Tumgik
#যাদুকরা
khutbahs · 3 years
Photo
Tumblr media
জাদুবিদ্যা কুফরি আর তাবিজ ইসলামে হারাম ও শিরক।
যাদু করা হারাম। জ্যেতিষী নিকট ভাগ্য পরীক্ষা ও ভবিষ্যৎদ্বানী করা শিরক ও কুফরী কাজ । তাবিয ঝুলালে সে শিরক করল ।  মহান আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘তারা ঐ শাস্ত্রের অনুসরণ করল, যা সুলায়মানের রাজত্ব কালে শয়তানরা আবৃত্তি করত। সুলায়মান কুফর করেনি; শয়তানরাই কুফর করেছিল। তারা মানুষকে জাদুবিদ্যা এবং বাবেল শহরে হারুত ও মারুত দুই ফেরেশতার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছিল, তা শিক্ষা দিত। তারা উভয়ই (হারুত-মারুত) একথা না বলে কাউকে (জাদু) শিক্ষা দিত না যে, আমরা পরীক্ষার জন্য; কাজেই তুমি কাফের হয়ো না। অতঃপর তারা তাদের কাছ থেকে এমন জাদু শিখত, যা দ্বারা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। তারা আল্লাহর আদেশ ছাড়া তা দ্বারা কারও অনিষ্ট করতে পারত না। যা তাদের ক্ষতি করে এবং উপকার না করে, তারা তাই শিখে। তারা ভালরূপে জানে যে, যে কেউ জাদু অবলম্বন করে, তার জন্য পরকালে কোনো অংশ নেই। যার বিনিময়ে তারা নিজেদের বিক্রি করে দিয়েছে। তা খুবই মন্দ; যদি তারা জানত।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১০২)https://www.youtube.com/watch?v=wTdA4y3mdTo
0 notes
khutbahs · 3 years
Text
জাদুবিদ্যা কুফরি আর তাবিজ হারাম ও শিরক।
জাদুবিদ্যা কুফরি আর তাবিজ হারাম ও শিরক।
যাদু করা হারাম। জ্যেতিষী নিকট ভাগ্য পরীক্ষা ও ভবিষ্যৎদ্বানী করা শিরক ও কুফরী কাজ । তাবিয ঝুলালে সে শিরক করল ।  মহান আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘তারা ঐ শাস্ত্রের অনুসরণ করল, যা সুলায়মানের রাজত্ব কালে শয়তানরা আবৃত্তি করত। সুলায়মান কুফর করেনি; শয়তানরাই কুফর করেছিল। তারা মানুষকে জাদুবিদ্যা এবং বাবেল শহরে হারুত ও মারুত দুই ফেরেশতার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছিল, তা শিক্ষা দিত। তারা উভয়ই (হারুত-মারুত) একথা না বলে কাউকে (জাদু) শিক্ষা দিত না যে, আমরা পরীক্ষার জন্য; কাজেই তুমি কাফের হয়ো না। অতঃপর তারা তাদের কাছ থেকে এমন জাদু শিখত, যা দ্বারা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। তারা আল্লাহর আদেশ ছাড়া তা দ্বারা কারও অনিষ্ট করতে পারত না। যা তাদের ক্ষতি করে এবং উপকার না করে, তারা তাই শিখে। তারা ভালরূপে জানে যে, যে কেউ জাদু অবলম্বন করে, তার জন্য পরকালে কোনো অংশ নেই। যার বিনিময়ে তারা নিজেদের বিক্রি করে দিয়েছে। তা খুবই মন্দ; যদি তারা জানত।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১০২)https://www.youtube.com/watch?v=wTdA4y3mdTo
0 notes
khutbahs · 3 years
Link
জাদুবিদ্যা কুফরি আর তাবিজ ইসলামে হারাম ও শিরক।
শির্ক #তাবিজকবজ #যাদুকরা। যাদু করা হারাম। জ্যেতিষী নিকট ভাগ্য পরীক্ষা ও ভবিষ্যৎদ্বানী করা শিরক ও কুফরী কাজ । তাবিয ঝুলালে সে শিরক করল ।  মহান আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘তারা ঐ শাস্ত্রের অনুসরণ করল, যা সুলায়মানের রাজত্ব কালে শয়তানরা আবৃত্তি করত। সুলায়মান কুফর করেনি; শয়তানরাই কুফর করেছিল। তারা মানুষকে জাদুবিদ্যা এবং বাবেল শহরে হারুত ও মারুত দুই ফেরেশতার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছিল, তা শিক্ষা দিত। তারা উভয়ই (হারুত-মারুত) একথা না বলে কাউকে (জাদু) শিক্ষা দিত না যে, আমরা পরীক্ষার জন্য; কাজেই তুমি কাফের হয়ো না। অতঃপর তারা তাদের কাছ থেকে এমন জাদু শিখত, যা দ্বারা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। তারা আল্লাহর আদেশ ছাড়া তা দ্বারা কারও অনিষ্ট করতে পারত না। যা তাদের ক্ষতি করে এবং উপকার না করে, তারা তাই শিখে। তারা ভালরূপে জানে যে, যে কেউ জাদু অবলম্বন করে, তার জন্য পরকালে কোনো অংশ নেই। যার বিনিময়ে তারা নিজেদের বিক্রি করে দিয়েছে। তা খুবই মন্দ; যদি তারা জানত।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১০২)
0 notes
khutbahs · 4 years
Photo
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ঈমান কাকে বলে? উত্তরঃ  ঈমানের সাধারণ অর্থ বিশ্বাস। আর পারিভাষিক অর্থ তিন প্রকার বিষয়ের সমন্বয়ে গঠিত-
১। আততাসদিক বিলকাল্ব- অন্তরে বিশ্বাস করা বা অন্তর দ্বারা সত্যায়ন করা।
২। ওয়াল ইকরার বিললিসান- মৌখিক ভাবে স্বিকৃতি দেয়া।
৩। ওয়াল আমল বিল যাওয়ারেহ- আল্লাহর সকল বিধিবিধান যা তিনি তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রতি ওহী করেছেন তা কমবেশ না করে মান্য করা বা আমল করা, ইত্যাদি।
  ঈমানের উসূল কয়টি ও কি কি? উত্তরঃ  ঈমানের উসূল ৩ টি। ১। আল্লাহর মা’আরিফাত বা আল্লাহ সম্পর্কে জানা।
২। দ্বীন ইসলামের মা’আরিফাত বা দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানা।
৩। আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মা’আরিফাত বা নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে জানা।
  ঈমানের ১ম উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা। উত্তরঃ  ঈমানের ১ম উসূল- আল্লাহর মা’আরিফাত বা আল্লাহ সম্পর্কে জানা। সমস্ত রকম দোষ মুক্ত ভাবে কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে বিশুদ্ধ ভাবে আল্লাহ সম্পর্কে জানা। যেমন- আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান এ কথাকে ভ্রান্ত জেনে প্রত্যাখ্যান করে আল্লাহ সপ্ত আসমানের উপর আরসে আজিমে আছেন এ কথাকে দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করা ইত্যাদি।
  ঈমানের ২য় উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা। উত্তরঃ  ঈমানের ২য় উসূল- দ্বীন ইসলামের মা’আরিফাত বা দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানা। সমস্ত রকম দুষন ও শিরক ও বিদাতকে ভ্রান্ত হিসাবে পরিত্যাগ করে দ্বীন ইসলাম হচ্ছে আল্লাহর ওহী তা হচ্ছে কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে সহীহ সুন্নাহ আর এতে কোন অপূর্ণতা নেই হিসাবে জানা ও মানা ইত্যাদি।
 ঈমানের ৩য় উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা । উত্তরঃ  ঈমানের ৩য় উসূল- আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মা’আরিফাত বা আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে জানা। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে সকল প্রকার ভ্রান্ত বিশ্বাস যেমন- তিনি নূরের তৈরী, তিনি মৃত্যুর পরও জীবিত আছেন ও সকলের কথা শুনতে পারেন ও তাদের চাওয়া পাওয়া পূরণ করতে পারেন তিনি সবজায়গায় হাজীর নাজির আছেন এমন ধরণের নানা শিরকি ও কুফরি বিশ্বাস পরিত্যাগ করে কুরআন ও সহীহ হাদীসে বর্ণিত আল্লাহর রাসূল সম্পর্কে যে বর্ণনা পাওয়া যায় তা গ্রহণ করা। যেমন- তিনি আমদের মতই মাটির তৈরি মানুষ, তিনি আল্লাহর রাসূল, তিনি খাতামুন নাবীইন বা শেষ নবী তাঁর পর আর কোন নবী আসবেন না, তিনার কাছে ওহী হয়, তিনি মারাগেছেন, তিনি জীবিত থাকতে যে সব বিষয় আল্লাহ সুবহানাহুতা’আলা তিনাকে যেটুকু ক্ষমতা দিয়েছিলেন তার থেকে বেশি করা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না আর মৃত্যুর পর তিনার সমস্ত কর্মই বন্ধ হয়েগেছে। তিনি আলমে বার্যাখে আছেন বিশ্বাস করা। ইত্যদি।
 ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণ গুলি কয়টি ও কি কি তা উল্লেখ কর। উত্তরঃ  ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণগুলি ১০ টি। ১। আল্লাহর ইবাদতে, আকিদাতে ও বিশ্বাসে শিরক করা।
২। বান্দা ও আল্লাহর মাঝে কোন মধ্যস্ততাকারী বা সুপারিশকারী সাব্যস্ত করা।
৩। মুশরিককে কাফির না মনেকরা।
৪। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর হিদায়াত বা সুন্নাত বা সংস্কৃতি বা আদর্শকে থেকে অন্য কাহারও হিদায়াত বা সুন্নাত বা আদর্শকে শ্রেষ্ট মনে করা ও গ্রহণ করা।
৫। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর হিদায়াত বা সুন্নাত বা সংস্কৃতি বা আদর্শকে অপছন্দ করা।
৬। দ্বীন ইসলামের কোন বিষয় বা (সুন্নাত) নিয়ে ঠাট্টা করা।
৭। যাদুকরা বা করান বা যাদু দ্বারা যাদুর প্রতিকার করা।
৮। মুসলমানদের ক্ষতি করার জন্য কাফিরদেরকে আহবান করা বা সাহায্য নেয়া।
৯। দ্বীন ইসলামের সরিয়াত যা আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা মুহাম্মাদ (সাঃ) এর দ্বারা মানুষের জন্য বলবত করেছেন তা অস্বীকার করা।
১০। আল্লাহর দ্বীন থেকে বিমুখ হওয়া বা দ্বীন শিক্ষা গ্রহণ না করা ও সে মতে না চলা আর মানুষকে দ্বীনের পথে চলার জন্য শিক্ষা প্রদান না করা।
 ঈমানের রুকন কয়টি ও কি কি?
ঈমানের রুকন কয়টি ও কি কি?
