Tumgik
#আগ্রা
chattogramlive · 2 years
Text
তাজমহল পরিদর্শন করলো বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন
তাজমহল পরিদর্শন করলো বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন
ভারতে সফররত বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন টিম সফরের দ্বিতীয় দিন বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্য তাজমহল পরিদর্শন করেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে তাজমহলে পৌঁছে ডেলিগেশন টিম। তাজমহলে পৌঁছালে সেখানে ভারতের ন্যাশানাল সার্ভিস স্কিম (এনএসএস) এর সদস্যরা ডেলিগেশন টিমকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান এবং উত্তরীয় পরিয়ে দেন। এরপর তাজমহল নিয়ে ডেলিগেটসদেরকে বিস্তারিত তুলে ধরেন গাইড রাকেশ। তিনি তাজমহল তৈরির ইতিহাস, তৈরি…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
banglavisiononline · 2 months
Link
ভারতের উত্তর প্রদেশে যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় অন্তত
0 notes
banglakhobor · 1 year
Text
আগ্রায় বাড়ল পেট্রোল ও ডিজেলের দর, জ্বালানির দর কত আপনার শহরে ?
কলকাতা: আজ বৃহস্পতিবার কলকাতা-সহ সারা দেশে কোথায় দাঁড়িয়ে পেট্রোল ও ডিজেলের দর ? ফের কি জ্বালানির দরে বদল এসেছে ? প্রশ্নের মাঝেই এদিন ফের আগ্রা,  আজমির-সহ দেশের একাধিক শহরে পেট্রোল-ডিজেলের দরে পরিবর্তন (Petrol and Diesel Price Graph) এসেছে। তাহলে অবশ্যই কাজের বেরোবার আগে একবার চোখ রাখুন, আপনার শহরের পেট্রোল ও ডিজেলের দরে (Petrol and Diesel Rate)।  আজ জ্বালানির দর বেড়েছে কোন কোন শহরে ? ৩ অগাস্ট…
View On WordPress
0 notes
Video
youtube
Tajmahal India তাজমহল ভারতের আগ্রা শহরে অবস্থিত। এটি মুঘল সাম্রাজ্যের একটি ঐতিহ্যবাহী স্মৃতি, যা ১৬৩২ থেকে ১৬৫৩ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তৈরি করা হয়েছিল। শাহজাহান তার প্রিয় স্ত্রী মুমতাজ মহালের স্মৃতিতে এই স্মৃতিস্তম্ভটি তৈরি করেছিলেন। তাজমহলের স্থান কেন একটি ঐতিহ্যবাহী হিসেবে বিশ্বের চোখে দাখিল হল? এর উত্তর খুবই সহজ। তাজমহলের স্থান হল শাহজাহানের প্রিয় স্ত্রী মুমতাজ মহালের স্মৃতিতে এবং এটি একটি দিব্য সৌন্দর্য্য যা ভারতের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যবাহী মুঘল স্মৃতিতে সংক্ষেপে রূপ পেয়েছে। তাজমহলের স্থাপত্য খুবই উন্নয়নশীল এবং সৌন্দর্যের দিক থেকে অন্যতম। এটি সম্পূর্ণ মার্বেল এবং আকর্ষণীয় মোট উচ্চতা ৭৩ মিটার। এছাড়াও এটি একটি উন্নয়নশীল নকশা সম্পন্ন এবং প্রতিফলিত হয়েছে একটি মুঘল স্থাপত্য শৈলীতে। তাজমহলের ভেতরে প্রবেশ করলে আপনি একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পেতে পারবেন। এখানে থাকা উল্লেখযোগ্য কার্পেট, সুন্দর কাঁচের পাত্র এবং সোনার এবং ছাঁদমাসজিদসহ অন্যান্য সৌন্দর্যের উপাদান একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সৃষ্টি করে। তাজমহল ভারতের প্রখ্যাত ঐতিহ্যবাহী স্মৃতিগুলির মধ্যে একটি। এটি ভারতের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি নিয়ে একটি ভালো উদাহরণ এবং এটি আপনাকে সৌন্দর্যের প্রাকৃতিক মহল অনুভব করতে সাহায্য করবে। আপনি যদি ভারতে ভ্রমণ করতে চান এবং সৌন্দর্য, ঐতিহ্যবাহী স্মৃতি এবং তাজমহল দেখতে চান, তবে আগ্রা শহর আপনার জন্য একটি আবশ্যিক স্থান। ধন্যবাদ যে যেন এই ভিডিওটি