ভূমি অপরাধ আইন সহ তিনটি বিল সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।।
আগামী অক্টোবর ২০২৩-এ এই তিন বিল আইন হিসেবে পাস হবে আশা করা যায়।
‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩’ সহ মোট তিনটি ভূমি বিষয়ক আইনের খসড়া গত সোমবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ সংসদে বিল আকারে জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়। অপর দুটি আইনের খসড়া হচ্ছে, ‘ভূমি সংস্কার আইন, ২০২৩’ এবং ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইন, ২০২৩’।
প্রযোজ্য যাচাই-বাছাইয়ের পর আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন সহ তিনটি বিলই আইন হিসেবে সংসদে পাস করা সম্ভব হবে।
সম্প্রতি শুরু হওয়া বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে সম্পন্ন হলে পূর্বের জরিপে হওয়া অনেক সমস্যা দূর করা সম্ভব হবে। ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনার ফলে সীমা বহির্ভুত অতিরিক্ত জমির মালিক হওয়ার সুযোগ এখন আর নেই। ঘরে বসেই মানুষ যেন ভূমিসেবা গ্রহণ করতে পারেন, একান্ত জরুরী প্রয়োজন ছাড়া যেন কারো ভূমি অফিসে না যেতে হয়। যত ‘হিউম্যান টু হিউম্যান কানেকশন’ কম হবে, সেবা গ্রহণ তত ভালো হবে।
তিন ফসলী কৃষি জমি সুরক্ষায় সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কৃষিজমি সুরক্ষা, অকৃষি জমির সর্বোচ্চ সীমার বিধান, খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব হ্রাসের উদ্দেশ্যে করা 'ভূমি মালিকানা ও ব্যবহার আইন, ২০২৩’-এর খসড়া চূড়ান্তকরণের কাজ করছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
বিল আকারে সংসদে উত্থাপন হতে যাওয়া উল্লিখিত তিনটি ভূমি বিষয়ক খসড়া আইন:
ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন-২০২৩-এ প্রধান বৈশিষ্ট্যে হচ্ছে ভূমি সম্পর্কিত বেশকিছু অপরাধকে চিহ্নিত করে তা ফৌজদারী অপরাধের আওতায় নিয়ে আসা। সেসব অপরাধের জন্য শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে এই আইনে। এতে নাগরিকেরা নিজ-নিজ মালিকানাধীন ভূমির নিরবচ্ছিন্ন ভোগ-দখলের প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করতে পারবেন। এই আইনে ভূমি বিষয়ক প্রতারণা ও জালিয়াতির ক্ষেত্রগুলো সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং একইসাথে প্রতিরোধ, দমন ও প্রয়োজনে প্রতিকারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই আইন ভঙ্গ করলে জরিমানা ও কারাদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডের বিধান রাখা আছে।
ভূমি সংস্কার আইন, ২০২৩-এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ব্যক্তি ক্ষেত্রে কৃষি জমি মালিকানার সর্বোচ্চ সীমা ৬০ বিঘার বিধান। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইনটিকে শিথিল করা হয়েছে। সমবায় সমিতির মাধ্যমে চা, কফি ও রাবার বাগান, শিল্প প্রতিষ্ঠান বা কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম, রপ্তানীমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আইনটি শিথিল থাকবে। এই আইনে বাস্তুভিটার অধিকার, বর্গাচুক্তি ও উৎপন্ন ফসলের ন্যায্য ভাগের কথাও বলা হয়েছে।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইন, ২০২৩ -এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কোনো ফসলি জমি থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন নিষিদ্ধ করার বিধান। এ ছাড়া নদীর নাব্য নষ্ট হতে পারে এমন স্থান থেকেও বালু উত্তোলন করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের যন্ত্র জব্দ করা যাবে। বালু পরিবহনে রাস্তার কোনো ক্ষতি হলে ইজারাদার কর্তৃপক্ষকে রাস্তা আবার মেরামত করে দিতে হবে এই আইনের আওতায়।
