#[[TrueSalvation]]
Explore tagged Tumblr posts
Text
The True Path to Salvation: Why Religion Alone Cannot Save Us

Many people turn to religion seeking salvation, hoping that by following a set of rules or rituals, they can earn their place in heaven. But what does the Bible, the word of God, say about this? According to Ephesians 2:8-9, "For by grace are ye saved through faith; and that not of yourselves: it is the gift of God: Not of works, lest any man should boast." This passage clearly states that salvation comes through faith in God's grace, not through our own works or religious practices. Our salvation is not something we can earn; it’s a gift from God, given freely to those who put their trust in Jesus Christ. This doesn’t mean that church practices are irrelevant, but rather that they are not the means by which we are saved. Jesus has already secured our salvation by dying on the cross because of His love for us and His knowledge that we cannot save ourselves. As John 3:16 says, "For God so loved the world, that he gave his only begotten Son, that whosoever believeth in him should not perish, but have everlasting life." This verse highlights the incredible love and grace of God, who offers salvation to all who believe in His Son, Jesus Christ. Salvation is not earned through human efforts or good deeds or merits; it’s a gift from God, made possible through His grace and the sacrifice of Jesus Christ. No amount of religious striving can earn us eternal life—it's only through faith in Jesus that we can have true salvation. Our salvation is entirely dependent on God's grace, not on our own efforts or merits. It’s a humbling reminder that we cannot save ourselves. In John 14:6, Jesus declares, "I am the way, the truth, and the life: no man cometh unto the Father, but by me." Here, Jesus makes it clear that He is the only way to God the Father. Salvation is found in a personal relationship with Jesus Christ, not through religious systems or rituals. Religious systems are man-made and no man can dictate the way to reach God; it is God who reached out to us by sending His only begotten Son to save us. Consider also Matthew 7:21-23, where Jesus says, "Not every one that saith unto me, Lord, Lord, shall enter into the kingdom of heaven; but he that doeth the will of my Father which is in heaven." This passage emphasizes the importance of aligning our lives with God's will and putting only our faith in Him, rather than just going through religious motions. The message is clear: religion alone cannot save us. It is only through God's grace, as revealed in Jesus Christ, that we can have true salvation and eternal life. We should place our faith not in our own religious efforts, but in the unmerited favor of God, who offers us forgiveness and redemption through His Son Jesus Christ. If you are still in doubt and unsure about where you will go after you die, it is not too late. Accept the love of God, humble yourself, acknowledge that you are a sinner who needs a Savior, and put your faith in Jesus Christ alone. He died for you to give you eternal life. You don’t know what will happen tomorrow. Accept Jesus as your Lord and personal Savior. Don’t wait until it’s too late. Seek the Lord while He may be found; call on Him while He is near. Now is the time, now is the day of salvation. As 2 Corinthians 6:2 says, "For he saith, I have heard thee in a time accepted, and in the day of salvation have I succoured thee: behold, now is the accepted time; behold, now is the day of salvation." How to be saved? Read: ABC of Salvation or Romans Road to Salvation Read the full article
#2Corinthians6:2#Bibleteachingsonsalvation#Christianblog#Christianfaith#DayofSalvation#Ephesians2:8-9#EternalLife#FaithinJesusChrist#GiftofGod#GraceofGod#JesusChristSavior#John14:6#John3:16#Matthew7:21-23#PersonalSavior#RelationshipwithJesus#ReligionandSalvation#Religiouspractices#salvation#Truesalvation
0 notes
Text

#KnowingChrist#NowChrist#TrueSalvation#Salvation#eternity#eternallife#Bible#Truth#BibleTruth#Top10#getnotesonlife#YourDailyNote#NotesOnLife
1 note
·
View note
Text
True Salvation Comes Through Surrender
Going to church will not save you. Singing songs will not save you. Taking communion will not save you.
True salvation is not about the rituals we perform—it is about a personal relationship with Jesus. The only way to be saved is to surrender your life to Him, repent of your sins, and turn back to Jesus.
When you open your heart and allow His grace to transform you, you receive the gift of salvation—a gift that cannot be earned but only received through faith and surrender.
Are you ready to take that step?
Let go, and let Jesus lead you to a life of hope and eternal love.
#TrueSalvation #SurrenderToJesus #RepentAndBelieve #Grace #EternalLife
0 notes
Photo

God hates sin....Repent Today! #CometoJesus #repentfromyoursins #truesalvation #jesusiscomingsoon (at London, United Kingdom) https://www.instagram.com/p/B0A0osgFAxC/?igshid=1r0pzyykkdrt6
0 notes
Text
@mintdeception
“You best be prepared for the best chocolates you’ve ever had in your life tomorrow!”
3 notes
·
View notes
Photo

