Don't wanna be here? Send us removal request.
Video
youtube
অ্যাজমা বা হাঁপানি : কেন হয়? লক্ষন ও চিকিৎসা
অ্যাজমা বা হাঁপানি
অ্যাজমা বা হাঁপানি মূলত শ্বাসনালির প্রদাহজনিত একটি দীর্ঘমেয়াদি রোগ। এই প্রদাহের ফলস্বরূপ শ্বাসনালি ফুলে যায় এবং অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে হাঁপানির বিভিন্ন উপসর্গ (যেমন— শ্বাস-কষ্ট, কাশি, বুকের মধ্যে শোঁ শোঁ শব্দ, বুকে চাপ অনুভূত হওয়া ইত্যাদি) দেখা যায়। সঠিক সময়ে ও নিয়মিত চিকিৎসা গ্রহনের মাধ্যমে এ উপসর্গগুলো সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
হাঁপানি কেন হয়? এবং হাঁপানি রোগের লক্ষণসমূহ
হাঁপানি রোগের কারণ এখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি এবং এ রোগের জন্য কোনো নির্দিষ্ট কারণকেও এককভাবে দায়ী করা যায় না। অনেক ক্ষেত্রে বংশগত বা পরিবেশগত কারণে এ রোগ হতে পারে। কারও নিকটাত্মীয় যদি এ রোগে আক্রান্ত থাকে অথবা কারও যদি বিভিন্ন দ্রব্যের প্রতি অতিমাত্রায় অ্যালার্জি থাকে, তাহলে তার এ রোগ হতে পারে। এ ছাড়াও শ্বাসনালি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হলে এ রোগ হতে পারে।
অ্যাজমা বা হাঁপানি হওয়ার কোন নির্দিষ্ট বয়স নেই। এটি ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রোগও নয়। প্রদাহের ফলে শ্বাসনালির সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়, ফলস্বরূপ ঘন ঘন কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা হওয়া, শোঁ শোঁ আওয়াজ, বুকে চাপ অনুভূত হওয়া বা নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। সঠিকভাবে ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না নিলে অনেক সময় এ রোগে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
ধুলোবালির মধ্যে থাকা মাইট নামক একধরনের ক্ষুদ্র কীট, ফুলের পরাগরেণু, পাখির পালক, ছত্রাক, ইস্ট এবং সিগারেটের ধোঁয়ার মধ্যে যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে থাকেন তাদের এ রোগ হতে পারে। ধূমপান শুধু শ্বাসকষ্টের অন্যতম কারণই নয়, বহুক্ষেত্রে এটা হাঁপানির তীব্রতা অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়, হাঁপানির ঔষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় এবং কোন কোন ক্ষেত্রে ধূমপান ফুসফুসের কার্যক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ীভাবে কমিয়ে দেয়।
পেশাগত কারণেও কখনো কখনো এ রোগটি হতে পারে। কিছু উত্তেজক উপাদান (যেমন- শ্বাসনালির সংক্রমণ, অ্যালার্জি জাতীয় কোন বস্তুর সংস্পর্শ, ধুলা, বায়ুদূষণ, সিগারেটের ধোঁয়া ইত্যাদি) অনেক সময় অতি সংবেদনশীল রোগীর শ্বাসকষ্টের কারন হতে পারে।
কিছু ওষুধ, যেমন বিটা ব্লকার (উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য এ ওষুধটি ব্যাবহার করা হয়), এন এস এ আই ডি (ব্যথা নিরাময়ের জন্য ব্যাবহার করা হয়), এসপিরিন ইত্যাদি ওষুধের কারনেও হাঁপানি হতে পারে।
মানসিক চাপও অনেক ক্ষেত্রে হাঁপানির তীব্রতা বাড়াতে পারে।
কারও কারও গরুর মাংস, চিংড়ি মাছ, ইলিশ মাছ, হাঁসের ডিম, পুঁইশাক, বেগুন, মিষ্টিকুমড়া, ইত্যাদি খাবারের প্রতি সংবেদনশীলতা আছ��, খেলে চুলকায় অথবা নাক দিয়ে পানি পড়ে। তবে সাধারনভাবে খাবারের মাধ্যমে যে অ্যালার্জি হয় তাতে খুব কম সংখ্যক মানুষেরই শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। কারও কারও আবার নানান রকম সুগন্ধি, মশার কয়েল বা কীটনাশকের গন্ধের কারনেও শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি পেতে পারে।
রোগ নির্ণয়
অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগের প্রধান লক্ষণগুলো হলো শ্বাসকষ্ট, কাশি, বুকে শোঁ শোঁ শব্দ হওয়া, বুকে চাপ অনুভূত হওয়া এবং অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত হয়ে যাওয়া। হাঁপানি বা অ্যাজমা নির্ণয়ের প্রথম ধাপে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রোগীর মুখে রোগের বিস্তারিত ইতিহাস জেনে সিদ্ধান্ত নেবেন। সাধারণত এ উপসর্গগুলো রাতে বা সকাল সকাল বেশি অনুভূত হয় এবং শ্বাসনালীতে কোনো ধরনের অ্যালজেন প্রবাহ প্রবেশ করার ফলে অথবা অল্প-মাত্রায় পরিবর্তনের কারনে এ লক্ষণসমূহের তীব্রতা অনেক বেড়ে যায়। কোন কোন ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট বা কাশি শুরুর আগে নাক চুলকায়, নাক দিয়ে পানি পড়ে, হাঁচি হয়, চোখ লাল হয়ে যায়। ওপরের উপসর্গসমূহের সঙ্গে বংশে কারও হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস থাকলে ধরে নেওয়া হয় যে তারও হাঁপানি রয়েছে।
হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে বা প্রতিরোধে রোগীর ভূমিকা
হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে রোগীকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। রোগীকে অ্যাজমা বা হাঁপানি সম্পর্কে, রোগের প্রকৃতি, চিকিৎসা, ইনহেলারের কাজ, ইনহেলার কখন ও কিভাবে ব্যবহার করবেন এই বিষয়ে ভালভাবে জানতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো রোগীকে সঠিকভাবে ইনহেলার ব্যবহার করতে জানতে হবে।
কি ধরনের চিকিৎসা তার প্রয়োজন, তার হাঁপানির উপসর্গ কখন বৃদ্ধি পায়, কখন ইনহেলার ব্যবহার করতে হবে, রোগটি তার নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে না বাইরে চলে যাচ্ছে এবং কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে সেই বিষয়ে রোগীর বিস্তারিত ধারনা থাকতে হবে।
হাঁপানি একটি দীর্ঘমেয়াদি রোগ, তাই স্বাভাবিকভাবেই এ রোগের ওষুধও অনেক দিন ধরে ব্যবহার করতে হয়। হঠাৎ উপসর্গ কমে গেলে বা না থাকলেও কখনোই হঠাৎ করে ওষুধ বন্ধ করা উচিত নয়। অবশ্যই মনে রাখতে হবে, অ্যাজমার চিকিৎসা প্রায় সব সময়েই দীর্ঘমেয়াদি হয়। অবশ্য এ কথার মানে এই নয় যে একজন হাঁপানি রোগীকে জীবনভর ওষুধ নিতে হবে। একজন অ্যাজমা রোগী নিয়মিত হাঁপানি প্রতিরোধক ওষুধ ব্যবহার করলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তিন থেকে পাঁচ বছর সময়ের মধ্যে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে এ রোগ সম্পূর্ণভাবে রোগীর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
উপসর্গের তীব্রতা ও সময়ের সাথে সাথে ওষুধের মাত্রাও সাধারণত কমতে থাকে অর্থাৎ রোগের উপসর্গ কমার সাথে সাথে ধীরে ধীরে ওষুধের পরিমাণও কমিয়ে আনতে হয়। কখনোই হঠাৎ করে কমিয়ে ফেলা উচিত নয়।
হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে রোগীর ভূমিকা সবসময়েই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রোগীকে কিছু কিছু বিষয় সম্পর্কে খুব ভালভাবে জানতে হবে। যেমন- কখন ওষুধের পরিমাণ বাড়াতে হবে, কী কী উপসর্গ দেখলে রোগী চিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন ইত্যাদি। অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণের জন্য রোগীকে অবশ্যই ওষুধ দেওয়ার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। অর্থাৎ, সঠিকভাবে ইনহেলার ব্যাবহারের পদ্ধতি, সঠিকভাবে নেবুলাইজার ব্যবহার এবং সাথে সাথে এ যন্ত্রগুলো কীভাবে কাজ করে, সে সম্পর্কেও ভাল ধারনা থাকতে হবে।
নিয়মিতভাবে সঠিক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি হাঁপানির উত্তেজক দ্রব্য থেকেও নিজেকে রক্ষার ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। প্রত্যেক রোগীর উত্তেজক দ্রব্য অথবা অ্যালার্জি ভিন্ন হবে সেটাই স্বাভাবিক। সেজন্য রোগীকে তার জন্য নির্দিষ্ট কোনো উত্তেজক আছে কি না সে বিষয়ে জানতে হবে এবং পরিহার করতে হবে। এ ছাড়াও কিছু সাধারণ ব্যাপারে সবসময় সচেতন থাকতে হবে, যেমন—প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ধূমপান ও ধুলা থেকে সাবধান থাকতে হবে। বাসায় বড় কার্পেট ব্যাবহার না করা, বিশেষ করে শোয়ার ঘরে। বাসায় কোনো পোষা জীব, যেমন—পাখি, কুকুর, বিড়াল ইত্যাদি না রাখা। বাসায় কোনো ধরনের কীটনাশক স্প্রে ব্যবহার না করা, ভেকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার না করাই ভাল।
পূর্ব থেকে অ্যাজমা সম্পর্কে সঠিকভাবে ধারনা থাকলে খুব সহজেই হঠাৎ অ্যাজমার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হয় না।
অ্যাজমা বা হাঁপানি : কেন হয়? লক্ষন ও চিকিৎসা
হাঁপানি বা অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে করনীয়
গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অ্যাগেইনস্ট অ্যাজমা (জি আই এন এ) একটি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠন, যারা অ্যাজমা নিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। জি আই এন এ’র উদ্যোগ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার সহযোগিতায় ২০০৩ সাল থেকে প্রতিবছর মে মাসের প্রথম মঙ্গলবার সাধারণ মানুষ ও অ্যাজমা রোগীদের মধ্যে এ রোগটি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে বিশ্ব অ্যাজমা দিবস পালিত হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও এ দিনটি বিশেষ মর্যাদায় শোভাযাত্রা, পোস্টার, সেমিনার, অ্যাজমা রোগীদের সাথে মতবিনিময়, অ্যাজমা রোগের সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে সাধারন মানুষকে সচেতন করা এবং অ্যাজমা রোগ প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করা হয়ে থাকে। হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে রোগীর ভূমিকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। একজন রোগী একটু সতর্ক হলে খুব সহজেই নিজের হাঁপানি নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। একজন রোগীর তার রোগ, ওষুধপত্র, উত্তেজক দ্রব্য ও খাবার, ওষুধ ব্যবহারের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, ইনহেলারের কাজ ও ব্যাবহার ইত্যাদি সম্পর্কে সঠিকভাবে ধারণা থাকলে খুব সহজেই হাঁপানির উপসর্গগুলো সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
চিকিৎসা
হাঁপানির চিকিৎসায় নানান ধরনের ওষুধ ব্যবহৃত হয়, যেমন—রোগ উপশমকারী ওষুধ, রোগ প্রতিরোধ বা বাধাপ্রদানকারী ওষুধ। এ ওষুধগুলো সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকার পাশাপাশি কীভাবে কাজ করে, সঠিক মাত্রা এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কেও ভাল ধারনা থাকতে হবে।
হাঁপানি সম্পূর্ণভাবে ভালো করার এখনো কোনো ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। তবে সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে এ রোগ সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করতে পারেন।
হাঁপানি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রন না করতে পারলে তা মারাত্মক হতে পারে এমনকি মৃত্যুর কারণও হতে পারে। হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে কোন কোন উপসর্গে রোগীর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ সব রোগীর রোগের উপসর্গ কমা বা বাড়ার ব্যাপারে একই উত্তেজক দায়ী নয়। সঠিক চিকিৎসা ও হাঁপানির ওষুধ সঠিকভাবে ব্যবহার করলে সম্পূর্ণ সুস্থ্য ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করা সম্ভব।
অ্যাজমা সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর
শ্বাসকষ্ট মানেই কি অ্যাজমা?
