Don't wanna be here? Send us removal request.
Text
শ্রীলঙ্কার ৮টি আকর্ষণীয় শহর
শ্রীলংকার ভ্রমণ স্থান গুলো সম্পর্কে অনেকে অবগত থাকলেও গোছানো তথ্যের বেশ অভাব থাকায় সেখানে ভ্রমণ কালীন বেশ সমস্যায় ভুগতে হয়। এই লেখায় আপনাদের সামনে শ্রীলংকার সেরা দশটি স্থান তুলে ধরার চেষ্টা করব যেগুলো ভ্রমণে আপনি পেতে পারেন নতুন সব অভিজ্ঞতা।
১. অনুরাধাপুরা
পেরুর মাচু পিচুর মতো পবিত্র পর্যটনের জায়গা এটি। বুদ্ধদেবের অতীত সমৃদ্ধ স্থান এটি। শ্রীলংকার নিজস্ব সংস্কৃতি জানতে ঘুরে আসুন এই স্থান। শহর থেকে বেশ দূরে গ্রামের মধ্যে পড়লেও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য একেবারেই বোরিং করবে না এই যাত্রা।
২. কলম্বো
কলম্বোকে বলা হয় শ্রীলংকার বাণিজ্যিক রাজধানী। ঔপনিবেশিক রাজধানী হিসেবে শ্রীলংকার নানা ইতিহাস জড়িত রয়েছে এই স্থানে। সমুদ্রের সাথেই লাগোয়া পুল, গংগারামায়া মন্দির, গল ফেস ও ফেস গ্রীন নামক পার্ক ইত্যাদি বেড়ানোর বেশ ভালো জায়গা পাবেন।
৩. ইয়ালা জাতীয় উদ্যান
শ্রীলংকার অন্যতম আকর্ষণ হলো ইয়ালা জাতীয় উদ্যান। সাফারি পার্কের মধ্য দিয়ে শুরু হবে আপনার যাত্রা। আকাশ , পাহাড় আর ভরা নদীর মিশ্রণ আপনাকে অভিভূত করতে বাধ্য। এখানে আপনি সরাসরি চিতাবাঘ, হাতি, সাপসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণি দেখতে পারবেন। এই ভ্রমণ আপনাকে অন্যরকম এডভেঞ্চার এনে দেবে।
৪. মিরিসা
শ্রীলংকার উত্তর দিকে গেলে মিসিরার সন্ধান মেলে। এই জায়গা বেশ বিখ্যাত তিমি মাছ দেখার জন্য। সোনালি বালির সৈকত বলা হয় এই স্থানকে। অনেকে একে স্বঅর্গের অংশ বলেও থাকেন। বনের গহীনে বৌদ্ধ মূর্তির স্থাপনাও আপনাকে বেশ অবাক করে দেবে।
৫. পলননারুয়া
ধ্বংসাবশেষ নিয়েও যে সৌন্দর্য হতে পারে তার প্রমাণ এই স্থান। ট্রেনে যাওয়া পথে বন্য প্রাণির আওয়াজে ভরপুর এই স্থানে আপনাকে এমাজন আসার অনুভূতি দিবে। এখানে পঞ্চাশ টির ও বেশি রয়্যাল প্যালেস পাওয়া যাবে।
৬. কান্ডী
শ্রীলঙ্কার অন্যতম বিখ্যাত ও বৃহৎ জায়গা হলো কান্ডি। কলম্বো থেকে মূল শহরে ফেরার পথে পড়বে কান্ডি। রাবার ও চা চাষের জন্য বিখ্যাত। অসংখ্য বাগান পাবেন এসবের। ইন্ডিয়ানা জোনস মুভির মতো বেশ কিছু বিখ্যাত মুভির স্পট এটি।
৭. গ্যালে
আলোর শহর এই গ্যালে। ডাচ দের একতা বিশাল প্রভাব গেছে এই শহরের উপর দিয়ে।এখানে পাবেন সামুদ্রিক জাদুঘর। আন্ডারওয়াটার হোটেল, ক্যাথড্রলের নানা ঐতিহাসিক উপকরণ । এখানের স্থাপত্য আপনাকে অভিভূত করে দেবে।
৮. সিগিরিয়া
