imransvisions-blog

[imransvisions-blog]

কাশ্মীর সংকট : হিন্দু কতৃক মুসলমান নিপীড়নের ইতিবৃত্ত , শেষ পর্ব

কাশ্মির সংকট নিয়ে পাক-ভারতের মধ্যে তৃতীয় যুদ্ধ সংঘটিত হয় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়।

এই যুদ্ধ শুধুমাত্র পাক-ভারতের মধ্য সীমাবদ্ধ থাকলনা।

এতে সোভিয়ত ইউনিয়ন(বর্তমান রাশিয়া) ভারত এবং পাকিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দেয়। অনিবারর‌্যভাবে সংঘটিত হ্ওয়া উক্ত যুদ্ধে ভারতের কাছে পাকিস্তান পরাজিত হয়েছিল যেমনটা বাংলাদেশের কাছে ch©দুস্ত হয়েছিল  দেশটি। এই সুযোগে ভারত সরকার পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মির দখলের পরিকল্পনা করলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের ফলে ভারতের পরিকল্পনা ব্যার্থ হয়।

.

উক্ত যুদ্ধের পর তৎকালিন ভারতের প্রধামেন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং পাকিস্তানের পক্ষে জুলফিকর আলী ভুট্টু ১৯৭২ সালে “সিমলা” চুক্তি সাক্ষর করেন। উক্ত চুক্তি অনুযায়ী , ভারত ও পাকিস্তান সরকার সংঘর্ষের ঘটনা, যা উভয় দেশের মধ্যে এতকালের সম্পর্কের বৈশিষ্ট্য , তার অবসান করে স্বদিচ্ছা ,সহযোগিতা , সম্পর্কের উন্নয়ন এবং স্থায়ী শান্তিপূর্ণ দ্বি-পাক্ষিক আপোস আলোচনার পদ্ধতিতে বা উভয় দেশ ঐক্যমত হলে অন্যকোন শান্তিপূর্ণ পন্থায় তাদের মতানৈক্যর অবসানকরবে বলে স্থির হয় । কিন্তু মহাত্ম গান্ধির মত ইন্দিরা গান্ধিকে ও হত্যা হতে হল ভারতের মাটির উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হাতে। পরবর্তীতে ঐতিহাসিক সিমলা চুক্তি সাক্ষরিত হ্ওয়ার সময় থেকে আজ পh©ন্ত ভারত পাকিস্থানের

সম্পর্ক তিক্ততর হয়ে ওঠছে দিনদিন। সেই শান্তিচুক্তি আজও অধরা রয়ে গেল।

.

এরই ধারাবাহিকতায় ,  গত ৫ আগস্ট ২০১৯ সাল, কাশ্মিরীদের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় রচিত হয় । কেননা এই দিন ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী বি.জে.পি সরকার ঐতিহাসিক একটি সিদ্ধান্তের গ্রহণের মাধ্যমে বহুল আলোচিত জম্মু ও কাশ্মিরের ৩৭০ ধারা বিলোপ সাধন করে । এবং ওই ধারার  অধীনে থাকা ৩৫ ধারা্ও প্রত্যাহার করা হয়।এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, গত সাত দশ ধরে অর্থা�� ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে বেলা ১১ টা ,৫ আগস্ট ২০১৯ সাল পর‌্যন্ত উক্ত ৩৭০ অনুচ্ছেদের সুবাদে এই রাজ্যটি ভারতের অন্যান্য রাজ্যের চেয়ে বেশি স্বায়ত্তশাসন ভোগ করত। কিন্তু এখন থেকে জম্মু ও কাশ্মীর দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভিক্ত হবে। একটি লাদাখ ও অন্যটি কাশ্মীর। এর মধ্যে কাশ্মীরের আইনসভা থাকলেও লাদাখে থাকবে না।

.

“ ভারতের সংবিধান বিশেষজ্ঞ মিহির এর মতে, এর আগে সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদের কল্যানে জম্মু ও কাশ্মিরের স্থায়ী বাসিন্দারাই জমির মালিক হতে পারতেন । এখন যে কেউ ঐ রাজ্যের জমির মালিক হতে পারবেন।

কাশ্মীরের চাকরির জন্য এখন অন্য রাজ্যের বাসিন্দারা ও আবেদন করতে পারবেন। এতদিন কাশ্মীরের নিজস্ব সংবিধান ও একটি আলাদা পতকা স্বাধীনতা দেওয়া ছিল ।ভারতের পার্লামেন্টের উভয় কক্ষ ভবিষ্যতে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। পররাষ্ট্র, অর্থ , প্রতিরক্ষার বিষয়টি আগের মতোই কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে থাকবে। মিহির আরও জানান, আইনশৃলা রক্ষার দায়িত্ব এতিদন ছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর  হাতে । কিন্তু নতুন ব্যবস্থায় রাজ্যটি কেন্দ্রের সরাসরি শাসনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরারাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে রাজ্যটি পরিচালনা করবেন একজন লেফটেন্যন্ট গভর্নর। এখন থেকে কাশ্মিরীদের দ্বৈত নয়, একক নাগরিকত্ব থাকবে, অর্থনৈতিক ও সাধারণ জরুরি অবস্থা কার‌্যকর করা যাবে, সংখ্যালুঘুরা সংরক্ষণের আ্ওতায় আসবেন এবং তথ্য অধিকার আইন সংরক্ষণ করা হবে।” (সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক- ৬ আগস্ট ২০১৯)

.

এদিকে মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লাহ, সাজ্জাদ লেন, ইমরান আনসারীর সহ শতশত কাশ্মিরের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক নেতৃত্ববৃন্দদের ভারত সরকার গৃহ বন্দি করে না হয় অন্যত্রে তুলে নিয়ে কাশ্মিরিদের নেতৃত্ব শূণ্য করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে । এবং সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে আন্দোলনের অধিকার হরণ করা হয়েছে এমনকি ইনটারনেট , মোবাইল ,টোলফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কাশ্মিরীদের সমগ্র দেশ ���িংবা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। অল্প একটু প্রতিবাদ করতে গেলেও কাশ্মিরীদের জেলে হাজতে নিয়ে যাচ্ছে কাশ্মিরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সরকারি হানাদার বাহিনীরা।  সন্দেহবশত গ্রেপ্তার করছে হাজার হাজার কাশ্মিরী মায়ের সন্তান কিংবা স্বামীকে , গ্রেপ্তার তাদের করছে ভাই , বাবা , বন্ধুদের । অন্য প্রদেশের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এবং পাকিস্তান হতে বাণিজ্যিক পণ্য না আসায় লক্ষ্য লক্ষ্য কাশ্মিরী মৈালিক চাহিদাহিনতায় ভোগছে । এক কথায় কাশ্মিরের জনগণরা এখন সর্বহারা ও নিঃস্ব । তারা মানবতর ও অসহায়ত্বর জীবন যাপন করছে।

.

