিক করলাম।
মন খারাপটা বেশিক্ষণ টিকলো না অবশ্য। বই এর সন্ধানে বেরিয়ে পড়লাম। বন্ধুর অনুরোধ রক্ষার্থে আগেই খুজলাম কিংবদন্তি পাবলিকেশন্স। 'চলেন খিচুড়ি খাই' নাকি বই এর নাম। স্টল এ ভিড় দেখে পালায় গেলাম। লেখক এসেছে, ছবি তুলতে হবে এমন উৎসাহী জনগণের ভিড়। অন্য প্রকাশ এর সামনে হুমায়ূন আহমেদ পাঠকদের মাতামাতি। আমিও হয়তো কিনতাম যদি পিডিএফ পড়ে তাঁর বইগুলোর মজা নষ্ট না করতাম।
একটা বই কিনতে গেলাম। বইটা সম্পর্কে ভালো কথা শুনেছিলাম দেখেই রাত্রি প্রকাশনীর সামনে গেলাম। বই কিনার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর দেখি এক আপু আমাকে বলতেছে যে, "ভাইয়া লেখিকা সাথে আছেন। একটা ছবি তুলা যাবে কি?"
আমি তো অবাক। লেখিকা নাকি আমার সাথে ছবি তুলবে। সেই তো। বুঝলাম মার্কেটিং এর একটু অভাব। তারপর লেখিকা আমার বইটিতে উক্তি লিখে একটা ফেসবুক পোস্ট তুলে নিলেন। আমিও চলে এলাম।
বাতিঘর আমাকে হতাশ করল। কত সুন্দর সুন্দর বই বাতিঘর প্রকাশনীর আছে বলে দেখে গেলাম। স্টল এর সামনে গিয়ে হাজির হয়েই এক ভাইয়াকে জিজ্ঞাসা করলাম,
"ভাই আপনাদের কাছে বানিয়ালুলু বইটা আছে?"
"অ্যাঁ? কি লুলু?"
শেষ। আর বের হবো না একা। সঞ্চিত সাহস জুগায় শেষমেশ আরো কয়েকটা বই-এর কথা জানতে চাইলাম। স��� প্রশ্নের জবাবও একি, "আমাদের কাছে এই নামের কোনো বই নেই।" হতাশ হয়ে চলে এলাম। আসার আগে কি একটা ভাতের হোটেল কিনে নিয়ে এলাম। কাভারটা ভালো লেগেছিল।
ফেসবুক পোস্ট এ বাংলা কুওট দেখলেই যেন নিচে "কাইকর" নামটা চোখে পড়ে। সেই লেখক কাইকর এর একটি বই সংগ্রহ করলাম। কেন যেন এইবার সব নতুন লেখক-লেখিকাদের বই কিনতে আগ্রহী হলাম। বাংলা লেখন চিনি না দেখে যে আঙ্গুর ফল টক করে জীবন কাটায় দিব সেটা তো হয় না।
"শেফালি কি জানে" বইটা কিনতে যাওয়াটা সবচেয়ে সার্থক ছিল হয়তো। বইটা যখন চন্দ্রবিন্দু স্টল এর সামনে গিয়ে উঠালাম তখন ঐখানের আপুটি সুন্দর করে পুরা বইটা কেমন, তার কি ভালো লেগেছে এবং কেন এইটা কিনা উচিৎ পুরোটা আমাকে বুঝিয়ে দিল। ভিড় আর ব্যস্ততাও ছিল না। খুশি ক্রেতা হিসেবে চলে গেলাম।
"ভাইয়া খিচুড়ি বইটা আছে আপনাদের কাছে?"
" হ্যাঁ ভাইয়া। ঐ একটা খিচুড়ি দে তো।"
বইটা আমাকে দিয়ে ভাইয়া আবার বলল যে, "রাইটার এর সাথে ছবি তুলবেন না ভাই?"
আমি বললাম, "না ভাইয়া।"
"ছবি তুলবেন না?!"
