Tumgik
#চাকরির পেপার
chakriralo · 2 years
Text
Chakrir Dak 8 April 2022
Chakrir Dak 8 April 2022
Chakrir Dak 8 April 2022 has been published  jobniyog.com  upcoming weekly jobs newspapers of job niyog 2022 visit our website at http://www.jobniyog.com regularly and provides a feedback to us for getting more attractive news and results. chakrir khobor 2022 today saptahik chakrir khobor 15th March 2022 saptahik chakrir khobor 2022 chakrir khobor 2022 saptahik chakrir Dak 2022 You all guys will…
Tumblr media
View On WordPress
#Chakrir Dak 8 April 2022#SR Job Life#আজকের চাকরির খবর#চাকরি খবর প্রথম আলো#চাকরির খবর#চাকরির খবর পত্রিকা#চাকরির খবর.com#চাকরির নিউজ#চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি#চাকরির পত্রিকা#চাকরির পত্রিকার চাকরি#চাকরির পেপার#চাকরির বাজার#চাকরির বার্তা খবর#চাকরির সন্ধানে আমরা#দৈনিক প্রথম আলো চাকরির পেপার#নিয়মিত চাকরির খবর#নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি 2022#পুলিশ চাকরির খবর#পুলিশ নিয়োগ পত্রিকা#পুলিশে চাকরির খবর#ফায়ার সার্ভিস চাকরির পত্রিকা#ফায়ার সার্ভিসে চাকরির খবর#বাংলাদেশ চাকরির খবর#বাংলাদেশ চাকরির নিউজ#বাংলাদেশ প্রতিদিন চাকরির পেপার#বিজিবিতে চাকরির খবর#যুগান্তর চাকরির পেপার#রেগুলার চাকরিরে পেপার#সরকারী চাকরির খবর
0 notes
jobscirculars · 2 years
Text
Chakrir Dak 4 March 2022
Chakrir Dak 4 March 2022
Chakrir Dak 4 March 2022 The most wanted Chakrir Dak 4th March 2022 the Weekly Job Newspaper has published on Friday 4 March 2022. Upcoming 11th March 2022 Saptahik chakrir dak jobs newspaper also will publish here.  At the official newspaper of weekly jobs news Lokkho Bekarer Priyo Potrika. The Weekly job newspaper’s all pages have given at our website at http://www.jobscirculars.com. to urge…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
ejobscircular-blog · 5 years
Text
Chakrir Dak Weekly Jobs Newspaper 2019 -chakrirdak.com
Chakrir Dak Weekly Jobs Newspaper 2019 -chakrirdak.com
Tumblr media
Weekly Jobs Newspaper chakrir dak provide various govt and non govt recent circular at www chakrirdak com . Chakrir-dak epaper also found at ejobscircular.com . Online weekly Epaper of chakrir Dak download as a JPEG or PDF format. Saptahik Chakrir Dak Online Jobs NewspaperCollect latest jobs in every single week 😉  Don`t miss this jobs weekly paper from our website. www weekly jobs newspaper in…
View On WordPress
0 notes
dailyresultbd · 2 years
Text
আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি বিসিএসআইআর-এর মৌখিক পরীক্ষা
আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি বিসিএসআইআর-এর মৌখিক পরীক্ষা
বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) সায়েন্টিফিক অফিসার (স্থায়ী) পদের মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি সকাল, দুপুর ও বিকেলে অনুষ্ঠিত হবে এ পরীক্ষা। মূল প্রবেশপত্রের রঙিন কপি, চাকরির আবেদনের কপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের মূলকপি, অভিজ্ঞতার সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের মূল কপি, থিসিস পেপার এবং মূল নম্বরপত্রসহ প্রতিটির একটি করে…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
sai-writes · 3 years
Text
মৃন্ময়ী (পর্ব -৩)
" কালো একটা সুড়ঙ্গ ধরে এগিয়ে চলেছে , সুড়ঙ্গ শেষে তীব্র আলোক রশ্মি তাকে যেন আরো কাছে টেনে যাচ্ছে। আগে আগে পথ দেখিয়ে এগিয়ে নিয়ে চলেছে মা। ভীষণ হালকা লাগছে আজ। বাঁধন ছাড়া অনুভব হচ্ছে। মাঝ পথেই, এ কোন আকাশবাণী কানে এলো-
ফিরে যাও, এখনোও বাকি আছে কাজ, ফিরে যাও, জেগে ওঠো। জাগো! " জ্ঞান ফেরে মৃন্ময়ীর। দু'দিন কোমায় থাকার পর, আজ সে সম্পূর্ণ বিপদ মুক্ত। জ্ঞান ফিরতেই দেখলো ডাক্তার ওকে নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে ব্যস্ত। খবর পেয়ে দৌড়ে এসে পাশে দাঁড়ালো মৃন্ময়ীর বাবা অরুণোদয়। ধীর গতিতে পিছনে পিছনে ঢুকলো মামী। তুলসী কাঠের জপমালায় অনবরত জপে চলেছে আরাধ্যর নাম।
"প্রাবৃট কেমন আছে বাবা?"
"ওর নাম মুখে ও আনবি না। এতটা কেয়ারলেস কেউ কি করে হতে পারে!"
" ওর দোষ ছিল না বাবা, সামনে কুকুর টা এমন ভাবে.."
