আমি পদ্মজা - ইলমা বেহরোজ
সুন্দরী মেয়েটি ছটফট করছে! লোকটির মুখ অন্ধকারে ঢাকা। ভয়ংকর দৃশ্য! পদ্মজা তার হাতের ছুরিটা শক্ত করে ধরে লোকটির পেটে ক্যাঁচ করে টান মারে। লোকটি আর্তনাদ করে সরে যায়। হাঁটুগেড়ে মাটিতে বসে পড়ে। পদ্মজা আবারও আঘাত করার জন্য এগোয়। লোকটি ফুলে ফেঁপে উঠে দাঁড়ায়। যেন নতুন উদ্যমে শক্তি পেয়েছে। লোকটি ঝাঁপিয়ে পড়ে পদ্মজার উপর। নখের আঁচড় বসায় হাতে। কেড়ে নেয় ছুরি। পদ্মজা ছুরি ছাড়া এমন হিংস্র পুরুষ��র শক্তির সামনে খুবই নগণ্য। যেভাবেই হউক এর হাত থেকে বাঁচতে হবে। পদ্মজা টর্চ দিয়ে লোকটির মাথায় বারি মারে। লোকটি টাল সামলাতে না পেরে পিছিয়ে যায়। পদ্মজা উলটোদিকে দৌড়াতে থাকে। পিছনে ধাওয়া করে আগন্তুক। দুইবার ছুরির আঘাত,একবার মাথায় টর্চের বারি খাওয়ার পরও আগন্তুক লুটিয়ে পড়েনি মাটিতে। নিশ্চিন্তে সে এই রহস্যের পাক্কা খেলোয়ার। পদ্মজার শাল পরে যায় গা থেকে। তার খোঁপা খুলে রাতের মাতাল হাওয়ায় চুল উড়তে থাকে। ঝোপঝাড়ে মাঝে উদ্ভ্রান্তের মতো সে দৌড়াচ্ছে। কানে আসছে বাতাসের শব্দ! সাঁ,সাঁ,সাঁ! দুই হাতে শাড়ি ধরে রেখেছে গোড়ালির উপর। যেন শাড়িতে পা বেঁধে পড়ে না যায়। জুতা ছিঁড়ে পড়ে থাকে জঙ্গলে। কাঁটা কাঁটায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় পদ্মজার পা। রক্ত বের হয় গলগল করে। তবুও সে থামল না। সে এত সহজে মরতে চায় না। এই গল্পের শেষ অবধি যেতে হলে তাকে বাঁচতেই হবে।
0 notes
শার্লক হোমস
আমার লেখার অপছন্দের দিকটা বলছে বটে তার পাশাপাশি যে নিজের প্রশংসাটাও উপভোগ করছে—তার কথায় সে ভাবটা ধরতে কষ্ট হল না আমার। হোমসের চরিত্রের এ এক বিশেষ দিক। নিজের সম্পর্কে অহংভাবটা প্রকাশ করতে কুণ্ঠিত হয় না——প্রশংসা শুনলেই উৎফুল্লা হয়।
ঠোঁট চেপে হাসি গোপন করে কপট ভঙ্গীতে বললাম—সেই দিকটা তো তুমি দেখছ না—তোমার বিশ্লেষণী ক্ষমতার স্পর্শে সামান্য ঘটনাগুলোই কি অসামান্য
হয়ে উঠেছে। ব্যস। পালে হাওয়া লেগে গেল। বলল—ভায়া, সাধারণ মানুষ যুক্তিবিদ্যার কদর কতটা আর বোঝে। দাঁত দেখে তাঁতিকে চিনা, কিংবা হাত দেখে মানুষের পেশা বলে দেওয়া—এ সবের মূল্য তারা তাই দিতেও পারে না। সে কারণে আমাকেও টেনে আনছে এমন সব মামলায় যে ঘেন্না ধরে যাচ্ছে ক্রমশ। এই নাও—
দেখো এই চিঠিটা পড়ে।
0 notes