Tumgik
#একটি ছেলে ও মেয়ের প্রেম
mrmwithacupofcoffee · 3 months
Text
বিয়ে!
জীবনের সাথে জড়িত অতি পরিচিত একটি শব্দ আছে।জীবনের অর্ধেকের চেয়েও বেশি সময় যেন এই শব্দের সাথে কেটে যায়। ওহ্ দুঃখিত, আজকাল তো আবার কাটে না! চারপাশে কত রকমের বিয়ে কন্ট্রাক্টের বিয়ে, পালিয়ে গিয়ে বিয়ে, উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে, জোর করে বিয়ে, দু'দিনের বিয়ে কত রকমের বিয়ের ছড়াছড়ি!  আগের দিনের মত নানী, দাদিদের এরেঞ্জ ম্যারেজের ভালোবাসার গল্প কয় জনি বা শুনতে পাই!
"ঙ্গান" আরো একটি বিশাল শব্দ যা আমরা একে অন্যকে না দিলেই পারি! তাই চুপ করছি!
যাই হোক এবার আসি গল্পের মূল চরিত্রে নাম, "নাদিয়া"। কিছু কথক এর মত বলছিনা যে বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে বরং বাবা- মায়ের সব থেকে বড় মেয়ে আরো দুই বোন আছে নাদিয়ার। তবে নাদিয়াকেই সব থেকে সুন্দর ও শুভ্র স্বভাবের মেয় বলা হয়। অত্যন্ত শান্ত ও অবুঝ প্রকৃতির মেয়ে নাদিয়া। 
গল্প বলার জন্য এগিয়ে যাচ্ছি কয়েক বছর আগে। নাদিয়া, বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে, অনেক ছোট খুব বেশী বড় বলা যায় না। সবার আদরের সবার চোখের মনি। 
এবার আসি গল্পের নায়ক চরিত্রে। যে কিনা গল্পের নায়ক হতে হতে থেকে যাওয়া একটি চরিত্র! কিভাবে? 
আশরাফ, নাদিয়ার খালাতো ভাই। সে খালার কোন মেয়ে নেই। মেয়ের প্রচন্ড সখ তবে দুটই ছেলে। একটি নাদিয়ার বয়সী আর বড় ছেলে আশারাফ। খালার চোখে নাদিয়া তার মেয়ের মত বরং তার থেকেও বেশি।
খালার সাথে নাদিয়ার একটি মজার গল্প আছে। নাদিয়া তখন ছোট্ট ক্লাস টু'তে পড়ে হয়তো। এমনই সময় নাদিয়াদের বাসায় খালা বেড়াতে আসে। নাদিয়া স্কুলে যাবে ভেবে খালআ ভাবলো যে আজকে মেয়েটাকে আমি রান্না করে খাওয়াই । নাদিয়ার সুজি খুব পছন্দ ছিলো। 
খালা নাদিয়াকে সুজি বানিয়ে খেতে দিল। নাদিয়া সুজি টা দেখেই কেমন যেন মুখ করে ফেলল,
- আম্মু এটা এমন দেখতে কেন! আমি খাব না!
- তোর খালা খুব আদর করে বানিয়েছে মা খেয়ে যা। একটু মুখে দে। জানিস তো তোর খালা খুব ভালো রান্না করে।
নাদিয়া মায়ের কথায় সুজি মুখে দিল।
- মা, মিথ্যা কথা বল কেন? এটাকে ভালো রান্না বলে! 
নাদিয়া না খেয়ে চলে যেতে লাগল এমন সময় খালা এসে বলল,
-  কি হয়েছে মা খেলি না যে?
- কিভাবে খাব!
-  ভাল হয়নি মা সুজি?
-  হ্যাঁ, ভাল হয়না এজন্য খাব না!
ইশ্, এভাবে যদি ভার্সিটির টিচার দের বলতে পারতাম, আপনার দেয়া এসাইনমেন্ট পছন্দ হয়নি তাই করতে পারব না! কত মজাটাই না হত।
নাদিয়া ও আসরাফের মধ্যে তখন থেকেই প্রেম প্রেম ভাব। প্রেম কি নাদিয়ার তখন তা বোঝার কথা নয় তবে লক্ষণ সব প্রেমেরি বলা চলে। মজার বিষয়টা ছিল আসরাফের ছোট ভাইকে নিয়ে। আসরাফ ও নাদিয়া সবসময় একসাথে লেগে থাকত আর এই আশরাফ ও নাদিয়া এক হলেই তার মাঝখানে থাকা চাই! ওই আমাদের বড় বেলার প্রেমে কাজিনদের নিয়ে যেমনটা হয়!
নাদিয়ার বড় হয়েছে। ছোটবেলার স্মৃতি হাফসা হাফসা অনেকটাই মনে। নাদিয়ার প্রখর বিশ্বাস আসারফ তাকে এখনো ভালোবাসে তাই নাদিয়ার মনে প্রেম শব্দটুকু বলতে আশরাফ।
এদিকে নাদিয়ার বাবার নাদিয়ার জন্য পছন্দ হয় আরেক ছেলেকে। তড়িঘড়ি করে নাদিয়ার বিয়ে! বিয়ের খবর আসরাফ পেতেই,
- খালা, নাদিয়ার বিয়ে হয়নি তাই না? আপনারা মিথ্যা বলছেন!
- এত বড় কথা কি মিথ্যা বলা যায় বাবা বল?
- আমি জানি খালা আপনারা মিথ্যা বলছেন! আপনি বলেন নাদিয়ার বিয়ে হয় নাই, আমি জানি খালা নাদিয়ার বিয়ে হয় নাই! আমি নাদিয়াকে বিয়ে করবো খালা! আপনি ওকে আর কোথাও বিয়ে দিবেন না, আমি ওকে বিয়ে করবো!
কেন ভাই, বিয়ে কি হাতের মোয়া তুমি যখন বলবে আর তোমাকে দিয়ে দিবে! 
এই কাজিনদের সমস্যায় এটা, চোখের সামনে প্রেমিক প্রেমিকার বিয়ে হতে দেখবে তারপরে দেবদাস হয়ে ঘুরবে। তার কিছুদিন পর ত্যাগের মহিমা ছড়াবে আর সব শেষে কাজিন বলে চালিয়ে দেবে!
মোট কথা তো বলায় হলো না, সে কাজিনের বিয়েতে ''চান্না মেরে আ" ও গাইবে!
- ৩০ মার্চ, ২০২৪
- মোনালিসা মিতু
0 notes
hba78612 · 3 years
Text
বিয়ের আগে প্রেম কেন হারাম??
বর্তমানে প্রেম বলতে যা প্রচলিত হয়ে গেছে, তা নিছক একটি অবৈধ সম্পর্ক। যে সম্পর্ক মানুষকে পাপের অতল সমুদ্রে ডুবিয়ে দেয়।বিয়ের আগে প্রেম হারাম এইটা এখন অনেক যুবক যুবতী মানতে চায় না।তাই আমরা কোরান ও সহীহ হাদীস থেকে কিছু প্রেমান দিলাম-
১.পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় তা অশ্লীল কাজ ও মন্দ পথ। (সুরা : ইসরা, আয়াত : ৩২)
এই একটি আয়াতি যথেস্ট বিয়ের আগে প্রেম হারাম প্রমান করার জন্য.
লক্ষ করুন আল্লাহ তায়ালা এই আয়াতে বলেছেন তোমারা যিনার কাছেও যাবে না। আল্লাহ কিন্তু বলে নাই যে তোমারা যিনা করবে না তিনি বলেছেন তোমরা যিনার কাছেও যেয়ো না।আর বিয়ের আগে প্রেম করা স্পষ্টতই যিনার কাছে যাওয়া হয় । ncbi এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী ২০ বছরের মধ্যে ৭৭% ব্যক্তি শারীরিক সম্পর্ক করে এবং ৭৫% লোক বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক করে। এই রিপোর্ট থেকে আমরা বলতে পারি এই ৭৫% লোক বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক করে এর ভিতরে ৮০% লোকের প্রেমের সম্পর্ক থাকে। তাহলে আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি বিয়ের আগে প্রেম করা যিনা হোক বা না হোক, বিয়ের আগে প্রেম করা মানে যিনার কাছে যাওয়া। তাহলে এই আয়াত (১৭:৩২) অনুযায়ী বিয়ের আগে প্রেম হারাম, কারণ যিনার কাছাকাছি যাওয়া হারাম ‌।
২. কিছু লোকে প্রশ্ন করে”” শারীরিক সম্পর্ক না করলে কি হারাম হবে??””
এই প্রশ্নের উত্তর খুবই সহজ!! অবশ্যই হারাম হবে, শারীরিক সম্পর্ক না করলেও। এর দুইটি প্রমান উল্লেখ করা হলো-
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, চোখের ব্যভিচার হলো (বেগানা নারীকে) দেখা, জিবের ব্যভিচার হলো (তার সঙ্গে) কথা বলা (যৌন উদ্দীপ্ত কথা বলা)। (বুখারি, হাদিস : ৬২৪৩)
(খ)দুই চোখের ব্যভিচার হলো, (বেগানা নারীর দিকে) তাকানো, কানের ব্যভিচার যৌন উদ্দীপ্ত কথা শোনা, মুখের ব্যভিচার আবেগ উদ্দীপ্ত কথা বলা, হাতের ব্যভিচার (বেগানা নারীকে খারাপ উদ্দেশ্যে) স্পর্শ করা আর পায়ের জিনা ব্যভিচারের উদ্দেশ্যে অগ্রসর হওয়া এবং মনের ব্যভিচার হলো চাওয়া ও প্রত্যাশা করা। (মেশকাত, হাদিস : ৮৬)
৩. রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “যেখানে দু’জন বেগানা নারী-পুরুষ নির্জনে
একত্রিত হয়, সেখানে তৃতীয়জন হয় শয়তান।”–(সহীহ্ তিরমিযী, ১১৭১)
এখানে নির্জনে নারী-পুরুষ কে একত্রিত হতে স্পষ্টত নিষেধ করা হয়েছে।
এখন ধরুন, আপনি বা আমি যদি কারো সাথে মোবাইলে কথা বলি, সেটাও নির্জনে একত্রিত হওয়া নয় কি? কারন, আমরা মোবাইলে কথা বলার সময় নির্জনেই কথা বলি। নির্জনে
SMS আদান-প্রদান করি। এবং তখন দুজনের মধ্যে কোনোরুপ বাঁধা থাকে না। (যাদের প্রেম করার এক্সপেরিয়েন্স আছে তারা বিষয়টি ভালো ভাবেই
বুঝবেন। কথাবার্তা কতটা অশালীন মূহুর্তে পৌছায়)। যার দ্বারা মুখের ও অন্তরের যিনা হয়। যা স্পষ্ট হারাম। তাহলে এই হাদীসে অনুযায়ী বিয়ের আগে প্রেম সম্পূর্ণ রূপে হারাম।
৪. যে কোনো কোনো ছেলে মেয়ের নিজে স্বামী বা স্ত্রী পছন্দ করার অনুমতি আছে। বিয়ের আগে কথা বলা ও জায়েজ আছে কিন্তু মেয়ের পক্ষ থেকে কেউ থাকতে হবে। আপনি এক বার না ২,৩,৪,৫,৬ বা তার থেকে বেশিও দেখা করতে পারেন কিন্তু ইসলামিক নিয়মে। একলা দেখা করতে পারেবেন না।
সূরা নূরের ৩১নং আয়াতে বলা হয়েছে:-
ঈমান আনয়নকারিনী নারীদেরকে বলঃ তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযাত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান তা ব্যতীত তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে। তাদের গ্রীবা ও বক্ষদেশ যেন মাথার কাপড় দ্বারা আবৃত করে। তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভাই, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নীপুত্র, আপন নারীগণ, তাদের মালিকানাধীন দাসী, পুরুষদের মধ্যে যৌন কামনা রহিত পুরুষ এবং নারীদের গোপন অঙ্গ সম্বন্ধে অজ্ঞ বালক ব্যতীত কারও নিকট তাদের আভরণ প্রকাশ না করে। তারা যেন তাদের গোপন আভরণ প্রকাশের উদ্দেশে সজোরে পদক্ষেপ না ফেলে। হে মু’মিনগণ! তোমরা সবাই আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।
আপনি যে মেয়েটিকে বিয়ে করবেন তার সঙ্গেই আপনি একা দেখা করতে পারেন না তার সঙ্গে প্রেম করা তো অনেক দূরের কথা।
৫. তিরমিজি , মিশকাত শরীফে আরো একটি হাদিস আছে কোনো পুরুষ যখন কোন মহিলার নিকট একা থাকে তাহলে তাদের তৃতীয় জোন সংগি হয় শয়তান।
তাবরানি , ছহীহুল জামে হাদীস:-৪৯২১ বলা হয়েছে”নিশ্চয় কোনো মহিলাকে অবৈধ ভাবে স্পর্শ করার থেকে ভালো তোমার মাথায় লোহার পেরেক ঠুকিয়ে দেওয়া।
৬. স্বাধীনভাবে লালসা পূরণ কিংবা গোপনে লুকিয়ে প্রেমলীলা করবে না (সূরা আল মায়িদা: ৫)
এরপর সূরা নূর এর ৩০ নং আয়াতে পুরুষদের চোখ নীচু রাখতে এবং লজ্জা স্থান হিফাজত করতে বলা হয়েছে।
