আজ ২রা জুলাই, ১৯৪৯ বুলগেরিয়ার প্রথম কমিউনিস্ট নেতৃত্ব জর্জি দিমিত্রভ এর মৃত্যুবার্ষিকী। উল্লেখ্য যে, জর্জি দিমিত্রভ মিখাইলভ, যিনি জর্জি দিমিত্রভ, নামে পরিচিত একজন বুলগেরিয়ান কমিউনিস্ট রাজনীতিবিদ ছিলেন। ১৯৪৬ – ১৯৪৯ পর্যন্ত তিনি বুলগেরিয়ার প্রথম কমিউনিস্ট নেতৃত্ব ছিলেন। ১৯৩৪ থেকে ১৯৪৩ পর্যন্ত তিনি কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিকের নেতৃত্ব দেন।
১৪ই জুন চে গুয়েভারার জন্মদিন। ১৯৬৫ তে চে যখন বিপ্লবের বাসনা নিয়া কিউবা ছাইড়া আসেন তখন ফিদেল কাস্ত্রোরে একটা চিঠি লেখসিলেন। ফিদেল সেই চিঠি সবাইরে পইড়া শোনান। চিঠিটা শুধু দুই বন্ধু বা দুই কমরেডের চিঠি হয়া থাকে নাই, চিঠিটা একটা রাজনৈতিক পাঠ হইয়া দাড়াইসে।
"ফিদেল,
এই মুহূর্তে আমার বহুত কিছুই মনে হইতাসে, মারিয়া এন্তোনিয়ার বাসায় যখন আমাদের দেখা হইসিলো, তুমি আমারে তোমার সাথে আসার কথা কইসিলা, প্রস্তুতির পুরাটা সময়ে যেসব চিন্তা কাজ করতো, সব। একদিন তারা আইসা জিগাইলো যে আমি মইরা গেলে তারা সেইটা কারে জানাবে এবং এই জিনিসের সম্ভাবনা প্রবলভাবে সবার ক্ষেত্রেই ছিলো। পরেতো আমরা জানলামই যে এইটা সত্য, বিপ্লবের রাস্তায় হইলে কেউ জিতে নাইলে মরে (যদি সেইটা সত্যিই বিপ্লব হয়)। কত কমরেড এই বিজয়ের রাস্তায় পাশ থিকা ঝইড়া গেলো !
এখন সবকিছু আগের চাইতে স্থিতিশীল হয়া আসতেসে। কারণ আমরা এখন আরো বেশি পরিণত ,কিন্তু ঘটনাগুলি নিজের পুনরাবৃত্তি থামায় নাই। আমার মনে হয় কিউবান বিপ্লবের ঘরানায় যেই দায়িত্ব আমারে বাইন্ধা ফেলসিলো আমি সেই দায়িত্ব পূরণ করছি। তোমারে বিদায় জানাইতেসি আমি, বিদায় জানাই আমার কমরেডদের, তোমার মানুষগুলারে, যাঁরা এখন আমার মানুষ।
আমি আনুষ্ঠানিকভাবে পার্টির নেতৃত্বস্থানীয় পদ থিকা পদত্যাগ করতেসি, একজন মন্ত্রীর পদ থিকা, কমান্ডার র্যাংক থিকা এবং কিউবার নাগরিকত্ব থিকাও সরে দাঁড়াইতেসি। আইনী কোনকিছুই কিউবারে আমার সাথে বান্ধে নাই, শুধু বাইন্ধা রাখবে এক অন্যধরনের সম্পর্ক যেইটা পদ-পদবী বাতিল কইরা দেওয়ার মতন বাতিল করা যায় না।
পিছনের দিকে ফিরা তাকাইলে, আমি বিশ্বাস করি বিপ্লবের জন্যে আমি যথেষ্ট সততা আর শক্ত ইচ্ছা নিয়া কাজ করছি। একমাত্র বড় ভুল যেইটা করছি তা হইলো প্রথমদিকে সিয়েরা মায়েস্ত্রার দিনগুলাতে আমার তোমার উপরে যথেষ্ট বিশ্বাস রাখতে না পারা এবং তোমার নেতৃত্ব আর বিপ্লবী গুণগুলা বুইঝা উঠতে না পারা।
