Tumgik
Text
এমএনএ ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : অপেক্ষাকৃত দামি হলেও স্বাদ এবং পুষ্টি গুণের কারণে সামুদ্রিক মাছ টুনা বিশ্ব ব্যাপী জনপ্রিয়। জাপানেও এই মাছের যথেষ্ট কদর রয়েছে। সম্প্রতি জাপানের বিখ্যাত মাছের বাজার সুকিজিতে বিরল প্রজাতির একটি টুনা মাছ নিলামে বিক্রি হয়েছে ৩১ লাখ মার্কিন ডলারে। বাংলাদেশী টাকায় হিসাব করলে এর মূল্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা।
রেকর্ড পরিমাণ প্রায় ২৬ কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থাৎ ৩ দশমিক এক মিলিয়ন ডলার দিয়ে এই টুনা মাছটি কিনেছেন জাপানের এক সুসি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান। টোকিওর মাছবাজার থেকে এমন চড়া দামে ২৭৮ কেজি ওজনের এই মাছটি কিনে সারা দুনিয়ার গণমাধ্যমের নজর কেড়েছেন বিখ্যাত রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী ‌‘টুনা কিং’ খ্যাত কিয়োসি কিমুরা। আকাশচুম্বী দামে বিক্রি হওয়া মাছটি বিরল ‌‘ব্লুফিন টুনা’ প্রজাতির বলে জানা গেছে।
অবশ্য সুকিজি বাজারে কয়েক বছর ধরেই কিমুরাই সবচেয়ে বেশি নিলাম ডাককারী হিসাবে পরিচিত। এর আগে ২০১৩ সালে তিনি ১৪ লাখ ডলার বা প্রায় ১২ কোটি টাকা দিয়ে একটি মাছ কিনে রেকর্ড করেছিলেন। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া, আল জাজিরা
জাপানের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, সম্প্রতি ২৭৮ কিলোগ্রাম ওজনের দৈত্যাকার নীল পাখনাওয়ালা একটা টুনা মাছ ধরা পড়ে জাপানের উত্তর উপকূলে মৎসজীবীদের জালে । মাছটি ছিল বিরল প্রজাতির ব্লু ফিন গোত্রের। এটি ধরা পড়ার পর পরই সুকিজি বাজারে আলোড়ন পড়ে যায়।
এত বড় মাছ সাধারণত নিলাম করেই বিক্রির রীতি প্রচলিত রয়েছে ওই এলাকায়। আলোচিত মাছটিও তাই নিলামে তোলা হয়। অনেক ব্যবসায়ীই মাছটির দাম হাঁকতে শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত মাছটি বিক্রি হয় ৩১ লাখ ডলারে। ওই এলাকার বিখ্যাত টুনা কিং নামে এক রেস্টুরেন্ট চেইনের মালিক কিওশি কিমুরা ওই মাছটি কেনেন।
টোকিওর সুকিজিতেই একটি রেস্তোরাঁ চালান ব্যবসায়ী কিয়োশি কিমুরা। নিলামের পর বললেন,‘‘ এটাই সেরা টুনা। তবে আমি যে দামটা ভেবেছিলাম, তার থেকে এর দাম অনেক বেশি। যাই হোক আমাদের রেস্তোরাঁ কাস্টমাররা খুব ভাল একটা টুনা মাছ খেতে পারবেন।’’
এবার নতুন বছর উপলক্ষে টুনা মাছটির নিলাম হয়। সেখানে মাছটি কিনে নেওয়ার পর কিমুরা সাংবাদিকদের বলেন, আমি আসলে একটি ভালো টুনা কিনেছি।‌‌ নতুন বছরের শুরুতে টোকিওর মাছ বাজারে প্রতিবারই নিলাম হয়ে থাকে।
কিমুরা বলেন, ‘মাছটি দেখতে বেশ তাজা আর সুস্বাদু দেখাচ্ছিল। যদিও দামটা তুলনামুলকভাবে বেশি। তবে আমি আশা করছি ক্রেতারা মাছটি পছন্দ করবেন।’
গত আট বছরে সাতবারই সর্বোচ্চ দাম হাঁকিয়ে রেকর্ড গড়েছেন কিমুরা।
