Text
বিয়ে বিমুখতা
আমাদের মেয়েদের অনেককে বিয়ের প্রতি যথেষ্ট অনীহা প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে। এ বিষয়ে তাদের সাথে কথা বলা যায় না। তারা কথা বলতে চায় না। কিন্তু তাদেরকে কিছু প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে।
—এখন না হয় বাবা-মা, ভাই-বোন আছে; কিন্তু তাদের সাথে কতদিন একত্রে থাকা যাবে? বাবা-মাকে তুমি সঙ্গ দিচ্ছো। তোমার নিঃসঙ্গতা কে দূর করবে?
—কর্মক্ষেত্রে যদি শত জনের কথা শোনা যায়, ঘরে একজনের কথা শুনতে সমস্যা কোথায়?
—একা ঝামেলামুক্ত থাকতে চাও তুমি। একে সুখ ভাবো। কিন্তু এটাতো মানুষের প্রকৃতি নয়। মানুষকে পরিবার গড়তে হয়। সমাজবদ্ধ হয়ে থাকতে হয়। মানুষের প্রকৃতি বিরুদ্ধ দর্শন দিয়ে তুমি ঠিকমত বেঁচে থাকার কথা ভাবো কী করে?
—পুঁজিবাদী এই সমাজ তোমায় শিখিয়েছে— ইনকাম কর আর খাও-দাও ফুর্তি কর। তুমি নিজেকে এ দুয়ের মাঝে সীমাবদ্ধ কিভাবে করবে? ইসলাম তো তোমার সামনে ভিন্ন দর্শন নিয়ে হাজির হয়।
—পারিবারিক সমস্যা, আর্থিক সমস্যা, পড়ালেখা, কেরিয়ার এসবের পেছনে সময় দিতে হয়। কিন্তু বিয়ে নিয়ে ভাবছো না কেন? এর জন্য সময় বের করছো না কেন? বিয়ে তো এগুলোর চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং বিয়ে— সন্তানসন্ততি জীবনে বারাকাহ নিয়ে আসে।
—এতক্ষণে হয়ত সবগুলো প্রশ্নের উত্তর ঠিক করে ফেলেছো। কিন্তু ভেবেছো কি তা কতটা কার্যকর। ইসলামে তোমার আস্থা আছে। জানো, বিয়ে একটি সুন্নাহ। ইসলাম সবার জন্য একে প্রয়োজনীয় মনে করেছে। তুমি কি কোনো শরয়ী ওজরে বিয়ে থেকে দূরে থাকছো? নাকি তোমার মনগড়া যুক্তির মাঝে সুখ খুঁজছো?
0 notes
Text
পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে যাক— ফরজ-আইন-ইলম শিক্ষা কেন্দ্র
এক ওয়ায়েজ আলোচনা করছিলেন নূরানি মাদরাসার গুরুত্ব নিয়ে। আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি বলেন, নূরানি পড়ানোর পর সন্তানকে চাইলে স্কুলে দিবেন সমস্যা নেই। এই কথার সূত্র ধরে ভাবতে থাকি । ভাবনায় আসে, যতটুকু ইলম অর্জন করা ফরজ— সে পরিমাণ ইলম তো নূরানিতে পাওয়া যাচ্ছে না। তাহলে এতটুকু ইলম যথেষ্ট হয় কিভাবে?
বিশ্বের সব শহর বন্দরে এমন এক ধরনের প্রতিষ্ঠান থাকার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়— যাতে দ্বীনের ফরজ ইলম শিক্ষা দেয়া হবে; অল্পসময়ে। এরপর ছাত্ররা যে কোনো বিষয়ে ইচ্ছানুযায়ী উচ্চতর জ্ঞানলাভের জন্য ছড়িয়ে যাবে।
স্বপ্ন দেখি, বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে এমন প্রতিষ্ঠান তৈরি হবে একদিন।
0 notes
Text
ইফতার পার্টি বর্জন
একটি তাৎপর্যপূর্ণ মাস "রমাদান"। এই মাস ইবাদতের, উৎসবের নয়। আনন্দ উৎসব তো এই মাসের সমাপ্তিতে শুরু হয়। এই বিষয়টা ভালোভাবে স্মরণ রাখা দরকার। বিশেষ করে সাহরি থেকে ইফতার পর্��ন্ত সতর্কতা খুব জরুরী।
ইফতারি একটি ইবাদত। একে আনন্দ অনুষ্ঠান না বানাই। 'ইফতার পার্টি' নামক অপসংস্কৃতিকে "না" বলি। রোজাদারকে ইফতার কারনোর সাওয়াব অনেক। তবে সেটা যেন পাপের মধ্যে চলে না যায়। এদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখি।
আজকাল মাহরাম নন-মাহরাম সবাই এক সাথে 'ইফতার আড্ডা'য় মিলিত হচ্ছে। ইবাদত নিয়ে এমন তামাশা করার ফল কী হতে পারে! আল্লাহ হেফাজত করুন। সবাইকে বুঝ দান করুন।
আজকালকার ছেলেমেয়েরা ঈদে মজা খুঁজে পায় না। পুরো রমাদান উল্লাসের পর ক্লান্ত হয়ে ঈদের সময় ঘরে ঘুমিয়ে কাটায়। ঈদের মজা ফিরে পেতে আসুন আমরা "ইফতার পার্টি"কে "ঈদ পুনর্মিলনী"তে রুপান্তরিত করি। রমজান ঘরে কাটাই। ঈদে ঘুরে বেড়াই। আল্লাহ, সহায় হন।
0 notes
Text
ধর্ষণ বন্ধের উপায় কী?