ঈমানের রুকন ৬টি। সেগুলি হচ্ছে, আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি ঈমান, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান, তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান, আখেরাতের প্রতি ঈমান এবং তাক্বদীরের ভাল-মন্দের প্রতি ঈমান। কুরআনুল কারীম এবং সহীহ হাদীসের বক্তব্য অনুযায়ী উক্ত রুকনসমূহের প্রত্যেকটির প্রতি ঈমান না আনা পর্যন্ত কারো ঈমান পূর্ণ হবে না। যে ব্যক্তি এগুলির কোনো একটিকে অস্বীকার করবে, সে ঈমানের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ ءَامَنَ ٱلرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيۡهِ مِن رَّبِّهِۦ وَٱلۡمُؤۡمِنُونَۚ كُلٌّ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَمَلَٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ لَا نُفَرِّقُ بَيۡنَ أَحَدٖ مِّن رُّسُلِهِۦۚ وَقَالُواْ سَمِعۡنَا وَأَطَعۡنَاۖ غُفۡرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيۡكَ ٱلۡمَصِيرُ ٢٨٥ ﴾ [البقرة: ٢٨٥]
“রাসূলের নিকট তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যে অহি অবতীর্ণ হয়েছে, তাকে তিনি এবং মুমিনগণ মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেছেন। তাঁরা সবাই ঈমান এনেছেন আল্লাহ্‌র প্রতি, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি এবং তাঁর রাসূলগণের প্রতি। (তাঁরা বলে,) আমরা তাঁর রাসূলগণের মধ্যে কোন তারতম্য করি না। তাঁরা বলে, আমরা শুনেছি এবং মেনে নিয়েছি। হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা আপনার কাছে ক্ষমা চাই এবং আপনারই নিকট প্রত্যাবর্তন করতে হবে” (বাক্বারাহ ২৮৫)।
তাছাড়া রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ঈমান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, «أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ»
“ঈমান হচ্ছে, আল্লাহ্‌র প্রতি, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি, তাঁর রাসূলগণের প্রতি এবং তাক্বদীরের ভাল-মন্দের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা” (মুসলিম)।
.........................................
 ঈমানের আহকাম কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ ঈমানের আহকাম ৯ টি। ১) তাওহীদের ইলম যা জাহালতকে দূরিভূত করে। ২) ইয়াকিন যা সন্দেহ দূরিভূত করে। ৩) কবুল যা ঈমানের দাবী পুরণ করে। ৪) আল ইন্তিয়াদ- কুরআন ও সুন্নাহর হুকুম আহাকাম পালন করা। ৫) আস সাদিক- সত্যবাদি হওয়া। ৬) আল ইখলাস- বিশুদ্ধ চিত্তে একমাত্র আল্লাহর জন্যই ইবাদত করা। ৭) আল ইস্তেকামা- মৃত্যু পর্যন্ত তাওহীদের উপর টিকে থাকা। ৮) মহ্বত- আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে সবার থেকে এমন কি নিজের থেকেও বেশি ভালবাসা। ৯) তাগুতকে অস্বীকার করা।
..............................................................
0 notes
khutbahs · 4 years
Photo
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ঈমান কাকে বলে?
উত্তরঃ  ঈমানের সাধারণ অর্থ বিশ্বাস। আর পারিভাষিক অর্থ তিন প্রকার বিষয়ের সমন্বয়ে গঠিত-
১। আততাসদিক বিলকাল্ব- অন্তরে বিশ্বাস করা বা অন্তর দ্বারা সত্যায়ন করা।
২। ওয়াল ইকরার বিললিসান- মৌখিক ভাবে স্বিকৃতি দেয়া।
৩। ওয়াল আমল বিল যাওয়ারেহ- আল্লাহর সকল বিধিবিধান যা তিনি তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রতি ওহী করেছেন তা কমবেশ না করে মান্য করা বা আমল করা, ইত্যাদি।
  ঈমানের উসূল কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ
  ঈমানের উসূল ৩ টি।
১। আল্লাহর মা’আরিফাত বা আল্লাহ সম্পর্কে জানা।
২। দ্বীন ইসলামের মা’আরিফাত বা দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানা।
৩। আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মা’আরিফাত বা নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে জানা।
  ঈমানের ১ম উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা। উত্তরঃ  ঈমানের ১ম উসূল- আল্লাহর মা’আরিফাত বা আল্লাহ সম্পর্কে জানা। সমস্ত রকম দোষ মুক্ত ভাবে কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে বিশুদ্ধ ভাবে আল্লাহ সম্পর্কে জানা। যেমন- আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান এ কথাকে ভ্রান্ত জেনে প্রত্যাখ্যান করে আল্লাহ সপ্ত আসমানের উপর আরসে আজিমে আছেন এ কথাকে দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করা ইত্যাদি।
  ঈমানের ২য় উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা। উত্তরঃ  ঈমানের ২য় উসূল- দ্বীন ইসলামের মা’আরিফাত বা দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানা। সমস্ত রকম দুষন ও শিরক ও বিদাতকে ভ্রান্ত হিসাবে পরিত্যাগ করে দ্বীন ইসলাম হচ্ছে আল্লাহর ওহী তা হচ্ছে কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে সহীহ সুন্নাহ আর এতে কোন অপূর্ণতা নেই হিসাবে জানা ও মানা ইত্যাদি।
 ঈমানের ৩য় উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা । উত্তরঃ  ঈমানের ৩য় উসূল- আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মা’আরিফাত বা আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে জানা। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে সকল প্রকার ভ্রান্ত বিশ্বাস যেমন- তিনি নূরের তৈরী, তিনি মৃত্যুর পরও জীবিত আছেন ও সকলের কথা শুনতে পারেন ও তাদের চাওয়া পাওয়া পূরণ করতে পারেন তিনি সবজায়গায় হাজীর নাজির আছেন এমন ধরণের নানা শিরকি ও কুফরি বিশ্বাস পরিত্যাগ করে কুরআন ও সহীহ হাদীসে বর্ণিত আল্লাহর রাসূল সম্পর্কে যে বর্ণনা পাওয়া যায় তা গ্রহণ করা। যেমন- তিনি আমদের মতই মাটির তৈরি মানুষ, তিনি আল্লাহর রাসূল, তিনি খাতামুন নাবীইন বা শেষ নবী তাঁর পর আর কোন নবী আসবেন না, তিনার কাছে ওহী হয়, তিনি মারাগেছেন, তিনি জীবিত থাকতে যে সব বিষয় আল্লাহ সুবহানাহুতা’আলা তিনাকে যেটুকু ক্ষমতা দিয়েছিলেন তার থেকে বেশি করা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না আর মৃত্যুর পর তিনার সমস্ত কর্মই বন্ধ হয়েগেছে। তিনি আলমে বার্যাখে আছেন বিশ্বাস করা। ইত্যদি।
 ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণ গুলি কয়টি ও কি কি তা উল্লেখ কর।
উত্তরঃ  ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণগুলি ১০ টি। ১। আল্লাহর ইবাদতে, আকিদাতে ও বিশ্বাসে শিরক করা।
২। বান্দা ও আল্লাহর মাঝে কোন মধ্যস্ততাকারী বা সুপারিশকারী সাব্যস্ত করা।
৩। মুশরিককে কাফির না মনেকরা।
৪। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর হিদায়াত বা সুন্নাত বা সংস্কৃতি বা আদর্শকে থেকে অন্য কাহারও হিদায়াত বা সুন্নাত বা আদর্শকে শ্রেষ্ট মনে করা ও গ্রহণ করা।
৫। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর হিদায়াত বা সুন্নাত বা সংস্কৃতি বা আদর্শকে অপছন্দ করা।
৬। দ্বীন ইসলামের কোন বিষয় বা (সুন্নাত) নিয়ে ঠাট্টা করা।
৭। যাদুকরা বা করান বা যাদু দ্বারা যাদুর প্রতিকার করা।
৮। মুসলমানদের ক্ষতি করার জন্য কাফিরদেরকে আহবান করা বা সাহায্য নেয়া।
৯। দ্বীন ইসলামের সরিয়াত যা আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা মুহাম্মাদ (সাঃ) এর দ্বারা মানুষের জন্য বলবত করেছেন তা অস্বীকার করা।
১০। আল্লাহর দ্বীন থেকে বিমুখ হওয়া বা দ্বীন শিক্ষা গ্রহণ না করা ও সে মতে না চলা আর মানুষকে দ্বীনের পথে চলার জন্য শিক্ষা প্রদান না করা।
 ঈমানের রুকন কয়টি ও কি কি?
ঈমানের রুকন কয়টি ও কি কি?
ঈমানের রুকন ৬টি। সেগুলি হচ্ছে, আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি ঈমান, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান, তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান, আখেরাতের প্রতি ঈমান এবং তাক্বদীরের ভাল-মন্দের প্রতি ঈমান। কুরআনুল কারীম এবং সহীহ হাদীসের বক্তব্য অনুযায়ী উক্ত রুকনসমূহের প্রত্যেকটির প্রতি ঈমান না আনা পর্যন্ত কারো ঈমান পূর্ণ হবে না। যে ব্যক্তি এগুলির কোনো একটিকে অস্বীকার করবে, সে ঈমানের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ ءَامَنَ ٱلرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيۡهِ مِن رَّبِّهِۦ وَٱلۡمُؤۡمِنُونَۚ كُلٌّ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَمَلَٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ لَا نُفَرِّقُ بَيۡنَ أَحَدٖ مِّن رُّسُلِهِۦۚ وَقَالُواْ سَمِعۡنَا وَأَطَعۡنَاۖ غُفۡرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيۡكَ ٱلۡمَصِيرُ ٢٨٥ ﴾ [البقرة: ٢٨٥]
“রাসূলের নিকট তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যে অহি অবতীর্ণ হয়েছে, তাকে তিনি এবং মুমিনগণ মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেছেন। তাঁরা সবাই ঈমান এনেছেন আল্লাহ্‌র প্রতি, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি এবং তাঁর রাসূলগণের প্রতি। (তাঁরা বলে,) আমরা তাঁর রাসূলগণের মধ্যে কোন তারতম্য করি না। তাঁরা বলে, আমরা শুনেছি এবং মেনে নিয়েছি। হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা আপনার কাছে ক্ষমা চাই এবং আপনারই নিকট প্রত্যাবর্তন করতে হবে” (বাক্বারাহ ২৮৫)।
তাছাড়া রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ঈমান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, «أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ»
“ঈমান হচ্ছে, আল্লাহ্‌র প্রতি, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি, তাঁর রাসূলগণের প্রতি এবং তাক্বদীরের ভাল-মন্দের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা” (মুসলিম)।
.........................................
