বিরিয়ানি রেসিপি: মুরগি এবং মাটন বাদ দিয়ে, এই বিরিয়ানিটি একদিন করুন, এটি খেলে আপনার মুখে জল আসবে
বিরিয়ানি রেসিপি: মুরগি এবং মাটন বাদ দিয়ে, এই বিরিয়ানিটি একদিন করুন, এটি খেলে আপনার মুখে জল আসবে
বিরিয়ানি রেসিপিঃ বিরিয়ানি যার পরিচয় শুনলেই সবার মুখে জল আসে। হায়দ্রাবাদ থেকে দিল্লি এবং লক্ষ্ণৌ, বিরিয়ানি সারা ভারত জুড়ে রয়েছে। মোরগ বিরিয়ানি হোক বা মাটন বিরিয়ানি বা ভেজ বিরিয়ানি, সব ধরনের বিরিয়ানি ভারতের লোকেরা প্রশংসা করে। এমন পরিস্থিতিতে, অবিলম্বে আমরা এখন আপনার জন্য একটি আলাদা ধরণের বিরিয়ানির রেসিপি নিয়ে এসেছি, যার স্টাইল এই সমস্ত বিরিয়ানি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। অবশ্যই, অবিলম্বে…
View On WordPress
0 notes
জ্বিন, যাদু ও অন্যান্য অনিষ্ট থেকে বাঁচার আমল
জ্বিন, যাদু, বিষ ও অন্যান্য ক্ষতি থেকে বাঁচতে সকাল-সন্ধ্যার আমল….❒ ১. বিষ, যাদু এবং অন্যান্য ক্ষতি থেকে বাঁচতে সকাল-সন্ধ্যায় এই দো’আটি তিনবার পড়তে হবে। (জামে তিরমিযী, ৩৫৫৯).أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَউচ্চারণঃ আ’উযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত্তা-ম্মা-তি, মিং-শাররি মা-খলাক্ব।.❒ ২. যে ব্যক্তি সকালে তিনবার এবং বিকালে তিনবার এই দো’আটি পড়বে, কোন কিছু তার ক্ষতি করতে পারবে না।…
View On WordPress
0 notes
তাওবার গুরুত্ব ও ফজিলত
তওবা সম্পর্কে কোরআনে রয়েছে, 'হে ইমানদাররা, তোমরা আল্লাহর কাছে খাঁটি তওবা করো, আশা করা যায় তোমাদের রব তোমাদের পাপগুলো মোচন করবেন এবং তোমাদের এমন জান্নাতগুলোয় প্রবেশ করাবেন, যার তলদেশে ঝরনাগুলো প্রবহমান। ' (সুরা-৬৬ তাহরিম, আয়াত: ৮)। 'নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তওবাকারীদের ও পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন।
Makkah Witr
https://www.youtube.com/watch?v=eL2UhxVtW-Y
Dua Al Qunoot by Sheikh Juhany
https://www.youtube.com/watch?v=vlNNqBBj4dU&t=9s
Qunoot E Naazilah
https://www.youtube.com/watch?v=WjPs4qAc9O0
১. আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীতে মানবজাতি সৃষ্টি করার সাথে সাথে দু’টি জিনিস ও সৃষ্টি করেছেন। একটি ‘আমলে সালিহ’ তথা : শুভ কাজ, অপরটি ‘বদ-আমল’ তথা মন্দ কাজ।
‘আমলে সালিহ’ বা ভালো কাজের ক্ষেত্রে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আপন বান্দাহকে তার আমলের পরিমাণের চেয়েও বেশি প্রতিদান দেন। কারণ, তিনি যে রাহিম!
অপর দিকে ‘বদ-আমল’ বা খারাপ কাজের ক্ষেত্রে এর উল্টো। যে পরিমাণ খারাপ কাজ হয়ে গেছে কেবল সে পরিমাণই তাকে শাস্তি দেয়া হয়। কারণ, তিনি যে আহকামুল হাকিমিন!
২. ভালো কাজের জন্য যেরূপ পরপারে রয়েছে মহাসুখ ঠিক তেমনি মন্দ কাজের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি ।
আর সেই কঠিন শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য রাব্বুল আলামিন মুমিনদের জন্য একটি পথ বাতলে দিয়েছেন; তাওবা।
পাপ-পঙ্কিলতা যেমন মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ তেমনি তাওবাও মনুষ্য জাতির জীবনের অবিচ্ছেদ্য এক অংশ।
৩. তাওবার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে রাজি করিয়ে নিজের পাপ মোচন করানো ।
কোনো মুমিনের প্রতি যদি স্বয়ং আল্লাহ্ খুশি থাকেন, তাহলে তার জীবনে আর কী চাই! তাওবা করলে আল্লাহ্ তায়ালা খুশি হন।
আল্লাহর খুশির বর্ণনা দিতে গিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিস শরিফে ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহ তাঁর বান্দার তাওবায় খুব বেশি খুশি হন। যখন সে (বান্দা) তাওবা করে; আল্লাহ সেই ব্যক্তির চেয়েও বেশি খুশি হন যার আরোহণের বাহনটি থাকে নির্জন এক মরুভূমিতে; যে বাহনে তার যাবতীয় খাদ্য-পানীয় থাকে, অনন্তর সেই বাহনটি (কোথাও) পালিয়ে যায়। তখন সে (মরু-আরোহী) বাহনটির প্রাপ্তির ব্যাপারে নিরাশ হয়ে একটা বৃক্ষের ছায়ায় এসে শুয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় অকস্মাৎ সে তার বাহনটিকে তার কাছে দণ্ডায়মান দেখতে পায়! আর সে বাহনটির লাগাম ধরে আনন্দের আতিশয্যে বলে উঠে, ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার গোলাম, আমি তোমার খোদা!’ (সহিহ মুসলিম-তাওবা অধ্যায়)
৪. স্বভাবত একজন মুমিন কখনো এমনটি বলতে পারে না; কল্পনাও করা যায় না। স্ব-জ্ঞানে তো নয়ই, অজ্ঞাতেও এমনটি বলা বড় কঠিন। খেয়াল করে দেখুন তো, সেই আরোহী তবে কতটা খুশি হয়েছে!
আর খুশি হবেইবা না কেন, যেখানে সে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে ছিল। সেই ব্যক্তির খুশির পরিমাপ করে দেখা গেলে অন্য শত মানুষের খুশির চেয়ে তার খুশির পাল্লা ভারী হবে। আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন তাঁর বান্দা যখন অনুতপ্ত হয়ে মহান রবের কাছে তাওবা করে তখন ওই ব্যক্তির চেয়েও বেশি খুশি হন। আল্লাহু আকবার!
আল্লাহ আমাদের সবাইকে বেশি বেশি তাওবা করার তাওফিক দিন। আমিন।
ইস্তিগফারের পার্থিব ও অপার্থিব অনেক ফজিলত আছে
ইস্তিগফার হতাশা ও দুশ্চিন্তা দূর করেবলেন, যে ব্যক্তি তার পাপাচারের জন্য ইস্তিগফারের মাধ্যমে নিয়মিত আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা চাইবে, আল্লাহ তাআলা তার দারিদ্র্য ঘুচিয়ে দেবেন। তাকে সব বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করে সচ্ছলতা ও নিরাপত্তা দান করবেন। সে আল্লাহর রহমতে এমন উৎস থেকে রিজিকপ্রাপ্ত হবে, যা সে চিন্তাও করেনি।
ইস্তিগফারের যত ফজিলত
গুনাহ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করার নামই ইস্তিগফার। মানুষ যতই গুনাহ করুক, মহান আল্লাহর কাছে একনিষ্ঠচিত্তে ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহ তা ক্ষমা করেন। ইস্তিগফারের পার্থিব ও অপার্থিব অনেক ফজিলত আছে। নুহ (আ.)-এর দাওয়াত সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি বলেছি, তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, তিনি তো মহাপরাক্রমশালী।
তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত করবেন। তিনি তোমাদের সম্পদ, সন্তান দিয়ে সমৃদ্ধ করবেন এবং তোমাদের জন্য উদ্যান ও প্রবাহিত নদ-নদী স্থাপন করবেন।’ (সুরা : নুহ, আয়াত : ১০-১২)
অতীত ও বর্তমানের তাওবা : প্রকৃত ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে তাওবা সম্পন্ন হয়। এর একটি অপরটির পরিপূরক।
আল্লামা ইবনুল কায়্যিম (রহ.) বলেন, দুই ধরনের গুনাহ আছে। এক ধরনের গুনাহ অতীতে সংঘটিত হয়েছে। এর ইস্তিগফার হলো, গুনাহর অনিষ্টতা থেকে পরিত্রাণ চাওয়া। আরেক ধরনের গুনাহ, যা ভবিষ্যতে হওয়ার আশঙ্কা আছে।
এর তাওবা হলো, তা আগামী দিনে না করার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা করা। তা ছাড়া তাওবার মাধ্যমে অগাধ কল্যাণ লাভ হয়। (মাদারিজুস সালিকিন : ১/৩০৮)
ইস্তিগফার সব সময়ের আমল : মানুষ যেকোনো সময় পাপ করতে পারে। তাই সর্বদা ইস্তিগফার করা চাই। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে আমার বান্দারা, তোমরা রাতে-দিনে পাপাচারে লিপ্ত থাকো।
আমি তোমাদের সবার গুনাহ ক্ষমা করি। অতএব তোমরা আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, আমি তোমাদের ক্ষমা করব।’ (মুসলিম)
ক্ষমা প্রার্থনার পুরস্কার জান্নাত : আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তোমাদের রবের ক্ষমার দিকে অগ্রসর হও এবং ওই জান্নাতের দিকে, যার প্রশস্ততা আকাশ ও পৃথিবীর মতো, যা তাদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে, যারা আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি ঈমান এনেছে। তা আল্লাহর অনুগ্রহ, তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে তা প্রদান করেন।’ (সুরা : হাদিদ, আয়াত : ২০)
আল্লাহ ক্ষমা প্রার্থনাকারীকে ভালোবাসেন : মানুষ আল্লাহর অবাধ্য হয়ে পাপ করতে পারে। তবে পাপকাজ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করা সবার জন্য জরুরি। অপর হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘ওই সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ, যদি তোমরা গুনাহ না করো, তাহলে আল্লাহ তোমাদের নিয়ে যাবেন এবং এমন জাতি আনবেন, যারা গুনাহ করবে, অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে। আর তিনি তাদের ক্ষমা করবেন।’ (মুসনাদে আহমদ ও মুসলিম)
ক্ষমা প্রার্থনার সঙ্গে চাই দৃঢ়তা : আল্লাহর সব ধরনের দুঃখ-কষ্ট সহ্য করেও মুমিনরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। মুমিনদের গুণাবলি বর্ণনা করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের একমাত্র কথা ছিল, হে আমাদের রব, আমাদের পাপ ও আমাদের কাজের সীমা লঙ্ঘন তুমি ক্ষমা করো, আমাদের সুদৃঢ় রাখো এবং কাফিরদের বিপক্ষে আমাদের সহায়তা করো।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়া�� : ১৪৭)
রাতের শেষভাগে ক্ষমা প্রার্থনা : আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার সর্বোত্তম সময় হলো রাতের শেষভাগ। শেষরাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুত্তাকিরা ওই দিন প্রস্রবণবিশিষ্ট জান্নাতে অবস্থান করবে। তাদের রব প্রদত্ত সব নিয়ামত তারা উপভোগ করবে। কারণ পার্থিব জীবনে তারা সৎকর্মশীল ছিল। তারা রাতের খুব অল্প অংশ ঘুমাত। তারা শেষ প্রহরে ক্ষমা প্রার্থনা করত।’ (সুরা : জারিয়াত, আয়াত : ১৫-১৮)
ক্ষমা চাইতেন নবীজি (সা.) : আল্লাহ নবীজি (সা.)-এর জীবনের সব ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দেওয়ার পর এবং তাকে সব ধরনের ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে রাখার পরও রাসুল (সা.) প্রতিদিন অসংখ্যবার ইস্তিগফার করেন। হাদিসে বর্ণিত আছে, ‘আমি প্রতিদিন একশত বার আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি।’ (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)
আল্লাহ সবাইকে ক্ষমা প্রার্থনা করার তাওফিক দিন। আমিন।
তওবা করার নিয়ম
তওবা ও ইস্তিগফার
https://www.youtube.com/watch?v=Gy0AOYeJMP8
তাওবা করার পরও বারবার গুনাহ হয়ে যায়, আমার করণীয় কী?
https://www.youtube.com/watch?v=0moJTllHE5w
সাইয়েদুল ইস্তেগফার ও তার ফজিলত | তওবার শ্রেষ্ঠ দোয়া |
https://www.youtube.com/watch?v=CJy-46VONYs
তাওবা করলেই হবেনা যে পাঁচটি শর্ত আপনাকে জানতে হবে
https://www.youtube.com/watch?v=dnTE7SZ5EO8
Du'a Qunoot w/Eng Subs
Deep and beautiful short recitation of quran
Recitation from Surah Nuh
তওবা ও ইস্তিগফার
Repentance Istighfar
0 notes
তাওবার গুরুত্ব ও ফজিলত
তওবা সম্পর্কে কোরআনে রয়েছে, 'হে ইমানদাররা, তোমরা আল্লাহর কাছে খাঁটি তওবা করো, আশা করা যায় তোমাদের রব তোমাদের পাপগুলো মোচন করবেন এবং তোমাদের এমন জান্নাতগুলোয় প্রবেশ করাবেন, যার তলদেশে ঝরনাগুলো প্রবহমান। ' (সুরা-৬৬ তাহরিম, আয়াত: ৮)। 'নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তওবাকারীদের ও পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন।
Makkah Witr
https://www.youtube.com/watch?v=eL2UhxVtW-Y
Dua Al Qunoot by Sheikh Juhany
https://www.youtube.com/watch?v=vlNNqBBj4dU&t=9s
Qunoot E Naazilah
https://www.youtube.com/watch?v=WjPs4qAc9O0
১. আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীতে মানবজাতি সৃষ্টি করার সাথে সাথে দু’টি জিনিস ও সৃষ্টি করেছেন। একটি ‘আমলে সালিহ’ তথা : শুভ কাজ, অপরটি ‘বদ-আমল’ তথা মন্দ কাজ।
‘আমলে সালিহ’ বা ভালো কাজের ক্ষেত্রে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আপন বান্দাহকে তার আমলের পরিমাণের চেয়েও বেশি প্রতিদান দেন। কারণ, তিনি যে রাহিম!
অপর দিকে ‘বদ-আমল’ বা খারাপ কাজের ক্ষেত্রে এর উল্টো। যে পরিমাণ খারাপ কাজ হয়ে গেছে কেবল সে পরিমাণই তাকে শাস্তি দেয়া হয়। কারণ, তিনি যে আহকামুল হাকিমিন!
২. ভালো কাজের জন্য যেরূপ পরপারে রয়েছে মহাসুখ ঠিক তেমনি মন্দ কাজের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি ।
আর সেই কঠিন শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য রাব্বুল আলামিন মুমিনদের জন্য একটি পথ বাতলে দিয়েছেন; তাওবা।
পাপ-পঙ্কিলতা যেমন মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ তেমনি তাওবাও মনুষ্য জাতির জীবনের অবিচ্ছেদ্য এক অংশ।
৩. তাওবার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে রাজি করিয়ে নিজের পাপ মোচন করানো ।
কোনো মুমিনের প্রতি যদি স্বয়ং আল্লাহ্ খুশি থাকেন, তাহলে তার জীবনে আর কী চাই! তাওবা করলে আল্লাহ্ তায়ালা খুশি হন।
আল্লাহর খুশির বর্ণনা দিতে গিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিস শরিফে ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহ তাঁর বান্দার তাওবায় খুব বেশি খুশি হন। যখন সে (বান্দা) তাওবা করে; আল্লাহ সেই ব্যক্তির চেয়েও বেশি খুশি হন যার আরোহণের বাহনটি থাকে নির্জন এক মরুভূমিতে; যে বাহনে তার যাবতীয় খাদ্য-পানীয় থাকে, অনন্তর সেই বাহনটি (কোথাও) পালিয়ে যায়। তখন সে (মরু-আরোহী) বাহনটির প্রাপ্তির ব্যাপারে নিরাশ হয়ে একটা বৃক্ষের ছায়ায় এসে শুয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় অকস্মাৎ সে তার বাহনটিকে তার কাছে দণ্ডায়মান দেখতে পায়! আর সে বাহনটির লাগাম ধরে আনন্দের আতিশয্যে বলে উঠে, ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার গোলাম, আমি তোমার খোদা!’ (সহিহ মুসলিম-তাওবা অধ্যায়)
৪. স্বভাবত একজন মুমিন কখনো এমনটি বলতে পারে না; কল্পনাও করা যায় না। স্ব-জ্ঞানে তো নয়ই, অজ্ঞাতেও এমনটি বলা বড় কঠিন। খেয়াল করে দেখুন তো, সেই আরোহী তবে কতটা খুশি হয়েছে!
