উপকারী জ্ঞান চর্চা করে সত্যিকারের জ্ঞানী
“আর যাদেরকে ইলম ও ঈমান দান করা হয়েছে তারা বলবেঃ “সত্যিই তোমরা কেয়ামতের দিন পর্যন্ত আল্লাহর বিধান তকদীর অনুসারেই অবস্থান করেছিলে (কিন্তু তোমরা তা জানতে না)”। (৩০-সূরা আর রূমঃ আয়াত-৫৬)
কিছু জ্ঞান আছে উপকারী ও কিছু জ্ঞান আছে অপকারী। উপকারী জ্ঞানের ফলে ঈমানদারের ঈমান বৃদ্ধি পায়, পক্ষান্তরে ক��ফেররা এ ধরনের জ্ঞান অর্জন করে কোনরূপ উপকার লাভ করতে পারে না। যদিও অর্জিত তথ্য একই তবুও ফলাফল ভিন্ন। আল্লাহ তার শক্রদের সম্বন্ধে বলেনঃ “তারা শুধু পার্থিব জীবনের বাইরের দৃশ্যটাই জানে বা চিনে। অথচ তারা পরকাল সম্বন্ধে গাফেল।” (৩০-সূরা আর রূমঃ আয়াত-৭)
“বরং আখেরাত সম্বন্ধে তাদের কোন জ্ঞান নেই, বরং তারা এ বিষয়ে সন্দেহে পড়ে আছে, বরং তারা এ বিষয়ে অন্ধ।” (২৭-সূরা আন নামলঃ আয়াত-৩০)
ذَٰلِكَ مَبْلَغُهُم مِّنَ الْعِلْمِ
“ওটাই তাদের বিদ্যার দৌড়।” (৫৩-সূরা আন নাজমঃ আয়াত—০)
“(হে মুহাম্মাদ!), আপনি তাদেরকে সে ব্যক্তির ঘটনা পড়ে শুনান, যাকে আমি আমার নিদর্শনাবলি দান করেছিলাম, পরে সে সেসব নিদর্শনাবলিকে এড়িয়ে গেল। ফলে শয়তান তার পিছু নিল, আর তাই সে পথভ্রষ্ট হয়ে গেল।”
“আমি তাদেরকে কতইনা স্পষ্ট নিদর্শনাবলি দিয়েছিলাম!” (২-সূরা বাকারাঃ আয়াত-২১১)
“আর তাদের প্রতিপালকের নিদর্শনাবলী হতে কোন নিদর্শন তাদের নিকট আসলেই তারা তা হতে মুখ ফিরিয়ে নিত।" (৬-সূরা আন’আমঃ আয়াত-৪)
যে জ্ঞান সবার জন্য উপকারী
মানুষকে জ্ঞানদানের ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের জ্ঞানের সামান্যতম অংশই দান করা হয়েছে।’ (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৮৫)। অথচ এই সামান্য জ্ঞান নিয়েই কিছু মানুষ আল্লাহর আসনে সমাসীন হতে চায়! পবিত্র কোরআনের অন্য আয়াতে মানুষকে জ্ঞানবৃদ্ধির দোয়া শেখানো হয়েছে—‘হে আমার রব, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।
’ (সুরা ত্বহা, আয়াত : ১১৪)। শুধু জ্ঞান লাভের প্রার্থনা করতে বলা হয়নি; বরং তাকে উপকারী জ্ঞান প্রার্থনা করতে বলা হয়েছে। উম্মে সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ফজরের নামাজের সালাম ফেরানোর পর দোয়া করতেন—‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে উপকারী জ্ঞান, উত্তম জীবিকা এবং আপনার দরবারে গ্রহণযোগ্য আমল প্রার্থনা করছি।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৯২৫)
উপকারী জ্ঞান লাভের জন্য আল্লাহর প্রার্থনা করতে বলার কারণ হলো নিছক জ্ঞান মানবসমাজের কল্যাণ সাধনে যথেষ্ট নয়।
জ্ঞান ইবলিস শয়তানেরও ছিল, বর্তমানে যারা মানুষ ও মানবসভ্যতার শত্রু হিসেবে কাজ করছে, তারাও জ্ঞানশূন্য নয়। বরং আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে তাদের বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। কিন্তু তাদের জ্ঞান-বিজ্ঞান সমাজ ও সভ্যতার বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই জ্ঞানের কল্যাণ ও উপকার নিশ্চিত করতে প্রথম প্রয়োজন তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঠিক করা।
মানুষ কেন জ্ঞানার্জন করবে? কার নামে করবে? পবিত্র কোরআনের প্রথম অবতীর্ণ আয়াতে আল্লাহ এই প্রশ্নের সমাধান করে দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, “পাঠ কোরো তোমার প্রতিপালকের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন—সৃষ্টি করেছেন মানুষকে ‘আলাক’ থেকে। পাঠ কোরো, আর তোমার প্রতিপালক মহামহিমান্বিত। যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন। শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না। ” (সুরা আলাক, আয়াত : ১-৫)
হাসান বসরি (রহ.) বলেন, ‘জ্ঞান দুই প্রকার : ক. মুখনিসৃত জ্ঞান, খ. অন্তরে উপলব্ধ জ্ঞান। দ্বিতীয় প্রকার জ্ঞানই উপকারী। আর প্রথম প্রকার জ্ঞান আল্লাহর দরবারে মানুষের বিপক্ষে সাক্ষ্য দেবে।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস : ৩৫৫০২)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহর কাছে উপকারী জ্ঞান প্রার্থনা কোরো এবং উপকারী নয়—এমন জ্ঞান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা কোরো।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৮৪৩)। আল্লাহ সবাইকে উপকারী জ্ঞান দান করুন। আমিন।
উপকারী জ্ঞান কাকে বলে?
বিশুদ্ধ জ্ঞান অর্জন করতে কোন্ বইগুলো পড়বো?
কোন কোন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা জরুরী?
ব্রেইন ক্ষমতা বৃদ্ধির উপায়
https://www.youtube.com/watch?v=zWejDmxukYY&t=478s
তাওহীদ ছাড়া নেক আমল গ্রহণযোগ্য হবে না ||
উপকারী জ্ঞান চর্চা করে সত্যিকারের জ্ঞানী
A truly wise person practices beneficial knowledge
0 notes
উপকারী জ্ঞান চর্চা করে সত্যিকারের জ্ঞানী
“আর যাদেরকে ইলম ও ঈমান দান করা হয়েছে তারা বলবেঃ “সত্যিই তোমরা কেয়ামতের দিন পর্যন্ত আল্লাহর বিধান তকদীর অনুসারেই অবস্থান করেছিলে (কিন্তু তোমরা তা জানতে না)”। (৩০-সূরা আর রূমঃ আয়াত-৫৬)
কিছু জ্ঞান আছে উপকারী ও কিছু জ্ঞান আছে অপকারী। উপকারী জ্ঞানের ফলে ঈমানদারের ঈমান বৃদ্ধি পায়, পক্ষান্তরে কাফেররা এ ধরনের জ্ঞান অর্জন করে কোনরূপ উপকার লাভ করতে পারে না। যদিও অর্জিত তথ্য একই তবুও ফলাফল ভিন্ন। আল্লাহ তার শক্রদের সম্বন্ধে বলেনঃ “তারা শুধু পার্থিব জীবনের বাইরের দৃশ্যটাই জানে বা চিনে। অথচ তারা পরকাল সম্বন্ধে গাফেল।” (৩০-সূরা আর রূমঃ আয়াত-৭)
“বরং আখেরাত সম্বন্ধে তাদের কোন জ্ঞান নেই, বরং তারা এ বিষয়ে সন্দেহে পড়ে আছে, বরং তারা এ বিষয়ে অন্ধ।” (২৭-সূরা আন নামলঃ আয়াত-৩০)
ذَٰلِكَ مَبْلَغُهُم مِّنَ الْعِلْمِ
“ওটাই তাদের বিদ্যার দৌড়।” (৫৩-সূরা আন নাজমঃ আয়াত—০)
“(হে মুহাম্মাদ!), আপনি তাদেরকে সে ব্যক্তির ঘটনা পড়ে শুনান, যাকে আমি আমার নিদর্শনাবলি দান করেছিলাম, পরে সে সেসব নিদর্শনাবলিকে এড়িয়ে গেল। ফলে শয়তান তার পিছু নিল, আর তাই সে পথভ্রষ্ট হয়ে গেল।”
“আমি তাদেরকে কতইনা স্পষ্ট নিদর্শনাবলি দিয়েছিলাম!” (২-সূরা বাকারাঃ আয়াত-২১১)
“আর তাদের প্রতিপালকের নিদর্শনাবলী হতে কোন নিদর্শন তাদের নিকট আসলেই তারা তা হতে মুখ ফিরিয়ে নিত।" (৬-সূরা আন’আমঃ আয়াত-৪)
যে জ্ঞান সবার জন্য উপকারী
মানুষকে জ্ঞানদানের ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের জ্ঞানের সামান্যতম অংশই দান করা হয়েছে।’ (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৮৫)। অথচ এই সামান্য জ্ঞান নিয়েই কিছু মানুষ আল্লাহর আসনে সমাসীন হতে চায়! পবিত্র কোরআনের অন্য আয়াতে মানুষকে জ্ঞানবৃদ্ধির দোয়া শেখানো হয়েছে—‘হে আমার রব, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।
’ (সুরা ত্বহা, আয়াত : ১১৪)। শুধু জ্ঞান লাভের প্রার্থনা করতে বলা হয়নি; বরং তাকে উপকারী জ্ঞান প্রার্থনা করতে বলা হয়েছে। উম্মে সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ফজরের নামাজের সালাম ফেরানোর পর দোয়া করতেন—‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে উপকারী জ্ঞান, উত্তম জীবিকা এবং আপনার দরবারে গ্রহণযোগ্য আমল প্রার্থনা করছি।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৯২৫)