আমি হকচকিয়ে যাওয়া একটা হাসি দিলাম। ভাইয়া বলল,
"যাক। এই প্রথম দেখলাম বই কিনতে আসছে কেউ।"
"Never meet your idols" কে হয়তো আমি "never meet writers" বানিয়ে ফেলেছি। ২ ঘণ্টা শেষে বন্ধু কল দিয়ে জানালো যে সে বেসিক আলি কিনতে বই মেলায় আসছে। ৩৫৪ নাম্বার স্টল এর সামনে আসতে। যাওয়ার পর ওকে ভিড়ের মাঝে খুজতেছি যখন তখন দেখি সে টিপু সুলতান এর স্টল এর সামনে থেকে "THE GOAT THE GOAT" বলে আগায় আসতেছে। একা থাকার নির্জনতা থেকে মুক্তি পাইলাম নাকি আনন্দ থেকে, বুঝে উঠতে উঠতে আমার বই মেলায় একা একদিন শেষ হয়ে গেল।
"মোদের গরব মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা". আজ ২১ ফ্রেব্রুয়ারি, আপনার-আমার-আমাদের সবার মায়ের ভাষার দিন। যে ভাষায় আমরা প্রতিদিন কথা বলি, নিজেদের আবেগ, ভালবাসা, প্রেম, ক্ষোভ, দুঃখ, প্রতিবাদ, যাবতীয় ভাব প্রকাশ করি, আজকের দিনটি সেই ভাষাকেই সম্মান জানানোর দিন। আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। সকলকে জানাই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা। এই ঐতিহাসিক দিনে বাংলা ভাষার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছিলেন তাদের জানাই সশ্রদ্ধ প্রণাম।
প্রতিদিন বিকালের সময়টাতে হলে সবজি বিক্রেতা মেয়েগুলো আসে। রুমে রুমে নক দেয় আর বলে, "আপু, সবজি নিবেন, আপু, সবজি নিবেন?" উত্তর দেই, না লাগবে না। আমি রান্নাবান্না করি না, তাই এসব কেনার প্রয়োজনও নাই। কিন্ত মেয়েগুলোর জন্য খুব খারাপ লাগে। তারা প্রতিদিন এভাবে হলটাতে চক্কর লাগায়ে আর তাদের হতাশ করে ফিরায়ে দেই। যদিও তাদের কাস্টমার আছে, তাও এই ভাবনাটা আসে।
আমার রুমমেট জয়া, অতি দয়াবতী, দরদী। মেয়েগুলোকে ওষুধ কেনার টাকা, পাঁচটা খাতা, পাঁচটা কলম দিছিলো একবার। ওরা খুব মনে রাখছে জয়াকে আর গণ্যমান্যও করে, খোঁজ নেয় যে তাদের জয়া আপু আছে কিনা, বাসার থেকে আসছে কিনা এসব।
এ সপ্তাহে আমার রুমে দুইজন নতুন অতিথি আসছে। কেয়া দুইটা মাছ কিনছে আর একটা ছোট্ট গোল একুরিয়াম। একজনের নাম খেজুর, নিয়ন রঙের, ও প্রথমে আসছে। আরেকটা গতদিন আনছে, কারণ খেজুর খুব একা ফিল করতেছিল। ওর নাম আমি রাখছি, সুজি, সিলভার ব্লু রঙের। সুজি কেয়ার খুব পছন্দ, ঐটা ভেবে নাম দেয়া। সুজিটা সাইজে খেজুরের থেকে বড়। ও একটুও নড়ে-চড়ে না। একদম শান্ত আর এখনো মানায় নিতে পারতেছে না। খাবার দিলে খেজুর টুব করে তিড়িং-বিড়িং করে খেয়ে ফেলে। আর সুজিটা খাবার খাওয়া জিনিসটাই বুঝে উঠতে পারতেছে না, একদম চুপচাপ। শুরুতে খেজুরও এরকম ছিল। কেয়া একে দেখে বলতেছে, "সুজি সাইজে বড়, কিন্তু কিছু বুঝে না, বড়রা যেরকম গাধা হয়, সেরকম হইছে একদম।"
আমার বারান্দার সামনে যে দুইটা পুকুর আছে, তার মধ্যে বা পাশের টাতে আগে ধান চাষ করতো। পুকুরটা খুব পরিষ্কারই ছিল। চিকচিক করতো। আর এখন ইদানিং খুবই ময়লা হয়ে থাকে। দেখতে ভাল্লাগে না। শাপলা, পদ্ম এগুলোও আর ফুটতেছে না। কে যে এইভাবে ময়লা করতেছে, কে জানে!
