mdarifulhaque0
mdarifulhaque0
Md. Ariful Haque
5 posts
Digital Marketing Strategist
Don't wanna be here? Send us removal request.
mdarifulhaque0 · 1 month ago
Text
‘প্রো-একটিভ’ হবেন না ‘রি-একটিভ’ হবেন ?
Tumblr media
গত শতাব্দীর শীর্ষস্থানীয় দার্শনিক এবং মনোবিজ্ঞানী উইলিয়াম জেমস খুব সুন্দরভাবে বলেছেন, আমার প্রজন্মের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হলো, দৃষ্টিভঙ্গি বদলে একজন মানুষ পারে তার জীবনকে বদলে ফেলতে। এ কথার সত্যতা সম্বন্ধে এখন বিজ্ঞানীমহলেও মিলছে সমর্থন। নিউরোসায়েন্টিস্টরা বলেন, মানুষের মস্তিষ্কের রয়েছে যে-কোনো চিন্তাকে বাস্তবায়িত করার এক অসাধারণ ক্ষমতা। মন ও মস্তিষ্কের সম্পর্ক নিয়ে দশকের পর দশকব্যাপী গবেষণার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে সাইকোনিউরো-ইমিউনলজি নামে বিজ্ঞানের নতুন শাখা।
এ বিষয়ে ডা. অ্যালেন গোল্ডস্টেইন, ডা. জন মটিল, ডা. ওয়াইল্ডার পেনফিল্ড ও ডা. ই রয় জন দীর্ঘ গবেষণার পর বলেছেন, একজন প্রোগ্রামার যেভাবে কম্পিউটারকে পরিচালিত করে, তেমনি মন মস্তিষ্ককে পরিচালিত করে। মস্তিষ্ক হচ্ছে হার্ডওয়ার আর মন হচ্ছে সফটওয়ার। নতুন তথ্য ও নতুন বিশ্বাস মস্তিষ্কের নিউরোনে নতুন ডেনড্রাইট সৃষ্টি করে। নতুন সিন্যাপসের মাধমে তৈরি হয় সংযোগের নতুন রাস্তা। বদলে যায় মস্তিষ্কের কর্মপ্রবাহের প্যাটার্ন। মস্তিষ্ক তখন নতুন দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে নতুন বাস্তবতা উপহার দেয়। নতুন বাস্তবতা ভালো হবে না খারাপ হবে, কল্যাণকর হবে না ক্ষতিকর হবে তা নির্ভর করে মস্তিষ্কে দেয়া তথ্য বা প্রোগ্রাম এর ভালো-মন্দের উপর। কল্যাণকর তথ্য ও বিশ্বাস কল্যাণকর বাস্তবতা সৃষ্টি করে আর ক্ষতিকর তথ্য বা বিশ্বাস ক্ষতিকর বাস্তবতা উপহার দেয়। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়, জীবনের নতুন বাস্তবতার চাবিকাঠি হচ্ছে দৃষ্টিভঙ্গি বা নিয়ত।
বিজ্ঞানীরা বলেন দৃষ্টিভঙ্গি দু’ধরনের।
১) প্রো-একটিভ।
২) রি-একটিভ। জীবনকে বদলাতে হলে একজন মানুষকে জানতে হবে রি-একটিভ নয়, প্রো-একটিভ দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করতে হবে।
একজন প্রো-একটিভ মানুষের বৈশিষ্ট্য ৩ টি :
১. তারা উত্তেজিত বা আবেগপ্রবণ না হয়ে ঠান্ডা মাথায় চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত ও প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
