টাইমলাইন এ রাখা দরকার তাই -
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যে ৫০০টি বই পড়া উচিত বলে মনে করে :
তালিকা তৈরি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া বেশ কিছু শিক্ষার্থীরা । আপনি মিলিয়ে নিতে পারেন ।
---
১. যদ্যপি আমার গুরু - আহমদ ছফা
২. বদলে যান এখনই - তারিক হক
৩. রাজনৈতিক আদর্শ - বার্ট্রান্ড রাসেল
৪. আর্ট অব ওয়ার - সান জু
৫. অন দ্য শর্টনেস অব লাইফ - সেনেকা
৬. বেগম মেরী বিশ্বাস - বিমল মিত্র
৭. কবি - তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
৮. সুবর্ণলতা - আশাপূর্ণা দেবী
৯. নারী - হুমায়ুন আজাদ
১০. প্রদোষে প্রাকৃতজন - শওকত আলী
১১. দ্যা লস্ট সিম্বল - ড্যান ব্রাওন
১২. জননী - শওকত ওসমান
১৩. গোরা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৪. পথের দাবী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১৫. পাক সার জমিন সাদ বাদ - হুমায়ুন আজাদ
১৬. নারী - হুমায়ুন আজাদ
১৭. মা - ম্যাক্সিম গোর্কি
১৮. সংগঠন ও বাঙালি - আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
১৯. গাভী বিত্তান্ত - আহমদ ছফা
২০. দ্য অ্যালকেমিস্ট - পাওলো কোয়েলহো
২১. এইসব দিনরাত্রি - হুমায়ূন আহমেদ
২২. অসমাপ্ত আত্নজীবনী - শেখ মুজিবুর রহমান
২৩. আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর - আবুল মনসুর আহমদ
২৪. বাংলাদেশ রক্তের ঋণ - এন্থনি মাসকারেনহাস
২৫. ছোটদের রাজনীতি ও অর্থনীতি - অধ্যাপক নীহারকুমার সরকার
২৬. বাংলাদেশের ইতিহাস ১৯০৫-১৯৭১ - ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন
২৭. যোগাযোগ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২৮. ফেরা - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
২৯. অগ্নিরথ - সমরেশ মজুমদার
৩০. শিকল অন্তরে- জাঁ পল সার্ত্রে
৩১. আমি বিজয় দেখেছি - এম আর আখতার মুকুল
৩২. কলকাতা কেন্দ্রিক বুদ্ধিজীবী - এম আর আখতার মুকুল
৩৩. আমার দেখা দেশ, সমাজ ও রাজনীতির তিনকাল - সাদ আহমেদ
৩৪. কবির আত্মবিশ্বাস - আল মাহমুদ
৩৫. জীবনের শিলান্যাস - সৈয়দ আলী আহসান
৩৬.গঙ্গাঋদ্ধি থেকে বাংলাদেশ - মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
৩৭. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে 'র' এবং সিআইএ -মাকসুদুল হক
৩৮. বাঙালী জাতীয়তাবাদ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ -আবদুল হক
৩৯. সুখ - বাট্রার্ন্ড রাসেল
৪০. অনুস্মৃতি - পাবলো নেরুদা
৪১. জোছনা ও জননীর গল্প - হুমায়ূন আহমেদ
৪২. দেয়াল - হুমায়ূন আহমেদ
৪৩. সাতকাহন -সমরেশ মজুমদার
৪৪. উত্তরাধিকার - সমরেশ মজুমদার
৪৫. কালবেলা- সমরেশ মজুমদার
৪৬. কালপুরুষ- সমরেশ মজুমদার
৪৭. দূরবীন - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৪৮. মানবজমিন - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৪৯. যাও পাখি - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৫০.পার্থিব - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৫১. আরণ্যক - বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়
৫২. পথের পাঁচালী - বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়
৫৩. আদর্শ হিন্দু হোটেল- বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়
৫৪. সত্যবতী ট্রিলজি- আশাপূর্ণা দেবী
৫৫. পূর্ব-পশ্চিম - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
৫৬. প্রথম আলো:সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
৫৭. বাদশাহ নামদার - হুমায়ূন আহমেদ
৫৮. মা - আনিসুল হক
৫৯. একাত্তরের দিনগুলি - জাহানারা ইমাম
৬০. বরফ গলা নদী - জহির রায়হান
৬১. বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস : সাম্প্রতিজ বিবেচনা - আহমদ ছফা
৬২. প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ - আরিফ আজাদ
