swarupgoswamis-blog
swarupgoswamis-blog
ওঁম মহিষাসুরমর্দিনী 🏵️
159 posts
মা তাঁরার গায়ত্রী মন্ত্র ঃ ওঁ তারায়ৈ বিদ্মহে মহা উগ্রায়ৈ ধীমহি তন্নোঃ দেবী প্রচোদয়াৎ।। তারাপীঠ ভৈরবং বামমহেশ্বর শ্মশানচারী তারিনী পুত্রম্ নিত্যসিদ্ধ যোগেশ্বর রাজাধিরাজ তদ্ শ্রী বামদেব নমঃ বামদের স্মরণম্ তারামা কৃপাহি কেবলম্ 🏵️ওঁম কালী 🏵️
Don't wanna be here? Send us removal request.
swarupgoswamis-blog · 4 years ago
Text
Tumblr media
4 notes · View notes
swarupgoswamis-blog · 4 years ago
Text
Tumblr media
1 note · View note
swarupgoswamis-blog · 4 years ago
Text
Tumblr media
0 notes
swarupgoswamis-blog · 4 years ago
Text
Tumblr media
1 note · View note
swarupgoswamis-blog · 4 years ago
Text
Tumblr media
0 notes
swarupgoswamis-blog · 4 years ago
Text
Tumblr media
0 notes
swarupgoswamis-blog · 4 years ago
Text
Tumblr media
0 notes
swarupgoswamis-blog · 4 years ago
Text
Tumblr media
0 notes
swarupgoswamis-blog · 4 years ago
Text
Tumblr media
0 notes
swarupgoswamis-blog · 4 years ago
Text
Tumblr media
0 notes
swarupgoswamis-blog · 4 years ago
Text
Tumblr media
0 notes
swarupgoswamis-blog · 4 years ago
Text
"ত্বং পরা প্রকৃতিঃ সাক্ষাৎ ব্রহ্মণঃ পরমাত্মনঃ।
ততোজাতং জগৎ সর্বং ত্বং জগজ্জননী শিবে।। ১
মহদাদ্যণুপর্য্যন্তং যদেতং সচরাচরম্।
ত্বয়ৈবোৎপাদিতং ভদ্রে তদধীনমিদং জগৎ।। ২
ত্বমাদ্যা সর্ববিদ্যানামস্মাকমপ�� জন্মভূঃ।
ত্বং জানাসি জগৎসর্বং ন ত্বাং জানাতিকশ্চন।। ৩
ত্বং কালী তারিণী দুর্গা ষোড়শী ভুবনেশ্বরী।
ধূমাবতী ত্বং বগলা ভৈরবী ছিন্নমস্তকা।। ৪
ত্বং অন্নপূর্ণা বাগদেবী ত্বং দেবী কমলালয়া।
সর্বশক্তি স্বরূপ ত্বং সর্বদেবময়ীতনুঃ।। ৫
ত্বমেব সূক্ষ্মা স্থূলা ত্বং ব্যক্তাব্যক্তস্বরূপিণী।
নিরাকারাপি সাকারা কস্তাং বেদিতুমর্হতি।। ৬
উপাসকানাং কার্য্যার্থং শ্রেয়সে জগতামপি।
দানবানাং বিনাশায় ধংসে নানাবিধস্তনুঃ।। ৭
চতুর্ভুজা ত্বং দ্বিভুজা ষড়ভুজাষ্টভুজা তথা।
ত্বমেব বিশ্বরক্ষার্থং নানা শস্ত্রধারিণী।। ৮"
অর্থাৎ,
"হে জগৎজননী শিবে, প্রকৃতি বা একমাত্র পূর্ণশক্তি, পরমাত্মা, তোমা হতেই সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি হয়েছে। মহৎ তত্ত্ব হতে পরমাণু স্থাবরজঙ্গম সমস্ত জগৎ সমুদায় তোমা হতেই সৃষ্টি হয়েছে। তুমি সকলের আদি, আদিভূতা, সমস্ত বিদ্যা, তোমা হতেই আমাদের উৎপত্তি, সর্বজগৎ সম্বন্ধে তুমি অবগত, তোমাকে কেহ জানতে সমর্থ হয় না। তুমিই কালী, তারিণী, দুর্গা, ষোড়শী, ভুবনেশ্বরী, ধূমাবতী, বগলা, ভৈরবী, ছিন্নমস্তা। তুমিই অন্নপূর্ণা, বাগদেবী ও কমলালয়া লক্ষ্মী; তুমি সর্বশক্তিরূপিণী ও সর্বদেবময়ী। তুমি সূক্ষ্মা, স্থূলা, ব্যক্ত ও অব্যক্ত স্বরূপিণী, তুমি সাকার আবার নিরাকার তোমাকে সহজে কেহ জানতে পারে না। তুমি সাধকের সাধনায় কার্যের কারণ এবং জগতের মঙ্গলের নিমিত্ত, তুমিই অসুরনাশিনী, নানাসময়ে নানারূপ ধারণ করে থাক। তুমি বিশ্বরক্ষার্থে কখনো চতুর্ভুজা কখনো দ্বিভুজা কখনো ষড়ভুজা কখনো অষ্টভুজা হয়ে নানাপ্রকার অস্ত্রশস্ত্র ধারণ করিয়া থাক।"
সংগৃহিত 🙏
0 notes
swarupgoswamis-blog · 4 years ago
Text
[11/29, 7:56 PM] 🥏🪀অজাত শত্রু 🪀🥏: ❤জীবলোক থেকে শিবলোকের পথ❤
👉আগে ভেবে লাভ না পরে ভেবে লাভ
আমরা রোজকার করছি,খাচ্ছি,ঘুরছি,আনন্দ করছি.নিজের মত করে চলছি.যখন বিপদে পড়ছি তখন ভাবছি কী করব???
সমাজের ছবিটা যদি একটু তুলে ধরি তাহলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে...
🙏যখন কোন মায়ের কোলে কোনো বিকলাঙ্গ সন্তান জন্ম নেয়.তখন সেই সন্তানকে মানুষ করতে মায়ের যে কতখানি কষ্ট হয় সে একমাত্র মাই বুঝে.সেই মা ভাবে আমার জীবনে এত কষ্ট কেন? আর সেই সন্তান তো ভেবে ভেবে দিশেহারা হয়ে যায়.
🙏যখন শরীরে বড় অসুখ হয় বিভিন্ন জায়গার কোন ওষুধ কাট করেনা তখন সেই রোগীর ভাবনার শেষ থাকেনা.
তাহলে এইরকম শাস্তি আমরা পাচ্ছি কেন?আমরা যখন ছোটো ছিলাম তখন মা বলে দিতেন কোনটা করব কোনটা করবনা.যেটা না করতে বলত সেটা করলেই মা শাস্তি দিতেন,ঠিক তেমনই সংসারেও কিছু নিয়মশৃঙ্খলা আছে তার ঊর্ধে গেলেই তাহা আমাদের জীবনে শাস্তি রুপে ফিরে আসে.
সংসারে চলার নিয়ম হল গীতা.প্রতিদিন আমরা সকাল থেকে রাত্রে ঘুমানোর আগে পর্যন্ত যে কর্ম করি তার সঠিক সিদ্ধান্ত হল গীতা অর্থাৎ যদি ভুল কাজে লক্ষ,কোটি টাকাও থাকে সেই কাজে মন না ছাড়া কখনই হ্যা বলবেনা.গীতা পড়া আর গীতা হওয়ার মধ্যে পার্থক্য হল...
গীতা পড়া= যদি সুত্র মনে পড়ে তবেই সমাধান হবে.
গীতা হওয়া=নিজেই উত্তরের বই
আমরা সংসারে চলার নিয়ম তখনই জানতে পারব যখন গীতা হতে পারব.তখনই বুঝব আমাদের মানব দেহ ধারনের কারন.কিন্তু যতক্ষন না আমরা গীতা হতে পারছি ততক্ষন পর্যন্ত কোন কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বার বার ভেবে নেব তাহলে কষ্ট আর আমাদের তাড়া করে বেড়াবে না.তাই তো লোকনাথ বাবা বলেছেন...
"মন যা বলে শোন,কিন্তু আত্মবিচার ছেড়না.কারন মনের মত প্রতারক আর কেউ নেই"
কর্মের আগে ভাবলে কষ্ট আসবেনা,কর্মের পরে ভাবলে কষ্ট এসে হাজির হবে.তাই কর্মের আগে একটু ভেবে নাও.সন্তান বড় হলে পিতামাতার দায়িত্ব নেয়.আমরা তো বড় হয়েছি এবার বাবার(লোকনাথ)চাপটা একটু কমানোর চেস্টা করব অর্থাৎ কর্মের আগে একটু ভেবে নেব এতে আমাদের আর কষ্টের মধ্যে পড়তে হবেনা.আর কষ্টের মধ্যে না পড়লে তিনাকেও আর বেশি চাপ দেওয়া হবেনা.চাপমুক্ত মানেই পুজার সময় তিনাকে স্থিরভাবে আমাদের মনটা দিতে পারব.
❤জয় বাবা লোকনাথ❤
[11/29, 9:10 PM] 🥏🪀অজাত শত্রু 🪀🥏: দেবী চণ্ডিকা সচেতন চিন্ময়ী, তিনি নিত্যা, তাঁর আদি নেই, তাঁর ��্রাকৃত মূর্তি নেই, এই বিশ্বের প্রকাশ তাঁর মূর্তি।
নিত্যা হয়েও অসুর পীড়িত দেবতা রক্ষণে তাঁর আবির্ভাব হয়।
দেবীর শাশ্বত অভয়বাণী—
“ইত্থং যদা যদা বাধা দানবোত্থা ভবিষ্যতি ।।
তদা তদাবতীর্যাহং করিষ্যাম্যরিসংক্ষয়ম্‌ ।।”
{শ্রীশ্রীচণ্ডী, একাদশ অধ্যায়— নারায়ণীস্তুতি, শ্লোক – ৫৪-৫৫}
[এই প্রকারে যখনই দানবগণের প্রাদুর্ভাববশতঃ বিঘ্ন উপস্থিত হইবে তখনই আমি আবির্ভূতা হইয়া দেব-শত্রু অসুরগণকে বিনাশ করিব।]
Pic : Collected
#Durgadurgotiharini #Devikul
[11/29, 9:12 PM] 🥏🪀অজাত শত্রু 🪀🥏: শ্রদ্ধয়াহশ্রদ্ধয়া বাপি যঃ কশ্চিদ মানবঃ স্মরেৎ।
দুর্গাং দুর্গশতোত্তীর্ণঃ স যাতি পরমাং গতিম্।।
🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥
যে কোন মানব শ্রদ্ধায় বা অশ্রদ্ধায় দুর্গাকে স্মরণ করে, সে শত দুঃখ হইতে উত্তীর্ণ হইয়া পরম গতি প্রাপ্ত হয়।
⚡⚡⚡⚡⚡⚡⚡⚡⚡⚡⚡⚡⚡⚡⚡
যথেন্দ্রশ্চ কুবেরশ্চ বরুণঃ সাধকো যথা।
তথা চ ���াধকো লোকে দুর্গাভক্তি পরায়ণঃ।।
🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥
ইন্দ্র, কুবের বা বরুণ যেমন সাধক, দুর্গাভক্তি পরায়ণ ব্যাক্তিও ইহলোকে সেইরূপ সাধক।
⚡⚡⚡⚡⚡⚡⚡⚡⚡⚡⚡⚡⚡⚡⚡
অভক্ত্যাপি চ ভক্ত্যা বা যঃ স্মরেদ রুদ্রগেহিনীম।
সুখং ভুক্ত্বেহ লোকে তু স যাস্যতি শিবালয়ম।।
🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥
যে ব্যক্তি ভক্তির সহিত অথবা অভক্তির সহিত রুদ্রগৃহিণী দুর্গাকে স্মরণ করে, সে ইহলোকে সুখ ভোগ করিয়া দেহান্তে শিবলোকে যাইবে।
🌺 মুণ্ডমালাতন্ত্রম 🌺
চতুর্থঃ পটলঃ
[11/30, 6:59 PM] 🥏🪀অজাত শত্রু 🪀🥏: দেবী পাতালভৈরবী মহামায়া যোগাদ্যা হয়ে রাঢ় বঙ্গে পূজিত। হনুমান দেবীর বিগ্রহ পূর্ব বর্ধমান জেলার ক্ষীরগ্রাম যোগ্যাদা শক্তিপীঠে স্থাপন করেছিলেন।
রামভক্ত হনুমানের পাঁচটি মুখ। বিপদতারণ হনুমানের এই পঞ্চমুখের পিছনে আছে রামায়ণের একটি আকর্ষনীয় আখ্যান যা জড়িয়ে আছে রাম-রাবণের যুদ্ধের সঙ্গে।
রামের বিরুদ্ধে জয়ী হতে রাবণ সাহায্য চান মহীরাবণ এবং অহীরাবণের। তাঁরা দুজনেই ছিলেন পাতালের শাসক।
বহু পূর্বে শত্রুধনু নামক এক গন্ধর্ব ছিলো। সে ছিলো ভগবান বিষ্ণুর ভক্ত। সে ভক্তিতে তন্ময় হয়ে বৈকুণ্ঠে ভগবানের সামনে নৃত্যগীত করতো। তাহার প্রতি ভগবান হরিও তুষ্ট ছিলেন। একদা অষ্টবক্র মুনি ভগবানকে দর্শন করতে এসেছিলেন। প্রতিবন্ধী অষ্টবক্র মুনিকে দেখে শত্রুধনু হাস্য উপহাস করে। এতে অষ্টবক্র ��ুপিত হয়ে সেই গন্ধর্বকে অভিশাপ প্রদান করে যে সে রাক্ষস হয়ে জন্মাবে। শারীরিক প্রতিবন্ধক নিয়ে হাস্য উপহাস করা আসুরিক লক্ষণ। গন্ধর্ব শত্রুধনু ক্ষমা প্রার্থনা চাইলে মুনি বলেন যে রাক্ষস কুলে জন্মালেও মহামায়া তার ওপর সদয় থাকবেন। অবশেষে ভগবান বিষ্ণু রাক্ষস ধ্বংস করতে নর রূপে আবির্ভূত হবেন। তাঁরই কোন ভক্ত শিরোচ্ছেদ করে তাহাকে মুক্তি দেবেন। এই ছিলো মহীরাবণের পূর্ব পরিচয়।
মহীরাবণ রূপ ধারণ করেন বিভীষণের, আসেন রাম-লক্ষ্মণের কাছে। দুজনকে অপহরণ করে নিয়ে যান পাতালে।
রাম-রামানুজকে খুঁজতে হনুমান যান পাতালে। গিয়ে দেখেন দ্বারে প্রহরায় আছেন মকরধ্বজ। এই মকরধ্বজের জন্ম নিয়েও আছে আরো এক কাহিনী। রামায়ণ অনুযায়ী মকরধ্বজের জন্মের পিছনে হনুমানের অবদান আছে।
স্বর্ণলঙ্কায় অগ্নিকাণ্ডের পরে লেজের আগুন নেভাতে হনুমান লেজ চুবিয়েছিলেন সমুদ্রের জলে। তখন তাঁর এক ফোঁটা ঘাম থেকে মকরধ্বজের জন্ম। তাই‚ মকরধ্বজ হনুমানকে নিজের পিতা ভাবতেন।
পাতালের প্রবেশপথে মকরধ্বজকে দেখে হনুমান নিজের পরিচয় তাঁকে দেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে প্রণাম করে পথ ছেড়ে দেন মকরধ্বজ।
হনুমান পাতালে প্রবেশ করে দেখেন মহীরাবণ এবং অহীরাবণকে বিনাশ করতে হলে পাঁচটি দীপ নেভাতে হবে। তাদের মুখ আবার পাঁচদিকে। তাই‚ হনুমান পাঁচটি মুখ ধারণ করলেন।
একটি মুখ হল বরাহ-মুখের মতো, সেই মুখটি থাকল উত্তরদিকে। নরসিংহের মতো দেখতে মুখ থাকল দক্ষিণ দিকে। গরুড়রূপী মুখ থাকল পশ্চিমে। হয়গ্রীবা মুখ হল আকাশমুখী। আর‚ হনুমানের নিজস্ব মুখ থাকল পূর্বমুখী হয়ে।
এই পঞ্চমুখ নিয়ে পাতালে প্রবেশ করে হনুমান পাঁচদিকে ফুঁ দিয়ে নিভিয়ে দিলেন পাঁচটি দীপ।
গভীর নিশি উপস্থিত। মহীরাবণ পূজা শেষ করে রাম লক্ষ্মণ কে এনে হাঁড়িকাঠের সামনে উপস্থিত করলেন। রক্তবস্ত্র, রক্ততিলক ও রুদ্রাক্ষে ভূষিত আলো অন্ধকারময় পাতালভৈরবীর মন্দিরে মহীরাবণের চেহারা অতি ভয়ঙ্কর রূপ বোধ হচ্ছিলো। দেবীর মূর্তির পেছনে বসে হনুমান অপেক্ষা করছিলেন।
মহীরাবণ বলল-- “রাম লক্ষ্মণ ! তোমাদের অসীম সৌভাগ্য যে মহামায়ার সেবায় নিয়োজিত হচ্ছো। সষ্টাঙ্গে হাঁড়িকাঠে মাথা রেখে মহামায়াকে প্রণাম করো।”
ভগবান শ্রীরাম ও লক্ষ্মণ বললেন-- “অবশ্যই ! কিন্তু একটি সমস্যা আছে। আমরা অযোধ্যার রাজপুত্র। আমাদের পিতা শক্তিশালী নৃপতি ছিলেন। সকলে আমাদিগকে প্রণাম করতো। বনবাসে আসলেও বানরেরা আমাদের প্রণাম করতো। কদাপি আমরা কাহাকেও প্রণাম করিনি। কিভাবে প্রণাম করতে হয় - জানিও না। যদি দেখিয়ে দিবেন, তাহলে বুঝবো।”
মহীরাবণ হাস্য করে বলল-- “এই ব্যাপার ! বেশ আমি।দেখিয়ে দিচ্ছি প্রণাম করার বি��ি !” এই বলে মহীরাবণ হাস্য করে ‘জয় মা’ বলে হাঁড়িকাঠে মাথা রেখে প্রণাম করতে লাগলেন। তখুনি দেবীর মূর্তির পেছন থেকে হনুমান লম্ফ দিয়ে বের হলেন।
হনুমান এসেই প্রথমে হাঁড়িকাঠের শিক আটকে দিলেন। চোখের পলকে দেবীর হস্ত থেকে খড়্গ নিয়ে এককোপে।মহীরাবনের শিরোচ্ছেদ করলেন। মহীরাবণের মুণ্ড গড়িয়ে দেবীর চরণে চলে গেলো। দেবীর মূর্তি দেখে মনে হল, তিনি খুবুই প্রীতা হয়ে প্রসন্ন হয়ে হাসছেন। দেবী যেন মহীরাবণের বলি গ্রহণ করলেন। মহীরাবনের রক্তে ভেসে গেলো মন্দির। মহীরাবণের অন্ত হল।
হনুমান তখন শ্রীরাম ও লক্ষ্মণের হস্তের বাঁধন খুলে দিলেন। রাক্ষসেরা রে রে করে তেরে আসলো। হনুমানের সাথে যুদ্ধ আরম্ভ হল। লণ্ডভণ্ড হল পূজাগৃহ। প্রদীপদানি উলটে আগুন ধরল। গদা দিয়ে রাক্ষসদের পিটিয়ে মারলো মারুতি। কাউকে ল্যাজে পেঁচিয়ে ভূমিতে আছরে মারলো। কাউকে তুলে আছার দিলো। কাউকে পদতলে পিষ্ট করলো।
এই সময় সেই বানর সেনাপতি মকরধ্বজ ছুটে আসলো গদা নিয়ে মকরধ্বজের সাথে হনুমানের যুদ্ধ বাঁধলো। কেউ যেনো কাউকে হারাতে পারে না। উভয়ে উভয়কে কিল চড় লাথি ঘুষি দিতে লাগলো। উভয়ের গাত্র।থেকে রক্ত বের হল। গদার সংঘর্ষে যেনো পাতাল পুরী কেঁপে উঠলো। স্তম্ভাদি সকল ভেঙ্গে পড়তে থাকলো। কে এই বীর ! হনুমান ভাবতে লাগলো।
এমন সময় এক মৎস্যকন্যা এসে বলল-- “পুত্র রোষো ! পিতার সাথে কেন যুদ্ধ করছ ?” এই শুনে হনুমান চমকে উঠলো। সে বলল-- “আপনি মিথ্যা বলছেন ! আমি ব্রহ্মচারী। আমি বিবাহ করিনি। কেন এ আমার পুত্র হবে ?”