এই ঘটনার পরবর্তি সময় থেকে কাশ্মীরের আকাশে যেন আমাজান বন কিংবা সাহারা মরুভূমির মত দাবানল ছড়িয়ে পড়ছে।,কাশ্মিরের মাটিতে যেন বর্বর ইসরাইলিদের হামলায় রক্তাত্ত ফিলিস্তিনের মাটির মত রক্ত ঝরছে। যারা এতদিন স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখে আসছিল , উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভারতের বি,জে.পি সরকারের বিষাক্ত ছুবলে আক্রান্ত হয়ে আজ কাশ্মিরীরা  দিশেহারা ।

ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে বলা যায় , ইসরাইলিরা যেমন জাতিসংঘের চুক্তি ভঙ্গ করে , ফিলিস্তিনিদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে ১৯৪৭ সালের ১৪ মে অবৈধ ইসরাইলিদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্টিত হয়। ঠিক অনুরুপ উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভারত সরকার ও জাতিসংঘের নীতিমালা লঙ্গন করে কাশ্মিরের স্বায়িত্বশাসন বিলুপ্তির মাধ্যমে কাশ্মিরীদের স্বাধীনতার স্বপ্ন ভেঙ্গে ধুলিস্যাৎ করে দেয়।

শুধু পার্থক্যটা হলো , সেই দিন অন্ততপক্ষে ফিলিস্তিনের পাশে এসে দাড়িয়েছিল আরব বিশ্বের দেশ সমূহ যদিও তখনকার উগ্র খ্রিস্টান ধর্মবালম্বী রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র ,যুক্তরাজ্য কিংবা সোভিয়ত ইউনিয়ন সমর্থিত হানাদার ইসরাইলিদের সাথে ক্ষমতা হারানো মুসলমানরা পরাজয় বরণ করেছিল। কিন্তু আজ কাশ্মিরের মুসলমানদের পক্ষে কেউ নেই।

.

কাশ্মিরের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান হুঙ্কার ঝঙ্কার ছাড়লে ও তারা যা করছে নিজেদের স্বার্থে । একথা চিরন্তর সত্য যে, অমুসলিম দেশগুলো কখনো মুসলমানদের ভাল চাই নি। তারা যা করে নিজেদের স্বার্থের প্রয়োজনে করে।তারা মুখে মানবতার বুলি ছাড়ে, অন্তরালে ষড়যন্ত্র,বিশ্বাসঘাতকতা তাদের রক্তের সাথে মিশে যেন একাাকার। তারা পথ চেয়ে থাকে, কখন পৃথিবীর বুকে এই রকম কোন সংকট আসবে! অস্ত্রের কিংবা যুদ্ধ সরান্জমের রমরমা ব্যবসা না হয় মুখ থুবড়ে পরবে!না হয় একটু ভেবে দেখুন বিশ্বে কোন সংকট আসলে বিশেষ করে , মুসলমানদের ক্ষেত্রে বিশ্বপরাশক্তি গুলো কেনা দ্বি-বিভক্ত হয়ে যায়? রোহিঙ্গা সংকট, ফিলিস্তিন , সিরিয়িা , ইয়ামেন, কিংবা উইঘুর  সংকট।

পরিতাপের বিষয় হল , মুসলিম বিশ্বের দেশ সমূহ ও কাশ্মির বিষয়ে প্রায় নিশ্চুপ! প্রকৃতপক্ষে অন্য কোন উপায় আছে বলেও মনে হয় না। কেননা অধিকাংশ মুসলিম দেশের নেতারা নিজ ক্ষমতা পাাকাপুক্ত করার জন্য অমুসলিম দেশের নেতাদের পা ছাটতেও পছন্দ করে। সেক্ষেত্রে মিসরের সিসি সরকার ,সৌদির সালমান অনন্য প্রকৃষ্ট উদহারণ। তাছাড়া মুসলমানদের জাতিসংঘে কোন প্রস্তাবে ভেটু দেওয়ার ক্ষমতা নেই , যে ভেটুর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সমস্যার মিমাংস হয় ,সেই ক্ষমতা অমুসলমানেদের দখলে । ইতিপূর্বে উল্লেখ করেছি যারা কখনো মুসলমানদের ভাল চাইনি ,অতীতেও চাইবে কিনা সন্দেহ থেকে যায়।

.

তাহলে কাশ্মির সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান কি? আধও কি সম্ভব? বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই বিষয়ে বলাটা প্রকৃতপক্ষে কঠিন। যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের প্রত্যক্ষ হস্তেক্ষেপের মাধমে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়ার বুক ছিড়ে খ্রিস্টান মিশনারিদের প্রচারণার মাধ্যমে সৃষ্টি হয় খ্রিস্টান রাষ্ট্র পূর্ব তিমুর । একই ভাবে খ্রিস্টান রাষ্ট্র দক্ষিণ সুদান। কিন্তু কাশ্মিরের ক্ষেত্রে তা কি কখনো সম্ভব হবে! না কাশ্মিরীদের কপালে  ফিলিস্তিনিদের ভাগ্যরেখা প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠবে ,তা সময় বলে দেবে। এমন হতে পারে হয়ত একদিন কাশ্মিরের আকাশে স্বাধীনতার সূর্য  উদয় হবে।

ভারত সরকার যদি কাশ্মীরের মুসলমানদের অধিকার কেড়ে নিয়ে,তাদের চাহিদাকে প্রাধান্য না দিয়ে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে তাদের আন্দোলনকে দমন করতে বা তাদের দাবিয়ে রাখতে চাই।

যদি ভরতীয় সেনাবাহিনী কতৃক একজন বিপ্লবী কাশ্মিরী নিহত হয় তাহলে প্রতিদিন জন্ম নিবে শতশত বিপ্লবী। এমন ও হতে পারে ভারত সরকারের অবহেলা ও নির‌্যাতনের স্বীকার নিরীহ কাশ্মিরীরা নিজেদের মধ্যে

ভারত বিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করবে  এবং তারা একপ্রকার আশ্রয়হীন ও অসহায় হয়ে পড়বে। আর এই অসহায়ত্ত্বহীনতাকে কাজে লাগাবে লস্করে তৈয়বা,হিজাবুল মুজাহিদিন এবং জৈয়সি মুহাম্মদ নামধারী উগ্র সংঘটনগুলো।

.

