Tumgik
#ত্রিপুরা জাতি
bartapost · 2 years
Text
মহালছড়িবাসীকে শারদীয় দূর্গা পূজার শুভেচ্ছা।
মহালছড়িবাসীকে শারদীয় দূর্গা পূজার শুভেচ্ছা।
রিপন ওঝা,মহালছড়ি: ধর্ম যার যার,উৎসব সবার। এ বছরের শারদীয় দূর্গোৎসব শুরু হল, উপ-মহাদেশসহ পৃথিবীর নানা দেশের নানা প্রান্তে বসবাসরত সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু ও ত্রিপুরা জাতি- গোষ্ঠির মানুষের প্রাণের উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এই মহোৎসব পূজা হিসেবে পরিচিত হলেও তাই সবার জন্য আন্তরিক-শ্রদ্ধাপূর্ণ ভালোবাসা আর প্রাণভরা স্বস্তিময় শুভেচ্ছা। মূলত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব। সব ধর্মাবলম্বীর মাঝে তৈরি হয়…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
dailyshabdonagor · 2 years
Text
বর্তমানে সরকার বিদ্যা সংরক্ষণ করার লক্ষ্যে ৩৪ টি ভাষা শিখার সুযোগ করে দিয়েছে -.পৌর মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল
বর্তমানে সরকার বিদ্যা সংরক্ষণ করার লক্ষ্যে ৩৪ টি ভাষা শিখার সুযোগ করে দিয়েছে -.পৌর মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল
বর্তমানে সরকার বিদ্যা সংরক্ষণ করার লক্ষ্যে ৩৪ টি ভাষা শিখার সুযোগ করে দিয়েছে -.পৌর মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল চাঁদপুর প্রতিনিধিঃ চাঁদপুরে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে ঐতিহ্যগত বিদ্যা সংরক্ষণ ও বিকাশে আদিবাসী নারী সমাজের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) বিকালে চাঁদপুর রোটারী ক্লাবে মধ্য বালিয়া ত্রিপুরা জাতি সমাজ উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
tripurination · 3 years
Photo
Tumblr media
Tripuri Traditional Attire “Rinai Risa”
2 notes · View notes
paathok · 2 years
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/150919
মেগা উন্নয়নের নামে মেগা দুর্নীতি করে কানাডায় পাচার করছে আওয়ামী লীগ
.
মেগা উন্নয়নের নামে আওয়ামী লীগ মেগা দুর্নীতি করে লুটপাটের টাকা কানাডার বেগমপাড়ায় পাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, এ দেশে কী করেছে আওয়ামী লীগ? ১০ হাজার কোটি টাকার পদ্মাসেতু লুট করতে করতে ৩০ হাজার কোটি টাকায় নিয়ে গেছে।
মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি করছে। কর্ণফুলী ট্যানেলসহ উড়াল সেতু, সেতু, বড় বড় প্রকল্পের নামে দুর্নীতি করে টাকা কানাডার বেগমপাড়ায় পাচার করছে।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুরে সিলেট জেলা বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে সকাল ১০টায় সিলেটের রেজিস্ট্রি মাঠে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে সম্মেলন শুরু হয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খালেদা জিয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, যে নেত্রী জনগণকে সঙ্গে নিয়ে স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটিয়েছিলেন; ফখরুদ্দিন-মঈন উদ্দিন সরকারকে সরে যেতে বাধ্য করেছিলেন; সেই নেত্রীকে গৃহবন্দি করে রেখেছে মিথ্যা মামলা দিয়ে। কারণ একটাই, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া বেরিয়ে আসলে হ্যামিলনের বংশীবাদকের মতো মানুষ বেরিয়ে আসবে।
তিনি বলেন, যে নেত্রী হিজাব পরে ১০টাকা কেজিতে চাল খাওয়ানোর কথা বলেছিল, খাইয়েছে? চালের কেজি এখন ৬০/৭০ টাকা। বিনা পয়সায় সার দেওয়ার কথা, দিয়েছে? ইউরিয়া সারের দাম ১২শ টাকা। দ্রব্যমূল্যের দাম এখন বেড়েছে। মানুষের নাগালের বাইরে। যারা সরকারে আছে, তারা ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, যখন যার স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার কথা ছিল, তখন তিনি পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছিলেন। সেই সময় মেজর জিয়াউর রহমানের কণ্ঠে ভেসে উঠেছিল স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা। যার ঘোষণার মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। মহান নেতা জিয়াউর রহমান তার দর্শন দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সব দেশপ্রেমিক দলকে নিয়ে বিএনপি গঠন করেছিলেন বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য, সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য।
তিনি বলেন, সে সময় ইউলিয়াম মাইলাম ছিলেন বাংলাদেশের মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তিনি তার বইয়ে লিখেছিলেন, যদি ১৯৭৫ সালে জিয়াউর রহমান নিহত হতে��, তাহলে বাংলাদেশ হতো আফগানিস্তানের মতো। আমরা সেই নেতার আদর্শে চলি যিনি কেবল সৈনিক, নেতা ছিলেন না, তিনি দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন। তিনি ধ্বংসস্তূপ থেকে বাংলাদেশকে টেনে তুলেছিলেন। আমরা অন্য কোনো জাতীয়তার কথা বলি না, আমরা অন্য কোনো নেতার কথা বলি না, আমরা আমাদের নেতার কথা বলি। তিনি সব শ্রেণির লোকজনকে নিয়ে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের চিন্তা করেছিলেন। এখানে কেবল বাঙালি নয়, অন্যান্য জাতি, উপজাতি, ধর্মের লোক বাস করে। তাই এটা বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ।
তিনি আরও বলেন, আমাদের চিন্তা, কৃষ্টি, ঐতিহ্য আলাদা। পদ্মা, মেঘনা, যমুনার অববাহিকতায় যে ভূখণ্ড, সেই ভূখণ্ড আমরা। পশ্চিম বাংলা, মেঘালয়, ত্রিপুরা নই। আমরা বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী। আমাদের অস্তিত্বে এটা হিসেবে রাখতে হবে।
ফখরুল ইসলাম বলেন, আজকে যে স্বপ্ন দিয়ে আমরা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম, এখানে অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছেন। যারা স্বাধীনতা দেখেননি, তারাও আছেন। স্বাধীন দেশের মূল লক্ষ্য ছিল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চাই। যাতে আমরা আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজকে পরিচালনা করতে পারব, চিন্তা-ভাবনাগুলোকে আমরা বিকশিত করতে পারব। একটা সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম। যেখানে আমাদের কথা বলার অধিকার থাকবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, যুদ্ধের পর থেকে আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা যুদ্ধের নাম করে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে।
এ সম্মেলন ও কাউন্সিলে সভাপতিত্ব করছেন সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীদার। সম্মেলন ও কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসীনা রুশদীর লুনা।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. মো. এনামুল হক চৌধুরী, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ, সহ-ক্ষুদ্র ও ঋণ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বগুড়া পৌরসভার মেয়র ও দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. রেজাউল করিম বাদশা, ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী প্রমুখ।
দলীয় সূত্র জানায়, কাউন্সিলে জেলার আওতাধীন ১৮ ইউনিটের ১ হাজার ৮১৮ জন ভোটার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করবেন।
0 notes
rajnagarbarta · 4 years
Photo
Tumblr media
আশ্রয়ন প্রকল্প অন্যত্র স্থানান্তরের দাবীতে শ্রীমঙ্গলে মানবন্ধন সৈয়দ আমিনুল ইসলাম আল আমিন :  মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আজ রোববার( ৮নভেম্বর) দুপুরে শ্রীমঙ্গল চৌমুহনা চত্তরে “লাউয়াছড়া বন ও জীববৈচিত্র রক্ষা আন্দোলন কমিটির আয়োজনে ত্রিপুরা জনগোষ্টিকে একশত বছরের কৃষি জমি থেকে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত বাতিল ও লাউয়াছড়া বনের জন্য ক্ষতিকর আশ্রয়ন প্রকল্প অন্যত্র স্থানান্তরের দাবীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে। এ মানববন্ধন থেকে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন ও সরকারকে উদ্দেশ্য করে বাসদ নেতা আ্যডভোকেট আবুল হাসান বলেন, ‘সরকারের এ উদ্যোগ প্রশংসার দাবীদার, তবে আপনাদের জায়গা নির্বাচন করা ভূল। আপনারা শ্রীমঙ্গলে উন্নয়ন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আদিবাসী মানুষ ও প্রকৃতিকে বিপন্ন করতে পারেন না, ডলুবাড়িতে ১২০ টি ত্রিপুরা আদিবাসী পরিবার রয়েছে, ৩৮২ একর জমির ব্যাপারে ১৯৭৮ সালে মহামান্য হাইকোর্টের একটি রায় রয়েছে এবং সরকারকারের প্রতি আদালতের নির্দেশনা রয়েছে ত্রিপুরাদের জমির মালিকানা যেনো দেওয়া হয় কিন্তু আজও আদালতের রায় বাস্তবায়ন হয়নি। ত্রিপুরা জনগোষ্টি নেতা জনক দেববর্মা বলেন, শান্তিপুর্ণভাবে আমরা এখানে বসবাস করছি, আমরাও চাই ভূমিহীন মানুষরা জমি ও গৃহ পাক, বাংলাদেশ এগিয়ে যাক, তবে তা হতে হবে পরিকল্পিত এবং পরিবেশ, প্রকৃতি এবং বিভিন্ন জাতি -গোষ্টির জীবন ও জীবিকা টিকিয়ে রেখে। কিন্তু আমরা লক্ষ করছি, সরকারের পদক্ষেপ একপ্রকার স্ববিরোধি হয়ে যাচ্ছে, একদিকে ঘর দেওয়ার পদক্ষেপ অন্যদিকে আমাদের কৃষিজমি বেহাত হওয়ার আশঙ্কা। এটা অনস্বীকার্য যে, শ্রীমঙ্গলের উপজেলা নির্বাহি অফিসার অত্যন্ত চমৎকার মানুষ, তিনি আদিবাসীদের জন্য ব্যাপক কাজ করেছেন যা আগে কখনো আমরা পাইনি। আমরা তাঁর কাছে অনুরোধ করব, আমাদের জীবন ও জীবিকা যাতে হুমকীর সম্মুখীন না হয় সেটি লক্ষ রেখে, আপনি কতিপয় তথাকথিত প্রভাবশালীদের নিকট থেকে সরকারী খাস জমি উদ্ধার করেন, শ্রীমঙ্গলবাসী আপনার পাশে থাকবে। এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.