শ্বাসকষ্ট মানেই কিন্তু অ্যাজমা নয়। অ্যাজমা ছাড়াও আরও নানান কারণে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। যেমন- হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট হতে পারে, যাদের রক্তশূন্যতা আছে, তাদের হতে পারে এছাড়াও কিডনি রোগের ক্ষেত্রেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
সব খাবারে কি সবারই অ্যালার্জি হতে পারে?
ব্যক্তিভেদে বিশেষ খাবারে অ্যাজমা হতে পারে। যেমন- গরুর মাংস কারও কারও ক্ষেত্রে অ্যাজমার তীব্রতা বৃদ্ধি করলেও সবার ক্ষেত্রে একই রকমের সমস্যা হয় না। একইভাবে চিংড়ি মাছ কারও কারও ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করলেও আরেকজনের ক্ষেত্রে হয়তো কিছুই হয় না, আবার এমনও হতে পারে, গরুর মাংস অথবা চিংড়ি মাছ খেলে কিছুই হয় না কিন্তু বেগুন খেলেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। অর্থাৎ, ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির ভিন্ন ভিন্ন খাবারের প্রতি অ্যালার্জি থাকতে পারে।
অ্যাজমা ছোঁয়াচে রোগ কিনা?
অ্যাজমা ছোঁয়াচে রোগ নয়। বংশগতভাবে অর্থাৎ বংশে কারও অ্যাজমা থাকলে বংশধরদের ভেতর এই রোগ হতে পারে।
বুকের দুধ খেলে শিশুর অ্যাজমা হওয়ার আশঙ্কা আছে কিনা?
আক্রান্ত মায়ের বুকের দুধ খেলে শিশুর অ্যাজমা হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই এবং মায়ের সংস্পর্শেও অ্যাজমা হওয়ার কোন সম্ভবনা নেই।
অ্যাজমা বা হাঁপানি কি সম্পূর্ণভাবে নিরাময়যোগ্য?
অ্যাজমা সম্পূর্ণভাবে ভালো হয় না। তবে এখন অ্যাজমার অনেক আধুনিক চিকিৎসা আছে, অর্থাৎ সঠিকভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করলে একজন অ্যাজমা রোগী প্রায় সুস্থভাবে জীবন যাপন করতে পারবে।
ইনহেলার ব্যবহার কখন করবেন?
ইনহেলার দিয়েই প্রথমে চিকিৎসা শুরু হয়। কারন ইনহেলার দেওয়ার দু-তিন মিনিটের মধ্যেই শ্বাসকষ্ট আর থাকে না। যদিও অনেকের ধারনা সর্বশেষ ওষুধ হিসেবে ইনহেলার ব্যাবহার করা হয় অর্থাৎ ট্যাবলেট, সিরাপ অথবা ক্যাপসুল সবই যখন ব্যর্থ তখন অ্যাজমার চিকিৎসায় ইনহেলার ব্যাবহার করা হয় কিন্তু কথাটা মোটেও সত্য নয়।
সবশেষে
পৃথিবীতে প্রায় ৩০ কোটি মানুষ অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগে আক্রান্ত। এর মধ্যে কিছু সংখ্যক মানুষের ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রচলিত পদ্ধতিতে অ্যাজমার চিকিৎসা করা যাচ্ছে কিন্তু সম্প্রতি একটি গবেষণা প্রতিবেদনে প্রকাশ হয়েছে যে, এমন কিছু ওষুধ নিয়ে বর্তমানে গবেষণা করা হচ্ছে, যার ফলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে অ্যাজমা রোগ পুরোপুরিভাবে দূর করা সম্ভব হবে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাজমা তৈরিকারী দ্রব্যসমূহ শ্বাসনালির টিস্যুতে গিয়ে সি এ এস আর কে কার্যকরি করে তোলে এ��ং এর ফলস্বরূপ অ্যাজমার লক্ষণসমূহ যেমন প্রদাহ এবং শ্বাসনালি সরু হয়ে যাওয়া প্রকাশ পায়। ক্যালসিলাইটিস সরাসরি ফুসফুসে ব্যবহার করলে এটি অ্যাজমার লক্ষণ অনেকাংশে হ্রাস করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই গবেষণা সফল হলে সি ও পি ডি’র মতো ফুসফুসের অনেক কঠিন রোগও নিরাময় করা সম্ভব হবে। এ��নকি ২০২০ সালের মধ্যে অ্যাজমা বা হাঁপানির মতো বড় একটি রোগকে প্রতিহত করা সম্ভব হবে।
0 notes
Video
youtube
ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বরে ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গের পাশাপাশি আরো কিছু সমস্যা দেখা যায় যেমন- শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত পড়া, পায়খানার সঙ্গে তাজা রক্ত বা কালো পায়খানা, মেয়েদের বেলায় অসময়ে ঋতুস্রাব বা রক্তক্ষরণ, বুকে বা পেটে পানি আসা ইত্যাদি। আবার, লিভার আক্রান্ত হয়ে রোগীর জন্ডিস, কিডনিতে আক্রান্ত হয়ে রেনাল ফেইলিউর ইত্যাদি জটিলতা দেখা দিতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বরের সবচেয়ে ভয়াভহ রূপ হলো ডেঙ্গু শক সিনড্রোম। ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারের সঙ্গে সার্কুলেটরি ফেইলিউর যোগ হয়ে ডেঙ্গু শক সিনড্রোম হয়।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ডেঙ্গু জ্বরে সাধারণত তীব্র জ্বর (১০৫ ফারেনহাইট পর্যন্ত) এবং সেই সঙ্গে শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। এ ছাড়াও মাথা ব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হতে পারে। জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ৪ থেকে ৫ দিনের মাথায় সারা শরীরে লালচে দানা দেখা যায়, যাকে স্কিনর্যাশ বলে। এটা অনেকটা অ্যালার্জি বা ঘামাচির মতো। এর সঙ্গে বমি বমি ভাব এমনকি বমিও হতে পারে। ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগী অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ করে এবং খাবারে রুচি কমে যায়। এই অবস্থাটা অত্যন্ত জটিল হতে পারে, যেমন- অন্যান্য সমস্যার পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত পরা শুরু হতে পারে, যেমন- মাড়ি ও দাঁত থেকে, কফের সঙ্গে, রক্ত বমি, চামড়ার নিচে, নাক ও মুখ দিয়ে, পায়খানার সঙ্গে তাজা রক্ত বা কালো পায়খানা, চোখের মধ্যে ও চোখের বাইরে রক্তক্ষরণ ইত্যাদি।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন? যেহেতু ডেঙ্গু জ্বরের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই এবং এই জ্বর সাধারণত নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়, তাই উপসর্গ অনুযায়ী সাধারণ চিকিৎসাই যথেষ্ট। তবে কিছু কিছু জতিলতার ক্ষেত্রে যেমন- শ্বাসকষ্ট হলে, পেট ফুলে পানি এলে, শরীরের কোনো অংশে রক্তপাত হলে, প্লাটিলেটের মাত্রা কমে গেলে, অতিরিক্ত ক্লান্তি বা দুর্বলতা দেখা দিলে, প্রচণ্ড পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব বা বমি হলে, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে, জন্ডিস দেখা দিলে ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা দেয়া উচিত।
কী কী পরীক্ষা করা উচিত? অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ডেঙ্গু জ্বর হলে খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার প্রয়োজন, এতে অযথা অর্থের অপচয় হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করাতে হবে। জ্বরের ৪ থেকে ৫দিন পর সিবিসি এবং প্লাটিলেট টেস্ট করতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা সাধারণ জ্বরের মতোই। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগীই সাধারণত ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়। এমনকি কোনো চিকিৎসা না করালেও। তবে রোগীকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চলতে হবে যাতে ডেঙ্গুজনিত কোনো মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি না হয়। নিম্নে ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসায় করনীয় কিছু বিষয় উল্লেখ করা হলঃ
জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল সেবন করতে হবে, দিনে সর্বোচ্চ ৪বার। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। জ্বর কমানোর জন্য বারবার শরীর মুছে দিতে হবে। জ্বরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। তাই প্রচুর পানি ও তরল জাতীয় খাবার, যেমন— ওরাল স্যালাইন, ফলের জুস, শরবত ইত্যাদি পান করতে হবে। বমির কারণে যদি কোন রোগী পানি পান করতে না পারেন সেক্ষেত্রে, শিরাপথে স্যালাইন দিতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে করনীয় ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের জন্য এডিস মশার বিস্তার রোধ করা এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সাধারণত স্বচ্ছ ও পরিষ্কার পানিতে এরা ডিম পাড়ে। ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত অথবা ড্রেনের পানিতে এরা ডিম পারে না। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার ডিম পাড়ার উপযোগী স্থানসমূহকে পরিষ্কার করতে হবে এবং পাশাপাশি মশা নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বাড়ির আশপাশের জলাশয়, ঝোপঝাড়, জঙ্গল ইত্যাদি থাকলে তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ঘরের বাথরুমে বা অন্য কোথাও জমানো পানি যেন ৫ দিনের বেশি না থাকে। আবার ফ্রিজ, এয়ারকন্ডিশনার বা অ্যাকুয়ারিয়ামের নিচেও যেন পানি জমে না থাকে। যেহেতু এডিস মশা মূলত এমন স্থানে ডিম পাড়ে, যেখানে স্বচ্ছ পানি জমে থাকে। তাই ফুলদানি, অব্যবহৃত কৌটা, ডাবের খোলা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদি থাকলে তা সরিয়ে ফেলতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বর : ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষন, চিকিৎসা ও প্রতিরোধে করণীয়?