দেখার জন্য সময় দিয়েছেন। তাজমহল সম্পর্কে আরও জানতে আমাদের ভিডিওটি দেখতে থাকুন। এবং আমাদের চ্যানেলে moonbd tv সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না! #তাজমহল #ভারত #আগ্রা #মুঘলশিল্প #ইউনেস্কো #বিশ্বঐতিহ্যস্থল #বিশ্বেরআশ্চর্য্য #ইতিহাস #ভ্রমণ #সংস্কৃতি #শিল্প #ভালোবাসারগল্প #শাহজাহান #মুমতাজমহল #দৃশ্যচারীতা #স্মৃতিচিহ্ন #সৌন্দর্য #ফটোগ্রাফি #অবিশ্বাস্যভারত #ভারতঘুরে #খোঁজকরেন্দ্রিয়ভারত #TajMahal #India #Agra #MughalArchitecture #UNESCO #WorldHeritageSite #WonderOfTheWorld #History #Travel #Culture #Art #Architecture #LoveStory #ShahJahan #MumtazMahal #Sightseeing #Monument #Beauty #Photography #IncredibleIndia #VisitIndia #ExploreIndia by moonbd tv
0 notes
24x7newsbengal · 1 year
Link
0 notes
khabarsamay · 2 years
Link
0 notes
khulnabazar · 2 years
Text
অবশেষে প্রকাশিত হলো তাজমহলের সেই ২২টি ‘গোপন কুঠুরির’ ছবি
অবশেষে প্রকাশিত হলো তাজমহলের সেই ২২টি ‘গোপন কুঠুরির’ ছবি
নিউজনাউ ডেস্ক: গত বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনায় ছিলো তাজমহলের নিচের ২২ তালাবদ্ধ ঘর। এই ঘরগুলো খোলার আবেদন নিয়ে আদালতের গিয়েছিলেন ভারতের হিন্দুত্ববাদীরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (১৬ মে) সেই গোপন কুঠুরিগুলোর ছবি প্রকাশ করেছে আর্কিয়োলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা এএসআই। এএসআই কর্মকর্তারা জানান, কুঠুরিগুলোতে কোনো গোপনীয়তা নেই। এগুলো মূল কাঠামোর অংশমাত্র। শুধু তাজমহল নয়, এমন কুঠুরি অনেক যুগের স্থাপত্যেই…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
wing-news · 3 years
Text
প্রথমবার, কানপুর যুবকের 10 বছরের জেল হয়, ইউপিতে 'লাভ জিহাদ' আইনের অধীনে 30,000 টাকা জরিমানা
প্রথমবার, কানপুর যুবকের 10 বছরের জেল হয়, ইউপিতে ‘লাভ জিহাদ’ আইনের অধীনে 30,000 টাকা জরিমানা
আইন অনুসারে, একটি বিবাহকে “বাতিল এবং বাতিল” ঘোষণা করা হবে যদি দেখা যায় যে বিবাহের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল মহিলাকে ধর্মান্তরিত করা। . Source by [author_name]
View On WordPress
0 notes
indiarag · 6 years
Text
ফৈজাবাদের পর এবার পালা আগ্রার ! ইসলামিক নাম মুছে নতুন নাম রাখার প্রক্রিয়া চালু করলেন যোগী আদিত্যনাথ।
ফৈজাবাদের পর এবার পালা আগ্রার ! ইসলামিক নাম মুছে নতুন নাম রাখার প্রক্রিয়া চালু করলেন যোগী আদিত্যনাথ।
মুঘল সরাই, ইলাহাবাদ, ফৈজাবাদ এর নাম পরিবর্তনের পর এবার পরবর্তী সংখ্যা আগ্রা শহরের। একদিকে মহারাষ্ট্রের সরকার ঔরঙ্গবাদকে সম্ভাজিনগর করতে পারছে না, গুজরাটের সরকার আমেদাবাদকে কর্ণাবতী করতে পারছে না সেখানে যোগী আদিত্যানাথ একের পর এক নাম পরিবর্তন করে পুরানো গৌরব ফিরিয়ে আনছেন। এখানেই যোগী আদিত্যানাথ ও অন্যান্য বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর সাথে অনেক বড়ো একটা পার্থক্য রয়েছে। এবার খুব শীঘ্রই আগ্রা শহর তার পুরানো…
View On WordPress
0 notes
rupalialo · 7 years
Text
যেখানে ধর্ষণ ও গণধর্ষেণের ভিডিও সিডি বিক্রয় করা হয়
ছোট ছোট দোকান। মোবাইল রিচার্জ, ফটোকপি বা গান ছবি ডাউনলোড করা হয়। কিন্তু অস্বাভাবিক ভিড় দেখলে যে কারও কৌতূহল জাগবে। কী এমন আছে এসব দোকানে যে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়!
ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের আগ্রা এলাকায় বেশ কয়েকটি বাজারে এমন দোকান দেখা যায়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, এসব দোকানে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে ধর্ষণ ও গণধর্ষেণের ভিডিও। এসব ভিডিও বিক্রি হচ্ছে ৫০ রুপি থেকে ১৫০ রুপিতে। যেন এখানে ধর্ষণের ভিডিও…
View On WordPress
0 notes
natunsylhet24 · 2 years
Text
সিলেটস্থ চাঁদপুর জেলা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সভা ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন
সিলেটস্থ চাঁদপুর জেলা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সভা ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন
সিলেটস্থ চাঁদপুর জেলা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সভা ও ইফতার মাহফিল (১৬ এপ্রিল) শনিবার নগরীর সোবহানীঘাটস্থ দি আগ্রা কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সড়ক ও জনপথ বিভাগ সিলেটের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ শাহদাৎ হোসেন। সিলেটস্থ চাঁদপুর জেলা কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এ.বি.এম বাচ্চু মিয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
khulnabazar · 2 years
Text
ইতিহাসের এই দিনে
নিউজনাউ ডেস্ক: আজ ৬ জুলাই, ২০২২, বুধবার। নিউজনাউয়ের পাঠকদের জন্য ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যুসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো: ঘটনা ১৫০৫- সিকান্দার শাহ লোদির রাজত্বকালে ভয়ানক ভূমিকম্পে আগ্রা বিধ্বস্ত হয়। ১৮৮৫- বিখ্যাত ফরাসী চিকিৎসক ও বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর রোগ প্রতিরোধক টীকা আবিষ্কার করেন। ১৯৪৪- সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ রেডিওতে গান্ধীজিকে জাতির…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
wing-news · 3 years
Text
14 বছর বয়সী দলিত মেয়েকে 3 লাখ টাকায় পতিতালয়ে 'বিক্রি' করার চেষ্টা 'প্রতিরোধ' করার জন্য ধর্ষণ
14 বছর বয়সী দলিত মেয়েকে 3 লাখ টাকায় পতিতালয়ে ‘বিক্রি’ করার চেষ্টা ‘প্রতিরোধ’ করার জন্য ধর্ষণ
মঙ্গলবার ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে মেয়েটির জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি তবে তদন্ত চলছে। . Source by [author_name]
View On WordPress
0 notes
sd82sc · 6 years
Text
দর্শনাং আর্যভূমি
পারিবারিক কারণে এবার যাবার আগের দিন পর্যন্ত বাতিল করার কথা ভাবছিলাম। যাই হোক শেষ পর্যন্ত বাসে উঠলাম, যেমন প্রতিবার বাসে করে স্টেশন অবদি যাওয়া হয়। সব ঠিক চলছিল টিকিট পাওয়ার আগে পর্যন্ত, টিকিট হাতে নিয়ে দেখলাম সিট্ কন্ফার্ম হয়নি, RAC. চন্দন (ট্রাভেল এজেন্ট) TTC-কে ম্যানেজ করতে বলে পাত্তা ঝাড়ল। চেষ্টা করলাম ম্যানেজ করার কিন্তু ১২৫কোটির দেশ- হল না। অগত্যা ১টা বার্থে ২জন ২রাত কাটালাম। ভীষণ রাগ হচ্ছিল -কন্ফার্ম না, আগে জানলে যেতাম না। পরে রাগটা আরও বেড়েছিল যখন শুনেছিলাম অন্য কামরায় আমাদের ১টা বার্থ ফাঁকা এসেছে, অথচ আমাকে ২রাত বলল না, আমি এত কষ্ট করে এলাম। তবে হরিদ্বারে নেমে রাগটা উবে গেল। আসলে আমি ছোটবেলায় এই জায়গাগুলো ঘুরে গেছি তাই এখনের সাথে আগেরটা মেলানোর ইচ্ছেতেই আবার ঘুরতে আসা + তনুকে তাজমহল দেখান।
