প্রচুর লিখি ,প্রচুর পড়ি , কুয়াশা ,আলস্য আর ছাদকে অ���থা রোমান্টিসাইজ করি ,ভালোবাসি লিটল ম্যাগাজিন, কাগজফুল, রোববার ,উড়োচিঠি, ফ্রিজ ম্যাগনেট ,খিল্লি,শীতকাল আর অচেনা লোকজনকে :) হাই ফাইভ
Last active 60 minutes ago
Don't wanna be here? Send us removal request.
Text

হরিণের কোল ঘিরে যেটুকু রাত্রি পড়ে আছে, তার গলায় শিশিরের মালা । যেন পুরোনো আদর বিলিয়ে গেছে আমাদের গায়ে। এই যে এক পাহাড় তার নিজস্ব গোধূলি আঁকড়ে একলা রয়ে গেছে শখের বসন্ত দিনে , আর এমন নদী যার মাথায় আঙুল ছুঁইয়ে একটুকু কেঁদে নেওয়া যায় । তোমায় তেমন নদীর মত ভাবি কিংবা দাঁড়ে বসে দোল খাওয়া একফালি সাঁঝের আলো । অপলক চেয়ে থাকো আমার ক্লান্তির দিকে । এই কান্না ধুয়ে দেবে এমন সকাল এখনো দেখেনি পৃথিবী ,
সে শুধু নকল করতে জানে , অকালে অঝোরে বৃষ্টি নামিয়ে ।
#kolkatadiaries#বাংলা#west bengal#writing#aesthetic#love#quotes#bangla kobita#love poem#বাংলা কবিতা#spilled poetry#spilled writing#spilled thoughts#oroginalcharacter#original post#original poetry#original writing#original poem#original art
7 notes
·
View notes
Text

আমার বাড়ির পাশে নিশ্চুপে আলো আর শব্দেরা চাকরি বদল করে । দুটো পাশাপাশি বাড়ির মাঝে আন্তরিকতার যতটুকু ফারাক , তাকে আমরা গলি বলে ডাকি । দাদা বলে ,নীলগ্রহের সব গলিই নাকি একইরকম । নামিদামী শহরের এই লুপহোল গুলো দিয়ে আমি যাতায়াত করি ।গলির পাশে ভিখিরির বাটি অস্ফুট ধাতব শব্দ তোলে। টিনের চালে বৃষ্টির শব্দের সাথে তাকে গুলিয়ে ফেলি মাঝে মধ্যেই । মনে হয় নিজেদের লোক বুঝে শহরের সব ভিখিরি ঘিরে ফেলেছে বাড়ি । বাড়ির পাশে বেলফুল বিক্রি করে একটা লোক । রেডিওয় শুনি "আগামী তিনদিন ভারী বৃষ্টির আভাস , সমুদ্রের ধারে প্রবল ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা"। আমার বাড়ির পাশে সমুদ্র নেই , রঙিন ঝিনুক ভেসে আসেনা ভোরবেলা ,তবু সব হারানোর ভয় যায়না আমার । জমা জলে কাগজের নৌকা ভাসে বাড়ির সামনে ।খুনখারাপি ঝড় আসে ।আমার জন্য বরাদ্দ অল্প সরকারি আলোটুকুও শেষ মুহূর্তে হাত ছেড়ে যায় । শুধু দূরে ,গলির আধো অন্ধকারের মাঝে মায়ের মতোন স্পষ্ট হয়ে থাকে বেলফুলের ঝাঁক...