কোথাও ধর্ষণ হলে আমাদের মধ্যে দুইটা ভাগ হয়ে যায়। এক পক্ষ নারীর পোষাককে, অন্যপক্ষ পুরুষের নোংরা মানসিকতাকে দায়ী করে। আমাদের যেটা জানা দরকার তা হলো, ধর্ষণের পেছনে মূল কারণ কী? কার দোষে হচ্ছে এসব? এর মুক্তিলাভের উপায় কী?
পুরুষরা নারী বিষয়ে একটু দুর্বল। বর্তমানে তাদের মাঝে নৈতিকতার যথেষ্ট কমতি রয়েছে। আর দিনদিন তাদের মন মানসিকতার বিকৃতি বেড়েই চলছে। এর জন্য দায়ী প্রাথমিকভাবে টিভিসিনেমা, নাচগান, আইটেম সং। এ সব কিছু মানুষকে পর্নোগ্রাফির দিকে ধাবিত করে। এখন সবার হাতে হাতে পর্ন চলে এসেছে। পর্ন মাদকের চেয়ে বেশি ক্ষতিকর। নেশাকর। কিছুদিন সাধারণ পর্ন দেখার পর "রেইপ পর্ন" ভাল লেগে ওঠে। এবং সুযোগ পেলেই বাস্তবে প্রয়োগ করে বসে।
নারী ভাবছে তাকে খুব সুন্দর দেখা যেতে হবে। এমন ভাবে সাজগোজ করতে হবে যাতে ছেলেরা হা করে তাকিয়ে থাকে। ছেলেদের কাছে সুন্দর লাগানোর এক হীন মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠছে মেয়েরা। এর জন্য তারা যৌনউত্তেজক ফ্যাশন বেছে নিচ্ছে। ফ্যাশন যে উত্তেজনাপূর্ণ হতে পারে এটা তো স্পষ্ট বিষয়। বহুবছর আগে থেকে টিভিসিনেমায় দেখানো হয়, ছোটখাটো ছিঁড়াফাটা পোশাক পরে যখন কোনো মেয়ে হেটে যায় তখন আশপাশের সবাই কাত হয়ে যায়।
একটা ছোট বাচ্ছা নির্যাতিত হওয়ার পেছনে তার পোশাক দায়ী নয় ঠিক। কিন্তু এর পেছনে কি অন্যকোন মেয়ের যৌনউত্তেজক পোশাক, তার হাটাচলা দায়ী হতে পারে না!? অশালীন পোশাকের কাউকে দেখে উত্তেজিত হয়ে। তাকে ধরার সাহস না করে। অন্যকোনো দুর্বলের উপর দিয়ে ধর্ষক তার ক্ষুধা মিটাতে পারে না?!
যদি আমরা আসলেই ধর্ষণ বন্ধ করতে চাই তবে আমাদের কর্তব্য হলো সমাজ থেকে সকল প্রকার বেহায়াপনা দূর করা। যৌনউত্তেজক সকল বিনোদন বন্ধ করা। মেয়েদের পর্দা মেনে চলা। ছেলেদের চোখ অবনত করা। এতে সকলের মানসিকতা বিকৃত হওয়া থেকে রক্ষা পাবে। সমাজ হয়ে উঠবে সুন্দর। সম্পর্কগুলো হবে পবিত্র। দীর্ঘস্থায়ী।
#পূর্ণ_শরীয়াহতেই_রয়েছে_সকল_সমস্যার_সমাধান
0 notes
Text
এক হাতেও তালি বাজে
এক হাতে তালি বাজে না— এর এক অর্থ হতে পারে, এক ব্যক্তি নিজে নিজের সাথে ঝগড়া করতে পারে না। তবে এ অর্থে একে ব্যবহার করা হয় না। বরং এর দ্বারা উদ্দেশ্য হয় এক ব্যক্তির দোষে কিছু হয় না। দুজনের সমান দোষ থাকে। সতর্কতার বিষয় হলো, যেখানে শুধু একজন দোষী সেখানে এই বাক্য ব্যবহার করা অন্যায়।
0 notes
Text
আর ইউ পার্ফেক্ট?
