Tumgik
#শিকার
muslimmember1 · 1 year
Video
youtube
জুলুমের শিকার আলেমরা | abu bokor Siddki | আবু বকর সিদ্দিকী | bangla waz ...
0 notes
onenews24bd · 2 years
Text
আর্জেন্টিনার ‘ঘরোয়া রাজনীতি’র শিকার দিবালা!
আর্জেন্টিনার ‘ঘরোয়া রাজনীতি’র শিকার দিবালা!
প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হেরে বিপাকে পড়ে  গেছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু পরের দুই ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। নিশ্চিত করে বিশ্বকাপের শেষ ষোলো রাউন্ড। তাতে ড্রেসিংরুমে বইছে শান্তির সুবাতাস। কিন্তু সেই বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে পাওলো দিবালা। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, আর্জেন্টিনার ঘরোয়া রাজনীতির শিকার রোমার এই ফরোয়ার্ড।  দলে নিজের দায়িত্ব নিয়ে কোচ লিওনেল স্কালোনি ও…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
nr24bd · 2 years
Text
ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার প্রেমিকসহ গ্রেফতার ২
ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার প্রেমিকসহ গ্রেফতার ২
নিউজ রাজশাহী ডেস্কঃ জয়পুরহাটে ঘুরতে গিয়ে এক তরুণী (২৪) গণধর্ষণের ঘটনায় প্রেমিকসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার ব্যক্তিদের সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, জেলার আক্কেলপুর উপজেলার পশ্চিম রুকিন্দীপুর তায়েজপাড়া গ্রামের আলী আশরাফের ছেলে সাগর হোসেন (২৭) ও রুকিন্দীপুর ফকিরপাড়ার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে ফরহাদ হোসেন (২১)। আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
adarshanari · 2 years
Text
সি সি ক্যামেরা ও ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে যিনা প্রমাণের বিধান
☞ প্রশ্নঃ মুহতারাম মুফতী শামী হাফিযাহুল্লাহ ! আমার এক প্রতিবেশী যিনা করে এবং জনৈক ব্যক্তি গোপনে মোবাইলের মাধ্যমে তা ভিডিও ধরন করে এবং পাশের সি সি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বিষয়টি আরও নিশ্চিত হই৷ জানার বিষয় হলো বর্তমান ডিজিটাল যোগে সি সি ক্যামেরার ফুটেজ বা ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে যিনা প্রমানিত হবে কিনা? শরয়ী সমাধান জানালে কৃতজ্ঞ হবো! ☞ উত্তরঃ بسم الله الرحمن الرح��م শরীয়তে যিনা প্রমানিত হওয়ার জন্য শর্ত…
View On WordPress
#অপরাধ প্রমাণ হলে#অপরাধীরা যেখানে অপরাধ করে সেখানেই প্রমাণ রেখে যায়!#অসামাজিক কাজ#আল্লাহ যেভাবে বান্দার অপরাধ প্রমাণ#এয়ারপোর্টে যাত্রী হয়রানি#কি করলে মোবাইলের ব্যাটারি বেশিদিন চলবে#ক্যামেরায় ধরা না পড়লে বিশ্বাস করতেন না আপনিও#ক্যামেরায় রেকর্ড অসামাজিক ঘটনা#গোপন ভিডিও পার্কের ভেতর অসামাজিক কার্যকলাপ রমমমা দেহ ব্যবসা#পার্কে অসামাজিক কাজ#পার্কে অসামাজিক কার্যকলাপে#পার্কের মধ্যে অসামাজিক কাজ হচ্ছে#প্রেমের কষ্ট#ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে রাবি ছাত্রের আত্মহত্যা#ফোনের ব্যাটারি ভালো রাখার জন্য কি কি করা উচিত#ফ্লাট বাসায় চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ#বাস থেকে নামার পর ধর্ষণের শিকার ঢাবি ছাত্রী#বিমানবন্দরের প্রস্তুতি#ব্যাটারি খারাপ কেন হয়#ভারতের বাধায় পালিয়ে যায় বিমান#ভিডিও#যাত্রী হয়রানী#রেস্টুরেন্টে অসামাজিক কাজ#লিফটের ভিতরে অসামাজিক কর্মকান্ড#সামাজিক পার্কে অসামাজিক কাজ দেখুন#সিনহা হ ত্যা মামলার সব আসামির অপরাধ প্রমাণ হয়েছে#সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়া আজব ঘটনা#স্মার্ট ফোন হ্যাক#হোটেলে অসামাজিক কাজ
0 notes
kanej-jabin · 1 year
Text
গভীর সমুদ্রের অন্ধকারে লুকিয়ে থাকা ভয়ংকর দানব, যার কামড় খেলে মৃত্যু নিশ্চিত
Tumblr media
মেগালোডন হল একটি বিলুপ্তপ্রায় হাঙর প্রজাতি যা আজ থেকে ২ কোটি থেকে ৩০ লক্ষ বছর আগে পৃথিবীতে বাস করত। এটি ছিল সবচেয়ে বড় শিকারী হাঙর, যার দৈর্ঘ্য ছিল ৫৫ ফুট। মেগালোডন সাধারণত তিমি, ডলফিন এবং অন্যান্য বড় সামুদ্রিক প্রাণীদের শিকার করত। মেগালোডনকে প্রায়শই "সমুদ্রের দৈত্য" বলা হয়। সমুদ্রের তলদেশে জানা অজানা আরো এমন হাজারো প্রাণী রয়েছে, যেগুলো মেগালোডন থেকেও ভয়ংকর। যার কামড় খেলে মৃত্যু নিশ্চিত। আরও পড়ুন...