মামী বলে উঠল, " রাধা মাধব আছে, আমাদের বিপদ থেকে রক্ষা করেছেন। সব ঠিক হয়ে যাবে। চিন্তা করবেন না। যার শাস্তি তাকেই তো ভোগ করতে হবে। অন্য কেউ তা কখনই ভোগ করবে না। আমার রাধামাধব মৃন্ময়ীর কোন ক্ষতি হতে দেবে না।"
"ভয় হয়, আর যে কত কী দেখতে হবে এই বয়সে। আমার মেয়েটা এত বড় বিপদ থেকে বেঁচে ফিরলো, গুরুদেবের অসীম কৃপা। বৌকে হারিয়েছি, মেয়েটাকেও হারাতে বসেছিলাম।"
"আমি বেঁচে থাকতে মৃন্ময়ীর কিছু হবেনা অরুণদা, আমি বেঁচে থাকতে ওর কিছু হবেনা। ওর সব বিপদ আমার উপর থেকে যাবে। ঈশ্বর যদি আমার প্রার্থনা শুনে থাকে,তাহলে আমার এ মেয়ের আজ থেকে কোনো বিপদ আসবেনা। কথাটা মিলিয়ে নেবেন দাদা।"
এরপর আর তেমন কোনো বিপদ আসেনি মৃন্ময়ীর, শুধু মামীকে নিজের বৌ সাজে দেখানো হয়নি মৃন্ময়ীর। এই আক্ষেপটা রয়ে গেছে মৃন্ময়ীর। বিয়ের ঠিক এক বছর আগে মামী চলে গেল। যাওয়ার আগে একটা চিঠি লিখে গেছিলো ওর জন্য। বলেছিল, যত্ন করে রেখে দে। তোর দরকার যখন পড়বে, ও ঠিক তোর হাতে উঠে আসবে। আজ বই গোছাতে গোছাতে চিঠিটা বই এর মধ্যে থেকে অদ্ভুত ভাবে পায়ের সামনে এসে পড়লো। সময়টি বুঝি এসে গেল।
অপার্থিব শক্তির সাথে খেললে তার পরিণামের জন্য তৈরি থাকতে হয়। আগুনে হাত দিলে হাত তো পুড়বেই, কিন্তু নিজের শরীরে লাগা আগুন যদি গোটা ঘরে ছড়িয়ে পড়ে, তার পরিণতি কি হবে। নিজের ভুলের মাশুল যদি সকলকে বইতে হয় তবে সেই অনুতাপের আগুনে দগ্ধ হওয়ার জ্বালা যে কতটা মারাত্মক, সেটা বলে বোঝানো যাবে না। ভুল করেছে প্রাবৃট, কিন্তু তার জন্য যদি বাকিদের ক্ষতি হয়। মৃত্যু সঙ্কেত তো প্রায়শই পাচ্ছে, তবে সঙ্কেতটা কী ওকে কেন্দ্রীক কি? স্বপ্নে নিজেকে নিয়ে দেখলে অনেক অংশেই তা ঘটে অন্যের জীবনে, এ কথাও ঠিক ভোরের স্বপ্ন কখনো সত্যি হয়। তবে এ স্বপ্ন ভোরের না, কারণ এ স্বপ্নের
ভয়াবহতায় ওর চোখ খুলে যায়, ঘড়িতে তাকিয়ে দেখে সময়টা তখন রাত সাড়ে তিনটে ।
এখনো ভালো ভাবে মনে আছে, সেদিন ঘুম ভাঙতেই অনুভূত হয়, ভয়ে ওর সারা শরীর ঘামে ভিজে গেছে, হাত বাড়িয়ে জলের বোতলটা থেকে জল খেয়ে ব্যালকনিতে এসে দাঁড়ায় প্রাবৃট, সিগারেট ধরিয়ে সুখটান দিতে দিতে ফেসবুক খোলে। আগের ছবিগুলো ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখতে থাকে, হঠাৎ ই একটা পিকনিকের গ্রুপ ছবি দেখে চমকে ওঠে প্রাবৃট। "উনি এই ছবিতে কি করে?" ছবিতে মৃন্ময়ীর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটা যে ততদিনে মৃত। মানুষটা আর কেউ না, মৃন্ময়ীর মামী। এমন ভাবে ছবিটা এসেছে, যে ভালো করে লক্ষ্য না করলে চোখে পড়বে না। "পিকনিক করতে গেছিলাম আমরা বিয়ের ছ মাস পর। তখন তো ওনার পক্ষে ওখানে থাকাটা সম্ভব নয়। মৃন্ময়ীকে কি উনি কবল করতে চাইছেন নিজের কোনো স্বার্থ চরিতার্থে? হে ঈশ্বর, আমায় রাস্তা দেখাও।না! না! এসব কেন ভাবছি, মৃন্ময়ীকে ভালোবাসেন উনি। ঘুমের চোখে নিশ্চয়ই ভুল দেখছি।" সত্যি সত্যিই পরের দিন সকালে ছবিতে এমন কিছুই চোখে পড়লো না প্রাবৃটের। এতটা ভুল দেখলো, কে জানে হবে হয়তো। হয়তো হ্যালুসিনেট করছিলো রাতে, তন্দ্রাছন্ন অবস্থায়।
দিনের বেশ অনেকটা সময় একা থাকতে হয় অরুণোদয় এর। মেয়ের বিয়ের পর সারাদিন রেডিওতে গান, নয়তো অতীত চারণ চলে। বেশ সম্ভ্রান্ত ঘরের ছেলে অরুণোদয়। বাবা ছিল নাম করা পেপার হাউজের মালিক। তিন তলা বাড়ির এক তলাটা ভাড়া দেওয়া হত। অরুণ তখন পঁচিশ পেরিয়ে ছাব্বিশে পড়বে, নতুন ভাড়াটে আসে নীচে। সদস্য সংখ্যা তিন, বিধবা মা ও তার দুই সন্তান। ছেলের বয়স তেইশ , আর বাড়িতে সবার ছোট মেয়েটির বয়স চৌদ্দ কি পনেরো হবে। মেয়েটির চোখের মধ্যে অদ্ভুত দীপ্তি। কিছু দিনের মধ্যেই আলাপ হয় বাড়ির বড় ছেলেটির সাথে, নাম মলয়। চাকরির খোঁজে শহরের বড় বড় অফিসে হানা দেয়, ইন্টারভিউ অনেক দিয়েছে, সবেই ব্যর্থ। সুযোগের হাতছাড়া করেনি অরুণ। অরুণের বাবার অফিসে হিসাবরক্ষকের দ্বায়িত্বে কাজ পায় মলয়, সৌজন্যে অরুণ। তারপর থেকেই মলয়ের বাড়িতে ওঠা বসা লেগেই থাকত অরুণের। বাড়ির আপনজনের তালিকায় অরুণের নাম খোদাই হয়ে গেছে মলয়ের বাড়ির সকলের। অরুণের এই চালে যে বাড়ির সকলকে কিস্তিমাত করতে সক্ষম হয়েছে, তা বোঝবার বাকি ছিল না। বোঝা যায় না শুধু বাড়ির কনিষ্ঠার মন। দেখতে দেখতে চার বছর পার হয়ে যায়, সময়ের সাথে বয়স বাড়ে বাড়ির কনিষ্ঠ সদস্যর। এখন সে লাস্যময়ী যুবতীতে পরিণত হয়েছে। সুচেতনার থেকে আর মুখ ফেরাতেই পারে না অরুণ।
মনের কথা একদিন মুখে আনলো অরুণ। সুচেতনা অবাক হয়নি, সুদৃঢ় কন্ঠে বলে উঠল " তোমার সৌহার্দ্যপূর্ণ ব্যবহারে আমি সন্দেহ করেছিলাম, এর পিছনে নিশ্চয়ই কোন কালো অভিসন্ধি আছে, উপলক্ষ্য কে সেটা ঠিক আঁচ করতে পারিনি। দেখো, তোমায় আমি দাদার চোঁখে দেখি, অরুণদা। কথা বাড়িয়ে আর কোনো লাভ হবেনা। "
আগুন জ্বলে উঠেছিল তখন অরুণের মাথায়। নিজের উপর সংযম রেখেছিল। বাড়ির মান সম্মান এর ধারা ওকেই বয়ে নিয়ে যেতে হবে। তিন মাস পর বাড়ি ছেড়ে দেয় সুচেতনার পরিবার।মলয় ও অরুণের অফিসে চাকরি ছেড়ে দেয়, অন্য চাকরিতে যোগ দেয় কিছু দিনের মাথায়, আর তার পর থেকে যোগাযোগ হয়নি সুচেতনার সাথে। কয়েক বছর পর জীবনে আসে মানবী, তারপর বিয়ে এবং এক বছর পর মৃন্ময়ীর আগমন। তারপর হঠাৎই সুচেতনা ফিরে আসে, শ্যালক নির্মলের হাত ধরে, সুচেতনা তখন গর্ভবতী। মেনে নিতে পারেনি অরুণ, বিষাক্ত চিন্তার স্রোত বয়ে চলতো মাথায়, "কী এমন আছে নির্মলের যা ওর মধ্যে নেই। " ক্রোধ, অসম্ভব ক্রোধ জমতে থাকে বুকের মাঝে। যে বাঁধনে পড়েছো ধরা সুচেতনা, সেই বাঁধন থেকে মুক্তি দেবে অরুণ। আট বছর পর নিজের সঙ্কল্প সিদ্ধ হয় অরুণের। ভালোবাসায় ��ানুষ যেমন জীবন দিতে পারে, নিতেও পারে। সুচেতনা বলেছিল নিজের পাপের ভোগ নিজেকেই করতে হয়। কী শাস্তি তোলা আছে অরুণের জন্য। মানবী, সুচেতনাকে হারানোটা কি বড় শাস্তি নয়, না আরো বড় কিছু অপেক্ষা করছে?
