ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন বলেছেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত বাংলাদেশের পাশে ছিল,এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। ভারত- বাংলাদেশ একসাথে এগিয়ে যেতে চায় অনেকদূর।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে নগরীর রেডিসন ব্লুতে চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের উদ্যোগে মৈত্রী দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
১৯৭১ সালের এই দিনেই ভারত বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ হিসেবে…
Most important paragraph for SSC & HSC Exam
Dear student friends, today we will know about Dengue Fever Paragraph. This paragraph is very important for all competitive exams. Today’s lesson is going to be the best for those of you who are SSC or HSC candidates.
Paragraph writing is a very important part of SSC exam. If you have 10 marks in this part, then if you want to master the paragraphs…
নানা আয়োজনে মণিপুরী ললিতকলা একাডেমিতে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি দিনব্যাপি বিভিন্ন অনুষ্ঠান মালার মধ্যদিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়।দিবসের সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কমলগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মণিপুরী ললিতকলা একাডেমির উপ-পরিচালক(অতিরিক্ত দায়িত্ব)ও কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন সহ কর্মকর্তারা।অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা আনন্দ মোহন…
পত্নীতলায় আশ্রয়’র তিন দিনব্যাপী মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর পত্নীতলায় যথাযথ মর্যাদায় স্বাধীনতার ৫৩তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আশ্রয় এনসিওর প্রকল্প’র আয়োজনে ও নেটজ্ বাংলাদেশের সহায়তায় উপজেলা প্রকল্পের অন্তর্ভক্ত ২০টি সরকারি ও ১০টি উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খেলাধুলা, চিত্রাঙ্কন, রচনা প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি, আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনদিন ব্যাপী উক্ত পৃথক…
অত্র দরখাস্তে বর্নিত আ: খালেক মুক্তিযোদ্ধা ছিলেননা। যুদ্ধ শেষে দেশে ফিরিয়া শুনিতে পারি যে তিনি শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন এবং পাক বাহিনীর সহায়ক হিসেবে কাজ করিয়াছেনসৈয়দ স��রাজুল ইসলামসভাপতি, ব্রাহ্মনবাড়িয়া জিলা আওয়ামীলীগ ১৯/১১/৯৯
বরাবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঢাকা।
দৃষ্টি আকর্ষন- চেয়ারম্যান কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ৩৯৩ নিউ ইস্কাটন রোড, মগবাজার -ঢাকা।তারিখ- ১৮-১১-১৯৯৯ ইংবিষয়ঃ- বিগত স্বাধীনতা যুদ্ধে শাক্তি কমিটির সদস্য জনাব আব্দুল খালেক, পিতা-মৃত মুনশী কনু মিয়া, সাং- কুট্রাপাড়া, থানা-সরাইল, জেলা-…
কথায় বলে পুলিশে ছুঁলে আঠারো ঘা। আর যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবণ। কথাদুটি যে কতটা সত্য। বোঝা যাচ্ছে বর্তমান ভারতে। যেভাবেই হোক কোন অভিযোগে পুলিশের খাতায় একবার নাম উঠে গেলেই হলো। দিনের পর দিন আদালতের চক্করে পড়ে থাকো। বছরের পর বছর গড়িয়ে যাবে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে। এবং শেষমেশ স্বসম্মানে বেকসুর খালাস হলেও, দোষী পুলিশ আধিকারিকদের কোন সাজা হবে না। নির্দোষ ব্যক্তিকে অন্যায় ভাবে অভিযুক্ত করে…
Finally our students reached independence on 36th July (5th august). It was a roller coster of a journey. Sometimes heart almost stoping with fear, then surpassing that fear and stand up for what is right, speaking up. Honestly I was scared, everynight I couldn't sleep. But being scared doesn't mean you have to stop, does it?
From 'বাংলাদেশ ছাড়ব' to 'বাংলাদেশ গড়ব', we grew up. We learned how much we truely loved our country, how much we deeply cared for it.
Let's all rejoice and let's not forget, "স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন". We WILL protect this freedom!! And we will build a nation we and generations after generations will be proud of!!
🌍 আজকের এই পরিবর্তনশীল বিশ্বে, নিজের কর্মসংস্থানের সুরক্ষা এবং আর্থিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে। 💼 চাকরি পাওয়া এখন খুবই কঠিন বেপার হয়ে উঠছে।
😍 এই পরিস্থিতিতে, ফ্রিল্যান্সিং একটি আকর্ষণীয় বিকল্প হয়ে উঠেছে। 😄 ফ্রিল্যান্সিং আপনাকে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে, নিজের সময়সূচী অনুযায়ী কাজ করার সুযোগ করে দেয়।
💪 কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং জগতে সফল হতে হলে, আপনার কিছু দক্ষতা অবশ্যই থাকতে হবে। 🎯 এবং এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ডিজিটাল মার্কেটিং।
💥 তাই আর দেরি না করে আজই চলে আসুন আমাদের অফিসে অথবা অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করুন এবং আপনার ফ্রীল্যান্সিং ক্যারিয়ার এর যাত্রা শুরু করুন!
