Tumgik
#মদন লাল
world-store · 1 year
Text
ভারত মহিলা বনাম বাংলাদেশ মহিলা ওডিআই সিরিজ মাদল লাল বিসিসিআইকে হরমনপ্রীত কৌরের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলেছেন
IND-W বনাম BAN-W ODI সিরিজ: ভারত মহিলা বনাম বাংলাদেশ মহিলা ওডিআই ম্যাচ চলাকালীন একটি বিশাল বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল কারণ ভারতীয় অধিনায়ক হারমনপ্রীত কৌর স্বাগতিকদের সাথে যেভাবে আচরণ করেছিলেন তা টক অফ দ্য টাউনে পরিণত হয়েছিল৷ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি টাই শেষ হয়েছে, যার ফলে সিরিজ ১-১ ড্র হয়েছে। প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ জিতেছিল এবং ভারত 1-1 তে সিরিজে সমতায়…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
bd-news-corner · 2 years
Text
উমরানকে টেস্ট খেলানোর পরামর্শ দিলেন সাবেক ভারতীয় পেসার
উমরানকে টেস্ট খেলানোর পরামর্শ দিলেন সাবেক ভারতীয় পেসার
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক। বিশ ওভারের ফরম্যাটে শেষ ম্যাচটিও খেলেছেন তিনি। তবে ভারতের প্রাক্তন ফাস্ট বোলার মদন লাল নির্বাচকদের পরামর্শ দিয়েছেন টি-টোয়েন্টি না খেলে টেস্টের জন্য উমরান মালিককে বিবেচনা করতে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৫৬ রান করেছেন ওমরান। গতির জন্য তার খ্যাতি সত্ত্বেও, ওমরান তার ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই সাশ্রয়ী বোলিংয়ের…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
paathok · 3 years
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/136186
রাজস্থলীতে প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেলো গৃহহীন ২৩৯ পরিবার
.
আলমগীর মানিক,রাঙামাটি: রাঙামাটির রাজস্থলীর উচুঁ-নিচু পাহারের সবুজ প্রকৃতির মাঝে উকি দিচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যার উপহারের লাল সবুজ ঘর।
উপজেলার মানসিক ভারসাম্যহীন, প্রতিবন্ধী, স্বামীহারা বিধবা নারীসহ ২৩৯টি অসহায় হতদরিদ্র গৃহ ও ভূমিহীন পরিবার পেয়েছে তাদের স্বপ্নের নীড়, পেয়েছেন বেঁচে থাকার অফুরন্ত রশদ। রাঙামাটি জেলাপ্রশাসনের সার্বিক তদারকিতে রাজস্থলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় পাহাড়ি অঞ্চল রাজস্থলীতে স্বপ্নের নীড়ে উঠলো ২৩৯টি পরিবার।
উপজেলার দূর্গম ছোট কুক্যাছড়ি, বড় কুক্যাছড়ি, মদন কারবারি পাড়া, ঝরঝরি পাড়া, নাইক্ষছড়া, আগা পাড়ায় মানসিক ভারসাম্যহীন, প্রতিবন্ধী বিধবা নারীসহ অসহায় মানুষদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পৌঁছে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে দূর্গম রাজস্থলীতে বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির তত্বাবধানে ঘরগুলো অত্যন্ত মানসম্মতভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
উপকারভোগী চিনামনি তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, আমার একটা মেয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, আমার সংসারে উপার্জন করার মত কেউ নেই,অশ্রুসিক্ত নয়নে বললেন সরকারি ঘর পেয়ে তিনি খুবই আনন্দিত তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি। আবেগাপ্লত কণ্ঠে একাধিক উপকারভোগী জানান, সারাজীবনের চেষ্টায়ও যে মাথা গোজার ঠাঁই করতে পারেননি, অনায়াসে স্বপ্নের সেই বসত ঘর পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেও ভূলেননি তারা।
.
রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ ছাদেক বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের অধীনে ২৩৯টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। ১ম পর্যায়ে ২য় ধাপে ১৯০টি এবং ২য় পর্যায়ে ৪৯টি। বিভিন্ন সময়ে এসমস্ত ঘরগুলো পরিদর্শন করেন রাঙামাটি জেলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকবৃন্দ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উপসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা। তারা সকলেই ঘরগুলোর গুণগত মান নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে কাজ করছেন তার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষরা কোথায় থাকতো, কিভাবে দিন কাটাতো তাদের কষ্টের কথা চিন্তা করে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী যে উদ্যোগ নিয়েছেন সেটির ফল আজ ভোগ করছেন পাহাড়ের এসব মানুষ।’ এখনো যারা গৃহহীন ও ভূমিহীন রয়েছে তাদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আরো ঘর বরাদ্দ প্রদানের প্রক্রিয়া চলমান, তাই আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
0 notes
gonopress-blog · 4 years
Text
মেয়র পদে তিনজন ও কাউন্সিলর পদে ৬২ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল
Tumblr media