Tumblr media
৫ঘন্টা দেরি করে ট্রেন ঢুকল, তবে তাতে আমাদের সুবিধাই হল, না হলে ভোর ৪টায় ঠান্ডায় মরতে হত। স্টেশনে বাস আমাদের অপেক্ষায় ছিল। মালপত্র বাসে তুলতে কিছু সময় লাগল তারপর চললাম মুসৌরীর উদ্দেশে। কিন্তু পৌঁছতে পৌঁছতে বিকেল হয়ে যাবে তাই হরিদ্বার ছাড়িয়ে রাস্তার ধারে একটা 'ধাবায়' রান্না করে দুপুরের খাওয়া শেষ করে আবার বাসে উঠলাম। পাহাড়ী রাস্তা তাই দূরত্ব কম হলেও সময় অনেক লাগল, পৌঁছতে সন্ধ্যে হয়ে গেল। দারুন হোটেল, ঠিক যেন উল্টো বাড়ী সাথে বড় বড় জানালা দিয়ে বাইরের হিমালয় দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। পাহাড়ের ওপর তাই ৬টা বাজলেও হালকা আলো তখনও ছিল। ক্লান্ত হলেও আমরা ৩জন ঘর বন্দী না থেকে কাছের চকে ঘুরতে গেলাম। অন্ধকারে দোকান ছাড়া আর কিছুই দেখার নেই। জল ছাড়া কিছুই কিনলাম না, শুধু উইন্ডো শপিং করলাম। পরদিন ভোরে আমি একা চারদিকটা ঘুরে ছবি শিকারে বেরোলাম। বেরিয়ে দেখলাম আমি একা নই দলে দলে হবু সৈন্যরা প্যারেড করে যাচ্ছে। চারদিক ঘুরতে ঘুরতে সকাল হয়ে গেল, ততক্ষনে বাকিরাও রেডি, তাই আমি হোটেলে ফিরে সবার সাথে বাসে উঠলাম। কাছেই ছিল 'কেমটি ফলস' দেখতে গেলাম। প্রথম দেখে সবাই একটু বিরক্তই হল, তেমন দেখার মতো নয়। অনেকেই হাঁটবে না বলে বাসেই বসে রইল। এসেছি যখন- যেমনই হোক দেখতে আমি রাজি :D প্রথমে আমারও সাধারণ রুগ্ন ঝর্ণাই মনে হয়েছিল, তারপর ঝর্ণার পাশ দিয়ে একটা সিঁড়ি দেখে একটু উঠে দেখি বেশ মনোরম পরিবেশ, আসলে ঝর্ণার এই দিকটাই দেখার। আমার পিছনে পিছনে তখন বাকিরাও চলে এসেছে, শেষে সেখানেই সবাই অনেক্ষন কাটালাম। মুসৌরীতে আর কিছু তেমন দেখার ছিল না, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই এর আসল আকর্ষণ। হরিদ্বারে ঢোকার আগে ঋষিকেশ গেলাম। রামঝুলা দেখলাম, আমি ছোট বেলায় লক্ষ্মণঝুলায় গেছিলাম, এটাও একইরকম -তারের ঝুলন্ত সেতু। গঙ্গা পার হয়ে একটা আশ্রমে ঘুরলাম তারপর হরিদ্বার ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যে হয়ে গেল। হরিদ্বারে 'চিন্তামণি আশ্রম' আমাদের ২দিনের ঠিকানা হল। হোটেলে ঢুকেই কোনরকম ফ্রেশ হয়ে আমি আশপাশটা দেখতে বেরিয়ে পড়লাম, তবে এবার একা, কোন সঙ্গী পেলাম না। আন্দাজ করে 'হর-কি-পৌড়ী' পৌছালাম। clock tower-টা চিনে ঠিক পৌঁছে গেলাম। রাত হয়ে গিয়েছিল। ফাঁকা ফাঁকা, আবার নতুন জায়গা তাই একটু ভয়ই লাগছিল। গঙ্গায় একদম জল ছিল না, যেন হাড় কঙ্কাল বেরিয়ে পড়েছে, দেখে মন খারাপ হয়ে গেল, ছোটবেলায় দেখা গঙ্গায় কত জল ছিল। এরপর বাজারের দিকে পা বাড়ালাম, ছোটবেলায় খাওয়া 'দাদা-বৌদির' হোটেলের খোঁজে, নাহ! খুঁজে পেলাম না। তবে বাজারে পথ হারিয়ে ফেলেছিলাম প্রায়, শেষে ভাগ্যক্রমে হোটেল খুঁজে পেলাম, না হলে আবার উল্টো পথে এতটা ফিরতে হত। রাতে খাওয়া দাওয়ার পর ক্লান্তিতে তাড়াতাড়ি ঘুম চলে এল। পরদিন সকালেই পাহাড়ে রোপওয়ে করে মা মনসার মন্দির দেখতে