1 note
·
View note
Bangla | Crime Investigation Program | Team Undercover LIVE S-2 | ডিজিটাল প্রতারনা
0 notes
বিভিন্ন বিক্রয় প্ল্যাটফর্ম েগড়ে তোলেন ডিজিটাল প্রতারণার চক্র
বিভিন্ন বিক্রয় প্ল্যাটফর্ম েগড়ে তোলেন ডিজিটাল প্রতারণার চক্র
অনলাইনে কেনাবেচার প্ল্যাটফর্ম বিক্রয় ডটকমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে কম টাকায় স্মার্টফোন বিক্রির বিজ্ঞাপন দিতেন তাঁরা। কেউ সাড়া দিলে তাঁর সঙ্গে ইমো, হোয়্যাটসঅ্যাপ ও ফেসবুক মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করতেন। দাম ঠিক হওয়ার পর কুরিয়ার সার্ভিসের ভুয়া রসিদ দেখিয়ে পুরো টাকা নিয়ে নিতেন তাঁরা। তবে ওই ক্রেতা আর পণ্য পেতেন না। এভাবে দুই বছর ধরে প্রতারণা করে আসছে এই চক্র।
ঢাকার সূত্রাপুর এলাকার এক ভুক্তভোগীর…
View On WordPress
0 notes
জাতীয় পরিচয় পত্রে ভুয়া স্বামীর পরিচয় দিয়ে নার্সের প্রতারণা
জাতীয় পরিচয় পত্রে ভুয়া স্বামীর পরিচয় দিয়ে নার্সের প্রতারণা
মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান পলাশ :
গাইবান্ধায় জাতীয় পরিচয় পত্রে (এনআইডি) ভুয়া স্বামীর পরিচয় দিয়ে ডিজিটাল সিস্টেমে অনাধিকার প্রবেশ পূর্বক ভীতি ও হুমকি প্রদান করে জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে রংপুর সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতে মামলা করেছেন প্রতারণার শিকার গাইবান্ধা সদরের উপজেলার ভাজনের খামার গ্রামের মৃত আবুল মুনছুর সরকার ওরফে মানি মাষ্টারের পুত্র মাসুদার রহমান সরকার।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধা শহরস্থ…
View On WordPress
0 notes
New Post has been published on https://paathok.news/150823
প্রতারণা মামলায় জামিন পেলেন বহিস্কৃত আ’লীগ নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর
.
ঢাকার পল্লবী থানায় হওয়া প্রতারণা মামলায় জামিন পেয়েছেন আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর।
আজ সোমবার হেলেনা জাহাঙ্গীর ছাড়াও আরও চার জনকে জামিন দেন আদালত।
তারা হলেন- হেলেনা জাহাঙ্গীরের আইপিটিভি জয়যাত্রা টেলিভিশনের মহাব্যবস্থাপক হাজেরা খাতুন, টেলিভিশনের সমন্বয়ক সানাউল্লাহ নূরী, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামরুজ্জামান আরিফ ও স্টাফ রিপোর্টার মাহফুজুর রহমান।
আদালতে হাজির হয়ে হেলেনা, হাজেরা সানাউল্লাহ ও আরিফ মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করলে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. তোফাজ্জল হোসেন আবেদন মঞ্জুর করেন।
আসামি মাহফুজুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে আছেন জানিয়ে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করলে একই আদালত তার আবেদনও মঞ্জুর করেন।
মামলায় হেলেনাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ১৭ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত।
গত বছরের ২১ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হেলেনাসহ চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম।
ভোলা জেলা প্রতিনিধি আবদুর রহমান তুহিন গত বছরের ২ আগস্ট পল্লবী থানায় হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, জয়যাত্রা টিভির স্থানীয় সংবাদদাতা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ভোলা জেলার আবদুর রহমান তুহিনের কাছ থেকে ৫৪ হাজার টাকা নেন হেলেনা। প্রতিবেদক হিসেবে রহমান কয়েক মাস কাজ করলেও কোনো বেতন পাননি। অন্যদিকে তার কাছ থেকে প্রতিমাসে তিন হাজার টাকা নেয় টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের ২৯ জুলাই গুলশানের বাসায় অভিযান চালিয়ে হেলেনাকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
