sarsongket
sarsongket
সার-সংকেত
7 posts
Don't wanna be here? Send us removal request.
sarsongket · 2 years ago
Text
ইউ মাস্ট ডু বিজনেস
সৌদি আরবে আমার এক বিলিয়নিয়ার বন্ধু আছে। বয়স মাত্র ৪৬ বছর। সম্পদের পরিমাণ তার ১৭ বিলিয়ন সৌদি রিয়াল! একবার সে কিছু সম্পত্তি কেনার পরে এক লোক এসে তাকে জানায়, ‘আরে ভাই, এটা তো আপনার নিজের সম্পত্তি, নিজেই টের পান নাই? মানে, নিজেই নিজের সম্পত্তি কিনেছে। হা হা। ভারি মজার মানুষ। রিয়াদে তার অনেক সম্পদ। একবার তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘তুমি এত টাকার মালিক হলে কী করে বন্ধু!' সে উত্তর দিয়েছিল, ‘আমার কৌশলটা আসলে সবার চেয়ে একটু ভিন্ন। অন্য সবাই সম্পত্তি কিনে ১০-১৫% লাভের আশায় এক বা দুই বছর ফেলে রাখে। আমি ভাই এসবে নাই। আমার ৫% লাভ হলেই হলো। যেহেতু কম লাভের আশা করি, তাই বিক্রিবাটাও আমার দ্রুত হয়ে যায়। এবার আসো, তোমাকে একটা মজার হিসেব দেখাই। ৫% লাভে করলে তার বছরে আমি ছয়টি জমি বিক্রি করতে পারি, অথচ অন্য ব্যবসায়ীরা ১৫% লাভে বছরে জমি বিক্রি করে মাত্র একটা। এবার তুমিই বলো, লাভ কে বেশি করছে?' পাশাপাশি একটা বাড়তি সুবিধার কথাও সে বলেছিল, অন্যরা যেটা ঠিক বুঝে উঠতে ও ধরতে পারেনি, ৫% লাভ রেখে পরিমাণে বেশি বিক্রি করায় সব রিয়েল এস্টেট এজেন্টের কাছে খবর হয়ে গিয়েছিল, সম্পত্তি বিক্রি করতে চাইলে বা টাকার দরকার পড়লে তাদের মুহাম্মাদের কাছেই দৌঁড়াতে হবে। কারণ, সে সবসময় সম্পত্তি কেনা-বেচার মধ্যেই থাকে। এভাবেই দিনে দিনে আমি সবার কাছে একজন দরকারি ও কাজের মানুষ হয়ে উঠলাম, আর সবচেয়ে সেরা ডিলগুলো ধীরে ধীরে আমার কাছেই আসতে শুরু করল। খুবই সামান্য লাভে বেশি বেশি বিক্রি করায় আমি আজ বিলিয়ন রিয়াল কামাতে পেরেছি।' ইউ মাস্ট ডু বিজনেস, ড. তৌফিক চৌধুরী
0 notes
sarsongket · 2 years ago
Text
Tumblr media
রাসূল (স.) এর Info-Graph!
কি চম্যৎকার! ভাবা যায়?
আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুল এ একটি চতুর্ভুজ আঁকলেন। এর মধ্যখানে একটি রেখা টানলেন, যা তা থেকে বের হয়ে গেল। তারপর দুপাশ দিয়ে মাঝখানের রেখার সঙ্গে ভেতরের দিকে কয়েকটা ছোট ছোট রেখা টেনে বললেন, “মাঝের এই রেখাটা হলো মানুষ। আর এ চতুর্ভুজটি হলো তার আয়ু, যা তার জীবনকে বেষ্টন করে আছে। বাইরে বেরিয়ে যাওয়া রেখাটি হলো তার আশা। আর এ ছোট ছোট রেখাগুলো বাধাবিপত্তি। যদি সে তার একটি এড়িয়ে যায়, তাহলে আরেকটি তাকে দংশন করে, আরেকটি এড়িয়ে গেলে অপরটি এসে তাকে দংশন করে।’ [ ইবনে মাজাহ : ৪২৩১ ]
মৃত্যুর চতুর্ভুজ অলসতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ, ড. খালিদ আবু শাদি 🍂
0 notes
sarsongket · 2 years ago
Text
অশ্রুভেজা ডায়েরি (একাংশ )
গতকাল বিকেলে সোহেলী আপা এলো বাড়িতে। আমার জন্য সম্বন্ধ এনেছেন। পাত্রপক্ষের সবদিকই আমাদের পরিবারের সাথে মিলে যায়। আপত্তি করবার জায়গা নেই। এতদিন টুকটাক যে ক-টা সম্বন্ধ আসত, ভাই-ভাবি নাকচ করে দিয়েছেন নানান ছুতোয়। এটা মেলে, তো সেটা মেলে না। এই পাত্রের বেলায় ভাইয়াও বলে বসল, ‘ছেলে তো বেশ ভালোই!”
