sourendu
sourendu
কালি, কলম, মন... লেখে তিন জন
6 posts
Don't wanna be here? Send us removal request.
sourendu · 5 years ago
Text
youtube
উফফ কী গরম... এই গরমে পেট এবং মাথা ঠান্ডা রাখুন চেখে দেখুন.. Wood Apple juice.. সাদা বাংলায় বেলের পানা..
#fatafatifoodie
0 notes
sourendu · 6 years ago
Text
মেলানকোলিয়া : সোনালি রোদ্দুর, ভাঙ্গা ডানার রোদ্দুর
‌লম্বা লম্বা রোদ্দুরে ফালি শাল বনের ভিতর দিয়ে এসে পরে ঝরা পাতার রাশির উপর l বিবর্ন ধূসর পাতার সারি পায়ের তলায়, মাথার উপর একটা নীল আকাশ, সেই নীল কেমন যেন মন খারাপ করা গল্প বলে l অনেক দিনের ভুলে থাকা কত কথা, কত স্মৃতির মিছিল চলে আসে এই নিভৃত বনে l আমার ছোট বেলার শহরটার কথা মনে পরে l মনে পরে দিদির হাত ধরে কুড়ি পয়সার হজমি গুলি কিনতে যাওয়ার দিন l বিকেল বেলা আমি বাবা দিদি ওয়ার্লেস পার্কে ঘুরতে যেতাম একটু পরেই পা ব্যাথা করত, চড়ে বসতাম বাবার কোলে আস্তে আস্তে সন্ধ্যা নামত মাথার উপর মশার ঝাঁক ঝেপে আসতো l দিদি খুব জোরে দৌড়াতো ওর সাদা ফর্কটা আধো আলো আধো আঁধারিরতে পিছলে পিছলে যেত l আমারও খুব দৌঁড়াতে ইচ্ছে করত, কিন্ত পারতাম না l বাবার কোলে বসে উপরে কালচে আকাশটা দেখতাম.. দেখতাম নীড়ে ফেরা পাখির ঝাঁক... দেখতাম গাছের ডালে কি ভীষণ প্রাণচঞ্চলতা l আমাদের ছোট্ট ভাড়া বাড়িতে রাত নামত, ঠাকুরমার হরলিক্স এর সিসির গায়ে তেলচিটে দাগ, তেলচিটে গন্ধ সারা রান্না ঘর জুড়ে l সেই গন্ধের মত একটা ছেলেবেলা লেগে থাকে আমাদের মধ্যে.. আজীবন থাকে, যতই নেড়োল্যাক্সর রং চড়াই না কেন.. যতই বড় হতে হতে আমাদের মাথা সিলিং ছুক না কেন.. আমাদের চেতনার তন্তু জুড়ে রয়ে যায় সে l
‌ এমন শীতের দুপুরে মা চুল শুকাত ঘরের সামনের এক চিলতে উঠানে, উঠানের ওপারের অনেক ঘরের মধ্যে একটায় থাকতো রবির মা.. রবিরা তিন ভাই ছিল.. ওদের বাবা ছেড়ে চলে যায় অন্য মেয়ে মানুষের সাথে যখন ছেলেরা সব দুধের শিশু l অনেক কষ্ট করে রবির মা তিন ভাই কে বড় করে l
‌জেঠীমা দারুন রান্না করত, সামান্য উপকরণ দিয়ে অমন রান্না আর খাইনি অনেক দিন l আসলে উপকরণ নিমিত্ত মাত্র কিন্তু আন্তরিকতা অসীম ছিল তার l রবির মা সুন্দর বনের মেয়ে ছিল, জলে কুমির ডাঙায় বাঘ নিয়ে কত গল্পর ঝুলি খুলত সেই সব শীতের দুপুরে, মায়ের কোল ঘেষে সেই সব গল্প বয়ে যেত হিমেল হওয়ার সাথে, সেই বাতাস আজও বয়ে কলকাতার উপর দিয়ে এই লাল মাটির উপর দিয়ে আমার উপর দিয়ে l