আর খুশি হবেইবা না কেন, যেখানে সে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে ছিল। সেই ব্যক্তির খুশির পরিমাপ করে দেখা গেলে অন্য শত মানুষের খুশির চেয়ে তার খুশির পাল্লা ভারী হবে। আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন তাঁর বান্দা যখন অনুতপ্ত হয়ে মহান রবের কাছে তাওবা করে তখন ওই ব্যক্তির চেয়েও বেশি খুশি হন। আল্লাহু আকবার!
আল্লাহ আমাদের সবাইকে বেশি বেশি তাওবা করার তাওফিক দিন। আমিন।
ইস্তিগফারের পার্থিব ও অপার্থিব অনেক ফজিলত আছে
ইস্তিগফার হতাশা ও দুশ্চিন্তা দূর করেবলেন, যে ব্যক্তি তার পাপাচারের জন্য ইস্তিগফারের মাধ্যমে নিয়মিত আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা চাইবে, আল্লাহ তাআলা তার দারিদ্র্য ঘুচিয়ে দেবেন। তাকে সব বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করে সচ্ছলতা ও নিরাপত্তা দান করবেন। সে আল্লাহর রহমতে এমন উৎস থেকে রিজিকপ্রাপ্ত হবে, যা সে চিন্তাও করেনি।
ইস্তিগফারের যত ফজিলত
গুনাহ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করার নামই ইস্তিগফার। মানুষ যতই গুনাহ করুক, মহান আল্লাহর কাছে একনিষ্ঠচিত্তে ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহ তা ক্ষমা করেন। ইস্তিগফারের পার্থিব ও অপার্থিব অনেক ফজিলত আছে। নুহ (আ.)-এর দাওয়াত সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি বলেছি, তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, তিনি তো মহাপরাক্রমশালী।
তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত করবেন। তিনি তোমাদের সম্পদ, সন্তান দিয়ে সমৃদ্ধ করবেন এবং তোমাদের জন্য উদ্যান ও প্রবাহিত নদ-নদী স্থাপন করবেন।’ (সুরা : নুহ, আয়াত : ১০-১২)
অতীত ও বর্তমানের তাওবা : প্রকৃত ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে তাওবা সম্পন্ন হয়। এর একটি অপরটির পরিপূরক।
আল্লামা ইবনুল কায়্যিম (রহ.) বলেন, দুই ধরনের গুনাহ আছে। এক ধরনের গুনাহ অতীতে সংঘটিত হয়েছে। এর ইস্তিগফার হলো, গুনাহর অনিষ্টতা থেকে পরিত্রাণ চাওয়া। আরেক ধরনের গুনাহ, যা ভবিষ্যতে হওয়ার আশঙ্কা আছে।
এর তাওবা হলো, তা আগামী দিনে না করার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা করা। তা ছাড়া তাওবার মাধ্যমে অগাধ কল্যাণ লাভ হয়। (মাদারিজুস সালিকিন : ১/৩০৮)
ইস্তিগফার সব সময়ের আমল : মানুষ যেকোনো সময় পাপ করতে পারে। তাই সর্বদা ইস্তিগফার করা চাই। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে আমার বান্দারা, তোমরা রাতে-দিনে পাপাচারে লিপ্ত থাকো।
আমি তোমাদের সবার গুনাহ ক্ষমা করি। অতএব তোমরা আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, আমি তোমাদের ক্ষমা করব।’ (মুসলিম)
ক্ষমা প্রার্থনার পুরস্কার জান্নাত : আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তোমাদের রবের ক্ষমার দিকে অগ্রসর হও এবং ওই জান্নাতের দিকে, যার প্রশস্ততা আকাশ ও পৃথিবীর মতো, যা তাদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে, যারা আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি ঈমান এনেছে। তা আল্লাহর অনুগ্রহ, তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে তা প্রদান করেন।’ (সুরা : হাদিদ, আয়াত : ২০)
আল্লাহ ক্ষমা প্রার্থনাকারীকে ভালোবাসেন : মানুষ আল্লাহর অবাধ্য হয়ে পাপ করতে পারে। তবে পাপকাজ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করা সবার জন্য জরুরি। অপর হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘ওই সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ, যদি তোমরা গুনাহ না করো, তাহলে আল্লাহ তোমাদের নিয়ে যাবেন এবং এমন জাতি আনবেন, যারা গুনাহ করবে, অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে। আর তিনি তাদের ক্ষমা করবেন।’ (মুসনাদে আহমদ ও মুসলিম)
ক্ষমা প্রার্থনার সঙ্গে চাই দৃঢ়তা : আল্লাহর সব ধরনের দুঃখ-কষ্ট সহ্য করেও মুমিনরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। মুমিনদের গুণাবলি বর্ণনা করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের একমাত্র কথা ছিল, হে আমাদের রব, আমাদের পাপ ও আমাদের কাজের সীমা লঙ্ঘন তুমি ক্ষমা করো, আমাদের সুদৃঢ় রাখো এবং কাফিরদের বিপক্ষে আমাদের সহায়তা করো।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৪৭)
রাতের শেষভাগে ক্ষমা প্রার্থনা : আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার সর্বোত্তম সময় হলো রাতের শেষভাগ। শেষরাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুত্তাকিরা ওই দিন প্রস্রবণবিশিষ্ট জান্নাতে অবস্থান করবে। তাদের রব প্রদত্ত সব নিয়ামত তারা উপভোগ করবে। কারণ পার্থিব জীবনে তারা সৎকর্মশীল ছিল। তারা রাতের খুব অল্প অংশ ঘুমাত। তারা শেষ প্রহরে ক্ষমা প্রার্থনা করত।’ (সুরা : জারিয়াত, আয়াত : ১৫-১৮)
ক্ষমা চাইতেন নবীজি (সা.) : আল্লাহ নবীজি (সা.)-এর জীবনের সব ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দেওয়ার পর এবং তাকে সব ধরনের ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে রাখার পরও রাসুল (সা.) প্রতিদিন অসংখ্যবার ইস্তিগফার করেন। হাদিসে বর্ণিত আছে, ‘আমি প্রতিদিন একশত বার আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি।’ (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)
আল্লাহ সবাইকে ক্ষমা প্রার্থনা করার তাওফিক দিন। আমিন।
তওবা করার নিয়ম
তওবা ও ইস্তিগফার
https://www.youtube.com/watch?v=Gy0AOYeJMP8
তাওবা করার পরও বারবার গুনাহ হয়ে যায়, আমার করণীয় কী?
https://www.youtube.com/watch?v=0moJTllHE5w
সাইয়েদুল ইস্তেগফার ও তার ফজিলত | তওবার শ্রেষ্ঠ দোয়া |
https://www.youtube.com/watch?v=CJy-46VONYs
তাওবা করলেই হবেনা যে পাঁচটি শর্ত আপনাকে জানতে হবে
https://www.youtube.com/watch?v=dnTE7SZ5EO8
Du'a Qunoot w/Eng Subs
Deep and beautiful short recitation of quran
Recitation from Surah Nuh
তওবা ও ইস্তিগফার
Repentance Istighfar
0 notes
তাওবার গুরুত্ব ও ফজিলত
তওবা সম্পর্কে কোরআনে রয়েছে, 'হে ইমানদাররা, তোমরা আল্লাহর কাছে খাঁটি তওবা করো, আশা করা যায় তোমাদের রব তোমাদের পাপগুলো মোচন করবেন এবং তোমাদের এমন জান্নাতগুলোয় প্রবেশ করাবেন, যার তলদেশে ঝরনাগুলো প্রবহমান। ' (সুরা-৬৬ তাহরিম, আয়াত: ৮)। 'নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তওবাকারীদের ও পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন।
Makkah Witr
https://www.youtube.com/watch?v=eL2UhxVtW-Y
Dua Al Qunoot by Sheikh Juhany
https://www.youtube.com/watch?v=vlNNqBBj4dU&t=9s
Qunoot E Naazilah
https://www.youtube.com/watch?v=WjPs4qAc9O0
১. আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীতে মানবজাতি সৃষ্টি করার সাথে সাথে দু’টি জিনিস ও সৃষ্টি করেছেন। একটি ‘আমলে সালিহ’ তথা : শুভ কাজ, অপরটি ‘বদ-আমল’ তথা মন্দ কাজ।
‘আমলে সালিহ’ বা ভালো কাজের ক্ষেত্রে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আপন বান্দাহকে তার আমলের পরিমাণের চেয়েও বেশি প্রতিদান দেন। কারণ, তিনি যে রাহিম!
অপর দিকে ‘বদ-আমল’ বা খারাপ কাজের ক্ষেত্রে এর উল্টো। যে পরিমাণ খারাপ কাজ হয়ে গেছে কেবল সে পরিমাণই তাকে শাস্তি দেয়া হয়। কারণ, তিনি যে আহকামুল হাকিমিন!
২. ভালো কাজের জন্য যেরূপ পরপারে রয়েছে মহাসুখ ঠিক তেমনি মন্দ কাজের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি ।
আর সেই কঠিন শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য রাব্বুল আলামিন মুমিনদের জন্য একটি পথ বাতলে দিয়েছেন; তাওবা।
পাপ-পঙ্কিলতা যেমন মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ তেমনি তাওবাও মনুষ্য জাতির জীবনের অবিচ্ছেদ্য এক অংশ।
৩. তাওবার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে রাজি করিয়ে নিজের পাপ মোচন করানো ।
কোনো মুমিনের প্রতি যদি স্বয়ং আ���্লাহ্ খুশি থাকেন, তাহলে তার জীবনে আর কী চাই! তাওবা করলে আল্লাহ্ তায়ালা খুশি হন।
আল্লাহর খুশির বর্ণনা দিতে গিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিস শরিফে ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহ তাঁর বান্দার তাওবায় খুব বেশি খুশি হন। যখন সে (বান্দা) তাওবা করে; আল্লাহ সেই ব্যক্তির চেয়েও বেশি খুশি হন যার আরোহণের বাহনটি থাকে নির্জন এক মরুভূমিতে; যে বাহনে তার যাবতীয় খাদ্য-পানীয় থাকে, অনন্তর সেই বাহনটি (কোথাও) পালিয়ে যায়। তখন সে (মরু-আরোহী) বাহনটির প্রাপ্তির ব্যাপারে নিরাশ হয়ে একটা বৃক্ষের ছায়ায় এসে শুয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় অকস্মাৎ সে তার বাহনটিকে তার কাছে দণ্ডায়মান দেখতে পায়! আর সে বাহনটির লাগাম ধরে আনন্দের আতিশয্যে বলে উঠে, ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার গোলাম, আমি তোমার খোদা!’ (সহিহ মুসলিম-তাওবা অধ্যায়)
৪. স্বভাবত একজন মুমিন কখনো এমনটি বলতে পারে না; কল্পনাও করা যায় না। স্ব-জ্ঞানে তো নয়ই, অজ্ঞাতেও এমনটি বলা বড় কঠিন। খেয়াল করে দেখুন তো, সেই আরোহী তবে কতটা খুশি হয়েছে!
আর খুশি হবেইবা না কেন, যেখানে সে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে ছিল। সেই ব্যক্তির খুশির পরিমাপ করে দেখা গেলে অন্য শত মানুষের খুশির চেয়ে তার খুশির পাল্লা ভারী হবে। আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন তাঁর বান্দা যখন অনুতপ্ত হয়ে মহান রবের কাছে তাওবা করে তখন ওই ব্যক্তির চেয়েও বেশি খুশি হন। আল্লাহু আকবার!
আল্লাহ আমাদের সবাইকে বেশি বেশি তাওবা করার তাওফিক দিন। আমিন।
ইস্তিগফারের পার্থিব ও অপার্থিব অনেক ফজিলত আছে
ইস্তিগফার হতাশা ও দুশ্চিন্তা দূর করেবলেন, যে ব্যক্তি তার পাপাচারের জন্য ইস্তিগফারের মাধ্যমে নিয়মিত আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা চাইবে, আল্লাহ তাআলা তার দারিদ্র্য ঘুচিয়ে দেবেন। তাকে সব বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করে সচ্ছলতা ও নিরাপত্তা দান করবেন। সে আল্লাহর রহমতে এমন উৎস থেকে রিজিকপ্রাপ্ত হবে, যা সে চিন্তাও করেনি।
ইস্তিগফারের যত ফজিলত
গুনাহ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করার নামই ইস্তিগফার। মানুষ যতই গুনাহ করুক, মহান আল্লাহর কাছে একনিষ্ঠচিত্তে ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহ তা ক্ষমা করেন। ইস্তিগফারের পার্থিব ও অপার্থিব অনেক ফজিলত আছে। নুহ (আ.)-এর দাওয়াত সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি বলেছি, তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, তিনি তো মহাপরাক্রমশালী।
তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত করবেন। তিনি তোমাদের সম্পদ, সন্তান দিয়ে সমৃদ্ধ করবেন এবং তোমাদের জন্য উদ্যান ও প্রবাহিত নদ-নদী স্থাপন করবেন।’ (সুরা : নুহ, আয়াত : ১০-১২)
অতীত ও বর্তমানের তাওবা : প্রকৃত ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে তাওবা সম্পন্ন হয়। এর একটি অপরটির পরিপূরক।
আল্লামা ইবনুল কায়্যিম (রহ.) বলেন, দুই ধরনের গুনাহ আছে। এক ধরনের গুনাহ অতীতে সংঘটিত হয়েছে। এর ইস্তিগফার হলো, গুনাহর অনিষ্টতা থেকে পরিত্রাণ চাওয়া। আরেক ধরনের গুনাহ, যা ভবিষ্যতে হওয়ার আশঙ্কা আছে।
এর তাওবা হলো, তা আগামী দিনে না করার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা করা। তা ছাড়া তাওবার মাধ্যমে অগাধ কল্যাণ লাভ হয়। (মাদারিজুস সালিকিন : ১/৩০৮)
ইস্তিগফার সব সময়ের আমল : মানুষ যেকোনো সময় পাপ করতে পারে। তাই সর্বদা ইস্তিগফার করা চাই। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে আমার বান্দারা, তোমরা রাতে-দিনে পাপাচারে লিপ্ত থাকো।
আমি তোমাদের সবার গুনাহ ক্ষমা করি। অতএব তোমরা আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, আমি তোমাদের ক্ষমা করব।’ (মুসলিম)
ক্ষমা প্রার্থনার পুরস্কার জান্নাত : আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তোমাদের রবের ক্ষমার দিকে অগ্রসর হও এবং ওই জান্নাতের দিকে, যার প্রশস্ততা আকাশ ও পৃথিবীর মতো, যা তাদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে, যারা আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি ঈমান এনেছে। তা আল্লাহর অনুগ্রহ, তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে তা প্রদান করেন।’ (সুরা : হাদিদ, আয়াত : ২০)
আল্লাহ ক্ষমা প্রার্থনাকারীকে ভালোবাসেন : মানুষ আল্লাহর অবাধ্য হয়ে পাপ করতে পারে। তবে পাপকাজ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করা সবার জন্য জরুরি। অপর হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘ওই সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ, যদি তোমরা গুনাহ না করো, তাহলে আল্লাহ তোমাদের নিয়ে যাবেন এবং এমন জাতি আনবেন, যারা গুনাহ করবে, অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে। আর তিনি তাদের ক্ষমা করবেন।’ (মুসনাদে আহমদ ও মুসলিম)
ক্ষমা প্রার্থনার সঙ্গে চাই দৃঢ়তা : আল্লাহর সব ধরনের দুঃখ-কষ্ট সহ্য করেও মুমিনরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। মুমিনদের গুণাবলি বর্ণনা করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের একমাত্র কথা ছিল, হে আমাদের রব, আমাদের পাপ ও আমাদের কাজের সীমা লঙ্ঘন তুমি ক্ষমা করো, আমাদের সুদৃঢ় রাখো এবং কাফিরদের বিপক্ষে আমাদের সহায়তা করো।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৪৭)
রাতের শেষভাগে ক্ষমা প্রার্থনা : আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার সর্বোত্তম সময় হলো রাতের শেষভাগ। শেষরাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুত্তাকিরা ওই দিন প্রস্রবণবিশিষ্ট জান্নাতে অবস্থান করবে। তাদের রব প্রদত্ত সব নিয়ামত তারা উপভোগ করবে। কারণ পার্থিব জীবনে তারা সৎকর্মশীল ছিল। তারা রাতের খুব অল্প অংশ ঘুমাত। তারা শেষ প্রহরে ক্ষমা প্রার্থনা করত।’ (সুরা : জারিয়াত, আয়াত : ১৫-১৮)
ক্ষমা চাইতেন নবীজি (সা.) : আল্লাহ নবীজি (সা.)-এর জীবনের সব ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দেওয়ার পর এবং তাকে সব ধরনের ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে রাখার পরও রাসুল (সা.) প্রতিদিন অসংখ্যবার ইস্তিগফার করেন। হাদিসে বর্ণিত আছে, ‘আমি প্রতিদিন একশত বার আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি।’ (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)
আল্লাহ সবাইকে ক্ষমা প্রার্থনা করার তাওফিক দিন। আমিন।
তওবা করার নিয়ম
তওবা ও ইস্তিগফার
https://www.youtube.com/watch?v=Gy0AOYeJMP8
তাওবা করার পরও বারবার গুনাহ হয়ে যায়, আমার করণীয় কী?
