Love is beautiful. No love no life! Everyone Loving for Life.
Don't wanna be here? Send us removal request.
Photo
সাধারণ ডায়েরির খসড়া
তারিখঃ [আপনার জিডি করার তারিখ]
বরাবর,
অফিসার ইন চার্জ,
[আপনার থানা নাম] থানা,
[জেলা নাম]।
বিষয়ঃ মানসিক চাপ ও আত্মহত্যার হুমকির বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি [আপনার পুরো নাম], পিতা: [পিতার নাম], সাং: [বর্তমান ঠিকানা], থানা: [থানার নাম], জেলা: [জেলার নাম]। আমি একজন চাকরিজীবী/ব্যবসায়ী/পেশাজীবী (যা প্রযোজ্য)। আমার স্ত্রী [স্ত্রীর নাম] গত কিছুদিন যাবৎ আমাকে নানাভাবে মানসিকভাবে চাপ দিচ্ছেন এবং বিভিন্ন সময় আমাকে হুমকি দিচ্ছেন যে তিনি নিজে আত্মহত্যা করবেন। এসব হুমকির কারণে আমি চরম মানসিক অস্থিরতা ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
আমি কখনো তাকে কোনো রকম মানসিক বা শারীরিক নির্যাতন করিনি। তার এই ধরণের আচরণ ও হুমকির ফলে আমি আশঙ্কা করছি যে ভবিষ্যতে যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, তাহলে আমাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হতে পারে। তাই আমি আত্মরক্ষার্থে এবং ভবিষ্যতের যেকোনো আইনগত জটিলতা এড়ানোর জন্য থানায় এই সাধারণ ডায়েরি করতে বাধ্য হচ্ছি।
অতএব, অনুরোধ, বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমার এই সাধারণ ডায়েরিটি লিপিবদ্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিনীত,
[আপনার স্বাক্ষর]
[আপনার নাম]
[মোবাইল নম্বর]
[জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (যদি দেন)]

Abbott H. Thayer, Waterlilies 1884
6K notes
·
View notes
Photo


A village on the edge of a cliff, Yemen.
By Peter Adams
32K notes
·
View notes
Text
1K notes
·
View notes
Text
আপনি যে মন্ত্রটি উল্লেখ করেছেন, তা মা কালীদেবীর বিভিন্ন রূপের নাম নিয়ে গঠিত — এটি একটি স্তোত্র বা মন্ত্র হতে পারে যেখানে দেবীর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ও রূপকে আহ্বান করা হচ্ছে। আপনি যা লিখেছেন তা এইরকম শোনায়:
“শশ্মানা কালী কালী, ভদ্রা কালী কপালিনী,
গুয়েকালী মহা কালী মাতৃণী…”
এই ধরনের স্তোত্র বা মন্ত্র সাধারণত তান্ত্রিক উপাসনা, কালী পূজা, বা শক্তি সাধনায় ব্যবহৃত হয়, যেখানে মা কালীকে তাঁর বিভিন্ন রূপে ডাক দেওয়া হয়—যেমন:
• শ্মশান কালী – শ্মশানে অবস্থানকারী তান্ত্রিক রূপ
• ভদ্র কালী – শান্ত এবং কল্যাণময় রূপ
• কপালিনী – যিনি খাপরি (কপাল) ধারণ করেন
• গুয়েকালী – গুহ্য বা গোপন তান্ত্রিক রূপ
• মহাকালী – কালেরও অধিক, অনন্ত শক্তি
• মাতৃণী – মাতৃরূপে পূজিতা
আপনি যদি চান, আমি পুরো মন্ত্রটি সাজিয়ে দেব এবং তার বাংলা ব্যাখ্যাও দিতে পারি। আপনি কি এটি পূজার জন্য ব্যবহার করছেন, নাকি এর উৎস জানতে আগ্রহী?