আমি চমৎকার একটা সময় কাটাইসি,এমনকি ক্যারিবিয়ান (মিসাইল) ক্রাইসিসের ঐ উজ্জ্বল কিন্তু দুঃখের দিনগুলাতেও তোমার পাশে থাকার সময় আমি গর্বিত হইসি এইটা ভাইবা যে আমরা আমাদের মানুষের থিকা উইঠা আসছি। ঐরকম একটা সময়ে রাষ্ট্রনায়ক হিসাবে তুমি যেই মেধার পরিচয় দিছো সেইটা খুব কম সময়েই দেখা যায়। কোন দ্বিধা ছাড়াই আমি তোমারে অনুসরণ করছি, তোমার চিন্তা করার ধরনের সাথে পরিচিত হইসি, তুমি যেইভাবে বিপদগুলারে মোকাবেলা করসো এবং তার জন্য যে যে আদর্শিক মূল্য দেওয়া লাগছে, এই প্রত্যেকটা জিনিসের জন্যে আমি গর্বিত।
দুনিয়ার বাকি দেশগুলা আমারে আমার ছোট্ট সহায়তার জন্য ডাকতেসে। কিউবার রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্বের কারণে চাইলেই তুমি সেই দায়ে সাড়া দিতে পারবা না, কিন্তু আমি পারবো। আমাদের সময় হয়ে গেছে আলাদা হওয়ার।
তুমি জানো আমি সুখ-দুঃখের একটা মিশেল নিয়াই এই কাজ করতেসি। যেইসকল আশা আমি খুব যত্ন কইরা তৈরি করসিলাম আর যাঁদের একেবারে ভিতর থিকা ভালোবাসছি তাঁদের এইখানে রাইখা যাইতেসি। আর রাইখা যাইতাসি ঐ মানুষগুলোরে যারা আমারে নিজের ছেলের মতন আপন কইরা নিছে। এই অনুভূতি আমার তেজটারে একটু আহতও করে দিছে।
আমি ঐ বিশ্বাস নিয়াই নতুন লড়াইয়ের ময়দানে নামবো যেইটা তুমি আমারে শিখাইসো, যেই সাহস আমার মানুষগুলার। দুনিয়ার যেইখানেই সাম্রাজ্যবাদ থাকবে তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সবচেয়ে বিশুদ্ধ দায়িত্ব পালন করতে পারার যেই উপলব্ধি, এইটাই শক্তির উৎস, যেই শক্তি গভীরতম ক্ষতরেও সাড়ায়া তুলতে পারে।
আমি আবারো বলি, আমি কিউবারে সকল দায়িত্ব থেকে মুক্তি দিলাম। যদি আমার জীবনের শেষ সময় আমারে অন্য একটা আসমানের নীচে খুঁইজা পায় তাইলেও আমার শেষ চিন্তা এই মানুষগুলারে নিয়াই হবে, বিশেষ কইরা তোমারে নিয়া। আমি তোমার শিখানো জিনিসগুলার জন্য কৃতজ্ঞ,এই শিক্ষাগুলা আমি ধইরা রাখবো, এর পরিণামে যাই আসুক না কেনো।
বিপ্লবের শুরু থিকাই আমি আমাদের ফরেন পলিসিরে দায়িত্বের সাথে মাইনা আসছি এবং ভবিষ্যতেও মানতে থাকবো। আমি যেইখানেই থাকি না কেনো, একজন কিউবান বিপ্লবী হওয়ার দায়িত্ব সবসময় আমার থাকবে আর আমি ঐভাবেই আচরণ করবো। আমি স্ত্রী আর বাচ্চাগুলার জন্য জাগতিক কিছু রাইখা যাইতে পারতাসি না বলে কোন কষ্ট আমার নাই। বরং এইটা এইরকম হওয়াতে আমি খুশি। তাঁদের জন্য কিছুই চাই না। এই রাষ্ট্র তাঁদের সুশিক্ষাসহ বাঁইচা থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই দিবে।
আমি তোমারে আর আমাদের মানুষগুলারে আরো অনেককিছু বলতে পারতাম, কিন্তু আমার মনে হয় সেটার আর প্রয়োজন নাই। এই অনুভুতিগুলা শব্দ দিয়া প্রকাশ করা যাবে না, তাই আর পাতা বোঝাই করার ��োন মানে নাই।
বিজয়ের পথে চিরকাল!