#sunnyscreativity
0 notes
rowsonxp · 4 years
Photo
Tumblr media
বাংলাদেশ মনসপুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড নতুন চাকরির বিজ্ঞপ্তি-২০২০ – Bangladesh Monospool Paper Manufacturing Company Ltd New Job Circular-2020 Bangladesh Monospool Paper Manufacturing Company Ltd New Job Circular-2020 - বাংলাদেশ মনসপুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড নতুন চাকরির বিজ্ঞপ্তি-২০২০
0 notes
nazmulahmednoyon · 5 years
Text
আর্টিকলটি NDTV খবর থেকে নেওয়া, রিপোর্ট করেছে Ravish Kumar
আইটি সেক্টর একসময় খুব ভালো অবস্থা ছিল। পাশ করার সাথে সাথে অনেকেই চাকরি পেয়েছে। এক সময় জব ফিল্ডে এই সাবজেক্টের খুব ডিমান্ড থাকার কারণে প্রচুর পরিমাণে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে যা অবস্থা চাকরি পাওয়ার চেয়ে চাকরি ছাঁটাই হচ্ছে বেশি। একমাত্র আইটি সেক্টরে এমন একটা সেক্টর যেখানে সবসময় দেখবেন তরুণদেরকে লোভ দেখানো হয়। কিন্তু তারা জানে না যে কিছুদিন পর কারণে-অকারণে আইটি সেক্টরে সবচেয়ে বেশি ছাঁটাই করা হয়। বর্তমানে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া, বিভিন্ন পত্রিকা বা ম্যাগাজিন ছাঁটাইয়ের খবর বেশি বেশি করে আসছে। আইটি বাজারে এমন কি ঘটছে যে এত বেশি ছাটাই হচ্ছে? আইটি সেক্টরে একটা অন্ধকার দিক আছে। সবাই এই অন্ধকার দিকটা লুকায় রাখতে চায়। সহজে বলতে চায় না বা বলার মত সাহস রাখে না। কারণ সবাই তখন তার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে। লোভনীয় technology নিয়ে পড়ালেখার সুযোগ অনেকের কাছে স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মত। এই কারণে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ইনভারসিটি গড়ে উঠেছে। এবং তারা এই বিষয়টার উপর ভিত্তি করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে বা ব্যবসা করছে। আর স্টুডেন্টরা না বুঝেই লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করছে, অনেক আশা নিয়ে পড়ালেখা করছে। দেখবেন ৮ম সেমিস্টার স্টুডেন্টরা সবচেয়ে বেশি লাফালাফি করে।   কিন্তু বাস্তবতা হলো যাদের লবিং নাই, পরিচিত বড় ভাই নাই, তারা  বেকার বসে থাকছে বা বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে ট্রেনিং এবং সার্টিফিকেশন করছে। আরো টাকা খরচ করছে ভাল একটা চাকরি পাওয়ার জন্য়। অনেকে বড় ভাইদের ঘুষ দিয়ে চাকরি পাবার চেষ্টা করছে।     বর্তমানে অন্যান্য সেক্টরে যে অবস্থা, সবাই ভাবে যে আইটিতে আসলেই ভাল বেতনে চাকরি হয়ে যাবে। এটা কয়দিন আগে বাস্তব ছিল। কিন্তু বর্তমানে অবস্থা সম্পূর্ণ বিপরীত। কারণ তারা খুটিনাটি অনেক বিষয় জানে না। পরে কাজ করতে গেলে আটকে যায়।   তাছাড়া ফ্রেশারদেরকে যখন জব দেওয়া হয়। তারা অনেক কাজ করতে পারে না। তখন সিনিয়র এক্সপেরিয়েন্স ভাইয়ের হেল্প লাগে। আর আপনার যদি পরিচিত সিনিয়র এক্সপেরিয়েন্স ভাই না থাকে। প্রেসার দিলে তারা কাজ করতে পারে না। তাই অনেকেই পড়ালেখা শেষ করার পর প্রথম প্রথম হতাশ হয়ে যায়। অনেক কোম্পানি আছে যারা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদেরকে কাজ না করিয়ে বরং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদেরকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে পছন্দ করে। কারণ তাদেরকে তাড়াতাড়ি প্রয়োজনীয় ট্রেনিং দিয়ে কম বেতনে চাকরি দেওয়া যায়। দিন কি দিন সবার বেতন কমে যাচ্ছে। আগে কোন কোম্পানিতে ঢুকলে মোটামুটি বেতন পাওয়া যেত। এখন একদম কম বেতন হতে শুরু করতে হয়। টেস্টিং পিরিয়ডে রাখা হয়। তাই চাকরিজীবিদের সবসময় একটা টেনশন মধ্যে থাকতে হয়। কেউ চাকরি ছাড়লে সে ওই কোম্পানিতে যে বেতন পেত সেটা নতুন কোম্পানিতে আর পায়না। আবার নতুন করে অল্প বেতনে চাকরী করতে হয়। আর যারা একই কোম্পানিতে বছরের পর বছর চাকরি করছে, তাদের বেতন বাড়ানো হয় না। এদিকে দ্রব্যমূল্য, গ্যাস, কারেন্ট, পানির  সবকিছুর দাম বেড়ে যাচ্ছে। আর তাদের জীবন মান দিন দিন কমে যাচ্ছে। আর একমাত্র আইটির চাকরিতে প্রচন্ড প্রতিযোগিতা, রেষারেষি, politics। বেশিরভাগ সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোর প্রফিট মার্জিন কম হওয়ার কারণে তারা সেলারি দিতে পারছে না। কিছু কিছু কোম্পানি আছে যারা এসি চালানো কমায় দিছে, টাকা বাঁচানোর জন্য। আবার কিছু কিছু কোম্পানি আছে তাদের অবস্থা এত খারাপ যে তারা টয়লেট পেপার সরাইয়া দিছে, টাকা বাঁচানোর জন্য। এদিকে আবার পাশ করার পর জব না থাকার কারণে অনেকেই বিভিন্নভাবে সাজেশন দিয়ে থাকেন যে কৃষিকাজ বা মৎস্যচাষ করো। কারণ সেখানে ইনকাম বেশি। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে কৃষিকাজে যদি করতে হয় তাহলে এত টাকা-পয়সা খরচ করে পড়ালেখা করার দরকার ছিল কি? টাকাটা পুরাটা waste হয়ে গেল না? এখন যে অবস্থা হাই এডুকেটেড ইঞ্জিনিয়াররা একটা সরকারি পিয়নের চাকরির জন্য লাইনে দাঁড়ায় থাকে। কারণ একটা সরকারি পিয়নের কামাই প্রাইভেট কোম্পানির এক্সিকিউটিভ লেভেলের ইঞ্জিনিয়ার থেকে বেশি।   বিভিন্ন কোম্পানি থেকে বলা হচ্ছে যে যেসব ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে আসছে তারা চাকরির উপযুক্ত না। তাদেরকে নতুন করে টাকা-পয়সা খরচ করে ট্রেনিং দিতে হয়। তাহলে এসব ইনভারসিটি গুলোতে  লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে কি শেখানো হচ্ছে? চার বছর ধরে আলতু ফালতু থীয়রিটিক্যাল বা কম্পিউটার ইতিহাস পড়ায় লাভ কি? তারা ফিউচার টেকনোলজি সম্পর্কে ভাল ধারনা পাচ্ছে না, ভাল টিচার পাচ্ছে না।   আর কম্পিউটার ইন্জিনিয়ারিং স্টুডেন্টদেরকে থীয়রিটিক্যাল বিষয়ে এত বেশি চাপ দেওয়া হচ্ছে যে সারাদিন মুখস্থ করতেই তাদের সময় চলে যায়, কার্রিকুলাম একটিভিটিস বাহিরে যে তারা কিছু শিখবে তার কোন উপায় নেই।   