Tumgik
#অচেনা মেয়ে
skhassandx0 · 4 years
Video
youtube
2020 Osther_comedy_scenes New_Dubbing_#Funny_Misically #tik_tok #funny_video -------------------------------- আমাদের এই ছোট্ট চ্যানেলে আপনাকে স্বাগতম 😍 -------- -----------------DISCLAIM-------------- This video is great. It is very useful & happyness man.The video was newspaper. That's very working. It school & college videos. #Sad #Love #Sadlove #Sadlovestory #Sadlovesongs #Sadlovestorymovie #Sadlovestorydrama #Sadlovestatus #Sadlovestorysong #Sadlovepoetry #Sadlovesongsforbrokenhearts #Sadlovestorymovieinhindi #Sadlovemovies #Feeling #Sadfeeling #Sadfeelingsongs #Sadfeelingstatus #Sadfeelingwhatsappstatus #Sadfeelingmusic #Sadfeelingrap #Sadfeelingmusic #Sadfeelingdarakh #Sadfeelingtones #Sadfeelingringtone #Sadfeelingsongsenglish #goodbye #happy_new_year #end_year #tiktokvideo #tiktokph #tiktokchallengechallenge #tiktokphilippines #tiktokdance #tiktokuk #tiktokmemes #tiktok2020 #tiktokapp #tiktokart #tiktokaddicted #tiktokanimeposechallenge #tiktokalgeria #tiktokaudiosforedits #tiktokautofans #tiktokarabicdance #tiktokboys #tiktokblack #tiktokbodyparts #tiktokbloopers #tiktokbuttercup #tiktokban #tiktokbd #tiktokbangladesh #tiktokcanada #tiktokcambodia #tiktokchallenges2020 #tiktokcaseinkasur #tiktokcrew #tiktokcoffee #tiktokcacing #tiktokdancetutorial #tiktokdad #tiktokdrag #tiktokdancevideo #tiktokdesigning #tiktokdances2020 #tiktokdance 2020 #tiktokers #tiktokeri #tiktokevent #tiktokediting143 #tiktokedits #tiktokentertaining #tiktokerror #tiktokentertainment #tiktokfam #tiktokfun #tiktokfunny #tiktokfamous #tiktokfortnite28 #tiktokfollowers2020 #tiktokff #tiktokfortnite5 #tiktokgaming #tiktokgay #tiktokgendaphool #tiktokgo #tiktokgaynghien #tiktokgurashnani #tiktokgirldancemazarequaid #tiktokgujrati #tiktokhaul #tiktokhairstyles #tiktokhungama #tiktokhindi #tiktokhamster #tiktokhacks #tiktokhomnay #tiktokhitsong2020 #tiktokin #tiktokironic #tiktokissue #tiktokincreasefollowers #tiktokindia #tiktokindian #tiktokisforyouandme #tiktokindai #itiktokindonesia #tiktokjokers #tiktokjelly #tiktokjilbab #tiktokjokerrizxtar #tiktokjunction #tiktokjapan #tiktokjannatzubair #tiktokjokersong #tiktokktm #tiktokkabaap #tiktokkerala #tiktokking #tiktokkorea #tiktokkajalwa #tiktokkiss #tiktokkenya #tiktoklgbt #tiktoklife #tiktoklike #tiktoklifehero #tiktoklatino #tiktokloversleb #tiktoklovesyou #tiktoklevelup #tiktokmeme #tiktokmashup clean #tiktokmashup2020 clean #tiktokmostpopular #tiktokmashup #tiktokmoto #tiktokmoments #tiktokmusic #tiktoknew #tiktoknsanam #tiktoknewtrendingjokerediting #tiktoknewsong #tiktoknewtrendvideotutorial #tiktoknewvirasong #tiktoknewvideo #tiktoknewtrick #tiktokofficial #tiktokonly #tiktokodia #tiktokoffical #tiktokodisha #tiktokonly2019 #tiktokorothersvideos #tiktokofking #tiktokpaintings #tiktokpartner #tiktokparskymevideokaiselagaye #tiktokproaccount #tiktokpubg #tiktokpakistan #tiktokparslowmotionvideokaisebanaye #tiktokqt #tiktokqatarpapa #tiktokqueen #tiktokqueenneetu #tiktokqawwali #tiktokqueenvideos #tiktokquality #tiktokreaction #tiktokremix #tiktokroasted #tiktokringlight #tiktokringtone2020 #tiktokrap #tiktokrocket #tiktokrewind2020 #tiktokschool #tiktokstaraanchelsmalakar #tiktoksoccer #tiktoksingers #tiktoksongs #tiktoksaree #tiktoksongs 2020 #tiktokspecialmix #tiktoktrends #tiktoktrolls #tiktoktunes #tiktoktraitrungquoc #tiktoktrending #tiktoktips #tiktoktoxic #tiktoktopper #tiktokusa #tiktokus #tiktokuse #tiktokuncle #tiktokusuk #tiktokuk boyfriend #tiktokuppalbalu #tiktokvs #tiktokversion #tiktokviral #tiktokviralgirls #tiktokviralvfx #tiktokvibes #tiktokviralsong #tiktokworld #tiktokwali #tiktokwatereffectvideo #tiktokwallpaper #tiktokwallmagic #tiktokwhatsappgroup #tiktokwhatsappgrouplink #tiktokwithng #wtiktokvedio #tiktokxuhương #tiktokyoutube #tiktokyoutobe #tiktokyoutubeaccountaddproblem #tiktokyoga #tiktokyudistardhana #tiktokyuvrajsingh #tiktokyoungstararrest #tiktokzodiacsigns #tiktokzomatoboy #tiktokzoommyface #tiktokzoomingvideo #tiktokztao #tiktokzumba #tiktokzone #tiktokzong_pakage_free #tiktok07 #tiktok18 #tiktok18troll #tiktok10kfollowers #tiktok1kfollowers #1tiktoktrending #tiktok2k20 #tiktok24 #tiktok2019 #tiktok2gallery #tiktok2018 #tiktok2019compilation #tiktok2ria #2tiktokaccountin1mobile #2tiktokmanja #tiktok3dlatter #tiktok3d #tiktok3dletter #tiktok3dname #tiktok3namethrow #tiktok36gadhiya #tiktok3dletterthrowing #tiktok4video #tiktok500freerecharge #tiktok7m #tiktok720p720p #tiktok8on_trending #tiktok99 #tiktok90ssong
3 notes · View notes
mrmwithacupofcoffee · 2 years
Text
প্রাক্তন
- তুমি ব্যাপারটা বুঝতে পারছ না। তারা কখনোই আমাদের সম্পর্কটা মেনে নেবেন না!
- মেনে না নেওয়ার মতো কি বা আছে! তোমার আর আমার মধ্যে কি এমন খামতি আছে যার কারণে আমাদের পরিবার আমাদের মেনে নেবে না?
খামতি তো সবার মাঝেই থাকে!
- হ্যাঁ, আমি মানছি থামতি সবার মাঝেই থাকে। তবে সেখানে সমস্যাতো এক জায়গাতেই আমাদের বয়স আর আমার অতীত।
- আবার ওই একই কথা বললে! বলেছি না অতীতের টান আর কখনই টানবে না। আর যতদূর বয়স সে তো আমারই দোষ দেরি করে চলে এসেছি।
আচ্ছা বলো তো, আমি কি এতই নাপাত্তার ছিলাম যে আমাকে রেখে এত জলদি চলে এসেছিলে!
- কায়েম! এখনো তুমি ঠাট্টা করবে?
- আচ্ছা বাবা আর করছি না। চল সামাইরার না ছুটি হবে ওকে পিক আপ করে আনি।
- কায়েম, তুমি কি আমাদের সম্পর্কটা নিয়ে নিশ্চিত?
- হাই হ্যানসাম! তুমি আজকে মামুনি নিয়ে দেরি করে এসেছো কেন? আমি কতক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছিলাম জান!
- সরি মাই বিউটিফুল, তোমার মামুনিই তো আমাকে দেরি করালো কি করবো বলো?
আমার বিউটিফুলকে একটা আইসক্রিম ট্রিট দেওয়া যায় কি?
- সিওর হ্যানসাম।
সামাইরা, নাহান মেয়ে।  নাহার ডিভোর্স হয়েছে সাত বছর হল। সামাইরার মাধ্যমেই কায়েমের সাথে নাহার পরিচয়।
- মামুনি, তোমার মেয়েতো ক্রাশ খেয়ে গেছে! Look at that handsome!
- সামািরা!
- হোয়াট মামুনি! সে তোমার জন্য উপযুক্ত!
- মামুনি, আমার একটু আইসক্রিম দরকার তুমি কি আমার জন্য একটু নিয়ে আসবে? আমি এখানে তোমার জন্য অপেক্ষা করছি।
- Hello beautiful, why you are standing here alone?
- Hey handsome! By the way, what's your name?
- Oh! You're really cute.
- সামাইরা, তোমাকে না বলেছি অচেনা মানুষের সাথে কথা বলবে না। চলো এখান থেকে!
- Mamuni, see that handsome!
- Yeah, you can look at me at least once!
- Thank you!
- You are also beautiful!
- মামুনি, হ্যান্ডসাম চলে এসেছে তুমি এখনো রেডি হওনি! হ্যান্ডসাম চলে গেলে তোমাকে কে বিয়ে করবে বল তো! আমি কিন্তু হ্যান্ডসামের জন্য আরেকটা মেয়ে দেখব বলে দিচ্ছি!
বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এতটা সময় পর সেই প্রতীক্ষীত রাত। বাসর ঘরে নাহার কাছে কায়েম আসতেই কিছু মুহুর্ত পর নাহা বুঝতে পারল, পাগড়ীর আরালে থাকা লোকটি আর কেউ নয় "প্রাক্তন"!
- ৩০ জুলাই, ২০২২
- মোনালিসা মিতু।
0 notes
paathok · 4 years
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/123369
নগরীতে সুন্দরী নারীর প্রতারণার ফাঁদ
.
নিজস্ব প্রতিবেদক:
নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় একজন সুন্দরী নারী সুদর্শন যুবকের মােটরসাইকেলের কাছে গিয়ে অনুরােধ করেন তাকে একটু লিফট দেওয়ার জন্য। মােটরসাইকেল চালক সুন্দরী মেয়ে দেখে অনুরােধ উপেক্ষা করতে পারেননি। পরে ওই নারীকে লিফট দিতে গিয়ে নিজেই জিম্মিদশায় পড়ে টাকা পয়সা ও এটিএম কার্ড হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে পড়েন।
ঘটনাটি ঘটেছে, গত ১৪ ডিসেম্বর ডবলমুরিং থানাধীন মােঃ আসাদুজ্জামান সুমন নামে এক যুবকের সাথে। আজ ৪ জানুয়ারি (সোমবার) এ ঘটনায় জড়িত ওমর ফয়সাল রনি (২২) নামে একজন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাহাড়তলী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ হাসান ইমাম। গ্রেপ্তারকৃত আসামির বাড়ি সন্দ্বীপ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন বক্সা আলী বাড়ির আবুল কাশেম এর ছেলে। বর্তমানে তিনি শহরের পাহাড়তলী থানাধীন দক্ষিণ কাট্টলীতে এক ভাড়া বাসায় থাকেন।
ঘটনাসুত্রে জানা যায়, সুন্দরী নারীকে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিতে জনৈক মােঃ আসাদুজ্জামান সুমন কে সু-কৌশলে প্রতারনার মাধ্যমে পাহাড়তলীতে নিয়ে যায় নারী। দক্ষিণ কাট্টলীস্থ প্রাণহরি দাশ রােড রুপালী আবাসিক এলাকার (হােল্ডিং নং-১৫৪৬) হাজী সােলায়মান ভবনের ৭তলায় ছাঁদের উপর নিয়া যান কৌশলে। সেখানে আগে থেকেই ছিলো সুন্দরী নারীর সহযােগীরা অবস্থান। পরক্ষণে অভিনব কায়দায় অপরাপর সহযােগীদের সাথে নিয়ে মােটরসাইকেল আরোহী যুবক থেকে সােনালী ব্যাংক এর একটি ডেবিট কার্ড, লংকা বাংলার একটি ক্রেডিট কার্ড, মিউচুয়াল ব্যাংক এর দুইটি ডেবিট কার্ড, সিটি ব্যাংক এর একটি ক্রেডিট কার্ড, ইউসিবি ব্যাংক এর একটি ডেবিট কার্ড, সিটি ব্যাংক এর একটি ক্রেডিট কার্ড, ০২টি স্মার্ট মােবাইল সেট, ২টি নরমাল মােবাইল সেট, জাতীয় পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স, মােটরসাইকেলের স্মাট কার্ডসহ মােটরসাইকেলের কাগজপত্র এবং নগদ ১৭,০০০/- হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে এটিএম কার্ড হতে আরাে নগদ ১২,০০০/- হাজার টাকা উত্তোলন করে নেন।
সুন্দরী নারী ও তার সহযােগীরা জনৈক মােঃ আসাদুজ্জামান সুমন এর সব কিছু নেওয়ার পর তার মােটরসাইকেলটিও নিয়ে নেয়। পরে অচেনা স্থানে নিয়ে যুবককে ছেড়ে দেন। মােটর সাইকেল চালক লজ্জায় মান সম্মানের ভয়ে প্রথমে তথ্য গােপন করে রাখলেন। পরে থানায় এসে পুলিশকে সব জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযােগের প্রেক্ষিতে অজ্ঞাতনামা সুন্দরী নারী ও তাহার সহযােগীদের বিরুদ্ধে পাহাড়তলী থানায় ০৩(০১) ২১নং মামলা দায়ের করা হয়। মামলা রেকর্ড হওয়ার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেফতারসহ মােটরসাইকেলটিও উদ্ধার করে পাহাড়তলী থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামী পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, ঘটনার সাথে জড়িত সুন্দরী নারীসহ অন্যান্য আসামীরা চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রতারণার মাধ্যমে মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মুল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে চম্পট দেন। জানা যায়, ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের নামে সিএমপির বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এটি একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র।
পাহাড়তলী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ হাসান ইমাম জানান, ঘটনায় প্রতারক চক্রের সাথে যারা জড়িত তাদের সবাইকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান চালানো হচ্ছে। আশা করি শিগগিরই ধরা পড়বে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সােপর্দ করা হয়।
0 notes
classynotes · 4 years
Text
হিমু।
বাংলা সাহিত্যে সম্ভবত সবচাইতে জনপ্রিয় চরিত্র। বই পড়ুয়া সব ছেলেই জীবনে কখনো না কখনো হিমু হতে চেয়েছে, আর মেয়েরা হতে চেয়েছে রূপা। হিমুর সবচাইতে আকর্ষণীয় দিক, যেটা অবচেতনভাবে সবাইকে টানে, সেটা হচ্ছে তার করতে থাকা ভালো কাজগুলো। সে গরীবদের সাথে সহজে মিশে যায়। সে নিজেও গরীব। মানুষের উপকারে ঝাঁপিয়ে পড়তে তার জুড়ি নেই। মোটকথা, মানুষ হিসেবে তাকে একজন ভালো কাজ করতে থাকা মানুষ বলা যায় (যদিও জীবনের আসল উদ্দেশ্য আরো অনেক অনেক বড়)। সে মিসির আলী আর শুভ্রর চাইতেও বিখ্যাত। কারণ হচ্ছে তার উদ্ভট কর্মকান্ড। সে প্রায়ই গোসল করে না। এত নোংরা চলাফেরা করে যে প্রায়ই তার শরীর হতে উৎকট গন্ধ বের হয়। আরো বলতে পারি, বাট ওকে নিয়ে ঋণাত্মক কথা ফাঁদতে এই লেখাটা লিখছি না। আসল কারণ অন্য।
আমি নিজে ���র ভয়াবহ ফ্যান ছিলাম। কেমন ফ্যান বলি। ওর সম্পূর্ণ সমগ্র ৪৫০ টাকা দিয়ে যখন কিনে এনেছিলাম, তখন আমি ইন্টারে পড়ি। টিউশানি করে নিজের খরচ নিজে ম্যানেজ করার ট্রাই করি, তবুও পোষায় না। প্রায়ই লজ্জিত অবনত মুখে মিনমিন করে আব্বুর কাছে হাত পাততে হয়। কী লজ্জা! কী লজ্জা!! ১৫ বছর বয়সী ঝকঝকে তরুণ ছেলে হয়ে আব্বুর ঘাড়ে বসে খাওয়ার মতো লজ্জা দুনিয়াতে আর কি হতে পারে? তার উপর টাকার জন্যেও প্রায়ই আব্বুর কাছে হাত পাতা। আমার পৃথিবী লজ্জায় আরক্তিম হয়ে যেতো। ঠিক এইরকম দুঃসময়ে গোটা ৪৫০টা টাকা (আম্মুর ভাষায়) ‘ফেলে দিয়ে’ একটা ‘আউট বই’ কিনে আনা, যেটার সবগুলো বই-ই আমি আগেও কয়েকবার করে পড়েছি, এরকম ভয়াবহ বিলাসিতার মতো জঘন্য অপরাধ আর কি হতে পারে? সেইদিন লজ্জায় আর আম্মুর সামনে যাইনি। লুকিয়ে ভাত খেয়ে শুয়ে পড়েছি। তার উপর আমার পিচ্চি লাইব্রেরীর এই একটা মাত্র বই-ই কারো বাসায় ধার নিয়ে গিয়ে পড়ার অনুমতি ছিলো না, এখনো নেই।
দিন বদলেছে। নাস্তিকতার নিঝুম অন্ধকারে ঢাকা ঘন অরণ্য পেরিয়ে তখন সবেমাত্র ইসলামের অসাধারণ সবুজের মখমলে ঢাকা অপরূপ পাহাড়ের পাদদেশে পৌঁছেছি। সারা গায়ে অরণ্য পেরিয়ে আসা ক্লান্তি আর কাঁদা জড়ানো। পাহাড়ের পাদদেশে থাকা ঝরঝর করে বইতে থাকা তাওবার ঝরণাতে সব কাঁদা আর ক্লান্তি ধুয়ে নিলাম। পাহাড়ের চূড়ায় উঠার স্বপ্ন দুই চোখে। প্রথম পদক্ষেপ যেদিন রাখলাম, সাথে সাথেই চারপাশ বদলে গেলো। বন্ধু হারালাম, হারালাম চারপাশের প্রায় সব মানুষগুলোকে। শরীরের পোষাকে মোড়ানো এই ‘আমি’, আমার ‘রূহ’, বুঝতে পারলাম, আমি কত্ত একা। সবাই-ই এই সত্যটা জানে, অনুভব করেছে একবার হলেও। এই আমি এসেছি একটা মিশনে, একটা সফরে। মুসাফির এই আমি কত কিছু নিয়ে জাঁকিয়ে ব্যবসা করতে বসে গিয়েছি সফরের মিশন ভুল মেরে। ভুলে গিয়েছি, বারবার ভুল মেরে যাই, আমি একা। সবাই একা। একা যেদিন আবার ট্রেইনে উঠে যাবো, সেইদিন সব, একদম সব রেখেই, এমনকি পরনের কাপড়টাও ফেলে ট্রেইনে উঠে পড়তে হবে। সাথে যাবে শুধু আমার আসল ঠিকানায় (আখিরাতে) পাঠিয়ে দেয়া সম্পদগুলো, ভালো আর খারাপ কাজগুলো। সবই জানি। তবু, স্মরণিকার অভাবে প্রতিদিনই ভুল মেরে বসি। প্রতিদিন। প্রতিদিনই তাই আবার সেই তাওবার ঝরণায় ভিজে পরিস্কার হওয়ার জন্যে নেমে আসতে হয়। আবার হাঁটা শুরু হয় নতুন করে।
বই পড়ার রুচি এর মাঝে আমূল বদলে গেলো। জাফর ইকবাল টাইপের লোকদের বইয়ের পাতায় লুকিয়ে থাকা ভিলেন হিসেবে প্রায়ই দাড়ি টুপিওয়ালা মুসলিমদের নিয়ে লেখা ইসলাম বিদ্বেষ বড্ড গায়ে লাগে। বিখ্যাত লেখকদের অবৈধ প্রেম নিয়ে এত এত লেখা বইগুলো আর ছুঁয়ে দেখার রুচি হয় না। কত শত অসাঢ় উপন্যাস এখনো প্রকাশিত হয়। পড়তে ভালো লাগে না। কিছুই শেখার নেই, কিছুই জানার নেই। পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠার পাহাড়ে কেবলই বালখিল্যতা আর আদিখ্যেতা। অর্ধেক জীবন যে অর্থহীনতায় ফেলে এসেছি, সেই স্মৃতি কেবলই কুরে কুরে খেয়ে চলে। কিছু একটা করতে হবে। জানতে হবে অনেক, করতে হবে আরো বেশি কিছু। অনেক পড়তে হবে। সত্যিকারের যেগুলো জানার, জানতে হবে। কাজে লাগাতে হবে নিজের লাইফে, জানাতে হবে অন্যকে। অনন্তের পথের জন্যে যে অনন্ত পাথেয় দরকার সেটা যে আমাদের কারোরই নেই। কারোর না।
হাঁটতে হাঁটতে একসময় তাবেয়ী ওয়াইস আল কারণি নামের মানুষটার সাথে পরিচয় আমার। অসম্ভব সাদাসিধা একজন মানুষ ছিলেন তিনি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সময়ের মুসলিম হয়েও উনার সাথে দেখা করতে পারেননি তিনি। নিজের জীবনের সবচেয়ে বেশি ভালোবাসার মানুষটার সাথে দেখা হয়নি তাঁর কেবলই নিজের আম্মুর দেখাশোনা করতে গিয়ে। সাহাবী হতে পারেননি। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও তাঁকে কখনো দেখেননি, কিন্তু জানতেন তাঁর কথা। তাইতো দুনিয়া হতে চিরবিদায়ের আগে যখন সাহাবীদের মাঝে একটা নীরব আশার আলো জ্বলছিলো যে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গায়ের পোশাকটি হয়তো তাকেই দেয়া হবে, তখন আমার নবিজী নিজেই জানিয়ে দিলেন পোশাকটি দিতে হবে ওয়াইস আল কারণীকে। সবাই তো অবাক! কে এই ওয়াইস আল কারণী? কেউ তাঁকে কোনদিন দেখেনি, নামও শোনেনি। কে এই অসাধারণ আত্মা, যাকে না দেখেও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর এত্ত প্রশংসা করছেন? অবশেষে হজরত ওমর এবং আলী রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহুমা যখন মানুষের মুখে শুনে শুনে এই ‘বোকা আর হতদরিদ্র, অচেনা’ মানুষটিকে খুঁজে বের করলেন, তখন তিনি একটা গাছের নিচে বসে ইবাদত করছেন, চারপাশে অনেক উট।
ওমর (রাঃ) এবং আলী (রাঃ) তাঁর সামনে গেলেন, তাকে উদ্দেশ্য করে বললেনঃ আসসালামু ওয়ালাইকুম।
ওয়াইস তাঁর ইবাদত শেষ করে তাঁদের দিকে ফিরে সালামের উত্তর দিলেন।
তাঁরা তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ কে তুমি?