2 notes · View notes
ahnewsworld · 2 years
Text
এবার কিয়েভে হামলার জন্য আরও ২ লাখ সেনা প্রস্তুত করছে রাশিয়া
এবার কিয়েভে হামলার জন্য আরও ২ লাখ সেনা প্রস্তুত করছে রাশিয়া
টানা ১০ মাস ধরে রুশ আগ্রাসনের শিকার ইউক্রেন তার রাজধানীতে নতুন করে রাশিয়ার হামলার আশঙ্কা করছে। এমনকি দেশটির দাবি, কিয়েভে হামলা চালাতে নতুন করে ২ লাখ সেনা প্রস্তুত করছে রাশিয়া। -এএফপি শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি প্রভাবশালী গণমাধ্যম দ্য ইকোনমিস্টকে সাক্ষাৎকার দেন ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চীফ। বৃহস্পতিবার…
Tumblr media
View On WordPress
2 notes · View notes
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
অসহায়কে অবজ্ঞা করা উচিত নয়, কারণ মানুষ মাত্রেই জীবনের কোন না কোন সময় অসহায়তার শিকার হবে । _গোল্ড স্মিথ
3 notes · View notes
maroonpaper · 2 years
Text
���রক্কোর জাতীয়তাবাদি আন্দোলন ও সুলতান মুহাম্মাদ
Tumblr media
মরক্কো উত্তর আফ্রিকার একটি স্বাধীন ও আরব রাষ্ট্র। এর রাজধানী রাবাত। পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগরের তীরবর্তী অঞ্চল জুড়ে এবং উত্তরে ভূমধ্য সাগরের জিব্রাল্টার প্রনালী পর্যন্ত বিস্তৃত। মরক্কোর পূর্বে আলজেরিয়া, উত্তরে ভূমধ্যসাগর ও স্পেন এবং পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর অবস্থিত। এর দক্ষিণে পশ্চিম সাহারা অবস্থিত।
মরক্কো রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন
মরক্কোর গোড়াপত্তনের ইতিহাস বলে যে, কথা প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে হোমিনিডরা তথা বর্তমান মানুষদের পূর্বসূরীরা কমপক্ষে ৪০০,০০০ বছর আগে এই অঞ্চলে বাস করত। খ্রিস্টপূর্ব অষ্টম ও ষষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যে মরোক্কোর উপকূলে ফিনিশীয় উপনিবেশ স্থাপনের আগে প্রায় দুই হাজার বছর ধরে এই অঞ্চলে স্থানীয় বার্বাররা বসবাস করত। এটাই মরক্কোর সভ্যতার প্রথম নথিভুক্ত ইতিহাস।
খ্রিষ্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে নগর-রাষ্ট্র কার্থজের আওতায় মরক্কোর উপকূলীয় অঞ্চলও চলে আসে। তারা খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীর শেষভাগ পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেছিল। এই সময়ে স্থানীয় শাসকরা উপকূল থেকে ভেতরের দিকের অঞ্চলে শাসন পরিচালনা করেছিলেন। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী থেকে চল্লিশ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত যখন এই অঞ্চল রোমান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল, স্থানীয় বার্বার রাজারাই এই অঞ্চল শাসন করেছিলেন। খ্রিস্টীয় ৫ম শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে এটি জার্মানীয় ভান্ডালদের দখলদারিত্বের শিকার হয়েছিল। কিন্তু বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য ষষ্ঠ শতাব্দীতে মরক্কোকে পুনরুদ্ধার করে।
খ্রিস্টীয় অষ্টম শতাব্দীর গোড়ার দিকে  এই অঞ্চলটি মুসলমানরা বিজয় করেছিল, তবে ৭৪০ সালের বার্বার বিদ্রোহের পরে উমাইয়া খিলাফত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়  । অর্ধ শতাব্দী পরেই ৭৮৮ খ্রিষ্টাব্দে ইদ্রিস রাজবংশই প্রথম মরোক্কো রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরবর্তীকালে এটি একাধিক স্বাধীন রাজবংশ, আলমোরাভিড এবং আলমোহাদ রাজবংশের অধীনে মরক্কো মাগরেব এবং মুসলিম স্পেনে আধিপত্য বিস্তার করেছিল।
একাদশ  এবং দ্বাদশ শতাব্দীতে আঞ্চলিক শক্তি হিসাবে মরক্কো শীর্ষে পৌঁছেছিল। সাদি রাজবংশ ১৫৪৯ থেকে ১৬৫৯ সাল পর্যন্ত দেশ শাসন করেছিল, তারপরে  ১৬৬৭ সাল থেকে আলাওয়িরা মরক্কোর শাসক রাজবংশ ছিল।
জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ক্রমবিকাশ
নানা বাঁধা-বিপত্তি, রক্তক্ষয়য়ী সংগ্রামের বিনিময়ে ১৯৫৬ সালের ২ মার্চ মরক্কো ফ্রান্সের থেকে স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করে। এ স্বাধীনতা আন্দোলনে পঞ্চম মুহাম্মদ ও ইশতিকলাল দলের ভূমিকা অবিস্মরনীয়। বিশেষ আফ্রিকার স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মরক্কোর জাতীয়তাবাদী আন্দোলন এক বিশেষ স্থান অর্জন করেছে। মরক্কোর এই জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে বুঝতে হলে আগে আমাদেরকে মরক্কোতে উপনিবেশবাদের সাথে পরিচত হতে হবে।