গেলাম। স্বভাবতই আমি মন্দিরে প্রবেশ না করে চারপাশটা ঘুরে দেখলাম আর ছবি তুললাম। আসলে আমার কাছে ঘুরতে যাওয়ার একটাই মানে -ছবি তোলা। তনু প্রথমবার রোপওয়েতে উঠল, ওর একটা ভয় মেশান আনন্দ হচ্ছিল, সেসব ভিডিওতে বন্দী করছিলাম। ফিরে খাওয়া দাওয়া করে অটো করে সবাই একসাথে হরিদ্বারের মন্দির দর্শনে বেরলাম। দেখলাম, অবশ্যই বাইর থেকে। জুতা খুলে ভেতরে ঢোকা আমার কোনদিনই হল না। দেখতে দেখতে সন্ধ্যে হয়ে গেল, অটো আমাদের হরিদ্বারের প্রধান আকর্ষণ 'হর-কি-পৌড়ী'তে ছেড়ে দিল। সেখানে পোঁছাতে দেরী হয়ে গেছিলো তাই সন্ধ্যা আরতি আর দেখা হল না, মনের দুঃখে হোটেলে ফিরে খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। পরেরদিন সকালে তেমন কোন প্ল্যান ছিল না, তো কাল রাত্রে কিছুজন নিজেদের উদ্যোগে বাবা রামদেবের 'পতঞ্জলি' যাওয়ার কথা বলতে আমরাও ওদের সাথে যাওয়া ঠিক করলাম। ওরাই বারবার বলল একদম সকাল ৬টায় বেরবে, শুনে তনুর জন্য ভাবলাম -এত সকালে ঠান্ডায় ও যেতে রাজী হবে? যাই হোক কথা যখন দিয়েছি তো যেতেই হবে, সুযোগ যখন হয়েছে দেখেই আসি। আমরা অনেক কষ্টে ভোরে উঠে ৫টা ৪৫শে হোটেলের লবিতে বাকিদের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম ... ৬টা ৩৫মিঃ এখনও বাকিদের কারও পাত্তা নেই। তনু রেগে আবার হোটেল রুমে চলে গেল। আমারও বিরক্ত লাগছিল তবু সুযোগ যখন পেয়েছি তখন দেখেই ছাড়ব ... সকাল ৬টা ৫৫মিঃ এবার আমারও ধৈর্য্য জবাব দিল। কাল রাত্রেই আমার সন্দেহ হয়েছিল কাদের সাথে যাব বললাম, আদর্শ বাঙালী এরা, স্বভাবতই ওরা বাঙালীর ঐতিহ্য বজায় রাখল, আর আমি ভগ্ন হৃদয়ে পদব্রজে হোটেল ছাড়লাম, যেতে যেতে ঠিক করলাম পায়ে হেঁটে মা মনসার মন্দিরে উঠব। উঠলাম, ছবি তুললাম, আর নতুন ভাবে দেখলাম জায়গাটা। যেটা রোপওয়েতে এসে দেখতে পাইনি। ফিরে তনুর সাথে গঙ্গার ঘাটে গেলাম। ওকে বললাম স্নান করতে, রেডি হয়ে এল স্নান করবে বলে, কিন্তু গঙ্গায় নেমে পায়ে জল লাগতেই তিড়িং বিড়িং করে আবার ঘাটে উঠে এল, এরপর আর নামাতে পারিনি, শুধু বাবা-মায়ের জন্য এক বোতল গঙ্গা জল তুলে এনেছিল মাত্র। আঙুলে গঙ্গা জল মাথায় ছিটিয়ে কাক-স্নান সেরে হোটেলে ফিরলাম। আমি? নাহ ! নৈব নৈব চ... :D হোটেলে খাওয়া সেরে দুপুরে বাজারে গেলাম আমাদের সাথে আরো কিছুজন ছিল। সস্তার কিছু গরম পোশাক ���িনে ছোটবেলার দাদা-বৌদির হোটেল খুঁজে মনের আনন্দে বিকেলে হোটেলে ফিরলাম। সন্ধ্যায় আবার 'হর-কি-পৌড়ী' গেলাম, এবার সময় থাকতে হাজির হয়েছিলাম তাই তনু সন্ধ্যা আরতি দেখতে পেল, গঙ্গায় প্রদীপ ভাসল, পূজাও দিল। একটা ব্যাপার লক্ষ্য করলাম এখন সন্ধ্যা আরতির সময় গঙ্গার আর কালকের মত কঙ্কালসার অবস্থা নেই, খুব বেশি না হলেও জলে ভরে আছে গঙ্গা, দেখে ভালই লাগল। তনুও সবকিছু দেখে দারুণ খুশি ছিল। ফেরার পথে আবার বাজার হয়ে এলাম, তবে এবার কেনাকাটা করিনি, ওহ! হ্যাঁ ৪০টাকা দিয়ে একটা পিতলের ছোট্ট ধুপ দানি কিনেছিলাম বটে। আজ রাত্রেই দিল্লীর ট্রেন। রাত্রে তাড়াতাড়ি খেয়ে মালপত্র নিয়ে সদলবলে স্টেশনে গেলাম। ভারতীয় ঐতিহ্য মেনে ট্রেন অবধারিতভাবে লেট ছিল, তবে এক মাতাল আমাদের ভালই এন্টারটেন করেছিল। ট্রেন এল ১২টার দিকে, উঠেই