দাদা ভুল বলে , নীলগ্রহের সব গলি একরকম নয় মোট��ই ।
#kolkatadiaries#west bengal#writing#aesthetic#love#quotes#বাংলা#bangla kobita#love poem#বাংলা কবিতা#spilled poetry#spilled writing#original poetry#original post#original writing#original character
5 notes
·
View notes
Text

বিধাতার মত প্রাচীন বৃক্ষের দল আমার প্রার্থনার ভাষা বুঝতে পারে না , সান্ত্বনার দু- চারখান নরম ফুল ছড়িয়ে রাখে শিকড়ের খাঁজে। আমার মখমলি উঠোনপাড়ে বিস্মৃত ক্ষতের মত গোলাপকুঁড়িরা ঘাড় নেড়ে জিজ্ঞাসা করে "ভালো আছো হে?"। এই মেঘমুলুক তেপান্তরের মাঝে এসব বিটকেল প্রশ্ন করলে বেশ নার্ভাস লাগে । টিফিনবেলায় দেখা এক বেআক্কেলে জাদুকর এর কথা মনে পড়ে যায় । আর ঠিক তখুনি উজান স্রোতের মত বৈশাখী ঝড় এসে আমের মুকুলের দেশে অ্যানার্কি আরম্ভ করে দেয় । আমার উত্তরখানা , ছেঁড়া ঘুড়ির মত ভেসে বেহেশতের রাস্তা ধরে । ভালো আছি কিনা , সে কথা আর জানা হয়নি কারো । দু মুঠো পদ্মরেণু আর টিফিনবেলার রোদ্দুর মিশিয়ে বানানো একখানা আস্ত সফেদ কবুতর কাঁধে বসিয়ে জাদুকর বলে গেছিল ভেলকির মায়া ততক্ষণই , যতক্ষণ ফাঁকিটুকু লুকিয়ে রাখতে পারো ...
ফাঁকি দিতে আর সেই থেকে ভুল হয়না আমার ।
#bangla kobita#kolkatadiaries#বাংলা#west bengal#writing#aesthetic#love#quotes#love poem#বাংলা কবিতা#original poetry#original writing#original poem#original post#spilled writing#spilled poetry#spilled thoughts#spilled words
5 notes
·
View notes
Text

ঝিনুক
শরীর চলে না আর....অচিন স্বপ্নিল সেই বালুকাবেলায় ,নকশাকাটা ঝিনুকের খোঁজে আমার হাত ছাড়িয়ে যখন তুমি রোদ ঝিলমিল সাদা বালির মোহনায় ..তোমার একপাটি জুতো তখন চুরি করে নিচ্ছিল এক বেয়াদব ঢেউ । সেই ঢেউ আর নোনাজল ভেঙে ফিরে এসে ঝাউবনের মর্মর ,রূপোলি মাছ আর বিষণ্ণ নিঃসীম নীলিমার অন্তরালে তোমার পায়ের জলছাপ ধরে ধরে চলে এসেছি এই এতদূর । হাঁটতে হাঁটতে যখন সূর্যের শেষ রঙ নোনা বাতাসে মিশে গোধূলি হবার জোগাড় , আমার তখন বুকফাটা তৃষ্ণা। সিক্ত আঙুলের শিরা যেন বিষবেষ্টনীর মত ঘন নীল ,যেন শত শ্রাবণের মেঘ শোক হয়ে রক্তে গিয়ে মিশেছে , আমার অন্তরে আসন্ন ঝড়ের নৈঃশব্দ টের পাই । একখানি কুটির দেখতে পেলাম , আর পেলাম মায়ের মত শীতল এক জলচৌকি। জানলার বাইরে মুমূর্ষু চন্দ্রিমার মত এক কাঞ্চনগাছ, তাতে দুটি রুগ্ন মলিন তারার মত সাদা কুঁড়ি যেন জোনাকি হতে চেয়েছিল কোন পুরাণজন্মে । কখন ঘুমিয়েছি খেয়াল হয়না , জেগেই বা উঠেছি কি ? যার ডাকে উঠেছি তার খোঁজে উঠোনে এসে দাঁড়ালাম..শাদা একটি বকের পালক হাওয়ায় ভেসে আসছে তাকে ধরতে গেলাম হাতের মুঠোয় , পায়ে কি ফুটলো যেন ...একটি ঝিনুক ...তার কাফনের মত শুভ্র শরীরে অস্পষ্ট রক্তিম নকশা , ঠিক বোঝা যায় না ...দুটি ভাঙা টুকরো পাশাপাশি রেখে দেখলাম ফের .....
