যেন একফালি মেঘভাসা শরৎ আকাশ লতায়পাতায় জড়িয়ে বাঁধা পরে আছে ধুলামাটির পৃথিবীতে। কত কষ্টে মনে পরে সেই মুকুলঝরা বেহায়া বসন্তের বেলা । পলাশডালের আড়ালে শুকসারির গান , আর তোমার নূপুর নিক্বণের পিছু পিছু এসে পরা শিমুল তুলোর দেশের ভারি অসভ্য এক দস্যি দখিন হাওয়া , সে যেন কত কালের কথা । মাথা চুলকে আরো কিছু মনে পরার আগেই শুকনো রাধাচূড়ার লালটুকু বুকে আগলে ধরে ছাদের পাশ কেটে সূর্যখানা পাটে যায় । সাঁঝবেলার বেলফুলের মত দুটি ছোট্ট তারা হাত ধরাধরি করে আকাশের লালনীল আলো আঁধারির ভেতরে কানামাছি খেলে আর তক্ষুনি তোমার কথাটা মনে পরে যায় ...."বসন্তের সূর্য তো , অনেক রং টং পাল্টে তবেই ডুববে ..এমনি এমনি নয়"। জানলার বাইরে শুক্লপক্ষের চাঁদ পানপাতায় মুখ ঢেকে হেসেছিল ঠোঁট চেপে । বাইরে ভরাট জোছনা যেন আকালের দেশের অকাল কোজাগরী ,
দোল পূর্নিমাটা যে ঠিক কবে , আমার খেয়াল পরেনা...।।
(@thesongoffadingaway অনেক অনেক ধন্যবাদ ছবিটার জন্য 🥺❤️)
26 notes
·
View notes
এখন খেজুরও বিলাসী পণ্য; বলছে এনবিআর
আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে মতিঝিলে এফবিসিসিআই বোর্ডরুমে আয়োজিত ‘আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর উৎপাদন, আমদানি, মজুত, সরবরাহ ও সামগ্রিক দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা’র জন্য সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুট ইম্পোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘আমদানি করা ১১০ টাকা কেজি দরের খেজুরে ১৪০ টাকা শুল্ক দিয়ে বাজারে বিক্রি করতে হয় ২৫০ টাকা এবং আমদানি করা ১২০ টাকা কেজি দরের খেজুরে ২১০ টাকা শুল্ক দিয়ে বাজারে ৩৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হয়। এজন্যই বাজারে খেজুরের দাম বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই শুল্ক যুক্ত করা হয়েছে। অথচ গত বছর এক কেজি খেজুরে ১০ টাকা শুল্ক দিয়েছি।’
আরও বলেন তিনি, ‘ইফতারের সময় মুসলমানরা অন্তত দুই-তিন টুকরো খেজুর খেয়ে থাকেন। গত ৩৫ বছর ধরে আমি খেজুর আমদানি করি, কিন্তু কখনো শুল্ক দিতে হয়নি। আমি খেজুর আমদানি করলাম ৯০০ থেকে ১০০০ ডলারে। চট্টগ্রামের কাস্টম কমিশনার সাধারণ কনটেইনার খেজুরের জন্য ২৫০০ ডলার এবং হিমায়িত কনেটেইনারে খেজুরের জন্য ৪০০০ ডলার শুল্ক নির্ধারণ করেছে। এতে করে খেজুরের দাম দুই থেকে তিনগুণ বেড়ে গেল। আমরা এনবিআর-এ কথা বলেছি, কিন্তু তারা কোনো যুক্তি দেখাতে পারল না কেন এটার শুল্ক ২৫০০/৪০০০ করল। এই অ্যাসেসমেন্টে এক কার্টন খেজুর আমাকে বিক্রি করতে হবে সাড়ে ৪০০০ টাকায়, কেজি পড়বে ৪৫০।’
বর্তমানে এক কনটেইনার খেজুর আমদানি করতে ৫০ লাখ টাকা শুল্ক দিতে হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) খেজুরকে বিলাসী পণ্য ধরে শুল্ক নির্ধারণ করে। ফলে খেজুর আমদানি করতে প্রকৃত দামের প্রায় অতিরিক্ত দ্বিগুণ-তিনগুণ শুল্ক দিতে হয়। তাই সবার সহযোগিতা না পেলে বাজারে খেজুরের দাম কমানো যাবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুট ইম্পোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম।
2 notes
·
View notes
আগুন পান বা FIRE PAAN ও আগুন ফুচকা বা FIRE PANI PURI খেলে মুখ পুড়ে না কেন?