২. তারা কি কি নেই তা নিয়ে হা হুতাশ না করে যা আছে তা নিয়েই সুপরিকল্পিতভাবে কাজ করেন।
৩. তারা সাময়িক ব্যর্থতায় ভেঙে পড়েন না।
গল্প ১
বাবা �� ছেলে বিশেষ প্রয়োজনে বাড়ির পোষা গাধাটিকে বিক্রি করার জন্যে হাটের পথে যাত্রা শুরু করল। বাবা, ছেলে ও গাধা তিনজনই হেঁটে যাচ্ছে। কিছুদূর যাওয়ার পর তাদেরকে দেখে একজন বলল লোক দুটো কি বোকা। গাধা থাকতে হেঁটে যচ্ছে। একজন তো গাধার পিঠে উঠে আরাম করে যেতে পারে। বাবা ছেলেকে গাধার পিঠে উঠিয়ে দিলেন। ছেলে গাধার পিঠে আর বাবা হেঁটে চলছেন। কিছুদূর যাওয়ার পর আরেকজন বলল, কী বেয়াদব ছেলে। নিজে গাধার পিঠে আরাম করে যাচ্ছে আর বুড়ো বাপকে হাঁটিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এ মন্তব্য শোনার পর বাবা ও ছেলে স্থান পরিবর্তন করল। বাবা গাধার পিঠে আর ছেলে হেঁটে। আরও কিছুদূর অগ্রসর হওয়ার পর আরেক ব্যক্তি মন্তব্য করল, কী নিষ্ঠুর পিতা! নিজে গাধার পিঠে আরাম করছে আর মাসুম বাচ্চাটাকে হাঁটিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এ মন্তব্য শোনার পর বাবা ও ছেলে দু’জনই গাধার পিঠে উঠল। গাধা চলতে শুরু করল। কিছুদূর অগ্রসর হওয়ার পর একজন পশুপ্রেমিকের নজরে পড়ল তারা। পশুপ্রেমিক তাদের দেখে আক্ষেপ করে বলতে শুরু করল, কী অত্যাচার! কী অবিচার! একটি গাধা তার উপর দুটি লোক!
বাবা ও ছেলে পড়ল সমস্যায়। কী মুশকিল! গাধার সাথে হেঁটে গেলে দোষ। ছেলে উঠলে দোষ! বাবা উঠলে দোষ! দু’জন উঠলে দোষ! এখন কি করা যায়? বাবা ছেলে দুজন মিলে নতুন এক বুদ্ধি বের করল। বাঁশ ও রশি জোগাড় করল। গাধার চার পা ভালো করে বাঁধল। তারপর পায়ের ফাঁক দিয়ে বাঁশ ঢুকিয়ে দিল। বাবা সামনে আর ছেলে পিছনে বাঁশ কাঁধে নিয়ে হাঁটতে শুরু করল। গাধা রইল ঝুলে। গাধাকে কাঁধে নিয়ে পুল পার হওয়ার সময় গাধা ভয় পেয়ে চিৎকার করে নড়ে উঠল। বাবা, ছেলে ও গাধা পড়ে গেল খালে। গাধার মেরুদণ্ড ভাঙল। বাবা ও ছেলের ভাঙল পা। গাধা আর বেচা হলো না। বাবা ও ছেল�� আহত অবস্থায় ফিরে এল ঘরে।
এই বাবা-ছেলে হলেন রি-একটিভ। রি-একটিভ হলে নিয়ন্ত্রণ তখন নিজের হাতে থাকে না। নিয়ন্ত্রণ চলে যায় অন্যের হাতে। আপনি যখন অন্যের কথায় কষ্ট পান, অন্যের কথায় রেগে যান, অন্যের আচরণে ক্রোধে ফেটে পড়েন, অন্যের তোষামোদিতে উৎফুল্ল হয়ে ওঠেন, অন্যের চাটুকারিতায় গলে যান, অন্যের কথায় নাচেন, তখন নিয়ন্ত্রণ আর আপনার হাতে থাকে না। নিয়ন্ত্রণ চলে যায় অন্যের হাতে। গল্পের এ বাবা-ছেলের মতোই রি-একটিভ দৃষ্টিভঙ্গি সবসময় ব্যর্থতা, হতাশা ও অশান্তি সৃষ্টি করে। 