সাকিব স্যার সেদিন উনার শেষ ক্লাস নেয় এই সেমিস্টারের। সবাইকে চা-বিস্কুট খাওয়ায়, আড্ডা হয়, ছবি তোলা হয় গ্যারেজের দিকে। স্যারের বিষয়বস্তু হলো ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে, কার কার জীবনে মানুষ আছে। সিলেক্টিভভাবে ধরতেছিল। এরপর কেউ একজন স্যারের জীবনে কেউ আছে কিনা জিজ্ঞেস করে।
স্যার তার কাহিনী বলে। তার স্কুল আর ইউনিভার্সিটি লাইফ তেমন একটা মজার ছিল না। কিন্তু কলেজ লাইফটা তিনি আবার ফেরত পেতে চান। কারণ তখনই মেয়েটার সাথে তার পরিচয় হয়। মেয়েটা আরেক ইউনিয়ন থেকে কলেজে আসতো। একদিন হঠাৎ স্যারকে জিজ্ঞেস করে, "তোমার নাম কি?" স্যার তো থতমত, এমন সুন্দর একটা মেয়ে এভাবে জিজ্ঞেস করবে উনি ভাবেন ই নাই। স্যারের ও তাকে ভালো লেগে যায় মনে মনে। আর মেয়েটাও মনে মনে পছন্দ করে। তবে একসময় মেয়েটা হারায় যায়, তার বিয়ে হয়ে যায়। দুইজন দুইজনকে আর বলতে পারে নাই যে ভালোবাসে। স্যার বলে, "ওর মত মেয়ে আমি আর দেখি নাই। ও সবথেকে আলাদা ছিল, অন্যরকম ছিল আমার চোখে, ওর মত কেউ হবেও না, আর ওর মত কাওকে এমনভাবে দেখতেও পারবো না।" মেয়েটার বিয়ে-বাচ্চা সব হয়ে গেছে। তবুও স্যারের মনে মেয়েটা রয়ে গেছে। এই কথাটা আসলেই সলিড যে, ছেলেরা তাদের প্রথম ভালো লাগা/প্রেম এসব কখ���োই ভুলতে পারে না।
এসব শুনতে ভালোও লাগছে আবার খুব খারাপও লাগছে। প্রেম-ঘটিত আর কোন কিছুই আমার মন টানে না। কারণ এসব আমার সাথে কখনোই ঘটবে না। আমি কখনোই কারো প্রেমিকা হতে পারবো না, আমার সেই গুণ নাই। হবেও না।
তাসনিম ওইদিন রাতে বড়ি দিয়ে শিং মাছ রান্না করলো। বড়ি আমার খুবই ভালো লাগে। খেতে বেশ মজা হয়েছিল।
এ সপ্তাহে ডাইনিং এ টোকেন সিস্টেম চালু করছে। ২১ টা মেয়ে টাকা ঠিকমত দেয় না আর ১৪-১৫ ব্যাচের কাছ থেকেই ৭৫ হাজার টাকা ডাইনিং মামা পাবেন। তাই তিনি একপ্রকার বাধ্য হয়ে এটা চালু করলেন। আমি আমারটা খাতায় লিখে রাখি, মাস শেষে দিয়ে দেই। ঝামেলাবিহীন।
ঐদিকে নোমান সব কনটেস্টে পার্টিসিপেট করে, রেটিং প্লাসও হয়। তাও কুবরার কাছে মারাটা খায়। মেয়েটা ডিভ ২ কনটেস্ট করে নোমানের থেকে বেশি রেটিং পেয়ে প্রত্যেকবার তাকে টপকায়ে টপ লিস্টে উঠে যায় কেমনে কেমনে জানি। সামনে ওর চুয়েটে কনটেস্ট আছে। এখন নোমান বাসায় গেছে। ও বাসায় গেলে আমি প্রত্যেকবার কিভাবে যেন বুঝে যাই। এটা আমার অলৌকিক ক্ষমতা মনে হয়।
সবার কথাই বললাম। এবার আমার কথা। বাম কানটা নিয়ে খুবই কনফিউশনে আছি। এটার ভিতর আসলেই কিছু ঢুকায়ে ফেলছি কিনা কিছুই বুঝতেছি না। ডিসেম্বর দশের আগেই বাসায় যাওয়া পড়তে পারে, তখন আবার ডাক্তার দেখানো যাবে। আর এমনিতে আরো অলস হচ্ছি দিন দিন। কাপড় ধোঁয়া বাকি, পড়া বাকি, সিপি শেখা বাকি।
সবই বাকি।