উপকারী জ্ঞান লাভের জন্য আল্লাহর প্রার্থনা করতে বলার কারণ হলো নিছক জ্ঞান মানবসমাজের কল্যাণ সাধনে যথেষ্ট নয়।
জ্ঞান ইবলিস শয়তানেরও ছিল, বর্তমানে যারা মানুষ ও মানবসভ্যতার শত্রু হিসেবে কাজ করছে, তারাও জ্ঞানশূন্য নয়। বরং আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে তাদের বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। কিন্তু তাদের জ্ঞান-বিজ্ঞান সমাজ ও সভ্যতার বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই জ্ঞানের কল্যাণ ও উপকার নিশ্চিত করতে প্রথম প্রয়োজন তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঠিক করা।
মানুষ কেন জ্ঞানার্জন করবে? কার নামে করবে? পবিত্র কোরআনের প্রথম অবতীর্ণ আয়াতে আল্লাহ এই প্রশ্নের সমাধান করে দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, “পাঠ কোরো তোমার প্রতিপালকের নামে, যি��ি সৃষ্টি করেছেন—সৃষ্টি করেছেন মানুষকে ‘আলাক’ থেকে। পাঠ কোরো, আর তোমার প্রতিপালক মহামহিমান্বিত। যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন। শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না। ” (সুরা আলাক, আয়াত : ১-৫)
হাসান বসরি (রহ.) বলেন, ‘জ্ঞান দুই প্রকার : ক. মুখনিসৃত জ্ঞান, খ. অন্তরে উপলব্ধ জ্ঞান। দ্বিতীয় প্রকার জ্ঞানই উপকারী। আর প্রথম প্রকার জ্ঞান আল্লাহর দরবারে মানুষের বিপক্ষে সাক্ষ্য দেবে।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস : ৩৫৫০২)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহর কাছে উপকারী জ্ঞান প্রার্থনা কোরো এবং উপকারী নয়—এমন জ্ঞান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা কোরো।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৮৪৩)। আল্লাহ সবাইকে উপকারী জ্ঞান দান করুন। আমিন।
উপকারী জ্ঞান কাকে বলে?
বিশুদ্ধ জ্ঞান অর্জন করতে কোন্ বইগুলো পড়বো?
কোন কোন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা জরুরী?
ব্রেইন ক্ষমতা বৃদ্ধির উপায়
https://www.youtube.com/watch?v=zWejDmxukYY&t=478s
তাওহীদ ছাড়া নেক আমল গ্রহণযোগ্য হবে না ||
উপকারী জ্ঞান চর্চা করে সত্যিকারের জ্ঞানী
A truly wise person practices beneficial knowledge
0 notes
উপকারী জ্ঞান চর্চা করে সত্যিকারের জ্ঞানী
“আর যাদেরকে ইলম ও ঈমান দান করা হয়েছে তারা বলবেঃ “সত্যিই তোমরা কেয়ামতের দিন পর্যন্ত আল্লাহর বিধান তকদীর অনুসারেই অবস্থান করেছিলে (কিন্তু তোমরা তা জানতে না)”। (৩০-সূরা আর রূমঃ আয়াত-৫৬)
কিছু জ্ঞান আছে উপকারী ও কিছু জ্ঞান আছে অপকারী। উপকারী জ্ঞানের ফলে ঈমানদারের ঈমান বৃদ্ধি পায়, পক্ষান্তরে কাফেররা এ ধরনের জ্ঞান অর্জন করে কোনরূপ উপকার লাভ করতে পারে না। যদিও অর্জিত তথ্য একই তবুও ফলাফল ভিন্ন। আল্লাহ তার শক্রদের সম্বন্ধে বলেনঃ “তারা শুধু পার্থিব জীবনের বাইরের দৃশ্যটাই জানে বা চিনে। অথচ তারা পরকাল সম্বন্ধে গাফেল।” (৩০-সূরা আর রূমঃ আয়াত-৭)
“বরং আখেরাত সম্বন্ধে তাদের কোন জ্ঞান নেই, বরং তারা এ বিষয়ে সন্দেহে পড়ে আছে, বরং তারা এ বিষয়ে অন্ধ।” (২৭-সূরা আন নামলঃ আয়াত-৩০)
ذَٰلِكَ مَبْلَغُهُم مِّنَ الْعِلْمِ
“ওটাই তাদের বিদ্যার দৌড়।” (৫৩-সূরা আন নাজমঃ আয়াত—০)
“(হে মুহাম্মাদ!), আপনি তাদেরকে সে ব্যক্তির ঘটনা পড়ে শুনান, যাকে আমি আমার নিদর্শনাবলি দান করেছিলাম, পরে সে সেসব নিদর্শনাবলিকে এড়িয়ে গেল। ফলে শয়তান তার পিছু নিল, আর তাই সে পথভ্রষ্ট হয়ে গেল।”
“আমি তাদেরকে কতইনা স্পষ্ট নিদর্শনাবলি দিয়েছিলাম!” (২-সূরা বাকারাঃ আয়াত-২১১)
“আর তাদের প্রতিপালকের নিদর্শনাবলী হতে কোন নিদর্শন তাদের নিকট আসলেই তারা তা হতে মুখ ফিরিয়ে নিত।" (৬-সূরা আন’আমঃ আয়াত-৪)
যে জ্ঞান সবার জন্য উপকারী
মানুষকে জ্ঞানদানের ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের জ্ঞানের সামান্যতম অংশই দান করা হয়েছে।’ (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৮৫)। অথচ এই সামান্য জ্ঞান নিয়েই কিছু মানুষ আল্লাহর আসনে সমাসীন হতে চায়! পবিত্র কোরআনের অন্য আয়াতে মানুষকে জ্ঞানবৃদ্ধির দোয়া শেখানো হয়েছে—‘হে আমার রব, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।
’ (সুরা ত্বহা, আয়াত : ১১৪)। শুধু জ্ঞান লাভের প্রার্থনা করতে বলা হয়নি; বরং তাকে উপকারী জ্ঞান প্রার্থনা করতে বলা হয়েছে। উম্মে সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ফজরের নামাজের সালাম ফেরানোর পর দোয়া করতেন—‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে উপকারী জ্ঞান, উত্তম জীবিকা এবং আপনার দরবারে গ্রহণযোগ্য আমল প্রার্থনা করছি।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৯২৫)
উপকারী জ্ঞান লাভের জন্য আল্লাহর প্রার্থনা করতে বলার কারণ হলো নিছক জ্ঞান মানবসমাজের কল্যাণ সাধনে যথেষ্ট নয়।
জ্ঞান ইবলিস শয়তানেরও ছিল, বর্তমানে যারা মানুষ ও মানবসভ্যতার শত্রু হিসেবে কাজ করছে, তারাও জ্ঞানশূন্য নয়। বরং আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে তাদের বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। কিন্তু তাদের জ্ঞান-বিজ্ঞান সমাজ ও সভ্যতার বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই জ্ঞানের কল্যাণ ও উপকার নিশ্চিত করতে প্রথম প্রয়োজন তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঠিক করা।
মানুষ কেন জ্ঞানার্জন করবে? কার নামে করবে? পবিত্র কোরআনের প্রথম অবতীর্ণ আয়াতে আল্লাহ এই প্রশ্নের সমাধান করে দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, “পাঠ কোরো তোমার প্রতিপালকের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন—সৃষ্টি করেছেন মানুষকে ‘আলাক’ থেকে। পাঠ কোরো, আর তোমার প্রতিপালক মহামহিমান্বিত। যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন। শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না। ” (সুরা আলাক, আয়াত : ১-৫)
হাসান বসরি (রহ.) বলেন, ‘জ্ঞান দুই প্রকার : ক. মুখনিসৃত জ্ঞান, খ. অন্তরে উপলব্ধ জ্ঞান। দ্বিতীয় প্রকার জ্ঞানই উপকারী। আর প্রথম প্রকার জ্ঞান আল্লাহর দরবারে মানুষের বিপক্ষে সাক্ষ্য দেবে।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস : ৩৫৫০২)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহর কাছে উপকারী জ্ঞান প্রার্থনা কোরো এবং উপকারী নয়—এমন জ্ঞান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা কোরো।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৮৪৩)। আল্লাহ সবাইকে উপকারী জ্ঞান দান করুন। আমিন।
উপকারী জ্ঞান কাকে বলে?
বিশুদ্ধ জ্ঞান অর্জন করতে কোন্ বইগুলো পড়বো?
কোন কোন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা জরুরী?
