Tumgik
#অপরাধ প্রমাণ হলে
adarshanari · 2 years
Text
সি সি ক্যামেরা ও ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে যিনা প্রমাণের বিধান
☞ প্রশ্নঃ মুহতারাম মুফতী শামী হাফিযাহুল্লাহ ! আমার এক প্রতিবেশী যিনা করে এবং জনৈক ব্যক্তি গোপনে মোবাইলের মাধ্যমে তা ভিডিও ধরন করে এবং পাশের সি সি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বিষয়টি আরও নিশ্চিত হই৷ জানার বিষয় হলো বর্তমান ডিজিটাল যোগে সি সি ক্যামেরার ফুটেজ বা ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে যিনা প্রমানিত হবে কিনা? শরয়ী সমাধান জানালে কৃতজ্ঞ হবো! ☞ উত্তরঃ بسم الله الرحمن الرحيم শরীয়তে যিনা প্রমানিত হওয়ার জন্য শর্ত…
View On WordPress
#অপরাধ প্রমাণ হলে#অপরাধীরা যেখানে অপরাধ করে সেখানেই প্রমাণ রেখে যায়!#অসামাজিক কাজ#আল্লাহ যেভাবে বান্দার অপরাধ প্রমাণ#এয়ারপোর্টে যাত্রী হয়রানি#কি করলে মোবাইলের ব্যাটারি বেশিদিন চলবে#ক্যামেরায় ধরা না পড়লে বিশ্বাস করতেন না আপনিও#ক্যামেরায় রেকর্ড অসামাজিক ঘটনা#গোপন ভিডিও পার্কের ভেতর অসামাজিক কার্যকলাপ রমমমা দেহ ব্যবসা#পার্কে অসামাজিক কাজ#পার্কে অসামাজিক কার্যকলাপে#পার্কের মধ্যে অসামাজিক কাজ হচ্ছে#প্রেমের কষ্ট#ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে রাবি ছাত্রের আত্মহত্যা#ফোনের ব্যাটারি ভালো রাখার জন্য কি কি করা উচিত#ফ্লাট বাসায় চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ#বাস থেকে নামার পর ধর্ষণের শিকার ঢাবি ছাত্রী#বিমানবন্দরের প্রস্তুতি#ব্যাটারি খারাপ কেন হয়#ভারতের বাধায় পালিয়ে যায় বিমান#ভিডিও#যাত্রী হয়রানী#রেস্টুরেন্টে অসামাজিক কাজ#লিফটের ভিতরে অসামাজিক কর্মকান্ড#সামাজিক পার্কে অসামাজিক কাজ দেখুন#সিনহা হ ত্যা মামলার সব আসামির অপরাধ প্রমাণ হয়েছে#সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়া আজব ঘটনা#স্মার্ট ফোন হ্যাক#হোটেলে অসামাজিক কাজ
0 notes
mdmoinulislam · 4 years
Text
ধর্ষণের সাজা কোন দেশে কেমন?
ধর্ষণ একটি সামাজিক অপরাধ। পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশেই এ অপরাধের কঠোর শাস্তির বিধান আছে।
তারপরও এ অপরাধ পৃথিবীর অনেক দেশেই মহামরির আকার ধারণ করেছে। সম্প্রতি আমাদের দেশেও ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে গেছে অনেকটাই।
আমাদের দেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
পৃথিবীর অন্য কয়েকটি দেশে এই অপরাধের সাজা কী তা জেনে নেওয়া যাক।  
সংযুক্ত আরব আমিরাত যদি কারো বিরুদ্ধে ধর্ষণের অপরাধ প্রমাণিত হয়, তাহলে দেশটিতে সাত দিনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
চীন চীনে ধর্ষকের জন্য বরাদ্দ শাস্তি হলো মৃত্যুদণ্ড। তবে এই শাস্তি নিয়ে বিরোধিতাও রয়েছে। কারণ, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর অভিযুক্ত নির্দোষ ছিল এমনও দেখা গেছে। আরেকটি শাস্তি রয়েছে পুরুষাঙ্গচ্ছেদ।
ফ্রান্স ধর্ষণের শাস্তি ১৫ বছরের কারাদণ্ড। তবে ঘটনায় ক্ষতি ও নৃশংসতার বিচারে তা ৩০ বছর পর্যন্ত বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও হতে পারে।
সৌদি আরব ধর্ষণে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে শাস্তি প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদ। তবে তার আগে দোষীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করা হয়।
উত্তর কোরিয়া ফায়ারিং স্কোয়াডে দাঁড় করিয়ে গুলি করে অপরাধীর বুক ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়।
আফগানিস্তান আদালত রায় দেওয়ার চারদিনের মধ্যে অভিযুক্তকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয় কিংবা ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।  
মিসর দেশটিতে এখনও অনেক অপরাধে মধ্যযুগীয় শাস্তির প্রথা থাকলেও ধর্ষণের শাস্তি ফাঁসি।
ইরান ইরানেও ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। ফাঁসি অথবা প্রকাশ্যে পাথর মেরে তা কার্যকর করা হয়।
ইসরায়েল দোষ প্রমাণ হলে ১৬ বছরের কারাদণ্ড। সে দেশে ধর্ষণের সংজ্ঞা কিছুটা বর্ধিত। অন‌্য যৌন নির্যাতনও এর অন্তর্ভুক্ত।
যুক্তরাষ্ট্র স্টেট ও ফেডারেল আইন অনুযায়ী ধর্ষণের বিচার ভিন্ন। ফেডারেল আইন অনুযায়ী দোষীর সাজা কয়েক বছরের কারাদণ্ড থেকে যাবজ্জীবনও হতে পারে।
রাশিয়া ধর্ষকের তিন থেকে ছয় বছরের কারাদণ্ডের বিধান আছে রাশিয়ায়। তবে পরিস্থিতির বিচারে তা ১০ বছর পর্যন্ত হতে পারে। যদি ধর্ষকের আচরণ অত‌্যন্ত নৃশংস হয়ে থাকে, তবে ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
নরওয়ে সম্মতি ছাড়া যে কোনো যৌনতা ধর্ষণের মধ্যে পড়ে। নৃশংসতা অনুযায়ী দোষীর তিন থেকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড হয়।
মঙ্গোলিয়া ধর্ষিতার পরিবারের হাত দিয়ে ধর্ষককে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় দেশটিতে।
1 note · View note
paathok · 2 years
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/149405
চসিকের দোকান বরাদ্ধের অনিয়ম: দুদকের মামলায় খালাস পেলেন আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২০ জন
.
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্মিত ২৩টি দোকান প্রভাব খাটিয়ে বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলা থেকে আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২০ জনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (১ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আব্দুল মজিদ তাদের অব্যাহতির এ আদেশ দেন।
মৃত্যুবরণ করায় এর আগে মামলার এজাহারের প্রধান আসামি সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
মামলার সকল আসামি অব্যাহতি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী। তিনি বলেন, এ মামলায় মোট আসামী ছিল ২৪ জন। সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী মৃত্যুর কারণে মামলা থেকে অব্যাহতি পান। দুদক চার্জশীর্ট প্রধানকালে আরও ৩জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে। বাকি ২০ জনের দুদক আদালতে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। তাই আমরা আদালতের কাছে সম্পূরক চার্জশিটভুক্ত সব আসামিকেই বেখসুর খালাস চেয়ে আবেদন করলে আদালত সবাইকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, নগরীর মুরাদপুরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্মিত ২৩টি দোকান ১৯৯৭ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়। পত্রিকায় টেন্ডার ছাড়া, যাচাইবাছাই ছাড়া দোকানগুলো বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগে ২০০২ সালের ১৩ অক্টোবর কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা করে দুদক।
দুদকের তৎকালীন পরিদর্শক স���মছুল আলম বাদি হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় তৎকালীন মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ ২৪ জনকে আসামি করা হয়। মামলার বাদী প্রথমে আদালতে সাক্ষ্য স্মারক জমা দেন। পরে সামছুল আলম বদলি হলে মামলাটি দুদকের আরেক পরিদর্শক মো. মবিনুল ইসলাম তদন্ত করে তিনিও আদালতে সাক্ষ্য স্মারক জমা দেন।
মবিনুল ইসলামের সাক্ষ্য স্মারকে উল্লেখ করা হয়, মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী উক্ত দোকান ইজারা সংক্রান্ত পত্রিকায় কোন বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেননি। প্রতিটি আবেদনপত্রের ওপর নিজের মনগড়া দোকানের মূল্য ও মাসিক ভাড়া নির্ধারণ পূর্বক লিখিত বরাদ্দ আদেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে আরেক পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম আগের দুই তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য স্মারক পর্যালোচনা করে ২০০৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
এরপর মহিউদ্দিন চৌধুরীর রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত ২০০৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মামলাটির কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ দেন। পরবর্তীতে ২০১২ সালের ৬ ডিসেম্বর রিট পিটিশন সংক্রান্ত রুল খারিজ করে দিয়ে মামলার কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেন হাইকোর্ট। এরপর মামলাটির বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট আদালত। আদালতের নির্দেশে দুদক প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযোগ পত্রে কেবিএম সিরাজ উদ্দিন, হাফেজ আহমদ ও খায়রুল আনোয়ার মৃত্যুবরণ করায় তাদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন জানানো হয়। এর আগে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী মারা যাওয়ায় ২০১৮ সালের ৩০ মে আদালত তাঁকে অব্যাহতি প্রদান করেন। পরে এজাহার নামীয় ২০ জন আসামি মূল বেনিফিশিয়ারি হিসেবে ২০টি দোকানের পজিশন গ্রহণ করে ১৯৪৭ সনের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অপরাধের সাথে পরস্পর যোগসাজশে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন চেয়ে প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন দেন তদন্ত কর্মকর্তা।
মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া ব্যাক্তিরা হলেন- নগরীর সুগন্ধা আবাসিক এলাকার মৃত ফারুক আহমদ চৌধুরীর ছেলে মো. জাহেদুল আলম চৌধুরী, পাঁচলাইশ থানাধীন সোনাপুর এলাকার মৃত আহমদ হোসেন চৌধুরীর ছেলে খোরশেদ আলম চৌধুরী, গরীবউল্লাহ শাহ হাউজিং সোসাইটির মৃত নবাব মিয়া চৌধুরীর ছেলে বখতিয়ার উদ্দিন খান, নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির এম এ মজিদের ছেলে এ এম মাইনুল হক ও তার স্ত্রী নাজনীন সুলতানা, লালখান বাজার চাঁনমারী রোড এলাকার বদিউল আলমের ছেলে মোবারক উল্লাহ, পাঁচলাইশের নাজিরপাড়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা দাম্মাপুকুর পাড়ের মো. ছায়দুল হকের ছেলে নেজামুল হক, মুরাদপুর এলাকার শাহজাহান খন্দকারের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম, হাটহাজারীর ফরহাদাবাদ মুহুরী বাড়ির (বর্তমানে ১নং দক্ষিণ খুলশী) মৃত নুর হোসেনের ছেলে মো. ইউনুস, পাঁচলাইশের মুরাদপুর পিলখানা এলাকার মৃত মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে শেখ সরওয়ার্দী, দামপাড়া পল্টন রোডের মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী, লোহাগাড়ার চুনতি মুন্সেফ বাজার সিকদার পাড়া এলাকার মৃত একরামুল হকের ছেলে মো. এরশাদুল হক, খুলশী থানাধীন জাকির হোসেন রোড, পূর্ব নাসিরাবাদের মৃত আবদুর রহমান ভূঁইয়ার স্ত্রী হাসিনা ভূঁইয়া, পাঁচলাইশের ওআর নিজাম রোডের মেহেদীবাগ এলাকার মৃত হাজী দুদু মিয়ার স্ত্রী নুর নাহার বেগম, কোতোয়ালী থানাধীন হরেশ চন্দ্র মুন্সেফ লেইনের আবুল খায়েরের ছেলে হাসান মুরাদ, পাঁচলাইশ থানাধীন খতিবের হাট এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে দিদারুল ইসলাম, এনায়েত বাজার এলাকার নুরুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, পটিয়ার মুন্সেফ বাজার এলাকার আবুল হাশেমের স্ত্রী গোলমান আরা বেগম, বাকলিয়া ডিসি রোডের মো. শহিদুল আলমের স্ত্রী আঞ্জুমান আরা বেগম মিনু ও ফেনী সদর থানার শিলুয়া গ্রামের মুন্সী মিয়ার ছেলে মাহবুব মিন্টু।
0 notes
kalernouka · 3 years
Text
ভানুমতীর খেল
ভানুমতীর খেল
চীনের করোনা ভাইরাস আর ভারতে ব্যাঙ্ক লুঠের ভাইরাস। আইএল অ্যাণ্ড এফএস, ডিএইচএফএল এর মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পর পিএমসি ব্যাঙ্ক। এবার ইয়েস ব্যাঙ্ক। এই প্রতিষ্ঠানগুলিই শুধু নয়, পাঞ্জাব ন্যাশানাল ব্যাঙ্কসহ আরও বহু সরকারী ব্যাঙ্ক থেকেও হাজার হাজার কোটি টাকা লুঠ হয়ে গিয়েছে বিগত ছয় বছরে। বস্তুত ব্যাঙ্ক লুঠের এই ঘটনাগুলি কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সুপরিকল্পনা প্রসূত সংগঠিত অপরাধ। আর দেশবাসীর নজরকে এই অপরাধের দিক থেকে সরিয়ে রাখার জন্যই দেশব্যাপি এনআরসি সহ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ইত্যাদি সামনে নিয়ে আসা। জনতাকে নিরন্তর সরকারী লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখতে পারলে, জনতা কিন্তু সরকারের কাছে তার কাজের কৈফিয়ত দাবি করার অবসর পাবে না। সরকার সেকথা খুব ভালো ভাবেই জানে। আর সেই ফাঁকে একের পর এক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাঙ্ক থেকে আমানতকারীদের টাকা লুঠ হয়ে যেতেই থাকবে। এটাই এখন এদেশের অধুনিকতম ট্রেণ্ড। দেশের সরকারের প্রধান দায়িত্ব জনগণের ও দেশের সম্পত্তি রক্ষা করার। সরকার যদি সেই কাজকে প্রধান বলে মনে করে, তাহলে এইভাবে জনসম্পত্তি লুঠের কারবার চলতে পারে না। সরকারের নানান দপ্তর রয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির উপর নজরদারী চালানোর। সরকারী ব্যাঙ্কগুলির কর্তৃপক্ষের প্রধান দায়িত্ব রাষ্ট্রের অর্থাৎ জনতার স্বার্থ সুরক্ষিত রাখা। এরা এদের দায়িত্বগুলি ঠিকমত পালন করলেই কিন্তু কোনভাবে এইরকম অবাধে লুঠপাট চালানো যেত না। অর্থাৎ সর্ষের ভিতেরই ভুতের অধিষ্ঠান ঘটে গিয়েছে। সেকথা বুঝতে অর্থনীতির ণত্ব ষত্ব জানার দরকার নাই। সাধারণ জ্ঞান থাকাই যথেষ্ঠ। এখন দেখে নেওয়া যাক, সাম্প্রতিক ঘটনায় ইয়েস ব্যাঙ্কের আমানতকারীদের টাকা কার কার ঘরে গিয়ে উঠলো। সংবাদসূত্রে প্রকাশ ইয়েস ব্যাঙ্কের একত্রিশ হাজার কোটি টাকা উঠেছে অনিল আম্বানী গোষ্ঠীর ঘরে। অর্থাৎ এই পরিমান অর্থ ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠী সুদসহ আর ফেরত দেয়নি। সাধারণ গৃহস্থ ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে না ফেরত দিলে, ব্যাঙ্ক গৃহস্থের সম্পত্তি ক্রোক করে ঋণ উদ্ধারের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। করে বলেই ব্যাঙ্কে আমানতকারীদের অর্থ সুরক্ষিত থাকে। ব্যাঙ্কের ব্যাবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় না। এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু ব্যাঙ্ক অন্যান্য ঋণগ্রহীতার ক্ষেত্রে যে যে ব্যবস্থা নেয় অনিল আম্বানী গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে তার কিছুই গ্রহণ করেনি। ফলে অনাদায় ঋণের পরিমাণ বাড়তে বাড়তে ৩১ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছিয়ে গিয়েছে। কিন্তু ব্যাঙ্ক কেন এই অনাদায় ঋণ উদ্ধারের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি? এই প্রশ্ন করার কোন অর্থই হয় না। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে। কারণ ভারতবাসী মাত্রেই জানে, সরকারী ক্ষমতায় অধিষ্ঠত রাজনৈতিক দলের নেতা মন্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর আত্মীয়তার কথা। এই প্রসঙ্গে রাফায়েল দূর্নীতির অভিযোগই এই আত্মীয়তার প্রমাণ। ফলে এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা কোন ব্যঙ্কের পক্ষেই নেওয়া সম্ভব নয়। তাতে ব্যাঙ্ক পথে বসলেও। এরপর আছে এসেল গোষ্ঠী। তার নেওয়া ঋণের পরিমাণ তিনহাজার তিনশো কোটি টাকা। এই গোষ্ঠীর নামও সরকারী দলের সাথে জড়িয়ে থাকে। এছাড়া অন্যান বড়ো বড়ো যে কোম্পানীগুলি ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আর শোধ করেনি, তার সামগ্রিক পরিমাণ প্রায় আরও ১৬ হাজার কোটি টাকা। একথা অনুমান করতে কষ্ট হয় না, বাকি প্রতিষ্ঠানগুলিও সরকারের গুড বুকে থাকায়, এইভাবে সংগঠিত ভাবে ব্যাঙ্কলুঠ সম্ভব হয়েছে। না এই লুঠ এখানেই শেষ হয়ে যাবে না। নানান বেশে নানাবিধ উপায়ে এই লুঠ অবাধে চলতেই থাকবে। থাকবে, কারণ দেশবাসীকে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের রাজনীতি, নাগরিকত্ব থাকা না থাকা, হুজুগে জাতীয়তাবাদ ইত্যাদি নানান উপায়ে বশীভুত করে ব্যস্ত রাখা হয়েছে। আর সংগঠিত ব্যাঙ্ক লুঠের কার্যকলাপ চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ভাবে। বিগত ছয় বছরে সরকারী বেসরকারী ব্যাঙ্কসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে অবাধে লুঠপাট চালিয়ে দেশবাসীর আমানত করা লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা হাতে গোনা কয়েকজন শিল্পপতির পকেটে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। খবরে প্রকাশ এইরকম আঠাশ জন শিল্পপতির ভিতর সাতাশজনই গুজরাটী। আর তখনই মূল অঙ্কটা বুঝতে অসুবিধে থাকার কথা নয়। যদি প্রকৃত অর্থেই দেশকে ভালোবাসা যায়। বা দেশপ্রেমিক হওয়া যায়। দেশব্যাপি দেশপ্রমের হুজুগে সাম্প্রদায়িক স্লোগান তুলে দিয়ে তলায় তলায় এহেন দেশবিরোধী চক্রান্তগুলি চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিণামেই একের পর এক ব্যাঙ্ক সহ নানান আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পথে বসে যাওয়ার মতো ঘটনাগুলি ঘটা সম্ভব হচ্ছে। এবং এই সংগঠিত অপরাধ এই গতিতে চলতে থাকলে, অচিরেই দেশের সামগ্রিক অর্থ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়তে বাধ্য। তার সরাসরি প্রভাবে দেশব্যাপি তুমুল অস্থিরতা ও হাহাকার শুরু হয়ে যাবে। সাধারণ দৈনন্দিন জীবনে নেমে আসবে সাংঘাতিক বিপর্যয়। এখানে দেশের সরকারের ভুমিকাই আসল। সরকার এইভাবে অবাধে ব্যাঙ্ক লুঠের প্রতিকারের বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে জানা যায়নি। উল্টে আমানতকারীদের সম্পূর্ণ আমানতের জামিনদার হওয়ার দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলে দিতে চেয়ে ব্যাঙ্ক
লুঠ যজ্ঞে আরও উৎসাহিত করে তুলছে সংশ্লিষ্ট পক্ষ���ুলিকে। যার জন্যে ইতিমধ্যেই অনেক ব্যাঙ্ক আমানতকারীদের আমানতের মাত্র এক লক্ষ টাকার জামিনদার থাকার কথা ঘোষণাও করছে। এর বেশি আমানত করা টাকার বিষয়ে ব্যাঙ্ক আর সুরক্ষা দিতে পারবে না। এমনটাই দিনে দিনে সরকারী বেসরকারী প্রতিটি ব্যাঙ্কেই নিয়ম হয়ে যাবে নাকি। ফলে কোন ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রাখা টাকার পরিমাণ এক লক্ষের বেশি হলে, তার ভিতর মাত্র একলক্ষ টাকাই আমানতকারীকে ফেরত দিতে দায়বদ্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক। যেভাবেই হোক ব্যাঙ্ক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়লে, বাকি টাকা ফেরতের নিশ্চয়তা দেবে না আর ব্যাঙ্ক। এটাই কিছুদিনের ভিতর ভারতবর্ষের ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের প্রকৃতি হয়ে উঠতে চলেছে। কিন্তু ঋণখেলাপির এই সংগঠিত চক্রান্ত প্রতিরোধে সরকারের কোন আগ্রহও দেখা যাচ্ছে না। ব্যাঙ্ক লুঠের এই চক্রান্তে একের পর এক গালভরা নাম উঠে এসেছে। নীরব মোদী, মেহুল চেসস্কি, বিজয় মাল্য, ললিত মোদী। এঁরা অবশ্য সরকারের গুডবুকে থাকার সৌজন্যে দেশ ছেড়ে নিরাপদে পালিয়ে যেত সক্ষম হয়েছেন সহজেই। এবং তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনযাপনের বিলাসিতায় মহা সুখেই রয়েছেন বলে শোনা যায়। আইন এদের নাগাল পায় না। পাবে না। কিন্তু বাকিরা দেশে থেকেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। সরকারকে নানা ভাবে প্রভাবিত করে নিজেদের সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি করে নিচ্ছেন দিনে দিনে। দেশের অর্থনীতির উপর এ এক মহা সুনামি আছড়ে পড়েছে গত ছয় বছর যাবত। ছয় বছর আগে কোন ব্যাঙ্ক লুঠ হয় নি কোনদিন তা নয়। কিন্তু ব্যাঙ্ক লুঠের এই মহা সুনামি দেশবাসীকে ছয় বছর আগে কখনো দেখতে হয় নি। এখানেই বিষয়ের গুরুত্ব। যে কোন অর্থনীতিবিদই বুঝতে পারবেন, বিগত ছয় বছরে সরকারী ব্যাঙ্কিং সেকটরে সরকার গৃহীত নীতিমালাগুলি কাদের স্বার্থ সুরক্ষিত করে চলেছে। সাধারণ জনগণের ব্যাঙ্কের আমানতের উপর দিনে দিনে আমানতকারীদের প্রাপ্য সুদের হার কমিয়ে দিয়ে সরকার কিভাবে জনতার স্বার্থ রক্ষা করছে, সেটিও বিগত ছয় বছরে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফলে সরকার ও সরকারী নীতিমালা কাদের স্বার্থ সুরক্ষায় রক্ষাকবচ হয়ে জনগনের কষ্টের গচ্ছিত টাকা লুঠে উৎসাহ দিয়ে চলেছে, সেটি বুঝতেও অর্থনীতির ণত্ব ষত্ব জানার বিশেষ দরকার আছে বলে মনে হয় না। অর্থনৈতিক মন্দার গল্প বলে সরকারও দিব্বি অবস্থা সামাল দিয়ে চলেছে। আর তাতেও না হলে একদিকে দেশভক্তি ধর্মীয় উন্মাদনা সাম্প্রদায়িক উষ্মা ছড়িয়ে দেশবাসীকে বিচ্ছিন্ন ও বিভ্রান্ত করে রাখা ও অন্যদিকে জনগণকে নিজের নাগরিকত্ব রক্ষায় লাইনে দাঁড় করিয়ে দিয়ে বিপর্যস্ত করে রাখার বন্দোবস্ত তো আছেই। এইভাবে সারাদেশের অর্থ সম্পদ হাতে গোনা মুষ্টিমেয় জনা কয়েক মানুষের পকেটে এনে ফেলার খেলা চলছে বিগত ছয় বছর। এবং এই খেলা চলতে চলতে জনগণের উপর নেমে আসবে তুমুল আর্থিক বিপর্যয়। অবধারিত সেই বিপর্যয় থেকে জনগণের পরিত্রাণের কোন উপায় আপাতত দেখা যাচ্ছে না। ৭ই মার্চ ২০২০
0 notes
khutbahs · 3 years
Link
আল আকসা জেরুজালেম কখনো ছেড়ে দেব নাঃ ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত
ফিলিস্তিনে যা হচ্ছে তা ভয়ংকর নৃশংসতা, মানবতাবিরোধী অপরাধ। এগুলো হচ্ছে একুশ শতকে একটি শান্তিকামী জাতির বিরুদ্ধে, যারা ৭৩ বছর ধরে দখলদারির শিকার হচ্ছে। এটি ‘এথনিক ক্লিনজিং’ (জাতিগত নির্মূল)। এটি থামাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যথেষ্ট ভূমিকা রাখছে না। এরই মধ্যে এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। তাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। আমাদের জনগণের ওপর হামলা চালানোর দায়ে ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত। আমাদের জনগণের ওপর নৃশংসতা বন্ধ করতে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরো চাপ সৃষ্টি করা উচিত।
আমি বিশ্বাস করি, দখলদার ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের কাছে ফিলিস্তিনের জনগণের বা অন্য কারো অনুভূতির কোনো মূল্য নেই। পবিত্র রাত লাইলাতুল কদরে তারা পবিত্র মসজিদুল আকসায় নামাজরত ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ থেকে স্পষ্ট যে আমাদের পবিত্র এ মাসের ব্যাপারেও তাদের কোনো অনুভূতি নেই। মানবতার প্রতি তাদের কোনো দায় নেই। এ থেকে এটাও স্পষ্ট যে মুসলিম উম্মাহকে টিকে থাকতে হলে অবশ্যই এগুলো রুখে দাঁড়াতে হবে। ফিলিস্তিন ও তার জনগণ মুসলিম উম্মাহর পক্ষে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। জেরুজালেম শুধু ফিলিস্তিনের নয়, সারা বিশ্বের মুসলমানের। এই সেই আল-আকসা মসজিদ যেখানে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর আরশ থেকে অবতরণ করেছিলেন। সেই স্থান অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। ওই স্থান রক্ষা করা বিশ্বের প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব।
ইসরায়েল কেন এটি করছে তা আমরা বুঝতে পারি। অপরাধী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ইসরায়েলে সরকার গঠনে সমস্যার মুখে পড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের জনগণের কাছে ‘নায়ক’ হওয়ার জন্য তিনি আমাদের জনগণের ওপর হামলা চালাচ্ছেন। তিনি প্রমাণ করতে চান যে ফিলিস্তিনের জনগণকে পদাবনত করার, সংগ্রাম থামিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা তাঁর আছে। তিনি তাঁর জনগণকে দেখাতে চান যে ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে তিনি সক্ষম। কিন্তু সে ভাবনা ভুল। ফিলিস্তিনের জনগণ কখনো তাদের ভূমি ছেড়ে দেবে না। আমরা কখনো আল-আকসা, জেরুজালেম ছেড়ে দেব না।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে হাতে গোনা কয়েকটি টিভি চ্যানেল ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি প্রচার করছে। সেগুলোর মধ্যে আলজাজিরা, লেবাননের আল-মায়াদিন উল্ল��খযোগ্য। তারা দেখাচ্ছে কী ধরনের নৃশংসতা হচ্ছে। ইসরায়েল টিভি অফিসে হামলা চালিয়ে এই বার্তাই দিতে চেয়েছে যে তাদের নৃশংসতার খবর বিশ্বকে দেখানো যাবে না। এই হামলা কেবল আলজাজিরার ওপর নয়, সব গণমাধ্যমের ওপর।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভূমিকা দুর্ভাগ্যজনক। এটি যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের প্রশাসনের মনোভাবেরই বহিঃপ্রকাশ। যখন বাইডেন ক্ষমতায় এসেছিলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প বিদায় নিয়েছিলেন আমরা খুশি হয়েছিলাম। বাইডেনকে নিয়ে আমাদের অনেক আশা ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা দেখতে পাচ্ছি, তিনি আমাদের জনগণকে হত্যা করতে ইসরায়েলকেই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। বাইডেন বলেছেন, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। কিন্তু এটি কী ধরনের আত্মরক্ষা? এটি আগ্রাসনকে সমর্থন করা। বাইডেনের কাছে আমার প্রশ্ন, কিভাবে আপনি দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংসতার বদলে ফিলিস্তিনের জনগণের আত্মরক্ষার সংগ্রামের নিন্দা জানান? এটি দ্বিচারিতা ও অগ্রহণযোগ্য।
হামাস ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিরোধ সংগ্রামের বড় শক্তি। বিশ্বের যেখানেই দখলদারিত্ব হয়েছে তখন তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশও তার স্বাধীনতার জন্য প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। সমস্যা হামাস সৃষ্টি করেনি। সমস্যার মূলে দখলদারি। হামাস হলো ‘রিঅ্যাকশন’। আমাদের উচিত, ‘অ্যাকশন’ নিয়ে কাজ করা। আর ওই ‘অ্যাকশন’ এসেছে ইসরায়েলিদের কাছ থেকে। নিজের, জনগণের ও ভূমির জন্য কাজ করার অধিকার অবশ্যই হামাসের আছে।
ফিলিস্তিন প্রশ্নে বাংলাদেশের, বাংলাদেশি ভাই-বোনদের অবস্থানের আমরা ভূয়সী প্রশংসা করি। আপনাদের সমর্থন, সহযোগিতা ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার শক্তি জোগাবে। ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশিদের অনেকে দূতাবাসে অর্থ সহায়তা দিচ্ছেন, কেউ ওষুধ দিচ্ছেন। এমনটি বিশ্বে খুব কমই দেখা যায়।
ইউসেফ রামাদান : বাংলাদেশে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত  ,
0 notes
md-miton-islam · 3 years
Photo
Tumblr media