ভৌগলিকভাবে ইউরোপের সাথে আফ্রিকার বিভাজন হয়েছে জিব্রাল্টার প্রণালীর মাধ্যমে। মাত্র কয়েক কিলোমিটার ব্যবধানে এই মহাদেশ দুটির অবস্থানের কারণে ১৭ শতক থেকেই আলমোরাভিড এবং আলমোহাদ রাজবংশের অধীনে মরোক্কোকে উত্তরে স্প্যানিশ আক্রমণ এবং পশ্চিমদিকে উসমানীয় সাম্রাজ্যের আগ্রাসনের সাথে মুখোমুখি হতে হয়েছে।
ইউরোপে শিল্পায়নের ছোয়া এলে তাদের লোলুপ দৃষ্টি প্রতিবেশিদের ওপর পড়তে শুরু করে। শিল্প বিপ্লবের সাথে সাথে ইউরোপ উত্তর-পশ্চিম আফ্রিয়ায় নিজেদের উপনিবেশ স্থাপনের পায়তারা শুরু করে। এদিক থেকে স্পেন ও ফ্রান্স দুটি দেশেরই ভৌগলিকভাবে নিকটতম প্রতিবেশি মরক্কো নজরে পড়ে। দুটি দেশেরই উপনিবেশ স্থাপনের এক সম্ভাবনাময় আদর্শ অঞ্চল হয়ে ওঠে মরক্কো।
উপনিবেশবাদের গোড়াপত্তন
সাদি রাজবংশের পতনের সময় রাজনৈতিক বিভাজন এবং সংঘাতের পরে আলাউই সুলতান আল-রশিদ, ১৬৬০ এর দশকের শেষের দিকে পুনরায় মরক্কোকে একত্রিত করেছিলেন। স্থানীয় উপজাতির বিরোধিতার বিরুদ্ধে ইসমাইল ইবনে শরীফ একটি একক রাষ্ট্র গঠন শুরু করেন। বিভিন্ন সময়ে স্প্যানিশ, ইংরেজদের অতর্কিত হামলা, দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তার রিফিয়ান আর্মি ইংরেজদের কাছ থেকে ট্যাঙ্গিয়ার দখল পুনরুদ্ধার করেছিল এবং ১৬৮৯  সালে স্প্যানিশদের লারাচে থেকে  তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। পর্তুগিজরাও ১৭৬৯ সালে মরোক্কোতে তাদের শেষ অঞ্চল মাজাগাও ত্যাগ করে। তবে এই প্রতিরোধ বেশিদিন টিকে থাকতে পারেনি।মরক্কোর স্বাধীনতা বেহাত হয় স্প্যানিশদের  বিরুদ্ধে ‘মেলিলার অবরোধ’ ১৭৭৫ সালে পরাজয়ের মাধ্যমে।
এই সময়ে আটলান্টিক সাগরে আমেরিকান জাহাজগুলো হর-হামেশাই বার্বার জলদস্যুদের আক্রমণের শিকার হতো। মরক্কোর তৃতীয় সুলতান মোহাম্মাদ আমেরিকান জাহাজগুলোকে বার্বার দস্যুদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা প্রদান করেন। ১৭৮৬ সালেই আমেরিকা-মরক্কো বন্ধুত্ব চুক্তি সাক্ষরিত হয়। সেই থেকে আমেরিকা ও মরক্কো একে অপরের দিকে সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়।
মরক্কোর প্রতিবেশী আলজেরিয়ায় আগেই ফ্রান্স উপনিবেশ স্থাপন করেছিল। সেই সুবাদে তারা মরক্কোতে খুব কাছ থেকেই নজর রাখছিল। ১৮৩০ সালের শুরুর দিকে সর্ব প্রথম ফ্রান্স মরক্কো দখলের পায়তারা শুরু করে। একই সময়ে স্পেনের সাথে মরক্কোর দীর্ঘদিনের কোন্দল ধীরে ধীরে মাথাচাড়া দেয়া শুরু করে। ১৮৬০ সালে সেউতা ছিটমহল নিয়ে বিরোধের কারণে স্পেন মরক্কোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এই যুদ্ধে সেউতাসহ আরো একটি ছিটমহল দখল করে নেয় স্পেন। কার্যত ১৮৮৪ সালে মরক্কোর উপকূলীয় অঞ্চলে স্পেনই উপনিবেশ গড়ে তোলে। ফ্রান্সই সর্বপ্রথম উপনিবেশ করার পায়তারা করলেও, এক্ষেত্রে স্পেনই প্রথম সফল হয়।
১৯০৪ সাল থেকে ফ্রান্স ও স্পেন মরক্কোতে প্রত্যক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার শুরু করে। হাজার হাজার ইউরোপীয় মরক্কোতে অনুপ্রবেশ করে জমাজমি কেনা শুরু করে। শিল্পোন্নয়ের নামে তারা বিভিন্ন দ্বীপ, খনিতে প্রভাব খাটানো শুরু করে। তাদের এহেন কাজকর্মে সুবিধার জন্য ফ্রান্সকে চাপ দেয়া শুরু করে মরক্কোকে বাগে আনতে। ফ্রান্স মরক্কোকে বাগে রাখতে ফ্রান্স-মরক্কো সহযোগিতামূলক কার্যক্রম শুরু করতে সক্ষম হয়। পরবর্তিতে তারা বিভিন্নভাবে মরক্কোর ওপর প্রভাব বিস্তার শুরু করে।
মরক্কোতে ফ্রান্সের এহেন প্রভাব বিস্তারে যুক্তরাজ্য সম্মতি ছিল। তবে মরক্কোর পুরনো মিত্র আমেরিকা এসময় মরক্কোকে কূটনৈতিক সহযোগিতা প্রদান করে।
১৯০৫ সালে পরাশক্তি গুলোর মাঝে একটি সংকট দেখা দেয়। ১৯১১ সালে ‘আপাদির সংকট’ ইউরোপীয় শক্তিগুলোর মাঝে উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে।
১৯১২ সালে মরক্কোর সুলতান আবদুল হাফিজের সঙ্গে ‘ফেজ চুক্তি’ স্বাক্ষর করে ফ্রান্স। এ চুক্তি অনুযায়ী মরক্কোকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। উত্তর উপকূলীয় অঞ্চল, দক্ষিণ- পশ্চিম অঞ্চল ও পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে স্পেনের দখল প্রতিষ্ঠিত হয় আর বাকি অংশ চলে যায় ফরাসীদের অধীনে। এ চুক্তির মধ্য দিয়েই মরক্কোকে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি ফরাসি ‘আশ্রিত ভূখণ্ড’ বানানো হয়। এর পরের বছরগুলোতে ফ্রাস সেখানে উপনিবেশ স্থাপন করে বসে। স্পেনীয় অঞ্চলে একজন হাইকমিশনার এবং ফরাসি অঞ্চলে একজন আবাসিক জেনারেল শাসন করতেন।
জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ও গাজী আব্দুল করিম
