#অষ্টনায়িকা_শ্রীশ্রীরুদ্রচণ্ডা🌺
ধ্যানম:-
ওঁ অষ্টাদশভুজাং দেবীং মধ্যস্থাং রুদ্রচণ্ডিকাং ।
বালার্কাগ্নিপ্রভাং শুভ্রাং জগৎত্রয়হিতৈষিণীং ।।
কপালং খেটকং ঘন্টাং দর্পণং তর্জ্জনীং ধনুঃ ।
ধ্বজং ডমরুকং পাশং বামহস্তে সুবিভ্রতীম ।।
শক্তিঞ্চ মুষলং শূলং বজ্রং শঙ্খং তথাঙ্কুশম ।
শরং চক্রং শলাকাঞ্চ দক্ষিণেষূ চ বিভ্রতীম ।।
প্রণাম:-
ওঁ রুদ্রচণ্ডে নমস্তুভ্যং চণ্ডবৈরিবিনাশিনী ।
সর্ব্বপাপহরে দেবী বরদা ভব সর্ব্বদা ।।
🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺
অগ্নিরূপ সম দেবী শরীরের আভা ।
নিঃস্বরণ হয় তেজ কোটি সুর্য্যপ্রভা ।।
কাঞ্চনে রচিত রত্ন আভরণ গায় ।
দীর্ঘ এক জটাকেশ মুকুট মাথায় ।।
ত্রিলোচন অর্দ্ধচন্দ্র কপাল-ভূষণ ।
রক্তবস্ত্র পরিধানা সিংহে আরোহণ ।।
অষ্টাদশভুজা নানা অস্ত্র প্রহরণ ।
খেটক দর্পণাদৃত ডম্বরু ধারণ ।।
ত্রিশূল কুলিশ খড়গ পক্ষযুক্ত শর ।
এই নয় অস্ত্রেতে শোভিত ডানি কর ।।
শঙ্খ ঘন্টা ধনু পাশ চর্ম্ম গদা সাতে ।
পানপাত্র কৃপাণ সুকাতি বাম হাতে ।।
ভয়ঙ্কর বেশে ধায় সহাস্য বদনে ।
দাণ্ডাইলা রণবেশে অম্বিকা সদনে ।।
চণ্ডিকার লীলা কিবা অতি চমৎকার ।
আপনি আপনরূপে প্রযোজক তার ।।
🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺
রুদ্রচণ্ডা মহাদেবী যোগিনী ডাকিনী সেবী
সিংহারূঢ়া অষ্টাদশভুজে ।
দেবে রাজ্য প্রদায়িনী ত্রিভুবনে সোহাগিনী
স্থান দে মা চরণ-অম্বুজে ।।
🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺
ছবি:- ফেসবুক
#সংগৃহীত
#মা_ভুবনমোহিনী
0 notes
সিতাষ্টম্যান্তু চৈত্রস্য পুষ্পৈতৎকালসম্ভবৈঃ | অশোককৈরপি যঃ কুর্য্যা মন্ত্রেণানেন পুজনম | না তস্য জায়তে শোকো রোগো ব্যপথদুর্গতিঃ ||
---- কালিকা পুরাণ
অর্থাৎ- যে মানব চৈত্রমাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমীতে বসন্তকালে জন্ম নেওয়া ফুল ও অশোক ফুলের দ্বারা দুর্গামন্ত্র উচ্চারণ করে দুর্গা পূজা করবে, তার রোগ শোক ও দুর্গতির বিনাশ হবে |
1 note
·
View note
ব্রহ্মা কর্তৃক দেবী স্তুতি
ব্রহ্মোবাচ ।।৭২।।
ত্বং স্বাহা ত্বং স্বধা ত্বং হি বষ্টকারঃ স্বরাত্মিকা।
সুধা ত্বং অক্ষরে নিত্যে তৃধা মাত্রাত্মিকা স্থিতা।।৭৩।।
অর্ধমাত্রা স্থিতা নিত্যা ইয়া অনুচ্চারিয়াবিশেষতঃ।
ত্বমেব সন্ধ্যা সাবিত্রী ত্বং দেবী জননী পরা
(পাঠান্তরেঃ ত্বমেব সন্ধ্যা সাবিত্রী ত্বং বেদ জননী পরা )।।৭৪।।
ত্বয়েতদ্ধার্যতে বিশ্বং ত্বয়েতৎ সৃজ্যতে জগৎ।
ত্বয়েতৎ পাল্যতে দেবী ত্বমৎস্যন্তে চ সর্বদা ।।৭৫।।
বিসৃষ্টৌ সৃষ্টিরূপা ত্বং স্থিতিরূপা চ পালনে।
তথা সংহৃতিরূপান্তে জগতো’স্য জগন্ময়ে ।।৭৬।।
মহাবিদ্যা মহামায়া মহামেধা মহাস্মৃতিঃ।
মহামোহা চ ভবতি মহাদেবী মহেশ্বরী।।৭৭।।
প্রকৃতিস্ত্বং চ সর্বস্ব গুণাত্রয়বিভাবিনী।
কালরাত্রির্মহারাত্রির্মোহারাত্রিশ্চ দারূণা ।।৭৮।।
ত্বং শ্রীস্তমীশ্বরী ত্বং হ্রীস্ত্বং বুদ্ধির্বোধলক্ষণা।
লজ্জা পুষ্টিস্তথা তুষ্টিস্ত্বং শান্তিঃ ক্ষান্তিরেব চ ।।৭৯।।
খড়্গিনী শূলিনী ঘোড়া গদিনী চক্রিনী তথা।
শঙ্খিনী চাপিনী বাণ ভূশূন্ডী পরিঘআয়ূধা ।।৮০।।
সৌম্যা সৌম্যতরাহ্শেষ, সৌম্যেভ্যস ত্বতিসুন্দরী।
পরাপরাণাং পরমা ত্বমেব পরমেশ্বরী ।।৮১।।
যচ্চ কিঞ্চিৎ ক্বচিৎ বস্তু সদঅসদ্বাখিলাত্মিকে।
তস্য সর্বস্য ইয়া শক্তিঃ সা ত্বং কিং স্তুয়সে ময়া।।৮২।।
ইয়া ত্বয়া জগতস্রষ্টা জগৎ পাত্যত্তি ইয়ো জগৎ।
সোহ্পি নিদ্রাবশং নীতঃ কস্ত্বাং স্তোতুং ইহা ঈশ্বরঃ।।৮৩।।
বিষ্ণুঃ শরীরগ্রহণম অহম ঈশান এব।
কারিতাস্তে যতোহ্তস্ত্বাং কঃ স্তোতুং শক্তিমান ভবেৎ।।৮৪।।
সা ত্বমিত্থং প্রভাবৈঃ স্বৈরুদারৈর্দেবী সংস্তুতা।
মোহঐতৌ দুরাধর্ষাবসুরৌ মধুকৈটভৌ।।৮৫।।
প্রবোধং চ জগৎস্বামী নিয়তাং অচ্যুতো লঘু।
বোধশ্চ ক্রিয়তামস্য হন্তুং এতৌ মহাসুরৌ।।৮৬।।
0 notes
#অষ্টনায়িকা_শ্রীশ্রীঅতিচণ্ডিকা
ধ্যানম:-
ওঁ অতিচণ্ডিকাং ষোড়শভুজাং নানালঙ্কারভূষিতাম ।
নানারূপধরাং দেবী নানাবর্ণাস্তু ধ্বজপ্রিয়াম ।।
ওঁ বরদামতিচণ্ডিকাং কৃষ্ণাভাং ষোড়শভুজাং ।
নবযৌবনসম্পন্নাং নানালঙ্কার ভূষিতাম ।।
কপালং খেটকং ঘন্টাং ক্রমেণ দর্পণং ধনুঃ ।
ধ্বজং ডমরুকং পাশং বামহস্তেষূ বিভ্রতীম ।।
শক্তিঞ্চ মুষলং শূলং বজ্রং খড়গং তথাঙ্কুশম ।
শরং চক্রং ক্রমাদধঃ দক্ষিণেষূ চ চিন্তয়েৎ ।।
প্রণাম:-
ওঁ বালার্কারুণনয়না সর্ব্বদা ভক্তবৎসলা ।
চণ্ডাসুরস্য মথনী বরদামতিচণ্ডিকা ।।
🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺
পাণ্ডুবর্ণা শশীকলা ললাটে শোভন ।
ব্যোমকেশী জটাজুট রক্ত ত্রিলোচন ।।
সর্ব্ব অঙ্গে শোভা করে রত্ন অলঙ্কার ।
দশভুজে নানাবিধ আয়ুধ বিস্তর ।।
কটিতটে কনক কপায়া করন্বিত ।
গলে শোভে মুণ্ডমালা আপাদ লম্বিত ।।
অতি উগ্র মুর্ত্তি দেখি সবে ত্রাস পায় ।
অম্বিকা নিকটে অতিচণ্ডিকা দাঁড়ায় ।।
দেখি কাত্যায়নী অতি হরিষ হইলা ।
রুদ্রচণ্ডী কালিকারে প্রকাশ করিলা ।।
🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺
অতি চণ্ডিকা ভীষণা বালার্কারুণ নয়না
নমো ভক্ত-বৎসলা পালিকে ।
চণ্ডাসুর প্রহারিণী বরদা ভয়হারিণী
ত্রাহি অতিচণ্ডিকা কালিকে ।
ছবি সৌজন্যে:- Debashis দাদা।
#সংগৃহীত
#মা_ভুবনমোহিনী
0 notes
সিংহবাহিনী দুর্গা- লক্ষ্মী সরস্বতী না থাকলেও কার্তিক গণেশ আছে!