জয়দেব চক্রবর্ত্তী ।। কেশবপুর পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে মঙ্গলবার মেয়র পদে তিনজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৭ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৫ জন প্রার্থী উপজেলা রির্টাণিং অফিসারের নিকট মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। মেয়র পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র রফিকুল ইসলাম, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাবেক মেয়র আলহাজ¦ আব্দুস সামাদ বিশ্বাস ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত আব্দুল কাদের। ১ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর শেখ আতিয়ার রহমান, লিটন গাজী ও সোহেল হাসান, ২নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর মশিয়ার রহমান, হাবিবুর রহমান, আবু শাহিন ও তরিকুল ইসলাম, ৩ নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর জামাল উদ্দিন, জি এম কবীর, শেখ কামরুজ্জামান, নাছির উদ্দীন, মোরশেদ আলী, আব্দুর রাজ্জাক, মশিয়ার রহমান, প্রদীপ চক্রবর্ত্তী, শওকত হোসেন, মনিরুজ্জামান ও আজিবর মোড়ল। ৪নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর আফজাল হোসেন বাবু, জাহাঙ্গীর আলম, সৈয়দ আকমল আলী ও কুতুব উদ্দিন বিশ্বাস, ৫নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর শহিদুজ্জামান, ইকরামুল হোসেন, মেহেদী হাসান ও আব্দুর রাজ্জাক, ৬নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর জাকির হোসেন, মনোয়ার হোসেন, রুহুল কুদ্দুস ও আনিছুর রহমান। ৭নং ওয়ার্ডে মদন সাহা অপু, কামাল খান, আক্তারুজ্জামান, ইকরামুছ সালাম খান, ওয়াজেদ খান ডবলু, মানিক লাল সাহা ও শাহরিয়ার রহমান, ৮নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর মফিজুর রহমান খান, আব্দুল হালিম মোড়ল, সেলিম খান, আমিনুল ইসলাম, খন্দকার মফিজুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, আব্দুল গফুর মোড়ল, ৯নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর এস এম এবাদত সিদ্দিক বিপুল, আবুল কালাম আজাদ ও আব্দুল বারিক বিশ্বাস। মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন Read the full article
0 notes
ketunews · 4 years
Text
কারিনা কাপুর আবার শুটিং শুরু করলেন - Bebo coming back
Tumblr media
এই ফিল্ম লোকেরা আজকাল কী করছে তা একবার দেখুন ছবি:  সৌজন্য দিশা পাটানি / ইনস্টাগ্রাম দিশা পাটানি ক্যামেরার জন্য ভঙ্গি। ফটোগ্রাফ: করুণা কাপুর খান / ইনস্টাগ্রামে সৌজন্যে কারিনা কাপুর - কে বলেছে সে তার দ্বিতীয় সন্তানের প্রত্যাশা - আমির খানের সাথে তার ছবির সেটে ফিরেছেন, লাল সিং চদ্দা। ফটোগ্রাফ: দয়া করে সৌজন্যে শিবানী দান্দেকার / ইনস্টাগ্রাম শিবানী দান্দেকর বাড়িতে একটি কুকুরছানা এনেছে এবং তাকে টাইসন বলে। ফটোগ্রাফ: দয়া করে সৌজন্যে Ishaশা কোপ্পিকার / ইনস্টাগ্রাম ইশা কোপ্পিকার মেয়ের সাথে যমজ Rianna। ফটোগ্রাফ: সৌজন্যে কৃতি খারবান্দা / ইনস্টাগ্রাম কৃতি খারবান্দা তার মনে কিছু আছে ফটোগ্রাফ: দয়া করে সৌজন্যে বিপাশা বসু / ইনস্টাগ্রাম বিপাশা বসু তার চলচ্চিত্র প্রচার করে বিপজ্জনক। ছবি: দয়ালু সৌজন্যে সোনাল চৌহান / ইনস্টাগ্রাম সোনাল চৌহান তার যোগব্যায়াম কোণে যান। ছবি: দয়ালু সৌজন্যে রাধিকা মদন / ইনস্টাগ্রাম রাধিকা মদন একটি সেলফি লাগে। ছবি: দয়ালু সৌজন্যে রাধিকা আপ্তে / ইনস্টাগ্রাম রাধিকা আপ্তে খুশি হ'ল: 'যখন সুখ এত প্রবল হয় এবং খাঁটি আনন্দটি আপনার ভিতরে এতটা উদ্বিগ্ন হয় এবং আপনি যা করতে পারেন তা হাসি। আমরা ভাবছি কেন। । #Bollywood #BoxOffice #cinema #foreignmovies #indiancinema #kollywood #Movies #Patani #Rianna #tollywood #আবর #আমিরখান #ইনস্টাগ্রাম #ইশাকোপ্পিকার #কপর #করন #করলন #কারিনাকাপুর #কৃতিখারবান্দা #খুশি #দিশা #বিপাশাবসু #রাধিকাআপ্তে #রাধিকামদন #লালসিংচদ্দা #শট #শর #শিবানীদান্দেকর #সোনালচৌহান Read the full article
0 notes
ashtala · 4 years
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
১৯৭১ সালের আগে ছিলেন মুদি দোকানদার ও তাবিজ বিক্রেতা। মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে হয়ে গেলেন প্রথমে শান্তি কমিটির সদস্য ও পরে রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার। নিজে জড়িত থেকে, নেতৃত্ব বা সহযোগিতা দিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং রাজাকার বাহিনী নিয়ে সংঘটিত করলেন হত্যাযজ্ঞ, অগ্নিসংযোগ, লুট, ধর্ষণসহ জঘণ্যতম মানবতাবিরোধী নানা অপরাধ। আগের ‘দেইল্লা’ নামের সঙ্গে তাই রাজাকার যুক্ত হয়ে তাই কুখ্যাত হলেন ‘দেইল্লা রাজাকার’ নামে।
মুক্তিযুদ্ধের পরে দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর আবির্ভুত হলেন ‘আল্লামা মাওলানা’ পরিচয়ে। ওয়াজ করে বেড়ালেন দেশে-বিদেশে। কালক্রমে হলেন যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতের নায়েবে আমির। এভাবেই বাবা-মায়ের দেওয়া দেলোয়ার হোসেন শিকদার ওরফে ‘দেইল্লা’ বা ‘দেইল্লা রাজাকার’ নামক ব্যক্তিটি হয়ে গেলেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।