 ঈমানের আহকাম কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ ঈমানের আহকাম ৯ টি। ১) তাওহীদের ইলম যা জাহালতকে দূরিভূত করে। ২) ইয়াকিন যা সন্দেহ দূরিভূত করে। ৩) কবুল যা ঈমানের দাবী পুরণ করে। ৪) আল ইন্তিয়াদ- কুরআন ও সুন্নাহর হুকুম আহাকাম পালন করা। ৫) আস সাদিক- সত্যবাদি হওয়া। ৬) আল ইখলাস- বিশুদ্ধ চিত্তে একমাত্র আল্লাহর জন্যই ইবাদত করা। ৭) আল ইস্তেকামা- মৃত্যু পর্যন্ত তাওহীদের উপর টিকে থাকা। ৮) মহ্বত- আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে সবার থেকে এমন কি নিজের থেকেও বেশি ভালবাসা। ৯) তাগুতকে অস্বীকার করা।
..............................................................
 ঈমান/ ইসলামের তিনটি মৌলিক নীতিমালা- উসুলে সালাসা কি?
 উসুলে সালাসা বা ঈমান ও ইসলামের তিনটি মুলনীতিঃ
উসুলে সালাসা হলো ঈমান ও ইসলামের তিন মুলনীতি। ইসলাম রয়েছে ওই সব বিষয়ের উপর যার নির্দেশ মহান আল্লাহ্‌ দিয়েছেন এবং যা তাঁর প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম তাঁর সুন্নাতের মাধ্যমে  বাস্তবায়ন/প্রতিষ্ঠিত করেছেন, যেমনটি রাসুলের সাহাবাগন বুঝেছেন এবং কর্মে রূপ দিয়েছেন। হাদিসে আছে- কবরে তিনটি প্রশ্ন মুসলিম ও অমুসলিম প্রত্যেককে জিজ্ঞেস করা হবে- সে তিন মৌলিক বিষয়ই 'উসুলে সালাসা' বা ঈমান ও ইসলামের তিন মৌলিক নীতিমালা।
ঈমানের ৯টি শর্ত(আহ্‌কাম):
9 conditions of faith
  1.এলেম (জ্ঞান)
2.একিন বা পরিপূর্ণ বিশ্বাস
3.কবুল
4 আল এনকিয়াদ বা পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ
5 সাদেকিন বা কথা,কাজে ও বিশ্বাসে সত্যবাদিতা
6 আল এখলাস
7 আল মহব্বত বা আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতে হবে।
8 আল কুফুর বিতাগুত বা তাগুতের সাথে সম্পর্কউচ্ছেদ করা
9 আল মওতু হাজিহিল কালেমা বা লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ এর উপর মৃত্যু পর্যন্ত অটল থাকা
0 notes
khutbahs · 4 years
Link
ঈমান কাকে বলে?
উত্তরঃ
  ঈমানের সাধারণ অর্থ বিশ্বাস। আর পারিভাষিক অর্থ তিন প্রকার বিষয়ের সমন্বয়ে গঠিত-
১। আততাসদিক বিলকাল্ব- অন্তরে বিশ্বাস করা বা অন্তর দ্বারা সত্যায়ন করা।
২। ওয়াল ইকরার বিললিসান- মৌখিক ভাবে স্বিকৃতি দেয়া।
৩। ওয়াল আমল বিল যাওয়ারেহ- আল্লাহর সকল বিধিবিধান যা তিনি তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রতি ওহী করেছেন তা কমবেশ না করে মান্য করা বা আমল করা, ইত্যাদি।
  ঈমানের উসূল কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ
  ঈমানের উসূল ৩ টি।
১। আল্লাহর মা’আরিফাত বা আল্লাহ সম্পর্কে জানা।
২। দ্বীন ইসলামের মা’আরিফাত বা দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানা।
৩। আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মা’আরিফাত বা নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে জানা।
  ঈমানের ১ম উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা। উত্তরঃ  ঈমানের ১ম উসূল- আল্লাহর মা’আরিফাত বা আল্লাহ সম্পর্কে জানা। সমস্ত রকম দোষ মুক্ত ভাবে কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে বিশুদ্ধ ভাবে আল্লাহ সম্পর্কে জানা। যেমন- আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান এ কথাকে ভ্রান্ত জেনে প্রত্যাখ্যান করে আল্লাহ সপ্ত আসমানের উপর আরসে আজিমে আছেন এ কথাকে দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করা ইত্যাদি।
  ঈমানের ২য় উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা। উত্তরঃ  ঈমানের ২য় উসূল- দ্বীন ইসলামের মা’আরিফাত বা দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানা। সমস্ত রকম দুষন ও শিরক ও বিদাতকে ভ্রান্ত হিসাবে পরিত্যাগ করে দ্বীন ইসলাম হচ্ছে আল্লাহর ওহী তা হচ্ছে কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে সহীহ সুন্নাহ আর এতে কোন অপূর্ণতা নেই হিসাবে জানা ও মানা ইত্যাদি।
 ঈমানের ৩য় উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা । উত্তরঃ  ঈমানের ৩য় উসূল- আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মা’আরিফাত বা আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে জানা। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে সকল প্রকার ভ্রান্ত বিশ্বাস যেমন- তিনি নূরের তৈরী, তিনি মৃত্যুর পরও জীবিত আছেন ও সকলের কথা শুনতে পারেন ও তাদের চাওয়া পাওয়া পূরণ করতে পারেন তিনি সবজায়গায় হাজীর নাজির আছেন এমন ধরণের নানা শিরকি ও কুফরি বিশ্বাস পরিত্যাগ করে কুরআন ও সহীহ হাদীসে বর্ণিত আল্লাহর রাসূল সম্পর্কে যে বর্ণনা পাওয়া যায় তা গ্রহণ করা। যেমন- তিনি আমদের মতই মাটির তৈরি মানুষ, তিনি আল্লাহর রাসূল, তিনি খাতামুন নাবীইন বা শেষ নবী তাঁর পর আর কোন নবী আসবেন না, তিনার কাছে ওহী হয়, তিনি মারাগেছেন, তিনি জীবিত থাকতে যে সব বিষয় আল্লাহ সুবহানাহুতা’আলা তিনাকে যেটুকু ক্ষমতা দিয়েছিলেন তার থেকে বেশি করা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না আর মৃত্যুর পর তিনার সমস্ত কর্মই বন্ধ হয়েগেছে। তিনি আলমে বার্যাখে আছেন বিশ্বাস করা। ইত্যদি।
 ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণ গুলি কয়টি ও কি কি তা উল্লেখ কর।
উত্তরঃ
  ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণগুলি ১০ টি।
১। আল্লাহর ইবাদতে, আকিদাতে ও বিশ্বাসে শিরক করা।
২। বান্দা ও আল্লাহর মাঝে কোন মধ্যস্ততাকারী বা সুপারিশকারী সাব্যস্ত করা।
৩। মুশরিককে কাফির না মনেকরা।
৪। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) ���র হিদায়াত বা সুন্নাত বা সংস্কৃতি বা আদর্শকে থেকে অন্য কাহারও হিদায়াত বা সুন্নাত বা আদর্শকে শ্রেষ্ট মনে করা ও গ্রহণ করা।
৫। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর হিদায়াত বা সুন্নাত বা সংস্কৃতি বা আদর্শকে অপছন্দ করা।
৬। দ্বীন ইসলামের কোন বিষয় বা (সুন্নাত) নিয়ে ঠাট্টা করা।
৭। যাদুকরা বা করান বা যাদু দ্বারা যাদুর প্রতিকার করা।
৮। মুসলমানদের ক্ষতি করার জন্য কাফিরদেরকে আহবান করা বা সাহায্য নেয়া।
৯। দ্বীন ইসলামের সরিয়াত যা আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা মুহাম্মাদ (সাঃ) এর দ্বারা মানুষের জন্য বলবত করেছেন তা অস্বীকার করা।
১০। আল্লাহর দ্বীন থেকে বিমুখ হওয়া বা দ্বীন শিক্ষা গ্রহণ না করা ও সে মতে না চলা আর মানুষকে দ্বীনের পথে চলার জন্য শিক্ষা প্রদান না করা।
 ঈমানের রুকন কয়টি ও কি কি?
ঈমানের রুকন ৬টি। সেগুলি হচ্ছে, আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি ঈমান, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান, তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান, আখেরাতের প্রতি ঈমান এবং তাক্বদীরের ভাল-মন্দের প্রতি ঈমান। কুরআনুল কারীম এবং সহীহ হাদীসের বক্তব্য অনুযায়ী উক্ত রুকনসমূহের প্রত্যেকটির প্রতি ঈমান না আনা পর্যন্ত কারো ঈমান পূর্ণ হবে না। যে ব্যক্তি এগুলির কোনো একটিকে অস্বীকার করবে, সে ঈমানের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ ءَامَنَ ٱلرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيۡهِ مِن رَّبِّهِۦ وَٱلۡمُؤۡمِنُونَۚ كُلٌّ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَمَلَٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ لَا نُفَرِّقُ بَيۡنَ أَحَدٖ مِّن رُّسُلِهِۦۚ وَقَالُواْ سَمِعۡنَا وَأَطَعۡنَاۖ غُفۡرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيۡكَ ٱلۡمَصِيرُ ٢٨٥ ﴾ [البقرة: ٢٨٥]
“রাসূলের নিকট তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যে অহি অবতীর্ণ হয়েছে, তাকে তিনি এবং মুমিনগণ মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেছেন। তাঁরা সবাই ঈমান এনেছেন আল্লাহ্‌র প্রতি, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি এবং তাঁর রাসূলগণের প্রতি। (তাঁরা বলে,) আমরা তাঁর রাসূলগণের মধ্যে কোন তারতম্য করি না। তাঁরা বলে, আমরা শুনেছি এবং মেনে নিয়েছি। হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা আপনার কাছে ক্ষমা চাই এবং আপনারই নিকট প্রত্যাবর্তন করতে হবে” (বাক্বারাহ ২৮৫)।
তাছাড়া রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ঈমান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, «أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ»
“ঈমান হচ্ছে, আল্লাহ্‌র প্রতি, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি, তাঁর রাসূলগণের প্রতি এবং তাক্বদীরের ভাল-মন্দের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা” (মুসলিম)।
.........................................
 ঈমানের আহকাম কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ
ঈমানের আহকাম ৯ টি।
১) তাওহীদের ইলম যা জাহালতকে দূরিভূত করে। ২) ইয়াকিন যা সন্দেহ দূরিভূত করে। ৩) কবুল যা ঈমানের দাবী পুরণ করে। ৪) আল ইন্তিয়াদ- কুরআন ও সুন্নাহর হুকুম আহাকাম পালন করা। ৫) আস সাদিক- সত্যবাদি হওয়া। ৬) আল ইখলাস- বিশুদ্ধ চিত্তে একমাত্র আল্লাহর জন্যই ইবাদত করা। ৭) আল ইস্তেকামা- মৃত্যু পর্যন্ত তাওহীদের উপর টিকে থাকা। ৮) মহ্বত- আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে সবার থেকে এমন কি নিজের থেকেও বেশি ভালবাসা। ৯) তাগুতকে অস্বীকার করা।
..............................................................
