এলেবেলে কথার সাগরে সাতরে বেড়ান নাবিক । করি না কিছুই, দেখি দুচোখ মেলে আমি নই এখানকার আবাসিক । হুতুম পেচার মত ভঙ্গি আমার মনে মনে ভাঙ্গি যত নিয়ম, ভাবকাতুরে বেড়াল আমি, ভাবি বেশি করি কম ।
Don't wanna be here? Send us removal request.
Text
এসো গাংচিল হয়ে যাই,
উড়ে কোথাও ভরদুপুরে,
��ুমি আমি একাকার
চলো,চলো না হয় এবারে।
0 notes
Text
তোমার জন্যে ।
তুমি বললে এক লক্ষ একবার কান ধরে উঠবোস,
রাক্ষস খোক্ষসের টিকি ধরে ঘরের ঝাড়পোছ ।
এক লাফে উঠে যাব নারিকেলের মগডালে,
বললে বিনা কালিতে অটোগ্রাফ তোমার গালে ।
অনুরোধে টেনে ধরে দুই কান লম্বু হিমালয়
বার বার আনব ডেকে নেপালে প্রলয় ।
হেসে দিলে তুমি দুর্বিনিত হিটলারের গোফখানা
কোদাল দিয়ে দেব ছেটে যতই করুক না না ।
ঠা ঠা রোদে কাকেদের সাথে করব গুলতানি
পেচাদের সাথে রাতজেগে একা একাই মাস্তানি ।
কেবল একবার বলে দেখ তোমার মুখফুটে
করলার জুস ঢোকভরে গিলে নেব হোক তা তিতকুটে ।
Share
0 notes
Text
ভাঙ্গা পায়ের শালিক
পঙ্কিল ছায়া ঢাকা দুপুরে দিন তারিখ নেই চোখের সামনে
দেখছি আবার দেখছি না চারিদিক অস্থির সময়ের পানে ।
কিছু উড়ন্ত শালিক কিচির মিচির ছাদে কিছু রাস্তার মাঝে
চড়ুই আছে নেই বুলবুলি , ওহ দানাও নেই ওদের কাছে ।
ঝাপটে ডানা ডানে আর বামে ঊড়ে ফেরে উপরে কিছু নিচে
একটা কেবল একলা হাটু ��েঙ্গে বসে আছে, তার হেটে পালানোর চেষ্টায় মিছে ।
পিছু ফিরে ঊড়িয়ে দিতে গেলেই দূরে যায় অন্য পায়ে সরে
তখনই হাটু ভাঙ্গা শালিক উড়ে যায় এক হাটু মুড়ে ।
ঘোলাটে দুপুর অন্য রুপে ধরা দেয় যুদ্ধ ফেরত সৈনিকের বেশে
এক শালিক শিক্ষা দিল হেরো না হেরো না যদিও মাটিতে যাও মিশে ।
0 notes
Text
কিসের কি
লিখতে গেলে শব্দ সরে সরে খাতা কলম পড়ে থাকে একেলা,
চোখ দুটো ক্লান্ত ভারে, থাকনা দূরে লেখালেখির ঝামেলা ।
দিন শুরু ঠান্ডা শিউরে উঠা সরু শরীরের তাবত রোম গুনে
সন্ধ্যায় চিন্তার প্রহর খাড়া বড্ড, রাতে কাটে অভিমানে ।
ঘুমের আগে কি হবে কি হল ভেবে ভেবে প্রজাপতির ঝটপটানি
উন্মাদ কীটপতঙ্গের বিরহনী নিদ হরা অশ্লীল শব্দের গুনগুনানি ।
ধ্যাতেরিকা কিসের কি বলতে গেলে কিছু পালটে অন্যরকম
বলিনা তাই, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী আমি শুনি অবিরাম রোলিং স্টোন ।
0 notes
Text
রঙের কলরব
চারিদিকে এত রঙ, তবু নেই রঙের প্রশস্তি
ঘুরেফিরে সাদা কালো আচড় কাটে এতে নেই স্বস্তি।
ক্লান্তিগুলো ধুসর হলে স্মৃতি তবে তার গাড় কাল হবে
ধরাবাধা নিয়ম কেন রংধনুতে সাত রঙ থাকবে?