ঠিক যেন একটি হৃদয় ...কেবল মধ্যিখানে একটি ভেঙে যাওয়ার দাগ ।
#original post#original poem#বাংলা গল্প#bangladesh#bangla natok#original writing#quotes#west bengal#love poem#writing#বাংলা#aesthetic#kolkatadiaries#bangla kobita#বাংলা কবিতা#love
7 notes
·
View notes
Text
:)

দোল
বসন্তের সোহাগী সূর্যটা মায়ের আটপৌরে শাড়ির রঙটা চুরি করে রোজ বিকেলের শেষে । একরাশ ধুলো, রোদ্দুর মেখে অশ্লীল মশকরা করতে করতে ভেসে যায় বড় রাস্তা ধরে, তারপর ঘাটের দিক থেকে আসা একটা ঠান্ডা হাওয়ার সাথে ভাব করে লাল সাদা কাগজফুল ঝরায় তোমাদের দেউড়ির সামনে। পীরমাজারের উপর ঢোলকলমির ঝোপ মৃত্যুশোকের মত ছায়া ঘনিয়ে রাখে। মনসুর আলি ছেঁড়া মাফলার গলায় পেঁচিয়ে শ্বেতী ঢাকার চেষ্টা করতে করতে বড় রাস্তা পার হয়। হঠাৎ দমকা হাওয়ায় বুড়োবটতলায় মানতের ঢিলগুলোয় ঠোকাঠুকি লেগে যায়। আমি দেখতে পাই শনিমন্��িরের সামনে হাতটা তিনবার মাথায় ঠেকিয়ে পার হচ্ছো তুমি। হাঁপান��র টান নিয়েই মা তিনবার শাঁখে ফুঁ দেয়। শুকিয়ে যাওয়া তুলসীটা একঘটি জলের সোহাগ নিয়ে হাওয়ায় দোল খায়। ছাদের বুক জুড়ে প্রাচীন ব্যাধির মত শ্যাওলার দল। বিস্তীর্ণ ফাটলে উপহাস করে অশ্বত্থের চারারা। তুমি তখন আমার বাড়ির আরো কাছে। মা কে দেখে থমকে দাঁড়াও,বলো " এবার একটা ভালো ডাক্তার দেখান কাকিমা, অনেক তো হল "। মা শুধু হাসে। আমি দেখি মায়ের হাসিটা ভেজা শিমুলের মত স্নিগ্ধ। পাশের বাড়ির গুলমোহরের কোঠরে কাঠবেড়ালির খুনসুটি। আমার কথা তোলো তুমি " পলাশ কেমন আছে?"। ইছেমতীর বুক থেকে বড়দার গুলিখাওয়া লাশের মত একটা চাঁদ হটাৎ ভেসে ওঠে সবার চোখের আড়ালে। কাদের বাড়িতে যেন খুব হৈহৈ.. "আজ আমাদের ন্যাড়াপোড়া, কাল আমাদের..." । উড়ন্ত আগুনের ফুলকিরা ঘরছাড়া হয় শুকতারাকে ছুঁয়ে ফেলার চেষ্টায় । আমি হুইলচেয়ার টা সরিয়ে নিয়ে আসি ছাদের ধার থেকে.... শুনতে পাই মায়ের চোখমোছা স্বর " মেডিকায় বলেছে আর বোধহয় মাস দুই, তবু যদ্দিন থাকে চোখের সামনে, মা ডাকটুকু শুনতে পাই"। আঁচল চাপা অস্ফুট কান্না বাকি কথা দের ঢেকে দেয়। সেই দস্যি হাওয়াটা ফের ফিরে আসে কোত্থেকে, ভাসিয়ে নিয়ে যায় মায়ের দীর্ঘশ্বাস.. ঢোলকলমির বন ঠেলে, ইছেমতীর বুক ঘেঁষে, কার বাড়ির সন্ধেপ্রদীপ কাঁপিয়ে.. বহুদূর.. বহুদূর..।
(আগের বছরের দোলের লেখা)
ছবি : Ranadeep Naskar
30 notes
·
View notes
Text
💙
Autumn
If you ask me
"How do you feel in autumn?"
Will I be able to answer?
Like all the cold water
Flowing in shrunken streams
So cold, the frogs are afraid to touch it.
Why is it so cold? So frowning all the time?
Like some magical field saying:
'Halt! Don't come here'
Is it like me? Afraid of flowing, sometimes to meet the see and the unknown.