তবে একাত্তরের অপরাধ ঢেকে নতুন পরিচিতি পেতে তিনি দাখিল পাসের সনদপত্র জালিয়াতি করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগের তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গঠিত উপ-কমিটি। তদন্তকালে ওই উপ-কমিটি খুঁজে পেয়েছেন আরও কয়েক ধাপে নাম পাল্টানোর আরও ঘটনাও। কেননা, মাত্র ১০ বছরে পাস করা কথিত দাখিল পাসের সনদপত্রে তার নাম দেখানো হয় মোস্তফা দেলাওয়ার হোসাইন। আলিমের সনদপত্রেই সেটা হয়ে যায় আবু নাঈম মো. দেলাওয়ার হোসাইন।
আর জালিয়াতি করে জন্ম তারিখের পাশাপাশি এসব নামকেও পাল্টে করা হয় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী পিরোজপুর জেলার তৎকালীন ইন্দুরকানীর (বর্তমানে জিয়ানগর উপজেলা) সাউথখালী গ্রামে ১৯৪০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম ইউসুফ আলী শিকদার।
তার প্রকৃত নাম দেলোয়ার হোসেন শিকদার। তাকে ‘দেইল্লা’ নামে সকলে চিনতেন।
জামায়াতের ছাত্র রাজনীতি করার কারণে সাঈদী শর্ষিনা মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কৃত হন। পরে বারইপাড়া মাদ্রাসা থেকে তৃতীয় বিভাগে আলিম পাস করেন। এরপর উচ্চতর ডিগ্রি না নিলেও নামের সঙ্গে আল্লামা টাইটেল ব্যবহার করছেন।
মুক্তিযুদ্ধের আগে শ্বশুর বাড়িতে ঘরজামাই থাকতেন সাঈদী। সংসার চালানোর জন্য পারেরহাটে তার একটি ছোট মুদি দোকান থাকলেও তিনি মূলত তাবিজ বিক্রি করতেন।
অভিযোগ করা হয়েছে, সাঈদী ছিলেন আরবি ও উর্দু ভাষায় পারদর্শী এবং বাকপটু। এটাকে ব্যবহার করে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে তিনি সখ্য এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন এজাজের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করেন। এ কারণে সে রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার হতে সক্ষম হন।
অবশ্য মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর পরই তিনি ছিলেন শান্তি কমিটির সদস্যও। তার নেতৃত্বে এবং তার সহযোগিতায় পিরোজপুরের পারেরহাট বন্দরসহ বিভিন্ন এলাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং রাজাকার বাহিনী হত্যাযজ্ঞ, অগ্নিসংযোগ, লুট, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করে।
সাঈদীর বিরুদ্ধে গঠন করা অভিযোগ, ৮৮ পৃষ্ঠার সূচনা বক্তব্য এবং ৭৭ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন বা আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্রে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিন হাজারেরও বেশি নিরস্ত্র ব্যক্তিকে হত্যা বা হত্যায় সহযোগিতা, নয়জনেরও বেশি নারীকে ধর্ষণ, বিভিন্ন বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট, ভাঙচুর এবং ১০০ থেকে ১৫০ হিন্দুকে ধর্মান্তরে বাধ্য করার ২০টি ঘটনার অভিযোগ আনা হয়।
এগুলোর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীত ভাবে ৮টি অভিযোগই প্রমাণ করতে পারায় বৃহস্পতিবার সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। এর মধ্যে দু’টি অভিযোগে অর্থাৎ ৮ ও ১০ নং অপরাধে সাঈদীর মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। এছাড়া ৬, ৭, ১১, ১৪, ১৬ ও ১৯নং অভিযোগ প্রমাণিত হলেও এগুলোতে কোনো সাজার কথা ঘোষণা করেননি ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনাল জানান, দুই অভিযোগে সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়ায় বাকিগুলোতে আর সাজা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য তার নিজ এলাকায় আলবদর, আলশামস এবং রাজাকার বাহিনী গঠন করেন এবং তাদের সরাসরি সহযোগিতা করেন। সে সময় তিনি সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা ছিলেন না। তবে তথাকথিত মওলানা হিসেবে তিনি তার স্বাধীনতাবিরোধী তৎপরতা পরিচালনা করেছেন। পবিত্র ধর্মের দোহাই দিয়ে একজন ‘মাওলানা’ হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে পুরো মুক্তিযুদ্ধের সময় সাঈদী নানা অপকর্ম করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
পিরোজপুরে মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ, লুটতরাজসহ নানা যুদ্ধাপরাধের অন্যতম হোতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। নিজে নেতৃত্ব দেওয়া ছাড়াও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে গণহত্যা ও নির্যাতনে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করেছেন সাঈদী।
ধর্ষণ
অভিযোগগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, সাঈদী মুক্তিযুদ্ধকালে পারেরহাট বন্দরের বিপদ সাহার মেয়ে ভানু সাহাকে নিয়মিত যৌন নির্যাতন করতেন। বিপদ সাহার বাড়িতেই আটকে রেখে অন্যান্য রাজাকারসহ সাঈদী ভানু সাহাকে নিয়মিত ধর্ষণ করতেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়। এক সময় ভানু সাহা দেশ ত্যাগে বাধ্য হন। বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন।
মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সাঈদীর নেতৃত্বে একদল রাজাকার পিরোজপুরের হুগলাবুনিয়া গ্রামে হানা দেয়। রাজাকারদের আগমন দেখে গ্রামের অধিকাংশ হিন্দু নারী পালিয়ে যান। কিন্তু মধুসূদন ঘরামীর স্ত্রী শেফালী ঘরামী ঘর থেকে বের হতে পারেননি। তখন সাঈদীর নেতৃত্বে রাজাকাররা তাকে ধর্ষণ করেন। এর ফলে স্বাধীনতার পর তিনি একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। এ নিয়ে গ্রামে বিভিন্ন কথা ওঠায় শেফালী ঘরামী দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যেতে বাধ্য হন।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ শেষের দিকের কোনো একদিন ১০/১২ জন রাজাকারের বাহিনী নিয়ে পাড়েরহাট বাজারের গৌরাঙ্গ সাহার বাড়িতে যান সাঈদী। সেখানে তার ৩ বোন মহামায়া, অন্ন রানী ও কমলা রানীকে আটক করে পিরোজপুরে পাকিস্তানি সেনাদের ক্যাম্পে প্রেরণ এবং সেখানে তাদেরকে ৩ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগও আনা হয়েছে সাঈদীর বিরুদ্ধে।
পিরোজপুরের বিখ্যাত তালুকদার বাড়িতে লুটতরাজ শেষে ওই বাড়ি থেকে ২০-২৫ জন মহিলাকে ধরে এনে পাকিস্তানি সেনাদের ক্যাম্পে পাঠানোর অভিযোগও করা হয়েছে সাঈদীর বিরুদ্ধে।
জোরপূর্বক ধর্মান্তর
���াঈদীর নেতৃত্বে রাজাকার বাহিনী হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর বিভিন্নভাবে নির্যতন চালাতো। তাদের বাড়ি-ঘর লুট করাসহ আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিত। পরে লোকজন সর্বস্ব হারিয়ে ভারতের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেন। আর যারা যেতে পারেননি, তাদের সাঈদী ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করেন। তাদের নিয়ে তিনি মসজিদে নামাজ পড়তেন। তাদের মুসলমান নামও দেন তিনি।
অভিযোগ করা হয়েছে, যুদ্ধ চলাকালে সাঈদী প্রভাব খাটিয়ে পারেরহাটসহ অন্য গ্রামের ১০০-১৫০ জন হিন্দুকে এভাবে ইসলাম ধর্মে রূপান্তর করেন। তাদের মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে বাধ্য করা হতো।
হত্যা-গণহত্যা, লুটপাট-অগ্নিসংযোগ
অভিযোগ করা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ৪ মে সকাল বেলা পিস কমিটির মেম্বার হিসাবে সাঈদীর নেতৃত্বে মধ্য মাছিমপুর বাসস্ট্যান্ডের পেছনে মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার জন্য জমায়েত হওয়া ২০ জন বেসামরিক ব্যাক্তিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।
একই সময়ে মাছিমপুর হিন্দুপাড়ায় প্রকাশ্য দিবালোকে পাকিস্তানি সেনাদের সহায়তায় লুটপাট করে তাদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন এবং পলায়নরত অজ্ঞাত সংখ্যক ব্যক্তিদের মধ্য থেকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে শরত চন্দ্র মন্ডল, বিজয় মিস্ত্রি, উপেন্দ্রনাথ, জগেন্দ্রনাথ মিস্ত্রি, সুরেন্দ্রনাথ মিস্ত্রি, মতিলাল মিস্ত্রি, জগেশ্বর মণ্ডল, সুরেশ মণ্ডলসহ অজ্ঞাতনামা ৫ জনসহ আরও ১৩ জনকে হত্যা করেন সাঈদী ও তার সহযোগীরা। এরপর সাঈদী নেতৃত্ব দিয়ে এলজিইডির পেছনে ধোপা বাড়ির নিকটস্থ হিন্দুপাড়ায় ঢুকে দেবেন্দ্রনাথ মণ্ডল, জগেন্দ্রনাথ মণ্ডল, পুলিন বিহারী ও মুকুন্দ বালাকেও গুলি করে হত্যা করেন।
এর পর তারা কালিবাড়ি, মাছিমপুর, পালপাড়া, শিকারপুর, রাজারহাট, কুকারপাড়া, ডুমুরতলা, কদমতলা, নবাবপুর, আলমকুঠি, ঢুকিগাতি, পারেরহাট এবং চিংড়াখালী গ্রামে ধর্মীয় কারণে বেসামরিক জনগোষ্ঠির বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে।
এছাড়া অভিযোগ করা হয়েছে, সাঈদীর পরামর্শ, পরিকল্পনা এবং প্রণীত তালিকা অনুযায়ী এলাকার বুদ্ধিজীবী ও ছাত্রদের পাইকারি হারে নিধন করা হয়।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান, স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল গাফফার মিয়া, সমাজসেবী শামসুল হক ফরাজী, অতুল কর্মকার প্রমুখ সরকারি কর্মকর্তা ও বুদ্ধিজীবীদেরও সাঈদীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। সাঈদী এবং তার সহযোগীরা পিরোজপুরের মেধাবী ছাত্র গণপতি হালদার, তদানীন্তন ইপিআর সুবেদার আব্দুল আজিজ এবং পারেরহাট বন্দরের কৃষ্ণকান্ত সাহা, বাণীকান্ত সিকদার ও তরণীকান্ত সিকদারসহ আরো অনেক ব্যবসায়ীকেও ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছেন।
৭ মে পাকিস্তান আর্মিরা পারেরহাটে এলে সাঈদী শান্তি কমিটির সদস্য হিসেবে তাদের স্বাগত জানান। ধর্মীয় ও রাজনৈতিক কারণে পারেরহাটের আওয়ামী লীগ নেতা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘরে প্রবেশ করে তিনি মাখন লাল সাহার দোকান থেকে ২২ সের সোনা ও রুপা লুট করে নেন।
৮ মে বেলা দেড়টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম খান সেলিমের পুত্র শহিদুল ইসলামের বাড়িতে প্রবেশ করে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেন সাঈদীরা। এরপর দুপুর ৩টার দিকে তারা মানিক পশারীর বাড়িতে প্রবেশ করেন এবং সেখান থেকে মফিজ উদ্দিন ও ইব্রাহিম কুট্টিকে আটক করে নিয়ে আসেন। এর পর মানিক পশারীর বাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। অাটককৃত মফিজ উদ্দিন ও ইব্রাহিম কুট্টিকে নিয়ে এসে পাড়েরহাট বন্দরে ইব্রাহিম কুট্টিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আর মফিজউদ্দিনকে রাজলক্ষী হাইস্কুলের রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতনের এক পর্যায়ে সে পালিয়ে আসেন মফিজ উদ্দিন।