পার্ফেক্ট বলতে কেউ নেই। সবারই থাকে কিছু দুর্বলতা। যাদের দুর্বলতা প্রকাশ্য তাদের শুনতে হয় অনেক কথা। সেসব কথা শুনে হীনমন্যতায় ভোগার কোন কারণ নেই। কেননা যে কটূক্তি করছে সেই মূলত নীচ। সে হীন। কারো দু���্বলতা নিয়ে হাসাহাসি করা বা কটুকথা বলাই হলো বড় দুর্বলতা।
তবে যেসব দুর্বলতা দূর করা যায়। যেসব ভুল সংশোধন করা যায়। সেসব অপসারণ করা আবশ্যক। এর মাঝেই প্রকৃত সার্থকতা। যে ভুল আঁকড়ে ধরে রাখে। তা দূরীভূত করে না, সে আসলেই নীচ। সে নিকৃষ্ট।
0 notes
Text
মায়ের কোল
আমার মায়ের কোল ছিলো আমার আশ্রয়। কিছু হোক আর না হোক, আমি আমার মায়ের কোলে উঠতে চাইতাম। মায়ের কোলে উঠেই শান্তি পেতাম। আমি ছুটোছুটি করতাম না। আমাকে মা যেখানে দাঁড় করিয়ে দিতেন, সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকতাম। আমাকে নিয়ে কেউ কিছু বললে, আমার মা অনেক কষ্ট পেতেন। কোন কোন ঘটনা নিয়ে তো মা দিনকে দিন নীরবে চোখের পানি ফেলে গেছেন। আমাকে অনেকে কোলে নিতেন। সবাই কালা মানিক বলে ডাকতেন। আমি কারো সাথে কথা বলতাম না। আমি চুপচাপ সব শুনে যেতাম। আমি আমার মায়ের কোল ভালোবাসতাম। মায়ের কোলে বেশি থাকতাম। আমি আমার মায়ের কোলে থেকে সবকিছু দেখে যেতাম। মায়ের কোলে থেকে ছবি তুলতাম। এই যে ছবিটি মায়ের কোলে থেকেই তুলেছিলাম।
0 notes
Text
কিসের আশায় বাঁচা?
আত্মহত্যা নিয়ে কোন লেখা সামনে পাইলে আগ্রহ নিয়া পড়ি। কারণ আমারও মরে যাইতে মন চায়। 😭
.
এ পর্যন্ত যতগুলা লেখা পড়ছি কোনটা পড়ার পর মনে হয়নি যে, বেঁচে থাকা দরকার। আজ একজনের লেখা মনে ধরছে কিছুটা। তিনি বলেছেন স্বপ্ন থাকলে মরতে চাইবেনা কেউ। কিন্তু ঠিক কিসের স্বপ্ন বা কিসের আশায় বেঁচে থাকবো তা স্পষ্ট হয়নি। যে কোন স্বপ্ন তো বাঁচিয়ে রাখতে পারেনা। 😞
.
এমন এক স্বপ্ন থাকা দরকার যার আশায় আমি বেঁচে থাকবো। সেটা হতে পারে কষ্ট থেকে মুক্তি ও চিরসুখের আশা। আর তা হলো কেবলই জান্নাত পাওয়ার আশা। এই আশাতেই বেঁচে থাকা। 💜
0 notes
Text
নিজের স্বার্থও কি আমরা বুঝি?
আমাদের এই যে জীবন খাওয়া, ঘুম, পড়ালেখা, বিয়া, জন্ম দেওয়া, মরে যাওয়া শেষ!
এসব করে কী হবে? না করলে মারা পড়ুম? মরলে কী সমস্যা! মরলাম!
এসব মাথায় আসলে সব স্বপ্ন ও ইচ্ছা ঘুমাই পড়ে। সন্ন্যাসী সন্ন্যাসী ভাব আসে।
.
যখন দেখি শরীর আরাম খোঁজে। মন সুখ চায়। হৃদয় ভালোবাসা পেতে ব্যাকুল হয়। তখন বুজে আসে মানুষ মূলত শান্তির আশায় সবকিছু করে।
এস��য় অনেক স্বপ্ন জেগে উঠে। অনেক ইচ্ছে হাত তুলে। বেঁচে থাকার শখ জাগে।
.
আচ্ছা আমাদের সবকাজ, সকল ব্যস্ততা যদি শান্তির জন্য হয়ে থাকে তবে কেন আমরা ঠুনকো শান্তির পিছনে সময় নষ্ট করছি। চিরস্থায়ী শান্তির কথা কি আমরা ভাববো না!?
0 notes
Text
বিয়ে বাড়ির বর্বরতা
মেয়েদের বাবারা মেয়েদের বোঝা মনে করেন, অনেক কারণে। তারমধ্যে অন্যতম এক কারণ হলো— মেয়ে বিয়ে দিতে অনেক টাকা লাগে। যাদের টাকা আছে, তারা তো সহজে পার পেয়ে যান। কিন্তু গরিব বাবারা পড়েন বিপাকে।
আজকাল দেখা যায়, শুধু খরচের অভাবে অনেক মেয়ের বিয়ে হয় না। আমাদের তথাকথিত সামাজিকতা, অন্যায়ভাবে কতরকম খরচ যে চাপিয়ে দিয়েছে, কনের পরিবারের ওপর। কনের আত্মীয়রাও সেসব বুঝতে চায় না। সহযোগিতা-সহমর্মিতা তো না-ই; থাকে শুধু খাইখাইয়ের তালে।
বিয়ে হয় বরযাত্রী নামক বর্বরতা দিয়ে। যা কিনা কনের পরিবারের ওপর স্পষ্টত জুলুম। বিয়ের পরও কি স্বস্তি আছে! পিঠা পাঠাও, কলা-পান পাঠাও, ঈদে ছাগলখাসী পাঠাও, লুঙ্গি-শাড়ি পাঠাও! আরো কত কি!