 ঈমান/ ইসলামের তিনটি মৌলিক নীতিমালা- উসুলে সালাসা কি?   উসুলে সালাসা বা ঈমান ও ইসলামের তিনটি মুলনীতিঃ
উসুলে সালাসা হলো ঈমান ও ইসলামের তিন মুলনীতি। ইসলাম রয়েছে ওই সব বিষয়ের উপর যার নির্দেশ মহান আল্লাহ্‌ দিয়েছেন এবং যা তাঁর প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম তাঁর সুন্নাতের মাধ্যমে  বাস্তবায়ন/প্রতিষ্ঠিত করেছেন, যেমনটি রাসুলের সাহাবাগন বুঝেছেন এবং কর্মে রূপ দিয়েছেন। হাদিসে আছে- কবরে তিনটি প্রশ্ন মুসলিম ও অমুসলিম প্রত্যেককে জিজ্ঞেস করা হবে- সে তিন মৌলিক বিষয়ই 'উসুলে সালাসা' বা ঈমান ও ইসলামের তিন মৌলিক নীতিমালা।
ঈমানের ৯টি শর্ত(আহ্‌কাম):
9 conditions of faith
  1.এলেম (জ্ঞান)
2.একিন বা পরিপূর্ণ বিশ্বাস
3.কবুল
4 আল এনকিয়াদ বা পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ
5 সাদেকিন বা কথা,কাজে ও বিশ্বাসে সত্যবাদিতা
6 আল এখলাস
7 আল মহব্বত বা আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতে হবে।
8 আল কুফুর বিতাগুত বা তাগুতের সাথে সম্পর্কউচ্ছেদ করা
9 আল মওতু হাজিহিল কালেমা বা লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ এর উপর মৃত্যু পর্যন্ত অটল থাকা
0 notes
khutbahs · 4 years
Photo
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ঈমান কাকে বলে? উত্তরঃ  ঈমানের সাধারণ অর্থ বিশ্বাস। আর পারিভাষিক অর্থ তিন প্রকার বিষয়ের সমন্বয়ে গঠিত-
১। আততাসদিক বিলকাল্ব- অন্তরে বিশ্বাস করা বা অন্তর দ্বারা সত্যায়ন করা।
২। ওয়াল ইকরার বিললিসান- মৌখিক ভাবে স্বিকৃতি দেয়া।
৩। ওয়াল আমল বিল যাওয়ারেহ- আল্লাহর সকল বিধিবিধান যা তিনি তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রতি ওহী করেছেন তা কমবেশ না করে মান্য করা বা আমল করা, ইত্যাদি।
ঈমানের উসূল কয়টি ও কি কি? উত্তরঃ  ঈমানের উসূল ৩ টি। ১। আল্লাহর মা’আরিফাত বা আল্লাহ সম্পর্কে জানা।
২। দ্বীন ইসলামের মা’আরিফাত বা দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানা।
৩। আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মা’আরিফাত বা নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে জানা।
ঈমানের ১ম উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা। উত্তরঃ  ঈমানের ১ম উসূল- আল্লাহর মা’আরিফাত বা আল্লাহ সম্পর্কে জানা। সমস্ত রকম দোষ মুক্ত ভাবে কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে বিশুদ্ধ ভাবে আল্লাহ সম্পর্কে জানা। যেমন- আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান এ কথাকে ভ্রান্ত জেনে প্রত্যাখ্যান করে আল্লাহ সপ্ত আসমানের উপর আরসে আজিমে আছেন এ কথাকে দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করা ইত্যাদি।
ঈমানের ২য় উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা। উত্তরঃ  ঈমানের ২য় উসূল- দ্বীন ইসলামের মা’আরিফাত বা দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানা। সমস্ত রকম দুষন ও শিরক ও বিদাতকে ভ্রান্ত হিসাবে পরিত্যাগ করে দ্বীন ইসলাম হচ্ছে আল্লাহর ওহী তা হচ্ছে কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে সহীহ সুন্নাহ আর এতে কোন অপূর্ণতা নেই হিসাবে জানা ও মানা ইত্যাদি।
ঈমানের ৩য় উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা । উত্তরঃ  ঈমানের ৩য় উসূল- আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মা’আরিফাত বা আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে জানা। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে সকল প্রকার ভ্রান্ত বিশ্বাস যেমন- তিনি নূরের তৈরী, তিনি মৃত্যুর পরও জীবিত আছেন ও সকলের কথা শুনতে পারেন ও তাদের চাওয়া পাওয়া পূরণ করতে পারেন তিনি সবজায়গায় হাজীর নাজির আছেন এমন ধরণের নানা শিরকি ও কুফরি বিশ্বাস পরিত্যাগ করে কুরআন ও সহীহ হাদীসে বর্ণিত আল্লাহর রাসূল সম্পর্কে যে বর্ণনা পাওয়া যায় তা গ্রহণ করা। যেমন- তিনি আমদের মতই মাটির তৈরি মানুষ, তিনি আল্লাহর রাসূল, তিনি খাতামুন নাবীইন বা শেষ নবী তাঁর পর আর কোন নবী আসবেন না, তিনার কাছে ওহী হয়, তিনি মারাগেছেন, তিনি জীবিত থাকতে যে সব বিষয় আল্লাহ সুবহানাহুতা’আলা তিনাকে যেটুকু ক্ষমতা দিয়েছিলেন তার থেকে বেশি করা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না আর মৃত্যুর পর তিনার সমস্ত কর্মই বন্ধ হয়েগেছে। তিনি আলমে বার্যাখে আছেন বিশ্বাস করা। ইত্যদি।
ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণ গুলি কয়টি ও কি কি তা উল্লেখ কর। উত্তরঃ  ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণগুলি ১০ টি। ১। আল্লাহর ইবাদতে, আকিদাতে ও বিশ্বাসে শিরক করা।
২। বান্দা ও আল্লাহর মাঝে কোন মধ্যস্ততাকারী বা সুপারিশকারী সাব্যস্ত করা।
৩। মুশরিককে কাফির না মনেকরা।
৪। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর হিদায়াত বা সুন্নাত বা সংস্কৃতি বা আদর্শকে থেকে অন্য কাহারও হিদায়াত বা সুন্নাত বা আদর্শকে শ্রেষ্ট মনে করা ও গ্রহণ করা।
৫। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর হিদায়াত বা সুন্নাত বা সংস্কৃতি বা আদর্শকে অপছন্দ করা।
৬। দ্বীন ইসলামের কোন বিষয় বা (সুন্নাত) নিয়ে ঠাট্টা করা।
৭। যাদুকরা বা করান বা যাদু দ্বারা যাদুর প্রতিকার করা।
৮। মুসলমানদের ক্ষতি করার জন্য কাফিরদেরকে আহবান করা বা সাহায্য নেয়া।
৯। দ্বীন ইসলামের সরিয়াত যা আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা মুহাম্মাদ (সাঃ) এর দ্বারা মানুষের জন্য বলবত করেছেন তা অস্বীকার করা।
১০। আল্লাহর দ্বীন থেকে বিমুখ হওয়া বা দ্বীন শিক্ষা গ্রহণ না করা ও সে মতে না চলা আর মানুষকে দ্বীনের পথে চলার জন্য শিক্ষা প্রদান না করা।
ঈমানের রুকন কয়টি ও কি কি?
ঈমানের রুকন কয়টি ও কি কি?
ঈমানের রুকন ৬টি। সেগুলি হচ্ছে, আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি ঈমান, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান, তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান, আখেরাতের প্রতি ঈমান এবং তাক্বদীরের ভাল-মন্দের প্রতি ঈমান। কুরআনুল কারীম এবং সহীহ হাদীসের বক্তব্য অনুযায়ী উক্ত রুকনসমূহের প্রত্যেকটির প্রতি ঈমান না আনা পর্যন্ত কারো ঈমান পূর্ণ হবে না। যে ব্যক্তি এগুলির কোনো একটিকে অস্বীকার করবে, সে ঈমানের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ ءَامَنَ ٱلرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيۡهِ مِن رَّبِّهِۦ وَٱلۡمُؤۡمِنُونَۚ كُلٌّ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَمَلَٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ لَا نُفَرِّقُ بَيۡنَ أَحَدٖ مِّن رُّسُلِهِۦۚ وَقَالُواْ سَمِعۡنَا وَأَطَعۡنَاۖ غُفۡرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيۡكَ ٱلۡمَصِيرُ ٢٨٥ ﴾ [البقرة: ٢٨٥]
“রাসূলের নিকট তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যে অহি অবতীর্ণ হয়েছে, তাকে তিনি এবং মুমিনগণ মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেছেন। তাঁরা সবাই ঈমান এনেছেন আল্লাহ্‌র প্রতি, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি এবং তাঁর রাসূলগণের প্রতি। (তাঁরা বলে,) আমরা তাঁর রাসূলগণের মধ্যে কোন তারতম্য করি না। তাঁরা বলে, আমরা শুনেছি এবং মেনে নিয়েছি। হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা আপনার কাছে ক্ষমা চাই এবং আপনারই নিকট প্রত্যাবর্তন করতে হবে” (বাক্বারাহ ২৮৫)।
তাছাড়া রাসূল সাল্ল��ল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ঈমান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, «أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ»
“ঈমান হচ্ছে, আল্লাহ্‌র প্রতি, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি, তাঁর রাসূলগণের প্রতি এবং তাক্বদীরের ভাল-মন্দের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা” (মুসলিম)।
.........................................
ঈমানের আহকাম কয়টি ও কি কি? উত্তরঃ ঈমানের আহকাম ৯ টি। ১) তাওহীদের ইলম যা জাহালতকে দূরিভূত করে। ২) ইয়াকিন যা সন্দেহ দূরিভূত করে। ৩) কবুল যা ঈমানের দাবী পুরণ করে। ৪) আল ইন্তিয়াদ- কুরআন ও সুন্নাহর হুকুম আহাকাম পালন করা। ৫) আস সাদিক- সত্যবাদি হওয়া। ৬) আল ইখলাস- বিশুদ্ধ চিত্তে একমাত্র আল্লাহর জন্যই ইবাদত করা। ৭) আল ইস্তেকামা- মৃত্যু পর্যন্ত তাওহীদের উপর টিকে থাকা। ৮) মহ্বত- আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে সবার থেকে এমন কি নিজের থেকেও বেশি ভালবাসা। ৯) তাগুতকে অস্বীকার করা।
..............................................................
ঈমান ও ইসলামের তিনটি মৌলিক নীতিমালা- উসুলে সালাসা কি?
উসুলে সালাসা বা ঈমান ও ইসলামের তিনটি মুলনীতিঃ
উসুলে সালাসা হলো ঈমান ও ইসলামের তিন মুলনীতি। ইসলাম রয়েছে ওই সব বিষয়ের উপর যার নির্দেশ মহান আল্লাহ্‌ দিয়েছেন এবং যা তাঁর প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম তাঁর সুন্নাতের মাধ্যমে  বাস্তবায়ন/প্রতিষ্ঠিত করেছেন, যেমনটি রাসুলের সাহাবাগন বুঝেছেন এবং কর্মে রূপ দিয়েছেন। হাদিসে আছে- কবরে তিনটি প্রশ্ন মুসলিম ও অমুসলিম প্রত্যেককে জিজ্ঞেস করা হবে- সে তিন মৌলিক বিষয়ই 'উসুলে সালাসা' বা ঈমান ও ইসলামের তিন মৌলিক নীতিমালা।
ঈমানের ৯টি শর্ত(আহ্‌কাম):
9 conditions of faith
1.এলেম (জ্ঞান)
2.একিন বা পরিপূর্ণ বিশ্বাস
3.কবুল
4 আল এনকিয়াদ বা পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ
5 সাদেকিন বা কথা,কাজে ও বিশ্বাসে সত্যবাদিতা
6 আল এখলাস
7 আল মহব্বত বা আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতে হবে।
8 আল কুফুর বিতাগুত বা তাগুতের সাথে সম্পর্কউচ্ছেদ করা
9 আল মওতু হাজিহিল কালেমা বা লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ এর উপর মৃত্যু পর্যন্ত অটল থাকা
0 notes
khutbahs · 4 years
Photo
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ঈমান কাকে বলে? উত্তরঃ  ঈমানের সাধারণ অর্থ বিশ্বাস। আর পারিভাষিক অর্থ তিন প্রকার বিষয়ের সমন্বয়ে গঠিত-
১। আততাসদিক বিলকাল্ব- অন্তরে বিশ্বাস করা বা অন্তর দ্বারা সত্যায়ন করা।
২। ওয়াল ইকরার বিললিসান- মৌখিক ভাবে স্বিকৃতি দেয়া।
৩। ওয়াল আমল বিল যাওয়ারেহ- আল্লাহর সকল বিধিবিধান যা তিনি তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রতি ওহী করেছেন তা কমবেশ না করে মান্য করা বা আমল করা, ইত্যা��ি।
ঈমানের উসূল কয়টি ও কি কি? উত্তরঃ  ঈমানের উসূল ৩ টি। ১। আল্লাহর মা’আরিফাত বা আল্লাহ সম্পর্কে জানা।
২। দ্বীন ইসলামের মা’আরিফাত বা দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানা।
৩। আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মা’আরিফাত বা নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে জানা।
ঈমানের ১ম উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা। উত্তরঃ  ঈমানের ১ম উ��ূল- আল্লাহর মা’আরিফাত বা আল্লাহ সম্পর্কে জানা। সমস্ত রকম দোষ মুক্ত ভাবে কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে বিশুদ্ধ ভাবে আল্লাহ সম্পর্কে জানা। যেমন- আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান এ কথাকে ভ্রান্ত জেনে প্রত্যাখ্যান করে আল্লাহ সপ্ত আসমানের উপর আরসে আজিমে আছেন এ কথাকে দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করা ইত্যাদি।
ঈমানের ২য় উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা। উত্তরঃ  ঈমানের ২য় উসূল- দ্বীন ইসলামের মা’আরিফাত বা দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানা। সমস্ত রকম দুষন ও শিরক ও বিদাতকে ভ্রান্ত হিসাবে পরিত্যাগ করে দ্বীন ইসলাম হচ্ছে আল্লাহর ওহী তা হচ্ছে কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে সহীহ সুন্নাহ আর এতে কোন অপূর্ণতা নেই হিসাবে জানা ও মানা ইত্যাদি।
ঈমানের ৩য় উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা । উত্তরঃ  ঈমানের ৩য় উসূল- আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মা’আরিফাত বা আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে জানা। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে সকল প্রকার ভ্রান্ত বিশ্বাস যেমন- তিনি নূরের তৈরী, তিনি মৃত্যুর পরও জীবিত আছেন ও সকলের কথা শুনতে পারেন ও তাদের চাওয়া পাওয়া পূরণ করতে পারেন তিনি সবজায়গায় হাজীর নাজির আছেন এমন ধরণের নানা শিরকি ও কুফরি বিশ্বাস পরিত্যাগ করে কুরআন ও সহীহ হাদীসে বর্ণিত আল্লাহর রাসূল সম্পর্কে যে বর্ণনা পাওয়া যায় তা গ্রহণ করা। যেমন- তিনি আমদের মতই মাটির তৈরি মানুষ, তিনি আল্লাহর রাসূল, তিনি খাতামুন নাবীইন বা শেষ নবী তাঁর পর আর কোন নবী আসবেন না, তিনার কাছে ওহী হয়, তিনি মারাগেছেন, তিনি জীবিত থাকতে যে সব বিষয় আল্লাহ সুবহানাহুতা’আলা তিনাকে যেটুকু ক্ষমতা দিয়েছিলেন তার থেকে বেশি করা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না আর মৃত্যুর পর তিনার সমস্ত কর্মই বন্ধ হয়েগেছে। তিনি আলমে বার্যাখে আছেন বিশ্বাস করা। ইত্যদি।
ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণ গুলি কয়টি ও কি কি তা উল্লেখ কর। উত্তরঃ  ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণগুলি ১০ টি। ১। আল্লাহর ইবাদতে, আকিদাতে ও বিশ্বাসে শিরক করা।
২। বান্দা ও আল্লাহর মাঝে কোন মধ্যস্ততাকারী বা সুপারিশকারী সাব্যস্ত করা।
৩। মুশরিককে কাফির না মনেকরা।
৪। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর হিদায়াত বা সুন্নাত বা সংস্কৃতি বা আদর্শকে থেকে অন্য কাহারও হিদায়াত বা সুন্নাত বা আদর্শকে শ্রেষ্ট মনে করা ও গ্রহণ করা।
৫। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর হিদায়াত বা সুন্নাত বা সংস্কৃতি বা আদর্শকে অপছন্দ করা।
৬। দ্বীন ইসলামের কোন বিষয় বা (সুন্নাত) নিয়ে ঠাট্টা করা।
৭। যাদুকরা বা করান বা যাদু দ্বারা যাদুর প্রতিকার করা।
৮। মুসলমানদের ক্ষতি করার জন্য কাফিরদেরকে আহবান করা বা সাহায্য নেয়া।
৯। দ্বীন ইসলামের সরিয়াত যা আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা মুহাম্মাদ (সাঃ) এর দ্বারা মানুষের জন্য বলবত করেছেন তা অস্বীকার করা।
১০। আল্লাহর দ্বীন থেকে বিমুখ হওয়া বা দ্বীন শিক্ষা গ্রহণ না করা ও সে মতে না চলা আর মানুষকে দ্বীনের পথে চলার জন্য শিক্ষা প্রদান না করা।
ঈমানের রুকন কয়টি ও কি কি?
ঈমানের রুকন কয়টি ও কি কি?
ঈমানের রুকন ৬টি। সেগুলি হচ্ছে, আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি ঈমান, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান, তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান, আখেরাতের প্রতি ঈমান এবং তাক্বদীরের ভাল-মন্দের প্রতি ঈমান। কুরআনুল কারীম এবং সহীহ হাদীসের বক্তব্য অনুযায়ী উক্ত রুকনসমূহের প্রত্যেকটির প্রতি ঈমান না আনা পর্যন্ত কারো ঈমান পূর্ণ হবে না। যে ব্যক্তি এগুলির কোনো একটিকে অস্বীকার করবে, সে ঈমানের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ ءَامَنَ ٱلرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيۡهِ مِن رَّبِّهِۦ وَٱلۡمُؤۡمِنُونَۚ كُلٌّ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَمَلَٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ لَا نُفَرِّقُ بَيۡنَ أَحَدٖ مِّن رُّسُلِهِۦۚ وَقَالُواْ سَمِعۡنَا وَأَطَعۡنَاۖ غُفۡرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيۡكَ ٱلۡمَصِيرُ ٢٨٥ ﴾ [البقرة: ٢٨٥]
“রাসূলের নিকট তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যে অহি অবতীর্ণ হয়েছে, তাকে তিনি এবং মুমিনগণ মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেছেন। তাঁরা সবাই ঈমান এনেছেন আল্লাহ্‌র প্রতি, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি এবং তাঁর রাসূলগণের প্রতি। (তাঁরা বলে,) আমরা তাঁর রাসূলগণের মধ্যে কোন তারতম্য করি না। তাঁরা বলে, আমরা শুনেছি এবং মেনে নিয়েছি। হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা আপনার কাছে ক্ষমা চাই এবং আপনারই নিকট প্রত্যাবর্তন করতে হবে” (বাক্বারাহ ২৮৫)।
তাছাড়া রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ঈমান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, «أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ»
“ঈমান হচ্ছে, আল্লাহ্‌র প্রতি, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি, তাঁর রাসূলগণের প্রতি এবং তাক্বদীরের ভাল-মন্দের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা” (মুসলিম)।
.........................................
ঈমানের আহকাম কয়টি ও কি কি? উত্তরঃ ঈমানের আহকাম ৯ টি। ১) তাওহীদের ইলম যা জাহালতকে দূরিভূত করে। ২) ইয়াকিন যা সন্দেহ দূরিভূত করে। ৩) কবুল যা ঈমানের দাবী পুরণ করে। ৪) আল ইন্তিয়াদ- কুরআন ও সুন্নাহর হুকুম আহাকাম পালন করা। ৫) আস সাদিক- সত্যবাদি হওয়া। ৬) আল ইখলাস- বিশুদ্ধ চিত্তে একমাত্র আল্লাহর জন্যই ইবাদত করা। ৭) আল ইস্তেকামা- মৃত্যু পর্যন্ত তাওহীদের উপর টিকে থাকা। ৮) মহ্বত- আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে সবার থেকে এমন কি নিজের থেকেও বেশি ভালবাসা। ৯) তাগুতকে অস্বীকার করা।
..............................................................
ঈমান ও ইসলামের তিনটি মৌলিক নীতিমালা- উসুলে সালাসা কি?