1 note
·
View note
Text
৩. জালন্ধর বন্ধ (Jalandhara Bandha)
অর্থ: ‘জালন্ধর’ মানে জাল বা নেটওয়ার্ক, যা গলা ও ফুসফুসের মধ্যে শক্তির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে।
কিভাবে করবেন:
1. পদ্মাসন বা সুখাসনে বসুন।
2. গভীর শ্বাস নিন, তারপর শ্বাস ধরে রেখে চিবুকটি বুকের সাথে চেপে ধরুন (যেন গলার বন্ধ তৈরি হয়)।
3. কাঁধ সামান্য উপরের দিকে তুলে দিন এবং এই অবস্থায় ৫-১০ সেকেন্ড থাকুন।
4. মাথা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরিয়ে শ্বাস ছাড়ুন।
5. এটি ৫-১০ বার অনুশীলন করুন।
উপকারিতা:
• কণ্ঠচক্র (বিশুদ্ধি চক্র) সক্রিয় করে
• থাইরয়েড ও প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা উন্নত করে
• প্রানায়ামের শক্তি নিয়ন্ত্রণ করে
সতর্কতা:
• উচ্চ রক্তচাপ ও গলায় সমস্যা থাকলে এটি করবেন না।
2 notes
·
View notes
Text
২. উদ্দীয়ান বন্ধ (Uddiyana Bandha)
অর্থ: ‘উদ্দীয়ান’ মানে ঊর্ধ্বগমন বা উপরে ওঠা। এটি অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলির উত্তোলনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
কিভাবে করবেন:
1. পা ফাঁক করে দাঁড়ান বা সুখাসনে বসুন।
2. গভীর শ্বাস নিন, তারপর সম্পূর্ণভাবে শ্বাস ত্যাগ করুন।
3. শ্বাস ধরে রেখে পেটকে পাঁজরের নিচের দিকে টানুন, যেন ভেতরে ঢুকে যায়।
4. এই অবস্থায় ৫-১৫ সেকেন্ড থাকুন (স্বাভাবিক ক্ষমতা অনুযায়ী)।
5. ধীরে ধীরে পেট স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনুন এবং শ্বাস নিন।
6. এটি ৫-১০ বার অনুশীলন করুন।
উপকারিতা:
• মণিপুর চক্র সক্রিয় করে
• হজমশক্তি ও অন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ায়
• কুণ্ডলিনী শক্তি উপরের দিকে উত্তোলনে সাহায্য করে
সতর্কতা:
• উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, গ্যাস্ট্রিক বা আলসার থাকলে এটি করবেন না।
2 notes
·
View notes
Text








1 note
·
View note
Text
বুদ্ধ আদেশে গোহত্যা নিষিদ্ধ

ভগবান বুদ্ধ গোহত্যা নিষিদ্ধ করেছেন। ত্রিপিটকের সুত্র পিটকের সুত্তনিপাতের ব্রাহ্মণ ধম্মিক সুত্তে বলা হয়েছে-মাতা, পিতা, ভাই এবং পরিবারের অন্যান্য আত্মীয়ের ন্যায় গোজাতি পরম মিত্র স্বরূপ। কারণ তাদের থেকে বিবিধ প্রকারের জীবনদায়ী ওষুধের উৎপত্তি হয়। গোগণ বিভিন্ন প্রকারের অন্ন, শারীরিক বল, বর্ণ ও সুখপ্রদানকারী। এ বিষয়টি জ্ঞাত হয়ে ব্রাহ্মেণেরা কখনই গোহত্যা করতেন না। তাই তাঁরা ছিলেন মহান আদর্শের কারণে যশস্বী। যতকাল এই উচ্চ মহান আদর্শধারী ব্রাহ্মণগণ জগতে বর্তমান ছিলেন, ততদিনই তাঁরা সুখসমৃদ্ধময় ছিলেন।