গল্প ২
এক বৃদ্ধা প্রতিদিন নবীজী (স)-র পথে কাঁটা বিছিয়ে রাখত। উদ্দেশ্য নবীজীকে কষ্ট দেয়া। নবীজী (স) প্রতিদিন কাঁটা সরিয়ে পথ চলতেন। যাতে অন্যের পায়ে কাঁটা না বিঁধে। একদিন পথে কাঁটা নেই। দ্বিতীয় দিনও পথে কাঁটা নেই। নবীজী (স) ভাবলেন, একদিন হয়তো ভুল করে বৃদ্ধা কাঁটা বিছায় নি। দুই দিন তো ভুল হতে পারে না। নিশ্চয় বৃদ্ধা অসুস্থ। তিনি খোঁজ নিলেন। বৃদ্ধা ঠিকই গুরুতর অসুস্থ। আমরা হলে হয়তো বলতাম, ‘বেটি বুড়ি আমার পথে কাঁটা বিছিয়েছিস! আল্লাহ তোকে উপযুক্ত শাস্তি দিয়েছে।’ কিন্তু নবীজী বৃদ্ধার প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করলেন। তার চিকিৎসা ও সেবা শুশ্রূষার ব্যবস্থা করলেন। বৃদ্ধা সুস্থ হয়ে উঠলেন।
সুস্থ হওয়ার পর বৃদ্ধার মনে প্রশ্ন জাগল, যাদের কথায় নবীর পথে কাঁটা বিছিয়েছি, তারা তো কেউ আমাকে দেখতে আসে নি। বরং যাকে কষ্ট দেয়ার জন্যে কাঁটা বিছিয়েছি, তিনিই আমার সেবা শুশ্রূষার ব্যবস্থা করলেন। মানুষ হিসেবে নবীজীই ভালো মানুষ। বৃদ্ধা নবীজীর ধর্ম গ্রহণ করলেন। নবীজী (স) প্রো-একটিভ ছিলেন বলেই বৃদ্ধাকে প্রভাবিত করতে পেরেছিলেন। বৃদ্ধা যা-ই করুক না কেন, বৃদ্ধার আচরণ দ্বারা নবীজী (স) প্রভাবিত হন নি। নবীজী (স) বৃদ্ধার সাথে সেই আচরণই করেছেন, যা তিনি সঙ্গত মনে করেছেন। সে কারণেই বিরুদ্ধাচরণকারী বৃদ্ধা নবী অনুরাগীতে রূপান্তরিত হলো।
প্রো-একটিভ অর্থ হচ্ছে যে-কোনো পরিস্থিতিতে উত্তেজিত বা আবেগপ্রবণ না হয়ে ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত ও প্রদক্ষেপ গ্রহণ। প্রো-একটিভ অর্থ হচ্ছে অন্যের কাজের প্রতিক্রিয়া হিসেবে কোনো কাজ বা আচরণ না করা। সর্বাবস্থায় নিজের লক্ষ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে আচরণ ও কর্মপন্থা অবলম্বন করা। প্রো-একটিভ অর্থ হচ্ছে কি কি নেই তা নিয়ে হা-হুতাশ না করে যা আছে তা নিয়েই সুপরিকল্পিতভাবে কাজ শুরু করা। প্রো-একটিভ দৃষ্টিভঙ্গি সবসময় সাফল্য ও বিজয় ছিনিয়ে আনে।
প্রো-একটিভ মানুষই অন্যকে প্রভাবিত করে, পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করে নিজের পক্ষে নিয়ে আসতে পারে। এই জন্যেই মহামানবরা সবসময় প্রো-একটিভ ছিলেন। নবীজী (স)-র জীবন দেখুন। তিনি সবসময় প্রো-একটিভ ছিলেন। ফলে প্রভাবিত করতে পেরেছেন সবাইকে। 
0 notes
mdarifulhaque0 · 1 month ago
Text
Humans are the most dangerous animal in the world.