শুয়ে পড়লাম, ঘুম ভাঙলেই দিল্লী পৌঁছে যাব, হলও তাই সকালে উঠেই দিল্লীতে নামলাম। স্টেশনে বাস অপেক্ষায় ছিল, বাসে উঠে সোজা হোটেল। হোটেল না পায়রা খোপ? ঘোর কাটতে কিছু সময় লাগল, ২টো রাত কোনরকম কাটাব, তাও বেশিরভাগ সময় বাইরেই থাকব, শুধু রাত্রে ঘুমান, তাই বেশি নাখরা করলাম না, তবে সত্যি বলতে কি হোটেল রুম এত ছোট আর নোংরা সাথে বাজে গন্ধ আর বিছানা দাগে ভর্তি যে গা ঘিনঘিন করছিল। :( পরদিন প্রথমে রাজঘাট দেখে বাকি সময় পুরোটা কাটল 'অক্ষরধাম' মন্দির দেখে। আমি যথারীতি ভিতরে ঢুকিনি বাইর থেকে ঘুরে ঘুরে ছবি তুললাম, তবে এতো বড় ক্যাম্পাস যে এত দূর থেকে ছবিতে প্রায় কিছুই আসেনি, যেটুকু এসেছে তাও ঝাপসা। যারা অক্ষরধাম দেখেছে ভিতরে ঢুকেছিল তারা জাস্ট ফিদা ! যেমন নিখুঁত কারুকার্য, তেমন মন কেড়েছে 'লাইট এন্ড সাউন্ড' শো। ওখান থেকে ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে গিয়েছিল। পরদিন সকালে উঠে বেরিয়ে পড়লাম বাকি মোঘলাই দিল্লী পরিদর্শনে -বিড়লা মন্দির দেখে শুরু করে পরপর ইন্দিরা মিউজিয়াম, রাষ্ট্রপতি ভবন, পার্লামেন্ট হাউস, ইন্ডিয়া গেট -এখানের পার্কে দুপুরের খাওয়া সেরে নিলাম সকলে, তারপর গেলাম কুতুব মিনার দেখতে, টিকিটের এতবড় লাইন দেখ অনেকে বলল কুতুব মিনার না দেখে লোটাস টেম্পল দেখতে যাবে, শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল। ঐতিহাসিক স্থাপত্ব ছেড়ে ফাঁকা পদ্ম ফুলাকৃতির বাড়ি দেখবে। দলে যখন এসেছি ভোট যেদিকে বেশি সেটাই মেনে নিতে হবে। ভাগ্যক্রমে আমার মত কিছু ইতিহাস পাগল ঠিক করল -যত দেরী হোক কুতুব মিনার দেখবে, শুনে আমার ধড়ে প্রাণ এল, লাইনে দাঁড়িয়েই টিকিট কাটলাম, (অনেকে অনলাইন টিকিট কেটেছিল, তাতে কম খরচ হয়েছিল + সময়ও বেঁচেছিল) আর মন ভরে ছবি তুললাম। এরপর আর লোটাস টেম্পল দেখা হয়নি, লালকেল্লা বন্ধ হয়ে যাবে তাই বাস ছুটল লাল কেল্লার দিকে। এখানেও ভয় ছিল -টিকিটের লাইনে দেরি হওয়া নিয়ে, ভাগ্যক্রমে তা হয়নি, সময়েই পেল্লাই কেল্লায় প্রবেশ করলাম। ছোটবেলায় দেখার সাথে মেলানোর চেষ্টা করলাম, আর ছবি তুললাম। একটু অন্ধকার হয়ে এসেছিল, তবে কাজ (ছবি তোলা) মোটামুটি হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে ডাস্টবিনসম হোটেলে ফিরতেই হল, সত্যি বলতে কি -রুমের থেকে রাস্তা বেশী পরিষ্কার ছিল। ২রাত কেটে যেতে বেশ খুশিই হয়েছিলাম, পরদিন ভোরে মথুরার জন্য ট্রেন ধরলাম। চেয়ার-কারে বসার প্রথম অভিজ্ঞতা হল, সাথে আর কিছু অভিজ্ঞতা হল -মাত্র ২মিনিটে এত মানুষ (৬৩জন) সাথে তার মালপত্র এত ছোট ট্রেনের দরজা দিয়ে কিভাবে বেরোন যায়। আমি তো প্রথমে আপৎকালীন জানালা দিয়ে বেরোনোর কথা ভেবেছিলাম, যাই হোক কপাল জোরে কাউকে এবং কোন মালপত্র না খুইয়ে আমরা মথুরায় পদার্পন করলাম। ধর্মস্থান, তাই আমার উদ্যমটা অনেক কমে গিয়েছিল, তবে আগামী ২রাত্রের ঠিকানা দেখে (রঘুনাথাশ্রম, বৃন্দাবন) মনে আবার উদ্যম ফিরে এসেছিল। এত খোলামেলা, সাজানো, পরিষ্কার-পরিছন্ন, শান্ত থাকার জায়গা আগে দেখিনি, বিশেষ করে দিল্লীর ডাস্টবিন, মানে হোটেলের পর এখানে পৌঁছে স্বর্গে এলাম মনে হচ্ছিল। স্টেশন থেকে হোটেল / ধর্মশালা (বৃন্দাবন) পৌঁছানোর