৩১ নং আয়াতে নারীদেরও একই কথা বলা হয়েছে, পর্দা করার কথা বলা হয়েছে আর নারীরা কাদের সাথে সাক্ষাত করতে পারবে তাদের একটা তালিকা দেওয়া হয়েছে। সূরা আহযাবের ৫৯ নং আয়াতে পর্দা করার নির্দেশ আরো পরিস্কার ভাষায় বলা হয়েছে। যেখানে দৃষ্টি নীচু ও সংযত রাখা, লজ্জা স্থান হিফাজত করার কথা এবং পর্দা করার কথা বলা হয়েছে আর সূরা মায়িদাতে গোপন প্রেমলীলাকে নিষেধ করা হয়েছে সেখানে বিবাহ পূর্ব প্রেম বৈধ হতে পারে কি করে? এটা হারাম।
Tumblr media
2 notes · View notes
bartatv-blog · 6 years
Photo
Tumblr media
প্রয়োজনে অন্যদের সাথে শুতে পারো, তবু ডিভোর্স দিও না আধুনিক ভারতীয় নারীদের চিন্তাভাবনা-বিবেচনা নিয়ে শুরু হয়েছে বিবিসি হিন্দির বিশেষ ধারাবাহিক প্রতিবেদন ‘হার চয়েস’। ১২ জন ভারতীয় নারীর বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা, তাদের আকাঙ্ক্ষা, বিকল্পের সন্ধান- এ সবই উঠে এসেছে তাদের মুখ থেকে। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি দক্ষিণ ভারতের এক নারীর জীবনকথা নিয়ে একটি প্রতিবেদন। তবে মেয়েটির অনুরোধে প্রতিবেদনটিতে তার নাম পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। ‘সেটা ছিল আমার বিয়ের প্রথম রাত। প্রথমবার কোনো পুরুষের সঙ্গে অন্তরঙ্গ হতে চলেছিলাম আমি। প্রাণের বান্ধবীদের কাছ থেকে শোনা কিছু কথা আর কয়েকটা পর্নো ভিডিও দেখে আমার মনের মধ্যে প্রথম রাতের যে ছবিটা বারে বারে মনে পড়ছিল, ইচ্ছাগুলোও জেগে উঠছিল সেরকমভাবেই। মাথা ঝুঁকিয়ে, হাতে দুধের গ্লাস নিয়ে আমি যখন শোবার ঘরে প্রবেশ করলাম, ততক্ষণ পর্যন্ত সেই ছবির মতোই সব কিছু চলছিল। আমি তখনও জানতাম না যে তার কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার সেই স্বপ্নগুলো ভেঙে যাবে। প্রথম রাতের স্বপ্নে এরকমটা হওয়ার ছিল-আমি ঘরে আসার পরে স্বামী আমাকে জড়িয়ে ধরবে, চুম্বনের স্রোতে ভাসিয়ে দেবে, আর সারা রাত ধরে আমাকে ভালবাসবে। কিন্তু বাস্তব যে ছবিটা দেখলাম তা হলো, আমি ঘরে ঢোকার আগেই আমার স্বামী ঘুমিয়ে পড়েছেন। ওই মুহূর্তে মনে হলো আমার অস্তিত্বটাই যেন আমার স্বামী সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করলেন। আমার বয়স সেই সময়ে ছিল ৩৫। আমি কৌমার্য হারাইনি তখনও।’ স্বপ্নভঙ্গ কলেজে পড়ার সময়ে, বা তার পরে যখন চাকরি করি, তখনও দেখতাম আমারই কাছের কোনো ছেলে আর মেয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠছে। তারা একে অন্যের হাত ধরে, বা কাঁধে মাথা রেখে ঘুরে বেড়াতো। আমি মনে মনে ভাবতাম, আহা, যদি আমারও এরকম কোনও সুযোগ আসতো। আমারও তো ইচ্ছা হতো ওইভাবে কারও ঘনিষ্ঠ হতে! আমাদের পরিবারটা বেশ বড় ছিল- চার ভাই, এক বোন, বয়স্ক বাবা-মা। তবুও আমার সবসময়েই একা লাগতো। আমার ভাই-বোনদের সবারই বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। তাদের সকলের পরিবার ছিল। কোনো সময়ে এটাও মনে হতো যে ভাই-বোনরা কি আমার জন্য একটুও চিন্তা করে? তাদের কি মনে হয় না যে আমারও বয়স হচ্ছে, তবুও আমি ততোদিনও একা? আমারও তো প্রেম করতে ইচ্ছা করতো। একাকীত্ব গ্রাস করছিল আমাকে। কখনো কখনো মনে হতো যে আমি খুব মোটা- সেজন্যই আমার ইচ্ছাগুলো পূরণ হয় না। কিন্তু পুরুষ মানুষ কি মোটা মেয়ে পছন্দ করে না? শুধু কি আমার ওজনের জন্য আমার পরিবার জীবনসঙ্গী খুঁজে পাচ্ছে না? তাহলে কি চিরজীবন আমাকে একাই কাটাতে হবে? এই সব প্রশ্ন আমার মনের মধ্যে সব সময়ে ঘুরপাক খেতো। অতঃপর বিয়ে শেষমেশ, আমার যখন ৩৫ বছর বয়স, তখন বছর চল্লিশেকের একজন আমাকে বিয়ে করতে এগিয়ে এলো। যখন প্রথম দেখা করি তার সঙ্গে, তখনই আমার মনের মধ্যে থাকা চিন্তাগুলো তাকে জানিয়েছিলাম। সে কোনো কথারই জবাব দেয়নি। আমার মনে হতো আমার কথাগুলো যেন মন দিয়ে শুনছেই না। সব সময়ে নিচের দিকে তাকিয়ে থাকতো সে। কোনো কথারই জবাব দিতো না, শুধু মাথা নাড়িয়ে উত্তর দিতো। আমি ভাবতাম আজকাল মেয়েদের থেকেও অনেক বেশি লজ্জা পায় পুরুষ। আমার হবু স্বামীও বোধহয় সেরকম। তাই আমার কোনো কথারই জবাব দিচ্ছে না। কিন্তু বিয়ের পরে প্রথম রাতের ঘটনায় আমি চিন্তায় পড়ে গেলাম। আমি শুধু ভাবছিলাম সে কেন ওরকম আচরণ করল। পরের দিন সকালে আমি যখন জিজ্ঞাসা করলাম, সে জবাব দিল যে তার শরীর ভাল ছিল না। কিন্তু তার থেকে আর একটা শব্দও বার করতে পারিনি। প্রথম রাতের পরে দ্বিতীয়, তৃতীয় রাতও কেটে গেল একইভাবে। সব গোপন করা হয় আমি শাশুড়ির কাছে বিষয়টা জানালাম। কিন্তু তিনিও ছেলের পক্ষ নিয়ে বলতে লাগলেন। ‘ও লজ্জা পাচ্ছে। ছোট থেকেই মেয়েদের সঙ্গে কথা বলতে অস্বস্তি বোধ করে ও। ছেলেদের স্কুলে পড়াশোনা করেছে তো, সেই জন্য। ওর কোনো দিদি বা বোন নেই, কোনো মেয়ে বন্ধুও নেই। সেজন্যই এরকম আচরণ।’ সাময়িক স্বস্তি পেয়েছিলাম কথাটা শুনে। কিন্তু ব্যাপারটা আমার মাথা থেকে কিছুতেই গেল না। ওদিকে আমার সব ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন এক এক করে ভেঙে যাচ্ছিল। শুধু যে শারীরিক চাহিদাই আমাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল তা নয়। আমার স্বামী কোনো কথাই বলতো না। আমার মনে হতে লাগলো যে সব সময়েই যেন আমাকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। আমার থেকে সে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। যখন কোনো নারী পোশাক ঠিক করে, তখনো পুরুষ মানুষ আড়চোখে সেই দিকে তাকিয়ে থাকে। কিন্তু আমি যদি রাতে সব পোশাক খুলেও ফেলি, তাহলেও আমার স্বামী সম্পূর্ণ উদাসীন থাকতেন। তাহলে কি আমার ওজন তার এই ব্যবহারের কারণ? কোনো চাপে পড়ে আমাকে বিয়ে করেছে সে? এইসব প্রশ্ন আমার মনের মধ্যে আসতে শুরু করেছিল তখন। কিন্তু এসব কথা কানো সঙ্গে যে শেয়ার করব, সেই উপায় নেই। আর কতো অপেক্ষা আমার পরিবারের কারো সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলার উপায় ছিল না, কারণ সেখানে সবাই মনে করতে শুরু করেছিল যে আমি খুব ভাল আছি। এদিকে আমার অপেক্ষার সীমারেখা ভাঙার দিকে চলেছে। আমাকে এ সমস্যার সমাধান নিজেকেই বের করতে হবে। বেশিরভাগ ছুটির দিনেও আমার স্বামী বাড়িতে থাকতো না। হয় কোনো বন্ধুর বাড়িতে চলে যেতো, বা বয়স্ক বাবা-মাকে নিয়ে কোথাও যেতো। ঘটনাচক্রে সেদিন বাড়িতেই ছিল আমার স্বামী। আমি ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে সরাসরি জানতে চাইলাম, ‘আমাকে কি পছন্দ নয় তোমার? আমরা দুজনে একবারের জন্যও অন্তরঙ্গ হইনি এতদিনে। তোমার সমস্যাটা কি?’ জলদি জবাব দিয়েছিল, ‘আমার তো কোনো সমস্যা নেই!’ উত্তর পেয়ে আমার মনে হল এটাই সুযোগ তার সঙ্গে অন্তরঙ্গ হওয়ার। আমি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছিলাম তাকে। কিন্তু কোনো ফলই হচ্ছিল না। কোনোভাবেই তাকে উত্তেজিত করতে পারলাম না। আমি বুঝতে পারছিলাম না যে এটা নিয়ে কার সঙ্গে কথা বলব। একদিন হঠাৎ করেই জানতে পারলাম যে সে নপুংসক (পুরুষত্ত্বহীন)। বিয়ের আগেই ডাক্তাররা এটা তাকে নিশ্চিত করেছিল। সে নিজে আর তার বাবা-মা সবকিছুই জানতেন। কিন্তু আমাকে কিছু জানানো হয়নি। আমাকে ধোঁকা দেয়া হয়েছে। আমি সত্যিটা জেনে ফেলেছিলাম, কিন্তু তার কোনো লজ্জা ছিল না এটা নিয়ে। তারপরেও কখনো সে নিজের ভুলটা স্বীকার করেনি। কেউ শুনলো না আমার কথা সমাজ তো নারীদের সামান্য ভুলচুককেও বড় করে তুলে ধরে। কিন্তু কোনো পুরুষের যদি কোনো ভুল হয়, সেই ক্ষেত্রেও দোষটা আসে মেয়েদের ওপরেই। আমার আত্মীয়রা পরামর্শ দিল, ‘শারীরিক মিলনটাই তো জীবনের সব কিছু নয়। তুমি বাচ্চা দত্তক নেয়ার কথা ভাবছ না কেন?’ আমার শ্বশুরবাড়ির লোকরা হাতজোড় করে বলল, ‘সত্যিটা যদি জানাজানি হয়ে যায় তাহলে লজ্জায় আমাদের মাথা কাটা যাবে।’ আমার পরিবার বলে দিলো, ‘এটা তোমার ভাগ্য’। তবে যে কথাটা আমার স্বামী বললো, তাতে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। ‘তোমার যা ভাল লাগে করতে পার। যদি মনে করো, তাহলে অন্য কোনো পুরুষের সঙ্গেও শুতে পারো। আমি তোমাকে বিরক্ত করব না, কাউকে কিছু বলবোও না। তা থেকে যদি তোমার সন্তান জন্ম নেয়, তাকে আমি নিজের সন্তান বলেও মেনে নেব’। কোনো মেয়ে কি তার স্বামীর কাছ থেকে এসব শুনতে পারে? সে একটা বেইমান। নিজের আর পরিবারকে লোকলজ্জা থেকে বাঁচানোর জন্য ওইসব বলছিল। আমার পা জড়িয়ে ধরে স্বামী বলেছিল ‘প্লিজ, এটা কাউকে বলো না। আমাকে ডিভোর্সও দিও না’। সে যেসব উপদেশ দিয়েছিল, আমি সেগুলো কল্পনাও করতে পারি না। আমার ভবিষ্যৎ আমার সামনে দুটো রাস্তা খোলা ছিল- হয় তাকে ত্যাগ করা অথবা তাকে নিজের জীবনসঙ্গী রেখে দিয়ে আমার নিজের ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষাগুলোকে ত্যাগ করা। শেষমেশ আমারই জয় হলো। সেই তথাকথিত স্বামীর ঘর থেকে বেরিয়ে এলাম আমি। আমার বাবা-মা কিন্তু আমাকে ফিরিয়ে নেয়নি। কয়েকজন বন্ধুর সাহায্যে আমি একটি মেয়েদের হোস্টেলে চলে যাই। বিয়ের আগে চাকরিটা ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিছুদিনের চেষ্টায় একটা নতুন চাকরিও যোগাড় করলাম। খুব ধীরে হলেও আমার জীবনটা আবার নিজের ছন্দে ফিরতে শুরু করছিলো। আমি কোর্টে বিয়ে বিচ্ছেদের মামলা ফাইল করলাম। সেখানেও আমার স্বামী আর তার পরিবার নির্লজ্জের মতো সত্যটা গোপন করে বিয়ে ভাঙার জন্য আমার ওপরেই দোষারোপ করে। এমনকি বিয়ের পরে অন্য সম্পর্ক গড়ে তোলার দোষও দেয় আমার ওপরে। লড়াই করে গেলাম আমি লড়াইটা থামাইনি। নিজের মেডিকেল পরীক্ষা করাই। তিনবছর লেগে গিয়েছিল বিয়ে বিচ্ছেদ পেতে। আমার যেন পুনর্জন্ম হল। আজ আমার ৪০ বছর বয়স, কিন্তু আমি এখনো কুমারী। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন পুরুষের সঙ্গে আমার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। তবে তাদের সকলেরই ভালবাসাটা ছিল শারীরিক। কেউ বিয়ে করা বা দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক গড়ে তোলায় ইচ্ছুক ছিল না। কিন্তু এখন আমি পুরুষদের কাছ থেকে একটু দূরে থাকারই চেষ্টা করি। আমি শুধু সেইসব পুরুষের সঙ্গেই বন্ধুত্ব রাখতে চাই, যারা আমার খেয়াল রাখবে, আমার মনের ইচ্ছাগুলোকে বোঝার চেষ্টা করবে, জীবনভর আমার সঙ্গে চলার, সঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করবে। এখনো সেরকম পুরুষের অপেক্ষায় আছি। আর যতোদিন না সত্যিকারের সেরকম পুরুষ পাচ্ছি, ততোদিন ওয়েবসাইটই আমার সবথেকে অন্তরঙ্গ বন্ধু।’