ব্রেইন ক্ষমতা বৃদ্ধির উপায়
https://www.youtube.com/watch?v=zWejDmxukYY&t=478s
তাওহীদ ছাড়া নেক আমল গ্রহণযোগ্য হবে না ||
উ – উপকারী জ্ঞান চর্চা করে সত্যিকারের জ্ঞানী
A truly wise person practices beneficial knowledge
0 notes
উপকারী জ্ঞান চর্চা করে সত্যিকারের জ্ঞানী
“আর যাদেরকে ইলম ও ঈমান দান করা হয়েছে তারা বলবেঃ “সত্যিই তোমরা কেয়ামতের দিন পর্যন্ত আল্লাহর বিধান তকদীর অনুসারেই অবস্থান করেছিলে (কিন্তু তোমরা তা জানতে না)”। (৩০-সূরা আর রূমঃ আয়াত-৫৬)
কিছু জ্ঞান আছে উপকারী ও কিছু জ্ঞান আছে অপকারী। উপকারী জ্ঞানের ফলে ঈমানদারের ঈমান বৃদ্ধি পায়, পক্ষান্তরে কাফেররা এ ধরনের জ্ঞান অর্জন করে কোনরূপ উপকার লাভ করতে পারে না। যদিও অর্জিত তথ্য একই তবুও ফলাফল ভিন্ন। আল্লাহ তার শক্রদের সম্বন্ধে বলেনঃ “তারা শুধু পার্থিব জীবনের বাইরের দৃশ্যটাই জানে বা চিনে। অথচ তারা পরকাল সম্বন্ধে গাফেল।” (৩০-সূরা আর রূমঃ আয়াত-৭)
“বরং আখেরাত সম্বন্ধে তাদের কোন জ্ঞান নেই, বরং তারা এ বিষয়ে সন্দেহে পড়ে আছে, বরং তারা এ বিষয়ে অন্ধ।” (২৭-সূরা আন নামলঃ আয়াত-৩০)
ذَٰلِكَ مَبْلَغُهُم مِّنَ الْعِلْمِ
“ওটাই তাদের বিদ্যার দৌড়।” (৫৩-সূরা আন নাজমঃ আয়াত—০)
“(হে মুহাম্মাদ!), আপনি তাদেরকে সে ব্যক্তির ঘটনা পড়ে শুনান, যাকে আমি আমার নিদর্শনাবলি দান করেছিলাম, পরে সে সেসব নিদর্শনাবলিকে এড়িয়ে গেল। ফলে শয়তান তার পিছু নিল, আর তাই সে পথভ্রষ্ট হয়ে গেল।”
“আমি তাদেরকে কতইনা স্পষ্ট নিদর্শনাবলি দিয়েছিলাম!” (২-সূরা বাকারাঃ আয়াত-২১১)
“আর তাদের প্রতিপালকের নিদর্শনাবলী হতে কোন নিদর্শন তাদের নিকট আসলেই তারা তা হতে মুখ ফিরিয়ে নিত।" (৬-সূরা আন’আমঃ আয়াত-৪)
যে জ্ঞান সবার জন্য উপকারী
মানুষকে জ্ঞানদানের ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের জ্ঞানের সামান্যতম অংশই দান করা হয়েছে।’ (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৮৫)। অথচ এ�� সামান্য জ্ঞান নিয়েই কিছু মানুষ আল্লাহর আসনে সমাসীন হতে চায়! পবিত্র কোরআনের অন্য আয়াতে মানুষকে জ্ঞানবৃদ্ধির দোয়া শেখানো হয়েছে—‘হে আমার রব, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।
’ (সুরা ত্বহা, আয়াত : ১১৪)। শুধু জ্ঞান লাভের প্রার্থনা করতে বলা হয়নি; বরং তাকে উপকারী জ্ঞান প্রার্থনা করতে বলা হয়েছে। উম্মে সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ফজরের নামাজের সালাম ফেরানোর পর দোয়া করতেন—‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে উপকারী জ্ঞান, উত্তম জীবিকা এবং আপনার দরবারে গ্রহণযোগ্য আমল প্রার্থনা করছি।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৯২৫)
উপকারী জ্ঞান লাভের জন্য আল্লাহর প্রার্থনা করতে বলার কারণ হলো নিছক জ্ঞান মানবসমাজের কল্যাণ সাধনে যথেষ্ট নয়।
জ্ঞান ইবলিস শয়তানেরও ছিল, বর্তমানে যারা মানুষ ও মানবসভ্যতার শত্রু হিসেবে কাজ করছে, তারাও জ্ঞানশূন্য নয়। বরং আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে তাদের বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। কিন্তু তাদের জ্ঞান-বিজ্ঞান সমাজ ও সভ্যতার বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই জ্ঞানের কল্যাণ ও উপকার নিশ্চিত করতে প্রথম প্রয়োজন তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঠিক করা।
মানুষ কেন জ্ঞানার্জন করবে? কার নামে করবে? পবিত্র কোরআনের প্রথম অবতীর্ণ আয়াতে আল্লাহ এই প্রশ্নের সমাধান করে দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, “পাঠ কোরো তোমার প্রতিপালকের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন—সৃষ্টি করেছেন মানুষকে ‘আলাক’ থেকে। পাঠ কোরো, আর তোমার প্রতিপালক মহামহিমান্বিত। যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন। শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না। ” (সুরা আলাক, আয়াত : ১-৫)
হাসান বসরি (রহ.) বলেন, ‘জ্ঞান দুই প্রকার : ক. মুখনিসৃত জ্ঞান, খ. অন্তরে উপলব্ধ জ্ঞান। দ্বিতীয় প্রকার জ্ঞানই উপকারী। আর প্রথম প্রকার জ্ঞান আল্লাহর দরবারে মানুষের বিপক্ষে সাক্ষ্য দেবে।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস : ৩৫৫০২)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহর কাছে উপকারী জ্ঞান প্রার্থনা কোরো এবং উপকারী নয়—এমন জ্ঞান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা কোরো।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৮৪৩)। আল্লাহ সবাইকে উপকারী জ্ঞান দান করুন। আমিন।
উপকারী জ্ঞান কাকে বলে?
বিশুদ্ধ জ্ঞান অর্জন করতে কোন্ বইগুলো পড়বো?
কোন কোন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা জরুরী?
ব্রেইন ক্ষমতা বৃদ্ধির উপায়
https://www.youtube.com/watch?v=zWejDmxukYY&t=478s
তাওহীদ ছাড়া নেক আমল গ্রহণযোগ্য হবে না ||
উপকারী জ্ঞান চর্চা করে সত্যিকারের জ্ঞানী
A truly wise person practices beneficial knowledge
0 notes
রাব্বি হাবলি মিনাস সালেহীন কখন পড়তে হয়
আমাদের জীবনে অনেক দম্পতি আছে যাদের বিয়ের অনেক বছর পার হয়ে যাবার পরেও একটা সন্তান হচ্ছে না । সে ক্ষেত্রে তাদের মনে অনেক কষ্ট থাকে দুঃখ থাকে । কারণ সকলেই চায় বাপ মা হওয়ার স্বাদ পেতে । কিন্তু আল্লাহ সুবহানাতায়ালা যতক্ষণ পর্যন্ত না চাইবেন যে আপনার সন্তান হোক ততক্ষণ এটা সম্ভব নয় । তাই বিয়ের বেশ কিছু বছর হয়ে গেলেও অনেকের অনেক এবং শত চেষ্টার পরেও সন্তান লাভ করতে সক্ষম হন না । তাদের মনে অনেক কষ্ট থাকে দুঃখ থাকে যেটা আমরা বাইরে থেকে দেখলে বুঝিনা । তাই আজকে বেশ কিছু আমল শেয়ার করব এবং আল্লাহ সুবহানাতায়ালা চাইলে এটা দ্বারা সন্তান লাভ করতে সক্ষম হবে । আরো পড়তে
1 note
·
View note
নিজের ভালোর জন্য যাদের থেকে দূরে থাকবেন
-------------------------------------------------------------
আত্মপ্রেমী মানুষের সঙ্গে থাকলে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগতেই হবে।
আশপাশে নানান ধরনের মানুষ। সবার মধ্যেই রয়েছে হিংসা, ভালোবাসা, প্রেম কিংবা রাগ-ক্ষোভ।
তবে কিছু মানুষ রয়েছে যাদের সঙ্গে থাকলে আপনার জীবন হয়ে উঠতে পারে বিষাক্ত।
