dorsion

[dorsion]

শেষ জামানায় ঈসা আঃ যেভাবে দাজ্জালকে হত্যা করবেন

শেষ জামানায় ঈসা আঃ যেভাবে দাজ্জালকে হত্যা করবেন আসুন জেনে নেই সেই রহস্যময় কাহিনী

শেষ জামানায় ঈসা আঃ যেভাবে দাজ্জালকে হত্যা করবে 

প্রিয় দর্শক আশাকরি সকলে ভালো আছেন , শেষ জামানায় মুসলমানকে শেষ করার জন্য একজন দাজ্জালের আবির্ভাব হবে ? সেই দাজ্জালকে মারার জন্য মোহাম্মদ (সা.) এর উম্মত হিসেবে ঈসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আবির্ভাব ঘটবে এবং দাজ্জালকে হত্যা করবে। কিভাবে সেই মুসলমানের উপর অন্যায় অবিচার চালাবে ? সে সম্পর্কে আজ আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো চলুন জেনে নিই । আমাদের সাথেই থাকবেন ।

সূচীপত্র

শেষ জামানায় ঈসা আঃ যেভাবে দাজ্জালকে হত্যা করবে 

শেষ জামানায় দাজ্জালের আবির্ভাব

ইমাম মাহাদির মসজিদে ইমামতি করা

দাজ্জালের ভয়াবহ রূপ

দাজ্জালের আবির্ভাব হওয়ার পর মুসলমানদের অবস্থা

শেষ জামানায় ঈসা আঃ যেভাবে দাজ্জালকে হত্যা করবে 

দাজ্জাল কে দাজ্জাল কে আমরা তার সম্পর্কে জানি বা কতটা । কিয়ামত আমাদের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ও তারপরও আমরা গাফেল হয়ে আছি , দাজ্জাল আমাদের ঈমান কেড়ে নেয়ার জন্য কিয়ামতের আগে হাজির হবে তাকে হত্যা করবে ঈসা আঃ। ইনশাআল্লাহ দাজ্জাল কে কিভাবে হত্যা করা হবে । চলুন জানা যাক তার পতন সম্পর্কে ।

শেষ জামানায় দাজ্জালের আবির্ভাব

দাজ্জাল খুব শক্তিশালি যে কিয়ামতের আগে হাজির হবে । ইসরাইলের একটি শহর লুত যেখানে রয়েছে একটি বড় গেট । গেটের উপর বড় করে লেখা এখান থেকে প্রবেশ করবে আমাদের শান্তির বাদশা জে গেট থেকে প্রবেশ করবে দাজ্জাল । দাজ্জাল প্রবেশ করে সবাইকে বলে উঠবে তাকে আল্লাহ মানতে হবে অনেকে তার কথায় পুরো ৭০ বছরের ঈমান ছেড়ে দেবে ‘ নাউজুবিল্লাহ ।

দাজ্জাল তার ফেতনা জড়িয়ে মুসলমানের ঈমান হারা করতে চাইবে তাই তো মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন তোমরা তোমাদের মেয়েদের কে ঘরে রেখো কেননা তারা অল্পতেই গলে যায় । আর দাজ্জাল ফেতনা কল্পনার চেয়েও জঘন্য । মহানবী বলেছেন আমি হচ্ছি কিয়ামতের সবচেয়ে বড় আলামত । তারপর আসবে মাহাদী ইয়াজুজ-মাজুজ আর তার পর দাজ্জাল । আর প্রথমেই কোরআনের হরফ উঠে যাবে , তারপর একে একে দাজ্জাল আসবে তারপর আসবে ঈসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম তারপর এই দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে ।

কত কাছে না কেয়ামত কত অল্প সময় আমাদের হাতে বেঁচে আছে । এরপর বছর হবে দিনের সময় আস্তে আস্তে বছর থেকে মাসে পরিপূর্ণ হবে দিন এরপর সপ্তাহ এরপর দিনের পর দিন । দাজ্জাল পৃথিবীতে থাকবে কেবল মাত্র ৪০ দিন কিন্তু পুরো পৃথিবীর অবস্থা খারাপ করে দেবে । অল্পদিনের মধ্যেই দামেস্কের মসজিদ নামবে ঈসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম ।

ইমাম মাহাদির মসজিদে ইমামতি করা

তখন মাহাদি বলবে হে নবী আপনি নামাজে ইমামতি করুন ঠিক তখন ঈসা আলাইহিস সালাম বল���েন আমি নবী নই আমি শেষ নবীর উম্মত তুমি নামাজ পড়াও তখন নামাজ মাহাদি পড়াবেন । নামাজ শেষে ঈসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইমাম মাহদির সাথে কথা বলবেন ।