৬৩. তুমিও জিতবে - শিব খেরা
৬৪. ডাকঘর - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৬৫. সেপিয়েন্স - ইউভ্যাল নোয়া হারারি
৬৬. যে গল্পের শেষ নেই - দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়
৬৭. অরিজিন অফ স্পিসিস - চার্লস ডারউইন
৬৮. ক্যাপিটাল - কার্ল মার্ক্স
৬৯. পরিবার, রাষ্ট্র ও ব্যক্তিগত সম্পদের উদ্ভব - ফ্রেড্রিখ এঙ্গেলস
৭০. ওঙ্কার - আহমেদ ছফা
৭১. এক জেনারেলের নীরব সাক্ষী - জেনারেল মঈন আহমেদ
৭২. রক্তাক্ত বাংলাদেশ - ব্রিগেডিয়ার এম সাখাওয়াত হোসেন
৭৩. আহমদ ছফার প্রবন্ধসমগ্র
৭৪. রাইফেল রোটি আওরাত - আনোয়ার পাশা
৭৫. বায়তুল্লাহর মুসাফির - আবু তাহের মিসবাহ
৭৬. ভিঞ্চি কোড - ড্যান ব্রাউন
৭৭. তোমাকে ভালবাসি হে নবী - গুরুদত্ত সিং
৭৮. উইংস অব ফায়ার - এপিজে আবুল কালাম আজাদ
৭৯. তেঁতুল বনে জোৎস্না - হুমায়ূন আহমেদ।
৮০. ধৈর্য ও কৃতজ্ঞতার সুফল - হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী ( রহঃ)
৮১. অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী - আহমদ ছফা
৮২. মহৎ জীবন - লুৎফর রহমান
৮৩. মানব - লুৎফর রহমান
৮৪. উন্নত জীবন - লুৎফর রহমান
৮৫. জলেশ্বরী -ওবায়েদ হক
৮৬. সংস্কৃতি-কথা - মোতাহের হোসেন চৌধুরী
৮৭. Sapiens: A Brief History of Humankind - Yuval Noah Harari
৮৮. অলৌকিক নয় লৌকিক - প্রবীর ঘোষ
৮৯. হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি - গোলাম মুরশিদ
৯০. উল্টো নির্ণয়- মোহাম্মদ তোয়াহা আকবর
৯১. enjoy your life - আব্দুর রহমান আরিফী
৯২. বিশ্ব রাজনীতির ১০০ বছর- তারেক শামসুর রেহমান
৯৩. নয়া বিশ্বব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি - তারেক শামসুর রেহমান
৯৪. সিনিয়র জুনিয়র- খায়রুল ইসলাম
৯৫. কষ্টিপাথর- আরেফিন সিদ্দিক
৯৬. ডাবল স্টান্ডার্ড- আরেফিন সিদ্দিক
৯৭. আরজ আলী সমীপে- আরিফ আজাদ
৯৮. আঙ্কেল টম'স কেবিন - হ্যারিয়েট বিচার স্টো
৯৯. গর্ভধারিণী - সমরেশ মজুমদার
১০০. বিষাদসিন্ধু - মীর মশাররফ হোসেন
১০১. ফেলুদা সমগ্র - সত্যজিৎ রায়
১০২. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা - সৈয়দ আবুল মকসুদ
১০৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস : আদিপর্ব - শিশির ভট্টাচার্য
১০৪. গনতন্ত্র ও উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ - মওদুদ আহমেদ
১০৫. দ্য পার্ল - জন স্টেনবেইক
১০৬. অগ্নিবীণা - কাজী নজরুল ইসলাম
১০৭. বিষের বাঁশী - কাজী নজরুল ইসলাম
১০৮. সাম্যবাদী - কাজী নজরুল ইসলাম
১০৯. প্রলয় শিখা - কাজী নজরুল ইসলাম
১১০. ছায়ানট - কাজী নজরুল ইসলাম
১১১. মৃত্যুক্ষুধা - কাজী নজরুল ইসলাম
১১২. সিন্ধু-হিন্দোল - কাজী নজরুল ইসলাম
১১৩. বাঙালি বলিয়া লজ্জা নাই - হায়াৎ মামুদ ১১৪. দেবদাস - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১১৫. মুক্তিযুদ্ধের বয়ানে ইসলাম - পিনাকী ভট্টাচার্য
১১৫. প্রেমের কবিতা - নির্মলেন্দু গুণ
১১৬. উপমহাদেশ - আল মাহমুদ
১১৭. কাবিলের বোন - আল মাহমুদ
১১৮. মাতাল হাওয়া - হুমায়ূন আহমেদ
১১৯. ওঙ্কার - আহমদ ছফা
১২০. একজন আলী কেনানের উত্থানপতন - আহমদ ছফা
১২১. আনোয়ারা- নজিবুর রহমান সাহিত্যরত্ন
১২২. ক্রীতদাসের হাসি - শওকত ওসমান
১২৩. পুতুল নাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
১২৪. পদচিহ্ন - সত্যেন সেন
১২৫. আল কুরআন
১২৬. বাইবেল
১২৭. মহাভারত
১২৮. রামায়ণ
১২৯. আল কুরআন, বাইবেল ও বিজ্ঞান - ড.মরিস বুকাইলি
১৩০. অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
১৩১. আনন্দমঠ - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১৩২. গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৩৩. বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ১০০ মনীষীর জীবনী - মাইকেল এইচ হার্ট
