Tumgik
#মুহাম্মদ সা: সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী
shameemsayedee · 8 months
Text
ইসলাম হলো সত্যকে গ্রহণ করা এবং অসত্যকে পরিহার, পরিত্যাগ বা বর্জন করা । ঈমান বা বিশ্বাসের মূল কথা হলো কালিমা । কালিমা শাহাদাত হলো ঈমান ও ইসলামের পঞ্চ ভিত্তির অন্যতম ভিত্তি । শাহাদাত অর্থ সাক্ষ্য দেওয়া । কালিমা শাহাদাত অর্থ সাক্ষ্য বাণী ।
কালিমাতুশ শাহাদাত’।
اَشْهَدُ اَنْ لَّا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَاشَرِيْكَ لَهُ وَاَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُه
কালিমা শাহাদাতে এই ঘোষণাই দেওয়া হয়, ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু; ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।’ অর্থাৎ ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে এক আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো মাবুদ নাই, তিনি এক ও একক, তাঁর কোনো শরিক বা অংশীদার নাই; আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি নিশ্চয়ই হজরত মুহাম্মদ ﷺ আল্লাহ তায়ালার অতি প্রিয় খাস বান্দা ও তাঁর প্রেরিত রাসুল ।’
মহান আল্লাহ তায়ালা হলেন পরম সত্য বা মহাসত্য এবং সর্বময় ক্ষমতার মালিক । এই সত্যের সাক্ষ্যই হলো ঈমান বা ঈমানের দাবি । সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব প্রিয়নবী আখেরিনবী হযরত মুহাম্মদ ﷺ হলেন মহাসত্যবাদী ও পরম বিশ্বাসী বা বিশ্বস্ত ব্যক্তি । তাঁর সত্য নবুয়ত ও রিসালাতের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন ও নিঃশর্ত সাক্ষ্য প্রদান ঈমানেরই অংশ । তাঁর প্রতি আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা হলো ঈমান । তাঁর প্রতি পরিপুর্ন আনুগত্য ও অনুসরণ করা হলো ইসলামে দাখিল হওয়া ।
সাক্ষ্য দেওয়ার পূর্বশর্ত হলো প্রত্যক্ষ করা বা স্বচক্ষে অবলোকন করা বা দেখা । মহান আল্লাহ তায়ালা এমনই পরম সত্য, যা দৃশ্যমান হওয়া দিবালোকের মতো সুস্পষ্ট; তাই এটি প্রত্যক্ষকারীদের অপেক্ষা রাখে না । প্রিয়নবী বিশ্বনবী রহমাতুল্লিল আলামীন মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সততা ও সত্যবাদিতা জগৎ–খ্যাত ও প্রশ্নাতীত । যারা তাঁর জানের দুশমন ও প্রাণের শত্রু ছিলো, তারাও তাঁর সত্যতা, সততা ও বিশ্বস্ততার প্রতি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে । এ বিষয় দুটি উদ্ধৃত হয়েছে এভাবে, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মালিকুল হাক্কুল মুবিন, মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহি ছদিকুল ওয়াদিল আমিন ।’ অর্থাৎ ‘এক আল্লাহ ছাড়া দ্বিতীয় কোনো মাবুদ নেই, তিনি শাসক অধিপতি, তিনিই সুস্পষ্ট ও পরম সত্য; সাইয়েদুল মুরসালীন আহমাদে মুহাম্মদ ﷺ মহান আল্লাহর প্রেরিত রাসুল, চরম সত্যবাদী, ওয়াদা ও অঙ্গীকার রক্ষাকারী এবং পরম বিশ্বস্ত ও অতি বিশ্বাসী । (আল মুফরাদাত, বুখারি)। সব নবী ও রাসুল সত্যবাদী ছিলেন । আল্লাহ তায়ালা কুরআনুল কারিমে বলেনঃ ‘আপনি এই গ্রন্থে হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর বিষয় আলোচনা করুন, নিশ্চয় তিনি ছিলেন সত্যবাদী নবী ।’ (সুরা-১৯ [৪৪] মারিয়াম, রুকু: ৩, আয়াত: ৪১, পারা: ১৬ )।
ইসলামের শিক্ষাসমূহের প্রধান তিনটি শিক্ষা হলো: সত্যতা, পবিত্রতা ও প্রেম । আল্লাহ তায়ালাকে পেতে হলে তাঁর প্রতি প্রেম থাকতে হবে; তাঁর প্রিয়তম মানুষ হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি বিশ্বাস ও ভালোবাসা থাকতে হবে, থাকতে হবে পূর্ণ আনুগত্য; এটাই হলো প্রেম । আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা পবিত্র, তিনি ‘সুব্বুহুন কুদ্দুস’ তথা পরম পবিত্র; তাঁর প্রিয় হাবীব হযরত মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ ﷺ সর্বদা পবিত্র জীবন যাপন করেছেন । তাই আল্লাহ ও তাঁর রাসুল মুহাম্মদ সর্বশেষ নবী ﷺ-এর প্রেমিক হতে হলে তাকে পবিত্র জীবন যাপন করতে হবে; এটাই হলো পবিত্রতা । ঈমান ও ইসলামের জন্য যেহেতু জীবনের পবিত্রতা শর্ত, তাই বিশ্বাসী মোমিন বান্দাকে সদা সত্যাশ্রয়ী হতে হয়; এটাই হলো সত্যতা । আশেক ও মাশুকের মাঝে আড়াল থাকে না, সুতরাং এখানে মিথ্যার অনুপ্রবেশের সুযোগই নেই । মিথ্যার ধূম্রজাল হলো বেড়া বা আড়াল; মিথ্যা যেখানে আসে সেখানে প্রেম থাকে না ।
সত্যতা মানুষকে সব কলুষ ও কালিমা থেকে পবিত্র করে, পবিত্রতা মানুষের মাঝে প্রেমভাব জাগ্রত করে; শুদ্ধাচারের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে, শুদ্ধাচার বা পবিত্রতা মানুষকে সত্যতা বা পরম সত্যে উপনীত করে ।
সত্য সাক্ষ্যদানের মাধ্যমেই মোমিনের ঈমানের সূচনা হয়; তাই মোমিন ব্যক্তির সারা জীবন এই সত্যকে আঁকড়ে ধরে রাখতে হয়; এ যে তার ঈমান, তার বিশ্বাস । বিশ্বাসের সঙ্গে প্রতারণা বা বিশ্বাসঘাতকতা আত্মপ্রবঞ্চনার শামিল ।
সত্য ব্যতীত মানুষ মোমিন হয় না; মুসলমান কখনো অসত্য বলতে পারে না বা মিথ্যা বলার সুযোগ থাকে না । ইসলামে সব সময় সত্য বলা ও সত্য সাক্ষ্য দেওয়া ফরজ ইবাদত ও জরুরি কর্তব্য বলে পরিগণিত । এই সত্যতা মনোজগতে, চিন্তাচেতনায়, কল্পনায় ও পরিকল্পনায় । এই সত্যতা মুখের ভাষায় । এই সত্যতা যাবতীয় কর্মকাণ্ডে, ওয়াদায়, অঙ্গপ্রত্যঙ্গে । সত্যতা বা সততা প্রতিটি কদমে বা পদক্ষেপে; সত্যতা বা সততা প্রতিটি ছোঁয়া বা স্পর্শে; সত্যতা বা সততা প্রতিটি দৃষ্টি–পলক বা ভ্রু-কুঞ্চনে; সত্যতা বা সততা প্রতিটি ধ্বনিতে, প্রতিটি শব্দে ও প্রতিটি বাক্যে; সত্যতা বা সততা প্রতিটি শ্রবণে ও অনুভবে ।
অসত্য ভাষণ, মিথ্যা বিবৃতি, মিথ্যা অভিযোগ, মিথ্যা সাক্ষ্য সমাজকে কলুষিত করে । এর দ্বারা ন্যায়বিচার বা সুশাসনের বিলুপ্তি ঘটে । ইনসাফ ভিত্তিক, ন্যায় পরায়ন সমাজ গড়তে সততা প্রয়োজন । সৎশাসনের অভাবে সমাজে অন্যায়, অত্যাচার, জুলুম, অনাচার ব্যাভিচার বেড়ে গিয়ে অরাজকতার সৃষ্টি হয় ।
সত্যের বিপরীত হলো মিথ্যা বা অসত্য । মিথ্যা বলা হারাম ও চরম পাপকার্য । হাদিস শরিফে রয়েছে, ‘মিথ্যা পাপের জননী ।’ (বুখারি শরিফ)। ‘সত্য মানুষকে মুক্তি দেয়, মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে দেয় ।’ কারণ, মানুষ যখন হারাম বা পাপকার্য সংঘটন করে, তখন তার ঈমান বা বিশ্বাস তার সঙ্গে সক্রিয় থাকে না । তখন তার ঈমান বা বিশ্বাস তার থেকে আলাদা হয়ে শূন্যে ঝুলতে থাকে; যতক্ষণ পর্যন্ত সে ওই মিথ্যায় বা পাপে লিপ্ত থাকে । (বুখারি শরিফ ও মুসলিম শরিফ)। পুনরায় তওবা করে অনুতপ্ত হয়ে মিথ্যা ও পাপ বর্জনের দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করলেই ঈমান আবার তার কাছে ফিরে আসে ।
মিথ্যার পরিণতি সম্পর্কে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা বলেনঃ ‘তোমরা জগতে ভ্রমণ করো ও দেখো, মিথ্যাবাদীদের কী পরিণতি হয়েছিল!’ (সুরা-৩ [৮৯] আলে ইমরান, রুকু: ১৪, আয়াত: ১৩৭, পারা: ৪)।