সে বললঃ আমি উট দেখাশোনা করি এবং একটি গোত্রের কাজের লোক।
তাঁরা বললেনঃ আমরা তোমাকে তোমার পশু পালনের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করিনি, এমনকি তুমি কোনো গোত্রের কাজের লোক কিনা তাও জানতে চাইনি; আমরা জানতে চাচ্ছি তোমার নাম কী?
সে বললঃ আব্দুল্লাহ (আল্লাহর বান্দা)।
তাঁরা বললেনঃ এই আসমান এবং জমিনে যতো আল্লাহর সৃষ্টি আছে সবই আল্লাহর বান্দা; কিন্তু তোমার নাম কী যা দিয়ে তোমার মা তোমাকে সম্বোধন করেন?
সে বললঃ তোমরা আমার কাছে কী চাও?
তাঁরা বললেনঃ “ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার আমাদেরকে ওয়াইস আল কারনি নামে এক ব্যক্তির কথা বলেছিলেন। তাঁর বর্ণনা অনুযায়ী সেই ব্যক্তির থাকবে নীলাভ কালো চোখ এবং তার বাম কাঁধের নিচে এক দিরহামের মতো একটি সাদা দাগ থাকবে। তাই দয়া করে আমাদেরকে দেখতে দাও যে তোমার ঐ সাদা দাগটি আছে কিনা। তাহলেই আমরা বুঝবো আমরা যাকে খুঁজছি সে তুমি কি না?
ওয়াইস তখন তার বাম কাঁধ উন্মুক্ত করে দেখালেন, দিরহামের মতো সেই সাদা দাগটি স্পষ্ট ফুটে আছে তার বাম কাঁধের নিচে। ওমর (রাঃ) এবং আলী (রাঃ)-র বুঝতে অসুবিধা হলো না যে এই সেই ওয়াইস আল কারনি যার কথা অনেক অনেক বছর আগে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে বলেছিলেন।
তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জীবিত। তিনি একটি হাদিসে কুদসি বর্ণনা করেছিলেন (আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্নিত হয়েছে হাসিদটি) যেখানে তিনি বলেন যে, আল্লাহ বলেনঃ “আল্লাহ সুবহানাহুওয়াতালা ভালোবাসেন তাঁর সৃষ্টিকে যে আল্লাহ ভীরু, যার অন্তর পরিশুদ্ধ, তাদেরকে যারা নিজেদের গোপন রাখে এবং তাদেরকে যারা নিরপরাধ, যার মুখমন্ডল ধূলো-মলিন, যার চুল এলোমেলো, যার পেট খালি এবং সে যদি শাসকের সাথে দেখা করার অনুমতি চায় তাহলে তাকে তা দেয়া হয় না। এবং সে যদি একটু সম্ভ্রান্ত ঘরের মেয়ে বিয়ে করতে চায় তাহলে তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয় এবং সে যদি দুনিয়ার কিছু ত্যাগ করে এর অভাব কখনোওই সে বোধ করে না। এবং সে যদি কোথাও থেকে বের হয়ে যায় তাহলে তার বের হয়ে যাওয়াও কেউ লক্ষ্য করে না। সে যদি অসুস্থ হয়, তাহলে তাকে দেখতে কেউ আসে না এবং সে যদি মারা যায় তাহলে তাকে কবর পর্যন্ত পৌঁছে দিতেও কেউ আসে না।”
এই হাদিস শুনে সাহাবারা (রাঃ) তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করেছিলেনঃ
“ইয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, এরকম একজন ব্যক্তিকে আমরা কিভাবে খুঁজে পাবো?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেনঃ ওয়াইস আল কারনি হচ্ছে এমনই একজন ব্যক্তি।
তখন সাহাবারা (রা) জিজ্ঞেস করেছিলেনঃ কে এই ওয়াইস আল কারনি?
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেনঃ তাঁর গাত্র বর্ণ কালো, কাঁধ প্রশস্থ, উচ্চতা মাঝারি, তার দাঁড়ি তার বুক পর্যন্ত লম্বা, তার চোখ সবসময় অবনমিত থাকে সেজদার স্থানে। তার ডান হাত থাকে তার বাম হাতের ওপর। সে একান্তে এমনভাবেই কাঁদে যে তার ঠোঁট স্ফীত হয়ে যায়। সে একটি উলের পোশাক পরে এবং আসমানের সবাই তাকে চেনে। যদি সে আল্লাহর নামে কোনো শপথ করে, সে তা পালন করে। তার ডান কাঁধের নিচে একটি সাদা দাগ রয়েছে। যখন আখেরাতের দিন আসবে এবং আল্লাহর বান্দাদেরকে বলা হবে জান্নাতে প্রবেশ কর, তখন ওয়াইসকে বলা হবে ‘দাঁড়াও এবং সুপারিশ কর’ আল্লাহ সুবহানাহুওয়াতালা তখন তার সুপারিশ অনুযায়ী ‘মুজির’ এবং ‘রাবিয়া’ (ওয়াইসের দুই গোত্রের নাম) গোত্রের লোক সংখ্যার সমান লোককে ক্ষমা করে দেবেন । সুতরাং হে ওমর এবং আলী, তোমরা যদি কখনও তার দেখা পাও তাহলে তাকে বলো তোমাদের জন্যে আল্লাহর কাছে সুপারিশ করতে, তাহলে আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করবেন।”
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওয়াইস সম্পর্কে আরো বলেছিলেন যে, তার ঘরে বৃদ্ধা মা আছে। যার পুরো দেখা শোনা ওয়াইস করেন এবং বৃদ্ধা মাকে দেখা শোনার জন্যে সে ইসলাম ধর্ম গ্রহনের পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে দেখা হওয়ার যে সুবর্ণ সুযোগ ছিল তা গ্রহন করতে পারেননি।
আসলে ওয়াইস আল কারনি তার মায়ের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে রাসুলুল্লাহ(সাঃ)এর সাহাবি হওয়ার মর্যাদা থেকে বঞ্চিত হন। তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবদ্দশায় ইসলাম কবুল করলেও তিনি তাবেয়ি রয়ে যান।
এই ঘটনার পর প্রায় দশ বছর কেটে গেছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আর তাদের মাঝে নেই। আবু বকর (রাঃ)ও দুনিয়া ছেড়েছেন। এর মধ্যে শত খোঁজার পরও ওয়াইস আল কারনিকে খুঁজে পাননি তাঁরা। আর আজকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বর্ণনাকৃত সেই ওয়াইস আল কারনি তাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন।
ওমর (রাঃ) এবং আলী (রাঃ) ওয়াইস আল কারনিকে জড়িয়ে ধরে বললেনঃ “আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমিই সেই ওয়াইস আল কারনি। সুতরাং আল্লাহর কাছে আমাদের জন্যে ক্ষমার সুপারিশ কর এবং আল্লাহ তোমাকেও ক্ষমা করুন।”
উত্তরে ওয়াইস বললেনঃ কোনো আদম সন্তান বা নিজেকে আমি ক্ষমা করানোর ক্ষমতা রাখি না , তবে এই জমিনে ইমানদার পুরুষ এবং ইমানদার নারী রয়েছে, মুসলিম নারী মুসলিম পুরুষ রয়েছে, যাদের দোয়া আল্লাহর দরবারে কবুল হয়।
তাঁরা বললেনঃ সত্যিই তাই।
তখন তিনি বললেনঃ আপনারা দুজন আমার সম্পর্কে জানেন এবং আমি আমার অবস্থান সম্পর্কে জানি, কিন্তু আপনারা কারা?
আলী (রাঃ) তখন ওমর (রাঃ)কে দেখিয়ে বললেনঃ ইনি হচ্ছেন আমিরুল মুমিনিন ওমর বিন খাত্তাব (রাঃ) এবং আমি হচ্ছি আলী বিন আবু তালিব।
ওয়াইস তাদের পরিচয় শুনে সোজা হয়ে দাঁড়ালেন এবং তাদের উদ্দেশ্য করে বললেনঃ আসসালামু ওয়ালাইকুম ইয়া আমিরুল মুমিনিন এবং আলী আপনাকেও। আল্লাহ আপনাদেরকে এই উম্মাহর জন্যে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
তাঁরাও বললেনঃ আল্লাহ তোমাকেও উত্তম প্রতিদান দিন।
এরপর ওয়াইস আল কারনি তাদের জন্যে দোয়া করলেন।
ওমর (রাঃ) ওয়াইস আল কারনিকে বললেনঃ “তুমি এখন ইহজীবন এবং পরকালে আমার বন্ধু।”
ওয়াইস আল কারনি জানেন ইহজীবনে ওমরের বন্ধু হওয়া মানে সুনাম এবং একটি স্বচ্ছল জীবন, তাই তিনি ওমর (রাঃ)এর বন্ধুত্ব তো গ্রহন করলেন কিন্তু খুব বিনয়ের সাথে তার সাথের স্বচ্ছলতা এবং সুনাম যা ওমর (রাঃ) এর মাধ্যমে তিনি পেতে পারতেন, সেটা প্রত্যাখ্যান করলেন। তিনি যেমন আছেন ঠিক তেমনই থাকার ইচ্ছে পোষণ করলেন।
ওমর (রাঃ) বলেনঃ তুমি কোথায় যেতে চাও এখন?
ওয়াইস আল কারনি বলেনঃ ইরাকের কুফায়।
ওমর(রাঃ) বললেনঃ ��িক আছে। আমি একটি চিঠি লিখে দেই কুফার গভর্নরকে যাতে সে তোমার ভালো দেখাশোনা করতে পারে।
ওয়াইস বললেনঃ দয়া করে এই কাজ করবেন না। কারণ আমি নিজেকে এইভাবে অচেনা রাখতেই পছন্দ করি। আমি আল্লাহর রাস্তায় এভাবেই অপরিচিত হয়েই থাকতে চাই।
এরপর সে কুফায় চলে যায়। সেখানেই বসতি স্থাপন করে। এইভাবে কেটে যায় আরও কিছু বছর। একবার কুফা থেকে ওয়াইস আল কারনির গোত্রের এক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি মদিনায় আসেন। তার কাছে ওমর(রাঃ) ওয়াইস আল কারনি কেমন আছেন তা জানতে চান। খলিফা ওয়াইস আল কারনির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করছে দেখে সেই ব্যক্তি খুব অবাক হয়।
সে খালিফা ওমর (রাঃ)কে উদ্দেশ্য করে বলেঃ আমি তাকে দরিদ্রতায় নিমজ্জিত দেখে এসেছি্‌ ,তার ঘরে কোনো আসবাব নেই, কেন আপনি এই ব্যক্তির কথা জিজ্ঞেস করছেন।
ওমর (রাঃ) এই ব্যক্তিকে বললেনঃ যদি তুমি তার দেখা পাও , তাকে বলো তোমার জন্যে দোয়া করতে কারণ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তার কথা বলেছিলেন।
সেই ব্যক্তি কুফায় ফিরে ওয়াইসের সাথে দেখা করে। তাকে বলেঃ ওয়াইস আমার জন্যে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর।
ওয়াইস বললেনঃ তুমি নিজে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। কারণ তুমি মাত্র সফর করে আসলে। আর মুসাফিরের দোয়া আল্লাহ কবুল করেন।
সে বললঃ না, না। আমি চাই তুমি আমার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা কর।
ওয়াইস আল কারনি একটু চুপ থাকলেন তারপর বললেনঃ “তোমার কি ওমরের সাথে দেখা হয়ে ছিল?”