গোপভূমের দ্বারিয়াপুরের বনেদি চক্রবর্তী পরিবার। পরিবারের আদিপুরুষ জগন্নাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। অতি শৈশবে মাতৃহারা হলে কয়েকমাস পরেই পিতা বিষ্ণুপদ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বিতীয়বার দারপরিগ্রহের আয়োজন করতেই জগন্নাথের মাতামহ দেবপ্রসন্ন চট্টরাজ, নাতিকে পিত্রালয় পাত্রসায়র থেকে নিয়ে আসেন নিজের বাড়ী দ্বারিয়াপুরে। এখানেই মাতামহ এবং নিঃসন্তান মামা-মামীমার অভিভাবকত্বে বড় হতে থাকেন জগন্নাথ। মতামহ ও মাতুল উভয়েই তত্কালীন তর্কবাগীশপুর (অধুনা তকিপুর) টোলের পণ্ডিত ছিলেন। সেই সূত্রে জগন্নাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ও পণ্ডিতির পাঠ নিতে শুরু করেন।
বেশ বছর খানেক পরে দ্বারিয়াপুর গ্রামে গ্রীষ্মকালীন জলসংকটের কারণে মাতুলের ইচ্ছায় একটি দীঘি কাটানোর উদ্যোগ নে’ন জগন্নাথ। সেই দীঘি কাটাতে গিয়েই অযাচিতভাবে দেবী দশভুজা সিংহবাহিনীর বিগ্রহ পান। বয়োজ্যেষ্ঠদের পরামর্শে ঐ বিগ্রহ বাসভবনেই প্রতিষ্ঠা করে নিত্যসেবা শুরু করেন জগন্নাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। বছরখানেক পরে তাঁর মামা দেহরক্ষার আগে বত্সরান্তে শারদোত্সব আয়োজনের আদেশ দিয়ে যান। এ’ঘটনা আনুমানিক ৪৫০ বছর আগেকার। সিংহবাহিনীর বিগ্রহপ্রাপ্তির নীরব সাক্ষী সেই দীঘি আজ আর দীঘি নেই, ডোবা হয়ে গেছে(জগার ডোবা)।
জগন্নাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধস্তন চতুর্থ প্রজন্ম নবকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় তত্কালীন বর্ধমানরাজের থেকে ‘রাজচক্রবর্তী’ উপাধিতে ভূষিত হ’ন। যদিও এই উপাধির পিছনে সঠিক কারণ কী ছিলো, তা জানা যায়নি। নবকুমারের পুত্র জগদীশ চক্রবর্তী জামগ্রাম জমিদারবাড়ীর নায়েব ছিলেন। এই সময় থেকেই কুলদেবী সিংহবাহিনীর নিত্যনৈমিত্তিক সেবায় কিছু নিয়ম আরোপিত হয় এবং শারদোত্সবে সিংহবাহিনীর সাথে সাথে মৃন্ময়ী সপরিবার দুর্গাপ্রতিমা আরাধনা শুরু হয়।
বর্তমান প্রজন্মের যেসকল প্রতিনিধি রয়েছেন, তাঁরা কমবেশি প্রত্যেকেই স্বর্গীয় জগদীশ চক্রবর্তীর প্রবর্তিত নিয়ম যথাসাধ্য পালন করে চলেছেন। প্রত্যহ চারদফায় দেবীর নিত্যসেবা হয়। এখন দেবীর নিত্যপূজা বা শারদীয়া দুর্গোত্সব সবই পালাভিত্তিক ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। চক্রবর্তী পরিবারের সংবত্সরকালে সিংহবাহিনী সেবায় একটিই মাত্র বিশেষত্ব লক্ষ্যনীয়। শারদীয়া শুক্লাষষ্ঠীর সন্ধ্যায় দেবী নিজের ঘর থেকে দুর্গাবাড়ীতে এসে বসেন। এরপর বিজয়াদশমী অব্দি দেবী এখানেই থাকেন। ষষ্ঠীর সন্ধ্যা থেকে বিজয়াদশমীর সকাল অব্দি দেবীর যথাবিহিত স্নান, পূজা, ভোগ, আরতি হলেও শয়ন হয়না। একটানা তিনরাত্রি-তিনদিন দেবী দণ্ডায়মান অবস্থায় পূজা গ্রহণ করেন।
বিজয়াদশমীর সকালে ঘট-নবপত্রিকা বিসর্জন হয়ে গেলে তাঁকে নিজের ঘরে ফিরিয়ে নিয়�� যাওয়া হয় এবং বিগ্রহের পায়ে ‘কর্পূর সহযোগে সর্ষের তেল’ গময় করে মালিশ করে শয়ন দেওয়া হয়। এই নিয়ম কোজাগরী লক্ষ্মীপূজার আগেরদিন অব্দি চলে। এ’কদিন দেবী শুধু স্নানের জন্যই সিংহাসন থেকে নামেন, স্নান সেড়ে কাপড় পড়ে আবার শয্যায় যান। পারিবারিক বিশ্বাস একটানা তিনদিন-তিনরাত দাঁড়িয়ে থাকায় মায়ের পায়ে ব্যথা। তাই কোজাগরী পূজা অব্দি দেবী সম্পূর্ণ শয্যাশায়ী অবস্থায় বিশ্রাম নে’ন।
এবারে সিংহবাহিনী বিগ্রহের প্রসঙ্গে আসা যাক। এই বিগ্রহটি অষ্টধাতু নির্মিত। দেবী দশভুজা মহিষমর্দিনী। চালচিত্র সমেত বিগ্রহের উচ্চতা সাড়ে নয় ইঞ্চি। দেবীর পার্শ্বদেবতা রূপে গণেশ এবং কার্তিক রয়েছেন। কিন্তু লক্ষ্মী সরস্বতী অনুপস্থিত। এইপ্রকার অদ্ভুত প্রতিমা আমাদের বঙ্গদেশে প্রায় বিরল। যদিও বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনে পালযুগীয় কিছু বিগ্রহে মহাদেবীর দুপাশে গণেশ কার্তিকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেলেও, সেসব মূর্তিতে দেবী ললিতা রূপে বিরাজিতা, তিনি চতুর্ভুজা, সন্তানবত্সলা এবং মাতৃভাবে প্রতিষ্ঠিতা। সেসব বিগ্রহে তাঁর হাতে কোনো আয়ুধ নেই। কিন্তু এই বিগ্রহে, রীতিমতো যোদ্ধা বেশে দেবী মহিষাসুরকে মর্দন করেছেন। পাল/সেনযুগীয় বিগ্রহের সাথে এই বিগ্রহের একটিই সাদৃশ্য যে, কোনোক্ষেত্রেই দেবীর সাথে লক্ষ্মী ও সরস্বতী নেই।
এখানেই বিশেষজ্ঞদের কাছে জিজ্ঞাস্য, তবে দুর্গাদেবীর ‘সপরিবার বিগ্রহে’ লক্ষ্মী সরস্বতীর আনয়ন বা আরাধন ঠিক কোন সময় থেকে শুরু হয়! চক্রবর্তী পরিবারের সিংহবাহিনী বিগ্রহের একটি গঠনগত বিশেষত্ব গণেশ, কার্তিক এবং মহিষমর্দিনী এনাদের তিনজনই মূল ধাতব বেদীতে খিলানকব্জার সাহায্যে আটকানো অর্থাত্, এনাদের আলাদা করে খোলা যায়।