আগে আমরা মথুরার কিছু দর্শনীয় স্থান দেখেই বৃন্দাবন এলাম। ধর্মশালাটা একটু ফাঁকা জায়গায় তাই রাত্রে একাএকা বেরোনোর সাহস দেখলাম না। পরদিন সকালে কাছের কিছু মন্দির ঘুরে দেখলাম (এখানে বাঁদরের বাঁদরামি একটু বেশিই, অবশ্যই স্থানীয়দের আসকারা পেয়ে, তবে সবাই চশমা, টুপি এসব পরে রাস্তায় না বেরোতে সাবধান করে দিয়েছিল) দুপুরে খেয়ে অটোয় করে বাকি দূরের মন্দির দেখতে গেলাম, এর মধ্যে কৃপালু মহারাজের তৈরি 'প্রেম মন্দির' দেখে চোখ জুড়িয়ে গিয়েছিল, বিশেষ করে রাত্রে মন্দিরের রঙ্গীন আলোর মুহুর্মুহু পরিবর্তন জায়গাটাকে একটা আলাদা মাত্রা দিচ্ছিল। তার আগে দেখে আসা স্বেত পাথরে মোড়া ISKCON-এর মন্দিরও এর সামনে নস্যি মনে হচ্ছিল। 'প্রেম মন্দির' থেকে কেউ বেরোতেই চাইছিল না, প্রায় টেনে টেনেই সবাইকে বের করতে হল। তবে রাত্রে আলোর মেলা যেভাবে আমাদের আচ্ছন্ন করে রেখেছিল, দিনের আলোতে মনে হয় না এতটা মাধুর্য পেত। যাই হোক বৃন্দাবন দর্শন শেষ করে আমরা শেষবারের মতো রাঘুনাথাশ্রমে ফিরলাম, পরদিন বেরতে বেরতে বেলা ৯টা বেজে গেল, কথা ছিল ৭টায় আগ্রার উদ্দেশ্যে বাস ছাড়া হবে কিন্তু বাঙালীকে কে কবে সময়ের শৃঙ্খলে বাঁধতে পেরেছে? যাই হোক আগ্রা পৌঁছাতে প্রায় ১২টা বেজে গেল। এখানে কোন থাকার ব্যবস্থা নেই, তাই ঠিক হল বাস স্ট্যান্ডেই রান্না হবে আর আমরা ঘোরা শেষ করে সোজা স্টেশনে চলে যাব, সন্ধ্যা ৬টায় ট্রেন। প্রথমে গেলাম তাজ দেখতে। বাহ্ ! তাজ, এতটাই এক্সসাইটেড ছিলাম যে একটাও ভালো স্ন্যাপ ক্যাপচার করতে পারলাম না। এটা হয়ত তাদের দুঃখটা অভিশাপে পরিণত হয়েছিল যাদের ফটো তুলে দেওয়ার অনুরোধ তীব্র ক্ষিপ্রতার সাথে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম, আসলে আমাকে পছন্দের ফ্রেমের জন্য প্রচুর দৌড়াতে হয়, এত কম সময়ে কুলায় না, তারওপর এইসব অনুরোধের আসর, তাজের ব্যাপারে এটা জাস্ট নিতে পারিনি। তাজের সামনে তনুরও একটাও ভালো ছবি তোলা হলো না, এটা সবচেয়ে বড় দুঃখ রয়ে গেল। তাজের মায়া কাটিয়ে গেলাম আগ্রার লালাকেল্লায়, এটা দিল্লীর থেকে বেশি ভালো লাগল, অনেক বেশি দেখার ছিল আগ্রার লালকেল্লায়। এই ২এর বেশি কিছু দেখা হল না, ৫টার মধ্যে স্টেশনে পৌঁছাতে হল, লালকেল্লার পাশেই স্টেশন, বেশি সময় লাগল না। বাকি থাকল ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করা, ১ঘন্টা দেরিতে উনি এলেন এবং সব মিলিয়ে ৩ঘন্টা দেরিতে আমাদের শিয়ালদহতে পৌঁছে দিলেন। সেখানে আমাদের বাস অপেক্ষায় ছিল, বাসে ৪ঘন্টা চেপে বাড়ি পৌঁছাতে প্রায় ১২টা ৩০মিঃ বেজে গেল।
এটাই মনে হয় আপাতত শেষ টুর ছিল, কারণ বাবা-মায়ের বয়স হয়েছে + কাছে আমি ছাড়া কেউ দেখার নেই তাই দায়িত্ব আমারই তাছাড়া একটা 'টাইনি হাউস' বানানোর ইচ্ছা আছে তার জন্যও টাকা জমাতে হবে। একটা 'কুইড' কেনার ইচ্ছাও আছে সাথে 'মেডিকেল এমার্জেন্সি'র জন্য একটা ফান্ড তৈরির ইচ্ছা আছে -সব মিলিয়ে ট্যুরকেই কোতল করার সিদ্ধান্ত নিলাম, এবার থেকে ঘর বন্দিই থাকতে হবে। আমি সাহিত্য করতে এসব লিখি না, এটা ডিজিটাল ডায়রি, যেটা নিজের জন্য লিখি তবে কিছু কাছের মানুষ পড়ে, যারা আমাকে চেনে। বুম্বাতো অসময়ে চলে গেল। মিস ইউ ...