https://www.youtube.com/watch?v=0moJTllHE5w
সাইয়েদুল ইস্তেগফার ও তার ফজিলত | তওবার শ্রেষ্ঠ দোয়া |
https://www.youtube.com/watch?v=CJy-46VONYs
তাওবা করলেই হবেনা যে পাঁচটি শর্ত আপনাকে জানতে হবে
https://www.youtube.com/watch?v=dnTE7SZ5EO8
Du'a Qunoot w/Eng Subs
Deep and beautiful short recitation of quran
Recitation from Surah Nuh
তওবা ও ইস্তেগফার
Repentance Istighfar
0 notes
তাওবার গুরুত্ব ও ফজিলত
তওবা সম্পর্কে কোরআনে রয়েছে, 'হে ইমানদাররা, তোমরা আল্লাহর কাছে খাঁটি তওবা করো, আশা করা যায় তোমাদের রব তোমাদের পাপগুলো মোচন করবেন এবং তোমাদের এমন জান্নাতগুলোয় প্রবেশ করাবেন, যার তলদেশে ঝরনাগুলো প্রবহমান। ' (সুরা-৬৬ তাহরিম, আয়াত: ৮)। 'নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তওবাকারীদের ও পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন।
Makkah Witr
https://www.youtube.com/watch?v=eL2UhxVtW-Y
Dua Al Qunoot by Sheikh Juhany
https://www.youtube.com/watch?v=vlNNqBBj4dU&t=9s
Qunoot E Naazilah
https://www.youtube.com/watch?v=WjPs4qAc9O0
১. আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীতে মানবজাতি সৃষ্টি করার সাথে সাথে দু’টি জিনিস ও সৃষ্টি করেছেন। একটি ‘আমলে সালিহ’ তথা : শুভ কাজ, অপরটি ‘বদ-আমল’ তথা মন্দ কাজ।
‘আমলে সালিহ’ বা ভালো কাজের ক্ষেত্রে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আপন বান্দাহকে তার আমলের পরিমাণের চেয়েও বেশি প্রতিদান দেন। কারণ, তিনি যে রাহিম!
অপর দিকে ‘বদ-আমল’ বা খারাপ কাজের ক্ষেত্রে এর উল্টো। যে পরিমাণ খারাপ কাজ হয়ে গেছে কেবল সে পরিমাণই তাকে শাস্তি দেয়া হয়। কারণ, তিনি যে আহকামুল হাকিমিন!
২. ভালো কাজের জন্য যেরূপ পরপারে রয়েছে মহাসুখ ঠিক তেমনি মন্দ কাজের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি ।
আর সেই কঠিন শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য রাব্বুল আলামিন মুমিনদের জন্য একটি পথ বাতলে দিয়েছেন; তাওবা।
পাপ-পঙ্কিলতা যেমন মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ তেমনি তাওবাও মনুষ্য জাতির জীবনের অবিচ্ছেদ্য এক অংশ।
৩. তাওবার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে রাজি করিয়ে নিজের পাপ মোচন করানো ।
কোনো মুমিনের প্রতি যদি স্বয়ং আল্লাহ্ খুশি থাকেন, তাহলে তার জীবনে আর কী চাই! তাওবা করলে আল্লাহ্ তায়ালা খুশি হন।
আল্লাহর খুশির বর্ণনা দিতে গিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিস শরিফে ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহ তাঁর বান্দার তাওবায় খুব বেশি খুশি হন। যখন সে (বান্দা) তাওবা করে; আল্লাহ সেই ব্যক্তির চেয়েও বেশি খুশি হন যার আরোহণের বাহনটি থাকে নির্জন এক মরুভূমিতে; যে বাহনে তার যাবতীয় খাদ্য-পানীয় থাকে, অনন্তর সেই বাহনটি (কোথাও) পালিয়ে যায়। তখন সে (মরু-আরোহী) বাহনটির প্রাপ্তির ব্যাপারে নিরাশ হয়ে একটা বৃক্ষের ছায়ায় এসে শুয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় অকস্মাৎ সে তার বাহনটিকে তার কাছে দণ্ডায়মান দেখতে পায়! আর সে বাহনটির লাগাম ধরে আনন্দের আতিশয্যে বলে উঠে, ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার গোলাম, আমি তোমার খোদা!’ (সহিহ মুসলিম-তাওবা অধ্যায়)
৪. স্বভাবত একজন মুমিন কখনো এমনটি বলতে পারে না; কল্পনাও করা যায় না। স্ব-জ্ঞানে তো নয়ই, অজ্ঞাতেও এমনটি বলা বড় কঠিন। খেয়াল করে দেখুন তো, সেই আরোহী তবে কতটা খুশি হয়েছে!
আর খুশি হবেইবা না কেন, যেখানে সে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে ছিল। সেই ব্যক্তির খুশির পরিমাপ করে দেখা গেলে অন্য শত মানুষের খুশির চেয়ে তার খুশির পাল্লা ভারী হবে। আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন তাঁর বান্দা যখন অনুতপ্ত হয়ে মহান রবের কাছে তাওবা করে তখন ওই ব্যক্তির চেয়েও বেশ�� খুশি হন। আল্লাহু আকবার!
আল্লাহ আমাদের সবাইকে বেশি বেশি তাওবা করার তাওফিক দিন। আমিন।
ইস্তিগফারের পার্থিব ও অপার্থিব অনেক ফজিলত আছে
ইস্তিগফার হতাশা ও দুশ্চিন্তা দূর করেবলেন, যে ব্যক্তি তার পাপাচারের জন্য ইস্তিগফারের মাধ্যমে নিয়মিত আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা চাইবে, আল্লাহ তাআলা তার দারিদ্র্য ঘুচিয়ে দেবেন। তাকে সব বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করে সচ্ছলতা ও নিরাপত্তা দান করবেন। সে আল্লাহর রহমতে এমন উৎস থেকে রিজিকপ্রাপ্ত হবে, যা সে চিন্তাও করেনি।
ইস্তিগফারের যত ফজিলত
গুনাহ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করার নামই ইস্তিগফার। মানুষ যতই গুনাহ করুক, মহান আল্লাহর কাছে একনিষ্ঠচিত্তে ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহ তা ক্ষমা করেন। ইস্তিগফারের পার্থিব ও অপার্থিব অনেক ফজিলত আছে। নুহ (আ.)-এর দাওয়াত সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি বলেছি, তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, তিনি তো মহাপরাক্রমশালী।
তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত করবেন। তিনি তোমাদের সম্পদ, সন্তান দিয়ে সমৃদ্ধ করবেন এবং তোমাদের জন্য উদ্যান ও প্রবাহিত নদ-নদী স্থাপন করবেন।’ (সুরা : নুহ, আয়াত : ১০-১২)
অতীত ও বর্তমানের তাওবা : প্রকৃত ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে তাওবা সম্পন্ন হয়। এর একটি অপরটির পরিপূরক।
আল্লামা ইবনুল কায়্যিম (রহ.) বলেন, দুই ধরনের গুনাহ আছে। এক ধরনের গুনাহ অতীতে সংঘটিত হয়েছে। এর ইস্তিগফার হলো, গুনাহর অনিষ্টতা থেকে পরিত্রাণ চাওয়া। আরেক ধরনের গুনাহ, যা ভবিষ্যতে হওয়ার আশঙ্কা আছে।
এর তাওবা হলো, তা আগামী দিনে না করার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা করা। তা ছাড়া তাওবার মাধ্যমে অগাধ কল্যাণ লাভ হয়। (মাদারিজুস সালিকিন : ১/৩০৮)
ইস্তিগফার সব সময়ের আমল : মানুষ যেকোনো সময় পাপ করতে পারে। তাই সর্বদা ইস্তিগফার করা চাই। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে আমার বান্দারা, তোমরা রাতে-দিনে পাপাচারে লিপ্ত থাকো।
আমি তোমাদের সবার গুনাহ ক্ষমা করি। অতএব তোমরা আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, আমি তোমাদের ক্ষমা করব।’ (মুসলিম)
ক্ষমা প্রার্থনার পুরস্কার জান্নাত : আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তোমাদের রবের ক্ষমার দিকে অগ্রসর হও এবং ওই জান্নাতের দিকে, যার প্রশস্ততা আকাশ ও পৃথিবীর মতো, যা তাদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে, যারা আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি ঈমান এনেছে। তা আল্লাহর অনুগ্রহ, তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে তা প্রদান করেন।’ (সুরা : হাদিদ, আয়াত : ২০)
আল্লাহ ক্ষমা প্রার্থনাকারীকে ভালোবাসেন : মানুষ আল্লাহর অবাধ্য হয়ে পাপ করতে পারে। তবে পাপকাজ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করা সবার জন্য জরুরি। অপর হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘ওই সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ, যদি তোমরা গুনাহ না করো, তাহলে আল্লাহ তোমাদের নিয়ে যাবেন এবং এমন জাতি আনবেন, যারা গুনাহ করবে, অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে। আর তিনি তাদের ক্ষমা করবেন।’ (মুসনাদে আহমদ ও মুসলিম)
ক্ষমা প্রার্থনার সঙ্গে চাই দৃঢ়তা : আল্লাহর সব ধরনের দুঃখ-কষ্ট সহ্য করেও মুমিনরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। মুমিনদের গুণাবলি বর্ণনা করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের একমাত্র কথা ছিল, হে আমাদের রব, আমাদের পাপ ও আমাদের কাজের সীমা লঙ্ঘন তুমি ক্ষমা করো, আমাদের সুদৃঢ় রাখো এবং কাফিরদের বিপক্ষে আমাদের সহায়তা করো।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৪৭)
রাতের শেষভাগে ক্ষমা প্রার্থনা : আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার সর্বোত্তম সময় হলো রাতের শেষভাগ। শেষরাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুত্তাকিরা ওই দিন প্রস্রবণবিশিষ্ট জান্নাতে অবস্থান করবে। তাদের রব প্রদত্ত সব নিয়ামত তারা উপভোগ করবে। কারণ পার্থিব জীবনে তারা সৎকর্মশীল ছিল। তারা রাতের খুব অল্প অংশ ঘুমাত। তারা শেষ প্রহরে ক্ষমা প্রার্থনা করত।’ (সুরা : জারিয়াত, আয়াত : ১৫-১৮)
ক্ষমা চাইতেন নবীজি (সা.) : আল্লাহ নবীজি (সা.)-এর জীবনের সব ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দেওয়ার পর এবং তাকে সব ধরনের ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে রাখার পরও রাসুল (সা.) প্রতিদিন অসংখ্যবার ইস্তিগফার করেন। হাদিসে বর্ণিত আছে, ‘আমি প্রতিদিন একশত বার আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি।’ (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)
আল্লাহ সবাইকে ক্ষমা প্রার্থনা করার তাওফিক দিন। আমিন।
তওবা করার নিয়ম
তওবা ও ইস্তিগফার
https://www.youtube.com/watch?v=Gy0AOYeJMP8
তাওবা করার পরও বারবার গুনাহ হয়ে যায়, আমার করণীয় কী?
https://www.youtube.com/watch?v=0moJTllHE5w
সাইয়েদুল ইস্তেগফার ও তার ফজিলত | তওবার শ্রেষ্ঠ দোয়া |
https://www.youtube.com/watch?v=CJy-46VONYs
তাওবা করলেই হবেনা যে পাঁচটি শর্ত আপনাকে জানতে হবে
https://www.youtube.com/watch?v=dnTE7SZ5EO8
Du'a Qunoot w/Eng Subs
Deep and beautiful short recitation of quran
Recitation from Surah Nuh
তওবা ও ইস্তিগফার
Repentance Istighfar
0 notes
তাওবার গুরুত্ব ও ফজিলত
তওবা সম্পর্কে কোরআনে রয়েছে, 'হে ইমানদাররা, তোমরা আল্লাহর কাছে খাঁটি তওবা করো, আশা করা যায় তোমাদের রব তোমাদের পাপগুলো মোচন করবেন এবং তোমাদের এমন জান্নাতগুলোয় প্রবেশ করাবেন, যার তলদেশে ঝরনাগুলো প্রবহমান। ' (সুরা-৬৬ তাহরিম, আয়াত: ৮)। 'নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তওবাকারীদের ও পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন।
Makkah Witr
https://www.youtube.com/watch?v=eL2UhxVtW-Y
Dua Al Qunoot by Sheikh Juhany
https://www.youtube.com/watch?v=vlNNqBBj4dU&t=9s
Qunoot E Naazilah
https://www.youtube.com/watch?v=WjPs4qAc9O0
১. আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীতে মানবজাতি সৃষ্টি করার সাথে সাথে দু’টি জিনিস ও সৃষ্টি করেছেন। একটি ‘আমলে সালিহ’ তথা : শুভ কাজ, অপরটি ‘বদ-আমল’ তথা মন্দ কাজ।
‘আমলে সালিহ’ বা ভালো কাজের ক্ষেত্রে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আপন বান্দাহকে তার আমলের পরিমাণের চেয়েও বেশি প্রতিদান দেন। কারণ, তিনি যে রাহিম!
অপর দিকে ‘বদ-আমল’ বা খারাপ কাজের ক্ষেত্রে এর উল্টো। যে পরিমাণ খারাপ কাজ হয়ে গেছে কেবল সে পরিমাণই তাকে শাস্তি দেয়া হয়। কারণ, তিনি যে আহকামুল হাকিমিন!