লিখেছেন-অর্ণব ঘটক।
0 notes
ওঁ মহামায়ে জগন্মাত কালিকে ঘোর দক্ষিণে ৷
গৃহাণ্ বন্দনে দেবী নমস্তে শংকর প্রিয়ে ৷৷
ওঁ প্রচন্ডে পুত্রদে নিত্যং সুপ্রীতে সুর নায়িকে ৷
কুলদ্যোতকরে চোগ্রে জয়ং দেহী নমোহস্তুতে
Artist Soumyajit Banerjee
Pic fb
0 notes
ভদ্রকালী দুর্গা ধ্যানম
যোগনিদ্রা মহামায়া জগদ্ধাত্রী জগন্ময়ী |
ভুজৈঃ ষোড়শভির্যুক্তা ভদ্রকালীতিবিশ্রুতা ||
--কালিকা পুরাণ ৬০ তম অধ্যায়, শ্লোক সংখ্যা ৫8
ক্ষিরোদস্যোত্তরে তীরে বিভ্রতি বিপুলাং তনুং |
অতসীপুষ্পবর্ণাভা জ্বলৎকাঞ্চনকণ্ডলা ||
জটাজুট সখণ্ডেন্দুমুকুটত্রয়ভূষিতা |
নাগহারেণ সহিতাস্বর্ণহারবিভূষিতা ||
শূলং চক্ৰঞ্চ খড়্গঞ্চ শঙ্খং বাণং তথৈবচ |
শক্তিং বজ্রঞ্চ দণ্ডঞ্চ নিত্যং দক্ষিণবাহুভিঃ ||
বিভ্রতি সততং দেবী বিকাশিদশনোজ্বলা |
খেটকং চর্ম্মচাপঞ্চ পাশঞ্চাঙ্কুশমেবচ |
মুষলং পরশুং ঘন্টাং বিভ্রতি বামপাণিভিঃ ||
সিংহস্থা নয়নৈরক্তবর্ণৈস্ত্রীভিরতিজ্বলা |
শূলেন মহিষং ভিত্বা তিষ্ঠন্তি পরমেশ্বরী ||
বাম পাদেন চাক্রম্য তত্র দ���বী জগন্ময়ী |
--কালিকা পুরাণ ৬০ তম অধ্যায়, শ্লোক সংখ্যা ৫৭-৬৪
অর্থাৎ- যিনি যোগনিদ্রা, জগতে ব্যপ্ত, মহামায়া, জগৎপালন কারিনী, তিনি ক্ষিরোদ সমুদ্রের উত্তর তীরে বিপুল শরীর ধারণ পূর্বক ষোড়শ ভুজা ভদ্রকালী নামে আবির্ভূত হইয়াছিলেন |
তাহার গাত্রবর্ণ ফুলের অতসীফুলের মতন, তার কানে উজ্জ্বল দুল, তার শিরে জটাজুট শোভমান, তারই সাথে তা অৰ্দ্ধচন্দ্র এবং মুকুট দ্বারা ভূষিত | তার গলায় নাগহার সহ সোনারহার, তিনি তার রক্তবর্ণ তিনটি চোখ দ্বারা সাতিশয় উজ্জ্বল | দেবী তার ১৬ভূজায় - তার ডানদিকের হাত সমূহে শূল, চক্ৰ, খড়্গ, শঙ্খ, বাণ, শক্তি, বজ্র এবং দণ্ড (লাঠি) ধারণ করেছেন | তার বাদিকের হাত সমূহে খেটক, চর্ম্ম, চাপ, পাশ, অঙ্কুশ, মুষল, পরশু এবং ঘন্টা ধারণ করেছেন | এই ভগবতী পরমেশ্বরী দেবী সিংহের উপরে বিরাজমানা, যিনি তার বাম পাদপদ্ম দ্বারা মহিষকে আক্রমণ করে শুল দ্বারা তাকে ভেদ করছেন |
চিত্রটি শ্রীমান অর্ঘ্যদীপ্ত কর দ্বারা অংকিত |
0 notes
উগ্রচণ্ডা দুর্গা ধ্যানম
উগ্রচণ্ডা তু যা মূর্তিরষ্টাদশভুজা ভবেৎ |
প্রাদুর্ভূতা মহাভাগা যোগিনী কোটিভিঃ সহ ||
---কালিকা পুরাণ ৬১ তম অধ্যায়, শ্লোক সংখ্যা ২
জটাজুট সখণ্ডেন্দুমুকুটত্রয়ভূষিতা |
নাগহারেণ সহিত স্বর্ণহারবিভূষিতা ||
শূলং খড়্গঞ্চ শঙ্খঞ্চ চক্ৰং বাণন্তথৈব চ |
শক্তিং বজ্রঞ্চ দণ্ডঞ্চ নিত্যং দক্ষিণবাহুভিঃ ||
খেটকং চর্ম্ম চাপঞ্চ পাশঞ্চাঙ্কুশমেব চ |
ঘন্টাংপরশুঞ্চ মুষলং বিভ্রতি বামপাণিভিঃ ||
---কালিকা পুরাণ ৬০ তম অধ্যায়, শ্লোক সংখ্যা ৫৯-৬২
দক্ষিণাধোদাং বামপাণিনা পানপাত্রকং |
সুরাপূর্ণঞ্চ শিরসা মুণ্ডনানি বিলেশয়ান ||
ভিন্নাঞ্জনচয়প্রেখ্যা প্রচণ্ডা সিংহবাহিনী |
রক্তনেত্রা মহাকায়া যুক্তাষ্টাদশ বাহুভিঃ ||
---- কালিকা পুরাণ ৬০ তম অধ্যায়, শ্লোক সংখ্যা ১২৩-১২৪
অর্থাৎ- ভগবতী উগ্রচণ্ডা নামে ১৮ভুজা সমন্বিতা হইয়া, কোটি যোগিনী সহ আবির্ভূত হইয়াছিলেন |
তাহার মস্তকে জটাজুট শোভমান, তারসাথেই তা সাপ, অৰ্দ্ধচন্দ্র এবং মুকুট দ্বারা ভূষিত | দেবীর গায়ের রং অঞ্জন (কাজল ) সদৃশ | দেবীকে দেখতে খুবই উগ্র, তার চোখ রক্তবর্ণ, তার দাঁত সমূহ সুমুজ্বল রূপে বিকশিত, গলায় নাগহার সহ সোনারহার, দেবী তার ১৮ভূজায় - তার ডানদিকের হাত সমূহে শূল, খড়্গ, শঙ্খ, চক্ৰ, বাণ, শক্তি, বজ্র এবং দণ্ড (লাঠি) ধারণ করেছেন | তার বাদিকের হাত সমূহে খেটক, চর্ম্ম, চাপ, পাশ, অঙ্কুশ, ঘন্টা, পরশু এবং মুষল ধারণ করেছেন | ডানদিকের উপরের হাতে গদা ও বামদিকের উপরের হাতে সুরপূর্ণ পানপাত্র | দেবীর শরীরের আয়তন সুবৃহৎ এবং তিনি সিংহবাহিনী |
চিত্রটি শ্রীমান অর্ঘ্যদীপ্ত কর দ্বারা অংকিত |
0 notes
অপেক্ষার কয়েকটা দিন...😌☺️❤️
শান্তিপুরি ❤️
দুর্গা দেবীকে প্রণাম করার মাহাত্য বা ফল
যে নমন্তি নবা দুর্গা শ্রদ্ধয়া পবযাহন্বিতা: ।
অশ্বমেধফলং প্রাপ্য দুর্গালোকং ব্রজন্তিতে ।।
--- শাক্তানন্দ তরঙ্গিণী
অর্থাৎ - যে মানবগণ অত্যন্ত শ্রদ্ধান্বিত হয়ে দুর্গা মাতাকে প্রণাম করে,তারা অশ্বমেধ যজ্ঞের ফললাভ করে দুর্গালোকে যায় ।
সাষ্টাঙ্গ প্রণাম দুর্গা দেবীর খুব প্রিয়
প্রমাণ যথা
সাষ্টাঙ্গ-প্রণতি-প্রীতা,ভক্তানুগ্রহ-কারিণী ।
শরণাগত-দীনার্ত-পরিত্রাণ-পরায়ণা ।।
------তন্ত্ররাজ তন্ত্রে দুর্গা সহস্রনামের অংশ বিশেষ।
0 notes
অপরাধক্ষমাপণস্তোত্রম্ ..