ফরাসীরা মরক্কোতে তাদের উপনিবেশ কায়েম করে তাদের আশ্রিত অঞ্চল হিসেবে শাসন কার্য পরিচালনা শুরু করে। ফলে জনগণ তাদের ওপর ধীরে ধীরে ক্ষুব্ধ হতে থাকে। ১৯১২ সালে মরক্কোর জাতীয়তাবাদী নেতা গাজী আব্দুল করিম উপজাতীদের সঙ্ঘবদ্ধ করে ফরাসী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ফেজ নগর পুনরুদ্ধার করে নেয়। ১৯২৬ সালে ফরাসীরা গাজী আব্দুল করিমকে পরাজিত করে এবং নির্বাসনে পাঠায়। ফরাসীরা মরক্কোর সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করলেও মরক্কোবাসী বিদেশী আধিপত্যকে কখনোই মেনে নিতে পারেনি।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকেই মরক্কোতে উপনিবেশবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। মরক্কোর জাতীয়তাবাদী নেতা আব্দুল করিমের নেতৃত্বে প্রগতিশীল জনগণ ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে আবার আন্দোলন শুরু করেন। এই আন্দোলনে স্পেনীর উপনিবেশের পতন ঘটে। আব্দুল করিম বিজয়ী হয়ে “বিজা প্রজাতন্ত্র” গঠন করেন। তবে ১৯২৭ সালে স্পেন ও ফ্রান্স জোটবদ্ধ হয়ে আব্দুল করিমকে পরাজিত করে। ফরাসীদের কঠোর দমননীতি মরক্কোবাসীদের ভেতরে পুনরায় জাতীয়তাবাদকে জাগিয়ে তোলে। ১৯৩০ সালে দাহিব নামক এক নির্যাতনমূলক আইন জারি করলে দেশের জনগণ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন শুরু করে।
১৯২০ সালে মরক্কোতে একটি বিদ্রোহ দমন করছে ফরাসী বাহিনী। ছবিঃ বিবিসি
সুলতান মুহাম্মাদ বিন ইউসুফ(পঞ্চম মুহাম্মদ) জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকারীদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে ফরাসী উৎখাতের সংগ্রাম শুরু করেন। জাতীয়তাবাদী নেতারা দেশের স্বাধীনতার জন্য জোরেশোরেই সংগ্রাম শুরু করে। ১৯৩৪ সালে ফরাসী কর্তৃপক্ষের নিকট একটি সংস্কারমূলক প্রস্তাব পেশ করা হয়। ১৯৩৭ সালে এই প্রস্তাবের সাথে আরো কিছু দাবি যুক্ত করা হয়। এসব দাবীর মধ্যে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান, বিচার বিভাগের সংস্কার অন্যতম। স্বাধীনতাকামীরা প্রথমে ন্যাশনাল একশন কমিটি এবং পরবর্তীতে নিউ ইশতিকলাল দলের মাধ্যমে দাবি আদায়ের আন্দোলন শুরু করে। আব্দুল খালেক তোরণের ‘আল ইসলাহ’ এওবং মক্কা আল নাসিরের ‘মরক্কো ইউনিট” দল জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে শামিল হলে আন্দোলন আরো বেগবান হয়। এ সময় পঞ্চম মুহাম্মদের প্রচারণায় মরক্কোর স্বাধীনতা আন্দোলন চুড়ান্ত রূপ ধারণ করে।
ইশতিকলাল দল গঠন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মরক্কোর জাতীয়তাবাদী আন্দোলন এক নতুন মাত্রা বেগবান হয়। ১৯৪৩ সালে মরক্কর জাতীয়তাবাদী নেতারা প্রথমবারের মত ইশতিকলাল নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করে। অনেকগুলো ছোট ছোট দলের সমন্বয়ে গঠিত এ দলটি খুব অল্প সময়ের মধ্যে মরক্কোবাসীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করে। সুলতান নিজেও এই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানান। ফলে নির্বিঘ্নে এ আন্দোলন চলতে থাকে। ১৯৪৬ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত দেশের ভেতরে ব্যাপক সমর্থন লাভ করে এবং কায়রো ও নিউইয়র্কে তাদের বিদেশ অফিস চালু করা হয়।
আরো পড়ুনঃ পশতুনিস্তান সমস্যা ও সমাধান
১৯৫২ সালের ডিসেম্বরে তিউনিশিয়ার শ্রমিক নেতা ফারহাত হাচেদের হত্যার প্রতিবাদে কাসাব্লাঙ্কায় ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়; এই ঘটনা মরোক্কোর রাজনৈতিক দল এবং ফরাসি কর্তৃপক্ষের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি পরিস্থিতি দাড় করায়। দাঙ্গার পরে, ফরাসী সরকার মরোক্কোর কমিউনিস্ট পার্টি ও ইস্তিকলাল পার্টিকে বে-আইনি ও নিষিদ্ধ  ঘোষণা করে এবং দলের বহু নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে।
সুলতান পঞ্চম মুহাম্মদের নির্বাসন ও ষষ্ঠ মুহাম্মদের ক্ষমতায় আরোহন
মরক্কোর জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে ফরাসীরা কঠোরভাবে দমন করার চেষ্টা করে। আর সুলতান পঞ্চম মুহাম্মদ জাতীয়তাবাদী নেতাদের প্রতি সমর্থণ ও সহানুভূতি জ্ঞাপন এবং বিশেষ ভূমিকার কারণে তিনি ফরাসী সরকারের বিরাগভাজন হন।