রোজ কিয়ামতে হাশরের ময়দানে বিচারের সময় মানুষ নিজের প্রতি সাক্ষ্য দেবে । যারা ইহজগতে মিথ্যা বলে অভ্যস্ত তারা পরকালে মিথ্যা; তারা নিষ্পাপ পবিত্রাত্মা ফেরেশতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলবে । তখন আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা তাদের জবান বন্ধ করে দিয়ে তাদের পাপ সম্পাদনকারী অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সাক্ষ্য নেবেন । ‘আজ আমি তাদের মুখে সিলমোহর করে দেব; তাদের হস্তসমূহ আমার সঙ্গে কথা বলবে এবং তাদের পাগুলো সাক্ষ্য দেবে, যা তারা (মিথ্যা-পাপ) অর্জন করেছিল । (সুরা-৩৬ [৪১] ইয়াছিন, রুকু: ৪, আয়াত: ৬৫, পারা: ২৩)। এমতাবস্থায় গত্যন্তর না দেখে কিছু লোক সত্য স্বীকার করবে (যদিও সেদিন তা কোনো কাজে আসবে না)।
একমাত্র সত্য সাক্ষ্য ও ন্যায় বিধানই পারে সমাজে দেশে বা রাষ্ট্রে শাস্তি বজায় রাখতে ও শৃঙ্খলা আনতে । আল্লাহ ন্যায়বান, তিনি ন্যায়বিচার করবেন ।
প্রতিটি হারাম কর্ম ও হারাম বস্তু কবিরা গুনাহ বা বড় পাপ । মিথ্যা হলো পাপের আকর বা মহাপাপ । স্বেচ্ছায় অভ্যাসে প্রকাশ্যে কবিরা গুনাহ করলে এবং তা থেকে খাঁটি তাওবা না করলে তাকে ফাসিক বলা হয় । ফাসিক অর্থ গুনাহগার বা পাপাচারী; ইসলামি আদালতে ফাসিকের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয় । কারণ সে কালিমা শাহাদাতের সাক্ষ্য ভঙ্গ করেছে । সুতরাং মোমিনের উচিত মৃত্যু পর্যন্ত সারা জীবন কালিমা শাহাদাতের সাক্ষ্যের ওপর দৃঢ় অবিচল থেকে স্বীয় ঈমান ও ইসলাম রক্ষা করা ।
শামীম সাঈদী
0 notes
banglarchokhbdnews · 3 years
Text
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে মুসলিম উম্মাহকে রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে মুসলিম উম্মাহকে রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা
বাংলার চোখ নিউজ : পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে দেশবাসীসহ মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বুধবার (২০ অক্টোবর) ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের স্মৃতি বিজড়িত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) সারাবিশ্বের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
khutbahs · 4 years
Link
মহানবী (সাঃ) ’র অনন্য বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলী
মুহাম্মদ (সাঃ) ছিলেন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মহামানব ও শ্রেষ্ঠতম রাসূল। যার অসাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহ শুধু পূর্ববর্তী ধর্মীয় গ্রন্থসমূহে বর্ণিত হয়েছে তা নয়। স্বয়ং মহান রব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্নভাবে তুলে ধরেছেন। তাইতো তাকে বলা হয় ‘সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ পয়গম্বর’।
যার চরিত্র গুণাগুনের ও বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে আরব জাতিতে শান্তির পথ দেখিয়ে ছিলেন। কোন মানুষের সাথে যার কোন তুলনা চলেনা, যিনি ছিলেন একাধারে একজন এতিম, একজন মেষ পালক, একজন শ্রমিক, একজন সফল ব্যবসায়ী, একজন রনকৌশলী যোদ্ধা, একজন সেনাপতি, একজন ন্যায় বিচারপতি, একজন শিক্ষক, একজন রাজনৈতিক নেতা, একজন গভর্ণর, একজন বৈজ্ঞানিক, একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক।
আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যারা রাজনীতিকে নিন্দনীয় কাজ বলে মনে করেন। আবার অনেকে রাজনীতিকে পছন্দ করলেও ইসলাম আর রাজনীতিকে কোনভাবে একসঙ্গে মিলাতে রাজি নন। অথচ আল্লাহর প্রিয় হাবিব হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার পুরো জিন্দেগী ইসলামকে সমাজ-রাষ্ট্রে, তথা মানুষের জীবনে প্রতিষ্ঠার জন্য আত্মনিয়োগ করে গেছেন।
পৃথিবীতে তাঁকে নিছক কোন ধর���ম প্রচারক হিসেবে প্রেরণ করা হয়নি, বরং হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর পয়গাম ছিল দুনিয়াতে এক বিরাট সংস্কারমূলক আন্দোলন। এটি মূলত একাধারে আধ্যাত্মিক, নৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে একটি ব্যাপক ও সর্বাত্মক আন্দোলন। অনেকেই হয়ত রাসূল (সা:) এর সংগ্রামী জীবন কে লক্ষ্য না করে অন্য ধর্ম প্রচারকদের সঙ্গে মিলিয়ে এমনভাবে তার চরিত্র অঙ্কিত করেন, যেন আল্লাহর নবী নিছক একজন সংসার বৈরাগী ধর্মীয় নেতা ছাড়া ভিন্ন কিছু নন (নাউজুবিল্লাহ)। অথচ রাসূলে কারীম (সা:) ছিলেন মুসলিম জাহানের জন্য ‘উসওয়াতুন হাসানা’।
একাধারে তিনি ছিলেন পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ, একজন ধর্ম প্রচারক, একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক, একজন সংগঠক এবং সমাজ সংস্কারক। রাসূল (সা:) এর জীবনের কোনো একটি দিক বাদ রেখে তাকে জানার কোনো সুযোগ আমাদের নেই।
রাসূল (সা:) এর আগমনের উদ্দেশ্য : ‘তিনিই সেই সত্ত্বা যিনি তাঁর রসূলকে হেদায়েত ও দ্বীনে হক সহকারে পাঠিয়েছেন, যাতে আর সব দ্বীনের ওপর এ দ্বীনের হককে বিজয়ী করে তোলেন, এ বিষয়ে আল্লাহ তাআলা সাক্ষী হিসেবে যথেষ্ট।’ (আল ফাতাহ-২৮)
এ আয়াতের মাধ্যমে সহজেই বোঝা যায় যে রাসূল (সা:)কে শুধুমাত্র একজন ধর্ম প্রচারক কিংবা ধর্মীয় নেতা করে দুনিয়ায় পাঠানো হয়নি, বরং ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান রূপে একটি বিজয়ী আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই ছিল রাসূলের প্রধান দায়িত্ব।
মানব সমাজ কোন না কোন মতবাদ বা ব্যবস্থার উপর প্রতিষ্ঠিত। সামাজিক রীতি-নীতি, আইন, শাসন, বিচার সবই সেই প্রচলিত ব্যবস্থা দ্বারা পরিচালিত হয়। আর আল্লাহর রাসূলের (সা:) আগমনই হয়েছিল সেই প্রচলিত মানব রচিত ব্যবস্থাকে হটিয়ে পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান রূপে ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করা।
রাসূলের এই রিসালাতের দায়িত্বকে সঠিকভাবে পালন করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছে, কখনো এর বিরোধিতা ধৈর্যের সাথে মোকাবেলা করেছেন আবার কখনো আল্লাহর নির্দেশে প্রতিহত করেছেন।
তবে তিনি যতগুলো যুদ্ধে সম্মুখীন হয়েছেন কোনোটিই নিতান্ত আক্রমণাত্মক ছিল না, অধিকাংশ ছিল প্রতিহত মূলক। এসব যুদ্ধে তিনি যেসব নিয়ম-নীতি বিধি বিধান অনুসরণ করেছেন সেগুলোকে বলা হয় সমরনীতি, যার মাধ্যমে শত্রুদের থেকে ইসলাম রক্ষায় যুগান্তকারী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছেন। তার সমরনীতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় এগুলো এতই অনন্য বৈশিষ্ট্যমন্ডিত ছিল যে তা ইতিহাসের কোন সমরনায়কের সমরনীতির সাথে মিল পাওয়া যায় না।