বর্তমানেও এই সংঘটনগুলো কাশ্মিরের কিছুকিছু যুবকদের নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে।ফলশ্রোতিতে তারা ভারতের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে নিজেদের সক্ষমতাকে বহিঃপ্রকাশ করতে চেষ্ঠা চালাচ্ছে।১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে ভারত শাসিত কাশ্মিরের পুল্ওমায় যে হামলা চালানো হয়েছে,সেই আত্মঘাতি হামলাকারী উপরে উল্লেখিত দলভুক্ত। এই হামলা হয়ত আরও বেড়ে যাবে। বর্তমান বিশ্বের একক ক্ষমতাধর যুক্তরাষ্ট্র পর‌্যন্ত যেখানে সন্ত্রাসী হামলা হতে রেহাই পাচ্ছে না। সেখানে অধিক জনসংখ্যা আর উগ্রমতবাদে ভারাক্রান্ত ভারত কতটুকু নিজেদের রক্ষা করতে পারবে তা ভাবার বিষয়। ইতিমধ্যে ভারতে অর্থনৈতিক মন্দাও শুরু হয়েছে।

পরিশেষে,

বর্তমান বিশ্বের বিভীন্ন দেশে আত্মঘাতি হামলা প্রায় ঘটছে।আর কেউ কেউ হামলাকারীর কারণে তার ধর্মটাকে হেয় প্রতিপন্ন করছে। অথচ আমরা কি কখনো ভেবেছি কেন সে এমন আত্মঘাতি জীবন বেচে নিল?

কেন সে ইহুদি কিংবা সি আই এ কতৃক সৃষ্ট আই.এস কিংবা নামধারি কিছু উগ্র মুসলমান কতৃক সৃষ্ট তালেবান , বোকা হারাম ইত্যদি সংঘটনগুলো সাথে জড়িয়ে পড়ছে সুন্দর জীবন ছেড়ে ।

যেখানে মহান আল্লাহ স্পষ্ট্ভাবে ঘোষণা করেন ,(১) “তো��রা নিজেরা নিজেকে হত্যা কোরো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের ওপর দয়ালু। তার পরও যে আত্মহত্যা করল সে সীমা লঙ্ঘন ও জুলুম করল, অচিরেই আমি তাকে জাহান্নামের আগুনে পৌঁছে দেবো’ (সূরা নিসা : ৩০)। (

(২) মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন : ‘যে ব্যক্তি বিনা অপরাধে কিংবা ভূপৃষ্ঠে কোনো গোলযোগ সৃষ্টি করা ছাড়াই কাউকে হত্যা করল, সে যেন সমগ্র মানবজাতিকেই হত্যা করল, আর যে ব্যক্তি কোনো একজন মানুষের প্রাণ রক্ষা করল, সে যেন সমগ্র মানবজাতিকেই রক্ষা করল’ (সুরা মায়িদা : ৩২

.

ইসলামের শুরুতে মহানবী সা: কে ও অস���ত্র ধারণ করতে হয়েছিল , আত্মরক্ষার ও প্রতিরক্ষার জন্য ।আর তিনি তার জীবদ্দ্যশায় ২৭ টি যুদ্ধ পরিচালনা করলেও কোনটিতে শত্রু পক্ষকে প্রথমে আক্রমণ করেন নি।

মহানবী সা: বিদায় হজ্জ্বের ভাষণের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা দেন ,’’ আমাদের করণীয় : বিদায় হজের দিনই সূরা মায়িদার ৩ নম্বর আয়াতটি নাজিল হয়। যেখানে আমাদের জন্য মহান আল্লাহর দীন, শরিয়ত ও সব নিয়ামতের পরিপূর্ণতার ঘোষণা প্রদান করা হয়েছে। আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা বলেন, ‘আজ আমি তোমাদের জন্য আমার নিয়ামতসমূহ পূর্ণাঙ্গ করলাম এবং তোমাদের জন্য ইসলামকে দীন বা জীবনব্যবস্থারূপে মনোনীত করে দিলাম।’ সব মানুষের জন্য অন্য মানুষের জীবন, সম্পদ ও সম্মান পবিত্র। কেউ কারও জীবন, সম্পদ ও সম্মানের ক্ষতি সাধন করতে পারবে না। যুদ্ধক্ষেত্র এবং বিচারিক রায় ছাড়া কোনো মানুষকে আঘাত করা বা হত্যা করা হারাম।

জাতিধর্মবর্ণনির্বিশেষ সব মানুষ এক আদমের সন্তান হিসেবে এক জাতি এবং সমান মর্যাদা ও নিরাপত্তার অ���িকারী। সুতরাং কেউ কারও ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দাবি করতে পারবে না। শ্রেষ্ঠত্ব কেবল তারই যে প্রভুকে ভয় করে। নারীদের অধিকারের প্রতি খেয়াল রাখা এবং দাস-দাসী, অধীন ব্যক্তি, শ্রমিক প্রতিবেশী, অন্য ভাইসহ সবার প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করার শিক্ষা রয়েছে মহানবী (সা.)-এর ভাষণে।

বর্তমান অস্থির বিশ্ব এবং নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত পরিবার ও সমাজ যদি বিশ্বনবী (সা.)-এর এসব শিক্ষা গ্রহণ করে তাহলে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্বস্তি লাভ করতে সক্ষম হবে।

’’ সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২৮ সেপ্টেম্বর,২০১৭ )

“কিছু ইতিহাস চাপা পড়ে , আর কিছু করে নীরবে আর্তনাদ, হয়ত এভাবেই ঝড়ে পড়তে থাকবে নিরীহ মানবপ্রাণ”

.