0 notes
ektibd · 6 years
Photo
Tumblr media
উল্লাপাড়ায় বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার লাগাতার অনশন নাসিম বিন রিয়াদ, (উল্লাপাড়া) সিরাজগঞ্জঃ উল্লাপাড়া উপজেলার দূর্গানগর ইউনিয়নের ভৈরব গ্রামে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে প্রেমিকা শাহিনুর বেগম । গত শনিবার সন্ধ্যায় দূর্গানগর ইউনিয়নের ভৈরব গ্রামের মৃত আবু সাইদ ছেলে মান্নানের বাড়িতে অবস্থান নেয় মেয়েটি। তার বাড়ি লাহিড়�� মোহনপুর ইউনিয়নের এলংজানী দত্তপাড়া গ্রামে। মেয়েটির দাবী প্রায় দের বছর যাবৎ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেম এবং দৈহিক সর্ম্পক করে আসছিল আঃ মান্নান ও তার কাছ থেকে দের লক্ষ টাকা নেয় দোকান দেওয়ার কথা বলে। অবশেষে গত দশ পনেরো দিন আগে আমাকে বাদ দিয়ে অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করে মান্নান। এরপরই বিয়ের দাবিতে প্রেমিকা এসে ওই বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে ছয় দিন যাবত । আরো জানাযায়,এই মান্নানের চরিত্র আগে থেকেই খারাপ সে এর আগেও বিভিন্ন মেয়েকে নষ্ট করেছে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে। এ ঘটনার পর বাড়ি থেকে ঢাকা যাওয়ার কথা বলে পালিয়েছে আঃ মান্নান। মান্নানের মা হামিদা বেগম জানান যে, মেয়েটি তাদের বাড়িতে এসে উঠেছে আজ ছয় দদিন যাবত। সে যদি তার ছেলের বিয়ের আগে আসতো তবে কোন ব্যপার ছিল না। তাছারা এলাকার সবাই যে সিদ্ধান্ত নিবে তারা মেনে নিবেন। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর দূর্গানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আফছার আলী জানান এই ব্যাপারে আমি শুনেছি ও মেয়ের পক্ষের লোকজন এসেছিলো তাদেরকে আমি লিখিত আকারে আভিযোগ দিতে বলেছি ও এর চুরান্ত বিচার করা হবে আইনের মাধ্যমে। এলাকার লোকজন জানান, শনিবার রাত থেকে তারা ওই মেয়েটিকে পাহারা দিয়ে নিরাপদে রেখেছেন।
0 notes
bdlifemagazine · 7 years
Text
বদমেজাজী মেয়েদের চরিত্র কোনগুলো
https://wp.me/p6wurx-3k
১. মেয়েদের মনোবিজ্ঞান পরিসংখ্যানগত বিশ্লেষণে একটি মেয়ে তার প্রাক্তন ভালবাসাকে ভোলে না। কিন্তু তার মানে এই না যে সে তার বর্তমান প্রেমিককে ভালবাসেন না, বর্তমান প্রেমিক সর্বদা তার মনে অবস্থান করে।
২. নিজের ব্যাপারে অনেক কিছু গোপন করে অন্য কিছু প্রকাশের প্রবণতা মেয়েরা বেশীরভাগ সময়ে অনেক কিছু আড়াল করে পরিবেশ বুঝে অন্য কিছু প্রকাশের চেষ্টা করে। এজন্য প্রায়ই তাকে মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়। এটি সবচেয়ে তার পরিবারের জন্য করে থাকে।
৩. প্রত্যাখ্যান করার অভিব্যক্তি প্রেমিককে চাপের মধ্যে রাখার প্রবণতা মেয়েদের মধ্যে প্রায়ই দেখা যায়। কিন্তু আপনি যদি তাকে প্রত্যাখ্যান করেন তাহলে সে আপনার সাথে সমযোতা করার চেষ্টা করবে না। সেক্ষেত্রে যদি আপনি তাকে অনেক সময় দেন এবং সে যদি ভাল মনে করে তাহলেই সে আবার আপনার সাথে কথা বলবে।
৪. একটি মেয়ের মানসিকতা আপনি যদি একটি মেয়ের সাথে প্রেমের ভান করেন তাহলে সে নিশ্চিত ধরে নিবে যে আপনি তার প্রেমে পড়ছেন। কিন্তু যদি আপনি তাকে বলে দেন যে আপনি অভিনয় করেছন তাহলে সে অন্য একটা ব্যাখ্যা দিবে।
৫. প্রেমের ব্যাপারে নিশ্চুপ ছেলেদের তুলনায় একটি মেয়ে প্রেমের ব্যাপরে ছেলেদের তুলনায় অনেক বেশী নিশ্চুপ। সে সব সময় তার আবেগের ব্যাপারে সচেতন থাকে। সে তার প্রেমের প্রকাশ খুব বেশি পছন্দ করে না। একটি ছেলের যদি একটি মেয়েকে পছন্দ হয় তাহলে সে সবাই বলে বেড়ায় এবং অনেক বেশি আমোদী হয়। কিন্তু এই ব্যাপারে একদমই চুপ থাকে ব্যাপারটা এমন যেন কিছুই হয় নাই। সে তার প্রেমের বা প্রমিকের ব্যাপারে কোন নেতিবাচক কথা শুনতে একদমই অপছন্দ করে।
৬. বদমেজাজী মেয়েরা সাধারনত বদমেজাজী হয়। যদি কোন বৈপরীত্য দেখা দেয় তাহলে তারা খুব তাড়াতাড়ি রাগান্বিত হয়ে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় খুব তাড়াতাড়ি ক্ষেপে ওঠে। আরো দেখা গেছে মেয়েদের রাগ পড়তেও অনেক বেশী সময় নেয় ছেলেদের তুলনায়।
৭. অনুভূতি ও আবেগ গড়ে মেয়েরা অনেক বেশী আবগী হয়। যদি কোন ছেলেকে তার ভাল লাগে আর সে ছেলে যদি আবেগী চোখে তার দিকে তাকায় তাহলে মেয়েটি সাথে সাথে গলে যায় (যদিও সে প্রথম অবস্থায় ধরা দিবে না)। যদি কখনো ছেলেটির সাথে আবেগী কোন ঘটনা ঘটে তাহলে সে কখনো তা ভোলে না। সে তার আবেগের সাথে একাকার হয়ে অনেক কিছু করতে পারে।
৮. চুম্বন এবং প্রশংসাপ্রিয় মেয়েরা সবসময় তার স্বপ্নের পুরুষকে আলাদাভাবে পেতে চায় এবং আলাদাভাবে অনুভব করে। কিন্তু এমন অভিনয় করে যেন সে সেই ছেলেটাকে মনেই করে না। একটি মাত্রই চুম্বন মেয়েটির ধ্যান-ধারনাকে আমূল পরিবর্তন করে দিতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, মেয়েরা সবসময় তার স্বপ্নের পুরুষের প্রশংসা করতে পছন্দ করে এবং তার পছন্দকে গুরুত্ব দিতে পছন্দ করে। যদি ছেলেটিও সেই মেয়েটির ব্যাপারে অনেক সিরিয়াস হয় তাহলে অনেক কিছুই ঘটতে পারে।
৯. খোশ-গল্প বেশি কথা বলা মেয়েদের একটা বড় সমস্যা। তারা অপ্রোয়জনীয় কথা বলে সারাদিন পার করে দিতে পারে। খোশ-গল্প করা তাদের সময় অতিবাহীত করার একটা পছন্দনীয় কাজ। পূর্ব প্রেম, অন্য মেয়েদের প্রেমিক, ফ্যাশন, পরচর্চা, পোশাক-আশাক ইত্যাদি তাদের আলোচনার কমন বিষয়।
১০. নোংরা কথা/আলোচনা ছেলেদের কাছে নোংরা কথা বলা একটা আলাদা আয়োজন বা আনন্দ। ছেলেরা সেই রকম পরিবেশ পেলেই নোংরা কথা ব্যবহার করে। কিন্তু মেয়েরা কখনোই এটা পছন্দ করে না। এমনকি ছেলেদের নোংরা কথা তারা শুনলে ঔ ছেলেকে খারাপ ছেলে হিসেবে মনে করে।
তথ্যসূত্র: দেশপ্রেম
0 notes
mrmwithacupofcoffee · 6 months
Text
শব্দ
জীবনের সাথে জড়িত অতি পরিচিত একটি শব্দ আছে।জীবনের অর্ধেকের চেয়েও বেশি সময় যেন এই শব্দের সাথে কেটে যায়। ওহ্ দুঃখিত, আজকাল তো আবার কাটে না! চারপাশে কত রকমের বিয়ে কন্ট্রাক্টের বিয়ে, পালিয়ে গিয়ে বিয়ে, উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে, জোর করে বিয়ে, দু'দিনের বিয়ে কত রকমের বিয়ের ছড়াছড়ি!  আগের দিনের মত নানী, দাদিদের এরেঞ্জ ম্যারেজের ভালোবাসার গল্প কয় জনি বা শুনতে পাই!
"ঙ্গান" আরো একটি বিশাল শব্দ যা আমরা একে অন্যকে না দিলেই পারি! তাই চুপ করছি!
যাই হোক এবার আসি গল্পের মূল চরিত্রে নাম, "নাদিয়া"। কিছু কথক এর মত বলছিনা যে বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে বরং বাবা- মায়ের সব থেকে বড় মেয়ে আরো দুই বোন আছে নাদিয়ার। তবে নাদিয়াকেই সব থেকে সুন্দর ও শুভ্র স্বভাবের মেয় বলা হয়। অত্যন্ত শান্ত ও অবুঝ প্রকৃতির মেয়ে নাদিয়া। 
গল্প বলার জন্য এগিয়ে যাচ্ছি কয়েক বছর আগে। নাদিয়া, বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে, অনেক ছোট খুব বেশী বড় বলা যায় না। সবার আদরের সবার চোখের মনি। 
এবার আসি গল্পের নায়ক চরিত্রে। যে কিনা গল্পের নায়ক হতে হতে থেকে যাওয়া একটি চরিত্র! কিভাবে? 
আশরাফ, নাদিয়ার খালাতো ভাই। সে খালার কোন মেয়ে নেই। মেয়ের প্রচন্ড সখ তবে দুটই ছেলে। একটি নাদিয়ার বয়সী আর বড় ছেলে আশারাফ। খালার চোখে নাদিয়া তার মেয়ের মত বরং তার থেকেও বেশি।
খালার সাথে নাদিয়ার একটি মজার গল্প আছে। নাদিয়া তখন ছোট্ট ক্লাস টু'তে পড়ে হয়তো। এমনই সময় নাদিয়াদের বাসায় খালা বেড়াতে আসে। নাদিয়া স্কুলে যাবে ভেবে খালআ ভাবলো যে আজকে মেয়েটাকে আমি রান্না ক��ে খাওয়াই । নাদিয়ার সুজি খুব পছন্দ ছিলো। 
খালা নাদিয়াকে সুজি বানিয়ে খেতে দিল। নাদিয়া সুজি টা দেখেই কেমন যেন মুখ করে ফেলল,
- আম্মু এটা এমন দেখতে কেন! আমি খাব না!
