Tumgik
#রাব্বানাআতিনাফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
ilyforallahswt · 3 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
Why should I read 'Rabbana Atina Fidduniya'?
রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও দোয়া:
'রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানা, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানা, ওয়াকিনা আজাবান্নার। ' অর্থ : হে আমার প্রভু! আমাকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান কর, আখেরাতেও কল্যাণ দান কর এবং আমাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত এ দোয়াকে সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া বলা হয়।
রাসুল (সা.)–এর সময়ের ঘটনা। একজন যুবক ছিলেন স্বাস্থ্যবান। হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন। অসুখে তাঁর স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ল। তাঁকে দেখলে মনে হতো, যেকোনো সময় মারা যাবেন।
খবর পেয়ে রাসুল (সা.) তাঁকে দেখতে এলেন। রাসুলও তাঁকে দেখে অবাক। জানতে চাইলেন, তোমার তো এমন হওয়ার কথা নয়। কী করে এ অবস্থা হলো? তুমি কি আল্লাহর কাছে বিশেষ কোনো দোয়া করেছ?
যুবক বলল, আপনি ঠিকই ধরেছেন, ‘আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি, হে আল্লাহ! আমার আখিরাতের প্রাপ্য সব শাস্তি দুনিয়াতে যেন পাই। আখিরাতে যেন কোনো কষ্ট ন�� পাই।’
রাসুল (সা.) বললেন, ‘তুমি এ কেমন ধরনের দোয়া করেছ? তোমার এই দোয়া করা ঠিক হয়নি। কারণ, আখিরাতের শাস্তি দুনিয়ায় ভোগ করার সাধ্য কোনো মানুষের নেই। তুমি কেন সহজ দোয়া করছ না?’
এই বলে রাসুল (সা.) দোয়া তাঁকে শিখিয়ে দিলেন, ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাওঁ, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাওঁ, ওয়াকিনা আজাবান্নার।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২০১) এর অর্থ: ‘আর তাদের মধ্যে অনেকে বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দাও ও পরকালেও কল্যাণ দাও এবং আমাদেরকে অগ্নিযন্ত্রণা থেকে রক্ষা করো।’
আরেকটি ঘটনা। সাহাবি আনাস ইবনে মালিক (রা.) তখন বৃদ্ধ, চলতে-ফিরতে অক্ষম। তাঁর কাছে বসরা থেকে একদল লোক এসে বলল, ‘হে আনাস (রা.), আপনি রাসুল (সা.)–কে দেখেছেন। আপনার মতো সৌভাগ্যবান মানুষের কাছ থেকে শুধু দোয়া নিতে আমরা বসরা থেকে এসেছি। আমাদের জন্য দোয়া করুন।’ তখন আনাস (রা.) তাঁদের নিয়ে আল্লাহর দরবারে হাত তুলে ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ পড়ে দোয়া করলেন।
বসরার লোকেরা বলল, আরও কিছু দোয়া করুন। আনাস (রা.) আবারও এই দোয়া করলেন। আনাস (রা.) কয়েকবার এ দোয়াই করলেন।
আনাস (রা.) তাঁদের বললেন, ‘আমি শ্রেষ্ঠতম দোয়াটিই করেছি। যদি এই একটি দোয়া কবুল হয়, তবে তোমাদের অন্য যা কিছু প্রয়োজন, সবই এর বরকতে পূরণ হয়ে যাবে।’
এই দোয়া শুরু হয়েছে রাব্বানা দিয়ে। দোয়ায় তিনটি অংশ আছে—১. দুনিয়ার কল্যাণ ২. আখিরাতের কল্যাণ এবং ৩. জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি।
মহান আল্লাহর থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ভয় থাকতে হবে, আবার তিনি আমাদের চাওয়াগুলো কবুল করবেন, এই আশাবাদ থাকতে হবে। দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনা করতে হবে, জান্নাত পাওয়ার আশা করতে হবে, ঠিক তেমনি জাহান্নামের আগুনের ভয়েও সতর্ক থাকতে হবে। এ বিষয়গুলো অত্যন্ত সুন্দরভাবে এই দোয়ায় আছে। তাই এ দোয়া এত সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ।
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
Why should I read 'Rabbana Atina Fidduniya'?