মৎস্যকন্যা বলল-- “পবনপুত্র ! এ আপনারই পুত্র। মনে আছে মাতা সীতার আদেশে আপনি পুচ্ছের অগ্নি নির্বাপিত করবার জন্য সমুদ্রে লাঙুল নিমজ্জিত করেছিলেন ? সে সময় আপনার লাঙুলের বারি ধারা আমার উদরে প্রবেশ করে। আমি গর্ভবতী হই। এ আপনার পুত্র ! রাক্ষস দের সাথে নিবাস করতে করতে আমিও রাক্ষসের গুণ পেয়েছি। রাক্ষস, অসুরদের মধ্যে ভূমিষ্ঠ শিশু মানবশিশুর থেকেও অনেক শীঘ্র বয়োঃবৃদ্ধি ঘটে। রাক্ষস গুণের ফলে এই মকরধ্বজ রাক্ষসদের সেবা করছে।”
এই বলে মৎস্যকন্যা বললেন-- “পুত্র মকরধ্বজ ! তুমি ধর্মের পক্ষ অবলম্বন করো। অধার্মিক দের কেহই রক্ষা করেন না। নিজেই তো প্রমান পেলে। দেবী অম্বিকা কি মহীরাবণকে বাঁচিয়েছেন ? পুত্র ! রাক্ষসেরা কদাপি তোমার আপন জন নয়। লঙ্কায় যুদ্ধে রাক্ষসেরা বহু বানরকে হত্যা করেছে। অতএব পুত্র তুমি স্বজাতির পক্ষ অবলম্বন করে ধর্মের মার্গ অবলম্বন করো।”
হনুমান কপালে হাত দিয়ে বসলো। বসে রোদন করে বলতে লাগলো-- “এই পৃথিবী আমাকে ব্রহ্মচারী রূপে জানে। আজ আমি কলঙ্কের ভাগী হলাম। আমি এই মুখ কিভাবে দেখাবো ? আমার সমস্ত সম্মান ধূলিসাৎ হয়েছে। এ আমি কি পাপ করলাম।”
ভগবান শ্রীরাম তখন হনুমানের মস্তকে হস্ত বুলিয়ে বললেন-- “হনুমান ! রোদন করো না। যাহা হয় তাহার পেছনে কোন শুভ উদ্দেশ্য থাকে। তুমি স্বেচ্ছায় নারীসঙ্গ করো নি। সুতরাং তোমার বিন্দুমাত্র দোষ নেই। নিজেকে অপরাধী ভেবো না। তাহলে তোমার পুত্র মকরধ্বজ অত্যন্ত দুঃখী হবে। তুমি বরং পুত্রকে আলিঙ্গন করে স্নেহ আশীর্বাদ প্রদান করো।”
মকরধ্বজ এসে তখন হনুমানের চরণে প্রণাম করতে নিলে হনুমান বলল-- “আমাকে নয়। বরং প্রভুকে অগ্রে প্রণাম করো।” মকরধ্বজ গিয়ে ভগবান শ্রীরাম ও লক্ষ্মণকে প্রণাম করলে তাঁহারা আশীর্বাদ দিলেন-- “বীর প্রতাপী হয়ে পাতাল পুরী শাসন করো। সদা ধর্ম পথে থেকো।” এরপর হনুমানকে প্রনাম করলেন মকরধ্বজ। হনুমান, পুত্রকে বুকে জড়িয়ে স্নেহ আশীর্বাদ প্রদান করলেন।
এই সময় অহীরাবণ সেনা সমেত এলো। গর্জন করে বলতে লাগলো-- “কোথায় সেই আমার পিতৃঘাতী মর্কট ?”
ভগবান শ্রীরাম বললেন-- “অহীরাবণ ! দেখো পাপের পথ অবলম্বন করলে কি পরিণাম হয়। তুমি আর পাপ করো না। তোমার পিতাকেই দেখো, তাঁর কি পরিণাম হয়েছে। তোমার সাথে আমার শত্রুতা নেই। এসো আমাদের সহিত সখ্যতা স্থাপন করো।”
অহীরাবণ ত মানলো না। হৈহৈ করে তেরে এলো। রাক্ষসেরা সব আসলো। হনুমান গদা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিমিষে অসংখ্য রাক্ষস বধ করলো। রাক্ষসদের দেহের স্তূপ জমল।
এরপর অহীরাবণ যুদ্ধে এলো। হনুমানের সাথে প্রবল যুদ্ধ হল। এমন হাতাহাতি লড়াই হল, মনেহল গোটা পাতালপুরী বুঝি ভেঙ্গে পড়বে।
অন্তিমে হনুমান, অহীরাবণকে তুলে আছার দিলো ভূমিতে। সেই আছারে অহীরাবণের মস্তক চূর্ণ হল। এইভাবে রাক্ষস পিতাপুত্রের অন্ত হল।
ভগবান রামচন্দ্র বললেন-- “পাতালপুরী এখন শূন্য। এখানে এখন শাসকের প্রয়োজন। মকরধ্বজ আজ থেকে পাতালপুরীর রাজা হবে।”
এরপর পাতালভৈরবী দেবীর আদেশে দেবীবিগ্রহ সহ হনুমান রাম ও লক্ষণকে কাঁধে করে তিন দিন ধরে লাগাতার পাতাল পথে ভারতবর্ষে বাংলার বর্ধমান জেলার ক্ষীরগ্রামে ওঠেন।
ক্ষীরগ্রাম, মঙ্গলকোটের একটি আপাত নিরীহ জনপদ। সতীপীঠের অন্যতম একটি পীঠ হল এই গ্রাম। এই স্থানে দেবী সতীর দক্ষিণ পদাঙ্গুষ্ঠ পতিত হয়েছিলো। এখানকার দেবী হলেন মা যোগাদ্যা।
হনুমান দেবীর বিগ্রহ যোগ্যাদা শক্তিপীঠে স্থাপন করেছিলেন। দেবী পাতালভৈরবী মহামায়া যোগাদ্যা হয়ে রাঢ় বঙ্গে পূজিত হতে শুরু করেন। অবতার রাম ও লক্ষণ রাঢ় অঞ্চলে থাকতে পারেন নি।
দেবী যোগাদ্যাকে জলে রাখা হয়, বছরে কয়েকটি নির্দিষ্ট দিনে মন্দিরে এনে পূজা করা হয়। চৈত্র সংক্রান্তির দিন যজ্ঞ দিয়ে মা যোগাদ্যার উৎসব শুরু হয় চলে এক মাস ধরে নানান রীতি, আচারের মধ্যে দিয়ে।
বৈশাখ সংক্রান্তি তে মহাপূজার শেষে ভোর রাতে দেবীকে জলে রাখা হয়। তিন দিন পর আবার জল থেকে দেবীকে মন্দিরে এনে অভি��েক করা হয়। এভাবে বছরে কয়েকটা নির্দিষ্ট দিনে দেবীকে জল থেকে তুলে পূজার রীতি আছে।
শাস্ত্র মতে বৈশাখের ২৮ থেকে ৩০ তারিখ অবধি দেবীর কোন রান্না ভোগ হয় না কারণ কথিত আছে ওই সময় দেবী হনুমানের মাথায় চেপে পাতালপথে এখানে এসেছিলেন।
.
জয় মা
জয় শ্রীরাম
জয় হনুমান
.
(সংগৃহীত)
[12/3, 9:08 PM] 🥏🪀অজাত শত্রু 🪀🥏: কালীখো দেবী। বিন্ধ্যবাসিনী মায়ের মন্দিরের থেকে কিছুটা দূরে পাহাড়ের উপরে ইনি অবস্থান করেন। রক্তবীজ বধের পরে মা এখানে বিশ্রাম নিয়েছিলেন। দেবী মূর্তিটি স্বয়ম্ভু। মায়ের মুখ হা করা। জনশ্রুতি অনুযায়ী, মা এখানে বসে নিশ্চিন্তে রক্তবীজের রক্তপানে মত্ত ছিলেন। এমন মূর্তি সারা ভারতে বিরল। ছবি এবং সামগ্রিক তথ্য সংগৃহিত।
[12/5, 12:32 PM] 🥏🪀অজাত শত্রু 🪀🥏: পরমেশ্বরী মহাদেবীর ভক্তি এবং তার মাহাত্ম্য
তথা দেবীভক্তশাক্ত এবং অভক্তের মধ্যে তফাৎ -
অনুমানং মিদং রাজন ! কর্তব্যং সর্ব্বথা বুধৈ: l
দৃষ্ট্বা রোগযুতান দীনান ক্ষুদিতাম্নির্দ্ধনান শঠান ll
জনানার্ত্তাংস্তথা মুর্খান পীড়িতান বৈরিভি: সদা l
দাসানাজ্ঞাকরান ক্ষুদ্রান বিকলাং বিহ্বলানথ ll
অতৃপ্তান ভোজনে ভোগে সদার্ত্তানজিতেন্দ্রিয়ান l
তৃষ্ণাধিকানশক্তাংশ সদাধিপরিপীড়িতান ll
তথা বিভবসম্পন্নান পুত্রপৌত্রবিবর্দ্ধনান l
পুষ্টদেহাংশ সম্ভোগৈ: সংযুতান বেদবাদিনঃ ll
রাজলক্ষ্ম্যা যুতান শূরান বশীকৃতজনানথ l
স্বজনৈরবিযুক্তাংশ্চ সর্ব্বলক্ষণলক্ষিতান ll
ব্যাতিরেকান্বয়াভ্যাঞ্চ বিচেতব্যং বিচক্ষনৈ l
এভির্ন্ন পূজিতা দেবী সর্ব্বার্থফলদা শিবা ll
সমারাধিতা চ তথা নৃভিরেভিঃ সদাম্বিকা l
যতোহমী সুখিনঃ সর্ব্বে সংসারেহস্মিন্ন সংশয়ঃ ll
-----শ্রীমদ্দেবীভাগবত মহাপুরাণ
অর্থাৎ - ব্যাসদেব বলিলেন, হে রাজন ! বিচক্ষণ বুধগণ সর্ব্বদা - রোগযুক্ত, দীন এবং ক্ষুদিত, নির্দ্ধন, শঠ, আর্ত, মূর্খ তথা বৈরিপীড়িত, ক্ষুদ্র, বিকল, বিহ্বল, ভোগে এবং ভোজনে অতৃপ্ত, সর্বদাই পীড়িত, ইন্দ্রিয় কতৃক অত্যাচারিত, অজিতেন্দ্রিয়, অধিকতর লোভী, শক্তিহীন, নিন্দুক, সবসময় মনব্যাথায় পরিপীড়িত মানবগণকে দেখে অনায়াসেই বুঝতে পারেন যে এই নির্বোধ মানবগণ কখনো অম্বিকার আরাধনা করেনাই তাই এরা সংসার মধ্যে দুঃখতাপে চরম দগ্ধ হইতেছে এবং সাধনাহীন হইয়া লোকনিন্দুক হইয়াছে l
কিন্তু বিচক্ষণ বুধগণ অবশ্যই এটাও অনুমান করতে পারেন যে - যে মানবগণ বিভবসম্পন্ন, পুত্রপৌত্রসম্পন্ন, অকালমৃত্যুহীন, সমৃদ্ধিমান, পুষ্টদেহ, ভোগ্যসমন্বিত, বেদবাদী এবং বিদ্বান, রাজলক্ষ্মীসমন্বিত, শূর বহুজন যার বশীকৃত, সর্ব্বদাই স্বজন যুক্ত এবং সর্ব্বলক্ষণসমন্বিত আনন্দিত তাহারা নিত্য শক্তির আরাধনা করিয়া থাকে, এরা শাক্তধর্ম পালন করে থাকে, এরা অম্বিকার উপাসনা করিয়াছে বলে এরা অসুখী বা নিরানন্দিত হয়না কদাপি এবং সংসার মধ্যে সর্বদা সুখী হয়ে বিচরণ করেন l
[12/5, 4:35 PM] 🥏🪀অজাত শত্রু 🪀🥏: ☘️ঠাকুর বলতৈন পিঁপড়ের মত সংসারে থাকো। বালিতে-চিনিতে, নিত্যে-অনিত্যে, মিশেল হয়ে
আছে। বালি ছেড়ে চিনিটুকু নাও। থাকো পাঁকাল মাছের মতাে। পাঁকে থাকে কিন্তু গা ঝকঝক করছে। থাকো পানকৌটির মত। পাখা ঝাপটেই গায়ের জল ঝেড়ে ফেল। হাতে তেল মেখে কাঁঠাল ভাঙো।🍁☘️🍁
🍁‘একজন তার স্ত্রীকে বলেছিল, আমি সংসার ত্যাগ করে চললম। স্ত্রীটি একটু জ্ঞানী ছিল। সে বললে, কেন মিছে ঘুরে-ঘুরে বেড়াবে? যদি পেটের ভাতের জন্যে দশ ঘরে যেতে না হয়, তবে যাও। আর তাই যদি হয় এই এক ঘরই ভালাে।' তার মানে জ্ঞানলাভ করে সংসারে থাকো।
☘️"জ্ঞান" হয়েছে 'তা কেমন করে জানব?' জিজ্ঞেস করলেন সদরালা। জ্ঞান হলে ঈশ্বরকে আর দূরে দেখায় না। তিনি আর তখন তিনি নন। তিনি তখন ইনি। হদয়মধ্যে বসে আছেন।অন্তরের মধ্যেই সেই স্থিরধাম। কেউ চলেছে #দ্বারকানাথ, কেউ মথুরায়, কেউ বা কাশীতে। কিন্তু প্রভু রয়েছেন অন্তরের নিরালায়। পিপাসিত হয়ে কোথায় যাচ্ছ গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীতে, মানস সরােবরেই সঞ্চিত আছে জলপুঞ্জ। সেই মন- সরসীতে এবার স্নান করাে।
🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁☘️☘️☘️☘️☘️☘️☘️
[12/6, 2:52 PM] 🥏🪀অজাত শত্রু 🪀🥏: 🌺🔺🔱#দুর্গা_মাহাত্ম্য 🔱🔺🌺
🌺🌼🌺🌼🌺🌼🌺🌼🌺🌼🌺🌼
"ব্রহ্মাণী কুরুতে সৃষ্টিং ন তু ব্রহ্মা কদাচন।
অতএব মহেশানী ব্রহ্মা প্রেতো ন সংশয়ঃ।।
বৈষ্ণবী কুরুতে রক্ষাং ন তু বিষ্ণুঃ কদাচন।
অতএব মহেশানী বিষ্ণুঃ প্রেতো ন সংশয়ঃ।।
রুদ্রাণী ক��রুতে গ্রাসং ন তু রুদ্রঃ কদাচন।
অতএব মহেশানী রুদ্রঃ প্রেতো ন সংশয়ঃ।।
ব্রহ্মাবিষ্ণুমহেশাদ্যা জড়াশ্চৈব প্রকীর্ত্তিতাঃ।
প্রকৃতিঞ্চ বিনা দেবীম্ সর্ব্বে কার্য্যা অক্ষমা ধ্রুব।।
---- কুব্জিকাতন্ত্রে পার্ব্বতীং প্রতি শিববাক্যম্ ----
কুব্জিকাতন্ত্রে দেবী পার্ব্বতীকে শিব বললেন -
🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺
🔺" হে মহেশানী, ব্রহ্মাণী রূপা ব্রহ্মার শক্তিই সৃষ্টিকার্য্য করেন, ব্রহ্মা করেন না। অতএব ব্রহ্মা শব এতে কোনো সংশয় নেই।
🔺 বৈষ্ণবী শক্তিই এই ব্রহ্মাণ্ড পালন ও রক্ষা করেন, বিষ্ণু করেন না, সুতরাং বিষ্ণুও প্রেত বা শব এতেও কোনো সন্দেহ নেই।
🔺হে মহেশপ্রিয়া, রুদ্রাণী শক্তিই এই ব্রহ্মাণ্ড অন্তকালে গ্রাসপূর্ব্বক সংহার করেন, রুদ্র স্বয়ং করেন না, অতএব রুদ্রও শব বা প্রেত তাতেও কোনো সন্দেহ নেই।
🔺ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশাদি সমস্ত দেবই জড়, তাঁদের নিজস্ব কোনো ক্ষমতাই নেই।
🔺একমাত্র তুমিই, তথা পরমাপ্রকৃতি আদ্যাশক্তিই এই ব্রহ্মাণ্ডে একমাত্র ক্রিয়াত্মিকা, সেই আদ্যাশক্তি তথা মহাশক্তি ছাড়া আর কেউ কোনো কার্য্য করতে অক্ষম, এটিই সত্য।"
🌺🕉 দেবীকুল 🕉🌺
[12/6, 7:27 PM] 🥏🪀অজাত শত্রু 🪀🥏: দেবতারা ভগবতীর স্তুতি করেছিলেন। সেই স্তবে দেবীর কিছু নামের অর্থ প্রকাশ করেছিলেন। যথা-
উ বিতর্কে চ মা লক্ষ্মীবহুরূপা বিদৃশ্যতে ।
উমা তস্মাচ্চ তে নাম নমস্তস্যৈ নমো নমঃ ।।
( ভবিষ্যপুরাণ... দ্বিতীয় খণ্ড...১৮ তম অধ্যায়... ৬৭ )
অর্থাৎ- ‘উ’ এই শব্দ বিতর্কে এসেছিল এবং মা শব্দে লক্ষ্মী বহুরূপা দৃশ্য হয়েছিল এই কারণে তুমি ‘উমা’ এই নামে প্রসিদ্ধ হইবে। হে দেবী উমা তোমাকে আমাদের সকলের বারবার প্রণাম ।
কতিচিদয়নান্যেব ব্রহ্মাণ্ডেহ স্মিঞ্ছিবে তব ।
কাত্যায়নী হি বিজ্ঞেয়া নমস্তস্যৈ নমো নমঃ ।।
( ভবিষ্যপুরাণ... দ্বিতীয় খণ্ড...১৮ তম অধ্যায়...৬৮ )
অর্থাৎ- হে শিবে, এই ব্রহ্মাণ্ডে তোমার কত অয়ন ( স্থান ) তাই তোমার নাম ‘কাত্যায়নী’। হে কাত্যায়নী দেবী, তোমাকে আমাদের সকলের বারবার প্রণাম ।
গৌরবর্ণাচ্চ বৈ গৌরী শ্যামবর্ণাচ্চ কালিকা ।
রক্তবর্ণাদ্বেমবতী নমস্তস্যৈ নমো নমঃ ।।
( ভবিষ্যপুরাণ... দ্বিতীয় খণ্ড...১৮ তম অধ্যায়...৬৯ )
অর্থাৎ- আপনি অত্যন্ত গৌরবর্ণ , এই কারণে আপনি ‘গৌরী’ এই শুভ নামে পরিচিতা । আপনার শ্যামবর্ণের জন্য কালিকা নামে খ্যাতা । আপনার বর্ণ কখনও রক্তবর্ণ তাই আপনি ‘হেমবতী’ । হে তিনবর্ণা দেবী, আপনাকে আমাদের সকলের বারবার প্রণাম ।