মরক্কোর স্বাধীনতা আন্দোলনে ভীত ফরাসি সরকার ১৯৫৩ সালের ২০ আগস্ট ঈদ উল আজহায় সুলতান পঞ্চম মোহাম্মদকে সপরিবারে কর্সিয়ায় নির্বাসনে পাঠায়। এসময় ফরাসিরা মোহাম্মদ বেন আরাফাকে কাঠের পুতুল হিসেবে ক্ষমতায় বসায়। সুলতান আরাফা মরক্কোতে ‘ফরাসি সুলতান নামে পরিচিতি পান। ১৯৫৪ সালের জানুয়ারীতে পঞ্চম মোহাম্মদকে মাদাগাস্কারে সরিয়ে নেয় ফরাসি সরকার। এই নির্বাসন ও পুতুল শাসক আরাফার  আগমন মরক্কোর জাতীয়তাবাদী ও ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষকে ক্ষুব্ধ করে তোলে। উভয় পক্ষই ফরাসীদের এই কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে।  সুলতান মুহাম্মদের ক্যারিশমাটিক নেতৃতে মুগ্ধ মরক্কোবাসী তাকে জাতীয় নেতা হিসেবে গ্রহণ করেন। মরক্কোর স্বাধীনতাকামী জনগণ সুলতান মুহাম্মদের দিকনির্দেশনায় আন্দোলন চালিয়ে যায় তার অনুপস্থিতেই।  
ফরাসীদের দমননীতি
ফরাসীরা পঞ্চম মুহাম্মদকে সরিয়ে ষষ্ঠ মুহাম্মদকে ক্ষমতায় বসালে ���্রতিশোধ হিসাবে, মুহাম্মদ জারকতুনি সেই বছরের  ক্রিসমাসে ইউরোপীয় ভিলে নুভেলের কাসাব্লাঙ্কার মার্চে সেন্ট্রালে  বোমা  হামলা করেছিলেন। যাইহোক, ফরাসিদের মদদে ষষ্ঠ মুহাম্মদ ক্ষমতায় এসে এক নতুন শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। তার এ শাসন ব্যবস্থায় মরক্কোর স্বার্থবিরোধী কতগুলো সুযোগ-সুবিধা ফরাসীদের জন্য প্রণয়ন করা হয়। যেমনঃ
রাজা নিজের ইচ্ছায় দেশ পরিচালনা না করে মরক্কোকে আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করবে।
ভবিষ্যতে সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করে ফরাসী ও সুলতানি শাসন রক্ষা করবে।
বিচারকদের একই সাথে শাসন ও বিচারের ক্ষমতা প্রদান করা হবে।
শ্রমিকদের জন্য নতুন আইন প্রণয়ন করবে।
নাগরিক অধিকার প্রদান করা হবে যদিও তখন পর্যন্ত দেশে সামরিক শাসন জারি ছিল।
ফরাসীদের দমননীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম
মরক্কোর স্বাধীনতা সংগ্রামে জাতীয়তাবাদি নেতাদের সহায়তা করার জন্য ফরাসী কর্তৃপক্ষের অভ্যন্তরে বিরোধ দেখা দেয়। ফরাসীরা নতুন সুলতানের মাধ্যমে মরক্কোর নাগরিক অধিকার খর্ব করে। স্বাধীনতাকামী নেতারা কারাগারেই বিক্ষোভ শুরু করে। ফলে মরক্কোর বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করলে সুলতান ও ফরাসীরা কঠোর হস্তে আন্দোলন দমন করা শুরু করে। এতে বহুসংখ্যক নাগরিক মারা ��ায় আন্দোলনে সমর্থন করার দায়ে।
এর দুই বছর পরে, আন্দোলনকারীদের সমর্থন করার অভিযোগে পঞ্চম মুহাম্মদকে ক্ষমতাচ্যুত করার দ্বিতীয় বার্ষিকীতে সমগ্র দেশে বিক্ষোভ হয়। সুলতানের প্রত্যাবর্তনের জন্য মরোক্কোর ঐক্যবদ্ধ দাবি ওঠে এবং মরক্কোতে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার পাশাপাশি আলজেরিয়াতেও পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হয়। এছাড়াও পুনরায় ফরাসী কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি দেয়া হয়।
সুলতান মুহাম্মাদ নির্বাসন থেকে ফিরছেন। ছবিঃ মরক্কো ওয়ার্ল্ড নিউজ
ইসতিকলাল দল, ট্রেড ইউনিয়ন ও অন্যান্য জাতীয়তাবাদী দলগুলো পুনরায় পঞ্চম মুহাম্মদকে ক্ষমতায় বসানোর প্রচেষ্টা চালায়। মরক্কোর স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের আন্দোলন পার্শ্ববর্তি লিবিয়া, আলিজেরিয়া, মিশরের জনসাধারনেরও সমর্থণ পায়। তারা পঞ্চম মুহাম্মদের নামে মসজিদে মসজিদে খুৎবা পাঠ করতে শুরু করে। কিন্তু তিনি আশ্রিত সুলতান হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণে অস্বীকার করেন। পরিস্থিতি অনুধাবণ করে শেষ পর্যন্ত উভয় সংকটের মুখোমুখি হয়ে ফরাসি সরকার শর্ত প্রত্যাহার করে তাকে দেশে ফিরে আসার আহবান জানায় এবং পঞ্চম মোহাম্মদকে মরক্কোতে ফিরিয়ে আনে। অবশেষে ১৯৫৫ সালের ১৬ নভেম্বর সুলতান বিজয়ীর বেশে দেশে ফিরে আসেন। এবং পরের বছর উভয়পক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হয় যা মরক্কোর স্বাধীনতার দিকে ধাবিত হয়।
মরক্কোর স্বাধীনতা ঘোষণা
সুলতান পঞ্চম মুহাম্মদ ১৯৫৫ সালের শেষের দিকে ফরাসি-মরোক্কোর পারস্পরিক নির্ভরশীলতার কাঠামোর মধ্যে মরোক্কোর স্বাধীনতা ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধারের জন্য আলোচনা করতে সফল হন, যা রাজা এবং জনগণের বিপ্লব নামে পরিচিতি লাভ করে। সুলতান এমন পরিবর্তনগুলি বাস্তবায়নে সম্মতি দিয়েছিলেন যা মরক্কোকে একটি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার সাথে একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্রে পরিণত করবে। ১৯৫৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে মরক্কোকে সীমিত পরিসরে স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়েছিল।