এই ধরনের মানুষকে চিহ্নিত করার উপায় আর দূরে থাকার কিছু পরামর্শ দেওয়া হল মানসিকস্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে।
আত্মপ্রেমী মানুষ: ইংরেজিতে যাদের বলে ‘নারসিসিস্ট’ তাদের থেকে দূর থাকা উচিত। নিজেকে ভালোবাসার স্বাস্থ্যকর। তবে অতিরিক্ত আত্মপ্রেমীদের আশপাশে থাকা মানুষদের গুনতে চরম মূল্য।
‘নারসিসিস্ট’দের প্রথমে বেশ মনোহর মনে হবে। তবে তারা হবে ধান্দাবাজ, একগুয়ে, সহজেই অন্যকে দোষ দেবে এবং নিজের পছন্দমতো কাজ না হলে দেবে শীতল মনোভাব।
যদি কাছের কোনো মানুষের মাঝে এই ধরনের বৈশিষ্ট লক্ষ্য করেন তবে উচিত হবে তাদের থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে রেখে সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়া।
গালগল্প: ‘পার্সোনালিটি অ্যান্ড সোশাল সাইকোলজি বুলেটিন’য়ে প্রকাশিত নেদারল্যান্ডের গ্রোনিনগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীকে নিয়ে গল্পগুজব করার মাধ্যমে আত্মকেন্দ্রিক ও অলস কর্মচারী সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়, যা অনেকটাই স্বাস্থ্যকর অফিস ব্যবস্থাপনার জন্য।
তবে যারা বেশি গুজব ছড়ানোর উদ্দেশ্যে গালগল্প ফাঁদে বা নিজেদের ভালো সাজানোর জন্য বানিয়ে কথা বলে, তাদের সঙ্গ মোটেই স্বাস্থ্যকর হতে পারে না।
যদি এরকম মানুষের সংস্পর্শে এসে থাকেন তবে তাদেরকে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলা থেকে দূরে থাকুন। অথবা একেবারেই এড়িয়ে চলুন।
আত্ম-ধ্বংসাত্মক মানুষ: অতিরিক্ত মদ্যপান, হাত-পা কাটা কিংবা ক্ষুধামন্দা- এই ধরনের বৈশিষ্ট সম্পন্ন মানুষদের প্রতি বিশেষ করে পরিচিত কেউ হলে তার জন্য আপনার মন খারাপ হতেই পারে। তাদের সাহায্য করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে পেশাদার মনোবিজ্ঞানির পরামর্শ নিয়ে আগাতে হবে।
তবে তাদের ধ্বংসাত্মক মনোভাব যদি আপনারই মানসিক ক্ষতির কারণ হওয়া শুরু করে তবে অবশ্যই তাদের থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
আবেগ নিয়ে খেলা: মানুষের সহানুভূতি পাওয়ার জন্য যারা আবেগ নিয়ে খেলে, যাকে বলা যেতে পারে আবেগের পরজীবী, তাদের থেকে দূরে থাকাই ভালো। এই ধরনের মানুষ নিজেকে খুবই ভঙ্গুরভাবে উপস্থাপন করে অন্যের সহানুভূতি যোগাড় করবে। তারপর নিজের কাজ হয়ে গেলে সেই মানুষকে অগ্রাহ্য করবে।
যতক্ষণ না সেই মানুষটার প্রয়োজন ফুরাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা হয় স্বার্থপর, একগুয়ে, চাহিদা পূরণের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
এই ধরনের মানুষের সঙ্গে পরিচয় থাকলে দূরে সরে যান। কারণ মনে রাখবেন আবেগ বেঁচে যারা সম্পর্ক করে তারা ভালোবাসা চায় না, তারা খালি আপনার শক্তিটাই শুষে নেবে।
পরশ্রীকাতর: হিংসা মানুষের মধ্যে থাকতেই পারে। সাধারণ সম্পর্কে হিংসা করা অনেক ক্ষেত্রেই ভালোবাসার লক্ষণ হিসেবে দেখা হয়।
তবে সেই হিংসার কারণে যদি কেউ আপনাকে কষ্ট দেয়, কোনো কাজ করতে বাধা দেয় বা প্রতিযোগিতায় নামে তবে সেই মানুষ থেকে দূরে থাকুন।
প্রচণ্ড হিংসুটে মানুষ কখনও স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক বজায় রাখতে পারে না। যখন ভালোবাসার সম্পর্কে একে অপরের প্রতি সাহায্য করার মনোভাব না থাকে, দুজন দুজনের ভার বহন করে করার বিষয় না থাকে- সেখান থেকে অবশ্যই সরে আসা উচিত নিজের ভালোর জন্য।
বলির পশু: নিজেকে বলির পশু ভাবা বা নিজেকে সব সময় অন্যের মাধ্যমে অপরাধী হওয়ার মনোভাব কারও মধ্যে দেখতে পান তবে তাকে ভালো উপদেশ আপনি দিতেই পারেন। তবে এই মানসিকতার মানুষরা ভালো উপদেশ গ্রহণ করলেও নিজের নেতিবাচক মনোভাবের জন্য কোনো সমাধানে যেতে পারে না।
যদি এই নিজেকে এই ধরনের অপরাধবোধে ভোগা মানুষের শিকারে পরিণত হন তবে নিজেকে বাঁচাতে অবশ্যই দূর থেকে সম্পর্ক রাখুন।
মাকিয়াভ্যালিয়ান: মানসিক স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের ভাষায় ‘মাকিয়াভ্যালিয়জম’কে চিহ্নিত করা হয়েছে তাদেরকে যারা অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করার সময় খুবই শীতল অনুভূতির সঙ্গে বিভিন্ন ধান্দা করে। তাদের অনুভূতি আন্তরিক নয়, থাকে সহানুভূতির অভাব।
মনোবিজ্ঞানিদের সাধারণ পরামর্শ থাকে, ‘মাকিয়াভ্যালিয়ান’ মানুষের দেখা পেলেই পালিয়ে যান। তবে ঘটনাক্রমে যদি তাদের সঙ্গে থাকতেই হয় তাহলে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়ীর মতো ব্যবহার করুন। অর্থাৎ তাকে কিছু দিতে হলে সে আপনাকে কী দেবে- সে বিষয়ে আগে নিশ্চিত হয়ে নিন। যাকে বলে ‘উইন উইন সিচুয়েইশন’।
উদাসীন মানুষ: সম্পর্কে একজন মানুষ বেশি দিয়ে যাবে – বিষয়টা খুবই সাধারণ। তবে একজন মানুষের জন্য সেটা অনেক সময় খুবই চাপের বিষয় হয়ে যায় যখন তাকে মানসিক ভরের বেশিরভাগটাই টানতে হয়।
এই এক পক্ষীয় অবস্থার পড়ে সেই মানুষটার মনে হতে থাকে, ‘আমি খালি দিয়েই যাচ্ছি দিয়েই যাচ্ছি’। অন্যদিকে অপর পক্ষ সেই বিষয়টা খেয়াল না করে উদাসিনতার পরিচয় দিয়ে যেতে থাকে।
এই ধরনের সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত হৃদয় ভাঙার কারণ হয়। আর যে ব্যক্তি দিয়েই যায় সে এক পর্যায়ে আত্মভিমানে ভুগতে থাকে।
অমোঘ মিথ্যাবাদী: এরকম ভাবার কারণ নেই যে, সবাই সবসময় সত্য কথা বলবে। তবে যদি সন্দেহ হয় আপনার জীবনের কেউ বেশিরভাগ সময় অনুভূতি কাড়তে অতিরিক্ত মিথ্যা বলছে তাহলে সাবধান হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
অস্বাভাবিক মিথ্যাবাদীদের প্রথমে খুবই ‘চার্মিং’ মনে হবে। তারা জীবনটাকে মজারও করে তুলতে পারে। তবে একটা রেখায় এসে এই ধরনের মানুষদের সঙ্গে মেশা বন্ধ করতে হবে কিংবা কমিয়ে দিতে হবে। কারণ বিশ্বাস না থাকলে সেই সম্পর্ক জোড়ালো হতে পারে না।
এই ধরনের মানুষদের সঙ্গে তরল সম্পর্ক রাখাই ভালো। গভীরে গেলেই মরবেন।
ফ্রেনিমি: মনোবিজ্ঞানের নতুন শব্দ। বাংলায় যাকে বলা যেতে পারে ‘বন্ধু যখন শত্রু’। কর্মক্ষেত্রে বা বন্ধুদের মধ্যে সাধারণ প্রতিযোগিতা থাকতেই পারে। যা একে অপরে উন্নতির দিকে নিয়ে যায়। তবে সেই প্রতিযোগিতায় থাকে সাহায্য ও সহানুভূতির মনোভাব।