ডেঙ্গু অথবা ভাইরাল জ্বরে অ্যান্টিবায়োটিক দরকার নেই বর্ষা ও বর্ষা পরবর্তী সময়ে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ অনেক বেড়ে যায়। কখনো মুষলধারে বৃষ্টি আবার কখনো উজ্জল রোদ কিংবা ভ্যাপসা গরম এরকম অস্বস্তিকর পরিবেশে মূলত আবহাওয়ার তারতম্য এবং বাতাসে আর্দ্রতার পার্থক্যের কারণে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাল জ্বর হয়ে থাকে। আবার ���েমে থেমে বৃষ্টির কারণে পানি জমে ডেঙ্গু মশার প্রজনন বিস্তারের অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় ডেঙ্গু মশার বিস্তার লাভ সহজ হয়।
0 notes
Video
youtube
ত্বকের যত্নে পেঁয়াজের যত উপকারিতা
পেঁয়াজ মানেই তা রান্নাঘরে কাজে লাগবে এমন ভাবনা ভুল। ত্বকের খেয়াল রাখতে আর সুন্দর হয়ে উঠতে কাজে লাগাতে পারেন পেঁয়াজকে। চোখে জল আনা পেঁয়াজের গুণে আপনার ত্বক হয়ে উঠবে অন্যদের ঈর্ষার কারণ। কীভাবে পেঁয়াজ ব্যবহার করবেন, আজ থাকল তারই টিপস-
পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান থাকে। তাছাড়াও থাকে ভিটামিন A, C ও E। যা ত্বকের কোশগুলিকে সজীব রাখে। আর UV রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া রোধ করতেও কাজ দেয় পেঁয়াজ। এজন্য পেঁয়াজের রস বা পেঁয়াজ বাটা জলে মিশিয়ে মুখে লাগাতে হবে।
ব্রণ-ফুসকুড়ির সমস্যার সমাধানও করা সম্ভব পেঁয়াজের সাহায্যে। প্রতিদিন কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পারলে ফল পাবেন। ব্রণ কম হবে। ত্বক থাকবে পরিষ্কার।
প্রাকৃতিক ক্লিনজ়িং উপাদান থাকে পেঁয়াজে। ত্বক পরিষ্কার রাখতে ক্লিনজ়িং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজ়িং ও স্ক্রাবিং করার পরও মনের মতো জেল্লা আসে না। কাঁচা পেঁয়াজ খেলে বা মুখে লাগালে ত্বকের সবধরনের ময়লা দূর হয়। ত্বক হয়ে ওঠে জেল্লাদার।
এক চামচ পেঁয়াজের রস, এক চামচ বেসন, আধ চামচ ক্রিম মিশিয়ে নিন। প্যাকটি চার সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন মুখে লাগান। দাগছোপ সম্পূর্ণ দূর হয়ে যাবে।
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে, এক চামচ ভিটামিন E ও এক চামচ পেঁয়াজের রস মিশিয়ে কালো হয়ে যাওয়া ঠোঁটে লাগান। ত্বকের গোলাপি রং ফিরে পাবেন কদিনেই।
0 notes
Video
youtube
ক্যান্সার সম্পর্কিত কিছু বিস্তারিত তথ্য – যা আপনার জানা একান্ত জরুরী
প্রথমেই জানা যাক ক্যান্সার কি? ক্যান্সারঃ ক্যান্সার বা কর্কটরোগ হল অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন সংক্রান্ত রোগসমূহের সমষ্টি। এখনও পর্যন্ত এই রোগের মৃত্যুর হার অনেক বেশি। কারণ প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার রোগ সহজে ধরা পরে না, ফলে দেখা যায় শেষ পর্যন্ত গিয়ে ভালো কোনও চিকিৎসা দেয়াও সম্ভব হয় না।
ক্যান্সারের কারণঃ ঠিক কি কারণে ক্যান্সার হয় সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে সাধারণ কিছু কারণ খুঁজে পাওয়া গেছে।
ক্যান্সারের সাধারণ লক্ষণঃ গোড়াতেই যদি চিহ্নিত করা যায় তাহলে অনেক দুরারোগ্য রোগের হাত থেকেই নিস্তার মেলে। কিন্তু আমরা তো সেগুলোকে মোটেই পাত্তা দিয়ে থাকি না! উল্টো করে যদি বলি, ‘শরীর থাকলে শরীরে একটু-আধটু আধি-ব্যাধি থাকবেই’। এরকম ভাবেই ক্যান্সারের একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ের অনেক গুলোই লক্ষণ আছে। অবহেলা না করে যদি আপনি একটু নজর দিলেই এই কঠিন দুরারজ্ঞ ব্যাধি থেকে রেহাই পেতে পারেন।
১। খুব ক্লান্ত বোধ করা
২। ক্ষুধা কমে যাওয়া
৩। অস্বাভাবিক রক্তপাত হওয়া
৪।শরীরের যে কোনজায়গায় চাকা বা দলা দেখা দেয়া
লিভার ক্যান্সার কেন হয় ? ১) ক্রনিক হেপাটাইসিসঃ ভাইরাল হেপাটাইসিস লিভার কান্সারের সাথে সম্পর্কিত । প্রায় ৩০% ক্যান্সার রোগীর ক্ষেত্রে দেখা যায় যে তাদের এর আগে ক্রনিক হেপাটাইসিস ছিল এর মধ্যে হেপাটাইসিস বি সবচেয়ে কমন।
২) সিরোসিসঃ প্রায় ৫০%-৯০% ক্ষেত্রেই দেখা যায় লিভার কান্সারের ���োগী সিরোসিস এ ভুগে থাকেন। সুতরাং ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য লিভার সিরোসিস এর রোগীদের নিয়মিত হাসপাতালে চেক-আপ করাতে হবে।
signs-of-lung-cancer-in-women
ফুসফুস ক্যান্সারের কারণগুলো নিন্মে দেয়া হলঃ ১। ধূমপান ফুসফুস ক্যান্সারের প্রধান কারণ। ১৯৫০ সাল থেকে অসংখ্য গবেষণায় প্রাপ্ত, এটি একটি প্রতিষ্ঠিত সত্য। ২। ফুসফুস ক্যান্সারের ৯০ শতাংশ কারণ প্রত্যক্ষ ধূমপান
৩। যিনি দিনে এক প্যাকেট সিগারেটের ধূম পান করেন, তাঁর ফুসফুস ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অধূমপায়ীর চেয়ে ২৫-৩০ গুণ বেশি। ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর ৯০ শতাংশ ধূমপায়ী। তবে সব ধূমপায়ীই ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হন না। প্রতি ১০ জন ধূমপায়ীর মধ্যে চারজনের ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
স্তন ক্যান্সার নিয়মিত স্তন পরীক্ষা করা কিংবা প্রতি এক অথবা দুই বছর অন্তর ম্যামোগ্রাম(স্তনের এক্সরে ছবি) করিয়ে আপনি সম্ভবত ভাবছেন, স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে আপনি যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করছেন। সমস্যা হলো স্তনে চাকা কিংবা মাংসপিন্ডের উপস্থিতি সনাক্ত করার কথা শুনতে যতটা সহজ মনে হয় বাস্তবে এটা সনাক্ত করা ততটা সহজ নয়। স্তন ক্যান্সারের সতর্কতাসূচক লক্ষণ ১। স্তন কিংবা বুকে ব্যথাঃ স্তন কিংবা বুকে ব্যথা, ধড়ফড় করা, টনটন করা অথবা ধারালো ছুরির আঘাতের মতো ব্যথা কিংবা অস্বস্তি কোন ভালো লক্ষণ নয়। ব্রেস্ট ক্যান্সার থেকে বেঁচে যাওয়া এক রোগী ডাক্তারের কাছে বর্ণনা করেন, তীব্র ব্যথা যা আসে এবং চলে যায়। আরেকজন এই ব্যথাকে মৃদু বৈদ্যুতিক শকের সাথে তুলনা করেছেন। তিনি বলেন, এটা আমার বাম স্তন থেকে প্রবাহিত হয়ে ডান স্তনবৃন্তে যাচ্ছে বলে মনে হয়।
২। স্তনে চুলকানিঃ এই লক্ষণ প্রদাহজনক স্তন ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ বলে বিবেচনা করা হয়। এটা আশ্চর্যের বিষয় যে, অনেক নারী এধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার পর, এটাকে চর্মরোগ বিবেচনা করে মাসের পর মাস চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। স্তনে ফুসকুড়ি হলে তীব্র চুলকানি থেকে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে মলম ব্যবহার করেও কোন উপকার পাওয়া যায় না। এধরনের সমস্যায় স্তনের চামড়া আঁশযুক্ত হয়ে যায়। স্তনে টোল খায় অথবা খাঁজের সৃষ্টি হয়। স্তন কুঁচকে যায়।
৩। পিঠের উপরের দিকে, কাঁধে কিংবা ঘাড়ে ব্যথাঃ স্তন ক্যান্সারের অনেক রোগীর ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা না করে কাঁধে কিংবা ঘাড়ে, পিঠে ব্যথা করে। এ কারণে অনেকে মেরুদন্ড বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়ে স্বাভাবিকভাবেই ক্রনিক পিঠে ব্যথার চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। যা ফিজিক্যাল থেরাপি দিয়েও ঠিক করা যায় না।অনেক স্তন টিউমার গ্রন্থিময় টিস্যুতে বিকশিত হয়, যা বুকের গভীরে প্রসারিত হয়। এই টিউমার বড় হয়ে পাঁজরে কিংবা মেরুদন্ডে চাপের সৃষ্টি করে। ফলে এসব এলাকায় ব্যথার উদ্ভব হয়। এ থেকে পরবর্তীকালে দ্বিতীয় পর্যায়ের হাড়ের ক্যান্সার হতে পারে।
0 notes
Video
youtube
ঘামের কারণ, ঘাম কমানোর উপায় এবং ঘামের দুর্গন্ধ দূর করার উপায় - ঘাম দূর করার উপায়
শরীরে ঘাম হওয়া খুবই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু প্রচুর ঘাম হওয়া এবং ঘামে দুর্গন্ধ হওয়া দুটোই আপনাকে খুব বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিতে পারে। আসুন তবে দেখে নেয়া যাক ঘাম কেন হয়, অতিরিক্ত ও দুর্গন্ধযুক্ত ঘাম কেন হয় এবং পাশাপাশি এসবের প্রতিকার।
আমাদের শরীরে দুই ধরনের ঘামগ্রন্থি থাকে, এক্রাইন এবং অ্যাপক্রাইন। এক্রাইন গ্রন্থির সংখ্যা শরীরে হাজার হাজার যা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। স্নায়ুতন্ত্রের সাথে সম্মিলিত হয়ে এক্রাইন গ্রন্থি ঘাম নিঃসরণ করে থাকে। ঘামে পানি, সোডিয়াম এবং আরও অন্যান্য কিছু উপাদান থাকে যা শরীরকে বাড়তি তাপ ঝরিয়ে ঠাণ্ডা থাকতে সহায়তা করে।
অ্যাপক্রাইন গ্রন্থি পাওয়া যায় বগলে এবং শরীরের নিম্নাংশে। শরীরের এই অংশগুলো উত্তেজনা, মানসিক চাপ, অস্থিরতা ইত্যাদিতে অনেক বেশি উদ্দীপ্ত হয়। অ্যাপক্রাইন গ্রন্থি এই অংশগুলোতে ব্যাক্টেরিয়ায় সৃষ্টি করে যা শরীরে আলাদা গন্ধ প্রদান করে। এই কারণেই শরীরের এসব অংশে পারফিউম বা সুগন্ধিকারক ব্যবহৃত হয়।
মানুষের শরীরে প্রায় দুই থেকে চার মিলিয়ন ঘামগ্রন্থি রয়েছে। লিঙ্গ, বংশ, পরিবেশ, বয়স এবং মানসিক অবস্থাভেদে ঘামগ্রন্থি থেকে বিভিন্ন পরিমাণে ঘাম নিঃসরণ হয়। শরীরের ওজনের ওপর ঘামের পরিমাণ অনেক বেশি নির্ভর করে, কারণ শরীরের ওজন যত বেশি হবে শারীরবৃত্তীয় কাজ সম্পাদনে তত বেশি খাটুনি হবে এবং ঘামের পরিমাণ ততই বেশি হবে।
আবার অনেক সময় সম্পূর্ণ ফিট শরীরের মানুষও ঘামে বেশি। শুনতে একটু অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। কারণ সম্পূর্ণ সুস্থ শরীরে সবরকম গ্রন্থি খুব বেশি কাজ করে এবং শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে সহায়তা করে। যদি কারো শরীর এক ঘণ্টায় এক লিটার ঘাম নিঃসরণ করতে পারত তাহলে তা থেকে ৫,৪০,০০০ ক্যালোরি পর্যন্ত খরচ হয়ে যেত।
সাধারণত ঘাম হবার কারণসমূহ
১. তাপমাত্রা এবং জলবায়ু
ঘাম নিঃসরণ হওয়া আপনার শরীরকে ঠাণ্ডা করার একটি উপায়। আশেপাশে আবহাওয়া অতিরিক্ত গরম থাকলে শরীর নিজেকে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখার জন্য ঘামের মাধ্যমে অতিরিক্ত তাপ বের করে দিয়ে সামঞ্জস্য করে থাকে।
আপনি যা করতে পারেন
ঘাম আপনি কখনই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। এটা খিদে পাওয়া, ঘুম, ক্লান্তি ইত্যাদির মতই একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। বাইরে অতিরিক্ত গরম থাকলে আপনি সুতির কাপড় পরিধান করতে পারেন। সুতির কাপড় ঘাম শোষণ করে আপনাকে ফ্রেশ রাখবে। পাশাপাশি ঘামের গন্ধ (সবসময়ই ঘামের গন্ধ দুর্গন্ধ হয় না। এটি শরীরের স্বাভাবিক গন্ধও ছড়িয়ে থাকে) কমাতে চাইলে পারফিউম বা রোল অন ব্যবহার করতে পারেন।
২. অধিক ব্যায়াম
ব্যায়াম করলে হৃদপিণ্ডের গতি বেড়ে যায়। এর জন্য শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং ঘাম হয়ে থাকে।
আপনি যা করতে পারেন
ঠাণ্ডা কক্ষে ব্যায়াম করতে পারেন। বাইরে ব্যায়াম করলে খুব সকালে অথবা সন্ধ্যায় ব্যায়াম করুন। ওই সময় তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে।
ব্যায়াম করুন তখন বাহিরে�� তাপমাত্রা যখন কম
৩. সংবেদনশীলতা
আপনার অনুভূতিগুলো, যেমন রাগ থেকে শুরু করে ভালোবাসা পর্যন্ত যেকোনো কিছুর অতিরিক্ত অনুভুতি আপনার শরীরে ঘাম সৃষ্টি করতে পারে।
আপনি যা করতে পারেন