1 note · View note
neon-mine · 3 years
Text
অনেক খিল্লি হলো, কুড়িয়ে পাওয়া চার আনা নিয়ে। "চার আনা" টা হলো ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস নিউজ পেপারের একটা বিজ্ঞাপন যেখানে যোগী আদিত্যনাথ এর সাথে ভুল করে কলকাতার মা ফ্লাইওভারের একটা ফটো দেওয়া হয়েছে।
যদিও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস টুইট করে ওই ভুল বিজ্ঞাপনের দায় নিয়ে ক্ষমা চেয়েছে, তাও ওটা কে বানিয়েছে সেই বিতর্কে যাবো না, বিতর্কে যাবো বিজ্ঞাপনের কন্টেন্ট নিয়ে।( যেই বানিয়েছে সে ভুল করেছে)
বিজ্ঞাপন টা হলো উত্তরপ্রদেশের রাস্তা development নিয়ে, আর সেটা নিয়ে খিল্লি করেছে আমাদের পশ্চিম বঙ্গ। আমাদের একজন নেতা বলেছেন উত্তর প্রদেশে development নিয়ে যে ওখানে কিছুই development হয়নি তাই পশ্চিমবঙ্গের ছবিটির দরকার হয়েছে।
দেখা যাক, একটা তুলনা করা যাক
এক সপ্তাহ আগেই আমি দিল্লি থেকে গাড়ি নিয়ে উত্তর প্রদেশ হয়ে কলকাতা এসেছি, তাই দুটো রাজ্যের রাস্তাই খুব রিসেন্টলি দেখেছি।
উত্তর প্রদেশে উত্তর প্রদেশ সরকারের (UPEIDA) বানানো বিশ্বমানের এক্সপ্রেসওয়ে আছে 5 টা।
নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ে (নয়ডা - গ্রেটার নয়ডা 25km)
যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে (নয়ডা - আগ্রা 165 km)
লক্ষ্ণৌ এক্সপ্রেসওয়ে (আগ্রা - লক্ষ্ণৌ 320km)
পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে(লক্ষ্ণৌ - বারানসি ভায়া লিংক রোড 340km)
গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে (মিরাট - প্রয়াগরাজ 594km under construction)
Total 1444 কিলোমিটার
প্রত্যেকটা এক্সপ্রসওয়ে hi tech, access controlled আর উত্তর প্রদেশ সরকারের বানানো আর minimum 6 lane or 8 lane এর।
আমি কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের বানানো meerat এক্সপ্রেসওয়ে বা National highway গুলো কে consider ই করিনি। শুধু যেগুলো রাজ্য সরকার বানিয়েছে তার কথা বলেছি।
এবার আসি যারা খিল্লি করছে তাদের কথায়।
তাদের রাজ্যে(দুর্ভাগ্যবশত আমাদের রাজ্যে), National Highway ছাড়া, রাজ্য সরকার একটাও 50km 6 lane এক্সপ্রেসওয়ে ও বানায়নি কোনোদিন। এখানে একটাও access controlled green field এক্সপ্রেস ওয়ে নেই। যে মা উড়ালপুল নিয়ে এত কথা সেরকম বা তার থেকে ভালো এবং বড় উড়ালপুল ভারতের প্রায় সব শহরে আছে। উত্তর প্রদেশের( শুধু নয়ডা র) DND flyway বা Akshardham Flyover এর কথা ছেড়েই দিলাম।
আমাদের রাজ্যে যতগুলো ভালো 4 lane or 6 lane highway রাস্তা আছে(?) তার almost সবগুলোই কেন্দ্র সরকারের বানানো।
যদি কেউ যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে, লক্ষ্ণৌ এক্সপ্রেসওয়ে অথবা পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে এর সমমানের রাজ্য সরকারের বানানো 50 কিলোমিটার রাস্তাও গোটা রাজ্যে কোথাও খুঁজে পান, তো জানাবেন, আর খুব খিল্লি করবেন। নাহলে সমমানের at least একটা expressway বানিয়ে তারপর মুখ দেখাবেন। পারলে একবার উত্তর প্রদেশে ঘুরে আসবেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: কোনো এক বিশেষ কারণে সম্প্রতি এই রাজ্যে ভবিষ্যতে রাস্তা বানানো আর রাস্তা সারানো র বাজেট যে বিপুল কমিয়ে দেওয়া হয়েছে সেটা নিয়ে নাই বা বললাম।
এডিট: অনেকেই যুক্তি দিয়েছেন এই সব রাস্তা একা যোগিজি বানাননি। আমি সেটা কখনো দাবিও করিনি যে যোগিজী 5 বছরে 5 টা এক্সপ্রেসওয়ে বানিয়ে দিয়েছেন। উত্তর প্রদেশের এই রাস্তা গুলোর ক্রেডিট আগের সব সরকারের, মায়াবতী, অখিলেশ সবার, সেরকম ই পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে এই রকম রাস্তা না হবার discredit ও একা বর্তমান সরকারের নয়, বামেরাও একই ভাবে দায়ী।
0 notes