তবে কোনো বন্ধু যদি আপনাকে টপকে যেতে চায়, যদি আপনার সাহায্যে এগিয়ে না আসে, সফলতায় খুশি না হয়, অন্যের কাছে আপনাকে নিয়ে গালগল্প করে- তবে বুঝতে সে আপনার বন্ধু-রূপী শত্রু, অর্থাৎ ‘ফ্রেনিমি’।
আপনি যার যত্ন নিচ্ছেন তার কারণেই অসুখী বোধ করছেন। যদি এরকম পরিস্থিতির শিকার হন তবে তার সঙ্গে কথা বলে বিষয়গুলো সমাধান করার চেষ্টা করুন নয়ত নিজের ভালোর জন্য বন্ধন ছিন্ন করে দূরে চলে যান।
খারাপকে ভালো বলা: মানুষ বড় হতে হতে বিভিন্ন খারাপ অভ্যাসে রপ্ত হয়ে যায়। যে��ন মদ্যপ হয়ে যাওয়া, সময় কিংবা টাকাপয়সা ঠিক মতো সামাল দিতে না পারা, কিংবা নিজেকে ধ্বংসকরার মতো কাজে লিপ্ত হওয়া- যা আমাদের অনেক সময় হৃদয়ভঙ্গের কারণ হয়। আর সেসব থেকে সেই মানুষটাকে বের করে আনতে আমরা অনেকরকম পদক্ষেপ নিয়ে থাকি।
তবে এই ধরনের খারাপ অভ্যাসগুলোকে যারা এড়িয়ে যায় এমনকি সেই কাজগুলো করতে উদ্বুদ্ধ করে, কিংবা আপনি নিজে কোনো বাজে অভ্যাস থেকে বের হয়ে আসতে চাচ্ছেন কিন্তু সেই ব্যক্তি আপনাকে বাধা দিচ্ছে উল্টো টেনে ধরছে সেই খারাপ পথের দিকে তাহলে অবশ্যেই তাদের এড়িয়ে চলুন।
এড়িয়ে চলতে হবে ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ না আপনি নিজে শক্ত হচ্ছেন।
অহমিকা: রূপক অর্থে ভেবে নেওয়া যাক- আপনার কি কখনও মনে হয়েছে যে, এমন কোনো মানুষের সঙ্গে আছেন যে সবসময় ঘরের পুরোটা জায়গাটা নিজের জন্য নিতে চাইছে।
বন্ধুমহলে এমন একজন থাকতেই পারে, যে চায় সবাই তার দিকেই নজর দিক। তবে সম্পর্কে যখন এমন চাহিদার সৃষ্টি হয় এবং সেখানে যদি নিজের কোনো জায়গা না থাকে তাহলে উচিত হবে সেই বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্কটা নতুন করে সাজিয়ে দূরত্ব বজায় রেখে চলা।
আগ্রাসী মনোভাব: কিছু মানুষ রয়েছে যাদের মেজাজ এই চড়া তো এই শীতল। তারা তাদের মনোভাব সহজে প্রকাশ করতে পারে না। তারা বেশিরভাগ সময় আত্মরক্ষামূলক আচরণ করে। কী বিষয় জানতে চাইল- ছল চতুর উত্তর দেয়। তারা ভালো থাকলেও বলে খারাপ আছি- সহানুভূতি আদায়ের জন্য।
এই ধরনের মানুষ কি আপনার মানসিক শক্তি কেড়ে নিচ্ছে। তবে তাদের সঙ্গে দূরত্ব মেপে যোগাযোগ রাখুন। না হলে হয়ত শত্রুতায় রূপ নেবে সম্পর্ক।
উপহাস: এই ধরনের মানুষ হয় বিরক্তিকর। তারা নতুন অভিজ্ঞতা থেকে দূরে থাকে। শুনতে চায়না কোনো কিছু। সবসময় বিতর্কে জড়ায়। তাদের বাজে ব্যবহার খারাপ কথার কোনো অর্থ থাকে না। তারা হয় সামাজিকভাবে অন্ধ।
এই ধরনের মানুষ যদি আপনার আশপাশে থাকে আর আপনাকে অস্বস্তি ফেলে তাহলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার কোনো কারণই নেই। খুব স্বাভাবিকভাবে তাদের সঙ্গে দ্রুত কথা শেষ করে ভেগে পড়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
যারা শারীরিকভাবে অপমান করে: ‘ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স’য়ের শিকার নিয়ে নানান তথ্য রয়েছে। সেটা শুধু যে নারীদের ওপর ঘটে তা নয় পুরুষরাও রয়েছে এই তালিকায়।
যারা শারীরিক বা মানসিক ভাবে সারাক্ষণ আঘাত করে, তারপর প্রতিজ্ঞা করে আর করবে না, কিন্তু সেই প্রতিজ্ঞা বেশিদিন টেকে না- এমন মানুষের সঙ্গে বসবাস করার চাইতে দ্রুত সেখান থেকে বের হয়ে যাওয়া হবে ভালো পন্থা।
মানসিক আঘাত: সব আঘাতই যে শারীরিক হবে তা নয়, কেউ কেউ মানসিক-ভাবে আঘাত করতে ওস্তাদ।
প্রতিনিয়ত অবজ্ঞা করা, প্রচণ্ড হিংসুটে ও সারক্ষণ ভাব ধরে থাকা- এই ধরনের মানসিকতার লক্ষণ।
সম্পর্কে রক্ষার্থে এই ধরনের মানুষ যেকোনো বিষয়ে ভীতি দেখাতে পিছ পা হয় না।
যদি এই ধরনের মানুষের সঙ্গে জড়িয়ে থাকেন তবে তাকে সাহায্য করার জন্য মানসিকরোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে পারেন। নয়ত যত দ্রুত সম্ভব তার কাছে দূরে সরে যাওয়া হবে মঙ্গল।
অত্যাচারীর ফিরে আসা: শারীরিক ও মানসিক ভাবে আঘাত করা ব্যক্তিরা অনেক সময় জীবনে ফিরে আসে। সেটা হতে পারে পুরানো ব্যক্তি বা নতুন কেউ। এই ধরনের মানুষ ফিরে আসতে চাইলে অতীতের কথা চিন্তা করুন। ফিরে আসাটা যতই প্রেমময় হোক অতীতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিজে ভালো থাকুন, তাদের থেকে দূরে থাকুন।
সমালোচক: অফিসের বস, বন্ধু, আত্মীয় বা সহকর্মীদের মধ্যে এমন কেউ কি আছে সে সবসময় আপনার নেতিবাচক সমালোচনা করে!
আপনার নিজস্ব সময় কাটানো, আপনার পোশাক, কর্মকাণ্ড বা বন্ধুবান্ধব নিয়ে কটু সমালোচনা করতেই থাকে- মনে রাখবেন এমন মানুষের আশপাশে থাকলে আপনি সবসময় ক্লান্ত অনুভব করবেন।
হয় এই ধরনের মানুষকে বোঝান তার কথা শুনে আপনার কতটা খারাপ লাগে নয়তো নির্দিষ্ট সীমারেখা টেনে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখুন। সারাক্ষণ নেতিবাচক মনোভাব সামলানো কারও জন্যই সম্ভব না।
পুরানো বন্ধু যখন তেতো হয়: পুরানো বন্ধু সবসময়ই আনন্দের। পুরানো বন্ধু ফিরে আসা আরও আনন্দের। তবে যদি দেখা যায় সেই পুরানো বন্ধুর কার্যকলাপ আপনাকে আহত করছে তবে সাবধান হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
নিজস্বতা হারিয়ে ফেলতে থাকলে সেই বন্ধুর সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখাই হবে মঙ্গলজনক।
সম্পর্ক পাতলা হওয়া: বন্ধুত্ব হোক কিংবা প্রণয়ের সম্পর্ক- সময়ের মূল্য না দিলে সেটার কোনো মর্যাদা থাকে না।
মানসিকভাবে দুর্বল অনুভব করা এক জিনিস আর আপনি সব দিক সামলিয়ে যার জন্য সময় বের করে রাখলেন, অন্তিম মুহূর্তে সেই মানুষটাই আপনাকে ফাঁকি দিল।
যদিও এই ধরনের মনোভাব সম্পর্ক ছেদ করার বিশেষ কারণ হিসেবে পড়ে না। বরং যে এরকম করছে তাকে যদি কাছের ভাবেন, তবে তার সঙ্গে আলোচনায় বসুন। সমস্যাটা কোথায় সেটা কথা বলে সমাধান করা যেতেই পারে।
পাশাপাশি জানিয়ে দিন তার এই পাতলা মনোভাবের জন্য আপনার ধৈর্য্য কমে যাচ্ছে।
0 notes
আরবরা যেভাবে তাদের বাচ্চাদেরকে আরবি শিখান, আরবরা যেভাবে যবর দিয়ে পড়ান,...
0 notes
ট্রান্সজেন্ডার বা সমকামিতা, লুত (আ:) এর জাতি ধ্বংস হয়েছে, আল্লামা হাবিবু...
0 notes
Take a look at this post… 'শিশুৰ ব্যক্তিত্ব গঠনত ঘৰ বা পৰিয়ালৰ ভূমিকা।Role of home or family in shaping a child's personality.'.
http://anuragblogadress.blogspot.com/2024/01/role-of-home-or-family-in-shaping.html
View On WordPress
0 notes
ফিতরা কেন দিতে হয়?
Why do you have to pay Fitra?