সে বললঃ হ্যাঁ।
ওয়াইস আল কারনি বুঝতে পারলেন কী হয়েছে ব্যাপারটা। তিনি কিছু বললেন না। ঐ ব্যক্তির জন্যে দোয়া করলেন।
এই ঘটনা পুরো কুফায় আগুনের মত ছড়িয়ে পড়ল, সবাই জেনে গেল ওয়াইস আল কারনি সম্পর্কে । নিজেদের আল্লাহর দরবারে মাফ করিয়ে নিতে মানুষজন যখন ওয়াইসের খোঁজে তার বাড়ি গেল, দেখলো বাড়ি খালি পড়ে আছে- ওয়াইস নেই।
নাম, যশ, খ্যাতি সব কিছু দুহাত দিয়ে ছুঁড়ে ফেলে একমাত্র আল্লাহর জন্যে বেঁচেছেন তিনি। তার তাকওয়া, তার মর্যাদা তিনি কারো কাছে প্রকাশ করতে চাননি। একমাত্র আল্লাহর জন্যেই সব করেছেন এবং আল্লাহর কাছ থেকেই ইন শা আল্লাহ তিনি এর বিনিময় পাবেন।
সত্যি ওয়াইস আল কারনি একজন অপরিচিত সেলিব্রিটি। আর আমার আরেকজন সুপারহিরো।
আমার আর এখন হিমু হতে ইচ্ছে করে না। একজন ওয়াইস আল কারণী হতে ইচ্ছে করে। খুব।
আল্লাহ আমাদের সকল কথা এবং কাজকে সঠিক ইখলাসের চাদর দিয়ে ঢেকে দিন। আ-মীন।
0 notes
dailynobobarta · 4 years
Text
আকিব শিকদার এর নির্বাচিত ২৫ কবিতা
New Post has been published on https://is.gd/0re9B0
আকিব শিকদার এর নির্বাচিত ২৫ কবিতা
Tumblr media
রঞ্জু, একটা হাতিয়ার... মিছিলটা হয়েছিলো প্রায় তিনশো গজ লম্বা। টানা পাঁচ দিন খেটেখোটে লোক জড় করেছিলে। বিপক্ষ দলের সামনে ইজ্জত রাখা চাই। গলিটা দখলে নিয়ে সাজালে প্যান্ডেল। ঝাঝালো ভাষণে জনপদ কাপিয়ে স্বার্থক জনসভা। নেতা তোমাকে কাছে ডেকে পরিপাটি চুলগুলো আঙুলে উলোঝুলো করে দিয়ে বললো- “বেটা বাঘের বাচ্চা, তোর মতো কেজো ছেলে আগে দেখিনি, একেবারে বিপ্লবী চে গুয়েভারা”। তুমি বাহবা পেয়ে গলে গেলে রঞ্জু। বুঝলে না, ছোটদের বগলবন্দি রাখতে বড়রা এমন প্রশংসার ফাঁদ প্রায়ই পাতেন। পার্টি অফিসে প্রতিদিন কতো কাজ, কতো পরিকল্পনা। নেতারা তোমায় পিতার মতোই স্নেহ করে। গোলটেবিল বৈঠকে জ্বালাময়ী আলোচনায় রক্ত গরম। বাঁধা এলে অস্ত্র নেবে, প্রয়োজনে প্রাণ দেবে। অফিসের গোপন ঘরে নেতারা গলা ভেজাতে ভেজাতে তোমাদের হাতে বুতল দিয়ে বলে- “নে বাবারা, খা... শুধু খেয়াল রাখবি যেন হুষ ঠিক থাকে”। ভেবে দেখেছোকি রঞ্জু, তাদের ছেলেরা এসব নোংরা জল ছোবার কথা কল্পনাও করতে পাড়ে না। মায়েরা পড়ার টেবিলে গরম দুধে গ্লাস ভরে রাখে। কালো কাচ আটা পাজারু গাড়ি থামলো রাস্তাতে। জানালার কাচ খুলে নেতা হাত বাড়িয়ে দিলেন হাজার টাকার দুটো নোট। বললেন- “রঞ্জু... ঝাপিয়ে পর বাবা, মান সম্মানের বেপার”। তুমি ঝাপিয়ে পরলে পেট্রোল-বোমা আর ককটেল হাতে। দুদিন পর তোমার ঠিকানা হলো সরকারি হাসপাতালের নোংড়া বিছানা। হাত দুটু উড়ে গেছে, দু’পায়ের হাটুঅব্দি ব্যান্ডেজ। একবারও ভাবলে না, তিনি তোমার কেমন বাবা! তার সম্পত্তির ভাগ পাবে? তার কালো কাচের পাজারুটা তোমাকে দেবে? দেবে মখমল বিছানো বেডরোমে ঘুমানোর অনুমতি? তার সম্মান রাখবে তুমি! তার ছেলে বিদেশে পড়ে, নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে; সে তো ঝাপিয়ে পড়ে না! তোমার হোষ কবে হবে রঞ্জু! তুমি ছিলে তাদের স্বার্থের হাতিয়ার, কাটা তোলার কাটা। তোমার মা হাসপাতালে গরাগরি দিয়ে কাদে, বাপ কাদে বাড়ান্দায়। সেই নেতারা, তোমার পাতানো বাবারা, একবারও তো দেখতে এলো না! বলি রঞ্জু, তোমাদের হুশ কবে হবে! অনন্য উপহার মেয়েটা হাতের একটা চুড়ি খুলে বললো- "এই নাও, রাখো। যেদিন তোমার ঘরে বউ হয়ে যাবো, বাসর রাতে পরিয়ে দিও"। ছেলেটা একটা চাবির রিং মেয়েটাকে দিয়ে বললো- "যত্নে রেখো। আমাদের সংসারের সব চাবি এটাতে গেঁথে আঁচলে ঝুলাবে"। একদিন ছেলেটার আবদার- "তোমার একটা ওড়না আমাকে দেবে? মধ্যরাতে বালিশে জড়াবো, আর তোমার বুকে নাক গুজে রেখেছি ভেবে চুমো খাবো"। আরেকদিন মেয়েটা নাছড়বান্দা- "হলুদ পাঞ্জাবিটা তো আর পরো না। আমাকে না হয় দিয়ে দাও, বুকের উপর রেখে ঘুমাবো"। তাদের পাশাপাশি দাড়িয়ে তোলা অন্তরঙ্গ ছবির একটি ছেলেটা তার মানিব্যাগে রেখে দিলো। ভাবটা এমন, যেন উপার্জিত সকল টাকা বউয়ের কাছেই জমা রাখছে। এদিকে মেয়েটা এমনই অসংখ্য ছবি মোঠোফোনে গোপন ফোল্ডারে সেভ করে নাম রাখলো "সুখি সংসার"। কালের আবর্তে কি হলো কে জানে (হয়তো পরিজনেরা মানবে না, নয় তো অন্য কিছু) মেয়েটা একটা আংটি রেপিং পেপারে মুড়িয়ে ছেলেটার হাতে দিয়ে বললো- "যে তোমার বউ হবে, তাকে দিও। বলো আমি দিয়েছি। আর আমাকে কোনদিন ভুলে যেও না"। ছেলেটা সে আংটির বক্স হাতে নিয়ে ছুঁড়ে মারলো নর্দমায়। তারপর দুজন দুজনকে জরিয়ে ধরে বসে রইলো কতক্ষন। দুজনেরই চোখ বেয়ে নামলো নিরব কান্না। তারপর? তারপর যা হবার তাই হলো। প্রকৃত ভালোবাসা কোনদিন মরে যায় না। মেয়েটার বিয়ে হয়ে গেলো অচেনা জনের সাথে। প্রেমিকের দেওয়া চাবির রিংটাতেই সব চাবি আঁচলে বেধে শুরু করলো সংসার। আর ছেলেটা অন্য মেয়েকে বিয়ে করে হাতে পরিয়ে দিলো প্রেমিকার চুড়িটা। ভিনদেশে বিপর্যস্ত মা আমাকে তার মাতৃসুলভ আচরণে স্নেহের হাতে তুলে খাইয়ে দিতে চাইতো, আমি দেইনি সম্মতি কখনো তার বুড়ো আঙুলের নখটা কেমন মড়া ঝিনুকের ফ্যাকসা খোলসের মতো ছিল বলে। শৈশবে স্কুলে পৌঁছবার রাজপথে যেদিন প্রথম দেখেছিলাম শিয়ালের থেতলানো দেহ টানা তিনরাত ঘুমোতে পারিনি দুঃস্বপ্ন দেখার ভয়ে, পারিনি করতে আহার স্বাভাবিক। চোখের সামনে শুধু উঠতো ভেসে বিচ্ছিন্ন মস্তক একটা মরা শিয়াল যার উসকোখুসকো চামড়ায় জমে আছে রক্তের স্তূপ আর তকতকে নীল মাছি। খুব বেশি খুতখুতে স্বভাব ছিল আমার। বাবা একবার আমার গামছা দিয়ে মুছে ছিলেন তার শস্যক্ষেত থেকে ফিরে আসা ঘর্মাক্ত পিঠ, সেই অপরাধে তার চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করে দিয়েছিলাম মূর্খের অপবাদ দিয়ে। এক বিছানায় ঘুমোতে গিয়ে আমার যে ছোটভাইটা গায়ের উপর তুলে দিতো পা আমি এক চড়ে তার কান থেকে রক্ত ঝরিয়ে বুঝিয়েছিলাম ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে যাওয়ার খেসারত। এখন আমার ঘুম আসে না, ঘুম আসে না রাতে ছাড়পোকা আর মশাদের উৎপাতে। উৎকট গন্ধে বন্ধ দম, শৌচাগারের পাশে বিছানায় নেই গা ঢাকা দেবার মতো টুকরো কাপড়। শীতে জুবুথুবু হয়ে যখন কুকড়ে যাই তোকে বড়ো মনে পড়ে, তোকে বড়ো মনে পড়ে ভাইরে। ঘুমঘোরে একটি পা গায়ের উপরে তুলে দিবি না আমায় একটু আরাম উত্তাপ? বল, তুই করবি না ক্ষমা আমায়...? ওরা যখন আমাকে নিয়ে এসেছিল ভিনদেশে বলেছিল কাজ দেবে পাঁচতারা হোটেলে, নিদেনপক্ষে মুদির দোকান তো জুটবেই কপালে। সূর্য ওঠার আগে শাবল ক্ষন্তা আঁকশি হাতে লেগে যাই কাজে, নগরের নর্দমা শোধন এখন আমার কাজ। যে হাতে ধরিনি গরুর দড়ি গোবর চনার গন্ধ লাগবে বলে সে হাত ধরে পঁচা ইদুরের লেজ, পলিথিনে মোড়া মাছি ভনভন করা মাছের পুরনো আঁশ। পরিত্যক্ত আবর্জনা তুলে নিই পিঠের ঝুলিতে। বড়ো অসহায়, বড়ো অসহায় লাগে মা, মনে হয় মরে যাই; না গেলে কাজে নিতান্ত বুভূক্ষু কাটে দিন, পানিটাও এইদেশে কিনে খেতে হয়, টাকা ছাড়া জোটে না কান চুলকানোর কাঠিটি পর্যন্ত একবার, শুধু একবার, মা তোমার গোবর গুলে গৈঠা বানানো হাতে একমুঠো ভাত খাইয়ে দিয়ে যাও। বাবা, ও বাবা, আমার গায়ের সবচেয়ে সুন্দর যে জামাটি তাতে মোছো তোমার ভাত খেয়ে না ধোয়া হাত। তোমার সফেদ দাড়ির ভাজে তরকারির যে ঝোল লেগে থাকে সেই ময়লাটি জিহ্বায় চেটে তুলে নিতে বড়ো ইচ্ছা জাগে আমার। নিনিতা এবং ফেব্রুয়ারির একুশ আমার মেয়ে নিনিতা, কতোই বা তার বয়স হবে কান্ড দেখে তাক লেগে যাই যে কেউ অবাক চেয়ে রবে। ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ- সেই যে সকাল বেলাতে প্রভাতফেরীর গানের সুরে চায় গলাটা মেলাতে। ড্রেসিংটেবিল সামনে রেখে- শহিদমিনার মনে করে নতমস্তক দাঁড়িয়ে থাকে ফুল ছুঁড়ে দেয় শ্রদ্ধাভরে। বুকভরা তার ভাষাপ্রীতি, সেই কথাটাই জানাতে বর্ণমালার আদল একে চায় দেয়ালে টানাতে। তিনটে বছর হয়নি বয়স, কতোই বা সে বোদ্ধা ভাষাশহিদের স্মৃতির প্রতি এতো যে তার শ্রদ্ধা...! দুটানায় দিনযাপন বাবার ক্যান্সার। গলায় ব্যান্ডেজ, ব্যান্ডেজে রক্ত। এগারোটি থেরাপিতে চুল সাফ। চামড়ায় কালো দাগ। বিদেশে নিয়ে ভালো ডাক্তার দেখালে হতো। টাকা কোথায়... বউকে ডেকে জানতে চাই- “কী করতে পাড়ি?” বউ বলে- “যা ভালো মনেহয় করো।” বাবা যখন যন্ত্রণায় কুকিয়ে উঠে, চিংড়ি মাছের মতো দলা পাকিয়ে যায়, বড়ো মায়া হয়। সিদ্ধান্ত নিলাম বাড়িটা বেচে দেবো। কিন্তু, বউ সন্তান নিয়ে থাকবো কোথায়! এদিকে বাবার মৃত্যু যন্ত্রণা, ওদিকে একমাত্র ছেলেকে অকুল সাগরে ফেলা। চিকিৎসার অভাবে বাবা মরলে লোকে বলবে- “কেমন ছেলে! বিনাচিকিৎসায় বাবাকে মারলো।” বাড়ি ভিটা বেচে দিলে কুৎসা রটবে- “কেমন বাপ! সন্তানের কথা ভাবলো না!” অসুস্থ বাপ বাড়ি বিক্রির গুঞ্জন শুনে বলেছিলো- “আমি আর কদিন! তোরা সুখে থাক বাবা, নাতিটার খেয়াল রাখিস।” কার খেয়াল রাখবো, নাতিটার? নাকি অসুস্থ বাবার? ভাবতে ভাবতে কাচের গ্লাসে বেলের শরবতে চামচ নাড়ছিলাম। হাত পা কাপছে, মুখ ঘামছে। শরবতে তিন ফোটা বিষ মিশিয়ে দিয়েছি আমি। তিব্র বিষ, মুখে নিলে মৃত্যু। মনেপড়লো ছোট বেলায় ম্যালেরিয়া জরে সতেরো দিন ছিলাম হাসপাতালে। চিকিৎসার খরচ যোগাতে বাবা তার প্রিয় মোটরসাইকেলটি বেচে দিয়েছিলো। কই.. একবারও তো বিষমাখা চকলেট খাইয়ে মেরে ফেলার কথা ভাবেনি। হাতের চামচ থেমে গেলো। বাবার বানানো বাড়ি ভিটা বেচেই বাবাকে বাচাবো। পরক্ষনে মনেপরলো ছেলের পড়াশোনা, বউয়ের আবদার, সংসারের নানা খরচ। বেলের শরবতে বিষ। না... বাবার হাতে কিছুতেই বিষের গ্লাস ধরিয়ে দিতে পারবো না। বাবা কতো স্নেহে মানুষ করেছে আমাকে। শহরে রেখে শিক্ষিত করেছে, মোটা অঙ্কের ঘুষে চাকরী জুটিয়েছে, তার হাতে তুলে দেবো বিষের গ্লাস! বিষমিশ্রিত শরবত পিরিচে ঢেকে বাবার বিছানার পাশে রেখে চলে গেলাম দুর। যেন কিছুই জানি না, জানতেও চাই না। যেন বাড়ি থেকে পালাতে পারলেই বাচ��, এমনকি পৃথিবী থেকেও... আমার ছেলেটা গিয়েছিলো বাবাকে ঔষধ খাওয়াতে। রুগির পথ্য আপেল কমলা আঙুরের বেশি অংশ নাতিকে সস্নেহে খেতে দিতো বাবা, আজ দিলো শরবত ভরা গ্লাস। নাতি এক চুমুক মুখে নিয়েই মেঝেতে ঢলে পড়লো। তারপর... বাবা বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে, ছেলে মেঝেতে পড়ে আছে নিস্তেজ। কী করবো! হায়... কোন দিকে যাবো আমি...! টাইম ফুল বারান্দার ঝুলন্ত টবে ফুটেছে টাইম ফুল। ঘাসের ডগায় গোলাপ-আকার মেরুন ফুলগুলো সকাল দশটায় ফুটে, চুপিসারে চুপসে দুপুরের প্রথম ভাগেই। এই ফুল আমাদের উঠোনে, ভিটের পাশে যেখানে টিনের চালের পানি ঝরে, সেখানে ফুটতো অনেক। বাবা, তখন সাইকেল হাতে দাড়াতে আঙিনায়। ক্রিংক্রিং বেল বাজিয়ে বলতে- ‘দেড়ি হয়ে গেলো, কৈ-রে..! আয় তারাতাড়ি’। আমি বইপত্র গোছানোতে ব্যাস্ত, আর মা আমার চুলে বাধছেন ঝুটি চিরুনী চালিয়ে- তারপর দুটো ক্লিপ। বাবা তুমি প্রাইমারী মাস্টার, আমি তোমার স্কুলে ছাত্রী চতুর্থ শ্রেনীর। উঠোনের কোন থেকে দুটো ফুল ছিড়ে কানে গুজে ছুটলাম, সাইকেলে উঠলাম। তখন মায়ের গলা- ‘গ্লাসভরা দুধ, খেয়ে তো গেলি না ?’ আমাদের ছাই রঙা গাভীটা দিতো দুধ এক হাড়ি, আর তার বাছুর কে রাখতো পারিপাটি জিহ্বায় চেটে। আহা কী মাতৃত্ব ! মায়েদের কতো মায়া ! যেদিন আমার বিয়ে ঠিক, সবাই খুশি, বিদেশে চাকুরে ছেলে,অঢেল টাকা। মা,তুমি চুপচাপ ছিলে কেনো বলতো...? মেয়ে মানুষের জাত, তাই বুঝি যথার্থ বুঝে ছিলে মেয়েদের মনস্তত্ব। টাইম ফুল সময় ধরে ফুটে,সময় ধরেই ঝরে । আমার যৌবন, মাতৃত্ব, সংসার...! সময় গেলে তো আর হবে না সাধন। তোমাদের মেয়ের জামাই বিয়ের প্রথম মাসে গেলো ভিনদেশে। তিনটি বছর পার, তবু দেশে ফিরবার নাম নেই, সে দেশের গ্রীনকার্ড পেয়ে তবেই ফিরবে, জানি না লাগবে কতো দিন। তুমি তো জানো না মা, জানালার গ্রীল ধরে দাড়িয়ে দুরের আকাশ দেখি। দেখি উড়ে যাওয়া মেঘ, পাখি আর বিমান। বড়ো একা একা লাগে, মানুষের সান্নিধ্যের অভাব কি যে যন্ত্রনার, কী করে বুঝাই...! আমি যেন পৃথিবীর বিলুপ্তপ্রায় সেই প্রানী, বেঁচে আছি একটি মাত্র - একাকী। খুব জাগে সাধ,ফিরে যাই শৈশবে। বাবার সাইকেলে ক্রিংক্রিং। তোমার স্নেহে ঝুটিবাধা চুল, কানে গুজা টাইম ফুল। সোনার চুড়ি, হিড়েকুচি নেকলেস, বিদেশি প্রসাধন যেন আমার হাতের শিকল- যেন আমাকে লোহার খাচায় যাপটে ধরে,অজগর হয়ে খেতে চায় গিলে। এমন জীবন আমি চাইনি বাবা,এমন জীবন আমি চাইনি তো মা, এমন জীবন আমি চাই না ইশ্বর। চাকরী সমাচার চাকরী চাই। পিয়ন হবার জন্য পনেরো লাখ। ঘুষে হোক, তবু সরকারি চাকরী। একবার জুটে গেলে ফাঁকিতে ঝাপিতে জীবন পার। আমি জানি, সরকারি চাকরী মানে একজন স্ত্রীর একটাই স্বামী। মাস ফুরালে বেতন, সঙ্গম শেষে যেমন আদর আদর আর আদর। আমি জানি, বেসরকারি চাকরী মানে একজন বেশ্যার অনেকগুলো নাগর; রাতভর বলাৎকারের পর গায়ে মুখে ছুড়ে মারবে কয়টি টাকার নোট। আমি জানি, আত্মকর্মসংস্থান মানে ধর্ণাঢ্য সমাজপতির আদুরে কন্যা। যাকে বাটে ফেলতে লোকেরা তেল মেখে দাড়করিয়ে রেখেছে গোপনাঙ্গ; নিস্ফল আশায়। “কী করো তুমি? সফ্টওয়ার বিজনেস! ওহ... তুমি বুঝি চাকরী পাওনি?” “কী পেশা তোমার? ফ্রিলেন্স ওয়ার্ক! একটা চাকরী জুটিয়ে নিলে ভালো হতো।” “তুমি নাকি