0 notes
saniyadas · 4 years
Photo
Tumblr media
প্রথমবার রাজ্যে আধাসামরিক বাহিনীতে মহিলা নিয়োগ করছে ত্রিপুরা আগরতলা: রাজ্যে আধা সামরিক বাহিনীর জন্য ১ হাজার ৪৮৮টি পদ অনুমোদন করল ত্রিপুরা সরকার। এর মধ্যে নেওয়া হবে ৪ হাজার ৭৫২ জন মহিলাকে। পদগুলির জন্য আবেদন করেছিলেন মোট ৩৫ হাজার ৬৪২ জন। শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়েছিল দশম শ্রেণি। বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২৩ বছরের মধ্যে। তফশিলি জাতি এবং Source link
0 notes
fastnation1 · 4 years
Text
বজেন্দ্র মগ চৌধুরী কে প্রদেশ কংগ্রেস ভবনের সন্মুখে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন
বজেন্দ্র মগ চৌধুরী কে প্রদেশ কংগ্রেস ভবনের সন্মুখে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন
দক্ষিন ত্রিপুরা জেলার ৩৮ জোলাইবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক জাতি-জনজাতির নেতা বজেন্দ্র মগ চৌধুরী কে আজ প্রদেশ কংগ্রেস ভবনের সন্মুখে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সহ কংগ্রেসের বরিষ্ঠ নেতৃত্ব গন এবং শাখা সংগঠনের নেতৃত্বগন
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
View On WordPress
0 notes
bdtodays · 5 years
Text
New Post on BDTodays.com
ঘর ছাড়া কোনো মানুষ থাকবে না: কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা
Tumblr media
মো রুবেল, খাগড়াছড়ি: পার্বত্য শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) বাবু কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন, বাঙ্গালী জাতি একদিন ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত হবে। ঘর ছাড়া কোনো মানুষ থাকবে না। বঙ্গবন্ধুর সে স্বপ্ন আজ তাঁর কন্য...
বিস্তারিত এখানেঃ https://bdtodays.net/%e0%a6%98%e0%a6%b0-%e0%a6%9b%e0%a6%be%e0%a7%9c%e0%a6%be-%e0%a6%95%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a7%8b-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%81%e0%a6%b7-%e0%a6%a5%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%ac%e0%a7%87-%e0%a6%a8/
0 notes
Text
ছফার বয়ানে এক-নায়ক এরশাদ
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে আমি একবার অত্যন্ত কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম। দেড় বছর আগের কথা। বুড়িগঙ্গার অপর পাড়ে কামরাঙ্গীরচরে হাফেজ্জি হুজুরের মাদরাসার বার্ষিক সভায় আমাকে কিছু বলার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমাদের দেশের মুখচেনা বুদ্ধিজীবীদের একটা বিরাট অংশ মোল্লা-মাওলানাদের মানুষ করতে চান না।
আমি এই মনোভাবটির বিরুদ্ধে অনেকদিন থেকেই প্রতিবাদ করে আসছি। একজন মানুষ টুপি পরে, দাড়ি রাখে, লম্বা জামা পরে এ সকল কারণে মানুষটি অমানুষ হয়ে যায় এ রকম একটি ধারণা সৃষ্টির করার জন্যে এক ধরনের তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। নাটক সিনেমায় একজন ক্রিমিনাল দেখাতে হলে একজন টুপিপরা, দাড়িওয়ালা মানুষকে স্টেজে হাজির করতে হয়। এই মনোভাব বর্ণবৈষম্যবাদের মতেই জঘন্য এবং নিন্দনীয়।
যা হোক, আসল কথায় ফিরে আসি। আমি যখন হুজুরদের সভায় গিয়ে বসলাম, তার অল্পক্ষণ পরেই দেখা গেল সভার উপস্থিত লোকজনদের মধ্যে একটা চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তার একটু পরেই এলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি লে. জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। একেবারে নিকট থেকে এই প্রথম তাঁকে দেখার সুযোগ হলো।
ছিমছাম চেহারার দীঘলদেহী মানুষ। পাঞ্জাবি পায়জামা এবং টুপিতে এরশাদ সাহেবকে সত্যি সত্যি একজন মুসল্লির মতন দেখাচ্ছিল। এরশাদ সাহেব এত সুন্দর চেহারার মানুষ আগে কোনো ধারণা ছিল না।
দীর্ঘ এক ঘণ্টা ধরে তার বক্তৃতা শুনলাম। আমার ধারণা হলো, এই ভদ্রলোক ইচ্ছা করলে অত্যন্ত নরম জবানে গুছিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারেন। এরশাদ সাহেব অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে একটানা প্রায় ১০ বছর বাংলাদেশ শাসন করেছেন।
একজন স্বৈরাচারী একনায়কের পক্ষে একটানা ১০ বছর ক্ষমতায় থাকা কম কৃতিত্বের কথা নয়। এরশাদ সাহেবের ক্ষেত্রে এটি সম্ভব হয়েছিল। কারণ, তিনি সামরিক শাসনের কড়াকড়ির সঙ্গে নরম জবানের একটা সুন্দর সমন্বয় সাধন করতে পেরেছিলেন। আমার ধারণা, এরশাদ সাহেবের মানুষকে বোকা বানানোর ক্ষমতা ছিল অসাধারণ।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন থেকে রাজনৈতিক আন্দোলন দানা বেঁধে উঠছিল। একটা পর্যায়ে বিএনপি, আওয়ামী লীগ এবং এগার দলসহ সব রাজনৈতিক দল এরশাদ সাহেবকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্যে রাজপথে নেমে এসেছিল। সে বিষয়ে কোনোকিছু পুনরাবৃত্তি করার কোনো প্রয়োজন নেই। সকলে জানেন বিক্ষুব্ধ জনগণের দুর্বার গণ-আন্দোলনের মুখে এরশাদকে ক্ষমতা ছেড়ে কারাগারে যেতে হয়েছিল।
আমি এরশাদ সাহেবের ওপর শুরু থেকেই একটা বিরোধী মনোভাব পোষণ করে আসছিলাম। কারণটা রাজনৈতিক নয়। তিনি ক্ষমতা দখল করার পর কবিতা লিখতে আরম্ভ করলেন। সবগুলো দৈনিকের প্রথম পাতায় তাঁর লেখা পদ্য ঘটা করে ছাপা হতে থাকল।
এটুকুর মধ্যে যদি এরশাদ সাহেব সীমাবদ্ধ থাকতেন আমার ক্ষোভটা হয়তো অত তীব্র আকার ধারণ করত না। তিনি তাঁর অধীনস্থ আমলাদের মধ্যে কবিতা লেখার বাতিকটা এত অধিক পরিমাণে সঞ্চারিত করতে পেরেছিলেন যে সেক্রেটারিদের মধ্যে কেউ কেউ অফিসে আসামাত্রই অন্য সেক্রেটারিদের বিগত চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে কত লাইন কবিতা লেখা হয়েছে সেটা পাঠ করে শোনাতেন।
এরশাদ সাহেব রাজনীতিতে যেমন একটা দল গঠন করলেন, কবিদের নিয়েও আর একটা কবিতার দল বানালেন। সে এক মহা রমরমা কা-। বঙ্গবভনে কবিতা পাঠের আসর বসে। সেখানে এরশাদ সাহেব স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন এবং মোসাহেব কবিরা দাড়ি নেড়ে মাথা দুলিয়ে কর্তাকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, আপনার কবিতা বাংলা কাব্যে নতুন যুগের সূচনা করতে যাচ্ছে।
কথাগুলো পত্র-পত্রিকায় এত জোরের সঙ্গে প্রচারিত হয় যে আমার বিশ্বাস করতে ইচ্ছা হতো, ক্ষমতা দখল করার পর থেকে এরশাদ সাহেবের সঙ্গে অন্যান্য স্বৈরাচারী একনায়কের ফারাক কোথায় সে ব্যাপারেও সামান্য ধারণা জন্মাল।
এরশাদ সাহেব রাষ্ট্রপ্রধান হওয়ার পর শুধু কবি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেন না, দিকে দিকে একজন মস্ত প্রেমিক হিসেবেও তার সুনাম রটে গেল। এরশাদ সাহেব যখন ক্ষমতার মধ্যগগনে সে সময়ে আমরা কতিপয় বন্ধু মিলে ‘উত্তরণ’ নামাঙ্কিত একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা চালাতাম।