২ জুন সকাল ৯টায় সাঈদীর নেতৃত্বে পাকিস্তানি সেনারা নলবুনিয়ায় আবদুল হালিম বাবুলের বাড়ি থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র লুট ও অগ্নিসংযোগ করে। এরপর তারা উমেদপুর হিন্দুপাড়ায় প্রবেশ করে ২৫টি বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়ে বিশা বালীকে গুলি করে হত্যা করে।
২ জুন পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে নিয়ে টেংরাখালী গ্রামের মাহবুবুল আলম হাওলাদারের বাড়িতে যান সাঈদী। তারা মাহবুবের ভাই আব্দুল মজিদ হাওলাদারকে আটক ও নির্যাতন এবং বাড়িতে স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ টাকা লুট ও ভাঙচুর করে।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার ২/৩ মাস পরে একদিন পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে নিয়ে নলবুনিয়া গ্রামের আজহার আলীর বাড়িতে যান সাঈদী। সেখানে আজহার আলী ও তার ছেলে সাহেব আলীকে নির্যাতনের পর সাহেব আলীকে পিরোজপুরে পাঠান। সেখানে সাহেব আলীকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে সাঈদী মুক্তিযোদ্ধা মিজান তালুকদারের বাড়িতে হামলা চালান। তারা মিজানের বড়ো ভাই আব্দুল মান্নান তালুকদারকে ধরে পারেরহাটে পিস কমিটির অফিসে নিয়ে যান। সেখানে তার ওপর সাঈদী পাশবিক নির্যাতন চালান এবং তার ভাই মুক্তিযোদ্ধা মিজান তালুকদার কোথায় আছে জানতে চান ও তার সন্ধান দিতে বলেন।
মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে সাঈদীর নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের রাজাকার দল হোগলাবুনিয়া গ্রামের ১৪ জন হিন্দু নাগরিককে ধরে। পাকিস্তানি সেনারা তাদের সবাইকে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়।
সাঈদীর সহযোগিতায় পিরোজপুরের হিমাংশু সাহার ভাই ও আত্মীয়-স্বজনকে হত্যা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ।
নভেম্বরের শেষ দিকে সাঈদী খবর পান, সাধারণ মানুষ ভারতে পালিয়ে যাচ্ছে। তার নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি সশস্ত্র দল পরিকল্পিতভাবে ইন্দুরকানি গ্রামের তালুকদার বাড়িতে আক্রমণ চালায়। ৮৫ জন ব্যক্তিকে আটক করে তাদের কাছ থেকে মালামাল কেড়ে নেওয়া হয়। ১০-১২ জন বাদ দিয়ে বাকিদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগ, মুক্তিযুদ্ধের সময় সাঈদী তার এলাকায় অপর চারজন সহযোগী নিয়ে ‘পাঁচ তহবিল’ নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন, যাদের প্রধান কাজ ছিল মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী বাঙালি হিন্দুদের বাড়িঘর জোরপূর্বক দখল করা এবং তাদের সম্পত্তি লুট করা। লুট করা এ সমস্ত সম্পদকে সাঈদী ‘গনিমতের মাল’ আখ্যায়িত করে নিজে ভোগ করতেন এবং পারেরহাট বন্দরে এসব বিক্রি করে ব্যবসা পরিচালনা করতেন।
তিনি ধর্মের দোহাই দিয়ে পারেরহাট বন্দরের হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি লুট করেছেন ও নিজে মাথায় বহন করেছেন এবং মদন নামে এক হিন্দু ব্যবসায়ীর বাজারের দোকানঘর ভেঙে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে গেছেন।
বাজারের বিভিন্ন মনোহরি ও মুদি দোকান লুট করে লঞ্চঘাটে দোকানও দিয়েছিলেন সাঈদী। সাঈদী এবং তার সহযোগীরা পিরোজপুরের নিখিল পালের বাড়ি তুলে এনে পারেরহাট জামে মসজিদের ‘গণিমতের মাল’ হিসেবে ব্যবহার করেন। মদন সাহার বাড়ি উঠিয়ে নিয়ে সাঈদী তার শ্বশুরবাড়িতে স্থাপন করেন। পারেরহাটের আনোয়ার হোসেন, আবু মিয়া, নূরুল ইসলাম খান, বেনীমাধব সাহা, বিপদ সাহা প্রমুখের বসতবাড়ি, গদিঘর ও সম্পত্তিও এই সাঈদী লুট করে নেন।
দেইল্লা রাজাকার থেকে আল্লামা সাঈদী!
রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগ, সাঈদীর আসল নাম দেলোয়ার হোসেন শিকদার। একাত্তরের আগে তিনি পিরোজপুরে এ নামেই পরিচিত ছিলেন। লোকে তাকে প্রথমে ‘দেইল্লা’ এবং মুক্তিযুদ্ধকালে যুদ্ধাপরাধের জন্য ‘দেইল্লা রাজাকার’ নামেও চিনতেন। স্বাধীনতার পর একাত্তরের ১৯ ডিসেম্বর তিনি নিজের অপরাধকে আড়াল করার জন্য বোরকা পরে গরুর গাড়িতে চড়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। পরে অস্ত্রসহ যশোরের মো. রওশন আলীর বাড়িতে আত্মগোপন করেন। অনেকদিন পর তার অপরাধের কাহিনী জানাজানি হলে তিনি পরিবার নিয়ে অন্যত্র চলে যান।
এরপর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর ���াজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর তিনি আত্মগোপন অবস্থা থেকে বের হয়ে আসেন এবং ভুয়া মাওলানা পরিচয়ে ওয়াজ মাহফিল শুরু করেন। নিজের নাম পাল্টে করেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। এভাবেই তিনি আল্লামা মাওলানার পরিচয়ে নিজের অপরাধ ঢাকার চেষ্টা করেন।
১০ বছরে দাখিল পাস!