0 notes
mdarifulhaque0 · 1 month ago
Text
youtube
1 note · View note
mdarifulhaque0 · 2 months ago
Text
স্বপ্ন থেকে বাস্তবতা
স্বপ্ন তো আমরা সবাই দেখি। শৈশবে করা চিরপরিচিত প্রশ্ন বড় হয়ে কী হতে চাই- এর জবাবে তো অনেকেই অনেক কিছু করার, অনেক কিছু হবার স্বপ্নের কথা বলতাম। পরীক্ষার খাতায় আমার জীবনের লক্ষ্য রচনায় সুন্দর করে লিখতাম নিজেদের স্বপ্ন আর লক্ষ্যের কথা। কিন্তু দিনশেষে আমাদের অধিকাংশের স্বপ্নগুলো স্বপ্নই রয়ে যায়। অথচ, এ স্বপ্নগুলো বাস্তবে রূপ দেওয়াটা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়।
Tumblr media
স্বপ্নকে বাস্তবতায় রূপ দেওয়ার জন্যে প্রয়োজন অধ্যবসায়, অদম্য ইচ্ছাশক্তি, চেষ্টা আর পরিশ্রম। আমাদের দেখা স্বপ্নগুলো পরিণত হবে বাস্তবতায়- তবে, এ স্বপ্নটা পূরণ করতে হলেও পোড়াতে হবে কিছু কাঠ-খড়। স্বপ্নকে বাস্তবতায় টেনে আনার একটি চমৎকার রূপকল্প আছে। যেটার শুরুটা হয় স্বপ্ন থেকেই।
“স্বপ্ন সেটা নয় যা তুমি ঘুমিয়ে দেখো; স্বপ্ন হলো সেটা যা তোমাকে ঘুমাতে দেয় না।”
– এ. পি. জে আব্দুল কালাম
আশা করতেই পারি যে, স্বপ্নের প্রকৃত সংজ্ঞাটা এবার বুঝতে পেরেছি আমরা। কিন্তু সমস্যাটা হলো স্বপ্ন দেখাটাই তো সব নয়। স্বপ্ন দেখা হয়ে গেলে সেটাকে সত্যি করার মিশনে নামতে হবে। আর সেই মিশনের প্রথম পদক্ষেপ হলো স্বপ্নটাকে লিখে রাখা। অবাক হওয়ার মতো হলেও এটাই আসলে স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপ! অনেকেই ভাবতে পারেন যে লিখে রাখার বাড়তি সুবিধাটা কোথায়? সুবিধাটা হলো, এই লিখিত স্বপ্নটাই আসলে আপনার স্বপ্ন পূরণের প্রধান রিমাইন্ডার। এবং এতে স্বপ্ন পূরণে সফল হওয়ার নিশ্চয়তাও অনেকখানি বেড়ে যায়।
লক্ষ্য: স্বপ্ন দেখা হয়ে গেলো, লিখে রাখাও হলো। এবার পালা লক্ষ্য নির্ধারণের। আমরা অনেকেই স্বপ্ন আর লক্ষ্যকে এক ভেবে ভুল করে বসি। কিন্তু স্বপ্ন আর লক্ষ্যের মাঝে কিছুটা তফাত রয়েছে। স্বপ্নটাকে যখন কাগজে কলমে, ডেডলাইন সহ লিখে রাখা হয় তখন সেটা লক্ষ্যে পরিণত হয়।
পরিকল্পনা: স্বপ্ন দেখা হলো, লক্ষ্যও নির্ধারন করা হলো। এবার পালা লক্ষ্য অর্জনের জন্যে কর্মপরিকল্পনা করে ফেলা। এই পরিকল্পনাটা যতখানি গোছানো হবে পুরো বিষয়টা ততখানি দৃশ্যমান হবে।
পরিকল্পনা মোতাবেক যখন প্রতিনিয়ত কাজ করা হবে তখনই আপনার স্বপ্ন পরিণত হবে বহু প্রতীক্ষিত বাস্তবতায়।
সবই তো হলো কিন্তু তবুও একটা “কিন্তু”-ও কিন্তু রয়েই যায় দিন শেষে। সেটা হলো স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপ অর্থাৎ, স্বপ্নটাকে ডেডলাইনসহ লিখে রাখার মাধ্যমে লক্ষ্য নির্ধারণ করা; এই লিখবার কাজটাই আমরা অনেকে করি না। তারপর হতাশ হয়ে আক্ষেপের সুরে বলে বসি যে, “আমাকে দিয়ে হবে না। সম্ভব না। এ আমার কর্ম নয়।” ইত্যাদি ইত্যাদি আরো কত কী! অথচ এই আমরাই আমাদের স্বপ্নগুলোকে একটা পর্যায়ে আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে পাঠিয়ে দেই। আমাদের কারণেই আমাদের স্বপ্নগুলো স্বপ্ন থেকে লক্ষ্যে পৌঁছায় না।
মনে রাখুন,
“A dream written down with a date becomes a goal.