ওঁ অপরাধশতং কৃৎবা জগদম্বেতি চোচ্চরেৎ .
যাং গতিং সমবাপ্নোতি ন তাং ব্রহ্মাদয়ঃ সুরাঃ .. ১..
সাপরাধোঽস্মি শরণং প্রাপ্তস্ত্বাং জগদম্বিকে .
ইদানীমনুকম্প্যোঽহং যথেচ্ছসি তথা কুরু .. ২..
অজ্ঞানাদ্বিস্মৃতের্ভ্রোন্ত্যা যন্ন্যূনমধিকং কৃতম্ .
তৎসর্বং ক্ষম্যতাং দেবি প্রসীদ পরমেশ্বরি .. ৩..
কামেশ্বরি জগন্মাতঃ সচ্চিদানন্দবিগ্রহে .
গৃহাণার্চামিমাং প্রীত্যা প্রসীদ পরমেশ্বরি .. ৪..
সর্বরূপময়ী দেবী সর্বং দেবীময়ং জগৎ .
অতোঽহং বিশ্বরূপাং ৎবাং নমামি পরমেশ্বরীম্ .. ৫..
যদক্ষরং পরিভ্রষ্টং মাত্রাহীনঞ্চ যদ্ভবেৎ .
পূর্ণং ভবতু তৎ সর্বং ৎবৎপ্রসাদান্মহেশ্বরি .. ৬..
যদত্র পাঠে জগদম্বিকে ময়া
বিসর্গবিন্দ্বক্ষরহীনমীরিতম্ .
তদস্তু সম্পূর্ণতমং প্রসাদতঃ
সঙ্কল্পসিদ্ধিশ্ব সদৈব জায়তাম্ .. ৭..
যন্মাত্রাবিন্দুবিন্দুদ্বিতয়পদপদদ্বন্দ্ববর্ণাদিহীনং
ভক্ত্যাভক্ত্যানুপূর্বং প্রসভকৃতিবশাৎ ব্যক্ত্তমব্যক্ত্তমম্ব .
মোহাদজ্ঞানতো বা পঠিতমপঠিতং সাম্প্রতং তে স্তবেঽস্মিন্
তৎ সর্বং সাঙ্গমাস্তাং ভগবতি বরদে ৎবৎপ্র��াদাৎ প্রসীদ .. ৮..
প্রসীদ ভগবত্যম্ব প্রসীদ ভক্তবৎসলে .
প্রসাদং কুরু মে দেবি দুর্গে দেবি নমোঽস্তু তে .. ৯..
.
. ইতি অপরাধক্ষমাপণস্তোত্রং সমাপ্তম্
Pic club page
Club bhabanipur sarbojonin
0 notes
ষোড়শ সরস্বতী ঃ
১. রোহিণী- এই দেবী চর্তুভুজা এর অপর নাম "অজিতবলা"।
২. প্রজ্ঞপ্তী / প্রজ্ঞা - সরস্বতীর দ্বিতীয় নাম। এই দেবীর বাহন হংস। দেবী ষড়ভুজা। দেবীর হাতে আছে অসি, কুঠার, চন্দ্রহাস ও দর্পণ। "দুহিতারী" নামেও দেবী পরিচিতা। অনেকের বাড়িতেই এই মূর্তি দেখা যায়৷
৩. বজ্রশৃঙ্খলা-এই চর্তুভুজা দেবীর বাহন হংস। দেবী হস্তে পরিখ ও বৈষ্নবাস্ত্র ধারন করেছেন। উনি দুই ভূজা রূপেও পূজিতা হন। সাধারণত আমরা দুইভূজা দেখেই অভ্যস্ত।
৫. চক্রেশ্বরী- দেবী সরস্বতীর এই ষোড়শভুজার বাহন হল গরুড়।
৬. পুরুষদত্তা ভারতী- এই দেবী হস্তিবাহিনী এবং দেবী চর্তুভুজা। দেবীর দেহ শ্রী অপূর্ব লাবন্য মন্ডিত, সুদঢ় ও বলিষ্ঠ। দেবীর দক্ষিণ হস্তে চক্র এবং বাম হস্তে শতঘ্নী।
৭. শান্তা / কালী - বৃষ এই দেবীর বাহন। দেবীর অপর নাম শান্তা। ইনি কিন্তু দশমহাবিদ্যার কালী নন।
৮. মহাকালী / সুরতারকা - এই দেবীর দক্ষিণ হস্তে যষ্টি এবং বাম হস্তে শতঘ্নী। এই দেবী চতুর্ভুজা। এর অপর নাম "অজিতা"।
৯. গৌরী- ইনি বৃষপরি অধিষ্ঠিতা, চতুর্ভুজা, দক্ষিন হস্তে মঙ্গল ঘট ও বাম হস্তে যষ্টি। "মানসী" ও "অশোকা" দেবীর অন্য নাম।
১০. গান্ধারী- চতুর্ভুজা এই দেবীর কোন বাহন নেই। "চন্ডা" নামে তিনি পরিচিতা।
১১. সরবাস্ত্রমহাজ্বালা- এটি দেবী সরস্বতীর একাদশ তম নাম। দেবী অষ্টভুজা। দক্ষিন হস্তে অসি, ত্রিশূল, ভল্ল ও বৈষ্নবাস্ত্র। বাম হস্তে ব্রম্ভশীর অস্ত্র, তীর ও পাশ। দেবীর মস্তকে শোভা পায় মন্দিরাকৃতি সুউচ্চ মুকুট। দেবীর অন্য দুই নাম হলো
" জ্বলামালিনী" ও "ভৃকুট্টী"।
১২. মানবী- সর্প এই দেবীর বাহন। চতুর্ভুজা এই দেবীর দুই হস্তে দর্পন, এক হস্তে যষ্টি, অপর হস্তে বরমুদ্রায় স্হাপিত। "অশোকা" নামেও দেবীর আরাধনা হয়।
১৩. বৈরাট্যা- চতুর্ভুজা এই দেবীরও মানবীর ন্যায় বাহন হল সর্প্। "বৈরোটী" নামেও সম্ভবতঃ দেবীর পূজা হয়।
১৪. আচ্ছুপ্তা- মহাদেবী সরস্বতীর চর্তুদশ নাম আচ্ছুপ্তা।
১৫. মানসী- সিংহ এই দেবীর বাহন। চতুর্ভূজা দেবীর দক্ষিন হস্তে ভল্ল ও কুঠার, এবং বাম হস্তে দর্পন ও বিজয়ধনু। দেবীর আর এক নাম কর্ন্দপা।
.