আর্কিওলজি প্রেমি দের জন্য অন্যতম স্থান হতে পারে এটি। এই শহরটি খাড়া ঢালার উপরে অবস্থিত যার উচ্চতা প্রায় ১৮০০ মিটার। একে লায়ন রক বলা হয়। সমুদ্রের একটা বিশাল অংশ এখান থেকে দেখা যায়। ধারণা করা হয় তৃতীয় শতাব্দিতে শ্রীলঙ্কার দূর্গ ছিল এটি। পৃথিবীর অষ্ট আশ্চর্য বলা হয় এই স্থান কে।
শ্রীলঙ্কার এত সব সুন্দর সুন্দর জায়গা ঘুরে আসতে আর দেরী কেন? ট্রাভেল এজেন্সির সাহায্য নিয়ে অনায়াসেই ঘুরে আসতে পারেন। বিশ্বস্ত ট্রাভেল এজেন্সির সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন।
0 notes
Text
দিল্লী ভ্রমণ ও ফটোগ্রাফিতে দিল্লী
ভারত পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম দর্শনীয় স্থান সম্বলিত দেশ। বিচিত্র সব স্থান, সভ্যতা সব কিছু নিয়ে এক রহস্যময় দেশ ভারত। পুরো ভারতের সমস্ত স্থান ঘুরে দেখাও হয়তো সম্ভব হয় না। তারপরেও ভারত ভ্রমণে যারা আগ্রহী এবং যারা চান স্মৃতির পাতা সমৃদ্ধ হোক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফিতে তাদের জন্যেই এই লেখা। চলুন জেনে নেওয়া যাক ভারতের দিল্লীর কোন কোন জায়গা গুলো ভ্রমণে আপনি পেতে পারেন সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফসঃ ১. জামা মসজিদ এবং চাদনি চওক চাঁদনী চওক ভারতের এক বিখ্যাত জায়গা। লাল দূর্গের শাহ্ জাহান নির্মিত প্রাসাদ টি দেখার জন্য ছুটে আসেন এখানে অনেকেই। পুরনো দিল্লীর এ জায়গা আপনাকে আলাদাভেব আকর্ষন করবে। এছাড়া, এখানে আছে পারাটেওয়ালে গলি। অর্থাৎ এখানে পাবেন মুঘলদের সময়ের সেরা পরাটা ও পরাটা জাতীয় খাবার। মির্জা গালিবের প্রাসাদ ও পেয়ে যাবেন ক��ছে পিঠেই আর পাবেন আপনার নিজের মনের মতো ফ্রেমে বন্দী ছবি সমূহ। ২. লোদী কলোনি লোদী কলোনির মূল আকর্ষণ হলো গ্রাফিটি আর্ট। দেওয়ালে আঁকা বিভিন্ন আশ্চর্য রকমের আর্ট দেখে আপনি অভিভূত তো হবেন ই। আর সমৃদ্ধ হবে আপনার ফটোগ্রাফির এলবাম টি। এসব দেওয়াল ওয়েডিং ফটোশ্যুট করার জন্যেও বিখ্যাত । এ কলোনির ২৫টির বেশি রাস্তা এরকম গ্রাফিটি আপনাকে মুগ্ধ করতে বাধ্য। ৩. ইন্ডিয়া গেট এবং রাজপথ খুব সকাল এবং রাতে ফটোগ্রাফির আরেকটি জায়গা হলো ইন্ডিয়া গেট। ভারতের সমস্ত মনুমেন্টের মধ্যে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি এবং রাতের বেলায় এর সাজ হয় একদম অন্য রকম। রাতে এই স্থানে আপনি বেশ ভালো কিছু ফ্রেমিং করতে পারেন। ৪. হুমায়ুনের সমাধি ১৫৭০ সালে অবস্থিত এই সমাধির মূল আকর্ষণ হতে পারে আর্কিটেকচারাল ফটোগ্রাফি। এই সমাধি ঘেরা বাগান আর গম্বুজ আপনাকে বিমোহিত