র্যাব জানায়, অভিযানে বিপুল পরিমাণ মদ, হরিণের চামড়া, ওয়াকিটকি, বৈদেশিক মুদ্রা জব্দ করা হয়।
তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন এবং টেলিযোগাযোগ আইনে গুলশান ও পল্লবী থানায় আরও পাঁচটি আলাদা মামলা করা হয়।
পরে আদালত থেকে জামিন পেয়ে গত বছরের নভেম্বরে কারাগার মুক্তি পান তিনি।
0 notes
প্রতারণার মামলায় সাত বিদেশিসহ ৯ জন রিমান্ডে
প্রতারণার মামলায় সাত বিদেশিসহ ৯ জন রিমান্ডে
ঢাকা: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের মামলায় গ্রেফতার সাত বিদেশিসহ নয়জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
নয় আসামি হলেন- নাহিদুল ইসলাম (৩০), সোনিয়া আক্তারকে (৩৩) দুইদিন এবং ওডেজে ওবিন্না রিবেন (৪২), নটোম্বিকনা (৩৬), ইফুইন্নয়া ভিভান (৩১), সানডে ইজিম (৩২), চিনেডু…
View On WordPress
0 notes
কোভিড কীভাবে আমাদের ব্যবসায় দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করেছে?
মুক্তবাজার অর্থনীতিতে আমদের ক্রমশই মুনাফার পিছনে ছুঁটে চলার যাত্রা শুরু হয়েছিলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই। মুনাফা অর্জনের পাশাপাশি আমাদের যে পরিবেশের বেশ ক্ষতি হচ্ছে তা নিয়ে ভাবছি না একটিবারও। যার ফলে লাভ-ক্ষতির ব্যালেন্স শিটে আজকাল জায়গা পাচ্ছে কোভিডের মতো ভয়াবহ ভাইরাসেরা। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে এই ভাইরাস প্রায় প্রতিটি শিল্পের/ব্যবসায় দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলেছে। শিল্পের প্রতিটি ক্ষেত্রসহ সমাজের প্রতিটি স্তর এটি দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। সামাজিক দূরত্বের নিয়মগুলি কঠোরভাবে পালন করার চেষ্টা চলছে। বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নাটকীয় অবনতি ঘটে যাওয়ার কারণে বলাই যায়, কোভিড-১৯ সঙ্কট আমাদের পুরো ভবিষ্যতকে নতুন আকার দিয়েছে। চলুন এই সংকটে ব্যবসা জগতে ঘটে যাওয়া কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।
ডিজিটাল রূপান্তরঃ
ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক বর্তমানে বাড়ির পাশের দোকানটিতেও মানুষ যাতায়াত করতে গেলে ভয়ে চুপসে যায়। বাড়িতে থাকার কঠোর আদেশের সাথে, ব্যবসাগুলিকে দূরবর্তী কাজের সংস্কৃতিতে পরবর্তিত হতে বাধ্য করেছে সময়। এমন পরিস্থিতিতে কি ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে? মানুষের যাবতীয় চাহিদা মিটে যাবে এক নিমিষে? কখনোই না। বরং বর্তমানে স্বাস্থ্য খাতে মানুষের চাহিদা দ্বিগুণ হারে বেড়েছে। সচেতন জনগণ হুঁমড়ি খেয়ে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী কিনছে৷ পাশাপাশি অন্যান্য চাহিদা তো রয়েছেই। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কার্যকর ভুমিকা পালন করছে প্রতিটি ব্যবসার ডিজিটাল রূপান্তর। অর্থ্যাৎ ই-কমার্সে রূপান্তর।
দৃষ্টিকোণ পরিবর্তনঃ
অফলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে কাজ শুরু করা থেকে শেষ হওয়া পর্যন্ত যে প্রক্রিয়া চলে বর্তমান অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে হুবহু তা ঘটে না। অনলাইন ব্যবসায় অফলাইনের মতো কাজ জমা দেওয়ার ঝামেলা নেই, লিডারের ঝাড়ি খেয়ে মন খারাপের সুযোগ নেই, ঘরে বসেই কাজ করার সুযোগ থাকছে। যিনি নেতৃত্বে থাকেন তিনি জুম মিটিং কিংবা ফোনকলের মাধ্যমেই কর্মচারীদের কাজের তদারকি করে থাকেন। ফলে বিরাট একটি দূর্ভোগ থেকে রেহাই পাচ্ছে ব্যবসায়ী এবং কর্মকর্তা উভয়ই।
করোনাকালে কেনো বাড়ছে ই-কমার্সের চাহিদা?