১৯৫৬ সালের ২ মার্চ প্যারিসে স্বাক্ষরিত ফরাসি-মরোক্কো চুক্তি হয়। ১৯৫৬ সালের ৭ এপ্রিল, ফ্রান্স আনুষ্ঠানিকভাবে মরক্কোস্থত উপনিবেশ ত্যাগ করে। ১৯৫৬ সালের ২৯ শে অক্টোবর ট্যানজিয়ার প্রোটোকল স্বাক্ষরের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকীকৃত শহর ট্যানজিয়ার পুনরায় মরক্কোর সাথে সংযুক্ত হয়েছিল।
স্পেন কর্তৃক মরোক্কোর স্বাধীনতার স্বীকৃতি এবং স্প্যানিশ উপনিবেশ বিলুপ্তি পৃথকভাবে আলোচনা করা হয়েছিল এবং ১৯৫৬ সালের এপ্রিলের যৌথ ঘোষণায় চূড়ান্ত করা হয়েছিল। তবে, স্পেনের সাথে এই চুক্তি এবং ১৯৫৮ সালে পৃথক আরেকটি চুক্তির মাধ্যমে কিছু স্প্যানিশ-শাসিত অঞ্চলে মরক্কোর নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করা করা সম্ভব হলেও সামরিক পদক্ষেপের মাধ্যমে অন্যান্য স্প্যানিশ উপনিবেশগুলো দাবি করার প্রচেষ্টা  ততটা সফল হয়েছিল।
১৯৫৬ ও ১৯৫৮ সালে সাক্ষরিত ফরাসি-মরোক্কো ও স্প্যানিশ -মরোক্কো চুক্তিগুলোর মাধ্যমে স্পেন ও ফরাসী সৈন্যরা চলে যেতে শুরু করে। এবং শেষ পর্যন্ত স্পেনীয়  ও ফরাসীদের বিতাড়িত করার মাধ্যমে পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে মরক্কো।
সুলতান পঞ্চম মুহাম্মদের অবদান
মাত্র সতের বছর বয়সে মরক্কোর সিংহাসনে বসেন সুলতান পঞ্চম মুহাম্মদ। তার বলিষ্ঠ নেতৃতের কারণেরি মরক্কোবাসী স্পেন ও ফরাসীদের দখলদারীত্বের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে সক্ষম হয়েছিল। ফরাসীরা মুহাম্মদকে তাদের অনুগত ভৃত্য হিসেবে সিং হাসনে বসালেও তিনি তাদের আনুগত্য মেনে নেননি। যারফলে ফরাসীদের রোষানলে পড়েন এবং নির্যাতিত হন। বিদেশী শাসনে মরক্কোর জনগণ যখন নিষ্পেষিত এবং একজন জাতীয় নেতার অভাব অনুভব করছিল ঠিক তখনই পঞ্চম মুহাম্মদ ক্ষমতায় আসেন এবং দেশের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালান এবং স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারে সফল হন।
স্বাধীনতার কয়েক মাসের মধ্যেই পঞ্চম মোহাম্মদ একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের অধীনে একটি আধুনিক সরকারী কাঠামো তৈরি করতে অগ্রসর হন  যেখানে সুলতান একটি সক্রিয় রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করবেন। তিনি সতর্কভাবে ইস্তিকলালকে তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং একদলীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা থেকে বিরত রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন।তিনি ১৯৫৭ সালের ১১ আগস্ট রাজতন্ত্র গ্রহণ করেন এবং সেই তারিখ থেকে দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে ‘মরক্কো কিংডম’ নামে পরিচিতি লাভ করে। মরক্কোর স্বধীনতা পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে সুলতান মোহাম্মদের অবদান, নিঃস্বার্থ ত্যাগ ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য মরক্কোবাসীর নিকট জাতীয় বীর হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
মরক্কোর স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল উত্তর আফ্রিকার ইতিহাসে এক অবিস্মরণিয় অধ্যায়। মরক্কোবাসীরা দীর্ঘ প্রত্যাশিত স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে মহুমুখী ত্যাগতিতিক্ষা ও লড়াইয়ের বিনিময়ে। এ অর্জনে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল সুলতাবন পঞ্চম মুহাম্মদের ত্যাগ, সংগ্রাম। ফরাসীদের মনোনীত শাসক হলেও দেশের গণমানুষের জন্য তিনি সব স্বার্থকে তুচ্ছ করে সংগ্রাম করেছেন ফরাসীদের বিরুদ্ধে। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কাছে ফরাসীরা পরাজিত হয় এবং ১৯৫৬ সালে মরক্কো স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়। মরক্কোর এই সংগ্রাম আফ্রিকার অন্যান্য দেশগুলোর জন্য এক অনুকরণিয় আদর্শ।
1 note · View note
sadiaafrin247 · 18 days
Text
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ভাইরাল সংস্কৃতি ও ডিজিটাল ট্রাইবালিজম
আমরা নিজেরা যখন কোনো ধারাবাহিক সামাজিক সমস্যার শিকার হই, বোধ করি তখনই আমরা সবচেয়ে নিবিড়ভাবে এর কার্যকারণ নিয়ে ভাবতে বসি। সেই ভাবনার ব্যাপ্তি ধীরে ধীরে ব্যক্তি ‘আমি’ থেকে সামষ্টিক ‘আমরা’ হয়ে ওঠে প্রায়ই।
সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া যুগান্তকারী রাজনৈতিক ঘটনা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভূমিকা এবং একজন ব্যক্তি ও নারী হিসেবে মূল্যায়ন-অবমূল্যায়ন—সবই নতুন করে আমাদের চারপাশকে দেখার প্রয়োজন তৈরি করেছে। সে প্রয়োজন থেকেই এই লেখা।