উসুলে সালাসা বা ঈমান ও ইসলামের তিনটি মুলনীতিঃ
উসুলে সালাসা হলো ঈমান ও ইসলামের তিন মুলনীতি। ইসলাম রয়েছে ওই সব বিষয়ের উপর যার নির্দেশ মহান আল্লাহ্‌ দিয়েছেন এবং যা তাঁর প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম তাঁর সুন্নাতের মাধ্যমে  বাস্তবায়ন/প্রতিষ্ঠিত করেছেন, যেমনটি রাসুলের সাহাবাগন বুঝেছেন এবং কর্মে রূপ দিয়েছেন। হাদিসে আছে- কবরে তিনটি প্রশ্ন মুসলিম ও অমুসলিম প্রত্যেককে জিজ্ঞেস করা হবে- সে তিন মৌলিক বিষয়ই 'উসুলে সালাসা' বা ঈমান ও ইসলামের তিন মৌলিক নীতিমালা।
ঈমানের ৯টি শর্ত(আহ্‌কাম):
9 conditions of faith
1.এলেম (জ্ঞান)
2.একিন বা পরিপূর্ণ বিশ্বাস
3.কবুল
4 আল এনকিয়াদ বা পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ
5 সাদেকিন বা কথা,কাজে ও বিশ্বাসে সত্যবাদিতা
6 আল এখলাস
7 আল মহব্বত বা আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতে হবে।
8 আল কুফুর বিতাগুত বা তাগুতের সাথে সম্পর্কউচ্ছেদ করা
9 আল মওতু হাজিহিল কালেমা বা লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ এর উপর মৃত্যু পর্যন্ত অটল থাকা
0 notes
khutbahs · 4 years
Link
ঈমান কাকে বলে? উত্তরঃ  ঈমানের সাধারণ অর্থ বিশ্বাস। আর পারিভাষিক অর্থ তিন প্রকার বিষয়ের সমন্বয়ে গঠিত-
১। আততাসদিক বিলকাল্ব- অন্তরে বিশ্বাস করা বা অন্তর দ্বারা সত্যায়ন করা।
২। ওয়াল ইকরার বিললিসান- মৌখিক ভাবে স্বিকৃতি দেয়া।
৩। ওয়াল আমল বিল যাওয়ারেহ- আল্লাহর সকল বিধিবিধান যা তিনি তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রতি ওহী করেছেন তা কমবেশ না করে মান্য করা বা আমল করা, ইত্যাদি।
  ঈমানের উসূল বা মুলনীতি কয়টি ও কি কি? উত্তরঃ  ঈমানের উসূল বা মুলনীতি ৩ টি। ১। আল্লাহর মা’আরিফাত বা আল্লাহ সম্পর্কে জানা।
২। দ্বীন ইসলামের মা’আরিফাত বা দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানা।
৩। আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর মা’আরিফাত বা নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে জানা।
  ঈমানের ১ম উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা। উত্তরঃ  ঈমানের ১ম উসূল- আল্লাহর মা’আরিফাত বা আল্লাহ সম্পর্কে জানা। সমস্ত রকম দোষ মুক্ত ভাবে কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে বিশুদ্ধ ভাবে আল্লাহ সম্পর্কে জানা। যেমন- আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান এ কথাকে ভ্রান্ত জেনে প্রত্যাখ্যান করে আল্লাহ সপ্ত আসমানের উপর আরসে আজিমে আছেন এ কথাকে দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করা ইত্যাদি।
  ঈমানের ২য় উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা। উত্তরঃ  ঈমানের ২য় উসূল- দ্বীন ইসলামের মা’আরিফাত বা দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানা। সমস্ত রকম দুষন ও শিরক ও বিদাতকে ভ্রান্ত হিসাবে পরিত্যাগ করে দ্বীন ইসলাম হচ্ছে আল্লাহর ওহী তা হচ্ছে কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে সহীহ সুন্নাহ আর এতে কোন অপূর্ণতা নেই হিসাবে জানা ও মানা ইত্যাদি।
 ঈমানের ৩য় উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা । উত্তরঃ  ঈমানের ৩য় উসূল- আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মা’আরিফাত বা আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে জানা। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে সকল প্রকার ভ্রান্ত বিশ্বাস যেমন- তিনি নূরের তৈরী, তিনি মৃত্যুর পরও জীবিত আছেন ও সকলের কথা শুনতে পারেন ও তাদের চাওয়া পাওয়া পূরণ করতে পারেন তিনি সবজায়গায় হাজীর নাজির আছেন এমন ধরণের নানা শিরকি ও কুফরি বিশ্বাস পরিত্যাগ করে কুরআন ও সহীহ হাদীসে বর্ণিত আল্লাহর রাসূল সম্পর্কে যে বর্ণনা পাওয়া যায় তা গ্রহণ করা। যেমন- তিনি আমদের মতই মাটির তৈরি মানুষ, তিনি আল্লাহর রাসূল, তিনি খাতামুন নাবীইন বা শেষ নবী তাঁর পর আর কোন নবী আসবেন না, তিনার কাছে ওহী হয়, তিনি মারাগেছেন, তিনি জীবিত থাকতে যে সব বিষয় আল্লাহ সুবহানাহুতা’আলা তিনাকে যেটুকু ক্ষমতা দিয়েছিলেন তার থেকে বেশি করা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না আর মৃত্যুর পর তিনার সমস্ত কর্মই বন্ধ হয়েগেছে। তিনি আলমে বার্যাখে আছেন বিশ্বাস করা। ইত্যদি।
 ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণ গুলি কয়টি ও কি কি তা উল্লেখ কর। উত্তরঃ  ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণগুলি ১০ টি। ১। আল্লাহর ইবাদতে, আকিদাতে ও বিশ্বাসে শিরক করা।
২। বান্দা ও আল্লাহর মাঝে কোন মধ্যস্ততাকারী বা সুপারিশকারী সাব্যস্ত করা।
৩। মুশরিককে কাফির না মনেকরা।
৪। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর হিদায়াত বা সুন্নাত বা সংস্কৃতি বা আদর্শকে থেকে অন্য কাহারও হিদায়াত বা সুন্নাত বা আদর্শকে শ্রেষ্ট মনে করা ও গ্রহণ করা।
৫। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর হিদায়াত বা সুন্নাত বা সংস্কৃতি বা আদর্শকে অপছন্দ করা।
৬। দ্বীন ইসলামের কোন বিষয় বা (সুন্নাত) নিয়ে ঠাট্টা করা।
৭। যাদুকরা বা করান বা যাদু দ্বারা যাদুর প্রতিকার করা।
৮। মুসলমানদের ক্ষতি করার জন্য কাফিরদেরকে আহবান করা বা সাহায্য নেয়া।
৯। দ্বীন ইসলামের সরিয়াত যা আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা মুহাম্মাদ (সাঃ) এর দ্বারা মানুষের জন্য বলবত করেছেন তা অস্বীকার করা।
১০। আল্লাহর দ্বীন থেকে বিমুখ হওয়া বা দ্বীন শিক্ষা গ্রহণ না করা ও সে মতে না চলা আর মানুষকে দ্বীনের পথে চলার জন্য শিক্ষা প্রদান না করা।
 ঈমানের রুকন কয়টি ও কি কি?
ঈমানের রুকন কয়টি ও কি কি?
ঈমানের রুকন ৬টি। সেগুলি হচ্ছে, আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি ঈমান, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান, তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান, আখেরাতের প্রতি ঈমান এবং তাক্বদীরের ভাল-মন্দের প্রতি ঈমান। কুরআনুল কারীম এবং সহীহ হাদীসের বক্তব্য অনুযায়ী উক্ত রুকনসমূহের প্রত্যেকটির প্রতি ঈমান না আনা পর্যন্ত কারো ঈমান পূর্ণ হবে না। যে ব্যক্তি এগুলির কোনো একটিকে অস্বীকার করবে, সে ঈমানের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ ءَامَنَ ٱلرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيۡهِ مِن رَّبِّهِۦ وَٱلۡمُؤۡمِنُونَۚ كُلٌّ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَمَلَٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ لَا نُفَرِّقُ بَيۡنَ أَحَدٖ مِّن رُّسُلِهِۦۚ وَقَالُواْ سَمِعۡنَا وَأَطَعۡنَاۖ غُفۡرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيۡكَ ٱلۡمَصِيرُ ٢٨٥ ﴾ [البقرة: ٢٨٥]
“রাসূলের নিকট তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যে অহি অবতীর্ণ হয়েছে, তাকে তিনি এবং মুমিনগণ মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেছেন। তাঁরা সবাই ঈমান এনেছেন আল্লাহ্‌র প্রতি, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি এবং তাঁর রাসূলগণের প্রতি। (তাঁরা বলে,) আমরা তাঁর রাসূলগণের মধ্যে কোন তারতম্য করি না। তাঁরা বলে, আমরা শুনেছি এবং মেনে নিয়েছি। হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা আপনার কাছে ক্ষমা চাই এবং আপনারই নিকট প্রত্যাবর্তন করতে হবে” (বাক্বারাহ ২৮৫)।
তাছাড়া রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ঈমান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, «أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ»
“ঈমান হচ্ছে, আল্লাহ্‌র প্রতি, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি, তাঁর রাসূলগণের প্রতি এবং তাক্বদীরের ভাল-মন্দের প্রতি বিশ্ব��স স্থাপন করা” (মুসলিম)।
.........................................
 ঈমানের আহকাম কয়টি ও কি কি? উত্তরঃ ঈমানের আহকাম ৯ টি। ১) তাওহীদের ইলম যা জাহালতকে দূরিভূত করে। ২) ইয়াকিন যা সন্দেহ দূরিভূত করে। ৩) কবুল যা ঈমানের দাবী পুরণ করে। ৪) আল ইন্তিয়াদ- কুরআন ও সুন্নাহর হুকুম আহাকাম পালন করা। ৫) আস সাদিক- সত্যবাদি হওয়া। ৬) আল ইখলাস- বিশুদ্ধ চিত্তে একমাত্র আল্লাহর জন্যই ইবাদত করা। ৭) আল ইস্তেকামা- মৃত্যু পর্যন্ত তাওহীদের উপর টিকে থাকা। ৮) মহ্বত- আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে সবার থেকে এমন কি নিজের থেকেও বেশি ভালবাসা। ৯) তাগুতকে অস্বীকার করা।
..............................................................
 ঈমান/ ইসলামের তিনটি মৌলিক নীতিমালা- উসুলে সালাসা কি?
 উসুলে সালাসা বা ঈমান ও ইসলামের তিনটি মুলনীতিঃ
উসুলে সালাসা হলো ঈমান ও ইসলামের তিন মুলনীতি। ইসলাম রয়েছে ওই সব বিষয়ের উপর যার নির্দেশ মহান আল্লাহ্‌ দিয়েছেন এবং যা তাঁর প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম তাঁর সুন্নাতের মাধ্যমে  বাস্তবায়ন/প্রতিষ্ঠিত করেছেন, যেমনটি রাসুলের সাহাবাগন বুঝেছেন এবং কর্মে রূপ দিয়েছেন। হাদিসে আছে- কবরে তিনটি প্রশ্ন মুসলিম ও অমুসলিম প্রত্যেককে জিজ্ঞেস করা হবে- সে তিন মৌলিক বিষয়ই 'উসুলে সালাসা' বা ঈমান ও ইসলামের তিন মৌলিক নীতিমালা।
ঈমানের ৯টি শর্ত(আহ্‌কাম):
9 conditions of faith
  1.এলেম (জ্ঞান)
2.একিন বা পরিপূর্ণ বিশ্বাস
3.কবুল
4 আল এনকিয়াদ বা পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ
5 সাদেকিন বা কথা,কাজে ও বিশ্বাসে সত্যবাদিতা
6 আল এখলাস
7 আল মহব্বত বা আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতে হবে।
8 আল কুফুর বিতাগুত বা তাগুতের সাথে সম্পর্কউচ্ছেদ করা
9 আল মওতু হাজিহিল কালেমা বা লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ এর উপর মৃত্যু পর্যন্ত অটল থাকা
0 notes
khutbahs · 4 years
Link
ঈমান কাকে বলে?