বাংলা একাডেমির এক তৎকালীন কর্মকর্তা আমাকে একটা গান দেখালেন। গানটির লেখক ছিলেন সুরেন্দ্রলাল ত্রিপুরা। এই ভদ্রলোক রাঙ্গামাটিতে উপজাতীয় একাডেমির একজন কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি একটি গান লিখেছিলেন, সে গানটির প্রথম পক্তি ছিল ‘নতুন বাংলাদেশ গড়ব মোরা/ নতুন করে আজ শপথ নিলাম।’
এই গানটি উপজাতীয় একাডেমি থেকে প্রকাশিত বার্ষিক সংকলনটিতে ছাপা হয়েছিল। এই বার্ষিক সংকলনটি দেখে আমি ভীষণ ক্ষিপ্ত এবং মর্মাহত হয়েছিলাম। কারণ, প্রায় প্রতিদিন এ গানটি রেডিও টেলিভিশনে গাওয়া হতো এবং রচয়িতা হিসেবে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নাম দেখান হতো। একটি দেশের প্রেসিডেন্ট একজন সাধারণ নাগরিকের লেখা একটি গানকে নিজের গান বলে চালিয়ে দিয়ে গীতিকার খ্যাতি পেতে চান, এটা আমার কাছে অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ বলে মনে হয়েছিল।
আমি এটাও অনুভব করছিলাম, এই গানচুরির সংবাদটি দেশের মানুষদের জানানো প্রয়োজন। অনেক দৈনিক সাপ্তাহিকের সম্পাদকদের পেছনে আমি ছোটাছুটি করেছি। দেখলাম তাদের অনেকেই এই গানচুরির বিষয়টি জানেন। কিন্তু খবরটি ছাপাতে কেউ রাজি নন। রাঙ্গামাটির এক চাকমা বন্ধু জানালেন, আমি যদি এ গানটি নিয়ে বাড়াবাড়ি করি তাহলে সুরেন্দ্রলাল ত্রিপুরাকে বিপদের মধ্যে ফেলে দেওয়া হবে।
একাডেমি থেকে তার চাকরিটা যাবে এবং মাথা বাঁচানো দায় হয়ে পড়বে। অগত্যা আমাদের কাগজে সংবাদটি ছাপলাম। ‘এরশাদ সুরেন্দ্রলাল ত্রিপুরার গান চুরি করেছে।’ সংবাদটি এভাবে ছাপলে আমাদের পত্রিকার সেটি শেষ প্রকাশিত সংখ্যা হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তাই উল্টো করে খবরটা ছাপতে হলো।
আমরা ছাপলাম, সুরেন্দ্রলাল ত্রিপুরা দেশের রাষ্ট্রপতি গীতিকার হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের গান চুরি করে উপজাতীয় একাডেমির বার্ষিক সংকলনে ছেপেছে। সুতরাং, সুরেন্দ্রলাল ত্রিপুরার শাস্তি হওয়া উচিত। এই ঘটনাটির পর থেকে এরশাদ সাহেবের প্রতি আমার মনে একটা ঘৃণা এবং অনুকম্পা গভীরভাবে রেখাপাত করেছে।
এরশাদ সাহেব গণ-আন্দোলনের দাপটে বাধ্য হয়ে ক্ষমতা ছাড়লেন। বেগম খালেদা জিয়া সরকার তাঁকে কারাগারে পাঠাল। তাঁকে কি ধরনের করুণ জীবনযাপন করতে হচ্ছে, সে সংবাদ মাঝেমধ্যে কাগজে ছাপা হতো। পাঠ করে আমার মনে একধরনের কষ্ট জন্ম নিত। আহা, মানুষটা অল্প কিছুদিন আগেও প্রচ- দাপটের সঙ্গে ১২ কোটি মানুষকে শাসন করেছে। আজ তাঁর কি দুর্দশা।
এরশাদ অনেক ধরনের নালিশ করতেন। তাঁকে ঘিঞ্জি সেলে রাখা হয়েছে। সংবাদপত্র দেওয়া হয় না। যে সব খাবার দেওয়া হয় সেগুলো মুখে দেওয়ার অযোগ্য ইত্যাদি ইত্যাদি। এরশাদের কারাবাসের সময়ে কারারুদ্ধ রাষ্ট্রপতির প্রতি বেগম জিনাত মোশাররফের উথলানো দরদের কথাও সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে।
বেগম জিনাত এরশাদকে প্যান্ট, শার্ট, পাজামা, পাঞ্জাবি, গেঞ্জি এবং অন্তর্বাস জেলখানায় নিয়মিত পাঠাতেন এবং তার মন কম্পাসের কাঁটার মতো কারারুদ্ধ এরশাদের প্রতি হেলে থাকত। এরশাদের জন্যে কষ্ট পেতাম ঠিকই, কিন্তু তাঁর সৌভাগ্যে একধরনের ঈর্ষাও বোধ করতাম।
এরশাদ এখন ক্ষমতায় নেই। তিনি কারাগারে দুঃখ দুর্দশার মধ্যে দিন অতিবাহিত করছেন। এই চরম দুঃসময়েও সুসময়ের বান্ধবী জিনাত মোশাররফ অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে এরশাদের সুখ-সুবিধার দিকে মনোনিবেশ করছেন। বেগম জিনাত এরশাদের প্রতি অনুরাগ প্রকাশ করতে গিয়ে তার নিজের সংসারটি ভাঙতে বাধ্য হয়েছিলেন। আমি মনে মনে এই মহিলার খুব তারিফ করতাম।
এরশাদ যখন জেল থেকে মুক্তি পেলেন তখন পত্র-পত্রিকার সাংবাদিকদের কাছে পাঁচকাহন করে জিনাতের প্রতি তাঁর অনুরাগের কথা প্রকাশ করলেন। কিন্তু একটা সময়ে যখন তিনি অনুভব করলেন, তিনি জিনাতকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন না, তখন তাকে পচা কলার খোসার মতো নির্মম অবজ্ঞায় ছুড়ে দিলেন। এরশাদের এই কাজটিকে আমার গানচুরির কাজটির চাইতেও অধিক জঘন্য মনে হয়েছিল।
এরশাদ লোভী, প্রতারক এবং ভ- নয় শুধু একজন কাপুরুষও বটে। পশ্চিমা দেশগুলোতে নারী-পুরুষের সম্পর্ক অধিকতর খোলামেলা। সেখানে কোনো রাজনীতিবিদ যদি কোনো নারীর সঙ্গে এই ধরনের কাপুরুষোচিত আচরণ করত তা হলে সেখানেই তার রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটত। আমি মনে মনে এরশাদকে এইভাবে মূল্যায়ন করেছিলাম। এরশাদে কবিতা নকল, গান নকল, পুত্র নকল, প্রেম নকল এমন কি আস্ত এরশাদ মানুষটাই একটা নকল মানুষ। আমাদের এই জাতি অত্যন্ত ভাগ্যবান কারণ একজন আগাগোড়া নকল মানুষ এই জাতিকে দশটি বছর শাসন করেছে।
আমার মূল্যায়নের পদ্ধতিটা কিছুটা ভাবাবেগজনিত। যে সমস্ত মানুষ খুব ঠা-া মাথায় চিন্তাভাবনা করতে অভ্যস্ত, এরশাদ সম্পর্কে যে রকম অনেক মানুষের মতামত আমি জানতে চেষ্টা করেছি। তাদের মধ্যে যে সমস্ত মানুষ সরাসরি এরশাদের দ্বারা বিশেষভাবে উপকৃত হয়নি সে সমস্ত ব্যক্তি ছাড়া অন্য সকলেই আমাকে বলেছে, এরশাদ অত্যন্ত খারাপ মানুষ। আর এরশাদ যে খারাপ মানুষ সে ব্যাপারে অধিকাংশ মানুষ একমত।
এখন এরশাদের সম্পর্কে আমার মনে যে একটা বিস্ময়বোধ জন্ম নিয়েছে, সে বিষয়ে কিছু কথা বলব।এরশাদকে যখন মামলার পর মামলায় অভিযুক্ত করে খালেদা জিয়া সরকার জেলখানায় ঢোকাল, অনেকের মতো আমিও ধরে নিয়েছিলাম এরশাদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ। যে কৃষ্ণগহ্বরের মধ্যে এরশাদ ঢুকেছেন সেখান থেকে কোনোদিন বেরিয়ে আসতে পারবে না। দু’বছর না যেতেই আমার ধারণা মিথ্যা প্রমাণিত হল।
১৯৯৬ সালের নির্বাচনের পর হাসিনা এবং খালেদা দুই নেত্রীকে করজোড়ে এরশাদের সামনে হাজির হতে হলো। খালেদা জিয়া বললেন, আপনি আমার দলকে সমর্থন করুন, আপনার সমর্থনে আমার দল যদি সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়, আপনাকে রাষ্ট্রপতি বানাব। এরশাদ খালেদার আবেদনের কর্ণপাত করলেন না, কারণ এই মহিলার ওপর তিনি ভয়ানক ক্ষুব্ধ ছিলেন। মহিলা তাঁকে জেলখানায় পাঠিয়েছেন। সুতরাং, তাঁর সঙ্গে কোনো রকমের বোঝাপড়া কিছুতেই হতে পারে না।
হাসিনা বললেন, আপনি আমার দলকে সমর্থন করে আমাদের সরকার গঠন করার সুযোগ করে দিন। আমরা আপনার সবগুলো মামলায় জামিনের ব্যবস্থা করব এবং আপনাকে মুক্ত মানব হিসেবে কারাগারের বাইরে নিয়ে আসব। বাস্তবিকই হাসিনা এরশাদের সমর্থন নিয়ে ঐকমথ্যের সরকার গঠন করলেন এবং এরশাদ সাহেব বাইরে চলে এলেন। এরশাদ সাহেবের সমস্ত রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে টান টান দড়ির ওপর দিয়ে চীনা এ্যাক্রোব্যাট মেয়েরা যেভাবে সাইকেল চালায় তার সঙ্গে তুলনা করা যায়। পরিস্থিতি যতই খারাপ এবং অনিশ্চিত হোক না কেন, তিনি ঠিকই নিরাপদে তাঁর কাজটি করে যাবেন।