Why shall this time change,
Why shall I have to flow?
Even if I don't want to?
Then you say: "But what about autumn?"
What about it?
Like, what is autumn?
5 notes
·
View notes
Text

যা ওই গোটা দুই চার রঙিন কাঁচ ,কাগজের দিন ছিল চিলেকোঠায় ঘাপটি মেরে, মাঘ মাসের বিকেল বেলায় আকাশ জুড়ে বায়োস্কোপের মাফিক তাদের দেখতে পাই রোজ । আমাদের রোজানা পাগল প্রমাণ করার জন্য বেয়াদব ইনজিরি ডিক্শনারি অনেক ভারী ভারী শব্দ আগলে রাখে । হ্যালুসিনেট করছি শুনলে মনে হয় যেন খুন ছিনতাই গোছের কিছু । বাংলায় বলে 'অলীক', 'বিভ্রান্তি' । যে দুপুরগুলোয় সামনের বাড়ির ছাদে আধশুকনো ফিরোজা রঙের একখানা শাড়ি ভিনদেশী টিয়ার ঝাঁকের সাথে মিলেমিশে যেতে চায় , তখন গ্রাম হতে গিয়ে silly mistake করে শহর হয়ে যাওয়া এই মফস্বল কে অমূলক বিভ্রান্তিই মনে হয় আমার । আমিষ, নিরামিষ , প্রায়ান্ধকার গেরস্থালি , নিকোনো উঠোন পেরিয়ে নিমকাঠের রাধাকৃষ্ণ উলুর শব্দে ভাতঘুম ছেড়ে উঠে বসেন তড়িঘড়ি। সূর্যখানা আউট অফ ফোকাস হয়ে এলে আমাদের অপূর্ণ ইচ্ছের ভার কাঁধে নিয়ে দু একখানা মালতীর ফুল দিদিমার পায়ের কাছে ঝরে পরে ।
উনি নিচু হয়ে কুড়োতে পারেন না আগের মতোন . ..
#original writing#quotes#love#aesthetic#writing#west bengal#kolkatadiaries#bangla kobita#বাংলা#বাংলা কবিতা#spilled writing#dark aesthetic#বাংলাদেশ#বাংলা গল্প#spilled words#spilled poetry#spilled thoughts
8 notes
·
View notes
Text

আমাদের ঝর্ণাকলম , হাওয়াই মিঠাই আর ঝুড়ি ঝুড়ি মিথ্যের দিন ঝিলের জলে ডুবসাঁতার দেয় । পাড়ার লোকেরা শীতকালের পথনাটকের নাম দেয় ভালোবাসা ..পুরোনো আসবাব খুঁড়ে ঘুণপোকার দল আলোর রাস্তা বানায় ।আমার বন্ধুরা কীসব বলে চলে বেসিক নিড, ষোলো আনা ফাঁকিটাঁকি ..আরো ভারী ভারী সব কথা । ওসব মাথায় ঢোকে না বলে আমি মায়ের সোয়েটার বোনা দেখি । একখানা ফুল , তিনটে পাতা , দুটো পাখি ..একলা ঝিল । ঝিল জিনিসটা মন্দ না ,..জল আছে , স্রোত নেই ...ভেসে গেলেও ফিরে আসা যায়
ফিরতে চাইলে ।
#bangla kobita#kolkatadiaries#বাংলা#west bengal#writing#aesthetic#love#quotes#বাংলা কবিতা#লেখালিখি#spilled writing#spilled thoughts#spilled words#spilled ink#spilled poetry
22 notes
·
View notes
Text
<3
a hollow shell of a man
spinning roundabouts
wet sand against plastic
it almost looks like poop
the water and filth
fill the drains of my hometown
deleting her photos; never has gulping
a bitter medicine felt so sweet
the buses full of exhaustion and hate
fill the roads of your city.
am i tall enough for you
to find me inside a sea of people?