Mjahidimran@gmail.com

মোহাম্মদ এমরান হোছাইন।

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি,চ.বি।

[imransvisions-blog]

কাশ্মীর সংকট : হিন্দু কতৃক মুসলমান নিপীড়নের ইতিবৃত্ত , পর্ব-১

এক সময়ের স্বাধীন, সমৃদ্ধশালী এবং ভূস্বর্গ হিসেবে পরিচিত মুসলিম সংখ্যাগরষ্ঠ কাশ্মির জনপটি বর্তমানে পৃথিবীর অন্যতম নিরাপত্তাহীন ও বসবাসের অযোগ্য অঞ্চলে পরিণত হচ্ছে।জনপদটিতে প্রতিনিয়ত চলছে রক্তের হলিখেলা। কিছু স্বার্থবাদী এবং উগ্র শাসকগোষ্ঠীর কুঃশাসনের বলি হয়ে অকালেই ঝরে পরছে হাজারো তাজাতাজা মানব প্রাণ। মৌলিক চাহিদাহীনতায় ভোগছে লাখো কাশ্মীরি মুসলমান অথচ তথাকথিত মানবতাবাদী এবং বিশ্ব নেতারা কাশ্মীরের মুসলামান জনগোষ্ঠীর এই দুর্দিনে নীরব ভূমিকা পালন করছে।কাশ্মীরের বর্তমান দূরবস্থা এবং সংকট সম্পর্কে জানতে হলে উক্ত অঞ্চলের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও পরিপার্শ্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানা আবশ্যক।

.

কাশ্মীরের নামকরণ সম্পর্কে জনস্রোতি অনুযায়ী ধারণা করা হয়,সংস্কৃতিতে - কা এবং শীমিরা শব্দাংশ যুক্ত হয়ে কাশ্মীর শব্দের উৎপত্তি।যার অর্থ শুষ্কভূমি ।এখানে উল্ল্যেখ্য যে,মুঘল বাদশাহ জাহাঙ্গীর প্রথমবার কাশ্মীর ভ্রমণের পর লিখেছিলেন

"If there is paradise on earth, it is this, it is this, it is this. "সেই থেকে কাশ্মীরকে ভূস্বর্গ হিসেবে অভহিত করা হয়। ইসলাম পূর্বযুগে কাশ্মীর অঞ্চলটি হিন্দু রাজন্যবর্গ দ্বারা শাসিত হত।খৃস্টীয় ষষ্ঠ শতকে কুষাণ বংশীয় রাজারা কাশ্মীর শাসন করত,তাদের পরাজিত করে হুণ শাসকগোষ্ঠী কাশ্মীর দখল করে।

.

খৃস্টীয় অষ্টম শতাব্দীর শুরুতে আটলান্টিক মহাসাগর হতে ভারত উপমহাদেশের সিন্ধুএবং কাস্পিয়ান সাগর হতে নীলনদ পর্যন্ত প্রায় সমগ্র অঞ্চল মুসলিম শাসনাধীন আসে।এখানে প্রণিধানযোগ্য যে,উমাইয়া খিলাফতের (৬৬১-৭৫০ খ্রিস্টাব্দ) খলিফা আল ওয়ালিদের খিলাফতকালে আরব সাম্রাজ্যের পূর্বাংশের শাসনকর্তা হাজ্জাজ বিন ইউসুফ সিন্ধু(বর্তমান ভারতের একটি অংশ)অভিযান প্রেরণ করেন।উক্ত অভিযানের মুসলমি বীর সেনানায়ক

ছিলেন, হাজ্জাজ বিন ইউসুফের ভ্রাতুষ্পুত্র ও জামাতা ১৭ বছর বয়সী মুহাম্মদ বিন কাসিম।

.

সিন্ধু অভিযানের মূল কারণ ছিল প্রথমত, সিংহল(বর্তমান শ্রীলংকা) রাজ ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর খলিফার প্রতি উপঢৌকন সহ আটটি জাহাজ পাঠালে সিন্ধুর দেবল বন্দরে জলদস্যুরা লুণ্ঠন করে নেয়।খলিফা সিন্ধুরাজকে এর যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বললে সিংহলরাজ তা প্রত্যাখ্যান করে।দ্বিতীয়ত,সিন্ধু রাজা দাহির কতৃক,মুসলিম শাসকের বিরুধি ও বিদ্রোহীদের সহোযোগিতা প্রদান।তৃতীয়ত, ব্রাক্ষ্মণ গোত্রীয় সিন্ধুরাজের অপশাসন হতে মুক্তি পেতে ভারতীয় নিন্মবর্ণের জনগণককতৃক মুসলমানদের সহোযোগিতার আশ্বাস

        .

উপরিউক্ত  কারণে  মুসলিম  শাসক কতৃক সিন্ধু  অভিযান প্রেরণ আবশ্যম্ভাবি হয়ে পড়লে মুহাম্মদ বিন কাসিমের নেতৃত্বে( ৭১২ খৃস্টাব্দে) প্রেরিত অভিযানে সিন্ধুরাজ দাহিরের পরাজিতএবং নিহত হওয়ার মধ্যদিয়ে সিন্ধু মুসলমানদের অধিনস্ত হয়।                পর্যায়ক্রমে ৭১৩ খ্রিস্টাব্দে মুলতান,পান্জাব অধিকারের মধ্যদিয়ে ভারত ভূমিতে সর্বপ্রথম ইসলামের বিজয় পতকা উত্তোলিত হয়।পরবর্তীতে গজনীর সুলতান মাহমুদ (৯৯৭-১০৩০ খ্রি) থেকে শুরু করে, শেষ মোগল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ(১৮৩৭-৫৭ খ্রি.) পর্যন্ত মধ্যবর্তী সময়ে সমগ্র ভারতীয় উপমাহাদেশ মুসলামান কতৃক শাসিত হয়েছিল।অথচ, বর্তমানে সেই মুসলমানরাই ভারতে নির্যাতিত, নিগৃহীত, নিষ্পেষিত এবং অবহেলিত।সেই ভারতে এখন মুসলমানদের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি হুমকির মুখে।

.