উত্তরঃ  ঈমানের সাধারণ অর্থ বিশ্বাস। আর পারিভাষিক অর্থ তিন প্রকার বিষয়ের সমন্বয়ে গঠিত-
১। আততাসদিক বিলকাল্ব- অন্তরে বিশ্বাস করা বা অন্তর দ্বারা সত্যায়ন করা।
২। ওয়াল ইকরার বিললিসান- মৌখিক ভাবে স্বিকৃতি দেয়া।
৩। ওয়াল আমল বিল যাওয়ারেহ- আল্লাহর সকল বিধিবিধান যা তিনি তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রতি ওহী করেছেন তা কমবেশ না করে মান্য করা বা আমল করা, ইত্যাদি।
  ঈমানের উসূল কয়টি ও কি কি? উত্তরঃ  ঈমানের উসূল ৩ টি। ১। আল্লাহর মা’আরিফাত বা আল্লাহ সম্পর্কে জানা।
২। দ্বীন ইসলামের মা’আরিফাত বা দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানা।
৩। আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মা’আরিফাত বা নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে জানা।
  ঈমানের ১ম উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা। উত্তরঃ  ঈমানের ১ম উসূল- আল্লাহর মা’আরিফাত বা আল্লাহ সম্পর্কে জানা। সমস্ত রকম দোষ মুক্ত ভাবে কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে বিশুদ্ধ ভাবে আল্লাহ সম্পর্কে জানা। যেমন- আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান এ কথাকে ভ্রান্ত জেনে প্রত্যাখ্যান করে আল্লাহ সপ্ত আসমানের উপর আরসে আজিমে আছেন এ কথাকে দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করা ইত্যাদি।
  ঈমানের ২য় উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা। উত্তরঃ  ঈমানের ২য় উসূল- দ্বীন ইসলামের মা’আরিফাত বা দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানা। সমস্ত রকম দুষন ও শিরক ও বিদাতকে ভ্রান্ত হিসাবে পরিত্যাগ করে দ্বীন ইসলাম হচ্ছে আল্লাহর ওহী তা হচ্ছে কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে সহীহ সুন্নাহ আর এতে কোন অপূর্ণতা নেই হিসাবে জানা ও মানা ইত্যাদি।
 ঈমানের ৩য় উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা । উত্তরঃ  ঈমানের ৩য় উসূল- আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মা’আরিফাত বা আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে জানা। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে সকল প্রকার ভ্রান্ত বিশ্বাস যেমন- তিনি নূরের তৈরী, তিনি মৃত্যুর পরও জীবিত আছেন ও সকলের কথা শুনতে পারেন ও তাদের চাওয়া পাওয়া পূরণ করতে পারেন তিনি সবজায়গায় হাজীর নাজির আছেন এমন ধরণের নানা শিরকি ও কুফরি বিশ্বাস পরিত্যাগ করে কুরআন ও সহীহ হাদীসে বর্ণিত আল্লাহর রাসূল সম্পর্কে যে বর্ণনা পাওয়া যায় তা গ্রহণ করা। যেমন- তিনি আমদের মতই মাটির তৈরি মানুষ, তিনি আল্লাহর রাসূল, তিনি খাতামুন নাবীইন বা শেষ নবী তাঁর পর আর কোন নবী আসবেন না, তিনার কাছে ওহী হয়, তিনি মারাগেছেন, তিনি জীবিত থাকতে যে সব বিষয় আল্লাহ সুবহানাহুতা’আলা তিনাকে যেটুকু ক্ষমতা দিয়েছিলেন তার থেকে বেশি করা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না আর মৃত্যুর পর তিনার সমস্ত কর্মই বন্ধ হয়েগেছে। তিনি আলমে বার্যাখে আছেন বিশ্বাস করা। ইত্যদি।
 ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণ গুলি কয়টি ও কি কি তা উল্লেখ কর। উত্তরঃ  ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণগুলি ১০ টি। ১। আল্লাহর ইবাদতে, আকিদাতে ও বিশ্বাসে শিরক করা।
২। বান্দা ও আল্লাহর মাঝে কোন মধ্যস্ততাকারী বা সুপারিশকারী সাব্যস্ত করা।
৩। মুশরিককে কাফির না মনেকরা।
৪। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর হিদায়াত বা সুন্নাত বা সংস্কৃতি বা আদর্শকে থেকে অন্য কাহারও হিদায়াত বা সুন্নাত বা আদর্শকে শ্রেষ্ট মনে করা ও গ্রহণ করা।
৫। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর হিদায়াত বা সুন্নাত বা সংস্কৃতি বা আদর্শকে অপছন্দ করা।
৬। দ্বীন ইসলামের কোন বিষয় বা (সুন্নাত) নিয়ে ঠাট্টা করা।
৭। যাদুকরা বা করান বা যাদু দ্বারা যাদুর প্রতিকার করা।
৮। মুসলমানদের ক্ষতি করার জন্য কাফিরদেরকে আহবান করা বা সাহায্য নেয়া।
৯। দ্বীন ইসলামের সরিয়াত যা আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা মুহাম্মাদ (সাঃ) এর দ্বারা মানুষের জন্য বলবত করেছেন তা অস্বীকার করা।
১০�� আল্লাহর দ্বীন থেকে বিমুখ হওয়া বা দ্বীন শিক্ষা গ্রহণ না করা ও সে মতে না চলা আর মানুষকে দ্বীনের পথে চলার জন্য শিক্ষা প্রদান না করা।
 ঈমানের রুকন কয়টি ও কি কি?
ঈমানের রুকন কয়টি ও কি কি?
ঈমানের রুকন ৬টি। সেগুলি হচ্ছে, আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি ঈমান, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান, তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান, আখেরাতের প্রতি ঈমান এবং তাক্বদীরের ভাল-মন্দের প্রতি ঈমান। কুরআনুল কারীম এবং সহীহ হাদীসের বক্তব্য অনুযায়ী উক্ত রুকনসমূহের প্রত্যেকটির প্রতি ঈমান না আনা পর্যন্ত কারো ঈমান পূর্ণ হবে না। যে ব্যক্তি এগুলির কোনো একটিকে অস্বীকার করবে, সে ঈমানের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ ءَامَنَ ٱلرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيۡهِ مِن رَّبِّهِۦ وَٱلۡمُؤۡمِنُونَۚ كُلٌّ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَمَلَٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ لَا نُفَرِّقُ بَيۡنَ أَحَدٖ مِّن رُّسُلِهِۦۚ وَقَالُواْ سَمِعۡنَا وَأَطَعۡنَاۖ غُفۡرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيۡكَ ٱلۡمَصِيرُ ٢٨٥ ﴾ [البقرة: ٢٨٥]
“রাসূলের নিকট তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যে অহি অবতীর্ণ হয়েছে, তাকে তিনি এবং মুমিনগণ মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেছেন। তাঁরা সবাই ঈমান এনেছেন আল্লাহ্‌র প্রতি, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি এবং তাঁর রাসূলগণের প্রতি। (তাঁরা বলে,) আমরা তাঁর রাসূলগণের মধ্যে কোন তারতম্য করি না। তাঁরা বলে, আমরা শুনেছি এবং মেনে নিয়েছি। হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা আপনার কাছে ক্ষমা চাই এবং আপনারই নিকট প্রত্যাবর্তন করতে হবে” (বাক্বারাহ ২৮৫)।
তাছাড়া রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ঈমান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, «أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ»
“ঈমান হচ্ছে, আল্লাহ্‌র প্রতি, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি, তাঁর রাসূলগণের প্রতি এবং তাক্বদীরের ভাল-মন্দের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা” (মুসলিম)।
.........................................
 ঈমানের আহকাম কয়টি ও কি কি? উত্তরঃ ঈমানের আহকাম ৯ টি। ১) তাওহীদের ইলম যা জাহালতকে দূরিভূত করে। ২) ইয়াকিন যা সন্দেহ দূরিভূত করে। ৩) কবুল যা ঈমানের দাবী পুরণ করে। ৪) আল ইন্তিয়াদ- কুরআন ও সুন্নাহর হুকুম আহাকাম পালন করা। ৫) আস সাদিক- সত্যবাদি হওয়া। ৬) আল ইখলাস- বিশুদ্ধ চিত্তে একমাত্র আল্লাহর জন্যই ইবাদত করা। ৭) আল ইস্তেকামা- মৃত্যু পর্যন্ত তাওহীদের উপর টিকে থাকা। ৮) মহ্বত- আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে সবার থেকে এমন কি নিজের থেকেও বেশি ভালবাসা। ৯) তাগুতকে অস্বীকার করা।
..............................................................
 ঈমান/ ইসলামের তিনটি মৌলিক নীতিমালা- উসুলে সালাসা কি?