ক. রোজাদারের রোজায় যেসব দুর্বলতা ও ভুল হয়, তা থেকে পবিত্র হওয়া। খ. দরিদ্রদের প্রতি সদ্ব্যবহার। গ. ঈদুল ফিতরের দিনে দরিদ্রদের ভিক্ষা করা থেকে বিরত রাখা। ঘ. তারাবি ও রোজার মতো নেয়ামতে ধন্য করায় আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা। ঙ. উদারতা ও সহমর্মিতার চর্চা করা।
ফিতরের নিসাব জাকাতের নিসাবের সমপরিমাণ। নিসাব মানে হলো কারো কাছে সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে ৫২ ভরি রুপা অথবা তার সমমূল্যের নগদ অর্থ কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অতিরিক্ত সম্পদ ঈদুল ফিতরের দিন সময় বিদ্যমান থাকলে তার ওপর ফিতর ওয়াজিব হবে। যাঁর ওপর ফিতর আদায় করা ওয়াজিব, তিনি নিজের পক্ষ থেকে যেমন আদায় করবেন, তেমনি নিজের অধীনদের পক্ষ থেকেও আদায় করবেন। তবে এতে জাকাতের মতো বর্ষ অতিক্রম হওয়া শর্ত নয়।
রাসুল (সা.)-এর যুগে মোট চারটি পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা হতো। খেজুর, কিশমিশ, যব ও পনির। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা এক সা পরিমাণ খাদ্য অথবা এক সা পরিমাণ যব অথবা এক সা পরিমাণ খেজুর অথবা এক সা পরিমাণ পনির অথবা এক সা পরিমাণ কিশমিশ দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতাম।’ (বুখারি, হাদিস: ১,৫০৬)
খাদ্যবস্তুর পরিবর্তে সেগুলোর কোনো একটিকে মাপকাঠি ধরে তার মূল্য আদায় করা হয়।
বর্তমান বাজারদর হিসাবে যেহেতু গমের দামই সবচেয়ে কম, তাই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রতিবছর আধা ‘সা’ গমকে মাপকাঠি ধরে ওই সময়ের বাজারদর হিসাবে তার মূল্য ফিতরার সর্বনিম্ন পরিমাণ ঘোষণা করা হয়।
উত্তম হলো, নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী বেশি মূল্যের খাদ্যবস্তুকে মাপকাঠি ধরে ফিতরা আদায় করা। কেননা সদকার মূল লক্ষ্যই হলো গরিবদের প্রয়োজন পূরণ ও তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ। এ ছাড়া আদায়কারীর সামর্থ্যকেও বিবেচনায় রাখা উচিত, যদিও শরিয়তে সর্বনিম্ন মূল্যে ফিতরা আদায় করার দরজা খোলা রাখা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনিরের হিসাবে ফিতরার আলাদা মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কেউ চাইলে আটার হিসাবে ফিতরা না দিয়ে উল্লিখিত জিনিসগুলোর হিসাবেও ফিতরা দিতে পারবেন।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করা উত্তম। তবে রমজান মাসেও তা আদায় করা যায়।
আরবি ‘সদকাতুল ফিতর’ অর্থ ‘ঈদুল ফিতরের সদকা’। ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করা হয় বলে একে সদকাতুল ফিতর বলা হয়। একে জাকাতুল ফিতর বা ফিতরাও বলা হয়। সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। রাসুল (সা.) ছোট-বড় নারী-পুরুষ সব মুসলমানের জন্য তা আবশ্যক করেছেন।
পবিত্র রমজানের পুরো এক মাস রোজা এবং তৎসংশ্লিষ্ট ইবাদত ও বিধিনিষেধ পালনের পর শাওয়াল মাসের পয়লা তারিখে ঈদ উৎসব পালিত হয়। এ পালনের মধ্যে রয়েছে জামাতে ঈদের নামাজ আদায়, গরিব-দুঃখীদের মধ্যে ফিতরা বিতরণ এবং ভালো খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। তবে ঈদুল ফিতর উৎসবের একটি তাৎপর্যময় অঙ্গ হলো ফিতরা বিতরণ। রোজার সময় সংযম সাধনায় কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি ঘটে থাকলে তা সংশোধন এবং সমাজের সর্বস্তরের লোক যাতে উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারে, সে জন্য গরিব-দুঃখীদের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট হারে সদকায়ে ফিতরা বিতরণ করতে হয়।
প্রত্যেক সমর্থ্য মুসলমানের জন্য ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। মাথাপিছু কত টাকা ফিতরা দিতে হবে, তা আগেই রাষ্ট্র কিংবা সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেয়। নিয়ম হলো, ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই এই ফিতরা পরিশোধ করতে হবে। তারপর ঈদগাহ কিংবা তার অভাবে বড় মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়।
ফিতরা কেন, কার ওপর ওয়াজিব
Why Fitra is obligatory on whom?
আরবি ‘সদকাতুল ফিতর’ অর্থ ‘ঈদুল ফিতরের সদকা’। ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করা হয় বলে একে সদকাতুল ফিতর বলা হয়। একে জাকাতুল ফিতর বা ফিতরাও বলা হয়। সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। রাসুল (সা.) ছোট-বড় নারী-পুরুষ সব মুসলমানের জন্য তা আবশ্যক করেছেন।
পবিত্র রমজানের পুরো এক মাস রোজা এবং তৎসংশ্লিষ্ট ইবাদত ও বিধিনিষেধ পালনের পর শাওয়াল মাসের পয়লা তারিখে ঈদ উৎসব পালিত হয়। এ পালনের মধ্যে রয়েছে জামাতে ঈদের নামাজ আদায়, গরিব-দুঃখীদের মধ্যে ফিতরা বিতরণ এবং ভালো খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। তবে ঈদুল ফিতর উৎসবের একটি তাৎপর্যময় অঙ্গ হলো ফিতরা বিতরণ। রোজার সময় সংযম সাধনায় কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি ঘটে থাকলে তা সংশোধন এবং সমাজের সর্বস্তরের লোক যাতে উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারে, সে জন্য গরিব-দুঃখীদের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট হারে সদকায়ে ফিতরা বিতরণ করতে হয়।
প্রত্যেক সমর্থ্য মুসলমানের জন্য ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। মাথাপিছু কত টাকা ফিতরা দিতে হবে, তা আগেই রাষ্ট্র কিংবা সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেয়। নিয়ম হলো, ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই এই ফিতরা পরিশোধ করতে হবে। তারপর ঈদগাহ কিংবা তার অভাবে বড় মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়।
ফিতরা দিতে হয় কেন?
কেন ফিতরা দিতে হয়। ফিতরা দেওয়ার কারণ।
যাকাতুল ফিতর বা ফিতরা,ফেতরা কি কেন
Zakatul Fitr or Fitra, what is Fitra?
fitra dewar niyom
ফিতরা আদায়ের নিয়ম
https://www.youtube.com/watch?v=l4aNmNFDxJg
যাকাতুল ফিতর বা ফিতরা,ফেতরা কি কেন
Zakatul Fitr or Fitra, what is Fitra?
ফিতরা দিতে হয় কেন?
Why do you have to pay Fitra?
0 notes
ফিতরা কেন দিতে হয়?
Why do you have to pay Fitra?
ক. রোজাদারের রোজায় যেসব দুর্বলতা ও ভুল হয়, তা থেকে পবিত্র হওয়া। খ. দরিদ্রদের প্রতি সদ্ব্যবহার। গ. ঈদুল ফিতরের দিনে দরিদ্রদের ভিক্ষা করা থেকে বিরত রাখা। ঘ. তারাবি ও রোজার মতো নেয়ামতে ধন্য করায় আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা। ঙ. উদারতা ও সহমর্মিতার চর্চা করা।
ফিতরের নিসাব জাকাতের নিসাবের সমপরিমাণ। নিসাব মানে হলো কারো কাছে সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে ৫২ ভরি রুপা অথবা তার সমমূল্যের নগদ অর্থ কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অতিরিক্ত সম্পদ ঈদুল ফিতরের দিন সময় বিদ্যমান থাকলে তার ওপর ফিতর ওয়াজিব হবে। যাঁর ওপর ফিতর আদায় করা ওয়াজিব, তিনি নিজের পক্ষ থেকে যেমন আদায় করবেন, তেমনি নিজের অধীনদের পক্ষ থেকেও আদায় করবেন। তবে এতে জাকাতের মতো বর্ষ অতিক্রম হওয়া শর্ত নয়।
রাসুল (সা.)-এর যুগে মোট চারটি পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা হতো। খেজ���র, কিশমিশ, যব ও পনির। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা এক সা পরিমাণ খাদ্য অথবা এক সা পরিমাণ যব অথবা এক সা পরিমাণ খেজুর অথবা এক সা পরিমাণ পনির অথবা এক সা পরিমাণ কিশমিশ দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতাম।’ (বুখারি, হাদিস: ১,৫০৬)
খাদ্যবস্তুর পরিবর্তে সেগুলোর কোনো একটিকে মাপকাঠি ধরে তার মূল্য আদায় করা হয়।
বর্তমান বাজারদর হিসাবে যেহেতু গমের দামই সবচেয়ে কম, তাই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রতিবছর আধা ‘সা’ গমকে মাপকাঠি ধরে ওই সময়ের বাজারদর হিসাবে তার মূল্য ফিতরার সর্বনিম্ন পরিমাণ ঘোষণা করা হয়।
উত্তম হলো, নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী বেশি মূল্যের খাদ্যবস্তুকে মাপকাঠি ধরে ফিতরা আদায় করা। কেননা সদকার মূল লক্ষ্যই হলো গরিবদের প্রয়োজন পূরণ ও তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ। এ ছাড়া আদায়কারীর সামর্থ্যকেও বিবেচনায় রাখা উচিত, যদিও শরিয়তে সর্বনিম্ন মূল্যে ফিতরা আদায় করার দরজা খোলা রাখা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনিরের হিসাবে ফিতরার আলাদা মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কেউ চাইলে আটার হিসাবে ফিতরা না দিয়ে উল্লিখিত জিনিসগুলোর হিসাবেও ফিতরা দিতে পারবেন।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করা উত্তম। তবে রমজান মাসেও তা আদায় করা যায়।
আরবি ‘সদকাতুল ফিতর’ অর্থ ‘ঈদুল ফিতরের সদকা’। ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করা হয় বলে একে সদকাতুল ফিতর বলা হয়। একে জাকাতুল ফিতর বা ফিতরাও বলা হয়। সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। রাসুল (সা.) ছোট-বড় নারী-পুরুষ সব মুসলমানের জন্য তা আবশ্যক করেছেন।
পবিত্র রমজানের পুরো এক মাস রোজা এবং তৎসংশ্লিষ্ট ইবাদত ও বিধিনিষেধ পালনের পর শাওয়াল মাসের পয়লা তারিখে ঈদ উৎসব পালিত হয়। এ পালনের মধ্যে রয়েছে জামাতে ঈদের নামাজ আদায়, গরিব-দুঃখীদের মধ্যে ফিতরা বিতরণ এবং ভালো খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। তবে ঈদুল ফিতর উৎসবের একটি তাৎপর্যময় অঙ্গ হলো ফিতরা বিতরণ। রোজার সময় সংযম সাধনায় কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি ঘটে থাকলে তা সংশোধন এবং সমাজের সর্বস্তরের লো�� যাতে উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারে, সে জন্য গরিব-দুঃখীদের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট হারে সদকায়ে ফিতরা বিতরণ করতে হয়।
প্রত্যেক সমর্থ্য মুসলমানের জন্য ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। মাথাপিছু কত টাকা ফিতরা দিতে হবে, তা আগেই রাষ্ট্র কিংবা সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেয়। নিয়ম হলো, ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই এই ফিতরা পরিশোধ করতে হবে। তারপর ঈদগাহ কিংবা তার অভাবে বড় মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়।
ফিতরা কেন, কার ওপর ওয়াজিব
Why Fitra is obligatory on whom?