‌নয়ের দশকের গোড়ার দিকে ইলেকট্রিক উপকরণ ছিল অতি মহার্ঘ বস্তু l আমাদের বাড়িতে একটা সাদা কালো ওয়েবল নিকো টিভি ছিল আর ছিল মস্ত এক এন্টেনা, যেগুলি আসলে ছিল কাকদের বৈকালিক সভাস্থল l এহেন সময় দিদির বন্ধু উজ্জয়িনী দির বাড়িতে রিমোট টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিংমেশিন, ভাকুমক্লিনার সব ছিল, আমার কাছে সেই বাড়ি ছিল একটা থিম পার্কের মত l উজ্জয়িনী দিরা দুই ভাই বোন ছিল, কাকু নাকি কোন এক কোম্পানির বড়কর্তা ছিলেন, তাই খানাপিনা থেকে চলন বলন সবেতে তাদের বোলবলা থাকবেই এতো জানা কথা কিন্ত ওদের সেসব কিছুই ছিল না বরং আমাদের মত নিম্নবিত্ত বাড়ির ভাই বোনকে তারা বেশ আপন করে নিয়েছিল l মায়ের সাথে দিদি ও আমি মাঝে মধ্যেই যেতাম আর চোখ ভরা বিস্ময় নিয়ে ফিরতাম l আসলে উজ্জয়ীনি দি, পড়াশোনায় বেশ পিছিয়ে থাকতো তাই স্কুলের ক্লাসওয়ার্ক বা হোমওয়ার্ক সবেতেই দিদির খাতাপত্রর দরকার পরত l এখনও মনে আছে আমার যখন সেই ঘুপচি অন্ধকার বাড়িটা ছেড়ে অনেক দূরের উত্তর শহরতলির দিকে চলে আসছি, এই খবর পাওয়ার পর উজ্জয়নী দির মার চোখ ছল ছল করে উঠেছিল l কারণটা আজও বুঝতে পারিনি, মেয়ের পড়াশুনার আশু ভবিষ্যত চিন্তা নাকি আমাদের বিচ্ছেদ ও বিদায় যাত্রা l
‌শীতের ���ময় বসত পাড়ার ক্রীড়া প্রতিযোগীতা, আমিতো সব আসরেই তখন দুধুভাতু, মায়ের হাত ধরে দেখতে যেতাম l দিদি একবার দৌড়ে কি একটা হয়েছিল, একটা মেডেল পিয়েছিল মনে আছে আমার l সোনালি মেডেল লাল ফিতে বাধা, অনেক দিন সেই মেডেলটা ছিল বাড়িতে, বহু বার বাসা বদল হওয়ার সময় কেমন করে জানি হারিয়ে গেল l আর কত কিছুই হারিয়েছি তার হিসাব নাই l তাদের কথাও মনে নেই কিন্ত কি আশ্চর্য সেই মেডেলটা আজও চোখ বন্ধ করলেই মনে পরে l সোনালি মেডেল, হলদে পাখির পালকের মত রং তার l ঝগড়ুর দেখা সেই হলদে পাখি আমি দেখিনি, কিন্তু কেমন করে কে জানে তার ডানার ঝাঁপটা আমরও বুকে লেগে গিয়েছিল, তাই এই সব অকিঞ্চিৎকর গল্প লিখছি l