3 notes
·
View notes
তুমি একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে বেজে উঠ সুমধুর
তুমি রাগে অনুরাগে মুক্তি সংগ্রামে সোনা ঝরা সেই রোদ্দুর
তুমি প্রতিটি পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধার, অভিমানের সংসার
তুমি ক্রন্দন, তুমি হাসি, তুমি জাগ্রত শহীদ মিনার
#Bangladesh #Jems #Piano #স্বাধীনতা জাদুঘর #বাংলা গান
3 notes
·
View notes
যেভাবে তালাক প্রত্যাহার করা যায়
Photo by Karolina Grabowska on Pexels.com
১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশে তালাক প্রত্যাহার বা তালাক বাতিলের কোনো বিধানের উল্লেখ নেই। তবে সব ধরণের তালাকই প্রত্যাহারযোগ্য। তালাক উচ্চারণের মত প্রত্যাহারও যে কোন রকমে হতে পারে। চেয়ারম্যানের নিকট তালাক নোটিশ দেয়া হলেও চেয়ারম্যানের কাছে তা পৌঁছাবার দিন থেকে ৯০ দিন অতিবাহিত হবার আগ পর্যন্ত যে কোন সময় তা প্রত্যাহার করা যায়। এরমধ্যে প্রত্যাহার…
View On WordPress
0 notes
শেষরাত থেকে জ্বলতে থাকা একটা চিতার আগুন ক্লান্তিতে প্রায় নিভুনিভু হয়ে এসে , প্রায় মরে আসা নদীটার বুকে মুখ ডুবিয়ে দিল যেই, অমনি আঁধারমেশা রুগ্ন নদীটা যেন টিমটিমিয়ে জ্বলে উঠলো এক লহমায়। আশ্বিনের শীতশীত একাকী কাশবনের গোলকধাঁধায় পথ হারিয়ে ঘুরে বেড়ায় ডানাভাঙা বক। মৃদু হাওয়ায় উড়ো খইয়ের দল ভেসে ভেসে দিগন্তে বলাকার দলে ভিড়ে যায় চুপিচুপি । ছড়ানো আতপের গন্ধে চড়ুইয়ের ভিড় জমে, খুঁটে খায় মৃত্যুচিহ্ন। কোন এক নাম না জানা মন্দিরের অস্ফুট গম্ভীর ঘন্টাধ্বনি আদিজন্মের অস্পষ্ট স্মৃতির মত ঝাপটায় পিদিমের আলো নিভিয়ে, দস্যি ছেলের মত পিলসুজটি উল্টে অপরাজিতার বনে দোল দিয়ে চলে যায়। সেই মৃত্যুগন্ধী ছায়াজল কিছু বেওয়ারীশ রাঙাফুলের লালিমায় মুখ রাঙিয়ে সেই জীর্ণ আলোটাকে বুকে নিয়ে অচিনের রাস্তায় রওনা দেয়। ঢেউ এর ঠেলায় একটা ছেঁড়া শিউলির মালা উদ্বাস্তুর মত নদীর পারের বালিতে এসে আটকে যায় । যদ্দুর চোখ যায় আমি চেয়ে থাকি। এক সময়ে আর সেই আলো নজরে আসে না, বেইমান রাঙাফুলেরাও দিগন্তে গা ঢাকা দেয় ঠিক । আর সেই সময়েই ভাদ্র শেষের তুলসীতলার মলিন সাঁঝবাতিটির মত একটা সূর্য, বিধবার সিঁথির শেষ সিঁদুরের রেশটির মত সেই আলো আঁজলা করে বুকে তুলে নেয় সবার চোখ এড়িয়ে । সেই আদিম জ্যোৎস্নার মত নরম আলোয় দেখতে পাই কচি কলাপাতার উপর দিশেহারা তর্পণের প্রদীপ তিরতির কাঁপতে কাঁপতে বয়ে চলে যাচ্ছে বহু দূরে। মা বলে, আরো দূরে ভাসতে ভাসতে সেই আবহমান প্রদীপেরা নাকি ভিনগাঁয়ের জোনাকি হয়ে যায়।
আমার বিশ্বাস হয় নাকো মোটে।
ছবি : masaan
পুরোনো লেখা
17 notes
·
View notes
৯০ বছর বয়সী এক নেতার লংমার্চে নেতৃত্ব দেয়ার গল্প
স্বাধীনতা লাভের কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশের পরিবেশ এবং নদী-নালার উপর বড় এক ধরনের অন্ধকার এসে হাজির হয়। বাংলাদেশ-ভারত চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীম���ন্ত থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে গঙ্গা নদীর উপর একটি বাঁধ নির্মাণ করে ভারত। বাংলাদেশের সোনামসজিদ স্থলবন্দর থেকে ২৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই বাঁধটি। এই বাঁধের জন্য শুকনো মৌসুমে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পানির জন্য হাহাকার তৈরি হয়।
১৯৭৬ সালের ১৬ই মে ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তের দিকে একটি মিছিলের আয়োজন করেন বাংলাদেশের সুপরিচিত রাজনীতিবিদ মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী যখন ফারাক্কা লং মার্চের নেতৃত্ব দেন তখন তার বয়স ৯০ বছরের বেশি।