নিজেকে আল্লামা মাওলানা ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী প্রমাণে এই যুদ্ধাপরাধী দাখিল পাসের সনদপত্র জালিয়াতি করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, দাখিলের সনদপত্রে তার নাম ছিল ম��স্তফা দেলাওয়ার হোসাইন। আলিমের সনদপত্রে সেটা ছিল আবু নাঈম মো. দেলাওয়ার হোসাইন। আগের দাখিল সনদপত্র অনুযায়ী সাঈদীর জন্ম তারিখ দেখানো হয়েছিল ১৯৪৭ সালের ৩ মার্চ। আর সেখানে তার দাখিল পাসের বছর দেখানো হয়েছিল ১৯৫৭ সালে। সে হিসেবে তিনি দাখিল পাস করেন মাত্র ১০ বছর বয়সে!
জালিয়াতির মাধ্যমে তার নাম পরিবর্তন করে করা হয়েছে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। অন্যদিকে সনদপত্রে ঘষামাজা করে দাখিলে তার বয়স করা হয় ১৬ বছর। আলিমে ১৯ বছর করা হয়।
জানা গেছে, সাঈদীর দাখিল ও আলিম পরীক্ষা পাসের সনদপত্র ও জন্ম তারিখ সংশোধন করা হয়েছে কথিত পরীক্ষার যথাক্রমে ৪৮ ও ৫১ বছর পর। উল্লেখ্য, পাবলিক পরীক্ষার আইন অনুযায়ী পাস করার দুই বছরের মধ্যে একজন উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর বয়স সংশোধন করা যায়। কিন্তু দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী নাম ও বয়স পাল্টেছিলেন পাস করার ৫১ বছর পর।
অভিযোগ রয়েছে, ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সময় মনোনয়নপত্রে এসব অসঙ্গতি ধরা পড়তে পারে তা বুঝতে পেরে ওই বছরের ১০ নভেম্বর মাত্র ৪ ঘণ্টার মধ্যে মাদ্রাসা বোর্ড থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে নাম ও বয়স পরিবর্তন করে সংশোধিত সনদপত্র বের করে আনা হয়। এ দুর্নীতি ও সনদ জালিয়াতির সঙ্গে মাদ্রাসা বোর্ডের কর্মকর্তারাও জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
তাই তিনি আদৌ দাখিল পাস করেছেন কি না সেটা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, স্বঘোষিত এই “আল্লামা”পরীক্ষা না দিয়েই সরকারি নীতিমালা ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা তৎকালীন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে ১০ বছর বয়সে দাখিল পাসের সনদপত্র বের করে এনেছেন।
২০১২ সালের ১২ আগস্ট সাঈদীর নাম ও বয়স পাল্টানোর অভিযোগের তদন্ত করতে একটি উপ-কমিটি গঠন করে জাতীয় সংসদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। কমিটির সদস্য আব্দুল ওহাবকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- মো. শাহ আলম ও বীরেন শিকদার। তদন্ত কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেন ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ফাহিমা খাতুন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গোলাম ফারুক।
এ উপ-কমিটি দীর্ঘ তদন্ত করে সাঈদীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগের সত্যতা পেয়ে স্থায়ী কমিটির কাছে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করে গত ২১ জানুয়ারি। তবে উপ-কমিটি জালিয়াতি পেলেও তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে সাঈদীর সনদ বাতিল করার সুপারিশ এবং নাম ও বয়স পাল্টানোর ঘটনায় জড়িত মাদ্রাসা বোর্ডের কর্মকর্তাদের শাস্তির সুপারিশ না থাকায় প্রতিবেদনটি ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, সাঈদীর দশ বছর বয়সে দাখিল পাস ও পাস করার ৫১ বছর পর নাম ও বয়স পাল্টানোর খবরটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে শিক্ষা সচিব মাদ্রাসা বোর্ডের কাছে প্রকাশিত খবরটির বিষয়ে সব কাগজপত্র তলব করেন।
বর্তমানে কুখ্যাত এই দেশদ্রোহী আদালতের রায়ে দোষী প্রমাণিত হয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছে।
#3million1971
#Bangladesh
#SaveBangladesh
#HangSayedee
কুখ্যাত রাজাকার সাঈদীর ফাঁসি চাই।
#HangSayeedi
0 notes
nehal-ahmed-sayem · 5 years
Photo
Tumblr media