নববর্ষের নিলামের গরমেই এবারের টুনার এমন দাম উঠেছে বলে স্থানীয়রা বলছেন। তা ছাড়া কিমুরা‌র টুনা কিং ব্যবসার একচেটিয়া রাজত্বের নামডাক ধরে রাখতে তিনি এমন দামে এই টুনা মাছটি কিনেছেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে বলা হয়েছে। সাধারণ সময়ে এই ওজনের টুনা ৫০ লাখ ২৬ হাজার টাকার মতো দাম উঠত বলে জানা গেছে।
তবে বিরল প্রজাতির হওয়ার বিষয়টিও এবারের অস্বাভাবিক দামে নিয়ামক হয়েছে। বিশ্ব বন্যপ্রাণী তহবিলের (ডব্লিউডব্লিউএফ) তালিকায় ব্লুফিন টুনাকে বিলুপ্তপ্রায় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
জাপানের প্রিয় খাদ্য সুশির অন্যতম উপকরণ কালো টুনা যাকে জাপানিরা কালো হিরে বলে থাকেন। মাছের তলপেটের চর্বি দিয়ে তৈরি হয় সুস্বাদু খাবার। সেজন্য কালো টুনার চাহিদা জাপানে সব সময়ই তুঙ্গে থাকে। ’
সুকিজি বিশ্বের নামকরা মাছের বাজারগুলির একটি। ব্যস্ত এই মাছের বাজারকে ঘিরে রয়েছে একাধিক রেস্তোরাঁ। এলাকায় ঢুঁ মারলেই কানে আসবে মাছের দর কষাকষির আওয়াজ। সুকিজি এখন পর্যটকদেরও ঘুরতে যাওয়ার জায়গা হয়ে গিয়েছে।
১৯৩৫ সাল থেকেই এই সুকিজিতে মাছের বাজারে টুনা মাছ নিলামে ওঠে। এক্কেবারে নামী সুসি রেস্তোরাঁর শেফ থেকে একদম ছাপোষা মৎস্য ব্যবসায়ী সকলেই মাছ বিকিকিনি করেন এখানে। বিশেষ করে বছরের শুরুতে নিলাম হয় দেখার মতো। দেশ-বিদেশ থেকে বহু মানুষ জড়ো হন টুনা মাছ কিনতে।
একটি টুনা মাছের দাম ২৬ কোটি টাকা! এমএনএ ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক :
0 notes
Text
একটি টুনা মাছের দাম ২৬ কোটি টাকা!
একটি টুনা মাছের দাম ২৬ কোটি টাকা!
এমএনএ ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক :অপেক্ষাকৃত দামি হলেও স্বাদ এবং পুষ্টি গুণের কারণে সামুদ্রিক মাছ টুনা বিশ্ব ব্যাপী জনপ্রিয়। জাপানেও এই মাছের যথেষ্ট কদর রয়েছে। সম্প্রতি জাপানের বিখ্যাত মাছের বাজার সুকিজিতে বিরল প্রজাতির একটি টুনা মাছ নিলামে বিক্রি হয়েছে ৩১ লাখ মার্কিন ডলারে। বাংলাদেশী টাকায় হিসাব করলে এর মূল্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা। রেকর্ড পরিমাণ প্রায় ২৬ কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থাৎ ৩ দশমিক এক মিলিয়ন ডলার…
View On WordPress
0 notes
Text
বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্টের আকস্মিক পদত্যাগ
বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্টের আকস্মিক পদত্যাগ
এমএনএ ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক :মেয়াদ শেষ হওয়ার সাড়ে তিন বছর আগেই আকস্মিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। তার এ ঘোষণায় আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থাগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। খবর দ্যা গার্ডিয়ানের কিন্তু উন্নয়নে অর্থায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে মতবিরোধের মধ্যেই গতকাল সোমবার বিশ্ব ব্যাংকের এক বিবৃতিতে জিম ইয়ং কিমের…
View On WordPress
0 notes
Text
আজ মঙ্গলবারের দিনটি আপনার কেমন যাবে?
আজ মঙ্গলবারের দিনটি আপনার কেমন যাবে?