আইটি সেক্টরে ঘন হারে চাকরি ছাটাইয়ের কারণে অনেকে ইউনিয়ন করার প্রস্তাব দিচ্ছে। কারণ আইটি সেক্টরের চাকরি যারা করে তাদের চাকরির পাশাপাশি নিজেদেরকে বারবার সময়ের সাথে সাথে আপডেট হতে হয়। যা কতটা painful সেটা যারা চাকরি করে তারাই বুঝে। বেতনের সব টাকা ট্রেনিংএর পিছনেই চলে যায়। এত পড়ালেখা অন্য কোন সাবজেক্টে নেই। কিন্তু কোম্পানিগুলো সে গুলো বুঝতে চায় না। তারা মনে করে এমপ্লয়ী নিজেদেরকে আপডেট করলেই বেতন চাবে বা অন্য কোথাও চলে যাবে। এজন্য তারা কোন সময় দিতে চায় না।   এখন থেকে মানে ২০১৮ পর থেকে প্রতি বছরই লাখ লাখ আইটি ইঞ্জিনিয়ার চাকরিজীবীকেে ছাঁটাই করা হবে এবং ৩৫ বছরের উপরে যাদের বয়স তাদেরকে বেশি করে ছাটাই করা হবে। সবচেয়ে বেশি ছাঁটাই করা হবে সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ারদের যাদের বেতন অনেক বেশি। বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানিগুলো তাদের portability নিয়ে চিন্তা করছে। তারা তাদের বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং করছে ঠিকই   কিন্তু আগের থেকে তাদের রেট অনেক বেশি কমায় দিচ্ছে। তাছাড়া Automation And Robotics আসার কারণে ১০০ জনের কাজ একটা রোবট একাই করে। এই রোবটগুলো মেইনটেইন করতে মানুষের তুলনায় অনেক খরচ কম হয়। বেতন দিতে হয় না। ২৪ ঘন্টা কাজ করতে পারে। Perfectly কাজ করতে পারে। এখন থেকে বুদ্ধিমান রবোটরা  মুহুর্তে সমস্যা সমাধান বের করে কাজ করে ফেলবে। তাদের যেসব ইনফরমেশন জানা দরকার হবে, সেগুলো তারা দ্রত ডাউনলোড করে নেবে। মানুষের মত দিনের পর দিন প্রাকটিস করতে হবে না। যারা এখন স্টুডেন্ট তাদেরকে সঠিক জিনিসটা জানতে হবে। অভিভাবকদের বাস্তব অবস্থা জানতে হবে। সরকার সাধারণত এগুলো প্রপাগান্ডা হিসেবে চালিয়ে দেয়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে যারা চাকরি করছে তারাই শুধু এই জিনিসগুলো জানে এবং ফ্যামিলিতে বলার মত সাহস থাকে না। তারা আরো বেশি করে পড়ালেখা করে কিন্তু অফিসে প্রমোশন হয় না। ব্যাংকের আইটি সেক্টরের অবস্থা খুব একটা ভালো না। বেশিরভাগ সময় inhouse আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের সেই রকম কোন কাজ থাকে না। ভেন্ডর কোম্পানির আইটি ইঞ্জিনিয়ার এসে সব কাজ করে দিয়ে যায়। Inhouse আইটি ইঞ্জিনিয়ারদেরকে সেখানে খুব একটা অ্যাক্সেস দেওয়া হয় না। নতুন একটা ব্রাঞ্চ খোলার সময় নেটওয়ার্কিং এবং সেটআপ রিলেটেড কিছু কাজ থাকে। তারপর আর সেই রকম কোন কাজ থাকে না। তাই প্রতিটা ব্রাঞ্চ এ ২/১ জন আইটি ইঞ্জিনিয়ারকে রেখে বাকি সবাইকে ছাঁটাই করা হবে। তাছাড়া ব্যাঙ্ক সেক্টরে দিন দিন জটিলতা বাড়ছে। ইন্টারেস্ট রেট কমে যাওয়া এবং ঋণ খেলাপি সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ব্যাঙ্কগুলো আর্থিক সংকট মূল কারন। ব্লাক মানি সম্পতি দেখায় ঋণ নেওয়া এবং পলিটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড থাকায় ঋণ খেলাপি এখন ওপেন সিক্রেট। যার প্রভাব বেতন স্কেলে এবং রিক্রুটমেন্ট উপরেও পরছে। তাছাড়া Blockchain technology এবং virtual money আসাতে সারা দুনিয়ায় ব্যাঙ্কিং সেক্টর বাতিল হতে বেশি দিন সময় লাগবে না। তখন ব্যাপক সংখ্যায় আইটি ইঞ্জিনিয়ার বেকার হয়ে যাবে। Telecom sector অবস্থা দিনকে দিন খারাপ হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের ফ্রি (VoIP) application আসার কারনে তাদের ব্যবসার অবস্থা এমনিতেই খারাপ। কর্পোরেট জায়ান্টরা ওয়েব কলিং এ ব্যাপক হারে  ইনভেস্ট করছে। তাই বেশির ভাগ সময় দেখবেন দুইটা কর্পোরেট কোম্পানি মিলে একটা কোম্পানি হয়ে যাচ্ছে টিকে থাকার জন্য়। এর ফলে আরো বেশি চাকরি কমে যাবে। আরো বেশি ছাঁটাই হবে।  
0 notes
nacholenews · 6 years
Photo
Tumblr media
বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি টাকা নিয়ে যাচ্ছেন চীনারা! নাচোল নিউজ ডেস্ক;বিশ্বের যে কয়টি দেশের নাগরিকরা বাংলাদেশে কর্মরত, তার মধ্যে চীনারাই সবচেয়ে বেশি অর্থ তাদের দেশে পাঠাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টার সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে বলছে, শুধু এক বছরেই বাংলাদেশ থেকে ২০১ কোটি ডলার আয় নিজেদের দেশে পাঠিয়েছেন বিদেশিরা। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক টাকাই নিয়ে গেছেন চীনারা। বাংলাদেশ থেকে প্রবাসী আয় বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদদের সর্বশেষ প্রাক্কলন ধরে গবেষণা সংস্থাটি এ তথ্য জানিয়েছে। গবেষণা অনুযায়ী, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ থেকে বিদেশিরা ২০১ কোটি ডলার অর্থ নিয়ে গেছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা। যেসব দেশে এ অর্থ গেছে তার মধ্যে চীন ছাড়াও রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, নেপাল, থাইল্যান্ড, জাপান, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য, মিয়ানমার, ব্রাজিল, লাওস ও কম্বোডিয়া। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ নিয়ে গেছে চীন। দেশটি বাংলাদেশ থেকে ৭ হাজার ৮৫৯ কোটি টাকা নিয়ে গেছে। এরপর ২ হাজার ২৮১ কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে দেশে পাঠিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রবাসীরা। মালয়েশিয়ায় গেছে ১ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। এছাড়া ভারতের প্রবাসীরা ৯৪৫ কোটি টাকা, যুক্তরাষ্ট্র ৭৭১ কোটি টাকা এবং মিয়ানমার ২৩১ কোটি টাকা নিয়ে গেছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, দেশে কর্মরত আছেন ৮৫ হাজার ৪৮৬ জন বিদেশি নাগরিক। রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন খাতে এসব বিদেশি নাগরিক কাজ করেন। জাতীয় সংসদে গত ফেব্রুয়ারিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে কর্মরত এই বিদেশিদের অর্ধেকই ভারতীয়। ভারতীয়দের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৩৮৬ জন এবং চীনা ১৩ হাজার ২৬৮ জন। এরপর রয়েছে জাপান—৪ হাজার ৯৩ জন। এ ছাড়া কোরিয়ার ৪ হাজার ৯৩ জন, মালয়েশিয়ার ৩ হাজার ৩৯৫ জন ও শ্রীলঙ্কার ৩ হাজার ৭৭ জন নাগরিক বাংলাদেশে কাজ করেন। থাইল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, সিঙ্গাপুর ও তুরস্কের নাগরিকেরাও উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে কর্মরত। বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের একটি বড় এক অংশ এখনও বেকার। দিন দিন এই সংখ্যা বড় হচ্ছে। এখানে সবচেয়ে বড় একটি সমস্যা হচ্ছে কারিগরি জ্ঞানের অভাব। সাধারণ শিক্ষায় পাস করার পরও কারিগরি দিক দিয়ে এগিয়ে না থাকায় অনেক ক্ষেত্রে বিদেশিদের আনতে হচ্ছে। যার ফলে মোটা অংকের অর্থ বিদেশে চলে যাচ্ছে। সম্প্রতি এক হিসাবে দেখানো হয়েছে, দেশের মোট বেকারের সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৮০ লাখের মতো। যদিও সরকার বলছে, দেশের বেকারের সংখ্যা মাত্র ২৬ লাখ। দেশের অন্যতম বড় চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান ‘নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান মাতলুব আহমাদ বলছিলেন, একটা চাকরির জন্য প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার আবেদন চলে আসে। কিন্তু আমরা আমাদের চাহিদামতো কর্মী পাচ্ছি না। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, আমরা সাধারণ শিক্ষায় পাস করা ছেলেমেয়ে নিচ্ছি। কিন্তু যখন আলাদাভাবে পেপার মিলে কারিগরি কাজের জন্য কাউকে খুঁজছি, তখন পাচ্ছি না। আমাদের বিদেশ থেকে তখন লোক আনতে হচ্ছে। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান কাজী খলিকুজ্জমান আহমেদ বলেন, বিদেশি পেশাজীবীরা যা করছেন, সে সম্পর্কে দক্ষ হয়ে বাংলাদেশিরাও তা করতে পারেন। এদিকে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর বলছে, বিদেশিরা এই অর্থ বৈধভাবে পাঠাচ্ছেন কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। যারা সরকারকে কর না দিয়ে অবৈধভাবে দেশে টাকা পাচার করেন, তাদের ধরতে অভিযান চালানো হবে। এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া সম্প্রতি বলেছেন, তাদের একটা ট্যাক্স কালচারের মধ্যে আনতে চাই। বিদেশিদের অনেকে বাংলাদেশে টুরিস্ট ভিসায় এসে চাকরি করছেন। এসব যাতে না হয় সেটা আমরা লক্ষ্য রাখবো। সাধারণত বিদেশিদের আয়ের ৩০ শতাংশ কর হিসেবে দিতে হয়। মোশাররফ হোসেন বলেন, যাদের ডাবল ট্যাক্সেশন দিতে হয় আমরা তাদের ক্ষেত্রে সুবিধার ব্যবস্থা করে দেবো।
0 notes
bdbanglanews24 · 6 years
Link
এক কোম্পানীতে ছিলো এক পিঁপড়া। সে প্রতিদিন ৯টায় অফিসে ঢুকতো। তারপর কারো সঙ্গে সময় নষ্ট না করে সঙ্গে সঙ্গে কাজে বসে যেত। সে যে পরিমাণ কাজ করত, তাতে কোম্পানির উৎপাদন হতো প্রচুর এবং এর ফলে সে আনন্দের সঙ্গেই জীবন নির্বাহ করত। ওই অফিসের সিইও সিংহ অবাক হয়ে দেখত, এই পিঁপড়াটি কোনো ধরনের সুপারভিশন ছাড়াই প্রচুর কাজ করছে। সিংহ ভাবল, পিঁপড়াকে যদি কারও সুপারভিশনে দেওয়া হয়, তাহলে সে আরও বেশি কাজ করতে পারবে। কয়েক দিনের মধ্যেই সিংহ একটি তেলাপোকাকে পিঁপড়ার সুপারভাইজার হিসেবে নিয়োগ দিল। সুপারভাইজার হিসেবে এই তেলাপোকাটির ছিল দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা, আর সে দুর্দান্ত রিপোর্ট লিখতে পারত। তেলাপোকাটি প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিল, এই অফিসে একটি অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম থাকা উচিত। কয়েক দিনের মধ্যেই তেলাপোকার মনে হলো, তার একজন সেক্রেটারি দরকার, যে তাকে রিপোর্ট লিখতে সাহায্য করবে। … সে একটা মাকড়সাকে নিয়োগ দিল এই কাজে যে সব ফোনকল মনিটর করবে, আর নথিপত্র রাখবে। সিংহ খুব আনন্দ নিয়ে দেখল যে তেলাপোকা তাকে প্রতিদিনের কাজের হিসাব দিচ্ছে আর সেগুলো বিশ্লেষণ করছে গ্রাফের মাধ্যমে। ফলে খুব সহজেই উৎপাদনের ধারা সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যাচ্ছে এবং সিংহ সেগুলো বোর্ড মিটিংয়ে ‘প্রেজেন্টেশন’ আকারে পেশ করে বাহবা পাচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যেই তেলাপোকার একটি কম্পিউটার ও লেজার প্রিন্টার প্রয়োজন হলো এবং এগুলো দেখভালের জন্য আইটি ডিপার্টমেন্ট গঠন করল। আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিয়োগ পেল মাছি। আমাদের কর্মী পিঁপড়া, যে প্রতিদিন অফিসে এসে প্রচুর কাজ করে মনের সুখে গান গাইতে গাইতে বাসায় ফিরত, তাকে এখন প্রচুর পেপার ওয়ার্ক করতে হয়, সপ্তাহের চার দিনই নানা মিটিংয়ে হাজিরা দিতে হয়। নিত্যদিন এসব ঝামেলার কারণে কাজে ব্যাঘাত ঘটায় উৎপাদন কমতে লাগল, আর সে বিরক্ত হতে লাগল। সিংহ সিদ্ধান্ত নিল, পিঁপড়া যে বিভাগে কাজ করে, সেটাকে একটা আলাদা ডিপার্টমেন্ট ঘোষণা করে সেটার একজন ডিপার্টমেন্ট প্রধান নিয়োগ দেওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়। সিংহ ঝিঁঝিপোকাকে ওই ডিপার্টমেন্টের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিল। ঝিঁঝিপোকা প্রথম দিন এসেই তার রুমের জন্য একটা আরামদায়ক কার্পেট ও চেয়ারের অর্ডার দিল। কয়েক দিনের মধ্যেই অফিসের জন্য স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান তৈরি করতে ঝিঁঝি পোকার একটি কম্পিউটার ও ব্যক্তিগত সহকারীর প্রয়োজন হলো। কম্পিউটার নতুন কেনা হলেও ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে ঝিঁঝিপোকা নিয়োগ দিল তার পুরোনো অফিসের একজনকে। পিঁপড়া যেখানে কাজ করে, সেখানে আগে ছিল চমৎকার একটা পরিবেশ। এখন সেখানে কেউ কথা বলে না, হাসে না। সবাই খুব মনমরা হয়ে কাজ করে। ঝিঁঝিপোকা পরিস্থিতি উন্নয়নে সিংহকে বোঝাল, ‘অফিসে কাজের পরিবেশ’ শীর্ষক একটা স্টাডি খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। পর্যালোচনা করে সিংহ দেখতে পেল, পিঁপড়ার বিভাগে উৎপাদন আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে। কাজেই সিংহ কয়েক দিনের মধ্যেই স্বনামখ্যাত কনসালট্যান্ট পেঁচাকে অডিট রিপোর্ট এবং উৎপাদন বাড়ানোর উপায় বাতলে দেওয়ার জন্য নিয়োগ দিল। পেঁচা তিন মাস পিঁপড়ার ডিপার্টমেন্ট মনিটর করল, সবার সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান কথা বলল। তারপর বেশ মোটাসোটা একটা রিপোর্ট পেশ করল সিংহের কাছে। ওই রিপোর্টের সারমর্ম হলো, এই অফিসে প্রয়োজনের তুলনায় কর্মী বেশি। কর্মী ছাঁটাই করা হোক। পরের সপ্তাহেই বেশ কয়েকজন কর্মী ছাঁটাই করা হলো। বলুন তো, কে সর্বপ্রথম চাকরি হারাল? ওই হতভাগ্য পিঁপড়া। কারণ, পেঁচার রিপোর্টে লেখা ছিল, ‘এই কর্মীর মোটিভেশনের ব্যাপক অভাব রয়েছে এবং সর্বদাই নেতিবাচক আচরণ করছে, যা অফিসের কর্মপরিবেশ নষ্ট করছে। এবার ভাবুন তো, আপনার পজিশানটা কী আপনার অর্গানাইজেশনে? বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থাও অনেকটা এরকম। সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিলে সেটা আরো প্রখর অবস্থা ধারন করবে বলে আমি মনে করি। বন্ধুরা, তোমরা কি মনে করো, মন্তব্যে জানাও। ( সংগৃহিতঃ বিদেশি গল্প অবলম্বনে) >>>> কপি পেস্ট করে করা >>>> http://ift.tt/2nEgSiH