-2023
5 notes
·
View notes
Text

এইখানে এক মুহূর্তকাল সব কিছু স্থির হয়ে থাকে ..কেঁপে ওঠা সংসারের বাতি, শান্তিজল , লক্ষীঘর, আর সহস্র জন্মের কানাগলির অকূলপাথার আলোআঁধারি যেন কালীঘাটের চার আনার বিবর্ণ পট টির মত নৈঃশব্দে নিখুঁত । কার্তিকের বাতাসে তুলসীমঞ্চে দোলা লাগে , পুব আকাশে দু খানা আকাশপ্রদীপ শুকসারির মত চেয়ে থাকে এদিক পানে ..পেতলের ঘট থেকে একটু করে গঙ্গাজল ঢেলে মা বলতে থাকেন *"ওঁ বৃন্দায়ৈ তুলসী দেবৈ প্রিয়ায়ৈ"*। একখানা তারা ঝরে যায় কোন শৈশবের শনিবারের ভাঙা মেলার দিকে ...মনে পরে সূর্যাস্তবেলায় মাটির প্রদীপ বায়না করে কিনে ফিরেছিলাম ,বাবার হাত ধরে । প্রদীপ বড় মজার জিনিস , সুসময়ে নিভে যায় ।
কেবল বাবা হাত ধরলে এখনো বুঝতে পারি ...রাত হয়েছে ,বাড়ি ফিরতে হবে ।
#Bangla#kolkatadiaries#bangla kobita#বাংলা কবিতা#west bengal#writing#বাংলা#aesthetic#quotes#dark acadamia aesthetic#dark academia#spilled writing#original writing#writers#writers on tumblr#বাংলা গল্প
9 notes
·
View notes
Text
নক্ষত্রের দল ঠিকানা বদলে ফেলে , মৃত পদ্মের বিল থেকে মাথা তোলে নতুন সতেজ ফুলেরা , তর্পণের প্রদীপ একে একে সব বাঁ���ন ছাড়িয়ে পৌঁছে যায় সেই দেশে ..যেখানকার আকাশ ঠাকুমার শুকোতে দেওয়া সুপুরির রঙে রক্তিম ...
সক্কলেই ছেড়ে গেছে... ,কেবল ক্লান্তিটুকু বাদে

ভোর
তেপ্রহর পেরিয়ে যখন পুরোনো ব্যথার মত নীলচে ভোর গড়িয়ে নামছিল শার্সির কিনারা বেয়ে, ছাদের কোনে দাঁড়িয়ে একটা শিউলি গাছের দিকে তাকিয়ে ছিলাম আমি । মলিন অস্পষ্ট কুয়াশায় ঘেরা গাছটায় একরাশ তাজা ফুল, তারায় তারায় ভরা মেহফিলের রাতে আশ্বিনের সিক্ত প্রান্তরে সদ্য বিছানো কাফনের কাপড়টির মত বিবর্ণ, সফেদ। পুব আকাশে একটা তারা খসল , ...আমি চোখ বুজে ফেললাম । কার বাড়ির রেডিওর ঝিরঝির, চেনা আকাশবাণী , আজ মহালয়া । বড় ক্লান্তি বোধ হয় ...বড় ক্লান্তি ।
9 notes
·
View notes
Text