0 notes
myreligionislam · 3 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
Why should I read 'Rabbana Atina Fidduniya'?
রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও দোয়া:
'রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানা, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানা, ওয়াকিনা আজাবান্নার। ' অর্থ : হে আমার প্রভু! আমাকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান কর, আখেরাতেও কল্যাণ দান কর এবং আমাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত এ দোয়াকে সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া বলা হয়।
রাসুল (সা.)–এর সময়ের ঘটনা। একজন যুবক ছিলেন স্বাস্থ্যবান। হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন। অসুখে তাঁর স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ল। তাঁকে দেখলে মনে হতো, যেকোনো সময় মারা যাবেন।
খবর পেয়ে রাসুল (সা.) তাঁকে দেখতে এলেন। রাসুলও তাঁকে দেখে অবাক। জানতে চাইলেন, তোমার তো এমন হওয়ার কথা নয়। কী করে এ অবস্থা হলো? তুমি কি আল্লাহর কাছে বিশেষ কোনো দোয়া করেছ?
যুবক বলল, আপনি ঠিকই ধরেছেন, ‘আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি, হে আল্লাহ! আমার আখিরাতের প্রাপ্য সব শাস্তি দুনিয়াতে যেন পাই। আখিরাতে যেন কোনো কষ্ট না পাই।’
রাসুল (সা.) বললেন, ‘তুমি এ কেমন ধরনের দোয়া করেছ? তোমার এই দোয়া করা ঠিক হয়নি। কারণ, আখিরাতের শাস্তি দুনিয়ায় ভোগ করার সাধ্য কোনো মানুষের নেই। তুমি কেন সহজ দোয়া করছ না?’
এই বলে রাসুল (সা.) দোয়া তাঁকে শিখিয়ে দিলেন, ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাওঁ, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাওঁ, ওয়াকিনা আজাবান্নার।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২০১) এর অর্থ: ‘আর তাদের মধ্যে অনেকে বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দাও ও পরকালেও কল্যাণ দাও এবং আমাদেরকে অগ্নিযন্ত্রণা থেকে রক্ষা করো।’
আরেকটি ঘটনা। সাহাবি আনাস ইবনে মালিক (রা.) তখন বৃদ্ধ, চলতে-ফিরতে অক্ষম। তাঁর কাছে বসরা থেকে একদল লোক এসে বলল, ‘হে আনাস (রা.), আপনি রাসুল (সা.)–কে দেখেছেন। আপনার মতো সৌভাগ্যবান মানুষের কাছ থেকে শুধু দোয়া নিতে আমরা বসরা থেকে এসেছি। আমাদের জন্য দোয়া করুন।’ তখন আনাস (রা.) তাঁদের নিয়ে আল্লাহর দরবারে হাত তুলে ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ পড়ে দোয়া করলেন।
বসরার লোকেরা বলল, আরও কিছু দোয়া করুন। আনাস (রা.) আবারও এই দোয়া করলেন। আনাস (রা.) কয়েকবার এ দোয়াই করলেন।
আনাস (রা.) তাঁদের বললেন, ‘আমি শ্রেষ্ঠতম দোয়াটিই করেছি। যদি এই একটি দোয়া কবুল হয়, তবে তোমাদের অন্য যা কিছু প্রয়োজন, সবই এর বরকতে পূরণ হয়ে যাবে।’
এই দোয়া শুরু হয়েছে রাব্বানা দিয়ে। দোয়ায় তিনটি অংশ আছে—১. দুনিয়ার কল্যাণ ২. আখিরাতের কল্যাণ এবং ৩. জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি।
মহান আল্লাহর থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ভয় থাকতে হবে, আবার তিনি আমাদের চাওয়াগুলো কবুল করবেন, এই আশাবাদ থাকতে হবে। দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনা করতে হবে, জান্নাত পাওয়ার আশা করতে হবে, ঠিক তেমনি জাহান্নামের আগুনের ভয়েও সতর্ক থাকতে হবে। এ বিষয়গুলো অত্যন্ত সুন্দরভাবে এই দোয়ায় আছে। তাই এ দোয়া এত সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ।
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
রাব্বানাআতিনাফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
Why should I read 'Rabbana Atina Fidduniya'?
রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও দোয়া
0 notes
allahisourrabb · 3 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
Why should I read 'Rabbana Atina Fidduniya'?
রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও দোয়া:
'রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানা, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানা, ওয়াকিনা আজাবান্নার। ' অর্থ : হে আমার প্রভু! আমাকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান কর, আখেরাতেও কল্যাণ দান কর এবং আমাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত এ দোয়াকে সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া বলা হয়।
রাসুল (সা.)–এর সময়ের ঘটনা। একজন যুবক ছিলেন স্বাস্থ্যবান। হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন। অসুখে তাঁর স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ল। তাঁকে দেখলে মনে হতো, যেকোনো সময় মারা যাবেন।
খবর পেয়ে রাসুল (সা.) তাঁকে দেখতে এলেন। রাসুলও তাঁকে দেখে অবাক। জানতে চাইলেন, তোমার তো এমন হওয়ার কথা নয়। কী করে এ অবস্থা হলো? তুমি কি আল্লাহর কাছে বিশেষ কোনো দোয়া করেছ?
যুবক বলল, আপনি ঠিকই ধরেছেন, ‘আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি, হে আল্লাহ! আমার আখিরাতের প্রাপ্য সব শাস্তি দুনিয়াতে যেন পাই। আখিরাতে যেন কোনো কষ্ট না পাই।’
রাসুল (সা.) বললেন, ‘তুমি এ কেমন ধরনের দোয়া করেছ? তোমার এই দোয়া করা ঠিক হয়নি। কারণ, আখিরাতের শাস্তি দুনিয়ায় ভোগ করার সাধ্য কোনো মানুষের নেই। তুমি কেন সহজ দোয়া করছ না?’
এই বলে রাসুল (সা.) দোয়া তাঁকে শিখিয়ে দিলেন, ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাওঁ, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাওঁ, ওয়াকিনা আজাবান্নার।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২০১) এর অর্থ: ‘আর তাদের মধ্যে অনেকে বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দাও ও পরকালেও কল্যাণ দাও এবং আমাদেরকে অগ্নিযন্ত্রণা থেকে রক্ষা করো।’
আরেকটি ঘটনা। সাহাবি আনাস ইবনে মালিক (রা.) তখন বৃদ্ধ, চলতে-ফিরতে অক্ষম। তাঁর কাছে বসরা থেকে একদল লোক এসে বলল, ‘হে আনাস (রা.), আপনি রাসুল (সা.)–কে দেখেছেন। আপনার মতো সৌভাগ্যবান মানুষের কাছ থেকে শুধু দোয়া নিতে আমরা বসরা থেকে এসেছি। আমাদের জন্য দোয়া করুন।’ তখন আনাস (রা.) তাঁদের নিয়ে আল্লাহর দরবারে হাত তুলে ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ পড়ে দোয়া করলেন।
বসরার লোকেরা বলল, আরও কিছু দোয়া করুন। আনাস (রা.) আবারও এই দোয়া করলেন। আনাস (রা.) কয়েকবার এ দোয়াই করলেন।
আনাস (রা.) তাঁদের বললেন, ‘আমি শ্রেষ্ঠতম দোয়াটিই করেছি। যদি এই একটি দোয়া কবুল হয়, তবে তোমাদের অন্য যা কিছু প্রয়োজন, সবই এর বরকতে পূরণ হয়ে যাবে।’
এই দোয়া শুরু হয়েছে রাব্বানা দিয়ে। দোয়ায় তিনটি অংশ আছে—১. দুনিয়ার কল্যাণ ২. আখিরাতের কল্যাণ এবং ৩. জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি।
মহান আল্লাহর থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ভয় থাকতে হবে, আবার তিনি আমাদের চাওয়াগুলো কবুল করবেন, এই আশাবাদ থাকতে হবে। দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনা করতে হবে, জান্নাত পাওয়ার আশা করতে হবে, ঠিক তেমনি জাহান্নামের আগুনের ভয়েও সতর্ক থাকতে হবে। এ বিষয়গুলো অত্যন্ত সুন্দরভাবে এই দোয়ায় আছে। তাই এ দোয়া এত সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ।
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
রাব্বানাআতিনাফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
Why should I read 'Rabbana Atina Fidduniya'?
রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও দোয়া
0 notes
mylordisallah · 3 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
Why should I read 'Rabbana Atina Fidduniya'?
রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও দোয়া:
'রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানা, ওয়াফিল আখিরাতি হাসান���, ওয়াকিনা আজাবান্নার। ' অর্থ : হে আমার প্রভু! আমাকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান কর, আখেরাতেও কল্যাণ দান কর এবং আমাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত এ দোয়াকে সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া বলা হয়।
রাসুল (সা.)–এর সময়ের ঘটনা। একজন যুবক ছিলেন স্বাস্থ্যবান। হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন। অসুখে তাঁর স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ল। তাঁকে দেখলে মনে হতো, যেকোনো সময় মারা যাবেন।
খবর পেয়ে রাসুল (সা.) তাঁকে দেখতে এলেন। রাসুলও তাঁকে দেখে অবাক। জানতে চাইলেন, তোমার তো এমন হওয়ার কথা নয়। কী করে এ অবস্থা হলো? তুমি কি আল্লাহর কাছে বিশেষ কোনো দোয়া করেছ?
যুবক বলল, আপনি ঠিকই ধরেছেন, ‘আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি, হে আল্লাহ! আমার আখিরাতের প্রাপ্য সব শাস্তি দুনিয়াতে যেন পাই। আখিরাতে যেন কোনো কষ্ট না পাই।’
রাসুল (সা.) বললেন, ‘তুমি এ কেমন ধরনের দোয়া করেছ? তোমার এই দোয়া করা ঠিক হয়নি। কারণ, আখিরাতের শাস্তি দুনিয়ায় ভোগ করার সাধ্য কোনো মানুষের নেই। তুমি কেন সহজ দোয়া করছ না?’
এই বলে রাসুল (সা.) দোয়া তাঁকে শিখিয়ে দিলেন, ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাওঁ, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাওঁ, ওয়াকিনা আজাবান্নার।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২০১) এর অর্থ: ‘আর তাদের মধ্যে অনেকে বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দাও ও পরকালেও কল্যাণ দাও এবং আমাদেরকে অগ্নিযন্ত্রণা থেকে রক্ষা করো।’
আরেকটি ঘটনা। সাহাবি আনাস ইবনে মালিক (রা.) তখন বৃদ্ধ, চলতে-ফিরতে অক্ষম। তাঁর কাছে বসরা থেকে একদল লোক এসে বলল, ‘হে আনাস (রা.), আপনি রাসুল (সা.)–কে দেখেছেন। আপনার মতো সৌভাগ্যবান মানুষের কাছ থেকে শুধু দোয়া নিতে আমরা বসরা থেকে এসেছি। আমাদের জন্য দোয়া করুন।’ তখন আনাস (রা.) তাঁদের নিয়ে আল্লাহর দরবারে হাত তুলে ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ পড়ে দোয়া করলেন।
বসরার লোকেরা বলল, আরও কিছু দোয়া করুন। আনাস (রা.) আবারও এই দোয়া করলেন। আনাস (রা.) কয়েকবার এ দোয়াই করলেন।
আনাস (রা.) তাঁদের বললেন, ‘আমি শ্রেষ্ঠতম দোয়াটিই করেছি। যদি এই একটি দোয়া কবুল হয়, তবে তোমাদের অন্য যা কিছু প্রয়োজন, সবই এর বরকতে পূরণ হয়ে যাবে।’
এই দোয়া শুরু হয়েছে রা��্বানা দিয়ে। দোয়ায় তিনটি অংশ আছে—১. দুনিয়ার কল্যাণ ২. আখিরাতের কল্যাণ এবং ৩. জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি।
মহান আল্লাহর থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ভয় থাকতে হবে, আবার তিনি আমাদের চাওয়াগুলো কবুল করবেন, এই আশাবাদ থাকতে হবে। দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনা করতে হবে, জান্নাত পাওয়ার আশা করতে হবে, ঠিক তেমনি জাহান্নামের আগুনের ভয়েও সতর্ক থাকতে হবে। এ বিষয়গুলো অত্যন্ত সুন্দরভাবে এই দোয়ায় আছে। তাই এ দোয়া এত সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ।
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
রাব্বানাআতিনাফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
Why should I read 'Rabbana Atina Fidduniya'?