একটু খেয়াল করলে দেখবেন এই করোনা মহামারির ভয়াবহ প্রকোপের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহকারী ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিমাণ দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে৷ এই কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর পণ্যভেদে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে। সময়টা খারাপ যাওয়ায় যেখানে অনেক ব্যবসা, অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে সেখানে ই-কমার্সের অনেক প্রতিষ্ঠান অতীতের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি পণ্য ডেল��ভারি দিয়েছে। যা ৫০ হাজার মানুষের নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করেছে৷
করোনাকালীন ক্রেতাদের চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও বেশ লাভবান হচ্ছে। এই কয়েক বছরেই প্রতিষ্ঠিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা বহুগুণ বেড়ে গেছে। অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে তারা গ্রাহকদের জন্য মানসম্মত, উন্নত এবং দ্রুত সেবা নিশ্চিত করে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে। এইতো! কদিন আগেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিত্যপণ্য ই-কমার্সের মাধ্যমে বিক্রি সচল রাখার নির্দেশনা দিয়েছিল। এর মাঝেই অভুতপূর্ব সাফল্য দেখে বেশ অবাক হয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। অনলাইনে নিরাপদে পণ্য ও সেবা সচল রাখার ব্যাপারে বেশ বদ্ধপরিকর ভুমিকা পালন করায় প্রতিষ্ঠানগুলো ভালোভাবে ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগ পেয়েছে। ফলস্বরূপ ব্যবসার প্রবৃদ্ধিও ঘটেছে উল্লেখযোগ্য হারে।
তবে একথা ঠিক যে, বেশ কিছু সমস্যা এখন সামনে এসে দাঁড়াচ্ছে। যদিও অনলাইনে কেনাকাটার ক্ষেত্রে সম্ভাবনার নানা দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। এর মাঝে সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয় হলো, বেশকিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ক্রেতাদের নানাভাবে ঠকাচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য সরবরাহ না করার মতো ঘৃণ্য কাজ করছে। প্রতারণার স্বীকার হয়ে অনেকেই অনলাইনে কেনাকাটা করা থেকে বিরত থাকতে চাইছে। বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের প্রতারণা ও মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অনিয়মের কারণে ই-কমার্স ব্যবসা আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছে ইতিমধ্যে। এর মূল কারণ হলো ক্রেতাসাধারণের বিভিন্ন লোভনীয় অফারে এবং বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে যাওয়া। অনেকেই প্রিঅর্ডারের টাকা ফেরত পাওয়া নিয়েও আতংকে আছেন। এর কারণে দেশের অন্যন্য ই-কমার্স সাইটগুলি বিশ্বস্ততার প্রমাণ দিতে হিমশিম খাচ্ছে।
অনলাইন ব্যবসা করতে গেলে কি কি লাগবে?