0 notes
24x7newsbengal · 1 year
Link
0 notes
paathok · 6 years
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/35327
যেভাবে তৈরি করবেন ভাল এবং আকর্ষণীয় সিভি
চাকরির বাজারে যা দিয়েই প্রথম পরিচয় তৈরি হয় তার নাম হলো কারিকুলাম ভিটা বা সিভি। কী ভাবে তৈরি করবে একটা সিভি, কী রাখবে, কী বাদ দেবে। জেনে নিন কয়েকটা টিপস। আর এই টিপসগুলো দিয়েছেন একজন সফল ব্যক্তি।
নিজে বানাও: নিজের সিভি নিজে তৈরি করো। ইন্টারনেটে সিভি-র প্রচুর নমুনা পাওয়া যায়। বন্ধুবান্ধবদেরও হয়তো সিভি তৈরি করা আছে। এগুলো দেখতে পারো, কিন্তু কোনওটাই নকল কোরো না।
যতটুকু প্রয়োজন: সিভি বেশি বড় না করাই ভাল। বড়জোর দু’পাতা। এখন কম্পিউটারেই সবাই সিভি তৈরি করে। পুরোটা একটাই ফন্টে লেখো। আর পরিচিত কোনও ফন্ট ব্যবহার করো। যেমন, এরিয়াল, টাইম্‌স নিউ রোমান বা ক্যালিব্রি ইত্যাদি। পয়েন্ট সাইজ বারো বা চোদ্দ রাখো। যথেষ্ট মার্জিন ছাড়ো, এবং দুটো লাইনের মাঝখানে বেশ খানিকটা করে ব্যবধান রেখো। কোনও রকম অলংকরণ কিন্তু সিভি-তে চলে না।
‘ভুল’ নয়: ইংরেজিতেই সিভি লেখা হয়। ভাষা সরল রাখো, যাতে পড়তে ভাল লাগে। যতটুকু দরকার, সেইটুকু তথ্যই দাও। হোয়াটসঅ্যাপ বা এসএমএস-এ যে ধরনের ইংরেজি লিখে এসেছ, সেটা কিন্তু ভুলেও এখানে ব্যবহার কোরো না। যেহেতু সিভির মাধ্যমেই নিয়োগকর্তারা তোমাকে প্রথম চিনবেন, তাই নিজের সম্পর্কে যখন কিছু বলবে, তখন এমন কথাই লেখো, যেটা পড়ে তোমার সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা তৈরি হতে পারে। বাক্য গঠন, বানান ভুলের বিষয়ে সতর্ক থেকো। লেখা হয়ে গেলে কোনও শিক্ষক বা যাঁরা এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের দেখিয়ে নাও। তাতে লেখায় কোনও গলদ থাকলে, ধরা পড়ে যাবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: যখন শিক্ষাগত যোগ্যতা লিখছ, তখন সম্প্রতি যে পরীক্ষায় পাশ করেছ সেটা দিয়ে শুরু করে ক্রমপর্যায়ে বোর্ডের পরীক্ষা পর্যন্ত লেখো। ভাল হয়, এগুলোকে এক একটা বুলেট পয়েন্ট করে লিখলে। বৃত্তি, পুরস্কার বা শিক্ষাগত কোনও সম্মান পেয়ে থাকলে সেটা দিতে ভুলো না। আবার কোথাও কোনও সেমিনার বা ওয়ার্কশপে যোগ দিয়ে কোনও সার্টিফিকেট পেয়ে থাকলে, সেটার প্রাসঙ্গিক তথ্য উল্লেখ করবে। সঙ্গে এই সব ক্ষেত্রে তোমার সাফল্যের কথাও সংক্ষেপে লিখে দিয়ো। লেখার সময় কেবল প্রতিষ্ঠান, ডিগ্রি এবং প্রাপ্ত নম্বর লেখা যথেষ্ট না-ও হতে পারে। কোন কোন বিষয়ে পড়াশোনা করেছ, তা উল্লেখ করা যদি প্রাসঙ্গিক হয়, অবশ্যই লিখতে হবে। কোনও ক্ষেত্রে ডিসার্টেশন দিয়ে, প্রোজেক্ট করে বা স্পেশাল পেপার লিখে থাকলে তার উল্লেখ কোরো। হতেই পারে, কম্পিউটার সংক্রান্ত বা কোনও বিদেশি ভাষায় স্বল্পমেয়াদের কোর্স করেছ, কিন্তু তার কোনও ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট পাওনি। তা হলেও কী বিষয় এবং সেটা কত দিন পড়েছ, তার উল্লেখ থাকা ভাল। অধিকাংশ সংস্থাই কেবল ফাইনাল পরীক্ষার ভাল ফল দেখতে চায় না, বরং ভাল ফলের ধারাবাহিকতা দেখতে চায়। প্রয়োজনে শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং সাফল্যের কিছু কিছু জায়গা বোল্ড বা আইটালিক করে হাইলাইট করে দিতে পারো, যাতে সেটা ইন্টারভিউয়ারের নজরে পড়ে। পুরো বাক্য হাইলাইট করার দরকার নেই।
অভিজ্ঞ-অনভিজ্ঞ: অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই ফ্রেশারদের সুযোগ দেয়। তাই কাজের অভিজ্ঞতা না থাকলে অসুবিধে কিছু নেই। তবে এর মধ্যে যদি কোনও কোর্স বা ইন্টার্নশিপ করে থাকো, সেটার তথ্যও এখানে দেবে। আর যারা আগে চাকরি করেছ, তাদের পরিষ্কার করে লিখতে হবে, কোন সংস্থায় কাজ করতে, কত বছর করেছ, কী ধরনের প্রোজেক্ট-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলে, কী পদে ছিলে ইত্যাদি। একটা টেবিল আকারে তথ্যগুলো সাজাও। এখানেও শিক্ষাগত যোগ্যতার মতোই শেষ যে চাকরিটা করেছ, সেটাই প্রথমে রেখো। আগের চাকরির অভিজ্ঞতা এবং তার সাফল্য সম্পর্কে লেখার সময় ‘আই’, ‘মি’ বা ‘মাই’ ব্যবহার কোরো না।
‘আই ওয়াজ দি এরিয়া ইনফ্রাস্ট্রাকচার ম্যানেজার অব এক্স ডিভিশন…’ না লিখে বলো, ‘হেলপ্ড দ্য কম্পানি ইন সেভিং ওয়াই ক্রোরস অব রুপিজ ইন এক্স ডিভিশন অ্যাজ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ম্যানেজার’। চেষ্টা করবে এমন ভাবে বাক্যটা লিখতে, যা দেখে মনে হয় তুমি আত্মবিশ্বাসী। প্রয়োজনে ‘accomplished’, ‘developed’-এর মতো শব্দ ব্যবহার করো। আজকাল এমনিতেই ‘লিডারশিপ’ ব্যাপারটাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাই কোনও ছোট দল বা কোনও ছোট প্রোজেক্টেও তোমার টিম লিডারশিপ-এর অভিজ্ঞতা থাকলে, সেটা উল্লেখ করতে ভুলো না।
সতর্ক থাকো: ফ্রেশার হিসেবে যখন ‘কেরিয়ার অবজেকটিভ স্টেটমেন্ট’ লিখবে, তখন আগামী পাঁচ বছরে তুমি কী করবে, নিজেকে কতটা উন্নত করবে বা কী ধরনের টার্গেট বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করবে, সেটা লেখো। তাই বলে, ‘আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আমি কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর হ��ে চাই’— এমন উক্তি না করাই বাঞ্ছনীয়। নিজের পরিকল্পনা মতো যে ভাবে কেরিয়ারটা গড়তে চাও, সেটাই তুলে ধরো কেরিয়ার অবজেকটিভ স্টেটমেন্ট-এ।