0 notes
ilyforallahswt · 3 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
Why should I read 'Rabbana Atina Fidduniya'?
রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও দোয়া:
'রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানা, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানা, ওয়াকিনা আজাবান্নার। ' অর্থ : হে আমার প্রভু! আমাকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান কর, আখেরাতেও কল্যাণ দান কর এবং আমাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত এ দোয়াকে সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া বলা হয়।
রাসুল (সা.)–এর সময়ের ঘটনা। একজন যুবক ছিলেন স্বাস্থ্যবান। হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন। অসুখে তাঁর স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ল। তাঁকে দেখলে মনে হতো, যেকোনো সময় মারা যাবেন।
খবর পেয়ে রাসুল (সা.) তাঁকে দেখতে এলেন। রাসুলও তাঁকে দেখে অবাক। জানতে চাইলেন, তোমার তো এমন হওয়ার কথা নয়। কী করে এ অবস্থা হলো? তুমি কি আল্লাহর কাছে বিশেষ কোনো দোয়া করেছ?
যুবক বলল, আপনি ঠিকই ধরেছেন, ‘আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি, হে আল্লাহ! আমার আখিরাতের প্রাপ্য সব শাস্তি দুনিয়াতে যেন পাই। আখিরাতে যেন কোনো কষ্ট না পাই।’
রাসুল (সা.) বললেন, ‘তুমি এ কেমন ধরনের দোয়া করেছ? তোমার এই দোয়া করা ঠিক হয়নি। কারণ, আখিরাতের শাস্তি দুনিয়ায় ভোগ করার সাধ্য কোনো মানুষের নেই। তুমি কেন সহজ দোয়া করছ না?’
এই বলে রাসুল (সা.) দোয়া তাঁকে শিখিয়ে দিলেন, ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাওঁ, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাওঁ, ওয়াকিনা আজাবান্নার।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২০১) এর অর্থ: ‘আর তাদের মধ্যে অনেকে বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দাও ও পরকালেও কল্যাণ দাও এবং আমাদেরকে অগ্নিযন্ত্রণা থেকে রক্ষা করো।’
আরেকটি ঘটনা। সাহাবি আনাস ইবনে মালিক (রা.) তখন বৃদ্ধ, চলতে-ফিরতে অক্ষম। তাঁর কাছে বসরা থেকে একদল লোক এসে বলল, ‘হে আনাস (রা.), আপনি রাসুল (সা.)–কে দেখেছেন। আপনার মতো সৌভাগ্যবান মানুষের কাছ থেকে শুধু দোয়া নিতে আমরা বসরা থেকে এসেছি। আমাদের জন্য দোয়া করুন।’ তখন আনাস (রা.) তাঁদের নিয়ে আল্লাহর দরবারে হাত তুলে ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ পড়ে দোয়া করলেন।
বসরার লোকেরা বলল, আরও কিছু দোয়া করুন। আনাস (রা.) আবারও এই দোয়া করলেন। আনাস (রা.) কয়েকবার এ দোয়াই করলেন।
আনাস (রা.) তাঁদের বললেন, ‘আমি শ্রেষ্ঠতম দোয়াটিই করেছি। যদি এই একটি দোয়া কবুল হয়, তবে তোমাদের অন্য যা কিছু প্রয়োজন, সবই এর বরকতে পূরণ হয়ে যাবে।’
এই দোয়া শুরু হয়েছে রাব্বানা দিয়ে। দোয়ায় তিনটি অংশ আছে—১. দুনিয়ার কল্যাণ ২. আখিরাতের কল্যাণ এবং ৩. জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি।
মহান আল্লাহর থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ভয় থাকতে হবে, আবার তিনি আমাদের চাওয়াগুলো কবুল করবেন, এই আশাবাদ থাকতে হবে। দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনা করতে হবে, জান্নাত পাওয়ার আশা করতে হবে, ঠিক তেমনি জাহান্নামের আগুনের ভয়েও সতর্ক থাকতে হবে। এ বিষয়গুলো অত্যন্ত সুন্দরভাবে এই দোয়ায় ��ছে। তাই এ দোয়া এত সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ।
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
রাব্বানাআতিনাফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
Why should I read 'Rabbana Atina Fidduniya'?