১৩৪. কত অজানারে - শংকর
১৩৫. মূলধারা একাত্তর - মইদুল ইসলাম
১৩৬. গীতা
১৩৭. তাও তে চিং - লাও ৎসে
১৩৮. মুকাদ্দিমা - ইবনে খালদুন
১৩৯. রিপাবলিক - প্লেটো
১৪০. Alchemy of happiness - Imam Gazzali
১৪১. Hamlet - Wiliam Shakespeare
১৪২. Faust - Goethe.
১৪৩. বাংলাদেশ সংবিধান
১৪৪. Outliers- Malcolm Gladwell
১৪৫. How to win friends and influence people - Dale Carnegie
১৪৬. Rich dad poor dad - Robert kiyosaki.
১৪৭. The oldman and the Sea - Ernest Hemingway.
১৪৮. The Globalization of Inequality - Francois Bourguignon
১৪৯. শুভ্রসমগ্র - হুমায়ূন আহমেদ
১৫০. ফেরা - সিহিন্তা শরিফা
১৫১. The God of Small Things - Arundhati Ray
১৫২. লা মিজারেবল - ভিক্টর হুগো
১৫৩. A Glimpse of The World History-Jawharlal Neheru
১৫৪. জননী- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
১৫৫. শেষের কবিতা- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৫৬. The Subtle Art of Not Giving a F*ck - Mark Manson
১৫৭. ক্রাচের কর্নেল - শাহাদুজ্জামান
১৫৮. পুষ্প বৃক্ষ বিহঙ্গ পুরাণ - আহমদ ছফা
১৫৯. সারেং বউ - শহীদুল্লাহ কায়সার
১৬০. শবনম - সৈয়দ মুজতবা আলী
১৬১. সূর্য দীঘল বাড়ি - আবু ইসহাক
১৬২. সব কিছু ভেঙগে পড়ে - হুমায়ুন আজাদ
১৬৩. সপ্তপদী - তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়
১৬৪. গণদেবতা - তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়
১৬৫. জলপুত্র - হরিশংকর জলদাস
১৬৬. জাগরী - সতীনাথ ভাদুরী
১৬৭. ভয়ের সাংস্কৃতি - আলী রিয়াজ
১৬৮. ক্ষুধা - নুট হ্যামসন
১৬৯. ছোটগল্প সমগ্র - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
১৭০. নুন চা – বিমল লামা
১৭১. রাজনগর - অমিয়ভূষণ মজুমদার
১৭২. গড় শ্রীখন্ড - অমিয়ভূষণ মজুমদার
১৭৩. ক্রান্তিকাল - প্রফুল্ল রায়
১৭৪. কেয়াপাতার নৌকা - প্রফুল্ল রায়
১৭৫. মহাস্থবির জাতক - প্রেমাঙ্কুর আতর্থী
১৭৬. আরজ আলি মাতুব্বরের রচনাসমগ্র
১৭৭. গৃহদাহ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১৭৮. দেনাপাওনা- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১৭৯. শ্রীকান্ত- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১৮০. ভোলগা থেকে গঙ্গা - রাহুল সাংকৃত্যায়ন
১৮১. নারী, সৃষ্টি ও বিজ্ঞান - পূরবী বসু
১৮২. ঈশ্বরের বাগান - অতীন বন্দোপাধ্যায়
১৮৩. নীলকণ্ঠ পাখির খোঁজে - অতীন বন্দোপাধ্যায়
১৮৪. আয়না - আবুল মনসুর আহমদ।
১৮৫. ত্রিপিটক - গৌতমবুদ্ধ
১৮৬. গঙ্গা - সমরেশ বসু
১৮৭. প্রজাপতি - সমরেশ বসু
১৮৮. কবি অথবা দন্ডিত অপুরুষ - হুমায়ূন আজাদদ
১৮৯. খেলারাম খেলে যা - সৈয়দ শামসুল হক
১৯০. তিস্তাপারের বৃত্তান্ত - দেবেশ রায়
১৯১. উদ্ধারণপুরের ঘাট - দুলালচন্দ্র মুখোপাধ্যায়
১৯২. বারো ঘর এক উঠোন - জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী
১৯৩. নকশীকাঁথার মাঠ - জসীমউদদীন
১৯৪. বাঙালি মুসলমানের মন - আহমদ ছফা
১৯৫. লৌহকপাট - জরাসন্ধ
১৯৬. অন্তর্লীনা - নারায়ণ সান্যাল
১৯৭. খোয়াবনামা - আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
১৯৮. চিলেকোঠার সেপাই - আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
১৯৯. সঞ্চয়িতা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২০০. সঞ্চিতা - কাজী নজরুল ইসলাম
২০১. মেমসাহেব - নিমাই ভট্টাচার্য