সুতারাং এ কথা বলা যায় যে, যুগে যুগে যেসব মহামানব দুনিয়াতে আবির্ভূত হয়ে অকাতরে নিজের জীবন ও ধন উৎসর্গ করে মানব জাতিকে ইহলৌকিক কল্যাণ ও পরলৌকিক মুক্তির পথ দেখিয়ে পৃথিবীকে ধন্য করেছেন, বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ছিলেন সর্বোত্তম চরিত্রের মানুষ। ক্ষমা, উদারতা, ধৈর্য-সহিষ্ণুতা, সততা, সত্যবাদিতা, দয়া, দানে, কাজে কর্মে, আচার-আচরণে, মানবতা ও মহত্ত্বে তিনি ছিলেন সর্বকালের সকল মানুষের জন্য উত্তম আদর্শ।
0 notes
bartaprotikkhon · 6 years
Text
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ
আজ ১২ রবিউল আউয়াল। এই দিনকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করেন সারা বিশ্বের মুসলমানেরা। এই দিনে বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পৃথিবীতে এসেছিলেন তৌহিদের মহান বাণী নিয়ে। প্রচার করেছেন শান্তির ধর্ম ইসলাম।
১ হাজার ৪৪৮ বছর আগের এই দিনে আরবের মরু প্রান্তরে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। আবার এই দিনেই তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যান।
সারা আরব…
View On WordPress
0 notes
banglanews2day-blog · 6 years
Text
আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)
আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)
বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পৃথিবীতে এসেছিলেন তৌহিদের মহান বাণী নিয়ে। প্রচার করেছেন শান্তির ধর্ম ইসলাম। তাঁর জন্ম ও ওফাত দিবস আজ ১২ রবিউল আউয়াল। এই দিনকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করেন সারা বিশ্বের মুসলমানেরা।
১ হাজার ৪৪৮ বছর আগের এই দিনে আরবের মরু প্রান্তরে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। আবার এই দিনেই তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যান।
View On WordPress
0 notes
gnews71 · 6 years
Photo
Tumblr media
প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এই দোয়াটি অধিকবার পাঠ করতেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে মহান আল্লাহ তা’য়ালা সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল হিসেবে পাঠিয়েছেন এবং তাকে অনুসরণ ও অনুকরণের জন্য মানব জাতির প্রতি আদেশ দিয়েছেন। এক হাদীসে মহানবী (সা.) এর সাতটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যে সম্পর্কে জানা যায়। এবং সেখানে মহানবী (সা.) কোন দোয়াটি অধিকবার আমল করতেন সে বিষয়েও জানা যায়। মহনবী (সা.)এর সেই সাতটি বৈশিষ্ট হলো- এক. নবী (সা.) অসহায় ও নিঃস্বদের প্রতি ভালবাসা পোষণ ও তাদের পাশে দাঁড়াতেন। দুই. লা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বি��্লাহ’ এ জিকিরটি অধিকবার পাঠ করতেন। তিন. আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা; যদিও তারা নবীজী (সা.)-এর সাথে সম্পর্ক ছেদ করতে চেয়েছিলেন। এছাড়াও নবীজী বলেছেন, ১. পার্থিব ক্ষেত্রে আমি যেন আমার নিম্ন শ্রেণির প্রতি দৃষ্টিপাত করি, না বিত্তশালীদের প্রতি। ২. আল্লাহর পথে নিজেকে যেন ভর্ৎসনা না করি। ৩. (অন্যের কাছে অপ্রিয় হলেও) সদা সত্য ও ন্যায় কথা বলা। ৪. অন্যের মুখাপেক্ষী না হতে। সূত্র : আল উসুলুস সিত্তাহ আশার, পৃ : ৭৫
0 notes
banglarchokhbdnews · 3 years
Text
আজ পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা
আজ পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা
বাংলার চোখ নিউজ : আজ ২৮ সফর পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা বা মহানবী (সা.) এর রোগমুক্তি দিবস। প্রতিবছর হিজরি সালের সফর মাসের শেষ বুধবার মুসলিম বিশ্বে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ স্মারক দিবস হিসেবে পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা উদযাপিত হয়। ইসলামের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনে আখেরি চাহার শোম্বা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। নবী করিম (সা.) ইন্তেকালের আগে এই দিনে কিছুটা সুস্থতা বোধ করেছিলেন।…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
ilyforallahswt · 11 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
মুহাম্মদ সা: বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে
বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে নবী মুহাম্মদ সা: (সা.)
মুহাম্মদ সা: সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী
Muhammad SAW: Last and Greatest Prophet
মুহাম্মদ সা: সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী। তাঁর চেয়ে সেরা কোনো নবী নেই এবং তিনিই সর্বশেষ নবী। তাঁর পরে আর কোনো নবী আসবেন না। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন- ‘মুহাম্মদ তোমাদের মধ্যে কোনো পুরুষের পিতা নয়; বরং সে আল্লাহর রাসূল ও সর্বশেষ নবী। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ (সূরা আল আহজাব-৪০)। আয়াতে বর্ণিত খাতাম অর্থ- সমাপ্ত বা শেষ। খাতামুন নাবিয়িন অর্থ- সর্বশেষ নবী। আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘আমাকে ছয়টি জিনিসের মাধ্যমে সমস্ত নবীদের ওপর ফজিলত দান করা হয়েছে- ক. আমাকে সংক্ষিপ্ত অথচ ব্যাপক অর্থ ও সর্বজনীন কথা বলার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে; খ. প্রভাব দ্বারা আমাকে সাহায্য করা হয়েছে; গ. আমার জন্য গণিমত বা যুদ্ধলব্ধ মাল হালাল করা হয়েছে; ঘ. আমার জন্য সারা দুনিয়ার মাটিকে মসজিদ ও অজুর জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে; ঙ. সমস্ত সৃষ্টির জন্য নবী করে পাঠানো হয়েছে; চ. আমাকে সমস্ত মানব জাতীর জন্য পাঠানো হয়েছে এবং আমার দ্বারা নবী আগমনের ধারাবাহিকতা শেষ করা হয়েছে’ (সহিহ মুসলিম-১/৩৭১, তিরমিজি-৫/১৬০, ইবনে মাজাহ-১/১৮৮)।
আল্লাহ তায়ালা এ উম্মতের দ্বীনকে পূর্ণতা দান করার মাধ্যমে তাঁর দ্বীনকে পূরিপূর্ণ করেছেন। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- ‘আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করলাম, তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম’ (সূরা আল মায়েদা-৩)।
অন্য কোনো নবীর প্রয়োজন নেই : যেহেতু আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মদ সা:-এর মাধ্যমে দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিয়েছেন এবং পবিত্র কুরআন ও মহানবী সা:-এর অগণিত হাদিস দ্বারা প্রমাণিত যে,  মুহাম্মদ সা: শেষ নবী। ফলে যে বা যারাই তাঁর পরে নবুয়তের দাবি করবে তারা মিথ্যুক, ভণ্ড, প্রতারক ও কাফির বলে বিবেচিত হবে।
youtube
youtube
youtube
বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে নবী (সা.)