শহর-বন্দরে মসজিদে অনেক বাবাদের দেখা পাওয়া যায়। যারা মানুষের দ্বারেদ্বারে হাত পেতে বেড়ান; মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার জন্য টাকা সংগ্রহ করেন। যাকে বিয়ে দেয়ার জন্য ভিক্ষা করতে হয়, তাকে তো বোঝা-ই মনে হবে।
আমাদের অবস্থা ভয়াবহ। আমরা বাবাদের ভিক্ষার টাকায় করা বরযাত্রী অনুষ্ঠানে খেতে যাই। পোলাও রোস্ট চাবাই। রান্না ভালো না হলে বা পরিমাণে কম হলে নিন্দা করতে করতে ফিরি। এভাবে এই নিয়ম টিকিয়ে রেখে আরো অনেক বাবাকে ভিক্ষা করতে বের করি।
অথচ ইসলাম বিয়েকে এতো সহজ করেছে যে, মেয়ের পরিবারের একটা টাকাও খরচ হওয়ার নিয়ম রাখে নি। ইসলাম সবকিছুতে ভারসাম্য রাখে, বৈষম্য দূর করে। ইসলাম মেনে চলার মধ্যেই রয়েছে শান্তি-প্রশান্তি।
বিয়ে নিয়ে যত কুসংস্কার আছে এসব প্রথমে পয়সাওয়ালাদেরকেই ছাড়তে হবে। পয়সাওয়ালা মেয়ের-বাবা যদি বরযাত্রী খাওয়ানো বন্ধ করে। বিয়ের পর এটাসেটা না পাঠানোর ব্যাপারে সোচ্চার হয়। তবেই গরিবদের জন্য একে এড়িয়ে চলা সহজ হবে।
আপনার পয়সা আছে বলেই আপনি খরচ করছেন; কিন্তু এর মাধ্যমে যে এসব কুসংস্কার টিকিয়ে রাখছেন— এটা ভাবার সময় হবে কি? কত গরীব বাবা পথে পথে ভিক্ষা করছে, মেয়ে বিয়ে দেওয়ার জন্য, সেসব দেখার সময় হবে কি?
0 notes
Text
দিনলিপি
আজ দুপুরে হটাৎ একটা দৃশ্য মনে পড়ে ভয়ে হৃদপিণ্ড সংকুচিত হয়ে পুরো গা শিউরে উঠলো। দৃশ্যটার সৃষ্টি হয়েছিলো অনেক দিন আগে। পরিবারের সবাই মিলে ছোট খালার বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলাম। গরমকাল; ঘরে থাকতে কষ্ট হচ্ছিলো। ছাদে গিয়ে ভাই বোনেরা খেলাধুলা করছিলাম।
ফেরদৌসি আর ফারিহার কাঁধে ভুত চাপলো। দু'জনে ছাদের কিনারের উঁচু-বাউন্ডারি-দেয়ালের উপরে ওঠে 'দুঃসাহসের প্রদর্শনী' (মূলত বোকামি) দেখাচ্ছে। ওদের দ্রুত নেমে যেতে বললাম; শুনলো না ওরা। কাছে যেতেও পারছিলাম না; আমার ভয়ে ওরা যদি দিশ হারায়...।
দ্বিতল ঘরের ছাদে সরু দেয়ালে ফারিহা হাঁটছে। এক খালাতো ভাই ফারিহাকে ভয় দেখালো। তখনই সৃষ্টি হলো সেই অনাকাঙ্ক্ষিত দৃশ্য। ফারিহা ভয় পেয়ে একটু পিছনের দিকে হেলে পড়লো। এটা দেখে আমার হৃদস্পন্দন থেমে যাওয়ার উপক্রম হলো। পরক্ষণেই ফারিহা নিজেকে সামলে নিয়ে নিচে নেমে এলো। আমার মন চাচ্ছিলো কষে এক থাপ্পড় দিয়ে তার গালে পাঁচ আঙুলের দাগ বসিয়ে দিই। পথপদর্শক হিসেবে ফেরদৌসিকেও দিই একটা। কিন্তু তখন আমি সেই শক্তি পাচ্ছিলাম না। কেমন যেন স্থবির হয়ে পড়েছিলাম। ফারিহার চোখেও ভয় দেখছিলাম; তাই বেশি কিছু বললাম না। অনেক সময় লাগিয়েছে মস্তিষ্কের স্নায়ু শান্ত হতে। আজো এ দৃশ্য মনে পড়লে আমার মস্তিষ্ক হ্যাং হয়ে বসে থাকে।
0 notes
Text
অসুন্দর বলে হীনমন্যতায় ভুগছো?
