Tumgik
#পরকাল
quransunnahdawah · 16 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সত্যিকারের সফলতা জান্নাতে পৌঁছানো   
পরকালীন সফলতাই প্রকৃত সফলতা
মানুষ দুনিয়ার সফলতার জন্য কত কিই না করে। অথচ সবাই জানে যে দুনিয়া চিরস্থায়ী নয়, মানুষও চিরকাল পৃথিবীতে থাকে না। মানুষের স্থায়ী আবাস হলো আখিরাত। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর অবশ্যই যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে, তাদের জন্য আখিরাতের আবাস উত্তম। তবু কি তোমরা বোঝো না?’
(সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ১০৯)
আবু সাঈদ ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘একজন ঘোষক (জান্নাতের মধ্যে) ঘোষণা দেবে, এখন থেকে তোমরা জীবিত থাকবে আর কখনো মরবে না। তোমরা সুস্থ থাকবে, কখনো অসুস্থ হবে না। তোমরা যুবক থাকবে, কখনো বৃদ্ধ হবে না। তোমরা অফুরন্ত ভোগবিলাসের ভেতর থাকবে, অভাব-অনটন কখনো তোমাদের স্পর্শ করবে না।
মানুষ দুনিয়ার সফলতার জন্য কত কিই না করে। অথচ সবাই জানে যে দুনিয়া চিরস্থায়ী নয়, মানুষও চিরকাল পৃথিবীতে থাকে না। মানুষের স্থায়ী আবাস হলো আখিরাত। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর অবশ্যই যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে, তাদের জন্য আখিরাতের আবাস উত্তম।
তবু কি তোমরা বোঝো না?’
(সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ১০৯)
আবু সাঈদ ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘একজন ঘোষক (জান্নাতের মধ্যে) ঘোষণা দেবে, এখন থেকে তোমরা জীবিত থাকবে আর কখনো মরবে না। তোমরা সুস্থ থাকবে, কখনো অসুস্থ হবে না। তোমরা যুবক থাকবে, কখনো বৃদ্ধ হবে না। তোমরা অফুরন্ত ভোগবিলাসের ভেতর থাকবে, অভাব-অনটন কখনো তোমাদের স্পর্শ করবে না।
এটাই আল্লাহ তাআলার এই বাণীর তাৎপর্য আর এটাই জান্নাত,  তোমাদের যে জান্নাতের অধিকারী করা হয়েছে। এটা দেওয়া হয়েছে তোমাদের কাজের ফলস্বরূ।’ [(সুরা : জুখরুফ, আয়াত : ৭২)
(তিরমিজি, হাদিস : ৩২৪৬)]
বোঝা গেল দুনিয়া যেমন ক্ষণস্থায়ী, তার জয়-পরাজয়ও ক্ষণস্থায়ী। আর আখিরাত যেমন চিরস্থায়ী, তার সফলতা-ব্যর্থতাও চিরস্থায়ী। তাই আমাদের উচিত, আখিরাতের সফলতাকে প্রাধান্য দেওয়া।
তাকওয়া অবলম্বন করা, আল্লাহকে ভয় করা, কষ্ট হলেও হালাল পথে থাকার চেষ্টা করা। তবেই আখিরাতের স্থায়ী সফলতা অর্জন করা যাবে।
আখিরাতে মর্যাদার দিক থেকে সবচেয়ে নিম্নস্তরের জান্নাতি ব্যক্তিও ১০ দুনিয়ার সমান জান্নাত পাবে। সেখানে তাদের ভোগবিলাসের উপকরণের কোনো অভাবই থাকবে না। থাকবে না কোনো কষ্ট-ক্লেশ, সেখানকার কোনো প্রাচুর্য আবার বিরক্তিকরও হবে না। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘স্থায়ী জান্নাত, যাতে তারা প্রবেশ করবে, সেখানে তাদের স্বর্ণনির্মিত কঙ্ক�� এবং মুক্তা দ্বারা অলংকৃত করা হবে। সেখানে তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ হবে রেশমের। তারা বলবে, প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের দুঃখ-দুর্দশা দূর করেছেন; নিশ্চয়ই আমাদের রব পরম ক্ষমাশীল, অসীম গুণগ্রাহী। তিনি নিজ অনুগ্রহে আমাদের স্থায়ী আবাসে প্রবেশ করিয়েছেন, যেখানে কোনো ক্লেশ আমাদের স্পর্শ করে না এবং কোনো ক্লান্তিও স্পর্শ করে না।’
(সুরা : ফাতির, আয়াত : ৩৩-৩৫)
মহান আল্লাহ সবাইকে আখিরাতের সফলতা দান করুন। আমিন।
Surah Al-Hashr 
youtube
Surah Hashr 
youtube
কিভাবে দুনিয়া ও আখিরাতে সফল হবেন? 
youtube
প্রকৃত সফল কে? 
জীবনে সফলতা পাবেন যেভাবে 
পার্থিব এবং পরকালীন সফলতা লাভের উপায় !
youtube
সত্যিকারের সফলতা জান্নাতে পৌঁছানো
Reaching heaven is the real success
True Success is Reaching Jannah (Heaven)
0 notes
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সত্যিকারের সফলতা জান্নাতে পৌঁছানো   
পরকালীন সফলতাই প্রকৃত সফলতা
মানুষ দুনিয়ার সফলতার জন্য কত কিই না করে। অথচ সবাই জানে যে দুনিয়া চিরস্থায়ী নয়, মানুষও চিরকাল পৃথিবীতে থাকে না। মানুষের স্থায়ী আবাস হলো আখিরাত। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর অবশ্যই যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে, তাদের জন্য আখিরাতের আবাস উত্তম। তবু কি তোমরা বোঝো না?’
(সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ১০৯)
আবু সাঈদ ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘একজন ঘোষক (জান্নাতের মধ্যে) ঘোষণা দেবে, এখন থেকে তোমরা জীবিত থাকবে আর কখনো মরবে না। তোমরা সুস্থ থাকবে, কখনো অসুস্থ হবে না। তোমরা যুবক থাকবে, কখনো বৃদ্ধ হবে না। তোমরা অফুরন্ত ভোগবিলাসের ভেতর থাকবে, অভাব-অনটন কখনো তোমাদের স্পর্শ করবে না।
মানুষ দুনিয়ার সফলতার জন্য কত কিই না করে। অথচ সবাই জানে যে দুনিয়া চিরস্থায়ী নয়, মানুষও চিরকাল পৃথিবীতে থাকে না। মানুষের স্থায়ী আবাস হলো আখিরাত। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর অবশ্যই যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে, তাদের জন্য আখিরাতের আবাস উত্তম।
তবু কি তোমরা বোঝো না?’
(সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ১০৯)
আবু সাঈদ ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘একজন ঘোষক (জান্নাতের মধ্যে) ঘোষণা দেবে, এখন থেকে তোমরা জীবিত থাকবে আর কখনো মরবে না। তোমরা সুস্থ থাকবে, কখনো অসুস্থ হবে না। তোমরা যুবক থাকবে, কখনো বৃদ্ধ হবে না। তোমরা অফুরন্ত ভোগবিলাসের ভেতর থাকবে, অভাব-অনটন কখনো তোমাদের স্পর্শ করবে না।
এটাই আল্লাহ তাআলার এই বাণীর তাৎপর্য আর এটাই জান্নাত,  তোমাদের যে জান্নাতের অধিকারী করা হয়েছে। এটা দেওয়া হয়েছে তোমাদের কাজের ফলস্বরূ।’ [(সুরা : জুখরুফ, আয়াত : ৭২)
(তিরমিজি, হাদিস : ৩২৪৬)]
বোঝা গেল দুনিয়া যেমন ক্ষণস্থায়ী, তার জয়-পরাজয়ও ক্ষণস্থায়ী। আর আখিরাত যেমন চিরস্থায়ী, তার সফলতা-ব্যর্থতাও চিরস্থায়ী। তাই আমাদের উচিত, আখিরাতের সফলতাকে প্রাধান্য দেওয়া।
তাকওয়া অবলম্বন করা, আল্লাহকে ভয় করা, কষ্ট হলেও হালাল পথে থাকার চেষ্টা করা। তবেই আখিরাতের স্থায়ী সফলতা অর্জন করা যাবে।
আখিরাতে মর্যাদার দিক থেকে সবচেয়ে নিম্নস্তরের জান্নাতি ব্যক্তিও ১০ দুনিয়ার সমান জান্নাত পাবে। সেখানে তাদের ভোগবিলাসের উপকরণের কোনো অভাবই থাকবে না। থাকবে না কোনো কষ্ট-ক্লেশ, সেখানকার কোনো প্রাচুর্য আবার বিরক্তিকরও হবে না। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘স্থায়ী জান্নাত, যাতে তারা প্রবেশ করবে, সেখানে তাদের স্বর্ণনির্মিত কঙ্কণ এবং মুক্তা দ্বারা অলংকৃত করা হবে। সেখানে তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ হবে রেশমের। তারা বলবে, প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের দুঃখ-দুর্দশা দূর করেছেন; নিশ্চয়ই আমাদের রব পরম ক্ষমাশীল, অসীম গুণগ্রাহী। তিনি নিজ অনুগ্রহে আমাদের স্থায়ী আবাসে প্রবেশ করিয়েছেন, যেখানে কোনো ক্লেশ আমাদের স্পর্শ করে না এবং কোনো ক্লান্তিও স্পর্শ করে না।’
(সুরা : ফাতির, আয়াত : ৩৩-৩৫)
মহান আল্লাহ সবাইকে আখিরাতের সফলতা দান করুন। আমিন।
Surah Al-Hashr 
youtube
Surah Hashr 
youtube
কিভাবে দুনিয়া ও আখিরাতে সফল হবেন? 
youtube
প্রকৃত সফল কে? 
জীবনে সফলতা পাবেন যেভাবে 
পার্থিব এবং পরকালীন সফলতা লাভের উপায় !
youtube
সত্যিকারের সফলতা জান্নাতে পৌঁছানো
Reaching heaven is the real success
True Success is Reaching Jannah (Heaven)eafter is Real Success
0 notes
ilyforallahswt · 16 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সত্যিকারের সফলতা জান্নাতে পৌঁছানো   
পরকালীন সফলতাই প্রকৃত সফলতা
মানুষ দুনিয়ার সফলতার জন্য কত কিই না করে। অথচ সবাই জানে যে দুনিয়া চিরস্থায়ী নয়, মানুষও চিরকাল পৃথিবীতে থাকে না। মানুষের স্থায়ী আবাস হলো আখিরাত। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর অবশ্যই যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে, তাদের জন্য আখিরাতের আবাস উত্তম। তবু কি তোমরা বোঝো না?’
(সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ১০৯)
আবু সাঈদ ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘একজন ঘোষক (জান্নাতের মধ্যে) ঘোষণা দেবে, এখন থেকে তোমরা জীবিত থাকবে আর কখনো মরবে না। তোমরা সুস্থ থাকবে, কখনো অসুস্থ হবে না। তোমরা যুবক থাকবে, কখনো বৃদ্ধ হবে না। তোমরা অফুরন্ত ভোগবিলাসের ভেতর থাকবে, অভাব-অনটন কখনো তোমাদের স্পর্শ করবে না।
মানুষ দুনিয়ার সফলতার জন্য কত কিই না করে। অথচ সবাই জানে যে দুনিয়া চিরস্থায়ী নয়, মানুষও চিরকাল পৃথিবীতে থাকে না। মানুষের স্থায়ী আবাস হলো আখিরাত। পব��ত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর অবশ্যই যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে, তাদের জন্য আখিরাতের আবাস উত্তম।
তবু কি তোমরা বোঝো না?’
(সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ১০৯)
আবু সাঈদ ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘একজন ঘোষক (জান্নাতের মধ্যে) ঘোষণা দেবে, এখন থেকে তোমরা জীবিত থাকবে আর কখনো মরবে না। তোমরা সুস্থ থাকবে, কখনো অসুস্থ হবে না। তোমরা যুবক থাকবে, কখনো বৃদ্ধ হবে না। তোমরা অফুরন্ত ভোগবিলাসের ভেতর থাকবে, অভাব-অনটন কখনো তোমাদের স্পর্শ করবে না।
এটাই আল্লাহ তাআলার এই বাণীর তাৎপর্য আর এটাই জান্নাত,  তোমাদের যে জান্নাতের অধিকারী করা হয়েছে। এটা দেওয়া হয়েছে তোমাদের কাজের ফলস্বরূ।’ [(সুরা : জুখরুফ, আয়াত : ৭২)
(তিরমিজি, হাদিস : ৩২৪৬)]
বোঝা গেল দুনিয়া যেমন ক্ষণস্থায়ী, তার জয়-পরাজয়ও ক্ষণস্থায়ী। আর আখিরাত যেমন চিরস্থায়ী, তার সফলতা-ব্যর্থতাও চিরস্থায়ী। তাই আমাদের উচিত, আখিরাতের সফলতাকে প্রাধান্য দেওয়া।
তাকওয়া অবলম্বন করা, আল্লাহকে ভয় করা, কষ্ট হলেও হালাল পথে থাকার চেষ্টা করা। তবেই আখিরাতের স্থায়ী সফলতা অর্জন করা যাবে।
আখিরাতে মর্যাদার দিক থেকে সবচেয়ে নিম্নস্তরের জান্নাতি ব্যক্তিও ১০ দুনিয়ার সমান জান্নাত পাবে। সেখানে তাদের ভোগবিলাসের উপকরণের কোনো অভাবই থাকবে না। থাকবে না কোনো কষ্ট-ক্লেশ, সেখানকার কোনো প্রাচুর্য আবার বিরক্তিকরও হবে না। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘স্থায়ী জান্নাত, যাতে তারা প্রবেশ করবে, সেখানে তাদের স্বর্ণনির্মিত কঙ্কণ এবং মুক্তা দ্বারা অলংকৃত করা হবে। সেখানে তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ হবে রেশমের। তারা বলবে, প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের দুঃখ-দুর্দশা দূর করেছেন; নিশ্চয়ই আমাদের রব পরম ক্ষমাশীল, অসীম গুণগ্রাহী। তিনি নিজ অনুগ্রহে আমাদের স্থায়ী আবাসে প্রবেশ করিয়েছেন, যেখানে কোনো ক্লেশ আমাদের স্পর্শ করে না এবং কোনো ক্লান্তিও স্পর্শ করে না।’
(সুরা : ফাতির, আয়াত : ৩৩-৩৫)
মহান আল্লাহ সবাইকে আখিরাতের সফলতা দান করুন। আমিন।
Surah Al-Hashr 
youtube
Surah Hashr 
youtube
কিভাবে দুনিয়া ও আখিরাতে সফল হবেন? 
youtube
প্রকৃত সফল কে? 
জীবনে সফলতা পাবেন যেভাবে 
পার্থিব এবং পরকালীন সফলতা লাভের উপায় !
youtube
সত্যিকারের সফলতা জান্নাতে পৌঁছানো
Reaching heaven is the real success
True Success is Reaching Jannah (Heaven)
0 notes
myreligionislam · 16 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সত্যিকারের সফলতা জান্নাতে পৌঁছানো   
পরকালীন সফলতাই প্রকৃত সফলতা
মানুষ দুনিয়ার সফলতার জন্য কত কিই না করে। অথচ সবাই জানে যে দুনিয়া চিরস্থায়ী নয়, মানুষও চিরকাল পৃথিবীতে থাকে না। মানুষের স্থায়ী আবাস হলো আখিরাত। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর অবশ্যই যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে, তাদের জন্য আখিরাতের আবাস উত্তম। তবু কি তোমরা বোঝো না?’
(সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ১০৯)
আবু সাঈদ ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘একজন ঘোষক (জান্নাতের মধ্যে) ঘোষণা দেবে, এখন থেকে তোমরা জীবিত থাকবে আর কখনো মরবে না। তোমরা সুস্থ থাকবে, কখনো অসুস্থ হবে না। তোমরা যুবক থাকবে, কখনো বৃদ্ধ হবে না। তোমরা অফুরন্ত ভোগবিলাসের ভেতর থাকবে, অভাব-অনটন কখনো তোমাদের স্পর্শ করবে না।
মানুষ দুনিয়ার সফলতার জন্য কত কিই না করে। অথচ সবাই জানে যে দুনিয়া চিরস্থায়ী নয়, মানুষও চিরকাল পৃথিবীতে থাকে না। মানুষের স্থায়ী আবাস হলো আখিরাত। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর অবশ্যই যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে, তাদের জন্য আখিরাতের আবাস উত্তম।
তবু কি তোমরা বোঝো না?’
(সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ১০৯)
আবু সাঈদ ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘একজন ঘোষক (জান্নাতের মধ্যে) ঘোষণা দেবে, এখন থেকে তোমরা জীবিত থাকবে আর কখনো মরবে না। তোমরা সুস্থ থাকবে, কখনো অসুস্থ হবে না। তোমরা যুবক থাকবে, কখনো বৃদ্ধ হবে না। তোমরা অফুরন্ত ভোগবিলাসের ভেতর থাকবে, অভাব-অনটন কখনো তোমাদের স্পর্শ করবে না।
এটাই আল্লাহ তাআলার এই বাণীর তাৎপর্য আর এটাই জান্নাত,  তোমাদের যে জান্নাতের অধিকারী করা হয়েছে। এটা দেওয়া হয়েছে তোমাদের কাজের ফলস্বরূ।’ [(সুরা : জুখরুফ, আয়াত : ৭২)
(তিরমিজি, হাদিস : ৩২৪৬)]
বোঝা গেল দুনিয়া যেমন ক্ষণস্থায়ী, তার জয়-পরাজয়ও ক্ষণস্থায়ী। আর আখিরাত যেমন চিরস্থায়ী, তার সফলতা-ব্যর্থতাও চিরস্থায়ী। তাই আমাদের উচিত, আখিরাতের সফলতাকে প্রাধান্য দেওয়া।
তাকওয়া অবলম্বন করা, আল্লাহকে ভয় করা, কষ্ট হলেও হালাল পথে থাকার চেষ্টা করা। তবেই আখিরাতের স্থায়ী সফলতা অর্জন করা যাবে।
আখিরাতে মর্যাদার দিক থেকে সবচেয়ে নিম্নস্তরের জান্নাতি ব্যক্তিও ১০ দুনিয়ার সমান জান্নাত পাবে। সেখানে তাদের ভোগবিলাসের উপকরণের কোনো অভাবই থাকবে না। থাকবে না কোনো কষ্ট-ক্লেশ, সেখানকার কোনো প্রাচুর্য আবার বিরক্তিকরও হবে না। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘স্থায়ী জান্নাত, যাতে তারা প্রবেশ করবে, সেখানে তাদের স্বর্ণনির্মিত কঙ্কণ এবং মুক্তা দ্বারা অলংকৃত করা হবে। সেখানে তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ হবে রেশমের। তারা বলবে, প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের দুঃখ-দুর্দশা দূর করেছেন; নিশ্চয়ই আমাদের রব পরম ক্ষমাশীল, অসীম গুণগ্রাহী। তিনি নিজ অনুগ্রহে আমাদের স্থায়ী আবাসে প্রবেশ করিয়েছেন, যেখানে কোনো ক্লেশ আমাদের স্পর্শ করে না এবং কোনো ক্লান্তিও স্পর্শ করে না।’
(সুরা : ফাতির, আয়াত : ৩৩-৩৫)
মহান আল্লাহ সবাইকে আখিরাতের সফলতা দান করুন। আমিন।
Surah Al-Hashr 
youtube
Surah Hashr 
youtube
কিভাবে দুনিয়া ও আখিরাতে সফল হবেন? 
youtube
প্রকৃত সফল কে? 
জীবনে সফলতা পাবেন যেভাবে 
পার্থিব এবং পরকালীন সফলতা লাভের উপায় !
youtube
সত্যিকারের সফলতা জান্নাতে পৌঁছানো
Reaching heaven is the real success
True Success is Reaching Jannah (Heaven)
0 notes
allahisourrabb · 16 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সত্যিকারের সফলতা জান্নাতে পৌঁছানো   
পরকালীন সফলতাই প্রকৃত সফলতা
মানুষ দুনিয়ার সফলতার জন্য কত কিই না করে। অথচ সবাই জানে যে দুনিয়া চিরস্থায়ী নয়, মানুষও চিরকাল পৃথিবীতে থাকে না। মানুষের স্থায়ী আবাস হলো আখিরাত। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর অবশ্যই যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে, তাদের জন্য আখিরাতের আবাস উত্তম। তবু কি তোমরা বোঝো না?’
(সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ১০৯)
আবু সাঈদ ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘একজন ঘোষক (জান্নাতের মধ্যে) ঘোষণা দেবে, এখন থেকে তোমরা জীবিত থাকবে আর কখনো মরবে না। তোমরা সুস্থ থাকবে, কখনো অসুস্থ হবে না। তোমরা যুবক থাকবে, কখনো বৃদ্ধ হবে না। তোমরা অফুরন্ত ভোগবিলাসের ভেতর থাকবে, অভাব-অনটন কখনো তোমাদের স্পর্শ করবে না।
মানুষ দুনিয়ার সফলতার জন্য কত কিই না করে। অথচ সবাই জানে যে দুনিয়া চিরস্থায়ী নয়, মানুষও চিরকাল পৃথিবীতে থাকে না। মানুষের স্থায়ী আবাস হলো আখিরাত। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর অবশ্যই যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে, তাদের জন্য আখিরাতের আবাস উত্তম।
তবু কি তোমরা বোঝো না?’
(সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ১০৯)
আবু সাঈদ ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘একজন ঘোষক (জান্নাতের মধ্যে) ঘোষণা দেবে, এখন থেকে তোমরা জীবিত থাকবে আর কখনো মরবে না। তোমরা সুস্থ থাকবে, কখনো অসুস্থ হবে না। তোমরা যুবক থাকবে, কখনো বৃদ্ধ হবে না। তোমরা অফুরন্ত ভোগবিলাসের ভেতর থাকবে, অভাব-অনটন কখনো তোমাদের স্পর্শ করবে না।
এটাই আল্লাহ তাআলার এই বাণীর তাৎপর্য আর এটাই জান্নাত,  তোমাদের যে জান্নাতের অধিকারী করা হয়েছে। এটা দেওয়া হয়েছে তোমাদের কাজের ফলস্বরূ।’ [(সুরা : জুখরুফ, আয়াত : ৭২)
(তিরমিজি, হাদিস : ৩২৪৬)]
বোঝা গেল দুনিয়া যেমন ক্ষণস্থায়ী, তার জয়-পরাজয়ও ক্ষণস্থায়ী। আর আখিরাত যেমন চিরস্থায়ী, তার সফলতা-ব্যর্থতাও চিরস্থায়ী। তাই আমাদের উচিত, আখিরাতের সফলতাকে প্রাধান্য দেওয়া।
তাকওয়া অবলম্বন করা, আল্লাহকে ভয় করা, কষ্ট হলেও হালাল পথে থাকার চেষ্টা করা। তবেই আখিরাতের স্থায়ী সফলতা অর্জন করা যাবে।
আখিরাতে মর্যাদার দিক থেকে সবচেয়ে নিম্নস্তরের জান্নাতি ব্যক্তিও ১০ দুনিয়ার সমান জান্নাত পাবে। সেখানে তাদের ভোগবিলাসের উপকরণের কোনো অভাবই থাকবে না। থাকবে না কোনো কষ্ট-ক্লেশ, সেখানকার কোনো প্রাচুর্য আবার বিরক্তিকরও হবে না। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘স্থায়ী জান্নাত, যাতে তারা প্রবেশ করবে, সেখানে তাদের স্বর্ণনির্মিত কঙ্কণ এবং মুক্তা দ্বারা অলংকৃত করা হবে। সেখানে তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ হবে রেশমের। তারা বলবে, প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের দুঃখ-দুর্দশা দূর করেছেন; নিশ্চয়ই আমাদের রব পরম ক্ষমাশীল, অসীম গুণগ্রাহী। তিনি নিজ অনুগ্রহে আমাদের স্থায়ী আবাসে প্রবেশ করিয়েছেন, যেখানে কোনো ক্লেশ আমাদের স্পর্শ করে না এবং কোনো ক্লান্তিও স্পর্শ করে না।’
(সুরা : ফাতির, আয়াত : ৩৩-৩৫)
মহান আল্লাহ সবাইকে আখিরাতের সফলতা দান করুন। আমিন।
Surah Al-Hashr 
youtube
Surah Hashr 
youtube
কিভাবে দুনিয়া ও আখিরাতে সফল হবেন? 
youtube
প্রকৃত সফল কে? 
জীবনে সফলতা পাবেন যেভাবে 
পার্থিব এবং পরকালীন সফলতা লাভের উপায় !
youtube
সত্যিকারের সফলতা জান্নাতে পৌঁছানো
Reaching heaven is the real success
True Success is Reaching Jannah (Heaven)
0 notes
mylordisallah · 16 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
সত্যিকারের সফলতা জান্নাতে পৌঁছানো   
পরকালীন সফলতাই প্রকৃত সফলতা
মানুষ দুনিয়ার সফলতার জন্য কত কিই না করে। অথচ সবাই জানে যে দুনিয়া চিরস্থায়ী নয়, মানুষও চিরকাল পৃথিবীতে থাকে না। মানুষের স্থায়ী আবাস হলো আখিরাত। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর অবশ্যই যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে, তাদের জন্য আখিরাতের আবাস উত্তম। তবু কি তোমরা বোঝো না?’
(সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ১০৯)
আবু সাঈদ ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘একজন ঘোষক (জান্নাতের মধ্যে) ঘোষণা দেবে, এখন থেকে তোমরা জীবিত থাকবে আর কখনো মরবে না। তোমরা সুস্থ থাকবে, কখনো অসুস্থ হবে না। তোমরা যুবক থাকবে, কখনো বৃদ্ধ হবে না। তোমরা অফুরন্ত ভোগবিলাসের ভেতর থাকবে, অভাব-অনটন কখনো তোমাদের স্পর্শ করবে না।
মানুষ দুনিয়ার সফলতার জন্য কত কিই না করে। অথচ সবাই জানে যে দুনিয়া চিরস্থায়ী নয়, মানুষও চিরকাল পৃথিবীতে থাকে না। মানুষের স্থায়ী আবাস হলো আখিরাত। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর অবশ্যই যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে, তাদের জন্য আখিরাতের আবাস উত্তম।
তবু কি তোমরা বোঝো না?’
(সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ১০৯)
আবু সাঈদ ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘একজন ঘোষক (জান্নাতের মধ্যে) ঘোষণা দেবে, এখন থেকে তোমরা জীবিত থাকবে আর কখনো মরবে না। তোমরা সুস্থ থাকবে, কখনো অসুস্থ হবে না। তোমরা যুবক থাকবে, কখনো বৃদ্ধ হবে না। তোমরা অফুরন্ত ভোগবিলাসের ভেতর থাকবে, অভাব-অনটন কখনো তোমাদের স্পর্শ করবে না।
এটাই আল্লাহ তাআলার এই বাণীর তাৎপর্য আর এটাই জান্নাত,  তোমাদের যে জান্নাতের অধিকারী করা হয়েছে। এটা দেওয়া হয়েছে তোমাদের কাজের ফলস্বরূ।’ [(সুরা : জুখরুফ, আয়াত : ৭২)
(তিরমিজি, হাদিস : ৩২৪৬)]
বোঝা গেল দুনিয়া যেমন ক্ষণস্থায়ী, তার জয়-পরাজয়ও ক্ষণস্থায়ী। আর আখিরাত যেমন চিরস্থায়ী, তার সফলতা-ব্যর্থতাও চিরস্থায়ী। তাই আমাদের উচিত, আখিরাতের সফলতাকে প্রাধান্য দেওয়া।
তাকওয়া অবলম্বন করা, আল্লাহকে ভয় করা, কষ্ট হলেও হালাল পথে থাকার চেষ্টা করা। তবেই আখিরাতের স্থায়ী সফলতা অর্জন করা যাবে।
আখিরাতে মর্যাদার দিক থেকে সবচেয়ে নিম্নস্তরের জান্নাতি ব্যক্তিও ১০ দুনিয়ার সমান জান্নাত পাবে। সেখানে তাদের ভোগবিলাসের উপকরণের কোনো অভাবই থাকবে না। থাকবে না কোনো কষ্ট-ক্লেশ, সেখানকার কোনো প্রাচুর্য আবার বিরক্তিকরও হবে না। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘স্থায়ী জান্নাত, যাতে তারা প্রবেশ করবে, সেখানে তাদের স্বর্ণনির্মিত কঙ্কণ এবং মুক্তা দ্বারা অলংকৃত করা হবে। সেখানে তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ হবে রেশমের। তারা বলবে, প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের দুঃখ-দুর্দশা দূর করেছেন; নিশ্চয়ই আমাদের রব পরম ক্ষমাশীল, অসীম গুণগ্রাহী। তিনি নিজ অনুগ্রহে আমাদের স্থায়ী আবাসে প্রবেশ করিয়েছেন, যেখানে কোনো ক্লেশ আমাদের স্পর্শ করে না এবং কোনো ক্লান্তিও স্পর্শ করে না।’
(সুরা : ফাতির, আয়াত : ৩৩-৩৫)
মহান আল্লাহ সবাইকে আখিরাতের সফলতা দান করুন। আমিন।
Surah Al-Hashr 
youtube
Surah Hashr 
youtube
কিভাবে দুনিয়া ও আখিরাতে সফল হবেন? 
youtube
প্রকৃত সফল কে? 
জীবনে সফলতা পাবেন যেভাবে 
পার্থিব এবং পরকালীন সফলতা লাভের উপায় !
youtube
সত্যিকারের সফলতা জান্নাতে পৌঁছানো
Reaching heaven is the real success
True Success is Reaching Jannah (Heaven)
0 notes
ranjumiahlove · 2 years
Text
শেষ দিবস-9-জাহান্নাম
সেদিন (যাবতীয়) দুর্ভোগ তাদের জন্যে, যারা (এসব সত্যকে) মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে! (হে অবিশ্বাসীরা,) কিছুদিনের জন্যে তোমরা এখানে খেয়ে নাও এবং কিছু ভোগ আস্বাদনও করে নাও, নিঃসন্দেহে তোমরা হচ্ছো অপরাধী! (যাবতীয়) দুর্ভোগ সেদিন তাদের (জন্যে) যারা (এসব সত্যকে) মি
আল্লাহ তায়ালা বলেন যে, “তোমরা (দোযখের) সেই কঠিন আগুনকে ভয় করো, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর, (আল্লাহ তায়ালাকে) যারা অস্বী��ার করে তাদের জন্যেই (এটা) প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।” [সূরা আল বাক্বারা (২) : আয়াত ২৪] রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম স্বীয় সাহাবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদের এ আগুন দোযখের আগুনের সত্তর ভাগের এক ভাগ। তারা বলেন, হে আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম)! যদিও…
Tumblr media
View On WordPress
1 note · View note
crimerepot · 1 year
Text
মৃত্যুর ৩০ সেকেন্ড আগে মানুষের শরীরে কি ঘটে ?