আরবি ‘সদকাতুল ফিতর’ অর্থ ‘ঈদুল ফিতরের সদকা’। ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করা হয় বলে একে সদকাতুল ফিতর বলা হয়। একে জাকাতুল ফিতর বা ফিতরাও বলা হয়। সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। রাসুল (সা.) ছোট-বড় নারী-পুরুষ সব মুসলমানের জন্য তা আবশ্যক করেছেন।
পবিত্র রমজানের পুরো এক মাস রোজা এবং তৎসংশ্লিষ্ট ইবাদত ও বিধিনিষেধ পালনের পর শাওয়াল মাসের পয়লা তারিখে ঈদ উৎসব পালিত হয়। এ পালনের মধ্যে রয়েছে জামাতে ঈদের নামাজ আদায়, গরিব-দুঃখীদের মধ্যে ফিতরা বিতরণ এবং ভালো খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। তবে ঈদুল ফিতর উৎসবের একটি তাৎপর্যময় অঙ্গ হলো ফিতরা বিতরণ। রোজার সময় সংযম সাধনায় কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি ঘটে থাকলে তা সংশোধন এবং সমাজের সর্বস্তরের লোক যাতে উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারে, সে জন্য গরিব-দুঃখীদের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট হারে সদকায়ে ফিতরা বিতরণ করতে হয়।
প্রত্যেক সমর্থ্য মুসলমানের জন্য ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। মাথাপিছু কত টাকা ফিতরা দিতে হবে, তা আগেই রাষ্ট্র কিংবা সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেয়। নিয়ম হলো, ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই এই ফিতরা পরিশোধ করতে হবে। তারপর ঈদগাহ কিংবা তার অভাবে বড় মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়।
ফিতরা দিতে হয় কেন?
কেন ফিতরা দিতে হয়। ফিতরা দেওয়ার কারণ।
যাকাতুল ফিতর বা ফিতরা,ফেতরা কি কেন
Zakatul Fitr or Fitra, what is Fitra?
fitra dewar niyom
ফিতরা আদায়ের নিয়ম
https://www.youtube.com/watch?v=l4aNmNFDxJg
যাকাতুল ফিতর বা ফিতরা,ফেতরা কি কেন
Zakatul Fitr or Fitra, what is Fitra?
ফিতরা দিতে হয় কেন?
Why do you have to pay Fitra?
0 notes
ফিতরা কেন দিতে হয়?
Why do you have to pay Fitra?
ক. রোজাদারের রোজায় যেসব দুর্বলতা ও ভুল হয়, তা থেকে পবিত্র হওয়া। খ. দরিদ্রদের প্রতি সদ্ব্যবহার। গ. ঈদুল ফিতরের দিনে দরিদ্রদের ভিক্ষা করা থেকে বিরত রাখা। ঘ. তারাবি ও রোজার মতো নেয়ামতে ধন্য করায় আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা। ঙ. উদারতা ও সহমর্মিতার চর্চা করা।
ফিতরের নিসাব জাকাতের নিসাবের সমপরিমাণ। নিসাব মানে হলো কারো কাছে সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে ৫২ ভরি রুপা অথবা তার সমমূল্যের নগদ অর্থ কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অতিরিক্ত সম্পদ ঈদুল ফিতরের দিন সময় বিদ্যমান থাকলে তার ওপর ফিতর ওয়াজিব হবে। যাঁর ওপর ফিতর আদায় করা ওয়াজিব, তিনি নিজের পক্ষ থেকে যেমন আদায় করবেন, তেমনি নিজের অধীনদের পক্ষ থেকেও আদায় করবেন। তবে এতে জাকাতের মতো বর্ষ অতিক্রম হওয়া শর্ত নয়।
রাসুল (সা.)-এর যুগে মোট চারটি পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা হতো। খেজুর, কিশমিশ, যব ও পনির। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা এক সা পরিমাণ খাদ্য অথবা এক সা পরিমাণ যব অথবা এক সা পরিমাণ খেজুর অথবা এক সা পরিমাণ পনির অথবা এক সা পরিমাণ কিশমিশ দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতাম।’ (বুখারি, হাদিস: ১,৫০৬)
খাদ্যবস্তুর পরিবর্তে সেগুলোর কোনো একটিকে মাপকাঠি ধরে তার মূল্য আদায় করা হয়।
বর্তমান বাজারদর হিসাবে যেহেতু গমের দামই সবচেয়ে কম, তাই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রতিবছর আধা ‘সা’ গমকে মাপকাঠি ধরে ওই সময়ের বাজারদর হিসাবে তার মূল্য ফিতরার সর্বনিম্ন পরিমাণ ঘোষণা করা হয়।
উত্তম হলো, নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী বেশি মূল্যের খাদ্যবস্তুকে মাপকাঠি ধরে ফিতরা আদায় করা। কেননা সদকার মূল লক্ষ্যই হলো গরিবদের প্রয়োজন পূরণ ও তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ। এ ছাড়া আদায়কারীর সামর্থ্যকেও বিবেচনায় রাখা উচিত, যদিও শরিয়তে সর্বনিম্ন মূল্যে ফিতরা আদায় করার দরজা খোলা রাখা হয়েছে। ��সলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনিরের হিসাবে ফিতরার আলাদা মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কেউ চাইলে আটার হিসাবে ফিতরা না দিয়ে উল্লিখিত জিনিসগুলোর হিসাবেও ফিতরা দিতে পারবেন।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করা উত্তম। তবে রমজান মাসেও তা আদায় করা যায়।
আরবি ‘সদকাতুল ফিতর’ অর্থ ‘ঈদুল ফিতরের সদকা’। ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করা হয় বলে একে সদকাতুল ফিতর বলা হয়। একে জাকাতুল ফিতর বা ফিতরাও বলা হয়। সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। রাসুল (সা.) ছোট-বড় নারী-পুরুষ সব মুসলমানের জন্য তা আবশ্যক করেছেন।
পবিত্র রমজানের পুরো এক মাস রোজা এবং তৎসংশ্লিষ্ট ইবাদত ও বিধিনিষেধ পালনের পর শাওয়াল মাসের পয়লা তারিখে ঈদ উৎসব পালিত হয়। এ পালনের মধ্যে রয়েছে জামাতে ঈদের নামাজ আদায়, গরিব-দুঃখীদের মধ্যে ফিতরা বিতরণ এবং ভালো খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। তবে ঈদুল ফিতর উৎসবের একটি তাৎপর্যময় অঙ্গ হলো ফিতরা বিতরণ। রোজার সময় সংযম সাধনায় কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি ঘটে থাকলে তা সংশোধন এবং সমাজের সর্বস্তরের লোক যাতে উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারে, সে জন্য গরিব-দুঃখীদের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট হারে সদকায়ে ফিতরা বিতরণ করতে হয়।
প্রত্যেক সমর্থ্য মুসলমানের জন্য ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। মাথাপিছু কত টাকা ফিতরা দিতে হবে, তা আগেই রাষ্ট্র কিংবা সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেয়। নিয়ম হলো, ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই এই ফিতরা পরিশোধ করতে হবে। তারপর ঈদগাহ কিংবা তার অভাবে বড় মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়।
ফিতরা কেন, কার ওপর ওয়াজিব
Why Fitra is obligatory on whom?