ভবস্য দয়িতা ত্বং বৈ ভবানী রুদ্রসংযুতা ।
দুর্গা ত্বং যোগি সুস্প্রাপ্যা নমস্তস্যৈ নমো নমঃ ।।
( ভবিষ্যপুরাণ... দ্বিতীয় খণ্ড...১৮ তম অধ্যায়...৭০ )
অর্থাৎ- আপনি ভবপত্নী এই কারণে আপনি ভবানী আপনি যোগিগণের দ্বারা দুস্প্রাপ্য সুতরাং আপনি ‘দুর্গা’। দুর্গাদেবী আপনাকে আমাদের সকলের বারবার প্রণাম ।
নান্তং জগ্মুবয়ং তে বৈ চন্ডিকা নাম বিশ্রুতা ।
অম্বা ত্বং মাতৃভুতা নো নমস্তস্যৈ নমো নমঃ ।।
( ভবিষ্যপুরাণ... দ্বিতীয় খণ্ড...১৮ তম অধ্যায়...৭১ )
অর্থাৎ- আপনার অনন্ত নামের কারণে আমরা আপনাকে অন্তপর্যন্ত প্রাপ্ত হয়নি । আপনার ‘চণ্ডিকা’ এই নাম পরম প্রসিদ্ধা। আপনি আমাদের মাতৃভুজা অম্বা, এই কারণে অম্বা দেবী- আপনাকে আমাদের সকলের বারবার প্রণাম ।
আলোকচিত্রে ঢাকার আদি ঢাকেশ্বরী দুর্গার শ্রীবিগ্রহ।
[12/6, 7:31 PM] 🥏🪀অজাত শত্রু 🪀🥏: 🌺{ মা তারা }🌺
প্রত্যালীঢ় পদাং ঘোরাং মুণ্ডমালা বিভূষিতাম্
খর্বাং লম্বোদরীং ভীমাং ব্যাঘ্রচর্মাবৃতা কটৌ
নবযৌবনসম্পন্নাং পঞ্চমুদ্রা বিভূষিতাম্
চতুর্ভুজাং লোলজিহ্বাং মহাভীমাং বরপ্রদা��্
খড়গ কর্ত্রী সমাযুক্ত সব্যেতর ভুজদ্বয়াম্
কপাল উৎপল সংযুক্ত সব্যপানিদ্বয়ান্বিতাম
পিঙ্গোগ্রৈকজটা ধ্যায়েৎ মৌলী অক্ষোভ্য ভূষিতাম্
জ্বলচ্চিতামধ্যগতাম্ ঘোরদংষ্ট্রাং করালিনীং
সাবেশস্মের বদনাং স্ত্র্যলঙ্কারভূষিতাম্
বিশ্বব্যাপক তোয়ান্তঃ শ্বেতপদ্মোপরিস্থিতাম্
অক্ষোভ্য দেবীমূর্ধণ্যস্ত্রিমূর্তি নাগরূপধৃক
তারা তিনি দশমহাবিদ্যার দ্বিতীয়মহাবিদা
তার সম্পূর্ণনাম উগ্রতারা,তার চারহাতে, খর্গ,করটি নির্মিত পানপাত্র,ঘোররূপিণীর আরেক হাতে নীলপদ্ম, এবং মায়ের আরেক হাতে যেই অস্ত্র,তা হলো কাঁচি, বর বিচিত্র এই রূপে,শবরুপী শিবএর উপর দেবী দণ্ডায়মান, তার নিবাস মহাশ্মশান ভূমি
ইনি সাধনার দ্বার, তান্ত্রিক,অঘড়ি, সাধক সকলেই এনার উপাসক, মা তারা মূলরূপে গর্ভবতী তার গর্ভে, ভৈরব, তার দর্শন পাওয়ার আসায় না জানে কত যুগ যুগ ধরে কত সাধক করেযায় তপস্যা,
মানুষের অন্তর রূপে যেই ত্রিকাল যামিনী অবস্থান করে মায়ের মঙ্গলময়ী বিপদতারিণী তারা রূপে যিনি ঘোর রুপা হয়েও স্নেহময়ী রূপে অধিষ্ঠিতা কারণ একটাই, সন্তান ও ভক্তের কাছে সর্বদাই তিনি মা, আর মা কি কখনো ভয়ঙ্করী হতে পারে,এটাই আমাদের বর্তমান ধারণা তবে তিনি মহাবিদ্যা মহামায়া, তার রূপ বৈশিষ্ট তব কারণ ও জ্ঞানের প্রতীক,কেউই তাকে জানতে চিনতে সক্ষম নন,যেই রূপ আমরা এখানে দেখি বা অন্যত্র দেখি যেমনই দেখি সেটা মানব জাতির সৃষ্ট, সেই ব্রহ্মময়ী ঠিক আমাদের ঘরের মায়ের মক্তই আমাদের ইচ্ছারক্ষা করে চলেছেন
আমরা তাকে যেভাবে রূপদান করেছি সে আমাদের চেতনায় সেভাবেই রয়েগেছেন, তবে কোথায় শেষ এই রূপের বৈশিষ্ট কেউই জানে তাই, আমরা এই জন্মে তাকে যা জেনেছি তার রূপ অচিন্ত শক্তি অবদ্ধ মহিমা অনন্ত,
Photo Manipulation me আয়ুষ সেনগুপ্ত
তারারূপিণী - মহুয়া রায় চৌধুরী
0 notes
swarupgoswamis-blog · 4 years ago
Text
[11/13, 11:13 PM] 🥏🪀অজাত শত্রু 🪀🥏: যা কালী সা মহাদুর্গা যা দুর্গা সৈব তারিণী।
অভেদেন যজেদ্দেবীং সিদ্ধয়োহষ্টী ভবন্তি হি।
অর্থাৎ যিনি আদ্যা পরমেশ্বরী কাল���কা তিনিই মহাদুর্গা (জগদ্ধাত্রী)আবার তিনিই তারিণী।এনাদের অভেদ জ্ঞানে পূজা ও সাধনা কর্তব্য ।
কালীকুলের প্রধান চার দেবীর মধ্যে অন্যতমা মহাদুর্গা l
আদ্যাদুর্গা জগদ্ধাত্রীর আবির্ভাব সম্পর্কে বলা হয়েছে। (জগদ্ধাত্রী রহস্যে)
কার্তিকে শুক্লপক্ষে ভৌমবারে জগৎপ্রসুঃ।
সর্বদেবহিতার্থায় দুর্বৃত্তপ্রশমনায় চ।।
আরিরাসীৎ জগচ্ছান্ত্যৈ যুগাদ্যৌ পরমেশ্বরী ।
-অর্থাৎ দেবগনের হিতার্থে ও দুর্বৃত্তের প্রশমন এবং জগতের শান্তি বিধানের হেতু কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের মঙ্গলবারে পরমেশ্বরী জগদ্ধাত্রী ধরাতলে আবির্ভূতা হন।
কোটি ব্রহ্মাণ্ড, সহ সমস্ত লোকের উর্দ্ধে স্থিত রত্নদ্বীপ দুর্গালোকের অধীশ্বরী মহাদুর্গার ত্রৈকালীন পূজা নিয়ে শাস্ত্র বলে
প্রপূজয়েজ্জগদ্ধাত্রী কার্তিকে শুক্লপক্ষে ।
দিনোদয়ে চ মধ্যাহ্নে সায়াহ্নে নবমেহনি......
- অর্থাৎ কার্তিকমাসে শুক্লপক্ষে নবমী তিথিতে ত্রৈকালীন পূজা কর্তব্য । অর্থাৎ প্রভাতে, মধ্যাহ্নে এবং সায়াহ্ন এই তিনকালে শাক্তাচারে দেবীর মহাপূজা হবে l
কালবিবেক স্মৃতিশাস্ত্রেও এই একই ত্রৈকালীন ভাবে শাক্তাচারে জগদ্ধাত্রী পূজার বিধান আছে ।
কার্তিকোহমলপক্ষস্য ত্রেতাদৌ নবমেহহনি।
পূজয়েত্তাং জগদ্ধাত্রীং সিংহপৃষ্ঠে নিষেদুষীম্।
-ত্রেতাযুগের প্রারম্ভে কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে সিংহপৃষ্ঠে সমাসীনা মহাদেবী মহাদুর্গা জগদ্ধাত্রীর শাক্তাচারবিহিত পূজা করবে l
অন্যদিকে মহাদুর্গার এই পূজাকে মহাপূজা বলে আখ্যায়িত করেছে জগদ্ধাত্রী কল্প -
ত্রিদিবসে বা ত্রৈকালে ত্রিধামূর্তি দেবী তথা l
এষা সু মহাপূজা নাম্নাখ্যাতা তথাবচন ll
প্রভাতে সাত্ত্বিকীপূজা মধ্যাহ্নে রাজসীস্তথা l সায়াহ্নে তামসীপূজা মহাপূজা প্রকীর্তিতা ll
-ত্রিদিবসে মহাদেবী জগদ্ধাত্রীর পূজা হবে অথবা ত্রিকালে হবে এবং দেবীও ত্রিধামূর্তিধারিণী হবেন l মহাদেবীর এই পূজা মহাপূজা বলে বিখ্যাত হবে l ত্রিকালীন পূজায় প্রভাতে সাত্ত্বিকী পূজা, মধ্যাহ্নে রাজসী এবং সায়ান্হে তামসী পূজা আয়োজিত হবে l এরূপ আকারে ত্রিকালীন বা ত্রিদিবসীয় পরিপূর্ন শাক্তাচারে পূজাই মহাপূজা বলে খ্যাত হবে
শাক্তাচারপ্রিয়ে দেবী জগদ্ধাত্রী নমোস্তুতে🌺🔻
নমস্তেস্তু মহাদেবী দুর্গালোকনিবাসিনী l
চতুর্ভূজা রক্তবদনাং মহাদুর্গপ্রশমনি ll
#JagaddhatriRahasyam
জয় মা 🌺🙏🏼
***তথ্য ও চিত্র সংগৃহীত
[11/13, 11:41 PM] 🥏🪀অজাত শত্রু 🪀🥏: 🌹💮🌹💮🌹💮🌹💮🌹💮🌹💮🌹💮🌹💮🌹
একবার গ্রামের কালীপূজার সময় নব মুখুজ‍্যে গ্রাম‍্যসঙ্কীর্ণতাবশতঃ আক্রোশ করিয়া পূজার জন‍্য সংগৃহীত শ‍্যামাসুন্দরীর চাউল প্রভৃতি লইলেন না । শ‍্যামাসুন্দরী বহু যত্নে এবং অতি ভক্তি ভরে পূজার উপকরণ তৈয়ারি করিয়া রা��িয়াছিলেন ; কিন্তু অপরের নিষ্ঠুরতায় তিনি অকস্মাৎ দেবিকে নৈবেদ‍্যদানে পর্যন্ত বঞ্চিত হইলেন । ইহাতে মর্মপীড়িত হইয়া তিনি সারা রাত্রি কাঁদিয়া কাটাইলেন এবং বলিতে লাগিলেন , " কালীর জ‍ন‍্যে চাল করেছি , আমার চাল নিলে না । এ চাল আমার কে খাবে ? এ কালীর চাল তো কেউ খেতে পারবে না । তার পর রাত্রে স্বপ্নে এক দেবী তাঁহার নিকট আসিয়া গা চাপড়াইয়া চাপড়াইয়া তাঁহাকে জাগাইলেন । শ‍্যামাসুন্দরী চক্ষু মেলিয়া দেখেন , রক্তবর্ণা সেই দেবী দুয়ারের ধারে পায়ের উপর পা দিয়া বসিয়া আছেন । তিনি বলিতেছেন , " তুমি কাঁদছ কেন ? কালীর চাল আমি খাব । তোমার ভাবনা কি ?" শ‍্যামাসুন্দরী জিজ্ঞাসা করিলেন , ' কে তুমি ?' ঁজগদ্ধাত্রী উত্তর দিলেন , " আমি জগদম্বা , জগদ্ধাত্রীরূপে তোমার পূজা গ্রহন করব।"
।।জয় মা জগজ্জননী সারদেশ্বরী।।
🌹💮🌹💮🌹💮🌹💮🌹💮🌹💮🌹💮🌹💮🌹
[11/16, 10:58 PM] 🥏🪀অজাত শত্রু 🪀🥏: শ্রীশ্রী মহাদুর্গা মাহাত্ম্য :-🌺🔻
সংসারার্ণবমগ্নানাং দুর্গৈকা পরমং পদম l
দুর্গৈব দেবতা সর্বা দুর্গৈব কর্ম বৈদিকম ll
দুর্গৈব পরমং তত্ত্বং দুর্গৈব পরমং বলম l
দুর্গৈব পরমং জ্ঞানং দুর্গৈব পরমং তপঃ ll
ঘোর সংসার সাগরে মগ্ন মানুষের কাছে মুক্তিপ্রদ পরমপদ একমাত্র দুর্গাই l দুর্গার পরমপদে শরণ নিলে ভব সাগর থেকে অনায়াসে মানুষ পার হতে পারে l দুর্গাই সর্বোচ্চ দেবতা, তার অধিক কেউই নেই l দুর্গাই সমস্ত বৈদিক কর্মের একমাত্র সার ! দুর্গাই পরব্রহ্ম, দুর্গাই পরমতত্ত্ব যাকে পাবার জন্য মানুষের এতো সাধনা l দুর্গাই পরমশক্তি বা বল l দুর্গাই পরমজ্ঞান-ব্রহ্মজ্ঞান, দুর্গাই পরম তপ ! দুর্গা ছাড়া তপ নেই l
~(দুর্গা তন্ত্র )
শ্রীমদ্জগদ্ধাত্রী দুর্গায়ৈ নমঃ 🌺🔻
শাক্তাচার প্রিয়ে দেবী জগদ্ধাত্রী নমোস্তুতে 🔻🌺
[11/19, 11:32 AM] 🥏🪀অজাত শত্রু 🪀🥏: অনেকেই পুজোতে ধুনুচি প্রজ্জ্বলনের সময় কাগজ দিয়ে ধুনুচির জ্বালান কিন্তু তা কখনোই সঠিক বিধি নয়। ধুনুচির ধূপ হলো যজ্ঞ ধূপ তাই ধূপাগ্নি প্রজ্জ্বলন করেই ধুনুচি ধরানো উচিত। ধূপাগ্নি জ্যোতি স্বরূপ কারণ অগ্নিদেব প্রত্যক্ষ রূপে বিরাজ করেন ওই ধূপাগ্নি তে। অনেক জায়গায় এই ধূপাগ্নি প্রজ্জ্বলনের সময় জ্যোতি মন্ত্র উচ্চারণ করে থাকেন। এই ধূপাগ্নি সবসময় ঘৃত বাতি ও কর্পূর দিয়েই জ্ব��লানো উচিত ঘি সহযোগে কিছু কাষ্ঠে অগ্নিসংযোগ করেও ধূপাগ্নি জ্বালানো যেতে পারে কিন্তু ধূপাগ্নি ঘি বাতি সহকারেই প্রজ্জ্বলন সবচেয়ে আদর্শ। ধুনো পোড়ানো অনুষ্ঠানের সময়ও প্রাচীন বাড়ির পুজো গুলিতে ঘি বাতি দিয়েই অগ্নি প্রজ্জ্বলন করা হয়। তাই ধূপাগ্নি জ্বালানোর ক্ষেত্রে সবসময় ঘি বাতি, কর্পূর, বা ঘি মিশ্রিত দেবদারু কাষ্ঠ বা পাটকাঠি ব্যবহার করাই সবচেয়ে সঠিক, এর মধ্যে ঘি বাতি দিয়ে ধূপচি ধূপাগ্নি প্রজ্জ্বলন সবচেয়ে উত্তম।
#DhunuchiDhoop #ধুনুচি #Dhoop #ধূপ
[11/19, 7:01 PM] 🥏🪀অজাত শত্রু 🪀🥏: ভক্ত ও ভগবানের মিলনলীলা-ই রাসলীলা।
আমরা সকল ভক্ত জীবাত্মা আর ভগবান হলেন পরমাত্মা। পরমাত্মার অংশস্বরূপ এই সকল জীবাত্মা আত্মতত্ত্বকে উপলব্ধি ও শেষে ভগবানের সাথে বিলীন হয়ে যাওয়া ---- এইরূপ লীলাই রাসলীলা।
ভগবানের যতেক লীলা
সর্ব্বোত্তম নরলীলা।
আর সেই নরলীলায় শ্রেষ্ঠ লীলা রাসলীলা।।
🌸শুভ রাসপূর্ণিমা🌸
চিত্র :: শোভাবাজার রাজবাড়ি
[11/19, 7:02 PM] 🥏🪀অজাত শত্রু 🪀🥏: নাগেন্দ্রহারায় ত্রিলোচনায়
ভস্মাঙ্গরাগায় মহেশ্বরায় |
নিত্য়ায় শুদ্ধায় দিগম্বরায়
তস্মৈ “ন” কারায় নমঃ শিবায় || 1 ||
মন্দাকিনী সলিল চন্দন চর্চিতায়
নন্দীশ্বর প্রমথনাথ মহেশ্বরায় |
মন্দার মুখ্য় বহুপুষ্প সুপূজিতায়
তস্মৈ “ম��� কারায় নমঃ শিবায় || 2 ||
শিবায় গৌরী বদনাব্জ বৃন্দ
সূর্য়ায় দক্ষাধ্বর নাশকায় |
শ্রী নীলকণ্ঠায় বৃষভধ্বজায়
তস্মৈ “শি” কারায় নমঃ শিবায় || 3 ||
বশিষ্ঠ কুম্ভোদ্ভব গৌতমার্য়
মুনীন্দ্র দেবার্চিত শেখরায় |
চন্দ্রার্ক বৈশ্বানর লোচনায়
তস্মৈ “ব” কারায় নমঃ শিবায় || 4 ||
য়জ্ঞ স্বরূপায় জটাধরায়
পিনাক হস্তায় সনাতনায় |
দিব্য়ায় দেবায় দিগম্বরায়
তস্মৈ “য়” কারায় নমঃ শিবায় || 5 ||
পঞ্চাক্ষরমিদং পুণ্য়ং য়ঃ পঠেচ্ছিব সন্নিধৌ |
শিবলোকমবাপ্নোতি শিবেন সহ মোদতে ||
[11/19, 10:00 PM] 🥏🪀অজাত শত্রু 🪀🥏: https://youtu.be/TBE-qY4mQOk
[11/19, 11:20 PM] 🥏🪀অজাত শত্রু 🪀🥏: দুর্গে দুর্গে মহাভাগে ত্রাহিমাম শঙ্করপ্রিয়ে
🌺🙏🏻💗
[11/20, 6:34 PM] 🥏🪀অজাত শত্রু 🪀🥏: ঈশ্বরে ভালোবাসা ,ভক্তি - শ্রদ্ধা কিসের কারণে ?? নিজেকে ভালোবাসি তাই জন্যই তো।
নিজেদের আর্থিক উন্নতি,সংসারে অশান্তি,রোগ - ব্যাধি- মৃত্যু, সন্তানের মঙ্গল..... এইসব কারণেই তো আমরা তাঁকে ডাকি।তাঁকে সন্দেশ, ফল,নকুলদানা,১০৮ টা জবার মালা ঘুষ দিই। শুধু তাঁকে ভালোবাসার জন্যই ভালোবাসি কজন???
"জগৎকে খাওয়াচ্ছেন যে মা, দিয়ে সুমধুর খাদ্য নানা,
ওরে কোন লাজে খাওয়াতে চাস তাঁয়,
আলো চাল আর মুগ ভিজানা ॥
মন তোমার এই ভ্রম গেলোনা,গেলোনা.... !!!!"
জয় মা......🙏🙏🙏
[11/23, 3:19 PM] 🥏🪀অজাত শত্রু 🪀🥏: ব্রাহ্মণ কি?