উপট্ ঠিতস্মিং যঞ্ঞস্মিং, নাস্সু গাবো হনিংসু তে,
যথা মাতা পিতা ভাতা, অঞ্ঞে বাপি চ ঞাতকা।
গাবো নো পরমা মিত্তা, যাসু জায়ন্তি ওসধা ।
অন্নদা বলদা চেতা, বন্নদা সুখদা তথা,
এতমত্থবসং ঞত্বা, নাসসু গাবো হনিংসু তে।
সুখুমালা মহাকাযা, বন্নবন্তো যসসসিনো,
ব্রাহ্মণা সেহি ধম্মেহি, কিচ্চাকিচ্ছেসু উসসুকা;
যাব লোকে অবত্তিংসু, সুখমোধিথ’যং পজা।
( ত্রিপিটক: সুত্র পিটক, সুত্তনিপাত, ব্রাহ্মণ ধম্মিক সুত্তং,১৩-১৫)
"তাঁরা যজ্ঞসময়ে উপস্থিত হলেও, কখনো গো হত্যা করতেন না। যেমন মাতা, পিতা, ভাই এবং অন্যান্য আত্মীয়ের ন্যায় গোজাতি আমাদের পরম মিত্র স্বরূপ এবং তাদের থেকে বিবিধ প্রকারের জীবনদায়ী ওষুধের সৃষ্টি হয়।
গোগণ অন্ন, বল, বর্ণ ও সুখপ্রদানকারী। এ বিষয়টি জ্ঞাত হয়ে ব্রাহ্মেণেরা কখনই গোহত্যা করতেন না।
তাঁরা সুকুমার, মহাকায়, বর্ণবান, যশস্বী ও স্বভাবতঃ ব্ৰাহ্মণ ছিলেন; তাঁরা নিজ নিজ কর্তব্য পালনে আগ্রহপূর্ণ ছিলেন। যতদিন এই উচ্চ আদর্শধারী ব্রাহ্মণগণ জগতে বর্তমান ছিলেন, ততদিন এই জাতি সুখসমৃদ্ধ ছিল।"
ত্রিপিটকের সূত্রপিটকের দীর্ঘনিকায়ের শীলস্কন্ধ বর্গের ব্রহ্মজাল সূত্রে ভগবান বুদ্ধ কী কী বিষয় থেকে বিরত ছিলেন তার একটি তালিকা রয়েছে। সেখানে বর্ণিত হয়েছে যে, বুদ্ধ মোরগ, শূকর, হাতি, গো, ঘোড়ার
মাংস গ্রহণ করতেন না, অর্থাৎ তিনি এ সকল প্রাণীর মাংস ভক্ষণ করতেন না।
"শ্রমণ গৌতম বীজ ও উদ্ভিদের বিনাশ হতে প্রতিবিরত। তিনি একাহারী, রাত্রি ও বিকাল ভোজনে প্রতিবিরত। তিনি নৃত্য-গীত-বাদ্য-সম্বলিত প্রদর্শনী গমনে বিরত। তিনি মাল্য, গন্ধ ও বিলেপনের ধারণ, মণ্ডন ও বিভূষণ হতে বিরত। তিনি উচ্চ ও বৃহৎ শয্যার ব্যবহারে বিরত। তিনি স্বর্ণ ও রৌপ্যের গ্রহণ হতে বিরত। কুক্কুট ও শূকর গ্রহণে বিরত। তিনি হস্তী, গো, অশ্ব ও অশ্বী গ্রহণে বিরত। তিনি অপক্ব শস্যের গ্রহণ হতে বিরত। তিনি অপক্ব মাংসের গ্রহণ হতে বিরত। তিনি স্ত্রীলোক ও কুমারীর গ্রহণ হতে বিরত। তিনি ক্রীতদাসী ও ক্রীতদাসের গ্রহণে বিরত। তিনি মেষ ও ছাগের গ্রহণে বিরত। তিনি কর্ষিত ও অকর্ষিত ভূমির গ্রহণ হতে বিরত। তিনি দূত ও সংবাদবাহকের কর্ম হতে বিরত। তিনি ক্রয় ও বিক্রয় হতে বিরত। তিনি তুলা, কংস ও মান-সম্বন্ধিত প্রবঞ্চনা হতে বিরত। তিনি উৎকোচ, বঞ্চনা ও শাঠ্যরূপ বক্রগতি হতে বিরত। তিনি ছেদন, বধ, বন্ধন, দস্যুতা, লুণ্ঠন ও আক্রমণ হতে বিরত। সংসারাসক্ত মনুষ্য তথাগতের প্রশংসা কীর্তনকালে এইরূপ বলে থাকে।"