আল জাজিরার নগ্ন বাংলাদেশ বিরোধিতা Flash Back 2014 BanglaNews24.com যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ধারাবাহিক নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করে আসছে কাতারি রাজ পরিবারের মালিকানাধীন টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা। আল জাজিরায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংক্রান্ত যে কোনো সংবাদ উপস্থাপনের ধরন দেখে মনে হয় তাদের মূল উদ্দেশ্যই থাকে বিচারপ্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। বিশেষ করে একাত্তরের মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া এগুনোর সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে তাদের অপপ্রচারের মাত্রা। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই বিচারকে প্রহসন হিসেবে উপস্থাপন করে একাত্তরের কুখ্যাত ও চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের ‘ভালো মানুষ‘ সাজিয়ে তাদের ‘ইমেজ বিল্ডআপ’ এরও একটি চেষ্টা দেখা গেছে আল জাজিরার সাম্প্রতিক সময়ের বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে। ২০১৩ সালের ২৫ অক্টোবর ‘দি পলিটিকালাইজেশন অব বাংলাদেশ‍স ওয়ার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল’ শীর্ষক প্রতিবেদনে তালহা আহমেদ নামের একজন প্রতিবেদক বাংলাদেশের চলমান যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা করেন। ওই প্রতিবেদনে একাত্তরের পাকসেনাদের দোসর জামায়াতে ইসলামীর প্রতি আল জাজিরার ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিই প্রমাণ দেয় দলটির সঙ্গে তাদের সম্পর্কের বিষয়টির। সেখানে বলা হয়, ‘এমনিতেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি জটিল অবস্থায়- এর সঙ্গে আবার যুক্ত হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রায়। এতে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতন্ত্র অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে আরও। ’ প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে বিতর্কিত হিসেবে অভিহিত করা হয়। এছাড়া আল জাজিরার আরও বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে জামায়াতের পক্ষে সাফাই গাওয়া হয়। বিশেষ করে ‘বাংলাদেশ পলিটিশিয়ান অ্যাকিউজড অফ ওয়্যার ক্রাইম’ শীর্ষক প্রতিবেদনে প্রতিবেদক যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের পক্ষে সাফাই গান। সেখানে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সাবেক রাজনীতিবিদ গোলাম আযম ৪০ বছরেরও বেশি সময় আগে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচারের মুখোমুখি। ৮৯ বছর বয়সী গোলাম আযম হাঁটতে পারেন না, দেখতে পান না, এমনকি শুনতেও পান না। তা সত্ত্বেও ১০ জন সশস্ত্র পুলিশ কর্মকর্তা সার্বক্ষণিক তাঁকে পাহারা দিচ্ছেন। সম্প্রতি জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ এক শুনানিতে গোলাম আযম ও অন্য অভিযুক্তদের আটক করে রাখার বিষয়টিকে অযৌক্তিক ও আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী বলে অভিহিত করেছে। ‘ এভাবেই যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমকে নিতা��্ত ভালো মানুষ হিসেবে ‍উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয় আল জাজিরায়। এছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলে দেশ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে নিপতিত হবে বলেও তথ্য উপস্থাপন করে আল জাজিরা। https://www.instagram.com/p/CKwMVUYg8Gc/?igshid=6pwsmkr0nxr3
0 notes
rdsyousufkhawaja · 4 years
Link
সুওয়াল - মাসিক মদীনা সেপ্টেম্বর/৯৫ইং সংখ্যায় নিম্মবর্ণিত প্রশ্নোত্তর ছাপা হয়- প্রশ্নঃ- ভোটের সংজ্ঞা কি? শরীয়তের দৃষ্টিতে ভোট পাওয়ার উপযুক্ত কে? কোন ফাসেক ব্যক্তিকে ভোট দিলে কি রকম অপরাধ হবে? উত্তরঃ- ভোট অর্থ কোন ব্যক্তি সম্পর্কে তার যোগ্যতা ও বিশ্বস্ততার বিষয় সাক্ষ্য প্রদান করা। জাতির নিতান্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদনকল্পে কোন ব্যক্তিকে নির্বাচিত করার কাজটা ভোটের মাধ্যমেই সমাধা করা হয়। সেমতে ভোটরূপ সাক্ষ্যটি বিবেচনার সাথে প্রয়োগ করা অত্যান্ত জরুরী। যদি কেউ জেনেশুনে কোন চরিত্রহীন বা অযোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দেয়, তবে সে ব্যক্তি প্রথমতঃ একটি গুরুত্বপূর্ণ আমানতের খেয়ানত করলো, যা শরীয়তের বিচারে কবীরাগুণাহ্। দ্বিতীয়তঃ তার ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যতগুলো অন্যায় কাজ করবে, সেসব অন্যায়ের ভাগীদার ভোট দাতাকে হতে হবে। এ কারনে দ্বীন ও শরীয়তের পরিপূর্ণ মাত্রায় অনুগত নয়, এরূপ ব্যক্তিকে ভোট দেয়া ইসলামী শরীয়তে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এখন আমার প্রশ্ন হলো- উক্ত উত্তরে ভোটকে আমানত ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ বলে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। আর অযোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দেয়া আমানতকে খেয়ানত করা ও কবীরা গুণাহের কারণ বলা হয়েছে। উক্ত উত্তর কতটুকু শুদ্ধ হয়েছে, তা দয়া করে জানাবেন। জাওয়াব - মাসিক মদীনার উক্ত উত্তর সম্পূর্ণই কুফরী হয়েছে। কারণ হারাম কাজে উৎসাহিত করা, তাক্বীদ দেয়া ও হারাম কাজ না করাকে কবীরা গুণাহে আখ্যায়িত করা কুফরীর অন্তর্ভূক্ত। উত্তর তো সম্পূর্ণই কুফরী হয়েছে, আর প্রশ্নকারীর প্রশ্নও শুদ্ধ হয়নি। কারণ-  (১) গণতন্ত্র হচ্ছে- বিধর্মী (ইহুদী-নাসারা)দের প্রবর্তিত পদ্ধতি, যা আল্লাহ্ পাক-এর তরফ থেকে ওহীর দ্বারা নাযিলকৃত নয়। গণতন্ত্রের ইংরেজী হচ্ছে- উবসড়পৎধপু যা এসেছে গ্রীক উবসড়ং এবং কৎধঃড়ং থেকে। ‘ডেমস’ অর্থ জনগণ এবং ‘ক্রেটস’ অর্থ শাসন। আবার বাংলায় ‘গণ’ অর্থ জনগণ এবং ‘তন্ত্র’ অর্থ নিয়মনীতি বা পদ্ধতি। অর্থাৎ গণতন্ত্রে জনগণের নিয়ম-কানুন বা পদ্ধতি অনুযায়ী শাসন ব্যবস্থা বা সরকার পরিচালনা করা হয়।  অথচ আল্লাহ্ পাক তিনি সূরা মায়েদার ৪৯নং আয়াত শরীফে বলেন, “(হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি তাদের পারস্পরিক ব্যাপারে আল্লাহ্ পাক যা নাযিল করেছেন, সে অনুযায়ী ফায়সালা করুন এবং তাদের নফসের অনুসরণ করবেন না এবং তাদের থেকে সতর্ক থাকুন। মহান আল্লাহ্ পাক তিনি আপনার প্রতি যা নাযিল করেছেন, যেন তার কোন নির্দেশ থেকে তারা আপনাকে বিচ্যুত করতে না পারে বা কোন আদেশ সম্পর্কে ফিৎনায় ফেলতে না পারে। অতঃপর যদি তারা ফিরে যায়, তবে জেনে রাখুন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ্ পাক তিনি চেয়েছেন তাদেরকে তাদের কোন গুণাহের শাস্তি দিবেন এবং নিশ্চয়ই মানুষের মধ্যে অধিকাংশই ফাসেকের অন্তর্ভূক্ত।”  মহান আল্লাহ্ পাক তিনি সূরা বাক্বারার ১২০নং আয়াত শরীফে আরো বলেন, “(হে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলুন! নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার হিদায়েতই প্রকৃত হিদায়েত। আপনার কাছে ইল্ম (কুরআন শরীফ নাযিল হওয়ার ও ইসলাম) আসার পর যদি তাদের (বিধর্মীদের) নফ্সের (নিয়ম-পদ্ধতি) অনুসরণ করেন, তবে মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে আপনার জন্য কোন ওলী বা সাহায্যকারী নেই বা পাবেন না।” মহান আল্লাহ্ পাক তিনি সূরা মায়েদার ৪৪, ৪৫ ও ৪৭নং আয়াত শরীফে আরো বলেন, “মহান আল্লাহ্ পাক যা নাযিল করেছেন, সে অনুযায়ী যারা হুকুম বা ফায়সালা করে না, তারাই কাফির, জালেম ও ফাসেক।” উপরোক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রতীয়মান হয় যে, সর্বাবস্থায় মহান আল্লাহ্ পাক উনার হুকুম মোতাবেক আমল করতে হবে। অন্যথায় মহান আল্লাহ্ পাক উনার তরফ থেকে যেমন সাহায্য ও অভিভাবক পাওয়া যাবেনা, তদ্রুপ ঈমানদার হিসাবেও থাকা যাবেনা।  শরীয়তে অর্থাৎ ইসলামে গণতন্ত্রভিত্তিক আন্দোলন সম্পূর্ণই হারাম। যা মহান আল্লাহ্ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এর সূরা ইমরানের ১৯নং আয়াত শরীফে বলেন, “নিশ্চয়ই ইসলামই একমাত্র মহান আল্লাহ্ পাক উনার নিকট মনোনীত দ্বীন।” উক্ত সূরার ৮৫নং আয়াত শরীফে মহান আল্লাহ্ পাক তিনি আরো বলেন, “যে ব্যক্তি দ্বীন ইসলাম ব্যতীত অন্যকোন ধর্ম বা নিয়ম-নীতি তালাশ (অনুসরণ) করে, তার থেকে তা কখনই গ্রহণ করা হবেনা এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভূক্ত হবে।” মহান আল্লাহ্ পাক তিনি আরো বলেন, “তিনিই (আল্লাহ্ পাক) যিনি তার রসূল (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে হিদায়েত ও দ্বীনে হক্বসহ পাঠিয়েছেন, যেন সকল দ্বীনের উপর প্রাধান্য দান করেন। অর্থাৎ সকল দ্বীনের উপর প্রাধান্য দেন। আর সাক্ষ্যদাতা হিসেবে মহান আল্লাহ্ পাক তিনিই যথেষ্ট।” আর এ প্রসঙ্গে আহ্মদ ও বায়হাক্বী শরীফে হযরত জাবের রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণনা করা হয়েছে- তিনি বলেন, একদিন হযরত ওমর ফারুক আলাইহিস সালাম তিনি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমরা ইহুদীদের নিকট থেকে কিছু কথা শুনি, যাতে আর্শ্চয্যবোধ করি, তার থেকে কিছু কি আমরা লিখে রাখবো? তখন হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, “হে ছাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম! আপনারা কি ইহুদী-নাসারাদের মত (ইসলাম সম্পর্কে) দ্বিধাগ্রস্থ রয়েছে? নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য পরিপূর্ণ, উজ্জ্বল দ্বীন নিয়ে এসেছি। এমনকি ইহুদীদের নবী হযরত মুসা আলাইহিস সালামও যদি জীবিত থাকতেন, তবে উনার উপরও আমার দ্বীন মানা ওয়াজিব হতো।” উপরোক্ত আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর দ্বারা এ কথাই স্পষ্ট হয়ে উঠে যে, মহান আল্লাহ্ পাক উনার  নিকট একমাত্র ইসলামই গ্রহণযোগ্য, অন্যকোন ধর্ম বা নিয়ম-নীতি, পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য নয়। আর ইসলাম ব্যতীত অন্যকোন নিয়ম-নীতি গ্রহণ করার অর্থই হচ্ছে- ইসলাম সম্বন্ধে দ্বিধাগ্রস্থ হওয়া। আর মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যামানায় অন্য কোন নবী-রসূল আলাইহিস সালামগণও যদি হায়াতে থাকতেন, তাহলে উনাদের উপর মহান আল্লাহ্ পাক উনার তরফ থেকে নাযিলকৃত কিতাব অনুযায়ী আমল না করে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নির্দেশ মোতাবেক আমল করাই ওয়াজিব হতো। তাহলে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যারা সাধারণ উম্মত, তাদের পক্ষে এটা কি করে সম্ভব বা জায়েয হবে যে, তারা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর নাযিলকৃত দ্বীন ইসলামকে ত্যাগ করে ইহুদী-নাসারা, হিন্দু-বৌদ্ধ, মজুসী-মুশরিক তথা বিধর্মীদের মনগড়া প্রবর্তিত পদ্ধতি যেমন- গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, রাজতন্ত্র ইত্যাদি তন্ত্র-মন্ত্র ও মতবাদের অনুসরণ ও আমল করে এবং অন্যান্যগণকেও অনুসরণ ও আমল করার জন্য তাক্বীদ ও উৎসাহ প্রদান করে এবং এটাও বলে যে, তা (গণতন্ত্র ইত্যাদি) না করা কবীরা গুণাহের কারণ। একইভাবে ভোট প্রসঙ্গে বলা হয়েছে যে, “এটা আমানত- যা খেয়ানত করা কবীরা গুণাহের অন্তর্ভূক্ত।”   অথচ কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস যা আহ্লে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের দলীল। তার যেকোন একটা দিয়েও কোন ব্যক্তির পক্ষে ক্বিয়ামত পর্যন্ত এটা প্রমাণ করা সম্ভব হবেনা যে, গণতন্ত্রে প্রচলিত নির্বাচনে দেয় ভোট শরীয়তের দৃষ্টিতে আমানত। এটা বলা সম্পূর্ণ কুফরী হয়েছে। আরো বলা হয়েছে, ভোট সাক্ষ্যস্বরূপ। অথচ এটাও শরীয়তের দৃষ্টিতে সাক্ষ্যের অন্তর্ভূক্ত হয়না। তথাপিও যদি আমরা মাসিক মদীনার কথা মোতাবেক সাক্ষ্য হিসেবে ধরে নেই, তাতেও কুফরী হয়ে যায়। কেননা নির্বাচনে পুরুষ ও মহিলার ভোটের মান সমান বলে সাব্যস্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ গণতন্ত্রে মহিলার সাক্ষ্য, পুরুষের সাক্ষ্যের সমান বলে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। অথচ মহান আল্লাহ্ পাক তিনি সূরা বাক্বারার ২৮২নং আয়াত শরীফে বলেন, “তোমরা পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী দাঁড় করাও। যদি দু’জন পুরুষ না পাওয়া যায়, তবে একজন পুরুষ ও দু’জন মহিলার সাক্ষ্য গ্রহণ কর। অর্থাৎ ইসলামে দু’জন মহিলার সাক্ষ্য একজন পুরুষের সাক্ষ্যের সমান। কিন্তু গণতন্ত্রে একজন মহিলার সাক্ষ্য একজন পুরুষের সমান। যা সম্পূর্ণ কুরআন শরীফের আয়াত শরীফের খিলাফ। গণতন্ত্রই যেখানে হারাম, সেখানে কি করে কোন মুসলমানের পক্ষে কুরআন শরীফের আয়াত শরীফের খিলাফ আমল করার জন্য অন্যান্য মুসলমানদেরকে তাক্বীদ দেয়া ও উৎসাহিত করা যেতে পারে? উল্লেখ্য, ইসলামে গণতন্ত্র হারাম হওয়া সম্পর্কে আমরা কিছুদিন পূর্বে একটা হ্যান্ডবিল ছাপিয়েছিলাম, যা আল বাইয়্যিনাতের ২৬তম সংখ্যার সুওয়াল-জাওয়াব বিভাগে হুবহু ছাপানো হয়েছে, তা সংগ্রহ করে পড়ুন। আরো বিস্তারিত জানতে হলে অপেক্ষায় থাকুন অতি শীঘ্রই আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাতের ফতওয়া বিভাগে বিস্তারিত ফতওয়া প্রদান করবো ইন্শাআল্লাহ্। আবা-২৮ গণতন্ত্র করা হারাম ফতোয়া ।   লিংক- ১ .   https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post.html ২ .   https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_2.html ৩ .   https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_36.html ৪ .   https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_83.html ৫ .   https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_85.html ৬ .   https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_8.html ৭ .   https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_1.html ৮ .   https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_87.html ৯ .   https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_14.html ১০ .   https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_4.html ১১ .   https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_98.html ১২ .   https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_52.html ১৩ .   https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_42.html ১৪ .   https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_18.html ১৫ .   https://khawajarazi.blogspot.com/2020/03/blog-post_45.html
0 notes
paathok · 3 years
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/142146
আবারো পেছালো এস কে সিনহার রায়
.