ব্রাহ্মণের গলায় যে পৈতে থাকে তাতে কয়টা সুতো থাকে? 9 টা সুতো থাকে।9 টা সুতোর 9টা গুন যাকে বলে নবগুনে ব্রাক্ষণ।কিন্তু সেই গুন কি কি আসুন সবাই মিলে একবার দেখে আসি।।
(1) সম,(2)দম,(3) ত��,(4) শৌচ,(5) ক্ষান্তী,
(6) আর্যনং,(7) জ্ঞানও,(8)বিজ্ঞানও(9) আস্তীকও
(1) সম= সম মানে সমান।যে ব্রাক্ষণ হবে সে সবাইকে সমান চোখে দেখবে।কে উচ্চ, কে নিচ,
কে সুচী,কে মুচী ব্রাক্ষণের কাছে কোন ভেদাভেদ রাখলে হবে না।
(2) দম= দম মানে দমিয়ে রাখা বা দমন করা।
নিজের দেহের সমস্থ ইন্দ্রকে সকল সময় দমন করে রাখতে হবে
(3) তপ= তপ মানে তপস্যা করা।যে ব্রাক্ষণ হবে তাকে মাঝে মধ্যে তপস্যা করতে হবে।
(4) শৌচ= শৌচ মানে পবিত্রতা।মন এবং এই দেহটাকে সকল সময় পবিত্র রাখতে হবে।
(5) ক্ষান্তী= ক্ষান্তী মানে ক্ষমা করা।ক্ষমা হচ্ছে পরম ধর্ম তাই।তাই যে যা অপরাধ করুক ব্রাক্ষণের চোখে সেটা অপরাধ দেখলে হবে না।সবাই ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখতে হবে।
(6) আর্যনং= আর্যনং মানে সরলতা ভাব।সকল সময় নিজের ভিতরে শিশুর মতন সরলতা ভাব রাখতে হবে।
(7) জ্ঞানও= জ্ঞানও মানে জ্ঞানের উপরে আরো জ্ঞান যারে বলে চৈতন্য জ্ঞান।ভিতরে মৌনভাব রেখে চৌতন্য জ্ঞান থাকতে হবে।
(😎 বিজ্ঞানও= বিজ্ঞানও মানে সর্ব শ্রেষ্ট জ্ঞান যেটাকে গীতা ভাগবতের জ্ঞান।যে ব্রাক্ষন হবে তার ভিতরে গীতা ভাগবতের জ্ঞান সম্পুরন রুপে থাকতে হবে এবং সেই জ্ঞানটাকে কাজে লাগাতে হবে এবং সকল যায়গার বিস্তার করতে হবে।
(9) আস্তীকও= আস্তীকও মানে যারা ধর্ম মানে বা ধর্মের প্রতি অটুট বিশ্বাস।যাদের ভিতরে বেশি বেশি পুণ্য সুকৃতি থাকে তাদের বলে আস্তীকও।ব্রাক্ষণের ভিতরে এইটা অবশ্যই অবশ্যই থাকতে হবে।
আর যারা ধর্ম মানে না বা ধর্মের প্রতি কোন বিশ্বাস নাই তাদের বলে নাস্তীক।
এই গুন গুলি যার মধ্যে থাকবে সেই ব্রাক্ষণ।
এই গুন আর জ্ঞানগুলি যদি একজন মুচির ভিতরে থাকে তবে সেও একজন ব্রাক্ষণ।
যদি বৈশ্যের ভিতরে,শূদ্র র ভিতরে,ক্ষৈত্রিয় র ভিতরে থাকে তা হলে সেও একজন ব্রাক্ষণ।
কিন্তু যদি এই গুন আর জ্ঞান গুলি কোন একজন ব্রাক্ষণের ভিতরে না থাকে সে ব্রাক্ষণ নয়।
প্রতেকটা ব্রাক্ষণকে আগে ভাবতে হবে বা নিজেকে নিয়ে বার বার রিচার্জ করতে হবে।এই চতুরবর্ণের ভিতরে ব্রাক্ষণ কুল শ্রেষ্ট।তবে এত কুল রেখে কেন আজ আমি ব্রাক্ষণ কুলে এলাম।আর এসেই যখন গেছি তাহলে এখন আমাদের করণীয় কি??
শুধু ব্রাক্ষণ কেন? আমরা যে যেখানে যে কুলে যে অবস্থায় আছি আমদের সকলেরই ভাবা উচিৎ।
পুর্বে কোথায় ছিলাম? কেনই বা এই দুঃখময় জগতে এলাম? এর পরেওবা আমরা কোথায় যাব?আর একবার যখন এসেই গিয়েছি।তা হলে এখন আমাদের করণীয় কি?আমাদের কর্তব্য কি?আমাদের এই মানব জীবনের উদ্দেশ্য কি?
এইগুল ভাবা দরকার এবং ভাবলেই উত্তর বেরিয়ে আসবেই।
এর উত্তর পাবেন গুরুদেব,গীতা আর ভগবৎ র কাছে।
আবার ব্রাহ্মণদের সবথেকে বড় একটা জিনিস আছে সেইটা সকল সময় মাথায় রাখতে হবে এইটা একদম ভুলে গেলে হবে না।
সেইটা হচ্ছে এই চারটি বর্ণের ভিতরে ব্রাহ্মণ কূল যেমন শ্রেষ্ঠ।তেমন সাজা পাওয়ার সময়ও ব্রাহ্মণকে শ্রেষ্ঠ সাজাও পেতে হয়।
যেমন পাপ একটা আর পাপের ফল ��াগ হবে চারটা।যেমন ধরুন শূদ্র,বৈশ‍্য,ক্ষত্রিয়ও ব্রাহ্মণ।এরা এই চার বন্ধু মিলে একটা পাপ কাজ করলো।কিন্তু পাপের ভাগ হবে চার রকম।বৈশ্য অজ্ঞান তাই পাপ হবে কম।আর শূদ্র বৈশ্যের থেকে একটু জ্ঞানী তাই পাপের ভাগ আরেকটু বেশি হবে।আর ক্ষত্রিয় আরো জ্ঞানী তাই পাপের ভাগটা আরো ডবল হবে।আর ব্রাহ্মণ যার ভিতর ব্রহ্মজ্ঞান আছে যার জন্য ব্রাহ্মণের পাপটা সবথেকে বেশি হবে।
এই ভাগটা করে গিয়েছিল ধর্মরাজ যুধিষ্ঠির
আরো একটা জিনিষ আছে সেটা হলো অন্য বর্ণের
ভিতরে যদি কেউ মহাপাপ পাপ" ও করে তাকে নরক যন্ত্রণা দিয়ে যেকোনো পশুপাখি রূপে দেওয়া হবে।কিন্তু ব্রাহ্মণ যদি ঘরোতর কোন ভুল করে।তাকে নরক যন্ত্রণা তো দেওয়া হবেই সেইসাথে 84 লক্ষ যোনি ভ্রমণ করতেই হবে ইহাতে কোন প্রকার সংশয় নাই।
এইজন্য ব্রাহ্মণদের খুব সচেতন হতে হবে। না হলে বিপদ।
জ্ঞান= অভিমান শুন্যতা,দম্ভহীনতা,অহিংসা,ক্ষমা,
সহনশীলতা,সরলতা,গুরুসেবা,পিতা মাতা সেবা,দেহের ও মনের শুচিতা,মনকে সংযত করা,সকল বিষয়ে বৈরাগ্য,অহংকার না করা,জন্ম,মৃত্যু জরা রোগ সুখ,দুঃখ,এ গুলতে আসক্তি না করা,পুত্র,স্ত্রী,গৃহে অনাসক্তি,ধীর মনে কর্তব্য কর্ম করা,ইষ্ট অনিষ্টের ব্যাপারে সমচিত্ততা,একনিষ্ঠভাবে আমাতে ভক্তি করা,নির্জন স্থানে থাকা,লোকের মধ্যে থাকাকে অনাগ্ৰহ,আত্মতত্ব ও মোক্ষ বিষয়ে সর্বদা উপলব্ধি,
এই সকল কে বলে জ্ঞান।আর এর বিপরীত হইলে,
তাহা অজ্ঞান বলিয়া বুঝিবে।।
সত্বগুন মানবের দুঃখ দুর করিয়া সুখ দেয়।
রজোগুন মানবকে কর্মে আসক্ত করে।
তমোগুন মানবের জ্ঞানকে ঢাকিয়া ভ্রমে পতিত করায়।
🙏যদি কথার মাধ্যমে কিছু ভুল হয়ে থাকে🙏
🌹🌹সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকCollected
[11/23, 5:08 PM] 🥏🪀অজাত শত্রু 🪀🥏: সর্বং দৃশ্যং মম স্থানং সর্বে কালা ব্রতাত্মকাঃ।
উৎসবাঃ সর্বকালেষু যতোহহং সর্বরূপিণী।
--দেবী ভাগবত
অর্থ - দেবী বলছেন সব স্থানই আমার স্থান, সব কালই ব্রতের কাল, সব সময়ই উৎসবের সময়, কারণ আমি সর্বরূপিণী।
[11/23, 7:52 PM] 🥏🪀অজাত শত্রু 🪀🥏: শ্ৰীশিব বললেন, হে জগদ্ধাত্ৰি! তুমি নিখিল জগতের আধার ও আধেয় স্বরূপ, তুমি ধৃতিরূপা, তুমি সমস্ত জগতের ভার বহন করছ, তুমি অচল স্বরূপা; জগৎ ধারণ করেও তুমি ধীরভাবে অবস্থিতা রয়েছ তোমাকে নমস্কার৷১
তুমি শব, তুমিই শক্তি, তুমিই শক্তিতে অবস্থান করছ, আবার তুমিই শক্তি বিগ্ৰহধারিণী। তুমি শাক্তদের সপ্তাচারে সন্তুষ্টা। হে দেবি! হে জগদ্ধাত্ৰি! তোমাকে নমস্কার।২
হে জগদ্ধাত্ৰি! তুমি ভক্তদের সম্বন্ধে জয় প্ৰদান করে থাক, তুমি জগদানন্দরূপিণী, এই অনন্�� জগতের মধ্যে একমাত্ৰ তুমিই পুজিতা। হে সৰ্ব্বব্যাপিাণি দুর্গে দেবি! তোমার জয় হোক, তোমাকে নমস্কার৷৩
হে জগদ্ধাত্রি! তুমি পরমাণু ও দ্ব্যণুকাদি স্বরূপিণী, তুমি স্থূল ও সুক্ষ্মরূপা, তোমাকে নমস্কার।৪
হে জগদ্ধাত্রি! তুমি সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মরূপা, প্ৰাণাপানাদি পঞ্চবায়ু রূপা, তুমি ভাবাভাব স্বরূপিণী, তোমাকে নমস্কার।৫
হে জগদ্ধাত্ৰি! তুমি কালাদিরূপা, কালেশ্বরী এবং কালাকাল-বিভেদ কারিণী, তুমি সর্ব্বরূপিণী সৰ্ব্বজ্ঞা, তোমাকে নমস্কার।৬
হে জগদ্ধাত্ৰি! তুমি অভক্তদের মহাবিঘ্ন কারিণী, আবার ভক্তদের উৎসাহ-দাত্রী, হে মহামায়ে! তুমি বরদাত্রী, তুমি নিখিল প্ৰপঞ্চ মধ্যে সারবস্তু, তুমি সাধ্ববীদের ঈশ্বরী, তোমাকে নমস্কার।৭
হে জগদ্ধাত্রি! তুমি অগম্যস্বরূপা, জগতের আদিভূত, মাহেশ্বরী, তুমি বরাঙ্গনাস্বরূপা, অশেষরূপ-ধারিণী, তোমাকে নমস্কার।৮
হে জগদ্ধাত্রি! তুমি দ্বিসপ্তকোটি মন্ত্রের শক্তিস্বরূপ, নিত্যা, সৰ্ব্বশক্তিস্বরূপিণী, তোমাকে নমস্কার।৯
হে জগদ্ধাত্রি! তুমি তীর্থ, যজ্ঞ, তপস্যা, দান ও যোগের সারভূত পদার্থ, তুমি জগন্ময়ী, তুমি সৰ্ব্বস্বরূপিণী, আবার সর্বস্থিতাও তুমি, তোমাকে নমস্কার।১০
হে জগদ্ধাত্ৰি! তুমি দয়ারূপিণী, তুমি ভক্তগণকে দয়া করে দর্শন দিয়ে থাক, তোমার হৃদয় দয়া দ্বারা আর্দ্রীকৃত, তুমি ভক্তদের দুঃখ মোচনকারিণী, হে দুর্গে! তুমি সমস্ত আপদ হতে ত্ৰাণ করা, তোমাকে নমস্কার.১১
হে জগদ্ধাত্ৰি! মহাযোগীর ঈশ্বর যিনি তাঁর হৃদয়পদ্মে যে ধাম, যে ধামে যাওয়া যায় না। সেই তোমার ধাম, সীমাশূন্য স্থির ভাব রাশিতে তোমার অবস্থান, তোমাকে নমস্কার।১২
Artist: Santanu Dey
[11/23, 8:56 PM] 🥏🪀অজাত শত্রু 🪀🥏: অয়ি নিজ হুংকৃতি মাত্র নিরাকৃত ধূম্র বিলোচন ধূম্রশতে
সমর বিশোষিত শোণিত বীজ সমুদ্ভব শোণিত বীজলতে,
শিব শিব শুম্ভ নিশুম্ভ মহাহব তর্পিত ভূত পিশাচরতে
জয় জয় হে মহিষাসুরমর্দিনি রম্যকপর্দিনি শৈলসুতে।
বেহালা সরকার বাড়ির মহামায়া দুর্গা দর্শন ।।
শিল্পী : ভাস্কর সনাতন রুদ্র পাল
ধন্যবাদন্তে বেহালা সরকার বাড়ি ও আমার দাদা Abhishek Sarkar
[11/24, 10:01 AM] 🥏🪀অজাত শত্রু 🪀🥏: “ ওঁ জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ভদ্রকালী কপালিনী ।দুর্গা শিবা ক্ষমা ধাত্রী স্বাহা স্বধা নমোহস্তু তে ।।”
এই মন্ত্রে মায়ের যে রূপ গুলির কথা আছে সেগুলি সম্বন্ধে জানা যাক ।
জয়ন্তীঃ- সর্বোৎকৃষ্টা ব্রহ্মরূপিণী ভগবতী সকল পদার্থের মূলীভূত কারণ তাই শ্রেষ্ঠা – সর্বত্র জয়লাভ করেন ‘জয়ন্তী জয়নাখ্যাতা’।
মঙ্গলাঃ- ভক্তদের জন্মমরণরূপ সংস্কৃতিকে নাশ করেন তাই মঙ্গলময়ী মঙ্গলা- “মঙ্গং- ভক্তানাং জননমরণরূপং সর্পণং – লাতি, নাশয়তি- সা মোক্ষপ্রদা মঙ্গলা ইত্যুচ্যতে।”
কালীঃ- “কলয়তি ভক্ষয়তি সর্বমেতদত্র প্রলয়কালে ইতি কালী”- য��নি প্রলয়কালে এই জগত প্রপঞ্চ ভক্ষণ করেন, গ্রাস করেন, তিনিই কালী । মহাকাল সর্ব প্রাণীকে গ্রাস করেন তাই তিনি মহাকাল । আর মহাকালকে যিনি কলন করেন তিনি আদ্যা পরমা কালিকা । “কলনাৎ সর্বভূতানাম্ মহাকালঃ প্রকীর্ত্তিতঃ । মহাকালস্য কলণাৎ ত্বম্যাদা কালিকা পরা।”
ভদ্রকালীঃ- “ভদ্রং মঙ্গলং- সুখং কলয়তি স্বীকারতি , ভক্তেভ্যো দাতুমিতি ভদ্রকালী।” যিনি ভক্তদের মঙ্গল বা সুখদান করেন , তিনিই ভদ্রকালী। “ভদ্রকালী সুখপ্রদা”( রহস্যাগম )।
কপালিনীঃ- যিনি প্রলয়কালে ব্রহ্মাদিকে নাশ করে তাঁদের কপাল হাতে নিয়ে থাকেন তিনি কপালিনী । যিনি সর্বদা হাতে ব্রহ্মকপাল ধারন করেন বা পালন করেন তিনি কপালী বা কপালিনী । ভাগ্যনির্ধারিণী , অদৃষ্টবিধায়িনী। “কপালং ব্রহ্মকং জাতং করে ধারয়তে সদা। কপালী তেন সা প্রোক্তা পালনাদ্ বা কপালিনী।” (দেবীপুরাণ )
দুর্গাঃ- যিনি দুঃখ দ্বারা প্রাপ্য অর্থাৎ যাঁকে বহু তপস্যা ও উপাসনার ক্লেশের দ্বারা পাওয়া যায় তিনি দুর্গা । স্মরণ মাত্রেই দেবী ইন্দ্রাদি দেবগণকে দুর্গম শত্রুর বিপদ থেকে রক্ষা করেছিলেন বলে তিনি দুর্গা। (দেবীপুরাণ)। যিনি দুর্গম বিপদ থেকে উদ্ধার করেন তিনি দুর্গা ।
শিবাঃ- শিব অর্থে মুক্তি, দেবী সাধকদের মোক্ষ ফল বা মুক্তি প্রদান করেন । এই শিব ফলের জন্য দেবীর উপাসনা করা হয় তাই তিনি শিবা। “শিবা মুক্তি সমাখ্যাতা । যোগিনাম মোক্ষদায়িনী করুণাময়ী ।”
ক্ষমাঃ- দেবী ক্ষমাশীলা । তিনি আদি জননী ।
ধাত্রীঃ- “সর্বপ্রপঞ্চ ধারণকর্ত্রী”। “ধাত্রীমাতাসমাখ্যাতা – ধারণে চোপগীয়তে”- জননী ও সবকিছু ধারন করে আছেন। ত্রিভুবন জননী । ত্রৈলোক্যধারিনী। তাঁর ওপর সব আছে ।
স্বাহাঃ- সমস্ত যজ্ঞে যে স্বাহা মন্ত্র অগ্নির শক্তির উচ্চারণে সমস্ত দেবগণ পরিতৃপ্ত হন সেই হব্যবাহণ । দেবতাদের পরিতৃপ্তি ও ক্ষুধাতৃপ্তি রূপিণী মন্ত্র ।
স্বধাঃ- পিতৃলোকের পরিতৃপ্তির কারণ সেই দেবী। স্বধা মন্ত্রময়ী । পিণ্ডাদি দানের মন্ত্র ।
সংগৃহিত 🙏
[11/25, 12:13 PM] 🥏🪀অজাত শত্রু 🪀🥏: জয় মা মঙ্গলা শিবা কালী কপালিনী।
ভদ্রকালী দুর্গা ধাত্রী ক্ষমা স্বরূপিনী।।
স্বাহা দেবে, আর স্বধা তুমি পিতৃগণে।
ধাত্রী রূপে ধর বিশ্ব নমামি চরণে।।
[11/25, 6:08 PM] 🥏🪀অজাত শত্রু 🪀🥏: গলদ্রক্তমুণ্ডাবলীকণ্ঠমালা
মহোঘোররাবা সুদংষ্ট্রা করালা ।
বিবস্ত্রা শ্মশানালয়া মুক্তকেশী
মহাকালকামাকুলা কালিকেয়ম্ ॥
ভুজেবাময়ুগ্মে শিরোঽসিং দধানা
বরং দক্ষয়ুগ্মেঽভয়ং বৈ তথৈব ।
সুমধ্যাঽপি তুঙ্গস্তনা ভারনম্রা
লসদ্রক্তসৃক্কদ্বয়া সুস্মিতাস্যা ॥
শবদ্বন্দ্বকর্ণাবতংসা সুকেশী
লসৎপ্রেতপাণিং প্রয়ুক্তৈক��াঞ্চী ।
শবাকারমঞ্চাধিরূঢা শিবাভিশ্-
চতুর্দিক্ষুশব্দায়মানাঽভিরেজে ॥
🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺
মাতৃচিত্র সংগৃহীত
[11/26, 9:03 AM] 🥏🪀অজাত শত্রু 🪀🥏: "য‌দি বল কোন্ মূ‌র্তির চিন্তা করব; যে-মূ‌র্তি ভাল লা‌গে তারই ধ্যান কর‌বে।‌কিন্তু জান‌বে,সবই এক।
"কারু উপর বি‌দ্ধেষ কর‌তে নাই শিব,কালী,হ‌রি-সবই একেরই ভিন্ন ভিন্ন রুপ।‌যে এক ক‌রে‌ছে সেই ধন্য।
"ব‌হিঃ শৈব,হৃ‌দে কালী,মু‌খে হ‌রিবল।
-কথামৃত(১ম খন্ড,পৃষ্ঠা ১৪২)
[11/26, 10:00 PM] 🥏🪀অজাত শত্রু 🪀🥏: আদ্যা শক্তি মহামায়া নিরাকার হয়েও নিজ লীলায় না না রূপ ধারণ করেন । ওনার কোনো প্রকৃত এক মূর্তি নেই । সাধক ওনাকে যে রূপে ডাকেন মা আদ্যা শক্তি মহামায়া সেই রূপেই ওনাকে সিদ্ধি তথা দর্শন প্রদান করেন । তাই কখনও মা মহামায়ার কোনো স্বরূপ কে ছোট করা অথবা অজ্ঞান বশতঃ নিন্দা করা উচিত নয়। মা আদ্যা শক্তি মহামায়ার অনন্ত স্বরূপের অন্যতম হলো মহাকুলকুণ্ডলিনী শক্তি স্বরূপা মা মনসা আর মহামারী স্বরূপিনি তথা মহামারী ধ্বংসকারিণী মা শীতলা । কিন্তু অনেকই অজ্ঞান বশতঃ মায়ের এই দুই স্বরূপ কে আদ্যা শক্তি মহামায়ার পূর্ণ প্রকাশ বলে মানেন না। এইটা একদম উচিত নয়। মা পদ্মাবতী আর মা শীতলা দুজনই মা আদ্যাশক্তি মহামায়ার পূর্ণ স্বরূপ । শ্রী দেবী ভাগবত পুরাণ আর ব্রহ্ম বৈবর্ত পুরাণের অন্তর্গত দেবরাজ ইন্দ্র কৃত মা মনসা স্তোত্রে বলা হয়েছে কি মা মনসা স্বর্গে স্বর্��� লক্ষ্মী আর বৈকুন্ঠে সাক্ষাৎ মহাবিদ্যা কমলা। জরৎকারু মুনি সাক্ষাৎ নারায়ণের অংশ । কামরূপের গুপ্ত তান্ত্রিক মনসা পূজা পদ্ধতিতে মা মনসা কে কেচাঁই খাইতি গোসাঁনি বলা হয়েছে মানে মা মনসা সাক্ষাৎ মা ছিন্নমস্তা । আর মা শীতলা হলেন সাক্ষাৎ মা ধুমাবতী । মা মনসা আর মা শীতলা মূলতঃ পৌরাণিক দেবী হলেও এনাদের পূজা সম্পূর্ণ তন্ত্র মতে হয়।
যারা নতুন সাধক , যাদের শাক্তা অভিষেক আদি হয় নি অথবা শক্তি মন্ত্রে দীক্ষা হয় নি। তারা আগে বাড়িতে মা পদ্মাবতী আর মা শীতলার ছাগ আদি বলিদান দিয়ে পুজো করো । কলিকালে মা মনসা আর মা শীতলা পূজায় অতি দ্রুত ফল লাভ হয়। আগে এনাদের পুজো করে নিজেকে কঠোর বামচারী সাধনার জন্য প্রস্তুত করো। মা মনসা আর মা শীতলার কৃপায় তোমাদের ঘর সুখ - সমৃদ্ধি তে ভরে যাবে । সকল মনবাঞ্ছা পূরণ হবে। জীবনে তোমরা অনেক উন্নতি করতে পারবে। আর নিশ্চয় সাধনার পথে অনেক এগিয়ে যাবে।
#দেবীকুল
[11/26, 10:09 PM] 🥏🪀অজাত শত্রু 🪀🥏: সদানন্দময়ী কালী, মহাকালের মনমোহিনী
তুমি আপনি নাচ, আপনি গাও, আপনি দাও করতালি।।
আদিভূতা সনাতনী শূন্যরুপা শশি --ভালি।
ব্রহ্মাণ্ড ছিল না যখন, মুণ্ডমালা কোথায় পেলি।।
সবেমাত্র তুমি যন্ত্রী, আমরা তোমার তন্ত্রে চলি।।
তুমি যেমন নাচাও তেমনি নাচি, যেমন বলাও তেমনি বলি।।
অশান্ত কমলাকান্ত দিয়ে বলে মা ,গালাগালি ।
এবার সর্বনাশী ধরে ওসি ধর্মাধর্ম দুটো খেলি ।।
-----------কমলাকান্ত
[11/29, 7:56 PM] 🥏🪀অজাত শত্রু 🪀🥏: ❤জীবলোক থেকে শিবলোকের পথ❤
👉আগে ভেবে লাভ না পরে ভেবে লাভ
আমরা রোজকার করছি,খাচ্ছি,ঘুরছি,আনন্দ করছি.নিজের মত করে চলছি.যখন বিপদে পড়ছি তখন ভাবছি কী করব???