- তোর খালা খুব আদর করে বানিয়েছে মা খেয়ে যা। একটু মুখে দে। জানিস তো তোর খালা খুব ভালো রান্না করে।
নাদিয়া মায়ের কথায় সুজি মুখে দিল।
- মা, মিথ্যা কথা বল কেন? এটাকে ভালো রান্না বলে! 
নাদিয়া না খেয়ে চলে যেতে লাগল এমন সময় খালা এসে বলল,
-  কি হয়েছে মা খেলি না যে?
- কিভাবে খাব!
-  ভাল হয়নি মা সুজি?
-  হ্যাঁ, ভাল হয়না এজন্য খাব না!
ইশ্, এভাবে যদি ভার্সিটির টিচার দের বলতে পারতাম, আপনার দেয়া এসাইনমেন্ট পছন্দ হয়নি তাই করতে পারব না! কত মজাটাই না হত।
নাদিয়া ও আসরাফের মধ্যে তখন থেকেই প্রেম প্রেম ভাব। প্রেম কি নাদিয়ার তখন তা বোঝার কথা নয় তবে লক্ষণ সব প্রেমেরি বলা চলে। মজার বিষয়টা ছিল আসরাফের ছোট ভাইকে নিয়ে। আসরাফ ও নাদিয়া সবসময় একসাথে লেগে থাকত আর এই আশরাফ ও নাদিয়া এক হলেই তার মাঝখানে থাকা চাই! ওই আমাদের বড় বেলার প্রেমে কাজিনদের নিয়ে যেমনটা হয়!
নাদিয়ার বড় হয়েছে। ছোটবেলার স্মৃতি হাফসা হাফসা অনেকটাই মনে। নাদিয়ার প্রখর বিশ্বাস আসারফ তাকে এখনো ভালোবাসে তাই নাদিয়ার মনে প্রেম শব্দটুকু বলতে আশরাফ।
এদিকে নাদিয়ার বাবার নাদিয়ার জন্য পছন্দ হয় আরেক ছেলেকে। তড়িঘড়ি করে নাদিয়ার বিয়ে! বিয়ের খবর আসরাফ পেতেই,
- খালা, নাদিয়ার বিয়ে হয়নি তাই না? আপনারা মিথ্যা বলছেন!
- এত বড় কথা কি মিথ্যা বলা যায় বাবা বল?
- আমি জানি খালা আপনারা মিথ্যা বলছেন! আপনি বলেন নাদিয়ার বিয়ে হয় নাই, আমি জানি খালা নাদিয়ার বিয়ে হয় নাই! আমি নাদিয়াকে বিয়ে করবো খালা! আপনি ওকে আর কোথাও বিয়ে দিবেন না, আমি ওকে বিয়ে করবো!
কেন ভাই, বিয়ে কি হাতের মোয়া তুমি যখন বলবে আর তোমাকে দিয়ে দিবে! 
এই কাজিনদের সমস্যায় এটা, চোখের সামনে প্রেমিক প্রেমিকার বিয়ে হতে দেখবে তারপরে দেবদাস হয়ে ঘুরবে। তার কিছুদিন পর ত্যাগের মহিমা ছড়াবে আর সব শেষে কাজিন বলে চালিয়ে দেবে!
মোট কথা তো বলায় হলো না, সে কাজিনের বিয়েতে ''চান্না মেরে আ" ও গাইবে!
- ২০ ডিসেম্বর, ২০২৩
- মোনালিসা মিতু।
0 notes
mrmwithacupofcoffee · 8 months
Text
শব্দ
জীবনের সাথে জড়িত অতি পরিচিত একটি শব্দ আছে।জীবনের অর্ধেকের চেয়েও বেশি সময় যেন এই শব্দের সাথে কেটে যায়। ওহ্ দুঃখিত, আজকাল তো আবার কাটে না! চারপাশে কত রকমের বিয়ে কন্ট্রাক্টের বিয়ে, পালিয়ে গিয়ে বিয়ে, উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে, জোর করে বিয়ে, দু'দিনের বিয়ে কত রকমের বিয়ের ছড়াছড়ি!  আগের দিনের মত নানী, দাদিদের এরেঞ্জ ম্যারেজের ভালোবাসার গল্প কয় জনি বা শুনতে পাই!
"ঙ্গান" আরো একটি বিশাল শব্দ যা আমরা একে অন্যকে না দিলেই পারি! তাই চুপ করছি!
যাই হোক এবার আসি গল্পের মূল চরিত্রে নাম, "নাদিয়া"। কিছু কথক এর মত বলছিনা যে বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে বরং বাবা- মায়ের সব থেকে বড় মেয়ে আরো দুই বোন আছে নাদিয়ার। তবে নাদিয়াকেই সব থেকে সুন্দর ও শুভ্র স্বভাবের মেয় বলা হয়। অত্যন্ত শান্ত ও অবুঝ প্রকৃতির মেয়ে নাদিয়া। 
গল্প বলার জন্য এগিয়ে যাচ্ছি কয়েক বছর আগে। নাদিয়া, বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে, অনেক ছোট খুব বেশী বড় বলা যায় না। সবার আদরের সবার চোখের মনি। 
এবার আসি গল্পের নায়ক চরিত্রে। যে কিনা গল্পের নায়ক হতে হতে থেকে যাওয়া একটি চরিত্র! কিভাবে? 
আশরাফ, নাদিয়ার খালাতো ভাই। সে খালার কোন মেয়ে নেই। মেয়ের প্রচন্ড সখ তবে দুটই ছেলে। একটি নাদিয়ার বয়সী আর বড় ছেলে আশারাফ। খালার চোখে নাদিয়া তার মেয়ের মত বরং তার থেকেও বেশি।
খালার সাথে নাদিয়ার একটি মজার গল্প আছে। নাদিয়া তখন ছোট্ট ক্লাস টু'তে পড়ে হয়তো। এমনই সময় নাদিয়াদের বাসায় খালা বেড়াতে আসে। নাদিয়া স্কুলে যাবে ভেবে খালআ ভাবলো যে আজকে মেয়েটাকে আমি রান্না করে খাওয়াই । নাদিয়ার সুজি খুব পছন্দ ছিলো। 
খালা নাদিয়াকে সুজি বানিয়ে খেতে দিল। নাদিয়া সুজি টা দেখেই কেমন যেন মুখ করে ফেলল,
- আম্মু এটা এমন দেখতে কেন! আমি খাব না!
- তোর খালা খুব আদর করে বানিয়েছে মা খেয়ে যা। একটু মুখে দে। জানিস তো তোর খালা খুব ভালো রান্না করে।
নাদিয়া মায়ের কথায় সুজি মুখে দিল।
- মা, মিথ্যা কথা বল কেন? এটাকে ভালো রান্না বলে! 
নাদিয়া না খেয়ে চলে যেতে লাগল এমন সময় খালা এসে বলল,
-  কি হয়েছে মা খেলি না যে?
- কিভাবে খাব!
-  ভাল হয়নি মা সুজি?
-  হ্যাঁ, ভাল হয়না এজন্য খাব না!
ইশ্, এভাবে যদি ভার্সিটির টিচার দের বলতে পারতাম, আপনার দেয়া এসাইনমেন্ট পছন্দ হয়নি তাই করতে পারব না! কত মজাটাই না হত।
নাদিয়া ও আসরাফের মধ্যে তখন থেকেই প্রেম প্রেম ভাব। প্রেম কি নাদিয়ার তখন তা বোঝার কথা নয় তবে লক্ষণ সব প্রেমেরি বলা চলে। মজার বিষয়টা ছিল আসরাফের ছোট ভাইকে নিয়ে। আসরাফ ও নাদিয়া সবসময় একসাথে লেগে থাকত আর এই আশরাফ ও নাদিয়া এক হলেই তার মাঝখানে থাকা চাই! ওই আমাদের বড় বেলার প্রেমে কাজিনদের নিয়ে যেমনটা হয়!
নাদিয়ার বড় হয়েছে। ছোটবেলার স্মৃতি হাফসা হাফসা অনেকটাই মনে। নাদিয়ার প্রখর বিশ্বাস আসারফ তাকে এখনো ভালোবাসে তাই নাদিয়ার মনে প্রেম শব্দটুকু বলতে আশরাফ।
এদিকে নাদিয়ার বাবার নাদিয়ার জন্য পছন্দ হয় আরেক ছেলেকে। তড়িঘড়ি করে নাদিয়ার বিয়ে! বিয়ের খবর আসরাফ পেতেই,
- খালা, নাদিয়ার বিয়ে হয়নি তাই না? আপনারা মিথ্যা বলছেন!
- এত বড় কথা কি মিথ্যা বলা যায় বাবা বল?
- আমি জানি খালা আপনারা মিথ্যা বলছেন! আপনি বলেন নাদিয়ার বিয়ে হয় নাই, আমি জানি খালা নাদিয়ার বিয়ে হয় নাই! আমি নাদিয়াকে বিয়ে করবো খালা! আপনি ওকে আর কোথাও বিয়ে দিবেন না, আমি ওকে বিয়ে করবো!
কেন ভাই, বিয়ে কি হাতের মোয়া তুমি যখন বলবে আর তোমাকে দিয়ে দিবে! 
এই কাজিনদের সমস্যায় এটা, চোখের সামনে প্রেমিক প্রেমিকার বিয়ে হতে দেখবে তারপরে দেবদাস হয়ে ঘুরবে। তার কিছুদিন পর ত্যাগের মহিমা ছড়াবে আর সব শেষে কাজিন বলে চালিয়ে দেবে!
মোট কথা তো বলায় হলো না, সে কাজিনের বিয়েতে ''চান্না মেরে আ" ও গাইবে!
- ৬ অক্টোবর, ২০২৩
- মোনালিসা মিতু।
0 notes
mrmwithacupofcoffee · 10 months
Text
শব্দ
জীবনের সাথে জড়িত অতি পরিচিত একটি শব্দ আছে।জীবনের অর্ধেকের চেয়েও বেশি সময় যেন এই শব্দের সাথে কেটে যায়। ওহ্ দুঃখিত, আজকাল তো আবার কাটে না! চারপাশে কত রকমের বিয়ে কন্ট্রাক্টের বিয়ে, পালিয়ে গিয়ে বিয়ে, উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে, জোর করে বিয়ে, দু'দিনের বিয়ে কত রকমের বিয়ের ছড়াছড়ি!  আগের দিনের মত নানী, দাদিদের এরেঞ্জ ম্যারেজের ভালোবাসার গল্প কয় জনি বা শুনতে পাই!
"ঙ্গান" আরো একটি বিশাল শব্দ যা আমরা একে অন্যকে না দিলেই পারি! তাই চুপ করছি!
যাই হোক এবার আসি গল্পের মূল চরিত্রে নাম, "নাদিয়া"। কিছু কথক এর মত বলছিনা যে বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে বরং বাবা- মায়ের সব থেকে বড় মেয়ে আরো দুই বোন আছে নাদিয়ার। তবে নাদিয়াকেই সব থেকে সুন্দর ও শুভ্র স্বভাবের মেয় বলা হয়। অত্যন্ত শান্ত ও অবুঝ প্রকৃতির মেয়ে নাদিয়া। 
গল্প বলার জন্য এগিয়ে যাচ্ছি কয়েক বছর আগে। নাদিয়া, বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে, অনেক ছোট খুব বেশী বড় বলা যায় না। সবার আদরের সবার চোখের মনি। 
এবার আসি গল্পের নায়ক চরিত্রে। যে কিনা গল্পের নায়ক হতে হতে থেকে যাওয়া একটি চরিত্র! কিভাবে? 
আশরাফ, নাদিয়ার খালাতো ভাই। সে খালার কোন মেয়ে নেই। মেয়ের প্রচন্ড সখ তবে দুটই ছেলে। একটি নাদিয়ার বয়সী আর বড় ছেলে আশারাফ। খালার চোখে নাদিয়া তার মেয়ের মত বরং তার থেকেও বেশি।
খালার সাথে নাদিয়ার একটি মজার গল্প আছে। নাদিয়া তখন ছোট্ট ক্লাস টু'তে পড়ে হয়তো। এমনই সময় নাদিয়াদের বাসায় খালা বেড়াতে আসে। নাদিয়া স্কুলে যাবে ভেবে খালআ ভাবলো যে আজকে মেয়েটাকে আমি রান্না করে খাওয়াই । নাদিয়ার সুজি খুব পছন্দ ছিলো। 
খালা নাদিয়াকে সুজি বানিয়ে খেতে দিল। নাদিয়া সুজি টা দেখেই কেমন যেন মুখ করে ফেলল,
- আম্মু এটা এমন দেখতে কেন! আমি খাব না!
- তোর খালা খুব আদর করে বানিয়েছে মা খেয়ে যা। একটু মুখে দে। জানিস তো তোর খালা খুব ভালো রান্না করে।
নাদিয়া মায়ের কথায় সুজি মুখে দিল।
- মা, মিথ্যা কথা বল কেন? এটাকে ভালো রান্না বলে! 
নাদিয়া না খেয়ে চলে যেতে লাগল এমন সময় খালা এসে বলল,
-  কি হয়েছে মা খেলি না যে?
- কিভাবে খাব!
-  ভাল হয়নি মা সুজি?
-  হ্যাঁ, ভাল হয়না এজন্য খাব না!