During lent season to good Friday he died for our sins #truth #jesus #god #truesalvation #spiritualmotivation #lentseason #lent #thepassion
0 notes
Text







পাপের আকর্ষণ থেকে মুক্তিই প্রকৃত নাজাত
Freedom from the attraction of sin is true salvation
নাজাতের মাস মাহে রমজান
মাহে রমজান হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার শাশ্বত জীবন বিধান আল কোরআন নাজীলের মাস। আল কোরআনের ভাষায় “রমজান মাস, এ মাসেই কোরআন নাজীল হয়েছে, যা সমগ্র মানবজাতীর৩ জন্য দিশারী, সত্যপথের স্পষ্ট পথনির্দেশকারী এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্য নিরুপণকারী।” (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৫)।
নাজাত মানে মুক্তি, মুক্তি পাওয়া, মুক্তি দেওয়া, মুক্ত হওয়া ও মুক্ত করা। রমজানের নাজাতের অর্থ হলো এই মাসে মানুষ পাপ–পঙ্কিলতা, গুনাহ ও আবিলতা থেকে মুক্ত হবে, জাহান্নাম থেকে মুক্ত হবে; পাপের আকর্ষণ থেকে মুক্ত হবে। গাইরুল্লাহর মহব্বত থেকে মুক্ত হবে, দুনিয়ার মহব্বত থেকে মুক্ত হবে। আল্লাহর আজাব ও গজব থেকে মুক্ত হবে, আসমানি–জমিনি ও রুহানি–জিসমানি (আত্মিক–শারীরিক) রোগ–শোক, জরা–ব্যাধি থেকে মুক্ত হবে।
নবী–রাসুলগণ মাছুম বা নিষ্পাপ হওয়ার কারণে তাঁরা শয়তানি কুমন্ত্রণা ও রিপুর তাড়না থেকে মুক্ত ছিলেন। এ ছাড়া যেসব মুমিন মুসলিম শৈশব থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সব ধরনের পাপ থেকে মুক্ত থাকার সৌভাগ্য লাভ করেন, তাদের মাদারজাদ (আজন্ম) ওলি বলা হয়। সব মানুষের সঙ্গে শয়তান নিয়োজিত আছে, (সুরা-৫০ কফ, আয়াত: ২৭)। আর জীবনে–মরণে ও ইহকালে–পরকালে একাত্ম সঙ্গী হিসেবে নফস রয়েছে। নফস হলো ষড়্রিপু, তথা কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ, মাৎসর্য।
পবিত্র মাহে রমজানে জিন শয়তানকে বন্দী করে রাখা হয়। কিন্তু মানুষ শয়তান ও নফস শয়তান তখনো সক্রিয় থাকে। তাই মানুষ পাপাচার থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হতে পারে না। পাপতাপ থেকে পরিপূর্ণভাবে মুক্তির জন্য প্রথমে ষড়্রিপুর তাড়না থেকে মুক্ত হয়ে নফস শয়তানকে পরাভূত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, মনুষ্য শয়তানের প্রভাবমুক্ত হওয়ার জন্য অসৎসঙ্গ ত্যাগ করে সৎসঙ্গ অর্জন করতে হবে। এই দুটি সুসম্পন্ন হলেই পরিপূর্ণরূপে শয়তানের প্রভাব থেকে আত্মরক্ষা করা যাবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, আর সত্যবাদীগণের সঙ্গী হও।’ (সুরা-৯ তাওবাহ, আয়াত: ১১৯)।
নাফস তথা রিপুর সমন্বয়ে গঠিত মানবসত্তার তিন অবস্থা—যথা নাফসে আম্মারা, নাফসে লাউওয়ামা; নাফসে মুতমাইন্না। নাফসে আম্মারা ‘পাপাকৃষ্ট সত্তা’, যে পাপে অনুরক্ত ও পঙ্কিলতায় নিমজ্জিত। (সুরা-১২ ইউসুফ, আয়াত: ৫৩)। নাফসে লাউওয়ামা ‘অনুতপ্তসত্তা’; যে শয়তানের ধোঁকায় বা রিপুর তাড়নায় অথবা পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ও পরিস্থিতির প্রভাবে সাময়িক পাপ করে এবং লজ্জিত, অনুতপ্ত হয়ে তওবাও করে। অর্থাৎ কখনো পাপে অনুরাগ আবার কখনো তাতে অনুতাপ হয়। (সুরা-৭৫ কিয়ামাহ, আয়াত: ২)। নাফসে মুতমাইন্না ‘প্রশান্ত আত্মা’, যার পাপের প্রতি বিরাগ এবং নেকির প্রতি অনুরাগ থাকে। (সুরা-৮৯ ফাজর, আয়াত: ২৭-৩০)।
নাফসে আম্মারা ও নাফসে লাউওয়ামাকে নাফসে মুতমাইন্নায় পরিণত করাই রমজানের প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতঃপর তাকে তার অসৎ কর্ম ও সৎ কর্মের জ্ঞান দান করেছেন। সে নিশ্চিত সফল হলো, যে তার নাফসকে পবিত্র করল; আর সে ব্যর্থ হলো, যে নাফসকে কলুষিত করল।’ (সুরা-৯১ শামস, আয়াত: ৮-১০)। নাজাতের অর্থ হলো সব দোষত্রুটি থেকে নিজেকে ��ুক্ত করা ও পবিত্র রাখা এবং সদগুণাবলি অর্জন করে স্থায়ী মুক্তি নিশ্চিত করা। যাতে নাফসে মুতমাইন্না অবস্থা থেকে পুনরায় লাউওয়ামা বা আম্মারার দিকে ফিরে না যায়।
নাজাত বা মোহমুক্তির উপায় হলো তাওবাহ ও ইস্তিগফার করা। তওবা মানে হলো পাপ ছেড়ে পুণ্যে মনোনিবেশ করা। ইস্তিগফার হলো কৃত অপরাধের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়েÿক্ষমা প্রার্থনা করা এবং পুনরায় ওই অপরাধ বা পাপ না করার অঙ্গীকার করা ও দৃঢ়সংকল্প হওয়া।
জাগতিক সব মোহ–মায়া আকর্ষণ থেকে মুক্ত হওয়ার চমৎকার একটি মাধ্যম হলো ইতিকাফ। এতে বান্দা সবকিছু থেকে মুক্ত হয়ে একান্তভাবে আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে যান। আল্লাহ তাআলা কোরআন করিমে বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর দিকে পালিয়ে আসো।’ (সুরা-৫১ জারিয়াত, আয়াত: ৫০)। পাপ থেকে পাপের অকল্যাণ ও অমঙ্গল থেকে, পাপের ভয়ংকর ভয়াবহ মন্দ পরিণতি থেকে সর্বোপরি পাপের আকর্ষণ ও মোহ থেকে আত্মরক্ষার জন্য ও মুক্ত হওয়ার জন্যই ইতিকাফ। হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম মহিমান্বিত রজনী শবে বরাত প্রাপ্তির জন্য ইতিকাফ। রমজানের বিশেষ সুন্নতে মুআক্কাদা কিফায়া আমল ইতিকাফ। ইতিকাফ তাকওয়ার রুদ্ধদ্বার প্রশিক্ষণ।
রোজাদারদের মধ্যে এমন অনেক ইমানদার আছেন, যাঁরা তাকওয়া ও পরহেজগারসম্পন্ন এবং তাঁরা যাবতীয় পাপাচার ও বর্জনীয় কাজকর্ম থেকে বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত সতর্ক থাকেন। তথাপি সিয়াম-সাধনার মধ্যে কোনো রকম ভুলত্রুটি হয়ে গেলে তৎক্ষণাৎ তাঁরা তওবা ও ইস্তেগফার করে নিজেদের সংশোধন ও ত্রুটিমুক্ত করে নেন। এই শ্রেণীর রোজাদারদের প্রতি রমজান মাস শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রহমতের বারি বর্ষণ হতে থাকে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে: ‘আর তিনিই (আল্লাহ) তাঁর বান্দাদের তওবা কবুল করেন এবং পাপসমূহ ক্ষমা করে দেন।’ (সূরা-আশ শুরা, আয়াত: ১৫) মাহে রমজানের মধ্যে জাগতিক কল্যাণ ও পারলৌকিক মুক্তির বার্তা রয়েছে। ইহকালীন কল্যাণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়েই রোজাদার পারলৌকিক শান্তির পথ রচনা করবে। তাই সিয়াম-সাধনার মাধ্যমে আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভ করে ক্ষমা, মুক্তি ও নিষ্কৃতিপ্রাপ্তদের মধ্যে নিজেদের অধিষ্ঠিত করা প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের একান্ত কাম্য হওয়া উচিত।
নাজাতের মাস মাহে রমজান
youtube
তওবা আর মাগফেরাত অর্থ কি?
youtube
youtube
youtube
youtube