২০২. লালসালু - সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
২০৩. কাঁদো নদী কাঁদো - সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
২০৪. হাজার বছর ধরে - জহির রায়হান
২০৫. দৃষ্টিপাত - যাযাবর
২০৬. তেইশ নম্বর তৈলচিত্র - আলাউদ্দিন আল আজাজ
২০৭. লোটা কম্বল - সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
২০৮. কড়ি দিয়ে কিনলাম - বিমল মিত্র
২০৯. ন হন্যতে - মৈত্রেয়ী দেবী।
২১০. তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ
২১১. ওদের জানিয়ে দাও - শাহরিয়ার কবির
২১২. কেরী সাহেবের মুন্সী - প্রমথনাথ বিশী
২১৩. নিষিদ্ধ লোবান - সৈয়দ শামসুল হক
২১৪. সেই সময় - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
২১৫. নন্দিত নরকে - হুমায়ূন আহমেদ
২১৬. শঙ্খনীল কারাগার - হুমায়ূন আহমেদ
২১৭. জেনারেল ও নারীরা - আনিসুল হক
২১৮. ছাপ্পান্নো হাজার বর্গমাইল - হুমায়ুন আজাদ
২১৯. গোধূলিয়া - নিমাই ভট্টাচার্য
২২০.আগুনপাখি - হাসান আজিজুল হক
২২১. পদ্মা নদীর মাঝি - মানিক বন্দোপাধ্যায়
২২২. নূরজাহান - ইমদাদুল হক মিলন
২২৩. আবদুল্লাহ - কাজী ইমদাদুল হক
২২৪. শেষ বিকেলের মেয়ে - জহির রায়হান।
২২৫. তিথিডোর - বুদ্ধদেব বসু
২২৬. দেশ বিদেশে - সৈয়দ মুজতবা আলী
২২৭. পঞ্চম পুরুষ - বাণী বসু
২২৮. মাধুকরী - বুদ্ধদেব গুহ
২২৯. হাজার চুরাশির মা - মহাশ্বেতা দেবী
২৩০. ঈশ্বর পৃথিবী ভালোবাসা - শিবরাম চক্রবর্তী
২৩২. শাপ মোচন - ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়
২৩৩. আমার মেয়েবেলা - তসলিমা নাসরিন
২৩৪. উতল হাওয়া - তাসলিমা নাসরিন
২৩৫. সংশপ্তক - শহীদুল্লাহ কায়সার
২৩৬. জীবন আমার বোন - মাহমুদুল হক
২৩৭. উপনিবেশ - নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়
২৩৮. অলীক মানুষ - সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ
২৩৯. মরণবিলাস - আহমদ ছফা
২৪০. কালের নায়ক - গাজী তানজিয়া
২৪১. আমি তপু - মুহম্মদ জাফর ইকবাল
২৪২. আকাশ বাড়িয়ে দাও - মুহম্মদ জাফর ইকবাল
২৪৩. আমার বন্ধু রাশেদ - মুহম্মদ জাফর ইকবাল
২৪৪. অনীল বাগচীর একদিন - হুমায়ূন আহমেদ
২৪৫. জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক স্মারকগ্রন্থ
২৪৬. ফুল বউ - আবুল বাশার
২৪৭. নিশি কুটুম্ব - মনোজ বসু
4 notes
·
View notes
ভাষার নামে একটি দেশ ও জাতির নাম "বাঙ্গালী"
মানুষ সামাজিক জীব। একে অপরের কাছে তার ভাবনা-চিন্তা, সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা ইত্যাদি অনুভূতি প্রকাশ করে ভাষার মাধ্যমে। এ ভাষার মাধ্যমে মানুষে মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বাঙ্গালীর মুখের ভাষা বা মাতৃভাষা "বাংলা"। বাংলা, বাঙ্গালী এবং বাংলাদেশ এর সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের দূরত্ব দিন দিন কোথায় চলে যাচ্ছে এটা নিয়ে কেউ একটি বারের জন্য হলেও কি ভেবে দেখেছেন? দেখুন, ফার্সির আগে আমাদেরকে সংস্কৃতি শিখতে হয়েছে তারপর শিখেছি ইংরেজি। পাকিস্তান আমলে উর্দু চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। আমরা বললাম চলবেনা "বাংলা চাই"। সেই দাবি নিয়ে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হলো কিন্তু বাংলা কোথায়? বাংলা চলছে? না আজ বাংলা চলছে না। কিন্তু আমরা বাঙ্গালীরা কি জানি কোথা এবং কেমন করে পেয়েছি এই মাতৃভাষা বাংলাকে? এজন্যই মাতৃভাষা সম্পর্কে কিছু বলার আগে আজ "বাংলা", "বাঙ্গালী" এবং "বাংলাদেশ" কে নিয়ে কিছু কথা বলা একান্তই প্রয়োজন হয়ে উঠেছে।