এমএনএ ফিচার ডেস্ক :আজ ০৮ জানুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার। নতুন সূর্যালোকে আজ মঙ্গলবারের দিনটি আপনার কেমন যাবে তা জেনে নিন ১২ রাশির সুক্ষ্ম বিশ্লেষণে তৈরী এ বিশেষ প্রতিবেদন। নতুন দিন মানেই নতুন আশা, নতুন স্বপ্ন। ঘর থেকে বেরুনোর আগে একবার দেখে নেওয়া যাক আজ দিনটা আপনার কেমন যাবে। এই বিশ্বাসে আমরা বিশ্বাসী নই। তবুও, রাশিফল দেখি আমরা শুধুমাত্র একটু সাবধানতা অবলম্বনের জন্য। সাফল্য লাভের জন্য শুধু কর্মই যথেষ্ট…
View On WordPress
0 notes
Text
এমএনএ ডেস্ক রিপোর্ট : স্বাধীন বাংলাদেশে ইতিহাস সৃষ্টি করে অনন্য উচ্চতায় আসীন হলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচনে জয়ী হয়ে পরপর তিনবার এবং সব মিলিয়ে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হলেন তিনি। নিজের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও সাহসী কর্মকাণ্ড দিয়ে আরো আগেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন শেখ হাসিনা।
চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে রেকর্ড গড়েছেন শেখ হাসিনা। আজ সোমবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে শপথ বাক্য পাঠ করান। এ নিয়ে টানা তৃতীয় এবং সবমিলিয়ে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের জন্য ধারাবাহিক অগ্রগতি আর সম্মানের পথটি দিন দিন প্রশস্ত করে চলেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে দেশ ও মানুষের উন্নয়নের কাজে নিজেকে পুরোপুরি সঁপে দিয়েছেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কর্মজীবন প্রায় চার দশকের।
১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে ওই বছরের ২৩ জুন প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শেখ হাসিনা। ২০০১ সালে মেয়াদ শেষে শান্তিপূর্ণভাবে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরাজিত হয় বিএনপির কাছে।
পরে ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার ক্ষমতা হস্তান্তরে জটিলতা সৃষ্টি করলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। প্রায় ২ বছর ক্ষমতায় থাকার পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করে। এতে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শেখ হাসিনা।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট আবারও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। এ নির্বাচনের পর ওই বছরের ১২ জানুয়ারি টানা দ্বিতীয় ও মোট তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শেখ হাসিনা।
সর্বশেষ গত ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের বিপুল বিজয়ের আজ সোমবার চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনার আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তার জন্যই এবারের নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালের প্রথম নির্বাচনের পর নৌকা মার্কার এটাই সবচেয়ে বড় জয়। বেসরকারি তথ্য অনুসারে, ফলাফল ঘোষণা হওয়া ২৯৮ আসনের মধ্যে ২৫৯টি আসনে এককভাবে জয়লাভ করেছে আওয়ামী লীগ। আর মহাজোটের অন্য শরিকদের আসনসহ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মোট জয় পাওয়া আসন ২৮৮টি।
২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে তার দল আওয়ামী লীগ পরাজিত হয়। শেখ হাসিনা বিরোধীদলের নেতা নির্বাচিত হন।
২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার ক্ষমতা হস্তান্তরে জটিলতা সৃষ্টি করলে সামরিক বাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। প্রায় দুই বছর ক্ষমতায় থাকার পর ঐ সরকার ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করে। নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে।
১৯৮৬ সালে অনুষ্ঠিত স��ধারণ নির্বাচনে শেখ হাসিনা ৩টি সংসদীয় আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এই নির্বাচনের পরেই দেশ থেকে সামরিক আইন প্রত্যাহার করে সাংবিধানিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। শেখ হাসিনা নব্বইয়ের ঐতিহাসিক গণআন্দোলনের নেতৃত্ব প্রদান করেন এবং আন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ সরকার পদত্যাগে বাধ্য হয়।
১৯৯১ সালের সংসদীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনা পঞ্চম জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা নির্বাচিত হন। তিনি রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তন করে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের জন্য রাজনৈতিক দলসহ সকলকে সংগঠিত করেন। ১৯৯৬ সালে বিএনপি’র ভোটারবিহীন নির্বাচনের বিরুদ্ধে তিনি গণআন্দোলন গড়ে তোলেন। এই আন্দোলনের মুখে ৩০ মার্চ তৎকালীন খালেদা জিয়ার সরকার পদত্যাগে বাধ্য হয়।
মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় শেখ হাসিনা সবসময়ই আপোষহীন। ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনায় দায়িত্ব নিয়ে তার সরকার ১৯৭১ সালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল স্থাপনের জন্য আইন প্রণয়ন করে। এই আইনের আওতায় স্থাপিত ট্রাইবুনাল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছে এবং রায় কার্যকর করা হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ৫ সন্তানের মধ্যে জ্যেষ্ঠ শেখ হাসিনা। গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সরকারি ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজের ছাত্রসংসদের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি এই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরের বছর সভাপতি ছিলেন।
শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একজন সদস্য এবং ছাত্রলীগের রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই শেখ হাসিনা সকল গণআন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা সে সময় পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় বেঁচে যান। পরবর্তীকালে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ে ৬ বছর ভারতে অবস্থান করেন।
১৯৮০ সালে ইংল্যান্ডে থেকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন শুরু করেন শেখ হাসিনা। ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ছয় বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন তিনি।
১৯৮১ সালে দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে লিপ্ত হওয়ার পরপরই শেখ হাসিনা শাসকগোষ্ঠির রোষানলে পড়েন। তাকে বারবার কারাগারে রাখা হয়। শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য কমপক্ষে ১৯ বার সশস্ত্র হামলা করা হয়। ১৯৮৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সামরিক সরকার তাকে আটক করে ১৫ দিন কারাগারে রাখে। ১৯৮৪ সালের ফেব্রুয়ারি এবং নভেম্বর মাসে তাকে দু’বার গৃহবন্দি করা হয়। ১৯৮৫ সালের ২ মার্চ তাকে আটক করে প্রায় ৩ মাস গৃহবন্দি করে রাখা হয়। ১৯৮৬ সালের ১৫ অক্টোবর থেকে তিনি ১৫ দিন গৃহবন্দি ছিলেন। ১৯৮৭ সালের ১১ নভেম্বর তাকে গ্রেপ্তার করে এক মাস কারাগারে রাখা হয়। ১৯৮৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা গ্রেপ্তার হয়ে গৃহবন্দি হন। ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধু ভবনে গৃহবন্দি করে রাখা হয়।
২০০৭ সালের ১৬ জুলাই সামরিক বাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করে সংসদ ভবন চত্বরে সাব জেলে পাঠায়। প্রায় ১ বছর পর ২০০৮ সালের ১১ জুন তিনি মুক্তিলাভ করেন।
শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে উল্লেখযোগ্য হামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালনকালে তাকে লক্ষ্য করে পুলিশের গুলিবর্ষণ। এতে যুবলীগ নেতা নূর হোসেন, বাবুল ও ফাত্তাহ নিহত হন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তাকেসহ তার গাড়ি ক্রেন দিয়ে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিংয়ের সামনে শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে এরশাদ সরকারের পুলিশ বাহিনী লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনায় শেখ হাসিনা অক্ষত থাকলেও ৩০ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী শহীদ হন। লালদীঘি ময়দানে ভাষণদানকালে তাকে লক্ষ্য করে দুইবার গুলি করা হয়। জনসভা শেষে ফেরার পথে আবারও তার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করা হয়।
This slideshow requires JavaScript.
১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠনের পর শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য বারবার হামলা করা হয়। ১৯৯১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচন চলাকালে তাকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়। ১৯৯৪ সালে ঈশ্বরদী রেল স্টেশনে তার কামরা লক্ষ্য করে অবিরাম গুলিবর্ষণ করা হয়। ২০০০ সালে কোটালীপাড়ায় হেলিপ্যাডে এবং শেখ হাসিনার জনসভাস্থলে ৭৬ কেজি ও ৮৪ কেজি ওজনের দু’টি বোমা পুতে রাখা হয়। শেখ হাসিনা পৌঁছার পূর্বেই বোমাগুলো শনাক্ত হওয়ায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। বিএনপি সরকারের সময় সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা হয় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। ঐদিন বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে এক জনসভায় বক্তব্য শেষ করার পরপরই তাকে লক্ষ্য করে এক ডজনেরও বেশি আর্জেস গ্রেনেড ছোড়া হয়। লোমহর্ষক সেই হামলায় শেখ হাসিনা প্রাণে রক্ষা পেলেও আইভি রহমানসহ তার দলের ২২ নেতাকর্মী নিহত হন এবং পাঁচশ’র বেশি মানুষ আহত হন। শেখ হাসিনা নিজেও কানে আঘাত পান।
শত বাধা-বিপত্তি এবং হত্যার হুমকিসহ নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা ভাত-ভোট এবং সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ের জন্য অবিচল থেকে সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ অর্জন করেছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা। বাংলাদেশ পেয়েছে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা। শেখ হাসিনার অপরিসীম আত্মত্যাগের ফলেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।  শেখ হাসিনার শাসনামলে আর্থ-সামাজিক খাতে দেশ অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করে।
বিভিন্ন জরিপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধির তথ্য উঠে আসছে বেশ কিছুদিন ধরেই। বিশেষ করে ২০১৩-১৪ সালে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি কঠোরভাবে দমন করে দেশকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাওয়ায় প্রতি বছরই বেড়েছে তার জনপ্রিয়তা।
শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এখন শুধু গল্প নয়, বাস্তবতা। একাত্তরে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আর ৭০ শতাংশ দারিদ্র্যের বোঝা নিয়ে পথ চলা শুরু করে বাংলাদেশ। এমন দৈন্য ঘুচিয়ে এখন প্রবৃদ্ধির চাকা ঘুরছে ৭ শতাংশের ওপর। আর দারিদ্র্যের হার কমে ২১ দশমিক ৮ শতাংশে নেমেছে। বাজেটের আকার ৪ লাখ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। রিজার্ভ রয়েছে প্রায় ৩৩ বিলিয়ন ডলার, প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। মাথাপিছু আয় ১৭৫১ মার্কিন ডলার। অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বাংলাদেশ প্রায় সব সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন এগিয়ে যাওয়া উন্নত দেশের দিকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ পরিকল্পনায় বাংলাদেশ ইতিমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। পরিকল্পনা আর দক্ষ নেতৃত্ব বিশ্বের বুকে মাথা বাংলাদেশ উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশকে এখন আর কেউ অবহেলা করতে পারে না। বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ এখন উন্নয়ন আর অগ্রগতির সফল রোল মডেল।