ইশ্, এভাবে যদি ভার্সিটির টিচার দের বলতে পারতাম, আপনার দেয়া এসাইনমেন্ট পছন্দ হয়নি তাই করতে পারব না! কত মজাটাই না হত।
নাদিয়া ও আসরাফের মধ্যে তখন থেকেই প্রেম প্রেম ভাব। প্রেম কি নাদিয়ার তখন তা বোঝার কথা নয় তবে লক্ষণ সব প্রেমেরি বলা চলে। মজার বিষয়টা ছিল আসরাফের ছোট ভাইকে নিয়ে। আসরাফ ও নাদিয়া সবসময় একসাথে লেগে থাকত আর এই আশরাফ ও নাদিয়া এক হলেই তার মাঝখানে থাকা চাই! ওই আমাদের বড় বেলার প্রেমে কাজিনদের নিয়ে যেমনটা হয়!
নাদিয়ার বড় হয়েছে। ছোটবেলার স্মৃতি হাফসা হাফসা অনেকটাই মনে। নাদিয়ার প্রখর বিশ্বাস আসারফ তাকে এখনো ভালোবাসে তাই নাদিয়ার মনে প্রেম শব্দটুকু বলতে আশরাফ।
এদিকে নাদিয়ার বাবার নাদিয়ার জন্য পছন্দ হয় আরেক ছেলেকে। তড়িঘড়ি করে নাদিয়ার বিয়ে! বিয়ের খবর আসরাফ পেতেই,
- খালা, নাদিয়ার বিয়ে হয়নি তাই না? আপনারা মিথ্যা বলছেন!
- এত বড় কথা কি মিথ্যা বলা যায় বাবা বল?
- আমি জানি খালা আপনারা মিথ্যা বলছেন! আপনি বলেন নাদিয়ার বিয়ে হয় নাই, আমি জানি খালা নাদিয়ার বিয়ে হয় নাই! আমি নাদিয়াকে বিয়ে করবো খালা! আপনি ওকে আর কোথাও বিয়ে দিবেন না, আমি ওকে বিয়ে করবো!
কেন ভাই, বিয়ে কি হাতের মোয়া তুমি যখন বলবে আর তোমাকে দিয়ে দিবে! 
এই কাজিনদের সমস্যায় এটা, চোখের সামনে প্রেমিক প্রেমিকার বিয়ে হতে দেখবে তারপরে দেবদাস হয়ে ঘুরবে। তার কিছুদিন পর ত্যাগের মহিমা ছড়াবে আর সব শেষে কাজিন বলে চালিয়ে দেবে!
মোট কথা তো বলায় হলো না, সে কাজিনের বিয়েতে ''চান্না মেরে আ" ও গাইবে!
- ২৬ আগস্ট, ২০২৩
- মোনালিসা মিতু।
0 notes
Text
শব্দ
জীবনের সাথে জড়িত অতি পরিচিত একটি শব্দ আছে।জীবনের অর্ধেকের চেয়েও বেশি সময় যেন এই শব্দের সাথে কেটে যায়। ওহ্ দুঃখিত, আজকাল তো আবার কাটে না! চারপাশে কত রকমের বিয়ে কন্ট্রাক্টের বিয়ে, পালিয়ে গিয়ে বিয়ে, উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে, জোর করে বিয়ে, দু'দিনের বিয়ে কত রকমের বিয়ের ছড়াছড়ি!  আগের দিনের মত নানী, দাদিদের এরেঞ্জ ম্যারেজের ভালোবাসার গল্প কয় জনি বা শুনতে পাই!
"ঙ্গান" আরো একটি বিশাল শব্দ যা আমরা একে অন্যকে না দিলেই পারি! তাই চুপ করছি!
যাই হোক এবার আসি গল্পের মূল চরিত্রে নাম, "নাদিয়া"। কিছু কথক এর মত বলছিনা যে বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে বরং বাবা- মায়ের সব থেকে বড় মেয়ে আরো দুই বোন আছে নাদিয়ার। তবে নাদিয়াকেই সব থেকে সুন্দর ও শুভ্র স্বভাবের মেয় বলা হয়। অত্যন্ত শান্ত ও অবুঝ প্রকৃতির মেয়ে নাদিয়া। 
গল্প বলার জন্য এগিয়ে যাচ্ছি কয়েক বছর আগে। নাদিয়া, বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে, অনেক ছোট খুব বেশী বড় বলা যায় না। সবার আদরের সবার চোখের মনি। 
এবার আসি গল্পের নায়ক চরিত্রে। যে কিনা গল্পের নায়ক হতে হতে থেকে যাওয়া একটি চরিত্র! কিভাবে? 
আশরাফ, নাদিয়ার খালাতো ভাই। সে খালার কোন মেয়ে নেই। মেয়ের প্রচন্ড সখ তবে দুটই ছেলে। একটি নাদিয়ার বয়সী আর বড় ছেলে আশারাফ। খালার চোখে নাদিয়া তার মেয়ের মত বরং তার থেকেও বেশি।
খালার সাথে নাদিয়ার একটি মজার গল্প আছে। নাদিয়া তখন ছোট্ট ক্লাস টু'তে পড়ে হয়তো। এমনই সময় নাদিয়াদের বাসায় খালা বেড়াতে আসে। নাদিয়া স্কুলে যাবে ভেবে খালআ ভাবলো যে আজকে মেয়েটাকে আমি রান্না করে খাওয়াই । নাদিয়ার সুজি খুব পছন্দ ছিলো। 
খালা নাদিয়াকে সুজি বানিয়ে খেতে দিল। নাদিয়া সুজি টা দেখেই কেমন যেন মুখ করে ফেলল,
- আম্মু এটা এমন দেখতে কেন! আমি খাব না!
- তোর খালা খুব আদর করে বানিয়েছে মা খেয়ে যা। একটু মুখে দে। জানিস তো তোর খালা খুব ভালো রান্না করে।
নাদিয়া মায়ের কথায় সুজি মুখে দিল।
- মা, মিথ্যা কথা বল কেন? এটাকে ভালো রান্না বলে! 
নাদিয়া না খেয়ে চলে যেতে লাগল এমন সময় খালা এসে বলল,
-  কি হয়েছে মা খেলি না যে?
- কিভাবে খাব!
-  ভাল হয়নি মা সুজি?
-  হ্যাঁ, ভাল হয়না এজন্য খাব না!
ইশ্, এভাবে যদি ভার্সিটির টিচার দের বলতে পারতাম, আপনার দেয়া এসাইনমেন্ট পছন্দ হয়নি তাই করতে পারব না! কত মজাটাই না হত।
নাদিয়া ও আসরাফের মধ্যে তখন থেকেই প্রেম প্রেম ভাব। প্রেম কি নাদিয়ার তখন তা বোঝার কথা নয় তবে লক্ষণ সব প্রেমেরি বলা চলে। মজার বিষয়টা ছিল আসরাফের ছোট ভাইকে নিয়ে। আসরাফ ও নাদিয়া সবসময় একসাথে লেগে থাকত আর এই আশরাফ ও নাদিয়া এক হলেই তার মাঝখানে থাকা চাই! ওই আমাদের বড় বেলার প্রেমে কাজিনদের নিয়ে যেমনটা হয়!
নাদিয়ার বড় হয়েছে। ছোটবেলার স্মৃতি হাফসা হাফসা অনেকটাই মনে। নাদিয়ার প্রখর বিশ্বাস আসারফ তাকে এখনো ভালোবাসে তাই নাদিয়ার মনে প্রেম শব্দটুকু বলতে আশরাফ।
এদিকে নাদিয়ার বাবার নাদিয়ার জন্য পছন্দ হয় আরেক ছেলেকে। তড়িঘড়ি করে নাদিয়ার বিয়ে! বিয়ের খবর আসরাফ পেতেই,
- খালা, নাদিয়ার বিয়ে হয়নি তাই না? আপনারা মিথ্যা বলছেন!
- এত বড় কথা কি মিথ্যা বলা যায় বাবা বল?
- আমি জানি খালা আপনারা মিথ্যা বলছেন! আপনি বলেন নাদিয়ার বিয়ে হয় নাই, আমি জানি খালা নাদিয়ার বিয়ে হয় নাই! আমি নাদিয়াকে বিয়ে করবো খালা! আপনি ওকে আর কোথাও বিয়ে দিবেন না, আমি ওকে বিয়ে করবো!
কেন ভাই, বিয়ে কি হাতের মোয়া তুমি যখন বলবে আর তোমাকে দিয়ে দিবে! 
এই কাজিনদের সমস্যায় এটা, চোখের সামনে প্রেমিক প্রেমিকার বিয়ে হতে দেখবে তারপরে দেবদাস হয়ে ঘুরবে। তার কিছুদিন পর ত্যাগের মহিমা ছড়াবে আর সব শেষে কাজিন বলে চালিয়ে দেবে!
মোট কথা তো বলায় হলো না, সে কাজিনের বিয়েতে ''চান্না মেরে আ" ও গাইবে!
- ৫ অক্টোবর, ২০২৩
- মোনালিসা মিতু।
0 notes
Text
নাদিয়া
জীবনের সাথে জড়িত অতি পরিচিত একটি শব্দ আছে।জীবনের অর্ধেকের চেয়েও বেশি সময় যেন এই শব্দের সাথে কেটে যায়। ওহ্ দুঃখিত, আজকাল তো আবার কাটে না! চারপাশে কত রকমের বিয়ে কন্ট্রাক্টের বিয়ে, পালিয়ে গিয়ে বিয়ে, উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে, জোর করে বিয়ে, দু'দিনের বিয়ে কত রকমের বিয়ের ছড়াছড়ি!  আগের দিনের মত নানী, দাদিদের এরেঞ্জ ম্যারেজের ভালোবাসার গল্প কয় জনি বা শুনতে পাই!
"ঙ্গান" আরো একটি বিশাল শব্দ যা আমরা একে অন্যকে না দিলেই পারি! তাই চুপ করছি!
যাই হোক এবার আসি গল্পের মূল চরিত্রে নাম, "নাদিয়া"। কিছু কথক এর মত বলছিনা যে বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে বরং বাবা- মায়ের সব থেকে বড় মেয়ে আরো দুই বোন আছে নাদিয়ার। তবে নাদিয়াকেই সব থেকে সুন্দর ও শুভ্র স্বভাবের মেয় বলা হয়। অত্যন্ত শান্ত ও অবুঝ প্রকৃতির মেয়ে নাদিয়া। 
গল্প বলার জন্য এগিয়ে যাচ্ছি কয়েক বছর আগে। নাদিয়া, বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে, অনেক ছোট খুব বেশী বড় বলা যায় না। সবার আদরের সবার চোখের মনি। 
এবার আসি গল্পের না��়ক চরিত্রে। যে কিনা গল্পের নায়ক হতে হতে থেকে যাওয়া একটি চরিত্র! কিভাবে? 
আশরাফ, নাদিয়ার খালাতো ভাই। সে খালার কোন মেয়ে নেই। মেয়ের প্রচন্ড সখ তবে দুটই ছেলে। একটি নাদিয়ার বয়সী আর বড় ছেলে আশারাফ। খালার চোখে নাদিয়া তার মেয়ের মত বরং তার থেকেও বেশি।
খালার সাথে নাদিয়ার একটি মজার গল্প আছে। নাদিয়া তখন ছোট্ট ক্লাস টু'তে পড়ে হয়তো। এমনই সময় নাদিয়াদের বাসায় খালা বেড়াতে আসে। নাদিয়া স্কুলে যাবে ভেবে খালআ ভাবলো যে আজকে মেয়েটাকে আমি রান্না করে খাওয়াই । নাদিয়ার সুজি খুব পছন্দ ছিলো। 
খালা নাদিয়াকে সুজি বানিয়ে খেতে দিল। নাদিয়া সুজি টা দেখেই কেমন যেন মুখ করে ফেলল,
- আম্মু এটা এমন দেখতে কেন! আমি খাব না!
- তোর খালা খুব আদর করে বানিয়েছে মা খেয়ে যা। একটু মুখে দে। জানিস তো তোর খালা খুব ভালো রান্না করে।
নাদিয়া মায়ের কথায় সুজি মুখে দিল।
- মা, মিথ্যা কথা বল কেন? এটাকে ভালো রান্না বলে! 
নাদিয়া না খেয়ে চলে যেতে লাগল এমন সময় খালা এসে বলল,
-  কি হয়েছে মা খেলি না যে?
- কিভাবে খাব!
-  ভাল হয়নি মা সুজি?
-  হ্যাঁ, ভাল হয়না এজন্য খাব না!
ইশ্, এভাবে যদি ভার্সিটির টিচার দের বলতে পারতাম, আপনার দেয়া এসাইনমেন্ট পছন্দ হয়নি তাই করতে পারব না! কত মজাটাই না হত।
নাদিয়া ও আসরাফের মধ্যে তখন থেকেই প্রেম প্রেম ভাব। প্রেম কি নাদিয়ার তখন তা বোঝার কথা নয় তবে লক্ষণ সব প্রেমেরি বলা চলে। মজার বিষয়টা ছিল আসরাফের ছোট ভাইকে নিয়ে। আসরাফ ও নাদিয়া সবসময় একসাথে লেগে থাকত আর এই আশরাফ ও নাদিয়া এক হলেই তার মাঝখানে থাকা চাই! ওই আমাদের বড় বেলার প্রেমে কাজিনদের নিয়ে যেমনটা হয়!