১৯৭৬ সালের শুরুর দিকে মাওলানা ভাসানী বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৯৭৬ সালের ১৮ই এপ্রিল হাসপাতাল থেকে ফেরার পর মাওলানা ভাসানী ঘোষণা দেন ভারত যদি বাংলাদেশকে পানির অধিকার ফিরিয়ে না দেয় তাহলে তিনি লংমার্চ করবেন। তখন অনেকে বেশ চমকে গিয়েছিল; কারণ ৯০ বছরের একজন মানুষ ঘরে থাকার কথা তখন কিনা সে লংমার্চ এর ডাক দিলেন। ১৯৭৬ সালের ২৮শে এপ্রিল মাওলানা ভাসানী এক বিবৃতিতে লংমার্চ সফল করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য ১৯৭৬ সালের ২রা মে মাওলানা ভাসানীকে প্রধান করে ৩১ সদস্যবিশিষ্ট 'ফারাক্কা মিছিল পরিচালনা জাতীয় কমিটি' গঠিত হয়। এই লংমার্চের আগে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছে একটি চিঠি লিখেন আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। সে চিঠিতে মিসেস গান্ধির কাছে লংমার্চের কারণ বর্ণনা করেন ভাসানী। সাংবাদিক এনায়েতউল্লাহ খান, আনোয়ার জাহিদ এবং সিরাজুল হোসেন খান এ চিঠি তৈরি করতে আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে সহায়তা করেন।
এরপর ১৬ই মে রাজশাহী শহর থেকে লংমার্চ করার ঘোষণা দেন তিনি।
মোনাজাত উদ্দিনের স্মৃতিচারণমূলক লেখা 'পথ থেকে পথে' বইতে সেই লংমার্চের কিছু বিষয় বর্ণনা করেছেন।
মোনাজাত উদ্দিন লিখেছেন, "মিছিলের আগে মাদ্রাসা ময়দানে জনসভা। ভাসানী এলেন নীল গাড়িতে চেপে। জনসমুদ্র গর্জে উঠল। খুব অল্প সময়ের জন্য তিনি বক্তৃতা করলেন। বহু সাংবাদিক, বহু ফটোগ্রাফার।"
লংমার্চের ৬৪ কিলোমিটার যাত্রা ছিল বেশ কঠিন। সবচেয়ে বড় আশংকা ছিল মাওলানা ভাসানীকে নিয়ে। বয়স ৯০ বছরের বেশি; তার উপর সদ্য হাসপাতাল ছাড়া পেয়েছেন।
জাতীয় কৃষক সমিতির আবু নোমান খান সে লংমার্চ সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেছেন 'মজলুম জননেতা: মাওলানা ভাসানী স্মারক সংকলন' বইতে।
আবু নোমান খান লিখেছেন, লংমার্চের মিছিল রাজশাহী থেকে প্রেমতলী, প্রেমতলী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে মনকষা এবং মনকষা থেকে শিবগঞ্জ পর্যন্ত ৬৪ মাইল অতিক্রম করবে।
'মাওলানা ভাসানীর জীবনস্রোত' শিরোনামে একটি লেখায় সেই লং মার্চ সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন জাতীয় কৃষক সমিতির সাবেক সপ্তর সম্পাদক আবু নোমান খান।
"মিছিলের শুরুতে ভাসানীসহ নেতৃবৃন্দ পুরোভাগে দাঁড়ান। মিছিলটি তিন মাইল দুরে রাজশাহী কোর্ট এলাকায় যেতে না যেতেই মুষলধারে বৃষ্টি নামে। তা সত্ত্বেও লক্ষ জনতার মিছিল এগিয়ে চলে। এগারো মাইল অতিক্রম করে প্রেমতলী পৌঁছে। তখন দুপুর দুটো," লিখেছেন আবু নোমান খান।
সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বিকেল তিনটা নাগাদ লংমার্চ আবারো যাত্রা শুরু করে। এরপর প্রায় ২০ মাইল পথ অতিক্রম করে রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌঁছে মিছিলটি। রাতে সেখানেই তারা অবস্থান করেন। পরদিন সকাল আট ৮ টায় আবারো যাত্রা শুরু করে লংমার্চ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আরো ছয় মাইল পথ অতিক্রম করে কানসাট পৌঁছায়।
দুপুরের মধ্যে মিছিলটি পৌঁছে কানসাটে।
আবু নোমান খানের বর্ণনায়, "পথের দুধারে সারি বেঁধে দাঁড়িয়েছে হাজার-হাজার মানুষ - উদ্দেশ্য ফারাক্কা লং মার্চ-এর মিছিলকারীদের অভ্যর্থনা জানানো। মিছিলকারীদের পানি ও বিভিন্ন খাবার খাইয়েছেন তারা। "
বিকেল চারটার দিকে সেখানে জনসভায় বক্তব্য রাখেন মাওলানা ভাসানী। সে জনসভায় তিনি বলেন, ফারাক্কা সমস্যার সমাধানের জন্য ভারত যদি বাংলাদেশের মানুষের দাবি উপেক্ষা করে তাহলে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলন শুরু হবে।
আর এভাবেই মাওলানা ভাসানীর ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চের সমাপ্তি ঘটে।
2 notes
·
View notes