মানুষ সুন্দর হয়; অসুন্দরও হয়। এই বাহ্যিক রূপ সুখ বা সফলতার জন্য কাজে লাগে না। এই সৌন্দর্য দিয়ে একটিং, মডেলিং সহ যতসব নোংরামিই করা যায়।
যোগ্যতা অর্জন করলে গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। আচারব্যবহার সুন্দর হলে সম্মান পাওয়া যাবে। ভালোকাজ জীবনে সুখ এনে দিবে। সুন্দরকাজ মানুষের মনে ভালোবাসা তৈরি করবে।
পরিশুদ্ধ অন্তর নিয়ে সৎকাজ করলে স্রষ্টার সন্তুষ্টি পাওয়া যাবে। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভই মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। চিরস্থায়ী জীবনের সুখের জন্য প্রস্তুত থাকতে পারাই আসল সফলতা।
0 notes
Text
নারীবাদের কবলে আমাদের মেয়েরা
কিছু লোক আছে যারা মেয়েদের চেয়ে ছেলেদেরকে সব সুযোগ বেশি দেয়। তারা মনে করে মেয়েরা কিছু করতে পারে না। মেয়েরা টাকা উপার্জন করতে পারে না। আরো আরো...
.
এসব অভিযোগকে মিথ্যা প্রমাণ করার জন্য আমাদের মেয়েরা উঠেপড়ে লেগেছে। তারা প্রমাণ করে দেখাচ্ছে ছেলে আর মেয়ের মাঝে কোন তফাত নাই। ছেলেরা যা পারে মেয়েরাও তা করতে পারি। 💪
.
আমরা যারা মেয়েদের নিঃস্বার্থ ভালোবাসি। সকল বিষয়ে যার যা প্রাপ্য তা তাকে দিতে বদ্ধপরিকর। আমরা পড়েছি সমস্যায়। আমরা আমাদের মেয়েদের পুরুষের মত কষ্টকর কাজ করতে দেখলে সইতে পারিনা। আমাদের কষ্ট হয়। 😞
.
অথচ আমাদের সকলের কর্তব্য ছিলো মেয়েরা মেয়েদের আর ছেলেরা ছেলেদের প্রকৃতি মত চলা। সেসব লোক যারা মেয়েদের অসম্মান করে তাদের মাইরা তক্তা বানানো। কিন্তু আমরা পুরুষরা বসে বসে দুঃখ করছি। আর মেয়েরা সেসব লোকদের চ্যালেঞ্জ করে রাস্তায় নামছে যারা মেয়েদের ঘামেভেজা শরীর দেখে মজা নেয়। তাদের চাওয়া পূরণ করে চলে। 😠
0 notes
Text
প্রতিটি হাসির জন্য আমরা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিনা।
কিন্তু
আমরা প্রতি ফোটা চোখের পানির জন্য আল্লাহর প্রতি অভিযোগ করি।
অথচ
সুখে-দুঃখে সর্বাবস্থায় আলহামদুলিল্লাহ বলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা প্রয়োজন।
0 notes
Text
নতুন তুফান
ইরতিদাদ অর্থ ধর্মত্যাগ করা। ইসলাম ধর্ম যে ত্যাগ করে তাকে মুরতাদ বলে। ইসলামের ইতিহাসে যখনই ইরতিদাদের কোন ঘটনা ঘটেছে তার দু'টি প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এক. মুসলমানদের পক্ষ থেকে মারাত্মক বিদ্বেষ ও অনীহা।
দুই. ইসলামী সমাজের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ।
কিন্তু কিছুদিন হলো, ইসলামী দুনিয়ার সামনে এমন এক ইরতিদাদের অভ্যুদয় ঘটেছে, যার বিষক্রিয়া বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি দর্শন আকারে আমাদের কাছে পৌঁছেছে। এই দর্শন আল্লাহর শক্তির উপর বিশ্বাসকে ক্রমান্বয়ে শিথিল করে দেয় এবং মানুষকে বস্তুর শক্তিতে বিশ্বাসী করে তোলে।
এই ইরতিদাদের কোন প্রতীক নেই। এরা কোন গির্জায় যায় না, দেব মন্দিরে বা অগ্নিমন্ডুপে যায় না। সে নিজের ইরতিদাদের ঘোষণা দেয় না। সমাজও এ ধর্ম প্রত্যাখ্যানে সচেতন নয়।
এই ইরতিদাদী দর্শন জন্ম দিয়েছে সাম্প্রদায়িকতা সহ আরো অনেক জাহেলী আবেগ ও মানসিকতার। জাতিগত বিভেদ ও মানবীয় গুণাবলীর ধ্বংস ও বিকৃতির পিছনে যে সকল বিষয় মৌলিকভাবে কাজ করে তার মধ্যে এই সাম্প্রদায়িক মানসিকতা সবার শীর্ষে।