প্রকৃত নাজাত
salvation
#নাজাত#Youtube#প্রকৃতনাজাত#truesalvation#salvation#Freedom from the attraction of sin is true salvation
0 notes
Text







পাপের আকর্ষণ থেকে মুক্তিই প্রকৃত নাজাত
Freedom from the attraction of sin is true salvation
নাজাতের মাস মাহে রমজান
মাহে রমজান হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার শাশ্বত জীবন বিধান আল কোরআন নাজীলের মাস। আল কোরআনের ভাষায় “রমজান মাস, এ মাসেই কোরআন নাজীল হয়েছে, যা সমগ্র মানবজাতীর৩ জন্য দিশারী, সত্যপথের স্পষ্ট পথনির্দেশকারী এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্য নিরুপণকারী।” (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৫)।
নাজাত মানে মুক্তি, মুক্তি পাওয়া, মুক্তি দেওয়া, মুক্ত হওয়া ও মুক্ত করা। রমজানের নাজাতের অর্থ হলো এই মাসে মানুষ পাপ–পঙ্কিলতা, গুনাহ ও আবিলতা থেকে মুক্ত হবে, জাহান্নাম থেকে মুক্ত হবে; পাপের আকর্ষণ থেকে মুক্ত হবে। গাইরুল্লাহর মহব্বত থেকে মুক্ত হবে, দুনিয়ার মহব্বত থেকে মুক্ত হবে। আল্লাহর আজাব ও গজব থেকে মুক্ত হবে, আসমানি–জমিনি ও রুহানি–জিসমানি (আত্মিক–শারীরিক) রোগ–শোক, জরা–ব্যাধি থেকে মুক্ত হবে।
নবী–রাসুলগণ মাছুম বা নিষ্পাপ হওয়ার কারণে তাঁরা শয়তানি কুমন্ত্রণা ও রিপুর তাড়না থেকে মুক্ত ছিলেন। এ ছাড়া যেসব মুমিন মুসলিম শৈশব থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সব ধরনের পাপ থেকে মুক্ত থাকার সৌভাগ্য লাভ করেন, তাদের মাদারজাদ (আজন্ম) ওলি বলা হয়। সব মানুষের সঙ্গে শয়তান নিয়োজিত আছে, (সুরা-৫০ কফ, আয়াত: ২৭)। আর জীবনে–মরণে ও ইহকালে–পরকালে একাত্ম সঙ্গী হিসেবে নফস রয়েছে। নফস হলো ষড়্রিপু, তথা কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ, মাৎসর্য।
পবিত্র মাহে রমজানে জিন শয়তানকে বন্দী করে রাখা হয়। কিন্তু মানুষ শয়তান ও নফস শয়তান তখনো সক্রিয় থাকে। তাই মানুষ পাপাচার থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হতে পারে না। পাপতাপ থেকে পরিপূর্ণভাবে মুক্তির জন্য প্রথমে ষড়্রিপুর তাড়না থেকে মুক্ত হয়ে নফস শয়তানকে পরাভূত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, মনুষ্য শয়তানের প্রভাবমুক্ত হওয়ার জন্য অসৎসঙ্গ ত্যাগ করে সৎসঙ্গ অর্জন করতে হবে। এই দুটি সুসম্পন্ন হলেই পরিপূর্ণরূপে শয়তানের প্রভাব থেকে আত্মরক্ষা করা যাবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, আর সত্যবাদীগণের সঙ্গী হও।’ (সুরা-৯ তাওবাহ, আয়াত: ১১৯)।
নাফস তথা রিপুর সমন্বয়ে গঠিত মানবসত্তার তিন অবস্থা—যথা নাফসে আম্মারা, নাফসে লাউওয়ামা; নাফসে মুতমাইন্না। নাফসে আম্মারা ‘পাপাকৃষ্ট সত্তা’, যে পাপে অনুরক্ত ও পঙ্কিলতায় নিমজ্জিত। (সুরা-১২ ইউসুফ, আয়াত: ৫৩)। নাফসে লাউওয়ামা ‘অনুতপ্তসত্তা’; যে শয়তানের ধোঁকায় বা রিপুর তাড়নায় অথবা পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ও পরিস্থিতির প্রভাবে সাময়িক পাপ করে এবং লজ্জিত, অনুতপ্ত হয়ে তওবাও করে। অর্থাৎ কখনো পাপে অনুরাগ আবার কখনো তাতে অনুতাপ হয়। (সুরা-৭৫ কিয়ামাহ, আয়াত: ২)। নাফসে মুতমাইন্না ‘প্রশান্ত আত্মা’, যার পাপের প্রতি বিরাগ এবং নেকির প্রতি অনুরাগ থাকে। (সুরা-৮৯ ফাজর, আয়াত: ২৭-৩০)।
নাফসে আম্মারা ও নাফসে লাউওয়ামাকে নাফসে মুতমাইন্নায় পরিণত করাই রমজানের প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতঃপর তাকে তার অসৎ কর্ম ও সৎ কর্মের জ্ঞান দান করেছেন। সে নিশ্চিত সফল হলো, যে তার নাফসকে পবিত্র করল; আর সে ব্যর্থ হলো, যে নাফসকে কলুষিত করল।’ (সুরা-৯১ শামস, আয়াত: ৮-১০)। নাজাতের অর্থ হলো সব দোষত্রুটি থেকে নিজেকে মুক্ত করা ও পবিত্র রাখা এবং সদগুণাবলি অর্জন করে স্থায়ী মুক্তি নিশ্চিত করা। যাতে নাফসে মুতমাইন্না অবস্থা থেকে পুনরায় লাউওয়ামা বা আম্মারার দিকে ফিরে না যায়।
নাজাত বা মোহমুক্তির উপায় হলো তাওবাহ ও ইস্তিগফার করা। তওবা মানে হলো পাপ ছেড়ে পুণ্যে মনোনিবেশ করা। ইস্তিগফার হলো কৃত অপরাধের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়েÿক্ষমা প্রার্থনা করা এবং পুনরায় ওই অপরাধ বা পাপ না করার অঙ্গীকার করা ও দৃঢ়সংকল্প হওয়া।
জাগতিক সব মোহ–মায়া আকর্ষণ থেকে মুক্ত হওয়ার চমৎকার একটি মাধ্যম হলো ইতিকাফ। এতে বান্দা সবকিছু থেকে মুক্ত হয়ে একান্তভাবে আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে যান। আল্লাহ তাআলা কোরআন করিমে বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর দিকে পালিয়ে আসো।’ (সুরা-৫১ জারিয়াত, আয়াত: ৫০)। পাপ থেকে পাপের অকল্যাণ ও অমঙ্গল থেকে, পাপের ভয়ংকর ভয়াবহ মন্দ পরিণতি থেকে সর্বোপরি পাপের আকর্ষণ ও মোহ থেকে আত্মরক্ষার জন্য ও মুক্ত হওয়ার জন্যই ইতিকাফ। হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম মহিমান্বিত রজনী শবে বরাত প্রাপ্তির জন্য ইতিকাফ। রমজানের বিশেষ সুন্নতে মুআক্কাদা কিফায়া আমল ইতিকাফ। ইতিকাফ তাকওয়ার রুদ্ধদ্বার প্রশিক্ষণ।
রোজাদারদের মধ্যে এমন অনেক ইমানদার আছেন, যাঁরা তাকওয়া ও পরহেজগারসম্পন্ন এবং তাঁরা যাবতীয় পাপাচার ও বর্জনীয় কাজকর্ম থেকে বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত সতর্ক থাকেন। তথাপি সিয়াম-সাধনার মধ্যে কোনো রকম ভুলত্রুটি হয়ে গেলে তৎক্ষণাৎ তাঁরা তওবা ও ইস্তেগফার করে নিজেদের সংশোধন ও ত্রুটিমুক্ত করে নেন। এই শ্রেণীর রোজাদারদের প্রতি রমজান মাস শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রহমতের বারি বর্ষণ হতে থাকে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে: ‘আর তিনিই (আল্লাহ) তাঁর বান্দাদের তওবা কবুল করেন এবং পাপসমূহ ক্ষমা করে দেন।’ (সূরা-আশ শুরা, আয়াত: ১৫) মাহে রমজানের মধ্যে জাগতিক কল্যাণ ও পারলৌকিক মুক্তির বার্তা রয়েছে। ইহকালীন কল্যাণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়েই রোজাদার পারলৌকিক শান্তির পথ রচনা করবে। তাই সিয়াম-সাধনার মাধ্যমে আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভ করে ক্ষমা, মুক্তি ও নিষ্কৃতিপ্রাপ্তদের মধ্যে নিজেদের অধিষ্ঠিত করা প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের একান্ত কাম্য হওয়া উচিত।
নাজাতের মাস মাহে রমজান
youtube
তওবা আর মাগফেরাত অর্থ কি?