1 note
·
View note
Text
সসীম
ভুল করে যায় বলি ভুল হয়ত বিবরণ যেমন করে রাতে আকাশ ঢাকা রাতের আস্তরণ। গুণনীয় গুনীতক একের ভোগে কে গোনে সস্তার আকার বিলাসিতা থাকে আনমনে। মিলে না মিলে কঠিন কঠিন শব্দ উচ্চারণ এটা কবিতা না, শুধু নষ্ট সময় অকারণ।
1 note
·
View note
Text
ক্ষণকাব্য
ধুয়াভরা চারিধার বোনা অন্ধকারের জাল, প্রাণী আছে এখানে তবু প্রাণের আকাল। জাগ্রত কিছু ক্ষুধার্ত প্রাণীর অক্ষম আস্ফলন, নিশ্বাস বইছে বাকিদের, শব্দ নির্ভার অকারণ।
0 notes
Text
কুল-কাকলী
ফিঙে রাজার উচু লেজে বাধা হাজার ফড়িঙের মৃত্যুবাণ
চাতকের জল হতাশা, ডেকে ডেকে মেঘ আনে, জন্মে দেখ হাজার প্রাণ ।
1 note
·
View note
Text
অন্তক্ষরণ
পুড়ছে মনে মনে, যাচ্ছে না দেখা বাহির থেকে
বিলাসী শহর বুঝবেনা এই দহন, জ্বলে একান্তে ।
সামান্য কোনও কোথাও একটু কথার বিন্দু বিধে আছে
কেবা নিবে তার খবর, থাকনা আনমনে যা বিধেছে ।
বেদন সহন হয়ে আছে জন্মথেকেই এটুকু আশীর্বাদ
মুঠোখোলা ছড়ান দৃষ্টি জঠর ভরা ব্যথার নিনাদ ।
আক্ষেপে জড়িয়ে ধরা স্বপ্নিল রাতের নিস্তব্দ গৃহকোণ
হিম বাতাসের দখলে সেটুকুও, কেপেওঠা আবরন ।
ক্ষণে ক্ষণে রুদ্ধ খুলতে চাইছে অর্গল আবেগের
হচ্ছে যা হোক, কি আসে যায় বিস্তীর্ণ এই বিশ্বকোলাহলের ।
0 notes
Text
ছন্নছাড়ার বিশ্বদর্শন ।
ধুম্রকাননে আখিদুত্যি কমে গেছে, দৃষ্টির বাহাদুরি
অন্তিম রাত্রির বক্ষভিদে ভোরের আগ���নি ভৈরবী ।
শারদের অভাব বোঝে উস্তাদের হাতের মাদুলি
বাতাসে উদাসী সুর, চোখ মেলেছে কলি, আসেনি বুলবুলি ।
কুয়াশার কনা ছুয়ে গেছে ভুরু, আর চুলের ভগ্নাংশ
উড়ি উড়ি প্রজাপতি ডানা গেছে ভিজে, পারেনি উড়তে কিয়দংশ ।
ভোরের পূজারীদের হাক ডাক চারিদিকে বাস্ত্যতার আবির্ভাব
নিস্তব্দতা ভঙ্গুর এখন, আধা ক্লান্ত কুম্ভকর্ণেরা সব ।
আঙ্গুলের মাঝে অগ্নিখরে , ধুয়া মিলে যায় ভোরের সুরে
ছন্নছাড়ার বিশ্ব দর্শন এর থেকে আর কি ভাল হতে পারে ?
1 note
·
View note
Text
আমি বাপু কেমন ছেলে ।
আমি কে আমি কে, বিড়বিড়িয়ে ছাদ দেখি, দেখি সিলিং ফ্যান
মাকড়শা ভেগেছে ভয়ে, ঘর জুড়ে আধখাওয়া কোকের ক্যান ।
অলস বড্ড একা আমি, কুড়ে আর নোংরার হদ্দ ,
পাখা ভাঙ্গা মাছি আছে পড়ে, কিছু মৃত বাকি আধা ছদ্দ ।
সিগারটের আধ পুছ আছে সদ্য শেষ হওয়া প্যাকেটে,
এখন ধুয়া উড়ে একে বেকে, সরল গরল নানা ব্রাকেটে ।
ইদুরে কেটেছে মোবাইলের সরু চারজার এর মাথা সুক্ষ করে,
ধ্যাত্তেরি সময় কোথা বাবা ঠিক করি নি, আছে অমনি পড়ে ।
ঘরে নাই একটাও ঘড়ি নেই তাই হিসেব সময়ের
ক্যালেন্ডার গুলার পাতা ফিক্স, হতে পারেনি জানুয়ারী ছেড়ে বের ।
অনেক লিখেছি বাবা আবার একটু ভাবতে চাই,
অইটাই করি বাপু, আর কিছুতে সত্তিই আমি নাই ।
- সাইফ (ghuni)
0 notes