৯০ বছর বয়সী এক নেতার লংমার্চে নেতৃত্ব দেয়ার গল্প
স্বাধীনতা লাভের কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশের পরিবেশ এবং নদী-নালার উপর বড় এক ধরনের অন্ধকার এসে হাজির হয়। বাংলাদেশ-ভারত চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে গঙ্গা নদীর উপর একটি বাঁধ নির্মাণ করে ভারত। বাংলাদেশের সোনামসজিদ স্থলবন্দর থেকে ২৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই বাঁধটি। এই বাঁধের জন্য শুকনো মৌসুমে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পানির জন্য হাহাকার তৈরি হয়।
১৯৭৬ সালের ১৬ই মে ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তের দিকে একটি মিছিলের আয়োজন করেন বাংলাদেশের সুপরিচিত রাজনীতিবিদ মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী যখন ফারাক্কা লং মার্চের নেতৃত্ব দেন তখন তার বয়স ৯০ বছরের বেশি।
১৯৭৬ সালের শুরুর দিকে মাওলানা ভাসানী বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৯৭৬ সালের ১৮ই এপ্রিল হাসপাতাল থেকে ফেরার পর মাওলানা ভাসানী ঘোষণা দেন ভারত যদি বাংলাদেশকে পানির অধিকার ফিরিয়ে না দেয় তাহলে তিনি লংমার্চ করবেন। তখন অনেকে বেশ চমকে গিয়েছিল; কারণ ৯০ বছরের একজন মানুষ ঘরে থাকার কথা তখন কিনা সে লংমার্চ এর ডাক দিলেন। ১৯৭৬ সালের ২৮শে এপ্রিল মাওলানা ভাসানী এক বিবৃতিতে লংমার্চ সফল করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য ১৯৭৬ সালের ২রা মে মাওলানা ভাসানীকে প্রধান করে ৩১ সদস্যবিশিষ্ট 'ফারাক্কা মিছিল পরিচালনা জাতীয় কমিটি' গঠিত হয়। এই লংমার্চের আগে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছে একটি চিঠি লিখেন আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। সে চিঠিতে মিসেস গান্ধির কাছে লংমার্চের কারণ বর্ণনা করেন ভাসানী। সাংবাদিক এনায়েতউল্লাহ খান, আনোয়ার জাহিদ এবং সিরাজুল হোসেন খান এ চিঠি তৈরি করতে আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে সহায়তা করেন।
এরপর ১৬ই মে রাজশাহী শহর থেকে লংমার্চ করার ঘোষণা দেন তিনি।
মোনাজাত উদ্দিনের স্মৃতিচারণমূলক লেখা 'পথ থেকে পথে' বইতে সেই লংমার্চের কিছু বিষয় বর্ণনা করেছেন।
মোনাজাত উদ্দিন লিখেছেন, "মিছিলের আগে মাদ্রাসা ময়দানে জনসভা। ভাসানী এলেন নীল গাড়িতে চেপে। জনসমুদ্র গর্জে উঠল। খুব অল্প সময়ের জন্য তিনি বক্তৃতা করলেন। বহু সাংবাদিক, বহু ফটোগ্রাফার।"
লংমার্চের ৬৪ কিলোমিটার যাত্রা ছিল বেশ কঠিন। সবচেয়ে বড় আশংকা ছিল মাওলানা ভাসানীকে নিয়ে। বয়স ৯০ বছরের বেশি; তার উপর সদ্য হাসপাতাল ছাড়া পেয়েছেন।
জাতীয় কৃষক সমিতির আবু নোমান খান সে লংমার্চ সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেছেন 'মজলুম জননেতা: মাওলানা ভাসানী স্মারক সংকলন' বইতে।
আবু নোমান খান লিখেছেন, লংমার্চের মিছিল রাজশাহী থেকে প্রেমতলী, প্রেমতলী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে মনকষা এবং মনকষা থেকে শিবগঞ্জ পর্যন্ত ৬৪ মাইল অতিক্রম করবে।
'মাওলানা ভাসানীর জীবনস্রোত' শিরোনামে একটি লেখায় সেই লং মার্চ সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন জাতীয় কৃষক সমিতির সাবেক সপ্তর সম্পাদক আবু নোমান খান।
"মিছিলের শুরুতে ভাসানীসহ নেতৃবৃন্দ পুরোভাগে দাঁড়ান। মিছিলটি তিন মাইল দুরে রাজশাহী কোর্ট এলাকায় যেতে না যেতেই মুষলধারে বৃষ্টি নামে। তা সত্ত্বেও লক্ষ জনতার মিছিল এগিয়ে চলে। এগারো মাইল অতিক্রম করে প্রেমতলী পৌঁছে। তখন দুপুর দুটো," লিখেছেন আবু নোমান খান।
সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বিকেল তিনটা নাগাদ লংমার্চ আবারো যাত্রা শুরু করে। এরপর প্রায় ২০ মাইল পথ অতিক্রম করে রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌঁছে মিছিলটি। রাতে সেখানেই তারা অবস্থান করেন। পরদিন সকাল আট ৮ টায় আবারো যাত্রা শুরু করে লংমার্চ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আরো ছয় মাইল পথ অতিক্রম করে কানসাট পৌঁছায়।
দুপুরের মধ্যে মিছিলটি পৌঁছে কানসাটে।
আবু নোমান খানের বর্ণনায়, "পথের দুধারে সারি বেঁধে দাঁড়িয়েছে হাজার-হাজার মানুষ - উদ্দেশ্য ফারাক্কা লং মার্চ-এর মিছিলকারীদের অভ্যর্থনা জানানো। মিছিলকারীদের পানি ও বিভিন্ন খাবার খাইয়েছেন তারা। "
বিকেল চারটার দিকে সেখানে জনসভায় বক্তব্য রাখেন মাওলানা ভাসানী। সে জনসভায় তিনি বলেন, ফারাক্কা সমস্যার সমাধানের জন্য ভারত যদি বাংলাদেশের মানুষের দাবি উপেক্ষা করে তাহলে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলন শুরু হবে।
আর এভাবেই মাওলানা ভাসানীর ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চের সমাপ্তি ঘটে।