ইসলামী বিশ্বের বর্তমান অধঃপতনের পিছনে জাতীয়তা প্রীতি ধ্যান-ধারণা ছাড়াও দ্বিতীয় আরেকটি ফেৎনার ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাহলো সমাজের শিক্ষিত ও নেতৃস্থানীয় মহলের ভোগবাদী মানসিকতা এবং পার্থিব আরাম আয়েশের পিছনে হন্য হয়ে ছোটা। এর স্বাভাবিক পরিণতি হলো, মানবীয় বৈশিষ্ট্যাবলী ও নৈতিকতার অবক্ষয়।
যে সমস্যা মুসলিম বিশ্বের দিকে তুফান বেগে ছুটে আসছে, যার লক্ষ্য আমাদের দ্বীনী ও আখলাকী বরবাদী। তা আজ আমাদের জন্য কুফর ও ঈমানের সমস্যা। আমাদের সামনে পথ দুটি। যুদ্ধের প্রস্তুতি আর আত্মসমর্পণ। একদিকে আসমানি শরীয়ত, অন্যদিকে বস্তবাদ। ধর্মহীনতা ও বস্তুবাদের এ সয়লাবকে প্রতিরোধ করাই সময়ের সবচেয়ে বড় দাবী।
এ সময়ের সংস্কার ও বৈপ্লবিক কাজ হল উম্মতের যুবক ও শিক্ষিত শ্রেণীর মাঝে ইসলামের বুনিয়াদি বিষয়ে মৌলিক আকায়েদ ও ইসলামের শাশ্বত আদর্শের এবং রিসালাতে মুহাম্মাদীর প্রতি সে বিশ্বাস ও বিশ্বস্ততা ফিরিয়ে আনা, যার বন্ধন তারা আলগা করেছে। ইসলাম সম্পর্কে যে সব সংশয় সন্দেহ ও ধুম্রজাল তাদের মন-মস্তিষ্কে ছেয়ে আছে; তা দূর করা।
এসবের জন্য প্রয়���জন এক নতুন ইসলামী দাওয়াতের ও মেহনতের। প্রয়োজন নিঃস্বার্থ ও নিবেদিত প্রাণ দাঈর।
সূত্র: সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী রহ. লখিত "নতুন তুফান ও তার প্রতিরোধ"।
0 notes
Text
বিবাহের কথনিকা
বিবাহ। যার মাধ্যমে দুজন মানুষ এক হয়ে যায়। অপরিচিত দুজন সবচেয়ে আপন হয়ে যায়। নারী, তার প্রকৃতি এক। পুরুষ, তার প্রকৃতি আরেক। দুজনের মিলনে পূর্ণতায় পৌঁছে মানুষ। বিবাহের মাধ্যমে পূর্ণতা পায় ঈমানও।
বিবাহ না থাকলে সমাজ হতো বিশৃঙ্খল। নারী হতো অবহেলিত। সন্তান জানতো না কে তার বাবা। কোথাও বা নতুন জীবন সৃষ্টি থমকে যেত। বিলুপ্ত হতো মানুষ।
❏ বিয়ের বয়স। উপযুক্ততাই এর বয়স। কেউ ৯ বছরেই উপযুক্ত হয়। আর কেউ ১৫ বছরে। হযরত আয়েশা (রা) ৯ বছর বয়সে বিয়ের উপযুক্ত হয়েছিলেন। গতবছর আমেরিকার একটা নিউজ দেখলাম। একটা মেয়ে ৯ বছর বয়সে গর্ভধারণ করেছে। তবে উপরে ১৫ বছর। এরপর কেউ বলতে পারবে না অনুপযুক্ততার কথা। কেউ কেউ আরেকটু বেশিও বলেছেন।
❏ রাসূল (স) বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর সন্তানকে যদি বিয়ে না দেয় আর সন্তান কোন পাপ কাজ করে তবে এর একটা অংশ অভিভাবকও পাবে।
পড়ালেখা শেষ হওয়ার পর চাকরি পেলে তারপর বিয়ে, এই নিয়ম বাদ দেয়া উচিৎ। পড়ালেখা চলা অবস্থায় হাল্কা কিছু ইনকাম করা যায়। এতে ছেলেপেলে ‘অলস বসে থেকে বিভিন্ন পাপ করা’ থেকে বাঁচতে পারবে। আর যদি পরিবার থেকে চাকরি করতে না দেয় এবং অভিভাবক সচ্ছল হয় তবে তো সব খরচ তারাই সামলাতে পারে। সুখি জীবনের জন্য খুব বেশি অর্থের প্রয়োজন হয় না। অতিলোভ আর অপচয়ের জন্য অনেক টাকা লাগে।
❏ বিয়ের আগে পাত্র পাত্রীকে দেখে নিবে। মা-চাচিরা দেখলেই চলবে এমন ভাবনা ছাড়তে হবে। এখানে সাধুগিরি চলবে না।