সংবেদনশীলতা এবং ঘাম কোনোটাই আপনার নিয়ন্ত্রণে নেই। তাই এক্ষেত্রে আপনি আসলে তেমন কিছু করার সুযোগ পাচ্ছেন না। আপনার অনুভূতিকে চেপে না রেখে বরং প্রকাশ করুন বেশি করে। এতে করে আপনার মানসিক চাপ কম থাকবে এবং আপনি কম ঘামবেন।
আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা সবসময় সম্ভব নয়
৪. ঝাল এবং গরম খাবার
ঝাল খাবার শরীরে কিছু গ্রন্থিকে সতেজ করে যা শরীরে তাপমাত্রা বাড়ায় এবং ঝালের উদ্রেক করে। এর ফলে ঝাল খেলে কপালে, ঠোঁটের উপরের অংশে ও ঠোঁটের নীচে ঘাম জমে।
গরম খাবারের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একই রকম।
আপনি যা করতে পারেন
হালকা গরম এবং কম ঝাল খাবার খেতে পারেন। যদি আপনি এমন খাবারেই অভ্যস্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনি একজন পুষ্টিবিদের শরণাপন্ন হতে পারেন।
ঝাল খাবার এবং গরম খাবার কম খাবেন
অতিরিক্ত ঘাম হবার কারণসমূহ
অনেকেরই হাতের তালু অথবা বগল অতিরিক্ত ঘামে। এর জন্য হয়ত কোনো কারণ ছিলো না অর্থাৎ কোনোরকম মানসিক চাপ বা উত্তেজনা ছাড়াই কেউ যদি ঘন ঘন ঘামে তাহলে একে বলা হয় ডায়াফোরেসিস বা হাইপারহাইড্রোসিস। এর পেছনে কিছু কারণ থাকতে পারে। যেমন-
ঘামের গন্ধ দূরীকরণে কিছু উপায়
শরীরের যেসব ভাজে ঘাম হয় সেসব স্থান শুকনা রাখতে চেষ্টা করুন।
এক কাপ পানিতে তিন টেবিল চামচ হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড মিশিয়ে তাতে এক টুকরা সুতির কাপড় ভেজান। তারপর ওই কাপড় দিয়ে শরীরের ঘেমে যাওয়া অংশগুলো মুছে নিন। এই মিশ্রণটি শরীরের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সহায়তা করে।
খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন আনুন। ভাজাপোড়া খাবার, অতিরিক্ত তেল, রসুন এবং পেঁয়াজ, ক্যাফেইন, অ্যালকোহল ইত্যাদি ঘামে দুর্গন্ধ বাড়ায়। খাদ্যতালিকায় এগুলোর পরিমাণ কমিয়ে আনুন।
ঘুমাতে যাবার সময় শরীরে সুগন্ধি ব্যবহার করুন। এসময় একটি দীর্ঘ সময়ব্যাপী আপনার শরীরে ঘাম কম হয় এবং পানি লাগানো হয় না বলে এটি ওই সময়ে ভালো কাজ করে। তাছাড়া সকালে ঘুম থেকে উঠে গোসলের পরও সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন।
0 notes
Video
youtube
সাধারণত শতকরা ৭০ থেকে ৮০ ভাগ নবজাতকেরই জন্মের পর পর জন্ডিস (Jaundice) হয়ে থাকে। ৫০ শতাংশের বেলায় একে স্বাভাবিক জন্ডিস বলে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এটি ফিজিওলজিক্যাল জন্ডিস। শিশুর যকৃৎ সম্পূর্ণ কর্মক্ষম হয়ে উঠতে একটু দেরি হলে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায় এবং শিশু জন্ডিসে আক্রান্ত হয়। শিশুর ওজন কম হলে অথবা সময়ের আগে জন্ম নেওয়া শিশুর ক্ষেত্রে জন্ডিসে আক্রান্তের হার বেশি। এ ছাড়াও মা ও শিশুর রক্তের গ্রুপ ভিন্ন হলে, শিশু সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত বুকের দুধ না পেলে শিশুর জন্ডিস হতে পারে।
নবজাতকের জন্ডিস নানা কারণে নবজাতকের জন্ডিস হতে পারে। রক্তে কি ধরণের বিলিরুবিন বেড়ে যাচ্ছে তার উপর নির্ভর করে কারণগুলোকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। একটি হচ্ছে আনকনজুগেটেড হাইপার বিলিরুবিনেমিয়া এবং অপরটি কনজুগেটেড হাইপার বিলিরুবিনেমিয়া। রক্তে আনকনজুগেটেড বিলিরুবিন বৃদ্ধি পাওয়ার প্রধান কারনগুলো হল, ফিজিওলজিক জন্ডিস, ব্রেস্ট মিল্ক জন্ডিস, কনজেনিটাল হিমোলাইটিক অ্যানেমিয়া, এ-বি-ও ব্লাড ইনকমপ্যাটিবিলিটি এবং ক্রিগলার ন্যাজার সিনড্রোম। রক্তে কনজুগেটেড বিলিরুবিন বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণগুলো হল, নবজাতকের লিভার প্রদাহ বা নিওনেটাল হেপাটাইটিস সিনড্রোম এবং বিভিন্ন বংশগত লিভার রোগ (যেমন- বিলিয়ারী এট্রেসিয়া, ফ্যামিলিয়াল ইনট্রাহেপাটিক কোলেস্ট্যাসিস ইত্যাদি)। এছাড়াও, হাইপোথাইরয়ডিজম এবং হাইপোপিটুইটারিজম রোগে কনজুগেটেড ও আনকনজুগেটেড দুই ধরণের বিলিরুবিনই রক্তে বাড়তে পারে।
নবজাতকের জন্ডিস হলে সময়মতো নির্ণয় ও চিকিৎসা খুবই জরুরি
ফিজিওলজিক জন্ডিস নবজাতকের রক্তে বিলিরুবিন বেড়ে যাওয়ার কারণগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ ���ল ফিজিওলজিক জন্ডিস। এটি কোন রোগ নয়। সাধারণত জন্মের পর পর নবজাতকের লিভারের বিলিরুবিন প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং নিঃসরণ পদ্ধতি অপেক্ষাকৃত দেরিতে সম্পন্ন হয়। এই সময়ে অনেক শিশুর লোহিত রক্ত কণিকা ভেঙ্গে যে বিলিরুবিন উৎপন্ন হয় তা লিভারে প্রক্রিয়াজাত হয়ে শরীরের বাইরে বের হতে পারে না। রক্তের এই অতিরিক্ত বিলিরুবিনের কারণে শিশুর গায়ের রং হলুদ হয়ে যায়। সাধারণত জন্মের তৃতীয় দিন থেকে এ সমস্যা শুরু হতে পারে এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে এটি একাই কমে যায়।
ব্রেস্ট মিল্ক জন্ডিস শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর ফলে শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ কোন নবজাতকের জন্মের চতুর্থ দিন থেকে জন্ডিস দেখা দিতে পারে। এটি ব্রেস্ট মিল্ক জন্ডিস। সাধারণত প্রতি একশ জনের মধ্যে এক জন নবজাতকের ব্রেস্ট মিল্ক জন্ডিস হতে পারে। এই ধরণের জন্ডিসে জন্মের চতুর্থ দিন থেকে সপ্তম দিনে গিয়ে রক্তে বিলিরুবিন সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছে তারপর কমতে শুরু করে। এই ধরণের জন্ডিস এক থেকে দুই মাস পর্যন্ত অতি অল্প মাত্রায় থেকে যেতে পারে কিন্তু এটি শরীরের কোন ক্ষতি করে না।
কীভাবে বুঝবেন শিশুর জন্ডিস হয়েছে? শিশুর হাতের তালু হলুদ হয়ে গেছে কিনা সেটা ভালভাবে লক্ষ করুন। সাধারণত শিশুর মুখ, হাত ও বুক থেকে পেটের উপর পর্যন্ত হলুদ হতে পারে আবার শিশুর মলের রং সবুজ হতে পারে। শিশুর গায়ের রং পরিবর্তিত হতে দেখলে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা পরীক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনে একাধিক বার পরিক্ষা করতে হতে পারে।
কি কি পরীক্ষা করতে হবে? শিশুর জন্ডিসের মাত্রা ও কারণ নির্ণয়ের জন্য শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শক্রমে নবজাতকের রক্তের প্রয়োজনীয় কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা যেমন- রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা এবং তা প্রত্যক্ষ না পরোক্ষ তা নির্ণয়, মা ও নবজাতকের রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা, ব্লাড কাউন্ট, কুম্বস টেস্ট, রেটিকুলোসাইট কাউন্ট ইত্যাদি পরীক্ষা করতে হবে।
কখন চিকিৎসা ��রতে হবে? সাধারণত জন্মগত কারণে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ জন্ডিস হয় যার বেশির ভাগই ফিজিওলজিক্যাল জন্ডিস বা সাধারণ জন্ডিস। এ ক্ষেত্রে বয়স্ক ব্যক্তির চেয়ে শিশুর শরিরে রেড সেল ভলিউম বা লোহিত রক্তকণিকা বেশি থাকে। এই রক্তকণিকার স্থায়িত্ব কম থাকার কারনে লোহিত কণিকা ভেঙে বিলিরুবিন বেশি তৈরি হয়।
জন্ডিস হলে কি বুকের দুধ খাওয়ানো যাবে? নবজাতককে কোনো অবস্থায়ই মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো থেকে বিরত রাখা যাবে না। শিশুকে নিয়মিত দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর পর মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। বিশেষ করে ফিজিওলজিক্যাল অর্থাৎ স্বাভাবিক জন্ডিসের মূল চিকিৎসাই হচ্ছে শিশুকে ঠিকমতো মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো।
ফটোথেরাপি বা আলো চিকিৎসা এবং রোদ চিকিৎসা বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে সাধারণত শিশুকে ফটোথেরাপি বা আলো চিকিৎসা দেওয়া হয়। বেশির ভাগ শিশু এক থেকে দুই দিন ফটোথেরাপি পেলেই ভালো হয়ে যায়। যদিও এর উপকারিতা ও কার্যকারিতা নিয়ে মতভেদ আছে, তারপরেও এখন পর্যন্ত এই পদ্ধতিটিই ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়াও ডাক্তারগণ প্রতিদিন সকালে নবজাতককে আধা ঘণ্টা রোদে রাখতেও পরামর্শ দেন। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে এটি যেন সকালের প্রথমদিকের এবং মৃদু রোদ হয়। সূর্যের কড়া রোদ এবং অতিবেগুনি রশ্মি শিশুর ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।
কি কি কারনে নবজাতকের জন্ডিস হতে পারে? নানান কারণে নবজাতকের জন্ডিস হতে পারে। আবার কিছু কিছু জন্ডিস মারাত্মক জটিলতাও তৈরি করতে পারে।
0 notes
Video
youtube
প্রথমেই জেনে নেয়া যাক জ্বর কি?
জ্বর সাধারণত পাইরক্সিয়া নামেও পরিছিত। এটা হচ্ছে শারীরিক আসুশততার অন্যতম কারন বা লক্ষণ, যা শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার সীমার ৩৬.৫-৩৭.৫ ডিগ্রি সে (৯৭.৭-৯৫.৫ ডিগ্রি ফা) অধিক তাপমাত্রা নির্দেশ করে। এই তাপমাত্রা বেড়ে গেলেই আমরা তাকে জ্বর বলতে পারি। আর দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি মানেই হল দেহে পাইরোজেন উৎপন্ন হয়েছে।
সাধারণত নিজের গায়ে হাত দিয়েই আমরা জ্বর নির্ণয় করতে পারি। শরীরটা একটু গরম হলেই জ্বর জ্বর ভাব আসে, বেশি গরম হলে সাধারণত জ্বরে কাতর, আর মাঝে মাঝে শরীরে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর চলে আসে। মেডিকেল সাইন্সে সাধারণত জ্বর মানেই হচ্চে কোনো ইনফেকশনের উপস্থিতি অথবা শরীরে কোনো প্রদাহ। জ্বর হল আমাদের মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাসের একটা খেলা, যা শরীরের তাপমাত্রার সেট পয়েন্ট নিয়ে কাজ করে থাকে।
জ্বরের প্রকেরভেদ তাপমাত্রা পরিবর্তনের ধরন রোগের উপর নিরভরশিল। জ্বর এর পরিবর্তনের ধরন থেকেই কখনো কখনো রোগ নির্ণয় সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যেতে পারেঃ
একটানা জ্বরঃ সারাদিন ধরে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে এবং ২৪ ঘণ্টার ১ ডিগ্রি সে. এর বেশি তাপমাত্রা পরিবর্তন হয় না। যেমনঃ লোবার নিউমোনিয়া, টাইফয়েড, মূত্রনালির ইনফেকশন, ব্রুসেলসিস, টাইফাস ইত্যাদি রোগের ক্ষেত্রে একটানা জ্বর পরিলক্ষিত হয়। টাইফয়েড রোগের ক্ষেত্রে জ্বরের একটি নির্দিষ্ট আঙ্গিক দেখা যায়। জ্বর ধাপে ধাপে বাড়ে এবং উচ্চ তাপমাত্রা অনেকক্ষণ থাকে
নির্দিষ্ট বিরতিতে জ্বরঃ জ্বর একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বাড়ে এবং পরে তাপমাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যায়, যেমনঃ ম্য���লেরিয়া, কালাজ্বর (kala-azar), পাইয়েমিয়া, সেপ্টিসেমিয়া (রক্তের সংক্রমন)। এর প্রকারভেদগুলো হলঃ
কুয়োটিডিয়ান জ্বরঃ কুয়োটিডিয়ন জ্বরের পর্যায়কাল হল ২৪ ঘন্টা, সাধারণত ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে এই জ্বর দেখা যায়।
টারশিয়ান জ্বরঃ এই জ্বরের পর্যায়কাল সাধারানত ৪৮ ঘণ্টা, এটিও ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে দেখা যায়।
স্বল্প বিরতিতে জ্বরঃ শরীরের তাপমাত্রা সারদিন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী থাকে এবং ২৪ ঘণ্টায় ১0 সে. এর চেয়ে বেশী উঠা নামা করে। যেমনঃ infective endocarditis.