youtube
youtube
youtube
youtube
প্রকৃত নাজাত
#নাজাত#Youtube#প্রকৃতনাজাত#truesalvation#salvation#Freedom from the attraction of sin is true salvation
0 notes
Text







পাপের আকর্ষণ থেকে মুক্তিই প্রকৃত নাজাত
Freedom from the attraction of sin is true salvation
ন���জাতের মাস মাহে রমজান
মাহে রমজান হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার শাশ্বত জীবন বিধান আল কোরআন নাজীলের মাস। আল কোরআনের ভাষায় “রমজান মাস, এ মাসেই কোরআন নাজীল হয়েছে, যা সমগ্র মানবজাতীর৩ জন্য দিশারী, সত্যপথের স্পষ্ট পথনির্দেশকারী এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্য নিরুপণকারী।” (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৫)।
নাজাত মানে মুক্তি, মুক্তি পাওয়া, মুক্তি দেওয়া, মুক্ত হওয়া ও মুক্ত করা। রমজানের নাজাতের অর্থ হলো এই মাসে মানুষ পাপ–পঙ্কিলতা, গুনাহ ও আবিলতা থেকে মুক্ত হবে, জাহান্নাম থেকে মুক্ত হবে; পাপের আকর্ষণ থেকে মুক্ত হবে। গাইরুল্লাহর মহব্বত থেকে মুক্ত হবে, দুনিয়ার মহব্বত থেকে মুক্ত হবে। আল্লাহর আজাব ও গজব থেকে মুক্ত হবে, আসমানি–জমিনি ও রুহানি–জিসমানি (আত্মিক–শারীরিক) রোগ–শোক, জরা–ব্যাধি থেকে মুক্ত হবে।
নবী–রাসুলগণ মাছুম বা নিষ্পাপ হওয়ার কারণে তাঁরা শয়তানি কুমন্ত্রণা ও রিপুর তাড়না থেকে মুক্ত ছিলেন। এ ছাড়া যেসব মুমিন মুসলিম শৈশব থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সব ধরনের পাপ থেকে মুক্ত থাকার সৌভাগ্য লাভ করেন, তাদের মাদারজাদ (আজন্ম) ওলি বলা হয়। সব মানুষের সঙ্গে শয়তান নিয়োজিত আছে, (সুরা-৫০ কফ, আয়াত: ২৭)। আর জীবনে–মরণে ও ইহকালে–পরকালে একাত্ম সঙ্গী হিসেবে নফস রয়েছে। নফস হলো ষড়্রিপু, তথা কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ, মাৎসর্য।
পবিত্র মাহে রমজানে জিন শয়তানকে বন্দী করে রাখা হয়। কিন্তু মানুষ শয়তান ও নফস শয়তান তখনো সক্রিয় থাকে। তাই মানুষ পাপাচার থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হতে পারে না। পাপতাপ থেকে পরিপূর্ণভাবে মুক্তির জন্য প্রথমে ষড়্রিপুর তাড়না থেকে মুক্ত হয়ে নফস শয়তানকে পরাভূত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, মনুষ্য শয়তানের প্রভাবমুক্ত হওয়ার জন্য অসৎসঙ্গ ত্যাগ করে সৎসঙ্গ অর্জন করতে হবে। এই দুটি সুসম্পন্ন হলেই পরিপূর্ণরূপে শয়তানের প্রভাব থেকে আত্মরক্ষা করা যাবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, আর সত্যবাদীগণের সঙ্গী হও।’ (সুরা-৯ তাওবাহ, আয়াত: ১১৯)।
নাফস তথা রিপুর সমন্বয়ে গঠিত মানবসত্তার তিন অবস্থা—যথা নাফসে আম্মারা, নাফসে লাউওয়ামা; নাফসে মুতমাইন্না। নাফসে আম্মারা ‘পাপাকৃষ্ট সত্তা’, যে পাপে অনুরক্ত ও পঙ্কিলতায় নিমজ্জিত। (সুরা-১২ ইউসুফ, আয়াত: ৫৩)। নাফসে লাউওয়ামা ‘অনুতপ্তসত্তা’; যে শয়তানের ধোঁকায় বা রিপুর তাড়নায় অথবা পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ও পরিস্থিতির প্রভাবে সাময়িক পাপ করে এবং লজ্জিত, অনুতপ্ত হয়ে তওবাও করে। অর্থাৎ কখনো পাপে অনুরাগ আবার কখনো তাতে অনুতাপ হয়। (সুরা-৭৫ কিয়ামাহ, আয়াত: ২)। নাফসে মুতমাইন্না ‘প্রশান্ত আত্মা’, যার পাপের প্রতি বিরাগ এবং নেকির প্রতি অনুরাগ থাকে। (সুরা-৮৯ ফাজর, আয়াত: ২৭-৩০)।
নাফসে আম্মারা ও নাফসে লাউওয়ামাকে নাফসে মুতমাইন্নায় পরিণত করাই রমজানের প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতঃপর তাকে তার অসৎ কর্ম ও সৎ কর্মের জ্ঞান দান করেছেন। সে নিশ্চিত সফল হলো, যে তার নাফসকে পবিত্র করল; আর সে ব্যর্থ হলো, যে নাফসকে কলুষিত করল।’ (সুরা-৯১ শামস, আয়াত: ৮-১০)। নাজাতের অর্থ হলো সব দোষত্রুটি থেকে নিজেকে মুক্ত করা ও পবিত্র রাখা এবং সদগুণাবলি অর্জন করে স্থায়ী মুক্তি নিশ্চিত করা। যাতে নাফসে মুতমাইন্না অবস্থা থেকে পুনরায় লাউওয়ামা বা আম্মারার দিকে ফিরে না যায়।
নাজাত বা মোহমুক্তির উপায় হলো তাওবাহ ও ইস্তিগফার করা। তওবা মানে হলো পাপ ছেড়ে পুণ্যে মনোনিবেশ করা। ইস্তিগফার হলো কৃত অপরাধের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়েÿক্ষমা প্রার্থনা করা এবং পুনরায় ওই অপরাধ বা পাপ না করার অঙ্গীকার করা ও দৃঢ়সংকল্প হওয়া।
জাগতিক সব মোহ–মায়া আকর্ষণ থেকে মুক্ত হওয়ার চমৎকার একটি মাধ্যম হলো ইতিকাফ। এতে বান্দা সবকিছু থেকে মুক্ত হয়ে একান্তভাবে আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে যান। আল্লাহ তাআলা কোরআন করিমে বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর দিকে পালিয়ে আসো।’ (সুরা-৫১ জারিয়াত, আয়াত: ৫০)। পাপ থেকে পাপের অকল্যাণ ও অমঙ্গল থেকে, পাপের ভয়ংকর ভয়াবহ মন্দ পরিণতি থেকে সর্বোপরি পাপের আকর্ষণ ও মোহ থেকে আত্মরক্ষার জন্য ও মুক্ত হওয়ার জন্যই ইতিকাফ। হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম মহিমান্বিত রজনী শবে বরাত প্রাপ্তির জন্য ইতিকাফ। রমজানের বিশেষ সুন্নতে মুআক্কাদা কিফায়া আমল ইতিকাফ। ইতিকাফ তাকওয়ার রুদ্ধদ্বার প্রশিক্ষণ।
রোজাদারদের মধ্যে এমন অনেক ইমানদার আছেন, যাঁরা তাকওয়া ও পরহেজগারসম্পন্ন এবং তাঁরা যাবতীয় পাপাচার ও বর্জনীয় কাজকর্ম থেকে বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত সতর্ক থাকেন। তথাপি সিয়াম-সাধনার মধ্যে কোনো রকম ভুলত্রুটি হয়ে গেলে তৎক্ষণাৎ তাঁরা তওবা ও ইস্তেগফার করে নিজেদের সংশোধন ও ত্রুটিমুক্ত করে নেন। এই শ্রেণীর রোজাদারদের প্রতি রমজান মাস শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রহমতের বারি বর্ষণ হতে থাকে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে: ‘আর তিনিই (আল্লাহ) তাঁর বান্দাদের তওবা কবুল করেন এবং পাপসমূহ ক্ষমা করে দেন।’ (সূরা-আশ শুরা, আয়াত: ১৫) মাহে রমজানের মধ্যে জাগতিক কল্যাণ ও পারলৌকিক মুক্তির বার্তা রয়েছে। ইহকালীন কল্যাণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়েই রোজাদার পারলৌকিক শান্তির পথ রচনা করবে। তাই সিয়াম-সাধনার মাধ্যমে আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভ করে ক্ষমা, মুক্তি ও নিষ্কৃতিপ্রাপ্তদের মধ্যে নিজেদের অধিষ্ঠিত করা প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের একান্ত কাম্য হওয়া উচিত।
নাজাতের মাস মাহে রমজান
youtube
তওবা আর মাগফেরাত অর্থ কি?