এরপর বিয়ে নিয়ে কদ্দূর কথা হয়েছে জানি না। আজ দুপুরে ভাবি কি আমার বিয়ে নিয়েই আলাপ করছিল? জানা নেই। রান্নাবান্না সেরে, ঘরদোর গুছিয়ে অবসর পেলাম পড়ন্ত বিকেলে। এক কাপ চা নিয়ে মায়ের মুখোমুখি বসেছি। গতকাল বিয়ের সম্বন্ধ আসার পর থেকেই মায়ের মুখটা ঝলমল করছিল। রুগ্ন-ভগ্ন শরীরের সব কষ্ট ছাপিয়ে মেয়ের একটা গতি হচ্ছে সেই আনন্দ দেখেছিলাম তার চোখে-মুখে। অথচ আজ যেন কোথায় কী নেই। চোখটা কি চিকচিক করছে মায়ের? এগিয়ে এসে হাত দুটো ধরলাম। এই হাতে একা সংসার সামলেছেন একসময়। আর এই হাত এখন কতটা অসহায়! হাত ধরতেই ঝরঝর করে কেঁদে ফেললেন মা। 'মা রে তুই আমার আদরের মেয়ে! শ্বশুরবাড়িতে তোর কোনো কষ্ট সইতে পারব, বল? এই বিয়েটা করিস না মা।' এক দিনের ব্যবধানে মায়ের আমূল পরিবর্তন। থমকে গেলাম। চোখের সামনে মেয়ের কষ্ট সইতে পারেন যিনি, চোখের আড়ালে শ্বশুরবাড়ির কষ্টে তার এত ভয়! ভাবির ছোট বোন শিল্পীর বিয়ে হলো আমাদের বাড়িতে। ভাবির আবদার। তাদের সেই ভাড়া বাড়িতে বিয়ের আয়োজন সম্ভব না। আমাদের বাবার রেখে যাওয়া বাড়িটা ভাঙাচোরা হলেও নিজের বাড়ি তো! বাড়িওয়ালার খবরদারি নেই, যখন তখন নোটিশেরও ভয় নেই। এই কয়দিন গায়ে হলুদের খাটাখাটনি করে ক্লান্ত-শ্রান্ত আমি। গা এলিয়ে একটু শোবার ফুসরত মেলেনি। ফুল দিয়ে ঘর সাজানো, আলপনা আঁকা; সব নিজ হাতে করেছি। সাথে ছিল তুলতুলি। ফুপির কোল ছাড়ে না। চারিদিকে কী আনন্দ, কী হইচই! সবার চোখে-মুখে খুশির জোয়ার। কেবল আমারই ফাঁকা ফাঁকা লাগছিল ভীষণ। নাহ, অন্যের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, আমার হচ্ছে না— এমন ঈর্ষা থেকে নয়। পাত্রের নাম-ধাম জেনে গিয়েছিলাম। সেই থেকে শরীরের সাথে সাথে ভারী মনটাকেও টেনে নিয়ে চলছি। পাত্র সেই ব্যক্তি, যার সম্বন্ধ আমার জন্য এসেছিল, যার ব্যাপারে আমার উন্নাসিক ভাইও বলেছিল, 'ছেলে তো বেশ ভালোই।' একে একে সব রহস্যের জট খুলে গেল। সম্বন্ধ আসবার পর কেনই বা আমার ব্যস্ত ভাবি মায়ের সাথে এত গল্প জুড়ে দিল? কেনই-বা তড়িঘড়ি করে বাপের বাড়ি ছুটল! মাকে ভাবি কী বলেছিল— তা জানি না। কেবল ফলাফলটা জানি! পৃথিবীতে কিছু রহস্যের জট না খুললেই বুঝি ভালো! এক ধাক্কায় সব