ইতিহাসের পরিক্রমায়  সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো যখন প্রজাদের রক্ত শোষে খেয়ে নিচ্ছিল,পৃথিবীর সর্বত্রে সার্বক্ষণিক যুদ্ধের দামামা বেজে উঠত,মানুষে-মানুষে ভেদাভেদ ছিল চরম পর‌যায়ে, যখন পৃথিবীর প্রথম মানব এবং নবী হযরত আদম আঃ প্রবর্তিত “ইসলাম ধর্মের ��থা মহান আল্লাহর সুমহান বাণী ভুলে গিয়ে স্বার্থবাদি কিছু মহল(রাজা,যাজক,পুরহিত,ধর্মীয় গুরু) নিজেদের মত করে ধর্ম বানিয়ে ,তার উপর অবিচল থাকায় পৃথিবীতে এক ঘুর অন্ধকার বিরাজ করছিল।ঠিক তখনি তিমির বিদারি হয়ে,কন্টকাকীর্ণ কাননের পুষ্প হয়ে,মানবতার অগ্রদূত হয়ে আরবের মরুর বুকে একজন মহামানবের আবির্ভাব হল।তিনি হলেন ইসলামের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী,সর্বকালের সর্বসেরা মহামানব মহানবী হযরত মোহাম্মদ সাঃ(৫৭০-৬৩৩ খৃ.)।জীবদ্দ্যশায় তিনি আল্লাহর প্রেরিত পবিত্র কোরআনের মহান বাণী এবং ইসলামের বিধি-বিধান নিয়ে আলোকিত করলেন তমসাচ্ছন্ন,কুঃসংস্কারে পরিপূর্ণ আরবকে। কন্টকাকীর্ণ এক সরু পথে তিনি হাটা শুরু করলেন একাকী,পথঅন্তে তার পথ হল বিশাল প্রশস্ত এবং সঙ্গি হল লক্ষ-লক্ষ।

.

মহানবীর সাঃ ও্ফতের পর নবীজির সাঃ মনোনীত খলিফাদের সমগ্র পৃথিবীতে তাঁর সুমহান বাণী ছড়িয়ে দে্ওয়ার দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন।যা আমরা আজ দেখতে পৃথিবীর আনাচে-কানাচে ইসলামের উপস্থিতি।যদি ও কিছু নামধারি মুসলমান,কিছু স্বার্থপর এবং ষড়যন্ত্রকারী অমুসলমানদের কুকর্মের ফলে ইসলাম সম্পর্কে মানুষের মনে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে।অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা সন্ত্রামূলক কর্মকান্ডে জড়ালে ও অমুসলিমদের অধীনে থাকা বিশ্বের হলুদ মিড়িয়া গুলো চুপ থাকে।অপরদিকে মুসলমান সম্প্রদায়ের কেউ অল্প একটু সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ডে জড়ালে বিশ্ব হলুদ মিড়িয়া গুলো উঠেপড়ে লাগে কিভাবে বিশ্ববাসির নজরে নিয়ে যা্ওয়া যায় ।ফলে ইসলাম ধর্ম কিংবা মুসলমানদের সন্ত্রাসী বলে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে। বর্তমান বিশ্ব সংকটের দিকে আমরা যদি তাকায় , ফিলিস্তিনের,রাশিয়ার চেচনিয়া,বসনিয়া,চীনের উইঘুর ,মায়ানমারের রোহিঙ্গা এবং ভারতের কাশ্মিরী কিংবা আফগানিস্তানের মুসলমানদের দূরবস্থা । এই সব সংকটের কারণ কোন ধর্মের অনুসারীরা!!!

.

যারা আসলেই জ্ঞানি,তারা অবশ্যয় সত্যের অনুসন্ধান করে এবং সত্যকে গ্রহণ করে।চন্দ্রবিজয়ী নীল আর্মাষ্টং,বিশ্ববিজয়ী মহাবীর নেপোলিয়ান বোনাপার্ট, বিশ্ব হেভ্ওিয়েট মুষ্টিযুদ্ধা চ্যাম্পিয়ান ডঃ ক্যাসিয়াস ক্লে (মোহাম্মদ আলী),প্রখ্যাত কৃষ্ণাঙ্গ নেতা ম্যালকম এক্স,বিশ্ব সঙ্গিত সম্রাট মাইকেল জ্যাকসনের, আফ্রিকার খৃস্টধর্ম প্রচারক রেভারেন্ড পল,ফ্রান্সের বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক সেলমা বেয়োস্ত,আমেরিকান অধ্যাপক লি্ওন,ইংল্যান্ডের বিখ্যাত রাজনীতিবিদ স্যার লডার ব্রান্টন,অস্ট্রিয়ার সাংবাদিক লিয়োপল্ড লুইস,জাপানের মানবজাতিতত্ত্ব বিশারদ মিঃ তাকিউচি,বক্সার মাইক টাইসন,ভারতের শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিক শ্রী দুর্গাপ্রসাদ,শ্রীলঙ্কার বিখ্যাত খৃস্টান ধর্মপ্রচারক দাবুবু দামারিস,পাকিস্তানের আইন বিশেষজ্ঞ চাঁদ জেন বার,বাংলাদেশের সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারের সন্তান আশু প্রকাশ দাশ গুপ্ত সহ লক্ষ-লক্ষ অমুসলিমদের ইসলাম গ্রহণ তারই সাক্ষ্য গ্রহণ করে।

.

এই ধারাবাহিকতায় ভারতীয় উপমহাদেশে ত্রয়োদশ থেকে পঞ্চদশ শতাব্দীতে কাশ্মীরে  ইসলাম ধর্মের বিস্তার ঘটে।১৩৩৯ সালে শাহ মীর কাশ্মীরের প্রথম মুসলিম শাসক হিসেবে অধিষ্ঠিত হন।তিনি কাশ্মীরে "শাহ মীর”রাজবংশের গোড়াপত্তন করেন।পরবর্তীতে পাঁচ শতাব্দীকাল পর্যন্ত কাশ্মীর মুসলমানদের শাসনাধীন ছিল। এর মধ্যে মোগল সম্রাটরা(১৫৮৬১৭৫১ সাল) এবং আফগান দূররাণী সম্রাটরা ১৭৪৭১৮১৯ সাল) পর্যন্ত কাশ্মীর শাসন করে।১৮১৯ সালে অাফগান দুরানী সম্রাটদের পরাজিত করে কাশ্মীর দখল করেন শিখ রাজ রণজিৎ সিং।আবার ১৮৬৪ প্রথম ইঙ্গ-শিখ যুদ্ধে ইংরেজদের নিকট শিখরা পরাজিত হয়।

এখানে উল্ল্যেখ্য যে, ১৬০০ সালে ইংল্যান্ডের রাণীর অনুমোদন পূর্বক "ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি" গঠনের মধ্যদিয়ে ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশদের

        .