আর তার ফলেই সে ব্যক্তির মৃত্যু হয় । কিন্তু ইলেক্ট্রো এনকোসেফালোগ্রাফি সংক্ষেপে – ইইজি যন্ত্র দেখাচ্ছে যে , তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার অন্তত ৩০ সেকেন্ড পর পর্যন্ত তার মস্তিষ্ক সচল ছিল । অর্থাৎ দেহের মৃত্যু হলেও মস্তিষ্কের মৃত্যু হয় তার ৩০ সেকেন্ড পরে ।পরবর্তীতে রেকর্ডিং পর্যালোচনা করে আরও চমৎকার তথ্য পাওয়া যায় ।বিজ্ঞানীরা দেখতে পান যে , এই সময়ের ধরা পড়া মস্তিষ্কের তরঙ্গ সংকেত গুলো অবিকল তার অতীত জীবনের স্বপ্ন দেখা স্মৃতিচারণ করার সাথে মিলে যায় ।
অর্থাৎ কোনো মানুষ যখন তার পুরো জীবনের স্মৃতিচারণ করে তখন যেমনটা হয় ঠিক তেমনি ঘটনা ঘটে এসময় আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনের সূরা আল কিয়ামাহ – তে বলেন , তোমরা মৃত্যুপথযাত্রী সেই ব্যক্তিকে দেখতে পাবে যে তখন আমি তার এই দুনিয়ার শেষ পা এবং পরকালের জীবনের প্রথম পা একসাথে মিলিয়ে দেবো । বিজ্ঞানের ভাষায় এটাকে ট্রানস্ফার টাইম বলা হয় – কুরআন বলছে যে , এই দুনিয়া থেকে পরকালের দুনিয়ায় গমনের মধ্যবর্তী সময়টাতেই এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয় যে , মানুষ তার ইহকালের জীবনের শেষ অংশটা এবং পরের জীবনের প্রথম অংশ দুটোই একসাথে কিছু সময়ের জন্য দেখতে পায় ।
অর্থাৎ পরকাল এবং বর্তমান জীবন দুটোকেই কয়েক সেকেন্ডের জন্য মানুষ অনুভব করতে পারে । আমরা এটাকে ট্রানস্ফার টাইম বলতে পারে । পবিত্র কুরআন সূরা আল কিয়ামাহ তে যেমন , টা বলা হয়েছে – এই ট্রানস্ফারড টাইম মানুষ মূলত পুরো জীবনের স্মৃতিচারণ করে থাকে । আর পড়ে জীবন যেটা তার কাছে একেবারেই নতুন , সেই জীবন সম্পর্কে পরিচিত হয় ।
যেমন টা কুরআন ও বলছে যে আসলে মূলত মৃত্যুর এই মধ্যবর্তী সময়ে একটা ব্রিজ তৈরি হয়ে যায় । এই জীবনের শেষ পা পরের জীবনের প্রথম পায়ের সাথে মিলিয়ে যাওয়ার এই যে আয়াত রয়েছে , সেই আয়াতটি বৈজ্ঞানিক গবেষণার সাথে যথেষ্ট সামঞ্জস্য রয়েছে । গবেষকরা বলে মস্তিষ্কের শেষ সময়ে যে ৩০ সেকেন্ড যখন বডিতে আসলেই প্রান থাকে না । কিন্তু মস্তিষ্কের সিগ্লেল ঠিকিই থাকে ।
দর্শক আমরা যদি কুরআনের আয়াতের দিকে তাকাই তাহলে আমরা বুঝতে পারব যে মৃত্যুর সময় কেন মানুষের পুরো জীবনের পুরো স্মৃতি একসাথে মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই রিভিউ বা মনে পড়ে । এর কারণ হচ্ছে পুরো জীবনব্যাপী সে যা করেছে তার ফলাফল নিয়ে যায় যেন সে প্রস্তুত হতে পারে । এর কারণ হচ্ছে পুরো জীবনব্যাপী যেমন আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনের সূরা যুমার ৭-৮ নম্বর আয়াতে বলেনঃ হে নবী আপনি তাদেরকে বলুন যে মৃত্যু থেকে তোমরা পালাতে চাচ্ছো  ।
তাদেরকে সেই মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হবে শেষ পর্যন্ত তোমাদেরকে হাজির করা হবে – দৃশ্য ও অদৃশ্য মালিক আল্লাহর কাছে জীবন দশায় যা করেছ তোমরা তখন পুরোপুরি জানতেও উপলদ্ধি করতে পারবে এছাড়া মানুষের আত্মা নিয়ে পবিত্র কোরআনের সূরা আয-যুমার ৪২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তা’আলা বলেন আল্লাহর মৃত্যুর সময় এলে অথবা ঘুমের সময় মানুষের আত্মাকে তুলে নে তারপর যার মৃত্যু অবধারিত তার আত্মা রেখে দেন আর অন্যদের হাতে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফিরিয়ে দেন জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে ।
#মৃত্যুর ৩০ সেকেন্ড আগে মানুষের শরীরে কি ঘটে ?#আশা করি আপনারা সকলেই ভালো আছেন#প্রিয় দর্শক মৃত্যুর ৩০ আগে শরীরে কি ঘটে ? বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে কি খুঁজে পেয়েছেন যা পবিত্র কু#আর তার ফলেই সে ব্যক্তির মৃত্যু হয় । কিন্তু ইলেক্ট্রো এনকোসেফালোগ্রাফি সংক্ষেপে – ইইজি যন্ত্#তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার অন্তত ৩০ সেকেন্ড পর পর্যন্ত তার মস্তিষ্ক সচল ছিল । অর্থাৎ দেহের মৃ#এই সময়ের ধরা পড়া মস্তিষ্কের তরঙ্গ সংকেত গুলো অবিকল তার অতীত জীবনের স্বপ্ন দেখা স্মৃতিচারণ ক#অর্থাৎ কোনো মানুষ যখন তার পুরো জীবনের স্মৃতিচারণ করে তখন যেমনটা হয় ঠিক তেমনি ঘটনা ঘটে এসময় আ#তোমরা মৃত্যুপথযাত্রী সেই ব্যক্তিকে দেখতে পাবে যে তখন আমি তার এই দুনিয়ার শেষ পা এবং পরকালের জ#এই দুনিয়া থেকে পরকালের দুনিয়ায় গমনের মধ্যবর্তী সময়টাতেই এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয় যে#মানুষ তার ইহকালের জীবনের শেষ অংশটা এবং পরের জীবনের প্রথম অংশ দুটোই একসাথে কিছু সময়ের জন্য দে#অর্থাৎ পরকাল এবং বর্তমান জীবন দুটোকেই কয়েক সেকেন্ডের জন্য মানুষ অনুভব করতে পারে । আমরা এটাকে#টা বলা হয়েছে – এই ট্রানস্ফারড টাইম মানুষ মূলত পুরো জীবনের স্মৃতিচারণ করে থাকে । আর পড়ে জীবন য#সেই জীবন সম্পর্কে পরিচিত হয় ।#যেমন টা কুরআন ও বলছে যে আসলে মূলত মৃত্যুর এই মধ্যবর্তী সময়ে একটা ব্রিজ তৈরি হয়ে যায় । এই জীব#সেই আয়াতটি বৈজ্ঞানিক গবেষণার সাথে যথেষ্ট সামঞ্জস্য রয়েছে । গবেষকরা বলে মস্তিষ্কের শেষ সময#দর্শক আমরা যদি কুরআনের আয়াতের দিকে তাকাই তাহলে আমরা বুঝতে পারব যে মৃত্যুর সময় কেন মানুষের প#তাদেরকে সেই মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হবে শেষ পর্যন্ত তোমাদেরকে হাজির করা হবে – দৃশ্য ও অদৃশ্য মাল
0 notes
shaykhpodpics · 12 days
Text
Tumblr media
Adopting Positive Characteristics Leads to Peace of Mind مثبت خصوصیات کو اپنانا ذہنی سکون کا باعث بنتا ہے Mengamalkan Ciri-Ciri Positif Membawa Kepada Ketenangan Fikiran إن التحلي بالصفات الإيجابية يؤدي إلى راحة البال ইতিবাচক বৈশিষ্ট্য গ্রহণ করা মানসিক শান্তির দিকে নিয়ে যায় Adoptar Características Positivas Conduce a La Tranquilidad The Material World & the Hereafter eBook & Backup Link: https://shaykhpod.files.wordpress.com/2024/03/the-material-world-the-hereafter-v2.pdf https://spebooks1.files.wordpress.com/2024/04/the-material-world-the-hereafter-v2.pdf
مادی دنیا اور آخرت https://shaykhpod.com/wp-content/uploads/2024/05/d985d8a7d8afdb8c-d8afd986db8cd8a7-d8a7d988d8b1-d8a2d8aed8b1d8aa-the-material-world-the-hereafter.pdf https://spurdu.wordpress.com/wp-content/uploads/2024/05/d985d8a7d8afdb8c-d8afd986db8cd8a7-d8a7d988d8b1-d8a2d8aed8b1d8aa-the-material-world-the-hereafter.pdf الدنيا المادية والآخرة https://shaykhpod.com/wp-content/uploads/2024/06/the-material-world-the-hereafter-arabic.pdf https://spurdu.wordpress.com/wp-content/uploads/2024/06/the-material-world-the-hereafter-arabic.pdf Dunia Material & Akhirat https://shaykhpod.com/wp-content/uploads/2024/06/dunia-material-akhirat-the-material-world-the-hereafter.pdf https://spurdu.wordpress.com/wp-content/uploads/2024/06/dunia-material-akhirat-the-material-world-the-hereafter.pdf বস্তুগত জগত ও পরকাল https://shaykhpod.com/wp-content/uploads/2024/07/the-material-world-the-hereafter-bangla.pdf https://spurdu.wordpress.com/wp-content/uploads/2024/07/the-material-world-the-hereafter-bangla.pdf El Mundo Material Y El Más Allá https://shaykhpod.com/wp-content/uploads/2024/07/el-mundo-material-y-el-mas-alla-the-material-world-the-hereafter.pdf https://spurdu.wordpress.com/wp-content/uploads/2024/07/el-mundo-material-y-el-mas-alla-the-material-world-the-hereafter.pdf Over 400 Free eBooks: https://shaykhpod.com/books/ Backup Sites for eBooks: https://shaykhpodbooks.wordpress.com/books/ https://shaykhpodbooks.wixsite.com/books https://archive.org/details/@shaykhpod PDFs of All English Books & Backup Links/ تمام کتابیں / সব বই / جميع الكتب/ Semua Buku / Todos Los Libros: https://shaykhpod.com/wp-content/uploads/2024/08/all-master-link.pdf https://spurdu.wordpress.com/wp-content/uploads/2024/08/all-master-link.pdf https://c6f97428-aa9d-46f8-8352-c67abd2419bf.usrfiles.com/ugd/c6f974_a42ab24eb8c7405286bff57a0a670049.pdf https://archive.org/download/ShaykhPod-books/all-master-link.pdf AudioBooks, Blogs, Infographics, English & Urdu Podcasts: https://shaykhpod.com/ Anonymously Follow WhatsApp Channel for Daily Blogs, eBooks, Pics and Podcasts: https://whatsapp.com/channel/0029VaDDhdwJ93wYa8dgJY1t Subscribe to Receive Daily Blogs & Updates Via Email: http://shaykhpod.com/subscribe
0 notes
sazidpersonal · 2 months
Text
সেকুলার বা ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষার বিপরীতে, কুরআনের জ্ঞান এই পৃথিবী এবং পরকাল উভয় জীবনের জন্য উপকারী – Dr Zakir Naik
আমাকে ফলো করুন :
https://www.facebook.com/sazidpersonal
https://www.youtube.com/@sazidchannel
https://www.instagram.com/sazidpersonal
https://www.twitter.com/sazidpersonal
https://www.pinterest.com/sazidpersonal
#ZakirNaik #জাকির #নায়েক #drzakirnaikofficial #জাকিরনায়েক #DrZakirNaik #sazidpersonal #sazid
1 note · View note
quransunnahdawah · 11 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
কুরআনের সূরা ইখলাস কি?
এই সূরাটি বিভিন্ন উপাধি লাভকারীদের মধ্যে ছিল। এটি তাওহিদের একটি সংক্ষিপ্ত ঘোষণা, ঈশ্বরের পরম একত্ব, চারটি আয়াত নিয়ে গঠিত । আল-ইখলাস মানে "বিশুদ্ধতা" বা "পরিশোধন"।
কোন সূরায় আল্লাহ নিজের বর্ণনা দিয়েছেন?