এই যা! চড়ুইভাতির ��থা লিখতে খেয়ালই ছিল না। জুনিয়ররা খুব সুন্দর আয়োজন করছিলো। আমি অনেকদিন এসব টাইপ খাবার-দাবার খাই না দেখেই যাওয়া। আর চড়ুইভাতির খাবার খুব মজা হয়। যদিও এদেরটা এভারেজ লাগছে। আইটেম ছিল, সাদা ভাত, টমেটোর চাটনি, আলুর ভর্তা, বেগুন ভর্তা, মুরগির ঝাল ফ্রাই, ঘন ডাল মুরগির ঘিলা-কলিজা দিয়ে আর জিরো কোকাকোলা।
শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটা মাঠেই করতে চাচ্ছিলো, কিন্তু পাশে ফুটবল ম্যাচের জন্য মন্দিরের পাশে যাওয়ার পরামর্শ দেন টিচাররা। মাঠে, খোলা আকাশের নিচে বসে বসে মানুষগুলোর কথা শুনতেছিলাম আর তাদের কর্মকাণ্ড দেখতেছিলাম। ভালোই গান-কবিতা-ছবি তোলা হলো। আমার ছবি মোটামোটি সুন্দরই আসছে।
ভাবতেছি, এমন গেট টুগেদার হলে কখনো মিস দিব না। আসলেই অনেক ভালো লাগে যেতে। তখন নিজের অকওয়ার্ডনেস, ইন্ট্রোভার্টনেস কেটে যায় একটু।
আর আপুরা আমাকে বলছে, আমি নাকি অনেক কিছু করতে পারি, অনেক কিছু জানি, টেকনিক্যাল কাজ ভালো পারি আর একটা আপু বলছে, আমি নাকি "ছুপা রুস্ত।"
একটু ভুলে তছনছ হয়ে যেতে পারে আপনার জীবন, এই রত্ন তিনটি ধারণ করার আগে সাবধান
মাহাবিশ্বের ঘর্ণায়মান সমস্ত গ্রহ ও নক্ষত্র আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে সেইসব গ্রহণ নক্ষত্র আমাদের জীবন বা মনকে স্বাভাবিক ও সুস্থ রাখতে পারে। কখনও কখনও নক্ষত্র বা গ্রহ দোষ ডেকে আনতে পারে বড়সড় বিপদ। গ্রহ বা নক্ষত্রে দোষ কাটাতে আমরা একাধিক রত্নধারণ করি। কিন্তু আপনি কি জানেন , এমন দুটি রত্ন রয়েছে যা আপনার জীবনকে আরও ক্ষতবিক্ষত করতে পারে। তাই সেই দুটি রত্ন ধারণ করার আগে একটু সাবধানতা অবলম্বন করাই শ্রেয়। কারণ ভুল রত্ন ধারণ ডেকে আনতে পারে ভয়ঙ্কর বিপদ। যা ধ্বংস করে দিতে পারে আপনার জীবনকে।
See Video
অনেক সময়ই আমরা নিজেদের ইচ্ছেমত রত্ন ধারণ করি। কোনও নির্দেশ বা পরামর্শ না নিয়েই ইচ্ছেমত হীরে চূনী পান্না কিনে নিয়ে পরে ফেলি। জানেন কি, এর ফল হতে পারে মারাত্মক। কারণ বেশ কয়েকটি রত্ন রয়েছে যেগুলি এতটাই শক্তিশালী যা শনি, বৃহস্পতি বা মঙ্গলের মত গ্রহকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে। তাই এই সেই রত্নগুলি পরার আগে একটি সতর্ক হওয়ায় শ্রেয়। আসুন আমরা আজ দু-টি রত্ন নিয়ে আলোচনা করি। যেগুলি পরলে ভয়ঙ্কর ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে আমাদের।
নীলা-
নীলকান্ত মণি। এটি শনির মূল রত্ন। এটি প্রধানত বায়ু উপাদান নিয়ন্ত্রণ করে। নীলাকে নীলমও বলা হয়। এর অন্যনাম শনিপ্রিয়া বা স্যাফায়ার। এটি কুরুন্দম গোষ্ঠীর পাথর। রুবির সঙ্গে এটি পাওয়া যায়। এই রত্নটি শনি কু-দৃষ্টি থেকে বা শনির রোষ থেকে বাঁচার জন্য পরা হয়। শনি যাদের হালকা তারাই এই রত্নটি পরতে পারেন। কিন্তু এটি পরার আগে অনেক বিচার বিবেচনা করার প্রয়োজন রয়েছে। সঠিক পরামর্শ না নিয়ে এই রত্ন ধারন করলে বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। নীলার প্রভাব মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পড়তে দেখা যায়।