নাদিয়ার বড় হয়েছে। ছোটবেলার স্মৃতি হাফসা হাফসা অনেকটাই মনে। নাদিয়ার প্রখর বিশ্বাস আসারফ তাকে এখনো ভালোবাসে তাই নাদিয়ার মনে প্রেম শব্দটুকু বলতে আশরাফ।
এদিকে নাদিয়ার বাবার নাদিয়ার জন্য পছন্দ হয় আরেক ছেলেকে। তড়িঘড়ি করে নাদিয়ার বিয়ে! বিয়ের খবর আসরাফ পেতেই,
- খালা, নাদিয়ার বিয়ে হয়নি তাই না? আপনারা মিথ্যা বলছেন!
- এত বড় কথা কি মিথ্যা বলা যায় বাবা বল?
- আমি জানি খালা আপনারা মিথ্যা বলছেন! আপনি বলেন নাদিয়ার বিয়ে হয় নাই, আমি জানি খালা নাদিয়ার বিয়ে হয় নাই! আমি নাদিয়াকে বিয়ে করবো খালা! আপনি ওকে আর কোথাও বিয়ে দিবেন না, আমি ওকে বিয়ে করবো!
কেন ভাই, বিয়ে কি হাতের মোয়া তুমি যখন বলবে আর তোমাকে দিয়ে দিবে! 
এই কাজিনদের সমস্যায় এটা, চোখের সামনে প্রেমিক প্রেমিকার বিয়ে হতে দেখবে তারপরে দেবদাস হয়ে ঘুরবে। তার কিছুদিন পর ত্যাগের মহিমা ছড়াবে আর সব শেষে কাজিন বলে চালিয়ে দেবে!
মোট কথা তো বলায় হলো না, সে কাজিনের বিয়েতে ''চান্না মেরে আ" ও গাইবে!
- ২ মে, ২০২৩
- মোনালিসা মিতু।
0 notes
Text
শব্দ
জীবনের সাথে জড়িত অতি পরিচিত একটি শব্দ আছে।জীবনের অর্ধেকের চেয়েও বেশি সময় যেন এই শব্দের সাথে কেটে যায়। ওহ্ দুঃখিত, আজকাল তো আবার কাটে না! চারপাশে কত রকমের বিয়ে কন্ট্রাক্টের বিয়ে, পালিয়ে গিয়ে বিয়ে, উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে, জোর করে বিয়ে, দু'দিনের বিয়ে কত রকমের বিয়ের ছড়াছড়ি!  আগের দিনের মত নানী, দাদিদের এরেঞ্জ ম্যারেজের ভালোবাসার গল্প কয় জনি বা শুনতে পাই!
"ঙ্গান" আরো একটি বিশাল শব্দ যা আমরা একে অন্যকে না দিলেই পারি! তাই চুপ করছি!
যাই হোক এবার আসি গল্পের মূল চরিত্রে নাম, "নাদিয়া"। কিছু কথক এর মত বলছিনা যে বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে বরং বাবা- মায়ের সব থেকে বড় মেয়ে আরো দুই বোন আছে নাদিয়ার। তবে নাদিয়াকেই সব থেকে সুন্দর ও শুভ্র স্বভাবের মেয় বলা হয়। অত্যন্ত শান্ত ও অবুঝ প্রকৃতির মেয়ে নাদিয়া। 
গল্প বলার জন্য এগিয়ে যাচ্ছি কয়েক বছর আগে। নাদিয়া, বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে, অনেক ছোট খুব বেশী বড় বলা যায় না। সবার আদরের সবার চোখের মনি। 
এবার আসি গল্পের নায়ক চরিত্রে। যে কিনা গল্পের নায়ক হতে হতে থেকে যাওয়া একটি চরিত্র! কিভাবে? 
আশরাফ, নাদিয়ার খালাতো ভাই। সে খালার কোন মেয়ে নেই। মেয়ের প্রচন্ড সখ তবে দুটই ছেলে। একটি নাদিয়ার বয়সী আর বড় ছেলে আশারাফ। খালার চোখে নাদিয়া তার মেয়ের মত বরং তার থেকেও বেশি।
খালার সাথে নাদিয়ার একটি মজার গল্প আছে। নাদিয়া তখন ছোট্ট ক্লাস টু'তে পড়ে হয়তো। এমনই সময় নাদিয়াদের বাসায় খালা বেড়াতে আসে। নাদিয়া স্কুলে যাবে ভেবে খালআ ভাবলো যে আজকে মেয়েটাকে আমি রান্না করে খাওয়াই । নাদিয়ার সুজি খুব পছন্দ ছিলো। 
খালা নাদিয়াকে সুজি বানিয়ে খেতে দিল। নাদিয়া সুজি টা দেখেই কেমন যেন মুখ করে ফেলল,
- আম্মু এটা এমন দেখতে কেন! আমি খাব না!
- তোর খালা খুব আদর করে বানিয়েছে মা খেয়ে যা। একটু মুখে দে। জানিস তো তোর খালা খুব ভালো রান্না করে।
নাদিয়া মায়ের কথায় সুজি মুখে দিল।
- মা, মিথ্যা কথা বল কেন? এটাকে ভালো রান্না বলে! 
নাদিয়া না খেয়ে চলে যেতে লাগল এমন সময় খালা এসে বলল,
-  কি হয়েছে মা খেলি না যে?
- কিভাবে খাব!
-  ভাল হয়নি মা সুজি?
-  হ্যাঁ, ভাল হয়না এজন্য খাব না!
ইশ্, এভাবে যদি ভার্সিটির টিচার দের বলতে পারতাম, আপনার দেয়া এসাইনমেন্ট পছন্দ হয়নি তাই করতে পারব না! কত মজাটাই না হত।
নাদিয়া ও আসরাফের মধ্যে তখন থেকেই প্রেম প্রেম ভাব। প্রেম কি নাদিয়ার তখন তা বোঝার কথা নয় তবে লক্ষণ সব প্রেমেরি বলা চলে। মজার বিষয়টা ছিল আসরাফের ছোট ভাইকে নিয়ে। আসরাফ ও নাদিয়া সবসময় একসাথে লেগে থাকত আর এই আশরাফ ও নাদিয়া এক হলেই তার মাঝখানে থাকা চাই! ওই আমাদের বড় বেলার প্রেমে কাজ��নদের নিয়ে যেমনটা হয়!
নাদিয়ার বড় হয়েছে। ছোটবেলার স্মৃতি হাফসা হাফসা অনেকটাই মনে। নাদিয়ার প্রখর বিশ্বাস আসারফ তাকে এখনো ভালোবাসে তাই নাদিয়ার মনে প্রেম শব্দটুকু বলতে আশরাফ।
এদিকে নাদিয়ার বাবার নাদিয়ার জন্য পছন্দ হয় আরেক ছেলেকে। তড়িঘড়ি করে নাদিয়ার বিয়ে! বিয়ের খবর আসরাফ পেতেই,
- খালা, নাদিয়ার বিয়ে হয়নি তাই না? আপনারা মিথ্যা বলছেন!
- এত বড় কথা কি মিথ্যা বলা যায় বাবা বল?
- আমি জানি খালা আপনারা মিথ্যা বলছেন! আপনি বলেন নাদিয়ার বিয়ে হয় নাই, আমি জানি খালা নাদিয়ার বিয়ে হয় নাই! আমি নাদিয়াকে বিয়ে করবো খালা! আপনি ওকে আর কোথাও বিয়ে দিবেন না, আমি ওকে বিয়ে করবো!
কেন ভাই, বিয়ে কি হাতের মোয়া তুমি যখন বলবে আর তোমাকে দিয়ে দিবে! 
এই কাজিনদের সমস্যায় এটা, চোখের সামনে প্রেমিক প্রেমিকার বিয়ে হতে দেখবে তারপরে দেবদাস হয়ে ঘুরবে। তার কিছুদিন পর ত্যাগের মহিমা ছড়াবে আর সব শেষে কাজিন বলে চালিয়ে দেবে!
মোট কথা তো বলায় হলো না, সে কাজিনের বিয়েতে ''চান্না মেরে আ" ও গাইবে!
- ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
- মোনালিসা মিতু।
1 note · View note
Text
শব্দ
জীবনের সাথে জড়িত অতি পরিচিত একটি শব্দ আছে।জীবনের অর্ধেকের চেয়েও বেশি সময় যেন এই শব্দের সাথে কেটে যায়। ওহ্ দুঃখিত, আজকাল তো আবার কাটে না! চারপাশে কত রকমের বিয়ে কন্ট্রাক্টের বিয়ে, পালিয়ে গিয়ে বিয়ে, উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে, জোর করে বিয়ে, দু'দিনের বিয়ে কত রকমের বিয়ের ছড়াছড়ি!  আগের দিনের মত নানী, দাদিদের এরেঞ্জ ম্যারেজের ভালোবাসার গল্প কয় জনি বা শুনতে পাই!
"ঙ্গান" আরো একটি বিশাল শব্দ যা আমরা একে অন্যকে না দিলেই পারি! তাই চুপ করছি!
যাই হোক এবার আসি গল্পের মূল চরিত্রে নাম, "নাদিয়া"। কিছু কথক এর মত বলছিনা যে বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে বরং বাবা- মায়ের সব থেকে বড় মেয়ে আরো দুই বোন আছে নাদিয়ার। তবে নাদিয়াকেই সব থেকে সুন্দর ও শুভ্র স্বভাবের মেয় বলা হয়। অত্যন্ত শান্ত ও অবুঝ প্রকৃতির মেয়ে নাদিয়া। 
গল্প বলার জন্য এগিয়ে যাচ্ছি কয়েক বছর আগে। নাদিয়া, বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে, অনেক ছোট খুব বেশী বড় বলা যায় না। সবার আদরের সবার চোখের মনি। 
এবার আসি গল্পের নায়ক চরিত্রে। যে কিনা গল্পের নায়ক হতে হতে থেকে যাওয়া একটি চরিত্র! কিভাবে? 
আশরাফ, নাদিয়ার খালাতো ভাই। সে খালার কোন মেয়ে নেই। মেয়ের প্রচন্ড সখ তবে দুটই ছেলে। একটি নাদিয়ার বয়সী আর বড় ছেলে আশারাফ। খালার চোখে নাদিয়া তার মেয়ের মত বরং তার থেকেও বেশি।
খালার সাথে নাদিয়ার একটি মজার গল্প আছে। নাদিয়া তখন ছোট্ট ক্লাস টু'তে পড়ে হয়তো। এমনই সময় নাদিয়াদের বাসায় খালা বেড়াতে আসে। নাদিয়া স্কুলে যাবে ভেবে খালআ ভাবলো যে আজকে মেয়েটাকে আমি রান্না করে খাওয়াই । নাদিয়ার সুজি খুব পছন্দ ছিলো। 
খালা নাদিয়াকে সুজি বানিয়ে খেতে দিল। নাদিয়া সুজি টা দেখেই কেমন যেন মুখ করে ফেলল,
- আম্মু এটা এমন দেখতে কেন! আমি খাব না!
- তোর খালা খুব আদর করে বানিয়েছে মা খেয়ে যা। একটু মুখে দে। জানিস তো তোর খালা খুব ভালো রান্না করে।
নাদিয়া মায়ের কথায় সুজি মুখে দিল।
- মা, মিথ্যা কথা বল কেন? এটাকে ভালো রান্না বলে! 
নাদিয়া না খেয়ে চলে যেতে লাগল এমন সময় খালা এসে বলল,
-  কি হয়েছে মা খেলি না যে?
- কিভাবে খাব!
-  ভাল হয়নি মা সুজি?
-  হ্যাঁ, ভাল হয়না এজন্য খাব না!
ইশ্, এভাবে যদি ভার্সিটির টিচার দের বলতে পারতাম, আপনার দেয়া এসাইনমেন্ট পছন্দ হয়নি তাই করতে পারব না! কত মজাটাই না হত।
নাদিয়া ও আসরাফের মধ্যে তখন থেকেই প্রেম প্রেম ভাব। প্রেম কি নাদিয়ার তখন তা বোঝার কথা নয় তবে লক্ষণ সব প্রেমেরি বলা চলে। মজার বিষয়টা ছিল আসরাফের ছোট ভাইকে নিয়ে। আসরাফ ও নাদিয়া সবসময় একসাথে লেগে থাকত আর এই আশরাফ ও নাদিয়া এক হলেই তার মাঝখানে থাকা চাই! ওই আমাদের বড় বেলার প্রেমে কাজিনদের নিয়ে যেমনটা হয়!
নাদিয়ার বড় হয়েছে। ছোটবেলার স্মৃতি হাফসা হাফসা অনেকটাই মনে। নাদিয়ার প্রখর বিশ্বাস আসারফ তাকে এখনো ভালোবাসে তাই নাদিয়ার মনে প্রেম শব্দটুকু বলতে আশরাফ।
এদিকে নাদিয়ার বাবার নাদিয়ার জন্য পছন্দ হয় আরেক ছেলেকে। তড়িঘড়ি করে নাদিয়ার বিয়ে! বিয়ের খবর আসরাফ পেতেই,
- খালা, নাদিয়ার বিয়ে হয়নি তাই না? আপনারা মিথ্যা বলছেন!