রহস্য ভেদ হয়ে যাবার ভার সইতে পারলাম না। বিয়েবাড়ির হই হুল্লোড় শেষ হতেই নিস্তেজ হয়ে পড়লাম। কিছুই ভালো লাগে না আর। মায়ের ওপরও ভীষণ রাগ হয়। মাঝে মাঝে। পরক্ষণেই ভাবি—কতটা অসহায় আমার মা! কতটা অসহায়! বিছানায় পড়ে থাকা মা আমার! তার ওপর রাগ করে কী লাভ! গল্পগুলো অন্যরকম, সমকালীন প্রকাশন 🪶
1 note · View note
sarsongket · 2 years ago
Text
যাদের দেখে আল্লাহ হাসবেন
এ যেন কোনো স্বপ্নময় দৃশ্য! স্বয়ং আল্লাহ দুজন ব্যক্তির দিকে তাকিয়ে হাসবেন! আর এ অপার্থিব ঘটনাটি ঘটবে জান্নাতে! সেই দুজন ব্যক্তির একজন অন্যজনকে পৃথিবীতে হত্যা করেছিল, কিন্তু আখিরাতে তারা দুজনই জান্নাতে যাবে। কিন্তু এও কি সম্ভব! একজন হত্যাকারী কী করে জান্নাতে যাবে? প্রশ্নটি সাহাবিরা রাসুলুল্লাহকে জিজ্ঞেস করেছিলেন। জবাবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘একজন আরেকজনকে (জিহাদের ময়দানে) হত্যা করবে এজন্য নিহত ব্যক্তি (শহিদ হয়ে) জান্নাতে যাবে। আর হত্যাকারীর প্রতি আল্লাহ সদয় দৃষ্টি নিক্ষেপ করবেন এবং সে পরে ইসলাম গ্রহণ করে ফেলবে। অতঃপর সেও আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে শাহাদাতবরণ করবে।’ [ সহিহ বুখারি : ২৮২৬ ] অর্থাৎ একজন কাফির অবস্থায় আরেকজন মুসলিমকে জিহাদের ময়দানে হত্যা করবে। যাকে হত্যা করা হবে সে শহিদ হয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর হত্যাকারী পরবর্তীতে ইসলাম গ্রহণ করবে এবং সেও আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে শাহাদাতবরণ করবে। আর এই দুজন ব্যক্তির দিকে তাকিয়েই জান্নাতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা হাসবেন! কল্পনা করা যায়! কতটা সুন্দর হবে সেই দৃশ্য! ওপারেতে সর্বসুখ, আরিফুল ইসলাম 🌸
1 note · View note
sarsongket · 2 years ago
Text
দারিদ্রতা দোষণীয় নয়
“দারিদ্র্যতা দোষের কিছু নয়'—যে এ কথাটি বলেছে তার উচিত ছিল বাক্যটিকে পূর্ণ করে এভাবে বলা— বরং তা একটি অপরাধ।“ ওমর বিন খাত্তাব রাদিআল্লাহু আনহু বলেছেন, “দারিদ্র্যতা যদি কোনো মানুষ হত, তা হলে আমি অবশ্যই তাকে হত্যা করতাম।