রাশিফল বা শনির উপাদানগুলি না জেনে নীলকান্ত মণি পরা কখনই উচিৎ নয়। নীলকান্তমণি পরার আগে ভালো করে পরীক্ষা করে নিতে হবে। লোহা বা রুপো দিয়ে এটি ধারণ করলে শুভফল পাওয়া যায়। ভুলেও সোনা দিয়ে নীলকান্ত মণি পরবেন না। শনিবার মধ্যরাতে নীলা পরার সঠিক সময়। বাঁ হাতে নীলকান্ত মণি পরতে হয়। সঙ্গে জলের উপাদনের একটি রত্ন পরা জরুরি। চারকোনা আকারের নীলকান্ত মণি পরা শুভ বলে মনে করা হয়। তবে পরার আগে শিব ও শনি দেবতাকে অবশ্যই নীলা অর্পণ করে তারপর ধারণ করবেন।
হীরা-
মূল্যবান রত্নগুলির অন্যতম হীরা। এটি কঠিন রত্ন হিসেবে বিবেচিত হয়। সাধারণ সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য হীরা পরে। কিন্তু জ্যোতিষশাস্ত্র মতে হীরা সবার পরা উচিৎ নয়। শুক্র গ্রহের রত্ন হিসেবে এটি বিবেচিত হয়। এই রত্ন পরিধান অনেকেই সৌন্দর্য, সুখ আর সমৃদ্ধি পেতে পারে। তবে এই রত্নের কুপ্রভাব সরাসরি সংসারে ও বিবাহিত জীবনে পড়তে পারে। শুক্র ���্রহের উপকার পেতে ও জীবনে গ্ল্যামার বাড়াতে হীরা একটি উপযুক্ত রত্ন।
পরামর্শ ছাড়া শুধুমাত্র ফ্যাশানের জন্য কখনই হীরা পরবেন না। ডায়াবেটিস ও হাইব্লাড প্রেসারের রোগীদের হীরা পরা উচিৎ নয়। এটি ২১ থেকে ৫০ বছর বয়সীরাই পরতে পারেন। বিবাহিত জীবনে যদি সমস্যা থাকে তাহলে হীরা একদমই পরবেন না। হীরা সমস্যা আরও বাড়়িয়ে দিতে পারে। হীরা যত সাদা হবে ততই শুভ ফল দেবে। তবে ভাঙা হীরা থেকে সর্বদা সাবধান থাকুন। দূরত্ব বজায় রাখুন। হীরা পরলে আপনি দুর্ঘটনার মুখোমুখি হতে পারেষ হীরার সঙ্গে প্রবাল বা গোমেদ কখনই পরবেন না।
পান্না-
নবরত্নের অন্যতম হল পন্না। এটি বুধ গ্রহের জন্য পরা হয়। ব্যবসা শিক্ষা আর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নিতর জন্য পান্না পরা হয়। পান্না আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। কিন্তু যাদের শ্বাস কষ্টের সমস্যা রয়েছে তারা ভুলেও পান্না পরবেন না। হিতে বিপরীত হতে পারে। কিন্তু যাদের প্রয়োজন নেই তারা যদি পান্না পরেন তাহলে জীবনের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বেন।
লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত বেড়ে ২৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাইরাস আবিয়াদ এই তথ্য জানান। আজ সোমবার ইসরায়েলি বাহিনী বসতবাড়ি, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, অ্যাম্বুলেন্স ও গাড়িতে হামলা করে। এ ছাড়া পালিয়ে যাওয়া মানুষদের ওপরও হামলা হয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, নিহতদের মধ্যে ২১ জন শিশু ও ৩৯ জন নারী। এ ছাড়া দুজন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ হাজারের বেশি। সোমবার…
Virat Kohli's wrong decision broke the hearts of fans!