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে করা ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের মামলার রায় আবারো পিছিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ছিল। কিন্তু বিচারক শেখ নাজমুল আলম রায়ের জন্য ৯ নভেম্বর নতুন তারিখ ধার্য করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, ‘রায় প্রস্তুত হয়নি। সে কারণে বিচারক নতুন তারিখ দিয়েছেন।’
আর ওই সময় পর্যন্ত ছয় আসামির জামিন বহাল রাখা হয়েছে বলে তাদের আইনজীবী মোঃ শাহীনুর ইসলাম অনি জানিয়েছেন।
এর আগে গত ৫ অক্টোবর এ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ থাকলেও বিচারক ছুটিতে থাকায় ২১ অক্টোবর নতুন তারিখ রাখা হয়েছিল। এখন তা আবার পিছিয়ে গেলো।
গত ২৯ আগস্ট আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন বিচারের মুখোমুখি হওয়া সাত আসামি। তারা আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।
এই সাতজন হলেন ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী), ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ লুৎফুল হক, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, টাঙ্গাইলের মোঃ শাহজাহান ও একই এলাকার নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা। তাদের মধ্যে বাবুল চিশতী কারাগারে আছেন, বাকিরা জামিনে।
সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা, ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়কে পলাতক দেখিয়ে এ মামলার বিচার চলে।
গত বছর ১৩ আগস্ট এই ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছিলেন ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম।
অভিযোগপত্রে নাম থাকা ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয় গত ২৪ আগস্ট। এরপর ১৪ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মোঃ শাহীনুর ইসলাম অনি সে সময় বলেছিলেন, মামলায় ২১ জনের সাক্ষ্য নেয়া হলেও তাদের জবানবন্দির মাধ্যমে অভিযোগ প্রমাণে ‘ব্যর্থ হয়েছে’ রাষ্ট্রপক্ষ।
জেরার সময় সাক্ষীরা তাদের বক্তব্যের সত্যতা প্রমাণ করতে পারেন নাই। তাই আশা প্রকাশ করছি এই মামলায় আসামিরা ন্যায় বিচার ও খালাস পাবেন।’
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেছিলেন, ‘আসামিদের অপরাধ প্রমাণে আমরা সক্ষম হয়েছি, তাই তাদের সর্বোচ্চ সাজা হবে বলে প্রত্যাশা করছি।’
দণ্ডবিধি, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের যেসব ধারায় এ মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, তাতে অপরাধ প্রমাণিত হলে আসামিদের সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন শাস্তি হতে পারে।
মৃত্যুদণ্ডের কোনো ধারা না থাকায় এস কে সিনহাসহ পলাতক আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবীকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিয়োগ দেয়া হয়নি।
0 notes
release-info · 5 years
Photo
Tumblr media
মূলপাতাঅপরাধ ভিডিও ও ছবি/ চট্টগ্রাম কারাগারের ৩২ নম্বর সেলে ‘ঠাণ্ডা মাথার খুনি’ অমিত মুহুরীকে কুপিয়ে খুন সংঘর্ষের সূচনা ইফতারের পর, ঘটনা গোপনের চেষ্টা হয়েছিল শুরুতে নিজস্ব প্রতিবেদক ৩০ মে ২০১৯ ২:৩৪ পূর্বাহ্ন মৃত্যুর আগে চমেক হাসপাতাল নিউরোসার্জারি বিভাগের ২৮ নং ওয়ার্ডের শয্যায় অমিত মুহুরী মৃত্যুর আগে চমেক হাসপাতাল নিউরোসার্জারি বিভাগের ২৮ নং ওয়ার্ডের শয্যায় অমিত মুহুরী 0 শেয়ার চট্টগ্রাম কারাগারে রাতে সংঘটিত এক সংঘর্ষে চট্টগ্রামের আলোচিত সন্ত্রাসী অমিত মুহুরী খুন হয়েছেন। ২৯ মে ইফতারের পরপরই চট্টগ্রাম কারাগারের ৩২ নম্বর সেলে এই ঘটনা ঘটেছে। হত্যামামলায় গ্রেপ্তার হয়ে অমিত মুহুরী দীর্ঘদিন ধরে কারাগারের ৩২ নম্বর সেলে ছিলেন। ওই সেলে আরেক সন্ত্রাসী রিপন নাথের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এতে একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় রিপন নাথ ধারালো অস্ত্র দিয়ে অমিত মুহুরীকে উপর্যুপরি আঘাত করলে তিনি গুরুতরভাবে আহত হন। এ সময় তার মাথা দিয়ে প্রচণ্ডভাবে রক্তপাত হচ্ছিল বলে চট্টগ্রাম কারাগারের অভ্যন্তরীণ সূত্রগুলো জানিয়েছে। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা ৩০ মে রাত ১টা ৪৫ মিনিটে অমিত মুহুরীকে মৃত ঘোষণা করেন। সংঘর্ষের সূচনা ইফতারের পর কারাগার সূত্রে জানা যায়, বুধবার ইফতারের পরই সন্ত্রাসী অমিতের সঙ্গে রিপন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। কী নিয়ে সংঘর্ষের সূচনা তা কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারেনি। এ সময় সন্ত্রাসী রিপন তার মাথায় অসংখ্য আঘাত করে। কারা কর্তৃপক্ষ শুরুতে নিজেদের বাঁচাতে ঘটনাটি আড়াল করার চেষ্টা করে। এতে প্রাথমিকভাবে কারাগারে চিকিৎসা দিয়ে গোপনে অমিতকে সুস্থ করার চেষ্টা চালান কারা হাসপাতালের চিকিৎসকরা। কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েই কারাগারে হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে চমেক হাসপাতালের নেওয়ার পরামর্শ দেন। কারাগার থেকে অমিতকে রাত ১১টায় বের করা হয়। আর ততক্ষণে অমিতের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে মাথায় ৩০টি সেলাই অমিত মুহুরীর মাথায় প্রায় ৩০টি সেলাই করা হয়। অমিত মুহুরীর মাথায় প্রায় ৩০টি সেলাই করা হয়। চট্টগ্রাম কারাগারের জেলার নাছির উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘অমিত মুহুরী দীর্ঘদিন ধরে কারাগারের ৩২ নম্বর সেলে ছিলেন। ওই সেলে থাকা অপর আসামি রিপন নাথের সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে অমিতকে আঘাত করলে সে গুরুতর আহত হয়। রিপন নাথ অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারের ৩২ নম্বর সেলে রয়েছে।’ চমেক হাসপাতাল ফাঁড়ির এএসআই শীলাব্রত বড়ুয়া চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, রাত ১১টা ২০ মিনিটে অমিত মুহুরীকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে তাকে নিউরোসার্জারি বিভাগের ২৮ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসকরা ৩০ মে রাত ১ টা ৪৫ মিনিটে অমিত মুহুরীকে মৃত ঘোষণা করেন। রাত ২টায় চমেক হাসপাতাল নিউরোসার্জারি বিভাগের ২৮ নং ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মো. খুরশিদ আনোয়ার চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘অমিত মুহুরীর মাথায় লৌহজাত ধাতুর বড়ো রকমের আঘাত ছিল। তার মাথায় প্রায় ৩০টি সেলাই করা হয়।’ অমিত মুহুরীর উত্থান যেভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে অমিত মুহুরীকে উপর্যুপরি আঘাত করা হয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে অমিত মুহুরীকে উপর্যুপরি আঘাত করা হয় এই ধরনের আরও খবর খুনের তিন ঘন্টা আগে অমিত মুহুরীর ওয়ার্ডে ঢোকে খুনি রিপন? ভিডিও/ কোটি টাকার চুক্তিতে কারাগারের ভেতরে অমিত মুহুরীকে হত্যা—দাবি পিতা অরুণের ছুরি নিয়ে কারখানা জিম্মি করেছিলেন কারাগারে অমিত মুহুরীর খুনি রিপন যুবলীগ ক্যাডার অমিত মহুরী গ্রেফতার খুন দিয়েই অমিত মুহুরীর অপরাধজগতে অমিত মুহুরীর হাতেখড়ি। এ কারণে অপরাধজগতে নামার শুরু থেকেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেন তিনি। নিজেকে যুবলীগের নেতা হিসেবে পরিচয় দেয়ায় অল্প সময়ের মধ্যেই পরিচিতি পান তিনি। অপরাধ কর্মকান্ডের পাশাপাশি রাজনৈতিক কর্মকান্ডেও সক্রিয় হয়ে পড়েন অমিত মুহুরী। ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হিসেবে নগরীর নন্দনকানন, সিআরবি থেকে শুরু করে লালদীঘি, আন্দরকিল্লা পর্যন্ত তার একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম হয়। ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখল-বেদখলের ঘটনায় নেতৃত্ব দেয়ার পাশাপাশি এ এলাকার অপরাধের সকল ঘাটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন তিনি। নন্দনকাননকেন্দ্রিক যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের অনুসারী হিসেবে যুবলীগের রাজনীতিতেও তিনি হয়ে উঠেন প্রভাবশালী। দুঃসাহসিকতার জন্য দলে ছিল অমিত মুহুরীর আলাদা সমাদর। নেতৃত্বের গুণাবলী এবং খুব সহজে অন্যকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা মাত্র আড়াই বছরে তাকে চট্টগ্রামের অপরাধ জগতে আলাদা পরিচিতি এনে দেয়। পরিচিতির ব্যাপকতা আসে সিআরবির ডবল মার্ডারের মাধ্যমে। বারে বারে অপরাধ করেও পার পেয়ে যাওয়া অথবা গ্রেপ্তার হলেও অল্প সময়ের মধ্যে বের হয়ে আসা তাকে আরো বেপরোয়া করে তোলে। নগরীর নন্দনকানন এলাকার বাসিন্দা অজিত মুহুরীর বড় ছেলে অমিত। তাদের গ্রামের বাড়ি রাউজান পৌরসভা এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। এসএসসি পাস করেন রাউজান পৌরসভার সুরেশ বিদ্যায়তন থেকে। এর পর চট্টগ্রাম শহরে এসে ওমর গণি এমইএস কলেজে ভর্তি হলেও উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। বন্ধুকে ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে মেরে মুহুরীর উত্থান বন্ধুকে ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে মেরে মুহুরীর উত্থান একের পর এক নৃশংসতাই ছিল তার বৈশিষ্ট্য অমিত মুহুরী গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি ভয়ঙ্কর অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। কয়েকজনকে নৃশংস কায়দায় খুন করেন, আরও কয়েকজনকে মারাত্মক আহত করেন। সিআরবিতে জোড়া খুনের অন্যতম আসামি তিনি। ২০১৩ সালের ২৪ জুন টেন্ডারবাজির ঘটনায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবলীগ কর্মী সাজু পালিত ও হেফজখানার ছাত্র আরমান হোসেন মারা যান। ওই ঘটনায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের সাথে গ্রেপ্তার হন অমিত মুহুরী। কিছুদিন পর জামিনে বের হয়ে এসে যুবলীগের নেতা পরিচয় দিতে শুরু করেন অমিত। এরপর এলাকায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং একইসঙ্গে অপরাধমূলক কর্মকান্ডের গতি বাড়িয়ে দেন অমিত মুহুরী। ২০১৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি নগরীর আমতল এলাকায় খুন হন ছাত্রলীগ কর্মী ইয়াছিন আরাফাত। এ ঘটনায় অমিত মুহুরীর জড়িত থাকার প্রমাণ পায় পুলিশ। অমিত মুহুরীর বিরুদ্ধে একাধিক খুনসহ অন্তত ১৩টি মামলার খোঁজ পাওয়া গেছে। আরও বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। বন্ধুকে ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে মেরে মুহুরীর উত্থান ২০১২ সালে নগরের মোমিন রোডের ঝাউতলা এলাকার যুবলীগ কর্মী মো. রাসেলের সঙ্গে পরিচয় হয় অমিত মুহুরীর। দুজনের মধ্যে গড়ে উঠে সখ্য। একপর্যায়ে নারীঘটিত বিষয় নিয়ে দুজনের বন্ধুত্বে ফাটল ধরে। এর জেরে অমিত মুহুরীকে মারধর করেন রাসেল। পরে প্রতিশোধ নিতে অমিত মুহুরী তার সহযোগীদের নিয়ে রাসেলকে তুলে নিয়ে যান। আগ্রাবাদের জাম্বুরি মাঠে নিয়ে প্রথমে তাকে বেধড়ক পেটায়। পরে তার শরীরে ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে খুুঁচিয়ে নিপীড়ন করেন। একপর্যায়ে মৃত মনে করে মাঠে ফেলে যায় তারা। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় রাসেলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এক মাস নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর রাসেলের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর দেশ ছেড়ে ভারতে পালান অমিত। পরে ফিরে এলে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। কিছুদিন পর আবার জামিনেও বেরিয়ে আসেন। সিআরবিতে জোড়া খুন, অতঃপর নিজের বাহিনী ২০১৩ সালের ২৪ জুন চট্টগ্রাম নগরের সিআরবি সাত রাস্তার মোড় এলাকায় রেলওয়ের টেন্ডার নিয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে খুন হন লাভ লেন এলাকার যুবলীগ কর্মী সাজু পালিত (২৫) এবং সিআরবি এলাকার মো. ছিদ্দিকের ছেলে মো. আরমান (৮)। অমিত মুহুরী চাঞ্চল্যকর এই জোড়া খুনের মামলায় অন্যতম আসামি। নগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ২০১৫ সালের ৫ নভেম্বর এ ঘটনায় তিনি গ্রেপ্তার হন। এরপরই মূলত নিজের একটি আলাদা বাহিনী গড়ে তোলার প্রতি তিনি মনোযোগী হন। বাথরুমে লাশ রেখে রাতভর গান, সঙ্গে ইয়াবা অমিত মুহুরী পরে আলাদা করে আলোচনায় আসেন ছোটবেলার বন্ধুকে খুন করে। ইমরানুল করিম ইমন ও অমিত মুহুরী বাল্যবন্ধু। রাউজান পৌরসভা এলাকায় তাদের বাড়ি। ২০১৭ সালের ৮ আগস্ট রাতে অসুস্থতার কথা বলে নন্দনকাননের বাসায় ইমনকে ডেকে নিয়ে যায় অমিত মুহুরী। ৯ আগস্ট ভোরে নৃশংসভাবে খুন করেন তাকে। শুরুতে ড্রামের ভেতরে মরদেহ রেখে এসিড ও চুন ঢেলে সেটা গলিয়ে হাড়গোড় নদীতে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। খুনের পর ইমনের লাশ বাথরুমে রেখে রাতভর গান শোনেন অমিত মুহুরী। সাথে ছিল স্ত্রী চৈতী ও বেশ কয়েকজন বন্ধু-বান্ধব। গানের সাথে চলে ইয়াবা সেবনের আসর। কিন্তু একদিন পরও মরদেহ অবিকৃত থাকায় সেটি খণ্ড খণ্ড করে কেটে ফেলার চেষ্টা করে। মরদেহ শক্ত হয়ে যাওয়ায় অমিতের ওই পরিকল্পনাও ব্যর্থ হয়। এর পর জোগাড় হয় এসিড, চুন, সিমেন্ট, বালি। ড্রামে লাশ ভরে এসিড ঢেলে গলানোর চেষ্টা হয়। এরপর তাতে চুন ঢেলে সিমেন্ট, বালি দিয়ে ঢালাই করা হয়। পরে ড্রাম ফেলে দেওয়া হয় রাণীর দীঘির পানিতে। ১৩ আগস্ট দীঘি থেকে ড্রামভর্তি গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ৩১ আগস্ট অমিতের বন্ধু ইমাম হোসেন মজুমদার ওরফে শিশির (২৭) ও হরিশদত্ত লেনের বাসার নিরাপত্তারক্ষী শফিকুর রহমান শফিকে (৪৬) আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। এর দুই দিন পর কুমিল্লার একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্র থেকে অমিত মুহুরীকে গ্রেফতার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় খুনের দায় স্বীকার করে পরস্পরকে দায়ী করে আদালতে জবানবন্দি দেন শিশির ও অমিত। মোটরসাইকেল ফেরত চাওয়াই কাল হয়েছিল ইয়াছিনের গত ১১ ফেব্রুয়ারি সিটি কলেজের ছাত্রলীগ নেতা ইয়াছিনকে দিনদুপুরে নগরের আমতলা এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় অমিত মুহুরী জড়িত বলে দাবি সিটি কলেজ ছাত্রলীগ নেতাদের। খুন হওয়ার কিছুদিন আগে ইয়াছিনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এর মধ্যে ইয়াছিনের ইয়ামাহা কোম্পানির এফজেডএস মোটরসাইকেলটি নিয়ে নেন অমিত। মোটরসাইকেল চাইতে গেলে ইয়াছিনকে হুমকি-ধমকি দেন। বিষয়টি ইয়াছিন তার রাজনৈতিক বড় ভাইকে জানালে তিনি অমিত মুহুরীকে পাল্টা হুমকি-ধমকি দেন। এর জের ধরে ইয়াছিনকে খুন করা হতে পারে বলে ধারণা ছাত্রলীগ নেতাদের। কখনো ছাত্রলীগ নেতা, কখনো পুলিশ তার লক্ষ্যবস্তু ২০১৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বাকলিয়া এলাকায় মোটরসাইকেলে শোডাউন করে ত্রাস সৃষ্টি করেন অমিত মুহুরী। এ বিষয়ে জানতে চাওয়ায় ছাত্রলীগ নেতা তানজিরুল হকের পায়ে প্রকাশ্যে গুলি চালায় সে। ওই বছরেরই ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের দিন নগরীর ডিসি হিলে পুলিশের ওপর হামলা চালান অমিত মুহুরী ও তার অনুসারী সন্ত্রাসীরা। ২০১৭ সালের ২৮ এপ্রিল রাতে নগরের কোতোয়ালী থানার মোমিন রোডের ঝাউতলা এলাকায় স্থানীয় কিশোর-তরুণদের দুই পক্ষের মারামারি হয়। এর একপর্যায়ে পিস্তল উঁচিয়ে সেখানে প্রকাশ্যে গুলি চালায় অমিত মুহুরী, যা সিসিটিভির ক্যামেরায় ধরা পড়ে। এ ঘটনায় ২৫ মে তাকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালী থানার পুলিশ। ২৬ জুন জামিনে বেরিয়ে আসেন ঠাণ্ডা মাথার এই খুনি। এএস/সিপি অমিত মুহুরী 0 শেয়ার আগে ফ্লিনটফের চোখে ভারত-ইংল্যান্ড ফাইনাল খেলবে পরে মধ্যরাতে পলোগ্রাউন্ডে ছিনতাইয়ের শিকার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ফেসবুক মন্তব্য মন্তব্য অপরাধ-এর আরও খবর বর্তমানে ভারতে থাকা স্ত্রী চৈতির সঙ্গে আলোচিত সন্ত্রাসী অমিত মুহুরীখুনের তিন ঘন্টা আগে অমিত মুহুরীর ওয়ার্ডে ঢোকে খুনি রিপন? Fatik-Churiফটিকছড়ির গৃহবধূ মামনি বালা হত্যার নেপথ্যে শাশুড়ি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফটকে কান্ন���য় ভেঙে পড়েন অমিত মুহুরীর মামী ও খালাসহ স্বজনরা। ছবি: কমল দাশভিডিও/ কোটি টাকার চুক্তিতে কারাগারের ভেতরে অমিত মুহুরীকে হত্যা—দাবি পিতা অরুণের amit-muhuri-chittagong-deathছুরি নিয়ে কারখানা জিম্মি করেছিলেন কারাগারে অমিত মুহুরীর খুনি রিপন মধ্যরাতে পলোগ্রাউন্ডে ছিনতাইয়ের শিকার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র মৃত্যুর আগে চমেক হাসপাতাল নিউরোসার্জারি বিভাগের ২৮ নং ওয়ার্ডের শয্যায় অমিত মুহুরীভিডিও ও ছবি/ চট্টগ্রাম কারাগারের ৩২ নম্বর সেলে ‘ঠাণ্ডা মাথার খুনি’ অমিত মুহুরীকে কুপিয়ে খুন ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেল হত্যা : প্রধান আসামি চসিক কাউন্সিলর ছাবের কারাগারে suicide-chittagongবিকাশে প্রতারিত হয়ে অপমান ভয়ে তরুণীর আত্মহনন sadarghatসদরঘাটের দুই গ্রিলকাটা চোর, একের অভিজ্ঞতা শতাধিক আর অন্যজনের দেড়শতাধিক hijacker-mamunডিবি পরিচয়ে ছিনতাই—বছরের পর বছর এই মামুনের পেশা! আরও পড়ুন চলাচলে উন্মোক্ত করা হলো আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার অসৎ উদ্দেশ্যে চিকিৎসককে শারীরিক হেনস্তার কথা স্বীকার বাবুলের অধ্যক্ষ রেজাউল করিম চৌধুরীর স্বরণে আলোচনা সভা যৌতুকের বলি ওয়াহিদা সিফাত সীতাকুণ্ডে ফণীর আঘাতে আহত ৬, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন বিশ্ব মেট্রোলজি দিবসের সভায় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা ‘চট্টগ্রামে বিএসটিআইয়ের কার্যালয় থাকলেও সনদ আনতে হয় ঢাকা থেকে’ আমি নির্দোষ কে দোষী তা তদন্তে প্রমাণ হবে: বাবুল আক্তার নারী আইপিএলের ফাইনালে জাহানারার ভেলোসিটি Facebook Join us on Facebook Youtube Join us on Youtube Twitter Join us on Twitter Instagram Join us on Instagram Chattogram Pratidin সম্পাদক ■ হোসাইন তৌফিক ইফতিখার উপদেষ্টা সম্পাদক ও প্রকাশক ■ আয়ান শর্মা সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি ■ ক্য শৈ হ্লা সংযুক্ত সম্পাদক ■ অসিত সেন ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ■ হাসান মাহমুদ আকবরী Bengali News Paper Daily Chattogram Pratidin brings latest bangla news headlines, breaking news in bangla on Chittagong News, Cox’s Bazar News, Chittagong hill tracts News, Politics, Business, Cricket from Bangladesh and around the World. সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় সানমার স্প্রিং গার্ডেন, দ্বিতীয় তলা, ৬৪ জামালখান রোড, চট্টগ্রাম-৪০০০, বাংলাদেশ। ঢাকা অফিস ২৭ তোপখানা রোড, চতুর্থ তলা, সেগুন বাগিচা, ঢাকা ১০০০ইমেইল ও ফোন [email protected], [email protected] [email protected], [email protected] +৮৮ ০১৩০৯ ০০১৩০০, +৮৮ ০১৯১২ ১৩৪৯৬৩ মহানগর চট্টগ্রামবৃহত্তর চট্টগ্রামরাজনীতিখেলাবিজনেসবিনোদনক্যাম্পাসপ্রবাসে চট্টগ্রামবিবিধ © 2019 – The Daily Chattogram Pratidin. All Rights Reserved. Website powered by: DigitB.com http://bit.ly/2WkTaeJ
0 notes
channel430 · 7 years
Video
youtube
মানুষের জীবনে প্রেমের অবদান কতখানি তা বলে দেয়া মুশকিল। তবে এটা বলা যায় কেউ তার জীবন চিন্তা করতে পারেন না প্রেম ছাড়া। কম বেশী সবাই কোন না কোন একটা সময় মনের অজান্তেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এই প্রেম যদি হঠাৎ করে ভেঙ্গে যাওয়ার মত অবস্থা হয়, কখনো যদি আপনি মনে করেন, আপনার সম্পর্ক আর আগের মতো নেই। প্রিয়তমা আর আপনার সাথে ঠিক এমন আচরন করে না যেটা ঠিক সম্পর্কে জড়ানোর পরের সময়টাতে করত। তবে কি তাহলে কোথাও তাল কাটছে? সন্দেহ করছেন আপনার অজান্তে কিছু একটা ঘটছে কিন্তু ঠিক নিশ্চিত হতে পারছেন না? জেনে নিন কী ভাবে বুঝবেন প্রেমিকা আপনাকে ঠকাচ্ছেন কিনা। ১। হঠাৎ রুটিন বদল– আপনার গার্লফ্রেন্ডের রুটিনে কি হঠাত্ পরিবর্তন লক্ষ্য করছেন? সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব মানুষই বদলে যায়। কিন্তু সেই পরিবর্তন যদি হঠাত্ করে হয় তবে সতর্ক হন। ২। ফোনে ব্যস্ত– যদি দেখেন আপনার গার্লফ্রেন্ড ফোনে মেসেজ এলেই অন্যমনস্ক হয়ে পড়ছেন, এমনকী আপনার সঙ্গে বেরোলেও অচেনা কারও মেসেজ এলে খুশি হয়ে উঠছেন, এ দিকে আপনাকে তার ব্যাপারে বিশেষ কিছু বলতে রাজি নন, তবে অবশ্যই সতর্ক হয়ে যান। ৩। সময় নেই– আপনার গার্লফ্রেন্ড কি সব সময় ব্যস্ত? আপনার সঙ্গে দেখা করার সময়ই নেই? অথবা ঘুরতে গেলেও কিছু না কিছু জরুরি কাজ এসে পড়ায় চলে যেতে হচ্ছে? সাবধান। ৪। ভয়– উনি কি আজকাল আপনার ব্যাপারে একটু বেশিই খোঁজ নিচ্ছেন? বেশি বাড়াবাড়ি মনে হলে নিজেকে প্রশ্ন করুন সত্যিই কি উনি আপনার খেয়াল রাখছেন? নাকি ধরা পড়ে যাওয়ার ভয় রয়েছে? ৫। অকারণ ঝগড়া– কোনো কারণ ছাড়াই ঝগড়া বাধাতে চাইছেন? অনেকে এভাবে অপরাধ বোধ থেকে মু্ক্তি পেতে চান। অকারণ ঝগড়া করে তারা সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাচ্ছে প্রমাণ করতে চান। ৬। অন্তরঙ্গতা– যেকোনো ভাবে আপনার সঙ্গে অন্তরঙ্গতা এড়িয়ে যেতে চাইছেন? ৭। বন্ধু– ওনার কি অনেক নতুন বন্ধু হয়েছেন? যাদের ব্যাপারে আপনি কিছুই জানেন না? উনি কি তাদের সঙ্গে আপনার পরিচয় করাতে চান না? এই আচরণ কিন্তু অত্যন্ত সন্দেহজনক। ৮। সারাদিন বেপাত্তা– উনি কি মাঝে মাঝেই সারাদিন হঠাত্ করে বেপাত্তা হয়ে যান। কোনও যোগাযোগ করেন না? প্রশ্ন করলে হয় মাথা যন্ত্রণা, নয়তো ফোন চার্জে রাখার মতো বাজে অজুহাত দেন? ৯। দেখা না হলেও চলে– আপনার সঙ্গে দেখা করার কি ওনার আর কোনো তাগিদই নেই? ১০। আপনার প্ল্যান– উনি কি আপনাকে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যেতে বলছেন বার বার? এটা করছেন যাতে উনিও ওনার নতুন সঙ্গীর সঙ্গে নির্বিঘ্নে সময় কাটাতে পারেন। ১১। ফোন– আপনি ওনার ফোন ধরলেই কি রেগে যাচ্ছেন? সতর্ক হয়ে যাচ্ছেন বা বিরক্ত হচ্ছেন? সাবধান! উনি কোনও কিছু লুকনোর চেষ্টা করছেন না তো? *************** OTHER RELATED BANGLA NEWS ********* মেয়ে বশ করা মন্ত্র - http://bit.ly/2mOgApW যে অঙ্গটি দেখে বুঝতে পারবেন মেয়েটি ভাল না খারাপ - http://bit.ly/2lKkxfG যে কাজটি করলে একটি মেয়ে আপনাকে কখনই ভুলতে পারবে না - http://bit.ly/2m6VUW2 পর্ন সিনেমা যেভাবে তৈরি করা হয় - http://bit.ly/2mOwi4J দ্বিগুণ করুন আপনার যৌন চাহিদা - http://bit.ly/2m71eIZ চেহারার যৌবন চিরকাল ধরে রাখার সবচাইতে সহজ কৌশলটি - http://bit.ly/2lKnxZs মেয়েদের স্বপ্নদোষ হয় কিভাবে ! অবাক কান্ড - http://bit.ly/2mI5Au5 বিশ্বের ধনী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ - http://bit.ly/2mIbStw সাইবার হা��লা করেছে সিআইএ, দোষ চাপিয়েছে রাশিয়ার ঘাড়ে - http://bit.ly/2mIa6IJ নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও যে কারণে ভেসে আসে তিমিরা - http://bit.ly/2n6tiAZ রামগঞ্জে চুরির অপবাদে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন - http://bit.ly/2nlKPBb জর্ডানে ১৫ জনের শিরশ্ছেদ - http://bit.ly/2mIde7M এই প্রথম হিন্দি ছবিতে শাকিব খান - http://bit.ly/2nlOD5D আপন চাচীকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করল ভাতিজা - http://bit.ly/2lDqsmK অল্পের জন্য মারাত্মক দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচলেন ওবায়দুল কাদের - http://bit.ly/2mOFCoW ****** CONNECT FACEBOOK AND OTHER SOCIAL MEDIA *******: Facebook Page : http://bit.ly/2m9xeNf Twitter: http://bit.ly/2m9pPh8 VK Community : http://bit.ly/2nlyBsz linkedin: http://bit.ly/2m6yIam pinterest: http://bit.ly/2m6VfUx Blogger: http://bit.ly/2nlCEoH Google plus : http://bit.ly/2mOhgf5 Youtube channel : http://bit.ly/2mOoVtG SUBSCRIBE FOR NEW AND MORE VIDEOS... http://bit.ly/2mOoVtG
0 notes
khutbahs · 4 years
Link
ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে নারীকে উপস্থাপন করার প্রয়াসে এ লেখা।প্রশ্ন হলো, অধিকার আর মর্যাদা কি কাগজে কলমে আর শ্লোগানে সম্ভব? হৃদয় যদি মেনে না নেয়, তখন ছিড়ে যায় কাগজ, ভেঙে যায় কলম, থেমে যায় শ্লোগান। আমাদের সমাজের অবস্থা যখন এমন, তখন দেখি ইসলাম কি বলে? নারী ও পুরুষের যথাযথ অধিকার নিশ্চিত করেছে ইসলাম। আর এভাবে সামাজিক ভারসাম্য রক্ষা করেছে। জানমাল ও ইজ্জতের নিরাপত্তা এবং সর্বোচ্চ সম্মান ইসলামই নারীদেরকে প্রদান করেছে। মহান আল্লাহ নারী ও পুরুষের সমন্বয়ে মানবসমাজের পূর্ণতা দান করেছেন। মহান আল্লাহর বাণী, হে মানবগণ! তোমরা তোমাদের সেই রবকে ভয় করো, যিনি তোমাদেরকে একটি প্রাণ থেকে সৃষ্টি করে আবার তা থেকে অসংখ্য নারী ও পুরুষ করেছেন। (সূরা নিসা : ১)। সুতরাং নারীকে উপেক্ষা করে মানবতার জন্য যে কর্মসূচি তৈরি হবে তা হবে অসম্পূর্ণ। মহাগ্রন্থ আল কোরআনে ‘নিসা’ অর্থাৎ ‘মহিলা’ শব্দটি ৫৭ বার এবং ‘ইমরাআহ’ অর্থাৎ ‘নারী’ শব্দটি ২৬ বার উল্লেখ করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে ‘নিসা’ নামে নারীর অধিকার ও কর্তব্যসংক্রান্ত একটি স্বতন্ত্র বৃহৎ সূরাও রয়েছে। এতদ্ব্যতিত কোরআনের বিভিন্ন আয়াত ও হাদিসে নারীর অধিকার, নিরাপত্তা, মর্যাদা ও তাদের মূল্যায়ন সম্পর্কে সুস্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে। ইসলাম নারীর ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেছে। নারীর মর্যাদায় ইসলামের স্থায়ী নীতি : জাহেলী যুগে যেখানে কন্যাশিশু জন্মগ্রহণ করলে তাকে জীবন্ত কবর দিতো, নারীদের ভোগের সামগ্রী হিসেবে ব্যবহার করা হতো, দাসী হিসেবে হাট-বাজারে পশুর মতো বিক্রি করা হতো, কন্যাসন্তানের জন্মের সংবাদে পিতা মানহানিকর মনে করে বিমর্ষ হতো, সেখানে মহান আল্লাহ সূরা হুজরাতের ১৩ নং আয়াতে ঘোষণা করেন- হে মানবজাতি! আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিত হও। নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে সে-ই সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত, যে সর্বাধিক পরহেজগার। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবকিছুর খবর রাখেন।
নারীর শিক্ষালাভের অধিকার : নারীদের শিক্ষালাভের ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে রয়েছে, ‘তোমরা তাদের (নারীদের) সঙ্গে উত্তম আচরণ করো ও উত্তম আচরণ করার শিক্ষা দাও।’ (সূরা-৪ নিসা, আয়াত: ১৯)। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যার রয়েছে কন্যাসন্তান, সে যদি তাকে (শিক্ষাসহ সব ক্ষেত্রে) অবজ্ঞা ও অবহেলা না করে এবং পুত্রসন্তানকে তার ওপর প্রাধান্য না দেয়; আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।’ হাদিস শরিফে বলা হয়েছে, ‘ইলম শিক্ষা করা (জ্ঞানার্জন করা) প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর প্রতি ফরজ (কর্তব্য)।’ (উম্মুস সহিহাঈন-ইবনে মাজাহ শরিফ)। তাই হাদিস গ্রন্থসমূহের মধ্যে হযরত আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসের সংখ্যা ২ হাজার ২১০, যা সব সাহাবায়ে কিরামের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। মা হিসেবে নারীর সম্মান: মা হিসেবে ইসলাম নারীদের সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদা দিয়েছে । রাসুল (সা.) বলেন, ‘মায়ের পদতলে সন্তানের জান্নাত’। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, একবার এক লোক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দরবারে এসে জিজ্ঞেস করলেন, আমার সদ্ব্যবহার পাওয়ার বেশি অধিকারী কে? নবীজি (সা.) বললেন, ‘তোমার মা’। ওই লোক জিজ্ঞেস করলেন, তারপর কে? তিনি উত্তর দিলেন ‘তোমার মা’। ওই লোক আবারও জিজ্ঞেস করলেন, তারপর কে? এবারও তিনি উত্তর দিলেন ‘তোমার মা’। (বুখারি)। কন্যা হিসেবে নারীর সম্মান: আল্লাহ তায়ালা বলেন, তাদের কাউকে যখন কন্যা সন্তানের ‘সুসংবাদ’ দেয়া হয়, তখন তার চেহারা মলিন হয়ে যায় এবং সে অসহনীয় মনস্তাপে ক্লিষ্ট হয়। সে এ সুসংবাদকে খারাপ মনে করে নিজ সম্প্রদায় থেকে লুকিয়ে বেড়ায় (এবং চিন্তা করে ) হীনতা স্বীকার করে তাকে নিজের কাছে রেখে দেবে, নাকি মাটিতে পুঁতে ফেলবে। কত নিকৃষ্ট ছিল তাদের সিদ্ধান্ত। (সূরা নাহল, আয়াত : ৫৮-৫৯)।
কন্যা সন্তানের জন্মকে বলা হচ্ছে ‘সুসংবাদ’। আধুনিক জাহেলী যুগে আজ কিন্তু নারীর জন্ম কখনো কখনো ‘সুসংবাদ’ নয়।তখন নারীকে পুঁতে ফেলা হতো জন্মের পর। আর এখন পুঁতে ফেলা হয় জন্মের আগেই (বিজ্ঞানের কল্যাণে যখন জানতে পারে আগত শিশু নারী)। অথচ ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে কন্যাশিশু বরকত ও কল্যাণের প্রতীক। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মেয়েশিশু বরকত (প্রাচুর্য) ও কল্যাণের প্রতীক।’ হাদিসে আরও রয়েছে, ‘যার তিনটি, দুটি বা একটি কন্যাসন্তান থাকবে; আর সে ব্যক্তি যদি তার কন্যাসন্তানকে সুশিক্ষিত ও সুপাত্রস্থ করে, তার জান্নাত নিশ্চিত হয়ে যায়।’ বোন হিসেবে নারীর সম্মান : মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘কারও যদি কন্যাসন্তান ও পুত্রসন্তান থাকে আর তিনি যদি সন্তানদের জন্য কোনো কিছু নিয়ে আসেন, তবে প্রথমে তা মেয়ের হাতে দেবেন এবং মেয়ে বেছে নিয়ে তারপর তার ভাইকে দেবে।’ পবিত্র হাদিসে আছে, বোনকে সেবাযত্ন করলে আল্লাহ প্রাচুর্য দান করেন। স্ত্রী হিসেবে নারীর সম্মান: ইসলামের দৃষ্টিতে নারী-পুরুষ একে অন্যের পরিপূরক। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে রয়েছে, ‘তারা তোমাদের আবরণস্বরূপ আর তোমরা তাদের আবরণ।’ (সূরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৮৭)। মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন, নারীদের তেমন ন্যায়সঙ্গত অধিকার আছে, যেমন আছে তাদের উপর পুরুষদের। (সূরা বাকারা : ২২৮)। স্ত্রীর গুরুত্ব সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেছেন, উত্তম স্ত্রী সৌভাগ্যের পরিচায়ক। (মুসলিম শরিফ)। তিনি আরও বলেন, তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম, যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম (তিরমিজি)। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের সঙ্গে সদাচরণ করো।(সূরা-৪ নিসা, আয়াত: ১৯)। কোরআনে বলা হয়েছে, নারীদের ওপর যেমন অধিকার রয়েছে পুরুষের, তেমনি রয়েছে পুরুষের ওপর নারীর অধিকার (সূরা-২ বাকারা, আয়াত ২২৮)
নারীর প্রতি সম্মান পুরুষের ব্যক্তিত্বের প্রমাণ : রাসুল সা. এর একটি হাদিসে এসেছে, নারীকে সম্মান করার পরিমাপের ওপর ব্যক্তির সম্মান ও মর্যাদার বিষয়টি নির্ভর করে। তিনটি বিষয় নবী করিম (সা.)-এর জীবনে লক্ষণীয় ছিল- এক. নামাজের প্রতি অনুরাগ; দুই. ফুলের প্রতি ভালোবাসা; তিন. নারীর প্রতি সম্মান। (বুখারি ও মুসলিম)। নারী ও পুরুষের সহযোগী হিসেবে নারী : ইসলামে নারী ও পুরুষ মানুষ হিসেবেও সমান, মুসলমান হিসেবেও সমান। ইসলামী জ্ঞান অর্জন করা উভয়ের জন্য ফরয। উভয়ের জন্য হালাল-হারামের সীমানা নির্দিষ্ট রয়েছে। উভয়ের মতামত দেয়া ও সমালোচনার অধিকার সমান। সম্পত্তির মালিকানার ক্ষেত্রে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন : তাদের পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের রেখে যাওয়া ধন-সম্পদের পুরুষদের যেমন অংশ রয়েছে, (একইভাবে) নারীদের জন্যও (সে সম্পদে) অংশ রয়েছে । (সূরা আন-নিসা : ৭)। ঈমান ও আমল-ই নারী ও পুরুষের মর্যাদা নির্ণয়ের মাপকাঠি : মহান আল্লাহ বলেন, পুরুষ ও নারীর মধ্য থেকে যে-ই ভালো কাজ করলো, সে ঈমানদার হলে আমি তাকে একটি পবিত্র জীবনযাপন করার সুযোগ দিবো এবং তারা যে কাজ করছিল, আমি তাদেরকে তার উত্তম পারিশ্রমিক দান করবো। (সূরা আন-নহল : ৯৭)  
নারী তাঁর নারীত্বের মর্যাদা বজায় রেখেই সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন ও রাখছেন। নারী ছাড়া অন্য কেউই মাতৃত্বের সেবা ও সহধর্মিণীর গঠনমূলক সহযোগী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম নয়। মায়েদের ত্যাগ ও ভালোবাসা ছাড়া মানবীয় প্রতিভার বিকাশ ও সমাজের স্থায়িত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়। মায়েরাই সমাজের প্রধান ভিত্তি তথা পরিবারের প্রশান্তির উৎস। নারী ও পুরুষের মৌলিক পার্থক্য: উভয়ের জন্মগত যোগ্যতা, ক্ষমতা, দৈহিক গঠন ও দায়িত্বের দিক দিয়ে কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। প্রথম পার্থক্য হলো, মানবজীবনের দুটি অংশ, ঘর ও বাহির। নারী ঘরে, পুরুষ বাইরে। গৃহবহির্ভূত যাবতীয় কষ্টকর ও গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক, রাষ্ট্রীয়, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজ পুরুষের উপর অর্পিত। আর নারীর মৌলিক দায়িত্ব সন্তানের লালন-পালন ও ঘরোয়া পরিবেশকে সুসজ্জিত করা। সেইসাথে তার কোমল স্বভাবের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সহজ ও অপেক্ষাকৃত হালকা কাজও তারা করতে পারেন। কোনো কোনো অপরিহার্য সামাজিক প্রয়োজনে তারা ঘরের বাইরেও যেতে পারেন। যেমন: শিক্ষা, চিকিৎসা প্রভৃতি। দ্বিতীয় পার্থক্য হলো, যেহেতু জন্মগতভাবে নারী আকর্ষণীয় ও কোমল স্বভাবের সেহেতু নারী ও পুরুষের স্বতন্ত্র অবস্থান ও কর্মক্ষেত্র অত্যাবশ্যক। নারীকে শালীন পোশাক ও পর্দার বিধান মেনে চলার হুকুম দেয়া হয়েছে। এটি অলঙ্ঘনীয় বিধান। মহান আল্লাহ বলেন, হে নবী, আপনি মুমিন মহিলাদের জানিয়ে দিন যে, তারা যেন দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং লজ্জাস্থান-সমূহের হিফাজত করে এবং তারা যেন তাদের সৌন্দর্যকে প্রকাশ না করে। তবে যা এমনি বের হয়ে যায়, সেটা ভিন্ন কথা। অন্য আয়াতে বলা হয়েছে- ওহে নারী! তোমরা তোমাদের বাড়িতেই থাকবে, আর খবরদার! জাহেলী যুগের মেয়েদের মতো সৌন্দর্য প্রদর্শন করে বেড়াবে না।’ জাহেলী যুগ ও আধুনিক যুগে নারী ও ইসলাম
সেযুগে নারী ছিল অবহেলিত, নির্যাতিত, নারীর প্রতি পুরুষের হীন মানসিকতার কারণে। ইসলাম সে মানসিকতারই সংশোধন করেছে। নারী ছিল পুরুষের কাছে অন্যান্য ভোগ্য পণ্যের মত। ইসলাম নারীকে বানাল পুরুষের অর্ধাঙ্গিনী। যেখানে নারী নিজেই ছিল পুরুষের সম্পদ, যা ভোগ দখল করা যেতো, ইসলাম নারীকে দিল সম্পদের অধিকার। কারো অধিকার নেই তার সম্পদে। কিন্তু তার আছে অধিকার পিতার সম্পদে, স্বামীর সম্পদে, সন্তানের সম্পদে। তার ভরণ পোষণের দায়িত্ব হয় পিতার, নয় স্বামীর, না হয় সন্তানের। কেউ নেই তো রাষ্ট্রের। নারী অভিভাবকহীন নয়; জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত। কিন্তু একজন পুরুষ এই অধিকার ভোগ করার অধিকার রাখে কেবল বালেগ হওয়া পর্যন্ত। পশ্চিমে অবশ্য নারীর বেলায়ও তাই। ফলে তাকে পড়তে হয় বিপদে। আর এটাই হয়তো ‘সমঅধিকার’ দাবিদারদের ইনসাফ(!) মত প্রকাশের কোনো স্বাধীনতা নারীর ছিল না। ইসলাম বলল, না; তার মতামত ছাড়া হবে না। স্বামী গ্রহণে নারীর মতই চূড়ান্ত। যদি সে ন্যায়ের উপর থাকে। জাহেলী যুগের নির্যাতিতা, অবহেলিতা নারী নবীর দরবারে এসে বলার অধিকার পেলো, হে আল্লাহর রাসূল! আমার স্বামী আমার প্রাপ্য হক দেয়নি। বলতে পারলো নিজের পছন্দ-অপছন্দের কথা; ‘না, অমুক আমার পছন্দ নয়।’ নারীর ভরণ পোষণে যেমন তার অভিভাবক দায়িত্বশীল, ��েন ভরণ পোষণের পিছে ছুটতে গিয়ে সে ক্ষতির সম্মুখীন না হয় (যেমনটি ঘটে পশ্চিমা নারীর বেলায়, জীবিকা অর্জনে সবকিছু বিসর্জন দিতে হয়), তেমনি নারী যাতে বৈবাহিক জীবনেও ক্ষতির সম্মুখীন না হয়, এ ব্যাপারেও নারীর অভিভাবক দায়িত্বশীল। জীবনের কোনো ক্ষেত্রেই নারীকে নিরাপত্তাহীন ছেড়ে দেয়নি ইসলাম। দিয়েছে মত প্রকাশের অধিকার। অভিভাবক যদি তার প্রতি অবিচার করে, সে বলতে পারবে।
অধীনতা থেকে মুক্ত হয়ে নারীকে স্বাধীনতার দাওয়াত দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এ স্বাধীনতা বা অধীনতামুক্ত হওয়ার অর্থ কী? পিতা ও স্বামীর অধীনতা থেকে মুক্ত হয়ে স্বার্থান্বেষী, কপট শত পুরুষের অধীন হওয়া। অধীনতামুক্ত বলে কোনো বিষয় নেই। (একমাত্র আল্লাহই অধীনতামুক্ত) নারীকে আহবান জানানো হচ্ছে স্বনির্ভর হতে, নিজের পায়ে দাঁড়াতে। কিন্তু পায়ের তলের ঐ মাটিই যদি নারীকে গ্রাস করতে উন্মুখ হয় তখন? ইসলাম দিলো নারীর নিরাপত্তা : নারীর প্রতি চোখ তুলে তাকানোও নিষেধ। পুরুষকে বলে দিল, হে পুরুষ! তোমার দৃষ্টি অবনত রাখ, আর লজ্জাস্থানের হেফাজত করো। আরো বললো, কোনো পুরুষ যেন কোনো বেগানা নারীর সাথে নির্জনে মিলিত না হয়। কারণ, তা নারীর বিপদের কারণ হতে পারে। নারীর প্রতি সকল প্রকারের অন্যায়কে ঘোষণা করলো মহাপাপ, কঠিন শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে। আজকের ‘পুরুষতান্ত্রিক’ সমাজ নারী মুক্তির মেকি শ্লোগান দিয়ে কী পেতে চায়? আর নারীকেই বা কী দিতে চায়? নইলে নারীকে কেন হতে হয়; নতুন মডেলের গাড়ির ‘মডেল’,পণ্যের এ্যাডে ‘নারীপণ্য’? অর্থের বিনিময়ে কেন কেনা যায় নারীর রূপ-যৌবনের চিত্র? নারীকে রক্ষা না করে, কেন তাকে ধোকা দেয়া হয় এই বলে, ‘তুমি যৌনকর্মী (তুমি কর্ম করে খাচ্ছ)? নারী কেন আজ ওয়েটার? কেন সে রূপ-যৌবন নিলামকারী বিমানবালা, সেল্সম্যান? কেন ইডেন, জাহাঙ্গীরনগর ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনাবলী নারীবাদী সংগঠনগুলোর আন্দোলনের বিষয় হয় না ? ওরা যদি নারীর মর্যাদা, অর্থনৈতিক নিরাপত্তাই চাইত, তাহলে নারীর মর্যাদা আর নিরাপত্তা রক্ষা হয়, এমন পথই বেছে নিতো, যেটা করেছে ইসলাম। ইসলাম কি নারীর অর্থনৈতিক নিরাপত্তাকে প্রতিষ্ঠিত করেনি? তাহলে দেন মোহর, মিরাস এবং মর্যাদা ও নিরাপত্তা ঠিক রেখে অর্থ উপার্জনের অধিকার কেন দিয়েছে? (তার উপর তো কারো ভরণ পোষণের দায়িত্ব নেই)। নারী শুধু ভাবে, নারীর জন্য এত শর্ত কেন ইসলামে? অথচ এসব তারই নিরাপত্তার জন্য, মর্যাদা রক্ষার জন্য। ইসলাম কি শিক্ষার অধিকার দেয়নি নারীকে? দিয়েছে। কিন্তু শিক্ষার নামে নিরাপত্তাহীন পরিবেশে ছেড়ে দেয়নি। তাই আজ ভাবতে হবে, কে নারীর প্রকৃত কল্যাণকামী? সব শ্লোগান যখন থেমে যায়, নারীর যখন চোখ খোলে (সবকিছু হারানোর পর) তখন সবকিছুর দায় ও বোঝা কাকে বহন করতে হয়? এমনকি পশ্চিমেও? আর আইন? সেও যেনো আজ অবলা হয়ে গেছে! যে পুরুষের কাছে নারীর কোনো মর্যাদা ছিল না, তার চরিত্রের ভালো মন্দের বিচারক বানানো হল নারীকে। ঘোষণা হল, তোমাদের মধ্যে সেই পুরুষ সবচেয়ে ভালো যে তার স্ত্রীর কাছে ভালো।