0 notes
myreligionislam · 3 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
Why should I read 'Rabbana Atina Fidduniya'?
রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও দোয়া:
'রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানা, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানা, ওয়াকিনা আজাবান্নার। ' অর্থ : হে আমার প্রভু! আমাকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান কর, আখেরাতেও কল্যাণ দান কর এবং আমাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত এ দোয়াকে সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া বলা হয়।
রাসুল (সা.)–এর সময়ের ঘটনা। একজন যুবক ছিলেন স্বাস্থ্যবান। হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন। অসুখে তাঁর স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ল। তাঁকে দেখলে মনে হতো, যেকোনো সময় মারা যাবেন।
খবর পেয়ে রাসুল (সা.) তাঁকে দেখতে এলেন। রাসুলও তাঁকে দেখে অবাক। জানতে চাইলেন, তোমার তো এমন হওয়ার কথা নয়। কী করে এ অবস্থা হলো? তুমি কি আল্লাহর কাছে বিশেষ কোনো দোয়া করেছ?
যুবক বলল, আপনি ঠিকই ধরেছেন, ‘আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি, হে আল্লাহ! আমার আখিরাতের প্রাপ্য সব শাস্তি দুনিয়াতে যেন পাই। আখিরাতে যেন কোনো কষ্ট না পাই।’
রাসুল (সা.) বললেন, ‘তুমি এ কেমন ধরনের দোয়া করেছ? তোমার এই দোয়া করা ঠিক হয়নি। কারণ, আখিরাতের শাস্তি দুনিয়ায় ভোগ করার সাধ্য কোনো মানুষের নেই। তুমি কেন সহজ দোয়া করছ না?’
এই বলে রাসুল (সা.) দোয়া তাঁকে শিখিয়ে দিলেন, ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাওঁ, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাওঁ, ওয়াকিনা আজাবান্নার।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২০১) এর অর্থ: ‘আর তাদের মধ্যে অনেকে বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দাও ও পরকালেও কল্যাণ দাও এবং আমাদেরকে অগ্নিযন্ত্রণা থেকে রক্ষা করো।’
আরেকটি ঘটনা। সাহাবি আনাস ইবনে মালিক (রা.) তখন বৃদ্ধ, চলতে-ফিরতে অক্ষম। তাঁর কাছে বসরা থেকে একদল লোক এসে বলল, ‘হে আনাস (রা.), আপনি রাসুল (সা.)–কে দেখেছেন। আপনার মতো সৌভাগ্যবান মানুষের কাছ থেকে শুধু দোয়া নিতে আমরা বসরা থেকে এসেছি। আমাদের জন্য দোয়া করুন।’ তখন আনাস (রা.) তাঁদের নিয়ে আল্লাহর দরবারে হাত তুলে ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ পড়ে দোয়া করলেন।
বসরার লোকেরা বলল, আরও কিছু দোয়া করুন। আনাস (রা.) আবারও এই দোয়া করলেন। আনাস (রা.) কয়েকবার এ দোয়াই করলেন।
আনাস (রা.) তাঁদের বললেন, ‘আমি শ্রেষ্ঠতম দোয়াটিই করেছি। যদি এই একটি দোয়া কবুল হয়, তবে তোমাদের অন্য যা কিছু প্রয়োজন, সবই এর বরকতে পূরণ হয়ে যাবে।’
এই দোয়া শুরু হয়েছে রাব্বানা দিয়ে। দোয়ায় তিনটি অংশ আছে—১. দুনিয়ার কল্যাণ ২. আখিরাতের কল্যাণ এবং ৩. জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি।
মহান আল্লাহর থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ভয় থাকতে হবে, আবার তিনি আমাদের চাওয়াগুলো কবুল করবেন, এই আশাবাদ থাকতে হবে। দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনা করতে হবে, জান্নাত পাওয়ার আশা করতে হবে, ঠিক তেমনি জাহান্নামের আগুনের ভয়েও সতর্ক থাকতে হবে। এ বিষয়গুলো অত্যন্ত সুন্দরভাবে এই দোয়ায় আছে। তাই এ দোয়া এত সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ।
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
রাব্বানাআতিনাফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
Why should I read 'Rabbana Atina Fidduniya'?
রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও দোয়া
0 notes
allahisourrabb · 3 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
Why should I read 'Rabbana Atina Fidduniya'?
রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও দোয়া:
'রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানা, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানা, ওয়াকিনা আজাবান্নার। ' অর্থ : হে আমার প্রভু! আমাকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান কর, আখেরাতেও কল্যাণ দান কর এবং আমাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত এ দোয়াকে সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া বলা হয়।
রাসুল (সা.)–এর সময়ের ঘটনা। একজন যুবক ছিলেন স্বাস্থ্যবান। হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন। অসুখে তাঁর স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ল। তাঁকে দেখলে মনে হতো, যেকোনো সময় মারা যাবেন।
খবর পেয়ে রাসুল (সা.) তাঁকে দেখতে এলেন। রাসুলও তাঁকে দেখে অবাক। জানতে চাইলেন, তোমার তো এমন হওয়ার কথা নয়। কী করে এ অবস্থা হলো? তুমি কি আল্লাহর কাছে বিশেষ কোনো দোয়া করেছ?
যুবক বলল, আপনি ঠিকই ধরেছেন, ‘আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি, হে আল্লাহ! আমার আখিরাতের প্রাপ্য সব শাস্তি দুনিয়াতে যেন পাই। আখিরাতে যেন কোনো কষ্ট না পাই।’
রাসুল (সা.) বললেন, ‘তুমি এ কেমন ধরনের দোয়া করেছ? তোমার এই দোয়া করা ঠিক হয়নি। কারণ, আখিরাতের শাস্তি দুনিয়ায় ভোগ করার সাধ্য কোনো মানুষের নেই। তুমি কেন সহজ দোয়া করছ না?’
এই বলে রাসুল (সা.) দোয়া তাঁকে শিখিয়ে দিলেন, ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাওঁ, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাওঁ, ওয়াকিনা আজাবান্নার।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২০১) এর অর্থ: ‘আর তাদের মধ্যে অনেকে বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দাও ও পরকালেও কল্যাণ দাও এবং আমাদেরকে অগ্নিযন্ত্রণা থেকে রক্ষা করো।’
আরেকটি ঘটনা। সাহাবি আনাস ইবনে মালিক (রা.) তখন বৃদ্ধ, চলতে-ফিরতে অক্ষম। তাঁর কাছে বসরা থেকে একদল লোক এসে বলল, ‘হে আনাস (রা.), আপনি রাসুল (সা.)–কে দেখেছেন। আপনার মতো সৌভাগ্যবান মানুষের কাছ থেকে শুধু দোয়া নিতে আমরা বসরা থেকে এসেছি। আমাদের জন্য দোয়া করুন।’ তখন আনাস (রা.) তাঁদের নিয়ে আল্লাহর দরবারে হাত তুলে ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ পড়ে দোয়া করলেন।
বসরার লোকেরা বলল, আরও কিছু দোয়া করুন। আনাস (রা.) আবারও এই দোয়া করলেন। আনাস (রা.) কয়েকবার এ দোয়াই করলেন।
আনাস (রা.) তাঁদের বললেন, ‘আমি শ্রেষ্ঠতম দোয়াটিই করেছি। যদি এই একটি দোয়া কবুল হয়, তবে তোমাদের অন্য যা কিছু প্রয়োজন, সবই এর বরকতে পূরণ হয়ে যাবে।’
এই দোয়া শুরু হয়েছে রাব্বানা দিয়ে। দোয়ায় তিনটি অংশ আছে—১. দুনিয়ার কল্যাণ ২. আখিরাতের কল্যাণ এবং ৩. জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি।
মহান আল্লাহর থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ভয় থাকতে হবে, আবার তিনি আমাদের চাওয়াগুলো কবুল করবেন, এই আশাবাদ থাকতে হবে। দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনা করতে হবে, জান্নাত পাওয়ার আশা করতে হবে, ঠিক তেমনি জাহান্নামের আগুনের ভয়েও সতর্ক থাকতে হবে। এ বিষয়গুলো অত্যন্ত সুন্দরভাবে এই দোয়ায় আছে। তাই এ দোয়া এত সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ।
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
রাব্বানাআতিনাফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
Why should I read 'Rabbana Atina Fidduniya'?
0 notes
mylordisallah · 3 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
Why should I read 'Rabbana Atina Fidduniya'?
রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও দোয়া:
'রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানা, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানা, ওয়াকিনা আজাবান্নার। ' অর্থ : হে আমার প্রভু! আমাকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান কর, আখেরাতেও কল্যাণ দান কর এবং আমাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত এ দোয়াকে সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া বলা হয়।
রাসুল (সা.)–এর সময়ের ঘটনা। একজন যুবক ছিলেন স্বাস্থ্যবান। হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন। অসুখে তাঁর স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ল। তাঁকে দেখলে মনে হতো, যেকোনো সময় মারা যাবেন।
খবর পেয়ে রাসুল (সা.) তাঁকে দেখতে এলেন। রাসুলও তাঁকে দেখে অবাক। জানতে চাইলেন, তোমার তো এমন হওয়ার কথা নয়। কী করে এ অবস্থা হলো? তুমি কি আল্লাহর কাছে বিশেষ কোনো দোয়া করেছ?
যুবক বলল, আপনি ঠিকই ধরেছেন, ‘আমি আল্লাহর কাছে দোয়া ক��েছি, হে আল্লাহ! আমার আখিরাতের প্রাপ্য সব শাস্তি দুনিয়াতে যেন পাই। আখিরাতে যেন কোনো কষ্ট না পাই।’
রাসুল (সা.) বললেন, ‘তুমি এ কেমন ধরনের দোয়া করেছ? তোমার এই দোয়া করা ঠিক হয়নি। কারণ, আখিরাতের শাস্তি দুনিয়ায় ভোগ করার সাধ্য কোনো মানুষের নেই। তুমি কেন সহজ দোয়া করছ না?’
এই বলে রাসুল (সা.) দোয়া তাঁকে শিখিয়ে দিলেন, ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাওঁ, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাওঁ, ওয়াকিনা আজাবান্নার।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২০১) এর অর্থ: ‘আর তাদের মধ্যে অনেকে বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দাও ও পরকালেও কল্যাণ দাও এবং আমাদেরকে অগ্নিযন্ত্রণা থেকে রক্ষা করো।’
আরেকটি ঘটনা। সাহাবি আনাস ইবনে মালিক (রা.) তখন বৃদ্ধ, চলতে-ফিরতে অক্ষম। তাঁর কাছে বসরা থেকে একদল লোক এসে বলল, ‘হে আনাস (রা.), আপনি রাসুল (সা.)–কে দেখেছেন। আপনার মতো সৌভাগ্যবান মানুষের কাছ থেকে শুধু দোয়া নিতে আমরা বসরা থেকে এসেছি। আমাদের জন্য দোয়া করুন।’ তখন আনাস (রা.) তাঁদের নিয়ে আল্লাহর দরবারে হাত তুলে ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ পড়ে দোয়া করলেন।
বসরার লোকেরা বলল, আরও কিছু দোয়া করুন। আনাস (রা.) আবারও এই দোয়া করলেন। আনাস (রা.) কয়েকবার এ দোয়াই করলেন।
আনাস (রা.) তাঁদের বললেন, ‘আমি শ্রেষ্ঠতম দোয়াটিই করেছি। যদি এই একটি দোয়া কবুল হয়, তবে তোমাদের অন্য যা কিছু প্রয়োজন, সবই এর বরকতে পূরণ হয়ে যাবে।’
এই দোয়া শুরু হয়েছে রাব্বানা দিয়ে। দোয়ায় তিনটি অংশ আছে—১. দুনিয়ার কল্যাণ ২. আখিরাতের কল্যাণ এবং ৩. জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি।
মহান আল্লাহর থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ভয় থাকতে হবে, আবার তিনি আমাদের চাওয়াগুলো কবুল করবেন, এই আশাবাদ থাকতে হবে। দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনা করতে হবে, জান্নাত পাওয়ার আশা করতে হবে, ঠিক তেমনি জাহান্নামের আগুনের ভয়েও সতর্ক থাকতে হবে। এ বিষয়গুলো অত্যন্ত সুন্দরভাবে এই দোয়ায় আছে। তাই এ দোয়া এত সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ।
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
রাব্বানাআতিনাফিদ্দুনিয়া’ কেন পড়ব
Why should I read 'Rabbana Atina Fidduniya'?
0 notes