১৬. মহামানবী- সরস্বতীর ষোড়শ নাম মহামানবী। ময়ূর এই দেবীর বাহন রুপে সুপরিচিত। চতুর্ভুজা দেবীর দক্ষিণ হস্তে ভল্ল এবং বাম হস্তে চক্র। দেবীর অপর নাম 'নিরবাসী"।
( সরস্বতী বিদ্যাবতী বই থেকে সংগৃহীত)
অনেকেই বলেন সরস্বতী পূজো করে কি লাভ? সত্যি বলতে পূজো লাভ লোকশান বিচার করে হয় না। করতেও নেই। কিন্তু সরস্বতী শুধু বিদ্যার দেবী নন। প্রতিটা রূপের আলাদা মাহাত্ম্য। সেসব নিয়ে আরও একটু পড়ে নিয়ে আলোচনা করব। অনেক পড়া বাকি।
0 notes
ষোড়শ সরস্বতী ঃ
১. রোহিণী- এই দেবী চর্তুভুজা এর অপর নাম "অজিতবলা"।
২. প্রজ্ঞপ্তী / প্রজ্ঞা - সরস্বতীর দ্বিতীয় নাম। এই দেবীর বাহন হংস। দেবী ষড়ভুজা। দেবীর হাতে আছে অসি, কুঠার, চন্দ্রহাস ও দর্পণ। "দুহিতারী" নামেও দেবী পরিচিতা। অনেকের বাড়িতেই এই মূর্তি দেখা যায়৷
৩. বজ্রশৃঙ্খলা-এই চর্তুভুজা দেবীর বাহন হংস। দেবী হস্তে পরিখ ও বৈষ্নবাস্ত্র ধারন করেছেন। উনি দুই ভূজা রূপেও পূজিতা হন। সাধারণত আমরা দুইভূজা দেখেই অভ্যস্ত।
৫. চক্রেশ্বরী- দেবী সরস্বতীর এই ষোড়শভুজার বাহন হল গরুড়।
৬. পুরুষদত্তা ভারতী- এই দেবী হস্তিবাহিনী এবং দেবী চর্তুভুজা। দেবীর দেহ শ্রী অপূর্ব লাবন্য মন্ডিত, সুদঢ় ও বলিষ্ঠ। দেবীর দক্ষিণ হস্তে চক্র এবং বাম হস্তে শতঘ্নী।
৭. শান্তা / কালী - বৃষ এই দেবীর বাহন। দেবীর অপর নাম শান্তা। ইনি কিন্তু দশমহাবিদ্যার কালী নন।
৮. মহাকালী / সুরতারকা - এই দেবীর দক্ষিণ হস্তে যষ্টি এবং বাম হস্তে শতঘ্নী। এই দেবী চতুর্ভুজা। এর অপর নাম "অজিতা"।
৯. গৌরী- ইনি বৃষপরি অধিষ্ঠিতা, চতুর্ভুজা, দক্ষিন হস্তে মঙ্গল ঘট ও বাম হস্তে যষ্টি। "মানসী" ও "অশোকা" দেবীর অন্য নাম।
১০. গান্ধারী- চতুর্ভুজা এই দেবীর কোন বাহন নেই। "চন্ডা" নামে তিনি পরিচিতা।
১১. সরবাস্ত্রমহাজ্বালা- এটি দেবী সরস্বতীর একাদশ তম নাম। দেবী অষ্টভুজা। দক্ষিন হস্তে অসি, ত্রিশূল, ভল্ল ও বৈষ্নবাস্ত্র। বাম হস্তে ব্রম্ভশীর অস্ত্র, তীর ও পাশ। দেবীর মস্তকে শোভা পায় মন্দিরাকৃতি সুউচ্চ মুকুট। দেবীর অন্য দুই নাম হলো
" জ্বলামালিনী" ও "ভৃকুট্টী"।
১২. মানবী- সর্প এই দেবীর বাহন। চতুর্ভুজা এই দেবীর দুই হস্তে দর্পন, এক হস্তে যষ্টি, অপর হস্তে বরমুদ্রায় স্হাপিত। "অশোকা" নামেও দেবীর আরাধনা হয়।
১৩. বৈরাট্যা- চতুর্ভুজা এই দেবীরও মানবীর ন্যায় বাহন হল সর্প্। "বৈরোটী" নামেও সম্ভবতঃ দেবীর পূজা হয়।
১৪. আচ্ছুপ্তা- মহাদেবী সরস্বতীর চর্তুদশ নাম আচ্ছুপ্তা।
১৫. মানসী- সিংহ এই দেবীর বাহন। চতুর্ভূজা দেবীর দক্ষিন হস্তে ভল্ল ও কুঠার, এবং বাম হস্তে দর্পন ও বিজয়ধনু। দেবীর আর এক নাম কর্ন্দপা।
.
১৬. মহামানবী- সরস্বতীর ষোড়শ নাম মহামানবী। ময়ূর এই দেবীর বাহন রুপে সুপরিচিত। চতুর্ভুজা দেবীর দক্ষিণ হস্তে ভল্ল এবং বাম হস্তে চক্র। দেবীর অপর নাম 'নিরবাসী"।
( সরস্বতী বিদ্যাবতী বই থেকে সংগৃহীত)
অনেকেই বলেন সরস্বতী পূজো করে কি লাভ? সত্যি বলতে পূজো লাভ লোকশান বিচার করে হয় না। করতেও নেই। কিন্তু সরস্বতী শুধু বিদ্যার দেবী নন। প্রতিটা রূপের আলাদা মাহাত্ম্য। সেসব নিয়ে আরও একটু পড়ে নিয়ে আলোচনা করব। অনেক পড়া বাকি।
0 notes
আজ ভগবান বলরামের আবির্ভাব তিথি।
====================
শ্রীবলরামজির মহিমা কীর্তন
====================
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাবের মাত্র ৮দিন পূর্বে ভগবান বলরামজি আবির্ভূত হয়েছিলেন।
শ্রীবলরামজির কাজ হচ্ছে সর্বদা শ্রীকৃষ্ণের প্রীতি বর্ধন করা। অর্থাৎ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যা বাসনা করেন বলরামজি তার সেবার সমস্ত কিছু আয়োজন করেন। বলরামজি হচ্ছেন শ্রীকৃষ্ণের প্রথম প্রকাশ, সর্বশ্রেষ্ঠ সেবক এবং সকল জীবের আদিগুরু। বলরাম বা নিত্যানন্দ প্রভুকে ব্যাতি রেখে কেউ যদি কৃষ্ণ বা মহাপ্রভুকে লাভ করতে চায় তাহলে তা নিতান্তই মুর্খামী ছাড়া আর কিছুই না। কেননা মহাপ্রভু এবং রাধাকৃষ্ণ হচ্ছেন বলরাম বা নিত্যানন্দ প্রভুর সম্পদ। তাই বলরামজি হচ্ছেন সকল জীবের আদি গুরু। যিনি নিত্যানন্দ প্রভুর চরণে কৃপা ভিক্ষা প্রার্থনা করেন নিত্যানন্দ প্রভু তাকে মহাপ্রভুর চরণকমল পর্যন্ত পৌছে দেন।
যেমনঃ চৈতন্য লীলায় রঘুনাথ গোস্বামী, জগাইমাধাই প্রমুখ নিত্যানন্দ প্রভুর কৃপায় মহাপ্রভুর বিশেষ কৃপা লাভ করেছিলেন। তাই নিত্যানন্দ প্রভুর স্বরণাপন্ন হলে অনায়াসে মহাপ্রভুর কৃপা অর্থাৎ রাধাকৃষ্ণ লাভ হয়।