সমাজের ছবিটা যদি একটু তুলে ধরি তাহলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে...
🙏যখন কোন মায়ের কোলে কোনো বিকলাঙ্গ সন্তান জন্ম নেয়.তখন সেই সন্তানকে মানুষ করতে মায়ের যে কতখানি কষ্ট হয় সে একমাত্র মাই বুঝে.সেই মা ভাবে আমার জীবনে এত কষ্ট কেন? আর সেই সন্তান তো ভেবে ভেবে দিশেহারা হয়ে যায়.
🙏যখন শরীরে বড় অসুখ হয় বিভিন্ন জায়গার কোন ওষুধ কাট করেনা তখন সেই রোগীর ভাবনার শেষ থাকেনা.
তাহলে এইরকম শাস্তি আমরা পাচ্ছি কেন?আমরা যখন ছোটো ছিলাম তখন মা বলে দিতেন কোনটা করব কোনটা করবনা.যেটা না করতে বলত সেটা করলেই মা শাস্তি দিতেন,ঠিক তেমনই সংসারেও কিছু নিয়মশৃঙ্খলা আছে তার ঊর্ধে গেলেই তাহা আমাদের জীবনে শাস্তি রুপে ফিরে আসে.
সংসারে চলার নিয়ম হল গীতা.প্রতিদিন আমরা সকাল থেকে রাত্রে ঘুমানোর আগে পর্যন্ত যে কর্ম করি তার সঠিক সিদ্ধান্ত হল গীতা অর্থাৎ যদি ভুল কাজে লক্ষ,কোটি টাকাও থাকে সেই কাজে মন না ছাড়া কখনই হ্যা বলবেনা.গীতা পড়া আর গীতা হওয়ার মধ্যে পার্থক্য হল...
গীতা পড়া= যদি সুত্র মনে পড়ে তবেই সমাধান হবে.
গীতা হওয়া=নিজেই উত্তরের বই
আমরা সংসারে চলার নিয়ম তখনই জানতে পারব যখন গীতা হতে পারব.তখনই বুঝব আমাদের মানব দেহ ধারনের কারন.কিন্তু যতক্ষন না আমরা গীতা হতে পারছি ততক্ষন পর্যন্ত কোন কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বার বার ভেবে নেব তাহলে কষ্ট আর আমাদের তাড়া করে বেড়াবে না.তাই তো লোকনাথ বাবা বলেছেন...
"মন যা বলে শোন,কিন্তু আত্মবিচার ছেড়না.কারন মনের মত প্রতারক আর কেউ নেই"
কর্মের আগে ভাবলে কষ্ট আসবেনা,কর্মের পরে ভাবলে কষ্ট এসে হাজির হবে.তাই কর্মের আগে একটু ভেবে নাও.সন্তান বড় হলে পিতামাতার দায়িত্ব নেয়.আমরা তো বড় হয়েছি এবার বাবার(লোকনাথ)চাপটা একটু কমানোর চেস্টা করব অর্থাৎ কর্মের আগে একটু ভেবে নেব এতে আমাদের আর কষ্টের মধ্যে পড়তে হবেনা.আর কষ্টের মধ্যে না পড়লে তিনাকেও আর বেশি চাপ দেওয়া হবেনা.চাপমুক্ত মানেই পুজার সময় তিনাকে স্থিরভাবে আমাদের মনটা দিতে পারব.
❤জয় বাবা লোকনাথ❤
[11/29, 9:10 PM] 🥏🪀অজাত শত্রু 🪀🥏: দেবী চণ্ডিকা সচেতন চিন্ময়ী, তিনি নিত্যা, তাঁর আদি নেই, তাঁর প্রাকৃত মূর্তি নেই, এই বিশ্বের প্রকাশ তাঁর মূর্তি।
নিত্যা হয়েও অসুর পীড়িত দেবতা রক্ষণে তাঁর আবির্ভাব হয়।
দেবীর শাশ্বত অভয়বাণী—
“ইত্থং যদা যদা বাধা দানবোত্থা ভবিষ্যতি ।।
তদা তদাবতীর্যাহং করিষ্যাম্যরিসংক্ষয়ম্‌ ।।”
{শ্রীশ্রীচণ্ডী, একাদশ অধ্যায়— নারায়ণীস্তুতি, শ্লোক – ৫৪-৫৫}
[এই প্রকারে যখনই দানবগণের প্রাদুর্ভাববশতঃ বিঘ্ন উপস্থিত হইবে তখনই আমি আবির্ভূতা হইয়া দেব-শত্রু অসুরগণকে বিনাশ করিব।]
Pic : Collected
#Durgadurgotiharini #Devikul
[11/29, 9:12 PM] 🥏🪀অজাত শত্রু 🪀🥏: শ্রদ্ধয়াহশ্রদ্ধয়া বাপি যঃ কশ্চিদ মানবঃ স্মরেৎ।
দুর্গাং দুর্গশতোত্তীর্ণঃ স যাতি পরমাং গতিম্।।
🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥
যে কোন মানব শ্রদ্ধায় বা অশ্রদ্ধায় দুর্গাকে স্মরণ করে, সে শত দুঃখ হইতে উত্তীর্ণ হইয়া পরম গতি প্রাপ্ত হয়।
⚡⚡⚡⚡⚡⚡⚡⚡⚡⚡⚡⚡⚡⚡⚡
যথেন্দ্রশ্চ কুবেরশ্চ বরুণঃ সাধকো যথা।
তথা চ সাধকো লোকে দুর্গাভক্তি পরায়ণঃ।।
🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥
ইন্দ্র, কুবের বা বরুণ যেমন সাধক, দুর্গাভক্তি পরায়ণ ব্যাক্তিও ইহলোকে সেইরূপ সাধক।
⚡⚡⚡⚡⚡⚡⚡⚡⚡⚡⚡⚡⚡⚡⚡
অভক্ত্যাপি চ ভক্ত্যা বা যঃ স্মরেদ রুদ্রগেহিনীম।
সুখং ভুক্ত্বেহ লোকে তু স যাস্যতি শিবালয়ম।।
🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥
যে ব্যক্তি ভক্তির সহিত অথবা অভক্তির সহিত রুদ্রগৃহিণী দুর্গাকে স্মরণ করে, সে ইহলোকে সুখ ভোগ করিয়া দেহান্তে শিবলোকে যাইবে।
🌺 মুণ্ডমালাতন্ত্রম 🌺
চতুর্থঃ পটলঃ
[11/30, 6:59 PM] 🥏🪀অজাত শত্রু 🪀🥏: দেবী পাতালভৈরবী মহামায়া যোগাদ্যা হয়ে রাঢ় বঙ্গে পূজিত। হনুমান দেবীর বিগ্রহ পূর্ব বর্ধমান জেলার ক্ষীরগ্রাম যোগ্যাদা শক্তিপীঠে স্থাপন করেছিলেন।
রামভক্ত হনুমানের পাঁচটি মুখ। বিপদতারণ হনুমানের এই পঞ্চমুখের পিছনে আছে রামায়ণের একটি আকর্ষনীয় আখ্যান যা জড়িয়ে আছে রাম-রাবণের যুদ্ধের সঙ্গে।
রামের বিরুদ্ধে জয়ী হতে রাবণ সাহায্য চান মহীরাবণ এবং অহীরাবণের। তাঁরা দুজনেই ছিলেন পাতালের শাসক।
বহু পূর্বে শত্রুধনু নামক এক গন্ধর্ব ছিলো। সে ছিলো ভগবান বিষ্ণুর ভক্ত। সে ভক্তিতে তন্ময় হয়ে বৈকুণ্ঠে ভগবানের সামনে নৃত্যগীত করতো। তাহার প্রতি ভগবান হরিও তুষ্ট ছিলেন। একদা অষ্টবক্র মুনি ভগবানকে দর্শন করতে এসেছিলেন। প্রতিবন্ধী অষ্টবক্র মুনিকে দেখে শত্রুধনু হাস্য উপহাস করে। এতে অষ্টবক্র কুপিত হয়ে সেই গন্ধর্বকে অভিশাপ প্রদান করে যে সে রাক্ষস হয়ে জন্মাবে। শারীরিক প্রতিবন্ধক নিয়ে হাস্য উপহাস করা আসুরিক লক্ষণ। গন্ধর্ব শত্রুধনু ক্ষমা প্রার্থনা চাইলে মুনি বলেন যে রাক্ষস কুলে জন্মালেও মহামায়া তার ওপর সদয় থাকবেন। অবশেষে ভগবান বিষ্ণু রাক্ষস ধ্বংস করতে নর রূপে আবির্ভূত হবেন। তাঁরই কোন ভক্ত শিরোচ্ছেদ করে তাহাকে মুক্তি দেবেন। এই ছিলো মহীরাবণের পূর্ব পরিচয়।
মহীরাবণ রূপ ধারণ করেন বিভীষণের, আসেন রাম-লক্ষ্মণের কাছে। দুজনকে অপহরণ করে নিয়ে যান পাতালে।
রাম-রামানুজকে খুঁজতে হনুমান যান পাতালে। গিয়ে দেখেন দ্বারে প্রহরায় আছেন মকরধ্বজ। এই মকরধ্বজের জন্ম নিয়েও আছে আরো এক কাহিনী। রামায়ণ অনুযায়ী মকরধ্বজের জন্মের পিছনে হনুমানের অবদান আছে।
স্বর্ণলঙ্কায় অগ্নিকাণ্ডের পরে লেজের আগুন নেভাতে হনুমান লেজ চুবিয়েছিলেন সমুদ্রের জলে। তখন তাঁর এক ফোঁটা ঘাম থেকে মকরধ্বজের জন্ম। তাই‚ মকরধ্বজ হনুমানকে নিজের পিতা ভাবতেন।
পাতালের প্রবেশপথে মকরধ্বজকে দেখে হনুমান নিজের পরিচয় তাঁকে দেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে প্রণাম করে পথ ছেড়ে দেন মকরধ্বজ।
হনুমান পাতালে প্রবেশ করে দেখেন মহীরাবণ এবং অহীরাবণকে বিনাশ করতে হলে পাঁচটি দীপ নেভাতে হবে। তাদের মুখ আবার পাঁচদিকে। তাই‚ হনুমান পাঁচটি মুখ ধারণ করলেন।
একটি মুখ হল বরাহ-মুখের মতো, সেই মুখটি থাকল উত্তরদিকে। নরসিংহের মতো দেখতে মুখ থাকল দক্ষিণ দিকে। গরুড়রূপী মুখ থাকল পশ্চিমে। হয়গ্রীবা মুখ হল আকাশমুখী। আর‚ হনুমানের নিজস্ব মুখ থাকল পূর্বমুখী হয়ে।
এই পঞ্চমুখ নিয়ে পাতালে প্রবেশ করে হনুমান পাঁচদিকে ফুঁ দিয়ে নিভিয়ে দিলেন পাঁচটি দীপ।
গভীর নিশি উপস্থিত। মহীরাবণ পূজা শেষ করে রাম লক্ষ্মণ কে এনে হাঁড়িকাঠের সামনে উপস্থিত করলেন। রক্তবস্ত্র, রক্ততিলক ও রুদ্রাক্ষে ভূষিত আলো অন্ধকারময় পাতালভৈরবীর মন্দিরে মহীরাবণের চেহারা অতি ভয়ঙ্কর রূপ বোধ হচ্ছিলো। দেবীর মূর্তির পেছনে বসে হনুমান অপেক্ষা করছিলেন।
মহীরাবণ বলল-- “রাম লক্ষ্মণ ! তোমাদের অসীম সৌভাগ্য যে মহামায়ার সেবায় নিয়োজিত হচ্ছো। সষ্টাঙ্গে হাঁড়িকাঠে মাথা রেখে মহামায়াকে প্রণাম করো।”
ভগবান শ্রীরাম ও লক্ষ্মণ বললেন-- “অবশ্যই ! কিন্তু একটি সমস্যা আছে। আমরা অযোধ্যার রাজপুত্র। আমাদের পিতা শক্তিশালী নৃপতি ছিলেন। সকলে আমাদিগকে প্রণাম করতো। বনবাসে আসলেও বানরেরা আমাদের প্রণাম করতো। কদাপি আমরা কাহাকেও প্রণাম করিনি। কিভাবে প্রণাম করতে হয় - জানিও না। যদি দেখিয়ে দিবেন, তাহলে বুঝবো।”
মহীরাবণ হাস্য করে বলল-- “এই ব্যাপার ! বেশ আমি।দেখিয়ে দিচ্ছি প্রণাম করার বিধি !” এই বলে মহীরাবণ হাস্য করে ‘জয় মা’ বলে হাঁড়িকাঠে মাথা রেখে প্রণাম করতে লাগলেন। তখুনি দেবীর মূর্তির পেছন থেকে হনুমান লম্ফ দিয়ে বের হলেন।
হনুমান এসেই প্রথমে হাঁড়িকাঠের শিক আটকে দিলেন। চোখের পলকে দেবীর হস্ত থেকে খড়্গ নিয়ে এককোপে।মহীরাবনের শিরোচ্ছেদ করলেন। মহীরাবণের মুণ্ড গড়িয়ে দেবীর চরণে চলে গেলো। দেবীর মূর্তি দেখে মনে হল, তিনি খুবুই প্রীতা হয়ে প্রসন্ন হয়ে হাসছেন। দেবী যেন মহীরাবণের বলি গ্রহণ করলেন। মহীরাবনের রক্তে ভেসে গেলো মন্দির। মহীরাবণের অন্ত হল।
হনুমান তখন শ্রীরাম ও লক্ষ্মণের হস্তের বাঁধন খুলে দিলেন। রাক্ষসেরা রে রে করে তেরে আসলো। হনুমানের সাথে যুদ্ধ আরম্ভ হল। লণ্ডভণ্ড হল পূজাগৃহ। প্রদীপদানি উলটে আগুন ধরল। গদা দিয়ে রাক্ষসদের পিটিয়ে মারলো মারুতি। কাউকে ল্যাজে পেঁচিয়ে ভূমিতে আছরে মারলো। কাউকে তুলে আছার দিলো। কাউকে পদতলে পিষ্ট করলো।
এই সময় সেই বানর সেনাপতি মকরধ্বজ ছুটে আসলো গদা নিয়ে মকরধ্বজের সাথে হনুমানের যুদ্ধ বাঁধলো। কেউ যেনো কাউকে হারাতে পারে না। উভয়ে উভয়কে কিল চড় লাথি ঘুষি দিতে লাগলো। উভয়ের গাত্র।থেকে রক্ত বের হল। গদার সংঘর্ষে যেনো পাতাল পুরী কেঁপে উঠলো। স্তম্ভাদি সকল ভেঙ্গে পড়তে থাকলো। কে এই বীর ! হনুমান ভাবতে লাগলো।
এমন সময় এক মৎস্যকন্যা এসে বলল-- “পুত্র রোষো ! পিতার সাথে কেন যুদ্ধ করছ ?” এই শুনে হনুমান চমকে উঠলো। সে বলল-- “আপনি মিথ্যা বলছেন ! আমি ব্রহ্মচারী। আমি বিবাহ করিনি। কেন এ আমার পুত্র হবে ?”
মৎস্যকন্যা বলল-- “পবনপুত্র ! এ আপনারই পুত্র। মনে আছে মাতা সীতার আদেশে আপনি পুচ্ছের অগ্নি নির্বাপিত করবার জন্য সমুদ্রে লাঙুল নিমজ্জিত করেছিলেন ? সে সময় আপনার লাঙুলের বারি ধারা আমার উদরে প্রবেশ করে। আমি গর্ভবতী হই। এ আপনার পুত্র ! রাক্ষস দের সাথে নিবাস করতে করতে আমিও রাক্ষসের গুণ পেয়েছি। রাক্ষস, অসুরদের মধ্যে ভূমিষ্ঠ শিশু মানবশিশুর থেকেও অনেক শীঘ্র বয়োঃবৃদ্ধি ঘটে। রাক্ষস গুণের ফলে এই মকরধ্বজ রাক্ষসদের সেবা করছে।”
এই বলে মৎস্যকন্যা বললেন-- “পুত্র মকরধ্বজ ! তুমি ধর্মের পক্ষ অবলম্বন করো। অধার্মিক দের কেহই রক্ষা করেন না। নিজেই তো প্রমান পেলে। দেবী অম্বিকা কি মহীরাবণকে বাঁচিয়েছেন ? পুত্র ! রাক্ষসেরা কদাপি তোমার আপন জন নয়। লঙ্কায় যুদ্ধে রাক্ষসেরা বহু বানরকে হত্যা করেছে। অতএব পুত্র তুমি স্বজাতির পক্ষ অবলম্বন করে ধর্মের মার্গ অবলম্বন করো।”
হনুমান কপালে হাত দিয়ে বসলো। বসে রোদন করে বলতে লাগলো-- “এই পৃথিবী আমাকে ব্রহ্মচারী রূপে জানে। আজ আমি কলঙ্কের ভাগী হলাম। আমি এই মুখ কিভাবে দেখাবো ? আমার সমস্ত সম্মান ধূলিসাৎ হয়েছে। এ আমি কি পাপ করলাম।”
ভগবান শ্রীরাম তখন হনুমানের মস্তকে হস্ত বুলিয়ে বললেন-- “হনুমান ! রোদন করো না। যাহা হয় তাহার পেছনে কোন শুভ উদ্দেশ্য থাকে। তুমি স্বেচ্ছায় নারীসঙ্গ করো নি। সুতরাং তোমার বিন্দুমাত্র দোষ নেই। নিজেকে অপরাধী ভেবো না। তাহলে তোমার পুত্র মকরধ্বজ অত্যন্ত দুঃখী হবে। তুমি বরং পুত্রকে আলিঙ্গন করে স্নেহ আশীর্বাদ প্রদান করো।”
মকরধ্বজ এসে তখন হনুমানের চরণে প্রণাম করতে নিলে হনুমান বলল-- “আমাকে নয়। বরং প্রভুকে অগ্রে প্রণাম করো।” মকরধ্বজ গিয়ে ভগবান শ্রীরাম ও লক্ষ্মণকে প্রণাম করলে তাঁহারা আশীর্বাদ দিলেন-- “বীর প্রতাপী হয়ে পাতাল পুরী শাসন করো। সদা ধর্ম পথে থেকো।” এরপর হনুমানকে প্রনাম করলেন মকরধ্বজ। হনুমান, পুত্রকে বুকে জড়িয়ে স্নেহ আশীর্বাদ প্রদান করলেন।
এই সময় অহীরাবণ সেনা সমেত এলো। গর্জন করে বলতে লাগলো-- “কোথায় সেই আমার পিতৃঘাতী মর্কট ?”