( সূত্রপিটক: দীর্ঘনিকায়, খণ্ড-১, শীলস্কন্ধ বর্গ, ব্রহ্মজাল সূত্র, ১০)
ড. শ্রীকুশল বরণ চক্রবর্ত্তী
সহকারী অধ্যাপক,
সংস্কৃত বিভাগ,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
1 note
·
View note
Text
চন্দ্রাবতী (আনুমানিক ১৫৫০-১৬০০) বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রথম পরিচিত নারী কবি হিসেবে স্বীকৃত। তিনি ষোড়শ শতাব্দীর মধ্যযুগে বৃহত্তর ময়মনসিংহের (বর্তমানে বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার পাতুয়ারী গ্রাম) এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা দ্বিজ বংশীদাস ভট্টাচার্য ছিলেন মনসামঙ্গল কাব্যের অন্যতম কবি, এবং মাতার নাম ছিল সুলোচনা বা অঞ্জনা। চন্দ্রাবতীর জীবন ও সাহিত্যকর্ম নাটকীয় ও বেদনাভারাতুর ঘটনায় পরিপূর্ণ, যা তাঁকে বাংলা সাহিত্যে এক কিংবদন্তী চরিত্রে পরিণত করেছে।
### জীবনকাহিনি
চন্দ্রাবতীর জীবন নিয়ে তথ্য প্রধানত মৈমনসিংহ গীতিকা ও নয়ানচাঁদ ঘোষ রচিত ‘চন্দ্রাবতী’ পালা থেকে পাওয়া যায়। তাঁর জীবনের কেন্দ্রীয় ঘটনা ছিল জয়ানন্দ (বা জয়চন্দ্র) নামে এক যুবকের সঙ্গে তাঁর প্রেম ও বিচ্ছেদ। শৈশব থেকেই চন্দ্রাবতী ও জয়ানন্দ একসঙ্গে বেড়ে ওঠেন এবং কৈশোরে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই পরিবারের সম্মতিতে তাঁদের বিবাহের দিনও নির্ধারিত হয়। কিন্তু নাটকীয়ভাবে, জয়ানন্দ স্থানীয় কাজীর কন্যা আশমানী (বা কমলা, মতান্তরে) নামে এক মুসলিম নারীর প্রতি আকৃষ্ট হন। তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে জয়নাল নাম ধারণ করেন এবং আশমানীকে বিয়ে করেন। এই ঘটনায় চন্দ্রাবতী গভীরভাবে আঘাত পান এবং চিরকুমারী থাকার সিদ্ধান্ত নেন।
তাঁর পিতা দ্বিজ বংশীদাস তাঁকে শোক কাটিয়ে উঠতে শিবপূজা ও সাহিত্য রচনায় মনোনিবেশ করার উপদেশ দেন। চন্দ্রাবতী ফুলেশ্বরী নদীর তীরে পিতার নির্মিত একটি শিবমন্দিরে শিবের আরাধনায় জীবন অতিবাহিত করেন। কিছু সূত্র অনুসারে, জয়ানন্দ পরে অনুতপ্ত হয়ে ফিরে আসেন এবং ফুলেশ্বরী নদীতে প্রাণত্যাগ করেন। এই ঘটনায় বিধ্বস্ত চন্দ্রাবতীও নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে লোকগাথায় উল্লেখ আছে, যদিও এই তথ্যের ঐতিহাসিক সত্যতা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
### সাহিত্যকর্ম
চন্দ্রাবতী বাংলা সাহিত্যে তাঁর মৌলিক ও নারীকেন্দ্রিক রচনার জন্য বিখ্যাত। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজগুলো হলো:
1. **রামায়ণ**: চন্দ্রাবতীর রচিত রামায়ণ বাংলা সাহিত্যে একটি ব্যতিক্রমী রচনা। তিনি ঐতিহ্যবাহী কৃত্তিবাসী বা বাল্মীকির রামায়ণের পরিবর্তে গ্রাম্য লোককাহিনীর উপর ভিত্তি করে এটি রচনা করেন। এই রামায়ণে সীতার দৃষ্টিকোণ থেকে কাহিনী বর্ণিত হয়, যা তৎকালীন পুরুষকেন্দ্রিক রচনার বিপরীতে নারীর অনুভূতি ও দুঃখকে গুরুত্ব দেয়। চন্দ্রাবতী রামের কিছু সিদ্ধান্ত, যেমন সীতার প্রতি সন্দেহ, তিরস্কার করতেও দ্বিধা করেননি। তাঁর রামায়ণে লৌকিক ও মানবিক উপাদান প্রাধান্য পায়, এবং ভাষা ও উপস্থাপনায় লোকসাহিত্যের প্রভাব স্পষ্ট। এই রচনা পূর্ববঙ্গে বিবাহের সময় নারীদের দ্বারা গীত হতো।
2. **মলুয়া**: এটি একটি গীতিকাব্য, যেখানে তৎকালীন ময়মনসিংহের লোকসমাজ ও সংস্কৃতির চিত্র ফুটে উঠেছে। এই রচনায় সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ ও জীবনযাপনের কথা প্রাধান্য পায়।
3. **দস্যু কেনারামের পালা**: এই পালায় চন্দ্রাবতী সমাজের প্রান্তিক মানুষের বীরত্ব ও প্রতিবাদের কাহিনী তুলে ধরেন। এটি তাঁর সামাজিক সচেতনতার পরিচয় বহন করে।
4. **মনসামঙ্গল কাব্য**: চন্দ্রাবতী তাঁর পিতা বংশীদাসের মনসামঙ্গল কাব্যের কিছু অংশ রচনায় সহায়তা করেছিলেন বলে জানা যায়।
চন্দ্রাবতীর রচনায় তৎকালীন সমাজের নিম্নবর্গীয় ও প্রান্তিক মানুষের জীবন, বিশেষত নারীদের অভিজ্ঞতা, প্রতিফলিত হয়। তিনি দেবদেবীকেন্দ্রিক ধর্মীয় রচনার পরিবর্তে মানবিক ও লৌকিক বিষয়কে প্রাধান্য দিয়েছেন, যা তাঁর রচনাকে অনন্য করে তুলেছে।
### উত্তরাধিকার
চন্দ্রাবতীর জীবন ও সাহিত্য বাংলা সংস্কৃতির এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাঁর স্মৃতি ধরে রাখতে কিশোরগঞ্জের ফুলেশ্বরী নদীর তীরে অবস্থিত চন্দ্রাবতী শিবমন্দির একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা হিসেবে সংরক্ষিত। এই মন্দিরটি তাঁর পিতা তাঁর জন্য নির্মাণ করেছিলেন। তাঁর রচনাগুলো ময়মনসিংহ গীতিকার অংশ হিসেবে সংগৃহীত ও প্রকাশিত হয়েছে, বিশেষত দীনেশচন্দ্র সেনের প্রচেষ্টায়। ১৯৩২ সালে তিনি চন্দ্রাবতীর রামায়ণ প্রকাশ করেন।
চন্দ্রাবতীর জীবন নিয়ে ২০১৯ সালে ‘চন্দ্রাবতী কথা’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়, যা কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়। তাঁর সাহিত্য ও জীবন গবেষকদের কাছে আজও আকর্ষণের বিষয়। তিনি শুধু একজন কবি নন, বরং নারী স্বাধীনতা ও সৃজনশীলতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হন।

0 notes