আমার বিপ্লবের উৎসাহ দিয়া তোমাদের জড়ায়া রাইখা গেলাম।
এটি এশিয়ার সবচেয়ে বৃহৎ ও বিখ্যাত লাইব্রেরি। এর সংগ্রহে আছে ২ কোটি ৮৯ লাখ ৮০ হাজার ৭৭৭ বই। প্রায় ১২ লাখ সাময়িকী এর অন্তর্ভুক্ত । চীনা সাহিত্যের সবচেয়ে বড় সংগ্রহ আছে এতে। লাইব্রেরিটি স্থাপিত হয় ১৯০৯ সালে চীনের বেইজিংয়ে। চীনের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে সম্পর্কিত সব ধরনের বই আছে এই লাইব্রেরিতে।
এখানে বামপন্থীদের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, পাশের নীল অংশটি লাল হতে শুরু করেছে...
২ অক্টোবর ব্রাজিল এর প্রথম দফার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন।
এগিয়ে আছেন পাশের মানুষটি,
তিনি লুলা ডি সিলভা, ব্রাজিলের বামপন্থীদের নেতা- দেশটির প্রেসিডেন্ট হবেন বলে জনমত জরিপ বলছে।
কে এই লুলা ডি সিলভা?
তিন বছর আগেও ছিলেন কারাগারে, এখন তিনি ব্রাজিলের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে
২০১০ সালে বিচারিক ক্যুর কারনে ক্ষমতা ছাড়ার পরই ‘দুর্নীতি’র দায়ে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয় তাকে।
সবাই ভেবেছিল, তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ। কিন্তু এখন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে।
কদিন আগে রাজধানীতে বিশাল সমাবেশে ঘোষণা করেন-
'মানুষ শখে গরিব হয় না। সিস্টেম তাকে গরীব বানায়- আমরা সিস্টেম বদলাতে চাই-
আমরা কাজ করতে চাই,
ভালো খেতে চাই,
সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে চাই।
জন্ম এক দরিদ্র পরিবারে।
১২ বছর বয়সে তাকে অভাবের কারনে স্কুল ছাড়তে হয়।
কাজ নেন একটি কারখানায়।
সেখানে দুর্ঘটনায় তিনি একটি আঙুল হারান।
তরুণ বয়সে জড়ান বাম রাজনীতিতে। তার নেতৃত্বে ইস্পাত শ্রমিকরা অনেকগুলো ধর্মঘট করেন। ওসব আন্দোলনের ফলে ১৯৮৫ সালে ব্রাজিলে স্বৈরতন্ত্রের পতন হয়।
তিনবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ে পরাজিত হলেও ২০০২ সালে জয়ের দেখা পান।
ব্রাজিলের নিম্নবিত্তদের জীবনে পরিবর্তন আনেন তিনি।
যেসব পরিবারের মাসিক আয় ৩৫ ডলারের কম—সন্তানরা স্কুলে যেত ও অপরাধমুক্ত থাকত, ওসব পরিবারকে সন্তানপিছু ৭০ ডলার ভাতা দেওয়া হতো। ফলে কমে যায় শিশুদের অপরাধে জড়িত হওয়ার হার।
দুকোটি মানুষকে দারিদ্র্য সীমার উপরে নিয়ে আসেন।
এই সাফল্য অর্জন করতে খরচ হয়েছিল জিডিপির মাত্র ০.৫ শতাংশ।
যে বিচারক তাকে জেল দিয়োছিল পরবর্তী সরকার তাকে আইনমন্ত্রী নিয়োগ দেয়।
সাজা হওয়ায় ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি । ২০২১ সালের মার্চে নির্দোষ সাব্যস্ত হয়ে মুক্তি পান।
আগামী ২ অক্টোবর প্রথম রাউন্ডের ভোটে তার পক্ষে রয়েছে ৪৬ শতাংশ সমর্থন; এক সপ্তাহ আগে যা ছিল ৪১ শতাংশ আর ডানপন্থী বলসোনারোর পক্ষে রয়েছে ৩৩ শতাংশ।
নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে লুলার জনসমর্থন বেড়েই চলেছে।
ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে-
ব্রাজিলের রাজনীতিতে এক বিস্ময়কর প্রত্যাবর্তন ঘটতে যাচ্ছে।
ল্যাটিন আমেরিকা জুড়ে যে লাল ঝড়ের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভেনিজুয়েলার