- এত বড় কথা কি মিথ্যা বলা যায় বাবা বল?
- আমি জানি খালা আপনারা মিথ্যা বলছেন! আপনি বলেন নাদিয়ার বিয়ে হয় নাই, আমি জানি খালা নাদিয়ার বিয়ে হয় নাই! আমি নাদিয়াকে বিয়ে করবো খালা! আপনি ওকে আর কোথাও বিয়ে দিবেন না, আমি ওকে বিয়ে করবো!
কেন ভাই, বিয়ে কি হাতের মোয়া তুমি যখন বলবে আর তোমাকে দিয়ে দিবে! 
এই কাজিনদের সমস্যায় এটা, চোখের সামনে প্রেমিক প্রেমিকার বিয়ে হতে দেখবে তারপরে দেবদাস হয়ে ঘুরবে। তার কিছুদিন পর ত্যাগের মহিমা ছড়াবে আর সব শেষে কাজিন বলে চালিয়ে দেবে!
মোট কথা তো বলায় হলো না, সে কাজিনের বিয়েতে ''চান্না মেরে আ" ও গাইবে!
- ২৯ জানুয়ারি, ২০২৩
- মোনালিসা মিতু।
0 notes
Text
কসম
স্কুল জীবনে ইংলিশ ভার্সন, বাংলা ভার্সন এ জিনিসটা আমাদের সকলের কাছেই তেমন ডিটেলে পরিচিত না হলেও আমরা আলাদা আলাদাভাবে এর সাথে সম্পূর্নভাবে পরিচিত। বোধহয় সকলের কাছে এ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান আছে।
ইংলিশ ভার্সনের ছেলেমেয়েদের ধারণা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এমন হয়ে থাকে যে বাংলা মিডিয়ার ছেলেমেয়েরা কোন পড়াশোনায় করে না, দেশের স্ পড়াশুনা তারা একাই করছে, চাকরির ক্ষেত্রে ও তাদের মাহাত্ব বেশি, বাংলা ভার্সনে পড়ে নাই বলে কি বাচাঁটাই না বেঁচে গেছে!
অন্যদিকে বাংলা ভার্সনের ছেলেমেয়েরা, আরে বাদ দে তো যত সব বখাটে তো ওই ইংলিশ ভার্নেই, ভাবের বস্তা নিয়ে ঘোরে একেক জন,  ভালো আছে তবে ওই দুই একটা দিয়ে কি করবো! বাংলা ভার্সনে পড়ি দেখে তো আর ফাউল হয়ে যাই নি!
এবার আসি আমার বক্তব্যে, দুঃখিত! আমি না বাংলা ভার্সনের পক্ষে যাচ্ছি আর না ইংলিশ ভার্সনের পক্ষে। শুধু এতোটুকুই বলবো চাকরির ক্ষেত্রে আসলে ইংলিশ ভার্শনের কথাটা কিছু অংসে সত্য, আর বাংলা ভার্সনের ছেলে মেয়েরা আসলেই ফাউল নয়।
কিন্তু এত কিছুর মাঝে চাপা পড়ে যাচ্ছে সব থেকে মজার বিষয়। ইংলিশ ভার্সনে মজাটা একটু স্বাভাবিক তবে বাংলা ভার্সনে সব মজায় তেমন স্বাভাবিক হয়ে ওঠে না এখানে ছোট ছোট বিষয় গুলো খুব বড় হয়ে দেখা দেয়। ছোট শহরের ক্ষেত্রে তো আরো বেশি।
ইংলিশ ভার্সনে ছেলেমেয়েদের গল্প করা, একসাথে বসা, ঘুরতে যাওয়া, হাগ করা একেবারেই স্বাভাবিক। কিন্তু একই কাজ একটি বাংলা ভার্সনের ছেলেমেয়েরা কখনই করতে পারে না মূলত তারা ছেলে মেয়ের সাথে গল্প করা মানেই প্রেম বাকি সব তো বাদই দেয়া যায়। এক্ষেএে শিক্ষকদের মনোভাবটাও অনেক অংশে দায়ী।
এবার আসি গার্লস স্কুল এন্ড বয়েজ স্কুলের ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে দু'পক্ষেরই আকর্ষণ করার ক্ষমতা প্রচন্ড বেশি। কারণটা এক্ষেত্রে ধরে নেওয়া যায় তার আকর্ষণ করতে ভালোবাসে অথবা আকর্ষিত হলে তাদের ভালো লাগে। তবে এক্ষেত্রে প্রখরতা টা সবথেকে এখানেই বেশি যে এ ভার্সনের ছেলেমেয়েরাই প্রেম বেশি করে থাকে।
এবার আসি মাদ্রাসাতে। এই সম্পর্কে আমার ধারণা তেমন নেই বললেই চলে। তবে চলার পথে যতটুকু ধারনা পেয়েছি তা খুব যে সুখতর ছিল তা আমি একেবারেই বলতে রাজি নয়।
এবার আসি কম্বিনেশনে হাফ সিফ্ট ছেলে হাফ শিফ্ট মেয়ে। এসব স্কুল গুলোতে মজার মাত্রা আসলেই মজার।
- কিরে আজকে কোচিং কয়টায়?
- চার টার সময়। 
- আজকে ক্লাসে আসবে নাইসা? 
- না ওর তো মর্নিং শিফট ছিল।
-  তুই তাহলে বাইরে গিয়ে একটু দেখা করে আয়।
- আরে না, তুই তো জানিস ওই তো স্কুল ছাড়া বের হতে পারবে না।
- বুঝতে পেরেছি। তাহলে আর দেখা করতে হবে না। দেবসাস হয়েই ঘুড়ে বেড়া।
আর কিছুদিন পরেই টেস্ট পরীক্ষা। তাই কোচিং শুরু হয়ে গিয়েছে। মর্নিং শিফটে দুই জনেরই ক্লাস আর ইভিনিংয়ে কোচিং। তবে টুইস্ট হলো আধা ঘন্টা সময়ের। আধা ঘন্টা সময় আগাপিছু করে প্রত্যেকটা সিডিউল সাজানো। 
নাইসার আধা ঘন্টা আগে এবং ছেলেটির আধা ঘন্টা পর। ছুটির পর দুজনে একসাথে বাসায় যাবে এটা তাদের নতুন পণ। এই পণ পূরণ করার জন্য নাইসা প্রতিদিন আধা ঘন্টা লেট করে থাকে অপেক্ষা করে ছেলেটির জন্য।
তারপরও এনে দুজনে একসাথে দৌড়। নাইসা বাড়িতে জানিয়েছে কিছু সময় এক্সট্রা ক্লাস নেবে দেখেই এ দেরি হওয়া।
এভাবে এই মিথ্যে বলে প্রতিদিন চুপে চুপে একসাথে যাওয়া আবার ক্লাসের মাঝখানে একে অন্যকে মাঠের এপাশ থেকে ওপাশে ভালোবাসা ভরা নজরে দেখতে পাওয়া কতটাইনা অনুভূতি সম্পন্ন।
সম্পর্কের অনেকটা পথই পেরিয়ে এসেছে নাইসা ও ছেলেটি। একদিন তারা রাস্তায় হাত ধরে হাঁটছে। এমন সময় কে যেন এলো ছেলেটি নাইসার হাত ছেড়ে সেই জোরে দৌড় মারল।
- কিনরে কি করছিলি সেদিন?
-  না স্যার কিছু না। ও তো আমার ফুফাতো বোন ওকে আমি স্কুল থেকে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলাম।
- ওহ্,  ফুফাতো বোন তাই নাকি!
- হ্যাঁ স্যার, ফুপাতো বোনের কসম!
- ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩
- মোনালিসা মিতু।
1 note · View note
mrmwithacupofcoffee · 2 years
Text
শব্দ
জীবনের সাথে জড়িত অতি পরিচিত একটি শব্দ আছে।জীবনের অর্ধেকের চেয়েও বেশি সময় যেন এই শব্দের সাথে কেটে যায়। ওহ্ দুঃখিত, আজকাল তো আবার কাটে না! চারপাশে কত রকমের বিয়ে কন্ট্রাক্টের বিয়ে, পালিয়ে গিয়ে বিয়ে, উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে, জোর করে বিয়ে, দু'দিনের বিয়ে কত রকমের বিয়ের ছড়াছড়ি!  আগের দিনের মত নানী, দাদিদের এরেঞ্জ ম্যারেজের ভালোবাসার গল্প কয় জনি বা শুনতে পাই!
"ঙ্গান" আরো একটি বিশাল শব্দ যা আমরা একে অন্যকে না দিলেই পারি! তাই চুপ করছি!
যাই হোক এবার আসি গল্পের মূল চরিত্রে নাম, "নাদিয়া"। কিছু কথক এর মত বলছিনা যে বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে বরং বাবা- মায়ের সব থেকে বড় মেয়ে আরো দুই বোন আছে নাদিয়ার। তবে নাদিয়া���েই সব থেকে সুন্দর ও শুভ্র স্বভাবের মেয় বলা হয়। অত্যন্ত শান্ত ও অবুঝ প্রকৃতির মেয়ে নাদিয়া। 
গল্প বলার জন্য এগিয়ে যাচ্ছি কয়েক বছর আগে। নাদিয়া, বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে, অনেক ছোট খুব বেশী বড় বলা যায় না। সবার আদরের সবার চোখের মনি। 
এবার আসি গল্পের নায়ক চরিত্রে। যে কিনা গল্পের নায়ক হতে হতে থেকে যাওয়া একটি চরিত্র! কিভাবে? 
আশরাফ, নাদিয়ার খালাতো ভাই। সে খালার কোন মেয়ে নেই। মেয়ের প্রচন্ড সখ তবে দুটই ছেলে। একটি নাদিয়ার বয়সী আর বড় ছেলে আশারাফ। খালার চোখে নাদিয়া তার মেয়ের মত বরং তার থেকেও বেশি।
খালার সাথে নাদিয়ার একটি মজার গল্প আছে। নাদিয়া তখন ছোট্ট ক্লাস টু'তে পড়ে হয়তো। এমনই সময় নাদিয়াদের বাসায় খালা বেড়াতে আসে। নাদিয়া স্কুলে যাবে ভেবে খালআ ভাবলো যে আজকে মেয়েটাকে আমি রান্না করে খাওয়াই । নাদিয়ার সুজি খুব পছন্দ ছিলো। 
খালা নাদিয়াকে সুজি বানিয়ে খেতে দিল। নাদিয়া সুজি টা দেখেই কেমন যেন মুখ করে ফেলল,
- আম্মু এটা এমন দেখতে কেন! আমি খাব না!
- তোর খালা খুব আদর করে বানিয়েছে মা খেয়ে যা। একটু মুখে দে। জানিস তো তোর খালা খুব ভালো রান্না করে।
নাদিয়া মায়ের কথায় সুজি মুখে দিল।
- মা, মিথ্যা কথা বল কেন? এটাকে ভালো রান্না বলে! 
নাদিয়া না খেয়ে চলে যেতে লাগল এমন সময় খালা এসে বলল,
-  কি হয়েছে মা খেলি না যে?
- কিভাবে খাব!
-  ভাল হয়নি মা সুজি?
-  হ্যাঁ, ভাল হয়না এজন্য খাব না!
ইশ্, এভাবে যদি ভার্সিটির টিচার দের বলতে পারতাম, আপনার দেয়া এসাইনমেন্ট পছন্দ হয়নি তাই করতে পারব না! কত মজাটাই না হত।
নাদিয়া ও আসরাফের মধ্যে তখন থেকেই প্রেম প্রেম ভাব। প্রেম কি নাদিয়ার তখন তা বোঝার কথা নয় তবে লক্ষণ সব প্রেমেরি বলা চলে। মজার বিষয়টা ছিল আসরাফের ছোট ভাইকে নিয়ে। আসরাফ ও নাদিয়া সবসময় একসাথে লেগে থাকত আর এই আশরাফ ও নাদিয়া এক হলেই তার মাঝখানে থাকা চাই! ওই আমাদের বড় বেলার প্রেমে কাজিনদের নিয়ে যেমনটা হয়!
নাদিয়ার বড় হয়েছে। ছোটবেলার স্মৃতি হাফসা হাফসা অনেকটাই মনে। নাদিয়ার প্রখর বিশ্বাস আসারফ তাকে এখনো ভালোবাসে তাই নাদিয়ার মনে প্রেম শব্দটুকু বলতে আশরাফ।
এদিকে নাদিয়ার বাবার নাদিয়ার জন্য পছন্দ হয় আরেক ছেলেকে। তড়িঘড়ি করে নাদিয়ার বিয়ে! বিয়ের খবর আসরাফ পেতেই,
- খালা, নাদিয়ার বিয়ে হয়নি তাই না? আপনারা মিথ্যা বলছেন!
- এত বড় কথা কি মিথ্যা বলা যায় বাবা বল?
- আমি জানি খালা আপনারা মিথ্যা বলছেন! আপনি বলেন নাদিয়ার বিয়ে হয় নাই, আমি জানি খালা নাদিয়ার বিয়ে হয় নাই! আমি নাদিয়াকে বিয়ে করবো খালা! আপনি ওকে আর কোথাও বিয়ে দিবেন না, আমি ওকে বিয়ে করবো!