নারী নাম উচ্চারণ ছিল অপমানের, সেখানে আল কুরআনের সূরার নাম হল ‘নারী’ (সূরা নিসা) । যে ‘রব’ নারীক�� অবহেলা আর জুলুমের আঁস্তাকুড় থেকে তুলে এনে এত অধিকার আর মর্যাদা দিলেন, তিনি কি তাঁর অকল্যাণ চান? নারীর কল্যাণ ও মুক্তি তাঁর নির্দেশনায় নাকি চতুর স্বার্থান্বেষী ভোগবাদীদের মেকি শ্লোগানে? ভেবে দেখবেন। সে যুগের কবিরা নারীর রূপ যৌবন, যৌবনের আবেদন নিয়ে আলোচনা করতেন কবিতায়। আর আজ তার রূপ-যৌবন ফেরি করা হয় টিভি পর্দায়। আর কত বলবো, ইতিহাসের পাতা ভারাক্রান্ত হয়ে আছে এ অন্যায় বিবরণে; গ্রীক সভ্যতায, রোম সভ্যতা, ভারতীয় সভ্যতা, চৈনিক সভ্যতা ও বিভিন্ন ধর্মে অমর্যাদা, অবহেলা আর জুলুমের যুপকাষ্ঠে বলি হয়েছিল যে নারী ও নারীত্ব, ইসলাম তাকে সেখান থেকে রক্ষা করে সমাসীন করেছে মর্যাদার সুউচ্চ শিখরে।
0 notes
dailynobobarta · 4 years
Text
রাতের আঁধারে ‘ব্যবহার করা পুলিশ’ এখন নিয়ন্ত্রণহীন : মির্জা ফখরুল
New Post has been published on https://is.gd/ThCVwU
রাতের আঁধারে ‘ব্যবহার করা পুলিশ’ এখন নিয়ন্ত্রণহীন : মির্জা ফখরুল
রাতের অন্ধকারে নির্বাচনে ও বিরোধী দলগুলোকে নিমূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহারের ফলেই এখন তারা নিয়ন্ত্রণহীন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সব কিছুকেই উপেক্ষা করছে, অবহেলা করছে। কারণ তার তো সেই সামর্থ্যই নেই এগুলোকে সমাধান করার। তাদেরকে (পুলিশ) তো ব্যবহার করেছে নির্বাচনের পূর্বে যে, রাতের অন্ধকারে ভোট দিতে হবে, প্রতিপক্ষকে শেষ করে দিতে হবে এবং তাদেরকে এখন কি করে তারা নিয়ন্ত্রণ করবে? এই ফ্যাসিস্ট সরকার এটা জনগনের জন্য পুরোপুরিভাবে একটা দানবের পরিণত হয়েছে। আমরা এই অবস্থার অবসান চাই।আমরা বিশ্বাস করি জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায় নেবে এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা প্রতিষ্ঠা হবে।’ বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে উত্তরার বাসা থেকে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন। গত এক দশকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিন হাজার মানুষের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পরিসংখ্যান তুলে ধরে এসব ঘটনার বিচার দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘২০০৯ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এই সরকারের অধীনে এদেশে প্রায় তিন হাজার মানুষ পুলিশ, র‌্যাব, ডিবির হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। এদের অধিকাংশই বিরোধী দলের নেতা-কর্মী। গত ১০ বছর সময়ের মধ্যে এই দেশের জেল কাস্টডিতে মারা গেছে ৭৯৫ জন মানুষ, গুম হয়েছে ৬০১ জন, ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৭৮০৬ জন নারী, ১৯৩৪ জন শিশু নির্যাতিত হয়েছে, ১৮ জন শিশু হত্যার শিকার হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে এক লাখের উপরে রাজনৈতিক মামলা হয়েছে এবং সেখানে আসামি করা হয়েছে প্রায় ৩৫ লক্ষের ওপরের মানুষকে। এই চিত্র বলে দেয়, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে, লাখো মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত মহান স্বাধীনতার স্বদেশ প্র্রিয় জন্মভূমি আজ মৃত্যু উপত্যকা, জল্লাদের রঙ্গমঞ্চ। আমরা অবশ্যই সকল বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’ গণমাধ্যমে প্রকাশিত আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘২০২০ সালে জানুয়ারি থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত ১৯৬ জন এক্সট্টা জুডিশিয়াল কিলিং অথবা কাস্টোডিয়াল ডেথের শিকার হয়েছে। ২০১৯ সালে হয়ে হয়েছে ৩৮৮ জন, ২০১৮ সালে হয়েছে ৪৬৬ জন, ২০১৭ সালে হয়েছে ১৬২ জন, ২০১৬ সালে হয়েছে ১৯৫ জন।’ পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তাকে (সিনহা) পুলিশ হত্যা করেছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্টাভাবে অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। গণমাধ্যম অত্যন্ত পেশাগত দায়িত্বে থেকে এর সংবাদগুলো সংগ্রহ করে পরিবেশন করেছে। সাধারণ মানুষেরা পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করতে সাহস পায় না। গর্বিত সেনা বাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজরের এই ধরনের হত্যাকান্ডের জন্য অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মর্কতারা, সমগ্র জাতি যেভাবে প্রতিবাদমূখর হয়ে উঠেছে তাতে মেজর সিনহার পরিবার সাহস পাচ্ছে, বিচার প্রার্থী হতে পারছে।’ ‘আমরা অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই, সকল বিনা বিচারে হত্যাকাণ্ডের বিচার অবশ্যই চাই এবং এদেশের মাটিতে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে সেই বিচার হবে বলে আমরা আস্থা রাখি, বিশ্বাস করি।’ তিনি বলেন, ‘অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের পর আইএসপিআর থেকে জানানো হয়েছে যে, পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে ভবিষ্যতে আর এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি করা হবে না। যদি তাই হয়, তাহলে আমরা বলতে চাই, ক্রসফায়ারে হত্যাকাণ্ড ঘটানো বা না ঘটানো পুলিশ বাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ঠান্ডা মাথার সুপরিকল্পিত সিদ্ধান্ত। এতো দিন বিএনপির পক্ষ থেকে এটাই বলে আসা হয়েছে।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বারবার বলে এসেছি, ক্রসফায়ারে সাজানো গল্প মিথ্যা, বানোয়াট এবং এটা সরকারের ক্ষমতায় টিকেত থাকার নীল-নকশার অংশ। সিনহার হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এতোদিনের দাবি করে আসছি, আমরা যে কথা বলে আসছি সেই অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হলো। আপনারা ইতিমধ্যে লক্ষ্য করেছেন যে, প্রায় প্রতিটি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে, প্রতিটি পত্র-পত্রিকায় সিনহার হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে যে ধরনের নাটক পুলিশ সাজিয়েছিলো সেই নাটকগু্লো কত মিথ্যা এবং কত নিরাপরাধ ব্যক্তিকে তার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। আপনারা দেখেছেন কী চমৎকার একটা ফ্রিকশন, ক্রাইম ফ্রিকশনের একটা গল্প তৈরি করা হয় সেইভাবে গোটা বিষয়টাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে দিয়ে মূল যে দোষী ব্যক্তি তাকে আড়াল করে নেয়া হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিনা বিচারে মানুষ খুন-গুম কখনো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে যায় না। আমাদের সংবিধান এটাকে সমর্থন করে না। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য, ভিন্নমতকে দমন করার জন্য এই ধরনের গুম-খুন-অত্যাচার-নিপীড়ন-নির্যাতন ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল এ্যাক্ট ১৯৭৩ ধারা-২(২)(ক) অধীনে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।’ ‘আজকের আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, সংবিধানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, গণতন্ত্রের বিপক্ষে গিয়ে স্বৈরাচারী পথে হেটে মানবতাবিরোধী একটা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং তারা সেই কারণে তারা এই ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে।’ করোনার চিকিৎসা পাচ্ছে না মানুষ অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাষ্ট্র অস্থিতিশীল হচ্ছে, মানুষ তার অধিকার থেকে প্রতিদিন বঞ্চিত হচ্ছে। আজকে এই সরকারের জনগণের সাথে যে সম্পর্ক নেই এবং তাদের জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয় না তার প্রমাণ আজকে কোবিড-১৯ এর আগ্রাসনের ফলে যেভাবে সমস্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভঙ্গুর হয়ে গেলো, যেভাবে মানুষের ন্যুনতম যে অধিকার, স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার যে অধিকার, সেই অধিকারটা ধবংস হয়ে গেছে। কেউ কোথাও কোনো চিকিতসা পাচ্ছে না।’ সরকার পুলিশ ও র‌্যাবের ওপর নির্ভরশীল হয়ে জনগণের অধিকার হরণ করে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ‘হত্যা-খুন-গুম করে’ ক্ষমতায় টিকে আছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আমার ঠাকুরগাঁও জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ঠাকুরগাঁওয়ে করোনার কোনো চিকিৎসা নেই। তাকে দিনাজপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিলো। সেখানেও কোনো চিকিৎসা দিতে পারেনি। আজকে তাকে ভোরে নিয়ে আসা হয়েছে ঢাকায় স্কয়ার হাসপাতালে, প্রাইভেট হাসপাতালে। এখান থেকে বুঝবেন যে, মানুষ কোথাও কোনো স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে না। এখন মানুষ মনে করে কেনোর হাসপাতালে করোনা বেড খালি পড়ে আছে?, হাসপাতালে কোনো চিকিৎসাই নেই। সেজন্য মানুষ নিজের বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করাচ্ছেন।’ ফখরুল বলেন, ‘প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে, প্রতিদিন সংক্রমণের হার বাড়ছে, প্রতিদিন সরকারেরর লুটপাটেরও খবর বেরুচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন বিখ্যাত মানুষ মিঠু। আজকের পত্রিকায় দেখলাম সে বহাল তবিয়তে দেশ ছেড়ে বাইরে চলে গেছে। কী চমৎকার।যারা আমাদের লুণ্ঠন করেছে, যারা আমাদের জনগণের কষ্টাজিত টাকায় ট্যাক্সকে লুট করে নিয়ে যাবে তারা চলে যাবে দেশ ছেড়ে সহজেই!, আর সাধারণ মানুষ যারা এখানে লড়াই করবে বেঁচে থাকার জন্য, জীবিকার জন্য, দেশের উন্নয়নের জন্য। তারা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাবে ক্রসফায়ারে।’ তিনি বলেন, ‘প্রবাসীরা যারা উদায়াস্থ পরিশ্রম করছে দেশে অর্থ পাঠাচ্ছে, রেমিটেন্স বাড়াচ্ছে তাদেরকে যত রকমের হেনস্তা করার আছে তারা করাবে। আমি কয়েকদিন আগে দেখলাম মালয়েশিয়াতে আমাদের কিছু প্রবাসী কর্মী ভাই তাদের আহাজারি, তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা আটকিয়ে গে্ছেন তাদের খোঁজ নেয়ার পর্যন্ত কেউ নেই।’ ‘এই বিষয়গুলো প্রমাণ করে আসলে এই সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশকে পরিচালনার জন্য, বাংলাদেশের রাষ্ট্রকে পরিচালনার জন্যে এবং তারা এ্ই রাষ্ট্রটাকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রের পরিনত করেছে।’   সূত্র: ব্রেকিংনিউজ
0 notes
grambanglanews · 4 years
Text
মুখ খুললেন শাহেদের স্ত্রী
মুখ খুললেন শাহেদের স্ত্রী
ঢাকা: রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রতারক শাহেদের প্রতারণার বিষয়ে এবার মুখ খুললেন তার স্ত্রী সাদিয়া। বলেছেন, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও ঝামেলা হয়েছে শাহেদের। বার বার তাকে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু তিনি তার নিজের তরিকাতেই চলেছেন। সাদিয়া মানবজমিনকে বলেন, রিজেন্ট হাসপাতালে করোনার পরীক্ষার নিয়ে যা হয়েছে তা একেবারেই অনৈতিক। তার অপরাধ প্রমাণ হলে শাস্তি হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে অর্থ কেলেঙ্কারি…