দিল্লিস্থ কিউবার রাস্ট্রদূত এর সাথে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ দুপুরে দিল্লিতে কিউবার রাস্ট্রদূত(Alejandro Simancas Marin, Ambassador,Embassy of the Republic of Cuba in India/Bangladesh/Buthan/Nepal), কিউবান মেডিকেল রেগুলেটরি বডির জেনারেল ডিরেক্টর (General Director of the Cuban medical regulatory body) ও দূতাবাস এর কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)'র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।
এসময় দুই দেশের কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে সম্পর্ক, কিউবার জনগণের সাথে সংহতি আন্দোলন,বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাদের আগ্রাসন বিরোধী সংগ্রাম, আসন্ন ২২ তম আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট ও ওয়ার্কার্স পার্টি সমূহের সভা সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
"A simple working guy Pavka Korchagin, who fought for Soviet power, for the future of the Soviet Motherland, is close and clear to millions of people... The people of Korchagin of my generation, who marched in the post-war years, mastered the whole, built Bratsk, paved the way to the stars... As for me, in the most difficult moments I remembered Pavka Korchagin's iron persistence and unbending will."
নিকোলাই অস্ত্রোভস্কির জন্মদিন আজ, যৌবনেই অকাল প্রয়াত নিকোলাই লিখেছিলেন : মৃত্যুর পরও মানুষের কাজে লাগা, এরচে ভালো আর কি হতে পারে?
তার মৃত্যুর এত বছর পরেও আজও শীতের কোনও পড়ন্ত বেলায় ইস্পাতে ডুবে থাকা কিশোর বা কিশোরীটির চোখ যখন আটকে যায় সেই অমোঘ লাইন গুলোয় - " মানুষের শ্রেষ্ঠতম সম্পদ তার জীবন, জীবন সে একবারই পায়। তাই এমন ভাবে বাঁচতে হবে যাতে মৃত্যু মুহূর্তে উদ্দেশ্যহীন তুচ্ছ যাপনের গ্লানি তাকে দগ্ধ না করে। যেন বিদায় মুহূর্ত সে বলতে পারে, আমার সমস্ত জীবন, আমার সমস্ত শক্তি আমি ব্যয় করেছি পৃথিবীর সবচে মহান আদর্শের জন্য - নিপীড়িত মানুষের মুক্তির জন্য। ", তখন কি তার বুকের মধ্যেই আসলে বেঁচে ওঠেন না, পাভেল কোরচাগিন?
Iranian artist Bahadur Hadizadeh creates an animation of Tehran's iconic Azadi Tower adorned by dark hair blowing in the wind, in solidarity with the brave Iranian women.
গত দুই দিনে বিশ্বজুড়ে ইরানের কমিউনিস্টদের দ্বারা সংগঠিত বিক্ষোভের ছবি: লাল পতাকা নিয়ে ইসলামি শাসন ও নারীর বিরুদ্ধে অপরাধের নিন্দায় সক্রিয় অংশগ্রহণ। উপস্থিত ছিলেন ফিলিস্তিনের পতাকা। #ইরান #নারী #নারী অধিকার #স্বাধীনতা #ইরানী কমিউনিস্ট #মাহসামিনী
#সমাজবাদী শিবির
0 notes
Statistics
We looked inside some of the posts by
nasim373
and here's what we found interesting.
Average Info
Notes Per Post
10
Likes Per Post
9
Reblog Per Post
1
Reply Per Post
0
Time Between Posts
23 days
Number of Posts By Type
Text
17
Explore Tagged Posts
Fun Fact
Tumblr Inc. is using 66 technologies for its website.