শান্তি প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য বিশ্বের বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন ডিগ্রি এবং পুরস্কার প্রদান করে। যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ইউনিভার্সিটি, ব্রিজপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়, জাপানের ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয়, স্কটল্যান্ডের অ্যাবারটে বিশ্ববিদ্যালয়, ভারতের বিশ্বভারতী এবং ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়, অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ব্রাসেলসের বিশ্ববিখ্যাত ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়, রাশিয়ার পিপলস ফ্রেন্ডশিপ বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্টেট ইউনিভার্সিটি অব পিটার্সবার্গ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে।
এছাড়া ফ্রান্সের ডাওফি বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডিপ্লোমা প্রদান করে। সামাজিক কর্মকাণ্ড, শান্তি ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য শেখ হাসিনাকে বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা সম্মানিত করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সুদীর্ঘ ২৫ বছরের গৃহযুদ্ধ অবসানের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯৮ সালে ইউনেস্কো তাকে ‘হুপে-বোয়ানি’ শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করে।
রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতা ও দূরদর্শিতার জন্য যুক্তরাস্ট্রের রানডলপ ম্যাকন উইমেন্স কলেজ ২০০০ সালের ৯ এপ্রিল মর্যাদাসূচক “Pearl S. Buck ’৯৯’’ পুরস্কারে ভূষিত করে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ক্ষুধার বিরুদ্ধে আন্দোলনের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শেখ হাসিনাকে সম্মানজনক ‘সেরেস’ মেডেল প্রদান করে।
সর্বভারতীয় শান্তিসংঘ শেখ হাসিনাকে ১৯৯৮ সালে ‘মাদার টেরেসা’ পদক প্রদান করে। ১৯৯৮ সালে আন্তর্জাতিক রোটারি ফাউন্ডেশন তাকে পল হেরিস (Paul Haris) ফেলোশিপ প্রদান করে। পশ্চিমবঙ্গ সর্বভারতীয় কংগ্রেস ১৯৯৭ সালে তাকে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু স্মৃতি পদক প্রদান করে। আন্তর্জাতিক লায়ন্স ক্লাব কর্তৃক ১৯৯৬-১৯৯৭ সালে তিনি ‘‘Medal of Distinction” পদক ও ১৯৯৬-১৯৯৭ সালে “Head of State” পদক লাভ করেন।
২০০৯ সালে ভারতের ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল ট্রাস্ট শান্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অসামান্য ভূমিকা পালনের জন্য শেখ হাসিনাকে ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কারে ভূষিত করে। এছাড়া তিনি বৃটেনের গ্লোবাল ডাইভ���রসিটি পুরস্কার এবং দুইবার সাউথ সাউথ পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০১৪ সালে ইউনেস্কো তাকে ‘শান্তিরবৃক্ষ’ এবং ২০১৫ সালে উইমেন ইন পার্লামেন্টস গ্লোবাল ফোরাম নারীর ক্ষমতায়নের জন্য তাকে রিজিওনাল লিডারশিপ পুরস্কার এবং গ্লোবাল সাউথ-সাউথ ডেভলপমেন্ট এক্সপো-২০১৪ ভিশনারি পুরস্কারে ভূষিত করে।
বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নে অব্যাহত সমর্থন, খাদ্য উৎপাদনে সয়ম্ভরতা অর্জন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে অবদানের জন্য আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৫ সালে তাকে সম্মাননা সনদ প্রদান করে। জাতিসংঘ পরিবেশ উন্নয়ন কর্মসূচি দেশে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিবেশ এবং টেকসই উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য লিডারশিপ ক্যাটাগরিতে শেখ হাসিনাকে তাদের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ-২০১৫’ পুরস্কারে ভূষিত করেছে। এছাড়া, টেকসই ডিজিটাল কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য International Telecommunication Union (ITU) শেখ হাসিনাকে ICTs in Sustainable Development Award-2015 প্রদান করে।
শেখ হাসিনা বেশ কয়েকটি গ্রন্থের রচিয়তা। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, শেখ মুজিব আমার পিতা, ওরা টোকাই কেন?, বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম, দারিদ্র্য বিমোচন, কিছু ভাবনা, আমার স্বপ্ন, আমার সংগ্রাম, আমরা জনগণের কথা বলতে এসেছি, সামরিকতন্ত্র বনাম গণতন্ত্র, সাদা কালো, সবুজ মাঠ পেরিয়ে ও  Miles to Go, The Quest for Vision-2021 (two volumes)।।
শেখ হাসিনা ‘জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’ এর সভাপতি। প্রযুক্তি, রান্না, সঙ্গীত এবং বই পড়ার প্রতি তার বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। তার স্বামী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম ওয়াজেদ মিয়া ২০০৯ সালের ৯ মে ইন্তেকাল করেন। শেখ হাসিনার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ একজন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। তার একমাত্র কন্যা সায়মা হোসেন ওয়াজেদ একজন মনোবিজ্ঞানী এবং তিনি অটিস্টিক শিশুদের কল্যাণে কাজ করেন। শেখ হাসিনার নাতি-নাতনির সংখ্যা ৭ জন। তথ্যসূত্র: প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ওয়েবসাইট।