[ চলমান......

“”””””””””””””””””””””””””””

Mjahidimran@gmail.com

মোহাম্মদ এমরান হোছাইন।

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি,চ.বি।

[imransvisions-blog]

কাশ্মীর সংকট : হিন্দু কতৃক মুসলমান নিপীড়নের ইতিবৃত্ত , পর্ব-২

১৭৫৭ সালে ব্রিটিশদের নিকট বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতন এবং ১৭৬৪ সালে  বক্সারের যুদ্ধে বাংলার নবাব,মোগল সম্রাট শাহ আলম কতৃক সম্মিলিত ভারতীয় জোট, ব্রিটিশদের নিকট পরাজয়ের মাধ্যমে ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতার সূর্য দীর্ঘ দুই শতাব্দীর জন্যে অস্তমিত হয়ে যায়। ভারতে মুসলিম শাসনের পতনের পর ব্রিটিশ শাসনের সূত্রপাত হয়, যা ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। ভারতীয়দের মাঝে মুসলমিরা স্বভাবজাত ভাবেই মুসলিম শাসনকালকে মনেপ্রাণে গ্রহণ করেছিল কিন্তু ব্রিটিশ শাসনকে তারা সহজে গ্রহন করতে পারেনি। ফলে ব্রিটিশদের উত্থানের ফলে ভারতীয় মুসলমানরা শিক্ষা,সংস্কৃতি

এবং অর্থনীতি সহ সবদিক দিয়ে অনেকটা পিছিয়ে পড়ছিল। . অপরদিকে, তৎকালীন সময়ে কিছুসংখ্যক হিন্দুজনতা মুসলিম শাসনকে স্বাগত জানালেও অধিকাংশ গোড়া থেকে এর বিরোধিতা করে আসছিল।ফলশ্রুতিতে তাঁরা ব্রিটিশ শাসনকে মেনে নেয় এবং সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে থাকে।কিন্তু ইতিমধ্যে ব্রিটিশ শাসনের তিক্ততার স্বাদ সমগ্র ভারতবাসী অর্থাৎ মু���লিম ও হিন্দু গ্রহণ করা শুরু করলে অচিরেই যেই হিন্দুরা ব্রিটিশ শাসনকে স্বাগত জানিয়েছিল, তারাই তাদের বিরোধিতা করতে  থাকে।হয়ত তাদের মনের মাধুরীতে মিশে ছিল একটি আপসোস “ব্রিটিশদের চেয়ে মুসলমি শাসকরাই ভাল ছিল!!! "কেননা ব্রিটিশরা ছিল ব্যবসায়ী, নেপোলিয়নের ভাষায় তারা ছিল " A nation of shopkeepers, অর্থাৎ দোকানদারের জাতী, অপরিদকে মুসলমানরা নিজেদের  শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে ছিল।এই মর্মে আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি ইতিপূর্বের সকল হিন্দু শাসক এবং ব্রিটিশদের চেয়ে, কতিপয় শাসক ব্যাতিত মুসলিম শাসকরা সর্বশ্রেষ্ঠ এবং মহৎ ছিল।

.

কাশ্মীরিদের বর্তমান দুঃখ দুর্দশার অন্তরায় ছিল এই ব্রিটিশ জাতী। ১৮৬৪ সালে শিখ রাজা রণজিৎ সিংকে পরাজয় করার মধ্যদিয়ে কাশ্মীর দখল সহ ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের  সময়পর্যন্ত ব্রিটিশদের কিছু ভুল পদেক্ষেপ গ্রহণের কারণেই বর্তমানে কাশ্মীরের মুসলমানরা নিরাপত্তাহীনতায়

এবং   আত্মপরিচয়হীনতায় ভোগছে। কাশ্মীরের শিখ শাসকদের পরাজিত করার কিছুদিন পর ,

১৮৬৪ সালের ১৬ মার্চ সমসাময়িক জম্মুর রাজা গোলাপ সিংকে “ অমৃতস্বর” চুক্তির মাধ্যমে ৭৫ লাখ টাকার বিনিময়ে কাম্মীর বিক্রি করে দেয় ব্রিটিশ সরকার। ফলে গোলাপ সিং জম্মু ও কাশ্মীরের মহারাজ উপাধি লাভ করে। সেই সময় থেকে কাশ্মীর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের মর্যদা  ভোগ করে আসছিল যা ৫ আগস্ট ২০১৯ সালে ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার বাকিল করে কাশ্মিরের মুসলমানদের অধিকার হরণ করে। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের আগ পর্যন্ত হিন্দু   রাজাদের অধীনে কাশ্মীর শাসিত হয়ে আসছে এবং শেষ রাজা ছিল হরি সিং। . দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের(১৯৩৯-১৯৪৫ সাল) শেষের দিকে পৃথিবীর সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো উপনিবেশ থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশে “ব্রিটিশ হটা্ও”আন্দোলন শুরু হয়, এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৪৭ সালের ১৮ জুলাই ব্রিটিশ সরকার কতৃক “ভারত স্বাধীনতা আইন পাশ করা হয়।এই আইন দ্বা��া সুদীর্ঘ ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটে এবং একই সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান ও ১৫ আগস্ট ভারত নামের দুইটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে।

. উপরন্তু ব্রিটিশরা যখন উপমহদেশ ছেড়ে চলে ছেড়ে যায় , তখন উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থানে মহারাজ ছিল ৫৬২ জন। তাদের অধীনে ছিল এক একটি প্রিন্সলি স্টেইট । জম্মু আ্যন্ড কাশ্মীর ছিল বৃহত্তর প্রিন্সলি স্টেট।এর শাসক ছিলেন হরি সিং। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের সময় শর্ত ছিল, এসব প্রিন্সলি স্টেট ভারত অথবা পাকিস্তান যে কোন অংশে যোগ দিবে। জম্মু আ্যন্ড কাশ্মীর(হিন্দু রাজা শাসিত), জুনগড়(মুসলিম রাজা শাসিত), হায়াদরাবাদ(মুসলিম রাজা শাসিত) এই তিনটি রাজ্য ছাড়া বাকি সব রাজ্য পাকিস্তান কিংবা ভারতে যোগদান করে। অপরদিকে উক্ত রাজ্য তিনটি স্বাধীন থাকতে চেয়ে ও ব্যার্থ হয়। .