১.এই বলরামজি কৃষ্ণ লীলায় অসুর বধ করে কৃষ্ণকে আনন্দ রস প্রদান করেছিলেন।
২.কৃষ্ণের যখন যোগ নিদ্রায় শায়িত হওয়ার ইচ্ছা হয়, বলরামজি তখন সংকর্ষণ রুপে নিজেকে বিস্তার করেন এবং তার উপর ভগবান শায়িত হন।
৩.প্রবল ঝড়বৃষ্টির সময় পিতা বসুদেব যখন শিশু কৃষ্ণকে মথুরা থেকে গোকুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন সেই প্রতিকূল পরিবেশে এই বলরামজি শেস নাগ রুপে কৃষ্ণকে সুরক্ষা প্রদান করেছিলেন।
৪.কোটি কোটি ব্রহ্মান্ডের ভারসাম্য রক্ষার জন্য বলরামজি নিজেকে কোটি কোটি অনন্ত শেস নাগে প্রকাশ করেন এবং অনন্তকাল ধরে তিনি ব্রহ্মাণ্ড গুলোকে তার নিজের মস্তকে ধারন করে আছেন।
৫.অনন্ত শেস নাগ রুপী বলরাম তার কোটি কোটি শ্রীমুখে অনন্ত কাল ধরে ভগবানের মহিমা গুণকীর্তন করে চলেছেন।
৬.এমনকি চৈতন্য লীলাতেও নিত্যানন্দ প্রভুর ভুমিকা ছিলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মহাপ্রভুর হয়ে তিনি মানুষের দ্বারেদ্বারে হরিনাম প্রচার করতেন। অনেক প্রতিকূল পরিবেশেও তিনি মহাপ্রভুর স্বপ্ন পুরণ করতে সর্বদা স্বচেষ্ট ছিলেন।
৭.বলা হয়, মহাপ্রভু যদি দয়ার সাগর হয়, তাহলে নিত্যানন্দ প্রভু হচ্ছেন দয়ার মহাসাগর। তাই কেউ যদি নিত্যানন্দ প্রভুর স্বরণাপন্ন হন তিনি অবশ্যই অনায়াসে মহাপ্রভুর কৃপা লাভ করতে সক্ষম হবেন।
৮."তোমরা শুধু নিরন্তর হরিনাম করে যাও। তোমাদের এই ভব সাগর পাড়ি দেওয়ার জন্য আমি দায়ি রইলাম"- শ্রীনিত্যানন্দ প্রভু।
বলরাম জয়ন্তীতে এটাই আমাদের একমাত্র প্রার্থনা হোক, হে কৃপাসিন্ধু দয়ার সাগর বলরামজি, কৃষ্ণলীলায় আপনি যেভাবে বহু অসুর নিধন করে বৃন্দাবন বাসীদের সুরক্ষা প্রদান করেছিলেন, স্বেরুপে আমাদের প্রত্যেকের হৃদয়ের সমস্ত প্রকার আসুরিক প্রবৃত্তি গুলোকে সম্পুর্ণ রুপে ধ্বংস করে কৃষ্ণভক্তির অনুকুল করে দিন। যেনো আপনার কৃপায় আমাদের হৃদয়ে চিরকাল এই অহৈতুকী কৃষ্ণভক্তি সঞ্চারিত হয়।
হরে কৃষ্ণ।।
#SukhadaBalai
0 notes
দুর্গা হি পরমো মন্ত্র দুর্গা হি পরমো জপঃ।
দুর্গা হি পরমং তীর্থং দুর্গা হি পরমা ক্রিয়া।
দুর্গা হি পরমা ভক্তিদুর্গা মুর্ত্তিমহীতলে।।
"দুর্গা" এই নাম হল পরম মন্ত্র। এই নামের মাহাত্ম্য বলতে গিয়ে বলা হয়েছে- শ্রী দুর্গা নাম ভুলো না ভুলো না ভুলো না, শ্রী দুর্গা স্মরণে সমুদ্র মন্থনে, বিষপানে বিশ্বনাথ ম'লো না, শ্রী দুর্গা নাম ভুলো না ভুলো না ভুলো না...
শাস্ত্রে "দুর্গা" নামের মাহাত্ম্য প্রকাশ করতে গিয়ে বলা হয়েছে-
প্রভাতে য স্মরেনিত্যং দুর্গাদুর্গাক্ষরদ্বয়ম ।
আপদং তস্য নস্যন্তি তমোঃ সূর্যোদয়ে যথা।।
অর্থাৎ প্রভাতে যে দুর্গা দুর্গা বলে দেবীকে স্মরণ করে, সূর্যোদয় হলে যেমন অন্ধকার দুর হয় ঠিক তেমনভাবে তার সমস্ত আপদ দুর হয় ।
শব্দকল্পদ্রুম-এ "দুর্গা" শব্দটির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলা হয়েছে :
দৈত্যনাশার্থবচনো দকারঃ প্রকীর্তিতঃ।
উকারো বিঘ্ননাশস্য বাচকো বেদসম্মত।।
রেফো রোগঘ্নবচনো গশ্চ পাপঘ্নবাচকঃ।
ভয়শত্রুঘ্নবচনশ্চাকারঃ প্রকীর্তিত।।
অর্থাৎ "দ" অক্ষরটি দৈত্যনাশ করে ,উকার বিঘ্ননাশ করে ,রেফ রোগনাশ করে ,"গ" অক্ষরটি পাপনাশ করে এবং অ-কার শত্রুনাশ করে। অর্থাৎ দৈত্য বিঘ্ন রোগ পাপ ও শত্রুর থেকে যিনি রক্ষা করেন তিনিই "দুর্গা"।।
আবার শ্রী শ্রী চন্ডীতে দেবী বলেছেন-
"তত্রৈব চ বধিষ্যামি দুর্গমাখ্যং মহাসুরম্।
দুর্গাদেবীতি বিখ্যাতং তন্মে নাম ভবিষ্যতি ।।"
অর্থাৎ - দুর্গম নামক মহাসুরকে বিনাশ করে আমি দুর্গা নামে প্রসিদ্ধা হব।
শ্রী শ্রী চন্ডীতে একাদশ অধ্যায়ে দেবী অভয়বাণী দিয়েছেন -
"ইত্থং যদা যদা বাধা দানবোত্থা ভবিষ্যতি।।
তদা তদাবতীর্যাহং করিষ্যাম্যরিসংক্ষয়ম্।।"
দুর্গতিহারিণী দুর্গা বিশ্বের সমস্ত দুর্গতি হরণ করুন।
ছবিতে ১৪২৪ সনের আমাদের বাড়ির শ্রী শ্রী দুর্গা।।
0 notes
আজ কালিবিলাস তন্ত্রের অন্তর্গত একবিংশতি পটলের দ্বিতীয় এবং অন্তিম পর্ব দিচ্ছি |
আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি সঠিক বঙ্গানুবাদ করার, তাও যদি কোনো ভুলভ্রান্তি থেকে যায়, আশাকরছি আপনারা ক্ষমাসূলভ দৃষ্টিতে তা দেখবেন | যার সাহায্য না পেলে এই কাজ পূর্ণতা পেতো না, যিনি সত্যি তার মূল্যবান সময় দিয়েছেন এই অনুবাদের পেছনে তিনি হলেন ভ্রাতৃপ্রতিম অমৃতেন্দু বিশ্বাস মহাশয় | তাকে আমার অন্তরের কৃতজ্ঞতা ও অভিবাদন জানাই |