Pel-Ebstein জ্বরঃ এই বিশেষ ধরণের জ্বরটি হজকিন লিম্ফোমা এর ক্ষেত্রে দেখা যায়। জ্বর এক সপ্তাহ বেশী, এক সপ্তাহ কম- এভাবে চলতে থাকে। তবে আদৌ এ ধরণের জ্বর বিদ্যমান কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে
কি কারনে জ্বর হয়ে থাকেঃ জানা-অজানা অনেক কারণে শরীরে জ্বর আসে, আসুন এবার জেনে নাওয়া যাক কিছু জ্বরের লক্ষন-
১. যে কোনও ভাইরাসজনিত প্রদাহ যেমন সর্দি জ্বর, কাশি, ডেঙ্গু, হুপিংকাশি এত্তাদ্য কারনে জ্বর হয়ে থাকে।
২. যে কোনও একুইট ইনফেকশন বিশেষত তৈরিকারক ইনফেকশন যেমন ফোঁড়া, কার্বাংকল, ফুরাংকল। যেসব জীবাণু এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সেগুলো হল স্টাফাইলোকক্কাস অরিয়াস, স্ট্রেপটোকক্কাস পায়োজেন্স।
৩. পরজীবী ঘটিত রোগ, যেমন ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, ট্রিপোনোসোমা ইত্যাদি।
৪. শরীরের কলা বিনষ্টকারী বা টিস্যু নেক্রোসিস যে রোগে হয়, যেমন মায়োকর্ডিয়াল ইনফেকশন, আর্থাইটিস, রিউমাটিক ফিভার বা বাতজ্বর।
৫. মহিলা ও পুরুষদের জননতন্ত্রের প্রদাহ। যেমন প্রস্রাবে ইনফেকশন, প্রস্রাবের নালিতে ইনফেকশন, উফুরাইটিস, সালফিনজাইটিস মেয়েদের অ্যান্ডোমেট্রাইটিস, ইপিডিডাইমাইটিস, অরকাইটিস সার্ভিসাইটিস, ছেলেদের প্রস্টেটাইটিস।
৬. যে কোনও কোষ কলা অর্গানের প্রদাহজনিত রোগ যেমন মেনিনজাইটিস, একুইট অস্টিওমাইলাইটিস, একুইট গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস, একুইট হেপাটাইটিস।
৭. যে কোন টিস্যু বা অর্গান এর ক্যান্সারের কারণে জ্বর হতে পারে। জ্বর হলে যা যা করনীয়?
জ্বর হলে সাধারনত কি করনীয়, এ সম্পর্কে অনেকের মধ্যে ভুল ধারণা রয়েছে। জ্বর হলে অনেকে রোগীর গায়ে কাঁথা চাপিয়ে দেন। তাদের ধারনা, এতে করে রোগীর ঘাম দিয়ে জ্বর ছারবে।জ্বর হলে ঠাণ্ডা হাওয়া আসার ভয়ে ঘরের দরজা-জানালাও অনেকে বন্ধ করে রাখেন। প্রকৃতপক্ষে এগুলোর কোনটাই জ্বর কমানোর পদ্ধতি নয় বা জ্বর কমাতে সাহায্য করে না।
জ্বর কেন হয়? হলে আমাদের জন্য কি করোনিয় আছে
জ্বর হলে এই সময় দ্রুত জ্বর কমাতে সারা শরীর ভিজে গামছা বা তোয়ালে দিয়ে বারবার মুছতে হবে। জ্বর ও শরীরের ব্যথা কমাতে চিকিৎসকের পরামর্শে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে। জ্বর বেশি মাত্রাই হলে মলদ্বারে প্যারাসিটামল সাপজিটরি ব্যবহার করতে হতে পারে। খাওয়ার স্যালাইন, ফলের রস, সরবত ইত্যাদি তরল খাবার বেশি বেশি খেতে হবে এবং অন্যান্য স্বাভাবিক খাবার স্বাভাবিক নিয়মে চলবে। তবে চিকিতশকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাবেন না। যদি আপনার শিশুর জ্বর হয় তাহলে কি করবেন
জ্বর থেকে রেহাই পেতে করনীয় ১. মুখে মাস্ক পরে বাইরে বের হন।
২. ঝড়ো হাওয়া লাগাবেন না।
৩. বাড়ি ফিরে ভাল করে হাত মুখ ধুয়ে নেবেন।
৪. এসি থেকে বারবার বাইরে বেরবেন না।
৫. পানি ফুটিয়ে খাবেন।
৬. গা-হাত-পা ম্যাজম্যাজ করতে শুরু করলেই প্যারাসিটামল খেয়ে নিন।
৭. জ্বর বাড়লে কুছকি, আর বগলের তলায় বরফ সেঁক দিবেন।
জ্বর হলেই কি অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন?
0 notes
Video
youtube
অর্শ বা পাইলস
অর্শ বা পাইলস হলো পায়ুপথে এবং মলাশয়ের নিম্নাংশে অবস্থিত প্রসারিত এবং প্রদাহযুক্ত শিরা। এই অর্শ মলদ্বারের ভেতরেও হতে পারে আবার বাইরেও হতে পারে। সাধারনত দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা গর্ভকালীন সময়ে এই সমস্ত ধমনীর উপর চাপ বেড়ে গেলে পাইলসের সমস্যা দেখা দেয়।
পাইলস বা অর্শ একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। ৫০ বছরের বেশি বয়সী লোকদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকেরই খোসপাঁচড়ার মত চুলকানি এবং রক্তপাত হয় যা থেকে পাইলসের উপস্থিতি আছে বলে ধারনা করা যায়। পাইলসের চিকিৎসায় অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের (কোলোরেক্টাল সার্জন) কাছে যেতে হবে।
পাইলস কেন হয়? পাইলস কেন হয়? তার সঠিক কারণ জানা সম্ভব না হলেও দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া, পানি কম খাওয়া, শাকসব্জী ও অন্যান্য আঁশযুক্ত খাবার কম খেলে, অতিরিক্ত ওজন, গর্ভাবস্থায়, লিভার সিরোসিস, বৃদ্ধ বয়সে, বেশী চাপ দিয়ে মল ত্যাগ করলে, বেশি মাত্রায় মল নরমকারক ওষুধ ব্যবহার করলে, টয়লেটে বেশী সময় ব্যয় করলে, পরিবারে কারও পাইলস থাকলে, দীর্ঘ সময় বসে থাকলে ইত্যাদি নানান কারনে অর্শ বা পাইলস বেশি হয়ে থাকে।
অর্শ বা পাইলসের লক্ষন ও উপসর্গসমূহ
পায়খানার সময় ব্যথাহীন রক্তপাত হতে পারে। মলদ্বারে চুলকানি ও জ্বালাপোড়া হতে পারে। মলদ্বারের ফোলা বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে আবার নাও পারে। অনেক সময় বের হলে তবে তা নিজেই ভেতরে চলে যায় অথবা হাত দিয়ে ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়া যায়। আবার কখনও কখনও বাইরে বের হওয়ার পর তা আর ভেতরে প্রবেশ করানো যায় না অথবা প্রবেশ করানো গেলেও তা আবার বেরিয়ে আসে। মলদ্বারের বাইরে ফুলে য���য় যা হাত দিয়ে স্পর্শ ও অনুভব করা যায়। পায়ুপথের মুখে চাকার মত হতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মলদ্বারে ব্যথা হতে পারে।
কখন ডাক্তার দেখাবেন? পায়খানা কালো বা লালচে হলে, পায়খানার সাথে রক্ত আসলে, পায়খানার সময় বা পরে পায়ুপথের মুখে চাকা অনুভব করলে, মলদ্বারে ব্যথা হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহন করতে হবে।
কি কি পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে?
সম্পূর্ণ মলনালীর পরীক্ষা করার জন্য ডিজিটাল রেক্টাল এক্সামিন বা আঙ্গুল দিয়ে পায়ুপথের পরীক্ষা করতে হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজন হলে কলোনোস্কোপী (Colonoscopy) করতে হতে পারে।
অর্শ বা পাইলস রোগে করণীয় প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। অত্যাধিক পরিশ্রম করা যাবে না। পর্যাপ্ত পরিমাণে শাকসব্জী ও অন্যান্য আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। কোষ্ঠকাঠিন্য অর্থাৎ পায়খানা যেন কষা না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। নিয়মিত এবং নির্দিষ্ট অথবা কাছাকাছি সময়ে মলত্যাগ করতে হবে। এমন খাবার গ্রহণ করতে হবে যা সহজে হজম হয়। নিয়মিত ব্যায়াম করলে তা পায়খানার কষাভাব দূর করতে সাহায্য করবে। অনেকসময় ধরে দাঁড়িয়ে বা বসে থাকা থাকা যাবে না। প্রতিদিন কমপক্ষে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। টয়লেটে অধিক সময় ব্যয় করা যাবে না। শরীরের ওজন বেশি হলে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ��ল ত্যাগের সময় বেশি চাপ দেয়া যাবে না। দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা থাকলে তার চিকিৎসা নিতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া লেকজেটিভ অধিক পরিমানে গ্রহণ করা যাবে না।
অর্শ বা পাইলস রোগের লক্ষন, চিকিৎসা ও করণীয়
অর্শ বা পাইলস রোগে খাবার শাকসবজি, ফলমূল, দধি, পনির, প্রচুর পানি, ডাল, সালাদ, গাজর, মিষ্টি কুমড়া, পাকা পেঁপে, বেল, আপেল, কমলা, খেজুর, লেবু, টক জাতীয় ফল, মুরগীর মাংস, চাল, আটা, ডিম, মাছ ইত্যাদি খেতে হবে। অপরদিকে খোসাহীন শস্য, চর্বিযুক্ত খাবার, মসৃণ চাল, কলে ছাঁটা আটা, ময়দা, চা, কফি, চীজ, মাখন, চকোলেট, কোমল পানীয়, আইসক্রীম, ভাজা খাবার যেমন- চিপস, পরোটা ইত্যাদি খাওয়া যাবে না।
অর্শ বা পাইলস রোগের চিকিৎসা অর্শ বা পাইলসের চিকিৎসা সাধারনত পর্যায়ের ওপর নির্ভর করে করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, পাইলসের চিকিৎসায় কোনও অস্ত্রোপচার লাগে না। বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পাইলসের চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। সাধারনভাবে চারটি পর্যায়ে পাইলসের চিকিৎসা করা হয়। প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনও অস্ত্রোপচার লাগে না কিন্তু তৃতীয় এবং চতুর্থ পর্যায়ে অস্ত্রোপচার লাগে। কারন- তৃতীয় এবং চতুর্থ পর্যায়ে জিনিসটি যেহেতু বের হয়ে আসে এটি অস্ত্রোপচার করেই সরাতে হয়। রোগী যদি দেরি না করে তাহলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অস্ত্রোপচার ছাড়াই চিকিৎসা করা সম্ভব। পাইলসের আধুনিক চিকিৎসা এখন বাংলাদেশেই সম্ভব। নিম্নে বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করা হলঃ
১। মলদ্বারের বাইরের অর্শ যা হাত দিয়ে অনুভব করা যায় কিন্তু ব্যথা বা রক্তপাত হয় না সেক্ষেত্রে, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী Normanal/Hemorif/Daflon অথবা Diohes (Diosmin 450mg ও Heperidin 50mg এর কম্বিনেশনে তৈরি ট্যাবলেট) খেতে হবে।
0 notes
Video
youtube
যক্ষ্মা : উপসর্গ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ করার উপায়
যক্ষার লক্ষণ ও উপসর্গসমূহ ফুসফুসে আক্রান্ত যক্ষ্মার ক্ষেত্রে, সাধারনত তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কাশি জ্বর কাশির সাথে কফ এবং রক্ত আসলে বুকে ব্যথা অথবা শ্বাস নেয়ার সময় অথবা কাশির সময় ব্যথা হওয়া ওজন কমে যাওয়া শারীরিক দুর্বলতা ক্ষুধামন্দা বা খাদ্যে অরুচি অবসাদ অনুভব করা
যক্ষ্মা : উপসর্গ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ করার উপায় মনে রাখতে হবে, কারও শরীরে যক্ষ্মার সাধারণ লক্ষণসমূহ দেখা দিলে আর বিলম্ব না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে কারণ এই অবস্থায় যে কোন লোকেরই যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
যক্ষা রোগের জীবাণু যেভাবে ছড়ায় বাতাসের মাধ্যমে যক্ষা রোগের জীবাণু ছড়াতে পারে। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে রোগের জীবাণু বাতাসে মিশে যক্ষা রোগের সংক্রমণ ঘটায়। যক্ষ্মা রোগীর প্লেট, গ্লাস এমনকি বিছানা আলাদা করে দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। এটি যেহেতু হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে ছড়ায়, তাই যার এ রোগ আছে তাকে কিছু ব্যপারে সতর্ক হতে হবে। যেমন- হাঁচি বা কাশির সময় মুখে রুমাল দেওয়া, হাত দিয়ে মুখ ঢাকা অথবা একদিকে সরে কাশি দিতে হবে। যেখানে সেখানে থুতু বা কফ ফেলা যাবে না। আক্রান্ত ব্যক্তির মুখের কাছাকাছি গিয়ে কথা বললে এ রোগের জীবাণু ছড়াতে পারে।