শেষরাত থেকে জ্বলতে থাকা একটা চিতার আগুন ক্লান্তিতে প্রায় নিভুনিভু হয়ে এসে , প্রায় মরে আসা নদীটার বুকে মুখ ডুবিয়ে দিল যেই, অমনি আঁধারমেশা রুগ্ন নদীটা যেন টিমটিমিয়ে জ্বলে উঠলো এক লহমায়। আশ্বিনের শীতশীত একাকী কাশবনের গোলকধাঁধায় পথ হারিয়ে ঘুরে বেড়ায় ডানাভাঙা বক। মৃদু হাওয়ায় উড়ো খইয়ের দল ভেসে ভেসে দিগন্তে বলাকার দলে ভিড়ে যায় চুপিচুপি । ছড়ানো আতপের গন্ধে চড়ু���য়ের ভিড় জমে, খুঁটে খায় মৃত্যুচিহ্ন। কোন এক নাম না জানা মন্দিরের অস্ফুট গম্ভীর ঘন্টাধ্বনি আদিজন্মের অস্পষ্ট স্মৃতির মত ঝাপটায় পিদিমের আলো নিভিয়ে, দস্যি ছেলের মত পিলসুজটি উল্টে অপরাজিতার বনে দোল দিয়ে চলে যায়। সেই মৃত্যুগন্ধী ছায়াজল কিছু বেওয়ারীশ রাঙাফুলের লালিমায় মুখ রাঙিয়ে সেই জীর্ণ আলোটাকে বুকে নিয়ে অচিনের রাস্তায় রওনা দেয়। ঢেউ এর ঠেলায় একটা ছেঁড়া শিউলির মালা উদ্বাস্তুর মত নদীর পারের বালিতে এসে আটকে যায় । যদ্দুর চোখ যায় আমি চেয়ে থাকি। এক সময়ে আর সেই আলো নজরে আসে না, বেইমান রাঙাফুলেরাও দিগন্তে গা ঢাকা দেয় ঠিক । আর সেই সময়েই ভাদ্র শেষের তুলসীতলার মলিন সাঁঝবাতিটির মত একটা সূর্য, বিধবার সিঁথির শেষ সিঁদুরের রেশটির মত সেই আলো আঁজলা করে বুকে তুলে নেয় সবার চোখ এড়িয়ে । সেই আদিম জ্যোৎস্নার মত নরম আলোয় দেখতে পাই কচি কলাপাতার উপর দিশেহারা তর্পণের প্রদীপ তিরতির কাঁপতে কাঁপতে বয়ে চলে যাচ্ছে বহু দূরে। মা বলে, আরো দূরে ভাসতে ভাসতে সেই আবহমান প্রদীপেরা নাকি ভিনগাঁয়ের জোনাকি হয়ে যায়।
আমার বিশ্বাস হয় নাকো মোটে।
ছবি : masaan
পুরোনো লেখা
27 notes
·
View notes
Text

পায়রা ডাকা দুপুরের সূর্য গলে গিয়ে ভাঙাচোরা স্ট্রিট লাইট হয়ে যায় সন্ধের দিকটায়। ফ্যাসিস্টের বিজ্ঞাপন আঁকড়ে বেনামী লতার দল খোদার দরবারে শিশিরের আকুল আর্তি পাঠায় । সেই আর্তি আকাশ অবধি উঠে কোথায় যাবে ভেবে না পেয়ে স্বাতী নক্ষত্রে মাথা ঠুকে ফিরে ফিরে আসে চৌরাস্তার বুকে । অনন্ত উদ্ভিদের রাজ্যে কেবল কাগজফুলকে চেনা চেনা লাগে আমার । হাওয়ার তোড়ে দু একখানা নরম ফুল পায়ের কাছে এসে পরে , আমি কুড়িয়ে নিতে যাই...দেখি, সুখ শান্তি ঘুম আর বিষাদের হিসেব রাখতে রাখতে নতুন চপ্পল খানা কবে ছিঁড়েছে টেরই পাইনি ।
#বাংলা কবিতা#bangla kobita#kolkatadiaries#বাংলা#aesthetic#west bengal#writing#quotes#spilled words#spilled thoughts#বাঙালি#rabindranath tagore#spilled ink#dark acadamia aesthetic#dark poetry#dark art#dark academia#dark aesthetic
8 notes
·
View notes
Text
সেইসব বন্ধুদের প্রতি ..