youtube
youtube
youtube
youtube
প্রকৃত নাজাত
#নাজাত#Youtube#প্রকৃতনাজাত#truesalvation#salvation#Freedom from the attraction of sin is true salvation
0 notes
Text
The True Path to Salvation: Why Religion Alone Cannot Save Us

Many people turn to religion seeking salvation, hoping that by following a set of rules or rituals, they can earn their place in heaven. But what does the Bible, the word of God, say about this? According to Ephesians 2:8-9, "For by grace are ye saved through faith; and that not of yourselves: it is the gift of God: Not of works, lest any man should boast." This passage clearly states that salvation comes through faith in God's grace, not through our own works or religious practices. Our salvation is not something we can earn; it’s a gift from God, given freely to those who put their trust in Jesus Christ. This doesn’t mean that church practices are irrelevant, but rather that they are not the means by which we are saved. Jesus has already secured our salvation by dying on the cross because of His love for us and His knowledge that we cannot save ourselves. As John 3:16 says, "For God so loved the world, that he gave his only begotten Son, that whosoever believeth in him should not perish, but have everlasting life." This verse highlights the incredible love and grace of God, who offers salvation to all who believe in His Son, Jesus Christ. Salvation is not earned through human efforts or good deeds or merits; it’s a gift from God, made possible through His grace and the sacrifice of Jesus Christ. No amount of religious striving can earn us eternal life—it's only through faith in Jesus that we can have true salvation. Our salvation is entirely dependent on God's grace, not on our own efforts or merits. It’s a humbling reminder that we cannot save ourselves. In John 14:6, Jesus declares, "I am the way, the truth, and the life: no man cometh unto the Father, but by me." Here, Jesus makes it clear that He is the only way to God the Father. Salvation is found in a personal relationship with Jesus Christ, not through religious systems or rituals. Religious systems are man-made and no man can dictate the way to reach God; it is God who reached out to us by sending His only begotten Son to save us. Consider also Matthew 7:21-23, where Jesus says, "Not every one that saith unto me, Lord, Lord, shall enter into the kingdom of heaven; but he that doeth the will of my Father which is in heaven." This passage emphasizes the importance of aligning our lives with God's will and putting only our faith in Him, rather than just going through religious motions. The message is clear: religion alone cannot save us. It is only through God's grace, as revealed in Jesus Christ, that we can have true salvation and eternal life. We should place our faith not in our own religious efforts, but in the unmerited favor of God, who offers us forgiveness and redemption through His Son Jesus Christ. If you are still in doubt and unsure about where you will go after you die, it is not too late. Accept the love of God, humble yourself, acknowledge that you are a sinner who needs a Savior, and put your faith in Jesus Christ alone. He died for you to give you eternal life. You don’t know what will happen tomorrow. Accept Jesus as your Lord and personal Savior. Don’t wait until it’s too late. Seek the Lord while He may be found; call on Him while He is near. Now is the time, now is the day of salvation. As 2 Corinthians 6:2 says, "For he saith, I have heard thee in a time accepted, and in the day of salvation have I succoured thee: behold, now is the accepted time; behold, now is the day of salvation." How to be saved? Read: ABC of Salvation or Romans Road to Salvation Read the full article
#2Corinthians6:2#Bibleteachingsonsalvation#Christianblog#Christianfaith#DayofSalvation#Ephesians2:8-9#EternalLife#FaithinJesusChrist#GiftofGod#GraceofGod#JesusChristSavior#John14:6#John3:16#Matthew7:21-23#PersonalSavior#RelationshipwithJesus#ReligionandSalvation#Religiouspractices#salvation#Truesalvation
0 notes
Text







পাপের আকর্ষণ থেকে মুক্তিই প্রকৃত নাজাত
Freedom from the attraction of sin is true salvation
নাজাতের মাস মাহে রমজান
মাহে রমজান হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার শাশ্বত জীবন বিধান আল কোরআন নাজীলের মাস। আল কোরআনের ভাষায় “রমজান মাস, এ মাসেই কোরআন নাজীল হয়েছে, যা সমগ্র মানবজাতীর৩ জন্য দিশারী, সত্যপথের স্পষ্ট পথনির্দেশকারী এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্য নিরুপণকারী।” (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৫)।
নাজাত মানে মুক্তি, মুক্তি পাওয়া, মুক্তি দেওয়া, মুক্ত হওয়া ও মুক্ত করা। রমজানের নাজাতের অর্থ হলো এই মাসে মানুষ পাপ–পঙ্কিলতা, গুনাহ ও আবিলতা থেকে মুক্ত হবে, জাহান্নাম থেকে মুক্ত হবে; পাপের আকর্ষণ থেকে মুক্ত হবে। গাইরুল্লাহর মহব্বত থেকে মুক্ত হবে, দুনিয়ার মহব্বত থেকে মুক্ত হবে। আল্লাহর আজাব ও গজব থেকে মুক্ত হবে, আসমানি–জমিনি ও রুহানি–জিসমানি (আত্মিক–শারীরিক) রোগ–শোক, জরা–ব্যাধি থেকে মুক্ত হবে।
নবী–রাসুলগণ মাছুম বা নিষ্পাপ হওয়ার কারণে তাঁরা শয়তানি কুমন্ত্রণা ও রিপুর তাড়না থেকে মুক্ত ছিলেন। এ ছাড়া যেসব মুমিন মুসলিম শৈশব থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সব ধরনের পাপ থেকে মুক্ত থাকার সৌভাগ্য লাভ করেন, তাদের মাদারজাদ (আজন্ম) ওলি বলা হয়। সব মানুষের সঙ্গে শয়তান নিয়োজিত আছে, (সুরা-৫০ কফ, আয়াত: ২৭)। আর জীবনে–মরণে ও ইহকালে–পরকালে একাত্ম সঙ্গী হিসেবে নফস রয়েছে। নফস হলো ষড়্রিপু, তথা কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ, মাৎসর্য।