রোগ নির্নয়ের জন্য যে ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে রক্তের পরীক্ষা কফ পরীক্ষা ত্বকের পরীক্ষা বুকের এক্স-রে সিটি স্ক্যান কালচার টেস্ট
অনেক সময় পরীক্ষার ফল নেতিবাচক হলেও যক্ষার সংক্রমণ হতে পারে। যেমন- সাধারনভাবে যক্ষা সংক্রমণের ৮ থেকে ১০ সপ্তাহ পর তা ত্বকের পরীক্ষায় ধরা পড়ে। তার আগে পরীক্ষা করলে রোগ ধরা নাও পড়তে পারে। শরীরে যক্ষা রোগের জীবাণু বেশী মাত্রায় ছেয়ে ��েলে ত্বকের পরীক্ষায় এ রোগের জীবাণু ধরা নাও পড়তে পারে। হামের টিকা নিলে এগুলোতে অনেক সময় জীবন্ত জীবাণু থাকে, এর জন্য ত্বক পরীক্ষায় যক্ষার জীবাণু ধরা নাও পড়তে পারে। এইডস এর মতো কোন রোগের কারণে রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে অনেক সময় পরীক্ষায় যক্ষা রোগ ধরা নাও পড়তে পারে আবার এইডস এবং যক্ষা রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ গুলো প্রায় একই রকম হওয়ায় এইডস রোগীদের যক্ষা রোগ নির্ণয়ের বিষয়টি জটিল হতে পারে।
কাদের যক্ষা হবার সম্ভাবনা বেশি? যাদের যক্ষায় আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি রয়েছেঃ অপুষ্টি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের কম। বয়স্ক ব্যক্তি যক্ষায় সংক্রমিত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা ব্যক্তি। যারা দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন করছেন।
যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধের উপায় যক্ষ্মা বা টিবি রোগের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে একজন সুস্থ ব্যক্তিকে নিম্মলিখিত বিষয়গুলোর ব্যপারে সাবধান হতে হবেঃ
জন্মের পর পর প্রত্যেক শিশুকে বিসিজি টিকা দিতে হবে। পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। বাসস্থানের পরিবেশ খোলামেলা, আলো-বাতাস সম্পন্ন হতে হবে। জনাকীর্ণ পরিবেশে বসবাস যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে। ডায়াবেটিস জাতীয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাসকারী রোগের ক্ষেত্রে, সুষ্ঠু চিকিৎসা নিতে হবে। যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগীকে সবসময় নাক মুখ ঢেকে চলাচল করতে হবে। যক্ষ্মা জীবাণুযুক্ত রোগীর সাথে কথা বলার সময় একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। রোগী জীবাণুমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত রোগীকে অন্য সবার থেকে একটু আলাদা রাখতে হবে। জীবাণুযুক্ত রোগীকে যেখানে সেখানে কফ ফেলা পরিহার করতে হবে।
যক্ষ্মা : উপসর্গ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ করার উপায়
যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা যক্ষা রোগ ভালো হওয়ার জন্য সাধারণত ছয় মাসের চিকিৎসা করা হয়। প্রথম দুই(২) মাস চার ধরনের ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। পরবর্তী চার মাস দুই ধরনের ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। সাধারণত যক্ষার ওষুধ কিছুদিন খাওয়ার পর শতকরা ৮০ ভাগ লক্ষণ চলে যায়। তখন রোগী ভাবে সে হয়তো সম্পূর্ণ ভালো হয়ে গেছে এবং ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেয়। এর ফলাফল মারাত্মক হতে পারে। এ রকম পরিস্থিতি হলে, অন্যরকম চিকিৎসা শুরু করতে হয়। তখন ৫টা ওষুধ দিয়ে পুনরায় চিকিৎসা আরম্ভ করতে হয়।
যক্ষার চিকিৎসায় প্রথম দুই মাস যে চারটি ওষুধ দেওয়া হয় তা নিয়মিত খেতে হবে। একদিনও বাদ দেওয়া যাবে না এবং সঠিক পরিমাণে খেতে হবে। সাধারণত রোগীর ওজন অনুযায়ী ওষুধের পরিমাণ নির্ধারিত হয়ে থাকে।
যক্ষা রোগের ওষুধ যক্ষা রোগের চিকিৎসায় সাধারণত রিফাম্পিসিন, পাইরাজিনামাইড, আইসোনিয়াজিড, ওফ্লক্সাসিন, ইথামব্যুটল, স্ট্রেপ্টোমাইসিন, ইথিওনামাইড, রিফাবিউটিন,, সাইক্লোসেরিন, প্যারা অ্যামিনো স্যালিসিলেট ইত্যাদি ঔষধের ব্যবহার হয়।
0 notes
Video
youtube
মৃগী রোগের লক্ষণ, চিকিৎসা এবং করণীয়
মৃগী রোগ একটি নিউরোলজিক্যাল বা স্নায়বিক রোগ এবং এতে খিঁচুনি হয়। এটি একপ্রকার মস্তিষ্কের রোগ। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে “নিউরোলোজিক্যাল ডিজিজ” বলা হয়। মৃগী রোগ যে কোনো বয়সে হতে পারে৷ এটা কোনো সংক্রামক রোগ নয়৷ এই রোগের প্রকৃত কারণ জানা যায়নি কিন্তু জন্মগত ত্রুটি, মস্তিষ্কে আঘাত, মস্তিষ্কে টিউমার বা সংক্রমণ, স্ট্রোক প্রভৃতিকে সম্ভাব্য কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। জিনগত মিউটেশনকেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে দায়ী বলে ধারনা করা হয়। মস্তিষ্কের সেরেব্রাল কর্টেক্সের স্নায়ুকোষগুলোর অতিরিক্ত ও অস্বাভাবিক ক্রিয়ার ফলে খিঁচুনি হয়। এ রোগে রোগী বার বার স্নায়বিক কারণে ফিট অর্থাৎ হঠাৎ খিচুনি বা অজ্ঞান হয়ে যায়। মৃগী রোগের একটি বৈশিষ্ট হলো রোগী বার বার খিঁচুনিতে আক্রান্ত হয় কিন্তু আক্রান্তের পর আবার পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যায়৷ মৃগী রোগ থাকলেই ব্যক্তির বুদ্ধি-বিচার-বিবেচনা বোধ কমে যাবে এমন ধারনাটা সঠিক নয়। বরং মৃগী রোগে আক্রান্তদের মধ্যে খুব কম অংশের বুদ্ধিমত্তার ঘাটতি হতে পারে।
মৃগী রোগ কেন হয়? মৃগী রোগের প্রকৃত কারণ জানা এখনও সম্ভব হয়নি। তবে মাথায় আঘাত পেলে, প্রসবজনিত জটিলতা অথবা দেরিতে প্রসব হলে, মস্তিস্কে প্রদাহ হলে, মস্তিস্কে টিউমার হলে, জন্মগত ত্রুটি, ��্ট্রোক এবং অধিক পরিমান মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে মৃগী রোগ হতে পারে।
যে সকল কারণে মৃগী রোগীর খিঁচুনি হতে পারে কিছু কিছু কারনে মৃগী রোগীর খিঁচুনি হতে পারে। যেমন- ঠিকমতো ঘুম না হলে, মানসিক চাপ বেশী থাকলে, শারীরিক অথবা মানসিকভাবে অতিরিক্ত পরিশ্রম করলে, কোন সংক্রমণ রোগ অথবা জ্বরের কারনে, মদ্যপান বা নেশা জাতীও অন্য কোন পানীয় পান করলে, খুব কাছে বসে টিভি দেখলে, উচ্চ শব্দের ফলে, গরম পানিতে গোসল করলে, জোরে গান বাজনা শুনলে, কিছু কিছু ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় এবং অতিরিক্ত আলো ইত্যাদি কারনে হতে পারে।
মৃগী রোগের লক্ষণ, চিকিৎসা এবং করণীয়
মৃগী রোগীর বৈশিষ্ট্য যেসব মানুষ দীর্ঘদিন যাবৎ মৃগী রোগে ভুগছেন, সে সকল মৃগী রোগীদের মধ্যে সাধারনত কিছু বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। যেমন- অস্বাভাবিক আত্মকেন্দ্রিক হয়, খিটখিটে তিরিক্ষি মেজাজের হয়, ঝগড়া করার প্রবণতা থাকে, বুদ্ধিমত্তার ঘাটতি, বিষণ্ণতাগ্রস্ততা, ধর্মের দিক হতে গোঁড়া হবে, আবেগ মনোবৃত্তি বৃদ্ধি, যেকোনো বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করবে, আত্মহত্যার প্রবণতা ইত্যাদি।
মৃদু ধরনের মৃগী রোগের লক্ষণ
হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া৷ এটা সাধারনত ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড স্থায়ী হতে পারে। অজ্ঞান হওয়ার সাথে সাথে খিঁচুনি শুরু হতে পারে। রোগী অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যেতে পারে আবার সাথে সাথে জ্ঞান ফিরে দাঁড়িয়ে যায়৷ তবে এটা খুব কম ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। জিহ্বা ও দাঁতে কামড় লাগতে পারে। খিঁচুনির সময় পড়ে গিয়ে আঘাত পাওয়া। খিঁচুনির পর মাথাব্যথা, শুয়ে থাকা অথবা কিছু সময় ধরে চুপচাপ থাকা। খিঁচুনির সময় প্রস্রাব-পায়খানা হয়ে যেতে পারে।
বড় ধরনের মৃগী রোগের লক্ষণ
শরীরের কোনো নির্দিষ্ট অংশে খিঁচুনি
কারও মৃগী রোগ উঠলে আশপাশের লোকদের করণীয়
রোগীর জন্য করণীয়
শিক্ষকদের করণীয়
খিঁচুনির সময় প্রাথমিক চিকিৎসা
মৃগী রোগের লক্ষণ, চিকিৎসা এবং করণীয় খিঁচুনী চলাকালীন সময়ে কিছু প্রাথমিক চিকিৎসা ছাড়া আর তেমন কিছু করার থাকে না। আতংকিত না হয়ে নিম্নলিখিত প্রাথমিক কাজগুলো গুরুত্ব সহকারে করতে হবে।
0 notes
Video
youtube
হার্ট এটাক কি? কারন, লক্ষন ও চিকিৎসা - হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে করনীয়
হার্ট এটাকের কারন স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা সম্পৃক্ত চর্বি হৃদপিন্ডের করোনারি আর্টারিতে জমে এবং ধমনী প্রাচীর মোটা হয়ে সহজে রক্ত প্রবাহিত হতে পারে না এবং রক্ত জমাট বেঁধে যায়। এটাই হার্ট এটাকের কারন।পারে
কিছু বিষয় আছে যেগুলো নিয়ন্ত্রন করা যায় না আবার কিছু কিছু বিষয় আছে যেগুলো নিয়ন্ত্রন করা যায় না। সাধারনত যেসকল কারনে হার্ট অ্যাটাক হতে পারেঃ
হার্ট এটাক সব বয়সে একরকমভাবে হয় না। সাধারনত মধ্যবয়সে কিংবা বৃদ্ধ বয়সে এ রোগটি বেশি হতে পারে। সাধারনত মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের অনেক বেশি হয়। বংশে কারও হার্ট এটাক হয়ে থাকলে হার্ট এটাকের ঝুকি অনেক বেশি থাকে। ধুমপান, মদ্যপান ইত্যাদি কারনে হার্ট অ্যাটাকের ঝুকি অনেক বেড়ে যায়। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হাইপার লিপিডেমিয়া ইত্যাদি রোগের কারনে হার্ট এটাক হতে পারে। শারীরিক পরিশ্রমের অভাবে মুটিয়ে যাওয়া বা স্থূলতা হার্ট এটাকের একটি কারন। অধিক হারে চর্বি জাতীয় খাদ্য গ্রহন করলে এবং শাক সবজি ও আঁশ জাতীয় খাবার কম খেলে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা অশান্তির ফলে। জন্মনিয়ন্ত্রক পিল বা অন্য কোন হরমোন নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধ সেবনের ফলে।
কখন হতে পারে? হার্ট এটাকের কোন নির্দিষ্ট সময় নেই। যেমন- এটি রাতে ঘুমের মধ্যে হতে পারে, বিশ্রামের সময় হতে পারে, ভারী শারীরিক পরিশ্রমের সময় হতে পারে আবার মানসিক দুশ্চিন্তা থেকে হতে পারে ইত্যাদি। শতকরা ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে ঘুমের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক হয় এবং রোগী আর ঘুম থেকে জাগে না। হার্ট এটাক যেকোন সময়ই হতে পারে।