সিনেমা বানাও? তোমার নাকি গরু মোটা-তাজাকরণ প্রজেক্ট? হাস-মুরগির খামার? এসব ফেলে চাকরী খোঁজো বেটা। না হলে কেউ মেয়ে দেবে না।” -এই আমাদের সমাজ। বনরাজ সিংহের মুক্তজীবন নয়, এ জাতি পনেরো লাখের বিনিময়ে সোনার শিকল কিনে পোষা কুকুরের মতো গলাতে ঝুলাবে আর অনুগ্রহের আশায় মালিকের মুখে তাকাবে। ধনী বাপের আদুরে কন্যা না হয়ে পুরুষের একমাত্র বউ হওয়াতেই যেন সব আগ্রহ। হায় রে হুজুগে মাতাল জাতি, হায় রে আরামপ্রিয় ফাঁকিবাজ। প্রতীক্ষিতের ফরিয়াদ করিডোরে দাঁড়িয়ে ছিলাম, এমন করে তুমি আসবে ভাবিনি কখনো। তোমার কথা খুব মনে পড়তো। পড়বে না...! আমার পেটে যে তোমার সন্তান। আমি তার মাঝে অনুভবে তোমার স্পর্শ পাই। অনাগত, তবে অচিরেই পৃথিবীর মুখ দেখবে। তোমার খুব জানতে শখ ছিল, উদরগহীনে শিশু কেমনে নড়েচড়ে ওঠে। সে কি হাত পা ছোড়ে এদিক ওদিক, সে কি মাকে মা ডাকতে পারে, সে কি তোমাকে বাবা বাবা ডাকে, কী কৌতূহল তোমার। পেটের মাঝে কান পেতে রইলে আধাঘন্টা, কোন ফল পেলে না। না মা ডাক, না বাবা ডাক, না কোন কান্না-হাসি। আমি শুধু হাসলাম তোমার পাগলামি দেখে আর কুকড়ে গেলাম সুরসুরি পেয়ে। নাভীর উপর চুলের ঘষা, সুরসুরি লাগবে না তো কী...! তুমি কোনদিন বাবা ডাক শুনতে পাবে না; কী দুর্ভাগা তুমি। এমন করে তুমি আসবে ভাবিনি কখনো। সীমান্ত প্রহরীদের ছুটি মেলে না সহজে, তাই আমার মতো স্ত্রী-গণ চিরপ্রতীক্ষার পাত্র। ছুটি নেই বলে হানিমুনটাও করা হয়নি। তুমি বলতে পেনশন পেয়ে তবে যাবে হানিমুনে, সাথে থাকবে নাতি নাতকর। কখনো সখনো ফোনে কথা হলে বলতে তুমি ফোনটা যেন একবার ঠেকাই পেটে, অগ্রীম বাবা ডাক শোনা চাই তোমার; কী পাগলটাই না ছিলে তুমি। করিডোরে দাঁড়িয়ে ছিলাম, এমন করে তুমি আসবে ভাবিনি কখনো। গাড়ি এসে থেমেছিল রাস্তার শেষ সীমানায়, একটা কফিন নেমে এল ক’জনের কাধে ভর করে। বাংলাদেশের পতাকা মোড়ানো তোমার লাশ। গুলিটা তোমার কোথায় লেগেছিল- ফুসফুসে, কলিজায়, নাকি হৃদপিন্ডে? নিশ্বাস যখন বন্ধ হয়ে এল, অন্ধ হয়ে এল পৃৃথিবীর আলো আমার কথা তোমার কি মনে পড়ছিল, কিংবা আমার উদরপুষ্ট শিশুটির কথা? জলে ডোবা মানুষের মুহূর্তে বিস্মৃতি স্মরণের মতো। তোমার অনাগত সন্তান বাবা ডাকবে কাকে? কে শুনবে তার বাবা বাবা ডাক? পিতৃছায়াহীন বেঁচে থাকা কী যে বেদনার। কোনোদিন আর ভুল হবে না কোনোদিন আর ভুল হবে না, আপনি বলতে ঠোঁটের ডগায় আর তুমি বলা এসে যাবে না। এই কান ধরে বলছি গো, মাথা ছুঁয়ে বলছি- আপনার পথের দিকে আর চেয়ে থাকা হবে না। আর কোনোদিন আমি তাকাবো না আড়চোখে, আপনি যতই পরে আসুন নতুন শাড়ি। কপালের টিপ যদি ভুল করে অস্থানে হয়ে যায় ইশারায় আর আমি দেখাবো না... আপনি বলতে ঠোঁটের ডগায় আর তুমি বলা এসে যাবে না; কোনোদিন আর ভুল হবে না। আপনি যদি আমাকে রেখেই চলে যান চুপিচুপি, চলে যান কবিতা পাঠের আসর ছেড়ে। এই মাটি খেয়ে বলছি গো, কিড়া কেটে বলছি- আর রাগ করে আমি মুখ ফোলাব না... আপনি বলতে ঠোঁটের ডগায় আর তুমি বলা এসে যাবে না; কোনোদিন আর ভুল হবে না। আমি তো কারো টাকাতে কেনা গোলাম নই, নিজেকে দেইনি বেচে অন্যের হাতে। কেন আপনারে ভেবে বৃথা হই উচাটন- এই মন আর কারো মনোমত চলবে না... আপনি বলতে ঠোঁটের ডগায় আর তুমি বলা এসে যাবে না; কোনোদিন আর ভুল হবে না। চোখ তেড়া মহাত্মা গান্ধী করেছিলেন তেরোবছর বয়সে, শেখ মুজিবকেও আঠারোতে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়। আর রবিঠাকুর...? সে যুগের সবাই কমবেশি মুকুল ধরতে না ধরতেই বয়সী বকুল। দাদারা ভারি কাচের চশমায় পড়তেন সংবাদপত্র। কোথাও ধর্ষণ নেই, শব্দটা অভিধানে ছিল না নাকি...! বউকে কুপিয়ে তিনারা এতটাই ঘেমে যেতেন যে ধর্ষণ করার সুযোগই জুটেনি ঘর্মাক্ত কপালে। গোলাম সারওয়ার, এ যুগের বিচক্ষণ সম্পাদক, অনিচ্ছা সত্ত্বেও লাল কালির শিরোনামে ছাপা হয় একটি মেয়ের শ্লীলতাহরণ তার দৈনিকে প্রায় প্রতিদিন। উনত্রিশে আমাদের লেখাপড়ায় ইতি, ত্রিশে চাকরির সন্ধানে জুতো ক্ষয় তেত্রিশে বিবাহ বন্ধন- এই বিশাল সময়ের কাঁনাচে কদাচিৎ ধর্ষণ অস্বাভাবিক কিছু তো নয়। ভুলে গেলে চলবে না, সে যুগের তিনাদের মতো নাভীর নিচের পশম এ যুগেও তেরো চৌদ্দতেই গজায়। সংবাদপত্র হাতে নিয়ে চায়ের কাপে ঠোঁট ডুবিয়ে সহকর্মীর দিকে চোখ তেড়া করেন সরকারি কাচারির দ্বিতীয় শ্রেণির চাকুরে নিরঞ্জন- “বুঝলেন দিদি আমি কি বলি, বাল্যবিবাহের মূল উৎপাটন করতে গেলে বেড়ে যেতেই পারে ধর্ষণ।” রিকশাতে একদিন রিকশাতে একটা মেয়ে একটা ছেলের কাঁধে মাথা রেখে ছেলেটাকে জড়িয়ে ধরে বসেছিল। আর ছেলেটা মেয়েটার চুল-ওড়া কপালে চুমু খেতে খেতে নরম শরীরে শরীর ঘষছিল। রিকশাটা চলে গেল আমারই চোখের সম্মুখ মাড়িয়ে। মুহূর্তে আমি যেন তলিয়ে গেলাম, পুরাতন স্মৃতির আড়ালে গেলাম হারিয়ে। মনে পড়ে তার মুখ তার চোখ, যাকে আমি প্রাণপণ বেসেছি ভালো- আহা, সেই কবেকার কথা- এমন মধুর দিন আমারও তো ছিল। রিকশাতে একটা মেয়ে একটা ছেলের কাঁধে মাথা রেখ ছেলেটাকে জড়িয়ে ধরে বসেছিল। গোপনে বিপন্ন সোনার পিঞ্জিরা রেখে উড়ে যায় পোষা পাখি সোনার কী দাম আহা রইল তবে ঘরের বধূই যদি গেল চলে পৃথিবী ছেড়ে রুপালি খাটটি না হয় পড়ে থাক নীরবে। মেঘ কেন মিশে যায় গহিন নীলিমায় হাসে না হাসনাহেনা বিপন্ন বাগানে জাল ছেঁড়া মাছ দেখায় লেজের দাপট চলে গেল যে তার লাগি মন কাঁদে গোপনে। সে যদি গেলই চলে একাকী নিস্বর্গে আমার থরোথরো বুকে কে ঘুমাবে খোঁপা খুলে এতই যদি রবে অটুট তার অভিমান- আমার চুরুটের ধুঁয়া প্রজাপতি হবে কার চুলে!! নির্যাতনের মতো স্নেহ মায়ের কিছু আচরণ মারাত্মক পীড়া দিতো আমায়। আমি এর নাম রেখেছিলাম নির্যাতনের মতো স্নেহ। ধরা যাক, বন্ধুবান্ধবে আড্ডা। ফোনে যন্ত্রণার ঝড় তুলে মা জানতে চায়- শরীরটা ভালো কি না? খেয়েছি কি না সসময়ে? বাড়িতে নিজ হাতে খাওয়াতো; আমার মোটেই লাগতো না ভালো। অনার্স পড়ুয়া ছেলে মায়ের হাতে ভাত খাচ্ছে- কী লজ্জা! গোসলখানার দরজায় ঠক-ঠক। তোয়ালেতে সাবান মেখে উপস্থিত মা। পিঠে কালি-ময়লার চর, ঘষেমেজে তুলবে যখন, আমি সুরসুরি পেয়ে দলাই-মলাই। হঠাৎ যদি অসুখ বাঁধতো, যেমন সামান্য জ্বর, মা রাতজেগে ছেলের মাথায় ঢালতেন জল। ভেজা কাপড়ে জুড়াতেন কপালের উত্তাপ। তার চোখভরা অশ্রু দেখে রাগে তো আমার দাঁত কটমট। কোথাও যাবার বেলায় মা উঠোন পেরিয়ে রাস্তা অব্দি আসতো। ক্ষণে ক্ষণে বলতো- ‘সাবধানে থাকিস’। আঁচলের গিঁট খুলে হাতে দিতো তুলে খুচরো পয়সা কিছু- পথে পড়বে প্রয়োজন। রিক্সাতে উঠে মায়ের উদ্বেগী মুখটায় তাকাতেই খুব কষ্টে জমতো কান্না চোখের কোণায়। মাঝে মাঝে নিঃশব্দে চলে আসতাম। তার এক বদভ্যাস, যাত্রাকালে স্রষ্টার নামে আমার কপালে দেবে অন্তত তিনটি ফুঁ... এতে নাকি বিপদের ছায়া কাটে, কুগ্রহের কালগ্রাস থেকে বাঁচবো আমি। ওসবে বিন্দুমাত্র ছিলো না বিশ্বাস, তবু একদিন বেজেউঠা ফোন রিসিভ করতেই শশ্বব্যস্ত মায়ের গলা- ‘রিক্সাটা থামা বাবা, তোর মাথায় তো ফুঁ দেওয়া হয়নি’। আবদার রাখতে প্রথম বাসটা মিস, দ্বিতীয়টায় চড়ে বসলাম। বাস ছুটছিল বাতাস কাটা বেগে; আচমকা কড়া ব্রেকের ঝাঁকুনিতে যাত্রিরা থতোমতো। বাইরে ভীর, শহরগামী প্রথম গাড়িটা পড়ে আছে ব্রিজের নিচে, আর প্রায় সব কয় যাত্রীই নিহত। আহা... এতোক্ষণে হয়ে যেতাম ওপারের বাসিন্দা। মায়ের মৃত্যুর পর আজই প্রথম বাড়ি ছেড়ে বেরিয়েছি। এতোবার পিছু তাকালাম, মায়ের মুখটা দেখতে পেলাম না; বড়ো উদ্বিগ্ন চিন্তাশঙ্কুল সেই মুখ কোনদিন দেখা হবে না এই পৃথিবীতে। মা... মা গো... তোমার সন্তানের ওপর থেকে সকল বিপদের ছায়া, কুচক্রির কুনজর কি কেটে গেছে...! একটি বার কেনো আসো না তবে দিতে মঙ্গল ফুঁ...! কেন পিছু ডেকে বলো না- ‘এই নে খুচরো কয়টা টাকা, পথে কিছু কিনে খাস’। ব্যর্থ ডুবুরী চেয়েছিলাম একটি বেগুনী ফুল, তুমি এনে দিলে ঝুলবারান্দায় ঝুলিয়ে রাখার মতো দুটো অর্কিড-চারা নারকেলের খয়েরী মালায়। সকাল বিকাল আমি জল ঢালি খুব যতনে- আর তুমি অফিসে যাবার আগে একবার পাতায় পাতায় বুলিয়ে যাও হাত, ফিরে এসে আবার ধরো। যেন পিতা তার চঞ্চল কন্যার ববকাট চুলে স্নেহের আঙুল চালায়। যেদিন ফুটলো প্রথম ফুল তুমিই খুশি হলে সবচেয়ে বেশি। আমাকে একেবারে কোলবালিশের মতো আড়কোলে তোলে কপালে খেলে খপাৎ খপাৎ চুমু, আর বার বার তাকালে হালকা হাওয়ায় কাঁপা প্রজাপতির পাখার মতো ছিটছিট অর্কিড পাপড়িগুলোর দিকে। আমি তো জানি কতো যে ভালো তুমি বাসো আমায়। তাই আমার একাকীত্ব কাটিয়ে দিতে দিলে উপহার খরগোশ একজোড়া, একটি ধবধবে সাদা অন্যটি সাদায় কালোয় মিশ্রিত যাদের লালন করি আমি আপন শিশুর মতো গালে গাল মিশিয়ে- যেন আমিই তাদের মা। মুখে তুলে দেই কতো চাকচাক করে কাটা গাজরের ফালি, বাধাকপির কচি সবুজ পাতা। আমার কোন আবদার রাখোনি অপূর্ণ তুমি। আমিই কেবল পারিনি... মনে কি পড়ে... চেয়েছিলাম পদ্মার ইলিশ-সর্ষে ভাজি? তুমি আমাকেই নিয়ে গেলে পদ্মায় জোয়ারের বেলা জেলেদের নৌকায় উঠে নিজের হাতে ধরলে ইলিশ। যে ইলিশ ভেজেছি পহেলা বৈশাখে উত্তপ্ত উনুনের পাশে দাঁড়িয়ে আর আঁচলে মুছেছি গলার ভাঁজে জমা রূপালি মালার মতো ঘাম। তখন তুমি কোমর জড়িয়ে ধরে কামড়ে দিলে কান, আর হাতের আঙুলে এক চিমটি সর্ষে ইলিশ মুখে নিয়ে বললে- ‘বড়ো মধুর হয়েছে আমার রাধুনীর রান্না।’-মনে কি পড়ে? মনে কি পড়ে? অথচ আমি বারোটি বছর ধরে তোমাকে প্রতিদান কিছু দেবো বলে কতো যে চাই- যেমন একটি সন্তান, তবু পারি না দিতে। হাজার হাজার মাইল সাঁতরে এসে আমি যেন অতলান্তিক সমুদ্রপুরী থেকে শূন্য হাতে উঠে আসা ব্যর্থ ডুবুরী কোন। তুমি যখন আমাকে খুব খুব খুব বেশি ভালোবাসো... ব্যর্থতার গ্লানী আর অপারগ অপরাধের ভার বুকে নিয়ে গলায় কলস বেধে ডুবে মরতে ইচ্ছে করে আমার। অফিসে যাবার বেলায় আমি আর বাবা হাতে পায়ে লোশন মালিশকালে পড়লো মনে বাবা তো এ বস্তু মাখেনি কখনো গায়ে...! নাকে মুখে ছাকা ছাকা সরিষার তেল মেখে বলতেন- ‘খাঁটি জিনিস, বড়ো উপকারী, চোখে ধরলে আরও ভালো’ সে যুগের মানুষ ছিলেন কি না এ যুগের কি বুঝবেন...! অথচ লোশন তখনো দোকানে পাওয়া যেতো ঠিকই। জেল মাখা চুলগুলো পরিপাটি আঁচড়াতে গিয়ে দেখি আগেকার আয়নাটা ছিলো না তো এতো বড় আর এতো মসৃণ...! ছিলো একফালি ভাঙা কাঁচ, তাতেও আবার প্রতিবিম্ব বিকৃত। বাবার মাথায় শুষ্ক চুল, চিরুণীর দাঁত কটা বিলীন, নতুন যোগানোর নেই আয়োজন- টানাপোড়নে এমনি সাদামাটা বেঁচে থাকা। রিক্সাতে উঠে যাই অনায়াসে, শুধাই না ভাড়া বাবা ঠিকই চড়তেন দাম দড় কষে, যেন যাত্রা শেষে ধূর্ত চালক না পারে খসাতে একটি টাকাও বেশি। কিংবা রাজ্যের পথ পায়ে হেঁটেই দিতেন পাড়ি, তবু পকেটের টাকা পকেটেই থেকে যাক- এই যেন পণ। সেন্টের ঘ্রাণমাখা জামা, সিগারেট ফুকে ফুকে চলি পথের ভিখারি যেই চায় দুটো পয়সা হাত বাড়িয়ে অমনি দিলাম রাম ধমক, অকথ্য গালাজ তো আছেই। বাবা তাকে ফেরাতেন খালি হাতে তবু ধমকটা দিতেন না; আর তার কাছে সিগারেট ফুকা মানে অকাতরে অর্থ ওড়ানো। অল্প আয়ের লোক- বাউন্ডুলে তোড়জোড় তাকে কি মানায়...? অফিসে ঢুকেই দেখি বেশুমার মক্কেল প্রতীক্ষা গুণে, চেয়ার টেনে বসতেই টেবিলের আবডালে চলে আসে টাকা। ঘুষ বললে মন্দ শোনায়, বাঁ হাতের কারসাজি ডাকি আমি এ-কে। এমন সুপটুতা ছিলো দুষ্কর বাবার পক্ষে অতি ভীতু ব্যক্তির দ্বারা হবে কেন এ তো নির্ভীক সওদা...! হয়তো তিনি বলতেন- ‘এ কাজ করার আগে মরণ দিও প্রভু, তবু ঘুষ নয়।’ বাবাটার লাগি বড়ো মায়া হয়, জীবনটা তার কোনদিন উপভোগ করা হলো না। সে যুগের মানুষ ছিলেন কি না এ যুগের কি বুঝবেন...! প্রথম পরিচয় সেলিম ভাই, আপনার জন্য আমার ধাঁধাঁ, আচ্ছা বলুন তো... আমাদের প্রথম দেখাটা কখন কোথায় হয়েছিল? মুখ কাচুমাচু করার কিছু নেই, জবাব আমিই বলি- এগারোতম ছড়া উৎসবে আপনার হাতে মাউথপিস, আমার হাতে একটা চিক্কন কাগজ, হিজিবিজি কাটাকাটি সমেত কী সব লিখা। আপনার মাথার গেরুয়া হ্যাটটা বাঁ হাতে ঠিক করে নিয়ে বললেন,- ‘এবার স্বরচিত কবিতা পাঠ করতে আসছে...’ হ্যাঁ, প্রথম একবার আটকে গিয়েছিলেন, তারপর ভুলের মতোই শুনালেন সবাইকে আমার নাম। আমি তখনও অর্বাচীন এক আঁতেল- কবিতাপত্র হাতে ঠকঠক কাঁপছি এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাঁশিতে সাফ করছি গলা। সামনে অজস্র শ্রোতা, আমি কবিতা পাঠ শুরু করলাম। কেউ কান চুলকায়, কেউ হাত চুলকায়, কেউ মাথার চুলে আঙুল বোলাতে বোলাতে পায়ের জুতা ঠিক করে। আবার কেউ কেউ ভ্রুয়ের পাশে রাজ্যের যন্ত্রণা নিয়ে কুচকানো কপালে ত���কিয়ে থাকে আমার দিকে, তাকিয়ে থাকতে হবে- তাই হয়তো তাকিয়ে থাকা। মনে মনে ভাবি, কবিতা নির্বাচনে ভুল করলাম না তো...! প্রেমের কবিতা হলে ভালো হতো, কিংবা হাসির ছড়া। চোখ বন্ধ করে কাঠের পুতুলের মতো অনড় বসে শুনতো সবাই এক্কেবারে প্রত্নযুগের কালো পাথরের মূর্তি যেমন; তারপর হাসতে হাসতে পড়তো গড়িয়ে এদিক ওদিক। আমার যে প্রেমিকা, আমি যার বাড়ির পথে যাবার বেলায় খোলা জানালায় কমসে কম তিনবার চোখ রাখি, তাকে উদ্দেশ্য করে দাঁত কটমটিয়ে বললাম-‘অন্তত তুমি তোমার ওড়না ধরে টানাটানি বন্ধ করো, অনুরোধ করি, আমার প্রতিভাকে মাঠে মরতে দিও না। আমার অপমান তো তোমারও অপমান।’ একজোড়া জালালী কবুতর হাততালি দেওয়ার মতো শব্দে উড়ে গেল হলরুমের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে, কারও দৃষ্টি গেলো না সে দিকে। একটা শিশু দেয়ালের লেজকাটা টিকটিকিটাকে তাড়া করতে গিয়ে ছুঁড়ে মারলো হাতের বাঁশি, সেদিকে দিলো না মনোযোগ কেউ। ছোট বেলায় চোখে কাঁচপোকা পরে যেমন জল ঝরছিল তেমনি টলমল করে উঠলো আমার চোখ। সবার দৃষ্টি এবার আমার দিকে, শুধুই আমার দিকে... আমি সেলাই কলের নিরবিচ্ছিন্ন ঘূর্ণয়মান চাকার মতো মাইক ফাটিয়ে অনর্গল বলে গেলাম- ‘হে মাটি... হে স্বদেশ... হে মায়ের অশ্রুসিক্ত পিতার কবর, ওগো পূর্বপুরুষের গলিত লাশে উর্বর পুণ্যভূমি। যতক্ষণ হৃৎপিণ্ডে রক্ত আছে, যতক্ষণ ঘাড়ের উপর মাথাটি দণ্ডায়মান কসম তোমার- যে লুটেরা লুটে নেয় তোমার সুখ, যে কুলাঙ্গার চেটে খায় তোমর সম্ভ্রম, তোমার দুর্দিনে যে দুর্বৃত্ত বগল বাজিয়ে হাসে তোষামোদি হাসি বিরুদ্ধে তার রুখে দাঁড়াতে গিয়ে মরণ যদিও আসে- লড়ে যাবো, লড়ে যাবো, লড়ে যাবো।’ সেলিম ভাই, সেদিনই আপনার সাথে আমার প্রথম পরিচয়। পরিণতি মা। যখন সন্তানের মুখে স্তন গুজার কথা, দোলনায় দোল তুলে ঘুমপাড়ানিয়া গান শোনাবার কথা দাসির হাতে দুধের বোতল দিয়ে মজেছো টিভি নাটকে, সিনেমায়। বাবা। যখন সন্তান নিয়ে দৌড়-ঝাপ, লুকোচুরি, ফুটবল এটা ওটা খেলাচ্ছলে কোলে তুলে চুমু বিলাবার কথা পোষা কুকুরের শিকল ধরে ঘুরছো পার্কে-ময়দানে, ভালোবেসে পিঠের লোমে বুলাচ্ছো হাত। শিশুটা কাঁদছে একাকিত্বের যন্ত্রণায়, জানালার গ্রীলে ঠুকছে কপাল। অথচ তোমরা বন্ধুবান্ধব আর প্রিয় খুনসুটিতে কাটাচ্ছো দিন-রাত, ছেলেকে রেখে অবহেলায়। তোমাদের সন্তান ঘরের দেয়ালে একটি দুটি অক্ষর নচেৎ ফুল-পাতা-চিত্র এঁকে দাড়িয়েছে কুড়াতে প্রশংসা। ভ্রুয়ের পাশে যন্ত্রণা এনে ভেবেছো- ধুর ছাই... কেন এই জঞ্জাল পোষা! ঢের ভালো নিঃসন্তান জীবনটা উপভোগ। অথবা তাকে শিশু-সেবাকেন্দ্রে দেবে নির্বাসন আগামী মাসেই। হুম... তোমাদেরকেই বলছি... শোন হে জননী এবং জনক তোমাদের দুর্দিনে, ধরো... প্রবীণ বয়সে হাতের লাঠি অথবা চশমা যদি হাত ফসকে নাক উপচে পড়ে যায়, আসবে না কেউ ছুটে পুনরায় তুলে দিতে। ছেলেটা পাশের ঘরে বউ নিয়ে মাতবে হাসি-তামাসায়! তোমরা একা অন্ধকারে শক্তিহীন সন্ধ্যাবাতি জ্বালাবার। পিঞ্জিরায় কাঠবিড়ালী, তাকে সময় সময় খাবার দিতে ভুলবে না পুত্রবধু। অথচ শ্বশুড়-শ্বাশুড়ীকে অষুধ সেবনে প্রায়ই হবে ভুল। আর যদি বড়ো বেশি বোঝা হয়ে ওঠো তোমাদের আশ্রয় হবে বৃদ্ধাশ্রম, শুধু বৃদ্ধাশ্রম। হরতালে ঠক্ ঠক্ ঠক্ ঠক্-ঠক্-ঠক্- ‘আপনার ঘর করবো তালাশ, আছে নাকি কোন আগ্নেয়াস্ত্র আলমারির আবডালে?’ ঠক-ঠক-ঠক- ‘দরজা খুলুন, আমরা পুলিশ, সরকারি লোক।’ পুলিশের জীপ নিঃশব্দে ছুটছে- আলিগলি, রাজপথ, দোকান-পাট, পার্ক, রেস্তোরাঁ ও বস্তি পাড়ায়। এক রাতে জীপ থামলো আমাদের ছাত্রাবাসে। পাশের ঘরে দরজায় ঠক্-ঠক্-ঠক্, ঠক্-ঠক্-ঠক ্। ভেতর থেকে আওয়াজ- ‘কে রে শালা, মাঝরাতে এলি ঘুম ভাঙতে...?’ পুনরায় একটু জোরে- ঠক্-ঠক্-ঠক্ । দরজা খুলে দাঁড়ালো গৌতম। হাত পা কাঁপছে, মুখ শব্দহীন, সে কিংকর্তব্যবিমূঢ়। তিনজন পুলিশ। একজন বললো- ‘শালাকে জীপে তোল, বড় বদমাশ।’ ‘স্যার, আমি জামাত-শিবির নই, জাত হিন্দু।’ ‘কী প্রমাণ তার, প্যান্ট খোল প্যান্ট খোল ব্যাটা- চেক করি ঠিকঠাক্।’ ভয়ে গৌতমের পেচ্ছাব ছুটবার অবস্থা, অণ্ডকোষ চিমসে তলপেটে মিশেছে। ঘর তালাশ শেষে মিললো রাধাকৃষ্ণের ছবি, দেবী দূর্গার মূর্তি। বেঁচে গেলো সে। এবার রাজুদের দরজায় বন্দুকের বাটের সজোরে আঘাত। দরজা খুলতে বাধ্য ভেতরের দু’জন। নেই জামাতি-শিবিরি প্রমাণ, ঘরে নেই ককটেল-পাটকেল তবু হাতকড়া দুজনের হাতে। দরজা খুলতে দেরিটাই অপরাধ...! জানালায় চুপিচুপি দাঁড়িয়ে দেখছি সব। আমি নিরাপদ। বাইরে লাগিয়ে তালা গ্রিলভাঙা জানালাটা টপকে ঘরেতে ঘুমাই। পুলিশ ভাববে নেই কেউ। বাইরে ঝুলছে তালা, তাই দরজায় বাজবে না ঠক্-ঠক্-ঠক্। ঘটনা কী ঘটছে, কৌতুহলে উঁকি দিলো রমজান। দুইজন পুলিশ ঢুকলো তার কামড়ায়। টেবিলে কুরান, নবীজির জীবনী, অজস্র ইসলামী বই আর টুপি। বিছানায় ভাঁজ করা জায়নামাজ। ‘শালা নিশ্চিত শিবির, দাঁড়ি দেখলেই যায় বুঝা’- একটা পুলিশ বললো এবং জাপটে ধরলো তাকে। ছেলেটা কেঁদেকেটে বলেছিলো- ‘আমি জামাত-শিবির নই, নেই নিষিদ্ধ দলের সাথে যোগাযোগ। পাঁচওয়াক্ত নামাজ পড়ি শুধু।’ আরও দুটো রুম সার্চ। একজন আটক। তার মুঠোফোন ঘেটেঘুটে পুলিশ পেয়েছে উলঙ্গ নারীর ছবি নগ্ন ভিডিও। বেকসুর খালাস। এমন ভিডিও যারা দেখে তারা জামাত-শিবির হতে পারে না। একজন ছাড়া পেলো পকেটে প্যাকেট ভরা সিগারেট ছিল বলে। ইসলামে ধুমপান নিষেধ। অতএব তিনি হেফাজতে ইসলাম নন, পুলিশের জীপ তাকে করবে না বহন । ঠক্-ঠক্-ঠক্... কাল হরতাল। তাই এই ধর-পাকড়, যাতে শান্ত থাকে দেশ; ককটেল-পাটকেল না ফাটে পথে। অপার্থিব ফলে ফরমালিন, মাছের কানকো পঁচা, চালে কাঙ্কর। দোকানিকে বৃথা বকে-ঝকে মুখে তুলছো ফেনা, বুঝোই না তোমার কৃতকর্মই তোমায় ঠকে যেতে বাধ্য করেছে। সুদখোর, মিথ্যাবাদী, ফন্দিবাজ, আমানতের খিয়ানতকারীদের বিধাতা করেন বঞ্চিত সমস্ত নিয়ামত থেকে। ব্যাংকে অসৎ টাকা ক্রমানুপাতিক বাড়ছে, যেন বন্য শুকর মাস মাস সন্তান প্রসবরত। অফিসের ফাইল আটকিয়ে খোঁজ বখশিশ, শিকার সন্ধানী ধূর্ত শিয়াল; তুমি ঘুষখোর নও...! বন্ধুরা টাকা ধার নিলে মহামান্য আবু বকর উঁচু গলায় বাগারম্বর তো নয়, করতেন অপরাধির মতন বিনম্র আচরণ। অতিরিক্ত আদায় দূরে থাক, বৃষ্টির রাতেও ঋণগ্রস্থ বন্ধুর বারান্দায় নিতেন না আশ্রয়, যদি সুদ বিবেচ্য হয়। প্রতিবেশি যথাসময় ঋণ শুধতে না পারায় তুমি পথে পেয়ে করো অপদস্ত। তিরিক্ষি মেজাজ জুড়াতে সে করে আপ্যায়ন । চায়ের কাপে বিস্কুট চুবিয়ে পা নাচাও আয়েশী ভঙ্গিমায়; লজ্জা করে না...! খলিফা ওমর কাচারিতে ব্যস্ত। এক রাতে এলো অতিথি এক। নিভিয়ে দোয়াত আঁধারে বসেই ওমর কথা বলছিলেন আগন্তুুকের সাথে। ব্যক্তিগত ব্যাপারে সরকারি তেল ক্ষয় সমীচীন নয়, কী সাংঘাতিক সৎ মানসিকতা...! তুমি স্কুলগামী সন্তানকে ঘরে ফেরাতে, শ্বাশুড়ীকে হাসপাতাল নিতে পাঠিয়ে দাও অফিসের চৌচাকা, যার কাজ শুধু তোমাকে বহন। অফিসের টেলিফোনে করো পারিবারিক বাৎচিত, বুঝোই না এ যে অন্যায়...! তোমার সন্তান নষ্টের দখলে যাবে। অতি আধুনিক কন্যা অশালীন পোশাকে বন্ধুর হাত ধরে পালাবে, ফিরবে না কোনদিন। ছেলেটা মদের বোতল হাতে আসবে তেড়ে বুনো মহিষের মতো তোমাকেই গুতিয়ে মারতে। সুন্দরী বধূ পরকিয়ায় মেতে নাইট ক্লাবে কাটিয়ে আসবে রাত। তোমার শ্রমে ঘামে গড়া অট্টালিকায় ধরবে ফাটল। যখন মৃত্যুদূত দাঁড়াবে দুয়ারে, এই ধন, এইসব আত্মীয়-স্বজন মুহুর্তে ফেরাবে মুখ। মৃত মানুষের শূন্য মুষ্ঠিবদ্ধ হাতে কেউ দেয় না গুঁজে পার্থিব সম্পদ। বউ বন্দনা পৃথিবীতে বিদুষী কিছু নারী কখনো কখনো পারে বুঝে নিতে মুহূর্তে পড়ে নিতে, স্মিতহেসে জয় করে নিতে পুরুষের মন ঘরেই আমার আছে তেমনি একজন, ভুবন মোহন। প্রচন্ড বৃষ্টিতে মধ্যদুপুর, চুলোর ওপর শর্ষে-ইলিশ লক্ষ্মী ঘরণী আমার ঘেমে ঘেমে রাঁধছো। দেখেই হারাই দিশা পৃথিবীর সমস্ত প্রশান্তি যেন আমারই ঘরে বেধেছে বাসা, ভালোবাসা। রিকশাতে যেতে যেতে হঠাৎ যখন মসজিদে পড়ে আসরের আজান তাড়াহুড়ো করে তুমি তুলো মাথায় কাপড়, ঘোমটাতে ঢাকো মুখ তখন আমার অন্তরজুড়ে স্বর্গীয় সুখ, অজানা সে সুখ। মধ্যরাতের ঘরে সুবাসী সুরভী গায়ে মেখে, টানা চোখে কাজল এঁকে যখন দাঁড়াও শরীর ঘেঁষে। মনে হয় সমস্ত আলো নিভাই ফুৎকারে শুধু কাচের চুড়ি বাজুক নদীর স্রোতের সুরে, নিস্তব্ধ অন্ধকারে। সেই যে পয়লা বৈশাখে দিয়েছিলে কিনে পাঞ্জাবি আকারে একটু বড় আমি কি ঘুরিনি বলো তোমার সাথে সেই ঢিলেঢালা পাঞ্জাবি পরে আঙুলে আঙুল জড়িয়ে হাসিমুখে সারা দিন ধরে, মনে কি পড়ে? ঈদের নামাজ শেষে ফিরেছি ঘরে, তুমি পায়ে ছুঁয়ে করলে সালাম মনে হলো সমস্ত সৌন্দর্য সমস্ত পবিত্রতা রয়েছে তোমাকে ঘিরে যেন স্বর্গীয় অপ্সরা এলো পথ ভুলে আমার ঘরে, যাবে না স্বর্গে ফিরে। আমার কোলে যেদিন দেবে তুলে প্রথম সন্তান, সেদিন মনে হবে পৃথিবী সুন্দর, জীবন সুন্দর, এর থেকে বেশি সুন্দর ভালোবাসা জাগবে মনে সহস্র শতাব্দী বাঁচার আশা, অপূর্ণ প্রত্যাশা। এইখানে এইখানে যদি বনের ভেতর ঢুকে যাও তোমাকে ভয় দেখাতে আসবে লকলকে জিহ্বধারী সবুজরঙা সাপ। তোমাকে ভয় দেখাতে আসবে উলুল ঝুলুল খাটাশ, খেকশিয়াল। এইখানে যদি তুমি গাছের সাথে সেঁটে থাকতে চাও- তোমার পা কামড়ে দেবে লাল পিঁপড়ে, তোমাকে আজন্ম বৃক্ষ ভেবে ঘারের উপর ডানা ঝাঁপটাবে হলুদ পালকধারী একটা অচেনা পাখি। এইখানে ঝরা শুকনো পাতার মর্মর ছাড়া কোন কোলাহল নেই, ফুলের সৌন্দর্য ছাড়া কোন নান্দনিকতা নেই- নেই পাখির কিচির মিচির ব্যাতিরেকে কোন গান। এইখানে মানুষ নিতান্ত সহজ সরল, তোমাকে ডেকে এনে চিরচেনা স্বজনের মতো দুবেলা খাইয়ে দেবে যথেষ্ট সমাদর দেখিয়ে। তোমার মুখে তুলে দেবে মগডালের সিঁদুরে পাকা আম, কাজলী গাভীর একবাটি দুধ। এইখানে শ্বেতপাথরে ঘাটবাঁধা পুকুরের অতলান্তিকে ডিগবাজি খেলে চিতল বোয়াল, শামুক কাছিম। শিশুরা টলটলে জলে লাফিয়ে পড়ে মুখে জল নিয়ে আকাশের দিকে ছিটিয়ে ছিটিয়ে স্নান সারে। এইখানে নেই রক্তচোষা পিশাচের দল, নেই গ্রেনেড বোমা। নেই আড়ালে লুকিয়ে থেকে বুকে ছুড়ি মারার মতো অসৎ হাত। এখানে তো নেই কালো ধোঁয়ার আবডালে মতলব আটা মানবরূপী দানবের মুখ। কারও হাতে ঘড়ি নেই- তাই নেই সময়ের তাড়া। এইখানে মানুষের সাদামাটা পান খাওয়া মুখে নির্ঝঞ্ঝাট হাসি লেগে থাকে সর্বক্ষণ। ওরা গাছের পাতার রং বদল দেখে- নিজেকে বদলাতে শেখে। ওরা কাজল দীঘির কাকচক্ষু জলে বলিহাঁসের ডুব সাঁতার দেখে নিজেকে করে কিছুটা রহস্যময়। এইখানে ওরা ঘুঘুপাখির খুনসুটি দেখে আপন বধূর সাথে প্রণয়মাতাল হয়। ওরা ঠকতে জানে- ঠকাতে জানে না। কাঁদতে জানে, অথচ কাউকে কখনো কাঁদিয়ে দেখেনি। এইখানে ওরা মুখ ফুটে কোনদিন বলেনি ‘ভালবাসি’ অথচ কতো গভীর-গভীর-গভীর ভালবাসা দিয়ে যায় একে অন্যকে। মেয়েলী আবদার আমার জন্য কেউ পাগল হোক, তা চাই না শুধু আমাকে বুঝোক। চোখের কোনে বাসি কাজল লেপটে আছে, এ দৃশ্য যেন তার দৃষ্টিগোচর হয়। আমি কাদলে তার কাধটা বাড়িয়ে দিক, আর হাসলে সে তাকাক বিষ্ময় ভরা চোখে। প্রভাতে বিছানা ত্যাগের বেলা আমার আচল ধরে বলুক- “আরেকটু ঘুমাও, আসেনি এখনো রোদ জানালার কাঁচে”। গোসল শেষে ভেজা চুলে আমাকে দেখে কেউ তাকিয়ে থাকুক। অফিসে যাবার আগে তারাহুরু করে তৈরি চিনি দিতে ভুল করা চায়ে চুমুক দিয়ে বলুক- “বেশ হয়েছে”। মন খারাপের দিনে আমাকে নিয়ে ঘুরতে বেরুক। পথের দোকান থেকে দুটো ফুল কিনে বলুক- “আজ সারাদিন শুধু তোমারই আরাধনা”। আমি চাই না ওঠতে বসতে কেউ বলুক- “ভালোবাসি ভালোবাসি”। শুধু চাই যখন রাগ করে চলে যাই, সে আমাকে যেতে না দিক। ভালোবাসার নিবির সুখে মরে যেতে যেতে মধ্যরাতের বিছানায় আদরমাখা শিৎকারে তার নাম ধরে ডাকতে চাই। আর চাই সাজবো বলে আয়নাতে দাড়াই যখন, পেছন থেকে জরিয়ে কাধের চুলগুলো সরিয়ে কানেকানে কেউ তো বলুক- “তোমাকে ছাড়া এই পৃথিবী বড়ো একলা লাগে”। শেলটার ভ্রুম ভ্রুরুম ভ্রুরুরুরুম... একটা মোটর বাইক চষে বেড়াচ্ছে কলেজ ক্যাম্পাসের এপাশ ওপাশ। ক্লাশ ফাকি মেরে কাঠাল তলায় আড্ডাবাজিতে মাতা ছেলেগুলো, একলা আসা মেয়ে দেখলেই সিগারেট-পোরা ঠোটে শিশ বাজানো ছেলেগুলো উত্তেজনার জোয়ারে ভাসছে। ক্ষনেক্ষনে দুজন তিনজন চড়ে বসে বাইকটায়, আকাশ বাতাস কেপে ওঠে বিভৎস শব্দে। আমি ভাবি মালিক কে! সবাই দেখি মালিকশোলভ গাম্ভীর্যে চালায়! একজনকে ডেকে জানতে চাই- "মেটর সাইকেল পেলে কোথায়?" ছেলেটা শ্রদ্ধায় ঝড়কবলিতো সুপারি গাছের মতো মাথা ঝুকিয়ে বললো- "জলিল দারোগা দিয়েছে স্যার... আপন ভাইয়ের সমান স্নেহ করে আমাদের।" দারোগা সাহেবকে পথে পেলে তিনি জানালেন- "বর্ডারক���রস চোরাই মাল, থানায় পরে নষ্ঠ হচ্ছিলো। ছেলেদের দিয়ে দিলাম, চড়ে ফিরে শখ মেটাক।" আমি বলি- "পড়াশোনা তো গোল্লায়, ছেলেগুলো বিপথে যাবে, সারাক্ষন শুধু ভ্রুম ভ্রুরুম ভ্রুরুরুরুম..." "কি যে বলেন মাস্টার! এই বয়সে জীবনটা উপভোগ না করলে আর কখন! ওরা সরকারের ডান হাত, আগামী দিনের নেতা। যা করে তাতেই দেশের মঙ্গল।" বুঝলাম কথা বাড়ানো বৃথা। কদিন যেতেই শুনি বাইক চালকেরা দোকানে দোকানে চাঁদা তুলে, চাঁদা তুলে চলন্ত গাড়ি থেকে রাস্তায়। উত্তলিত টাকার একভাগ নিজেদের একভাগ দারোগার একভাগ যায় উপরমহলে। রাতে দারোগা এসে তাদের সঙ্গে বসে চা-বিস্কুটে, ফিসফাস আলাপনে, অট্টহাসিতে জমান আড্ডা। ছেলেগুলো মদের বোতল হাতে রাস্তা মাতায়, কেউ কিছু বলে না, মেয়েদের ওড়না ধরে টানে, কেউ প্রতিবাদে দাড়ায় না। থানাটি তাদের বৈঠকঘর, দারোগা তাদের তাঁসের সঙ্গী, তারাই আইনপ্রনেতা। তারপর এলো নির্বাচন। ভোট চাওয়া চাওয়ি, মিছিল মিটিং। সরকার বদল। নতুন দল এলো ক্ষমতায়। ভাবলাম এইবার থামবে। কিন্তু একি! এবার দুটো মোটরবাইক, দিগুন শব্দ, তিনগুন হইহুল্লুর, চারগুন চাদাবাজী। পরিচিত দোকানিরা নালিশ জানায়- "ওরা তে আপনরই ছাত্র স্যার, আপনি বললে থামবে। কোমরে পিস্তল গুজে চাঁদা