পবিত্র মাহে রমজানে জিন শয়তানকে বন্দী করে রাখা হয়। কিন্তু মানুষ শয়তান ও নফস শয়তান তখনো সক্রিয় থাকে। তাই মানুষ পাপাচার থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হতে পারে না। পাপতাপ থেকে পরিপূর্ণভাবে মুক্তির জন্য প্রথমে ষড়্রিপুর তাড়না থেকে মুক্ত হয়ে নফস শয়তানকে পরাভূত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, মনুষ্য শয়তানের প্রভাবমুক্ত হওয়ার জন্য অসৎসঙ্গ ত্যাগ করে সৎসঙ্গ অর্জন করতে হবে। এই দুটি সুসম্পন্ন হলেই পরিপূর্ণরূপে শয়তানের প্রভাব থেকে আত্মরক্ষা করা যাবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, আর সত্যবাদীগণের সঙ্গী হও।’ (সুরা-৯ তাওবাহ, আয়াত: ১১৯)।
নাফস তথা রিপুর সমন্বয়ে গঠিত মানবসত্তার তিন অবস্থা—যথা নাফসে আম্মারা, নাফসে লাউওয়ামা; নাফসে মুতমাইন্না। নাফসে আম্মারা ‘পাপাকৃষ্ট সত্তা’, যে পাপে অনুরক্ত ও পঙ্কিলতায় নিমজ্জিত। (সুরা-১২ ইউসুফ, আয়াত: ৫৩)। নাফসে লাউওয়ামা ‘অনুতপ্তসত্তা’; যে শয়তানের ধোঁকায় বা রিপুর তাড়নায় অথবা পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ও পরিস্থিতির প্রভাবে সাময়িক পাপ করে এবং লজ্জিত, অনুতপ্ত হয়ে তওবাও করে। অর্থাৎ কখনো পাপে অনুরাগ আবার কখনো তাতে অনুতাপ হয়। (সুরা-৭৫ কিয়ামাহ, আয়াত: ২)। নাফসে মুতমাইন্না ‘প্রশান্ত আত্মা’, যার পাপের প্রতি বিরাগ এবং নেকির প্রতি অনুরাগ থাকে। (সুরা-৮৯ ফাজর, আয়াত: ২৭-৩০)।
নাফসে আম্মারা ও নাফসে লাউওয়ামাকে নাফসে মুতমাইন্নায় পরিণত করাই রমজানের প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতঃপর তাকে তার অসৎ কর্ম ও সৎ কর্মের জ্ঞান দান করেছেন। সে নিশ্চিত সফল হলো, যে তার নাফসকে পবিত্র করল; আর সে ব্যর্থ হলো, যে নাফসকে কলুষিত করল।’ (সুরা-৯১ শামস, আয়াত: ৮-১০)। নাজাতের অর্থ হলো সব দোষত্রুটি থেকে নিজেকে মুক্ত করা ও পবিত্র রাখা এবং সদগুণাবলি অর্জন করে স্থায়ী মুক্তি নিশ্চিত করা। যাতে নাফসে মুতমাইন্না অবস্থা থেকে পুনরায় লাউওয়ামা বা আম্মারার দিকে ফিরে না যায়।
নাজাত বা মোহমুক্তির উপায় হলো তাওবাহ ও ইস্তিগফার করা। তওবা মানে হলো পাপ ছেড়ে পুণ্যে মনোনিবেশ করা। ইস্তিগফার হলো কৃত অপরাধের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়েÿক্ষমা প্রার্থনা করা এবং পুনরায় ওই অপরাধ বা পাপ না করার অঙ্গীকার করা ও দৃঢ়সংকল্প হওয়া।
জাগতিক সব মোহ–মায়া আকর্ষণ থেকে মুক্ত হওয়ার চমৎকার একটি মাধ্যম হলো ইতিকাফ। এতে বান্দা সবকিছু থেকে মুক্ত হয়ে একান্তভাবে আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে যান। আল্লাহ তাআলা কোরআন করিমে বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর দিকে পালিয়ে আসো।’ (সুরা-৫১ জারিয়াত, আয়াত: ৫০)। পাপ থেকে পাপের অকল্যাণ ও অমঙ্গল থেকে, পাপের ভয়ংকর ভয়াবহ মন্দ পরিণতি থেকে সর্বোপরি পাপের আকর্ষণ ও মোহ থেকে আত্মরক্ষার জন্য ও মুক্ত হওয়ার জন্যই ইতিকাফ। হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম মহিমান্বিত রজনী শবে বরাত প্রাপ্তির জন্য ইতিকাফ। রমজানের বিশেষ সুন্নতে মুআক্কাদা কিফায়া আমল ইতিকাফ। ইতিকাফ তাকওয়ার রুদ্ধদ্বার প্রশিক্ষণ।
রোজাদারদের মধ্যে এমন অনেক ইমানদার আছেন, যাঁরা তাকওয়া ও পরহেজগারসম্পন্ন এবং তাঁরা যাবতীয় পাপাচার ও বর্জনীয় কাজকর্ম থেকে বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত সতর্ক থাকেন। তথাপি সিয়াম-সাধনার মধ্যে কোনো রকম ভুলত্রুটি হয়ে গেলে তৎক্ষণাৎ তাঁরা তওবা ও ইস্তেগফার করে নিজেদের সংশোধন ও ত্রুটিমুক্ত করে নেন। এই শ্রেণীর রোজাদারদের প্রতি রমজান মাস শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রহমতের বারি বর্ষণ হতে থাকে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে: ‘আর তিনিই (আল্লাহ) তাঁর বান্দাদের তওবা কবুল করেন এবং পাপসমূহ ক্ষমা করে দেন।’ (সূরা-আশ শুরা, আয়াত: ১৫) মাহে রমজানের মধ্যে জাগতিক কল্যাণ ও পারলৌকিক মুক্তির বার্তা রয়েছে। ইহকালীন কল্যাণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়েই রোজাদার পারলৌকিক শান্তির পথ রচনা করবে। তাই সিয়াম-সাধনার মাধ্যমে আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভ করে ক্ষমা, মুক্তি ও নিষ্কৃতিপ্রাপ্তদের মধ্যে নিজেদের অধিষ্ঠিত করা প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের একান্ত কাম্য হওয়া উচিত।
নাজাতের মাস মাহে রমজান
youtube
তওবা আর মাগফেরাত অর্থ কি?
youtube
youtube
youtube
youtube
প্রকৃত নাজাত
#নাজাত#Youtube#প্রকৃতনাজাত#truesalvation#salvation#Freedom from the attraction of sin is true salvation
0 notes
Text







পাপের আকর্ষণ থেকে মুক্তিই প্রকৃত নাজাত
Freedom from the attraction of sin is true salvation
নাজাতের মাস মাহে রমজান
মাহে রমজান হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার শাশ্বত জীবন বিধান আল কোরআন নাজীলের মাস। আল কোরআনের ভাষায় “রমজান মাস, এ মাসেই কোরআন নাজীল হয়েছে, যা সমগ্র মানবজাতীর৩ জন্য দিশারী, সত্যপথের স্পষ্ট পথনির্দেশকারী এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্য নিরুপণকারী।” (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৫)।
নাজাত মানে মুক্তি, মুক্তি পাওয়া, মুক্তি দেওয়া, মুক্ত হওয়া ও মুক্ত করা। রমজানের নাজাতের অর্থ হলো এই মাসে মানুষ পাপ–পঙ্কিলতা, গুনাহ ও আবিলতা থেকে মুক্ত হবে, জাহান্নাম থেকে মুক্ত হবে; পাপের আকর্ষণ থেকে মুক্ত হবে। গাইরুল্লাহর মহব্বত থেকে মুক্ত হবে, দুনিয়ার মহব্বত থেকে মুক্ত হবে। আল্লাহর আজাব ও গজব থেকে মুক্ত হবে, আসমানি–জমিনি ও রুহানি–জিসমানি (আত্মিক–শারীরিক) রোগ–শোক, জরা–ব্যাধি থেকে মুক্ত হবে।
নবী–রাসুলগণ মাছুম বা নিষ্পাপ হওয়ার কারণে তাঁরা শয়তানি কুমন্ত্রণা ও রিপুর তাড়না থেকে মুক্ত ছিলেন। এ ছাড়া যেসব মুমিন মুসলিম শৈশব থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সব ধরনের পাপ থেকে মুক্ত থাকার সৌভাগ্য লাভ করেন, তাদের মাদারজাদ (আজন্ম) ওলি বলা হয়। সব মানুষের সঙ্গে শয়তান নিয়োজিত আছে, (সুরা-৫০ কফ, আয়াত: ২৭)। আর জীবনে–মরণে ও ইহকালে–পরকালে একাত্ম সঙ্গী হিসেবে নফস রয়েছে। নফস হলো ষড়্রিপু, তথা কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ, মাৎসর্য।
পবিত্র মাহে রমজানে জিন শয়তানকে বন্দী করে রাখা হয়। কিন্তু মানুষ শয়তান ও নফস শয়তান তখনো সক্রিয় থাকে। তাই মানুষ পাপাচার থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হতে পারে না। পাপতাপ থেকে পরিপূর্ণভাবে মুক্তির জন্য প্রথমে ষড়্রিপুর তাড়না থেকে মুক্ত হয়ে নফস শয়তানকে পরাভূত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, মনুষ্য শয়তানের প্রভাবমুক্ত হওয়ার জন্য অসৎসঙ্গ ত্যাগ করে সৎসঙ্গ অর্জন করতে হবে। এই দুটি সুসম্পন্ন হলেই পরিপূর্ণরূপে শয়তানের প্রভাব থেকে আত্মরক্ষা করা যাবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, আর সত্যবাদীগণের সঙ্গী হও।’ (সুরা-৯ তাওবাহ, আয়াত: ১১৯)।