২. ভালো কাজের জন্য যেরূপ পরপারে রয়েছে মহাসুখ ঠিক তেমনি মন্দ কাজের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি ।
আর সেই কঠিন শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য রাব্বুল আলামিন মুমিনদের জন্য একটি পথ বাতলে দিয়েছেন; তাওবা।
পাপ-পঙ্কিলতা যেমন মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ তেমনি তাওবাও মনুষ্য জাতির জীবনের অবিচ্ছেদ্য এক অংশ।
৩. তাওবার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে রাজি করিয়ে নিজের পাপ মোচন করানো ।
কোনো মুমিনের প্রতি যদি স্বয়ং আল্লাহ্ খুশি থাকেন, তাহলে তার জীবনে আর কী চাই! তাওবা করলে আল্লাহ্ তায়ালা খুশি হন।
আল্লাহর খুশির বর্ণনা দিতে গিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিস শরিফে ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহ তাঁর বান্দার তাওবায় খুব বেশি খুশি হন। যখন সে (বান্দা) তাওবা করে; আল্লাহ সেই ব্যক্তির চেয়েও বেশি খুশি হন যার আরোহণের বাহনটি থাকে নির্জন এক মরুভূমিতে; যে বাহনে তার যাবতীয় খাদ্য-পানীয় থাকে, অনন্তর সেই বাহনটি (কোথাও) পালিয়ে যায়। তখন সে (মরু-আরোহী) বাহনটির প্রাপ্তির ব্যাপারে নিরাশ হয়ে একটা বৃক্ষের ছায়ায় এসে শুয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় অকস্মাৎ সে তার বাহনটিকে তার কাছে দণ্ডায়মান দেখতে পায়! আর সে বাহনটির লাগাম ধরে আনন্দের আতিশয্যে বলে উঠে, ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার গোলাম, আমি তোমার খোদা!’ (সহিহ মুসলিম-তাওবা অধ্যায়)
৪. স্বভাবত একজন মুমিন কখনো এমনটি বলতে পারে না; কল্পনাও করা যায় না। স্ব-জ্ঞানে তো নয়ই, অজ্ঞাতেও এমনটি বলা বড় কঠিন। খেয়াল করে দেখুন তো, সেই আরোহী তবে কতটা খুশি হয়েছে!
আর খুশি হবেইবা না কেন, যেখানে সে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে ছিল। সেই ব্যক্তির খুশির পরিমাপ করে দেখা গেলে অন্য শত মানুষের খুশির চেয়ে তার খুশির পাল্লা ভারী হবে। আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন তাঁর বান্দা যখন অনুতপ্ত হয়ে মহান রবের কাছে তাওবা করে তখন ওই ব্যক্তির চেয়েও বেশি খুশি হন। আল্লাহু আকবার!
আল্লাহ আমাদের সবাইকে বেশি বেশি তাওবা করার তাওফিক দিন। আমিন।
ইস্তিগফারের পার্থিব ও অপার্থিব অনেক ফজিলত আছে
ইস্তিগফার হতাশা ও দুশ্চিন্তা দূর করেবলেন, যে ব্যক্তি তার পাপাচারের জন্য ইস্তিগফারের মাধ্যমে নিয়মিত আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা চাইবে, আল্লাহ তাআলা তার দারিদ্র্য ঘুচিয়ে দেবেন। তাকে সব বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করে সচ্ছলতা ও নিরাপত্তা দান করবেন। সে আল্লাহর রহমতে এমন উৎস থেকে রিজিকপ্রাপ্ত হবে, যা সে চিন্তাও করেনি।
ইস্তিগফারের যত ফজিলত
গুনাহ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করার নামই ইস্তিগফার। মানুষ যতই গুনাহ করুক, মহান আল্লাহর কাছে একনিষ্ঠচিত্তে ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহ তা ক্ষমা করেন। ইস্তিগফারের পার্থিব ও অপার্থিব অনেক ফজিলত আছে। নুহ (আ.)-এর দাওয়াত সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি বলেছি, তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, তিনি তো মহাপরাক্রমশালী।
তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত করবেন। তিনি তোমাদের সম্পদ, সন্তান দিয়ে সমৃদ্ধ করবেন এবং তোমাদের জন্য উদ্যান ও প্রবাহিত নদ-নদী স্থাপন করবেন।’ (সুরা : নুহ, আয়াত : ১০-১২)
অতীত ও বর্তমানের তাওবা : প্রকৃত ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে তাওবা সম্পন্ন হয়। এর একটি অপরটির পরিপূরক।
আল্লামা ইবনুল কায়্যিম (রহ.) বলেন, দুই ধরনের গুনাহ আছে। এক ধরনের গুনাহ অতীতে সংঘটিত হয়েছে। এর ইস্তিগফার হলো, গুনাহর অনিষ্টতা থেকে পরিত্রাণ চাওয়া। আরেক ধরনের গুনাহ, যা ভবিষ্যতে হওয়ার আশঙ্কা আছে।
এর তাওবা হলো, তা আগামী দিনে না করার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা করা। তা ছাড়া তাওবার মাধ্যমে অগাধ কল্যাণ লাভ হয়। (মাদারিজুস সালিকিন : ১/৩০৮)
ইস্তিগফার সব সময়ের আমল : মানুষ যেকোনো সময় পাপ করতে পারে। তাই সর্বদা ইস্তিগফার করা চাই। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে আমার বান্দারা, তোমরা রাতে-দিনে পাপাচারে লিপ্ত থাকো।
আমি তোমাদের সবার গুনাহ ক্ষমা করি। অতএব তোমরা আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, আমি তোমাদের ক্ষমা করব।’ (মুসলিম)
ক্ষমা প্রার্থনার পুরস্কার জান্নাত : আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তোমাদের রবের ক্ষমার দিকে অগ্রসর হও এবং ওই জান্নাতের দিকে, যার প্রশস্ততা আকাশ ও পৃথিবীর মতো, যা তাদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে, যারা আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি ঈমান এনেছে। তা আল্লাহর অনুগ্রহ, তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে তা প্রদান করেন।’ (সুরা : হাদিদ, আয়াত : ২০)
আল্লাহ ক্ষমা প্রার্থনাকারীকে ভালোবাসেন : মানুষ আল্লাহর অবাধ্য হয়ে পাপ করতে পারে। তবে পাপকাজ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করা সবার জন্য জরুরি। অপর হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘ওই সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ, যদি তোমরা গুনাহ না করো, তাহলে আল্লাহ তোমাদের নিয়ে যাবেন এবং এমন জাতি আনবেন, যারা গুনাহ করবে, অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে। আর তিনি তাদের ক্ষমা করবেন।’ (মুসনাদে আহমদ ও মুসলিম)
ক্ষমা প্রার্থনার সঙ্গে চাই দৃঢ়তা : আল্লাহর সব ধরনের দুঃখ-কষ্ট সহ্য করেও মুমিনরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। মুমিনদের গুণাবলি বর্ণনা করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের একমাত্র কথা ছিল, হে আমাদের রব, আমাদের পাপ ও আমাদের কাজের সীমা লঙ্ঘন তুমি ক্ষমা করো, আমাদের সুদৃঢ় রাখো এবং কাফিরদের বিপক্ষে আমাদের সহায়তা করো।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৪৭)
রাতের শেষভাগে ক্ষমা প্রার্থনা : আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার সর্বোত্তম সময় হলো রাতের শেষভাগ। শেষরাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুত্তাকিরা ওই দিন প্রস্রবণবিশিষ্ট জান্নাতে অবস্থান করবে। তাদের রব প্রদত্ত সব নিয়ামত তারা উপভোগ করবে। কারণ পার্থিব জীবনে তারা সৎকর্মশীল ছিল। তারা রাতের খুব অল্প অংশ ঘুমাত। তারা শেষ প্রহরে ক্ষমা প্রার্থনা করত।’ (সুরা : জারিয়াত, আয়াত : ১৫-১৮)
ক্ষমা চাইতেন নবীজি (সা.) : আল্লাহ নবীজি (সা.)-এর জীবনের সব ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দেওয়ার পর এবং তাকে সব ধরনের ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে রাখার পরও রাসুল (সা.) প্রতিদিন অসংখ্যবার ইস্তিগফার করেন। হাদিসে বর্ণিত আছে, ‘আমি প্রতিদিন একশত বার আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি।’ (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)
আল্লাহ সবাইকে ক্ষমা প্রার্থনা করার তাওফিক দিন। আমিন।
তওবা করার নিয়ম
তওবা ও ইস্তিগফার
https://www.youtube.com/watch?v=Gy0AOYeJMP8
তাওবা করার পরও বারবার গুনাহ হয়ে যায়, আমার করণীয় কী?
https://www.youtube.com/watch?v=0moJTllHE5w
সাইয়েদুল ইস্তেগফার ও তার ফজিলত | তওবার শ্রেষ্ঠ দোয়া |
https://www.youtube.com/watch?v=CJy-46VONYs
তাওবা করলেই হবেনা যে পাঁচটি শর্ত আপনাকে জানতে হবে
https://www.youtube.com/watch?v=dnTE7SZ5EO8
Du'a Qunoot w/Eng Subs
Deep and beautiful short recitation of quran
Recitation from Surah Nuh
তওবা ও ইস্তিগফার
Repentance Istighfar
0 notes
তাওবার গুরুত্ব ও ফজিলত
তওবা সম্পর্কে কোরআনে রয়েছে, 'হে ইমানদাররা, তোমরা আল্লাহর কাছে খাঁটি তওবা করো, আশা করা যায় তোমাদের রব তোমাদের পাপগুলো মোচন করবেন এবং তোমাদের এমন জান্নাতগুলোয় প্রবেশ করাবেন, যার তলদেশে ঝরনাগুলো প্রবহমান। ' (সুরা-৬৬ তাহরিম, আয়াত: ৮)। 'নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তওবাকারীদের ও পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন।
Makkah Witr
https://www.youtube.com/watch?v=eL2UhxVtW-Y
Dua Al Qunoot by Sheikh Juhany
https://www.youtube.com/watch?v=vlNNqBBj4dU&t=9s
Qunoot E Naazilah
https://www.youtube.com/watch?v=WjPs4qAc9O0
১. আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীতে মানবজাতি সৃষ্টি করার সাথে সাথে দু’টি জিনিস ও সৃষ্টি করেছেন। একটি ‘আমলে সালিহ’ তথা : শুভ কাজ, অপরটি ‘বদ-আমল’ তথা মন্দ কাজ।
‘আমলে সালিহ’ বা ভালো কাজের ক্ষেত্রে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আপন বান্দাহকে তার আমলের পরিমাণের চেয়েও বেশি প্রতিদান দেন। কারণ, তিনি যে রাহিম!
অপর দিকে ‘বদ-আমল’ বা খারাপ কাজের ক্ষেত্রে এর উল্টো। যে পরিমাণ খারাপ কাজ হয়ে গেছে কেবল সে পরিমাণই তাকে শাস্তি দেয়া হয়। কারণ, তিনি যে আহকামুল হাকিমিন!
২. ভালো কাজের জন্য যেরূপ পরপারে রয়েছে মহাসুখ ঠিক তেমনি মন্দ কাজের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি ।
আর সেই কঠিন শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য রাব্বুল আলামিন মুমিনদের জন্য একটি পথ বাতলে দিয়েছেন; তাওবা।
পাপ-পঙ্কিলতা যেমন মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ তেমনি তাওবাও মনুষ্য জাতির জীবনের অবিচ্ছেদ্য এক অংশ।
৩. তাওবার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে রাজি করিয়ে নিজের পাপ মোচন করানো ।
কোনো মুমিনের প্রতি যদি স্বয়ং আল্লাহ্ খুশি থাকেন, তাহলে তার জীবনে আর কী চাই! তাওবা করলে আল্লাহ্ তায়ালা খুশি হন।
আল্লাহর খুশির বর্ণনা দিতে গিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিস শরিফে ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহ তাঁর বান্দার তাওবায় খুব বেশি খুশি হন। যখন সে (বান্দা) তাওবা করে; আল্লাহ সেই ব্যক্তির চেয়েও বেশি খুশি হন যার আরোহণের বাহনটি থাকে নির্জন এক মরুভূমিতে; যে বাহনে তার যাবতীয় খাদ্য-পানীয় থাকে, অনন্তর সেই বাহনটি (কোথাও) পালিয়ে যায়। তখন সে (মরু-আরোহী) বাহনটির প্রাপ্তির ব্যাপারে নিরাশ হয়ে একটা বৃক্ষের ছায়ায় এসে শুয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় অকস্মাৎ সে তার বাহনটিকে তার কাছে দণ্ডায়মান দেখতে পায়! আর সে বাহনটির লাগাম ধরে আনন্দের আতিশয্যে বলে উঠে, ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার গোলাম, আমি তোমার খোদা!’ (সহিহ মুসলিম-তাওবা অধ্যায়)
৪. স্বভাবত একজন মুমিন কখনো এমনটি বলতে পারে না; কল্পনাও করা যায় না। স্ব-জ্ঞানে তো নয়ই, অজ্ঞাতেও এমনটি বলা বড় কঠিন। খেয়াল করে দেখুন তো, সেই আরোহী তবে কতটা খুশি হয়েছে!
আর খুশি হবেইবা না কেন, যেখানে সে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে ছিল। সেই ব্যক্তির খুশির পরিমাপ করে দেখা গেলে অন্য শত মানুষের খুশির চেয়ে তার খুশির পাল্লা ভারী হবে। আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন তাঁর বান্দা যখন অনুতপ্ত হয়ে মহান রবের কাছে তাওবা করে তখন ওই ব্যক্তির চেয়েও বেশি খুশি হন। আল্লাহু আকবার!