মানুষের ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুতগতির এবং পরিণাম-নির্ধারণী একটা সময় পার করছি আমরা। প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তি আমাদের জীবনের সবখানে। সময়টাকে খানিকটা বলা যায় পৃথিবীর ইতিহাসে মানবপ্রজাতির নতুন যাত্রাপথে বয়ঃসন্ধিকাল। এমন এক অস্থির সময়ে, নতুন সম্ভাবনা ও উচ্ছ্বাসের সঙ্গে সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ভয় ও যন্ত্রণার নতুন নতুন উপকরণ। এখানে শুধু একটা উপকরণ নিয়েই কথা বলব—
খবরের ভিডিও দেখুন—
https://tinyurl.com/yc645vm2
0 notes
banglavisiononline · 18 days
Link
পাকিস্তানের বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া টেস্ট সিরিজে
0 notes
dailycomillanews · 19 days
Text
সহ-সমন্বয়ক পরিচয়ে হেলপারকে মারধর করা সেই ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী
রাজধানীতে সহ-সমন্বয়ক পরিচয়ে বাসের হেলপারকে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে কটূক্তির শিকার হচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া সমন্বয়কসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বাসের হেলপারকে মারধর করছে এক যুবক। এ সময় তিনি বলছেন— আমাকে ��িনিস, আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-সমন্বয়ক। এক মিনিট ৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে পুরোটা সময়জুড়ে মারমুখী অবস্থায় ছিলেন…
0 notes
techtunes · 23 days
Text
Tumblr media
আবার মিস করেন নি তো?: সাইবার অপরাধের শিকার? হতাশ হবেন না, জেনে নিন কী করবেন! https://www.techtunes.io/cyber-security/tune-id/987239
0 notes
onenews24bd · 2 years
Text
ম্যানইউতে প্রতারণার শিকার হয়েছি: রোনালদো
ম্যানইউতে প্রতারণার শিকার হয়েছি: রোনালদো
অভিমান-ক্ষোভে জ্বলছে ‘সি আর সেভেন’। কাতার বিশ্বকাপ শুরুর আগে রীতিমত বোমা ফাটালেন পর্তুগিজ সুপারস্টার। ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে যার ‘সি আর সেভেন’ হয়ে উঠা, সেই ক্লাব নাকি তার সঙ্গে বেইমানি করেছে। ম্যানইউ ক্লাব থেকে তাকে বের করার অভিযোগও করেন তিনি। বাংলাদেশ সময় সোমবার (১৪ নভেম্বর) ভোরে টকটিভিতে সাংবাদিক পিয়ার্স মরগানকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মনের যত ক্ষোভ তুলে ধরেন ক্রিশ্চিয়ানো…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
nomanul-ahasan · 1 month
Text
Tumblr media
❀๑▬▬▬๑﷽ ๑▬▬▬๑❀
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুনাময় ও দয়াময়।
وَالَّذِيۡنَ يَقُوۡلُوۡنَ رَبَّنَا هَبۡ لَنَا مِنۡ اَزۡوَاجِنَا وَذُرِّيّٰتِنَا قُرَّةَ اَعۡيُنٍ وَّاجۡعَلۡنَا لِلۡمُتَّقِيۡنَ اِمَامًا‏
৭৪) তারা প্রার্থনা করে থাকে, “হে আমাদের রব! আমাদের নিজেদের স্ত্রীদের ও নিজেদের সন্তানদেরকে নয়ন শীতলকারী বানাও এবং আমাদের করে দাও মুত্তাকীদের ইমাম।”
(সূরা আল ফুরকানঃ ৭৪)
ব্যাখ্যাঃ
অর্থাৎ তাদেরকে ঈমান ও সংকাজের তাওফীক দান করো এবং পবিত্র-পরিচ্ছন্ন চারিত্রিক গুণাবলীর অধিকারী করো কারণ একজন মু’মিন তার স্ত্রী ও সন্তানদের দৈহিক সৌন্দর্য ও আয়েশ-আরাম থেকে নয় বরং সদাচার ও সচ্চরিত্রতা থেকেই মানসিক প্রশান্তি লাভ করে। দুনিয়ায় যারা তার সবচেয়ে প্রিয় তাদেরকে দোযখের ইন্ধনে পরিণত হতে দেখার চাইতে বেশী কষ্টকর জিনিস তার কাছে আর কিছুই নেই। এ অবস্থায় স্ত্রীর সৌন্দর্য ও সন্তানদের যৌবন ও প্রতিভা তার জন্য আরো বেশী মর্মজ্বালার কারণ হবে। কারণ সে সব সময় এ মর্মে দুঃখ করতে থাকবে যে, এরা সবাই নিজেদের এসব যোগ্যতা ও গুণাবলী সত্ত্বেও আল্লাহর আযাবের শিকার হবে।
এখানে বিশেষ করে এ বিষয়টি দৃষ্টি সম্মুখে রাখা উচিত যে, এ আয়াতটি যখন নাযিল হয় তখন মক্কার মুসলমানদের মধ্যে এমন একজনও ছিলেন না যার প্রিয়তম আত্মীয় কুফরী ও জাহেলিয়াতের মধ্যে অবস্থান করছিল না। কোন স্বামী ঈমান এনে থাকলে তার স্ত্রী তখনো কাফের ছিল। কোন স্ত্রী ঈমান এনে থাকলে তার স্বামী তখনো কাফের ছিল। কোন যুবক ঈমান এনে থাকলে তার মা-বাপ, ভাই, বোন সবাই তখনো কাফের ছিল। আর কোন বাপ ঈমান এনে থাকলে তার যুবক পুত্ররা কুফরীর ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিল। এ অবস্থায় প্রত্যেকটি মুসলমান একটি কঠিন আত্মিক যন্ত্রণা ভোগ করছিল এবং তার অন্তর থেকে যে দোয়া বের হচ্ছিল তার সর্বোত্তম প্রকাশ এ আয়াতে করা হয়েছে। “চোখের শীতলতা” শব্দ দু’টি এমন একটি অবস্থার চিত্র অংকন করেছে যা থেকে বুঝা যায়, নিজের প্রিয়জনদেরকে কুফরী ও জাহেলিয়াতের মধ্যে ডুবে থাকতে দেখে এক ব্যক্তি এতই কষ্ট অনুভব করছে যেন তার চোখ ব্যথায় টনটন করছে এবং সেখানে খচখচ করে কাঁটার মতো বিঁধছে। দ্বীনের প্রতি তারা যে ঈমান এনেছে তা যে পূর্ণ আন্তরিকতা সহকারেই এনেছে-একথাই এখানে বর্ণনা করা হয়েছে। তাদের অবস্থা এমন লোকদের মতো নয় যাদের পরিবারের লোকেরা বিভিন্ন ধর্মীয় দল ও উপদলে যোগ দেয় এবং সব ব্যাংকে আমাদের কিছু না কিছু পুঁজি আছে এই ভেবে সবাই নিশ্চিন্ত থাকে।