নাফস তথা রিপুর সমন্বয়ে গঠিত মানবসত্তার তিন অবস্থা—যথা নাফসে আম্মারা, নাফসে লাউওয়ামা; নাফসে মুতমাইন্না। নাফসে আম্মারা ‘পাপাকৃষ্ট সত্তা’, যে পাপে অনুরক্ত ও পঙ্কিলতায় নিমজ্জিত। (সুরা-১২ ইউসুফ, আয়াত: ৫৩)। নাফসে লাউওয়ামা ‘অনুতপ্তসত্তা’; যে শয়তানের ধোঁকায় বা রিপুর তাড়নায় অথবা পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ও পরিস্থিতির প্রভাবে সাময়িক পাপ করে এবং লজ্জিত, অনুতপ্ত হয়ে তওবাও করে। অর্থাৎ কখনো পাপে অনুরাগ আবার কখনো তাতে অনুতাপ হয়। (সুরা-৭৫ কিয়ামাহ, আয়াত: ২)। নাফসে মুতমাইন্না ‘প্রশান্ত আত্মা’, যার পাপের প্রতি বিরাগ এবং নেকির প্রতি অনুরাগ থাকে। (সুরা-৮৯ ফাজর, আয়াত: ২৭-৩০)।
নাফসে আম্মারা ও নাফসে লাউওয়ামাকে নাফসে মুতমাইন্নায় পরিণত করাই রমজানের প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতঃপর তাকে তার অসৎ কর্ম ও সৎ কর্মের জ্ঞান দান করেছেন। সে নিশ্চিত সফল হলো, যে তার নাফসকে পবিত্র করল; আর সে ব্যর্থ হলো, যে নাফসকে কলুষিত করল।’ (সুরা-৯১ শামস, আয়াত: ৮-১০)। নাজাতের অর্থ হলো সব দোষত্রুটি থেকে নিজেকে মুক্ত করা ও পবিত্র রাখা এবং সদগুণাবলি অর্জন করে স্থায়ী মুক্তি নিশ্চিত করা। যাতে নাফসে মুতমাইন্না অবস্থা থেকে পুনরায় লাউওয়ামা বা আম্মারার দিকে ফিরে না যায়।
নাজাত বা মোহমুক্তির উপায় হলো তাওবাহ ও ইস্তিগফার করা। তওবা মানে হলো পাপ ছেড়ে পুণ্যে মনোনিবেশ করা। ইস্তিগফার হলো কৃত অপরাধের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়েÿক্ষমা প্রার্থনা করা এবং পুনরায় ওই অপরাধ বা পাপ না করার অঙ্গীকার করা ও দৃঢ়সংকল্প হওয়া।
জাগতিক সব মোহ–মায়া আকর্ষণ থেকে মুক্ত হওয়ার চমৎকার একটি মাধ্যম হলো ইতিকাফ। এতে বান্দা সবকিছু থেকে মুক্ত হয়ে একান্তভাবে আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে যান। আল্লাহ তাআলা কোরআন করিমে বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর দিকে পালিয়ে আসো।’ (সুরা-৫১ জারিয়াত, আয়াত: ৫০)। পাপ থেকে পাপের অকল্যাণ ও অমঙ্গল থেকে, পাপের ভয়ংকর ভয়াবহ মন্দ পরিণতি থেকে সর্বোপরি পাপের আকর্ষণ ও মোহ থেকে আত্মরক্ষার জন্য ও মুক্ত হওয়ার জন্যই ইতিকাফ। হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম মহিমান্বিত রজনী শবে বরাত প্রাপ্তির জন্য ইতিকাফ। রমজানের বিশেষ সুন্নতে মুআক্কাদা কিফায়া আমল ইতিকাফ। ইতিকাফ তাকওয়ার রুদ্ধদ্বার প্রশিক্ষণ।
রোজাদারদের মধ্যে এমন অনেক ইমানদার আছেন, যাঁরা তাকওয়া ও পরহেজগারসম্পন্ন এবং তাঁরা যাবতীয় পাপাচার ও বর্জনীয় কাজকর্ম থেকে বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত সতর্ক থাকেন। তথাপি সিয়াম-সাধনার মধ্যে কোনো রকম ভুলত্রুটি হয়ে গেলে তৎক্ষণাৎ তাঁরা তওবা ও ইস্তেগফার করে নিজেদের সংশোধন ও ত্রুটিমুক্ত করে নেন। এই শ্রেণীর রোজাদারদের প্রতি রমজান মাস শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রহমতের বারি বর্ষণ হতে থাকে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে: ‘আর তিনিই (আল্লাহ) তাঁর বান্দাদের তওবা কবুল করেন এবং পাপসমূহ ক্ষমা করে দেন।’ (সূরা-আশ শুরা, আয়াত: ১৫) মাহে রমজানের মধ্যে জাগতিক কল্যাণ ও পারলৌকিক মুক্তির বার্তা রয়েছে। ইহকালীন কল্যাণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়েই রোজাদার পারলৌকিক শান্তির পথ রচনা করবে। তাই সিয়াম-সাধনার মাধ্যমে আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভ করে ক্ষমা, মুক্তি ও নিষ্কৃতিপ্রাপ্তদের মধ্যে নিজেদের অধিষ্ঠিত করা প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের একান্ত কাম্য হওয়া উচিত।
নাজাতের মাস মাহে রমজান
youtube
তওবা আর মাগফেরাত অর্থ কি?
youtube
youtube
youtube
youtube
প্রকৃত নাজাত
#নাজাত#Youtube#প্রকৃতনাজাত#truesalvation#salvation#Freedom from the attraction of sin is true salvation
0 notes
Text







পাপের আকর্ষণ থেকে মুক্তিই প্রকৃত নাজাত
Freedom from the attraction of sin is true salvation
নাজাতের মাস মাহে রমজান
মাহে রমজান হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার শাশ্বত জীবন বিধান আল কোরআন নাজীলের মাস। আল কোরআনের ভাষায় “রমজান মাস, এ মাসেই কোরআন নাজীল হয়েছে, যা সমগ্র মানবজাতীর৩ জন্য দিশারী, সত্যপথের স্পষ্ট পথনির্দেশকারী এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্য নিরুপণকারী।” (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৫)।
নাজাত মানে মুক্তি, মুক্তি পাওয়া, মুক্তি দেওয়া, মুক্ত হওয়া ও মুক্ত করা। রমজানের নাজাতের অর্থ হলো এ�� মাসে মানুষ পাপ–পঙ্কিলতা, গুনাহ ও আবিলতা থেকে মুক্ত হবে, জাহান্নাম থেকে মুক্ত হবে; পাপের আকর্ষণ থেকে মুক্ত হবে। গাইরুল্লাহর মহব্বত থেকে মুক্ত হবে, দুনিয়ার মহব্বত থেকে মুক্ত হবে। আল্লাহর আজাব ও গজব থেকে মুক্ত হবে, আসমানি–জমিনি ও রুহানি–জিসমানি (আত্মিক–শারীরিক) রোগ–শোক, জরা–ব্যাধি থেকে মুক্ত হবে।
নবী–রাসুলগণ মাছুম বা নিষ্পাপ হওয়ার কারণে তাঁরা শয়তানি কুমন্ত্রণা ও রিপুর তাড়না থেকে মুক্ত ছিলেন। এ ছাড়া যেসব মুমিন মুসলিম শৈশব থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সব ধরনের পাপ থেকে মুক্ত থাকার সৌভাগ্য লাভ করেন, তাদের মাদারজাদ (আজন্ম) ওলি বলা হয়। সব মানুষের সঙ্গে শয়তান নিয়োজিত আছে, (সুরা-৫০ কফ, আয়াত: ২৭)। আর জীবনে–মরণে ও ইহকালে–পরকালে একাত্ম সঙ্গী হিসেবে নফস রয়েছে। নফস হলো ষড়্রিপু, তথা কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ, মাৎসর্য।
পবিত্র মাহে রমজানে জিন শয়তানকে বন্দী করে রাখা হয়। কিন্তু মানুষ শয়তান ও নফস শয়তান তখনো সক্রিয় থাকে। তাই মানুষ পাপাচার থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হতে পারে না। পাপতাপ থেকে পরিপূর্ণভাবে মুক্তির জন্য প্রথমে ষড়্রিপুর তাড়না থেকে মুক্ত হয়ে নফস শয়তানকে পরাভূত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, মনুষ্য শয়তানের প্রভাবমুক্ত হওয়ার জন্য অসৎসঙ্গ ত্যাগ করে সৎসঙ্গ অর্জন করতে হবে। এই দুটি সুসম্পন্ন হলেই পরিপূর্ণরূপে শয়তানের প্রভাব থেকে আত্মরক্ষা করা যাবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, আর সত্যবাদীগণের সঙ্গী হও।’ (সুরা-৯ তাওবাহ, আয়াত: ১১৯)।