“ কেননা, দারিদ্র্যতা এমন এক কঠিন সামাজিক বাস্তবতা, নিম্ন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও নিম্নমানের শিক্ষার অধীনে যার চিকিৎসা কঠিন। গরিবদের ক্ষেত্রে বলা হয়ে থাকে— গরিব ভূপৃষ্ঠে বিচরণ করে। সব জিনিসই তার বিরুদ্ধে থাকে। মানুষ তার মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দেয়। সে দোষী না হলেও তাকে ঘৃণা করা হয়। সে বিদ্বেষ বুঝতে পারে ঠিকই, কিন্তু এর কারণ উদ্ঘাটন করতে পারে না। এমনকি কুকুরও যখন কোনো সম্পদশালীকে দেখে, লেজ নাড়িয়ে তার সামনে ঝুঁকে যায়। আর যদি কোনো গরিব পথচারিকে দেখতে পায়, তখন ঘেউ ঘেউ করে ওঠে। কখনো- বা দাঁত কেলিয়ে হাসে। অন্যদিকে ধনীর ক্ষেত্রে বলা হয়— ধনী যদি কোনো মিথ্যা কথা বলে, তখন লোকেরা বলে—তুমি সত্যই বলেছ, অসম্ভব কিছু তো বলোনি। আর গরিব যদি সত্যও বলে, তখন লোকেরা বলে— এ কথা ঠিক নয়। তুমি মিথ্যা বলছ, তুমি ভ্রান্তির মধ্যে আছ। সবক্ষেত্রেই টাকা- পয়সা মানুষকে পরিয়ে দেয় সম্মান ও মহত্ত্বের ভূষণ। যে সুন্দর বাকশক্তি চায়, সম্পদ হয়ে যায় তার জবান। কেউ হত্যা করতে চাইলে অর্থ হয়ে যায় তার তলোয়ার। উভয়ের ক্ষেত্রেই বলা যায় মানুষ কখনো কখনো এমন লোককে পছন্দ করে, যার হাতে কোনো সম্পদ নেই। আবার অন্তর এমন লোককে ঘৃণা করে, যার হাতে আছে সোনার আংটি। মানুষের মূল্য নির্ধারণ হয় তার উৎস দেখে। ধন-সম্পদ, পদ-মর্যাদা ও নামধাম এসবকিছুই চিরদিন অবশিষ্ট থাকবে না। দশ দিনে কোটিপতি হওয়ার উপায়, আহমাদ হুসাইন রিফায়
1 note · View note
sarsongket · 2 years ago
Text
জীবনের রকমফের (একাংশ )
বাসায় ফিরেছি রোজকার মতো। কলিংবেল চেপে দাঁড়িয়ে আছি বাইরে। রেবেকার কোনো সাড়াশব্দ নেই। ও, মনে পড়েছে। ও তো আজ বাসায় নেই। আজিব! দরজার সাথে এতোবড়ো একটা তালা ঝুলছে সেটাও আমার চোখে পড়লো না! রেবেকার ওপর কী এক অভ্যস্ততা তৈরি হয়ে গেলো আমার! ব্যাগ হাতড়িয়ে বাসার চাবি বের করলাম। দরজা খুলে ভেতরে আসতেই মনে হলো ঘরজুড়ে এক নিশ্চুপ নীরবতা। সুনসান। বাতিগুলো জ্বালাতেই চোখ গিয়ে পড়লো রেবেকার পড়ার টেবিলে। একটা খাতা খোলা অবস্থায় পড়ে আছে সেখানে।
খাতাটা হাতে নিতেই আমার চোখের সামনে জ্বলজ্বল করে উঠলো যেন অসংখ্য শব্দমালা। রেবেকার হাতের লেখা; কিন্তু কী লেখা এতে?