হার্ট এটাক কি? কারন, লক্ষন ও চিকিৎসা
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ বা উপসর্গসমূহ নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসা অথবা শ্বাসকষ্ট হতে পারে। বমি বমি ভাব অথবা বমি হতে পারে। বুকে মারাত্মক তীব্র ব্যথা হতে পারে। বুকে চাপ অনুভুত হওয়া, যন্ত্রণা হওয়া কিংবা ভারী ভারী লাগা। বিষম খাওয়া। শরীরে প্রচুর পরিমানে ঘাম হতে পারে। খাবার হজমে সমস্যা হবে এবং পেটের উপরের অংশে জ্বালাপোড়া করতে পারে। চোখে ঝাপসা দেখা, অন্ধকার দেখা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হলে রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।
হার্ট এটাক হলে করনীয় আক্রান্ত ব্যক্তিকে এক মুহুর্ত দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। কোনভাবেই রোগী নিজে পায়ে হেঁটে কিংবা নিজেই গাড়ি চালিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেবেন না। হার্ট এটাক হয়েছে নিশ্চিত হলে, রক্ত জমাট বাঁধা বন্ধ করতে রোগীকে তাৎক্ষণিক এসপিরিন বা ওয়ারফেরিন জাতীয় ওষুধ খাওয়ানো যেতে পারে। জিহবার নিচে নাইট্রোগ্লিসারিন স্প্রে দিতে হবে। রোগীকে মানসিকভাবে আশ্বস্ত করতে হবে। কমপক্ষে দুইজন হাসপাতালে রোগীর সাথে যাবেন। এতে রোগ সনাক্ত ও চিকিৎসা শুরুর সময় কিছুটা কমানো যায়।
হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে করনীয় মানসিক অবসাদ বা দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। নিয়মিত ব্লাড প্রেসার পরিমাপের মাধ্যমে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে। নিয়মিতভাবে ডায়াবেটিস পরীক্ষা এবং নিয়ন্ত্রন করতে হবে। ধুমপান, মদ্যপান ইত্যাদি থেকে বিরত থাকতে হবে। মোটা হওয়া বা স্থূলতা নিয়ন্ত্রন করতে হবে। চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া কমাতে হবে এবং রক্তে কোলেস্টোরলের মাত্রা কমাতে হবে। শাকসবজি, ফল বেশি করে খেতে হবে। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে হাঁটা, দৌড়ানো কিংবা কোন শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে।
হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসা হার্ট এটাকের চিকিৎসায় রোগীকে দ্রুত নিকটস্ত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। এরকম ক্ষেত্রে রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার পূর্বে কিংবা নেওয়ার মধ্যবর্তী রাস্তায় পর্যাপ্ত পরিমানে আলো বাতাসের ব্যবস্থা করতে হবে। রোগীর জিহবার নিচে একটি নাইট্রেট ট্যাবলেট দিতে হবে। হাসপাতাল নির্বাচনের ক্ষেত্রে, হৃদরোগের চিকিৎসা সুবিধা সংবলিত হাসপাতাল হলে উত্তম। হাসপাতালে ভর্তি করে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে ধারাবাহিক চিকিৎসা গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। হাসপাতালে নেবার পর চিকিৎসক প্রয়োজন অনুসারে চিকিৎসা শুরু করবেন। চিকিৎসক প্রয়োজন মনে করলে রোগীর ECG করতে হতে পারে, অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে আবার ইনত্রা ভেনাস ফ্লুইড কিংবা নাইট্রোগ্লিসারিন দিতে পারেন। প্রথমে এনজিওগ্রাম করে ব্লকের পরিমান নির্ণয় করতে হবে। যদি ব্লক বেশি হয় এবং ওষুধে সমাধান হবে না বলে মনে হয়, তবে এনজিওপ্লাস্ট করতে হতে পারে। এক্ষেত্রে সার্জন ছোট হয়ে যাওয়া ধমনীতে প্রয়োজন অনুসারে কয়েকটি মাইক্রো রিং পরিয়ে দিবেন। এরপরেও আবার হার্ট এটাক হলে, চিকিৎসক প্রয়োজন মনে করলে ওপেন হার্ট সার্জারি বা বাইপাস সার্জারি করতে পারেন। এক্ষেত্রে সার্জন পা থেকে একটি শিরা কেটে নিয়ে সেটি দিয়ে ধমনীর সমস্যাযুক্ত অংশ দিয়ে স্বাভাবিক রক্ত প্রবাহের একটি বাইপাস রাস্তা তৈরি করে দিতে পারেন।
0 notes
Video
youtube
★ চিনি খাওয়া বন্ধ করলে আপনি পাবেন দারুণ ৬টি উপকারিতা
চিনি খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর সেটা আমরা কমবেশী সকলেই ভালোমতো জানি। চিনি এমন একটা উপাদান যা শরীরে ক্ষতি ছাড়া কোন ভালো করে না। তবে আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, চিনি খাওয়া যদি ছেড়ে দেই তবে কি কি উপকার হতে পারে! চিনি এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিলে আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে কী উপকার হতে পারে জেনে নিন এই ফিচার থেকে।
১. আপনাকে দেখতে অনেক কম বয়স্ক লাগবে ২. আপনার পেটের মেদ কমে যাবে ৩. আপনার কর্ম শক্তি বেড়ে যাবে অনেক বেশি ৪. স্থুলতার সম্ভাবনা কমে যাবে ৫. আপনার হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকবে ৬. টাইপ-২ ডায়াবেটিস হ���ার সম্ভাবনা কমে যাবে
0 notes
Video
youtube
★ অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা ও দুর্গন্ধ থেকে মুক্তির উপায়
স্বাভাবিক তাপমাত্রায় যখন অন্যরা ঘামছে না, তখন আপনার ঘাম হলে ধরে নিন আপনার অতিরিক্ত ঘামরোগ আছে। এ রোগটি হাইপ্যারাইড্রসিস নামে পরিচিত। স্বাভাবিক মাত্রার ঘাম কোনো অসুখ নয়। তবে অতিরিক্ত ঘাম পানিশূন্যতার কারণ। তা ছাড়া স্বাভাবিক জীবনও ব্যাহত হয়। ঘাম হলে শরীরের অভ্যন্তরে জমা হওয়া বাড়তি তাপ ধীরে ধীরে কমে যায়। কোনো কারণে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে ঘর্মগ্রন্থি বেশি করে ঘাম উৎপাদন করে। যেমন- ব্যায়াম করলে, নার্ভাস হলে, রোদে গেলে। কখনো কখনো খাবারের কারণেও ঘাম হয়। যেমন- বেশি মসলাযুক্ত খাবার বা ঝাল খেলে, তৈলাক্ত খাবার খেলে।
➤ আয়োডিনযুক্ত খাবার যেমন- এস্পারাগাস, ব্রকোলি, গরুর গোশত, যকৃৎ, পেঁয়াজ, খাবার লবণ প্রভৃতি অতিরিক্ত খেলে বেশি ঘাম হয়। এগুলো বেশি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ➤ বেশি বেশি পানি পান করুন। পানি দিয়ে মুখ, হাত, পা বারবার ধুয়ে ফেলুন। ➤ শারীরিক দুর্বলতা থেকেও অতিরিক্ত ঘাম হয়। তাই পুষ্টিকর খাবার, শাকসবজি, ফলমূল বেশি পরিমাণে খান। ➤ গরমে ঘাম বেশি হয় বলে এ সময়ে সাড়ে তিন থেকে চার লিটার পানি, শরবত ও পাতলা চা খেলে ভালো হয়। ➤ পানিওয়ালা ঠাণ্ডা ভাত (পান্তা ভাত) খেলে শরীর ঠাণ্ডা থাকে, ঘুমও ভালো হয়।
0 notes
Video
youtube
★ ৭টি ঘরোয়া উপায়ে মেছতা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করুন
একবার যদি ত্বকে মেছতা পড়ে যায়, সেটিকে সারিয়ে তোলা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। তবুও ঘরোয়া উপায়ে মেছতা সারানোর অনেক উপায় পূর্বেই একটা ফিচারে আমরা দিয়েছিলাম। আর তাই, আজ আবারও নিয়ে এলাম মেছতা নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায় নিয়ে।
➤ সানব্লক ক্রিম ব্যবহার করুন ➤ প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন ➤ অতিরিক্ত রোদ থেকে ত্বককে বাঁচান ➤ ত্বকের যত্ন ➤ ওয়াক্সিং থেকে দূরে থাকুন ➤ সুষম খাবার গ্রহণ ➤ মানসিক চাপ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখুন
0 notes
Video
youtube
ম্যালেরিয়া কেন হয়? লক্ষন, চিকিৎসা ও প্রতিরোধে করনীয়
ম্যালেরিয়া (Malaria) একটি মশা-বাহিত সংক্রামক রোগ যা স্ত্রী জাতীয় এনোফেলিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এ রোগের মূলে রয়েছে প্লাজমোডিয়াম (Plasmodium) গোত্রের এক ধরনের অণুজীব। ম্যালেরিয়া রোগটি একটি সংক্রমিত স্ত্রী জাতীয় এনোফেলিস মশার কামড়ের সাথে শুরু হয়। ম্যালেরিয়ার পরজীবী লোহিত রক্তকণিকার মধ্যে বংশবৃদ্ধি করে, ফলে রোগীর শরীরে রক্তসল্পতার লক্ষণ দেখা যায়। বাংলাদেশের পাহাড়ী এলাকায় এই রোগের প্রবণতা বেশী দেখা যায়। উপযুক্ত ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করা সম্ভব।
ম্যালেরিয়া কেন হয়? স্ত্রী জাতীয় এনোফেলিস মশাবাহিত বিশেষ এক ধরণের জীবাণুর (Plasmodium) দ্বারা সংক্রমণের মাধ্যমে ম্যালেরিয়া হয়ে থাকে।
ম্যালেরিয়া জীবাণু কিভাবে ছড়ায়
সাধারণত স্ত্রী এনোফিলিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ম্যলেরিয়া জীবাণু ছড়ায়। ম্যালেরিয়া আক্রান্ত কোন ব্যক্তিকে যখন কোন সুস্থ্য স্ত্রী এনোফিলিস মশা কামড়ায় তখন এটি নিজের মধ্যে এক ধরণের জীবাণু (Gametocytes) গ্রহণ করে। পরবর্তীতে এই মশা যখন অন্য কোন সুস্থ্য ব্যক্তিকে কামড়ায় তখন তার রক্তে ম্যালেরিয়ার জীবাণু ছড়িয়ে পরে এবং সে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়। গর্ভবতী মহিলা ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হলে তার গর্ভের সন্তানও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। ম্যালেরিয়া আক্রান্ত কোন ব্যক্তি অন্য কোন সুস্থ্য ব্যক্তিকে রক্ত দিলে।
ম্যালেরিয়া রোগের লক্ষণ ও উপসর্গসমূহ রোগের লক্ষণের ধরন অনুসারে ম্যালেরিয়া রোগকে কে (১) সাধারণ ম্যালেরিয়া ও (২) মারাত্মক ম্যালেরিয়া এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়৷
সাধারণ ম্যালেরিয়া রোগের লক্ষণ
ম্যালেরিয়া জ্বর সাধারণত থেকে থেকে নির্দিষ্ট সময়ে আসে৷ মাঝারি থেকে তীব্র কাপুনি দিয়ে শীত/ঠান্ডা লাগা। গায়ে প্রচন্ড ব্যথা হয়৷ শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়ার ফলে অত্যধিক ঘাম হওয়া হজমের গোলযোগ দেখা যায়। মাথা ব্যাথা বমি বমি ভাব অথবা বমি ডায়রিয়া শরীর দুর্বল অনুভূত হয় ও ক্লান্তি লাগে। এ সময়ে খাবারের প্রতি আগ্রহ কমে যায়৷ তাই এ সময় রোগীকে হালকা ধরনের খাবার বিশেষ করে তরল খাদ্য দেয়া উচিত।
মারাত্মক ম্যালেরিয়া রোগের লক্ষণ ম্যালেরিয়া রোগের জটিল ধরন হলো মারাত্মক ম্যালেরিয়া। জরুরী চিকিৎসা না পেলে এসব রোগীর মৃত্যু হতে পারে৷ সেরিব্রাল বা মারাত্মক ম্যালেরিয়া রোগে নিম্নলিখিত লক্ষন ও উপসর্গসমূহ দেখা যায়ঃ
পানিশূন্যতা রক্ত শূণ্যতা যকৃত বা লিভারের অকার্যকার���তা শ্বাসকষ্ট হওয়া কিডনির অকার্যকারিতা খিঁচুনি জন্ডিস রক্তে গ্লুকোজ কমে যাওয়া, এক্ষেত্রে রোগীর বারবার বমি হয়, নিজে বসতে, দাঁড়াতে বা হাঁটতে অসুবিধা হয় এবং রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।