বেশ কিছুদিন বাইরে থারার পর এরশাদ আবার নতুন একটা মোচড় দিলেন। সর্বত্র বলে বেড়াতে লাগলেন আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে রসাতলের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এখন থেকে তিনি এই সরকারের বিরোধিতা করবেন। কারণ এই সরকারের ইতিবাচক কোনকিছু অবদান রাখার ক্ষমতা নেই। তারপরে বেগম খালেদা জিয়া জামাতের সঙ্গে মিলে চারদলীয় জোট গঠন করলেন। চারদলীয় ঐক্যজোটের কর্মপদ্ধতি এবং রূপরেখা যখন আকার পেতে শুরু করেছে সে সময়ে একটি পুরনো মামলায় এরশাদকে পাঁচ বছরের কারাদ- এবং পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা করা হলো। জরিমানার টাকা যদি শোধ করতে না পারে, তাহলে আরও দু’বছর জেল খাটতে হবে।
এরশাদ সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে যাচ্ছেন। এ সময়ের মধ্যে আদালত থেকে জানানো হয়েছে তাকে দু’বছর কম সময় জেলের মধ্যে থাকতে হবে। কেননা আগে যতটা সময় তিনি জেলে ছিলেন, তাতে পাঁচ বছরের মেয়াদ থেকে সে সময়টা কাটা যাবে।
এরশাদের আপিলে কি রায় দেওয়া হবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলার উপায় নেই। হয়তো এরশাদের দ-াদেশ বহাল থাকবে। হয়তো তাঁকে মুক্তি দেওয়া হবে। কিন্তু আমি আমার একটা আশঙ্কার কথা উচ্চারণ করতে চাই। এরশাদ বাংলাদেশের রাজনীতিতে পারমাণবিক বর্জ্যপদার্থের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। পারমাণবিক বর্জ্যপদার্থের তেজষ্ক্রিয়তা অনন্তকাল ধরে টিকে থাকে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এরশাদ একটা নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করছেন। হাসিনা-খালেদার সাধ্য নেই এরশাদকে কোথাও ছুড়ে ফেলে দেয়ার।
কারণ হাসিনা-খালেদা যে ধরনের রাজনীতি করছেন এরশাদের অবস্থান সে ধরনের রাজনীতির মধ্যেই। আমাদের দেশে অনেক লোক ব্যক্তি হিসেবে এরশাদের নিন্দা করে থাকেন। হাসিনা-খালেদা ব্যক্তি হিসেবে ভালো কি মন্দ সেটা পুরোপুরি আমরা জানিনা। কিন্তু তাঁদের রাজনীতি এরশাদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এবং তাদের রাজনৈতিক নিয়তির নিয়ন্ত্রক ভূমিকা এরশাদই পালন করেন।
এই দেশের ভাগ্য, দেশের জনগণ অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে সামরিক শাসনের কব্জা থেকে দৃশ্যত একটা গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। কিন্তু সেই সামরিক শাসনের একনায়ক মানুষটিকে কিছুতেই সরানো যাচ্ছে না।
Tumblr media
সূত্র : আজকের কাগজ, ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০০০ / ‘হারানো লেখা’ বই থেকে নেয়া
0 notes
mrhacktube619 · 4 years
Video
youtube
প্রতি বছররেই ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপলেজায় এই মিলন মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের মিলন মেলা । #বাংলাদেশ_ভারত_সীমান্তের_মিলন_মেলা#Mrmahim বাংলাদেশ এবং ভারত দক্ষিণ এশিয়ার দুইটি প্রতিবেশি দেশ। বাংলাদেশ একটি বাঙালি জাতীয়তাবাদী, জাতি রাষ্ট্র হলেও ভারত বিভিন্ন জাতীর সমষ্টিগত দেশ। ১৯৪৭ সালে বঙ্গভঙ্গের পর অধিকাংশ বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা এখন ভারতের অংশ। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান বিরোধী বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে ভারতীয় বাঙালি সম্প্রদায় ও ভারত সরকারের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। ১৯৭১ পরবর্তী ফারাক্কা বাধ, সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা , চটগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চলের বিচ্ছনতাবাদিদের ভারতীয় সাহায্য সহ বিভিন্ন বিষয়ে উল্লেখযোগ্য দুরত্ব থাকলেও বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক সার্বিক দিক দিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ। দুটি দেশই একই সাথে সার্ক, বিমসটেক, আইওরা এবং কমনওয়েলথের সাধারণ সদস্য। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্যে বাঙ্গালীদের বসবাস যারা ১৯৪৬-৪৭এর দাঙ্গার পর পূর্ববঙ্গ (বর্তমান বাংলাদেশ) পরিত্যাগে বাধ্য হয় এবং বাংলাদেশ ��াকিস্তানের অধিনস্ত হয়েছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী জোটের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭০ সালের শেষ দিকে এবং আশির দশকের বিভিন্ন স্নায়ু যুদ্ধে এই সম্পর্ক আরও উন্নত হয়।[১][২] দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক উদারীকরণের সূত্রপাত সাথে তারা বৃহত্তর প্রবৃদ্ধি ও বাণিজ্যের উদ্ভাবন ঘটায়। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশই সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী সবসকৌশলগত অংশীদার হিসেবে ভূমিকা রাখছে। ফলে তারা দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক অংশীদার হয়ে উঠে।[৩] দ্বিমুখী বাণিজ্য আয় প্রায় $৭ বিলিয়নের মার্কিন ডলারের বেশি হতে পারে বলে অনুমান করা হয়। তবে উভয় দেশই পরস্পরের ভৌগোলিক সীমারেখা, সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নকে স্বীকৃতি দিয়ে থাকে। ২০১০ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে অর্থনৈতিক বিনিময় বিস্তৃতকরণের মাধ্যমে দৃই দেশের মধ্যেকার এই সম্পর্ক আরও ত্বরান্বিত হয়। বাংলাদেশের ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের হাই কমিশন অফিস এবং রাজশাহী ও সিলেটে সেক্রেটারি কমিশন অফিস রয়েছে; পাশাপাশি ভারতের দিল্লিতে বাংলাদেশী দূতাবাসের হাই কমিশন অফিস এবং মুম্বাই ও কোলকাতায় ডেপুটি কমিশন অফিস রয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের সম্মাননাস্বরুপ ২০১৪ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের নব্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শপথবাক্য পাঠের অনুষ্ঠানে অন্যতম আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ২০১৪ সালের জুনে বাংলাদেশে তার প্রথম আন্তর্জাতিক সফর করেন। ২০১৫ সালে ছিটমহল বিনিময়ের মাধ্যমে স্হলসীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে৷ ২০১৪ সালের জরিপ অনুযায়ী ৭০ শতাংশ বাংলাদেশী জনগণ ভারতের পক্ষে ইতিবাচক মত দিয়েছেন . Like on Our Page, Facebook: https://ift.tt/2JzALm6 Google+ : https://ift.tt/2LZsLwn Instagram : https://ift.tt/2ZR13sU Facebook Page : https://ift.tt/2ZUkGwd Dont,Forget to Subscribe Our channel.