জুনগড় এবং হায়াদরাবাদ ভারতের ভিতরে থাকার ফলে মুসলমান শাসিত রাজ্য হওয়ার সত্যেও রাজ্য দুইটি ভারতের ভিতরে বিলীন হয়।অপরদিকে জম্মু আ্যান্ড কাশ্মীরের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যা ছিল মুসলিম(৮৫%) কিন্তু

রাজা ছিল হিন্দু,অবস্থান ছিল ভারত এবং পাকিস্তানের মাঝখানে। রাজ্যটির ভূরাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক

গুরুত্ব ও ছিল অসীম। সুতরাং কাশ্মীর সমস্যার মূল নিহিত সেখানেই।

স্বাধীনতা “ শব্দটির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে  এক বিস্তীর্ণ ইতিহাস। অসংখ্য মানুষের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে লিপিবদ্ধ করা হয় স্বাধীনতার প্রতিটি বর্ণমালা। পূর্বেই উল্লেখ করেছি যে, ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ অপশাসন ও শোষণের অন্তিমকালে ধর্মের ভিত্তিতে যথাক্রমে ১৪ আগস্ট পাকিস্তান এবং ১৫ আগস্ট ভারত নামের দুইটি স্বাধীন রাষ্টের উদ্ভব হয়। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার মুসলিম প্রজা অধ্যুষিত এবং হিন্দু রাজা শাসিত কাশ্মিরের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারেনি। তখন কাশ্মির ছিল ব্রিটিশ সরকারের একটি বৃহত্তর প্রিন্সলি স্টেট এবং রাজা ছিলেন “হরি সিং” . সমসাময়িক কাশ্মীরে ৮০ ভাগ লোক মুসলমান হ্ওয়ায় নীতিগত ভাবে কাশ্মির পাকিস্তানের প্রাপ্য হ্ওয়া

সত্ত্বে  ও  (পাকিস্তান মনে করে) তৎকালীন ভারতের(প্রথম) গভর্নর জেনারেল মাউন্টব্যাটন

এবং প্রধানমন্ত্রী জ্ওহরলাল নেহরু তা হতে দেননি।অতঃপর কাশ্মীর বিষয়ে পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও নেহেরু নিজেদের মতের ব্যার্থ হলে কৈাশলগতভাবে ‘১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট কাশ্মির স্বাধীন হয়ে যায়। যদি্ও ইতিপূর্বে হরিসিং কাশ্মিরকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্টা করতে জিন্নাহ ও নেহরুর সাথে আলোচনা করে ও ব্যার্থ হয়েছিলেন। . ১৫ আগস্ট কাশ্মির স্বাধীনতা লাভ করলেও হিন্দু শাসক এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান জনগণ ইত্যাদি দ্বন্দের ফলে মাত্র ৭১ দিন পর সেই স্বাধীনতার সূর্য ‌অস্তমিত হয়।

১৯৪৭ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে কাশ্মীরের ইসলামি জাতীয়তাবাদি এবং স্বাধীনতাকামি দলগুলো পাকিস্তানের সহয়তায় হিন্দু রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। নিরুপায় হয়ে রাজা হরিসিং ভারতবন্ধু নামে কথিত “শেখ আব্দুল্লাহর পরামর্শে ভারতের সামরিক সাহায্য কামনা করে। কিন্তু ভারত সরকার কাশ্মীরকে ভারতের সাথে একিভূত হ্ওয়ার শর্তে সহায়তা প্রধান করতে রাজি হয়। . এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৪৭ সালের ২৪ অক্টোবর ভারত কাশ্মিরে হস্তক্ষেপ করলে ২৪-২৭ শে অক্টোবর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধের ফলে ভারত কাশ্মীরের দুই তৃতীয়াংশ (জম্মু এবং কাশ্মির) ,পাকিস্তান এক তৃতীয়াংশ ( আজাদ বা মুক্ত কাশ্মীর) দখল করে। অবশেষে ১৯৪৭ সালের ১ লা জানুয়ারি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মধ্যস্ততায় যুদ্ধ বিরতি কাযর‌্কর হয। ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের প্রশাসনিক প্রধান

হিসেবে নেহেরু তার বন্ধু শেখ আবদুল্লাহকে নিয়োগ প্রধান করে। অতঃপর তিনি ১৯৪৯ সালে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে তার দল ন্যাশনাল কংগ্রেসের মাধ্যমে কাশ্মির শাসন করেতে থাকেন। . পরবর্তীতৈ কাশ্মিরের স্বাধীনতাকামিদের আন্দোলনের ফলে উক্ত অঞ্চলে অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি হলে অবশেষে জাতিসংঘের নিারাপত্তা পরিষদ একটি উদ্যেগ গ্রহণ করে।১৯৪৮ সালের ১৩ আগস্ট এবং ১৯৪৯ সালের ৫ জানুয়ারি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের উদ্যেগে গঠিত শান্তি কমিশনে , ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই কাশ্মিরের ভবিষ্যৎ সেখানকার জনগণের মতামতের( রেফারন্ডম বা গণভোটের) এর উপর নির্ভর করবে বলে সম্মত হয়।

.

কিন্তু ভারত কাশ্মিরের জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে  ১৯৫৭ সালের ২৩ মে

দেশটির সংবিধানে একটি সংশোধন আনায়ন করে।সেই সংশোধনীর ১ নং ধারায় “ কাশ্মিরকে ভারতের একটি

অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে তুলনা করে  এবং ৩৭০ নং ধারা অনুযায়ী “ কাশ্মীরে সেনা মোতায়ন করা হয়।

যা সংকটকে আর ও তীব্রতর করে তোলে এমনকি ভারতের এই আগ্রাসি ভূমিকার ফলেই ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সূচনা হয় ।

. ১৭ দিন ব্যাপি চলা এ যুদ্ধে ভারত পাকিস্তানের কারগিলের দু্ইটি ঘাটি দখল করে নেয়। পরবর্তীতে  তৎকালিন

সোভিয়ত ইউনিয়নের প্রধানমন্ত্রী ‘কোসিগালের” আমন্ত্রনে সমসাময়িক ভারতের প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী

এবং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আয়ুবখান তাসখন্দে মিলিত হয়ে তাসখন্দ চুক্তি সাক্ষর করে ১৯৬৬ সালের ১০ জানুয়ারি।তাসখন্দ চুক্তি অনুযায়ী , ভারত পাকিস্তানের দখলকৃত ঘাটি পাকিস্তানকে ফিরিযে দেয় এবং দুই দেশের সেনাবাহিনী আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে যায়।

.