ভগবান শ্রীরাম বললেন-- “অহীরাবণ ! দেখো পাপের পথ অবলম্বন করলে কি পরিণাম হয়। তুমি আর পাপ করো না। তোমার পিতাকেই দেখো, তাঁর কি পরিণাম হয়েছে। তোমার সাথে আমার শত্রুতা নেই। এসো আমাদের সহিত সখ্যতা স্থাপন করো।”
অহীরাবণ ত মানলো না। হৈহৈ করে তেরে এলো। রাক্ষসেরা সব আসলো। হনুমান গদা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিমিষে অসংখ্য রাক্ষস বধ করলো। রাক্ষসদের দেহের স্তূপ জমল।
এরপর অহীরাবণ যুদ্ধে এলো। হনুমানের সাথে প্রবল যুদ্ধ হল। এমন হাতাহাতি লড়াই হল, মনেহল গোটা পাতালপুরী বুঝি ভেঙ্গে পড়বে।
অন্তিমে হনুমান, অহীরাবণকে তুলে আছার দিলো ভূমিতে। সেই আছারে অহীরাবণের মস্তক চূর্ণ হল। এইভাবে রাক্ষস পিতাপুত্রের অন্ত হল।
ভগবান রামচন্দ্র বললেন-- “পাতালপুরী এখন শূন্য। এখানে এখন শাসকের প্রয়োজন। মকরধ্বজ আজ থেকে পাতালপুরীর রাজা হবে।”
এরপর পাতালভৈরবী দেবীর আদেশে দেবীবিগ্রহ সহ হনুমান রাম ও লক্ষণকে কাঁধে করে তিন দিন ধরে লাগাতার পাতাল পথে ভারতবর্ষে বাংলার বর্ধমান জেলার ক্ষীরগ্রামে ওঠেন।
ক্ষীরগ্রাম, মঙ্গলকোটের একটি আপাত নিরীহ জনপদ। সতীপীঠের অন্যতম একটি পীঠ হল এই গ্রাম। এই স্থানে দেবী সতীর দক্ষিণ পদাঙ্গুষ্ঠ পতিত হয়েছিলো। এখানকার দেবী হলেন মা যোগাদ্যা।
হনুমান দেবীর বিগ্রহ যোগ্যাদা শক্তিপীঠে স্থাপন করেছিলেন। দেবী পাতালভৈরবী মহামায়া যোগাদ্যা হয়ে রাঢ় বঙ্গে পূজিত হতে শুরু করেন। অবতার রাম ও লক্ষ��� রাঢ় অঞ্চলে থাকতে পারেন নি।
দেবী যোগাদ্যাকে জলে রাখা হয়, বছরে কয়েকটি নির্দিষ্ট দিনে মন্দিরে এনে পূজা করা হয়। চৈত্র সংক্রান্তির দিন যজ্ঞ দিয়ে মা যোগাদ্যার উৎসব শুরু হয় চলে এক মাস ধরে নানান রীতি, আচারের মধ্যে দিয়ে।
বৈশাখ সংক্রান্তি তে মহাপূজার শেষে ভোর রাতে দেবীকে জলে রাখা হয়। তিন দিন পর আবার জল থেকে দেবীকে মন্দিরে এনে অভিষেক করা হয়। এভাবে বছরে কয়েকটা নির্দিষ্ট দিনে দেবীকে জল থেকে তুলে পূজার রীতি আছে।
শাস্ত্র মতে বৈশাখের ২৮ থেকে ৩০ তারিখ অবধি দেবীর কোন রান্না ভোগ হয় না কারণ কথিত আছে ওই সময় দেবী হনুমানের মাথায় চেপে পাতালপথে এখানে এসেছিলেন।
.
জয় মা
জয় শ্রীরাম
জয় হনুমান
.
(সংগৃহীত)
0 notes
swarupgoswamis-blog · 4 years ago
Text
মনকে স্থির করতে পারা, নিজেকে রোজকার জীবনপ্রবাহের মধ্যে ব্রহ্ম ভাবতে শেখা --- আত্মার গহীন উপলব্ধি আনা এবং নিষ্কাম কর্ম করা --- এই তিনটি কাজই বেশ কঠিন। অথচ যোগশাস্ত্র, জ্ঞানশাস্ত্র, ভক্তিশাস্ত্র এই তিনটি কাজ আমাদেরকে করতে বলেছেন। শাস্ত্রে বর্ণিত এই তিনটি কাজ করবার জন্য আমরা যদি ব্রতী হই এর কোনওটিই করে উঠতে পারব না। তিনটি কাজের একটিতেও পুরোপুরি সফল হওয়া কোনওভাবে সম্ভব নয়। কিন্তু এই তিনটি কাজই করতে বলেছেন আমাদের শাস্ত্রকারেরা, ঋষিরা, আচার্যরা। এগুলো শুনে, লক্ষ্য রেখে, মান্যতা দিয়ে এগোতে গিয়ে শেষ এর কোনওটিই করতে না পেরে আমরা হাল ছেড়ে দিয়েছি। বুঝতে শিখিনি এর কোনওটিই করা যায় না।
সকলকার মতন এমন অবস্থা আমারও হয়েছিল। ঠিক তখনই অভিভাবক এলেন। তিনি এসে বললেন, 'মনটাকে স্থির করতে গিয়ে তুমি আসলে তাকে আরও বেশি চঞ্চল করে তুলছ। জেনে রেখো মনকে স্থির করা বড় সোজা নয়। যোগিরা পর্যন্ত ব্যর্থ হন এ কাজে। শাস্ত্র পড়ে, সাধুসঙ্গ করে মনে তোমার একটু - আধটু তন্ময়তা আসবে ঠিকই তারপর দেখবে ওখান থেকে যেই স্বাভাবিক কর্মদশাতে চলে আসছ তখন আগের মতোই চঞ্চল হয়ে উঠছে তোমার মন। অথচ অশান্ত, অসমাহিত হলে যে আবার কোনওমতেই চলবে না,
নাশান্তঃ নাসমাহিতঃ
মন অশান্ত, অসমাহিত হলে সেখানে জ্ঞান ফুটবে না। মনের ভেতর জ্ঞান ফোটাতে হবে। বই পড়ে যেটুকু যা বুঝেছ সেটুকু ব্যবহারিক জ্ঞান। ওই জ্ঞান নিয়ে ব্রহ্মকে বুঝতে পারবে না। মনকে শান্ত ও সমাহিত করতে শিখলেই ব্রহ্মবোধ জ্ঞানরূপে ফুটতে থাকবে তোমার ভেতরে। কিন্তু মন শান্ত ও সমাহিত দুটোর একটাও নয়। তাহলে সেখানে জ্ঞান ফুটবে কী করে? জ্ঞান ফুটে উঠলে জ্ঞানের আগুন সমস্ত কর্মকে পুড়িয়ে ফেলবে,
জ্ঞানাগ্নিঃ সর্বকর্মাণি ভস্মসাৎ কুরুতে তথা।
মনই স্থির হল না এখনও সেখানে আবার জ্ঞান ফুটবে, ব্রহ্মবোধের আলো পড়বে এটা তুমি বিশ্বাস করবে বলো, কীভাবে?'
আমি দেখলাম প্রাজ্ঞ মানুষটি আমাকে ঠিক কথাটিই বলছেন। এতদিন কেউ বলেননি মূল সত্যটি। সকলের কাছে গেছি। সকলেই বলছেন মন স্থির করো, তোমার ভেতর ব্রহ্ম রয়েছেন। আত্মার ভেতর ব্রহ্ম ফুটবেন ওই জ্ঞান ফোটার মতন। তুমি শরীর নও, আত্মা। নিষ্কাম কাজ করতে হবে তোমাকে। কর্ম থেকে ফলের আশাটাশা কোরো না। এই তিনটি কাজ করো বাকিটা তোমার হয়ে যাবে। এমন কথা সকল সাধুজনেরাই বলেন। কিন্তু কেউ এগুলো অতিক্রম করার পদ্ধতি শিখিয়ে দেন না।
আমার অভিভাবক বললেন, 'দ্যাখো বাবা, মন স্থির করতে হবে এই ভাবনা তোমাকে আরও অস্থির করে তুলবে। মন একটা তরঙ্গ। সব সময়ই ওর মধ্যে কোনও না কোনও ঢেউ উঠছে। সেই ঢেউয়ের ঠোকাঠুকির ভেতর তোমাকে সামলে চলতে হবে। সামলানোটা শেখো আগে। মন তোমার কোন কোন জিনিস পেয়ে অস্থির হচ্ছে সেই সেই জিনিস কিংবা তা যদি স্থান, কাল, পাত্র হয় সেই জায়গা, সময় ও সঙ্গ তুমি একটু একটু করে ছাড়তে শেখো তাহলে দেখবে তোমার মনই নেই তখন আর। ওটা প্রাণ হয়ে উঠেছে।
প্রাণ আছে প্রতি পলে। শ্বাসে শ্বাসে প্রাণ। শ্বাসে শ্বাসে তুমি। যাকে তুমি খুঁজছ। ব্রহ্ম বলছেন যাকে সাধুরা, আত্মা হিসেবে চিহ্নিত করছেন যাকে। যা খোঁজার কথা যেখানেই সাধুসঙ্গে যাচ্ছ তাঁরা সব তোমাকে বলছেন। প্রাণই সে। প্রাণেই তুমি ব্রহ্ম ও আত্মা বুঝলে,
নাহং নাহং, ত্বমেব
যখন আমিটাই চলে গেল, আমি হয়ে গেল তুমি তখন নিজের কাজই থাকল না। সবই তুমি নামক প্রাণসত্তার কাজ। মন নেই, আমি নেই --- আছে প্রতি পলে পলে, প্রতি শ্বাসে শ্বাসে এ তুমি কেমন তুমি, সে বোধ।
বোধ যখন এল। জ্ঞান ফুটল তোমার। জ্ঞান এল একটা প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে, দ্যাখো। একটা অভ্যাসের ভেতর দিয়ে এল জ্ঞান। অভ্যাসই কর্মকে একটু হলেও জাগতিক কাজ থেকে নিষ্কৃতি দিল। এই কাজটি তোমার এখন বাসনাবিহীন প্রাণের কর্ম হয়ে গেল যে। দ্যাখো। লক্ষ্য করো তুমি। খেয়াল করো একবার।'
কাজের মাঝে বিরাগ। কামনা ছাড়া সুন্দরকে আয়ত্তে আনার ধ্যান - কুশলতা এভাবেই আমি যে পেয়ে গেলাম!
-- সোমব্রত সরকার
Somabrata Sarkar
0 notes
swarupgoswamis-blog · 4 years ago
Text
[11/23, 5:08 PM] 🔴অজাত শত্রু 🔴: সর্বং দৃশ্যং মম স্থানং সর্বে কালা ব্রতাত্মকাঃ।
উৎসবাঃ সর্বকালেষু যতোহহং সর্বরূপিণী।
--দেবী ভাগবত
অর্থ - দেবী বলছেন সব স্থানই আমার স্থান, সব কালই ব্রতের কাল, সব সময়ই উৎসবের সময়, কারণ আমি সর্বরূপিণী।
[11/23, 7:52 PM] 🔴অজাত শত্রু 🔴: শ্ৰীশিব বললেন, হে জগদ্ধাত্ৰি! তুমি নিখিল জগতের আধার ও আধেয় স্বরূপ, তুমি ধৃতিরূপা, তুমি সমস্ত জগতের ভার বহন করছ, তুমি অচল স্বরূপা; জগৎ ধারণ করেও তুমি ধীরভাবে অবস্থিতা রয়েছ তোমাকে নমস্কার৷১
তুমি শব, তুমিই শক্তি, তুমিই শক্তিতে অবস্থান করছ, আবার তুমিই শক্তি বিগ্ৰহধারিণী। তুমি শাক্তদের সপ্তাচারে সন্তুষ্টা। হে দেবি! হে জগদ্ধাত্ৰি! তোমাকে নমস্কার।২
হে জগদ্ধাত্ৰি! তুমি ভক্তদের সম্বন্ধে জয় প্ৰদান করে থাক, তুমি জগদানন্দরূপিণী, এই অনন্ত জগতের মধ্যে একমাত্ৰ তুমিই পুজিতা। হে সৰ্ব্বব্যাপিাণি দুর্গে দেবি! তোমার জয় হোক, তোমাকে নমস্কার৷৩
হে জগদ্ধাত্রি! তুমি পরমাণু ও দ্ব্যণুকাদি স্বরূপিণী, তুমি স্থূল ও সুক্ষ্মরূপা, তোমাকে নমস্কার।৪
হে জগদ্ধাত্রি! তুমি সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মরূপা, প্ৰাণাপানাদি পঞ্চবায়ু রূপা, তুমি ভাবাভাব স্বরূপিণী, তোমাকে নমস্কার।৫
হে জগদ্ধাত্ৰি! তুমি কালাদিরূপা, কালেশ্বরী এবং কালাকাল-বিভেদ কারিণী, তুমি সর্ব্বরূপিণী সৰ্ব্বজ্ঞা, তোমাকে নমস্কার।৬
হে জগদ্ধাত্ৰি! তুমি অভক্তদের মহাবিঘ্ন কারিণী, আবার ভক্তদের উৎসাহ-দাত্রী, হে মহামায়ে! তুমি বরদাত্রী, তুমি নিখিল প্ৰপঞ্চ মধ্যে সারবস্তু, তুমি সাধ্ববীদের ঈশ্বরী, তোমাকে নমস্কার।৭
হে জগদ্ধাত্রি! তুমি অগম্যস্বরূপা, জগতের আদিভূত, মাহেশ্বরী, তুমি বরাঙ্গনাস্বরূপা, অশেষরূপ-ধারিণী, তোমাকে নমস্কার।৮
হে জগদ্ধাত্রি! তুমি দ্বিসপ্তকোটি মন্ত্রের শক্তিস্বরূপ, নিত্যা, সৰ্ব্বশক্তিস্বরূপিণী, তোমাকে নমস্কার।৯
হে জগদ্ধাত্রি! তুমি তীর্থ, যজ্ঞ, তপস্যা, দান ও যোগের সারভূত পদার্থ, তুমি জগন্ময়ী, তুমি সৰ্ব্বস্বরূপিণী, আবার সর্বস্থিতাও তুমি, তোমাকে নমস্কার।১০
হে জগদ্ধাত্ৰি! তুমি দয়ারূপিণী, তুমি ভক্তগণকে দয়া করে দর্শন দিয়ে থাক, তোমার হৃদয় দয়া দ্বারা আর্দ্রীকৃত, তুমি ভক্তদের দুঃখ মোচনকারিণী, হে দুর্গে! তুমি সমস্ত আপদ হতে ত্ৰাণ করা, তোমাকে নমস্কার.১১
হে জগদ্ধাত্ৰি! মহাযোগীর ঈশ্বর যিনি তাঁর হৃদয়পদ্মে যে ধাম, যে ধামে যাওয়া যায় না। সেই তোমার ধাম, সীমাশূন্য স্থির ভাব রাশিতে তোমার অবস্থান, তোমাকে নমস্কার।১২
Artist: Santanu Dey
[11/23, 8:56 PM] 🔴অজাত শত্রু 🔴: অয়ি নিজ হুংকৃতি মাত্র নিরাকৃত ধূম্র বিলোচন ধূম্রশতে
সমর বিশোষিত শোণিত বীজ সমুদ্ভব শোণিত বীজলতে,
শিব শিব শুম্ভ নিশুম্ভ মহাহব তর্পিত ভূত পিশাচরতে
জয় জয় হে মহিষাসুরমর্দিনি রম্যকপর্দিনি শৈলসুতে।
বেহালা সরকার বাড়ির মহামায়া দুর্গা দর্শন ।।
শিল্পী : ভাস্কর সনাতন রুদ্র পাল
ধন্যবাদন্তে বেহালা সরকার বাড়ি ও আমার দাদা Abhishek Sarkar
[11/24, 10:01 AM] 🔴অজাত শত্রু 🔴: “ ওঁ জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ভদ্রকালী কপালিনী ।দুর্গা শিবা ক্ষমা ধাত্রী স্বাহা স্বধা নমোহস্তু তে ।।”
এই মন্ত্রে মায়ের যে রূপ গুলির কথা আছে সেগুলি সম্বন্ধে জানা যাক ।
জয়ন্তীঃ- সর্বোৎকৃষ্টা ব্রহ্মরূপিণী ভগবতী সকল পদার্থের মূলীভূত কারণ তাই শ্রেষ্ঠা – সর্বত্র জয়লাভ করেন ‘জয়ন্তী জয়নাখ্যাতা’।
মঙ্গলাঃ- ভক্তদের জন্মমরণরূপ সংস্কৃতিকে নাশ করেন তাই মঙ্গলময়ী মঙ্গলা- “মঙ্গং- ভক্তানাং জননমরণরূপং সর্পণং – লাতি, নাশয়তি- সা মোক্ষপ্রদা মঙ্গলা ইত্যুচ্যতে।”
কালীঃ- “কলয়তি ভক্ষয়তি সর্বমেতদত্র প্রলয়কালে ইতি কালী”- যিনি প্রলয়কালে এই জগত প্রপঞ্চ ভক্ষণ করেন, গ্রাস করেন, তিনিই কালী । মহাকাল সর্ব প্রাণীকে গ্রাস করেন তাই তিনি মহাকাল । আর মহাকালকে যিনি কলন করেন তিনি আদ্যা পরমা কালিকা । “কলনাৎ সর্বভূতানাম্ মহাকালঃ প্রকীর্ত্তিতঃ । মহাকালস্য কলণাৎ ত্বম্যাদা কালিকা পরা।”
ভদ্রকালীঃ- “ভদ্রং মঙ্গলং- সুখং কলয়তি স্বীকারতি , ভক্তেভ্যো দাতুমিতি ভদ্রকালী।” যিনি ভক্তদের মঙ্গল বা সুখদান করেন , তিনিই ভদ্রকালী। “ভদ্রকালী সুখপ্রদা”( রহস্যাগম )।
কপালিনীঃ- যিনি প্রলয়কালে ব্রহ্মাদিকে নাশ করে তাঁদের কপাল হাতে নিয়ে থাকেন তিনি কপালিনী । যিনি সর্বদা হাতে ব্রহ্মকপাল ধারন করেন বা পালন করেন তিনি কপালী বা কপালিনী । ভাগ্যনির্ধারিণী , অদৃষ্টবিধায়িনী। “কপালং ব্রহ্মকং জাতং করে ধারয়তে সদা। কপালী তেন সা প্রোক্তা পালনাদ্ বা কপালিনী।” (দেবীপুরাণ )