সূরা ইখলাসে (তোহীদ) আল্লাহ নিজেকে বর্ণনা করেছেন। পরম করুণাময়, করুণাময় আল্লাহর নামে। বলুন, তিনিই আল্লাহ, এক।
সুরা আল ইখলাসে আছে আল্লাহর পরিচয়
কোনো কিছুই আল্লাহর মতো নয়
আল্লাহর পরিচয় আছে
সুরা আল ইখলাসে
সুরা ইখলাস কোরআনের ১১২ নম্বর সুরা। এই সুরাতে আল্লাহ তাআলার অস্তিত্ব ও সত্তার সবচেয়ে সুন্দর ব্যাখ্যা রয়েছে। এটি কোরআনের অন্যতম ছোট সুরা হিসেবেও বিবেচিত হয়ে থাকে। তবে এই সুরা কোরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান বলা হয়। ইখলাস অর্থ গভীর অনুরাগ, একনিষ্ঠতা, নিরেট বিশ্বাস, খাঁটি আনুগত্য। শিরক থেকে মুক্ত হয়ে তওহিদ বা এক আল্লাহর ওপর খাঁটি ও নিরেট বিশ্বাসী হওয়াকে ইখলাস বলা হয়।
সুরা ইখলাস অবতীর্ণ হওয়ার কারণ
অবিশ্বাসীরা হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে আল্লাহর বংশপরিচয় জিজ্ঞেস করেছিল, যার জবাবে এই সুরা নাজিল হয়। কোনো কোনো রেওয়ায়েতে আছে যে তারা আরও প্রশ্ন করেছিল, আল্লাহ তাআলা কিসের তৈরি—স্বর্ণ-রৌপ্য অথবা অন্য কিছুর? এর জবাবে সুরাটি অবতীর্ণ হয়েছে।
সুরা ইখলাসের আমলে জান্নাত লাভ
সুরা ইখলাসের ফজিলত অনেক। সুরা ইখলাস যিনি ভালোবাসবেন, তিনি জান্নাতে যাবেন। হাদিসে এসেছে, জনৈক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে আরজ করলেন, আমি এই সুরাকে ভালোবাসি, রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, সুরা ইখলাসের প্রতি ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে দাখিল করবে। (মুসনাদে আহমদ ৩/১৪১)
সুরা ইখলাসের ফজিলত
কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ: হাদিসে এসেছে, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, তোমরা সবাই একত্র হয়ে যাও, আমি তোমাদের কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ শোনাব। এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) সুরা ইখলাস পাঠ করলেন। (মুসলিম, তিরমিজি)
বিপদে-আপদে উপকারী: হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি সকাল-বিকেল সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস পাঠ করে, তাকে বালা-মুসিবত থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট হয়। (আবু দাউদ, তিরমিজি, নাসায়ি)
রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘুমানোর আগে কুলহু আল্লাহু আহাদ, কুল আউযু রাব্বিল ফালাক, কুল আউযু বিরাব্বিন নাস পড়ার কথা বলেন। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন বিছানায় ঘুমানোর জন্য যেতেন, তখন তিনি তাঁর দুই হাতের তালু একত্র করতেন, তারপর সেখানে সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও নাস পড়ে ফুঁ দিতেন। এরপর দুই হাতের তালু দিয়ে শরীরে যতটুকু সম্ভব হাত বুলিয়ে দিতেন। এভাবে তিনবার করতেন। (বুখারি, আবু দাউদ, তিরমিজি)
সুরা ইখলাসের অর্থ
বলো, তিনি আল্লাহ যিনি অদ্বিতীয়
আল্লাহ সবার নির্ভর স্থল
তিনি কাউকে জন্ম দেননি ও তাকেঁ কেউ জন্ম দেয়নি
আর তাঁর সমতুল্য কেউ নেই।
সুরা ইখলাস তওহিদের ভিত্তি
ইসলামের মূল জিনিসটাই হচ্ছে তওহিদ। এ সুরায় শেখানো হয়, আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। তিনি কাউকে জন্ম দেননি, তিনি কারও থেকে জন্ম নেননি, কোনো কিছুর সমতুল্য নন তিনি। কোরআন শরিফ আমাদের তিনটি মৌলিক জিনিস শেখায়—তওহিদ, আখিরাত ও রিসালাত। অর্থাৎ আল্লাহ, পরকাল ও অহি। অন্য যেকোনো বিশ্বাস এই তিনটার মধ্যে পড়ে যায়। আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, আখিরাতের বিশ্বাস, আল্লাহর প্রেরিত অহির প্রতি বিশ্বাস। যখন আমরা বলি আল্লাহকে বিশ্বাস করি, এর মধ্যে আল্লাহর সব নাম, সব গুণ, কাজকে বোঝায়। যখন বলি, আখিরাতে বিশ্বাস, তার মধ্যে কবরের জীবন, বিচার দিবস, জান্নাত, জাহান্নাম—সব এসে যায়। তো এভাবে যদি চিন্তা করি, তাহলে বোঝা যায়, বিশ্বাসের এক-তৃতীয়াংশই হচ্ছে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। আর আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের কথাই বর্ণিত হয়েছে এই সুরাতে। আপনি যদি শুধু বোঝেন যে এই সুরাতে কী বলা হয়েছে, তাহলে দ্বীনের পথচলা শুরু করার মূলটা আপনি ধরতে পেরেছেন। সহিহ্ হাদিসে আছে, সুরা ইখলাস তিনবার পাঠ করলে এক খতম কোরআন তিলওয়াতের সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়া যায়।
সুরা ইখলাসে আল্লাহর ভালোবাসা লাভ
হজরত আয়েশা (রা.) থেকে এক রেওয়ায়েতে উল্লেখ আছে, এক যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ (সা.) এক ব্যক্তিকে আমির বা নেতা নিযুক্ত করে দেন, তিনি নামাজে ইমামতিকালে সুরা ফাতিহা ও অন্য সুরা শেষে প্রতি রাকাতেই সুরা ইখলাস পাঠ করতেন। যুদ্ধ থেকে ফিরে লোকেরা এ ব্যাপারে অভিযোগ করলে তিনি তাঁকে ডেকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করেন, নেতা উত্তর দেন যে এই সুরায় আল্লাহর পরিচয় পাই, তাই এই সুরাকে ভালোবাসি। এ কথা শুনে রাসুল (সা.) বললেন, তাহলে আল্লাহও তোমাকে ভালোবাসেন।
হজরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি তিনটি কাজ ইমানের সঙ্গে করতে পারবে জান্নাতের যেকোনো দরজা দিয়ে সে প্রবেশ করতে পারবে। (১) যে হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেবে। (২) যে ব্যক্তি গোপন ঋণ পরিশোধ করবে। (৩) এবং যে প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ১০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করবে (তাফসিরে কাসির)।
আল আহাদ একমাত্র আল্লাহর পরিচয়
আল্লাহর সদৃশ আর কোনো কিছুই নয়।
ইখলাস(একনিষ্ঠতা, আন্তরিকতা)ইবাদতের প্ৰাণ
আল-ইখলাস মানে "শুদ্ধতা" বা "আন্তরিকতা"। #ইখলাস একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটা ত্যাগ করা মহা বিপদের কারণ। কেননা আল্লাহ তায়ালা একমাত্র তাঁর জন্য নিবেদিত হওয়া ছাড়া অন্য কোনো আমল গ্রহণ করেন না। সঠিক নিয়ত, যা আন্তরিকতা, ইসলামে আমরা যা কিছু করি তার ভিত্তি। প্রতিটি ইবাদত, দান বা যে কোন নেক আমল এর পেছনের নিয়ত দ্বারা বিচার করা হবে। আল্লাহ আমাদের সকল কাজের আসল ও গোপন অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য জানেন এবং এই উদ্দেশ্যগুলো কেয়ামতের দিন প্রকাশ করা হবে। ইসলাম শান্তি ও আশীর্বাদের ধর্ম, এটি আমাদের আললাহর পরম একত্ব প্রচার করার পরামর্শ দেয়। আন্তরিকতা(ইখলাস হল মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য কাজ করার, বলা এবং কাজ করার জন্য আন্তরিক হওয়া। ইখলাস আমাদের ইসলামী শিক্ষারও মৌলিক দিক।
ইখলাস - আরবি ভাষায় একনিষ্ঠতা - প্রচলিতভাবে কুরআনের 112 তম সূরার নাম। এর আয়াতগুলি আললাহর অ বিভাজ্য একত্ব (তাওহিদ) ঘোষণা করে, যার ফলে ইসলামের ধর্মীয় চিন্তাধারা যে অক্ষের উপর চলে আসে তা প্রতিষ্ঠা করে।
সূরা ইখলাস তাওহিদের একটি সংক্ষিপ্ত ঘোষণা, আললাহর পরম একত্ব, চারটি আয়াত নিয়ে গঠিত। আল-ইখলাস মানে "বিশুদ্ধতা" বা "পরিশোধন"।
সূরা ইখলাস অনুবাদ
বলুন, সত্য হল আল্লাহ এক। আল্লাহর কাউকে প্রয়োজন নেই। তিনি কাউকে জন্ম দেননি, জন্মও দেননি। আর কখনোই তাঁর সাথে সমকক্ষ কেউ হয়নি।
youtube
youtube
youtube
youtube
 সূরা ইখলাস যিনি ভালোবাসবেন, তিনি জান্নাতে যাবেন। হাদিসে এসেছে, জনৈক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে এসে আরজ করলেন, আমি এই সূরাকে ভালোবাসি, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, সূরা ইখলাসের প্রতি ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে দাখিল করবে। (মুসনাদে আহমদ ৩/১৪১)
সুরা ইখলাস পাঠের ফজিলত গুলি কি কি ? ♥♥♥♥♥♥ (১) তিনবার সুরা ইখলাস পড়লে একবার ক্বুরআন খতম দেওয়ার সমান সওয়াব পাবেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুরা ইখলাস সম্পর্কে বলেছেন, “নিঃসন্দেহে এটা ক্বুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান।” মুসলিমঃ ৮১২, তিরমিযীঃ ২৮৯৯।
(২) সুরা ইখলাস দশবার পড়লে জান্নাতে প্রাসাদ পাবেন। নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি সুরা ইখলাস দশ বার পড়বে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ তৈরী করবেন, যে বিশ বার পড়বে তার জন্য দুইটি প্রাসাদ তৈরী করবেন, যে ত্রিশ বার পড়বে তার জন্য আল্লাহ তিনটি প্রাসাদ তৈরী করবেন।” দারিমীঃ ৩৪৯২, সিলসিলাহ সহীহাহঃ ৫৮৯।
(৩) বিশেষ করে রাতের বেলা সুরা ইখলাস পড়লে এটি মুস্তাহাব।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার সাহাবীদেরকে বললেন, “তোমরা কি রাতে এক তৃতীয়াংশ ক্বুরআন পড়তে পারনা”? প্রস্তাবটি সাহাবাদের জন্য কঠিন মনে হল। তাই তাঁরা বলে উঠলেন, “হে আল্লাহর রসুল! এই কাজ আমাদের মধ্যে কে করতে পারবে”? (অর্থাৎ কেউ পারবে না।) রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বললেন, “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ, আল্লাহুস স্বামাদ (সুরা ইখলাস) ক্বুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান।” (অর্থাৎ এই সুরা পড়লে এক তৃতীয়াংশ ক্বুরআন পড়ার সমান নেকী পাওয়া যাবে)। সহীহুল বুখারীঃ ৫০১৫, নাসায়ীঃ ৯৯৫, আবু দাউদ ১৪৬১, আহমাদ ১০৬৬৯।
(৪) সুরা ইখলাসকে ভালোবাসলে, এই ভালোবাসা আপনাকে জান্নাতে নিয়ে যাবেঃ
এক সাহাবী এসে বলল, “হে আল্লাহর রসূল! আমি এই (সুরা) ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদকে ভালবাসি”। তিনি বললেন, “এর ভালবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।” বুখারীর ৭৭৪নং হাদীসের পরবর্তী অধ্যায়, তিরমিযী ২৯০১, আহমাদ ১২০২৪
আল্লাহ আমাদের অন্তর আর আমলগুলোতে ইখলাস এনে দিন। আমিন।
youtube
ইসলামে আল্লাহর পরিচয়।
youtube
সূরা ইখলাসের কথা। ভগবত গীতা থেকে বের করে দিলেন ডক্টর জাকির নায়েক
youtube
সূরা ইখলাস দিয়ে সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে জানা যায়
youtube
সূরা ইখলাস দিয়ে সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে জানা যায়।
youtube
আল্লাহর পরিচয় আছে
সুরা আল ইখলাসে
0 notes
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
কুরআনের সূরা ইখলাস কি?
এই সূরাটি বিভিন্ন উপাধি লাভকারীদের মধ্যে ছিল। এটি তাওহিদের একটি সংক্ষিপ্ত ঘোষণা, ঈশ্বরের পরম একত্ব, চারটি আয়াত নিয়ে গঠিত । আল-ইখলাস মানে "বিশুদ্ধতা" বা "পরিশোধন"।
কোন সূরায় আল্লাহ নিজের বর্ণনা দিয়েছেন?