আল্লাহ আমাদের সবাইকে বেশি বেশি তাওবা করার তাওফিক দিন। আমিন।
ইস্তিগফারের পার্থিব ও অপার্থিব অনেক ফজিলত আছে
ইস্তিগফার হতাশা ও দুশ্চিন্তা দূর করেবলেন, যে ব্যক্তি তার পাপাচারের জন্য ইস্তিগফারের মাধ্যমে নিয়মিত আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা চাইবে, আল্লাহ তাআলা তার দারিদ্র্য ঘুচিয়ে দেবেন। তাকে সব বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করে সচ্ছলতা ও নিরাপত্তা দান করবেন। সে আল্লাহর রহমতে এমন উৎস থেকে রিজিকপ্রাপ্ত হবে, যা সে চিন্তাও করেনি।
ইস্তিগফারের যত ফজিলত
গুনাহ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করার নামই ইস্তিগফার। মানুষ যতই গুনাহ করুক, মহান আল্লাহর কাছে একনিষ্ঠচিত্তে ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহ তা ক্ষমা করেন। ইস্তিগফারের পার্থিব ও অপার্থিব অনেক ফজিলত আছে। নুহ (আ.)-এর দাওয়াত সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি বলেছি, তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, তিনি তো মহাপরাক্রমশালী।
তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত করবেন। তিনি তোমাদের সম্পদ, সন্তান দিয়ে সমৃদ্ধ করবেন এবং তোমাদের জন্য উদ্যান ও প্রবাহিত নদ-নদী স্থাপন করবেন।’ (সুরা : নুহ, আয়াত : ১০-১২)
অতীত ও বর্তমানের তাওবা : প্রকৃত ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে তাওবা সম্প��্ন হয়। এর একটি অপরটির পরিপূরক।
আল্লামা ইবনুল কায়্যিম (রহ.) বলেন, দুই ধরনের গুনাহ আছে। এক ধরনের গুনাহ অতীতে সংঘটিত হয়েছে। এর ইস্তিগফার হলো, গুনাহর অনিষ্টতা থেকে পরিত্রাণ চাওয়া। আরেক ধরনের গুনাহ, যা ভবিষ্যতে হওয়ার আশঙ্কা আছে।
এর তাওবা হলো, তা আগামী দিনে না করার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা করা। তা ছাড়া তাওবার মাধ্যমে অগাধ কল্যাণ লাভ হয়। (মাদারিজুস সালিকিন : ১/৩০৮)
ইস্তিগফার সব সময়ের আমল : মানুষ যেকোনো সময় পাপ করতে পারে। তাই সর্বদা ইস্তিগফার করা চাই। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে আমার বান্দারা, তোমরা রাতে-দিনে পাপাচারে লিপ্ত থাকো।
আমি তোমাদের সবার গুনাহ ক্ষমা করি। অতএব তোমরা আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, আমি তোমাদের ক্ষমা করব।’ (মুসলিম)
ক্ষমা প্রার্থনার পুরস্কার জান্নাত : আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তোমাদের রবের ক্ষমার দিকে অগ্রসর হও এবং ওই জান্নাতের দিকে, যার প্রশস্ততা আকাশ ও পৃথিবীর মতো, যা তাদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে, যারা আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি ঈমান এনেছে। তা আল্লাহর অনুগ্রহ, তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে তা প্রদান করেন।’ (সুরা : হাদিদ, আয়াত : ২০)
আল্লাহ ক্ষমা প্রার্থনাকারীকে ভালোবাসেন : মানুষ আল্লাহর অবাধ্য হয়ে পাপ করতে পারে। তবে পাপকাজ থেকে ক্ষমা প���রার্থনা করা সবার জন্য জরুরি। অপর হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘ওই সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ, যদি তোমরা গুনাহ না করো, তাহলে আল্লাহ তোমাদের নিয়ে যাবেন এবং এমন জাতি আনবেন, যারা গুনাহ করবে, অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে। আর তিনি তাদের ক্ষমা করবেন।’ (মুসনাদে আহমদ ও মুসলিম)
ক্ষমা প্রার্থনার সঙ্গে চাই দৃঢ়তা : আল্লাহর সব ধরনের দুঃখ-কষ্ট সহ্য করেও মুমিনরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। মুমিনদের গুণাবলি বর্ণনা করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের একমাত্র কথা ছিল, হে আমাদের রব, আমাদের পাপ ও আমাদের কাজের সীমা লঙ্ঘন তুমি ক্ষমা করো, আমাদের সুদৃঢ় রাখো এবং কাফিরদের বিপক্ষে আমাদের সহায়তা করো।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৪৭)
রাতের শেষভাগে ক্ষমা প্রার্থনা : আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার সর্বোত্তম সময় হলো রাতের শেষভাগ। শেষরাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুত্তাকিরা ওই দিন প্রস্রবণবিশিষ্ট জান্নাতে অবস্থান করবে। তাদের রব প্রদত্ত সব নিয়ামত তারা উপভোগ করবে। কারণ পার্থিব জীবনে তারা সৎকর্মশীল ছিল। তারা রাতের খুব অল্প অংশ ঘুমাত। তারা শেষ প্রহরে ক্ষমা প্রার্থনা করত।’ (সুরা : জারিয়াত, আয়াত : ১৫-১৮)
ক্ষমা চাইতেন নবীজি (সা.) : আল্লাহ নবীজি (সা.)-এর জীবনের সব ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দেওয়ার পর এবং তাকে সব ধরনের ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে রাখার পরও রাসুল (সা.) প্রতিদিন অসংখ্যবার ইস্তিগফার করেন। হাদিসে বর্ণিত আছে, ‘আমি প্রতিদিন একশত বার আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি।’ (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)
আল্লাহ সবাইকে ক্ষমা প্রার্থনা করার তাওফিক দিন। আমিন।
তওবা করার নিয়ম
তওবা ও ইস্তিগফার
https://www.youtube.com/watch?v=Gy0AOYeJMP8
তাওবা করার পরও বারবার গুনাহ হয়ে যায়, আমার করণীয় কী?
https://www.youtube.com/watch?v=0moJTllHE5w
সাইয়েদুল ইস্তেগফার ও তার ফজিলত | তওবার শ্রেষ্ঠ দোয়া |
https://www.youtube.com/watch?v=CJy-46VONYs
তাওবা করলেই হবেনা যে পাঁচটি শর্ত আপনাকে জানতে হবে
https://www.youtube.com/watch?v=dnTE7SZ5EO8
Du'a Qunoot w/Eng Subs
Deep and beautiful short recitation of quran
Recitation from Surah Nuh
তওবা ও ইস্তিগফার
0 notes
❀๑▬▬▬๑﷽ ๑▬▬▬๑❀
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুনাময় ও দয়াময়।
وَالَّذِيۡنَ يَبِيۡتُوۡنَ لِرَبِّهِمۡ سُجَّدًا وَّقِيَامًا
তারা নিজেদের রবের সামনে সিজদায় অবনত হয়ে ও দাঁড়িয়ে রাত কাটিয়ে দেয়।
(সূরা আল ফুরকানঃ ৬৪)
ব্যাখ্যাঃ
অর্থাৎ ওটা ছিল তাদের দিনের জীবন এবং এটা হচ্ছে রাতের জীবন। তাদের রাত আরাম-আয়েশে, নাচ-গানে, খেলা-তামাশায়, গপ-সপে এবং আড্ডাবাজী ও চুরি-চামারিতে অতিবাহিত হয় না। জাহেলীয়াতের এসব পরিচিত বদ কাজগুলোর পরিবর্তে তারা এ সমাজে এমন সব সৎকর্ম সম্পাদনকারী যাদের রাত কেটে যায় আল্লাহর দরবারে দাঁড়িয়ে, বসে শুয়ে দোয়া ও ইবাদাত করার মধ্য দিয়ে। কুরআন মজীদের বিভিন্ন স্থানে তাদের জীবনের এ দিকগুলো সুস্পষ্ট করে তুলে ধরা হয়েছে। যেমন সূরা সাজদায় বলা হয়েছেঃ
تَتَجَافَى جُنُوبُهُمْ عَنِ الْمَضَاجِعِ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ خَوْفًا وَطَمَعًا
“তাদের পিঠ বিছানা থেকে আলাদা থাকে, নিজেদের রবকে ডাকতে থাকে আশায় ও আশঙ্কায়।” (১৬ আয়াত)
সূরা যারিয়াতে বলা হয়েছেঃ
كَانُوا قَلِيلًا مِنَ اللَّيْلِ مَا يَهْجَعُونَ O وَبِالْأَسْحَارِ هُمْ يَسْتَغْفِرُونَO “এ সকল জান্নাতবাসী ছিল এমন সব লোক যারা রাতে সামান্যই ঘুমাতো এবং ভোর রাতে মাগফিরাতের দোয়া করতো।” (১৭-১৮ আয়াত)
সূরা যুমারে বলা হয়েছেঃ
أَمْ مَنْ هُوَ قَانِتٌ آَنَاءَ اللَّيْلِ سَاجِدًا وَقَائِمًا يَحْذَرُ الْآَخِرَةَ وَيَرْجُو رَحْمَةَ رَبِّهِ “যে ব্যক্তি হয় আল্লাহর হুকুম পালনকারী, রাতের বেলা সিজদা করে ও দাঁড়িয়ে থাকে, আখেরাতকে ভয় করে এবং নিজের রবের রহমতের প্রত্যাশা করে তার পরিণাম কি মুশরিকের মতো হতে পারে?” (৯ আয়াত)
#SuraAlFurqan64 #QuranMajeed
#DailyQuran
#Quran25ঃ64
#Quran
0 notes
সম্পর্ক মজবুত করে (Opal Stone) বদ অভ্যাস দূর করতে (Malachite)
https://youtu.be/T8mVjYH6FtA
0 notes
কুরআনের চিঠি
আলহামদুলিল্লাহ!! আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে "কুরআনের চিঠি " বইটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে শেষ করলাম।
বইটির প্রতিটি পাঠেই ছিলো Motivational এক অংশ পড়ার পর অন্য অংশ পড়ার জন্য অধীর আগ্রহের জন্ম নিয়েছে।
আমি আমার জীবনের অনেক বই পড়ছি। প্রতিটি বইয়ের আলাদা কিছু না কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, কিন্তু ❝কুরআনের চিঠি❞ বইটি অন্য সব থেকে আলাদা ছিলো, যা একজন মানুষের জীবনের সকল ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি দিবে ইনশাআল্লাহ।
এই বই টা পড়তে গিয়ে আমার কাছে মনে হয়েছে এটা কোনো Motivational Speaker এর লিখিত একটি Book. কেননা প্রত্যেকটা অনুচ্ছেদে এবং লাইনে লাইনে লেখক এমন কিছু মনি মুক্তা মাখা ভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে আল্লাহর পক্ষ থেকে পাঠানো কিছু চিঠির ব্যাখ্যা,উপলব্ধি ও শিক্ষা ফুটিয়ে তুলেছেন যা এককজন পাঠককে সহজেই motivate করতে সক্ষম।
শুধু তাই নয়,
কোন পাঠক যদি এই বইটি শুধু পাঠ করার জন্যে নয় বরং বইটি প��ঠ করে সে অনুযায়ী আমল করার মাধ্যমে নিজের জীবন কে গড়ে তুলতে পারে, আমার বিশ্বাস নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা তাকে ইহকালে হেদায়েত দান করে পরকালে নাজাত প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত করবেন।
আর এই বই এর একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো লেখক প্রত্যেক টা পাঠ এর শেষে একটি শিক্ষা বা উপদেশ পেশ করেছেন যা এই বই এর মান বহুগুনে বাড়িয়ে তুলেছে।
এক কথায়, ঈমানদীপ্ত প্রজন্ম গঠনে এটি একটি অসাধারণ বই।
১.যদি মানুষ তোমার সম্মান না বোঝে, কৃতিত্ব অস্বীকার করে, তাহলে ভেঙে পড়ো না, রেগেও যেয়ো না। আল্লাহ তায়ালা সম্যক অবগত আছেন, তুমি কে.?
২.আক্রমণাত্মক কথা মানুষকে ঠিক সেভাবেই ক্ষতিবিক্ষত করে, যেভাবে তরবারি আঘাত করে থাকে। সুন্দর কথায় মানুষ তেমনই বিমুগ্ধ হয়, যেভাবে উপঢৌকন পেলে খুশিতে আপ্লূত হয়ে থাকে।
২.১কোনো কথা প্রাঞ্জল ও সর্বজন সমাদৃত হওয়ার জন্য তাতে দুটি বিষয় থাকা জরুরি। এক, সুন্দর বিষয়বস্তু। দুই, চমৎকার উপস্থাপণ।
কিছু বলার সময় এ দুটি বিষয়ের প্রতি অবশ্যই খেয়াল রাখা আবশ্যম্ভাবী। প্রয়োজনে কাউকে কিছু বলার আগে তা নিজের কানে বাজিয়ে নাও। যদি তোমার নিজের কাছে ভালো লাগে, তাহলে বলো, আর মন্দ লাগলে বিরত থাকো। কারণ যা নিজের কাছে ভালো লাগেনি, তা অন্যের ভালো লাগার সম্ভাবনা ও নেই।
ولو كونت فظا غليظ القلب لانفضوا من حولك
যদি তুমি রুঢ় ও কঠোরচিত্ত হতে, তাহলে তারা তোমার আশপাশ থেকে সরে পড়ত। সূরা আল ইমরান ১৫৯।।
৩. অপরাধীরা সব সময় আকাঙ্ক্ষা করে,সমাজের ভালো মানুষেরা ও অপরাধ করুক। যাতে মন্দ কাজ করা সহজ হয়ে যায়।
৪. জীবন চলার পথে যদি পরাজয়ের গ্লানি ও হতাশার কালো মেঘ আচ্ছন্ন করে তোমাকে,তাহলে নিজেকে এই বলে সান্ত্বনা দাও- এ পরীক্ষা একান্তই আমার সংশোধনের জন্য : আমাকে কষ্ট দেওয়া আল্লাহর উদ্দেশ্য নয়।
৪.১- কিছু মানুষ তোমাকে অপছন্দ করবে শ্রেষ্ঠত্বের কারণে, দোষের কারণে নয়।তাই নিজের সব কল্যাণের কথা মানুষের কাছে প্রকাশ করতে নেই।কিছু বিষয় নিজের কাছেই গোপন রাখো।কারণ, বাহ্যিক দেখে কখনো অভ্যন্তর নিরুপণ করা যায় না।
৫. ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহ, একবার হাতিম আল আসামকে জিজ্ঞেস করলেন - মানুষের সমালোচনা থেকে বেঁচে থাকার উপায় কি? তিনি বললেন- মানুষকে তোমার সম্পদ দাও; কিন্তু তাদের থেকে কিছু গ্রহণ করো না। তারা তোমাকে কষ্ট দিলও তুমি কষ্ট দিয়ো না। তাদের প্রয়োজন পূরণ করো, তবে তোমার প্রয়োজনে কাউকে ডেকো না।
৬. যার শ্রেষ্ঠত্ব যত বেশি, তাঁর বিনয়-নম্রতাও তত বেশি।
৭.জীবন হলো একটি খাতার মতো। জীবনের প্রতিটি দিন খাতার একেকটি পৃষ্ঠার মতো। তুমি চাইলে প্রত্যেক পৃষ্টা নেক আমল দিয়ে সাজাতে পারো।
আবার তাতে বদ আমলও সন্নিবেশিত করতে পারো। নফস ও শয়তানের ধোকাঁয় যদি কিছু পৃষ্ঠা বদ আমলে ভরে যায়,তাহলে তা মোছার জন্য সাদা কালির ব্যবস্থা ও রয়েছে। আর তা হলো ইস্তেগফার।
৮. আল্লাহর কাছে যার মূল্য যত বেশি, দুনিয়াতে তার বিপদাপদ ও তত বেশি হয়।
অবশেষে, এত সুন্দর বই পাঠকের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বিশেষ কৃতজ্ঞতা গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স, লেখক ও অনুবাদকের প্রতি
চমৎকার এই রিভিউটি লিখেছেন- @Sajibul Islam
0 notes
সীমান্ত-হীরা (ব্যোমকেশ বক্সী) – শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়
0 notes
কোরআনের বর্ণনায় রাষ্ট্র পরিচালনার উদ্দেশ্য
The Purpose Of Governance In The Qur'anic Description
কোরআনের বর্ণনায় রাষ্ট্র পরিচালনার পঞ্চম উদ্দেশ্য ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা। আল্লাহ তাআলা বলেন : 'হে দাউদ। আমি তোমাকে দুনিয়াতে খলিফা নিযুক্ত করেছি, অতএব তুমি লোকসমাজে ন্যায়বিচার করো এবং প্রবৃত্তির পেছনে পোড়ো না।
কোরআনের বর্ণনায় রাষ্ট্র পরিচালনার উদ্দেশ্য
মানবরচিত মতবাদ অন্য ক্ষেত্রের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার উদ্দেশ্য বর্ণনা করতে গিয়েও চরম হোঁচট খেয়েছে। কেউ বলে, হুকুমতের উদ্দেশ্য অধিকার আদায়। অথচ অধিকারের সংজ্ঞা ও সীমারেখা নির্ধারণে তা ব্যর্থ। কেউ বলে, হুকুমতের উদ্দেশ্য কেবল সুখ অর্জন।
অথচ সুখ একটি অস্পষ্ট শব্দ এবং রুচির ভিন্নতার বিচারে ভিন্ন ভিন্ন বস্তুতে সুখ লাভ হতে পারে। অপরাধীর সুখ অর্জন হয় অপরাধ করে। তাই ইসলাম রাষ্ট্র পরিচালনার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সুস্পষ্টভাবে বয়ান করেছে। কোরআন কারিমে এসেছে, ‘এরা ওই সব লোক, যদি আমি তাদের ভূপৃষ্ঠে ক্ষমতা অর্পণ করি, তাহলে তারা নামাজ কায়েম করবে; জাকাত আদায় করবে; সৎকাজের আদেশ করবে এবং অসৎ কাজ থেকে বারণ করবে।
(সুরা : হজ : আয়াত : ৪১)