তুলে...." বিকেলে খেলার মাঠে আমি ওদের ডেকেছিলাম। ছেলেগুলো গলে যাওয়া মোমের মতো পায়ের কাছে জড় হয়ে বসলো। আমার সকল উপদেশ মেনে নেওয়ার ভঙ্গিতে ঘাড় নাড়লো। সন্ধায় এলেন জলিল দারোগা- "জং ধরা পিস্তল মাস্টার, গুলি তো বেরোয় না। লকারে রাখলেই কী, আর ওদের হাতে থাকলেই কী! তাছাড়া ওদের উঠতি বয়স, বাধা দিলে ঘাপলা বাধাবে।" দারোগার ফ্যাশফ্যাশে হাসি শুনে কেবলই আমার কানে বাজছিলো উঠতিবয়সি মেয়ের আকুতি- "ওড়নাটা ছেড়ে দিন, আপনারা আমার মায়ের পেটের ভাই।" বৃদ্ধ পথচারীর চোখে ভয়- "দিচ্ছি দিচ্ছি সব, পিস্তল পকেটে রাখো বাবা, তোমরা আমার ছেলের বয়সি।" পরিচিত কারও অভিযোগ- "ওরা তো আপনারই ছাত্র স্যার, একটু থামান..." আর বাজছিলো- "ভ্রুম ভ্রুরুম ভ্রুরুরুরুম... ভ্রুম ভ্রুরুম ভ্রুরুরুরুম..." মুয়াজ্জিনকে চিরকুট শুনুন মুয়াজ্জিন সাহেব... সন্ধেবেলায় আমি আজানের প্রতিক্ষায় থাকি। আকাশ যখন হয় রক্তিম, নীড়ে ফিরে পাখি, আপনার সকরুণ সুর ভিষণ মন্ত্রমুগ্ধ করে আমাকে। টিভির ভলিয়ম কমিয়ে আজানের মায়াময় মূর্ছনায় কান পেতে রাখি। মাথায় আঁচল তুলতে গিয়েই থামি। মুসলিম মেয়ে হলে চলতো, আমি তো হিন্দু, লোকেরা ভাববে পাগলামী...! কিশোরী বয়সে এক মুসলমান ছেলের প্রেমে পড়েছিলাম। বলতো সে, তার ঘরে বউ হয়ে গেলে পড়তে হবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এবং খুব প্রভাতে তিলাওয়াতে-কুরআন। প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ভালোবাসার মানুষটির উপদেশ যতই কঠিন হোক, অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে কে না চায়? কিন্তুু আমার হলো কই...! ধর্মাশ্রিত সমাজ বাঁধার দেয়াল তুলে দাঁড়ালো। এখন মাথায় সিঁদুর, শাখাপরা হাতে করি অন্যের সংসার। কবুতরগুলো যখন বাকবাকুম ডেকে খোঁপে ফিরে, বাঁদুরেরা ছুটে খাদ্যের খোঁজে, তুলসীতলায় সন্ধ্যা প্রদীপ ��্বালাবার আগে; শুনুন মুয়াজ্জিন সাহেব, আমি আজানের প্রতিক্ষায় থাকি। তুমি কোনটা নেবে...? আমার হাতে বন্দুক, আমার কপালে রক্ত তুমি কোনটা নেবে...? যদি বন্দুক নাও- তুমি হিংস্র ঘাতক। যদি রক্ত নাও- তুমি অপরিণামদর্শী কাতিল। আমার চোখে অশ্রু, আমার ঠোঁটে হাসি তুমি কোনটা নেবে...? যদি অশ্রু নাও, তবে তুমি দুঃখ বিলাসী- মানে আমার প্রকৃত বন্ধু। যদি হাসি নাও, তবে তুমি দুধের মাছি- মানে সুসময়ের ধাপ্পাবাজ। আমার কপালে ঘাম, আমার দু’চোখ লাল তুমি কোনটা নেবে...? যদি কপালের ঘাম মুছে দাও শুষ্ক আঁচলে- তুমি আমার প্রকৃত ঘরণী, আমার অর্ধ-অঙ্গ। যদি রক্তিম চোখে বোলাও হাতের শীতল আঙুল- তুমি আমার স্নেহশীল প্রেমিকা, রমণযোগ্য ভালোবাসা। আকিব শিকদার। জন্ম কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর থানাধীন তারাপাশা গ্রামে, ০২ ডিসেম্বর ১৯৮৯ সালে। প্রফেসর আলহাজ মোঃ ইয়াকুব আলী শিকদার ও মোছাঃ নূরুন্নাহার বেগম এর জ্যেষ্ঠ সন্তান। স্নাতক পড়েছেন শান্ত-মরিয়ম ইউনিভার্সিটি থেকে ফ্যাশন ডিজাইন বিষয়ে। পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে স্নাতক ও স্নাতোকোত্তর। খন্ডকালীন শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু; বর্তমানে প্রভাষক হিসেবে আছেন এ্যাপারেল ইন্সটিটিউট অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজিতে। কবির বিধ্বস্ত কঙ্কাল (২০১৪), দেশদ্রোহীর অগ্নিদগ্ধ মুখ (২০১৫), কৃষ্ণপক্ষে যে দেয় উষ্ণ চুম্বন (২০১৬), জ্বালাই মশাল মানবমনে (২০১৮) তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। “দোলনা দোলার কাব্য” তার প্রকাশিতব্য শিশুতোষ কবিতার বই। সাহিত্য চর্চায় উৎসাহ স্বরুপ পেয়েছেন হোসেনপুর সাহিত্য সংসদ প্রদত্ত “উদ্দীপনা সাহিত্য পদক”, “সমধারা সাহিত্য সম্মাননা”, “মেঠোপথ উদ্দীপনা পদক”। লেখালেখির পাশাপাশি সঙ্গীত ও চিত্রাংকন তার নেশা।
0 notes
neophyte17 · 4 years
Video
কেমন করে অচেনা মানুষের সাথে বন্ধুত্ব ও ব্যবসা হবে
কেমন করে অচেনা মানুষের সাথে বন্ধুত্ব ও ব্যবসা হবে, জীবনে অজানা-অচেনা পরিস্থিতি জয়ের উপায়, অতি সহজেই মানুষের সঙ্গে মেশার কৌশল, সহজেই মিশতে শিখুন  https://youtu.be/05zvQhmuV94 Huzaifa Enterprise এর এই ভিডিওতে অচেনা মানুষ, অচেনা স্থান, অজানা জায়গা, নতুনদের সাথে, পরিচিত হওয়া, নতুন বন্ধু ,নতুন ব্যবসা, বন্ধু নির্বাচন,অচেনা পার্টনার, অচেনা ছেলে, অচেনা মেয়ে, অচেনা যাত্রী, অচেনা ব্যবসায়ী এর সাথে ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধুত্ব সম্পর্ক এগিয়ে চলা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি ভিডিওটি আপনাদের ভালো লাগবে।ভিডিওটি  সকল প্লাটফর্মে শেয়ারের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিবেন। ইনশাআল্লাহ্, আল্লাহ তাআলা আপনাকে উত্তম বদলা দিবেন, আমিন। প্রকৃত বন্ধু ,চেনার সাত উপায় জেনে স্বার্থপর বন্ধুকে বিদায় দিন, প্রকৃত বন্ধু চেনার সাত উপায়, প্রকৃত বন্ধু, স্বার্থপর বন্ধুকে বিদায় দিন, প্রকৃত বন্ধু চেনার সহজ উপায়, ভালো বন্ধু চেনার উপায়, প্রকৃত বন্ধু চেনার উপায়, বন্ধু চেনার উপায়, সত্যিকারের বন্ধু চেনার উপায়,  নারী ও পুরুষের বন্ধুত্ব, bangla, friendship, বন্ধু,  বন্ধুর সাথে মনোমালিন্য, দূর করুন ৭টি উপায়ে || বন্ধু নিয়ে কিছু উক্তি, বন্ধুত্ব নিয়ে কবিতা, বন্ধুত্বের ছোট কবিতা, বন্ধুত্ব কি, বন্ধুত্ব মানে কি, বন্ধুত্ব ও ভালবাসা, বন্ধু নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস, বন্ধুত্ব এসএমএস, কে আসলে বন্ধু?, আমরা সবাই প্রেমিক মানু, dns tv, বন্ধুত্বের প্রতিদান, bondhuter protidan, powerful bangla motivation video, business ideology, বন্ধু নির্বাচনের হাদিস, বন্ধু হাদিস, বন্ধু নির্বাচনে সতর্কতা, ভালো বন্ধুর বৈশিষ্ট্য, ছেলে মেয়ে বন্ধুত্ব ইসলাম কি বলে, সঠিক বন্ধু নির্বাচন, বন্ধুর সাথে অভিমানের কবিতা, প্রকৃত বন্ধু কাকে বলে,দুই বন্ধুর গল্প, friends with benefits, good friend, qualities of a good friend, be reliable, be a good listener, be trustworthy, how to be a good friend, ভাল বন্ধু হওয়া যায়, ভাল বন্ধু, সম্পর্ক, inspiration, personality, তুমিও জিতবে, গড়ে তুলবেন, জীবনে সবার প্রয়োজন, self development, motivation, ariana grande problem, life problem, খাটো জাতের নারিকেল, ভিয়েতনামের নারিকেল, dwarf coconut, dwarf coconut in bangladesh, qisma, দুই বন্ধুর কাহিনী, নারী ও পুরুষের বন্ধুত্ব, business, সফল ব্যবসায়ী, small business ideas, business ideas, business learning, business nation, bangla news, class, business idea, ব্যবসা করতে চাই, 2020, জীবনের অংকের, সাথে সাথে, ব্যবসার অংক, মিলানোর জন্য, আপনার করনীয়, ব্যবসায়িক জাতি, হুজাইফা এন্টারপ্রাইজ, আন্তর্জাতিক ব্যবসা, ব্যবসা সেটআপ, ব্যবসায়িক কোর্স, সারা পৃথিবীতে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা, বাংলাদেশীদের কর্মসংস্থান, স্বল্প পুজিতে সফল, স্বল্প পুজিতে, হতে, কার সাথে, ব্যবসা করবেন?, কেন করবেন, বিস্তারিত, সবকিছুইঅর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ, আয় ব্যয় হিসাব, ধর্মীয় দায়িত্ব, পারিবারিক দায়িত্ব, ফ্যাক্টরি চালানো, ব্যবসা-বাণিজ্যে নিয়োজিত, মানুষের কর্মসংস্থান, শিল্পপতি হওয়া, সামাজিক দায়িত্ব, যে ৩টি জিনিস নিয়ে আল্লাহর সাথে ব্যবসা করে সফল হবেন। কোন পণ্য নিয়ে ব্যবসা করলে দ্রুত ভালো করা যাবে, চায়নার সাথে ব্যবসা, ব্যবসা করতে যা, যা অবশ্যই জানতে হবে, কম পুঁজিতে ব্যবসা, কম টাকায় ব্যবসা, অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা, ব্যবসার আইডিয়া, ব্যবসা করতে হলে, ব্যবসা করার বিস্তারিত, ব্যবসা করার নিয়ম, আলিবাবা বাংলাদেশ, ব্যবসার আইডিয়া ২০১৯, ক্ষুদ্র ব্যবসার আইডিয়া, লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া, আমদানি, কারক, ক্রয়, বিক্রয়, ব্যবসায়ী, রেস্টুরেন্ট ব্যবসা, খাবার ব্যবসা, restaurant business in bangladesh, restaurant business plan in bangla, business success tips in bangla, রেস্টুরেন্ট মালিক, রেস্টুরেন্ট পরিকল্পনা, ব্যবসা শুরু করার, bangla preneur, business in bengali, bangla business videos, ছোট ব্যাবসা, new business, লাভজনক ব্যবসা, অল্প পুঁজির ব্যাবসা, বিজনেস আইডিয়া, বেস্ট ব্যবসা, সেরা, সেরা ব্যবসা, নতুন ব্যবসা, নিউ ব্যবসা, কীভাবে সফলভাবে শুরু করবেন নিজের একটি ব্যবসা! ব্যবসায় উন্নতি লাভের উপায়! - motivational video, কীভাবে সফলভাবে শুরু করবেন নিজের একটি ব্যবসা!, ব্যবসায় উন্নতি লাভের উপায় দোকানের দোয়া, ব্যবসায় সফলতা, ব্যবসায় উন্নতির দোয়া, ব্যবসায় উন্নতির টোটকা, ব্যবসায় উন্নতির মন্ত্র, sanatan pandit, bangla motivational video, ইন্ডিয়ান পন্য, ভারতীয় পণ্য, কলকাতার পণ্য, বিদেশের পণ্য, ইন্ডিয়ান চকলেট, ইন্ডিয়ান থ্রি পিস, ইন্ডিয়ান কসমেটিকস, ইন্ডিয়ান জুয়েলারি, ইন্ডিয়ান পণ্যের ব্যবসা, ঝুঁকিমুক্ত ব্যবসা, স্বল্প পুঁজির ব্যবসা, অল্প পুঁজির ব্যবসা, কম পুজির ব্যবসা, ধনী হওয়ার ব্যবসা, টাকার গাছ, বাংলা ওয়াজ, ইসলামিক ওয়াজ, বাংলা নাটক, বাংলাদেশের ব্যবসা, ভারতের ব্যবসা, ব্যবসার পুঁজি, ঘরে বসে, কিভাবে ইন্ডিয়ান পন্য নিয়ে, ব্যবসা করতে পারেন, new business ideas, best kolkata business ideas, best profitable business ideas, unique business ideas, kolkata sanitary pad business ideas, ব্যবসা আইডিয়া, নতুন ব্যবসা আইডিয়া, লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া, best business ideas, শহর-গ্রাম, ধনী-গরীব, শহর, গ্রাম, ধনী, গরীব, শিক্ষিত ও স্বল্পশিক্ষিত, শিক্ষিত, স্বল্পশিক্ষিত, সকল মানুষের, করার উপযোগী, উপযোগী ব্যবসা, মনোহারী, মুদি আইটেমের, মুদি ব্যবসা, বিশদ ভাবে, বড় পুঁজির ব্যবসা, ছোট পুঁজির, গ্রামের ব্যবসা, শিক্ষিত লোকের ব্যবসা, অশিক্ষিত লোকের ব্যবসা, গরিব মানুষের ব্যবসা, মহিলাদের ব্যবসা, পুরুষের ব্যবসা, ধনীর ব্যবসা, সুপার শপ, ছোট দোকান, বড় দোকান, import, small business, big business, grocery, export, import export, export import, grocery shop, huzaifa, bangla, ব্যবসা করার ইচ্ছে আছে কিন্তু টাকা নেই তাই বলে কি ব্যবসা করবেন না? এবার করবেন টাকা ছাড়াই ব্যবসা,
0 notes
huzaifaenterprize · 4 years
Video
কেমন করে অচেনা মানুষের সাথে বন্ধুত্ব ও ব্যবসা হবে, জীবনে অজানা-অচেনা পরিস্থিতি জয়ের উপায়, অতি সহজেই মানুষের সঙ্গে মেশার কৌশল, সহজেই মিশতে শিখুন  https://youtu.be/05zvQhmuV94
কেমন করে অচেনা মানুষের সাথে বন্ধুত্ব ও ব্যবসা হবে, জীবনে অজানা-অচেনা পরিস্থিতি জয়ের উপায়, অতি সহজেই মানুষের সঙ্গে মেশার কৌশল, সহজেই মিশতে শিখুন  https://youtu.be/05zvQhmuV94 Huzaifa Enterprise এর এই ভিডিওতে অচেনা মানুষ, অচেনা স্থান, অজানা জায়গা, নতুনদের সাথে, পরিচিত হওয়া, নতুন বন্ধু ,নতুন ব্যবসা, বন্ধু নির্বাচন,অচেনা পার্টনার, অচেনা ছেলে, অচেনা মেয়ে, অচেনা যাত্রী, অচেনা ব্যবসায়ী এর সাথে ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধুত্ব সম্পর্ক এগিয়ে চলা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি ভিডিওটি আপনাদের ভালো লাগবে।ভিডিওটি  সকল প্লাটফর্মে শেয়ারের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিবেন। ইনশাআল্লাহ্, আল্লাহ তাআলা আপনাকে উত্তম বদলা দিবেন, আমিন।