অঘোর উবাচঃ
অধুনা শৃণু দেবেশি সাবধানাবধারয় |
শব্দস্য পাততো ঘন্টা গন্ধাধৌঃ পরিপূজিতা || ১২ ||
তদধঃ সংস্থিতং নিত্যং অঙ্কুশং উন্মনীময়ম |
তদধঃ সংস্থিতং পাশং সিদ্ধিসূত্র পরিচ্ছদম || ১৩ ||
চাপঞ্চ তদধো দেবী তদধঃ খেটকং পরম |
ইতি তে কথিতং সর্ব্বং জম্বুভারতসম্মতম || ১৪ ||
বিপরীতং যতশ্চাগ্রং অন্যবর্ষস্য সম্মতম |
কামবীজং ত্রিশূলঞ্চ খড়্গং মায়াং তথৈব চ || ১৫ ||
চক্রং কূর্চ্চং মহেশানি বাণং বাগ্ভবমীরিতম |
শক্ত্যস্ত্রঞ্চ শ্রিয়াবীজং বামহস্তেবদামিতে || ১৬ ||
খেটকং মান্মথং বীজং চাপমঙ্কুশমীরিতম |
অঙ্কুশঞ্চ তথাপাশং কন্দর্পরাজমীরিতমু || ১৭ ||
যাঘন্টা চঞ্চলা লাঙ্গি সিদ্ধিসূত্রস্বরূপিণী |
নিত্যাশ্রীকমলাবীজরূপিণী সিদ্ধিদায়িনী || ১৮ ||
পরশুঞ্চ তথা দেবী মাকরধ্বজমীরিতম |
বিপরীতমতং দেবী ভক্ত্যাতে পরিকীর্তিতম || ১৯ ||
অথান্যত্সংপ্রবক্ষ্যামিগিরিশে নগনন্দিনী |
বামবাহোরুর্দ্ধ দেশে ত্রিশূলং ত্রিগুণাত্মকম || ২০ ||
তদধশ্চ তথা খড়্গং চক্রঞ্চ তদধঃ ক্রমাৎ |
তদধস্তীক্ষ্ণবাণঞ্চ শক্তিঞ্চ তদধঃ ক্রমাৎ || ২১ ||
দক্ষবাহোরুর্দ্ধ ভাগে খেটকং দীপ্যতে প্রিয়ে |
তদধঃ পূর্ণ চাপঞ্চ তদধঃ পাশমঙ্কুশম || ২২ ||
তদধশ্চ তথা ঘন্টাং পরশুং পরমাদ্ভুতম্ |
বিপরীতমিদং প্রোক্তং ভক্ত্যাতে নগনন্দিনী || ২৩ ||
অতঃপরং প্রবক্ষ্যালি বিপরীতং যথোচিতম |
যস্য বিজ্ঞানমাত্রেণ শিবতুল্যো ভবেন্নরঃ || ২৪ ||
বামবাহোরুর্দ্ধ ভাগে শক্তিং পরমশোভনাম |
তদধস্তীক্ষ্ণবাণঞ্চ তদধশ্চক্রমেব চ || ২৫ ||
সুচারুদশনাং নিত্যং পীনোন্নতপয়োধরাম্।
ত্রিভঙ্গস্থানসংস্থানাং মহিসাসুর মর্দ্দিনীম্ || ২৬||
মৃণালায়াতসংস্পর্শং দশবাহুসমন্বিতাম্।
ত্রিশুলং দক্ষিণেধ্যেয়ং খড়্গংচক্রমধঃক্রমাত || ২৭ ||
তীক্ষ্ণবাণংতথাশক্তিং বাহুজঙ্ঘেশুবিভ্রতীম ।
খেটকং পূর্ণচাপঞ্চ পাশমঙ্কুশমূর্দ্ধতাম || ২৮ ||
ঘণ্টাং বাপরশুং বাপিবামতঃ সন্নিবেশয়েৎ।
রক্তচন্দনসিক্তাঙ্গিং রক্তমাল্যপরিচ্ছদাম || ২৯ ||
সিংহস্থাং পরমেশানীং ব্রহ্মাবিষ্ণুশিবার্চ্চিতাম |
প্রেতস্থাঞ্চ মহামায়াং রক্তপদ্মাসন স্থিতাং || ৩০ ||
সিংহস্থাঞ্চ তথা দুর্গাং ধ্যায়েৎ পরমমোক্ষদাম |
শিবঃ প্রেতোমহাদেবী ব্রহ্মালোহিতপঙ্কজ || ৩১ ||
বিষ্ণুঃ সিংহ ইতিখ্যাতঃ বাহনানিমহৌজসঃ |
স্বমূর্ত্যাবাহনং নৈব তেষাং দেবী প্রযুজ্যতে || ৩২ ||
তত্ত্বন্মূর্ত্যন্তরং কৃত্বাবাহনত্বং গতাস্ত্রয়ঃ |
শিবপ্রেতে কদাচিৎসাকদাচিদ্রক্তপঙ্কজে || ৩৩ ||
কদাচিৎ কেশরিপৃষ্ঠে বসতে পরমেশ্বরী |
কামকালে শিবপ্রেতে বসতেসিংহবাহিনী || ৩৪ ||
অস্যামহিষমর্দ্দিন্যাঃ প্রিয়ং সখীগণং শৃণু || ৩৫ ||
অর্থাৎ- হে দেবেশি ! এবার সাবধানে শোনো এবং তা ধারণ করো, দেবীর ধ্যানাদি ক্রিয়া করে ঘন্টা ও গন্ধাদি দ্বারা পূজা করবে | দেবীর করে অঙ্কুশ নিত্য শোভিত তারই সঙ্গে পাশ যা সিদ্ধি সিদ্ধিসূত্র রূপে সুস্থিত | তারই সঙ্গে পূর্ণচাপ (ধনুক ) ও ঢাল শোভা পাচ্ছে যা ভারতের উপমহাদ্বীপের সর্বত্রই কথিত | এর অন্যমতে দেবীর কামবীজরূপী ত্রিশুল ও মায়াবীজরুপি খড়্গ শোভনীয় | চক্র ও তীর ধারনের দ্বারা শোভিত মহাদেবী আবার শ্রীবীজরূপী শক্তিদণ্ড বাম হস্তে ধরে থাকেন | ঢাল, ধনুক, অঙ্কুশ তথা পাশ বিরাজিত দেবীর করপল্লবে তা অপরাজিতর প্রতীক | ঘন্টা চঞ্চলতাকে একগ্রা করে যা শ্রীকমলা বীজ স্বরূপ ও শ্রী সিদ্ধিদায়িনী | দেবীর ধ্বজা পতাকায় পরশু ও মকরের চিহ্ন বিদ্যমান | বিপরীত মতে দেবী ভক্ত পরিবৃত হয়ে থাকেন | একমাত্র শিবতুল্য জ্ঞানীই দেবীর এই রূপকে প্রকাশ করতে পারেন |
অথবা বামদিকের উপরের হাতে ত্রিশূল( সত্বঃ, রজঃ ও তমঃ ত্রিগুণাত্মক ), তারপর ক্রমে খড়্গ, চক্র,তীক্ষ্ণবাণ ও শক্তিনামক অস্ত্র ধারণ করাবে ও ডানদিকের ওপরের দিকে থেকে ঢাল, ধনুক, পাশ ও অঙ্কুশ (একইহাতে ), ঘন্টা তথা কুঠার অস্ত্র ধারণ করাবে|
অথবা বামদিকের উপরের হাতে শক্তিনামক অস্ত্র, তারপর তীক্ষ্ণবাণ, তারপর চক্র এই ক্রমে অস্ত্র ধারণ করাবে | (অথবা) দেবীর দন্তপংক্তি খুবসুন্দর তথা তার স্তনভাগ পিন তথা সুউচ্চ | দেবী তিনটি ভাঁজে দাঁড়িয়ে মহিষাসুরকে বধ করেছেন, শাখাপ্রশাখা সম্মনিত পদ্মগাছের মতো তার ১০বাহুতে তিনি ডানদিকের থেকে ক্রমশঃ বাঁদিকে ত্রিশূল, খড়্গ, চক্র, তীক্ষ্ণবাণ, শক্তিনামক অস্ত্র, ঢাল, ধনুক, পাশযুক্ত অঙ্কুশ (একই হাতে ), ঘন্টা তথা কুঠার ধারণ করে আছেন | দেবীর তার শরীরে রক্তচন্দনের অঙ্গলেপন করার কারণে সিক্ত তথা তিনি রক্তবর্ণের মাল্য কণ্ঠে ধারণ করেছেন |