নাফস তথা রিপুর সমন্বয়ে গঠিত মানবসত্তার তিন অবস্থা—যথা নাফসে আম্মারা, নাফসে লাউওয়ামা; নাফসে মুতমাইন্না। নাফসে আম্মারা ‘পাপাকৃষ্ট সত্তা’, যে পাপে অনুরক্ত ও পঙ্কিলতায় নিমজ্জিত। (সুরা-১২ ইউসুফ, আয়াত: ৫৩)। নাফসে লাউওয়ামা ‘অনুতপ্তসত্তা’; যে শয়তানের ধোঁকায় বা রিপুর তাড়নায় অথবা পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ও পরিস্থিতির প্রভাবে সাময়িক পাপ করে এবং লজ্জিত, অনুতপ্ত হয়ে তওবাও করে। অর্থাৎ কখনো পাপে অনুরাগ আবার কখনো তাতে অনুতাপ হয়। (সুরা-৭৫ কিয়ামাহ, আয়াত: ২)। নাফসে মুতমাইন্না ‘প্রশান্ত আত্মা’, যার পাপের প্রতি বিরাগ এবং নেকির প্রতি অনুরাগ থাকে। (সুরা-৮৯ ফাজর, আয়াত: ২৭-৩০)।
নাফসে আম্মারা ও নাফসে লাউওয়ামাকে নাফসে মুতমাইন্নায় পরিণত করাই রমজানের প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতঃপর তাকে তার অসৎ কর্ম ও সৎ কর্মের জ্ঞান দান করেছেন। সে নিশ্চিত সফল হলো, যে তার নাফসকে পবিত্র করল; আর সে ব্যর্থ হলো, যে নাফসকে কলুষিত করল।’ (সুরা-৯১ শামস, আয়াত: ৮-১০)। নাজাতের অর্থ হলো সব দোষত্রুটি থেকে নিজেকে মুক্ত করা ও পবিত্র রাখা এবং সদগুণাবলি অর্জন করে স্থায়ী মুক্তি নিশ্চিত করা। যাতে নাফসে মুতমাইন্না অবস্থা থেকে পুনরায় লাউওয়ামা বা আম্মারার দিকে ফিরে না যায়।
নাজাত বা মোহমুক্তির উপায় হলো তাওবাহ ও ইস্তিগফার করা। তওবা মানে হলো পাপ ছেড়ে পুণ্যে মনোনিবেশ করা। ইস্তিগফার হলো কৃত অপরাধের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়েÿক্ষমা প্রার্থনা করা এবং পুনরায় ওই অপরাধ বা পাপ না করার অঙ্গীকার করা ও দৃঢ়সংকল্প হওয়া।
জাগতিক সব মোহ–মায়া আকর্ষণ থেকে মুক্ত হওয়ার চমৎকার একটি মাধ্যম হলো ইতিকাফ। এতে বান্দা সবকিছু থেকে মুক্ত হয়ে একান্তভাবে আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে যান। আল্লাহ তাআলা কোরআন করিমে বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর দিকে পালিয়ে আসো।’ (সুরা-৫১ জারিয়াত, আয়াত: ৫০)। পাপ থেকে পাপের অকল্যাণ ও অমঙ্গল থেকে, পাপের ভয়ংকর ভয়াবহ মন্দ পরিণতি থেকে সর্বোপরি পাপের আকর্ষণ ও মোহ থেকে আত্মরক্ষার জন্য ও মুক্ত হওয়ার জন্যই ইতিকাফ। হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম মহিমান্বিত রজনী শবে বরাত প্রাপ্তির জন্য ইতিকাফ। রমজানের বিশেষ সুন্নতে মুআক্কাদা কিফায়া আমল ইতিকাফ। ইতিকাফ তাকওয়ার রুদ্ধদ্বার প্রশিক্ষণ।
রোজাদারদের মধ্যে এমন অনেক ইমানদার আছেন, যাঁরা তাকওয়া ও পরহেজগারসম্পন্ন এবং তাঁরা যাবতীয় পাপাচার ও বর্জনীয় কাজকর্ম থেকে বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত সতর্ক থাকেন। তথাপি সিয়াম-সাধনার মধ্যে কোনো রকম ভুলত্রুটি হয়ে গেলে তৎক্ষণাৎ তাঁরা তওবা ও ইস্তেগফার করে নিজেদের সংশোধন ও ত্রুটিমুক্ত করে নেন। এই শ্রেণীর রোজাদারদের প্রতি রমজান মাস শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রহমতের বারি বর্ষণ হতে থাকে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে: ‘আর তিনিই (আল্লাহ) তাঁর বান্দাদের তওবা কবুল করেন এবং পাপসমূহ ক্ষমা করে দেন।’ (সূরা-আশ শুরা, আয়াত: ১৫) মাহে রমজানের মধ্যে জাগতিক কল্যাণ ও পারলৌকিক মুক্তির বার্তা রয়েছে। ইহকালীন কল্যাণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়েই রোজাদার পারলৌকিক শান্তির পথ রচনা করবে। তাই সিয়াম-সাধনার মাধ্যমে আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভ করে ক্ষমা, মুক্তি ও নিষ্কৃতিপ্রাপ্তদের মধ্যে নিজেদের অধিষ্ঠিত করা প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের একান্ত কাম্য হওয়া উচিত।
নাজাতের মাস মাহে রমজান
youtube
তওবা আর মাগফেরাত অর্থ কি?
youtube
youtube
youtube
youtube
প্রকৃত নাজাত
#প্রকৃতনাজাত#নাজাত#truesalvation#salvation#Freedom from the attraction of sin is true salvation#নাজাত কি#Youtube
0 notes
Text
@mintdeception continued from [X]
She’d frozen at his throw away like remarks, watching the way in which his fingers twitched, in how he gazed at his work, how he did everything he could to not look towards her. What? Had this really only ever been her feeling that way? Her heart seemed to ache with a pain that she had been trying her hardest to ignore all this time. Turning away quickly she let out a weak laugh, trying to hide the dread that was building. Of course, these feelings were one-sided. How could anyone actually ever love someone like her? “Chocolate would be nice”, her voice sounded rather weak even to herself. Hours of trying to remain strong, hours of attempting to be her usual self even when it felt as though she was losing who she was with each day that she remained inside these walls. “Hey - Sehun? Would you miss me? If I vanished?”
4 notes
·
View notes
Photo

Last day to get a FREE full size bottle of True Salvation with your purchase of Magic Anti-Acne Mask! #beautysociety #truesalvation #magicmask #antiacne #nomoreacne #clearcomplexion
0 notes
Text
Today Is the Time to Accept Jesus Christ As Your Personal Savior!
Pleading you to accept Him is not what im gonna do. My desire here is to let you, the person who’s reading this, to know about true salvation. My dear friends, our death is unpredictable. when will you accept JesusChrist as Savior? if you’re already hospitalized? what if right after an accident, you didn’t had the chance to at least breathe last air?
Many of you might know this verse already: John 3:16
"For God so loved the world, that He gave His only begotten Son; that whosoever believeth in Him, should not perish but have everlasting life"
Yes, we know it…..but do we understand it?
"For God so loved the world…" — don’t you feel happy just by reading this phrase? God loved us and still loving us! Why? Why does He need to love filthy rugs such us ? BECAUSE HE LOVE US. Who could ask for such unconditional love like His?
"...that He gave His only begotten son..." -- i bet you already know who's being pertained here, right? Of course, Jesus Christ. C'mon! He's God already why would He care where will we go after life? And why would He bother to give His ONLY Son, Jesus Christ, if we're just nothing to Him?
#truesalvation#preachthegospel#letthepeopleknow#jesusisoursaviorfromhell#acceptthegiftofeternallife#nowisthetimeforsalvation#baptist#philippines
0 notes