সূরা ইখলাসে (তোহীদ) আল্লাহ নিজেকে বর্ণনা করেছেন। পরম করুণাময়, করুণাময় আল্লাহর নামে। বলুন, তিনিই আল্লাহ, এক।
সুরা আল ইখলাসে আছে আল্লাহর পরিচয়
কোনো কিছুই আল্লাহর মতো নয়
আল্লাহর পরিচয় আছে
সুরা আল ইখলাসে
সুরা ইখলাস কোরআনের ১১২ নম্বর সুরা। এই সুরাতে আল্লাহ তাআলার অস্তিত্ব ও সত্তার সবচেয়ে সুন্দর ব্যাখ্যা রয়েছে। এটি কোরআনের অন্যতম ছোট সুরা হিসেবেও বিবেচিত হয়ে থাকে। তবে এই সুরা কোরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান বলা হয়। ইখলাস অর্থ গভীর অনুরাগ, একনিষ্ঠতা, নিরেট বিশ্বাস, খাঁটি আনুগত্য। শিরক থেকে মুক্ত হয়ে তওহিদ বা এক আল্লাহর ওপর খাঁটি ও নিরেট বিশ্বাসী হওয়াকে ইখলাস বলা হয়।
সুরা ইখলাস অবতীর্ণ হওয়ার কারণ
অবিশ্বাসীরা হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে আল্লাহর বংশপরিচয় জিজ্ঞেস করেছিল, যার জবাবে এই সুরা নাজিল হয়। কোনো কোনো রেওয়ায়েতে আছে যে তারা আরও প্রশ্ন করেছিল, আল্লাহ তাআলা কিসের তৈরি—স্বর্ণ-রৌপ্য অথবা অন্য কিছুর? এর জবাবে সুরাটি অবতীর্ণ হয়েছে।
সুরা ইখলাসের আমলে জান্নাত লাভ
সুরা ইখলাসের ফজিলত অনেক। সুরা ইখলাস যিনি ভালোবাসবেন, তিনি জান্নাতে যাবেন। হাদিসে এসেছে, জনৈক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে আরজ করলেন, আমি এই সুরাকে ভালোবাসি, রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, সুরা ইখলাসের প্রতি ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে দাখিল করবে। (মুসনাদে আহমদ ৩/১৪১)
সুরা ইখলাসের ফজিলত
কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ: হাদিসে এসেছে, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, তোমরা সবাই একত্র হয়ে যাও, আমি তোমাদের কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ শোনাব। এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) সুরা ইখলাস পাঠ করলেন। (মুসলিম, তিরমিজি)
বিপদে-আপদে উপকারী: হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি সকাল-বিকেল সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস পাঠ করে, তাকে বালা-মুসিবত থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট হয়। (আবু দাউদ, তিরমিজি, নাসায়ি)
রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘুমানোর আগে কুলহু আল্লাহু আহাদ, কুল আউযু রাব্বিল ফালাক, কুল আউযু বিরাব্বিন নাস পড়ার কথা বলেন। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন বিছানায় ঘুমানোর জন্য যেতেন, তখন তিনি তাঁর দুই হাতের তালু একত্র করতেন, তারপর সেখানে সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও নাস পড়ে ফুঁ দিতেন। এরপর দুই হাতের তালু দিয়ে শরীরে যতটুকু সম্ভব হাত বুলিয়ে দিতেন। এভাবে তিনবার করতেন। (বুখারি, আবু দাউদ, তিরমিজি)
সুরা ইখলাসের অর্থ
বলো, তিনি আল্লাহ যিনি অদ্বিতীয়
আল্লাহ সবার নির্ভর স্থল
তিনি কাউকে জন্ম দেননি ও তাকেঁ কেউ জন্ম দেয়নি
আর তাঁর সমতুল্য কেউ নেই।
সুরা ইখলাস তওহিদের ভিত্তি
ইসলামের মূল জিনিসটাই হচ্ছে তওহিদ। এ সুরায় শেখানো হয়, আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। তিনি কাউকে জন্ম দেননি, তিনি কারও থেকে জন্ম নেননি, কোনো কিছুর সমতুল্য নন তিনি। কোরআন শরিফ আমাদের তিনটি মৌলিক জিনিস শেখায়—তওহিদ, আখিরাত ও রিসালাত। অর্থাৎ আল্লাহ, পরকাল ও অহি। অন্য যেকোনো বিশ্বাস এই তিনটার মধ্যে পড়ে যায়। আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, আখিরাতের বিশ্বাস, আল্লাহর প্রেরিত অহির প্রতি বিশ্বাস। যখন আমরা বলি আল্লাহকে বিশ্বাস করি, এর মধ্যে আল্লাহর সব নাম, সব গুণ, কাজকে বোঝায়। যখন বলি, আখিরাতে বিশ্বাস, তার মধ্যে কবরের জীবন, বিচার দিবস, জান্নাত, জাহান্নাম—সব এসে যায়। তো এভাবে যদি চিন্তা করি, তাহলে বোঝা যায়, বিশ্বাসের এক-তৃতীয়াংশই হচ্ছে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। আর আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের কথাই বর্ণিত হয়েছে এই সুরাতে। আপনি যদি শুধু বোঝেন যে এই সুরাতে কী বলা হয়েছে, তাহলে দ্বীনের পথচলা শুরু করার মূলটা আপনি ধরতে পেরেছেন। সহিহ্ হাদিসে আছে, সুরা ইখলাস তিনবার পাঠ করলে এক খতম কোরআন তিলওয়াতের সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়া যায়।
সুরা ইখলাসে আল্লাহর ভালোবাসা লাভ
হজরত আয়েশা (রা.) থেকে এক রেওয়ায়েতে উল্লেখ আছে, এক যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ (সা.) এক ব্যক্তিকে আমির বা নেতা নিযুক্ত করে দেন, তিনি নামাজে ইমামতিকালে সুরা ফাতিহা ও অন্য সুরা শেষে প্রতি রাকাতেই সুরা ইখলাস পাঠ করতেন। যুদ্ধ থেকে ফিরে লোকেরা এ ব্যাপারে অভিযোগ করলে তিনি তাঁকে ডেকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করেন, নেতা উত্তর দেন যে এই সুরায় আল্লাহর পরিচয় পাই, তাই এই সুরাকে ভালোবাসি। এ কথা শুনে রাসুল (সা.) বললেন, তাহলে আল্লাহও তোমাকে ভালোবাসেন।
হজরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি তিনটি কাজ ইমানের সঙ্গে করতে পারবে জান্নাতের যেকোনো দরজা দিয়ে সে প্রবেশ করতে পারবে। (১) যে হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেবে। (২) যে ব্যক্তি গোপন ঋণ পরিশোধ করবে। (৩) এবং যে প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ১০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করবে (তাফসিরে কাসির)।
আল আহাদ একমাত্র আল্লাহর পরিচয়
আল্লাহর সদৃশ আর কোনো কিছুই নয়।
ইখলাস(একনিষ্ঠতা, আন্তরিকতা)ইবাদতের প্ৰাণ
আল-ইখলাস মানে "শুদ্ধতা" বা "আন্তরিকতা"। #ইখলাস একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটা ত্যাগ করা মহা বিপদের কারণ। কেননা আল্লাহ তায়ালা একমাত্র তাঁর জন্য নিবেদিত হওয়া ছাড়া অন্য কোনো আমল গ্রহণ করেন না। সঠিক নিয়ত, যা আন্তরিকতা, ইসলামে আমরা যা কিছু করি তার ভিত্তি। প্রতিটি ইবাদত, দান বা যে কোন নেক আমল এর পেছনের নিয়ত দ্বারা বিচার করা হবে। আল্লাহ আমাদের সকল কাজের আসল ও গোপন অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য জানেন এবং এই উদ্দেশ্যগুলো কেয়ামতের দিন প্রকাশ করা হবে। ইসলাম শান্তি ও আশীর্বাদের ধর্ম, এটি আমাদের আললাহর পরম একত্ব প্রচার করার পরামর্শ দেয়। আন্তরিকতা(ইখলাস হল মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য কাজ করার, বলা এবং কাজ করার জন্য আন্তরিক হওয়া। ইখলাস আমাদের ইসলামী শিক্ষারও মৌলিক দিক।
ইখলাস - আরবি ভাষায় একনিষ্ঠতা - প্রচলিতভাবে কুরআনের 112 তম সূরার নাম। এর আয়াতগুলি আললাহর অ বিভাজ্য একত্ব (তাওহিদ) ঘোষণা করে, যার ফলে ইসলামের ধর্মীয় চিন্তাধারা যে অক্ষের উপর চলে আসে তা প্রতিষ্ঠা করে।
সূরা ইখলাস তাওহিদের একটি সংক্ষিপ্ত ঘোষণা, আললাহর পরম একত্ব, চারটি আয়াত নিয়ে গঠিত। আল-ইখলাস মানে "বিশুদ্ধতা" বা "পরিশোধন"।
সূরা ইখলাস অনুবাদ
বলুন, সত্য হল আল্লাহ এক। আল্লাহর কাউকে প্রয়োজন নেই। তিনি কাউকে জন্ম দেননি, জন্মও দেননি। আর কখনোই তাঁর সাথে সমকক্ষ কেউ হয়নি।
youtube
youtube
youtube
youtube
 সূরা ইখলাস যিনি ভালোবাসবেন, তিনি জান্নাতে যাবেন। হাদিসে এসেছে, জনৈক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে এসে আরজ করলেন, আমি এই সূরাকে ভালোবাসি, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, সূরা ইখলাসের প্রতি ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে দাখিল করবে। (মুসনাদে আহমদ ৩/১৪১)
সুরা ইখলাস পাঠের ফজিলত গুলি কি কি ? ♥♥♥♥♥♥ (১) তিনবার সুরা ইখলাস পড়লে একবার ক্বুরআন খতম দেওয়ার সমান সওয়াব পাবেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুরা ইখলাস সম্পর্কে বলেছেন, “নিঃসন্দেহে এটা ক্বুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান।” মুসলিমঃ ৮১২, তিরমিযীঃ ২৮৯৯।
(২) সুরা ইখলাস দশবার পড়লে জান্নাতে প্রাসাদ পাবেন। নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি সুরা ইখলাস দশ বার পড়বে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ তৈরী করবেন, যে বিশ বার পড়বে তার জন্য দুইটি প্রাসাদ তৈরী করবেন, যে ত্রিশ বার পড়বে তার জন্য আল্লাহ তিনটি প্রাসাদ তৈরী করবেন।” দারিমীঃ ৩৪৯২, সিলসিলাহ সহীহাহঃ ৫৮৯।
(৩) বিশেষ করে রাতের বেলা সুরা ইখলাস পড়লে এটি মুস্তাহাব।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার সাহাবীদেরকে বললেন, “তোমরা কি রাতে এক তৃতীয়াংশ ক্বুরআন পড়তে পারনা”? প্রস্তাবটি সাহাবাদের জন্য কঠিন মনে হল। তাই তাঁরা বলে উঠলেন, “হে আল্লাহর রসুল! এই কাজ আমাদের মধ্যে কে করতে পারবে”? (অর্থাৎ কেউ পারবে না।) রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বললেন, “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ, আল্লাহুস স্বামাদ (সুরা ইখলাস) ক্বুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান।” (অর্থাৎ এই সুরা পড়লে এক তৃতীয়াংশ ক্বুরআন পড়ার সমান নেকী পাওয়া যাবে)। সহীহুল বুখারীঃ ৫০১৫, নাসায়ীঃ ৯৯৫, আবু দাউদ ১৪৬১, আহমাদ ১০৬৬৯।
(৪) সুরা ইখলাসকে ভালোবাসলে, এই ভালোবাসা আপনাকে জান্নাতে নিয়ে যাবেঃ
এক সাহাবী এসে বলল, “হে আল্লাহর রসূল! আমি এই (সুরা) ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদকে ভালবাসি”। তিনি বললেন, “এর ভালবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।” বুখারীর ৭৭৪নং হাদীসের পরবর্তী অধ্যায়, তিরমিযী ২৯০১, আহমাদ ১২০২৪
আল্লাহ আমাদের অন্তর আর আমলগুলোতে ইখলাস এনে দিন। আমিন।
youtube
ইসলামে আল্লাহর পরিচয়।
youtube
সূরা ইখলাসের কথা। ভগবত গীতা থেকে বের করে দিলেন ডক্টর জাকির নায়েক
youtube
সূরা ইখলাস দিয়ে সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে জানা যায়
youtube
সূরা ইখলাস দিয়ে সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে জানা যায়।
youtube
আল্লাহর পরিচয় আছে
সুরা আল ইখলাসে
0 notes
ilyforallahswt · 11 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
কুরআনের সূরা ইখলাস কি?
এই সূরাটি বিভিন্ন উপাধি লাভকারীদের মধ্যে ছিল। এটি তাওহিদের একটি সংক্ষিপ্ত ঘোষণা, ঈশ্বরের পরম একত্ব, চারটি আয়াত নিয়ে গঠিত । আল-ইখলাস মানে "বিশুদ্ধতা" বা "পরিশোধন"।
কোন সূরায় আল্লাহ নিজের বর্ণনা দিয়েছেন?
সূরা ইখলাসে (তোহীদ) আল্লাহ নিজেকে বর্ণনা করেছেন। পরম করুণাময়, করুণাময় আল্লাহর নামে। বলুন, তিনিই আল্লাহ, এক।
সুরা আল ইখলাসে আছে আল্লাহর পরিচয়
কোনো কিছুই আল্লাহর মতো নয়
আল্লাহর পরিচয় আছে
সুরা আল ইখলাসে
সুরা ইখলাস কোরআনের ১১২ নম্বর সুরা। এই সুরাতে আল্লাহ তাআলার অস্তিত্ব ও সত্তার সবচেয়ে সুন্দর ব্যাখ্যা রয়েছে। এটি কোরআনের অন্যতম ছোট সুরা হিসেবেও বিবেচিত হয়ে থাকে। তবে এই সুরা কোরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান বলা হয়। ইখলাস অর্থ গভীর অনুরাগ, একনিষ্ঠতা, নিরেট বিশ্বাস, খাঁটি আনুগত্য। শিরক থেকে মুক্ত হয়ে তওহিদ বা এক আল্লাহর ওপর খাঁটি ও নিরেট বিশ্বাসী হওয়াকে ইখলাস বলা হয়।
সুরা ইখলাস অবতীর্ণ হওয়ার কারণ
অবিশ্বাসীরা হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে আল্লাহর বংশপরিচয় জিজ্ঞেস করেছিল, যার জবাবে এই সুরা নাজিল হয়। কোনো কোনো রেওয়ায়েতে আছে যে তারা আরও প্রশ্ন করেছিল, আল্লাহ তাআলা কিসের তৈরি—স্বর্ণ-রৌপ্য অথবা অন্য কিছুর? এর জবাবে সুরাটি অবতীর্ণ হয়েছে।
সুরা ইখলাসের আমলে জান্নাত লাভ
সুরা ইখলাসের ফজিলত অনেক। সুরা ইখলাস যিনি ভালোবাসবেন, তিনি জান্নাতে যাবেন। হাদিসে এসেছে, জনৈক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে আরজ করলেন, আমি এই সুরাকে ভালোবাসি, রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, সুরা ইখলাসের প্রতি ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে দাখিল করবে। (মুসনাদে আহমদ ৩/১৪১)
সুরা ইখলাসের ফজিলত
কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ: হাদিসে এসেছে, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, তোমরা সবাই একত্র হয়ে যাও, আমি তোমাদের কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ শোনাব। এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) সুরা ইখলাস পাঠ করলেন। (মুসলিম, তিরমিজি)
বিপদে-আপদে উপকারী: হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি সকাল-বিকেল সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস পাঠ করে, তাকে বালা-মুসিবত থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট হয়। (আবু দাউদ, তিরমিজি, নাসায়ি)
রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘুমানোর আগে কুলহু আল্লাহু আহাদ, কুল আউযু রাব্বিল ফালাক, কুল আউযু বিরাব্বিন নাস পড়া�� কথা বলেন। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন বিছানায় ঘুমানোর জন্য যেতেন, তখন তিনি তাঁর দুই হাতের তালু একত্র করতেন, তারপর সেখানে সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও নাস পড়ে ফুঁ দিতেন। এরপর দুই হাতের তালু দিয়ে শরীরে যতটুকু সম্ভব হাত বুলিয়ে দিতেন। এভাবে তিনবার করতেন। (বুখারি, আবু দাউদ, তিরমিজি)
সুরা ইখলাসের অর্থ
বলো, তিনি আল্লাহ যিনি অদ্বিতীয়
আল্লাহ সবার নির্ভর স্থল
তিনি কাউকে জন্ম দেননি ও তাকেঁ কেউ জন্ম দেয়নি
আর তাঁর সমতুল্য কেউ নেই।
সুরা ইখলাস তওহিদের ভিত্তি
ইসলামের মূল জিনিসটাই হচ্ছে তওহিদ। এ সুরায় শেখানো হয়, আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। তিনি কাউকে জন্ম দেননি, তিনি কারও থেকে জন্ম নেননি, কোনো কিছুর সমতুল্য নন তিনি। কোরআন শরিফ আমাদের তিনটি মৌলিক জিনিস শেখায়—তওহিদ, আখিরাত ও রিসালাত। অর্থাৎ আল্লাহ, পরকাল ও অহি। অন্য যেকোনো বিশ্বাস এই তিনটার মধ্যে পড়ে যায়। আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, আখিরাতের বিশ্বাস, আল্লাহর প্রেরিত অহির প্রতি বিশ্বাস। যখন আমরা বলি আল্লাহকে বিশ্বাস করি, এর মধ্যে আল্লাহর সব নাম, সব গুণ, কাজকে বোঝায়। যখন বলি, আখিরাতে বিশ্বাস, তার মধ্যে কবরের জীবন, বিচার দিবস, জান্নাত, জাহান্নাম—সব এসে যায়। তো এভাবে যদি চিন্তা করি, তাহলে বোঝা যায়, বিশ্বাসের এক-তৃতীয়াংশই হচ্ছে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। আর আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের কথাই বর্ণিত হয়েছে এই সুরাতে। আপনি যদি শুধু বোঝেন যে এই সুরাতে কী বলা হয়েছে, তাহলে দ্বীনের পথচলা শুরু করার মূলটা আপনি ধরতে পেরেছেন। সহিহ্ হাদিসে আছে, সুরা ইখলাস তিনবার পাঠ করলে এক খতম কোরআন তিলওয়াতের সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়া যায়।
সুরা ইখলাসে আল্লাহর ভালোবাসা লাভ
হজরত আয়েশা (রা.) থেকে এক রেওয়ায়েতে উল্লেখ আছে, এক যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ (সা.) এক ব্যক্তিকে আমির বা নেতা নিযুক্ত করে দেন, তিনি নামাজে ইমামতিকালে সুরা ফাতিহা ও অন্য সুরা শেষে প্রতি রাকাতেই সুরা ইখলাস পাঠ করতেন। যুদ্ধ থেকে ফিরে লোকেরা এ ব্যাপারে অভিযোগ করলে তিনি তাঁকে ডেকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করেন, নেতা উত্তর দেন যে এই সুরায় আল্লাহর পরিচয় পাই, তাই এই সুরাকে ভালোবাসি। এ কথা শুনে রাসুল (সা.) বললেন, তাহলে আল্লাহও তোমাকে ভালোবাসেন।
হজরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি তিনটি কাজ ইমানের সঙ্গে করতে পারবে জান্নাতের যেকোনো দরজা দিয়ে সে প্রবেশ করতে পারবে। (১) যে হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেবে। (২) যে ব্যক্তি গোপন ঋণ পরিশোধ করবে। (৩) এবং যে প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ১০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করবে (তাফসিরে কাসির)।
আল আহাদ একমাত্র আল্লাহর পরিচয়
আল্লাহর সদৃশ আর কোনো কিছুই নয়।
ইখলাস(একনিষ্ঠতা, আন্তরিকতা)ইবাদতের প্ৰাণ
আল-ইখলাস মানে "শুদ্ধতা" বা "আন্তরিকতা"। #ইখলাস একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটা ত্যাগ করা মহা বিপদের কারণ। কেননা আল্লাহ তায়ালা একমাত্র তাঁর জন্য নিবেদিত হওয়া ছাড়া অন্য কোনো আমল গ্রহণ করেন না। সঠিক নিয়ত, যা আন্তরিকতা, ইসলামে আমরা যা কিছু করি তার ভিত্তি। প্রতিটি ইবাদত, দান বা যে কোন নেক আমল এর পেছনের নিয়ত দ্বারা বিচার করা হবে। আল্লাহ আমাদের সকল কাজের আসল ও গোপন অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য জানেন এবং এই উদ্দেশ্যগুলো কেয়ামতের দিন প্রকাশ করা হবে। ইসলাম শান্তি ও আশীর্বাদের ধর্ম, এটি আমাদের আললাহর পরম একত্ব প্রচার করার পরামর্শ দেয়। আন্তরিকতা(ইখলাস হল মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য কাজ করার, বলা এবং কাজ করার জন্য আন্তরিক হওয়া। ইখলাস আমাদের ইসলামী শিক্ষারও মৌলিক দিক।
ইখলাস - আরবি ভাষায় একনিষ্ঠতা - প্রচলিতভাবে কুরআনের 112 তম সূরার নাম। এর আয়াতগুলি আললাহর অ বিভাজ্য একত্ব (তাওহিদ) ঘোষণা করে, যার ফলে ইসলামের ধর্মীয় চিন্তাধারা যে অক্ষের উপর চলে আসে তা প্রতিষ্ঠা করে।
সূরা ইখলাস তাওহিদের একটি সংক্ষিপ্ত ঘোষণা, আললাহর পরম একত্ব, চারটি আয়াত নিয়ে গঠিত। আল-ইখলাস মানে "বিশুদ্ধতা" বা "পরিশোধন"।
সূরা ইখলাস অনুবাদ
বলুন, সত্য হল আল্লাহ এক। আল্লাহর কাউকে প্রয়োজন নেই। তিনি কাউকে জন্ম দেননি, জন্মও দেননি। আর কখনোই তাঁর সাথে সমকক্ষ কেউ হয়নি।
youtube
youtube
youtube
youtube
 সূরা ইখলাস যিনি ভালোবাসবেন, তিনি জান্নাতে যাবেন। হাদিসে এসেছে, জনৈক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে এসে আরজ করলেন, আমি এই সূরাকে ভালোবাসি, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, সূরা ইখলাসের প্রতি ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে দাখিল করবে। (মুসনাদে আহমদ ৩/১৪১)
সুরা ইখলাস পাঠের ফজিলত গুলি কি কি ? ♥♥♥♥♥♥ (১) তিনবার সুরা ইখলাস পড়লে একবার ক্বুরআন খতম দেওয়ার সমান সওয়াব পাবেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুরা ইখলাস সম্পর্কে বলেছেন, “নিঃসন্দেহে এটা ক্বুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান।” মুসলিমঃ ৮১২, তিরমিযীঃ ২৮৯৯।
(২) সুরা ইখলাস দশবার পড়লে জান্নাতে প্রাসাদ পাবেন। নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি সুরা ইখলাস দশ বার পড়বে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ তৈরী করবেন, যে বিশ বার পড়বে তার জন্য দুইটি প্রাসাদ তৈরী করবেন, যে ত্রিশ বার পড়বে তার জন্য আল্লাহ তিনটি প্রাসাদ তৈরী করবেন।” দারিমীঃ ৩৪৯২, সিলসিলাহ সহীহাহঃ ৫৮৯।
(৩) বিশেষ করে রাতের বেলা সুরা ইখলাস পড়লে এটি মুস্তাহাব।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার সাহাবীদেরকে বললেন, “তোমরা কি রাতে এক তৃতীয়াংশ ক্বুরআন পড়তে পারনা”? প্রস্তাবটি সাহাবাদের জন্য কঠিন মনে হল। তাই তাঁরা বলে উঠলেন, “হে আল্লাহর রসুল! এই কাজ আমাদের মধ্যে কে করতে পারবে”? (অর্থাৎ কেউ পারবে না।) রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বললেন, “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ, আল্লাহুস স্বামাদ (সুরা ইখলাস) ক্বুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান।” (অর্থাৎ এই সুরা পড়লে এক তৃতীয়াংশ ক্বুরআন পড়ার সমান নেকী পাওয়া যাবে)। সহীহুল বুখারীঃ ৫০১৫, নাসায়ীঃ ৯৯৫, আবু দাউদ ১৪৬১, আহমাদ ১০৬৬৯।
(৪) সুরা ইখলাসকে ভালোবাসলে, এই ভালোবাসা আপনাকে জান্নাতে নিয়ে যাবেঃ
এক সাহাবী এসে বলল, “হে আল্লাহর রসূল! আমি এই (সুরা) ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদকে ভালবাসি”। তিনি বললেন, “এর ভালবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।” বুখারীর ৭৭৪নং হাদীসের পরবর্তী অধ্যায়, তিরমিযী ২৯০১, আহমাদ ১২০২৪
আল্লাহ আমাদের অন্তর আর আমলগুলোতে ইখলাস এনে দিন। আমিন।
youtube
ইসলামে আল্লাহর পরিচয়।
youtube
সূরা ইখলাসের কথা। ভগবত গীতা থেকে বের করে দিলেন ডক্টর জাকির নায়েক
youtube
সূরা ইখলাস দিয়ে সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে জানা যায়
youtube
সূরা ইখলাস দিয়ে সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে জানা যায়।
youtube
আল্লাহর পরিচয় আছে
সুরা আল ইখলাসে
0 notes
myreligionislam · 11 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
কুরআনের সূরা ইখলাস কি?
এই সূরাটি বিভিন্ন উপাধি লাভকারীদের মধ্যে ছিল। এটি তাওহিদের একটি সংক্ষিপ্ত ঘোষণা, ঈশ্বরের পরম একত্ব, চারটি আয়াত নিয়ে গঠিত । আল-ইখলাস মানে "বিশুদ্ধতা" বা "পরিশোধন"।
কোন সূরায় আল্লাহ নিজের বর্ণনা দিয়েছেন?
সূরা ইখলাসে (তোহীদ) আল্লাহ নিজেকে বর্ণনা করেছেন। পরম করুণাময়, করুণাময় আল্লাহর নামে। বলুন, তিনিই আল্লাহ, এক।
সুরা আল ইখলাসে আছে আল্লাহর পরিচয়
কোনো কিছুই আল্লাহর মতো নয়
আল্লাহর পরিচয় আছে
সুরা আল ইখলাসে
সুরা ইখলাস কোরআনের ১১২ নম্বর সুরা। এই সুরাতে আল্লাহ তাআলার অস্তিত্ব ও সত্তার সবচেয়ে সুন্দর ব্যাখ্যা রয়েছে। এটি কোরআনের অন্যতম ছোট সুরা হিসেবেও বিবেচিত হয়ে থাকে। তবে এই সুরা কোরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান বলা হয়। ইখলাস অর্থ গভীর অনুরাগ, একনিষ্ঠতা, নিরেট বিশ্বাস, খাঁটি আনুগত্য। শিরক থেকে মুক্ত হয়ে তওহিদ বা এক আল্লাহর ওপর খাঁটি ও নিরেট বিশ্বাসী হওয়াকে ইখলাস বলা হয়।
সুরা ইখলাস অবতীর্ণ হওয়ার কারণ
অবিশ্বাসীরা হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে আল্লাহর বংশপরিচয় জিজ্ঞেস করেছিল, যার জবাবে এই সুরা নাজিল হয়। কোনো কোনো রেওয়ায়েতে আছে যে তারা আরও প্রশ্ন করেছিল, আল্লাহ তাআলা কিসের তৈরি—স্বর্ণ-রৌপ্য অথবা অন্য কিছুর? এর জবাবে সুরাটি অবতীর্ণ হয়েছে।
সুরা ইখলাসের আমলে জান্নাত লাভ
সুরা ইখলাসের ফজিলত অনেক। সুরা ইখলাস যিনি ভালোবাসবেন, তিনি জান্নাতে যাবেন। হাদিসে এসেছে, জনৈক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে আরজ করলেন, আমি এই সুরাকে ভালোবাসি, রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, সুরা ইখলাসের প্রতি ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে দাখিল করবে। (মুসনাদে আহমদ ৩/১৪১)
সুরা ইখলাসের ফজিলত
কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ: হাদিসে এসেছে, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, তোমরা সবাই একত্র হয়ে যাও, আমি তোমাদের কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ শোনাব। এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) সুরা ইখলাস পাঠ করলেন। (মুসলিম, তিরমিজি)
বিপদে-আপদে উপকারী: হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি সকাল-বিকেল সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস পাঠ করে, তাকে বালা-মুসিবত থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট হয়। (আবু দাউদ, তিরমিজি, নাসায়ি)
রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘুমানোর আগে কুলহু আল্লাহু আহাদ, কুল আউযু রাব্বিল ফালাক, কুল আউযু বিরাব্বিন নাস পড়ার কথা বলেন। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন বিছানায় ঘুমানোর জন্য যেতেন, তখন তিনি তাঁর দুই হাতের তালু একত্র করতেন, তারপর সেখানে সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও নাস পড়ে ফুঁ দিতেন। এরপর দুই হাতের তালু দিয়ে শরীরে যতটুকু সম্ভব হাত বুলিয়ে দিতেন। এভাবে তিনবার করতেন। (বুখারি, আবু দাউদ, তিরমিজি)
সুরা ইখলাসের অর্থ
বলো, তিনি আল্লাহ যিনি অদ্বিতীয়
আল্লাহ সবার নির্ভর স্থল
তিনি কাউকে জন্ম দেননি ও তাকেঁ কেউ জন্ম দেয়নি
আর তাঁর সমতুল্য কেউ নেই।
সুরা ইখলাস তওহিদের ভিত্তি
ইসলামের মূল জিনিসটাই হচ্ছে তওহিদ। এ সুরায় শেখানো হয়, আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। তিনি কাউকে জন্ম দেননি, তিনি কারও থেকে জন্ম নেননি, কোনো কিছুর সমতুল্য নন তিনি। কোরআন শরিফ আমাদের তিনটি মৌলিক জিনিস শেখায়—তওহিদ, আখিরাত ও রিসালাত। অর্থাৎ আল্লাহ, পরকাল ও অহি। অন্য যেকোনো বিশ্বাস এই তিনটার মধ্যে পড়ে যায়। আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, আখিরাতের বিশ্বাস, আল্লাহর প্রেরিত অহির প্রতি বিশ্বাস। যখন আমরা বলি আল্লাহকে বিশ্বাস করি, এর মধ্যে আল্লাহর সব নাম, সব গুণ, কাজকে বোঝায়। যখন বলি, আখিরাতে বিশ্বাস, তার মধ্যে কবরের জীবন, বিচার দিবস, জান্নাত, জাহান্নাম—সব এসে যায়। তো এভাবে যদি চিন্তা করি, তাহলে বোঝা যায়, বিশ্বাসের এক-তৃতীয়াংশই হচ্ছে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। আর আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের কথাই বর্ণিত হয়েছে এই সুরাতে। আপনি যদি শুধু বোঝেন যে এই সুরাতে কী বলা হয়েছে, তাহলে দ্বীনের পথচলা শুরু করার মূলটা আপনি ধরতে পেরেছেন। সহিহ্ হাদিসে আছে, সুরা ইখলাস তিনবার পাঠ করলে এক খতম কোরআন তিলওয়াতের সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়া যায়।
সুরা ইখলাসে আল্লাহর ভালোবাসা লাভ
হজরত আয়েশা (রা.) থেকে এক রেওয়ায়েতে উল্লেখ আছে, এক যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ (সা.) এক ব্যক্তিকে আমির বা নেতা নিযুক্ত করে দেন, তিনি নামাজে ইমামতিকালে সুরা ফাতিহা ও অন্য সুরা শেষে প্রতি রাকাতেই সুরা ইখলাস পাঠ করতেন। যুদ্ধ থেকে ফিরে লোকেরা এ ব্যাপারে অভিযোগ করলে তিনি তাঁকে ডেকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করেন, নেতা উত্তর দেন যে এই সুরায় আল্লাহর পরিচয় পাই, তাই এই সুরাকে ভালোবাসি। এ কথা শুনে রাসুল (সা.) বললেন, তাহলে আল্লাহও তোমাকে ভালোবাসেন।
হজরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি তিনটি কাজ ইমানের সঙ্গে করতে পারবে জান্নাতের যেকোনো দরজা দিয়ে সে প্রবেশ করতে পারবে। (১) যে হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেবে। (২) যে ব্যক্তি গোপন ঋণ পরিশোধ করবে। (৩) এবং যে প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ১০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করবে (তাফসিরে কাসির)।
আল আহাদ একমাত্র আল্লাহর পরিচয়
আল্লাহর সদৃশ আর কোনো কিছুই নয়।
ইখলাস(একনিষ্ঠতা, আন্তরিকতা)ইবাদতের প্ৰাণ
আল-ইখলাস মানে "শুদ্ধতা" বা "আন্তরিকতা"। #ইখলাস একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটা ত্যাগ করা মহা বিপদের কারণ। কেননা আল্লাহ তায়ালা একমাত্র তাঁর জন্য নিবেদিত হওয়া ছাড়া অন্য কোনো আমল গ্রহণ করেন না। সঠিক নিয়ত, যা আন্তরিকতা, ইসলামে আমরা যা কিছু করি তার ভিত্তি। প্রতিটি ইবাদত, দান বা যে কোন নেক আমল এর পেছনের নিয়ত দ্বারা বিচার করা হবে। আল্লাহ আমাদের সকল কাজের আসল ও গোপন অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য জানেন এবং এই উদ্দেশ্যগুলো কেয়ামতের দিন প্রকাশ করা হবে। ইসলাম শান্তি ও আশীর্বাদের ধর্ম, এটি আমাদের আললাহর পরম একত্ব প্রচার করার পরামর্শ দেয়। আন্তরিকতা(ইখলাস হল মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য কাজ করার, বলা এবং কাজ করার জন্য আন্তরিক হওয়া। ইখলাস আমাদের ইসলামী শিক্ষারও মৌলিক দিক।
ইখলাস - আরবি ভাষায় একনিষ্ঠতা - প্রচলিতভাবে কুরআনের 112 তম সূরার নাম। এর আয়াতগুলি আললাহর অ বিভাজ্য একত্ব (তাওহিদ) ঘোষণা করে, যার ফলে ইসলামের ধর্মীয় চিন্তাধারা যে অক্ষের উপর চলে আসে তা প্রতিষ্ঠা করে।
সূরা ইখলাস তাওহিদের একটি সংক্ষিপ্ত ঘোষণা, আললাহর পরম একত্ব, চারটি আয়াত নিয়ে গঠিত। আল-ইখলাস মানে "বিশুদ্ধতা" বা "পরিশোধন"।
সূরা ইখলাস অনুবাদ
বলুন, সত্য হল আল্লাহ এক। আল্লাহর কাউকে প্রয়োজন নেই। তিনি কাউকে জন্ম দেননি, জন্মও দেননি। আর কখনোই তাঁর সাথে সমকক্ষ কেউ হয়নি।
youtube
youtube
youtube
youtube
 সূরা ইখলাস যিনি ভালোবাসবেন, তিনি জান্নাতে যাবেন। হাদিসে এসেছে, জনৈক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে এসে আরজ করলেন, আমি এই সূরাকে ভালোবাসি, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, সূরা ইখলাসের প্রতি ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে দাখিল করবে। (মুসনাদে আহমদ ৩/১৪১)
সুরা ইখলাস পাঠের ফজিলত গুলি কি কি ? ♥♥♥♥♥♥ (১) তিনবার সুরা ইখলাস পড়লে একবার ক্বুরআন খতম দেওয়ার সমান সওয়াব পাবেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুরা ইখলাস সম্পর্কে বলেছেন, “নিঃসন্দেহে এটা ক্বুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান।” মুসলিমঃ ৮১২, তিরমিযীঃ ২৮৯৯।
(২) সুরা ইখলাস দশবার পড়লে জান্নাতে প্রাসাদ পাবেন। নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি সুরা ইখলাস দশ বার পড়বে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ তৈরী করবেন, যে বিশ বার পড়বে তার জন্য দুইটি প্রাসাদ তৈরী করবেন, যে ত্রিশ বার পড়বে তার জন্য আল্লাহ তিনটি প্রাসাদ তৈরী করবেন।” দারিমীঃ ৩৪৯২, সিলসিলাহ সহীহাহঃ ৫৮৯।
(৩) বিশেষ করে রাতের বেলা সুরা ইখলাস পড়লে এটি মুস্তাহাব।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার সাহাবীদেরকে বললেন, “তোমরা কি রাতে এক তৃতীয়াংশ ক্বুরআন পড়তে পারনা”? প্রস্তাবটি সাহাবাদের জন্য কঠিন মনে হল। তাই তাঁরা বলে উঠলেন, “হে আল্লাহর রসুল! এই কাজ আমাদের মধ্যে কে করতে পারবে”? (অর্থাৎ কেউ পারবে না।) রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বললেন, “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ, আল্লাহুস স্বামাদ (সুরা ইখলাস) ক্বুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান।” (অর্থাৎ এই সুরা পড়লে এক তৃতীয়াংশ ক্বুরআন পড়ার সমান নেকী পাওয়া যাবে)। সহীহুল বুখারীঃ ৫০১৫, নাসায়ীঃ ৯৯৫, আবু দাউদ ১৪৬১, আহমাদ ১০৬৬৯।
(৪) সুরা ইখলাসকে ভালোবাসলে, এই ভালোবাসা আপনাকে জান্নাতে নিয়ে যাবেঃ
এক সাহাবী এসে বলল, “হে আল্লাহর রসূল! আমি এই (সুরা) ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদকে ভালবাসি”। তিনি বললেন, “এর ভালবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।” বুখারীর ৭৭৪নং হাদীসের পরবর্তী অধ্যায়, তিরমিযী ২৯০১, আহমাদ ১২০২৪
আল্লাহ আমাদের অন্তর আর আমলগুলোতে ইখলাস এনে দিন। আমিন।
youtube
ইসলামে আল্লাহর পরিচয়।
youtube
সূরা ইখলাসের কথা। ভগবত গীতা থেকে বের করে দিলেন ডক্টর জাকির নায়েক
youtube
সূরা ইখলাস দিয়ে সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে জানা যায়
youtube
সূরা ইখলাস দিয়ে সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে জানা যায়।
youtube
আল্লাহর পরিচয় আছে
সুরা আল ইখলাসে
0 notes
allahisourrabb · 11 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
কুরআনের সূরা ইখলাস কি?