মহাদি তখন বলবেন হে ঈসা আঃ আপনি দাজ্জালকে হত্যা করুন । কেননা দাজ্জাল আমাদেরকে ধ্বংস করে দিচ্ছে ,দাজ্জাল আমাদেরকে ঈমানে আঘাত করছে , দাজ্জাল আমাদেরকে পথ ভ্রষ্ট করছে , সে নিজেকে আল্লাহ দাবি করতেছে , এজন্যই অনেক মুসলমান অমুসলিম হয়ে যাইতেছে , আমাদের মুসলমানের সংখ্যাগরিষ্ঠ অনেকটাই কমে যাইতেছে ,তাই আপনি দাজ্জালকে হত্যা করে এই মুসলমান গুলো কে পুরনো ঈমান রাখা ব্যবস্থা করুন । তখন ঈসা আঃ হত্যা করার জন্য বের হবে ।

যখন ঈসা আলাইহিস সালাম দাজ্জালের সামনে যাবে তখন দাজ্জাল তাকে দেখে ভয় পালাতে থাকবে কেননা দাজ্জাল তখন ভয়ে পড়ে যাবে । দাজ্জাল কে লুত শহরের গেট এ হত্যা করা হবে। কত কঠিন হবে সেই দিন । সেই দিন খুব কাছেই চলে এসেছে কত ভয়াবহ পরিস্থিতি সেই দিন । এই পৃথিবীর ময়দানে কতোই না ভয়াভহ সৃষ্টি হবে একমাত্র মহান আল্লাহ্ তা’আলা জানেন ।

আমরা আজ মানুষের কথায় ইসলামের অনেক খুঁটিনাটি বিষয়ে অজানায় ইসলামে আঘাত করতেছি কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখেছেন যখন দাজ্জালের আবির্ভাব হবে । তখন দাজ্জাল যখন নিজেকে আল্লাহ স্বীকার করতে বলবে তখন কি হবে । প্রিয় দর্শক দাজ্জালের হাত থেকে একমাত্র আল্লাহ তাআলা আপনাদের কে বাঁচাতে পারবেন আমরা সবাই দাজ্জালের কাছ থেকে পানাহ চাই সেই সময় আমাদেরকে ঈমান রাখার তৌফিক দান করুক আমিন।

দাজ্জালের ভয়াবহ রূপ

দাজ্জাল কে করতে কোন অস্ত্র দিয়ে তাকে হত্যা করতে পারবেনা , সেটা বন্ধূক হোক সেটা গুলি হোক সেটা যতই বড় হোক না কেন দাজ্জালকে হত্যা করতে পারবেনা । যে কোনো অস্ত্র সেটা হক না কেন ।  একমাত্র দাজ্জালকে হত্যা করতে পারবে ঈসা আলাইহিস সাল্লাম সে যতক্ষণ না পর্যন্ত মহানবীর উম্মত হিসেবে এই দুনিয়ায় আবির্ভাব না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত দাজ্জাল এই দুনিয়া ও পুরো পৃথিবী কে ধ্বংস করতে থাকবে । এক পর্যায়ে যখন ইমাম মাহাদী এর আবির্ভাব হবে তখনই আবির্ভাব হবে দাজ্জালকে হত্যা করা হবে তাছাড়া কেউ দাজ্জালকে হত্যা করতে পারবে না ।

দাজ্জালের আবির্ভাব হওয়ার পর মুসলমানদের অবস্থা

দাজ্জালের আবির্ভাব হওয়ার পর মুসলমানের করুণ দুর্দশা নেমে আসবে মুসলমানের ঈমান রাখা অনেকটাই অসম্ভব হয়ে যাবে । উদাহরণ হিসেবে যদি দেখতে চাই তাহলে আপনি কচু পাতার পানির রাখার যেমন অনেকটাই অনিশ্চয়তা থাকে তেমনি মুসলমানের ঈমান রাখাটাও অনিশ্চয়তা হয়ে যাবে । তাদের দোয়া কবুল হবে না এমনকি তাদের কিতাব পবিত্র কুরআনুল মাজীদ অক্ষর গুলো থাকবে না ।

এক কথায় বলা যায় তাদের নামাজ কালাম রোজা এমনকি দোয়া সহকারে তাদের কোন কিছুই কাজে আসবে না । তাদের দোয়া আল্লাহ তাআলার কাছে পৌঁছাবে না  । তাদের উপর অনেক কঠিন অবস্থা হয়ে যাবে দিনরাত তাদের একটি আতঙ্কিত হয়ে থাকা লাগবে  । যে কখন জানি দাজ্জালের আবির্ভাব হয় , দাজ্জাল আমাদেরকে ধ্বংস করে দেয় , দাজ্জাল আমাদেরকে তার নিজের আল্লাহ স্বীকার করে নেয় ।