এক নজরে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমএনএ ডেস্ক রিপোর্ট :
0 notes
Text
এমএনএ রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণ করলেন নবগঠিত মন্ত্রিপরিষদের ৪৭ সদস্য। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান। আজ সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটায় এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এই শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে টানা তিনবারসহ চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হলেন।
আর আনুষ্ঠানিকভাবে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠিত হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে।
এর আগে গতকাল রবিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের তালিকা প্রকাশ করেন। এই তালিকা অনুযায়ী আজ বিকেলে প্রত্যেক মন্ত্রীর বাড়িতে পরিবহন পুল থেকে গাড়ি যায়। ওই গাড়িতে চড়ে মন্ত্রীরা বঙ্গভবনে যান শপথ নিতে।
এরপর ক্রমান্বয়ে শপথ গ্রহন করেন ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী ও ৩ জন উপমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মন্ত্রিপরিষদের এই ৪৭ সদস্যকে শপথ বাক্য পাঠ করান।
নবনিযুক্ত ২৪ মন্ত্রী ও তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আ ক ম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ওবায়দুল কাদের, কৃষি মন্ত্রণালয় মো. আব্দুর রাজ্জাক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসাদুজ্জামান খান, তথ্য মন্ত্রণালয় ড. হাছান মাহমুদ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আনিসুল হক, অর্থ মন্ত্রণালয় আ হ ম মুস্তফা কামাল, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ডা. দীপু মনি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ কে আব্দুল মোমেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এম এ মান্নান, শিল্প মন্ত্রণালয় নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় গোলাম দস্তগীর গাজী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় জাহিদ মালেক, খাদ্য মন্ত্রণালয় সাধন চন্দ্র মজুমদার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় টিপু মুনশি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় নুরুজ্জামান আহমেদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় শ ম রেজাউল করিম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় মো. শাহাব উদ্দিন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বীর বাহাদুর উ শৈ সিং, ভূমি মন্ত্রণালয় সাইফুজ্জামান চৌধুরী, রেলপথ মন্ত্রলণালয় মো. নুরুল ইসলাম সুজন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এবং ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় মোস্তাফা জব্বার।
১৯ জন প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন শিল্প মন্ত্রণালয় কামাল আহমেদ মজুমদার, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ইমরান আহমেদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় জাহিদ আহসান রাসেল, বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় নসরুল হামিদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় মো. আশরাফ আলী খান খসরু, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় মো. জাকির হোসেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মো. শাহরিয়ার আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ জুনাইদ আহমেদ পলক, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ফরহাদ হোসেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় স্বপন ভট্টাচার্য, পান��� সম্পদ মন্ত্রণালয় জাহিদ ফারুক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় মো. মুরাদ হাসান, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় শরীফ আহমেদ, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় কে এম খালিদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ডা. মো. এনামুর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় মো. মাহবুব আলী এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।
৩ জন উপমন্ত্রী হচ্ছেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বেগম হাবিবুন নাহার, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এ কে এম এনামুল হক শামীম এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় মহিবুল হাসান চৌধুরী।
শপথ গ্রহণ শেষে নবনিযুক্ত মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ স্ব স্ব শপথবাক্যে স্বাক্ষর করেন।
উল্লেখ্য, ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে ২৯৮ আসনের মধ্যে ২৫৭টিতে জয় পায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। জোটগতভাবে তারা পায় ২৮৮ আসন। অন্যদিকে তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি ও তাদের জোট ঐক্যফ্রন্ট পায় মাত্র সাতটি আসন। তবে এ সাতজনের কেউ এখনও শপথ নেননি।
নতুন মন্ত্রিপরিষদের ৪৭ সদস্য শপথ গ্রহণ এমএনএ রিপোর্ট :
0 notes
Text
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চতুর্থবার শপথ নিলেন শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চতুর্থবার শপথ নিলেন শেখ হাসিনা