View On WordPress
0 notes
maskorul · 4 years
Text
অপরাধী যত ক্ষমতাধর হোক রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার হবেই: আইসিসি
অপরাধী যত ক্ষমতাধর হোক রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার হবেই: আইসিসি
রোহিঙ্গা গণহত্যার আলামত সংগ্রহ শুরু করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট (আইসিসি)। গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের লক্ষ্যে এই আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে। কবে নাগাদ এই বিচার শুরু হবে- তা নিশ্চিত নয়। অপরাধ প্রমাণ করার মতো আলামত সংগ্রহ হলে শুরু হবে বিচার কাজ। তবে এই বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘ মেয়াদি হতে পারে। অপরাধ প্রমাণ হলে তার সর্বোচ্চ সাজা আমৃত্যু কারাবাস।
আইসিসির একটি প্রতি নিধ�� দল বাংলাদেশ সফর…
View On WordPress
0 notes
allbanglanews · 5 years
Text
সৌদিতে এক ঘরে থাকতে পারবেন নারী-পুরুষ
সৌদিতে এক ঘরে থাকতে পারবেন নারী-পুরুষ
সিটি নিউজ ডেস্ক : সৌদি সরকারের করা নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বিবাহের প্রমাণ ছাড়াই বিদেশি নারী ও পুরুষ পর্যটক এক রুমে থাকতে পারবেন। তবে তা সৌদি নাগরিকদের বেলায় প্রযোজ্য নয়। সৌদি আরব বরাবরই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে অপরাধ বলে গণ্য করে।
সম্প্রতি দেশটির পর্যটন ও হেরিটেজ কমিশন ঘোষণা দিয়ে জানিয়ছে, এখন থেকে এক রুমে থাকতে হলে কোনো বিদেশি নারী পুরুষকে বিবাহের সনদ দেখাতে হবে না। তবে সৌদি নাগরিকদের জন্য তা কার্যকর…
View On WordPress
0 notes
paathok · 3 years
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/127168
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের দাবি সম্পাদক পরিষদের
.
অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। শনিবার পরিষদের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।
পরিষদের প্রেসিডেন্ট মাহফুজ আনামের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগে সংবাদকর্মী ও মুক্তমত প্রকাশকারী ব্যক্তিরা ক্রমাগতভাবে নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এমন আশঙ্কা আমরা আইনটি তৈরির সময়ই করেছিলাম। এ কথা বলা অত্যুক্তি হবে না যে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমাদের আশঙ্কার চেয়েও আরও কঠিনভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। একজন মুক্তমনা লেখক মুশতাক আহমেদকে জীবন দিয়ে তা প্রমাণ করে যেতে হলো।
১০ মাস কারাবন্দি থাকার পর কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে জামিন দেয়ায় আমরা মাননীয় আদালতকে ধন্যবাদ জানাই। তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংবাদকর্মী ও লেখকদের গ্রেপ্তার করে তাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে নির্দয় আচরণ করছে তা অত্যন্ত অনভিপ্রেত। এখানে উল্লেখ করা দরকার যে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি লেখা শেয়ার দেয়ার কারণে সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে দীর্ঘদিন নিখোঁজ ও কারাগারে থাকতে হয়েছে।
পরে জামিন পেলেও তার বিরুদ্ধে মামলাগুলো চলমান রয়েছে। আর্থিক, শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত কাজলকে মামলা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়া কিশোর জামিন পেলেও তার মামলাটি চলমান আছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি মিডিয়া ওয়াচডগ বডি আর্টিকেল ১৯-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১৯৮টি মামলায় ৪৫৭ জনকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ৪৫৭ জনের মধ্যে ৭৫ জন সাংবাদিক। তাদের মধ্যে ৩২ জনকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে।
ঘটনাক্রমের পরিপ্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সম্প্রতি বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আইনটি পর্যালোচনা করা হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হলে তদন্তের আগেই যেন গ্রেপ্তার করা না হয়, এমন ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
প্রাথমিকভাবে আইনমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে আমরা স্বাগত জানাই। আইনমন্ত্রীর বক্তব্য অনতিবিলম্বে আইনগতভাবে কার্যকর করার উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানাই। এ জন্য অবিলম্���ে প্রয়োজনীয় অধ্যাদেশ বা আইনি উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানাই।
বিবৃতিতে বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া তৈরি, মন্ত্রিসভায় অনুমোদন, সংসদে বিল উত্থাপন ও রাষ্ট্রপতির সইয়ের আগে ও পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সম্পাদক পরিষদ এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থা আপত্তি তুলেছিল। সরকারের পক্ষ থেকে কয়েকজন মন্ত্রী ও সংসদীয় কমিটির সদস্যরা আমাদের সঙ্গে বৈঠক করে আপত্তিগুলো শুনেছিলেন। শেষে দেখা যায়, আমাদের দাবিগুলো পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়েছে। এমনকি এই আইন প্রণয়নকালে সংসদে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর বক্তব্য এবং সংসদীয় কমিটির পেশকৃত প্রতিবেদন সম্পর্কে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে আলোচনায় অংশগ্রহণকারী গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের মতামতও বিবেচনায় নেয়া হয়নি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আপত্তিকর ধারাগুলো সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করে গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা সেগুলো সংশোধনের সুপারিশ করেছিলেন। সেগুলো বিবেচনায় নেয়া হলে আজকের এ পরিস্থিতি হয়তো উদ্ভব হতো না বলে সম্পাদক পরিষদ মনে করে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আমরা কেন উদ্বিগ্ন, তা সম্পাদক পরিষদ ২০১৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেছিল। ব্যাখায় আইনটির ৯টি ধারা (৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩) নিয়ে সম্পাদক পরিষদ তাদের উদ্বেগ তুলে ধরেছিল। ধারাগুলো বিশ্লেষণ করে সম্পাদক পরিষদ যেসব মৌলিক ত্রুটি চিহ্নিত করেছিল, সেগুলো হচ্ছে:
১. ডিজিটাল যন্ত্রের মাধ্যমে অপরাধ সংঘটন প্রতিহত করা এবং ডিজিটাল অঙ্গনে নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে একটি আইন প্রণয়নের চেষ্টা করতে গিয়ে এমন একটি আইন করা হয়েছে, যা সংবাদমাধ্যমের কর্মকাণ্ডের ওপর নজরদারি ও বিষয়বস্তুর ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করবে। এই আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১ ও ৩২ ধারা সংবিধানপ্রদত্ত সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই ধারাগুলো নাগরিকদের বাক ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণেরও সুযোগ সৃষ্টি করবে।
যেমন ৮ ধারায় উল্লেখ আছে, যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে প্রতীয়মান হয় যে, ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত কোনো তথ্য-উপাত্ত দেশের বা তার কোনো অংশের সংহতি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা জনশৃঙ্খলা ক্ষুণ্ণ করে, বা জাতিগত বিদ্বেষ ও ঘৃণার সঞ্চার করে, তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ওইসব তথ্য-উপাত্ত অপসারণ বা ব্লক করার জন্য বিটিআরসিকে অনুরোধ করতে পারবে। ২১ ধারা বলছে, যদি কোনো ব্যক্তি ডিজিটাল মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার প্রপাগান্ডা ও প্রচারণা চালান বা তাতে মদত দেন, তাহলে ওই ব্যক্তির সেটা অপরাধ হবে।
২৫ ধারায় আছে, যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ডিজিটাল মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে, এমন কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ করেন, যা আক্রমণাত্মক বা ভীতি প্রদর্শক অথবা মিথ্যা বলে জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও কোনো ব্যক্তিকে বিরক্ত, অপমান, অপ��স্থ বা হেয় প্রতিপন্ন করার অভিপ্রায়ে কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ বা প্রচার করেন, বা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ন করার বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশে, বা কোনো তথ্য সম্পূর্ণ বা আংশিক বিকৃত আকারে প্রকাশ বা প্রচার করেন বা করতে সহায়তা করেন, তাহলে ওই ব্যক্তির এ কাজটি হবে অপরাধ।
২৮ ধারা বলছে, যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করার বা উসকানি দেওয়ার অভিপ্রায়ে ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা প্রচার করেন বা করান, যা ধর্মীয় অনুভূতি বা ধর্মীয় মূল্যবোধের ওপর আঘাত করে, তাহলে উক্ত ব্যক্তির এ কাজ হবে একটি অপরাধ।
৩১ ধারায় উল্লেখ আছে, যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা ডিজিটাল বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন বা করান, যা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শ্রেণি বা সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা বা বিদ্বেষ সৃষ্টি করে বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে বা অস্থিরতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে অথবা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায় বা ঘটানোর উপক্রম হয়, তাহলে সেটা হবে অপরাধ।
৩২ ধারা বলছে, যদি কোনো ব্যক্তি অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট এর আওতাভুক্ত কোনো অপরাধ কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, ডিজিটাল নেটওয়ার্ক বা অন্য কোনো ডিজিটাল মাধ্যমে সংঘটন করেন বা করতে সহায়তা করেন, তাহলে তিনি অনধিক ১৪ বছর কারাদণ্ডে বা অনধিক ২৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
২. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এমন এক আতঙ্ক ও ভীতির পরিবেশ তৈরি করবে, যেখানে সাংবাদিকতা, বিশেষত অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে।
৩. এই আইন সংবাদমাধ্যমের কর্মী ছাড়াও কম্পিউটার ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ইত্যাদি ব্যবহারকারী সব ব্যক্তির মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করবে।
৪. এই আইনের ৪৩ ধারা পুলিশকে বাসাবাড়িতে প্রবেশ, অফিসে তল্লাশি, লোকজনের দেহ তল্লাশি এবং কম্পিউটার, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, সার্ভার ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম-সংক্রান্ত সবকিছু জব্দ করার ক্ষেত্রে সীমাহীন ক্ষমতা দিয়েছে। পুলিশ এ আইনে দেওয়া ক্ষমতাবলে পরোয়ানা ছাড়াই সন্দেহবশত যেকোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে পুলিশের কোনো কর্তৃপক্ষের কোনো ধরনের অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
৫. এই আইনে অস্পষ্টতা আছে এবং এতে এমন অনেক শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, যার ভুল ব্যাখ্যা হতে পারে এবং সহজেই সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সম্পাদক পরিষদের দৃষ্টিতে উদ্বেগের আরেকটি বিষয় হলো, এ আইনের অপরাধ ও শাস্তিসংক্রান্ত প্রায় ২০টি ধারার মধ্যে ১৪টি জামিন অযোগ্য, ৫টি জামিনযোগ্য এবং একটি সমঝোতাসাপেক্ষ। এর ফলে অনিবার্যভাবে একটা ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে সাংবাদিকতার স্বাভাবিক অনুশীলন আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করবে তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে। কিন্তু, কৌশলে তা যেন গণমাধ্যম ও মুক্তমনের লেখকদের ওপর প্রয়োগ করা না হয়, তা নিশ্চিত করতে অনতিবিলম্বে আইনটির সংশোধন করতে হবে।
আমরা দাবি করছি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংবাদকর্মীদের নামে যতগুলো মামলা হয়েছে, যতজন সংবাদকর্মী ও মুক্তমনা লেখক গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন, তাঁদের সবাইকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হোক এবং মামলাগুলো প্রত্যাহার করে নেওয়া হোক। আমরা সরকারের সুবিবেচনা প্রত্যাশা করছি।
0 notes