September 21, Bureau News: Fans are disappointed with a recent choice made by Virat Kohli, the top batter for India. Due to multiple poor choices, Kohli lost wickets in the second innings of the match against Bangladesh. The incident infuriated team leader Rohit Sharma as well, and after Virat Kohli was removed from the game against Bangladesh early in the first innings, the team's hopes were on him. However, Kohli made a poor choice that resulted in his dismissal, which devastated the supporters.
How did Kohli get out?
Following two wicket losses for the side, Virat Kohli and Shubman Gill were attempting to establish a strong alliance. On the other hand, Mehdi, who came in to bowl in the twentieth over, was hit with an outstanding delivery. Because he mishandled the ball, Kohli was out. On the field, Kohli and Gill had a lengthy conversation before the umpire decided to send him out. However, when Virat was dismissed, it became evident from the replays that the ball had struck his bat before hitting the pads. The Indian team was in a strong position prior to Virat Kohli's departure, therefore Rohit Sharma was really disappointed with Virat's choice to forego a review.
নতুন পারমাণবিক বোমারু বিমান ‘বি-২১’ উন্মোচন করেছে যুক্তরাষ্ট্র
নতুন পারমাণবিক বোমারু বিমান ‘বি-২১’ উন্মোচন করেছে যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি কোম্পানি নর্থরপ গ্রুম্যান কর্প শুক্রবার তাদের নতুন পারমাণবিক বোমারু বিমান বি-২১ রেইডার জেট উন্মোচন করেছে। নতুন এই বিমানটি মার্কিন বিমান বাহিনীর দূরপাল্লার স্টিলথ পারমাণবিক বোমারু বিমান বহরের জন্য তৈরী করা হয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার পামডেলে নর্থরপ গ্রুম্যানের একটি কারখানায় শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানের বি-২১ বিমানটির উন্মোচন করা হয়। যেখানে প্রথমবারের মত নতুন এই…
দেশে প্রবাসী আয় আসার প্রবাহে আগস্টের ধারাবাহিকতা সেপ্টেম্বরেও বজায় রয়েছে। চলতি মাসের তিন সপ্তাহে এসেছে ১৬৩ কোটি ৪২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে) ১৯ হাজার ৬১১ কোটি টাকার বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদন বলছে, চলতি (সেপ্টেম্বর) মাসের প্রথম ২১ দিনে ১৬৩ কোটি ৪২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। প্রতিদিন আসছে ৭…
আসমাউল হুসনা - আল্লাহর সুন্দরতম নামসমূহ আল্লাহর৯৯ নাম
youtube
https://www.youtube.com/watch?v=vHUhs-pIqeg
আসমাউল হুসনা বলতে কি বুঝায়?
আসমাউল হুসনা, শব্দ দুইটি আরবি শব্দ। আসমা শব্দের অর্থ হলো "নামসমূহ" আর হুসনা শব্দের অর্থ হলো "সুন্দরতম"। অর্থাৎ, আসমাউল হুসনা অর্থ হলো "সুন্দরতম নামসমূহ" বা উত্তম নামসমূহ। মহান আল্লাহর সুন্দর এবং উত্তম ৯৯ টি নাম রয়েছে, এগুলো একত্রে আস০মাউল হুসনা বলা হয়।
আসমাউল হুসনা
আল আসমাউল হুসনা এটি একটি আরবী শব্দ। হুসনা শব্দের অর্থ হলো সুন্দরতম এবং আসমা শব্দের অর্থ হলো নামসমূহ। অতএব আল আসমাউল হুসনা শব্দের অর্থ হলো সুন্দরতম নামসমূহ। ইসলামী পরিভাষায় আল্লাহর নিরানব্বইটি গুণবাচক নাম রয়েছে এগুলিকে একত্রে বলা হয় আল আসমাউল হুসনা।
আসমাউন অর্থ কি?
'আসমা' হলো 'ইসম' এর বহুচন; ইসম অর্থ নাম, আসমা অর্থ হলো নামগুলো। আল হুসনা অর্থ সুন্দরতম। অতএব আসমাউল হুসনা অর্থ হলো 'আল্লাহ তায়ালার সুন্দরতম নামগুলো'।
আসমাউল হুসনা কয়টি ও কি কি?