কিছু বন্ধু কোথায় যেন চলে যায় নিয়মমাফিক। এই দেওয়াল সেই দেওয়ালে ঠোকর খেয়ে খেয়ে ,শ্যাওলায় পা পিছলে , ছেঁড়া জুতোখানা ছেঁচড়ে টেনে টেনে কোথায় বেপাত্তা হয়ে যায় । ভাদ্রের ধোঁয়ায় ভরা পৃথিবীর বর্ষা আমাদের চোখে জ্বালা ধরিয়েছিল যেদিন, সেই একরত্তি সুযোগে বেইমানের দল টলতে টলতে পালিয়ে বেঁচেছিল। চোখ মুছে দেখেছিলাম সামনের রাস্তা ফাঁকা , মুখ তুলে বুঝেছিলাম পৃথিবীর বুক হালকা । মুখখানা চুন করে বলেছিলাম "কই হে ,কিছু তো বুঝতেই পারলাম না" , কে যেন হেসে বলেছিল "ওইখানেই তো মজা, সব যদি বুঝবে তাহলে তো হয়েই গেল"। অস্থির বিচ্ছিন্ন ঘুড়ির মত বন্ধুরা দূষিত বাতাসের ঠেলায় এই গলি সেই গলি ঘুরে , গোটা দুই চার চড়চাপড় খেয়ে একরাশ গাল হজম করে দু চার খানা হাত চেপে ধরে, কাঁধে মাথা রেখে বিশ্রাম চেয়েছিল এক মুহূর্ত....তবু পায়নি । অনন্ত জলের সন্ধান চোখে নিয়ে সেইসব বন্ধুরা তৃষ্ণার দেশের সীমান্ত টপকে যাওয়ার আগে হাত নেড়ে গিয়েছিল আমাদের। আমাদের অবশ্য ঘুরে তাকানোর অবসর হয়নি। পরে অবিশ্রান্ত মুখপোড়া বৃষ্টির নোনাজলে চোখখানা ভিজিয়ে মুখ নিচু করে আমরা বলেছিলাম "হারিয়ে গেছে"। অথচ সেই ধরতে চাওয়া হাত গুলোর ভেতরে একটা কি আমাদেরও ছিল না কোনোদিন ?..এতসব কথা ভাবতে ভাবতে ফের অঝোর বৃষ্টি নামে ..ক্রমাগত মুখর বর্ষণে রাস্তার বুক থেকে মিলিয়ে যায় পুরোনো বন্ধুদের পায়ের ছাপ ।
ধুয়ে যায় স্মৃতি , দায়বদ্ধতা , কর্তব্য ..আরও কঠিন কঠিন সব কথা, যেগুলো বলতে মন্দ লাগত না আমাদের।
#writing#west bengal#বাংলা#kolkatadiaries#বাংলা কবিতা#bangla kobita#spilled writing#spilled thoughts#spilled words#spilled ink
12 notes
·
View notes
Note
I won’t lie but তোমার লেখার আন্দাজ কুবই অত্যাধুনিক এবং সুন্দর যে শব্দগুলিও তাদের বর্ণনা করতে পারে না।
Thank you ....means a lot to me .,❤️ bhalo thakun
0 notes
Text

Back when I used to write random short poems between classes :)
অনন্ত দুঃখের বাদ্য,
বাজে বীণার মত সুরে।
কি এক ঋণ শোধ হয় নাই তার,
সে কথা জানায় জগত জুড়ে।
#বাংলা কবিতা#bangla kobita#kolkatadiaries#বাংলা#aesthetic#west bengal#writing#love#quotes#love poem#Dark poetry#Dark academia#Spilled ink
9 notes
·
View notes
Text
বারবার চোখ ভেজার ভয়ে,
আমি চোখ খুলতেই চাইনি কোনোদিন ।
চোখ খোলা আর বন্ধের ভেতর আর কোন তফাৎ রইল না,
চোখ খুলে আলো আর দেখি না
সেখানে একালের সব কলরব।
আর বন্ধ তো করতেই চাই না,
ওখানে তোমার চলাচল।
আমি বইয়ের তাকের পুরনো পত্রিকা
ধুল জমা, অফেরতযোগ্য।
শেষ কবে কেউ শুনেছিল আমার ভাল লাগবে কিসে
তা ��ো বাপু মনে নেই,
আমি এক পুরনো পত্রিকা
আমার হেডলাইনে খারাপ বাদে কিছু নেই।
ওপরের তাকে তোমার যেসব সুন্দর বই সাজানো,
তুমি সেগুলো আমার ওপরে রেখেছো,
আমার অসম্ভব কষ্টের চেষ্টা,
তুমি মরিচীকা দেখিয়ে মেরেছো।
মরুভূমির অনাথ আমি এক
এক বিন্দুও পানি নেই,
তরলের কাতরতা,
বিষে আমি সারাজীবন নিভাবো
মরতেও পারবো না
কারন চোখ বন্ধে তোমায় দেখতে পারবো নাকো।
৩০জুলাই, খুলনা
রাত ১:০৫
9 notes
·
View notes