❏ বিয়েতে মহর নির্ধারণ করতে হবে। কন্যাপক্ষের চাপে মহর বেশি ধরে যদি মনে মনে রাখে, 'মহর দিবো না' তবে বিয়েই শুদ্ধ হবে না। পুরো মহরের মধ্যে নগদ কত দিবে তাও নির্ধারণ করবে। "নগদ মহর" বাসরঘরের আগেই পরিশোধ করবে।
❏ গায়ে হলুদ। শরীরে হলুদ মাখলে একটা উজ্জ্বল ভাব আসে। এ হিসেবে গায়ে হলুদ দেয়া যায়। তবে এটাকে নিয়ে অনুষ্ঠান করাটা অনর্থক। আবার সে অনুষ্ঠানে যদি ছেলে মেয়ের মাখামাখি হয়ে যায়। তবে তো তা অতি জঘন্য।
❏ বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখা যায় পাত্রপাত্রীর কোলে তাদের আত্মীয়রা বসে তারপর উপহার দিচ্ছে। নোংরা এক নিয়ম। শাশুড়িও অনেক সময় পাত্রের কোলে বসে পড়ে। এখানে কিছু স্পর্শকাতর বিধান মাথায় রাখা জরুরি। বর যদি তার শাশুড়িকে উত্তেজনা অবস্থায় স্পর্শ করে। বা কন্যার শশুর যদি কন্যাকে উত্তেজনার সাথে স্পর্শ করে তবে ওদের বিয়ে ভেঙে যাবে। বিয়ের মজলিসেই না জানি কতজনের বিয়ে ভেঙে যায়।
❏ বিয়ে একটি আনন্দ অনুষ্ঠান। এখানে মজা করা যাবে। কিন্তু পাপ নয়। ইসলামের প্রাথমিক যুগে বিয়েতে ছোট ছেলেমেয়েরা গান গাইতো। আর তারা দফ বাজাতো। দফ এমন একটা বাদ্যযন্ত্র যার এক পাশে খোলা থাকে অন্যপাশ চামড়া দ্বারা বন্ধ করা থাকে। যার আওয়াজ চিকন নয়। সুরেলাও নয়। বিয়ের সময় এসবের ব্যবস্থা করা যায়। শুধুমাত্র ছোট ছেলেমেয়েরাই ভাল গান গাইবে আর দফ বাজাবে।
❏ বিয়েতে মেয়ে পক্ষের কোন খরচ নেই। বর মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় কাপড়চোপড় গয়না ইত্যাদি দিয়ে সাজিয়ে নিবে। এসব উপহার হিসেবে দিতে পারে। বা এসবকে "নগদ মোহর" হিসেবেও দিতে পারে।
❏ বিয়ের সময় মেয়ের বাড়িতে গিয়ে খাওয়া বৈধ নয়। হ্যাঁ দুতিনজন যারা বরের সাথে যাবে মেয়ের বাড়িতে তাদেরকে চাইলে কন্যাপক্ষ খাওয়াতে পারে। আরো বেশিও দাওয়াত দিতে পারে। তবে বরপক্ষ "এত জন খাওয়াতে হবে"— এমন দাবি করতে পারবে না।
আজকাল দেখা যায় শুধু খরচের অভাবে অনেকের বিয়ে হয় না। মেয়েদের উপর অন্যায়ভাবে খরচ চাপিয়ে দিয়েছে বর্তমান সামাজিকতা। মেয়ের আত্মীয়রাও এসব বুঝতে চান না। সহযোগিতা করে মেয়ের বিয়ে তো দিতে পারে না। থাকেন শুধু খাইখাইয়ের তালে।
ছেলেরাও প্রয়োজনের অতিরিক্ত খরচ করতে বাধ্য হচ্ছে। অথচ হাদীসে আছে, যে বিয়েতে খরচ কম হয় সে বিয়ে বরকতময়।
❏ বর স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়ার পর ওলীমা দিবে। স্বামী-স্ত্রীর প্রথম মিলনের খুশিতে এটি করবে। যাকে বউভাত হিসেবে আমরা চিনি। সাধ্যমত যত মানুষ ইচ্ছা খাওয়াবে। এখানেই শেষ বিয়ের কাজ। এরপর যা কিছু করা হয় আমাদের সমাজে যেমন, পিঠা পাঠানো, কলা পান পাঠানো, ঈদে ছাগলখাসী পাঠানো, কাপড়চোপড় পাঠানো এসব কুসংস্কার। এসব ছাড়তে হবে।
❏ বিয়ে নিয়ে যত কুসংস্কার আছে এসব প্রথমে পয়সাওয়ালাদেরকেই ছাড়তে হবে। কোটিপতি মেয়ের বাবা যদি বরযাত্রী খাওয়ানো বন্ধ করে। বিয়ের পর এটাসেটা না পাঠানোর ব্যাপারে সোচ্চার হয়। তবেই গরীবদের জন্য একে এড়িয়ে চলা সহজ হবে।
আপনার পয়সা আছে বলেই আপনি খরচ করছেন কিন্তু এর মাধ্যমে যে একটা কুসংস্কারকে জিইয়ে রাখছেন এটা কি ভাবার সময় হবে!? এর জন্য যে কত গরীব বাবা পথে পথে ভিক্ষা করছে মেয়ে বিয়ে দেয়ার জন্য সেসব দেখার সময় হবে কি!?