উপরের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি কি ভাবছেন? বুঝতে পারছেন তো এই করোনাকালে অনলাইনে ব্যবসা করাটা কতটা লাভজনক? আপনিও কি অনলাইন ব্যবসার সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে চান? তাহলে আর্টিকেলের এই অংশটি আপনার জন্যই।
চলুন জেনে নেওয়া যাক একটি আদর্শ অনলাইন ব্যবসা দাঁড় করাতে কি কি প্রয়োজন এবং কি কি মাথায় রাখা দরকারঃ-
বিশ্বাসঃ
অনলাইন ব্যবসার করতে গিয়ে সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয় হলো, পণ্য বা সার্ভিসের কোয়ালিটির কেমন হবে? বলা চলে, অনলাইন ব্যবসা দাঁড়িয়ে আছে পুরটাই বিশ্বাস এর উপর। কেননা এটিতে সামনাসামনি ডিল করার কোনো সুযোগ নেই। সুতরাং একজন অনলাইন ব্যবসায়ীর বিশ্বাসের জায়গাটিকে শতভাগ গুরুত্ব দেওয়া উচিত। ক্রেতা যেনো সবসময় মানসম্মত পণ্য বা সার্ভিস পায় তা নিশ্চিত করা উচিত। প্রতিটি ক্রেতাই চাই সেরা পণ্য কিনতে পারার সুযোগ। কেনার সময় তারা পূর্ন আস্থা এবং বিশ্বাস রাখে যে, কিনতে চাওয়া পণ্য বা সার্ভিসটি নিশ্চয় শতভাগ মানসম্মত এবং খাঁটি হবে। গ্রাহকের এই বিশ্বাসের মূল্য একজন অনলাইন ব্যবসায়ীকে অবশ্যই দিতে হবে। এর মাধ্যমেই গড়ে উঠবে পুরো ব্যবসাটি। জনপ্রিয় হতে শুরু করবে নতুন ব্র্যান্ডটি।
সঠিক দামঃ
আজকাল অনলাইনে কোন কিছু কিনতে গেলেই দেখা যাই যে, পণ্যের দাম অনেক বেশি। যা অনেকসময় অফলাইন মার্কেট থেকেও অতিরিক্ত হয়। এতে করে যখন ক্রেতাসাধারণ অফলাইন মার্কেটের সাথে অনলাইন মার্কেটের পণ্যের দামের মূল্যায়ণ করে তখন বেশ বড়সড় একটি ফারাক দেখা যায়। অফলাইন মার্কেটের চাইতে অনলাইন মার্কেটে প্রতিটি পণ্যের অতিরিক্ত দাম গ্রাহককে অনলাইন কেনাকেটার ক্ষেত্রে অনাগ্রহী করে তুলে। ফলে অনলাইন ব্যবসায়ীরা তাদের গ্রাহকের বড় একটি হারাতে বাধ্য হয়। এই জন্য প্রতিটি অনলাইন ব্যবসায়ীর উচিত সঠিক মূল্য নির্ধারণ করা। নিজের লাভ এবং ক্রেতাসাধারণের সাধ্যকে মাথায় রেখে পণ্য বা সার্ভিসের দাম নির্ধারণ করাটা সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত কাজ বলে আমি মনে করি। আর যদি সম্ভব হয় তাহলে অনলাইনেদাম কিছু কম দিবেন। কারণ এক্ষেত্রে আপনাদের দোকান ভাড়া, কর্মচারীর বেতন, ইলেক্ট্রিসিটি বিল দিতে হচ্ছেনা।
ডেলিভারিঃ
অনলাইন বিজনেসের সবচেয়ে বড় একটি অংশ হলো পণ্য ডেলিভারি। যেহেতু এক্ষেত্রে সরাসরি পণ্য দেয়া-নেয়ার কোনো চান্স থাকে না, সেহেতু কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য ডেলিভারি করাটাই একমাত্র পথ হিসেবে বিবেচিত হয়। এমতাবস্থায় মাঝেমধ্যে পণ্য ডেলিভারি করতে কমবেশি দেরি হয়েই যায়। যা একটি অনলাইন ব্যবসায় অনেক বড় খারাপ দিক। সুতরাং প্রতিটি অনলাইন ব্যবসায়ীকে সময়মতো পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার মন-মানসিকতা থাকতে হবে। ডেলিভারি দেওয়ার সময় যেনো কোনো পণ্যের ক্ষতি না হয় সেটিও নিশ্চিত করতে হবে। সম্ভব হলে পণ্য ডেলিভারিতে নিজস্ব ওয়েবসাইট বা প্রতিষ্ঠানের ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে।
📷ওয়েবসাইটঃ
ওয়েবসাইট হলো অনলাইন ব্যবসার একটি রাস্তার মতো। এটি যত স্বচ্ছ হবে ততটাই লাভের মুখ দেখা যাবে। এটি মূলত আপনার অনলাইনের উপস্থিতির প্রমানের মতো। যেখানে আপনার কোম্পানি সম্পর্কিত সব ধরনের ইনফরমেশন থাকবে। ফেসবুক অবশ্যই একটা ফ্রি প্লাটফর্ম হলেও এটিকে সবসময় মনের মতো করে সাজানো যায় না। একটি ওয়েবসাইট থাকা মানেই হচ্ছে আপনার নিজের ঘর কিংবা একটি দোকান থাকা। যেটিকে আপনি আপনার নিজের মতো করে সাজাতে পারবেন। অন্যথায় কাস্টোমারের বড় অংশ আপনি মিস করে যেতে পারেন। একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি যদি মাসে ২০টি পণ্য বিক্রয় করেন, তাহলে ১ বৎসর পর আপনার ২৪০ জন ক্রেতা হবে। এভাবে চলতে চলতে ৩-৪ বৎসর পর আপনার নিজস্ব গ্রাহকসংখ্যা ১ হাজার পার হয়ে যাবে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন এটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ!