এমএনএ রিপোর্ট :প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চতুর্থবারের মতো শপথ নিলেন শেখ হাসিনা। আজ সোমবার বিকেলে সাড়ে ৩টায় এ শপথ অনুষ্ঠান শুরু হয়। বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে শপথ পড়ান। এই শপথের মধ্যে দিয়েই টানা তৃতীয়বারের মত রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিল আওয়ামী লীগ। আর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা চতুর্থ মেয়াদে বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিয়ে গড়লেন ইতিহাস।…
View On WordPress
0 notes
Text
বঙ্গভবনে উপস্থিত হয়েছেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা
বঙ্গভবনে উপস্থিত হয়েছেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা
এমএনএ রিপোর্ট :কিছুক্ষণ পরই অনুষ্ঠিত হবে নতুন মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ। ইতোমধ্যে বঙ্গভবনে উপস্থিত হয়েছেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। আজ বিকেল সাড়ে ৩টায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেবেন। নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথের মধ্য দিয়ে তাদের অভিষেকের সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বঙ্গভবনে। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। রীতি অনুযায়ী,…
View On WordPress
0 notes
Text
নতুন মন্ত্রিপরিষদের শপথের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন
নতুন মন্ত্রিপরিষদের শপথের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন
এমএনএ রিপোর্ট :আজ সোমবার শপথ নেবেন নতুন মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা। আর এই শপথের মধ্যে দিয়ে বঙ্গভবনে তাদের অভিষেকের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বঙ্গভবনের একজন কর্মকর্তা জানান, শপথ অনুষ্ঠানের জন্য দরবার হলে এক হাজারের মত অতিথির বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সামনের সারির চেয়ারগুলোতে যারা বসবেন তাদের নামের ট্যাগ ইতোমধ্যে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, পদস্থ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, কূটনীতিক, নাগরিক সমাজের…
View On WordPress
0 notes
Text
মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাওয়া সদস্যরা স্থায়ী নন : ওবায়দুল কাদের
মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাওয়া সদস্যরা স্থায়ী নন : ওবায়দুল কাদের
এমএনএ রিপোর্ট : নতুন মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাওয়া সদস্যরা স্থায়ীভাবে দায়িত্ব পালন করে যাবেন এটা মনে করার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হলো। ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারণ হতে পারে। পাঁচ বছর অনেক সময়। কখন কে আসবে, কখন কে যাবে? এখন যারা আছেন তারা স্থায়ী এটা তো মনে করার কারণ নেই।’ আজ সোমবার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল…
View On WordPress
0 notes
Text
শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলা
শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলা
এমএনএ সাইটেক ডেস্ক :নতুন বছরের শুরুতেই হতে যাচ্ছে স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলা। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে তিন দিনব্যাপী স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলা শুরু হচ্ছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠিতব্য এই মেলা আগামী শনিবার পর্যন্ত চলবে। আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেয় মেলার আয়োজক এক্সপো মেকার। তিন দিনের ওই আয়োজন শেষ…
View On WordPress
0 notes
Text
বিশ্রামের রিমেন্ডার দেবে গুগল ক্রোম ব্রেক টাইমার
বিশ্রামের রিমেন্ডার দেবে গুগল ক্রোম ব্রেক টাইমার
এমএনএ সাইটেক ডেস্ক :প্রযুক্তির বদৌলতে মানুষের প্রাত্যাহিক জীবনে এসেছে নানান জৌলুসপূর্ণ সুযোগ-সুবিধা। তারই ধারাবাহিকতায় প্রযুক্তির আরেক নতুন সংযোজন হলো গুগল ক্রোম এক্সটেনশন ব্রেক টাইমার। পেশাগত কারণে যারা একনাগাড়ে কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকেন তাদেরকে পপ আপ নোটিফিকেশনের মাধ্যমে বিশ্রামের রিমেন্ডার দেবে গুগল ক্রোম এক্সটেনশন ব্রেক টাইমার। কাজের মধ্যে ডুবে গেলে অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা একনাগাড়ে…
View On WordPress
0 notes
Text
মাত্র ১২,৫০০ টাকায় আইলাইফের নতুন ল্যাপটপ!
মাত্র ১২,৫০০ টাকায় আইলাইফের নতুন ল্যাপটপ!
এমএনএ সাইটেক ডেস্ক : আমেরিকার ব্র্যান্ড আইলাইফ ইংরেজি নববর্ষে উপলক্ষ্যে সবচেয়ে কম দামে ল্যাপটপ দিচ্ছে। ১৫ হাজার ৫০০ টাকা দামের আইলাইফের ‘জেড এয়ার প্রো’ মডেলের ল্যাপটপটি মাত্র ১২,৫০০ টাকায় পাওয়া যাবে। এ অফারটি স্টক থাকা সাপেক্ষে শুধু অনলাইন ঠিকানা মার্কেটপ্লেস https://bit.ly/2R9Ypelঠিকানা থেকে ল্যাপটপের থেকে প্রযোজ্য হবে। রয়েছে ক্যাশঅন ডেলিভারিতে কেনার সুবিধা। দেশের প্রযুক্তি পণ্যের বাজারে সবচেয়ে…
View On WordPress
0 notes
Text
রাজধানীতে বাইসাইকেল শেয়ারিং সেবা
রাজধানীতে বাইসাইকেল শেয়ারিং সেবা
এমএনএ সাইটেক ডেস্ক : উবার, পাঠাও-এর মতো অ্যাপ ভিত্তিক রাজধানীতে শুরু হল বাইসাইকেল শেয়ারিং সেবা জোবাইক। মিরপুর ডিওএইচএসে গত শনিবার থেকে যাত্রা শুরু হয়েছে জোবাইকের বাইসাইকেল সেবার। এর আগে দেশে এই সেবা কক্সবাজার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে। ৪০ট�� বাইসাইকেল দিয়ে মিরপুর ডিওএইচএসে সেবাটি শুরু করেছে জোবাইক। তবে এটি অল্প সময়ের মধ্যে শতাধিক হবে বলে জনান জোবাইকের…
View On WordPress
0 notes
Text
আজ সোমবারের দিনটি আপনার কেমন যাবে?