২৬.০২.২০১৯ এই দিনটিই ছিল কলেজ জীবনের শেষ দিন!!! প্রতিদিন যেই প্রাঙ্গণে যাওয়া বাধ্যতামূলক ছিল!! এই দিনের মাধ্যমে মুছে গিয়েছিল সেই বাধ্যবাধকতা!! কিন্তু আজো মুছে যায় নি সেই রঙিন দিন গুলোর রঙ..... প্রিয় কয়েকজন স্যার-দের চিরচেনা কিছু উক্তি:- "ফাও কথা কইয়ো না,আজাইরা চিল্লাইয়ো না। "ফাও কথা কইয়ো নারে ভাই।" "পাছা পাতো মিয়া, পাছায় না মারলে ঠিক হই��া না!" "পাছা লাল হইতে হইবে!" "Once there lived two women, but তারা দুজন তোমাদের মতো এত কথা কইতো নারে ভাই,তাই থামতে হবে,চরম ভাবে থামতে হবে" "কেউ কথা বললে তুমি চট করে দাঁড়াইয়া যাইবা,তাইলে তুমি ১০ টাকা পুরস্কার পাইবা,আর আমি তার কাছ থেকে ২০ টাকা নিবো, ১০০ টাকা জমলে আমরা সবাই বাদাম খাবো!" "এই বিশ্বাস নিয়ে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে!" "তোমরা ভাবি হাজবেন্ড, ভাবতেই কেমন ভালো লাগে,তাইনা!? তাইলে এইবার পড়ো" "তুমি এটা মিস করছো,পথে পথে পড়ে নিয়ো" "পড়ন্ত বিকেলে একবার পড়ো,এ স্মৃতি হয়ে থাকবে" "send someone packing= চরম ভাবে বরখাস্ত, Rummaging = চরম ভাবে searching" "the rates fought the dogs... তাইলে নিশ্চয় ইঁদুর গুলো ছাগলের সাইজের ছিলো!" "তুমি তো মিয়া মদন।" দেদারছে পড়বা, এমনভাবে পড়তে হবে, যেন মহামারি আকার ধারণ করে। "ভুলে যেতে হবে আমরা গল্প বলছিলাম,আবার পড়ায় মন দিতে হবে" এই মিয়া টের পাইছো.??"     ------------#জাকির_ভাই (স্যার)♥♥♥ "ছেলেরা! " "এ বেটা সায়েম ! বুজ্জোনি কিছু..?" "রাস্তা কাইত হইলে, গাড়িও কাইত হইবো" "এখন থেকে কেউ Absent থাকতে পারবা না!Absent থাকলে ফোনে ছুটি মঞ্জুর হবেনা!" "কাইল তুই গার্ডিয়ান নিয়া আসবি,তারপর কতা কবি" "ফরম ফিল আপের টাকা রেডি,ডায়রেক্ট ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে" "আকাশে চাঁদ উঠলে তুমিও দেখবা,আমিও দেখমু" "বিষয়-টা আসলে ঐরকম না" "পড়ার কোনো বিকল্প নাই! ভালো জায়গায় চান্স পেতে হলে পড়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে!" "এই অধ্যায়ের আজকেই র‍্যাগ ডে" "কোনো ছুটিছাটা নাই!" "সবাই পড়া বুজ্জে,নাকি আমি একলাই বুজ্জি!? অহ, বুঝলে তো ভালোই" "আমার এত্তো বিরক্ত লাগে!!আমি যেটা অপছন্দ করি,ছাত্র খালি ঐটাই করে!" "কিয়েক্টাবস্থা!!!" "কি ছাত্র আমার!"      ----------#এমদাদ_স্যার (আইনস্টাইন)♥♥♥ "এভাবে তো হচ্ছে না, পানিশমেন্ট দেয়া লাগবে দেখছি!" "পারবা.?? কঠিন লাগে.??" "বইয়ের সাথে মিশে যাও!" "নিজের চেষ্টায় ১০ পাও, তাতেই আমি ভাহবাহ দিয়ে। অপরের সাহায্যে ৮০+ পেলেও তুমি আমাকে খুজে পাবে না।" "কি হলো কথা(responses) বলো না কেন? তোমরা কি বুজতে পারছো না!" "এইভাবে হলে তো চলবে না!আরো পড়তে হবে।"   ----------#কামাল_স্যার(বৈরাগী স্যার)♥♥♥ (at Dr. Mahbubur Rahman Mollah College (DMRC), Dhaka) https://www.instagram.com/p/B9EQI49AcJc/?igshid=i3nfr5vnk3b1
0 notes
lalsobujerkotha · 4 years
Text
কেশবপুরে শাপলা ফুল বিক্রি সংসার চালান ভ্যান চালক মদন
কেশবপুরে শাপলা ফুল বিক্রি সংসার চালান ভ্যান চালক মদন
আজিজুর রহমান: কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন বিল ঘুরে ঘুরে শাপলা ফুল তুলে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের সাগর দত্তকাটি গ্রামের মৃত নারায়ন মন্ডলের পূত্র মদন মহন মন্ডল।সারাদিন রোদ কিংবা মুষলধারে বৃষ্টি যাই হোক না কেন বিলে যেতেই হবে তাকে। শাপলা তুলতেই হবে।
তা না হলে সংসার চলবে কি করে? বিলের শাপলাই তো তার অন্ন জোগাতে সিংগভাগ ভূমিকা রাখছে। শাপলা নেবেন…. শাপলা….লাল সাদা তরতাজা শাপলা।…
View On WordPress
0 notes
Text
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃনমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করেছেন -আলী আজম মুকুল
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃনমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করেছেন -আলী আজম মুকুল
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃনমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করেছেন -আলী আজম মুকুল।
উপজেলা প্রতিনিধিঃ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নিবার্চনে জনগন বিএনপিকে লাল কার্ড দিয়ে বিদায় করেছেন বলে মন্তব্য করেছে ভোলা-২ (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল।
আজ ১৭ই নভেম্বর রবিবার সকালে মদনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজনে মদন পুর বাজারে দৌলতখান উপজেলার ১ নং মদন পুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের…
View On WordPress
0 notes
sentoornetwork · 5 years
Text
৪৮ বছর আগের নাটক 'রাজরক্ত' এখনও প্রাসঙ্গিক
New Post has been published on https://sentoornetwork.com/drama-rajrokto-acted-by-anya-theater/
৪৮ বছর আগের নাটক 'রাজরক্ত' এখনও প্রাসঙ্গিক
কমলেন্দু সরকার