৫২'এর ভাষা আন্দোলন বা ৭১'এর মহান মুক্তিযুদ্ধের পর আমরা বাঙ্গালী হয়েছি তা কিন্তু নয়। আমাদের বাঙ্গালী হয়ে ওঠার পেছনে আছে হাজার বছরের ইতিহাস। আদিতে বঙ্গ বলে কোনো ঐক্যবদ্ধ জনপদ ছিল না। বঙ্গ যেমন ছিল তেমনি ছিল রাঢ়, গৌড়, বরেন্দ্র, ও সমতট। ঐতিহাসিক আবুল ফজল বলেছেন "বঙ্গের সাথে আল যোগ করে তবেই বাঙ্গাল হয়েছে " । আনুমানিক ৬৫০ খ্রিস্টাব্দ থেকে বাংলা ভাষার উৎপত্তি ধরা হলে, হাজার বছর ধরে ব্যবহারের মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষা আধুনিক রূপ বা বর্তমান রুপ লাভ করেছে । নেগ্রিটো, অস্ট্রিক, এবং দ্রাবিড়দের হাতেই প্রাচীন বাংলার সভ্যতা ও সংস্কৃতির বুনিয়াদি গড়ে উঠেছিল। এ অঞ্চলের আদিবাসীরা তখন টোটেম গোত্রে বিভক্ত ছিল। ঋকবেদে তাদের কথা বলা হয়েছে, সেই হাজার বছর পূর্বের ইতিহাস থেকে প্রমাণিত হয় বাঙ্গালীর পূর্ব প্রজন্ম ছিল বীরের জাতি এবং সমাজ সংস্কৃতির অধিকারীও।
প্রাচীন ল্যাটিন ভাষার ইতিহাস গ্রন্থে বাঙ্গালীর বীরত্বের কথা লেখা রয়েছে।বাংলা ভাষা একদিনে জন্ম নেয়নি। ১৯০৭ সালে মহামহোপাধ্যায় হরিপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় বৌদ্ধ ধর্মের ইতিবৃত্ত সন্ধানে তৃতীয়বার নেপালে গমন করেন এবং নেপালের রাজকীয় গ্রন্থাগারে সন্ধান পান কয়েকটি প্রাচীন পুঁথির। একটির নাম "চর্যাচর্যবিনিশ্চয়" । পরবর্তী সময়ে অনেক তর্ক বিতর্ক, গবেষণা ও অনুসন্ধান এর মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয় যে, এই পুঁথিই বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের আদি নিদর্শন, এর নামকরণ করা হয় "চর্যাপদ "। এরপর ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে বসন্তরঞ্জন রায় বাঁকুড়া জেলার বন বিষ্ণুপুরের কাকিল্যা গ্রামের অধিবাসী শ্রীযুক্ত দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এর নিকট থেকে একখানি পুঁথি আবিষ্কার করেন এবং সাত বছর পর ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে নিজের সম্পাদনায় প্রকাশ করেন। এর নামকরণ করেন "শ্রীকৃষ্ণকীর্তন" কেননা প্রথম দুখানি এবং শেষের অত্যন্ত একখানা পাতা পাওয়া যাইনি বলে প্রকৃত নাম জানা সম্ভব হয়নি। প্রাচীন এই পুঁথি দুটি থেকেই মূলত বোঝা যায় বাংলা ভাষার উৎপত্তি এবং বিকাশ সম্পর্কিত অনেক মূল্যবান তথ্য।
ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ইন্দো-ইউরোপীয় মূল ভাষার কালকে খ্রীস্টের জন্মের ৫০০০ বছর পূর্বের বলে মনে করেন এবং এর বিবর্তনের স্তর বিন্যাস করে বাংলা ভাষার উদ্ভব ও বিকাশ কাল নির্ণয় করেছিলেন। সেটিকেই আমরা সঠিক বলে মনে করি।
০১. প্রাচীন যুগ - ৬৫০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১২০০ খ্রিস্টাব্দ।
০২. মধ্যযুগ - ১২০১ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৮০০ খ্রিস্টাব্দ ।
০৩. আধুনিক যুগ - ১৮০১ খ্রিস্টাব্দ থেকে বর্তমান।