দুর্গাঃ- যিনি দুঃখ দ্বারা প্রাপ্য অর্থাৎ যাঁকে বহু তপস্যা ও উপাসনার ক্লেশের দ্বারা পাওয়া যায় তিনি দুর্গা । স্মরণ মাত্রেই দেবী ইন্দ্রাদি দেবগণকে দুর্গম শত্রুর বিপদ থেকে রক্ষা করেছিলেন বলে তিনি দুর্গা। (দেবীপুরাণ)। যিনি দুর্গম বিপদ থেকে উদ্ধার করেন তিনি দুর্গা ।
শিবাঃ- শিব অর্থে মুক্তি, দেবী সাধকদের মোক্ষ ফল বা মুক্তি প্রদান করেন । এই শিব ফলের জন্য দেবীর উপাসনা করা হয় তাই তিনি শিবা। “শিবা মুক্তি সমাখ্যাতা । যোগিনাম মোক্ষদায়িনী করুণাময়ী ।”
ক্ষমাঃ- দেবী ক্ষমাশীলা । তিনি আদি জননী ।
ধাত্রীঃ- “সর্বপ্রপঞ্চ ধারণকর্ত্রী”। “ধাত্রীমাতাসমাখ্যাতা – ধারণে চোপগীয়তে”- জননী ও সবকিছু ধারন করে আছেন। ত্রিভুবন জননী । ত্রৈলোক্যধারিনী। তাঁর ওপর সব আছে ।
স্বাহাঃ- সমস্ত যজ্ঞে যে স্বাহা মন্ত্র অগ্নির শক্তির উচ্চারণে সমস্ত দেবগণ পরিতৃপ্ত হন সেই হব্যবাহণ । দেবতাদের পরিতৃপ্তি ও ক্ষুধাতৃপ্তি রূপিণী মন্ত্র ।
স্বধাঃ- পিতৃলোকের পরিতৃপ্তির কারণ সেই দেবী। স্বধা মন্ত্রময়ী । পিণ্ডাদি দানের মন্ত্র ।
সংগৃহিত 🙏
0 notes
swarupgoswamis-blog · 4 years ago
Text
🌺||অথ শ্রী দুর্গা সহস্রনামস্তোত্রম ||🌺
🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺
নারদ উবাচ –
কুমার গুণগম্ভীর দেবসেনাপতে প্রভো |
সর্বাভীষ্টপ্রদং পুংসাং সর্বপাপপ্রণাশনম || 1||
গুহ্য়াদ্গুহ্য়তরং স্তোত্রং ভক্তিবর্ধকমঞ্জসা |
মঙ্গলং গ্রহপীডাদিশান্তিদং বক্তুমর্হসি || 2||
🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺
স্কন্দ উবাচ –
শৃণু নারদ দেবর্ষে লোকানুগ্রহকাম্য়য়া |
য়ত্পৃচ্ছসি পরং পুণ্য়ং তত্তে বক্ষ্য়ামি কৌতুকাত || 3||
মাতা মে লোকজননী হিমবন্নগসত্তমাত |
মেনায়াং ব্রহ্মবাদিন্য়াং প্রাদুর্ভূতা হরপ্রিয়া || 4||
মহতা তপসা‌உ‌உরাধ্য় শঙ্করং লোকশঙ্করম |
স্বমেব বল্লভং ভেজে কলেব হি কলানিধিম || 5||
নগানামধিরাজস্তু হিমবান বিরহাতুরঃ |
স্বসুতায়াঃ পরিক্ষীণে বসিষ্ঠেন প্রবোধিতঃ || 6||
ত্রিলোকজননী সেয়ং প্রসন্না ত্বয়ি পুণ্য়তঃ |
প্রাদুর্ভূতা সুতাত্বেন তদ্বিয়োগং শুভং ত্য়জ || 7||
বহুরূপা চ দুর্গেয়ং বহুনাম্নী সনাতনী |
সনাতনস্য় জায়া সা পুত্রীমোহং ত্য়জাধুনা || 8||
ইতি প্রবোধিতঃ শৈলঃ তাং তুষ্টাব পরাং শিবাম |
তদা প্রসন্না সা দুর্গা পিতরং প্রাহ নন্দিনী || 9||
মত্প্রসাদাত্পরং স্তোত্রং হৃদয়ে প্রতিভাসতাম |
তেন নাম্নাং সহস্রেণ পূজয়ন কামমাপ্নুহি || 1০||
ইত্য়ুক্ত্বান্তর্হিতায়াং তু হৃদয়ে স্ফুরিতং তদা |
নাম্নাং সহস্রং দুর্গায়াঃ পৃচ্ছতে মে য়দুক্তবান || 11||
মঙ্গলানাং মঙ্গলং তদ দুর্গানাম সহস্রকম |
সর্বাভীষ্টপ্রদাং পুংসাং ব্রবীম্য়খিলকামদম || 12||
দুর্গাদেবী সমাখ্য়াতা হিমবানৃষিরুচ্য়তে |
ছন্দোনুষ্টুপ জপো দেব্য়াঃ প্রীতয়ে ক্রিয়তে সদা || 13||
অস্য় শ্রীদুর্গাস্তোত্রমহামন্ত্রস্য় | হিমবান ঋষিঃ | অনুষ্টুপ ছন্দঃ |
দুর্গাভগবতী দেবতা | শ্রীদুর্গাপ্রসাদসিদ্ধ্য়র্থে জপে বিনিয়োগঃ | |
শ্রীভগবত্য়ৈ দুর্গায়ৈ নমঃ |
দেবীধ্য়ানম
ওং হ্রীং কালাভ্রাভাং কটাক্ষৈররিকুলভয়দাং মৌলিবদ্ধেন্দুরেখাং
শঙ্খং চক্রং কৃপাণং ত্রিশিখমপি করৈরুদ্বহন্তীং ত্রিনেত্রাম |
সিংহস্কন্ধাধিরূঢাং ত্রিভুবনমখিলং তেজসা পূরয়ন্তীং
ধ্য়ায়েদ দুর্গাং জয়াখ্য়াং ত্রিদশপরিবৃতাং সেবিতাং সিদ্ধিকামৈঃ |
🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺
শ্রী জয়দুর্গায়ৈ নমঃ |
ওং শিবাথোমা রমা শক্তিরনন্তা নিষ্কলা‌உমলা |
শান্তা মাহেশ্বরী নিত্য়া শাশ্বতা পরমা ক্ষমা || 1||
অচিন্ত্য়া কেবলানন্তা শিবাত্মা পরমাত্মিকা |
অনাদিরব্য়য়া শুদ্ধা সর্বজ্ঞা সর্বগা‌உচলা || 2||
একানেকবিভাগস্থা মায়াতীতা সুনির্মলা |
মহামাহেশ্বরী সত্য়া মহাদেবী নিরঞ্জনা || 3||
কাষ্ঠা সর্বান্তরস্থা‌உপি চিচ্ছক্তিশ্চাত্রিলালিতা |
সর্বা সর্বাত্মিকা বিশ্বা জ্য়োতীরূপাক্ষরামৃতা || 4||
শান্তা প্রতিষ্ঠা সর্বেশা নিবৃত্তিরমৃতপ্রদা |
ব্য়োমমূর্তির্ব্য়োমসংস্থা ব্য়োমধারা‌உচ্য়ুতা‌உতুলা || 5||
অনাদিনিধনা‌உমোঘা কারণাত্মকলাকুলা |
ঋতুপ্রথমজা‌உনাভিরমৃতাত্মসমাশ্রয়া || 6||
প্রাণেশ্বরপ্রিয়া নম্য়া মহামহিষঘাতিনী |
প্রাণেশ্বরী প্রাণরূপা প্রধানপুরুষেশ্বরী || 7||
সর্বশক্তিকলা‌உকামা মহিষেষ্টবিনাশিনী |
সর্বকার্য়নিয়ন্ত্রী চ সর্বভূতেশ্বরেশ্বরী || 8||
অঙ্গদাদিধরা চৈব তথা মুকুটধারিণী |
সনাতনী মহানন্দা‌உ‌உকাশয়োনিস্তথেচ্য়তে || 9||
চিত্প্রকাশস্বরূপা চ মহায়োগেশ্বরেশ্বরী |
মহামায়া সদুষ্পারা মূলপ্রকৃতিরীশিকা || 1০||
সংসারয়োনিঃ সকলা সর্বশক্তিসমুদ্ভবা |
সংসারপারা দুর্বারা দুর্নিরীক্ষা দুরাসদা || 11||
প্রাণশক্তিশ্চ সেব্য়া চ য়োগিনী পরমাকলা |
মহাবিভূতির্দুর্দর্শা মূলপ্রকৃতিসম্ভবা || 12||
অনাদ্য়নন্তবিভবা পরার্থা পুরুষারণিঃ |
সর্গস্থিত্য়ন্তকৃচ্চৈব সুদুর্বাচ্য়া দুরত্য়য়া || 13||
শব্দগম্য়া শব্দমায়া শব্দাখ্য়ানন্দবিগ্রহা |
প্রধানপুরুষাতীতা প্রধানপুরুষাত্মিকা || 14||
পুরাণী চিন্ময়া পুংসামিষ্টদা পুষ্টিরূপিণী |
পূতান্তরস্থা কূটস্থা মহাপুরুষসংজ্ঞিতা || 15||
জন্মমৃত্য়ুজরাতীতা সর্বশক্তিস্বরূপিণী |
বাঞ্ছাপ্রদা‌உনবচ্ছিন্নপ্রধানানুপ্রবেশিনী || 16||
ক্ষেত্রজ্ঞা‌உচিন্ত্য়শক্তিস্তু প্রোচ্য়তে‌உব্য়ক্তলক্ষণা |
মলাপবর্জিতা‌உ‌உনাদিমায়া ত্রিতয়তত্ত্বিকা || 17||
প্রীতিশ্চ প্রকৃতিশ্চৈব গুহাবাসা তথোচ্য়তে |
মহামায়া নগোত্পন্না তামসী চ ধ্রুবা তথা || 18||
ব্য়ক্তা‌உব্য়ক্তাত্মিকা কৃষ্ণা রক্তা শুক্লা হ্য়কারণা |
প্রোচ্য়তে কার্য়জননী নিত্য়প্রসবধর্মিণী || 19||
সর্গপ্রলয়মুক্তা চ সৃষ্টিস্থিত্য়ন্তধর্মিণী |
ব্রহ্মগর্ভা চতুর্বিংশস্বরূপা পদ্মবাসিনী || 2০||
অচ্য়ুতাহ্লাদিকা বিদ্য়ুদ্ব্রহ্ময়োনির্মহালয়া |
মহালক্ষ্মী সমুদ্ভাবভাবিতাত্মামহেশ্বরী || 21||
মহাবিমানমধ্য়স্থা মহানিদ্রা সকৌতুকা |
সর্বার্থধারিণী সূক্ষ্মা হ্য়বিদ্ধা পরমার্থদা || 22||
অনন্তরূপা‌உনন্তার্থা তথা পুরুষমোহিনী |
অনেকানেকহস্তা চ কালত্���য়বিবর্জিতা || 23||
ব্রহ্মজন্মা হরপ্রীতা মতির্ব্রহ্মশিবাত্মিকা |
ব্রহ্মেশবিষ্ণুসম্পূজ্য়া ব্রহ্মাখ্য়া ব্রহ্মসংজ্ঞিতা || 24||
ব্য়ক্তা প্রথমজা ব্রাহ্মী মহারাত্রীঃ প্রকীর্তিতা |
জ্ঞানস্বরূপা বৈরাগ্য়রূপা হ্য়ৈশ্বর্য়রূপিণী || 25||
ধর্মাত্মিকা ব্রহ্মমূর্তিঃ প্রতিশ্রুতপুমর্থিকা |
অপাংয়োনিঃ স্বয়ম্ভূতা মানসী তত্ত্বসম্ভবা || 26||
ঈশ্বরস্য় প্রিয়া প্রোক্তা শঙ্করার্ধশরীরিণী |
ভবানী চৈব রুদ্রাণী মহালক্ষ্মীস্তথা‌உম্বিকা || 27||
মহেশ্বরসমুত্পন্না ভুক্তিমুক্তি প্রদায়িনী |
সর্বেশ্বরী সর্ববন্দ্য়া নিত্য়মুক্তা সুমানসা || 28||
মহেন্দ্রোপেন্দ্রনমিতা শাঙ্করীশানুবর্তিনী |
ঈশ্বরার্ধাসনগতা মাহেশ্বরপতিব্রতা || 29||
সংসারশোষিণী চৈব পার্বতী হিমবত্সুতা |
পরমানন্দদাত্রী চ গুণাগ্র্য়া য়োগদা তথা || 3০||
জ্ঞানমূর্তিশ্চ সাবিত্রী লক্ষ্মীঃ শ্রীঃ কমলা তথা |
অনন্তগুণগম্ভীরা হ্য়ুরোনীলমণিপ্রভা || 31||
সরোজনিলয়া গঙ্গা য়োগিধ্য়েয়া‌உসুরার্দিনী |
সরস্বতী সর্ববিদ্য়া জগজ্জ্য়েষ্ঠা সুমঙ্গলা || 32||
বাগ্দেবী বরদা বর্য়া কীর্তিঃ সর্বার্থসাধিকা |
বাগীশ্বরী ব্রহ্মবিদ্য়া মহাবিদ্য়া সুশোভনা || 33||
গ্রাহ্য়বিদ্য়া বেদবিদ্য়া ধর্মবিদ্য়া‌உ‌உত্মভাবিতা |
স্বাহা বিশ্বম্ভরা সিদ্ধিঃ সাধ্য়া মেধা ধৃতিঃ কৃতিঃ || 34||
সুনীতিঃ সংকৃতিশ্চৈব কীর্তিতা নরবাহিনী |
পূজাবিভাবিনী সৌম্য়া ভোগ্য়ভাগ ভোগদায়িনী || 35||
শোভাবতী শাঙ্করী চ লোলা মালাবিভূষিতা |
পরমেষ্ঠিপ্রিয়া চৈব ত্রিলোকীসুন্দরী মাতা || 36||
নন্দা সন্ধ্য়া কামধাত্রী মহাদেবী সুসাত্ত্বিকা |
মহামহিষদর্পঘ্নী পদ্মমালা‌உঘহারিণী || 37||
বিচিত্রমুকুটা রামা কামদাতা প্রকীর্তিতা |
পিতাম্বরধরা দিব্য়বিভূষণ বিভূষিতা || 38||
দিব্য়াখ্য়া সোমবদনা জগত্সংসৃষ্টিবর্জিতা |
নির্য়ন্ত্রা য়ন্ত্রবাহস্থা নন্দিনী রুদ্রকালিকা || 39||
আদিত্য়বর্ণা কৌমারী ময়ূরবরবাহিনী |
পদ্মাসনগতা গৌরী মহাকালী সুরার্চিতা || 4০||
অদিতির্নিয়তা রৌদ্রী পদ্মগর্ভা বিবাহনা |
বিরূপাক্ষ�� কেশিবাহা গুহাপুরনিবাসিনী || 41||
মহাফলা‌உনবদ্য়াঙ্গী কামরূপা সরিদ্বরা |
ভাস্বদ্রূপা মুক্তিদাত্রী প্রণতক্লেশভঞ্জনা || 42||
কৌশিকী গোমিনী রাত্রিস্ত্রিদশারিবিনাশিনী |
বহুরূপা সুরূপা চ বিরূপা রূপবর্জিতা || 43||
ভক্তার্তিশমনা ভব্য়া ভবভাববিনাশিনী |
সর্বজ্ঞানপরীতাঙ্গী সর্বাসুরবিমর্দিকা || 44||
পিকস্বনী সামগীতা ভবাঙ্কনিলয়া প্রিয়া |
দীক্ষা বিদ্য়াধরী দীপ্তা মহেন্দ্রাহিতপাতিনী || 45||
সর্বদেবময়া দক্ষা সমুদ্রান্তরবাসিনী |
অকলঙ্কা নিরাধারা নিত্য়সিদ্ধা নিরাময়া || 46||
কামধেনুবৃহদ্গর্ভা ধীমতী মৌননাশিনী |
নিঃসঙ্কল্পা নিরাতঙ্কা বিনয়া বিনয়প্রদা || 47||
জ্বালামালা সহস্রাঢ্য়া দেবদেবী মনোময়া |
সুভগা সুবিশুদ্ধা চ বসুদেবসমুদ্ভবা || 48||
মহেন্দ্রোপেন্দ্রভগিনী ভক্তিগম্য়া পরাবরা |
জ্ঞানজ্ঞেয়া পরাতীতা বেদান্তবিষয়া মতিঃ || 49||
দক্ষিণা দাহিকা দহ্য়া সর্বভূতহৃদিস্থিতা |
য়োগমায়া বিভাগজ্ঞা মহামোহা গরীয়সী || 5০||
সন্ধ্য়া সর্বসমুদ্ভূতা ব্রহ্মবৃক্ষাশ্রিয়াদিতিঃ |
বীজাঙ্কুরসমুদ্ভূতা মহাশক্তির্মহামতিঃ || 51||
খ্য়াতিঃ প্রজ্ঞাবতী সংজ্ঞা মহাভোগীন্দ্রশায়িনী |
হীংকৃতিঃ শঙ্করী শান্তির্গন্ধর্বগণসেবিতা || 52||
বৈশ্বানরী মহাশূলা দেবসেনা ভবপ্রিয়া |
মহারাত্রী পরানন্দা শচী দুঃস্বপ্ননাশিনী || 53||
ঈড্য়া জয়া জগদ্ধাত্রী দুর্বিজ্ঞেয়া সুরূপিণী |
গুহাম্বিকা গণোত্পন্না মহাপীঠা মরুত্সুতা || 54||
হব্য়বাহা ভবানন্দা জগদ্য়োনিঃ প্রকীর্তিতা |
জগন্মাতা জগন্মৃত্য়ুর্জরাতীতা চ বুদ্ধিদা || 55||
সিদ্ধিদাত্রী রত্নগর্ভা রত্নগর্ভাশ্রয়া পরা |
দৈত্য়হন্ত্রী স্বেষ্টদাত্রী মঙ্গলৈকসুবিগ্রহা || 56||
পুরুষান্তর্গতা চৈব সমাধিস্থা তপস্বিনী |
দিবিস্থিতা ত্রিণেত্রা চ সর্বেন্দ্রিয়মনাধৃতিঃ || 57||
সর্বভূতহৃদিস্থা চ তথা সংসারতারিণী |
বেদ্য়া ব্রহ্মবিবেদ্য়া চ মহালীলা প্রকীর্তিতা || 58||
ব্রাহ্মণিবৃহতী ব্রাহ্মী ব্রহ্মভূতা‌உঘহারিণী |
হিরণ্ময়ী মহাদাত্রী সংসারপরিবর্তিকা || 59||
সুমালিনী সুরূপা চ ভাস্বিনী ধারিণী তথা |
উন্মূলিনী সর্বসভা সর্বপ্রত্য়য়সাক্ষিণী || 6০||
সুসৌম্য়া চন্দ্রবদনা তাণ্ডবাসক্তমানসা |
সত্ত্বশুদ্ধিকরী শুদ্ধা মলত্রয়বিনাশিনী || 61||
জগত্ত্ত্রয়ী জগন্মূর্তিস্ত্রিমূর্তিরমৃতাশ্রয়া |
বিমানস্থা বিশোকা চ শোকনাশিন্য়নাহতা || 62||
হেমকুণ্ডলিনী কালী পদ্মবাসা সনাতনী |
সদাকীর্তিঃ সর্বভূতশয়া দেবী সতাংপ্রিয়া || 63||
ব্রহ্মমূর্তিকলা চৈব কৃত্তিকা কঞ্জমালিনী |
ব্য়োমকেশা ক্রিয়াশক্তিরিচ্ছাশক্তিঃ পরাগতিঃ || 64||
ক্ষ���ভিকা খণ্ডিকাভেদ্য়া ভেদাভেদবিবর্জিতা |
অভিন্না ভিন্নসংস্থানা বশিনী বংশধারিণী || 65||
গুহ্য়শক্তির্গুহ্য়তত্ত্বা সর্বদা সর্বতোমুখী |
ভগিনী চ নিরাধারা নিরাহারা প্রকীর্তিতা || 66||
নিরঙ্কুশপদোদ্ভূতা চক্রহস্তা বিশোধিকা |
স্রগ্বিণী পদ্মসম্ভেদকারিণী পরিকীর্তিতা || 67||