রেফারেন্স: তোমার যোগ্যতা সম্পর্কে জানাতে পারেন, এমন কয়েক জনের নাম ‘রেফারেন্স’ হিসেবে উল্লেখ করতে পারো। সিভি-র শেষে তাঁদের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, ইমেল উল্লেখ করো। তবে, তার আগে অবশ্যই এঁদের সঙ্গে কথা বলে নিও, তাঁরা তোমার বিষয়ে রেফারেন্স দিতে আগ্রহী কি না।
যোগাযোগ: সিভিতে তোমার কনট্যাক্ট ডিটেল্স যেন পরিষ্কার করে থাকে— নাম, বাড়ির ঠিকানা, ফোন নম্বর, ই-মেল ইত্যাদি। এখানে যে ই-মেল আই-ডি দেবে, সেটা যেন খুব উদ্ভট কিছু না হয়। কলেজে অনেকে এমন ধরনের মেল আই-ডি ব্যবহার করে। কিন্তু যেহেতু তুমি চাকরির জন্য আবেদন করতে যাচ্ছ, তাই তার জন্য কোনও অফিশিয়াল মেল আই-ডি থাকাই ভাল।
একাধিক: সিভি নানা ভাবে লেখা যায়। কোনও বেসরকারি সংস্থায় আবেদন করতে হলে তোমাকে এক ধরনের সিভি জমা দিতে হবে। এই সিভি কিন্তু কোনও অলাভজনক সংস্থায় জমা দেওয়া যাবে না। সেখানে ধরনটা হবে অন্য। এই সব সিভিতে তোমার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার যাবতীয় তথ্য অপরিবর্তিত থাকবে ঠিকই, শুধু তথ্য পরিবেশনটা সংস্থা অনুযায়ী পালটে যাবে। যে কাজের জন্য আবেদন করছ, যে সংস্থায় আবেদন করছ, তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে তবেই সিভি লিখতে বোসো। কাজের সংস্থার খুঁটিনাটি যত স্পষ্ট হবে, তোমার সিভি লেখাও তত কার্যকর হবে।
এক্সপার্ট কমেন্ট: ফ্রেশারদের ক্ষেত্রে সিভি তৈরি করা সবচেয়ে কঠিন। কারণ কর্মদক্ষতার কোনও প্রমাণ দেওয়ার সুযোগ নেই। আর আজকাল সবাই এত নম্বর পায় যে নম্বর দিয়ে নজর কাড়া খুব মুশকিল। অথচ, এই সিভি-কেই চট করে চোখে পড়াতে হবে ভিড়ের মাঝে। নিয়োগকারী মূলত দেখতে চান এক জন ফ্রেশারের অ্যাটিটিউড। ত��ই সেই বিষয়গুলি উল্লেখ করা প্রয়োজন, যাতে কাজের ক্ষেত্রে দরকারি বিষয়ের আভাস পাওয়া যায়— যেমন, টিমওয়ার্ক (ফেস্ট বা ইভেন্ট আয়োজন করা), নিজেকে প্রকাশ করতে পারা (ডিবেট), ইন্টার্নশিপের অভিজ্ঞতা, পড়াশোনা ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে সার্টিফিকেট ইত্যাদি।
0 notes
badwipbartabd-blog · 7 years
Text
বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে দুর্নীতি অপচয় বন্ধ করুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
New Post has been published on http://badwipbarta.com/2017/07/03/%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%a4%e0%a6%a8-%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a1%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8b-%e0%a6%b9%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87%e0%a6%9b%e0%a7%87/
বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে দুর্নীতি অপচয় বন্ধ করুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বদ্বীপ বার্তা ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সচিবদের বাস্ত-বায়নের জন্য ১৭ দফা নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন ‘বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে এবার দুর্নীতি অপচয় বন্ধ করতে হবে’। সরকারের বর্তমান মেয়াদে সচিবদের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বৈঠকে গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভা কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনকে উদ্ধৃত করে বলেন, আগামী বছরের ডিসেম্বর মাসে জাতীয় নির্বাচন করবে বলে তারা চিন্তাভাবনা করছে। এ জন্য তিনি সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগনের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে ২১ সালের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী যাতে সকলে মিলে পালন করা যায় সে বিষয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করতে সচিবদের প্রতি আহবান জানান। স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের পরীক্ষিত মিত্র। বিশ্বের অনেক দেশে যুদ্ধ করতে গিয়ে মিত্র বাহিনী ফেরত যায়নি। বাংলাদেশ থেকে তারা ফিরে গিয়েছে। তিনি বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পরিদর্শন, ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজ নামচা’ সকলকে পড়ার আহবান জানান।
বৈঠকের শুরুতে আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন গড়ে তুলতে সরকারের সংস্কার কর্মসূচির উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম স্বাগত বক্তব্য দেন। অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান সিনিয়র সচিব ড. নজিবুর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ, স্বাস্থ্য সচিব সিরাজুল ইসলাম, আইএমইডির সচিব মফিজুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক সচিব নাসিমা বেগম, সেতু বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের সচিব এম এন সিদ্দিক, শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসাইন,  জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, সেবা ও সুরক্ষা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমদে চৌধুরী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব শাহ কামাল, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব জিল্লার রহমান, নৌ-পরিবহন সচিব অশোক মাধব রায়, পূর্ত সচিব মো, শহিদুল্লাহ খোন্দকার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সচিবদের পক্ষ থেকে চাকরির অবসরের বয়স বৃদ্ধি, সচিব হওয়ার তিন বছর হলে সিনিয়র সচিব করা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বাড়ানোতে স্থান সংকট দূর করা, আগারগাও-এ আধুনিক সচিবালয়ের মানচিত্র প্রদর্শন, চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়িয়ে ৩১ বছর, তাদের গাড়িতে বিশেষ মনোগ্রাম, সিনিয়র সচিব পদ বাড়ানো, আদালত অবমাননা মামলা পরিচালনায় বিশেষ তহবিল গঠন, সচিবরা অবসরে গেলেও বিমানবন্দরে ভিআইপি সুবিধা অব্যাহত রাখা এবং অবসরপ্রাপ্ত সচিব ও অতিরিক্ত সচিবদের নিয়ে একটি পুল গঠনের প্রস্তাব করেন। এসব সচিবদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোই হবে এ পুল গঠনের উদ্দেশ্য।