বিঃদ্রঃ যারা এই করোনাকালীন সময়কে কাজে লাগিয়ে অনলাইন ব্যবসার মাধ্যমে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলতে চাচ্ছেন তাদের সকলেরই নিজস্ব কোম্পানির একটি ওয়েবসাইট খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেনেতেনো ডেভলপার বা ডিজাইনারের দ্বারা একটি ওয়েবসাইট বানানো এবং এক্সপার্ট দলের দ্বারা একটি মানসম্মত ওয়েবসাইট তৈরি করিয়ে নেওয়ার মাঝে আকাশ-পাতাল ব্যবধান। এই ব্যবধানকে উপলব্ধি করতে না চাইলে সরাসরি আমাদের সাথে য���গাযোগ করুন। সাইট আপনার, সেটিকে মানসম্মত এবং সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করার দায়িত্ব আমাদের।
শেষ কথাঃ
কোভিড-১৯ আমাদের ঘরবন্দী করতে পারলেও আমাদের চাহিদাকে ঘরবন্দী করতে পারেনি। উপরন্তু ব্যবসার নতুন দ্বার তৈরি করে দিয়েছে। যাকে আমরা বর্তমানে ই-কমার্স হিসেবে চিনি। করোনাকালীন সময়ে নতুন এই ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আপনার মতামত এবং অভিজ্ঞতে শেয়ার করুন কমেন্টবক্সে। পাশাপাশি পরবর্তী নতুন কোনো গুরুত্বপূর্ণ টপিক নিয়ে আলোচিত আর্টিকেল পেতে সাথেই থাকুন।
0 notes
সাকিবের নাম-ছবি ব্যবহার করে প্রতারণা
সাকিবের নাম-ছবি ব্যবহার করে প্রতারণা
অবৈধভাবে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের নাম ও ছবি ব্যবহার করে আসছে একটি ওয়েবসাইট।
এনএফটির মাধ্যমে ওয়েবসাইটটি সাকিবের নাম ব্যবহার করে ফাঞ্জিবল টোকেনের মাধ্যমে ডিজিটাল কনটেন্টের ব্যবসা করে আসছে।
অথচ ওয়েবসাইটটির পৃষ্ঠপোষক এ বিষয়ে সাকিবের কোনো অনুমতি নেয়নি।
বিষয়টিকে ওই ওয়েবসাইটের প্রতারণা মন্তব্য করে সাকিব নিজেই তার ভক্ত-অনুরাগীদের সতর্ক করে দিয়েছেন।
সতর্কের পাশাপাশি ওই ওয়েবসাইট থেকে কনটেন্ট…
View On WordPress
0 notes
হেলেনা জাহাঙ্গীরের পৃথক ৪টি মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ড
হেলেনা জাহাঙ্গীরের পৃথক ৪টি মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ড
হেলেনা জাহাঙ্গীরের পৃথক ৪টি মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) ঢাকার পৃথক দুটি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ প্রদান করেন।
রাজধানীর মিরপুর থানার প্রতারণা মামলা ও পল্লবী থানার টেলিযোগাযোগ আইনের পৃথক মামলায় ৪ দিন করে মোট ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমান।
এছাড়া গুলশান থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা ও…
View On WordPress
0 notes
Mumbai Police registered a rape case against Kangana Ranaut's bodyguard ।Sangbad Pratidin
Mumbai Police registered a rape case against Kangana Ranaut’s bodyguard ।Sangbad Pratidin
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার আইনি বিপাকে কঙ্গনা রানাউতের (Kangana Ranaut) ব্যক্তিগত দেহরক্ষী। কুমার হেগড়ে নামে ওই দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে সরব আন্ধেরির এক বিউটিশিয়ান। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগের পাশাপাশি প্রতারণা এবং বিকৃত যৌনাচারের কথাও বলেছেন ওই মহিলা।