গৌড়ীও কালে সুলতানি শাসনামলে বড়ু চন্ডীদাস "কৃষ্ণলীলা" (আধুনিক নাম শ্রীকৃষ্ণকীর্তন) বিষয়ে পুস্তক রচনা করেছেন। তার সময়কালে শাহ মুহম্মদ সগীর "ইউসুফ জুলেখা " কাব্য রচনা করেছেন। বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলমান কবি হিসেবে তিনি গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের রাজত্বকালে (১৩৯৩-১৪০৯ খ্রীঃ) ইউসুফ জুলেখা কাব্য রচনা করে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছেন। পবিত্র আল কুরআন ও বাইবেলে বর্ণিত কাহিনী অবলম্বনে রচিত ইরানের মহাকবি ফেরদৌসী এবং সুফি জামীর মূল কাহিনী অবলম্বনে শাহ মুহম্মদ সগীর এই কাব্য রচনা করেন। সুপ্রাচীন কৃত্তিবাস ওঝা জনপ্রিয় সংস্কৃতি মহাকাব্য "রামায়ণ " এর বাংলা অনুবাদ করেন এই সময়ে। রামচন্দ্রের কাহিনী এক হাজার বছর খ্রীঃ পূর্বাব্দ থেকে ভারতবর্ষে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল বলে মনে করা হয়। বাল্মীকি মুনি খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকে মতান্তরে খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকে "রামায়ণ " রচনা করেন। যশোরাজ খান বাংলা ও মৈথিলি ভাষার মি��্রণে গঠিত "ব্রজবুলিতে" সর্বোত্তম পদ রচনা করেন এই সময়ে। কানা হরিদত্ত বিপ্রদাস পিপিলাই এবং বিজয় গুপ্ত প্রমুখ সর্পের অধিষ্ঠাত্রী দেবী মনসার মহাত্ব সূচক পালা রচনা করেন। এই দেবীর আরেক নাম পদ্মাবতী যে কারণে "মনসামঙ্গল" কাব্য কোথাও কোথাও "পদ্মাপুরাণ " হিসেবে অভিহিত। বাংলা ভাষায় "মহাভারত " কাব্য সংক্ষিপ্ত অনুবাদ এই সময়েই হয় এবং তা মুসলিম শাসক গৌড়েশ্বর সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের সেনাপতি লস্কর পরাগল খানের উৎসাহে কবীন্দ্র পরমেশ্বর রচনা করেন।
মধ্যযুগের সূচনালগ্নে ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ স্থাপিত হলে ১৮০১ খ্রিস্টাব্দে বাংলা বিভাগ খোলা হয়। এতে অধ্যক্ষ হিসেবে আসেন শ্রীরামপুর মিশনের পাদ্রী এবং বাইবেলের বাংলা অনুবাদ উইলিয়াম কেরি। সেখানে বাংলা গদ্য কলেজের পাঠোপযোগী গ্রন্থ রচনায় আত্মনিয়োগ করেন রামরাম বসু, গোলোকনাথ শর্মা, মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার প্রমুখ। এদের হাতে বাংলা ভাষা নতুন রূপ পেতে থাকে। তারপর বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এবং বাঙ্গালী হিন্দু সমাজের ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত রাজা রামমোহন রায় এবং ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। বাংলা সাহিত্য ধীরে ধীরে সম্প্রসারিত হতে লাগলো। প্র-আধুনিকতার ছোঁয়া পাবার পর এলেন কালীপ্রসন্ন সিংহ, প্যারীচাঁদ মিত্র, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, মীর মশাররফ হোসেন, মোজাম্মেল হক, মোহাম্মদ নজিবর রহমান, বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ গদ্যশিল্পী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অপরাজেয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম প্রমুখ শক্তিশালী মনীষী লেখিকগণ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং প্রমথ চৌধুরীর যৌথ প্রচেষ্টায় কথ্য ভাষারীতি বা চলিত ভাষা যে ভাষায় আমরা কথা বলি ও লিখি তার সাহিত্য উপযুক্ত মর্যাদা লাভ করে এবং জনপ্রিয়তা অর্জন করে। মূলত প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত সাময়িক পত্রিকা "সবুজপত্র " প্রকাশের পর থেকে তারই ঐকান্তিক আগ্রহে রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর কথ্য ভাষারীতিতে নিয়মিত লেখালেখি করেন। "ঘরে বাইরে " উপন্যাস রচিত হওয়ার পর ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করে। তারপর থেকে চলিত গদ্যরীতি বহমান ...