মানব জাতির চরম ও পরম আদর্শ, মহান আল্লাহর প্রেরিত সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্ব শেষ নবী, প্রিয়নবী মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্ব শেষ নবী হিসেবে দুনিয়ায় মিলাদ তথা আগমন করবেন এটা পূর্বের ও পরের সকল ধর্মীয় গ্রন্থ ও জ্ঞান তাপসদের কলমে বর্ণিত আছে। যদিও তাঁর আগমনের পরে সত্য তথ্য জানা সত্ত্বেও অনেকে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লামকে মেনে নেয়নি। পবিত্র আল কুরআনে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম ইব্রাহিম আলাইহিস সালাওয়াতুওয়া-সাল্লাম এর দোয়া। হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালাওয়াতুওয়া-সাল্লাম ও তার সুযোগ্য���ুত্র হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাওয়াতুওয়া-সাল্লাম দু’জন মিলে পবিত্র কা’বা ঘর নির্মাণের কাজ শেষ করার পর হারাম শরিফ ও সে স্থানের বাসিন্দাদের জন্য দোয়া করেন। দোয়ায় তারা বলেন, “হে আমাদের প্রতিপালক! তাদের মধ্য থেকেই তাদের জন্য একজন নবী প্রেরণ করুন। যিনি তাদেরকে আপনার আয়াত সমূহ পাঠ করে শুনাবে। তাদেরকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দিবেন এবং তাদেরকে পবিত্র করবেন। নিশ্চয় আপনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়। (সুরা বাকারাঃ ১২৮, ১২৯) উল্লেখিত আয়াত থেকে বুঝা যায়, এ দোয়াতে ইব্রাহিম আলাইহিস সালাওয়াতুওয়া-সাল্লাম এর সঙ্গে তার প্রিয়পুত্র ইসমাঈল আলাইহিস সালাওয়াতুওয়া-সাল্লামও শরিক ছিলেন। আর যে নবীর জন্য তারা দোয়া করেছিলেন তিনি  উভয়ের বংশোদ্ভূত ছিলেন এবং মক্কায় প্রেরিত হয়েছেন। আবুল আলিয়া ও কাতাদাহ রহমাতুল্লাহ বলেন, ইব্রাহিম আলাইহিস সালাওয়াতুওয়া-সাল্লামকে জানানো হয়েছিল, তোমাদের দোয়া কবুল করা হয়েছে তবে আখেরি জামানায় তিনি আসবেন। (ইবনে কাসীর)
মুহাম্মদ সা: বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে
মুহাম্মদ সা: সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী
Muhammad SAW: Last and Greatest Prophet
0 notes
myreligionislam · 11 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
মুহাম্মদ সা: বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে
বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে নবী মুহাম্মদ সা: (সা.)
মুহাম্মদ সা: সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী
Muhammad SAW: Last and Greatest Prophet
মুহাম্মদ সা: সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী। তাঁর চেয়ে সেরা কোনো নবী নেই এবং তিনিই সর্বশেষ নবী। তাঁর পরে আর কোনো নবী আসবেন না। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন- ‘মুহাম্মদ তোমাদের মধ্যে কোনো পুরুষের পিতা নয়; বরং সে আল্লাহর রাসূল ও সর্বশেষ নবী। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ (সূরা আল আহজাব-৪০)। আয়াতে বর্ণিত খাতাম অর্থ- সমাপ্ত বা শেষ। খাতামুন নাবিয়িন অর্থ- সর্বশেষ নবী। আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘আমাকে ছয়টি জিনিসের মাধ্যমে সমস্ত নবীদের ওপর ফজিলত দান করা হয়েছে- ক. আমাকে সংক্ষিপ্ত অথচ ব্যাপক অর্থ ও সর্বজনীন কথা বলার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে; খ. প্রভাব দ্বারা আমাকে সাহায্য করা হয়েছে; গ. আমার জন্য গণিমত বা যুদ্ধলব্ধ মাল হালাল করা হয়েছে; ঘ. আমার জন্য সারা দুনিয়ার মাটিকে মসজিদ ও অজুর জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে; ঙ. সমস্ত সৃষ্টির জন্য নবী করে পাঠানো হয়েছে; চ. আমাকে সমস্ত মানব জাতীর জন্য পাঠানো হয়েছে এবং আমার দ্বারা নবী আগমনের ধারাবাহিকতা শেষ করা হয়েছে’ (সহিহ মুসলিম-১/৩৭১, তিরমিজি-৫/১৬০, ইবনে মাজাহ-১/১৮৮)।
আল্লাহ তায়ালা এ উম্মতের দ্বীনকে পূর্ণতা দান করার মাধ্যমে তাঁর দ্বীনকে পূরিপূর্ণ করেছেন। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- ‘আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করলাম, তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম’ (সূরা আল মায়েদা-৩)।
অন্য কোনো নবীর প্রয়োজন নেই : যেহেতু আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মদ সা:-এর মাধ্যমে দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিয়েছেন এবং পবিত্র কুরআন ও মহানবী সা:-এর অগণিত হাদিস দ্বারা প্রমাণিত যে,  মুহাম্মদ সা: শেষ নবী। ফলে যে বা যারাই তাঁর পরে নবুয়তের দাবি করবে তারা মিথ্যুক, ভণ্ড, প্রতারক ও কাফির বলে বিবেচিত হবে।
youtube
youtube
youtube
বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে নবী (সা.)
মানব জাতির চরম ও পরম আদর্শ, মহান আল্লাহর প্রেরিত সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্ব শেষ নবী, প্রিয়নবী মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্ব শেষ নবী হিসেবে দুনিয়ায় মিলাদ তথা আগমন করবেন এটা পূর্বের ও পরের সকল ধর্মীয় গ্রন্থ ও জ্ঞান তাপসদের কলমে বর্ণিত আছে। যদিও তাঁর আগমনের পরে সত্য তথ্য জানা সত্ত্বেও অনেকে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লামকে মেনে নেয়নি। পবিত্র আল কুরআনে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম ইব্রাহিম আলাইহিস সালাওয়াতুওয়া-সাল্লাম এর দোয়া। হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালাওয়াতুওয়া-সাল্লাম ও তার সুযোগ্যপুত্র হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাওয়াতুওয়া-সাল্লাম দু’জন মিলে পবিত্র কা’বা ঘর নির্মাণের কাজ শেষ করার পর হারাম শরিফ ও সে স্থানের বাসিন্দাদের জন্য দোয়া করেন। দোয়ায় তারা বলেন, “হে আমাদের প্রতিপালক! তাদের মধ্য থেকেই তাদের জন্য একজন নবী প্রেরণ করুন। যিনি তাদেরকে আপনার আয়াত সমূহ পাঠ করে শুনাবে। তাদেরকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দিবেন এবং তাদেরকে পবিত্র করবেন। নিশ্চয় আপনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়। (সুরা বাকারাঃ ১২৮, ১২৯) উল্লেখিত আয়াত থেকে বুঝা যায়, এ দোয়াতে ইব্রাহিম আলাইহিস সালাওয়াতুওয়া-সাল্লাম এর সঙ্গে তার প্রিয়পুত্র ইসমাঈল আলাইহিস সালাওয়াতুওয়া-সাল্লামও শরিক ছিলেন। আর যে নবীর জন্য তারা দোয়া করেছিলেন তিনি  উভয়ের বংশোদ্ভূত ছিলেন এবং মক্কায় প্রেরিত হয়েছেন। আবুল আলিয়া ও কাতাদাহ রহমাতুল্লাহ বলেন, ইব্রাহিম আলাইহিস সালাওয়াতুওয়া-সাল্লামকে জানানো হয়েছিল, তোমাদের দোয়া কবুল করা হয়েছে তবে আখেরি জামানায় তিনি আসবেন। (ইবনে কাসীর)
মুহাম্মদ সা: বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে
মুহাম্মদ সা: সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী
Muhammad SAW: Last and Greatest Prophet
0 notes
allahisourrabb · 11 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
মুহাম্মদ সা: বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে
বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে নবী মুহাম্মদ সা: (সা.)
মুহাম্মদ সা: সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী
Muhammad SAW: Last and Greatest Prophet
মুহাম্মদ সা: সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী। তাঁর চেয়ে সেরা কোনো নবী নেই এবং তিনিই সর্বশেষ নবী। তাঁর পরে আর কোনো নবী আসবেন না। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন- ‘মুহাম্মদ তোমাদের মধ্যে কোনো পুরুষের পিতা নয়; বরং সে আল্লাহর রাসূল ও সর্বশেষ নবী। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ (সূরা আল আহজাব-৪০)। আয়াতে বর্ণিত খাতাম অর্থ- সমাপ্ত বা শেষ। খাতামুন নাবিয়িন অর্থ- সর্বশেষ নবী। আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘আমাকে ছয়টি জিনিসের মাধ্যমে সমস্ত নবীদের ওপর ফজিলত দান করা হয়েছে- ক. আমাকে সংক্ষিপ্ত অথচ ব্যাপক অর্থ ও সর্বজনীন কথা বলার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে; খ. প্রভাব দ্বারা আমাকে সাহায্য করা হয়েছে; গ. আমার জন্য গণিমত বা যুদ্ধলব্ধ মাল হালাল করা হয়েছে; ঘ. আমার জন্য সারা দুনিয়ার মাটিকে মসজিদ ও অজুর জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে; ঙ. সমস্ত সৃষ্টির জন্য নবী করে পাঠানো হয়েছে; চ. আমাকে সমস্ত মানব জাতীর জন্য পাঠানো হয়েছে এবং আমার দ্বারা নবী আগমনের ধারাবাহিকতা শেষ করা হয়েছে’ (সহিহ মুসলিম-১/৩৭১, তিরমিজি-৫/১৬০, ইবনে মাজাহ-১/১৮৮)।
আল্লাহ তায়ালা এ উম্মতের দ্বীনকে পূর্ণতা দান করার মাধ্যমে তাঁর দ্বীনকে পূরিপূর্ণ করেছেন। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- ‘আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করলাম, তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম’ (সূরা আল মায়েদা-৩)।
অন্য কোনো নবীর প্রয়োজন নেই : যেহেতু আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মদ সা:-এর মাধ্যমে দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিয়েছেন এবং পবিত্র কুরআন ও মহানবী সা:-এর অগণিত হাদিস দ্বারা প্রমাণিত যে,  মুহাম্মদ সা: শেষ নবী। ফলে যে বা যারাই তাঁর পরে নবুয়তের দাবি করবে তারা মিথ্যুক, ভণ্ড, প্রতারক ও কাফির বলে বিবেচিত হবে।
youtube
youtube
youtube
বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে নবী (সা.)