আজ সোমবারের দিনটি আপনার কেমন যাবে?
এমএনএ ফিচার ডেস্ক : আজ ০৭ জানুয়ারি ২০১৯, সোমবার। নতুন সূর্যালোকে আজ সোমবারের দিনটি আপনার কেমন যাবে তা জেনে নিন ১২ রাশির সুক্ষ্ম বিশ্লেষণে তৈরী এ বিশেষ প্রতিবেদন। নতুন দিন মানেই নতুন আশা, নতুন স্বপ্ন। ঘর থেকে বেরুনোর আগে একবার দেখে নেওয়া যাক আজ দিনটা আপনার কেমন যাবে। এই বিশ্বাসে আমরা বিশ্বাসী নই। তবুও, রাশিফল দেখি আমরা শুধুমাত্র একটু সাবধানতা অবলম্বনের জন্য। সাফল্য লাভের জন্য শুধু কর্মই যথেষ্ট…
View On WordPress
0 notes
Text
এমএনএ রিপোর্ট : রাজধানীর বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সাধারণ মানুষ, নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধা আর হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার মধ্য দিয়ে আজ রবিবার বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
এর আগে তিনবার নামাজে জানাজা শেষে আজ রবিবার বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে তার মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স বনানী কবরস্থানে এসে পৌঁছায়। দুপুর থেকেই নেতাকর্মীরা তাদের প্রিয় নেতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে চিরবিদায় জানাতে উপস্থিত হন বনানী কবরস্থানে।
এদিকে সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় প্রথম নামাজে জানাজা শেষে কিশোরগঞ্জে শোলাকিয়া মাঠে দ্বিতীয় জানাজা, পরে ময়মনসিংহ আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
বনানী কবরস্থানে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করার পর কবর ঘিরে শ্রদ্ধা আর হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা নিয়ে উৎসুক জনতা ভিড় করে চারদিকে। কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা ভালোবাসা জানান অনেকেই।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের সন্তান সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বাবার দেখানো পথেই হেঁটেছেন রাজনীতির দীর্ঘসময়। অথচ এত সমৃদ্ধময় জীবনগল্পে আত্মঅহমিকার লেশমাত্র ছিল না তার। বিনয়ী, মৃদুভাষী আর বিচক্ষণতার মধ্য দিয়েই তিনি সবার ‘আশরাফ ভাই’ বলে পরিচিতি পান। তাকে হারিয়ে কাঁদছে মানুষ, কাঁদছে রাজনৈতিক অঙ্গনের নেতারা।
৬৭ বছর বয়সী সৈয়দ আশরাফ থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। কয়েক মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর গত বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃত্যু হয়। ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি।
গতকাল শনিবার সৈয়দ আশরাফের মরদেহ দেশে নিয়ে আসা হয়। এরপর আজ রবিবার সকাল ১০টার দিকে নেওয়া হয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। সেখানে আওয়ামী লীগের হাজারো নেতাকর্মী আশরাফের জানাজায় অংশ নেন।
এখানে জানাজার পর সৈয়দ আশরাফের মরদেহ নেওয়া হয় গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে। সেখানে পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে তার জানাজা হয়। এরপর দুপুর ২টায় ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাঁ মাঠে আরেক দফা জানাজার পর বিকালে ঢাকায় এনে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমএনএ রিপোর্ট :
0 notes
Text
টেকনোক্র্যাট কোটায় ২ মন্ত্রী, ১ প্রতিমন্ত্রী
টেকনোক্র্যাট কোটায় ২ মন্ত্রী, ১ প্রতিমন্ত্রী
এমএনএ রিপোর্ট :টেকনোক্র্যাট কোটায় দুই মন্ত্রী ও এক প্রতিমন্ত্রী দায়িত্ব পেয়েছেন। এদের মাঝে আছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এই দুজন বিগত সরকারের মন্ত্রী হিসেবে থাকলেও টেকনোক্র্যাট কোটায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নতুন মুখ যুক্ত হয়েছেন শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-৩…
View On WordPress
0 notes