আজ আমরা যে রীতিতে কথা বলছি ও লিখছি তা কিন্তু একদিনে আমাদের কাছে আসেনি!! রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর এ সময়ে বাংলা ভাষা এবং সাহিত্য সমৃদ্ধিতে মনোনিবেশ করেন। তাকে এমনিতেই "বিশ্ব কবি " বলা হয় না!ডক্টর জনসন সাড়ে আট বছর সময় নিয়ে ইংরেজি ভাষায় অভিধান সংকলন করেছিলেন। তিনি সেই অভিধানের ভূমিকায় বলেছিলেন, "আমি দেখলাম আমাদের ভাষায় শব্দের শৃঙ্খলা নেই, শক্তি আছে নিয়ম নেই, যেদিকে তাকাই চোখে পড়ে অস্পষ্টতা, যা পরিষ্কার করা প্রয়োজন। বিভ্রান্তি যা অপেক্ষা করছে নিয়ন্ত্রণের "। আমরা বাঙ্গালীরাতো পশ্চিম থেকে ডক্টর জনসনের গুনটা নিতে পারিনি! পশ্চিমের বিচ্ছিন্নতা বোধ, দায়িত্ব জ্ঞানহীনতা, উত্তেজনা প্রিয়তা, যৌনতা, অশ্লীলতা ইত্যাদি দোষ গুলো আমাদের সংস্কৃতিতে আনতে পারলাম, চর্চা করলাম এবং করছি কিন্তু ঠিকই!! তাদের গুনগুলোর কোনো খোজ কি কখনো করেছি?কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বাঙ্গালী উপাচার্য গুরুদাস বন্দোপাধ্যায় বলেছিলেন, "দেশীয় ভাষাসমূহকে সমৃদ্ধ করতে হবে " তিনি আরো বলেছিলেন," নিজের ভাষার মাধ্যমে জনগণের কাছে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার আবশ্যক " । যেটা আমরা চীন, জাপান, মালাইশিয়া, আমেরিকা প্রভৃতি প্রভাবশালী দেশগুলিতে দেখিতে পাই। ১৯০৭ সালে সমাবর্তন ভাষণে আশুতোষ মুখোপাধ্যায় গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছিলেন, " নিজেদেরকে বিজাতীয় করে তুলোনা " এবং তিনি নিজে নিরন্তন চেষ্টা করতেন দেশীয় ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশ, দেশীয় মেধার অনুশীলন যথাসম্ভব অর্জন করতে।আমার সোনার বাংলা!!