মানব জাতির চরম ও পরম আদর্শ, মহান আল্লাহর প্রেরিত সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্ব শেষ নবী, প্রিয়নবী মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্ব শেষ নবী হিসেবে দুনিয়ায় মিলাদ তথা আগমন করবেন এটা পূর্বের ও পরের সকল ধর্মীয় গ্রন্থ ও জ্ঞান তাপসদের কলমে বর্ণিত আছে। যদিও তাঁর আগমনের পরে সত্য তথ্য জানা সত্ত্বেও অনেকে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লামকে মেনে নেয়নি। পবিত্র আল কুরআনে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম ইব্রাহিম আলাইহিস সালাওয়াতুওয়া-সাল্লাম এর দোয়া। হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালাওয়াতুওয়া-সাল্লাম ও তার সুযোগ্যপুত্র হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাওয়াতুওয়া-সাল্লাম দু’জন মিলে পবিত্র কা’বা ঘর নির্মাণের কাজ শেষ করার পর হারাম শরিফ ও সে স্থানের বাসিন্দাদের জন্য দোয়া করেন। দোয়ায় তারা বলেন, “হে আমাদের প্রতিপালক! তাদের মধ্য থেকেই তাদের জন্য একজন নবী প্রেরণ করুন। যিনি তাদেরকে আপনার আয়াত সমূহ পাঠ করে শুনাবে। তাদেরকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দিবেন এবং তাদেরকে পবিত্র করবেন। নিশ্চয় আপনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়। (সুরা বাকারাঃ ১২৮, ১২৯) উল্লেখিত আয়াত থেকে বুঝা যায়, এ দোয়াতে ইব্রাহিম আলাইহিস সালাওয়াতুওয়া-সাল্লাম এর সঙ্গে তার প্রিয়পুত্র ইসমাঈল আলাইহিস সালাওয়াতুওয়া-সাল্লামও শরিক ছিলেন। আর যে নবীর জন্য তারা দোয়া করেছিলেন তিনি  উভয়ের বংশোদ্ভূত ছিলেন এবং মক্কায় প্রেরিত হয়েছেন। আবুল আলিয়া ও কাতাদাহ রহমাতুল্লাহ বলেন, ইব্রাহিম আলাইহিস সালাওয়াতুওয়া-সাল্লামকে জানানো হয়েছিল, তোমাদের দোয়া কবুল করা হয়েছে তবে আখেরি জামানায় তিনি আসবেন। (ইবনে কাসীর)
মুহাম্মদ সা: বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে
মুহাম্মদ সা: সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী
Muhammad SAW: Last and Greatest Prophet
0 notes
mylordisallah · 11 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
মুহাম্মদ সা: বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে
বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে নবী মুহাম্মদ সা: (সা.)
মুহাম্মদ সা: সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী
Muhammad SAW: Last and Greatest Prophet
মুহাম্মদ সা: সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী। তাঁর চেয়ে সেরা কোনো নবী নেই এবং তিনিই সর্বশেষ নবী। তাঁর পরে আর কোনো নবী আসবেন না। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন- ‘মুহাম্মদ তোমাদের মধ্যে কোনো পুরুষের প��তা নয়; বরং সে আল্লাহর রাসূল ও সর্বশেষ নবী। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ (সূরা আল আহজাব-৪০)। আয়াতে বর্ণিত খাতাম অর্থ- সমাপ্ত বা শেষ। খাতামুন নাবিয়িন অর্থ- সর্বশেষ নবী। আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘আমাকে ছয়টি জিনিসের মাধ্যমে সমস্ত নবীদের ওপর ফজিলত দান করা হয়েছে- ক. আমাকে সংক্ষিপ্ত অথচ ব্যাপক অর্থ ও সর্বজনীন কথা বলার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে; খ. প্রভাব দ্বারা আমাকে সাহায্য করা হয়েছে; গ. আমার জন্য গণিমত বা যুদ্ধলব্ধ মাল হালাল করা হয়েছে; ঘ. আমার জন্য সারা দুনিয়ার মাটিকে মসজিদ ও অজুর জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে; ঙ. সমস্ত সৃষ্টির জন্য নবী করে পাঠানো হয়েছে; চ. আমাকে সমস্ত মানব জাতীর জন্য পাঠানো হয়েছে এবং আমার দ্বারা নবী আগমনের ধারাবাহিকতা শেষ করা হয়েছে’ (সহিহ মুসলিম-১/৩৭১, তিরমিজি-৫/১৬০, ইবনে মাজাহ-১/১৮৮)।
আল্লাহ তায়ালা এ উম্মতের দ্বীনকে পূর্ণতা দান করার মাধ্যমে তাঁর দ্বীনকে পূরিপূর্ণ করেছেন। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- ‘আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করলাম, তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম’ (সূরা আল মায়েদা-৩)।
অন্য কোনো নবীর প্রয়োজন নেই : যেহেতু আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মদ সা:-এর মাধ্যমে দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিয়েছেন এবং পবিত্র কুরআন ও মহানবী সা:-এর অগণিত হাদিস দ্বারা প্রমাণিত যে,  মুহাম্মদ সা: শেষ নবী। ফলে যে বা যারাই তাঁর পরে নবুয়তের দাবি করবে তারা মিথ্যুক, ভণ্ড, প্রতারক ও কাফির বলে বিবেচিত হবে।
youtube
youtube
youtube
বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে নবী (সা.)