0 notes
sentoornetwork · 4 years
Text
নাগরিক বিলে কেন্দ্রের পাশে সেনা, জেডি ইউ, তৃণমূল চুপ
New Post has been published on https://sentoornetwork.com/controversial-cab-will-pass-easily-in-rs/
নাগরিক বিলে কেন্দ্রের পাশে সেনা, জেডি ইউ, তৃণমূল চুপ
বিশেষ সংবাদদাতা : বিতর্কিত নাগরিক বিল সংসদে পেশ হতে পারে শুক্রবার। আজ বিজেনস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনার পর ঠিক হবে। সরকার ইতিমধ্যে অঙ্ক কষে ফেলেছে যে রাজ্যসভায় বিল পাশ হয়ে যাবে অনায়াসে। কারণ বিলের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে শিবসেনা, জেডি ইউ, বিজেডি-র মতো দল। লোকসভায় গরিষ্ঠতা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। রাজ্যসভায় সরকার পক্ষের গরিষ্ঠতা না থাকায় বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করেই সরকার এগিয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু সংশোধন করা হয়েছে। যেমন উত্তর পূর্বাঞ্চলে যেখানে অন্তর্দেশীয় অনুমতিপত্র ব্যবস্থা চালু রয়েছে সেখানে এই আইন বলবৎ করা হবে না। এর ফলে নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজোরাম, অরুণাচল, মণিপুরে বিল নিয়ে কোনও অসন্তোষ নেই। বিজেডি তাই সমর্থন দেবে বলে জানিয়েছে। রাজ্যসভায় ২৩৮ সদস্যের মধ্যে ১২২ জনের সমর্থন পেয়েছে বিজেপি। বাকিটাও হয়ে যাবে বলে দলের ম্যানেজাররা জানিয়েছেন। গত বছর যে বিল পেশ করা হয় তা নিয়ে জেডিইউ ও বিজেডির মতো দলের আপত্তি ছিল। সংশোধিত নতুন বিলে তাঁরা আপত্তি জানায়নি। তবে খসড়া বিল এখনও কেউ হাতে পায়নি। সেই বিল দেখে কংগ্রেস অবস্থান নেবে বলে জানিয়েছে। তবে দলের নেতা অধীর চৌধুরী বলেছেন, সংবিধানের ১৪ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করা হলে তারা বিরোধিতা করবেন। সেখানে নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে নাগরিকত্বের কথা উল্লেখ রয়েছে। ভারতের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশের পার্থক্য রয়েছে চিরকাল। তৃণমূল এখনও স্পষ্ট করে অবস্থানের কথা জানায়নি। সৌগত রায় ও ডেরেক ও’ব্রায়েন কুলুপ এঁটে রয়েছেন। বিল দেখে নেত্রীর সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত করবে তৃণমূল। সিপিএমে সীতারাম ইয়েচুরি ও মহম্মদ সেলিম বিলে আপত্তি জানিয়ে বিরোধিতা করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। তাঁদের কথা, ধর্ম, জাতি, রং, ভাষা ভাগ করে নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনৈতিক। শিবসেনা জানিয়েছে মহারাষ্ট্রে তাঁরা নতুন জোট করে সরকার গড়লেও জাতীয় ইস্যুতে সমর্থন দেবেন। এই বিল নিয়ে আগে থেকেই তাঁরা সমর্থন দেবেন বলে ঘোষণা করেছেন। নীতীশ কুমারের জেডিইউ পাশে থাকছে। টিআরএস কিছু না জানালেও ওয়াইএসআর কংগ্রেস সমর্থন দেবে। এডিএমকে দোলাচলে রয়েছে। আরজেডি, বিএসপি ও এসপি সিদ্ধান্ত নেবে বিল দেখার পর। অকালি দল সমর্থন দেবে। সংশোধিত বিলে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে যে সব হিন্দু, জৈন, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও পার্সিরা ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার হয়ে এদেশে চলে এসেছেন তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সাল ভিত্তি বছর ধরা হয়েছে। কিন্তু মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা উহ্য রাখা হয়েছে। তাতে স্পষ্ট হয়ে যায় তিন দেশ থেকে আগত মুসলিমরা এদেশের নাগরিক হিসেবে গণ্য হবেন না। কংগ্রেস ও বামেদের আপত্তি এই ধর্মীয় ভিত্তিতে বিভাজন ঘিরে।
0 notes
bartabangla · 6 years
Photo
Tumblr media
বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি ১৯৭৫ সালে শুধু একজন মানুষ বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার-স্বজনদের হত্যার ঘটনাই ঘটেনি, ঘাতক অবৈধ দখলদার ও সামরিক শাসকেরা জাতির আত্মাকে হত্যার চেষ্টা চালায়। সাম্প্রদায়িকতার ছুরিতে বিদ্ধ হয় জাতির আত্মা। রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এখনো হচ্ছে। কারণ, সাম্প্রদায়িকতার ছুরি জাতির আত্মা থেকে সম্পূর্ণভাবে তুলে ফেলা হয়নি। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার কার্যকর করার মধ্য দিয়ে জাতির কলঙ্ক মোছার সংগ্রাম এক ধাপ এগিয়েছে। সংবিধান আবার চার মূলনীতিতে ফেরত গেছে, সামরিক শাসনকে আইনগতভাবে ও সাংবিধানিকভাবে অবৈধ কর্ম বলে চিহ্নিত করা হয়েছে; আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারীদের বিচার ও সাজার উদ্যোগের মধ্য দিয়ে জাতির কপাল থেকে কলঙ্ক মোছার সংগ্রাম আরও জোরদার হয়েছে। তবে এখনো আমরা জাতির আত্মায় বিদ্ধ সাম্প্রদায়িকতার ছুরিটা সম্পূর্ণভাবে উপড়ে ফেলতে পারিনি। এখনো সাম্প্রদায়িকতা ও সামরিক শাসনের সব চিহ্ন মোছা শেষ হয়নি। এখনো সামরিক শাসকদের ‘একটু গণতন্ত্র, একটু ধর্মতন্ত্র, একট��� সামরিকতন্ত্র’ মিশ্রণের গোঁজামিল তত্ত্ব রাজনীতির অঙ্গনে বিভ্রান্তির ধূম্রজাল ছড়াচ্ছে। এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে বঙ্গবন্ধুকে স্বগৃহে প্রত্যাবর্তনের জন্য। এই প্রত্যাবর্তন সহজ ও দ্রুত হবে যদি আমরা বঙ্গবন্ধুকে ভালোভাবে জানতে পারি, চিনে নিতে পারি—বঙ্গবন্ধু কে? বঙ্গবন্ধু কেবল একজন ব্যক্তি নন। বঙ্গবন্ধু একটি পতাকা, একটি মানচিত্র, একটি দেশ, বাঙালি জাতীয়তার একটি মহাকাব্য, একটি আন্দোলন, জাতি নির্মাণের কারিগর, ঠিকানা প্রদানের সংগ্রাম, একটি বিপ্লব, একটি অভ্যুত্থান, একটি ইতিহাস, বাঙালি জাতির ধ্রুবতারা: জাতির উত্থান–রাজনীতির কবি, জনগণের বন্ধু, রাষ্ট্রের স্থপতি, স্বাধীনতার প্রতীক, ইতিহাসের মহানায়ক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। বিবিসি বাংলা বিভাগের জরিপে বঙ্গবন্ধুকে শ্রেষ্ঠ বাঙালি বলা হয়। কিন্তু আমরা ৭ কোটি বাঙালি ১৯৭০-৭১ সালেই সেই রায় দিয়ে দিয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলার বন্ধু নন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। বিবিসি বঙ্গবন্ধুকে পুনঃ আবিষ্কার করেছে মাত্র। বহুভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছিলেন, ‘আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি। এটি কোনো আদর্শের কথা নয়। এটি একটি বাস্তব কথা।’ বঙ্গবন্ধু সেই কথা অক্ষরে অক্ষরে উপলব্ধি করেই ১৯৪৭ সালের ঐতিহাসিক ভুল শোধরান। যে হিন্দু ও মুসলিম ভারতে আলাদা হয়ে পড়ে, সেই তাদের সবাইকে একত্র করে এক অখণ্ড বাঙালি জাতিকে পরিণত করেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিসত্তাকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন। বঙ্গবন্ধু তাই আধুনিক বাঙালি জাতীয়তাবাদের জনক এবং বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু অভিন্ন সত্তা। ১৯৭৩ সালে আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত জোটনিরপেক্ষ সম্মেলনে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান শেখ মুজিবুর রহমান সৌদি বাদশাহ ফয়সালের সঙ্গে বৈঠকে বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়ার পর বাংলাদেশ দ্বিতীয় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। আমি জানতে চাই, কেন সৌদি আরব স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশকে আজ পর্যন্ত স্বীকৃতি দেয়নি?’ বাদশাহ ফয়সাল বলেন, সৌদি আরবের স্বীকৃতি পেতে হলে বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন করে ‘ইসলামিক রিপাবলিক অব বাংলাদেশ’ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু জবাব দেন, ‘এই শর্ত বাংলাদেশে প্রযোজ্য হবে না। বাংলাদেশের জনগণের প্রায় অধিকাংশই মুসলিম। আমাদের প্রায় এক কোটি অমুসলিমও রয়েছে। সবাই একসঙ্গে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছে বা যুদ্ধের ভোগান্তিতে পড়েছে। তা ছাড়া সর্বশক্তিমান আল্লাহ শুধুমাত্র মুসলিমদের জন্যই নন। তিনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের স্রষ্টা। তা ছাড়া আপনার দেশের নামও তো “ইসলামিক রিপাবলিক অব সৌদি আরব” নয়। আরব বিশ্বের একজন গুণী ও খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ প্রয়াত বাদশাহ ইবনে সৌদের নামে নাম রাখা হয়েছে “কিংডম অব সৌদি আরব”। আমরা কেউই এই নামে আপত্তি করিনি।’ এমনই ছিলেন বঙ্গবন্ধু, আমাদের জাতির পিতা। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেই যে দেশের নাম ইসলামি প্রজাতন্ত্র হতে হবে, এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই, সংখ্যালঘুদের কথাও মনে রেখেছেন তিনি। ১৯৭২ সালের শেষ দিকে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে সৈয়দ মুজতবা আলী ও সন্তোষ কুমার ঘোষ অনেক কথা বলেছিলেন। সৈয়দ মুজতবা আলী বলেন, উপমহাদেশের এই সংঘাতপূর্ণ পরিবেশ তার পূর্বাঞ্চলে ধর্মীয় জাতীয়তার ছুরিতে বিভক্ত বাংলার পূর্বাংশে সেক্যুলার বাঙালি জাতীয়তার বিকাশ এবং তার ভিত্তিতে মুজিব নেতৃত্বের অভ্যুদয় দক্ষিণ এশিয়ায় এ সময়ের সবচেয়ে বড় বিস্ময়। সন্তোষ কুমার ঘোষ বঙ্গবন্ধুকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ইন্ডিয়ান ন্যাশনালিজমকে তিনি কী চোখে দেখেন। এই জাতীয়তাকে কি তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের সম্পূরক, না বিরোধী বলে ভাবেন? বঙ্গবন্ধু জবাব দিয়েছিলেন, ‘সেক্যুলার ভারতীয় জাতীয়তাবাদ বাঙালি জাতীয়তাবাদের পরিপূরক। যেমন ইউরোপের প্রতিটি দেশের মানুষ নিজেদের ইউরোপিয়ান মহাজাতির অন্তর্ভুক্ত বলে ভাবেন। আবার তাদের স্বতন্ত্র জাতীয়তা আছে এবং এই জাতিরাষ্ট্রগুলোর মধ্যে নিজ নিজ স্বার্থে যুদ্ধবিগ্রহও হয়। সন্ধি ও শান্তিচুক্তিও হয়। সহযোগিতাও থাকে।’ সৈয়দ মুজতবা আলী বলেছিলেন, ‘শেখ সাহেব, আপনার কথা শুনে মনে হয় আপনি বর্তমান ভারতীয় জাতীয়তাকে পুরোপুরি সেক্যুলার মনে করেন না।’ বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘না, তা মনে করি না। গান্ধী, জিন্নাহ দুজনই “মডার্ন লিডার” ছিলেন। কিন্তু তাঁদের রাজনীতি সেক্যুলার ছিল না। নেহরু চেষ্টা করেছিলেন “সেক্যুলার ইন্ডিয়া” গড়তে। পুরোপুরি সফল হননি। গান্ধী-জিন্নাহর রাজনীতির দ্বারা উপমহাদেশ এখনো ��্রভাবিত। আমরা বাঙালিরা চাচ্ছি সেই বৃত্ত ভাঙতে। পারব কি না, জানি না।’ সৈয়দ মুজতবা আলী আরও বলেছিলেন, ‘আপনাদের বাঙালি জাতীয়তার ভিত্তি কি কেবল ভূগোল আর ভাষা?’ বঙ্গবন্ধু মৃদু হেসে বলেছিলেন, ‘না, কেবল ভূগোল বা ভাষা হলে তো আপনাদের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও বিহার-উড়িষ্যার অংশবিশেষ দাবি করতাম। সে দাবি আমি করছি না। আমাদের বাঙালি জাতীয়তার ভিত্তি বাংলার সকল ধর্মের সকল বর্ণের মানুষের হাজার বছরের মিলিত সভ্যতা ও সংস্কৃতি। তাতে হিন্দু, বৌদ্ধ ও উপজাতীয় সভ্যতা-সংস্কৃতির যেমন ছাপ আছে, তেমনি আছে মুসলমানদের সভ্যতা-সংস্কৃতির মিশ্রণ। বর্তমানের ভারত একটি “পলিটিক্যাল ইউনিয়ন”। আর আমরা একটি “কালচারাল নেশন”। হাজার বছরের বেশি সময় ধরে আমাদের পরিচয় বাঙালি। বহুকাল আমাদের একটি নেশন স্টেট ছিল না। সেটি এখন পেয়েছি। সেটি যদি তার সেক্যুলার সভ্যতা ও সংস্কৃতির ভিত্তিতে আমরা টিকিয়ে রাখতে পারি, তাহলে বাঙালি জাতি বাংলা ভাষা ও বাঙালি সংস্কৃতি বিশ্বে একটি আধুনিক জাতি হিসেবে স্বীকৃতি পাবেই।’  ১৯৬৯ সালের ৬ ডিসেম্বর তিন নেতার মাজার প্রাঙ্গণে সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দেন, ‘আজ হইতে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশটির নাম “পূর্ব পাকিস্তান” না, শুধুমাত্র “বাংলাদেশ”।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দ্বিজাতি তত্ত্বকে ত্যাগ করার আহ্বান জানালেন। ৬ দফার ভিত্তিতে স্বশাসনের পক্ষে দাঁড়াতে ঘোষণা দিলেন; সামরিক স্বৈরতন্ত্র হটানোর কথা বললেন; গণতন্ত্রের ওপর দাঁড়াতে বললেন। গণসংগ্রাম-নির্বাচন-সশস্ত্র যুদ্ধ—এই তিনের অপূর্ব সমন্বয় করলেন। নির্বাচনকে গণরায়ে রূপান্তর করলেন। অসহযোগ আন্দোলনের নামে স্বশাসিত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিলেন। নিরস্ত্র জনগণের সশস্ত্র সংগ্রামের মানস গঠনের রাজনীতি উপহার দিলেন। বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আমি মানুষ, আমি বাঙালি, আমি মুসলমান।’ বাংলাদেশের জনগণকে তিন ধাপে তাঁদের পরিচয় সাজাতে বললেন, আগে মানবতা, তারপর জাতিসত্তা, তারপর ধর্ম। এটাই হলো বঙ্গবন্ধু রচিত বাঙালির বাংলাদেশ উত্থানের, প্রতিষ্ঠার, স্বশাসনের স্বাধীনতার মহাকাব্য। সবাই বাঙালি হয়ে গেল। সাম্প্রদায়িকতার দ্বিজাতিতত্ত্বের আলখাল্লা ফেলে দিল। পল্লিকবি জসীমউদ্‌দীন তাই বঙ্গবন্ধুর এই বিরল কৃতিত্ব কবিতায় প্রকাশ করলেন: ‘শুনেছি আমরা গান্ধীর বাণী জীবন করিয়া দান, মিলাতে পারেনি প্রেম–বন্ধনে হিন্দু-মুসলমান। তারা যা পারেনি তুমি তা করেছ, ধর্মে ধর্মে আর জাতিতে জাতিতে ভুলিয়াছে ভেদ সন্তান বাঙলার।’ জাতির পিতার প্রত্যুৎপন্নমতিত্বও ছিল বিস্ময়কর। নাইজেরিয়ার জেনারেল ইয়াকুব গাওয়ান যখন বললেন, অবিভক্ত পাকিস্তান একটি শক্তিশালী দেশ, কেন আপনি দেশটাকে ভেঙে দিতে গেলেন। উত্তরে শেখ মুজিব বললেন, ‘শুনুন মহামান্য রাষ্ট্রপতি, আপনার কথাই হয়তো ঠিক। অবিভক্ত পাকিস্তান হয়তো শক্তিশালী ছিল। তার চেয়েও শক্তিশালী হয়তো হতো অবিভক্ত ভারত। কিন্তু সেসবের চেয়েও শক্তিশালী হতো সংঘবদ্ধ এশিয়া, আর মহা শক্তিশালী হতো এক জোট এই বিশ্বটি। কিন্তু মহামান্য রাষ্ট্রপতি, সবকিছু চাইলেই কি পাওয়া যায়।’  ১৯৭৩ সালে রাজশাহীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে অধ্যাপক খান সারওয়ার মুরশিদ প্রশ্ন করেন ফরাসি লেখক বিপ্লবী মার্লোকে। অধ্যাপক খান সারওয়ার মুরশিদ বলেন, ‘মুজিব পারবেন তো একটি নতুন রাষ্ট্র তৈরি করতে?’ মার্লো বলেন, ‘অবশ্যই, যদি না আপনারা শিক্ষিতরা, বুদ্ধিজীবীরা তাঁকে মেরে ফেলেন।’ মুজিবের বিশ্বাস ছিল বাঙালিদের ওপর। ভরসা ছিল। তাই পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী হয়েও দিশেহারা হননি। বাঙালিরা লড়ে স্বাধীনতা আনবেই। বাঙালিরা তাঁকে মারতেই পারে না। বিশ্বাস করে তাই তিনি নিরাপত্তাহীনভাবে থাকতেন ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে। আগস্টের এই শোকাবহ মাসে কাঁদো, প্রিয় দেশ। কাঁদো মুক্তিদাতা মুজিবের জন্য। তাঁর সেই পরিচয়টাই ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে। কাঁদো, কাঁদো, প্রিয় দেশ। কিন্তু এখনো দেশ কলঙ্কমুক্ত নয়। এখনো সাম্প্রদায়িকতার ছুরিকাবিদ্ধ জাতির আত্মার রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এখনো বৈষম্যের বিশাল পাহাড়ের তলে সাধারণ মানুষেরা, গরিবেরা চাপা পড়ে আছে। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি, যুদ্ধ এখনো চলছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বুকে নিয়ে, শেখ হাসিনার হাত ধরে, আমরা লড়ে যাব মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত।
0 notes
tripurination · 3 years
Photo
Tumblr media
Tripuri Fashion 
2 notes · View notes
paathok · 4 years
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/103246
নানা কর্মসূচিতে বিজ্ঞান কলেজে পালিত হলো মাতৃভাষা দিবস
.
মহান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলিসহ নানা কর্মসূচিতে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজে পালিত হলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
শুক্রবার ভোর হতেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা খালি পায়ে প্রভাতফেরী নিয়ে শহীদ মিনারের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। এসময় তাদের হাতে ছিল মহান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর ফুল। আর মুখে মুখে ছিল একুশের সেই বিখ্যাত গান-‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি…’।
দিবসটি উপলক্ষে কলেজ অধ্যক্ষ ড. জাহেদ খানের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় বিতর্ক, চিত্রাঙ্কন, কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা। ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠান পরিচালনা কমিটি আহ্বায়ক ও কলেজের অধ্যক্ষ জাহেদ খানের সমন্বয়ে এবং শিক্ষক সভাপতি ফরিদুল আলমের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুরশেদ আলম।
সভায় বক্তারা বলেন, বিশ্বে বাঙালিই একমাত্র জাতি, ভাষার জন্য বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে।  বাংলা ভাষা আমাদের অস্তিত্ব। তাই বাংলা ভাষাকে ভালোবাসতে হবে। এই ভাষায় কথা বলতে হবে। ভাষার মর্যাদা নিজেকেই রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
‘রাষ্ট্র নয়, বরং ব্যক্তি সচেতনতায় পারে বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে’ শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় জয়ী হয় ছাত্রীদের দল। আর সেরা বক্তা নির্বাচিত হন ধীনু ত্রিপুরা। প্রতিযোগিতার বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকেরা।
0 notes
rajnagarbarta · 4 years
Photo
Tumblr media
আশ্রয়ন প্রকল্প অন্যত্র স্থানান্তরের দাবীতে শ্রীমঙ্গলে মানবন্ধন সৈয়দ আমিনুল ইসলাম আল আমিন :  মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আজ রোববার( ৮নভেম্বর) দুপুরে শ্রীমঙ্গল চৌমুহনা চত্তরে “লাউয়াছড়া বন ও জীববৈচিত্র রক্ষা আন্দোলন কমিটির আয়োজনে ত্রিপুরা জনগোষ্টিকে একশত বছরের কৃষি জমি থেকে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত বাতিল ও লাউয়াছড়া বনের জন্য ক্ষতিকর আশ্রয়ন প্রকল্প অন্যত্র স্থানান্তরের দাবীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে। এ মানববন্ধন থেকে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন ও সরকারকে উদ্দেশ্য করে বাসদ নেতা আ্যডভোকেট আবুল হাসান বলেন, ‘সরকারের এ উদ্যোগ প্রশংসার দাবীদার, তবে আপনাদের জায়গা নির্বাচন করা ভূল। আপনারা শ্রীমঙ্গলে উন্নয়ন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আদিবাসী মানুষ ও প্রকৃতিকে বিপন্ন করতে পারেন না, ডলুবাড়িতে ১২০ টি ত্রিপুরা আদিবাসী পরিবার রয়েছে, ৩৮২ একর জমির ব্যাপারে ১৯৭৮ সালে মহামান্য হাইকোর্টের একটি রায় রয়েছে এবং সরকারকারের প্রতি আদালতের নির্দেশনা রয়েছে ত্রিপুরাদের জমির মালিকানা যেনো দেওয়া হয় কিন্তু আজও আদালতের রায় বাস্তবায়ন হয়নি। ত্রিপুরা জনগোষ্টি নেতা জনক দেববর্মা বলেন, শান্তিপুর্ণভাবে আমরা এখানে বসবাস করছি, আমরাও চাই ভূমিহীন মানুষরা জমি ও গৃহ পাক, বাংলাদেশ এগিয়ে যাক, তবে তা হতে হবে পরিকল্পিত এবং পরিবেশ, প্রকৃতি এবং বিভিন্ন জাতি -গোষ্টির জীবন ও জীবিকা টিকিয়ে রেখে। কিন্তু আমরা লক্ষ করছি, সরকারের পদক্ষেপ একপ্রকার স্ববিরোধি হয়ে যাচ্ছে, একদিকে ঘর দেওয়ার পদক্ষেপ অন্যদিকে আমাদের কৃষিজমি বেহাত হওয়ার আশঙ্কা। এটা অনস্বীকার্য যে, শ্রীমঙ্গলের উপজেলা নির্বাহি অফিসার অত্যন্ত চমৎকার মানুষ, তিনি আদিবাসীদের জন্য ব্যাপক কাজ করেছেন যা আগে কখনো আমরা পাইনি। আমরা তাঁর কাছে অনুরোধ করব, আমাদের জীবন ও জীবিকা যাতে হুমকীর সম্মুখীন না হয় সেটি লক্ষ রেখে, আপনি কতিপয় তথাকথিত প্রভাবশালীদের নিকট থেকে সরকারী খাস জমি উদ্ধার করেন, শ্রীমঙ্গলবাসী আপনার পাশে থাকবে। এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.