‘আমি জানি জীবিকার তাগিদে তোমাকে ছুটতে হয়। ভীষণ ব্যস্ততায় পার হয় তোমার সারাটা দিনমান। একমাথা যন্ত্রণা নিয়ে তুমি বাসায় ফেরো রোজ। তোমার মুখাবয়ব দেখলেই আমি আঁচ করতে পারি তোমার কর্মময় জীবনের ক্লান্তি। তোমার ক্লান্তি আমাকে পীড়া দেয়; তোমার সামান্য অসুবিধেও আমাকে যন্ত্রণায় কাতর করে ফেলে। তুমি অফিস থেকে ফিরলেই আমি শশব্যস্ত হয়ে পড়ি তোমাকে সামলাতে। তুমি কি কফি খাবে না শরবত, সেই চিন্তায় আমি অস্থির হয়ে যাই। তোমার রাতের খাবার, শোবার বিছানা, সকালের নাস্তা, অফিসের পোশাক --- সবকিছু ঘিরেই আমার পৃথিবী। আমি ব্যস্ত থাকতে চাই তোমাকে নিয়ে।
আচ্ছা, অফিস থেকে ফিরে কখনো কি তুমি জানতে চেয়েছো আমি দুপুরে খেয়েছি কি না? তুমি জানো আমি সাজতে পছন্দ করি। ঠিক কতোদিন হয় সেজেগুজে তোমার সামনে দাঁড়াইনি, মনে করতে পারো? কখনো নিজ থেকে জানতে চেয়েছো কেন আমি আগের মতো সাজার ফুরসত পাই না? অফিস থেকে যে বিধ্বস্ত চেহারা নিয়ে তুমি আসো, সেই চেহারা আমাকে হতবিহ্বল করে দেয়। তোমার পরিশ্রান্ত অবয়বের অবসাদ আমি বুঝতে পারি। আচ্ছা, তুমি কি কখনো আমার বিধ্বস্ততা বোঝার চেষ্টা করেছিলে? অন্তত একবার? সংসারের ঘানি টেনে আমারও যে মাঝে মাঝে ক্লান্ত লাগে, সেটা তুমি অনুভব করেছো কখনো?
সারাটা দিন একা একা থাকি। একটা অবুঝ বাচ্চাকে সামলাই। তার সাথে আর কতই বা কথা বলা যায়, বলো? মন চায় খুব করে কথা বলতে কিংবা খুব মন দিয়ে কথা শুনতে। অপেক্ষায় থাকি কখন তুমি ফিরবে আর আমি মেলে বসবো আমার গল্পের ডালপালা। তুমি তন্ময় হয়ে শুনবে আমার কথা। আর যখন তুমি বলা শুরু করবে, আমি কেবল মন্ত্রমুগ্ধের মতন শুনে যাবো। কিন্তু দেখো, তুমি ঠিকই তন্ময় হয়ে থাকো। কিন্তু তোমার সেই বিস্ময়, সেই আবেগ, সেই বিহ্বলতা জুড়ে কেবল আমিই নেই। আছে অন্য অনেকে। বাসায় এসে তুমি সেই ভার্চুয়ালে ডুব দাও, আমার কথা তোমার খেয়ালই থাকে না। তুমি যেখানে আমগ্ন ডুবে থাকো, সেখানে কেউ কি তোমার জন্য দরজা ধরে অপেক্ষা করে? তোমার পছন্দের খাবার প্রস্তুত করে অধীর অপেক্ষার প্রহর গোনে তোমার জন্য? কিন্তু দেখো, যে মানুষটা তোমার পথ চেয়ে বসে থাকে সারাদিন, তার জন্য তোমার এতোটুকুও সময় হয় না।
বিশ্বাস করো, আমারও একটা আলাদা পৃথিবী আছে। আমার সেই আলাদা পৃথিবীজুড়ে কেবল তুমি আর তুমি। তুমিই আমার সেই জীবনের রং। তোমার অবসরের সমস্তটা জুড়ে আমি থাকতে চাই। সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে, তুমি এসে আমার সাথে খোশগল্পে মেতে উঠবে, এমন স্বপ্ন দেখতে দেখতে আমি রোজ ঘুমিয়ে পড়ি। কিন্তু স্বপ্নটা আমার চোখের পাতায় রয়ে যায়। তুমি তোমার মতোই। তুমি আসো। ডুবে যাও একটা নীল-শাদার জগতে। খাও। এরপর ঘুম। আমার জন্য তোমার কি একটু সময় থাকতে নেই? অন্তত একটু ফুরসত?’