৪৭'এ এসে পানি ও জল, আব্বা ও বাবার জের ধরে বিভক্ত হয়ে হয়ে পশ্চিমবঙ্গ চলে গেল ভারতের সাথে। যে ধর্মের ভিত্তিতে ভারতবর্ষ থেকে সৃষ্টি হয়েছিল পৃথক রাষ্ট্র "পাকিস্তান" তা ধর্মের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে টিকে থাকতে পারেনি! ভাষার আঘাতে বিভক্ত হয়ে গেছে!! ৫২'তে ছিনিয়ে আনা "বাংলা " আমাদেরকে ৭১'এর প্রেরণা যুগিয়েছিল। বাঙ্গালী গর্জে উঠেছিল। চারদিক কেঁপে উঠেছিল সেদিন "জয় বাংলা " স্লোগানে। ভাষা তেমন ক্ষমতা রাখে। ভাষার মধ্যেও ইতিহাস থাকে, থাকে ঐতিহ্য। তার চাঞ্চল্য রক্তের ভিতরে প্রবহমান, সে আঘাত করে যখন সুযোগ পাই। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখি আমরা, ভাষা ধর্মকেও ছাড়িয়ে যায়!! "লোকে ধর্মান্তরিত হলেও ভাষান্তরিত হয় না "। বাংলা একটি ভাষার নাম, ভাষা থেকে জন্ম নেয়া একটি দেশের নাম। একটি জাতীর নাম "বাঙ্গালী "!! বাঙ্গালী জাতি বীরের জাতী। দেশ এবং মাতৃভাষার জন্য "বাঙ্গালী" জাতি অকাতরে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে।আজ আধুনিক বাঙ্গালী ভাষাকে কোথায় নিয়ে গেছে! আধুনিকতা মানে এমন নয় যে নিজের সত্ত্বাকে বিসর্জন দিয়ে নিজের ভাষাকে বিসর্জন দিয়ে এমন বিশেষ কিছু অর্জন করা। আমি কোনো ভাষাকে ছোট করতে চাচ্ছি না দৃষ্টান্ত দিতে যাচ্ছি মাত্র। থাইল্যান্ডে একসময় বিজ্ঞাপনে ইংরেজি ব্যবহারের জন্য কর দিতে হতো! আর আমরা বাঙ্গালী যারা ভাষার জন্য রক্ত দিয়ে পৃথিবীর বুকে ইতিহাস সৃষ্টি করলাম তারাই কি না আজ হিন্দির আগ্রাসনে বড়ই বিপন্ন হয়ে উঠেছি!! হিন্দি বাইরে নেই, ঘরের ভেতরে ঢুকে পরেছে টেলিভিশনের মধ্যে দিয়ে। বাংলা চলচ্চিত্র আজ বিপন্ন হিন্দি এবং ইংরেজি ছবির উৎপাতে। এত বেশি ইংরেজি শব্দ, বাক্যাংশ, এমন কি আস্ত আস্ত বাক্য প্রবেশ করছে আমাদের মুখের ভাষায় যে কখনো কখনো মনে হয়, "বাংলার সঙ্গে ইংরেজি মেশেনি, ইংরেজির সঙ্গেই বাংলা মেশানো হচ্ছে "। দুধে পানি নয়, পানিতে দুধ।বাঙ্গালীর পক্ষে অন্য ভাষা জানতে কোনো নিষেধ নেই। ভিন্ন দেশে থাকলে যে সে অবাঙ্গালী হয়ে যাবে তাও নয়। যতই জানুক যেখানেই থাকুক সেই যথার্থ বাঙ্গালী, যে বাংলা বাংলা জানে, বলে ও লেখে এবং সেই সঙ্গে একই সঙ্গে বাঙ্গালীকে ভালবাসে। আর তাহলেই সে বাঙ্গালী, না হলে না!! আমি স্বপ্ন দেখি, একদিন আমরা "বাঙ্গালী " বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করব। ভালবাসবো বাংলাকে। একদিন সর্বত্র বাংলা চলবে, বাঙ্গালী তো অবশ্যই বিদেশীরাও বাংলা শিখবে সোৎসাহে। অনুবাদের কোনো অবধি থাকবে না। বাংলা অবনুবাদ তো বটেই বাংলারও অনুবাদ হবে। বাংলাদেশের বাঙ্গালী খাঁটি বাঙ্গালী হবে। মাতৃভাষা ছাড়া যে প্রকৃত শিক্ষা কিছুতেই সম্ভব নয়। আমাদের একজন আধ্যাত্মিক লালন খুবই দরকার, দরকার একজন ধর্মপ্রাণ নজরুলের। বর্তমান যুবসমাজকে ধ্বংসের মুখ থেকে ফিরিয়ে আনবার জন্য একজন রোমান্টিক রবীন্দ্রনাথের প্রয়োজন। একজন বঙ্কিমচন্দ্রের কপালকুণ্ডলাকে ফিরিয়ে আনতে হবে যে পথ হারানো পথিক কে মনে করিয়ে দেবে "পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ " । বাংলা ভাষার সাথে মিশে আছে আমাদের হাজার বছরের পরিচয়, শেকড়ের ইতিহাস।
এত কিছু বলার পরেও, এতটা অনুভব করার পরেও, ধৈর্যের সাথে শোনার পরেও যদি বলতে ইচ্ছে করে "Plz am not understand, আরেকবার বলবেন? " তাহলে আমি আপনাকে বলতে চাই, " ঘুমিয়ে পড়ুন আপনাকে আর কোনোদিন জাগতে হবে না "!!!
0 notes