বৈঠকে সারাক্ষণ চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস ও ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ উচ্ছেদে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিবাদ দমন এবং মাদক ব্যবসা বন্ধে মাঠ পর্যায়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিন। এ ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৃক্ষরোপণ, পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধে উপকূলীয় অঞ্চলে ম্যানগ্রোভ বাগান সৃষ্টি করতে হবে। পরিবেশ সংরক্ষণে সকলকে আন্তরিক হওয়াার আহবান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী ভূমি ব্যবহারের নীতিমালা ও জলাধার নীতিমালা সঠিকভাবে পরিপালনে সচিবদের নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর ১৭ দফা নির্দেশনাগুলো হচ্ছে-  পার্বত্য চট্টগ্রামসহ পাহাড় ও টিলা অধ্যুষিত এলাকায় পরিবেশ রক্ষাসহ ভূমিধস প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন যাতে আর মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়। স্থানান্তরিত হাজারিবাগের ট্যানারি কারখানাগুলোর জন্য যাতে সাভারের পরিবেশের কোন ক্ষতি না হয় সে ব্যবস্থা গ্রহণ।  বঙ্গোপসাগরের ১ হাজার ৭৩৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে ‘মেরিন প্রটেকটেড এরিয়া’ ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে বৃক্ষরোপণ, পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধে ম্যানগ্রোভ বাগান সৃজন, অংশীদারিত্বমূলক রাবার বাগান ও স্ট্রিপ বাগান সৃজন করা। গ্রাম উন্নয়নের উপর জোর দিয়ে কর্মসংস্থান তৈরি করা যাতে গ্রামের মানুষ কাজের খোঁজে শহরে না আসে। শহরের উপর জনসংখ্যার চাপ যাতে না বাড়ে সে ব্যবস্থা করতে হবে। ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য কমানো বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা।  উন্নয়ন কর্মসূচি এমনভাবে গ্রহণ করতে হবে যাতে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ উপকৃত হয়। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের হার আরও বাড়াতে হবে। অর্থবছরের শেষ দিকে তাড়াহুড়ো না করে বছরের শুরু থেকেই বাস্তবায়নের কৌশল নির্ধারণে ব্যবস্থা নিতে হবে। বর্ষা মৌসুমে প্রকল্পের পেপার ওয়ার্ক সম্পন্ন করতে হবে। আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়ের প্রয়োজন হলে তা দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। পাশাপাশি কাজের গুণগতমানের সঙ্গে কোন আপোষ করা যাবে ��া। ফাস্ট ট্রাক-ভুক্ত উন্নয়ন প্রকল্পগুলি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে আরও আন্তরিক হতে হবে। দক্ষ এবং যোগ্যদের গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব দিতে হবে। ভালো কাজের পুরস্কার আর মন্দ কাজের জন্য তিরস্কারের ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে। সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলো থেকে সেবা পেতে জনগণকে যাতে ভোগান্তির শিকার না হতে হয় তার উদ্যোগ নিতে হবে। বেতনভাতা বাড়ানো হয়েছে কর্মচারিদের দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দূর করে সকলের ন্যায়-সঙ্গত পদোন্নতি এবং পদায়ন নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিতে হবে। অপেক্ষাকৃত তরুণ কর্মকর্তা যারা দীর্ঘদিন চাকরি করবেন, প্রশিক্ষণে তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। জঙ্গিবাদ দমন এবং মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে মাঠ পর্যায়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং এ ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও এসডিজির সফল বাস্তবায়নে মেধা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে এবং কেবল সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে নয়, দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে জনকল্যাণে আত্মনিয়োগে সহকর্মীদেরও উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
  নাগরিকদের অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য একটি ওয়েবভিত্তিক অভিযোগ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা পরীক্ষামূলকভাবে চালুর উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনকে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ সংশোধন করা হয়েছে। তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এবং জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ (সুরক্ষা প্রদান) আইন ২০১১ প্রণয়ণ করা হয়েছে। প্রণয়ণ করা হয়েছে জাতীয় শুদ্ধাচারের কৌশলপত্র।’
সচিবদের সরকারের অন্যতম চালিকাশক্তি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি রাজনৈতিক সরকার একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ক্ষমতায় আসে। কিন্তু সচিবদের আরও অনেক দীর্ঘ সময় ধরে সেবা দেওয়ার সুযোগ থাকে। কাজেই এটা সচিবদের ওপরই নির্ভর করে, দেশ কীভাবে চলবে।’ শেখ হাসিনা সচিবদের কাজে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, তার দলের রাজনৈতিক দর্শন এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তিনি একটি ভালো টিমের সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়েছেন। ইত্তেফাক
0 notes
24x7newsbengal · 1 year
Link
0 notes
rowsonxp · 6 years
Text
This week's job news news paper 3-08-18 | এই সপ্তাহের চাকরির খবর নিউজ পেপা�� ৩-০৮-১৮
This week’s job news news paper 3-08-18 | এই সপ্তাহের চাকরির খবর নিউজ পেপার ৩-০৮-১৮
This week’s job news news paper 3-08-18 | এই সপ্তাহের চাকরির খবর নিউজ পেপার ৩-০৮-১৮
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
  View On WordPress
0 notes