‌গল্পের কি আর শেষ আছে.. সেত চলতেই থাকে.. অন্তহীন প্রশ্নমালার মত আমাদের জীবনের জলছবি.. সেই ছবিতে ফুটে ওঠে কত হাসি, কত কথা... এই জঙ্গলের ঝরা পাতা উড়ে যাচ্ছে, শাল আকাশমণি গাছের শুকনো পাতার দল l সারা রাত ধরে পাতা ঝরে পরে আর সকাল হতেই পাতা কোরানির দল চলে আসে, ওদের মেদহীন কালো কোষ্ঠী পাথরে খোদা শরীর, যেন এই মাটির প্রতীক... এক একটা মাটির মানুষ, পোড়া মাটির মানুষ l এখন ওরা চলে গিয়েছে, চৈনিশোল গ্রামে হাট বার আজ, জঙ্গল থেকে প্রায় সাত আট কিমি দূরে গ্রাম, রাস্তার ধারে চাষিরা শাক সবজি নিয়ে বসে, ছোট হাট, এলাকার সব চেয়ে বড় হাট বসে মহাপাল গ্রামে, সুবর্ণরেখার তীরে l হাট ভাঙ্গার পর শুরু হয় মুরগির লড়াই আর হাড়িয়ার আসর, রমরমিয়ে বিক্রি হয় লটারি l
‌বেল সিং, দেবী সিং প্রায় রোজ আসে ব্যাংকে ওরা মাসে চারশো বা ছশো টাকা ভাতা পায়, যে দিন টাকা ঢোকে সেদিনই তুলে নেয় l তাও রোজ আসা চাই আর যেই বলি টাকা নাই তোমাদের, সামনের মাসে আসো, ওমনি গজগজ আর বকবক করতে করতে বেরিয়ে যায় l গজগজ যা করে তা সবই আমাকে শাপ শাপান্ত চলে l একদিন ওদের পিছু নিয়ে দেখলাম দুই বুড়ি বেরিয়ে চলল নদীর দিকে, নদীর পারে এক প্রাচীন বট গাছ, তার নিচে মালতি ধেরিয়া হারিয়া বেঁচে, একবাটি পাঁচ টাকা l দুই বুড়ি দুবাটি করে করে হারিয়া গলায় ঢেলে দিল, সাথে চললো ব্যাংক বিশেষ করে আমার বিস্তর নিন্দা মন্দ, তাদের গল্পে বার বার ঘুরে ফিরে আসছিলো কোন এক সোনালি দিনের স্মৃতি যখন এক গন্ডা পয়সায় এক বাটি হারিয়া মিলত, কমল মাঝি চেলা মাছ মগনায় দিত, তবে কমলের নজর বড় খারাপ ছিল... ওদের গল্প চলতেই থাকে.. গাছের পাতায় মেদুর রোদ্দুর.. নদীর জলে ঝিলমিল ঝিলমিল গান, দূরে দূরে ডিং নাও দুলছে.. বাতাস বয়ে মৃদু মন্দ l গল্পের মত জীবন মোদের, যার শুরু থেকে শেষ শুধুই ভুলে থাকা.. ভালো থাকা l
Tumblr media
1 note · View note
sourendu · 6 years ago
Text
জীর্ণ ও জরাজীর্ন : কৃষক ও ঘোড়া
ভারতীয় চিত্রকলা সাবালক হয়েছিল ঊনিবিংশ শতাব্দীর শেষের দিক থেকে বিংশ শতাব্দীর গোড়া দিকে| প্রাচীন ভারত থেকে মধ্যেযুগ পর্যন্ত স্থাপত্ব কলায় যে শিখর দেশ আরোহন করতে সক্ষম হয়েছিল ভারতীয় শিল্পীকূল, সে তুলনায় চিত্রকলা আবদ্য ছিল পুঁথির পাতা এবং কথকদের চিত্রাবলিতেই | অজন্তা ইলোরা ছিল সেই সব ব্যতিক্রম যাকে নিয়ে কোন জাতির জাত্বাভিমান অনির্বাচিন কাল ধরে বাহিত হতে পারে এবং হয়েও থাকে |
য়ুরোপের রেনেসাঁর হাত ধরে গ্রেট মাস্টারদের মত চিত্রকর মোদের দেশ হয়নি একথা সকলেই স্বীকার করবে |
মুঘল আমলে মহামতি আকবর বাদশার শাসন কালে মিনিয়েচার পেন্টিংর সুচিনা হয় | তার দরবারে জেসুইট মিশনারিদের মাধ্যমে প্রাচ্যত্ব শিল্পকলার আগমন ঘটে | এবং যে সমস্ত ভারতীয় চিত্রকরদের নাম পাওয়া যায় তার মধ্যে বসওয়ন অন্যতম |