ওই নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, প্রায় আট বছর ধরে কুমার হেগড়েকে (Kumar Hedge) চেনেন তিনি। গত বছর জুন মাসে কুমার ওই মহিলাকে বিয়ের…
View On WordPress
0 notes
প্রাথমিক উপবৃত্তি : ক্যাশ আউট ছাড়া বাকি অপশন থাকবে বন্ধ
প্রাথমিক উপবৃত্তি : ক্যাশ আউট ছাড়া বাকি অপশন থাকবে বন্ধ
ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’র মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে এক কোটি ৪০ লাখ ক্ষুদে শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দিচ্ছে সরকার। এক্ষেত্রে প্রতারণা এড়াতে নতুন কৌশল অবলম্বন করা হবে।যাতে প্রতারক চক্র মোবাইলে ফোন করে নগদের পিন নম্বর ও ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) জালিয়াতি করে টাকা হাতিয়ে নিতে না পারে।
উপবৃত্তি প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের আগেই ২০২০ সালের বাকি ছয় মাসের (জুলাই থেকে ডিসেম্বর)…
View On WordPress
0 notes
রাজশাহীতে মধুচক্রের ভয়ঙ্কর ডিজিটাল ফাঁদ
রাজশাহীতে মধুচক্রের ভয়ঙ্কর ডিজিটাল ফাঁদ
স্টাফ রিপোর্টারঃ
সহজে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার লোভে এখন নানা ধরনের ভয়ঙ্কর সব প্রতারণা হচ্ছে ডিজিটাল মাধ্যমে। বিশেষ করে রাজশাহী অঞ্চলে সময়ের সঙ্গে বাড়ছে প্রতারকের সংখ্যা। বদলাচ্ছে প্রতারণার ধরন। ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়া ও মোবাইল ফোনে ওঁতপেতে থাকা প্রতারকরা নানা কৌশলে অর্থকড়ি হাতিয়ে নিয়ে নিঃস্ব করছে মানুষকে।
এক শ্রেণীর অর্থলিপ্সু নারী ও তাদের দোসর হিসেবে তথাকথিক অনলাইন সাংবাদিকদের সহযোগীতায়…
View On WordPress
0 notes
নিরবের পরামর্শেই টাকা আটকে রেখেছে কিউকম
নিরবের পরামর্শেই টাকা আটকে রেখেছে কিউকম
বাংলার চোখ নিউজ :
একের পর এক বেরিয়ে আসছে দেশে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কুকীর্তি। সর্বশেষ কিউকম নামে একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রতারণা নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনা শুরু হয়।
ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার দায়ে প্রতিষ্ঠানটির সিইও মোঃ রিপন মিয়া এখন জেলে। রিপন মিয়ার পর শুক্রবার প্রতিষ্ঠানটির হেড অব সেলস (কমিউনিকেশন অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন) ও সবার পরিচিত মুখ হুমায়ুন কবির নিরব ওরফে আরজে…
View On WordPress
0 notes
New Post has been published on https://paathok.news/138875
মন্ত্রীর এপিএস পরিচয়ে ভুয়া ফেসবুক আইডি, স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার
প্রবাসী ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমেদের এপিএস পরিচয়ে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে স্বামী-স্ত্রী দুইজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর প��লিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আতিক হোসেন ওরফে জয় ও মোসাঃ মলি আক্তার ওরফে শান্তা চৌধুরী। তারা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। সোমবার রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়ার ডাবতলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে ডিবি সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম। মঙ্গলবার ডিএমপি গোয়েন্দা কার্যালয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ও ডিবি-উত্তর) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
.
ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদের সহকারী একান্ত সচিব মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট দেখতে পান যে, ধন্যবাদ জানাই মাননীয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপিকে। আমাকে ২ বছরের জন্য এপিএস হিসেবে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার জন্য। এ পোস্টের বিষয়টি মন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়। প্রকৃত পক্ষে, শান্তা চৌধুরী নামের কাউকে মন্ত্রী চেনেন না এবং তার এপিএস হিসেবে নিয়োগও দেননি। উক্ত আইডি হতে মন্ত্রীর এপিএস পরিচয় দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে বিভিন্ন লোকজনের নিকট হতে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন অংকের টাকা দাবি করে। এ ঘটনায় মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
তাদের নিকট থেকে উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোন পর্যালোচনা ও জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা তথ্য প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পর্কে পারদর্শী। তারা প্রতারণার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ফেইক ফেসবুক একাউন্ট খুলে নিজেদের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর এপিএস দাবি করে। চাকুরী দেওয়ান প্রলোভনে বিভিন্ন লোকজনের নিকট মোটা অংকের টাকা চায় এবং তাদের মোবাইলে অসংখ্য ফেইক ফেসবুক একাউন্ট পাওয়া যায় । এসব ফেইক আইডি দিয়ে তারা বিদেশ যেতে ইচ্ছুক আগ্রহী প্রার্থীদের টার্গেট করতো। এ ধরণের প্রতারণা করে তারা লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান।
0 notes
cyber threat in india: SBI গ্রাহকরাও সাবধান, মুহূর্তের অসাবধানতায় হতে পারেন নিঃস্ব! – sbi alerts its customers about cyber attack threat এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: সম্ভাব্য সাইবার হানা নিয়ে গ্রাহকদের সতর্ক করল ভারতীয় স্টেট ব্যাংক (SBI)। রবিবার সন্ধ্যায় এই বিষয়ে দেশের বৃহত্তম এই ব্যাংকের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিতে সম্ভাব্য সাইবার অ্যাটাকের কথা জানতে পেরেছে তারা। বিনামূল্যে কোভিড টেস্টের টোপ দিতে এই প্রতারণা করা হতে পারে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কোনও সন্দেহজনক বা অপরিচিত সূত্র থেকে ই-মেইলে কোনও অ্য়াটাচমেন্ট পাঠানো হলে তা এড়িয়ে চলার জন্য …
0 notes
New Post on BDTodays.com
অনলাইনে প্রতারক, র্যাবের অভিযানে কম্পিউটারসহ গ্রেফতার ৭
জি এম মিঠন, নওগাঁ: বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনলাইন প্রতারক চক্র অবৈধভাবে বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ার ফেইক নেম জেনারেটর ব্যবহার করে মেয়েদের নামে ফেইক আইডি তৈরি করে ডিজিটাল প্রতারণা, ডিজিটাল জালিয়াতি, জ্ঞাতসারে ডিজিটাল ছদ্মবেশধারণ করে ভূয়া নামে খোলা আইডি দিয়ে বিভিন্ন অবৈধ সার্ভার ব্যবহার করে একাধিক এ্যাডাল...
বিস্তারিত এখানেঃ https://bdtodays.net/%e0%a6%85%e0%a6%a8%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%95-%e0%a6%b0%e2%80%8c%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%87/
0 notes