কোরআনে কারিম স্পষ্ট করে দিয়েছে যে রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকারের মৌলিক লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের অন্যতম হলো শিষ্টের লালন ও দুষ্টের দমন। কোরআনে কারিমের বর্ণিত লক্ষ্যগুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা করলে দেখা যাবে, প্রকৃতপক্ষে সেগুলোই হুকুমতের আসল লক্ষ্য পূরণ করতে পারে। যুগের বিবর্তনে এগুলোর বৈশিষ্ট্যে কোনো পরিবর্তন সাধন হয় না। এখানে প্রতিটি উদ্দেশ্যের ব্যাখ্যা দেওয়া হলো :
নামাজ কায়েম করা
মানবসমাজকে একটি সুশৃঙ্খল নিয়মনীতির আওতায় আনার জন্যই হুকুমত প্রয়োজন।
আর এ কথা স্পষ্ট যে শুধু ডাণ্ডার জোরে মানুষকে নিয়মনীতির আওতায় আনা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন তাদের মানসিকভাবে প্রশিক্ষণ। আর এর সবচেয়ে কার্যকর পন্থা হচ্ছে তাদের দিলে আল্লাহ তাআলার সামনে উপস্থিতি ও নিজের সব কাজের জবাবদিহির অনুভূতি সৃষ্টি করা। কারণ এই অনুভূতিই মানুষকে রাতের আঁধারে এবং নির্জনতায়ও নজরদারিতে রাখে। এই অনুভূতি সর্বদা জাগ্রত রাখার জন্য নামাজের পাবন্দি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এ জন্যই সৎ শাসকদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের মধ্যে সর্বপ্রথম নামাজ কায়েমের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) নামাজকে দ্বিনের স্তম্ভ বলেছেন; সাহাবায়ে কেরামের দীক্ষার বেলায় সবার আগে রেখেছেন নামাজকে। সর্বদা নিজে নামাজের ইমামতি করেছেন এবং জীবন-পরিক্রমার সর্বশেষ দিনে নিজে ইমামতি করতে পারছিলেন না; কিন্তু সিদ্দিকে আকবর (রা.)-এর ���েতৃত্বে মানুষজনকে নামাজ পড়তে দেখে আনন্দ প্রকাশ করেছিলেন। তারপর খুলাফায়ে রাশেদিন, যাঁদের হুকুমত রাষ্ট্র পরিচালনার আদর্শ, তাঁদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্ব ছিল নামাজের। খুলাফায়ে রাশেদিন অধীনদের নামাজের ব্যাপারে বিশেষভাবে গুরুত্বারোপের জন্য শুধু নির্দেশই দেননি; বরং তাদের পদবিগত কর্তব্যসমূহের মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য সাব্যস্ত করেছেন। খলিফা উমর (রা.) গভর্নরদের এই মর্মে চিঠি লিখেছিলেন যে, আপনাদের কাজের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নামাজ। এ জন্য যে ব্যক্তি নামাজের হেফাজত করবে এবং তার পাবন্দি করবে, সে তার দ্বিন হেফাজত করবে; আর যে নামাজ বরবাদ করবে, তার অন্যান্য কাজ আরো বেশি বরবাদ হবে।
(মুআত্তা মালেক : হাদিস : ৬)
এর কারণ হলো, ইসলামে রাজনীতি হোক, অর্থনীতি হোক, অথবা ইহলৌকিক অন্য কোনো বিষয়ই হোক, সেটাকে আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সম্পর্ক এবং মানুষের আত্মিক দীক্ষা থেকে আলাদা করা যায় না। নামাজ মানুষের দিলে তার একেকটি কথা ও কাজ সেই সত্তার গোচরীভূত হওয়ার চিন্তা সৃষ্টি করে, যার কাছে শেষ পর্যন্ত ফিরে যেতে হবে। এই চিন্তাই মানুষকে মানুষ বানায় এবং তার কর্মকাণ্ড নিয়ম-শৃঙ্খলার অধীন রাখে। এ জন্যই কোরআন বলছে, ‘নিশ্চয়ই নামাজ বেহায়াপনা ও মন্দাচার থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বাধিক বড় বিষয়।’
(সুরা : আনকাবুত, আয়াত : ৪৫)
এসব কারণেই কোরআনে কারিম রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলিক লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের মধ্যে সর্বাগ্রে নামাজ প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করেছে।
জাকাত সংগ্রহ ও তার সুষ্ঠু বিতরণ
রাষ্ট্র পরিচালনার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো জাকাত আদায়। এর কারণ প্রথমত, রাষ্ট্র যেন আল্লাহ তাআলার হুকুম পালনার্থে দরিদ্র জনগণের অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নত করার চেষ্টা করে। দ্বিতীয়ত, মানুষের বদ আমলের একটি বড় কারণ হচ্ছে সম্পদের ভালোবাসা। জাকাত এই ভালোবাসার নিয়ন্ত্রণ এবং স্বেচ্ছাচারিতার বদলে ত্যাগের উদ্দীপনা সৃষ্টির অনেক বড় মাধ্যম। তৃতীয়ত, নামাজ যে রকম মানুষের সত্তাগত কর্মকাণ্ডে এখলাস ও রুহানিয়াত সৃষ্টি করে, তেমনি জাকাতও তার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে একনিষ্ঠতা ও আধ্যাত্মিকতা সৃষ্টি করে।
সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের বারণ
রাষ্ট্র পরিচালনার তৃতীয় বড় উদ্দেশ্য হলো, সৎ কাজের হুকুম প্রদান এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ করা। এমনিতে তো এক পর্যায়ে তা প্রত্যেক মুসলমানেরই কর্তব্য। যেমন ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা সেই উত্তম জাতি, যাকে মানুষের কল্যাণে সৃষ্টি করা হয়েছে। তোমরা সৎ কাজের আদেশ দেবে, অসৎ কাজ থেকে বারণ করবে এবং ঈমান রাখবে আল্লাহর ওপর।’
(সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১১০)
তবে হাদিসে এর স্তরবিন্যাস রয়েছে। বলা হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্য থেকে যে কেউ অন্যায় হতে দেখলে হাতের সাহায্যে তা বদলে দেবে। যদি সেই সামর্থ্য না থাকে, তাহলে মুখের সাহায্যে। এর সামর্থ্যও না থাকলে মনেপ্রাণে সেটাকে ঘৃণা করবে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৮৬)
আর হাতের সাহায্যে মন্দের প্রতিরোধের সম্বোধন ক্ষমতাধর ব্যক্তিবর্গের প্রতি। কিছু আলেম বলেন, অন্যায় কাজ হাত দ্বারা প্রতিরোধের দায়িত্ব ক্ষমতাশালীদের, জবান দ্বারা করার দায়িত্ব আলেমদের, আর অন্তর দ্বারা করবে সর্বসাধারণ। (ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি : ৫/৩৫৩)
ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা
কোরআনের বর্ণনায় রাষ্ট্র পরিচালনার পঞ্চম উদ্দেশ্য ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা। আল্লাহ তাআলা বলেন : ‘হে দাউদ। আমি তোমাকে দুনিয়াতে খলিফা নিযুক্ত করেছি, অতএব তুমি লোকসমাজে ন্যায়বিচার করো এবং প্রবৃত্তির পেছনে পোড়ো না।’
(সুরা : সোয়াদ, আয়াত : ২৬)
এখানে খিলাফতের মৌলিক লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও পদবীয় কর্তব্যের মধ্যে জনসাধারণের সঙ্গে ইনসাফের আচরণ করা অন্তর্ভুক্ত। এই ইনসাফের মধ্যে বিচারিক ন্যায়পরায়ণতা যেমন শামিল, তেমনি নির্বাহী বিধি-বিধান ন্যায়পরায়ণতার ওপর প্রতিষ্ঠা করাও শামিল।
ন্যায় ও ইনসাফের মাপকাঠি
এখানে স্পষ্ট হওয়া জরুরি যে ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের ব্যাখ্যা যেকোনো ব্যক্তি নিজের বুঝ মোতাবেক স্থির করতে পারে; কিন্তু কোরআনে কারিমের পরিভাষায় শুধু সেটাই ইনসাফ, যাকে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.) ইনসাফ বলে স্বীকৃতি দেন। ইনসাফের যে ব্যাখ্যা আল্লাহ ও রাসুলের বিধি-নিষেধের খেলাফ, সেটা ইনসাফ নয়; সেটা প্রবৃত্তির গোলামি। সেটাকেই উক্ত আয়াতে অন্যায় ফায়সালা হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যারা সেই বিধান মোতাবেক ফায়সালা করবে না, যা আল্লাহ নাজিল করেছেন, তারাই জালিম।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৪৫)
এমনিভাবে রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে সম্বোধন করে বলা হয়েছে, ‘যদি আপনি তাদের মধ্যে ফায়সালা করেন, তাহলে ইনসাফের সঙ্গে ফায়সালা করবেন।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৪২)
সারকথা, মুখের ভাষায় তো যেকোনো সরকারব্যবস্থাই ইনসাফ কায়েমের দাবি করে, এবং নিজের গৃহীত কর্মপন্থাকে হক ও ইনসাফ মনে করে; কিন্তু প্রকৃত ইনসাফ হচ্ছে সেটা, যাকে আল্লাহ এবং তাঁর রাসুল (সা.) ইনসাফ সাব্যস্ত করেছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের আগে যারা অতিবাহিত হয়েছে, তারা ধ্বংস হয়েছে এ কারণে যে তাদের মধ্য থেকে যখন কোনো বড়লোক চুরি করত, তখন তারা তাকে ছেড়ে দিত; আর যখন কোনো দুর্বল চুরি করত, তখন তারা তাকে শাস্তি দিত। আল্লাহর কসম! যদি মুহাম্মদের মেয়ে ফাতিমাও চুরি করে, তাহলে আমি অবশ্যই তার হাত কেটে দেব।’ (বুখারি, হাদিস : ৩৪৭৫)
কুরআন সুন্নার আলোকে ইসলামী রাষ্ট্র।
রাষ্ট্রে ইসলামিক বিধান কায়েম না থাকলে, রাষ্ট্রের হুকুম মানা কি বাধ্যতামূলক?
রাষ্ট্রে দ্বীন-কায়েম করার ইসলামী পদ্ধতি কি?
https://www.youtube.com/watch?v=OfB68_qHPxI
কোরআনের বর্ণনায় রাষ্ট্র পরিচালনার উদ্দেশ্য
The Purpose Of Governance In The Qur'anic Description
কোরআনের বর্ণনায় রাষ্ট্র পরিচালনার উদ্দেশ্য
The Purpose of Governance In The Qur'anic Description
0 notes
কোরআনের বর্ণনায় রাষ্ট্র পরিচালনার উদ্দেশ্য
The Purpose Of Governance In The Qur'anic Description
কোরআনের বর্ণনায় রাষ্ট্র পরিচালনার পঞ্চম উদ্দেশ্য ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা। আল্লাহ তাআলা বলেন : 'হে দাউদ। আমি তোমাকে দুনিয়াতে খলিফা নিযুক্ত করেছি, অতএব তুমি লোকসমাজে ন্যায়বিচার করো এবং প্রবৃত্তির পেছনে পোড়ো না।
কোরআনের বর্ণনায় ��াষ্ট্র পরিচালনার উদ্দেশ্য
মানবরচিত মতবাদ অন্য ক্ষেত্রের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার উদ্দেশ্য বর্ণনা করতে গিয়েও চরম হোঁচট খেয়েছে। কেউ বলে, হুকুমতের উদ্দেশ্য অধিকার আদায়। অথচ অধিকারের সংজ্ঞা ও সীমারেখা নির্ধারণে তা ব্যর্থ। কেউ বলে, হুকুমতের উদ্দেশ্য কেবল সুখ অর্জন।
অথচ সুখ একটি অস্পষ্ট শব্দ এবং রুচির ভিন্নতার বিচারে ভিন্ন ভিন্ন বস্তুতে সুখ লাভ হতে পারে। অপরাধীর সুখ অর্জন হয় অপরাধ করে। তাই ইসলাম রাষ্ট্র পরিচালনার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সুস্পষ্টভাবে বয়ান করেছে। কোরআন কারিমে এসেছে, ‘এরা ওই সব লোক, যদি আমি তাদের ভূপৃষ্ঠে ক্ষমতা অর্পণ করি, তাহলে তারা নামাজ কায়েম করবে; জাকাত আদায় করবে; সৎকাজের আদেশ করবে এবং অসৎ কাজ থেকে বারণ করবে।
(সুরা : হজ : আয়াত : ৪১)
কোরআনে কারিম স্পষ্ট করে দিয়েছে যে রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকারের মৌলিক লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের অন্যতম হলো শিষ্টের লালন ও দুষ্টের দমন। কোরআনে কারিমের বর্ণিত লক্ষ্যগুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা করলে দেখা যাবে, প্রকৃতপক্ষে সেগুলোই হুকুমতের আসল লক্ষ্য পূরণ করতে পারে। যুগের বিবর্তনে এগুলোর বৈশিষ্ট্যে কোনো পরিবর্তন সাধন হয় না। এখানে প্রতিটি উদ্দেশ্যের ব্যাখ্যা দেওয়া হলো :
নামাজ কায়েম করা
মানবসমাজকে একটি সুশৃঙ্খল নিয়মনীতির আওতায় আনার জন্যই হুকুমত প্রয়োজন।
আর এ কথা স্পষ্ট যে শুধু ডাণ্ডার জোরে মানুষকে নিয়মনীতির আওতায় আনা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন তাদের মানসিকভাবে প্রশিক্ষণ। আর এর সবচেয়ে কার্যকর পন্থা হচ্ছে তাদের দিলে আল্লাহ তাআলার সামনে উপস্থিতি ও নিজের সব কাজের জবাবদিহির অনুভূতি সৃষ্টি করা। কারণ এই অনুভূতিই মানুষকে রাতের আঁধারে এবং নির্জনতায়ও নজরদারিতে রাখে। এই অনুভূতি সর্বদা জাগ্রত রাখার জন্য নামাজের পাবন্দি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এ জন্যই সৎ শাসকদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের মধ্যে সর্বপ্রথম নামাজ কায়েমের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) নামাজকে দ্বিনের স্তম্ভ বলেছেন; সাহাবায়ে কেরামের দীক্ষার বেলায় সবার আগে রেখেছেন নামাজকে। সর্বদা নিজে নামাজের ইমামতি করেছেন এবং জীবন-পরিক্রমার সর্বশেষ দিনে নিজে ইমামতি করতে পারছিলেন না; কিন্তু সিদ্দিকে আকবর (রা.)-এর নেতৃত্বে মানুষজনকে নামাজ পড়তে দেখে আনন্দ প্রকাশ করেছিলেন। তারপর খুলাফায়ে রাশেদিন, যাঁদের হুকুমত রাষ্ট্র পরিচালনার আদর্শ, তাঁদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্ব ছিল নামাজের। খুলাফায়ে রাশেদিন অধীনদের নামাজের ব্যাপারে বিশেষভাবে গুরুত্বারোপের জন্য শুধু নির্দেশই দেননি; বরং তাদের পদবিগত কর্তব্যসমূহের মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য সাব্যস্ত করেছেন। খলিফা উমর (রা.) গভর্নরদের এই মর্মে চিঠি লিখেছিলেন যে, আপনাদের কাজের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নামাজ। এ জন্য যে ব্যক্তি নামাজের হেফাজত করবে এবং তার পাবন্দি করবে, সে তার দ্বিন হেফাজত করবে; আর যে নামাজ বরবাদ করবে, তার অন্যান্য কাজ আরো বেশি বরবাদ হবে।
(মুআত্তা মালেক : হাদিস : ৬)
এর কারণ হলো, ইসলামে রাজনীতি হোক, অর্থনীতি হোক, অথবা ইহলৌকিক অন্য কোনো বিষয়ই হোক, সেটাকে আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সম্পর্ক এবং মানুষের আত্মিক দীক্ষা থেকে আলাদা করা যায় না। নামাজ মানুষের দিলে তার একেকটি কথা ও কাজ সেই সত্তার গোচর���ভূত হওয়ার চিন্তা সৃষ্টি কর���, যার কাছে শেষ পর্যন্ত ফিরে যেতে হবে। এই চিন্তাই মানুষকে মানুষ বানায় এবং তার কর্মকাণ্ড নিয়ম-শৃঙ্খলার অধীন রাখে। এ জন্যই কোরআন বলছে, ‘নিশ্চয়ই নামাজ বেহায়াপনা ও মন্দাচার থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বাধিক বড় বিষয়।’
(সুরা : আনকাবুত, আয়াত : ৪৫)
এসব কারণেই কোরআনে কারিম রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলিক লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের মধ্যে সর্বাগ্রে নামাজ প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করেছে।
জাকাত সংগ্রহ ও তার সুষ্ঠু বিতরণ
রাষ্ট্র পরিচালনার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো জাকাত আদায়। এর কারণ প্রথমত, রাষ্ট্র যেন আল্লাহ তাআলার হুকুম পালনার্থে দরিদ্র জনগণের অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নত করার চেষ্টা করে। দ্বিতীয়ত, মানুষের বদ আমলের একটি বড় কারণ হচ্ছে সম্পদের ভালোবাসা। জাকাত এই ভালোবাসার নিয়ন্ত্রণ এবং স্বেচ্ছাচারিতার বদলে ত্যাগের উদ্দীপনা সৃষ্টির অনেক বড় মাধ্যম। তৃতীয়ত, নামাজ যে রকম মানুষের সত্তাগত কর্মকাণ্ডে এখলাস ও রুহানিয়াত সৃষ্টি করে, তেমনি জাকাতও তার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে একনিষ্ঠতা ও আধ্যাত্মিকতা সৃষ্টি করে।
সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের বারণ
রাষ্ট্র পরিচালনার তৃতীয় বড় উদ্দেশ্য হলো, সৎ কাজের হুকুম প্রদান এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ করা। এমনিতে তো এক পর্যায়ে তা প্রত্যেক মুসলমানেরই কর্তব্য। যেমন ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা সেই উত্তম জাতি, যাকে মানুষের কল্যাণে সৃষ্টি করা হয়েছে। তোমরা সৎ কাজের আদেশ দেবে, অসৎ কাজ থেকে বারণ করবে এবং ঈমান রাখবে আল্লাহর ওপর।’
(সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১১০)
তবে হাদিসে এর স্তরবিন্যাস রয়েছে। বলা হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্য থেকে যে কেউ অন্যায় হতে দেখলে হাতের সাহায্যে তা বদলে দেবে। যদি সেই সামর্থ্য না থাকে, তাহলে মুখের সাহায্যে। এর সামর্থ্যও না থাকলে মনেপ্রাণে সেটাকে ঘৃণা করবে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৮৬)
আর হাতের সাহায্যে মন্দের প্রতিরোধের সম্বোধন ক্ষমতাধর ব্যক্তিবর্গের প্রতি। কিছু আলেম বলেন, অন্যায় কাজ হাত দ্বারা প্রতিরোধের দায়িত্ব ক্ষমতাশালীদের, জবান দ্বারা করার দায়িত্ব আলেমদের, আর অন্তর দ্বারা করবে সর্বসাধারণ। (ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি : ৫/৩৫৩)
ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা
কোরআনের বর্ণনায় রাষ্ট্র পরিচালনার পঞ্চম উদ্দেশ্য ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা। আল্লাহ তাআলা বলেন : ‘হে দাউদ। আমি তোমাকে দুনিয়াতে খলিফা নিযুক্ত করেছি, অতএব তুমি লোকসমাজে ন্যায়বিচার করো এবং প্রবৃত্তির পেছনে পোড়ো না।’
(সুরা : সোয়াদ, আয়াত : ২৬)
এখানে খিলাফতের মৌলিক লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও পদবীয় কর্তব্যের মধ্যে জনসাধারণের সঙ্গে ইনসাফের আচরণ করা অন্তর্ভুক্ত। এই ইনসাফের মধ্যে বিচারিক ন্যায়পরায়ণতা যেমন শামিল, তেমনি নির্বাহী বিধি-বিধান ন্যায়পরায়ণতার ওপর প্রতিষ্ঠা করাও শামিল।
ন্যায় ও ইনসাফের মাপকাঠি
এখানে স্পষ্ট হওয়া জরুরি যে ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের ব্যাখ্যা যেকোনো ব্যক্তি নিজের বুঝ মোতাবেক স্থির করতে পারে; কিন্তু কোরআনে কারিমের পরিভাষায় শুধু সেটাই ইনসাফ, যাকে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.) ইনসাফ বলে স্বীকৃতি দেন। ইনসাফের যে ব্যাখ্যা আল্লাহ ও রাসুলের বিধি-নিষেধের খেলাফ, সেটা ইনসাফ নয়; সেটা প্রবৃত্তির গোলামি। সেটাকেই উক্ত আয়াতে অন্যায় ফায়সালা হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যারা সেই বিধান মোতাবেক ফায়সালা করবে না, যা আল্লাহ নাজিল করেছেন, তারাই জালিম।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৪৫)
এমনিভাবে রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে সম্বোধন করে বলা হয়েছে, ‘যদি আপনি তাদের মধ্যে ফায়সালা করেন, তাহলে ইনসাফের সঙ্গে ফায়সালা করবেন।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৪২)
সারকথা, মুখের ভাষায় তো যেকোনো সরকারব্যবস্থাই ইনসাফ কায়েমের দাবি করে, এবং নিজের গৃহীত কর্মপন্থাকে হক ও ইনসাফ মনে করে; কিন্তু প্রকৃত ইনসাফ হচ্ছে সেটা, যাকে আল্লাহ এবং তাঁর রাসুল (সা.) ইনসাফ সাব্যস্ত করেছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের আগে যারা অতিবাহিত হয়েছে, তারা ধ্বংস হয়েছে এ কারণে যে তাদের মধ্য থেকে যখন কোনো বড়লোক চুরি করত, তখন তারা তাকে ছেড়ে দিত; আর যখন কোনো দু���্বল চুরি করত, তখন তারা তাকে শাস্তি দিত। আল্লাহর কসম! যদি মুহাম্মদের মেয়ে ফাতিমাও চুরি করে, তাহলে আমি অবশ্যই তার হাত কেটে দেব।’ (বুখারি, হাদিস : ৩৪৭৫)
কুরআন সুন্নার আলোকে ইসলামী রাষ্ট্র।
রাষ্ট্রে ইসলামিক বিধান কায়েম না থাকলে, রাষ্ট্রের হুকুম মানা কি বাধ্যতামূলক?
রাষ্ট্রে দ্বীন-কায়েম করার ইসলামী পদ্ধতি কি?
https://www.youtube.com/watch?v=OfB68_qHPxI
কোরআনের বর্ণনায় রাষ্ট্র পরিচালনার উদ্দেশ্য
The Purpose Of Governance In The Qur'anic Description
কোরআনের বর্ণনায় রাষ্ট্র পরিচালনার উদ্দেশ্য
The Purpose of Governance In The Qur'anic Description
0 notes
কোরআনের বর্ণনায় রাষ্ট্র পরিচালনার উদ্দেশ্য
The Purpose Of Governance In The Qur'anic Description
কোরআনের বর্ণনায় রাষ্ট্র পরিচালনার পঞ্চম উদ্দেশ্য ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা। আল্লাহ তাআলা বলেন : 'হে দাউদ। আমি তোমাকে দুনিয়াতে খলিফা নিযুক্ত করেছি, অতএব তুমি লোকসমাজে ন্যায়বিচার করো এবং প্রবৃত্তির পেছনে পোড়ো না।
কোরআনের বর্ণনায় রাষ্ট্র পরিচালনার উদ্দেশ্য
মানবরচিত মতবাদ অন্য ক্ষেত্রের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার উদ্দেশ্য বর্ণনা করতে গিয়েও চরম হোঁচট খেয়েছে। কেউ বলে, হুকুমতের উদ্দেশ্য অধিকার আদায়। অথচ অধিকারের সংজ্ঞা ও সীমারেখা নির্ধারণে তা ব্যর্থ। কেউ বলে, হুকুমতের উদ্দেশ্য কেবল সুখ অর্জন।
অথচ সুখ একটি অস্পষ্ট শব্দ এবং রুচির ভিন্নতার বিচারে ভিন্ন ভিন্ন বস্তুতে সুখ লাভ হতে পারে। অপরাধীর সুখ অর্জন হয় অপরাধ করে। তাই ইসলাম রাষ্ট্র পরিচালনার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সুস্পষ্টভাবে বয়ান করেছে। কোরআন কারিমে এসেছে, ‘এরা ওই সব লোক, যদি আমি তাদের ভূপৃষ্ঠে ক্ষমতা অর্পণ করি, তাহলে তারা নামাজ কায়েম করবে; জাকাত আদায় করবে; সৎকাজের আদেশ করবে এবং অসৎ কাজ থেকে বারণ করবে।
(সুরা : হজ : আয়াত : ৪১)
কোরআনে কারিম স্পষ্ট করে দিয়েছে যে রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকারের মৌলিক লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের অন্যতম হলো শিষ্টের লালন ও দুষ্টের দমন। কোরআনে কারিমের বর্ণিত লক্ষ্যগুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা করলে দেখা যাবে, প্রকৃতপক্ষে সেগুলোই হুকুমতের আসল লক্ষ্য পূরণ করতে পারে। যুগের বিবর্তনে এগুলোর বৈশিষ্ট্যে কোনো পরিবর্তন সাধন হয় না। এখানে প্রতিটি উদ্দেশ্যের ব্যাখ্যা দেওয়া হলো :
নামাজ কায়েম করা
মানবসমাজকে একটি সুশৃঙ্খল নিয়মনীতির আওতায় আনার জন্যই হুকুমত প্রয়োজন।
আর এ কথা স্পষ্ট যে শুধু ডাণ্ডার জোরে মানুষকে নিয়মনীতির আওতায় আনা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন তাদের মানসিকভাবে প্রশিক্ষণ। আর এর সবচেয়ে কার্যকর পন্থা হচ্ছে তাদের দিলে আল্লাহ তাআলার সামনে উপস্থিতি ও নিজের সব কাজের জবাবদিহির অনুভূতি সৃষ্টি করা। কারণ এই অনুভূতিই মানুষকে রাতের আঁধারে এবং নির্জনতায়ও নজরদারিতে রাখে। এই অনুভূতি সর্বদা জাগ্রত রাখার জন্য নামাজের পাবন্দি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এ জন্যই সৎ শাসকদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের মধ্যে সর্বপ্রথম নামাজ কায়েমের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) নামাজকে দ্বিনের স্তম্ভ বলেছেন; সাহাবায়ে কেরামের দীক্ষার বেলায় সবার আগে রেখেছেন নামাজকে। সর্বদা নিজে নামাজের ইমামতি করেছেন এবং জীবন-পরিক্রমার সর্বশেষ দিনে নিজে ইমামতি করতে পারছিলেন না; কিন্তু সিদ্দিকে আকবর (রা.)-এর নেতৃত্বে মানুষজনকে নামাজ পড়তে দেখে আনন্দ প্রকাশ করেছিলেন। তারপর খুলাফায়ে রাশেদিন, যাঁদের হুকুমত রাষ্ট্র পরিচালনার আদর্শ, তাঁদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্ব ছিল নামাজের। খুলাফায়ে রাশেদিন অধীনদের নামাজের ব্যাপারে বিশেষভাবে গুরুত্বারোপের জন্য শুধু নির্দেশই দেননি; বরং তাদের পদবিগত কর্তব্যসমূহের মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য সাব্যস্ত করেছেন। খলিফা উমর (রা.) গভর্নরদের এই মর্মে চিঠি লিখেছিলেন যে, আপনাদের কাজের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নামাজ। এ জন্য যে ব্যক্তি নামাজের হেফাজত করবে এবং তার পাবন্দি করবে, সে তার দ্বিন হেফাজত করবে; আর যে নামাজ বরবাদ করবে, তার অন্যান্য কাজ আরো বেশি বরবাদ হবে।
(মুআত্তা মালেক : হাদিস : ৬)
এর কারণ হলো, ইসলামে রাজনীতি হোক, অর্থনীতি হোক, অথবা ইহলৌকিক অন্য কোনো বিষয়ই হোক, সেটাকে আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সম্পর্ক এবং মানুষের আত্মিক দীক্ষা থেকে আলাদা করা যায় না। নামাজ মানুষের দিলে তার একেকটি কথা ও কাজ সেই সত্তার গোচরীভূত হওয়ার চিন্তা সৃষ্টি করে, যার কাছে শেষ পর্যন্ত ফিরে যেতে হবে। এই চিন্তাই মানুষকে মানুষ বানায় এবং তার কর্মকাণ্ড নিয়ম-শৃঙ্খলার অধীন রাখে। এ জন্যই কোরআন বলছে, ‘নিশ্চয়ই নামাজ বেহায়াপনা ও মন্দাচার থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বাধিক বড় বিষয়।’
(সুরা : আনকাবুত, আয়াত : ৪৫)
এসব কারণেই কোরআনে কারিম রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলিক লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের মধ্যে সর্বাগ্রে নামাজ প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করেছে।
জাকাত সংগ্রহ ও তার সুষ্ঠু বিতরণ
রাষ্ট্র পরিচালনার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো জাকাত আদায়। এর কারণ প্রথমত, রাষ্ট্র যেন আল্লাহ তাআলার হুকুম পালনার্থে দরিদ্র জনগণের অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নত করার চেষ্টা করে। দ্বিতীয়ত, মানুষের বদ আমলের একটি বড় কারণ হচ্ছে সম্পদের ভালোবাসা। জাকাত এই ভালোবাসার নিয়ন্ত্রণ এবং স্বেচ্ছাচারিতার বদলে ত্যাগের উদ্দীপনা সৃষ্টির অনেক বড় মাধ্যম। তৃতীয়ত, নামাজ যে রকম মানুষের সত্তাগত কর্মকাণ্ডে এখলাস ও রুহানিয়াত সৃষ্টি করে, তেমনি জাকাতও তার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে একনিষ্ঠতা ও আধ্যাত্মিকতা সৃষ্টি করে।
সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের বারণ
রাষ্ট্র পরিচালনার তৃতীয় বড় উদ্দেশ্য হলো, সৎ কাজের হুকুম প্রদান এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ করা। এমনিতে তো এক পর্যায়ে তা প্রত্যেক মুসলমানেরই কর্তব্য। যেমন ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা সেই উত্তম জাতি, যাকে মানুষের কল্যাণে সৃষ্টি করা হয়েছে। তোমরা সৎ কাজের আদেশ দেবে, অসৎ কাজ থেকে বারণ করবে এবং ঈমান রাখবে আল্লাহর ওপর।’
(সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১১০)
তবে হাদিসে এর স্তরবিন্যাস রয়েছে। বলা হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্য থেকে যে কেউ অন্যায় হতে দেখলে হাতের সাহায্যে তা বদলে দেবে। যদি সেই সামর্থ্য না থাকে, তাহলে মুখের সাহায্যে। এর সামর্থ্যও না থাকলে মনেপ্রাণ��� সেটাকে ঘৃণা করবে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৮৬)
আর হাতের সাহায্যে মন্দের প্রতিরোধের সম্বোধন ক্ষমতাধর ব্যক্তিবর্গের প্রতি। কিছু আলেম বলেন, অন্যায় কাজ হাত দ্বারা প্রতিরোধের দায়িত্ব ক্ষমতাশালীদের, জবান দ্বারা করার দায়িত্ব আলেমদের, আর অন্তর দ্বারা করবে সর্বসাধারণ। (ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি : ৫/৩৫৩)
ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা
কোরআনের বর্ণনায় রাষ্ট্র পরিচালনার পঞ্চম উদ্দেশ্য ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা। আল্লাহ তাআলা বলেন : ‘হে দাউদ। আমি তোমাকে দুনিয়াতে খলিফা নিযুক্ত করেছি, অতএব তুমি লোকসমাজে ন্যায়বিচার করো এবং প্রবৃত্তির পেছনে পোড়ো না।’
(সুরা : সোয়াদ, আয়াত : ২৬)
এখানে খিলাফতের মৌলিক লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও পদবীয় কর্তব্যের মধ্যে জনসাধারণের সঙ্গে ইনসাফের আচরণ করা অন্তর্ভুক্ত। এই ইনসাফের মধ্যে বিচারিক ন্যায়পরায়ণতা যেমন শামিল, তেমনি নির্বাহী বিধি-বিধান ন্যায়পরায়ণতার ওপর প্রতিষ্ঠা করাও শামিল।
ন্যায় ও ইনসাফের মাপকাঠি
এখানে স্পষ্ট হওয়া জরুরি যে ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের ব্যাখ্যা যেকোনো ব্যক্তি নিজের বুঝ মোতাবেক স্থির করতে পারে; কিন্তু কোরআনে কারিমের পরিভাষায় শুধু সেটাই ইনসাফ, যাকে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.) ইনসাফ বলে স্বীকৃতি দেন। ইনসাফের যে ব্যাখ্যা আল্লাহ ও রাসুলের বিধি-নিষেধের খেলাফ, সেটা ইনসাফ নয়; সেটা প্রবৃত্তির গোলামি। সেটাকেই উক্ত আয়াতে অন্যায় ফায়সালা হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যারা সেই বিধান মোতাবেক ফায়সালা করবে না, যা আল্লাহ নাজিল করেছেন, তারাই জালিম।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৪৫)
এমনিভাবে রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে সম্বোধন করে বলা হয়েছে, ‘যদি আপনি তাদের মধ্যে ফায়সালা করেন, তাহলে ইনসাফের সঙ্গে ফায়সালা করবেন।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৪২)
সারকথা, মুখের ভাষায় তো যেকোনো সরকারব্যবস্থাই ইনসাফ কায়েমের দাবি করে, এবং নিজের গৃহীত কর্মপন্থাকে হক ও ইনসাফ মনে করে; কিন্তু প্রকৃত ইনসাফ হচ্ছে সেটা, যাকে আল্লাহ এবং তাঁর রাসুল (সা.) ইনসাফ সাব্যস্ত করেছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের আগে যারা অতিবাহিত হয়েছে, তারা ধ্বংস হয়েছে এ কারণে যে তাদের মধ্য থেকে যখন কোনো বড়লোক চুরি করত, তখন তারা তাকে ছেড়ে দিত; আর যখন কোনো দুর্বল চুরি করত, তখন তারা তাকে শাস্তি দিত। আল্লাহর কসম! যদি মুহাম্মদের মেয়ে ফাতিমাও চুরি করে, তাহলে আমি অবশ্যই তার হাত কেটে দেব।’ (বুখারি, হাদিস : ৩৪৭৫)
কুরআন সুন্নার আলোকে ইসলামী রাষ্ট্র।
রাষ্ট্রে ইসলামিক বিধান কায়েম না থাকলে, রাষ্ট্রের হুকুম মানা কি বাধ্যতামূলক?