এই সূরাটি বিভিন্ন উপাধি লাভকারীদের মধ্যে ছিল। এটি তাওহিদের একটি সংক্ষিপ্ত ঘোষণা, ঈশ্বরের পরম একত্ব, চারটি আয়াত নিয়ে গঠিত । আল-ইখলাস মানে "বিশুদ্ধতা" বা "পরিশোধন"।
কোন সূরায় আল্লাহ নিজের বর্ণনা দিয়েছেন?
সূরা ইখলাসে (তোহীদ) আল্লাহ নিজেকে বর্ণনা করেছেন। পরম করুণাময়, করুণাময় আল্লাহর নামে। বলুন, তিনিই আল্লাহ, এক।
সুরা আল ইখলাসে আছে আল্লাহর পরিচয়
কোনো কিছুই আল্লাহর মতো নয়
আল্লাহর পরিচয় আছে
সুরা আল ইখলাসে
সুরা ইখলাস কোরআনের ১১২ নম্বর সুরা। এই সুরাতে আল্লাহ তাআলার অস্তিত্ব ও সত্তার সবচেয়ে সুন্দর ব্যাখ্যা রয়েছে। এটি কোরআনের অন্যতম ছোট সুরা হিসেবেও বিবেচিত হয়ে থাকে। তবে এই সুরা কোরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান বলা হয়। ইখলাস অর্থ গভীর অনুরাগ, একনিষ্ঠতা, নিরেট বিশ্বাস, খাঁটি আনুগত্য। শিরক থেকে মুক্ত হয়ে তওহিদ বা এক আল্লাহর ওপর খাঁটি ও নিরেট বিশ্বাসী হওয়াকে ইখলাস বলা হয়।
সুরা ইখলাস অবতীর্ণ হওয়ার কারণ
অবিশ্বাসীরা হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে আল্লাহর বংশপরিচয় জিজ্ঞেস করেছিল, যার জবাবে এই সুরা নাজিল হয়। কোনো কোনো রেওয়ায়েতে আছে যে তারা আরও প্রশ্ন করেছিল, আল্লাহ তাআলা কিসের তৈরি—স্বর্ণ-রৌপ্য অথবা অন্য কিছুর? এর জবাবে সুরাটি অবতীর্ণ হয়েছে।
সুরা ইখলাসের আমলে জান্নাত লাভ
সুরা ইখলাসের ফজিলত অনেক। সুরা ইখলাস যিনি ভালোবাসবেন, তিনি জান্নাতে যাবেন। হাদিসে এসেছে, জনৈক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে আরজ করলেন, আমি এই সুরাকে ভালোবাসি, রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, সুরা ইখলাসের প্রতি ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে দাখিল করবে। (মুসনাদে আহমদ ৩/১৪১)
সুরা ইখলাসের ফজিলত
কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ: হাদিসে এসেছে, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, তোমরা সবাই একত্র হয়ে যাও, আমি তোমাদের কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ শোনাব। এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) সুরা ইখলাস পাঠ করলেন। (মুসলিম, তিরমিজি)
বিপদে-আপদে উপকারী: হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি সকাল-বিকেল সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস পাঠ করে, তাকে বালা-মুসিবত থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট হয়। (আবু দাউদ, তিরমিজি, নাসায়ি)
রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘুমানোর আগে কুলহু আল্লাহু আহাদ, কুল আউযু রাব্বিল ফালাক, কুল আউযু বিরাব্বিন নাস পড়ার কথা বলেন। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন বিছানায় ঘুমানোর জন্য যেতেন, তখন তিনি তাঁর দুই হাতের তালু একত্র করতেন, তারপর সেখানে সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও নাস পড়ে ফুঁ দিতেন। এরপর দুই হাতের তালু দিয়ে শরীরে যতটুকু সম্ভব হাত বুলিয়ে দিতেন। এভাবে তিনবার করতেন। (বুখারি, আবু দাউদ, তিরমিজি)
সুরা ইখলাসের অর্থ
বলো, তিনি আল্লাহ যিনি অদ্বিতীয়
আল্লাহ সবার নির্ভর স্থল
তিনি কাউকে জন্ম দেননি ও তাকেঁ কেউ জন্ম দেয়নি
আর তাঁর সমতুল্য কেউ নেই।
সুরা ইখলাস তওহিদের ভিত্তি
ইসলামের মূল জিনিসটাই হচ্ছে তওহিদ। এ সুরায় শেখানো হয়, আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। তিনি কাউকে জন্ম দেননি, তিনি কারও থেকে জন্ম নেননি, কোনো কিছুর সমতুল্য নন তিনি। কোরআন শরিফ আমাদের তিনটি মৌলিক জিনিস শেখায়—তওহিদ, আখিরাত ও রিসালাত। অর্থাৎ আল্লাহ, পরকাল ও অহি। অন্য যেকোনো বিশ্বাস এই তিনটার মধ্যে পড়ে যায়। আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, আখিরাতের বিশ্বাস, আল্লাহর প্রেরিত অহির প্রতি বিশ্বাস। যখন আমরা বলি আল্লাহকে বিশ্বাস করি, এর মধ্যে আল্লাহর সব নাম, সব গুণ, কাজকে বোঝায়। যখন বলি, আখিরাতে বিশ্বাস, তার মধ্যে কবরের জীবন, বিচার দিবস, জান্নাত, জাহান্নাম—সব এসে যায়। তো এভাবে যদি চিন্তা করি, তাহলে বোঝা যায়, বিশ্বাসের এক-তৃতীয়াংশই হচ্ছে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। আর আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের কথাই বর্ণিত হয়েছে এই সুরাতে। আপনি যদি শুধু বোঝেন যে এই সুরাতে কী বলা হয়েছে, তাহলে দ্বীনের পথচলা শুরু করার মূলটা আপনি ধরতে পেরেছেন। সহিহ্ হাদিসে আছে, সুরা ইখলাস তিনবার পাঠ করলে এক খতম কোরআন তিলওয়াতের সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়া যায়।
সুরা ইখলাসে আল্লাহর ভালোবাসা লাভ
হজরত আয়েশা (রা.) থেকে এক রেওয়ায়েতে উল্লেখ আছে, এক যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ (সা.) এক ব্যক্তিকে আমির বা নেতা নিযুক্ত করে দেন, তিনি নামাজে ইমামতিকালে সুরা ফাতিহা ও অন্য সুরা শেষে প্রতি রাকাতেই সুরা ইখলাস পাঠ করতেন। যুদ্ধ থেকে ফিরে লোকেরা এ ব্যাপারে অভিযোগ করলে তিনি তাঁকে ডেকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করেন, নেতা উত্তর দেন যে এই সুরায় আল্লাহর পরিচয় পাই, তাই এই সুরাকে ভালোবাসি। এ কথা শুনে রাসুল (সা.) বললেন, তাহলে আল্লাহও তোমাকে ভালোবাসেন।
হজরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি তিনটি কাজ ইমানের সঙ্গে করতে পারবে জান্নাতের যেকোনো দরজা দিয়ে সে প্রবেশ করতে পারবে। (১) যে হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেবে। (২) যে ব্যক্তি গোপন ঋণ পরিশোধ করবে। (৩) এবং যে প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ১০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করবে (তাফসিরে কাসির)।
আল আহাদ একমাত্র আল্লাহর পরিচয়
আল্লাহর সদৃশ আর কোনো কিছুই নয়।
ইখলাস(একনিষ্ঠতা, আন্তরিকতা)ইবাদতের প্ৰাণ
আল-ইখলাস মানে "শুদ্ধতা" বা "আন্তরিকতা"। #ইখলাস একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটা ত্যাগ করা মহা বিপদের কারণ। কেননা আল্লাহ তায়ালা একমাত্র তাঁর জন্য নিবেদিত হওয়া ছাড়া অন্য কোনো আমল গ্রহণ ��রেন না। সঠিক নিয়ত, যা আন্তরিকতা, ইসলামে আমরা যা কিছু করি তার ভিত্তি। প্রতিটি ইবাদত, দান বা যে কোন নেক আমল এর পেছনের নিয়ত দ্বারা বিচার করা হবে। আল্লাহ আমাদের সকল কাজের আসল ও গোপন অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য জানেন এবং এই উদ্দেশ্যগুলো কেয়ামতের দিন প্রকাশ করা হবে। ইসলাম শান্তি ও আশীর্বাদের ধর্ম, এটি আমাদের আললাহর পরম একত্ব প্রচার করার পরামর্শ দেয়। আন্তরিকতা(ইখলাস হল মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য কাজ করার, বলা এবং কাজ করার জন্য আন্তরিক হওয়া। ইখলাস আমাদের ইসলামী শিক্ষারও মৌলিক দিক।
ইখলাস - আরবি ভাষায় একনিষ্ঠতা - প্রচলিতভাবে কুরআনের 112 তম সূরার নাম। এর আয়াতগুলি আললাহর অ বিভাজ্য একত্ব (তাওহিদ) ঘোষণা করে, যার ফলে ইসলামের ধর্মীয় চিন্তাধারা যে অক্ষের উপর চলে আসে তা প্রতিষ্ঠা করে।
সূরা ইখলাস তাওহিদের একটি সংক্ষিপ্ত ঘোষণা, আললাহর পরম একত্ব, চারটি আয়াত নিয়ে গঠিত। আল-ইখলাস মানে "বিশুদ্ধতা" বা "পরিশোধন"।
সূরা ইখলাস অনুবাদ
বলুন, সত্য হল আল্লাহ এক। আল্লাহর কাউকে প্রয়োজন নেই। তিনি কাউকে জন্ম দেননি, জন্মও দেননি। আর কখনোই তাঁর সাথে সমকক্ষ কেউ হয়নি।
youtube
youtube
youtube
youtube
 সূরা ইখলাস যিনি ভালোবাসবেন, তিনি জান্নাতে যাবেন। হাদিসে এসেছে, জনৈক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে এসে আরজ করলেন, আমি এই সূরাকে ভালোবাসি, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, সূরা ইখলাসের প্রতি ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে দাখিল করবে। (মুসনাদে আহমদ ৩/১৪১)
সুরা ইখলাস পাঠের ফজিলত গুলি কি কি ? ♥♥♥♥♥♥ (১) তিনবার সুরা ইখলাস পড়লে একবার ক্বুরআন খতম দেওয়ার সমান সওয়াব পাবেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুরা ইখলাস সম্পর্কে বলেছেন, “নিঃসন্দেহে এটা ক্বুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান।” মুসলিমঃ ৮১২, তিরমিযীঃ ২৮৯৯।
(২) সুরা ইখলাস দশবার পড়লে জান্নাতে প্রাসাদ পাবেন। নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি সুরা ইখলাস দশ বার পড়বে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ তৈরী করবেন, যে বিশ বার পড়বে তার জন্য দুইটি প্রাসাদ তৈরী করবেন, যে ত্রিশ বার পড়বে তার জন্য আল্লাহ তিনটি প্রাসাদ তৈরী করবেন।” দারিমীঃ ৩৪৯২, সিলসিলাহ সহীহাহঃ ৫৮৯।
(৩) বিশেষ করে রাতের বেলা সুরা ইখলাস পড়লে এটি মুস্তাহাব।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার সাহাবীদেরকে বললেন, “তোমরা কি রাতে এক তৃতীয়াংশ ক্বুরআন পড়তে পারনা”? প্রস্তাবটি সাহাবাদের জন্য কঠিন মনে হল। তাই তাঁরা বলে উঠলেন, “হে আল্লাহর রসুল! এই কাজ আমাদের মধ্যে কে করতে পারবে”? (অর্থাৎ কেউ পারবে না।) রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বললেন, “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ, আল্লাহুস স্বামাদ (সুরা ইখলাস) ক্বুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান।” (অর্থাৎ এই সুরা পড়লে এক তৃতীয়াংশ ক্বুরআন পড়ার সমান নেকী পাওয়া যাবে)। সহীহুল বুখারীঃ ৫০১৫, নাসায়ীঃ ৯৯৫, আবু দাউদ ১৪৬১, আহমাদ ১০৬৬৯।
(৪) সুরা ইখলাসকে ভালোবাসলে, এই ভালোবাসা আপনাকে জান্নাতে নিয়ে যাবেঃ
এক সাহাবী এসে বলল, “হে আল্লাহর রসূল! আমি এই (সুরা) ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদকে ভালবাসি”। তিনি বললেন, “এর ভালবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।” বুখারীর ৭৭৪নং হাদীসের পরবর্তী অধ্যায়, তিরমিযী ২৯০১, আহমাদ ১২০২৪
আল্লাহ আমাদের অন্তর আর আমলগুলোতে ইখলাস এনে দিন। আমিন।
youtube
ইসলামে আল্লাহর প��িচয়।
youtube
সূরা ইখলাসের কথা। ভগবত গীতা থেকে বের করে দিলেন ডক্টর জাকির নায়েক
youtube
সূরা ইখলাস দিয়ে সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে জানা যায়
youtube
সূরা ইখলাস দিয়ে সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে জানা যায়।
youtube
আল্লাহর পরিচয় আছে
সুরা আল ইখলাসে
0 notes
mylordisallah · 11 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
কুরআনের সূরা ইখলাস কি?