প্রকৃত বন্ধু ,চেনার সাত উপায় জেনে স্বার্থপর বন্ধুকে বিদায় দিন, প্রকৃত বন্ধু চেনার সাত উপায়, প্রকৃত বন্ধু, স্বার্থপর বন্ধুকে বিদায় দিন, প্রকৃত বন্ধু চেনার সহজ উপায়, ভালো বন্ধু চেনার উপায়, প্রকৃত বন্ধু চেনার উপায়, বন্ধু চেনার উপায়, সত্যিকারের বন্ধু চেনার উপায়,  নারী ও পুরুষের বন্ধুত্ব, bangla, friendship, বন্ধু,  বন্ধুর সাথে মনোমালিন্য, দূর করুন ৭টি উপায়ে || বন্ধু নিয়ে কিছু উক্তি, বন্ধুত্ব নিয়ে কবিতা, বন্ধুত্বের ছোট কবিতা, বন্ধুত্ব কি, বন্ধুত্ব মানে কি, বন্ধুত্ব ও ভালবাসা, বন্ধু নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস, বন্ধুত্ব এসএমএস, কে আসলে বন্ধু?, আমরা সবাই প্রেমিক মানু, dns tv, বন্ধুত্বের প্রতিদান, bondhuter protidan, powerful bangla motivation video, business ideology, বন্ধু নির্বাচনের হাদিস, বন্ধু হাদিস, বন্ধু নির্বাচনে সতর্কতা, ভালো বন্ধুর বৈশিষ্ট্য, ছেলে মেয়ে বন্ধুত্ব ইসলাম কি বলে, সঠিক বন্ধু নির্বাচন, বন্ধুর সাথে অভিমানের কবিতা, প্রকৃত বন্ধু কাকে বলে,দুই বন্ধুর গল্প, friends with benefits, good friend, qualities of a good friend, be reliable, be a good listener, be trustworthy, how to be a good friend, ভাল বন্ধু হওয়া যায়, ভাল বন্ধু, সম্পর্ক, inspiration, personality, তুমিও জিতবে, গড়ে তুলবেন, জীবনে সবার প্রয়োজন, self development, motivation, ariana grande problem, life problem, খাটো জাতের নারিকেল, ভিয়েতনামের নারিকেল, dwarf coconut, dwarf coconut in bangladesh, qisma, দুই বন্ধুর কাহিনী, নারী ও পুরুষের বন্ধুত্ব,business, সফল ব্যবসায়ী, small business ideas, business ideas, business learning, business nation, bangla news, class, business idea, ব্যবসা করতে চাই, 2020, জীবনের অংকের, সাথে সাথে, ব্যবসার অংক, মিলানোর জন্য, আপনার করনীয়, ব্যবসায়িক জাতি, হুজাইফা এন্টারপ্রাইজ, আন্তর্জাতিক ব্যবসা, ব্যবসা সেটআপ, ব্যবসায়িক কোর্স, সারা পৃথিবীতে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা, বাংলাদেশীদের কর্মসংস্থান, স্বল্প পুজিতে সফল, স্বল্প পুজিতে, হতে, কার সাথে, ব্যবসা করবেন?, কেন করবেন, বিস্তারিত, সবকিছুইঅর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ, আয় ব্যয় হিসাব, ধর্মীয় দায়িত্ব, পারিবারিক দায়িত্ব, ফ্যাক্টরি চালানো, ব্যবসা-বাণিজ্যে নিয়োজিত, মানুষের কর্মসংস্থান, শিল্পপতি হওয়া, সামাজিক দায়িত্ব, যে ৩টি জিনিস নিয়ে আল্লাহর সাথে ব্যবসা করে সফল হবেন। কোন পণ্য নিয়ে ব্যবসা করলে দ্রুত ভালো করা যাবে,  চায়নার সাথে ব্যবসা, ব্যবসা করতে যা, যা অবশ্যই জানতে হবে, কম পুঁজিতে ব্যবসা, কম টাকায় ব্যবসা, অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা, ব্যবসার আইডিয়া, ব্যবসা করতে হলে, ব্যবসা করার বিস্তারিত, ব্যবসা করার নিয়ম, আলিবাবা বাংলাদেশ, ব্যবসার আইডিয়া ২০১৯, ক্ষুদ্র ব্যবসার আইডিয়া, লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া, আমদানি, কারক, ক্রয়, বিক্রয়, ব্যবসায়ী, রেস্টুরেন্ট ব্যবসা, খাবার ব্যবসা, restaurant business in bangladesh, restaurant business plan in bangla, business success tips in bangla, রেস্টুরেন্ট মালিক, রেস্টুরেন্ট পরিকল্পনা, ব্যবসা শুরু করার, bangla preneur, business in bengali, bangla business videos, ছোট ব্যাবসা, new business, লাভজনক ব্যবসা, অল্প পুঁজির ব্যাবসা, বিজনেস আইডিয়া, বেস্ট ব্যবসা, সেরা, সেরা ব্যবসা, নতুন ব্যবসা, নিউ ব্যবসা, কীভাবে সফলভাবে শুরু করবেন নিজের একটি ব্যবসা! ব্যবসায় উন্নতি লাভের উপায়! - motivational video, কীভাবে সফলভাবে শুরু করবেন নিজের একটি ব্যবসা!, ব্যবসায় উন্নতি লাভের উপায়
0 notes
aamraband · 6 years
Video
youtube
Ayub Bachchu, Bangladesh’s rock legend, a prominent singer, composer, and founder of musical band LRB, died of a heart attack in Dhaka today at the age of 56. He was taken to Square Hospital around 9:15am when doctors declared him “brought dead”, a staff of emergency unit of the hospital. Earlier in the morning, Bachchu was found in an unconscious state at his Moghbazar residence. Bachchu will be buried beside the graveyard of his mother at their family graveyard in Chittagong on Saturday as his daughter will reach Dhaka at 1:00am on Saturday, family sources said. Fans of legendary singer Ayub Bachchu gather in front of Square Hospital on October 18, 2008, hearing the news of his demise. His body will be kept in the hospital’s mortuary till then. Soon after hearing the news, members of his fraternity and family gathered at the hospital. The mourning fans, journalists and media personalities were seen gathering in front of the entrance to the hospital. Born in Chittagong, he started his music career there with the band Feelings in 1978. From 1980 to 1990, he was a member of Souls as lead guitarist and finally in 1991, he formed his own band, LRB or “Love Runs Blind”. LRB released its first album as a double album in 1992, which contained hard rock songs like "Madhobi" "Hoker" "Sesh Cithi keno amon Cithi hoy" "Happy" and "Dhakar Sondha". Ayub Bachchu made his debut in the music industry by giving voice in the song 'Harano Bikiler Golpo', reports UNB. In 1986, he released his first music album 'Rakto Golap'. His success story began when his second album 'Moyna' was released. He rose to fame by releasing his third album 'Koshto' in 1995 and the album was a super hit, adds UNB. From creating one of the most timeless soft-rock masterpieces, Cholo Bodley Jai, switching his guitar tone to overdrive for the heavy metal-esque Shahbagh Mor, or just simply capturing the masses with his pop venture Ek Akasher Tara Tui, Ayub managed to embed his own style in Bangladeshi music. Bachchu was the son of Haji Mohammad Ishuque Chowdhury and Late Nurjahan Parvin. He grew up in the port city of Chittagong, in a joint family, surrounded by cousins, aunts, and uncles. বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড এলআরবির দলনেতা ও লিড গিটারিস্ট আইয়ুব বাচ্চু মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আইয়ুব বাচ্চুর পারিবারিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া অন্যান্য সূত্রেও তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাংলাদেশের ব্যান্ড সঙ্গীত জগতে গিটার ও গানের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখেছেন আইয়ুব বাচ্চু। গানের পাশাপাশি গিটারেও ভক্তদের মাত করেছেন তিনি। আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া ‘রূপালি গিটার’, ‘রাত জাগা পাখি হয়ে’, ‘মাধবী’, ‘ফেরারি মন’, ‘এখন অনেক রাত’, ‘ঘুমন্ত শহরে’, ‘বার মাস’, ‘হাসতে দেখ’, ‘উড়াল দেব আকাশে’। ‘কষ্ট পেতে ভালোবাসি,’ ‘সেই তুমি কেন অচেনা হলে’, ‘একদিন ঘুম ভাঙ্গা শহরে’, ‘মেয়ে ও মেয়ে’, ‘কবিতা সুখ ওড়াও’, ‘এক আকাশ তারা’ গানগুলো ঘুরেছে মানুষের মুখে মুখে। ১৯৭৮ সালে সঙ্গীতজীবন শুরু করেন আইয়ুব বাচ্চু। আইয়ুব বাচ্চু একাধারে গায়ক, লিড গিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার, প্লেব্যাক শিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন। সোলসের হয়ে ব্যান্ড সঙ্গীতে পা রাখার পর ১৯৯০ সালে নিজের ব্যান্ড দল প্রতিষ্ঠা করেন আইয়ুব বাচ্চু। ব্যান্ডের নাম রাখেন ‘লিটল রিভার ব্যান্ড’। পরবর্তীতে এর নাম বদলে রাখা হয় ‘লাভ রান্‌স ব্লাইন্ড’। by Bangla Folk Music
0 notes
skhassandx0 · 4 years
Video
youtube
(18+) #Top_20 শুধু_দেখলে_হবে_মজা_দিবে_কে New_Dubbing_#Funny_Misically #tik_tok #funny_video -------------------------------- আমাদের এই ছোট্ট চ্যানেলে আপনাকে স্বাগতম 😍 -------- -----------------DISCLAIM-------------- This video is great. It is very useful & happyness man.The video was newspaper. That's very working. It school & college videos. #Sad #Love #Sadlove #Sadlovestory #Sadlovesongs #Sadlovestorymovie #Sadlovestorydrama #Sadlovestatus #Sadlovestorysong #Sadlovepoetry #Sadlovesongsforbrokenhearts #Sadlovestorymovieinhindi #Sadlovemovies #Feeling #Sadfeeling #Sadfeelingsongs #Sadfeelingstatus #Sadfeelingwhatsappstatus #Sadfeelingmusic #Sadfeelingrap #Sadfeelingmusic #Sadfeelingdarakh #Sadfeelingtones #Sadfeelingringtone #Sadfeelingsongsenglish #goodbye #happy_new_year #end_year #tiktokvideo #tiktokph #tiktokchallengechallenge #tiktokphilippines #tiktokdance #tiktokuk #tiktokmemes #tiktok2020 #tiktokapp #tiktokart #tiktokaddicted #tiktokanimeposechallenge #tiktokalgeria #tiktokaudiosforedits #tiktokautofans #tiktokarabicdance #tiktokboys #tiktokblack #tiktokbodyparts #tiktokbloopers #tiktokbuttercup #tiktokban #tiktokbd #tiktokbangladesh #tiktokcanada #tiktokcambodia #tiktokchallenges2020 #tiktokcaseinkasur #tiktokcrew #tiktokcoffee #tiktokcacing #tiktokdancetutorial #tiktokdad #tiktokdrag #tiktokdancevideo #tiktokdesigning #tiktokdances2020 #tiktokdance 2020 #tiktokers #tiktokeri #tiktokevent #tiktokediting143 #tiktokedits #tiktokentertaining #tiktokerror #tiktokentertainment #tiktokfam #tiktokfun #tiktokfunny #tiktokfamous #tiktokfortnite28 #tiktokfollowers2020 #tiktokff #tiktokfortnite5 #tiktokgaming #tiktokgay #tiktokgendaphool #tiktokgo #tiktokgaynghien #tiktokgurashnani #tiktokgirldancemazarequaid #tiktokgujrati #tiktokhaul #tiktokhairstyles #tiktokhungama #tiktokhindi #tiktokhamster #tiktokhacks #tiktokhomnay #tiktokhitsong2020 #tiktokin #tiktokironic #tiktokissue #tiktokincreasefollowers #tiktokindia #tiktokindian #tiktokisforyouandme #tiktokindai #itiktokindonesia #tiktokjokers #tiktokjelly #tiktokjilbab #tiktokjokerrizxtar #tiktokjunction #tiktokjapan #tiktokjannatzubair #tiktokjokersong #tiktokktm #tiktokkabaap #tiktokkerala #tiktokking #tiktokkorea #tiktokkajalwa #tiktokkiss #tiktokkenya #tiktoklgbt #tiktoklife #tiktoklike #tiktoklifehero #tiktoklatino #tiktokloversleb #tiktoklovesyou #tiktoklevelup #tiktokmeme #tiktokmashup clean #tiktokmashup2020 clean #tiktokmostpopular #tiktokmashup #tiktokmoto #tiktokmoments #tiktokmusic #tiktoknew #tiktoknsanam #tiktoknewtrendingjokerediting #tiktoknewsong #tiktoknewtrendvideotutorial #tiktoknewvirasong #tiktoknewvideo #tiktoknewtrick #tiktokofficial #tiktokonly #tiktokodia #tiktokoffical #tiktokodisha #tiktokonly2019 #tiktokorothersvideos #tiktokofking #tiktokpaintings #tiktokpartner #tiktokparskymevideokaiselagaye #tiktokproaccount #tiktokpubg #tiktokpakistan #tiktokparslowmotionvideokaisebanaye #tiktokqt #tiktokqatarpapa #tiktokqueen #tiktokqueenneetu #tiktokqawwali #tiktokqueenvideos #tiktokquality #tiktokreaction #tiktokremix #tiktokroasted #tiktokringlight #tiktokringtone2020 #tiktokrap #tiktokrocket #tiktokrewind2020 #tiktokschool #tiktokstaraanchelsmalakar #tiktoksoccer #tiktoksingers #tiktoksongs #tiktoksaree #tiktoksongs 2020 #tiktokspecialmix #tiktoktrends #tiktoktrolls #tiktoktunes #tiktoktraitrungquoc #tiktoktrending #tiktoktips #tiktoktoxic #tiktoktopper #tiktokusa #tiktokus #tiktokuse #tiktokuncle #tiktokusuk #tiktokuk boyfriend #tiktokuppalbalu #tiktokvs #tiktokversion #tiktokviral #tiktokviralgirls #tiktokviralvfx #tiktokvibes #tiktokviralsong #tiktokworld #tiktokwali #tiktokwatereffectvideo #tiktokwallpaper #tiktokwallmagic #tiktokwhatsappgroup #tiktokwhatsappgrouplink #tiktokwithng #wtiktokvedio #tiktokxuhương #tiktokyoutube #tiktokyoutobe #tiktokyoutubeaccountaddproblem #tiktokyoga #tiktokyudistardhana #tiktokyuvrajsingh #tiktokyoungstararrest #tiktokzodiacsigns #tiktokzomatoboy #tiktokzoommyface #tiktokzoomingvideo #tiktokztao #tiktokzumba #tiktokzone #tiktokzong_pakage_free #tiktok07 #tiktok18 #tiktok18troll #tiktok10kfollowers #tiktok1kfollowers #1tiktoktrending #tiktok2k20 #tiktok24 #tiktok2019 #tiktok2gallery #tiktok2018 #tiktok2019compilation #tiktok2ria #2tiktokaccountin1mobile #2tiktokmanja #tiktok3dlatter #tiktok3d #tiktok3dletter #tiktok3dname #tiktok3namethrow #tiktok36gadhiya #tiktok3dletterthrowing #tiktok4video #tiktok500freerecharge #tiktok7m #tiktok720p720p #tiktok8on_trending #tiktok99 #tiktok90ssong
2 notes · View notes
mrmwithacupofcoffee · 2 years
Text
বকুল রুপসী
সাফা, ছোটবেলা থেকে প্রচণ্ড করাকরির মাঝে বড় হয়েছে।আহ্লাদের কোন কিছুই বাকি রাখেনি বাবা-মা। দুই মেয়ের মধ্যে সাফাই ছোট। বাবা মার একমাত্র চাওয়া মেয়ে যেন স্বালীনতা বজায় রাখে।
সাফা, প্রচন্ড সৌখিন। সাজগোজ, ড্রেসআপ, ছবি তোলা সবকিছুতেই মাহির তবে তার ভেতর বাহির কোন কিছুতেই বোঝা সম্ভব না।
কলেজ সবেমাত্র শেষ করেছে সাফা। ভার্সিটির প্রিপারেশন নিচ্ছে। ঢাকাতে এসেছেন কয়েকটা দিন হল। আজ সাফার প্রথম কোচিং।
অদ্ভুতভাবে তা হবে টিএসসির ঘাসের উপর বসে! তা নিয়ে প্রচন্ড ব্যাকুল সাফা। সে আর অন্য কিনারার এক অচেনা মানুষ একাকী ঘাসের উপর বসে সকলে কিনা কি ভাববে তা নিয়ে লজ্জায় মাতামাতি সাফার।
নেকাব পরেছে তবে নেকাবের ভেতরের সাজে যে কেউ সাফাকে গ্রহণ করতে বাধ্য । এটি কি আসলেই সাফা!