A goal breaks down with steps becomes a plan.
A plan backed by action becomes reality.”
– Greg S. Reid
তাই, আজই খুঁজে বের করুন আপনার স্বপ্ন পূরণের পথে ঠিক কোন ধাপে আছেন আপনি আর পরবর্তী ধাপে অগ্রসরের পথে বাঁধাটাই বা কোথায়? তারপর সেটাকে সরিয়ে দিয়ে একের একের পর এক ধাপ অতিক্রম করে আপনার স্বপ্নকে পরিণতি দিন বাস্তবতায়।
0 notes
mdarifulhaque0 · 4 years ago
Text
বিশ্বাস অসম্ভবকেও সম্ভব করতে পারে।
Tumblr media
সাফল্যের জ���্যে, মন ও মস্তিষ্কের অফুরন্ত শক্তিকে কাজে লাগানোর জন্যে প্রথমত প্রয়োজন এর ওপরে বিশ্বাস স্থাপন। বিজ্ঞানীরা বলেন, ‘আমি পারব, এই দৃঢ় বিশ্বাসই সকল সাফল্যের ভিত্তি’। তারা বলেন, পারব বলে বিশ্বাস করলে আপনি অবশ্যই পারবেন। আসলে বিশ্বাস হচ্ছে সকল সাফল্য, সকল অর্জনের ভিত্তি। বিশ্বাসই রোগ নিরাময় করে, ব্যর্থতাকে সাফল্যে আর অশান্তিকে প্রশান্তিতে রূপান্তরিত করে। বিশ্বাসই মেধাকে বিকশিত করে, যোগ্যতাকে কাজে লাগায় আর দক্ষতা সৃষ্টি করে। বিশ্বাস কীভাবে যোগ্যতা ও সাফল্য সৃষ্টি করে তার অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। তার মধ্যে একটি অবাক করা উদাহরণটি চিন্তা করুন।
হাজার বছর ধরে দৌড়বিদরা মনে করতেন চার মিনিটে এক মাইল দৌড়ানো সম্ভব নয়। বিশেষজ্ঞরা বলতেন যে, মানুষের পায়ের পেশির শক্তি ও ফুসফুসের সামর্থ্য—এ দুটোই এক্ষেত্রে অন্তরায়। এমনকি চেষ্টা করলে সে মারাও যেতে পারে। হাজার বছর পর ইংল্যান্ডের যুবক রজার ব্যানিস্টার প্রথম বিশ্বাস শুরু করলেন, চার মিনিটে এক মাইল দৌড়ানো যাবে। অনুশীলনের পর অনুশীলন। সবাইকে অবাক করে দিয়ে ১৯৫৩ সালে তিনি চার মিনিটে এক মাইল দৌড়ের রেকর্ড করলেন। তার ১৫ দিনের মাথায় জন ল্যান্ডি চার মিনিটের চেয়ে দুই সেকেন্ড কমে এক মাইল দৌড়ালেন। বিস্ময় কিন্তু ওখানে নয়, বিস্ময় তারপরে। পরবর্তী ৩০ বছরে হাজারেরও বেশি দৌড়বিদ চার মিনিটে এক মাইল দৌড়িয়েছেন। যখন মানুষ বিশ্বাস করত যে, সম্ভব নয়, কেউ পারে নি। যেদিন রজার ব্যানিস্টার বিশ্বাস করলেন এবং করে দেখিয়ে দিলেন, তারপর হাজার জন পারলেন। ঘটনাটি গুগলে জানতে পারবেন।
এখন চিন্তা করুন  যেটা কেউই কখনাে পারেনি এমনকি বিশেষজ্ঞরা সম্ভম না বলে ব্যাখ্যাও দিয়ে দিল। সেই অসাধারণ এক কাজ চার মিনিটে এক মাইল দৌড়ে দেখালেন রজার ব্যানিস্টার। এবং তার ত্রিশ বছরে হাজারো দৌড়বিদ তৈরি হল। তাহলে অসম্ভবকে সম্ভব করে সাফল্যে এগিয়ে যাওয়া বিশ্বাসের প্রয়োজন নয় কি ?
0 notes