আসমাউল হুসনা, শব্দ দুইটি আরবি শব্দ। আসমা শব্দের অর্থ হলো "নামসমূহ" আর হুসনা শব্দের অর্থ হলো "সুন্দরতম"। অর্থাৎ, আসমাউল হুসনা অর্থ হলো "সুন্দরতম নামসমূহ" বা উত্তম নামসমূহ। মহান আল্লাহ পাকের সুন্দর এবং উত্তম ৯৯ টি নাম রয়েছে, এগুলো একত্রে আস০মাউল হুসনা বলা হয়।
আল্লাহ তাআলা গোটা বিশ্বের সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তা। মহান সে আল্লাহর তার মহিমা, শ্রেষ্ঠত্ব ও মহত্ত্ব প্রভৃতির পরিচায়ক কিছু সুন্দর নাম রয়েছে। এগুলোকে সিফাতি বা গুণবাচক নাম বলা হয়। যেগুলোকে বলা হয়- আল আসমাউল হুসনা বা সুন্দর নামসমূহ। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সিফাত ও নাম অগণিত।
আল্লাহর গুণবাচক নামপ্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনুল কারিমে বলা হয়েছে, ‘আর আল্লাহর জন্য রয়েছ��� সুন্দর সুন্দর নাম। অতএব তোমরা তাকে সেই সব নামেই ডাকো।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ১৮০)
আল্লাহর গুণবাচক নামপ্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনুল কারিমে বলা হয়েছে, ‘আর আল্লাহর জন্য রয়েছে সুন্দর সুন্দর নাম। অতএব তোমরা তাকে সেই সব নামেই ডাকো।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ১৮০)
আল্লাহর ৯৯ নাম মুখস্থকারী জান্নাতে যাবে
আল্লাহর গুণবাচক নামগুলো অতিশয় মোবারক ও পবিত্র। মহান আল্লাহর পরিচয় সঠিকভাবে জ্ঞাত হয়ে ঈমানকে পূর্ণাঙ্গ করার জন্য আসমাউল হুসনা সম্পর্কে জানা আবশ্যক। এ ছাড়া আল্লাহ তাআলার এসব নামের জিকিরের প্রচুর ফজিলতের কথা বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। বলা হয়েছে যে এসব নাম মুখস্থ করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
আবু হুরায়রাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলার নিরানব্বই— এক কম একশটি নাম রয়েছে। যে ব্যক্তি এ নামগুলো মুখস্থ করবে, সে জান্নাতে যাবে। অপর বর্ণনায় আছে, তিনি বিজোড়, (তাই) বিজোড়কে ভালবাসেন। (বুখারি, হাদিস : ২৭৩৬, ৭৩৯২; মুসলিম, হাদিস : ২৬৭৭; তিরমিজি, হাদিস : ৩৫০৬; ইবনু মাজাহ, হাদিস : ৩৮৬০)
পবিত্র কোরআন ও হাদিসে আল্লাহর সুন্দরতম ও অর্থবোধক এসব নাম নিয়ে দোয়া করার ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। মানুষ প্রতিনিয়ত নানা রকম কষ্ট-ক্লেশ, পেরেশানি, দুশ্চিন্তা ও জটিল বিষয়ের সম্মুখীন হয়ে পড়ে। তখন সে আশ্রয় নেবে আল্লাহর রহমতের ছায়ায়, সে ছায়া পড়ে আছে আল্লাহর নানা সিফাতি বা গুণবাচক নামের তাৎপর্যের মধ্যে।
সতর্কতা : আল্লাহর গুণবাচক নামগুলো আরবি। আর আরবি শব্দের উচ্চারণ বাংলায় বিশুদ্ধভাবে সম্ভব নয়। অতি সতর্কতার জন্য পাঠকের কাছে অনুরোধ, কোনো বিজ্ঞ আলেমের কাছ থেকে আসমাউল হুসনার বিশুদ্ধ উচ্চারণ শিখে নেবেন। এটিই আল্লাহর ৯৯ নাম মুখস্থ করার সহজ উপায়।
আল্লাহ তাআলা তাওফিক দান করুন। আমিন।
youtube
https://www.youtube.com/watch?v=vHUhs-pIqeg
https://www.youtube.com/watch?v=NgY5_mcXw_E
আল্লাহ’র ৯৯ নামের আমল কিভাবে করবো নামের
youtube
আল্লাহর ৯৯ টি নাম মুখস্ত করলে জান্নাত, আল্লাহর একেক নামের একেক ফজিলত এই কথা কি সত্য??