[ চলমান......

“””””””””””””””���””””””””””””

Mjahidimran@gmail.com

মোহাম্মদ এমরান হোছাইন।

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি,চ.বি।

[imransvisions-blog]

তুর্কী বালিকার সততা ।

[imransvisions-blog]

It’s only me.

[imransvisions-blog]

History of the Kashmir crisis – First Episode

History of the Kashmir crisis – First Episode

 The Muslim majority of Kashmir, once known as an independent, prosperous and landlocked country, is now is becoming one of the world's unsafe and inaccessible areas of the world. Thousands of innocent human beings have fallen prematurely due to the misery of some selfish and radical rulers. Millions of Kashmiri Muslims are suffering from basic Demand   . But the so-called humanitarians and world leaders have a silent role in this time of Kashmir's Muslim population In order to know about the current distress and crisis of Kashmir.  One must know the history, heritage and background of the region.

.

According to the public opinion, the origin of the Kashmir word in the culture - Ka and Shimira syllables - which means dry land   . It is worth mentioning here that Mughal Emperor Jahangir wrote for the first time after his visit to Kashmir   . "If there is a paradise on earth, it is this, it is this." The Kashmir region was ruled by Hindu dynasties in the pre-Islamic era. The Kusan dynasty kings in the sixth century.The Hun rulers occupied Kashmir, ruling Kashmir, defeating them.

.

In the Indian subcontinent from the Atlantic Ocean to the beginning of the 8th century AD And from the Caspian Sea to the Nile, almost the entire region comes under Muslim rule .It is pertinent to mention here that the caliph of the Umayyad caliphate (661 to 750 AD)During the Khilafat, the ruler of the eastern part of the Arab Empire sent Hajjaj bin Yusuf Sind (a part of present-day India) to the expedition . He was the son and son-in-law of Hajjaj bin Yusuf, 17-years-old Muhammad bin Qasim.

.

The main reason for the Indus expedition was –

First, the Sinhala (present Sri Lanka) attitude towards the Calipha after the adoption of the Raj Islam. Pirates were robbed at Sindh's Debal port when eight ships were sent.When the Calipha asked Sindhu king to take appropriate action, the Sinhala ruler rejected it.

Secondly, the authority of the Sindh king Dahir, the coexistence of the rebels and the rebels of the Muslim rulers Giving.

Thirdly, the Indian Brahmins are assured of the support of the Muslim minority Muslims of the lower castes to get rid of the rule of the Indus.

Due to the above, when the Muslim rulers were sent to Sindh, it became inevitable. In the campaign sent by Muhammad Bin Qasim (d. 12 CE), Sindh was subdued by the Muslims by defeating and killing Sindh king Dahir.

From the Sultan of Ghazni(Mahmud) (997-1030 AD),The entire period between the last Mughal Emperor II to Bahadur Shah (1838-1857 AD)The Indian subcontinent was ruled by Muslims.Yet, at present, those Muslims are persecuted, oppressed, oppressed and neglected in India.In India, the history, heritage and culture of Muslims are now under threat.

.

It is good to be informed before the advent of Islam in Kashmir ,Everyone says Muslims are terrorists,If we look at the current world crisis, Palestine, Chechnya in Russia , Bosnia, Uighur in China, the Rohingya in Myanmar and Kashmiri in India or Afghanistan are far from Muslim. Because of all these crises, Which religion's followers are creating this crisis? In fact, the world media portrays Muslims as terrorists. Of course some of the so-called Muslims and selfish non-Muslims are responsible for this.

.

People who are really knowledgeable, of course, seek the truth and accept the truth.

Moonlight winner Neil Armstrong, world champion Napoleon Bonaparte, world heavyweight boxing champion Dr. Cassius Clay (Mohammed Ali), renowned black leader Malcolm X, world-renowned Emperor Michael Jackson,Reverend Paul-the famous scientist of France, Selma Bayos , American Professor Leon, the renowned politician of England-Sir Lauder Branton, Austrian journalist Leopold Lewis, Japan's anthropologist Mr Taichuchi, boxer Mike Tyson, India's leading journalist-Sri Durgaprashad.Millions of non-Muslims, including these well-respected people, bear witness to the adoption of Islam.

.

However, during this period, Islam spread to Kashmir in the Indian subcontinent from the thirteenth to the fifteenth centuries. In 1339 AD Shah Shah Mir became the first Muslim ruler of Kashmir. During the next five centuries Kashmir was ruled by Muslims. During this time, Mughals and Afghans ruled Kashmir. In 1864 AD , the Sikh king Ranjit Singh defeated the Afghans and occupied Kashmir.During the first Anglo-Sikh war in 1864 AD, the Sikhs were defeated by the British in the first Anglo-Sikh war. As a result, Kashmir fell under British rule.

It is worth mentioning here that in 1600 AD, After the formation of the "British East India Company" with the approval of the Queen of England, the British arrived in the Indian subcontinent.

[continuous}

   ”””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””

References:

·         International, relations, organizations and foreign policy - Shah Mohammad Abdul Hai.

·         History of Muslim rule in the world - AKM Abdul Alim.

·         Brief Editorial - Confidence.

·         Wikipedia.

·         Encyclopedia Britannica

·         Various blogs and magazines.

“””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””

Md Imran Hossain.

Department of Islamic History and Culture,

University of Chittagong.

“””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””

Contact with me:

1.     Email

2.     Facebook

3.     Instagram

4.     Twitter

5.     Linkedin

6.     Blog

7.     Wordpress

8.     Youtube

9.     Tumblr

10.   Medium

11.   Beshto

12.   Wixsite

13.   Myspace

14.   pinterest

“”””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””

[imransvisions-blog]

Dream is not that which you see while sleeping, It is something that will not let you sleep

Abul kalam Azad

[imransvisions-blog]

e Save photos and videos that you want to see again. No one is notified, and only you c