কখন ডাক্তার দেখাবেন? ম্যালেরিয়া প্রবণ এলাকা অথবা পার্বত্য এলাকায় থাকা অবস্থায় অথবা সেইসব এলাকা থেকে ঘুরে আসার পরবর্তী ১ বছরের মধ্যে জ্বর দেখা দিলে সেক্ষেত্রে ম্যালেরিয়া হতে পারে। এরকম ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ম্যালেরিয়া নির্ণয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রোগের উপসর্গ এবং ভ্রমণ ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে ৩ থেকে ১২ ঘন্টার ব্যবধানে ২ বার রক্ত পরীক্ষা করতে হতে পারে। ম্যালেরিয়া সাধারণত ব্লাড-ফিল্মস ব্যবহার করে রক্তের দূরবীক্ষণ পরীক্ষা অথবা অ্যান্টিজেন ভিত্তিক দ্রুত ডায়গনিস্টিক পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করা হয়।
ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা কোন ঔষধ কতদিন সেবন করতে হবে এবং কতদিন চিকিৎসা করতে হবে তা কিছু বিষয় যেমন- রোগীর বয়স, চিকিৎসা শুরুর সময় অসুস্থতার পরিমান, ম্যালেরিয়ার ধরণ, কোথায় সংক্রমণ হয়েছে ইত্যাদির উপর নির্ভর করে। সেরিব্রাল বা মারাত্মক ম্যালেরিয়া রোগীকে মুখে খাওয়ার ঔষধ দিয়ে চিকিৎসা করা সম্ভব নয়৷ ফলে এদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করে ইনজেকশনের মাধ্যমে চিকিৎসা দিতে হয়৷ ম্যালেরিয়া রোগে সাধারনত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মুখে বা শিরাপথে ক্লোরোকুইন, হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন, কুইনিন সালফেট, মেফ্লোকুইন, পাইরিমেথামাইন, সালফাডক্সিন ইত্যাদি ঔষধ ব্যবহার করা হয়। ডাক্তারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে করনীয় খাটে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে। জানালা ও দরজায় নেট ব্যবহার করতে হবে। মশা তাড়াবার জন্য মশার কয়েল, ভেপরম্যাট ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে ঘরের দেয়ালে কীটনাশক জাতীয় ঔষধ ছিটানো। বাড়ির আশেপাশে কোন ঝোপ জঙ্গল থাকলে তা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। জমা পানি বের করে দিতে হবে, যেখানে সাধারণত মশা ডিম পাড়ে। জমা পানিতে মশা ডিম পারলে সেখানে কীটনাষক বা কেরোসিন ছিটিয়ে দিতে হবে। ম্যালেরিয়া প্রবণ এলাকায় বেড়াতে যাওয়ার দুই থেকে তিন মাস আগে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা (প্রতিষেধক ঔষধ) নিতে হবে। ম্যালেরিয়া প্রবণ এলাকা থেকে ফেরার চার সপ্তার পর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিষেধক ঔষধ সেবন করতে হবে।
0 notes
Video
youtube
অটিজম কি?
অটিজম একটি মানসিক বিকাশঘটিত সমস্যা যা স্নায়ু বা স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ও পরিবর্ধন জনিত অস্বাভাবিকতার ফলে হয়। অটিজমে আক্রান্ত শিশুর স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে অসুবিধা হয়। অটিজমের কারণে কথাবার্তা, অঙ্গভঙ্গি ও আচরণ একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে আবদ্ধ থাকে আবার অনেকক্ষেত্রে শিশুর মানসিক ও ভাষার উপর দক্ষতা কম থাকে। সাধারনত ১৮ মাস থেকে ৩ বছর সময়ের মধ্যেই এই রোগের লক্ষণগুলো দেখা যায়।
অটিজমে আক্রান্ত একটি শিশুর কিছু আচরণগত সমস্যা লক্ষ্য করা যায়, যেমন- সে সামাজিকভাবে মেলামেশা করতে পারে না। শুধু কথা না বলা অটিজমের মধ্যে পড়ে না। তার সাথে তার অন্যান্য আচরণ, সামাজিকতা, অন্য একটি শিশুর সাথে অথবা বয়স্ক মানুষের সাথে মেশার বিষয়ে গণ্ডগোল থাকলে ধরে নিতে হবে শিশুটি অটিজমে আক্রান্ত হতে পারে।
অটিজমে আক্রান্ত শিশু কথা বলতেও পারে আবার একদম নাও বলতে পারে। আবার কথা বললেও হয়তো ঠিকমতো গুছিয়ে বলতে পারে না। আবার একজন সুস্থ্য মানুষ যেভাবে কথা বলে সেভাবে নাও বলতে পারে। অর্থাৎ, সে হয়ত কথা বলতে পারে কিন্তু সুন্দরভাবে গুছিয়ে বলতে পারে না। এক্ষেত্রেও শিশুটি অটিজমে আক্রান্ত হতে পারে।
অটিজম কেন হয়? অটিজমের নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই। পরিবেশগত ও বংশগত কারণেও এই রোগ হতে পারে। সাধারনত জটিলতা, লক্ষণ অথবা তীব্রতার উপর নির্ভর করে এর কারণগুলো বিভিন্ন হতে পারে। কি কি কারনে অটিজম হতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে সতর্ক হলে অটিজম প্রতিরোধ সম্ভব হতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, ভাইরাল ইনফেকশন, গর্ভকালীন জটিলতা এবং বায়ু দূষণকারী উপাদানসমূহ স্পেক্ট্রাম ডিজঅর্ডার হওয়ার ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা রাখে। বিভিন্ন জীনের কারণে অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিজঅর্ডার হতে পারে। আবার কোন কোন শিশুর ক্ষেত্রে জেনেটিক ডিজঅর্ডার যেমন- রেট সিন্ড্রোম বা ফ্র্যাজাইল এক্স সিন্ড্রোমের সাথে এই রোগটি হতে পারে। কিছু জীন মস্তিষ্কের কোষসমূহের পরিবহন ব্যবস্থায় বাধা প্রদান করে এবং রোগের তীব্রতা বৃদ্ধি করে। জেনেটিক বা জীনগত সমস্যা বংশগতও হতে পারে আবার নির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়াই এই রোগটি হতে পারে। ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধকের সাথে অটিজমের কোনও সম্পর্ক পাওয়া যায়নি।
অটিজমের লক্ষন অটিজমের লক্ষণগুলো সঠিকভাবে জানার মাধ্যমে অটিজম বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সাধারণত যে লক্ষনগুলো দেখতে পাওয়া যায় সেগুলো হলঃ
অটিস্টিক শিশুদের ঘুম সম্পর্কিত কিছু সমস্যা থাকে। ঘুম স্বাভাবিক না হওয়ার কারনে তাদের মনোযোগ ও কাজের সক্ষমতা কমে যায় এবং আচার আচরণে সেটা পরিস্কার বোঝা যায়। অনেক শিশুর সঠিক সময়ে কথা বলতে সমস্যা হয়। মুলত ১৮ মাস থেকে ২ বছর সময়ের মধ্যে এটা বোঝা যায়। অনেক অটিস্টিক শিশুর মাঝে অল্প মাত্রায় হলেও বুদ্ধি প্রতিবন্ধীতা লক্ষ্য করা যায়। অনেক শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি সঠিকভাবে হয় না। অটিজমে আক্রান্ত অনেক শিশু দেখা, শোনা, গন্ধ, স্বাদ অথবা স্পর্শের প্রতি অতি সংবেদনশীল অথবা প্রতিক্রিয়াহীন থাকতে পারে। সাধারণত অটিস্টিক শিশুদের প্রতি চারজনে একজনের খিঁচুনি সমস্যা হতে পারে। অটিজম থাকা শিশুদের মানসিক অস্থিরতার ঝুঁকি বেশী থাকে। এসকল শিশুর বিষন্নতা, উদ্বিগ্নতা ও মনোযোগে ঘাটতিসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। অটিস্টিক শিশুদের প্রায়ই হজমের অসুবিধা, পেট ব্যথা, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটের গ্যাস, বমি ইত্যাদি হতে পারে।
অটিজম এর চিকিৎসা কোনও শিশু অটিজমে আক্রান্ত মনে হলে অনতিবিলম্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় অটিজম নির্ণয় করতে পারলে এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করলে অটিজম এর ক্ষতিকারক প্রতিক্রিয়াগুলো অনেক সফলভাবে মোকাবেলা করা যায়। শিশুর কি ধরনের অস্বাভাবিকতা আছে সেটা সঠিকভাবে নির্ণয় করে, নির্দিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে চিকিৎসা করলে ভাল ফল পাওয়া যেতে পারে।
এই ধরনের শিশুদের জন্য প্রচুর বিশেষায়িত স্কুল আছে, সেখানে তাদের বিশেষভাবে পাঠদান করা হয়। এ ধরনের স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে একজন অকুপেশনাল থেরাপিষ্টের পরামর্শ নিতে হবে। তিনি পরামর্শ দেবেন, কোন ধরনের স্কুল আপনার শিশুর জন্য উপযুক্ত হবে।
অনেক অটিস্টিক শিশুর কিছু মানসিক সমস্যা যেমন- অতিরিক্ত চঞ্চলতা, অতিরিক্ত ভিতি, ঘুমের সমস্যা, মনোযোগের সমস্যা ইত্যাদি থাকতে পারে। অনেক সময় এরকম ক্ষেত্রে, চিকিৎসক শিশুটিকে ঔষধ দিতে পারেন।
অটিজম প্রতিরোধে করণীয় কি? অটিজমের যেহেতু কোনও নিরাময় নেই, তাই সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমেই এটি প্রতিরোধ করতে হবে। পরিবারে কারো অটিজম অথবা কোন মানসিক এবং আচরণগত সমস্যা থাকলে, পরবর্তী সন্তানের ক্ষেত্রে অটিজমের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে পরিকল্পিত গর্ভধারণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় অধিক দুশ্চিন্তা না করা, পর্যাপ্ত ঘুম, শিশুর সাথে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন ইত্যাদি ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। আরও কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যেমন-
বেশি বয়সে বাচ্চা না নেওয়া। বাচ্চা নেয়ার আগে মাকে রুবেলা ভেকসিন দিতে হবে। গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ খাওয়া যাবে না। মায়ের ধূমপান, মদ্যপানের মত কোন অভ্যাস থাকলে বাচ্চা নেয়ার আগে অবশ্যই তা ছেড়ে দিতে হবে। বাচ্চাকে অবশ্যই মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
0 notes
Video
youtube
The President of Bangladesh is the Head of State of Bangladesh.
The role of the president has been changed three times since Bangladesh achieved independence in 1971. In 1991, with the restoration of a democratically elected government, Bangladesh adopted a parliamentary democracy. The President is now a largely ceremonial post elected by the parliament.</span>
In 1996, Parliament passed new laws enhancing the President's executive authority, as laid down in the constitution, after the Parliament dissolves. The President resides at the Bangabhaban, which is his office and residence. The President is elected by the 300 parliamentarians in an open ballot, and thus generally represents the majority party of the legislature. He continues to hold in office after his five-year term expires until a successor is elected to the presidency.
Most Resents Bangladeshi Presidents Abdul Hamid Zillur Rahman Iajuddin Ahmed Muhammad Jamiruddin Sircar Badruddoza Chowdhury Shahabuddin Ahmed Abdur Rahman Biswas Shahabuddin Ahmed Hussain Muhammad Ershad Ahsanuddin Chowdhury
0 notes