আরবি ‘সদকাতুল ফিতর’ অর্থ ‘ঈদুল ফিতরের সদকা’। ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করা হয় বলে একে সদকাতুল ফিতর বলা হয়। একে জাকাতুল ফিতর বা ফিতরাও বলা হয়। সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। রাসুল (সা.) ছোট-বড় নারী-পুরুষ সব মুসলমানের জন্য তা আবশ্যক করেছেন।
পবিত্র রমজানের পুরো এক মাস রোজা এবং তৎসংশ্লিষ্ট ইবাদত ও বিধিনিষেধ পালনের পর শাওয়াল মাসের পয়লা তারিখে ঈদ উৎসব পালিত হয়। এ পালনের মধ্যে রয়েছে জামাতে ঈদের নামাজ আদায়, গরিব-দুঃখীদের মধ্যে ফিতরা বিতরণ এবং ভালো খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। তবে ঈদুল ফিতর উৎসবের একটি তাৎপর্যময় অঙ্গ হলো ফিতরা বিতরণ। রোজার সময় সংযম সাধনায় কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি ঘটে থাকলে তা সংশোধন এবং সমাজের সর্বস্তরের লোক যাতে উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারে, সে জন্য গরিব-দুঃখীদের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট হারে সদকায়ে ফিতরা বিতরণ করতে হয়।
প্রত্যেক সমর্থ্য মুসলমানের জন্য ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। মাথাপিছু কত টাকা ফিতরা দিতে হবে, তা আগেই রাষ্ট্র কিংবা সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেয়। নিয়ম হলো, ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই এই ফিতরা পরিশোধ করতে হবে। তারপর ঈদগাহ কিংবা তার অভাবে বড় মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়।
ফিতরা দিতে হয় কেন?
কেন ফিতরা দিতে হয়। ফিতরা দেওয়ার কারণ।
যাকাতুল ফিতর বা ফিতরা,ফেতরা কি কেন
Zakatul Fitr or Fitra, what is Fitra?
fitra dewar niyom
ফিতরা আদায়ের নিয়ম
https://www.youtube.com/watch?v=l4aNmNFDxJg
যাকাতুল ফিতর বা ফিতরা,ফেতরা কি কেন
Zakatul Fitr or Fitra, what is Fitra?
ফিতরা দিতে হয় কেন?
Why do you have to pay Fitra?
0 notes
ফিতরা কেন দিতে হয়?
Why do you have to pay Fitra?
ক. রোজাদারের রোজায় যেসব দুর্বলতা ও ভুল হয়, তা থেকে পবিত্র হওয়া। খ. দরিদ্রদের প্রতি সদ্ব্যবহার। গ. ঈদুল ফিতরের দিনে দরিদ্রদের ভিক্ষা করা থেকে বিরত রাখা। ঘ. তারাবি ও রোজার মতো নেয়ামতে ধন্য করায় আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা। ঙ. উদারতা ও সহমর্মিতার চর্চা করা।
ফিতরের নিসাব জাকাতের নিসাবের সমপরিমাণ। নিসাব মানে হলো কারো কাছে সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে ৫২ ভরি রুপা অথবা তার সমমূল্যের নগদ অর্থ কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অতিরিক্ত সম্পদ ঈদুল ফিতরের দিন সময় বিদ্যমান থাকলে তার ওপর ফিতর ওয়াজিব হবে। যাঁর ওপর ফিতর আদায় করা ওয়াজিব, তিনি নিজের পক্ষ থেকে যেমন আদায় করবেন, তেমনি নিজের অধীনদের পক্ষ থেকেও আদায় করবেন। তবে এতে জাকাতের মতো বর্ষ অতিক্রম হওয়া শর্ত নয়।
রাসুল (সা.)-এর যুগে মোট চারটি পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা হতো। খেজুর, কিশমিশ, যব ও পনির। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা এক সা পরিমাণ খাদ্য অথবা এক সা পরিমাণ যব অথবা এক সা পরিমাণ খেজুর অথবা এক সা পরিমাণ পনির অথবা এক সা পরিমাণ কিশমিশ দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতাম।’ (বুখারি, হাদিস: ১,৫০৬)
খাদ্যবস্তুর পরিবর্তে সেগুলোর কোনো একটিকে মাপকাঠি ধরে তার মূল্য আদায় করা হয়।
বর্তমান বাজারদর হিসাবে যেহেতু গমের দামই সবচেয়ে কম, তাই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রতিবছর আধা ‘সা’ গমকে মাপকাঠি ধরে ওই সময়ের বাজারদর হিসাবে তার মূল্য ফিতরার সর্বনিম্ন পরিমাণ ঘোষণা করা হয়।
উত্তম হলো, নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী বেশি মূল্যের খাদ্যবস্তুকে মাপকাঠি ধরে ফিতরা আদায় করা। কেননা সদকার মূল লক্ষ্যই হলো গরিবদের প্রয়োজন পূরণ ও তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ। এ ছাড়া আদায়কারীর সামর্থ্যকেও বিবেচনায় রাখা উচিত, যদিও শরিয়তে সর্বনিম্ন মূল্যে ফিতরা আদায় করার দরজা খোলা রাখা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনিরের হিসাবে ফিতরার আলাদা মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কেউ চাইলে আটার হিসাবে ফিতরা না দিয়ে উল্লিখিত জিনিসগুলোর হিসাবেও ফিতরা দিতে পারবেন।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করা উত্তম। তবে রমজান মাসেও তা আদায় করা যায়।
আরবি ‘সদকাতুল ফিতর’ অর্থ ‘ঈদুল ফিতরের সদকা’। ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করা হয় বলে একে সদকাতুল ফিতর বলা হয়। একে জাকাতুল ফিতর বা ফিতরাও বলা হয়। সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। রাসুল (সা.) ছোট-বড় নারী-পুরুষ সব মুসলমানের জন্য তা আবশ্যক করেছেন।
পবিত্র রমজানের পুরো এক মাস রোজা এবং তৎসংশ্লিষ্ট ইবাদত ও বিধিনিষেধ পালনের পর শাওয়াল মাসের পয়লা তারিখে ঈদ উৎসব পালিত হয়। এ পালনের মধ্যে রয়েছে জামাতে ঈদের নামাজ আদায়, গরিব-দুঃখীদের মধ্যে ফিতরা বিতরণ এবং ভালো খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। তবে ঈদুল ফিতর উৎসবের একটি তাৎপর্যময় অঙ্গ হলো ফিতরা বিতরণ। রোজার সময় সংযম সাধনায় কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি ঘটে থাকলে তা সংশোধন এবং সমাজের সর্বস্তরের লোক যাতে উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারে, সে জন্য গরিব-দুঃখীদের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট হারে সদকায়ে ফিতরা বিতরণ করতে হয়।
প্রত্যেক সমর্থ্য মুসলমানের জন্য ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। মাথাপিছু কত টাকা ফিতরা দিতে হবে, তা আগেই রাষ্ট্র কিংবা সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেয়। নিয়ম হলো, ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই এই ফিতরা পরিশোধ করতে হবে। তারপর ঈদগাহ কিংবা তার অভাবে বড় মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়।
ফিতরা কেন, কার ওপর ওয়াজিব
Why Fitra is obligatory on whom?
আরবি ‘সদকাতুল ফিতর’ অর্থ ‘ঈদুল ফিতরের সদকা’। ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করা হয় বলে একে সদকাতুল ফিতর বলা হয়। একে জাকাতুল ফিতর বা ফিতরাও বলা হয়। সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। রাসুল (সা.) ছোট-বড় নারী-পুরুষ সব মুসলমানের জন্য তা আবশ্যক করেছেন।
পবিত্র রমজানের পুরো এক মাস রোজা এবং তৎসংশ্লিষ্ট ইবাদত ও বিধিনিষেধ পালনের পর শাওয়াল মাসের পয়লা তারিখে ঈদ উৎসব পালিত হয়। এ পালনের মধ্যে রয়েছে জামাতে ঈদের নামাজ আদায়, গরিব-দুঃখীদের মধ্যে ফিতরা বিতরণ এবং ভালো খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। তবে ঈদুল ফিতর উৎসবের একটি তাৎপর্যময় অঙ্গ হলো ফিতরা বিতরণ। রোজার সময় সংযম সাধনায় কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি ঘটে থাকলে তা সংশোধন এবং সমাজের সর্বস্তরের লোক যাতে উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারে, সে জন্য গরিব-দুঃখীদের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট হারে সদকায়ে ফিতরা বিতরণ করতে হয়।
প্রত্যেক সমর্থ্য মুসলমানের জন্য ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। মাথাপিছু কত টাকা ফিতরা দিতে হবে, তা আগেই রাষ্ট্র কিংবা সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেয়। নিয়ম হলো, ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই এই ফিতরা পরিশোধ করতে হবে। তারপর ঈদগাহ কিংবা তার অভাবে বড় মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়।
ফিতরা দিতে হয় কেন?
কেন ফিতরা দিতে হয়। ফিতরা দেওয়ার কারণ।
যাকাতুল ফিতর বা ফিতরা,ফেতরা কি কেন
Zakatul Fitr or Fitra, what is Fitra?
fitra dewar niyom
ফিতরা আদায়ের নিয়ম
https://www.youtube.com/watch?v=l4aNmNFDxJg
যাকাতুল ফিতর বা ফিতরা,ফেতরা কি কেন
Zakatul Fitr or Fitra, what is Fitra?
ফিতরা দিতে হয় কেন?
Why do you have to pay Fitra?
0 notes