❏ বিয়ে করাই সব নয়। সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখার প্রতি মনোযোগী হতে হবে। যেন কোন কারণে ভেঙে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এসব ক্ষেত্রে সেক্রিফাইসের বিকল্প নাই। আর কোন বিষয়ে মতপার্থক্য হলে যার কথা দ্বীনের নিকটতম সেই কথার উপর এক হওয়া। সে এক কথা বলে মা-বাবা অন্যকথা বলে এমন মুহূর্তেও দ্বীনের কাছে যার আদেশ সেটাই মেনে নেয়া।
যে কোনো জাগায় এক সাথে থাকার জন্য একজনকে অভিভাবক মানতে হয়। কোনো সমস্যা হলে তার সমাধান মেনে নিতে হয়। আর পুরুষই অভিভাবক হবে এটাই কুরআনের বিধান। পরিবার রাষ্ট্র সবখানে এটা মেনে নিতে হবে। এভাবে অনেক সমস্যা থেকে বেঁচে থাকা যাবে। নারীদের মন খারাপ করার কারণ নেই। পুরুষ দায়িত্বের দিক দিয়ে উপরে আর নারী সম্মান ও অধিকারের দিক থেকে এগিয়ে।
❏ স্ত্রীকে আলাদা থাকার ব্যবস্থা করে দেয়া স্বামীর কর্তব্য। আলাদা ঘর বলতে আলাদা একটা রুম। আলাদা বাথরুম। প্রয়োজনে আলাদা পাকঘর।
❏ স্ত্রীর উপর শশুর-শাশুড়ির সেবা করা আবশ্যক নয়। সন্তানের উপর তার মা বাবার সেবা করা আবশ্যক। সন্তান নিজে না পারলে কাজের লোক রাখবে। এখন স্ত্রী যদি শশুর-শাশুড়ির সেবা করে নিজ স্বামীর কাজ এগিয়ে দেয়। কাজেরলোক রাখার খরচটা বাঁচিয়ে দেয়। তবে তো স্বামী স্বস্তি পায়।
���খানে একটা বিষয় উল্লেখ্য, আমাদের সমাজের নিয়ম হয়ে গেছে যৌথপরিবারের। একেই ভালো মনে করা হয়। অথচ এর মাধ্যমে পর্দার বিধান লঙ্ঘন সহ আরো অনেক সমস্যা দেখা যায়। আবার বিয়ে করার সময় এটাই ভাবা হয় যে, পরিবার দেখাশুনার জন্য একজন বউ দরকার। এসবকে এড়িয়ে চলাই মঙ্গলজনক।
❏ আমাদের সমাজে এসব নিয়ে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। স্ত্রী যদি স্বামীর কাছে যা পাবে, স্বামীর সামর্থ্য না থাকা অবস্থায়ও তা পেতে চাপ দেয়। আবার স্বামীও স্ত্রীকে পাল্টা চাপ দেয় এই বলে, তুমি তোমার মা বাবার সাথে দেখা করতে পারবে না। তারা তোমাকে দেখতে আসলেও তুমি ঘরের দরজা খুলতে পারবে না। (এসব আদেশও স্ত্রী মানতে বাধ্য)।
এভাবে চাপাচাপিতে সম্পর্ক টিকে থাকে না। উভয়ের উচিৎ ভালোমন্দ চিন্তা করা। কোন কিছু দরকার হলে পরামর্শ করে করা। নিজে একটু কষ্ট করে হলেও সম্পর্কিটা ধরে রাখা।
❏ শেষমেশ হাদীস থেকে ছেলেদের প্রতি একটি উপদেশ। নারী হলো পাঁজরের বাঁকা হাঁড়। জোর দিয়ে সোজা করতে গেলে ভেঙ্গে যাবে। ছেড়ে রাখলে বাঁকাই থেকে যাবে। ভালো ব্যবহার দিয়ে ভালোবাসা দিয়ে কৌশলে তাঁদেরকে সোঝা রাখতে হবে।
0 notes
Text
অলসতা!
আলোচকদের অনর্গল কথা বলা দেখে অবাক হতে হয়। লেখকদের লেখা পড়ে মুগ্ধ হতে হয়। প্রশ্ন জাগে কিভাবে পারে এত!
ডেল কার্নেগী বলেন, জনতার সামনে বক্তৃতা করতে ভয় পাওয়ার কারণই হলো আপনি এ কাজে অনভ্যস্ত।
লেখকরা লেখেন, পড়। পড়। পড়। আর লেখ। তবেই একদিন নিজেকে লেখক হিসেবে আবিষ্কার করতে পারবে।
আমরা শুধুই ভাবি। কল্পনা করি। স্বপ্ন দেখি। ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ি...
0 notes