এই সূরাটি বিভিন্ন উপাধি লাভকারীদের মধ্যে ছিল। এটি তাওহিদের একটি সংক্ষিপ্ত ঘোষণা, ঈশ্বরের পরম একত্ব, চারটি আয়াত নিয়ে গঠিত । আল-ইখলাস মানে "বিশুদ্ধতা" বা "পরিশোধন"।
কোন সূরায় আল্লাহ নিজের বর্ণনা দিয়েছেন?
সূরা ইখলাসে (তোহীদ) আল্লাহ নিজেকে বর্ণনা করেছেন। পরম করুণাময়, করুণাময় আল্লাহর নামে। বলুন, তিনিই আল্লাহ, এক।
সুরা আল ইখলাসে আছে আল্লাহর পরিচয়
কোনো কিছুই আল্লাহর মতো নয়
আল্লাহর পরিচয় আছে
সুরা আল ইখলাসে
সুরা ইখলাস কোরআনের ১১২ নম্বর সুরা। এই সুরাতে আল্লাহ তাআলার অস্তিত্ব ও সত্তার সবচেয়ে সুন্দর ব্যাখ্যা রয়েছে। এটি কোরআনের অন্যতম ছোট সুরা হিসেবেও বিবেচিত হয়ে থাকে। তবে এই সুরা কোরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান বলা হয়। ইখলাস অর্থ গভীর অনুরাগ, একনিষ্ঠতা, নিরেট বিশ্বাস, খাঁটি আনুগত্য। শিরক থেকে মুক্ত হয়ে তওহিদ বা এক আল্লাহর ওপর খাঁটি ও নিরেট বিশ্বাসী হওয়াকে ইখলাস বলা হয়।
সুরা ইখলাস অবতীর্ণ হওয়ার কারণ
অবিশ্বাসীরা হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে আল্লাহর বংশপরিচয় জিজ্ঞেস করেছিল, যার জবাবে এই সুরা নাজিল হয়। কোনো কোনো রেওয়ায়েতে আছে যে তারা আরও প্রশ্ন করেছিল, আল্লাহ তাআলা কিসের তৈরি—স্বর্ণ-রৌপ্য অথবা অন্য কিছুর? এর জবাবে সুরাটি অবতীর্ণ হয়েছে।
সুরা ইখলাসের আমলে জান্নাত লাভ
সুরা ইখলাসের ফজিলত অনেক। সুরা ইখলাস যিনি ভালোবাসবেন, তিনি জান্নাতে যাবেন। হাদিসে এসেছে, জনৈক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে আরজ করলেন, আমি এই সুরাকে ভালোবাসি, রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, সুরা ইখলাসের প্রতি ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে দাখিল করবে। (মুসনাদে আহমদ ৩/১৪১)
সুরা ইখলাসের ফজিলত
কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ: হাদিসে এসেছে, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, তোমরা সবাই একত্র হয়ে যাও, আমি তোমাদের কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ শোনাব। এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) সুরা ইখলাস পাঠ করলেন। (মুসলিম, তিরমিজি)
বিপদে-আপদে উপকারী: হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি সকাল-বিকেল সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস পাঠ করে, তাকে বালা-মুসিবত থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট হয়। (আবু দাউদ, তিরমিজি, নাসায়ি)
রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘুমানোর আগে কুলহু আল্লাহু আহাদ, কুল আউযু রাব্বিল ফালাক, কুল আউযু বিরাব্বিন নাস পড়ার কথা বলেন। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন বিছানায় ঘুমানোর জন্য যেতেন, তখন তিনি তাঁর দুই হাতের তালু একত্র করতেন, তারপর সেখানে সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও নাস পড়ে ফুঁ দিতেন। এরপর দুই হাতের তালু দিয়ে শরীরে যতটুকু সম্ভব হাত বুলিয়ে দিতেন। এভাবে তিনবার করতেন। (বুখারি, আবু দাউদ, তিরমিজি)
সুরা ইখলাসের অর্থ
বলো, তিনি আল্লাহ যিনি অদ্বিতীয়
আল্লাহ সবার নির্ভর স্থল
তিনি কাউকে জন্ম দেননি ও তাকেঁ কেউ জন্ম দেয়নি
আর তাঁর সমতুল্য কেউ নেই।
সুরা ইখলাস তওহিদের ভিত্তি
ইসলামের মূল জিনিসটাই হচ্ছে তওহিদ। এ সুরায় শেখানো হয়, আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। তিনি কাউকে জন্ম দেননি, তিনি কারও থেকে জন্ম নেননি, কোনো কিছুর সমতুল্য নন তিনি। কোরআন শরিফ আমাদের তিনটি মৌলিক জিনিস শেখায়—তওহিদ, আখিরাত ও রিসালাত। অর্থাৎ আল্লাহ, পরকাল ও অহি। অন্য যেকোনো বিশ্বাস এই তিনটার মধ্যে পড়ে যায়। আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, আখিরাতের বিশ্বাস, আল্লাহর প্রেরিত অহির প্রতি বিশ্বাস। যখন আমরা বলি আল্লাহকে বিশ্বাস করি, এর মধ্যে আল্লাহর সব নাম, সব গুণ, কাজকে বোঝায়। যখন বলি, আখিরাতে বিশ্বাস, তার মধ্যে কবরের জীবন, বিচার দিবস, জান্নাত, জাহান্নাম—সব এসে যায়। তো এভাবে যদি চিন্তা করি, তাহলে বোঝা যায়, বিশ্বাসের এক-তৃতীয়াংশই হচ্ছে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। আর আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের কথাই বর্ণিত হয়েছে এই সুরাতে। আপনি যদি শুধু বোঝেন যে এই সুরাতে কী বলা হয়েছে, তাহলে দ্বীনের পথচলা শুরু করার মূলটা আপনি ধরতে পেরেছেন। সহিহ্ হাদিসে আছে, সুরা ইখলাস তিনবার পাঠ করলে এক খতম কোরআন তিলওয়াতের সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়া যায়।
সুরা ইখলাসে আল্লাহর ভালোবাসা লাভ
হজরত আয়েশা (রা.) থেকে এক রেওয়ায়েতে উল্লেখ আছে, এক যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ (সা.) এক ব্যক্তিকে আমির বা নেতা নিযুক্ত করে দেন, তিনি নামাজে ইমামতিকালে সুরা ফাতিহা ও অন্য সুরা শেষে প্রতি রাকাতেই সুরা ইখলাস পাঠ করতেন। যুদ্ধ থেকে ফিরে লোকেরা এ ব্যাপারে অভিযোগ করলে তিনি তাঁকে ডেকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করেন, নেতা উত্তর দেন যে এই সুরায় আল্লাহর পরিচয় পাই, তাই এই সুরাকে ভালোবাসি। এ কথা শুনে রাসুল (সা.) বললেন, তাহলে আল্লাহও তোমাকে ভালোবাসেন।
হজরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি তিনটি কাজ ইমানের সঙ্গে করতে পারবে জান্নাতের যেকোনো দরজা দিয়ে সে প্রবেশ করতে পারবে। (১) যে হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেবে। (২) যে ব্যক্তি গোপন ঋণ পরিশোধ করবে। (৩) এবং যে প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ১০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করবে (তাফসিরে কাসির)।
আল আহাদ একমাত্র আল্লাহর পরিচয়
আল্লাহর সদৃশ আর কোনো কিছুই নয়।
ইখলাস(একনিষ্ঠতা, আন্তরিকতা)ইবাদতের প্ৰাণ
আল-ইখলাস মানে "শুদ্ধতা" বা "আন্তরিকতা"। #ইখলাস একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটা ত্যাগ করা মহা বিপদের কারণ। কেননা আল্লাহ তায়ালা একমাত্র তাঁর জন্য নিবেদিত হওয়া ছাড়া অন্য কোনো আমল গ্রহণ করেন না। সঠিক নিয়ত, যা আন্তরিকতা, ইসলামে আমরা যা কিছু করি তার ভিত্তি। প্রতিটি ইবাদত, দান বা যে কোন নেক আমল এর পেছনের নিয়ত দ্বারা বিচার করা হবে। আল্লাহ আমাদের সকল কাজের আসল ও গোপন অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য জানেন এবং এই উদ্দেশ্যগুলো কেয়ামতের দিন প্রকাশ করা হবে। ইসলাম শান্তি ও আশীর্বাদের ধর্ম, এটি আমাদের আললাহর পরম একত্ব প্রচার করার পরামর্শ দেয়। আন্তরিকতা(ইখলাস হল মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য কাজ করার, বলা এবং কাজ করার জন্য আন্তরিক হওয়া। ইখলাস আমাদের ইসলামী শিক্ষারও মৌলিক দিক।
ইখলাস - আরবি ভাষায় একনিষ্ঠতা - প্রচলিতভাবে কুরআনের 112 তম সূরার নাম। এর আয়াতগুলি আললাহর অ বিভাজ্য একত্ব (তাওহিদ) ঘোষণা করে, যার ফলে ইসলামের ধর্মীয় চিন্তাধারা যে অক্ষের উপর চলে আসে তা প্রতিষ্ঠা করে।
সূরা ইখলাস তাওহিদের একটি সংক্ষিপ্ত ঘোষণা, আললাহর পরম একত্ব, চারটি আয়াত নিয়ে গঠিত। আল-ইখলাস মানে "বিশুদ্ধতা" বা "পরিশোধন"।
সূরা ইখলাস অনুবাদ
বলুন, সত্য হল আল্লাহ এক। আল্লাহর কাউকে প্রয়োজন নেই। তিনি কাউকে জন্ম দেননি, জন্মও দেননি। আর কখনোই তাঁর সাথে সমকক্ষ কেউ হয়নি।
youtube
youtube
youtube
youtube
 সূরা ইখলাস যিনি ভালোবাসবেন, তিনি জান্নাতে যাবেন। হাদিসে এসেছে, জনৈক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে এসে আরজ করলেন, আমি এই সূরাকে ভালোবাসি, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, সূরা ইখলাসের প্রতি ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে দাখিল করবে। (মুসনাদে আহমদ ৩/১৪১)
সুরা ইখলাস পাঠের ফজিলত গুলি কি কি ? ♥♥♥♥♥♥ (১) তিনবার সুরা ইখলাস পড়লে একবার ক্বুরআন খতম দেওয়ার সমান সওয়াব পাবেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুরা ইখলাস সম্পর্কে বলেছেন, “নিঃসন্দেহে এটা ক্বুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান।” মুসলিমঃ ৮১২, তিরমিযীঃ ২৮৯৯।
(২) সুরা ইখলাস দশবার পড়লে জান্নাতে প্রাসাদ পাবেন। নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি সুরা ইখলাস দশ বার পড়বে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ তৈরী করবেন, যে বিশ বার পড়বে তার জন্য দুইটি প্রাসাদ তৈরী করবেন, যে ত্রিশ বার পড়বে তার জন্য আল্লাহ তিনটি প্রাসাদ তৈরী করবেন।” দ��রিমীঃ ৩৪৯২, সিলসিলাহ সহীহাহঃ ৫৮৯।
(৩) বিশেষ করে রাতের বেলা সুরা ইখলাস পড়লে এটি মুস্তাহাব।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার সাহাবীদেরকে বললেন, “তোমরা কি রাতে এক তৃতীয়াংশ ক্বুরআন পড়তে পারনা”? প্রস্তাবটি সাহাবাদের জন্য কঠিন মনে হল। তাই তাঁরা বলে উঠলেন, “হে আল্লাহর রসুল! এই কাজ আমাদের মধ্যে কে করতে পারবে”? (অর্থাৎ কেউ পারবে না।) রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বললেন, “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ, আল্লাহুস স্বামাদ (সুরা ইখলাস) ক্বুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান।” (অর্থাৎ এই সুরা পড়লে এক তৃতীয়াংশ ক্বুরআন পড়ার সমান নেকী পাওয়া যাবে)। সহীহুল বুখারীঃ ৫০১৫, নাসায়ীঃ ৯৯৫, আবু দাউদ ১৪৬১, আহমাদ ১০৬৬৯।
(৪) সুরা ইখলাসকে ভালোবাসলে, এই ভালোবাসা আপনাকে জান্নাতে নিয়ে যাবেঃ
এক সাহাবী এসে বলল, “হে আল্লাহর রসূল! আমি এই (সুরা) ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদকে ভালবাসি”। তিনি বললেন, “এর ভালবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।” বুখারীর ৭৭৪নং হাদীসের পরবর্তী অধ্যায়, তিরমিযী ২৯০১, আহমাদ ১২০২৪
আল্লাহ আমাদের অন্তর আর আমলগুলোতে ইখলাস এনে দিন। আমিন।
youtube
ইসলামে আল্লাহর পরিচয়।
youtube
সূরা ইখলাসের কথা। ভগবত গীতা থেকে বের করে দিলেন ডক্টর জাকির নায়েক
youtube
সূরা ইখলাস দিয়ে সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে জানা যায়
youtube
সূরা ইখলাস দিয়ে সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে জানা যায়।
youtube
আল্লাহর পরিচয় আছে
সুরা আল ইখলাসে
Allah'sIdentity
In Surah Al Ikhlas
0 notes