রাষ্ট্রে দ্বীন-কায়েম করার ইসলামী পদ্ধতি কি?
https://www.youtube.com/watch?v=OfB68_qHPxI
কোরআনের বর্ণনায় রাষ্ট্র পরিচালনার উদ্দেশ্য
The Purpose Of Governance In The Qur'anic Description
কোরআনের বর্ণনায় রাষ্ট্র পরিচালনার উদ্দেশ্য
The Purpose of Governance In The Qur'anic Description
0 notes
কোরআনের বর্ণনায় রাষ্ট্র পরিচালনার উদ্দেশ্য
The Purpose Of Governance In The Qur'anic Description
কোরআনের বর্ণনায় রাষ্ট্র পরিচালনার পঞ্চম উদ্দেশ্য ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা। আল্লাহ তাআলা বলেন : 'হে দাউদ। আমি তোমাকে দুনিয়াতে খলিফা নিযুক্ত করেছি, অতএব তুমি লোকসমাজে ন্যায়বিচার করো এবং প্রবৃত্তির পেছনে পোড়ো না।
কোরআনের বর্ণনায় রাষ্ট্র পরিচালনার উদ্দেশ্য
মানবরচিত মতবাদ অন্য ক্ষেত্রের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার উদ্দেশ্য বর্ণনা করতে গিয়েও চরম হোঁচট খেয়েছে। কেউ বলে, হুকুমতের উদ্দেশ্য অধিকার আদায়। অথচ অধিকারের সংজ্ঞা ও সীমারেখা নির্ধারণে তা ব্যর্থ। কেউ বলে, হুকুমতের উদ্দেশ্য কেবল সুখ অর্জন।
অথচ সুখ একটি অস্পষ্ট শব্দ এবং রুচির ভিন্নতার বিচারে ভিন্ন ভিন্ন বস্তুতে সুখ লাভ হতে পারে। অপরাধীর সুখ অর্জন হয় অপরাধ করে। তাই ইসলাম রাষ্ট্র পরিচালনার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সুস্পষ্টভাবে বয়ান করেছে। কোরআন কারিমে এসেছে, ‘এরা ওই সব লোক, যদি আমি তাদের ভূপৃষ্ঠে ক্ষমতা অর্পণ করি, তাহলে তারা নামাজ কায়েম করবে; জাকাত আদায় করবে; সৎকাজের আদেশ করবে এবং অসৎ কাজ থেকে বারণ করবে।
(সুরা : হজ : আয়াত : ৪১)
কোরআনে কারিম স্পষ্ট করে দিয়েছে যে রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকারের মৌলিক লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের অন্যতম হলো শিষ্টের লালন ও দুষ্টের দমন। কোরআনে কারিমের বর্ণিত লক্ষ্যগুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা করলে দেখা যাবে, প্রকৃতপক্ষে সেগুলোই হুকুমতের আসল লক্ষ্য পূরণ করতে পারে। যুগের বিবর্তনে এগুলোর বৈশিষ্ট্যে কোনো পরিবর্তন সাধন হয় না। এখানে প্রতিটি উদ্দেশ্যের ব্যাখ্যা দেওয়া হলো :
নামাজ কায়েম করা
মানবসমাজকে একটি সুশৃঙ্খল নিয়মনীতির আওতায় আনার জন্যই হুকুমত প্রয়োজন।
আর এ কথা স্পষ্ট যে শুধু ডাণ্ডার জোরে মানুষকে নিয়মনীতির আওতায় আনা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন তাদের মানসিকভাবে প্রশিক্ষণ। আর এর সবচেয়ে কার্যকর পন্থা হচ্ছে তাদের দিলে আল্লাহ তাআলার সামনে উপস্থিতি ও নিজের সব কাজের জবাবদিহির অনুভূতি সৃষ্টি করা। কারণ এই অনুভূতিই মানুষকে রাতের আঁধারে এবং নির্জনতায়ও নজরদারিতে রাখে। এই অনুভূতি সর্বদা জাগ্রত রাখার জন্য নামাজের পাবন্দি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এ জন্যই সৎ শাসকদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের মধ্যে সর্বপ্রথম নামাজ কায়েমের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) নামাজকে দ্বিনের স্তম্ভ বলেছেন; সাহাবায়ে কেরামের দীক্ষার বেলায় সবার আগে রেখেছেন নামাজকে। সর্বদা নিজে নামাজের ইমামতি করেছেন এবং জীবন-পরিক্রমার সর্বশেষ দিনে নিজে ইমামতি করতে পারছিলেন না; কিন্তু সিদ্দিকে আকবর (রা.)-এর নেতৃত্বে মানুষজনকে নামাজ পড়তে দেখে আনন্দ প্রকাশ করেছিলেন। তারপর খুলাফায়ে রাশেদিন, যাঁদের হুকুমত রাষ্ট্র পরিচালনার আদর্শ, তাঁদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্ব ছিল নামাজের। খুলাফায়ে রাশেদিন অধীনদের নামাজের ব্যাপারে বিশেষভাবে গুরুত্বারোপের জন্য শুধু নির্দেশই দেননি; বরং তাদের পদবিগত কর্তব্যসমূহের মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য সাব্যস্ত করেছেন। খলিফা উমর (রা.) গভর্নরদের এই মর্মে চিঠি লিখেছিলেন যে, আপনাদের কাজের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নামাজ। এ জন্য যে ব্যক্তি নামাজের হেফাজত করবে ���বং তার পাবন্দি করবে, সে তার দ্বিন হেফাজত করবে; আর যে নামাজ বরবাদ করবে, তার অন্যান্য কাজ আরো বেশি বরবাদ হবে।
(মুআত্তা মালেক : হাদিস : ৬)
এর কারণ হলো, ইসলামে রাজনীতি হোক, অর্থনীতি হোক, অথবা ইহলৌকিক অন্য কোনো বিষয়ই হোক, সেটাকে আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সম্পর্ক এবং মানুষের আত্মিক দীক্ষা থেকে আলাদা করা যায় না। নামাজ মানুষের দিলে তার একেকটি কথা ও কাজ সেই সত্তার গোচরীভূত হওয়ার চিন্তা সৃষ্টি করে, যার কাছে শেষ পর্যন্ত ফিরে যেতে হবে। এই চিন্তাই মানুষকে মানুষ বানায় এবং তার কর্মকাণ্ড নিয়ম-শৃঙ্খলার অধীন রাখে। এ জন্যই কোরআন বলছে, ‘নিশ্চয়ই নামাজ বেহায়াপনা ও মন্দাচার থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বাধিক বড় বিষয়।’
(সুরা : আনকাবুত, আয়াত : ৪৫)
এসব কারণেই কোরআনে কারিম রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলিক লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের মধ্যে সর্বাগ্রে নামাজ প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করেছে।
জাকাত সংগ্রহ ও তার সুষ্ঠু বিতরণ
রাষ্ট্র পরিচালনার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো জাকাত আদায়। এর কারণ প্রথমত, রাষ্ট্র যেন আল্লাহ তাআলার হুকুম পালনার্থে দরিদ্র জনগণের অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নত করার চেষ্টা করে। দ্বিতীয়ত, মানুষের বদ আমলের একটি বড় কারণ হচ্ছে সম্পদের ভালোবাসা। জাকাত এই ভালোবাসার নিয়ন্ত্রণ এবং স্বেচ্ছাচারিতার বদলে ত্যাগের উদ্দীপনা সৃষ্টির অনেক বড় মাধ্যম। তৃতীয়ত, নামাজ যে রকম মানুষের সত্তাগত কর্মকাণ্ডে এখলাস ও রুহানিয়াত সৃষ্টি করে, তেমনি জাকাতও তার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে একনিষ্ঠতা ও আধ্যাত্মিকতা সৃষ্টি করে।
সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের বারণ
রাষ্ট্র পরিচালনার তৃতীয় বড় উদ্দেশ্য হলো, সৎ কাজের হুকুম প্রদান এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ করা। এমনিতে তো এক পর্যায়ে তা প্রত্যেক মুসলমানেরই কর্তব্য। যেমন ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা সেই উত্তম জাতি, যাকে মানুষের কল্যাণে সৃষ্টি করা হয়েছে। তোমরা সৎ কাজের আদেশ দেবে, অসৎ কাজ থেকে বারণ করবে এবং ঈমান রাখবে আল্লাহর ওপর।’
(সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১১০)
তবে হাদিসে এর স্তরবিন্যাস রয়েছে। বলা হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্য থেকে যে কেউ অন্যায় হতে দেখলে হাতের সাহায্যে তা বদলে দেবে। যদি সেই সামর্থ্য না থাকে, তাহলে মুখের সাহায্যে। এর সামর্থ্যও না থাকলে মনেপ্রাণে সেটাকে ঘৃণা করবে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৮৬)
আর হাতের সাহায্যে মন্দের প্রতিরোধের সম্বোধন ক্ষমতাধর ব্যক্তিবর্গের প্রতি। কিছু আলেম বলেন, অন্যায় কাজ হাত দ্বারা প্রতিরোধের দায়িত্ব ক্ষমতাশালীদের, জবান দ্বারা করার দায়িত্ব আলেমদের, আর অন্তর দ্বারা করবে সর্বসাধারণ। (ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি : ৫/৩৫৩)
ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা
কোরআনের বর্ণনায় রাষ্ট্র পরিচালনার পঞ্চম উদ্দেশ্য ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা। আল্লাহ তাআলা বলেন : ‘হে দাউদ। আমি তোমাকে দুনিয়াতে খলিফা নিযুক্ত করেছি, অতএব তুমি লোকসমাজে ন্যায়বিচার করো এবং প্রবৃত্তির পেছনে পোড়ো না।’
(সুরা : সোয়াদ, আয়াত : ২৬)
এখানে খিলাফতের মৌলিক লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও পদবীয় কর্তব্যের মধ্যে জনসাধারণের সঙ্গে ইনসাফের আচরণ করা অন্তর্ভুক্ত। এই ইনসাফের মধ্যে বিচারিক ন্যায়পরায়ণতা যেমন শামিল, তেমনি নির্বাহী বিধি-বিধান ন্যায়পরায়ণতার ওপর প্রতিষ্ঠা করাও শামিল।
ন্যায় ও ইনসাফের মাপকাঠি
এখানে স্পষ্ট হওয়া জরুরি যে ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের ব্যাখ্যা যেকোনো ব্যক্তি নিজের বুঝ মোতাবেক স্থির করতে পারে; কিন্তু কোরআনে কারিমের পরিভাষায় শুধু সেটাই ইনসাফ, যাকে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.) ইনসাফ বলে স্বীকৃতি দেন। ইনসাফের যে ব্যাখ্যা আল্লাহ ও রাসুলের বিধি-নিষেধের খেলাফ, সেটা ইনসাফ নয়; সেটা প্রবৃত্তির গোলামি। সেটাকেই উক্ত আয়াতে অন্যায় ফায়সালা হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যারা সেই বিধান মোতাবেক ফায়সালা করবে না, যা আল্লাহ নাজিল করেছেন, তারাই জালিম।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৪৫)
এমনিভাবে রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে সম্বোধন করে বলা হয়েছে, ‘যদি আপনি তাদের মধ্যে ফায়সালা করেন, তাহলে ইনসাফের সঙ্গে ফায়সালা করবেন।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৪২)
সারকথা, মুখের ভাষায় তো যেকোনো সরকারব্যবস্থাই ইনসাফ কায়েমের দাবি করে, এবং নিজের গৃহীত কর্মপন্থাকে হক ও ইনসাফ মনে করে; কিন্তু প্রকৃত ইনসাফ হচ্ছে সেটা, যাকে আল্লাহ এবং তাঁর রাসুল (সা.) ইনসাফ সাব্যস্ত করেছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের আগে যারা অতিবাহিত হয়েছে, তারা ধ্বংস হয়েছে এ কারণে যে তাদের মধ্য থেকে যখন কোনো বড়লোক চুরি করত, তখন তারা তাকে ছেড়ে দিত; আর যখন কোনো দুর্বল চুরি করত, তখন তারা তাকে শাস্তি দিত। আল্লাহর কসম! যদি মুহাম্মদের মেয়ে ফাতিমাও চুরি করে, তাহলে আমি অবশ্যই তার হাত কেটে দেব।’ (বুখারি, হাদিস : ৩৪৭৫)
কুরআন সুন্নার আলোকে ইসলামী রাষ্ট্র।
রাষ্ট্রে ইসলামিক বিধান কায়েম না থাকলে, রাষ্ট্রের হুকুম মানা কি বাধ্যতামূলক?
রাষ্ট্রে দ্বীন-কায়েম করার ইসলামী পদ্ধতি কি?
https://www.youtube.com/watch?v=OfB68_qHPxI
কোরআনের বর্ণনায় রাষ্ট্র পরিচালনার উদ্দেশ্য
The Purpose Of Governance In The Qur'anic Description
কোরআনের বর্ণনায় রাষ্ট্র পরিচালনার উদ্দেশ্য
The Purpose of Governance In The Qur'anic Description
0 notes