পরাবরবিধানজ্ঞা মহাপুরুষপূর্বজা |
পরাবরজ্ঞা বিদ্য়া চ বিদ্য়ুজ্জিহ্বা জিতাশ্রয়া || 68||
বিদ্য়াময়ী সহস্রাক্ষী সহস্রবদনাত্মজা |
সহস্ররশ্মিঃসত্বস্থা মহেশ্বরপদাশ্রয়া || 69||
জ্বালিনী সন্ময়া ব্য়াপ্তা চিন্ময়া পদ্মভেদিকা |
মহাশ্রয়া মহামন্ত্রা মহাদেবমনোরমা || 7০||
ব্য়োমলক্ষ্মীঃ সিংহরথা চেকিতানা‌உমিতপ্রভা |
বিশ্বেশ্বরী ভগবতী সকলা কালহারিণী || 71||
সর্ববেদ্য়া সর্বভদ্রা গুহ্য়া দূঢা গুহারণী |
প্রলয়া য়োগধাত্রী চ গঙ্গা বিশ্বেশ্বরী তথা || 72||
কামদা কনকা কান্তা কঞ্জগর্ভপ্রভা তথা |
পুণ্য়দা কালকেশা চ ভোক্ত্ত্রী পুষ্করিণী তথা || 73||
সুরেশ্বরী ভূতিদাত্রী ভূতিভূষা প্রকীর্তিতা |
পঞ্চব্রহ্মসমুত্পন্না পরমার্থা‌உর্থবিগ্রহা || 74||
বর্ণোদয়া ভানুমূর্তির্বাগ্বিজ্ঞেয়া মনোজবা |
মনোহরা মহোরস্কা তামসী বেদরূপিণী || 75||
বেদশক্তির্বেদমাতা বেদবিদ্য়াপ্রকাশিনী |
য়োগেশ্বরেশ্বরী মায়া মহাশক্তির্মহাময়ী || 76||
বিশ্বান্তঃস্থা বিয়ন্মূর্তির্ভার্গবী সুরসুন্দরী |
সুরভির্নন্দিনী বিদ্য়া নন্দগোপতনূদ্ভবা || 77||
ভারতী পরমানন্দা পরাবরবিভেদিকা |
সর্বপ্রহরণোপেতা কাম্য়া কামেশ্বরেশ্বরী || 78||
অনন্তানন্দবিভবা হৃল্লেখা কনকপ্রভা |
কূষ্মাণ্ডা ধনরত্নাঢ্য়া সুগন্ধা গন্ধদায়িনী || 79||
ত্রিবিক্রমপদোদ্ভূতা চতুরাস্য়া শিবোদয়া |
সুদুর্লভা ধনাধ্য়ক্ষা ধন্য়া পিঙ্গললোচনা || 8০||
শান্তা প্রভাস্বরূপা চ পঙ্কজায়তলোচনা |
ইন্দ্রাক্ষী হৃদয়ান্তঃস্থা শিবা মাতা চ সত্ক্রিয়া || 81||
গিরিজা চ সুগূঢা চ নিত্য়পুষ্টা নিরন্তরা |
দুর্গা কাত্য়ায়নী চণ্ডী চন্দ্রিকা কান্তবিগ্রহা || 82||
হিরণ্য়বর্ণা জগতী জগদ্য়ন্ত্রপ্রবর্তিকা |
মন্দরাদ্রিনিবাসা চ শারদা স্বর্ণমালিনী || 83||
রত্নমালা রত্নগর্ভা ব্য়ুষ্টির্বিশ্বপ্রমাথিনী |
পদ্মানন্দা পদ্মনিভা নিত্য়পুষ্টা কৃতোদ্ভবা || 84||
নারায়ণী দুষ্টশিক্ষা সূর্য়মাতা বৃষপ্রিয়া |
মহেন্দ্রভগিনী সত্য়া সত্য়ভাষা সুকোমলা || 85||
বামা চ পঞ্চতপসাং বরদাত্রী প্রকীর্তিতা |
বাচ্য়বর্ণেশ্বরী বিদ্য়া দুর্জয়া দুরতিক্রমা || 86||
কালরাত্রির্মহাবেগা বীরভদ্রপ্রিয়া হিতা |
ভদ্রকালী জগন্মাতা ভক্তানাং ভদ্রদায়িনী || 87||
করালা পিঙ্গলাকারা কামভেত্ত্রী মহামনাঃ |
য়শস্বিনী য়শোদা চ ষডধ্বপরিবর্তিকা || 88||
শঙ্খিনী পদ্মিনী সংখ্য়া সাংখ্য়য়োগপ্রবর্তিকা |
চৈত্রাদির্বত্সরারূঢা জগত্সম্পূরণীন্দ্রজা || 89||
শুম্ভঘ্নী খেচরারাধ্য়া কম্বুগ্রীবা বলীডিতা |
খগারূঢা মহৈশ্বর্য়া সুপদ্মনিলয়া তথা || 9০||
বিরক্তা গরুডস্থা চ জগতীহৃদ্গুহাশ্রয়া |
শুম্ভাদিমথনা ভক্তহৃদ্গহ্বরনিবাসিনী || 91||
জগত্ত্ত্রয়ারণী সিদ্ধসঙ্কল্পা কামদা তথা |
সর্ববিজ্ঞানদাত্রী চানল্পকল্মষহারিণী || 92||
সকলোপনিষদ্গম্য়া দুষ্টদুষ্প্রেক্ষ্য়সত্তমা |
সদ্বৃতা লোকসংব্য়াপ্তা তুষ্টিঃ পুষ্টিঃ ক্রিয়াবতী || 93||
বিশ্বামরেশ্বরী চৈব ভুক্তিমুক্তিপ্রদায়িনী |
শিবাধৃতা লোহিতাক্ষী সর্পমালাবিভূষণা || 94||
নিরানন্দা ত্রিশূলাসিধনুর্বাণাদিধারিণী |
অশেষধ্য়েয়মূর্তিশ্চ দেবতানাং চ দেবতা || 95||
বরাম্বিকা গিরেঃ পুত্রী নিশুম্ভবিনিপাতিনী |
সুবর্ণা স্বর্ণলসিতা‌உনন্তবর্ণা সদাধৃতা || 96||
শাঙ্করী শান্তহৃদয়া অহোরাত্রবিধায়িকা |
বিশ্বগোপ্ত্রী গূঢরূপা গুণপূর্ণা চ গার্গ্য়জা || 97||
গৌরী শাকম্ভরী সত্য়সন্ধা সন্ধ্য়াত্রয়ীধৃতা |
সর্বপাপবিনির্মুক্তা সর্ববন্ধবিবর্জিতা || 98||
সাংখ্য়য়োগসমাখ্য়াতা অপ্রমেয়া মুনীডিতা |
বিশুদ্ধসুকুলোদ্ভূতা বিন্দুনাদসমাদৃতা || 99||
শম্ভুবামাঙ্কগা চৈব শশিতুল্য়নিভাননা |
বনমালাবিরাজন্তী অনন্তশয়নাদৃতা || 1০০||
নরনারায়ণোদ্ভূতা নারসিংহী প্রকীর্তিতা |
দৈত্য়প্রমাথিনী শঙ্খচক্রপদ্মগদাধরা || 1০1||
সঙ্কর্ষণসমুত্পন্না অম্বিকা সজ্জনাশ্রয়া |
সুবৃতা সুন্দরী চৈব ধর্মকামার্থদায়িনী || 1০2||
মোক্ষদা ভক্তিনিলয়া পুরাণপুরুষাদৃতা |
মহাবিভূতিদা‌உ‌உরাধ্য়া সরোজনিলয়া‌உসমা || 1০3||
অষ্টাদশভুজা‌உনাদির্নীলোত্পলদলাক্ষিণী |
সর্বশক্তিসমারূঢা ধর্মাধর্মবিবর্জিতা || 1০4||
বৈরাগ্য়জ্ঞাননিরতা নিরালোকা নিরিন্দ্রিয়া |
বিচিত্রগহনাধারা শাশ্বতস্থানবাসিনী || 1০5||
জ্ঞানেশ্বরী পীতচেলা বেদবেদাঙ্গপারগা |
মনস্বিনী মন্য়ুমাতা মহামন্য়ুসমুদ্ভবা || 1০6||
অমন্য়ুরমৃতাস্বাদা পুরন্দরপরিষ্টুতা |
অশোচ্য়া ভিন্নবিষয়া হিরণ্য়রজতপ্রিয়া || 1০7||
হিরণ্য়জননী ভীমা হেমাভরণভূষিতা |
বিভ্রাজমানা দুর্জ্ঞেয়া জ্য়োতিষ্টোমফলপ্রদা || 1০8||
মহানিদ্রাসমুত্পত্তিরনিদ্রা সত্য়দেবতা |
দীর্ঘা ককুদ্মিনী পিঙ্গজটাধারা মনোজ্ঞধীঃ || 1০9||
মহাশ্রয়া রমোত্পন্না তমঃপারে প্রতিষ্ঠিতা |
ত্রিতত্ত্বমাতা ত্রিবিধা সুসূক্ষ্মা পদ্মসংশ্রয়া || 11০||
শান্ত্য়তীতকলা‌உতীতবিকারা শ্বেতচেলিকা |
চিত্রমায়া শিবজ্ঞানস্বরূপা দৈত্য়��াথিনী || 111||
কাশ্য়পী কালসর্পাভবেণিকা শাস্ত্রয়োনিকা |
ত্রয়ীমূর্তিঃ ক্রিয়ামূর্তিশ্চতুর্বর্গা চ দর্শিনী || 112||
নারায়ণী নরোত্পন্না কৌমুদী কান্তিধারিণী |
কৌশিকী ললিতা লীলা পরাবরবিভাবিনী || 113||
বরেণ্য়া‌உদ্ভুতমহাত্ম্য়া বডবা বামলোচনা |
সুভদ্রা চেতনারাধ্য়া শান্তিদা শান্তিবর্ধিনী || 114||
জয়াদিশক্তিজননী শক্তিচক্রপ্রবর্তিকা |
ত্রিশক্তিজননী জন্য়া ষট্সূত্রপরিবর্ণিতা || 115||
সুধৌতকর্মণা‌உ‌உরাধ্য়া য়ুগান্তদহনাত্মিকা |
সঙ্কর্ষিণী জগদ্ধাত্রী কাময়োনিঃ কিরীটিনী || 116||
ঐন্দ্রী ত্রৈলোক্য়নমিতা বৈষ্ণবী পরমেশ্বরী |
প্রদ্য়ুম্নজননী বিম্বসমোষ্ঠী পদ্মলোচনা || 117||
মদোত্কটা হংসগতিঃ প্রচণ্ডা চণ্ডবিক্রমা |
বৃষাধীশা পরাত্মা চ বিন্ধ্য়া পর্বতবাসিনী || 118||
হিমবন্মেরুনিলয়া কৈলাসপুরবাসিনী |
চাণূরহন্ত্রী নীতিজ্ঞা কামরূপা ত্রয়ীতনুঃ || 119||
ব্রতস্নাতা ধর্মশীলা সিংহাসননিবাসিনী |
বীরভদ্রাদৃতা বীরা মহাকালসমুদ্ভবা || 12০||
বিদ্য়াধরার্চিতা সিদ্ধসাধ্য়ারাধিতপাদুকা |
শ্রদ্ধাত্মিকা পাবনী চ মোহিনী অচলাত্মিকা || 121||
মহাদ্ভুতা বারিজাক্ষী সিংহবাহনগামিনী |
মনীষিণী সুধাবাণী বীণাবাদনতত্পরা || 122||
শ্বেতবাহনিষেব্য়া চ লসন্মতিররুন্ধতী |
হিরণ্য়াক্ষী তথা চৈব মহানন্দপ্রদায়িনী || 123||
বসুপ্রভা সুমাল্য়াপ্তকন্ধরা পঙ্কজাননা |
পরাবরা বরারোহা সহস্রনয়নার্চিতা || 124||
শ্রীরূপা শ্রীমতী শ্রেষ্ঠা শিবনাম্নী শিবপ্রিয়া |
শ্রীপ্রদা শ্রিতকল্য়াণা শ্রীধরার্ধশরীরিণী || 125||
শ্রীকলা‌உনন্তদৃষ্টিশ্চ হ্য়ক্ষুদ্রারাতিসূদনী |
রক্তবীজনিহন্ত্রী চ দৈত্য়সঙ্গবিমর্দিনী || 126||
সিংহারূঢা সিংহিকাস্য়া দৈত্য়শোণিতপায়িনী |
সুকীর্তিসহিতাচ্ছিন্নসংশয়া রসবেদিনী || 127||
গুণাভিরামা নাগারিবাহনা নির্জরার্চিতা |
নিত্য়োদিতা স্বয়ংজ্য়োতিঃ স্বর্ণকায়া প্রকীর্তিতা || 128||
বজ্রদণ্ডাঙ্কিতা চৈব তথামৃতসঞ্জীবিনী |
বজ্রচ্ছন্না দেবদেবী বরবজ্রস্ববিগ্রহা || 129||
মাঙ্গল্য়া মঙ্গলাত্মা চ মালিনী মাল্য়ধারিণী |
গন্ধর্বী তরুণী চান্দ্রী খড্গায়ুধধরা তথা || 13০||
সৌদামিনী প্রজানন্দা তথা প্রোক্তা ভৃগূদ্ভবা |
একানঙ্গা চ শাস্ত্রার্থকুশলা ধর্মচারিণী || 131||
ধর্মসর্বস্ববাহা চ ধর্মাধর্মবিনিশ্চয়া |
ধর্মশক্তির্ধর্মময়া ধার্মিকানাং শিবপ্রদা || 132||
বিধর্মা বিশ্বধর্মজ্ঞা ধর্মার্থান্তরবিগ্রহা |
ধর্মবর্ষ্মা ধর্মপূর্বা ধর্মপারঙ্গতান্তরা || 133||
ধর্মোপদেষ্ট্রী ধর্মাত্মা ধর্ম��ম্য়া ধরাধরা |
কপালিনী শাকলিনী কলাকলিতবিগ্রহা || 134||
সর্বশক্তিবিমুক্তা চ কর্ণিকারধরা‌உক্ষরা|
কংসপ্রাণহরা চৈব য়ুগধর্মধরা তথা || 135||
য়ুগপ্রবর্তিকা প্রোক্তা ত্রিসন্ধ্য়া ধ্য়েয়বিগ্রহা |
স্বর্গাপবর্গদাত্রী চ তথা প্রত্য়ক্ষদেবতা || 136||
আদিত্য়া দিব্য়গন্ধা চ দিবাকরনিভপ্রভা |
পদ্মাসনগতা প্রোক্তা খড্গবাণশরাসনা || 137||
শিষ্টা বিশিষ্টা শিষ্টেষ্টা শিষ্টশ্রেষ্ঠপ্রপূজিতা |
শতরূপা শতাবর্তা বিততা রাসমোদিনী || 138||
সূর্য়েন্দুনেত্রা প্রদ্য়ুম্নজননী সুষ্ঠুমায়িনী |
সূর্য়ান্তরস্থিতা চৈব সত্প্রতিষ্ঠতবিগ্রহা || 139||
নিবৃত্তা প্রোচ্য়তে জ্ঞানপারগা পর্বতাত্মজা |
কাত্য়ায়নী চণ্ডিকা চ চণ্ডী হৈমবতী তথা || 14০||
দাক্ষায়ণী সতী চৈব ভবানী সর্বমঙ্গলা |
ধূম্রলোচনহন্ত্রী চ চণ্ডমুণ্ডবিনাশিনী || 141||
য়োগনিদ্রা য়োগভদ্রা সমুদ্রতনয়া তথা |
দেবপ্রিয়ঙ্করী শুদ্ধা ভক্তভক্তিপ্রবর্ধিনী || 142||
ত্রিণেত্রা চন্দ্রমুকুটা প্রমথার্চিতপাদুকা |
অর্জুনাভীষ্টদাত্রী চ পাণ্ডবপ্রিয়কারিণী || 143||
কুমারলালনাসক্তা হরবাহূপধানিকা |
বিঘ্নেশজননী ভক্তবিঘ্নস্তোমপ্রহারিণী || 144||
সুস্মিতেন্দুমুখী নম্য়া জয়াপ্রিয়সখী তথা |
অনাদিনিধনা প্রেষ্ঠা চিত্রমাল্য়ানুলেপনা || 145||
কোটিচন্দ্রপ্রতীকাশা কূটজালপ্রমাথিনী |
কৃত্য়াপ্রহারিণী চৈব মারণোচ্চাটনী তথা || 146||
সুরাসুরপ্রবন্দ্য়াঙ্ঘ্রির্মোহঘ্নী জ্ঞানদায়িনী |
ষড্বৈরিনিগ্রহকরী বৈরিবিদ্রাবিণী তথা || 147||
ভূতসেব্য়া ভূতদাত্রী ভূতপীডাবিমর্দিকা |
নারদস্তুতচারিত্রা বরদেশা বরপ্রদা || 148||
বামদেবস্তুতা চৈব কামদা সোমশেখরা |
দিক্পালসেবিতা ভব্য়া ভামিনী ভাবদায়িনী || 149||
স্ত্রীসৌভাগ্য়প্রদাত্রী চ ভোগদা রোগনাশিনী |
ব্য়োমগা ভূমিগা চৈব মুনিপূজ্য়পদাম্বুজা |
বনদুর্গা চ দুর্বোধা মহাদুর্গা প্রকীর্তিতা || 15০||
🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺
ফলশ্রুতিঃ
🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺
ইতীদং কীর্তিদং ভদ্র দুর্গানামসহস্রকম |
ত্রিসন্ধ্য়ং য়ঃ পঠেন্নিত্য়ং তস্য় লক্ষ্মীঃ স্থিরা ভবেত || 1||
গ্রহভূতপিশাচাদিপীডা নশ্য়ত্য়সংশয়ম |
বালগ্রহাদিপীডায়াঃ শান্তির্ভবতি কীর্তনাত || 2||
মারিকাদিমহারোগে পঠতাং সৌখ্য়দং নৃণাম |
ব্য়বহারে চ জয়দং শত্রুবাধানিবারকম || 3||
দম্পত্য়োঃ কলহে প্রাপ্তে মিথঃ প্রেমাভিবর্ধকম |
আয়ুরারোগ্য়দং পুংসাং সর্বসম্পত্প্রদায়কম || 4||
বিদ্য়াভিবর্ধকং নিত্য়ং পঠতামর্থসাধকম |
শুভদং শুভকার্য়েষু পঠতাং শৃণুতামপি || 5||
য়ঃ পূজয়তি দুর্গাং তাং দুর্গানামসহস্রকৈঃ |
পুষ্পৈঃ কুঙ্কুমসম্মিশ্রৈঃ �� তু য়ত্কাঙ্ক্ষতে হৃদি || 6||
তত্সর্বং সমবাপ্নোতি নাস্তি নাস্ত্য়ত্র সংশয়ঃ |
য়ন্মুখে ধ্রিয়তে নিত্য়ং দুর্গানামসহস্রকম || 7||
কিং তস্য়েতরমন্ত্রৌঘৈঃ কার্য়ং ধন্য়তমস্য় হি |
দুর্গানামসহস্রস্য় পুস্তকং য়দ্গৃহে ভবেত || 8||
ন তত্র গ্রহভূতাদিবাধা স্য়ান্মঙ্গলাস্পদে |
তদ্গৃহং পুণ্য়দং ক্ষেত্রং দেবীসান্নিধ্য়কারকম || 9||
এতস্য় স্তোত্রমুখ্য়স্য় পাঠকঃ শ্রেষ্ঠমন্ত্রবিত |
দেবতায়াঃ প্রসাদেন সর্বপূজ্য়ঃ সুখী ভবেত || 1০||
ইত্য়েতন্নগরাজেন কীর্তিতং মুনিসত্তম |
গুহ্য়াদ্গুহ্য়তরং স্তোত্রং ত্বয়ি স্নেহাত প্রকীর্তিতম || 11||
ভক্তায় শ্রদ্ধধানায় কেবলং কীর্ত্য়তামিদম |
হৃদি ধারয় নিত্য়ং ত্বং দেব্য়নুগ্রহসাধকম || 12|| ||
ইতি শ্রীস্কান্দপুরাণে স্কন্দনারদসংবাদে দুর্গাসহস্রনামস্তোত্রং সম্পূর্ণম |
🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺
0 notes