মানব জাতির চরম ও পরম আদর্শ, মহান আল্লাহর প্রেরিত সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্ব শেষ নবী, প্রিয়নবী মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্ব শেষ নবী হিসেবে দুনিয়ায় মিলাদ তথা আগমন করবেন এটা পূর্বের ও পরের সকল ধর্মীয় গ্রন্থ ও জ্ঞান তাপসদের কলমে বর্ণিত আছে। যদিও তাঁর আগমনের পরে সত্য তথ্য জানা সত্ত্বেও অনেকে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লামকে মেনে নেয়নি। পবিত্র আল কুরআনে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম ইব্রাহিম আলাইহিস সালাওয়াতুওয়া-সাল্লাম এর দোয়া। হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালাওয়াতুওয়া-সাল্লাম ও তার সুযোগ্যপুত্র হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাওয়াতুওয়া-সাল্লাম দু’জন মিলে পবিত্র কা’বা ঘর নির্মাণের কাজ শেষ করার পর হারাম শরিফ ও সে স্থানের বাসিন্দাদের জন্য দোয়া করেন। দোয়ায় তারা বলেন, “হে আমাদের প্রতিপালক! তাদের মধ্য থেকেই তাদের জন্য একজন নবী প্রেরণ করুন। যিনি তাদেরকে আপনার আয়াত সমূহ পাঠ করে শুনাবে। তাদেরকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দিবেন এবং তাদেরকে পবিত্র করবেন। নিশ্চয় আপনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়। (সুরা বাকারাঃ ১২৮, ১২৯) উল্লেখিত আয়াত থেকে বুঝা যায়, এ দোয়াতে ইব্রাহিম আলাইহিস সালাওয়াতুওয়া-সাল্লাম এর সঙ্গে তার প্রিয়পুত্র ইসমাঈল আলাইহিস সালাওয়াতুওয়া-সাল্লামও শরিক ছিলেন। আর যে নবীর জন্য তারা দোয়া করেছিলেন তিনি  উভয়ের বংশোদ্ভূত ছিলেন এবং মক্কায় প্রেরিত হয়েছেন। আবুল আলিয়া ও কাতাদাহ রহমাতুল্লাহ বলেন, ইব্রাহিম আলাইহিস সালাওয়াতুওয়া-সাল্লামকে জানানো হয়েছিল, তোমাদের দোয়া কবুল করা হয়েছে তবে আখেরি জামানায় তিনি আসবেন। (ইবনে কাসীর)
মুহাম্মদ সা: বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে
মুহাম্মদ সা: সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী
Muhammad SAW: Last and Greatest Prophet
0 notes
gnews71 · 6 years
Photo
Tumblr media
মহানবী (সাঃ)- এর যে গুণগুলো মানুষকে আকৃষ্ট করেছে! মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) হলেন বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারী। যিনি সঠিক পথ প্রদর্শন কারী। তিনি হলেন মানবতার মহান শিক্ষক। তার জীবন চরিত্র মানবতার পথ প্রদর্শক। তিনি সর্বত্তোম চরিত্রের অধিকারী। তার যে গুণ বা চরিত্রে মুগ্ধ হয়ে খোদ কাফেররাও তাকে সত্যবাদী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ‘মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল; তাঁর সহচরেরা কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল; আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় তুমি তাদের রুকু ও সিজদায় অবনত দেখবে। তাদের মুখমণ্ডলে থাকবে সিজদার চিহ্ন, তাওরাতে তাদের বর্ণনা এরূপই এবং ইঞ্জিলেও। তাদের দৃষ্টান্ত একটি চারাগাছ, যা থেকে নির্গত হয় কিশলয়, অতঃপর তা শক্ত ও পুষ্ট হয় এবং পরে কাণ্ডের ওপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে যা চাষির জন্য আনন্দদায়ক। এভাবে আল্লাহ মুমিনদের সমৃদ্ধি দিয়ে কাফিরদের অন্তর্জ্বালা সৃষ্টি করেন। যারা ঈমান আনে ও সৎ কর্ম করে আল্লাহ তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের’ (সূরা ফাতহ : ২৯)। সব নবী-রাসূল যার রেসালত প্রকাশে অঙ্গীকারাবদ্ধ, যিনি কিতাবপ্রাপ্তদের কাছে দিবসের রোদের মতো স্পষ্ট এবং সুবিদিত, যিনি আদম সৃষ্টির বহু আগে নবী বলে প্রকাশিত, যিনি প্রথম মুসলিম এবং সর্বশেষ নবী, যিনি ইসলামের প্রদীপ্ত রাসূল, যিনি সব নবীর উম্মতের চেয়েও নিকটতম, যিনি মুমিনের আত্মার সুরভি এবং তার বিবিরা তাদের জন্মদাত্রী সমতুল্য, যিনি মহান রবের পক্ষ থেকে বান্দার প্রতি বিশেষ অনুকম্পা, যিনি সৃষ্টির সেরা এবং মানবজাতির সর্দার, যার অনুসরণ প্রকৃতপক্ষে আল্লাহরই আনুগত্য। যার রিসালাত বিশ্বজনীন এবং যিনি উম্মতের নিরাপত্তার কেন্দ্রবিন্দু, যিনি নিষ্পাপ এবং নৈশযোগে ঊর্ধ্বলোকে গমনকারী, সব গুপ্তভাণ্ডারের চাবি ছিল যার আয়ত্তে। যার জামানা সব জামানার চেয়ে শ্রেষ্ঠ, যিনি সব নবীর ইমাম, যিনি চন্দ্র দ্বিখণ্ডকারী, যিনি সামনে এবং পশ্চাৎ যুগপৎ প্রত্যক্ষ করতে পারতেন, যার স্বপ্ন ছিল প্রকৃত বাস্তবের সম্যক দর্শন, যার পতাকাতলে সব নবী হবেন সমবেত, যিনি সর্বপ্রথম সুরক্ষিত জান্নাতের কড়া নাড়বেন। যিনি হবেন আল-ওয়াসিলাহ্ এবং আল ফাদিলাহ্ প্রাপ্ত, তার কুরসি থাকবে মহান আল্লাহ পাকের আরশের ডান পাশে। যাকে মাকামে মাহমুদ ও চিত্ত প্রশান্তকারী আল কাওসার দান করা হয়েছে, আল্লাহ পাক তাকে বহুমুখী শাফায়াতের ক্ষমতা দান করেছেন এবং তিনিই সর্বপ্রথম আপন উম্মতসহ পুলসিরাত পার হবেন। সর্বজ্ঞ আল্লাহ পাক যে নবীকে হাবিব হিসেবে গ্রহণ করেছেন, তাকে তিনি বিশ্ববাসীর সামনে রাসূল বলে প্রকাশ করাই যথার্থ মনে করেছেন। তাকে তিনি মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ বাক্যের মাধ্যমে সম্মানিত করেছেন। নবী করীম সা:-এর বাহ্যিক গঠন ছিল অত্যন্ত সুন্দর এবং লাবণ্যময়। তিনি ছিলেন অত্যন্ত সাবলীল এবং ক্ষিপ্রগতি সম্পন্ন। সাধারণত সুশ্রী এবং কোমল তনুর কোনো মানুষ এতটা কর্মঠ এবং আলস্যহীন হয় না। আবু ইউনুস রহ: হজরত আবু হুরায়রা রা:-কে বলতে শুনেছেন, তিনি বলেন, ‘আমি নবী সা: অপেক্ষা অধিক সুন্দর ও সুশ্রী কোনো মানুষ দেখিনি। (তাঁর সৌন্দর্য এবং রূপ এমন ছিল) যেন কোনো সূর্য তাঁর ললাটের ওপর দিয়ে বিচরণ করছে। অনুরূপ আমি নবী সা: অপেক্ষা অধিক দ্রুত গতিতে পথ চলতে কাউকে দেখিনি। (তাঁর পথ চলাকালে মনে হতো) যেন ভূমিকে তার জন্য সঙ্কুচিত করে দেয়া হয়েছে। (শামায়েলে তিরমিজি) রাসূল সা:-এর চেহারা মোবারক এমন নিষ্পাপ এবং নিষ্কলঙ্ক ছিল যে শুভ্র বস্ত্রখণ্ডের ওপর কালিঝুলির দাগের মতো তার মেজাজের আবেগ উৎকণ্ঠা চেহারায় ভেসে উঠত। হজরত আনাস রা: থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,‘রাসূল সা: পর্দানশিন কুমারী অপেক্ষাও অধিক লজ্জাশীলা ছিলেন। তিনি যখন কোনো কিছু অপছন্দ করতেন তা তাঁর চেহারা মোবারক দেখেই বোঝা যেত। হজরত আনাস ইবনে মালিক রা: বলেন, ‘নবী সা: কুমারী অপেক্ষাও লজ্জাশীলা ছিলেন।’ আল্লাহপাক রাসূলকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন একটি ন্যায়দর্শী সমাজ নির্মাণের জন্য। তিনি তাঁর জীবনের একটি মুহূর্তও অকাজে নষ্ট করেননি। অন্যায়ের আধিক্যে দিশাহীন হয়ে পাপাসক্ত পৃথিবীকে প্রচলিত নিয়মে পরিশুদ্ধ করার কাজে করেননি আত্মনিয়োগ। তিনি আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমা ও মার্জনার নীতিতে বিশ্বব্যবস্থা বদলে দেয়ার মহান আন্দোলনে নিয়োজিত হন। রাসূল সা: এরশাদ করেন, তাওরাতে আছে : আল্লাহ পাক বলেন, ‘(হে আমার প্রিয়নবী) যারা কিতাবপ্রাপ্ত নয় সেই মূর্খদের উৎসাহিত করুন। কারণ আপনি আমার বান্দাহ ও রাসূল। আমি আপনাকে মুত্তাওয়াক্কিল উপাধিতে ভূষিত করেছি। আপনি রূঢ় ও কর্কশভাষী নন, বাজারে বসে গালগল্প করেন না, আপনি অন্যায়কে অন্যায় দ্বারা প্রতিহত করেন না বরং তা ক্ষমা ও মার্জনা করেন। আর আপনাকে মহান আল্লাহ এই পৃথিবী থেকে উঠিয়ে নেবেন না, যতক্ষণ না দুর্বলদের মিলাত এভাবে গঠিত না হয় যে তারা তখন বলবে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, তখন অন্ধের চোখ খুলে যাবে এবং কুফরির চাদরে ঢাকা অন্তরসমূহ আবরণমুক্ত হবে।’ রাসূল সা:-এর রিসালাত আল্লাহ প্রেরিত নবী-রাসূলদের পরম্পরাগত ধারাক্রমের চূড়ান্ত বিকাশ। সত্য দ্বীন প্রকাশের কার��যক্রমে প্রত্যেক নবীরই ছিল বিশেষ ভূমিকা। সব নবীরই মিশন ছিল বাতিল উৎখাত করে সত্যকে প্রতিষ্ঠা করা। আল্লাহ পাক তার শেষ নবীর মাধ্যমে তার মনোনীত দ্বীন ইসলামকে পরিপূর্ণতা দান করেন। হজরত আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূল সা: এরশাদ করেন : আমার এবং আগেকার নবীদের দৃষ্টান্ত এরূপ যে, এক লোক একটি ইমারত নির্মাণ করল, সে ইমারতটি উত্তমভাবে তৈরি করার পর এটিকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করল। কিন্তু এক জায়গায় একটি ইট খালি রাখল। লোকেরা ইমারতটির চাকচিক্য এবং স্থাপত্যশৈলী ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগল। সবাই এর অনুপম গঠননৈপুণ্য এবং বিরল নান্দনিকতায় মুগ্ধ হলো। কিন্তু একটি প্রশ্ন ঘুরে ফিরে সবাই করতে লাগল- এই জায়গায় একখানা ইট বসানো হয়নি কেন। রাসূল সা: বলেন : আমিই সেই সর্বশেষ ইট এবং আমিই শেষনবী’ (বুখারি, মুসলিম)। রাসূল সা:-এর প্রচারিত দ্বীনকে যারা প্রত্যাখ্যান করেছে তাদের সামনে সঙ্গত কোনো যুক্তি ছিল না। মিথ্যা অহমিকা, অন্ধগর্ব এবং গোত্রদ্বন্দ্বের জাত্যাভিমানই তাদের এই মহান দ্বীন অস্বীকার করার প্রেরণা জুগিয়েছে। সুলতান ইবনে আসিম রা: থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন : রাসূল সা: একদিন মসজিদে নববীতে এক মজলিসে বসেছিলেন। তখন মসজিদের ভেতরে এক ব্যক্তি পায়চারী করছিল। হজরত সা: সেই ব্যক্তির দিকে অপলক চেয়ে হাসলেন। তারপর তাকে ডেকে বললেন : ওহে অমুক। সে ব্যক্তি জওয়াবে বললেন : লাব্বাইকা ইয়া রাসূলুল্লাহ, হে আল্লাহর রাসূল আমি আপনার খেদমতে হাজির। তিনি আর কোনো বাক্য ব্যয় না করে আবার শুধু উচ্চারণ করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! হজরত সা: এরশাদ করলেন, ‘তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে আমি আল্লাহর রাসূল?’ তিনি জওয়াবে বললেন, না। হজরত সা: বললেন, ‘তুমি কি তাওরাত পড়ো?’ লোকটি জওয়াব দিলেন, জি হ্যাঁ। হুজুর সা: বললেন, ইনজিল পড়ো? তিনি বললেন, জি হ্যাঁ, পড়ি। হজরত সা: বললেন, পবিত্র কুরআন? তিনি বললেন, ‘যার হাতে আমার জীবন তার শপথ। আমি ইচ্ছে করতাম তবে পড়তে পারতাম।’ তারপর হুজুর সা: লোকটিকে শপথ করিয়ে বললেন : ‘তুমি কি আমাকে তাওরাত ও ইনজিলে পেয়েছ?’ লোকটি বললেন : ‘আমরা তাওরাত ও ইনজিলে আপনার আবির্��াবের এবং আপনার আকার আকৃতির হুবহু বর্ণনা পেয়েছি। কিন্তু আমরা আশা করেছিলাম যে, আপনি আমাদের ইসরাইলি গোত্র থেকে আবির্ভূত হবেন। তারপর যখন প্রকৃতই আপনি আবির্ভূত হলেন, তখন আমরা আশঙ্কা করলাম যে আপনি হয়তো সেই ব্যক্তি হবেন। তারপর আমরা লক্ষ করলাম এবং দেখলাম যে আপনি সেই ব্যক্তি নন।’ হুজুর সা: জিজ্ঞেস করলেন : ‘কিভাবে তোমরা তা লক্ষ করলে?’ লোকটি জওয়াব দিলেন : ‘তাঁর সাথে তাঁর সত্তর হাজার এমন উম্মত থাকবেন যাদের কোনো হিসাবও হবে না, কোনো আজাবও হবে না। কিন্তু আপনার সাথে মুষ্টিমেয় কিছু লোক দেখা যায়।’ হুজুর সা: বললেন, ‘যে সত্তার হাতে আমার জীবন, তার কসম করে বলছি, নিঃসন্দেহে আমিই সেই ব্যক্তি। তোমার বর্ণিত গুণাবলিসম্পন্ন সেই সব লোক আমারই উম্মতভুক্ত এবং তারা সত্তর হাজার ও সত্তর হাজার অপেক্ষাও অনেক বেশি হবে’ (আজমাউজ যাওয়ারিদ)। হজরত মুহাম্মাদ সা:-এর আবির্ভাবের অল্পকালের মধ্যেই একটি অতুলনীয় ইতিহাস সৃষ্টি করে ফেললেন। ইসলামি বিপ্লবী কলেমার অপ্রতিরোধ্য প্রচারের কারণে এশিয়া, ইউরোপ এবং অরণ্যময় আফ্রিকার নিভৃত জনপদে হৃদয় কাঁপানো সাম্য সভ্যতার বিস্তার ঘটতে লাগল। সুদূর আরবের মরুভূমি থেকে দিগি¦জয়ী অশ্বের পিঠে আরোহণ করে ইসলামের সুমধুর আহ্বান ছুটে চলল পৃথিবীর উন্মুক্ত প্রান্তরে। ইসলামের মহান নবীর সে কালজয়ী কীর্তি অনুধাবন করে খ্রিষ্টান ঐতিহাসিক উইলিয়াম মুর বলেছেন : ‘মুহাম্মাদ সা: যে যুগে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন, তাকে শুধু সে যুগেরই একজন মনীষী বলা ঠিক হবে না, বরং তিনি ছিলেন সর্বকালের, সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মনীষী।’ নামকরা ঐতিহাসিক, সাহিত্যিক ও চরম ইসলাম বিদ্বেষী সমালোচক এইচ জি ওয়েলসের মুখেও মুহাম্মাদ সা:-এর স্তুতি দেখে অবাক না হয়ে পারা যায় না। তিনি তার বিদ্বেষপরায়ণ মনোভাব সত্ত্বে¡ও ইসলামের অনুপম বিশ্বাসের আলোকে প্রতিষ্ঠিত শান্তিময় সমাজব্যবস্থার প্রশংসা করেছেন অতলস্পর্শী বিবেচকের ভাষায়। তিনি বলেছেন : ‘মুহাম্মাদ সা: সেই আকর্ষণীয় বিশ্বাসগুলো মানবজাতিকে হৃদয়ঙ্গম করিয়েছিলেন। ইসলাম সৃষ্টি করেছিল এমন এক সমাজ, এর আগে দুনিয়ার অস্তিত্বশীল যেকোনো সমাজের তুলনায়, যা ছিল ব্যাপক নিষ্ঠুরতা ও সামাজিক অত্যাচার থেকে অধিকতর মুক্ত।’ মুহাম্মাদ সা: সম্পর্কে গুরু নানকের বিখ্যাত উক্তিটি স্মরণ করার মতো একটি দলিল। মানবরচিত সাড়া জাগানো বাহ্যিকতাসর্বস্ব মতবাদগুলোর অসারতা নিগূঢ়ভাবে খতিয়ে দেখে তিনি বলেছিলেন : ‘এখন দুনিয়াকে পরিচালিত করার জন্য কুরআনই একমাত্র গ্রন্থ। সাধু, সংস্কারক, গাজী, পীর, শেখ ও কুতুবরা অশেষ উপকার পাবেন যদি তারা পবিত্র নবীর ওপর দরুদ পাঠ করেন।’ লেখক : তমসুর হোসেন কবি ও লেখক
0 notes
gnews71 · 6 years
Photo
Tumblr media
হযরত মুহাম্মদ (সা.) যে দোয়াটি অধিকবার পাঠ করতেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে মহান আল্লাহ তা’য়ালা সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল হিসেবে পাঠিয়েছেন এবং তাকে অনুসরণ ও অনুকরণের জন্য মানব জাতির প্রতি আদেশ দিয়েছেন। এক হাদীসে মহানবী (সা.) এর সাতটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যে সম্পর্কে জানা যায়। এবং সেখানে মহানবী (সা.) কোন দোয়াটি অধিকবার আমল করতেন সে বিষয়েও জানা যায়। মহনবী (সা.)এর সেই সাতটি বৈশিষ্ট হলো- এক. নবী (সা.) অসহায় ও নিঃস্বদের প্রতি ভালবাসা পোষণ ও তাদের পাশে দাঁড়াতেন। দুই. লা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ এ জিকিরটি অধিকবার পাঠ করতেন। তিন. আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা; যদিও তারা নবীজী (সা.)-এর সাথে সম্পর্ক ছেদ করতে চেয়েছিলেন। এছাড়াও নবীজী বলেছেন, ১. পার্থিব ক্ষেত্রে আমি যেন আমার নিম্ন শ্রেণির প্রতি দৃষ্টিপাত করি, না বিত্তশালীদের প্রতি। ২. আল্লাহর পথে নিজেকে যেন ভর্ৎসনা না করি। ৩. (অন্যের কাছে অপ্রিয় হলেও) সদা সত্য ও ন্যায় কথা বলা। ৪. অন্যের মুখাপেক্ষী না হতে। সূত্র : আল উসুলুস সিত্তাহ আশার, পৃ : ৭৫
0 notes
ilyforallahswt · 11 months
Text
youtube
মোহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থে ।
মুহাম্মদ সা: সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী
Muhammad SAW: Last and Greatest Prophet