সত্তর দশকের শুরুতেই এই নাটক সাড়া জাগিয়েছিল। ৪৮ বছর পেরিয়েও ‘রাজরক্ত’ কতটা প্রাসঙ্গিক তা নাটক শেষ হলে বোঝা যায়। হয়তো ‘রাজরক্ত’ সেভাবে এখনও সাড়া জাগাতে পারেনি পুনর্নিমাণের পর। সেটা কি সত্তরের পরিস্থিতি নয় বলে? হবে হয়তো। কিন্তু দর্শকমনে নাড়া দিচ্ছে ‘রাজরক্ত’ তা নাটক-শেষে প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত দর্শকদের দরাজ করতালিতে বুঝতে পারা যায়। শুধু তাই নয়, এক যুবতী দর্শক জানালেন, তিনি তিনবার দেখছেন ‘রাজরক্ত’। তাঁকে দেখে মনে হল, তিনি তো সত্তর দশক দেখেননি, দেখার কথাও নয়, তবুও কেন বার বার দেখছেন এই নাটক! তাহলে কোথাও কী তাঁকে আঘাত করছে, ভাবাচ্ছে! হয়তো তাই। আসলে প্রথাগত রাজনীতির বাইরে ‘রাজরক্ত’ এক ব্যতিক্রমী নাটক হয়ে ওঠে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার প্রায় অর্ধশতক আগে যে-বিভাস চক্রবর্তী পরিচালক-অভিনেতা হিসেবে ছিলেন সেই বিভাসের বয়স বেড়েছে এতটা, কিন্তু মনে হল না। তাঁর পরিচালনা দেখে মনে হল সত্তরের বিভাস চক্রবর্তীকেই দেখছি। মঞ্চে অনুপস্থিত থেকেও ভীষণভাবে তিনি উপস্থিত। প্রতিটি দৃশ্যের কম্পোজিশন বুঝিয়ে দিচ্ছে নাটকটি কিংবা পরিচালক দর্শককে কী বলতে চায়, কী বলতে চান। মঞ্চে কুশীলবদের অভিনয় মুগ্ধ করে। এমন দলগত অভিনয়ে শিক্ষিত করে তোলা— বড় পরিচালকের কাজ তা আলাদা করে বলতে হয় না। মঞ্চ পরিকল্পনা নাটকের আবহাওয়া তৈরি করে। যার পরিকল্পক সৌমিক-পিয়ালি। মঞ্চ নির্মাণ করেছেন মদন মিস্ত্রি। আলোর ক্ষেত্রেও একই কথা বলতে হচ্ছে। নাটকটির মুড তৈরি করার পাশাপাশি কী বলতে চাইছেন দর্শককে তা বোঝাতে পেরেছেন সুদীপ সান্যাল। যিনি রয়েছেন আলোক পরিকল্পনায়। আবহ পরিকল্পনায় সৌরেশ দত্ত বেশ ভাল। আসলে একটা নাটকে বা ছবিতে পরিচালক যা চাইবেন সেটাই করতে হবে সকলকে। পরিচালক বিভাস চক্রবর্তীর নির্দেশ অনুযায়ী তাই হয়েছে। নাটকের সমস্ত বিভাগেই পরিচালকের দৃঢ়তা প্রকাশ পেয়েছে। ৪৮ বছর পরেও ‘রাজরক্ত’ কতটা প্রাসঙ্গিক তা কয়েকটি সংলাপ বলে দিচ্ছে। যখন বন্দি ছেলে আর মেয়েটি বলে, গরাদের বাইরে বেরিয়ে মনে হচ্ছে আরও একটা বড় কয়েদখানায় আটকে যাচ্ছি। ভেবে দেখো, কত ইচ্ছে আমাদের। কিন্তু যেই সেদিকে পা বাড়াবো, কারা যেন পথ আটকে দাঁড়িয়ে আছে। যখন পথ থাকে না তখনই তো জেলখানা। আমরা আসলে ছাড়া পাইনি।— এইসব সংলাপ আজও কত অর্থবহ। কত প্রশ্ন জাগিয়ে তোলে মনে। মানুষের অধিকার এবং স্বাধীন চিন্তা-ভাবনা খর্ব করে যারা পথ আটকে। শাসনের অজুহাতে মানুষের অধিকার ও ভাবনাকে বন্দি করতে চায়— এই সংলাপ তো ‘তাদের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কথা বলে। তৎকালীন রাজনৈতিক মহলকে ভাবিয়েছিল, আজও কী ভাবাচ্ছে না। এ-প্রশ্ন তুলেছে ‘রাজরক্ত’। এ-নাটক চিরকালই প্রাসঙ্গিক যতদিন রাজাসাহেবের মতো চরিত্র পালন করবে রাষ্ট্র। শাসনের আড়ালে শোষণ করবে। রাজাসাহেব যেমন কালে কালে ফিরে আসে মানুষগুলো বদলে যায় শুধু। শৃঙ্খল ভেঙে বেরিয়ে আসতে চায় মানুষ। মানুষ সবকিছু ভেঙে আবার মনের মতো করে সাজানোর স্বপ্ন দেখে। যেমন রাজা সাহেবের বুলেট, বন্দুক, চাবুক, তেমনই মানুষের রয়েছে লাল হয়ে ওঠা চোখ। শোষক রাজাসাহেব যখন বলে তার আঙুলগুলো যেমন নরম তেমনই কঠিন। মিষ্টি করে ধরতে জানে আবার দম বন্ধ করে দিতেও পারে। রাজাসাহেব অর্থাৎ শাসক যখন নরম আঙুলের ছোঁয়ায় যাদের বশে আনতে পারে না তাদের জন্য নরম আঙুল কঠিন হয়ে ওঠে। যাদের বশে আনতে পারে না তাদের রক্তে কী আছে দেখতে চায় রাজাসাহেব। রক্তের কোথায় লুকিয়ে রয়েছে বশে না-আনতে পারা ব্যাপারটা সেটাও দেখতে চায় রাজাসাহেব। আসলে প্রতিবাদের জোরটা কোথা থেকে পাচ্ছে মানুষ সেটা খতিয়ে দেখতে চায় রাজাসাহেবরা। আবহমানকাল থেকে শাসক রাজাসাহেবের মতো নানারকম ছদ্মবেশে তাদের প্রভাব বিস্তার করে, করতে চেষ্টা করে। মানুষকে সর্বদা তার অধীনে রেখে চায় অনন্ত কাল ধরে শোষণ করতে। সত্তরের দশকে দর্শকেরা যেমন খুঁজে পেয়েছিলেন বর্তমান জীবনের ছবি, সমাজের ছবি, আজকের দর্শকেরাও তাই-ই পায়। আর বেরিয়ে আসে— একা একা যুদ্ধ হয় না। মিলিত প্রতিরোধই প্রকৃত আঘাত হানতে পারে। ‘রাজরক্ত’-এ প্রথাগত কিংবা গতানুগতিক কাহিনি তৈরি না-হলেও বুঝতে অসুবিধা হয় না নাট্যকার মোহিত চট্টোপাধ্যায় এবং পরিচালক বিভাস চক্রবর্তী কি বলতে চেয়েছেন দর্শকদের। অন্য থিয়েটার-কে ধন্যবাদ জানাতে হয় ‘রাজরক্ত’ নাটকটি এই প্রজন্মের কাছে দেখবার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
0 notes