বসওয়ানের জন্ম সম্ভবত বর্তমান উত্তর প্রদেশ হয়েছিল | তার সম্বন্ধে যে সামান্য তথ্য ইতিহাস আমাদের দেয় তাতে মনে হয় উনি আহির জাতি গোষ্ঠীর মানুষ ছিলেন| আহির গোষ্ঠী পরিচিত ছিল গোচারাক হিসাবে | সেই সমাজ থেকে উঠে তিনি সম্রাটের প্রধান দরবারি চিত্রকর হয়ে ওঠেন | যদিও তার শিল্পী হয়ে ওঠার কাহিনী আমাদের অজানা |
প্রধানত লিপিকার ও চিত্রলংকারক হিসাবে তিনি খ্যাত ছিলেন | বিভিন্ন কেতাব যেমন আকবারনামা, দারাবনামা, তৈমুরনামা এবং রাজামনামা ( মহাভারতের পার্সিক অনুবাদ ) এর প্রধান আলংকারিক তিনি ছিলেন| প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রেই তার সহকারি ছিল তার সুযোগ্য পুত্র আরেক মহান চিত্রকর মনোহর |
বসওয়নের ছবিতে য়ুরোপীয় প্রভাব থাকলেও তার নিজস্ব এবং একান্ত দেশীয় মনন কখনই হারিয়ে যায়নি| সমোলচকদের মতে তার রং এর ব্যবহার, ছবিতে ফিগারের আনুপাতিক বিস্তার এবং সর্বপরি বিষয়বস্তু ছিল তার একান্ত নিজস্বতায় ভরপুর |স্বয়ং আবুল ফজল তার সম্বন্ধে লিখেছেন “In designing and portrait painting and colouring and painting illusionistically…he became unrivalled in the world.” 
এই শিল্পীর একটি ছবি কলকাতা জাদুঘরের সংরক্ষিত আছে | জল রং এ আঁকা এক জীর্ণ কৃষক ও তার জরাজীর্ন ঘোড়ার ছবি | আনহার ক্লিষ্ট সেই কৃষক একটি পাতা দিয়ে নিজের লজ্জা নিবারণ করছে ও তার ঘোড়া টিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে | ভাবতে অবাক লাগে বাদশার দরবারে বিপুল ঐশ্বর্যর মধ্য থেকেও তার তুলি দিয়ে দারিদ্রের এমন নগ্ন রূপ কি করে ফুটে উঠল, হয়ত এই ছবি ছিল এক গোচারক মানুষের চোখে দেখা দেশ কালের প্রতিচ্ছবি, যা জারিত হয়েছিল এক মহান শিল্পী র সৃষ্টি চেতনার পরতে পরতে |
আপনাদের জন্য সেই ছবিটি আমি তুলে ধরলাম |
সৌরেন্দু দত্তচৌধুরী
ছবি - লেখক
Tumblr media
0 notes
sourendu · 6 years ago
Text
যাহা আছে ব্রহ্মান্ডে তাহা আছে দেহ কাণ্ডে...
Tumblr media
0 notes
sourendu · 6 years ago
Text
Nowadays people know the price of everything and the value of nothing.
Oscar Wilde, The Picture of Dorian Gray
Tumblr media
1 note · View note
sourendu · 6 years ago
Text
কালি, কলম, মন ... লেখে তিন জন
Tumblr media
3 notes · View notes