- কিরে, তুই না পড়তে যাচ্ছিস? নেকাব পড়বি। নেকাব কি খোলার চিন্তায় আছিস নাকি!
- আরে না! সাজলে মন ভালো করে। দেখাতে হবে তার কি কোন মানে আছে!
এই বলেই সাফা বেরিয়ে পরলো অসম্ভব সুন্দর সাজে।
টিএসসি! প্রথমবার এসেছে সাফা তবে শুনেছে খুব সুন্দর সবুজ ঘাস আছে নাকি।
সেই ব্যাকুলতাতেই পায়ের সেন্ডেল খুলে দৌড়ে পরলো ঘাসের উপরে। মাথার উপর থেকে তীব্র বাতাসে পড়তে লাগল বকুল ফুল। স্পর্শ করতে চাইলো সাফা সেই প্রকৃতির উপহারকে এমন সময় মুখে পড়েছে বকুল।
সাফা নেকাবখানা আলতো করে তুলেছে। তার সৌন্দর্য যেন বকুলের গন্ধে কেও হার মানায়। কালোর মাঝে সাদার ছোঁয়া যেন ভাসিয়ে আনছিলো বকুলতার রুপসীকে!
এই একই ঘাসে পা দিয়েছে রাহাত হারিয়েছে যেন কোন অজানায়!
এরই মাঝে হঠাৎ করেই স্বাভাবিক হয়ে ফিরেছে সাফা। কথাতেই প্রচন্ড পটু।
- ভাইয়া, পড়াবেন না! কোথায় হারিয়েছেন?
মনের মাঝে এখনই রাহাত বলে উঠলো,
- বকুল রূপসী!!
- ২২ মে, ২০২২
- মোনালিসা মিতু।
1 note · View note
badwipbartabd-blog · 7 years
Text
আরব শেখদের ‘ছুটি কাটানোর বউ’
New Post has been published on https://badwipbarta.com/2017/10/31/%e0%a6%86%e0%a6%b0%e0%a6%ac-%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%96%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%9b%e0%a7%81%e0%a6%9f%e0%a6%bf-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8b%e0%a6%b0/
আরব শেখদের ‘ছুটি কাটানোর বউ’
বদ্বীপবার্তা ডেস্ক: ভারতের হায়দ্রাবাদে কম বয়সী মেয়েদের বিয়ে করতে আসা আরব শেখদের কয়েকজনকে আটক করা হয়েছিলো মাস খানেক আগে। মূ���ত অল্প কিছুদিনের জন্য ভারতে এসে তারা স্থানীয় একটি চক্রের সহায়তায় জাল কাগজপত্র তৈরি করে অল্প বয়সী মেয়েদের বিয়ে করে।
এ ধরনের একজন আরব শেখ বিয়ে করেছিলো ফরহীনকে, যে পড়াশোনায় বেশ ভালই ছিল আর স্বপ্ন ছিলো নার্স হওয়ার।
এক সকালে হঠাৎই ওর জীবনটা বদলে গেল যখন ওর বাবা একটা ঘরে তিনজন অচেনা লোকের সামনে ওকে হাজির করালেন।
ওকে শুধু বলা হল ওই তিনজনের মধ্যে একজনের সঙ্গেই সেদিন বিকেলেই ওর বিয়ে হবে।
ফরহীনের বয়স তখন ১৩। আর জর্ডনের অধিবাসী যে শেখের সঙ্গে সেই বিকেলে ওর বিয়ে হল, তার বয়স ৫৫।
“আমি চিৎকার করে কাঁদছিলাম। বাবা মায়ের পায়ে পড়ছিলাম বার বার। বলছিলাম যে আমি পড়াশোনা করতে চাই। কিন্তু কেউ আমার কথা শোনে নি,” ফরহীন বলছিলেন বিবিসিকে।
ওর মা-ই ওকে কনের সাজে সাজিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন বিয়ের বদলে ২৫ হাজার টাকা দিয়েছে ওই শেখ। প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা দেবে সে।
একজন কাজি ওদের নিকাহ পড়িয়েছিলেন।
“ওই লোকটাকে প্রথমে দেখেই মনে হয়েছিল আমার থেকে ৪০ বছরেরও বেশী বড় হবে নিশ্চয়ই। প্রথম রাতে আমি কান্নাকাটি করছিলাম, কিন্তু ওই লোকটা জবরদস্তি করেছিল আমার ওপরে,” বলছিলেন ফরহীন।
“তারপরের তিন সপ্তাহ প্রতিদিন-প্রতিরাত সে আমাকে ধর্ষণ করেছে।”
তার বউ-বাচ্চাদের দেখাশোনা করার জন্য ফরহীনকে সঙ্গে করে জর্ডনে নিয়ে যেতে চেয়েছিল ওই শেখ।
তার আগে ফরহীনের জানা ছিল না যে ওই লোকটা বিবাহিত।
ফরহীনের বাবা-মায়ের সাথে ওই শেখ একটা সমঝোতায় এল – সে জর্ডন ফিরে যাবে, পরে ভিসা পাঠালে ফরহীন যাবে সে দেশে।
সেই ভিসা আর কখনও আসে নি।
ফরহীন নিয়ম মতো এখনও বিবাহিত, কিন্তু তিনি জানেন না যে তাঁর স্বামী কোথায়।
“ওই ঘটনার প্রায় একবছর পর অবধি আমি চুপচাপ ছিলাম। একটুও কাঁদি নি। একেক সময়ে মনে হত মরে যাই। নিজের পরিবার – বাবা, মা – আমাকে ধোঁকা দিল?” বলছিলেন ফরহীন।
ওই ঘটনার পরে আট বছর পেরিয়ে গেছে, কিন্তু এখনও ফরহীন সেই শক কাটিয়ে উঠতে পারেন নি।
    ওঁর সঙ্গে আমাদের দেখা হয়েছিল যে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের দপ্তরে, সেখানেই একজন শিক্ষিকা হিসাবে কাজ করছেন তিনি ।
ফরহীন বলছিলেন, “আমার আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে কেউ ঠাট্টা করে যে এক খারাপ লোকের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছিল বলে। কেউ আবার বলে যে আমি নাকি স্বামীর ইচ্ছা পূরণ করতে পারি নি বলে সে ছেড়ে চলে গেছে।”
ফরহীনের ঘটনার মতো আরও ৪৮টা অভিযোগ গত তিনবছরে তেলেঙ্গানা পুলিশের কাছে জমা পড়েছে।
যে কাজি ফরহীনের বিয়ে দিয়েছিল, তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হায়দ্রাবাদ শহরের দক্ষিণ জোনের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ভি সত্যনারায়ন বলছিলেন, “সাধারণ ভাবে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ জানাতে এগিয়ে আসে না। আর এলেও অনেক সময়ে দেখা যায় অভিযুক্ত শেখ আগেই ভারত ছেড়ে পালিয়েছে। এটা আমাদের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করি, কিন্তু ওই শেখদের ভারতে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করাটা খুব কঠিন।”
সিনিয়র পুলিশ অফিসারেরা বলছেন, এটা বেশ জটিল একটা অপরাধী নেটওয়ার্ক। অনেক দালাল থাকে এর মধ্যে – যারা বিয়ের ভুয়ো প্রমাণপত্র তৈরি করে দেয়।
সেপ্টেম্বর মাসে আটজন শেখকে তেলেঙ্গানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। এদের মধ্যে দুজনের বয়স ছিল ৮০। বাকিদের ৩৫-এর আশেপাশে।
এই আটজন যাদের বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছিল, তাদের বয়স ১২ থেকে ১৭ বছর।
১২ বছরের তাবাস্সুমের বিয়ে দেওয়া হয়েছিল ৭০ বছরের এক ব্যক্তির সঙ্গে।
একটা হোটেলে নিয়ে গিয়ে যৌন অত্যাচার করার পরে তাকে তার ‘স্বামী’ ভিসা পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিল।
তাবাস্সুম বছর খানেক পরে এক সন্তানের জন্ম দেয়। কিন্তু সেই সন্তানকে বড় করা হয়েছে তাবাস্সুমের বোন হিসাবে।
তিনি বলছিলেন, “আমার মেয়ে যখন আমাকে দিদি বলে ডাকে, প্রত্যেকবার আমার বুকটা মুচড়ে ওঠে। আমি তো মা ডাকটা শুনতে চাই।”
বেশীরভাগ শেখ ওমান, কাতার, সৌদি আরব বা ইয়েমেন থেকে আসে।
কোনও কোনও বিয়েতে আবার পাত্র তো ভারতে আসেও না। ফোনেই বিয়ে হয়ে যায়।
যেমনটা হয়েছিল জেহরা-র।
বছর ১৫-র জেহরা অনাথ। তার দাদির সঙ্গে থাকত সে।
জেহরার একটা ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে তাকে বিক্রি করার চেষ্টা করেছিল তারই মামি।
“বাড়িতে কাজি এসেছিল এক রাত্রে। ফোনের মাধ্যমেই নিকাহ পড়িয়ে দিল। আমি জানতামও না কার সঙ্গে আমার বিয়ে হল,” বলছিলেন জেহরা।
কিছুদিন পরে ভিসা পেয়ে জেহরা ইয়েমেন যায়। এক ৬৫ বছরের লোক নিজেকে জেহরার স্বামী বলে পরিচয় দেয়।
তাকে একটা হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
সেখানে অত্যাচার করার পরে তাকে হায়দ্রাবাদে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
ফরহীন বা জেহরার মতো মেয়েদের ব্যবহার করে তারপরে ছেড়ে দেয় ওই আরব শেখরা।
‘শাহিন’ নামের একটা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালান জামিলা নিশাত। তিনি এরকম নারীদেরই সাহায্য করে থাকেন।
জামিলার কথায়, “আমি যে মুসলিম এলাকায় কাজ করি, সেখানে এক তৃতীয়াংশ পরিবারই অর্থের লোভে নিজেদের মেয়েদের এইভাবে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে। খুবই গরীব পরিবার এগুলো। বাচ্চাদের খাবারের ব্যবস্থাও করতে পারে না এরা। স্কুল থেকে যে সরকারী মিড-ডে মিল দেওয়া হয়, শুধু সেই খাবার খেয়েই বড় হয় শিশুরা।”
কেউ অবশ্য স্বীকার করে না যে তারা অর্থের জন্য এইভাবে মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে, বরং তারা বলার চেষ্টা করে যে একটা সামাজিক নিয়ম পালন করছে এর মাধ্যমে।
এরকমও ঘটনা আছে, যেখানে একই পুরুষের সঙ্গে দুটি মেয়ের বিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রুবিয়া আর সুলতানা দুজনেই ছিল ছোটবেলার বন্ধু। তাদের দুজনেরই বিয়ে হয়েছিল – শেখের সঙ্গে।
পরে তারা বুঝতে পারে যে তাদের দুজনেরই স্বামী একই ব্যক্তি – ওমানের বাসিন্দা এক ৭৮ বছরের শেখ।
কাঁদতে কাঁদতে রুবিয়া বলছিল যে বিয়ের সময়ে তার বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর।
“ওই লোকটা আমাকে আর আমার বন্ধুকে ছেড়ে চলে যায়। বেশ কয়েক সপ্তাহ তার কোনও খোঁজ পাই নি আমরা। সুলতানা শেষ অবধি আত্মহত্যা করে,” বলছিলেন রুবিয়া।
ইসলামিক পণ্ডিত মুফতি হাফিজ আবরার এই ধরণের বিয়েকে বেশ্যাবৃত্তি বলে মনে করেন।
“যে কাজি অর্থের বিনিময়ে এইভাবে অন্য দেশের পুরুষদের সঙ্গে এখানকার মেয়েদের বিয়ে দেয়, তারা ইসলাম ধর্মের আর মুসলমানদের নাম খারাপ করছে,” বল���ও অভিমত মি. হাফিজের।
কিন্তু তেলেঙ্গানার শিশু সুরক্ষা আধিকারিক ইমতিয়াজ আলি খান মনে করেন এই ধরনের বিয়ে আটকাতে মসজিদগুলোর সহায়তা প্রয়োজন।
“আমরা মসজিদগুলোকে বলতে শুরু করেছি যে এইরকম অনৈতিক বিয়ের ব্যাপারে নামাজিদের যেন তারা সতর্ক করতে শুরু করে,” বল���িলেন মি. খান।
ফরহীন, তাবাস্সুম, জেহরা, রুবিয়া আর সুলতানাদের মতো যুবতীরা অবশ্য এখনও আশা করে যে তাদের যে অবস্থায় পড়তে হয়েছে, সেই অবস্থায় অন্য শিশু বা নারীদের হয়তো আর পড়তে হবে না কিছুদিন পরে।
ফরহীন স্বপ্ন দেখেন সেই দিনের, যেদিন নারীদের শিক্ষার ব্যাপারে সমাজ সচেতন হবে, তারা যে শুধুই যৌন লিপ্সা মেটানোর বস্তু নয়, সেটা বুঝতে শিখবে সবাই।
“আমার পরিবার এখন আমার কাছে ক্ষমা চায় তাদের কৃতকর্মের জন্য। তারা বুঝতে পেরেছে তাদের ভুল। এভাবেই যদি বাকিরাও বুঝতে পারে যে অর্থের লোভে নিজের মেয়েকে বিয়ে না দিয়ে বরং তাদের পড়াশোনা করানো দরকার,” বলছিলেন ফরহীন।
(প্রতিবেদন: দিব্যা আর্য ও দীপ্তি বত্তিনী, বিবিসি নিউজ, হায়দ্রাবাদ)
এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত প্রত্যেক পীড়িত নারীর নাম বদল করে দেওয়া হয়েছে তাঁদের পরিচয় গোপন রাখার স্বার্থে।
0 notes
phoringmedia · 7 years
Text
বিয়ের রাতে মিলন কতটা সুখকর হয় জানেন! জানলে চমকে যাবেন
এসপিবি.এন নিউজ – অনলাইন ডেস্ক: এখন যদি কেউ আপনাকে বলে যে একটা অজানা, অচেনা লোকের সঙ্গে এক বিছানায় রাত কাটাতে হবে আপনাকে৷ কী অস্বস্তি লাগবে না আপনার? কিন্তু ভাবুন তো শুধু রাত কাটানোই নয়, একটা সময় ছিল যখন এক সম্পূর্ণ অচেনা মানুষের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হত আপনারই বয়সের কোনও মেয়ে বা মহিলাকে৷ সেই সম্পূর্ণ ধাঁধাময় মানুষটির […]
0 notes
tridhachoudhury · 7 years
Text
বিয়ের রাতে যৌন-মিলন কতটা সুখকর হয়? জানলে আপনিও চমকে যাবেন
বিয়ের রাতে যৌন-মিলন কতটা সুখকর হয়? জানলে আপনিও চমকে যাবেন
এখন যদি কেউ আপনাকে বলে যে একটা অজানা, অচেনা লোকের সঙ্গে এক বিছানায় রাত কাটাতে হবে আপনাকে৷ কী অস্বস্তি লাগবে না আপনার? কিন্তু ভাবুন তো শুধু রাত কাটানোই নয়, একটা সময় ছিল যখন এক সম্পূর্ণ অচেনা মানুষের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হত আপনারই বয়সের কোনও মেয়ে বা মহিলাকে৷ সেই সম্পূর্ণ ধাঁধাময় মানুষটির সঙ্গে বিয়ের রাতে মিলিতও হতো তাঁরা৷
[health]
কিন্তু বর্তমানে সময় অনেক পালটে গিয়েছে, অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের…
View On WordPress
0 notes
swastikamukherjee · 7 years
Text
বিয়ের রাতে যৌন-মিলন কতটা সুখকর হয়? জানলে আপনিও চমকে যাবেন
বিয়ের রাতে যৌন-মিলন কতটা সুখকর হয়? জানলে আপনিও চমকে যাবেন
এখন যদি কেউ আপনাকে বলে যে একটা অজানা, অচেনা লোকের সঙ্গে এক বিছানায় রাত কাটাতে হবে আপনাকে৷ কী অস্বস্তি লাগবে না আপনার? কিন্তু ভাবুন তো শুধু রাত কাটানোই নয়, একটা সময় ছিল যখন এক সম্পূর্ণ অচেনা মানুষের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হত আপনারই বয়সের কোনও মেয়ে বা মহিলাকে৷ সেই সম্পূর্ণ ধাঁধাময় মানুষটির সঙ্গে বিয়ের রাতে মিলিতও হতো তাঁরা৷
[health]
কিন্তু বর্তমানে সময় অনেক পালটে গিয়েছে, অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের…
View On WordPress
0 notes
payelsarkar · 7 years
Text
বিয়ের রাতে যৌন-মিলন কতটা সুখকর হয়? জানলে আপনিও চমকে যাবেন
বিয়ের রাতে যৌন-মিলন কতটা সুখকর হয়? জানলে আপনিও চমকে যাবেন
এখন যদি কেউ আপনাকে বলে যে একটা অজানা, অচেনা লোকের সঙ্গে এক বিছানায় রাত কাটাতে হবে আপনাকে৷ কী অস্বস্তি লাগবে না আপনার? কিন্তু ভাবুন তো শুধু রাত কাটানোই নয়, একটা সময় ছিল যখন এক সম্পূর্ণ অচেনা মানুষের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হত আপনারই বয়সের কোনও মেয়ে বা মহিলাকে৷ সেই সম্পূর্ণ ধাঁধাময় মানুষটির সঙ্গে বিয়ের রাতে মিলিতও হতো তাঁরা৷
[health]
কিন্তু বর্তমানে সময় অনেক পালটে গিয়েছে, অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের…
View On WordPress
0 notes
বিয়ের রাতে যৌন-মিলন কতটা সুখকর হয়? জানলে আপনিও চমকে যাবেন
বিয়ের রাতে যৌন-মিলন কতটা সুখকর হয়? জানলে আপনিও চমকে যাবেন
এখন যদি কেউ আপনাকে বলে যে একটা অজানা, অচেনা লোকের সঙ্গে এক বিছানায় রাত কাটাতে হবে আপনাকে৷ কী অস্বস্তি লাগবে না আপনার? কিন্তু ভাবুন তো শুধু রাত কাটানোই নয়, একটা সময় ছিল যখন এক সম্পূর্ণ অচেনা মানুষের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হত আপনারই বয়সের কোনও মেয়ে বা মহিলাকে৷ সেই সম্পূর্ণ ধাঁধাময় মানুষটির সঙ্গে বিয়ের রাতে মিলিতও হতো তাঁরা৷
[health]
কিন্তু বর্তমানে সময় অনেক পালটে গিয়েছে, অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের…
View On WordPress
0 notes