0 notes
gnews71 · 6 years
Photo
Tumblr media
চল যাই যুদ্ধে:মাদকের বিরুদ্ধে মো.ফরিদ উদ্দিন,সাংবাদিক-কলাম লেখক: দেশে থেকে মাদক নির্মূলে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারন করেছেন, বর্তমান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন ,আমরা জঙ্গিবাদ দমন করেছি। মাদকের বিরুদ্ধে এ অভিযান শুরু হয়েছে, শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলবে। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা সমস্ত আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী,গোয়েন্দা সংস্থাা এবং র‌্যাবকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছি। যেখানে মাদক সেখানেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের ছেলে মেয়েরা লেখা পড়া শিখবে ,সুন্দর জীবন পাবে ,সুন্দর ভাবে বাচবে। সারাদেশে ৬টি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করছে হচ্ছে ।ইতিমধ্যে ২০ হাজার ব্যক্তির নামের তালিকা জমা পড়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে। শেখ হাসিনার নিদের্শনা অনুয়ায়ী মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সচেতনামুলক কার্যক্রমের পাশাপাশি মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে সারাদেশ ব্যাপি।এ জন্য সমাজের সচেতনমহল কে এগিয়ে আসার ও আহবান করেন তিনি। মাদক ধ্বংস করতে পারে একটি পরিবার, আর একটি পরিবার ধ্বংস করতে পারে সমাজকে। আর সমাজ ধ্বংস করেতে পারে রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে। তাই সময় এসেছে সবাইকে এ যুদ্ধে অংশ গ্রহন করার। না হয় জাতিকে এ ভুলের বড় ধরনের মাশুল দিতে হবে। একজন পিতা ও মাতার স্বপ্ন থাকে, তাদের সন্তানকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সমাজের একজন ভাল মেধাবি প্রতিষ্টিত মানুষ হয়ে দেশের মঙ্গল ভয়ে আনবে।কিন্তু মাদকের চোরা বালির ফাঁদে, পা দিয়ে নিজেকে ধ্বংস করছে, আর পিতামাতার স্বপ্নকে অংকুরে বিনষ্ট করেছে। আমরা যদি মাদকের জন্ম নিয়ে আলোচনা করি ,তা হলে মাদকের জন্ম সেই প্রাচীনকাল থেকে আমাজান জঙ্গল থেকে আদিবাসীরা পাহাড়ের বিভিন্ন রকমের পাচগাছির রস কিংবা পাতা বা গাছেরচাল খেয়ে নেশা করত। প্রর্যায়ক্রমে সারাদুনিয়ায় তার প্রভার বিস্তার করলেও ভারতমহাদেশে দরিদ্র অঞলের মানুষের মাঝে এ আগমন দ্রুত ঘটে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মায়নমারের সর্বত্র এলাকায় যুবকের হাতে হাতে মাদক নিজ আসন দখল করে নেয়। এদিকে বাংলাদেশ সরকার মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই যুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে এ পর্যন্ত মারা গেছে ১৫০ জন, আটক হয়েছে ১৪,০০০। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি, নিহতরা সবাই মাদক ব্যবসায়ী এবং তারা বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছেন। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন শুরু থেকেই বলে আসছে – এগুলো বিচার বর্হিভূত হত্যা। কিন্তু সরকার সে দাবি অগ্রাহ্য করে অভিযান অব্যাহত রাখে। বিশিষ্টজনেরা মনে করেন, অভিযানে মানুষ হত্যা করে মাদক প্রতিরোধ করা যাবে না। যেসব এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে মাদক ঢুকছে সে দিকে সরকারকে কঠোর নজরদারি করতে হবে। এর উৎস বন্ধ করতে হবে। ইয়াবাটা শুধু মিয়ানমার থেকেই আসে। আর অন্য মাদকগুলো আসে ভারত থেকে। ভারত ও মিয়ানামরের সাথে বৈঠক করে এর সমাধান করতে হবে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাসনাবাদ, তাকি, বশিরহাট, স্বরূপনগর, বাদুরিয়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, বনগাঁও, পেট্রাপোল, হেলে া, ভবানীপুর, রানাঘাট, অমৃতবাজার, বিরামপুর, করিমপুর, নদীয়া, মালদাহ, বালুরঘাট, আওরঙ্গবাদ, নিমতিতাসহ সীমান্ত সংলগ্ন প্রায় সব এলাকা দিয়ে ১৫টি পয়েন্টে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট এবং দিনাজপুরে মাদক ঢুকছে। আর ভারতের আসাম এবং মেঘালয়ের বাংলাদেশ ঘেঁষা এলাকাগুলোর চারটি পয়েন্ট দিয়ে মাদক ঢুকছে কুড়িগ্রাম, শেরপুর, ময়মনসিংহ এবং নেত্রকোনায়। বাংলাদেশের পূর্ব সীমান্ত দিয়ে ভারতের আসাম, ত্রিপুরা এবং মিজোরামের চারটি পয়েন্ট দিয়ে মাদক ঢুকছে সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা এবং ফেনীতে৷ এছাড়াও ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর হয়ে নওগাঁয় ফেন্সিডিল পাচারের নতুন রুটের সন্ধান পাওয়ার কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।এ সব রুট দিয়ে দেশে হেরোইন, ফেন্সিডিল, গাঁজা ঠেকাতে বাংলাদেশের আহ্বানে ভারত ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্তের ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে ফেন্সিডিল ও ফেন্সিডিল তৈরির উপকরণ সরবরাহ এবং বহন বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। তবে মিয়ানমারের সঙ্গে মাত্র ২৭১ কিলোমিটারের সীমান্তের সবচেয়ে সক্রিয় মাদক রুটগুলো গোটা দেশের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজার ও সংলগ্ন এলাকা দিয়ে ঢুকছে কোটি-কোটি পিস ইয়াবা। ইয়াবার অবাধ প্রবেশে আতঙ্কজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে দেশে। বেশির ভাগ ইয়াবা তৈরি হয় মিয়ানমার-চীন সীমান্তের শান এবং কাচিন প্রদেশে। মিয়ানমারের সাবাইগন, তমরু মুয়াংডুর মতো ১৫টি পয়েন্ট দিয়ে টেকনাফের সেন্টমার্টিন, শাহপরীর দ্বীপ, ধুমধুমিয়া, কক্সবাজার হাইওয়ে, উখিয়া, কাটাপাহাড়, বালুখালি, বান্দরবানের গুনদুম, নাইখ্যংছড়ি, দমদমিয়া,জলপাড়ার মতো অর্ধশত স্পট দিয়ে ইয়াবা ঢুকছে বাংলাদেশে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, আসলে ইয়াবার জন্য মিয়ানমারের পছন্দের বাজার ছিল থাইল্যান্ড। কিন্তু এরপর আমাদের দেশে এই মাদকের আসক্তের সংখ্যা কল্পনার বাইরে চলে যাওয়ায় ইয়াবার বড় বাজারে পরিণত হয় বাংলাদেশ। এই বাজারের চাহিদা মেটাতে কক্সবাজার-টেকনাফের স্থল সীমান্তবর্তী ৬০-৭০টি স্পট দিয়ে দেশে ইয়াবা ঢুকছে। কক্সবাজার, টেকনাফ সংলগ্ন উপকূলবর্তী সমুদ্রে প্রায় ৩ লাখেরও বেশি ছোট-বড় নৌযান চলাচল করে। এসব নৌযানে করে ইয়াবার চালান আসে। বাংলাদেশে যে সকল মাদক রয়েছে,এর নাম,হিরোইন,গাজা,ভাং,তাড়ী, মদ, গাজা, আফিম, প্যাথডিন,ফেন্সিডিলও সর্বশেষ ইয়াবা আগমন ঘটে মায়নামর থেকে।ইয়াবা বাহক হিসাবে রোহিঙ্গারা প্রথমে প্রবেশ করার কাজটি করেছেন। আর বাংলাদেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার আশায় ,দেশের ক্ষতি করতে, তারা দেশব্যাপি মাদককে ছড়িয়ে দেয়।এতে করে পুলিশের কিছু বিপদগ্রামী সদস্যরা পরোক্ষ ও পতোক্ষ ভাবে জড়িত হওয়ায় পড়ে । আর সেজন্য মাদক নিরাপদে যাতায়ত করতে পেরেছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার এর লাগাটেনে ধরতে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে। বর্তমান সরকারের সাহসী পুলিশ কর্মকর্তারা মাদক বন্ধ করতে মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক ভাবে কাজ ��রে যাচ্ছেন। মাদক নিয়ে তরুন প্রজন্মের কবি রাকিবুল এহছান মিনার’ তার কবিতার কয়েকটি লাইন পাঠকের উদ্দেশ্যে যুক্ত করলাম । যা খায় না ভাই গরু ছাগল , মানুষ তাহার খাদক, দেশের ক্ষতি করতে ওরা ছড়িয়ে দেয় মাদক। তরুণ সমাজ আবেগ মোহে ছুটছে নেশার পথে, ছিটকে পড়ে সমাজ এবং আলোর জীবন হতে। মাতাল হয়ে প্রলাপ বকে ভুলে থাকে কষ্ট, প্রেম বিরহের হিসেব মিলায় জীবন করে নষ্ট। জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে আমাদের সমাজের প্রতিটি নাগরিককে,মাদক ব্যবহারকারীদের কে সদালাপ,সামাজিক মুল্যবোধ বৃদ্ধি, বিষয়ে প্রশিক্ষন দিতে হবে। এর কুফল নিয়ে স্কুল কলেজসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্টানে পাঠ্য বইয়ে মাদক বিষয়ে গঠনমুলক আলোচনা ও সুফল এবং কুফল নিয়ে জানাতে হবে।ধর্মীয় প্রতিষ্টানগুলোতে যেমন,মসজিদ ,মন্দির ,গীজায় মাদকের সুফল এবং কুফল নিয়ে আলোচনা করলে জাতি সহজে মাদক নামক এ ব্যাধি হতে রেহাই পেতে পারে।তাই আমরা সবাই বলি, চল যাই যুদ্ধে : মাদকের বিরুদ্ধে।
0 notes