করবে। আগ্রার তাজমহল এর রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে একে মনে করে ভারতীয়রা। ভাবুন এর গুরুত্ব। ৫. প্রত্নতত্ত্বীয় মেহরৌলি ১০০০ বছরের পুরনো ইতিহাস আঁকড়ে ধরা মেহরৌলি জুড়ে আছে ৩০০ একরের ও বেশি রহস্য ও সৌন্দর্য। ৪৪০ বছরের বেশি সময় ধরে রাজত্ব করা বিভিন্ন রাজবঙ্গশীয় ইতিহাসের এক ইতিকথা যেন এটি। ওয়াইড ভিউ তে যারা ছবি তুলতে পছন্দ করেন তাদের জন্য এই জায়গা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
দিল্লীর এইসকল স্থান ভ্রমণে ট্রাভেল এজেন্সির সাহায্য নিতে পারেন। বর্তমানে অনেক এজেন্সি থাকলেও বিশ্বস্ত এজেন্সি খুঁজে পাওয়াই কঠিন। তাই জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত এজেন্সির মাধ্যমে ঘুরে আসুন এই জায়গা গুলো আর নিয়ে আসুন দিল্লীর সেরা স্মৃতি আপনার ক্যামেরায় বহন করে।
0 notes
Text
রাতারগুল ভ্রমণ
রাতারগুলকে বলা হয় সিলেটের সুন্দরবন। বাংলাদেশের একমাত্র সোয়াম্প ফরেস্ট এটি। ফলে, এই জায়গা ভ্রমণের আকর্ষণ শুধু দেশীয় মানুষের না। বাইরের মানুষেরও প্রবল আগ্রহ এই স্থানের প্রতি।
রাতারগুল সিলেটে অবস্থিত। যেতে হলে আপনি যেখানেই থাউক না কেন চলে আসতে হবে সিলেটে। বাস, ট্রেন, বিমান এই তিন উপায়ে আসতে পারবেন এখানে। বাসে বা ট্রেনে গেলে নামতে হবে কদমতলী বাসস্ট্যান্ডে। এখানেই আবার রেলস্টেশন। বিমানে আসলে লাক্কাতুরা বিমানবন্দর।
তবে সিলেটে এসে যেখানেই ওঠেন না কেন, অর্থাৎ যে হোটেলেই থাকেন আপনাকে চলে আসতে হবে আম্বরখানা। লোকাল বাস এখানে একবারে যায় না তাই আপনার ভরসা সি এন জি। এক্ষেত্রে রিজার্ভ নিতে পারেন, অথবা লোকাল। রিজার্ভে ভাড়া পড়বে ১২০০-১৪০০ আর লোকালে জনপ্রতি ১০০ টাকা।
সি এন জি নিয়ে যেতে হবে শ্রীঙ্গি ব্রীজ। সেখান থেকে নৌকা নিয়ে রাতারগুল। নৌকা ভাড়ার ব্যাপারে দরদাম করতেই হবে। আপনি ৮০০-১২০০ টাকার মধ্যে ম্যানেজ করতে পারবেন নৌকা গুলো।
এখানে পৌঁছে ওয়াচ টাওয়ারে যেতে পারবেন। পুরো রাতারগুলের সিংহভাগ চোখে পড়ে এই টাওয়ারে ওঠার পরে। আর নৌকা নিয়ে বনের ভেতরেও যেতে পারবেন। তবে খুব বেশি ভেতরের দিকে না যাওয়াই ভালো।
আর যদি বাজেট ট্যুরে যেতে চান তাহলে লোকাল বাসের দ্বারস্থ হওয়াই ভালো। আপনাকে টিলাগড় অথবা কদমতলী থেকে জাফলংগামী বাসে উঠতে হবে । ভাড়া ৪০-৫০ টাকা পড়বে। নামতে হবে সারিঘাট পয়েন্টে। সেখান থেকে সি এন জি নিয়ে মটরঘাটে পৌঁছাতে হবে।
সতর্কতাঃ
জোঁক থেকে সাবধানে থাকবেন।
টাওয়ারে উঠে সেখানের দেয়ালে কিছু লিখবেন না প্লিজ।
1 note
·
View note