পকেট হাতড়ে মোবাইল বের করলাম। অবিশ্বাস্য! ডায়াল লিস্টের কোথাও রেবেকার নাম্বার নেই। এই এতোদিন পার হয়ে গেলো সে আমার ঘরে নেই, অথচ এতোদিনে একটাবার আমি তাকে ফোন দিইনি? কতোদিন হয় তার জন্য কিনে আনি না বেলি ফুলের মালা। সত্যিই তো, কতোদিন হয় তাকে আমি সাজতে দেখি না। আব্দুল্লাহর জন্মের পর তার শরীরটাও ভেঙে গেছে। ছেলেটাকে সামলাতে গিয়ে বেচারি নিজের যত্নের কথাটুকুও ভুলে বসে আছে। তবে সে ভোলে না আমাকে। আমাকে ঘিরেই তার অঢেল ব্যস্ততা। আর আমার ব্যস্ততা? অফিস… ফেইসবুক… অফিস…
এপাশ-ওপাশ দুলুনি খেতে খেতে এগিয়ে চলেছে আমাদের ট্রেন। আমি ছুটে যাচ্ছি। রেবেকার কাছে। আমার হাতে ফুলের তোড়া। বেলি আর কাঠগোলাপ ফুলের সমন্বয়ে বানানো। বেলী ফুল রেবেকার পছন্দ, আর কাঠগোলাপ আমার। তার মাঝখানে একটা চিরকুট। তাতে লেখা - ‘I Love You’… জীবন যেখানে যেমন, আরিফ আজাদ
2 notes · View notes
sarsongket · 2 years ago
Text
এই প্রেম, ভালোবাসা (একাংশ )
- ‘মানুষের দুআ যে এতো দ্রুত কবুল হয়, তা দেখে আমি তাজ্জব বনে গেলাম, জানো?’
- আমি কৌতূহলী দৃষ্টিতে রেবেকার দিকে তাকিয়ে বললাম, ‘বুঝিনি।’
- ‘ওই যে, গরমে তুমি বেশ হাঁসফাঁস করছিলে না? তখন রান্নাঘর থেকে মনে মনে দুআ করছিলাম। বলছিলাম, আল্লাহ, একটা ঝুম বৃষ্টি দিয়ে চারপাশটা ঠান্ডা করে দাও। আমার জামাইটার অস্বস্তি লাগছে অনেক। এমন বৃষ্টি দাও যেন আমার জামাই বৃষ্টি নিয়ে একটা গল্পও লিখে ফেলতে পারে। হি হি হি।’
- ‘তুমি কি সত্যিই এমন দুআ করেছিলে?’
- ‘হ্যাঁ। এমনটাই তো জপছিলাম রান্নাঘরে। কিন্তু বিশ্বাস করো, সত্যি সত্যিই যে আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামবে—তা আমার ধারণাতেই ছিলো না। আল্লাহ মাঝে মাঝে কতো দ্রুত দুআ কবুল করে ফেলেন, দেখলে?’
আমি জানি রেবেকা মিথ্যে বলেনি। ও কখনোই মিথ্যে বলে না। আমাদের পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনে কোনোদিন একটিবারের জন্যও তাকে আমি মিথ্যে বলতে দেখিনি। ও যখন এই দুআ করেছে বললো, তাহলে সেটা অবশ্যই সত্যি।
ফ্যানের নিচে বসে হাওয়া গিলতে থাকা আমার অস্বস্তি কাটাতে বৃষ্টির জন্য দুআ করেছে জ্বলন্ত চুলোর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক রমণী! কী অবিশ্বাস্য ভালোবাসা! কী অনুপম মায়ার বন্ধন!
রেবেকা আবার বললো, ‘বৃষ্টির সময় দুআ করলে ওই দুআও কবুল হয়। চলো, আমরা দুআ করি।’
- ‘কী দুআ করবো?’
- ‘যা মন চায় করো।’
জানালা গলে, রেবেকার হাত চলে গেলো বাইরে। রিমঝিম বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছে তার হাত। আমি দেখলাম, সে চোখ বন্ধ করে বিড়বিড় করে কিছু বলছে। আমি জানি, তার এই বলার অনেকটা জুড়ে আমি আছি। ও আমাকে রাখবেই।
জীবন যেখানে যেমন, আরিফ আজাদ
2 notes · View notes