কেন ভাই, বিয়ে কি হাতের মোয়া তুমি যখন বলবে আর তোমাকে দিয়ে দিবে! 
এই কাজিনদের সমস্যায় এটা, চোখের সামনে প্রেমিক প্রেমিকার বিয়ে হতে দেখবে তারপরে দেবদাস হয়ে ঘুরবে। তার কিছুদিন পর ত্যাগের মহিমা ছড়াবে আর সব শেষে কাজিন বলে চালিয়ে দেবে!
মোট কথা তো বলায় হলো না, সে কাজিনের বিয়েতে ''চান্না মেরে আ" ও গাইবে!
- ২৫ অক্টোবর, ২০২২
- মোনালিসা মিতু।
0 notes
mrmwithacupofcoffee · 2 years
Text
নির্ভয়া
জীবনের সাথে জড়িত অতি পরিচিত একটি শব্দ। জীবনের অর্ধেকের চেয়েও বেশি সময় যেন এই শব্দের সাথে কেটে যায়। ওহ্ দুঃখিত, আজকাল তো আবার কাটে না! চারপাশে কত রকমের বিয়ে কন্ট্রাক্টের বিয়ে, পালিয়ে গিয়ে বিয়ে, উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে, জোর করে বিয়ে, দু'দিনের বিয়ে কত রকমের বিয়ের ছড়াছড়ি!  আগের দিনের মত নানী, দাদিদের এরেঞ্জ ম্যারেজের ভালোবাসার গল্প কয় জনি বা শুনতে পাই!
"ঙ্গান" আরো একটি বিশাল শব্দ যা আমরা একে অন্যকে না দিলেই পারি! তাই চুপ করছি!
যাই হোক এবার আসি গল্পের মূল চরিত্রে নাম, "নাদিয়া"। কিছু কথক এর মত বলছিনা যে বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে বরং বাবা- মায়ের সব থেকে বড় মেয়ে আরো দুই বোন আছে নাদিয়ার। তবে নাদিয়াকেই সব থেকে সুন্দর ও শুভ্র স্বভাবের মেয় বলা হয়। অত্যন্ত শান্ত ও অবুঝ প্রকৃতির মেয়ে নাদিয়া। 
গল্প বলার জন্য এগিয়ে যাচ্ছি কয়েক বছর আগে। নাদিয়া, বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে, অনেক ছোট খুব বেশী বড় বলা যায় না। সবার আদরের সবার চোখের মনি। 
এবার আসি গল্পের নায়ক চরিত্রে। যে কিনা গল্পের নায়ক হতে হতে থেকে যাওয়া একটি চরিত্র! কিভাবে? 
আশরাফ, নাদিয়ার খালাতো ভাই। সে খালার কোন মেয়ে নেই। মেয়ের প্রচন্ড সখ তবে দুটই ছেলে। একটি নাদিয়ার বয়সী আর বড় ছেলে আশারাফ। খালার চোখে নাদিয়া তার মেয়ের মত বরং তার থেকেও বেশি।
খালার সাথে নাদিয়ার একটি মজার গল্প আছে। নাদিয়া তখন ছোট্ট ক্লাস টু'তে পড়ে হয়তো। এমনই সময় নাদিয়াদের বাসায় খালা বেড়াতে আসে। নাদিয়া স্কুলে যাবে ভেবে খালআ ভাবলো যে আজকে মেয়েটাকে আমি রান্না করে খাওয়াই । নাদিয়ার সুজি খুব পছন্দ ছিলো। 
খালা নাদিয়াকে সুজি বানিয়ে খেতে দিল। নাদিয়া সুজি টা দেখেই কেমন যেন মুখ করে ফেলল,
- আম্মু এটা এমন দেখতে কেন! আমি খাব না!
- তোর খালা খুব আদর করে বানিয়েছে মা খেয়ে যা। একটু মুখে দে। জানিস তো তোর খালা খুব ভালো রান্না করে।
নাদিয়া মায়ের কথায় সুজি মুখে দিল।
- মা, মিথ্যা কথা বল কেন? এটাকে ভালো রান্না বলে! 
নাদিয়া না খেয়ে চলে যেতে লাগল এমন সময় খালা এসে বলল,
-  কি হয়েছে মা খেলি না যে?
- কিভাবে খাব!
-  ভাল হয়নি মা সুজি?
-  হ্যাঁ, ভাল হয়না এজন্য খাব না!
ইশ্, এভাবে যদি ভার্সিটির টিচার দের বলতে পারতাম, আপনার দেয়া এসাইনমেন্ট পছন্দ হয়নি তাই করতে পারব না! কত মজাটাই না হত।
নাদিয়া ও আসরাফের মধ্যে তখন থেকেই প্রেম প্রেম ভাব। প্রেম কি নাদিয়ার তখন তা বোঝার কথা নয় তবে লক্ষণ সব প্রেমেরি বলা চলে। মজার বিষয়টা ছিল আসরাফের ছোট ভাইকে নিয়ে। আসরাফ ও নাদিয়া সবসময় একসাথে লেগে থাকত আর এই আশরাফ ও নাদিয়া এক হলেই তার মাঝখানে থাকা চাই! ওই আমাদের বড় বেলার প্রেমে কাজিনদের নিয়ে যেমনটা হয়!
নাদিয়ার বড় হয়েছে। ছোটবেলার স্মৃতি হাফসা হাফসা অনেকটাই মনে। নাদিয়ার প্রখর বিশ্বাস আসারফ তাকে এখনো ভালোবাসে তাই নাদিয়ার ��নে প্রেম শব্দটুকু বলতে আশরাফ।
এদিকে নাদিয়ার বাবার নাদিয়ার জন্য পছন্দ হয় আরেক ছেলেকে। তড়িঘড়ি করে নাদিয়ার বিয়ে! বিয়ের খবর আসরাফ পেতেই,
- খালা, নাদিয়ার বিয়ে হয়নি তাই না? আপনারা মিথ্যা বলছেন!
- এত বড় কথা কি মিথ্যা বলা যায় বাবা বল?
- আমি জানি খালা আপনারা মিথ্যা বলছেন! আপনি বলেন নাদিয়ার বিয়ে হয় নাই, আমি জানি খালা নাদিয়ার বিয়ে হয় নাই! আমি নাদিয়াকে বিয়ে করবো খালা! আপনি ওকে আর কোথাও বিয়ে দিবেন না, আমি ওকে বিয়ে করবো!
কেন ভাই, বিয়ে কি হাতের মোয়া তুমি যখন বলবে আর তোমাকে দিয়ে দিবে! 
এই কাজিনদের সমস্যায় এটা, চোখের সামনে প্রেমিক প্রেমিকার বিয়ে হতে দেখবে তারপরে দেবদাস হয়ে ঘুরবে। তার কিছুদিন পর ত্যাগের মহিমা ছড়াবে আর সব শেষে কাজিন বলে চালিয়ে দেবে!
মোট কথা তো বলায় হলো না, সে কাজিনের বিয়েতে ''চান্না মেরে আ" ও গাইবে!
- ২০ অক্টোবর, ২০২২
- মোনালিসা মিতু।
0 notes
mrmwithacupofcoffee · 2 years
Text
ধারনা
ইংলিশ ভার্সনের ছেলেমেয়েদের ধারণা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এমন হয়ে থাকে যে বাংলা মিডিয়ার ছেলেমেয়েরা কোন পড়াশোনায় করে না, দেশের স্ পড়াশুনা তারা একাই করছে, চাকরির ক্ষেত্রে ও তাদের মাহাত্ব বেশি, বাংলা ভার্সনে পড়ে নাই বলে কি বাচাঁটাই না বেঁচে গেছে!
অন্যদিকে বাংলা ভার্সনের ছেলেমেয়েরা, আরে বাদ দে তো যত সব বখাটে তো ওই ইংলিশ ভার্নেই, ভাবের বস্তা নিয়ে ঘোরে একেক জন,  ভালো আছে তবে ওই দুই একটা দিয়ে কি করবো! বাংলা ভার্সনে পড়ি দেখে তো আর ফাউল হয়ে যাই নি!
এবার আসি আমার বক্তব্যে, দুঃখিত! আমি না বাংলা ভার্সনের পক্ষে যাচ্ছি আর না ইংলিশ ভার্সনের পক্ষে। শুধু এতোটুকুই বলবো চাকরির ক্ষেত্রে আসলে ইংলিশ ভার্শনের কথাটা কিছু অংসে সত্য, আর বাংলা ভার্সনের ছেলে মেয়েরা আসলেই ফাউল নয়।
কিন্তু এত কিছুর মাঝে চাপা পড়ে যাচ্ছে সব থেকে মজার বিষয়। ইংলিশ ভার্সনে মজাটা একটু স্বাভাবিক তবে বাংলা ভার্সনে সব মজায় তেমন স্বাভাবিক হয়ে ওঠে না এখানে ছোট ছোট বিষয় গুলো খুব বড় হয়ে দেখা দেয়। ছোট শহরের ক্ষেত্রে তো আরো বেশি।
ইংলিশ ভার্সনে ছেলেমেয়েদের গল্প করা, একসাথে বসা, ঘুরতে যাওয়া, হাগ করা একেবারেই স্বাভাবিক। কিন্তু একই কাজ একটি বাংলা ভার্সনের ছেলেমেয়েরা কখনই করতে পারে না মূলত তারা ছেলে মেয়ের সাথে গল্প করা মানেই প্রেম বাকি সব তো বাদই দেয়া যায়। এক্ষেএে শিক্ষকদের মনোভাবটাও অনেক অংশে দায়ী।
এবার আসি গার্লস স্কুল এন্ড বয়েজ স্কুলের ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে দু'পক্ষেরই আকর্ষণ করার ক্ষমতা প্রচন্ড বেশি। কারণটা এক্ষেত্রে ধরে নেওয়া যায় তার আকর্ষণ করতে ভালোবাসে অথবা আকর্ষিত হলে তাদের ভালো লাগে। তবে এক্ষেত্রে প্রখরতা টা সবথেকে এখানেই বেশি যে এ ভার্সনের ছেলেমেয়েরাই প্রেম বেশি করে থাকে।
এবার আসি মাদ্রাসাতে। এই সম্পর্কে আমার ধারণা তেমন নেই বললেই চলে। তবে চলার পথে যতটুকু ধারনা পেয়েছি তা খুব যে সুখতর ছিল তা আমি একেবারেই বলতে রাজি নয়।
এবার আসি কম্বিনেশনে হাফ সিফ্ট ছেলে হাফ শিফ্ট মেয়ে। এসব স্কুল গুলোতে মজার মাত্রা আসলেই মজার।
- কিরে আজকে কোচিং কয়টায়?
- চার টার সময়। 
- আজকে ক্লাসে আসবে নাইসা? 
- না ওর তো মর্নিং শিফট ছিল।
-  তুই তাহলে বাইরে গিয়ে একটু দেখা করে আয়।
- আরে না, তুই তো জানিস ওই তো স্কুল ছাড়া বের হতে পারবে না।
- বুঝতে পেরেছি। তাহলে আর দেখা করতে হবে না। দেবসাস হয়েই ঘুড়ে বেড়া।
আর কিছুদিন পরেই টেস্ট পরীক্ষা। তাই কোচিং শুরু হয়ে গিয়েছে। মর্নিং শিফটে দুই জনেরই ক্লাস আর ইভিনিংয়ে কোচিং। তবে টুইস্ট হলো আধা ঘন্টা সময়ের। আধা ঘন্টা সময় আগাপিছু করে প্রত্যেকটা সিডিউল সাজানো। 
নাইসার আধা ঘন্টা আগে এবং ছেলেটির আধা ঘন্টা পর। ছুটির পর দুজনে একসাথে বাসায় যাবে এটা তাদের নতুন পণ। এই পণ পূরণ করার জন্য নাইসা প্রতিদিন আধা ঘন্টা লেট করে থাকে অপেক্ষা করে ছেলেটির জন্য।
তারপরও এনে দুজনে একসাথে দৌড়। নাইসা বাড়িতে জানিয়েছে কিছু সময় এক্সট্রা ক্লাস নেবে দেখেই এ দেরি হওয়া।
এভাবে এই মিথ্যে বলে প্রতিদিন চুপে চুপে একসাথে যাওয়া আবার ক্লাসের মাঝখানে একে অন্যকে মাঠের এপাশ থেকে ওপাশে ভালোবাসা ভরা নজরে দেখতে পাওয়া কতটাইনা অনুভূতি সম্পন্ন।
সম্পর্কের অনেকটা পথই পেরিয়ে এসেছে নাইসা ও ছেলেটি। একদিন তারা রাস্তায় হাত ধরে হাঁটছে। এমন সময় কে যেন এলো ছেলেটি নাইসার হাত ছেড়ে সেই জোরে দৌড় মারল।
- কিনরে কি করছিলি সেদিন?
-  না স্যার কিছু না। ও তো আমার ফুফাতো বোন ওকে আমি স্কুল থেকে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলাম।
- ওহ্,  ফুফাতো বোন তাই নাকি!
- হ্যাঁ স্যার, ফুপাতো বোনের কসম!
- ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২
- মোনালিসা মিতু।
0 notes