সেই সিংহরূঢ়া পরম ঈশ্বরীকে ত্রিদেব অর্থাৎ ব্রহ্মা, বিষ্ণু তথা শিব অর্চনা (পূজা) করেন | সেই ভগবতী মহামায়া প্রেত, রক্তপদ্ম তথা সিংহের উপরে উত্তম রূপে আরূঢ়া, সেই পরমমোক্ষদায়িনী ভগবতী দুর্গার ধ্যান করবে | ভগবান শিব হচ্ছেন এই প্রেত, ব্রহ্মা হচ্ছেন সেই রক্তপদ্ম তথা কেশরী মানে সিংহ হচ্ছেন সাক্ষাৎ শ্রীহরিবিষ্ণু | এই ত্রিদেব তাদের স্বমূর্তিতে নয় বরং তাদের অংশ রূপে দেবীর বাহনত্ব স্বীকার করেছেন তারা | এর আরো এক প্রকার অর্থ হতে পারে, তিনি সকলের আত্মা ও রক্ত সিংহাসনে বিরাজমান | সিংহ আসীন মহাদেবীকে ধ্যান কর�� যিনি শিবের ব্রহ্মাশক্তি রূপ হৃদয় পদ্মে তিনি মহাদেবীরূপে বিরাজমান | বিষ্ণুশক্তি স্বরূপ বাহন দেবীর তাই দেবী পুজো বাহন পুজো ছাড়া অসম্পূর্ণই ধরা হয় | বাহন মাধ্যমেই দেবী সর্বত্র গমন করেন |
এই সিংহবাহিনী দেবী কখনো কেশরিরাজের পৃষ্ঠে আসন নিয়ে থাকেন, কখনো তিনি শিবের প্রিয়তমা হয়ে মহেশ্বরের সাথে কামালাপ করেন, তো আবার কখনো তিনি সখীগণ পরিবৃষ্ট হয়ে ক্রিয়া করেন |
(সমাপ্ত)
0 notes
কীটাং ব্রহ্মাণ্ডপর্যন্তং সর্ব্বশক্তিময়ং জগৎ l
শক্তিসংপূজনাদেবী ব্রহ্মাণ্ডং পূজিতং ভবেৎ ll
পর্বতা ধাতবৌ বাপী সমুদ্রাঃ সরিতস্তথা l
ব্রহ্মাণ্ডগোলোকে যচ্চ যৎ কিঞ্চিজ্জগতীতলে ll
তৎসমস্তং শক্তিদেহে স্ফূটং তিষ্ঠতি পার্বতী l
ব্রহ্মা বিষ্ণু রুদ্রশ্চ শক্তিদেহাসমুদ্ভবাঃ ll
-শ্রীশিব বললেন - হে পার্বতী ! কীট হতে এই বিশাল ব্রহ্মাণ্ড সমূহ সর্বত্রই শক্তিময় l শক্তিব্রহ্মই সর্বব্যাপী হয়ে এই ব্রহ্মাণ্ডের সর্বত্র ব্যাপ্ত হয়ে আছেন l আদ্যাপরমাশক্তি পূজিতা হলেই সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডেরই পুজো হয়ে থাকে অর্থাৎ শক্তির পূজা করলে সমস্ত দেবতার পূজা হইয়া থাকে l
পর্বত, সমুদ্র, নদী, নদ সহ যে অনন্ত প্রকৃতি দেখছো এই ব্রহ্মাণ্ডগোলোকে অবস্থিত আছে সেই সমস্ত প্রকৃতিরই স্ফূরণ বা উৎপত্তি ঘটেছে শক্তির দেহ হতেই l এমনকি ব্রহ্মা বিষ্ণু এবং রূদ্রও আদ্যাশক্তিরদেহসম্ভূত l
(কালীকল্প-তৃতীয় পটল)
1 note
·
View note
কীলকস্তোত্রম্ ..
ওঁ নমশ্চণ্ডিকায়ৈ
মার্কণ্ডেয় উবাচ .
ওঁ বিশুদ্ধজ্ঞানদেহায় ত্রিবেদীদিব্যচক্ষুষে .
শ্রেয়ঃপ্রাপ্তিনিমিত্তায় নমঃ সোমার্ধধারিণে .. ১..
সর্বমেতদ্বিজানীয়ান্মন্ত্রাণামপি কীলকম্ .
সোঽপি ক্ষেমমবাপ্নোতি সততং জপ্যতৎপরঃ .. ২..
সিদ্ধ্যন্ত্যুচ্চাটনাদীনি কর্মাণি সকলান্যপি .
এতেন স্তুবতাং দেবীং স্তোত্রবৃন্দেন ভক্তিতঃ .. ৩..
ন মন্ত্রো নৌষধং তস্য ন কিঞ্চিদপি বিদ্যতে .
বিনা জপ্যেন সিদ্ধ্যেত্তু সর্বমুচ্চাটনাদিকম্ .. ৪..
সমগ্রাণ্যপি সেৎস্যন্তি লোকশঙ্কামিমাং হরঃ .
কৃৎবা নিমন্ত্রয়ামাস সর্বমেবমিদং শুভম্ .. ৫..
স্তোত্রং বৈ চণ্ডিকায়াস্তু তচ্চ গুহ্যং চকার সঃ .
সমাপ্নোতি স পুণ্যেন তাং যথাবন্নিমন্ত্রণাম্ .. ৬..
সোঽপি ক্ষেমমবাপ্নোতি সর্বমেব ন সংশয়ঃ .
কৃষ্ণায়াং বা চতুর্দশ্যামষ্টম্যাং বা সমাহিতঃ .. ৭..
দদাতি প্রতিগৃহ্ণাতি নান্যথৈষা প্রসীদতি .
ইত্থং রূপেণ কীলেন মহাদেবেন কীলিতম্ .. ৮..
যো নিষ্কীলাং বিধায়ৈনাং চণ্ডীং জপতি নিত্যশঃ .
স সিদ্ধঃ স গণঃ সোঽথ গন্ধর্বো জায়তে ধ্রুবম্ .. ৯..
ন চৈবাপাটবং তস্য ভয়ং ক্বাপি ন জায়তে .
নাপমৃত্যুবশং যাতি মৃতে চ মোক্ষমাপ্নুয়াৎ .. ১০..
জ্ঞাৎবা প্রারভ্য কুর্বীত হ্যকুর্বাণো বিনশ্যতি .
ততো জ্ঞাৎবৈব সম্পূর্ণমিদং প্রারভ্যতে বুধৈঃ .. ১১..
সৌভাগ্যাদি চ যৎকিঞ্চিদ্ দৃশ্যতে ললনাজনে .
তৎসর্বং তৎপ্রসাদেন তেন জপ্যমিদম্ শুভম্ .. ১২..
শনৈস্তু জপ্যমানেঽস্মিন্ স্তোত্রে সম্পত্তিরুচ্চকৈঃ .
ভবত্যেব সমগ্রাপি ততঃ প্রারভ্যমেব তৎ .. ১৩..
ঐশ্বর্যং তৎপ্রসাদেন সৌভাগ্যারোগ্যমেব চ .
শত্রুহানিঃ পরো মোক্ষঃ স্তূয়তে সা ন কিং জনৈঃ .. ১৪..
চণ্ডিকাং হৃদয়েনাপি যঃ স্মরেৎ সততং নরঃ .
হৃদ্যং কামমবাপ্নোতি হৃদি দেবী সদা বসেৎ .. ১৫..
অগ্রতোঽমুং মহাদেবকৃতং কীলকবারণম্ .
নিষ্কীলঞ্চ তথা কৃৎবা পঠিতব্যং সমাহিতৈঃ .. ১৬..
.
. ইতি শ্রীভগবত্যাঃ কীলকস্তোত্রং সমাপ্তম্ ..
Artist soumyajit banajee
Srijon a subrata banarjee
0 notes