মুহাম্মদ সা: সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী। তাঁর চেয়ে সেরা কোনো নবী নেই এবং তিনিই সর্বশেষ নবী। তাঁর পরে আর কোনো নবী আসবেন না। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন- ‘মুহাম্মদ তোমাদের মধ্যে কোনো পুরুষের পিতা নয়; বরং সে আল্লাহর রাসূল ও সর্বশেষ নবী। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ (সূরা আল আহজাব-৪০)। আয়াতে বর্ণিত খাতাম অর্থ- সমাপ্ত বা শেষ। খাতামুন নাবিয়িন অর্থ- সর্বশেষ নবী। আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘আমাকে ছয়টি জিনিসের মাধ্যমে সমস্ত নবীদের ওপর ফজিলত দান করা হয়েছে- ক. আমাকে সংক্ষিপ্ত অথচ ব্যাপক অর্থ ও সর্বজনীন কথা বলার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে; খ. প্রভাব দ্বারা আমাকে সাহায্য করা হয়েছে; গ. আমার জন্য গণিমত বা যুদ্ধলব্ধ মাল হালাল করা হয়েছে; ঘ. আমার জন্য সারা দুনিয়ার মাটিকে মসজিদ ও অজুর জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে; ঙ. সমস্ত সৃষ্টির জন্য নবী করে পাঠানো হয়েছে; চ. আমাকে সমস্ত মানব জাতীর জন্য পাঠানো হয়েছে এবং আমার দ্বারা নবী আগমনের ধারাবাহিকতা শেষ করা হয়েছে’ (সহিহ মুসলিম-১/৩৭১, তিরমিজি-৫/১৬০, ইবনে মাজাহ-১/১৮৮)।
আল্লাহ তায়ালা এ উম্মতের দ্বীনকে পূর্ণতা দান করার মাধ্যমে তাঁর দ্বীনকে পূরিপূর্ণ করেছেন। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- ‘আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করলাম, তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম’ (সূরা আল মায়েদা-৩)।
অন্য কোনো নবীর প্রয়োজন নেই : যেহেতু আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মদ সা:-এর মাধ্যমে দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিয়েছেন এবং পবিত্র কুরআন ও মহানবী সা:-এর অগণিত হাদিস দ্বারা প্রমাণিত যে,  মুহাম্মদ সা: শেষ নবী। ফলে যে বা যারাই তাঁর পরে নবুয়তের দাবি করবে তারা মিথ্যুক, ভণ্ড, প্রতারক ও কাফির বলে বিবেচিত হবে।
youtube
youtube
মুহাম্মদ সা: সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী
Muhammad SAW: Last and Greatest Prophet
0 notes
myreligionislam · 11 months
Text
youtube
মোহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থে ।
মুহাম্মদ সা: সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী
Muhammad SAW: Last and Greatest Prophet
মুহাম্মদ সা: সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী। তাঁর চেয়ে সেরা কোনো নবী নেই এবং তিনিই সর্বশেষ নবী। তাঁর পরে আর কোনো নবী আসবেন না। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন- ‘মুহাম্মদ তোমাদের মধ্যে কোনো পুরুষের পিতা নয়; বরং সে আল্লাহর রাসূল ও সর্বশেষ নবী। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ (সূরা আল আহজাব-৪০)। আয়াতে বর্ণিত খাতাম অর্থ- সমাপ্ত বা শেষ। খাতামুন নাবিয়িন অর্থ- সর্বশেষ নবী। আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘আমাকে ছয়টি জিনিসের মাধ্যমে সমস্ত নবীদের ওপর ফজিলত দান করা হয়েছে- ক. আমাকে সংক্ষিপ্ত অথচ ব্যাপক অর্থ ও সর্বজনীন কথা বলার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে; খ. প্রভাব দ্বারা আমাকে সাহায্য করা হয়েছে; গ. আমার জন্য গণিমত বা যুদ্ধলব্ধ মাল হালাল করা হয়েছে; ঘ. আমার জন্য সারা দুনিয়ার মাটিকে মসজিদ ও অজুর জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে; ঙ. সমস্ত সৃষ্টির জন্য নবী করে পাঠানো হয়েছে; চ. আমাকে সমস্ত মানব জাতীর জন্য পাঠানো হয়েছে এবং আমার দ্বারা নবী আগমনের ধারাবাহিকতা শেষ করা হয়েছে’ (সহিহ মুসলিম-১/৩৭১, তিরমিজি-৫/১৬০, ইবনে মাজাহ-১/১৮৮)।
আল্লাহ তায়ালা এ উম্মতের দ্বীনকে পূর্ণতা দান করার মাধ্যমে তাঁর দ্বীনকে পূরিপূর্ণ করেছেন। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- ‘আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করলাম, তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম’ (সূরা আল মায়েদা-৩)।
অন্য কোনো নবীর প্রয়োজন নেই : যেহেতু আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মদ সা:-এর মাধ্যমে দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিয়েছেন এবং পবিত্র কুরআন ও মহানবী সা:-এর অগণিত হাদিস দ্বারা প্রমাণিত যে,  মুহাম্মদ সা: শেষ নবী। ফলে যে বা যারাই তাঁর পরে নবুয়তের দাবি করবে তারা মিথ্যুক, ভণ্ড, প্রতারক ও কাফির বলে বিবেচিত হবে।
youtube
youtube
মুহাম্মদ সা: সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী
Muhammad SAW: Last and Greatest Prophet
0 notes
allahisourrabb · 11 months
Text
youtube
মোহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থে ।
মুহাম্মদ সা: সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী
Muhammad SAW: Last and Greatest Prophet
মুহাম্মদ সা: সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী। তাঁর চেয়ে সেরা কোনো নবী নেই এবং তিনিই সর্বশেষ নবী। তাঁর পরে আর কোনো নবী আসবেন না। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন- ‘মুহাম্মদ তোমাদের মধ্যে কোনো পুরুষের পিতা নয়; বরং সে আল্লাহর রাসূল ও সর্বশেষ নবী। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ (সূরা আল আহজাব-৪০)। আয়াতে বর্ণিত খাতাম অর্থ- সমাপ্ত বা শেষ। খাতামুন নাবিয়িন অর্থ- সর্বশেষ নবী। আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘আমাকে ছয়টি জিনিসের মাধ্যমে সমস্ত নবীদের ওপর ফজিলত দান করা হয়েছে- ক. আমাকে সংক্ষিপ্ত অথচ ব্যাপক অর্থ ও সর্বজনীন কথা বলার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে; খ. প্রভাব দ্বারা আমাকে সাহায্য করা হয়েছে; গ. আমার জন্য গণিমত বা যুদ্ধলব্ধ মাল হালাল করা হয়েছে; ঘ. আমার জন্য সারা দুনিয়ার মাটিকে মসজিদ ও অজুর জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে; ঙ. সমস্ত সৃষ্টির জন্য নবী করে পাঠানো হয়েছে; চ. আমাকে সমস্ত মানব জাতীর জন্য পাঠানো হয়েছে এবং আমার দ্বারা নবী আগমনের ধারাবাহিকতা শেষ করা হয়েছে’ (সহিহ মুসলিম-১/৩৭১, তিরমিজি-৫/১৬০, ইবনে মাজাহ-১/১৮৮)।
আল্লাহ তায়ালা এ উম্মতের দ্বীনকে পূর্ণতা দান করার মাধ্যমে তাঁর দ্বীনকে পূরিপূর্ণ করেছেন। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- ‘আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করলাম, তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম’ (সূরা আল মায়েদা-৩)।
অন্য কোনো নবীর প্রয়োজন নেই : যেহেতু আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মদ সা:-এর মাধ্যমে দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিয়েছেন এবং পবিত্র কুরআন ও মহানবী সা:-এর অগণিত হাদিস দ্বারা প্রমাণিত যে,  মুহাম্মদ সা: শেষ নবী। ফলে যে বা যারাই তাঁর পরে নবুয়তের দাবি করবে তারা মিথ্যুক, ভণ্ড, প্রতারক ও কাফির বলে বিবেচিত হবে।
youtube
youtube
মোহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থে ।
মুহাম্মদ সা: সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী
Muhammad SAW: Last and Greatest Prophet
0 notes