 উসুলে সালাসা বা ঈমান ও ইসলামের তিনটি মুলনীতিঃ
উসুলে সালাসা হলো ঈমান ও ইসলামের তিন মুলনীতি। ইসলাম রয়েছে ওই সব বিষয়ের উপর যার নির্দেশ মহান আল্লাহ্‌ দিয়েছেন এবং যা তাঁর প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম তাঁর সুন্নাতের মাধ্যমে  বাস্তবায়ন/প্রতিষ্ঠিত করেছেন, যেমনটি রাসুলের সাহাবাগন বুঝেছেন এবং কর্মে রূপ দিয়েছেন। হাদিসে আছে- কবরে তিনটি প্রশ্ন মুসলিম ও অমুসলিম প্রত্যেককে জিজ্ঞেস করা হবে- সে তিন মৌলিক বিষয়ই 'উসুলে সালাসা' বা ঈমান ও ইসলামের তিন মৌলিক নীতিমালা।
ঈমানের ৯টি শর্ত(আহ্‌কাম):
9 conditions of faith
  1.এলেম (জ্ঞান)
2.একিন বা পরিপূর্ণ বিশ্বাস
3.কবুল
4 আল এনকিয়াদ বা পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ
5 সাদেকিন বা কথা,কাজে ও বিশ্বাসে সত্যবাদিতা
6 আল এখলাস
7 আল মহব্বত বা আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতে হবে।
8 আল কুফুর বিতাগুত বা তাগুতের সাথে সম্পর্কউচ্ছেদ করা
9 আল মওতু হাজিহিল কালেমা বা লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ এর উপর মৃত্যু পর্যন্ত অটল থাকা
0 notes
khutbahs · 4 years
Text
ঈমান ও ইসলাম সম্পর্কে জানুন
ঈমান কাকে বলে? উত্তরঃ  ঈমানের সাধারণ অর্থ বিশ্বাস। আর পারিভাষিক অর্থ তিন প্রকার বিষয়ের সমন্বয়ে গঠিত-
১। আততাসদিক বিলকাল্ব- অন্তরে বিশ্বাস করা বা অন্তর দ্বারা সত্যায়ন করা।
২। ওয়াল ইকরার বিললিসান- মৌখিক ভাবে স্বিকৃতি দেয়া।
৩। ওয়াল আমল বিল যাওয়ারেহ- আল্লাহর সকল বিধিবিধান যা তিনি তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রতি ওহী করেছেন তা কমবেশ না করে মান্য করা বা আমল করা, ইত্যাদি।
  ঈমানের উসূল কয়টি ও কি কি? উত্তরঃ  ঈমানের উসূল ৩ টি। ১। আল্লাহর মা’আরিফাত বা আল্লাহ সম্পর্কে জানা।
২। দ্বীন ইসলামের মা’আরিফাত বা দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানা।
৩। আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মা’আরিফাত বা নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে জানা।
  ঈমানের ১ম উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা। উত্তরঃ  ঈমানের ১ম উসূল- আল্লাহর মা’আরিফাত বা আল্লাহ সম্পর্কে জানা। সমস্ত রকম দোষ মুক্ত ভাবে কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে বিশুদ্ধ ভাবে আল্লাহ সম্পর্কে জানা। যেমন- আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান এ কথাকে ভ্রান্ত জেনে প্রত্যাখ্যান করে আল্লাহ সপ্ত আসমানের উপর আরসে আজিমে আছেন এ কথাকে দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করা ইত্যাদি।
  ঈমানের ২য় উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা। উত্তরঃ  ঈমানের ২য় উসূল- দ্বীন ইসলামের মা’আরিফাত বা দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানা। সমস্ত রকম দুষন ও শিরক ও বিদাতকে ভ্রান্ত হিসাবে পরিত্যাগ করে দ্বীন ইসলাম হচ্ছে আল্লাহর ওহী তা হচ্ছে কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে সহীহ সুন্নাহ আর এতে কোন অপূর্ণতা নেই হিসাবে জানা ও মানা ইত্যাদি।
 ঈমানের ৩য় উসূল সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা । উত্তরঃ  ঈমানের ৩য় উসূল- আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মা’আরিফাত বা আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে জানা। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে সকল প্রকার ভ্রান্ত বিশ্বাস যেমন- তিনি নূরের তৈরী, তিনি মৃত্যুর পরও জীবিত আছেন ও সকলের কথা শুনতে পারেন ও তাদের চাওয়া পাওয়া পূরণ করতে পারেন তিনি সবজায়গায় হাজীর নাজির আছেন এমন ধরণের নানা শিরকি ও কুফরি বিশ্বাস পরিত্যাগ করে কুরআন ও সহীহ হাদীসে বর্ণিত আল্লাহর রাসূল সম্পর্কে যে বর্ণনা পাওয়া যায় তা গ্রহণ করা। যেমন- তিনি আমদের মতই মাটির তৈরি মানুষ, তিনি আল্লাহর রাসূল, তিনি খাতামুন নাবীইন বা শেষ নবী তাঁর পর আর কোন নবী আসবেন না, তিনার কাছে ওহী হয়, তিনি মারাগেছেন, তিনি জীবিত থাকতে যে সব বিষয় আল্লাহ সুবহানাহুতা’আলা তিনাকে যেটুকু ক্ষমতা দিয়েছিলেন তার থেকে বেশি করা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না আর মৃত্যুর পর তিনার সমস্ত কর্মই বন্ধ হয়েগেছে। তিনি আলমে বার্যাখে আছেন বিশ্বাস করা। ইত্যদি।
 ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণ গুলি কয়টি ও কি কি তা উল্লেখ কর। উত্তরঃ  ঈমান ভঙ্গের মৌলিক কারণগুলি ১০ টি। ১। আল্লাহর ইবাদতে, আকিদাতে ও বিশ্বাসে শিরক করা।
২। বান্দা ও আল্লাহর মাঝে কোন মধ্যস্ততাকারী বা সুপারিশকারী সাব্যস্ত করা।
৩। মুশরিককে কাফির না মনেকরা।
৪। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর হিদায়াত বা সুন্নাত বা সংস্কৃতি বা আদর্শকে থেকে অন্য কাহারও হিদায়াত বা সুন্নাত বা আদর্শকে শ্রেষ্ট মনে করা ও গ্রহণ করা।
৫। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর হিদায়াত বা সুন্নাত বা সংস্কৃতি বা আদর্শকে অপছন্দ করা।
৬। দ্বীন ইসলামের কোন বিষয় বা (সুন্নাত) নিয়ে ঠাট্টা করা।
৭। যাদুকরা বা করান বা যাদু দ্বারা যাদুর প্রতিকার করা।
৮। মুসলমানদের ক্ষতি করার জন্য কাফিরদেরকে আহবান করা বা সাহায্য নেয়া।
৯। দ্বীন ইসলামের সরিয়াত যা আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা মুহাম্মাদ (সাঃ) এর দ্বারা মানুষের জন্য বলবত করেছেন তা অস্বীকার করা।
১০। আল্লাহর দ্বীন থেকে বিমুখ হওয়া বা দ্বীন শিক্ষা গ্রহণ না করা ও সে মতে না চলা আর মানুষকে দ্বীনের পথে চলার জন্য শিক্ষা প্রদান না করা।
 ঈমানের রুকন কয়টি ও কি কি?
ঈমানের রুকন কয়টি ও কি কি?
ঈমানের রুকন ৬টি। সেগুলি হচ্ছে, আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি ঈমান, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান, তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান, আখেরাতের প্রতি ঈমান এবং তাক্বদীরের ভাল-মন্দের প্রতি ঈমান। কুরআনুল কারীম এবং সহীহ হাদীসের বক্তব্য অনুযায়ী উক্ত রুকনসমূহের প্রত্যেকটির প্রতি ঈমান না আনা পর্যন্ত কারো ঈমান পূর্ণ হবে না। যে ব্যক্তি এগুলির কোনো একটিকে অস্বীকার করবে, সে ঈমানের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ ءَامَنَ ٱلرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيۡهِ مِن رَّبِّهِۦ وَٱلۡمُؤۡمِنُونَۚ كُلٌّ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَمَلَٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ لَا نُفَرِّقُ بَيۡنَ أَحَدٖ مِّن رُّسُلِهِۦۚ وَقَالُواْ سَمِعۡنَا وَأَطَعۡنَاۖ غُفۡرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيۡكَ ٱلۡمَصِيرُ ٢٨٥ ﴾ [البقرة: ٢٨٥]
“রাসূলের নিকট তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যে অহি অবতীর্ণ হয়েছে, তাকে তিনি এবং মুমিনগণ মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেছেন। তাঁরা সবাই ঈমান এনেছেন আল্লাহ্‌র প্রতি, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি এবং তাঁর রাসূলগণের প্রতি। (তাঁরা বলে,) আমরা তাঁর রাসূলগণের মধ্যে কোন তারতম্য করি না। তাঁরা বলে, আমরা শুনেছি এবং মেনে নিয়েছি। হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা আপনার কাছে ক্ষমা চাই এবং আপনারই নিকট প্রত্যাবর্তন করতে হবে” (বাক্বারাহ ২৮৫)।
তাছাড়া রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ঈমান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, «أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ»
“ঈমান হচ্ছে, আল্লাহ্‌র প্রতি, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলীর প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি, তাঁর রাসূলগণের প্রতি এবং তাক্বদীরের ভাল-মন্দের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা” (মুসলিম)।
.........................................
 ঈমানের আহকাম কয়টি ও কি কি? উত্তরঃ ঈমানের আহকাম ৯ টি। ১) তাওহীদের ইলম যা জাহালতকে দূরিভূত করে। ২) ইয়াকিন যা সন্দেহ দূরিভূত করে। ৩) কবুল যা ঈমানের দাবী পুরণ করে। ৪) আল ইন্তিয়াদ- কুরআন ও সুন্নাহর হুকুম আহাকাম পালন করা। ৫) আস সাদিক- সত্যবাদি হওয়া। ৬) আল ইখলাস- বিশুদ্ধ চিত্তে একমাত্র আল্লাহর জন্যই ইবাদত করা। ৭) আল ইস্তেকামা- মৃত্যু পর্যন্ত তাওহীদের উপর টিকে থাকা। ৮) মহ্বত- আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে সবার থেকে এমন কি নিজের থেকেও বেশি ভালবাসা। ৯) তাগুতকে অস্বীকার করা।
..............................................................
 ঈমান ও ইসলামের তিনটি মৌলিক নীতিমালা- উসুলে সালাসা কি?
 উসুলে সালাসা বা ঈমান ও ইসলামের তিনটি মুলনীতিঃ
উসুলে সালাসা হলো ঈমান ও ইসলামের তিন মুলনীতি। ইসলাম রয়েছে ওই সব বিষয়ের উপর যার নির্দেশ মহান আল্লাহ্‌ দিয়েছেন এবং যা তাঁর প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম তাঁর সুন্নাতের মাধ্যমে  বাস্তবায়ন/প্রতিষ্ঠিত করেছেন, যেমনটি রাসুলের সাহাবাগন বুঝেছেন এবং কর্মে রূপ দিয়েছেন। হাদিসে আছে- কবরে তিনটি প্রশ্ন মুসলিম ও অমুসলিম প্রত্যেককে জিজ্ঞেস করা হবে- সে তিন মৌলিক বিষয়ই 'উসুলে সালাসা' বা ঈমান ও ইসলামের তিন মৌলিক নীতিমালা।
ঈমানের ৯টি শর্ত(আহ্‌কাম):
9 conditions of faith
  1.এলেম (জ্ঞান)
2.একিন বা পরিপূর্ণ বিশ্বাস
3.কবুল
4 আল এনকিয়াদ বা পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ
5 সাদেকিন বা কথা,কাজে ও বিশ্বাসে সত্যবাদিতা
6 আল এখলাস
7 আল মহব্বত বা আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতে হবে।
8 আল কুফুর বিতাগুত বা তাগুতের সাথে সম্পর্কউচ্ছেদ করা
9 আল মওতু হাজিহিল কালেমা বা লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ এর উপর মৃত্যু পর্যন্ত অটল থাকা
0 notes