অর্থাৎ তাকওয়া-আল্লাহভীতি ও আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের ক্ষেত্রে আমরা সবার চেয়ে এগিয়ে যাবো। কল্যাণ ও সৎকর্মশীলতার ক্ষেত্রে সবার অগ্রগামী হবো। নিছক সৎকর্মশীলই হবো না বরং সৎকর্মশীলদের নেতা হবো এবং আমাদের বদৌলতে সারা দুনিয়ায় কল্যাণ ও সৎকর্মশীলতা প্রসারিত হবে। একথার মর্মার্থ এই যে, এরা এমন লোক যারা ধন-দৌলত ও গৌরব-মাহাত্মের ক্ষেত্রে নয় বরং আল্লাহভীতি ও সৎকর্মশীলতার ক্ষেত্রে পরস্পরের অগ্রবর্তী হবার চেষ্টা করে। কিন্তু আমাদের যুগে কিছু লোক এ আয়াতটিকেও নেতৃত্ব লাভের জন্য প্রার্থী হওয়া ও রাষ্ট্রক্ষমতা লাভের জন্য অগ্রবর্তী হওয়ার বৈধতার প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করেছে। তাদের মতে আয়াতের অর্থ হচ্ছে, “হে আল্লাহ! মুত্তাকীদেরকে আমাদের প্রজা এবং আমাদেরকে তাদের শাসকে পরিণত করো।” বস্তুত, ক্ষমতা ও পদের প্রার্থীরা ছাড়া আর কারো কাছে এ ধরনের ব্যাখ্যা প্রশংসনীয় হতে পারে না।
#SuraAlFurqan74 #QuranMajeed
#DailyQuran
#Quran25ঃ74
#Quran
0 notes
Text
42. অহংকার এড়িয়ে চলুন
শ্রীকৃষ্ণ দেখলেন যে অর্জুন অহংকার-অহংকর্তা অনুভূতিতে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছেন এবং এটাই তার বিষাদের কারণ। শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে অহং ভাঙতে এবং নিজেকে পৌঁছানোর জন্য সুসংগত বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করার পরামর্শ দেন (2.41)।
অহং এর অনেক রূপ আছে। গর্ব হল অহংকারের একটি ছোট অংশ। যখন একজন ব্যক্তি সফলতা/জয়/লাভের সুখের মেরুত্বের মধ্য দিয়ে যায় তখন সেই অহংকে বলা হয় গর্ব এবং যখন কেউ ব্যর্থতা/পরাজয়/ক্ষতির বেদনার মধ্য দিয়ে যায় তখন সেই অহংকে বলা হয় বিষণ্ণতা, দুঃখ, রাগ। যখন আমরা অন্যকে খুশি দেখি তখন তা ঈর্ষা হয় এবং যখন আমরা অন্যদের দুঃখী দেখি তখন তা সহানুভূতি।
আমরা যখন বস্তুগত সম্পদ জমা করি তখন অহং আমাদের উপর আধিপত্য বিস্তার করে এবং যখন আমরা সেগুলি ছেড়ে দিই তখনও অহং থাকে। এটি একজনকে জগতে কাজ করতে এবং সন্ন্যাস গ্রহণ করতে অনুপ্রাণিত করে। এটি তৈরি করার পেছনে যেমন রয়েছে, তেমনি নষ্ট করার পেছনেও রয়েছে। এটা জ্ঞানে আছে এবং অজ্ঞাতেও আছে।
প্রশংসা অহংকে বৃদ্ধি করে এবং সমালোচনা আঘাত করে যার কারণে আমরা অন্যের প্রতারণার শিকার হই। সংক্ষেপে, আমাদের বাহ্যিক আচরণকে প্রভাবিত করে এমন প্রতিটি আবেগের পিছনে কিছু অর্থে অহংকার রয়েছে। অহংবোধ আমাদের সাফল্য এবং সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে মনে হতে পারে, তবে এটি সাময়িকভাবে নেশা করার মতো।
‘আমি’ এবং ‘আমার’ অহংকার ভিত্তি এবং দৈনন্দিন কথাবার্তা ও চিন্তায় এই শব্দগুলির ব্যবহার পরিহার করলে অহংকে অনেকাংশে দুর্বল করা যায়।
অহংকার জন্ম হয় যখন আমরা একটি মেরু বা অন্য খুঁটি দিয়ে সনাক্ত করতে বেছে নিই এবং তাই, কোন আবেগের সাথে সনাক্ত না করে শ্রীকৃষ্ণ শ্লোক 2.48-এ অর্জুনকে মাঝখানে পছন্দহীন হতে পরামর্শ দিয়েছেন যেখানে অহংকারের কোন স্থান নেই। বাচ্চাদের মতো ক্ষুধার্ত হলে খাও; ঠান্ডা হলে উষ্ণ পোশাক পরুন; প্রয়োজনে যুদ্ধ; প্রয়োজনে অনুভূতি ধার করুন।
0 notes
business24bdinfo · 1 month
Text
দেশে রপ্তানিকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানে সরকারের সুযোগ-সুবিধা খুবই কম
‘দেশে যে পরিমাণ বিনিয়োগ ও ঝুঁকি নিয়ে রপ্তানিকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসা পরিচালনা করে, সেই তুলনায় সরকারের সুযোগ-সুবিধা খুবই অপ্রতুল। সরকার প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধাগুলো পেতে বছরের পর বছর সংশ্লিষ্ট সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর হয়রানির শিকার হতে হয়। অর্থ, শ্রম ও সময় ব্যয় হয়।’ সোমবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে এক মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স…
0 notes