#bigdatascience
Explore tagged Tumblr posts
speedywonderlandtrash · 8 months ago
Text
প্রাচীন থেকে আধুনিক: সংখ্যা পদ্ধতির বিবর্তন ও ডিজিটাল যুগের প্রভাব
শূন্যের উদ্ভব ও ইতিহাস: ভারতীয় গণিত থেকে বিশ্বব্যাপী প্রসার   প্রাচীন সভ্যতাগুলো সংখ্যা ও গণিতের বিভিন্ন পদ্ধতি উদ্ভাবন করে। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি পদ্ধতি হলো: মেসোপটেমীয় সংখ্যা পদ্ধতি মেসোপটেমীয় সংখ্যা পদ্ধতি প্রাচীন সভ্যতার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবন। এই পদ্ধতি মূলত সুমেরীয়দের দ্বারা উদ্ভাবিত হয়েছিল এবং পরবর্তীতে ব্যাবিলনীয় সভ্যতাতেও এর ব্যবহার দেখা যায়। এই সংখ্যা পদ্ধতিটি ৬০-এর ভিত্তিক, যা sexagesimal নামে পরিচিত। মেসোপটেমীয় অঞ্চলে প্রায় ৩৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এই পদ্ধতির বিকাশ ঘটে। মেসোপটেমীয় সংখ্যা পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য (ক) ৬০-এর ভিত্তিক পদ্ধতি: মেসোপটেমীয় সংখ্যা পদ্ধতি ৬০-এর ভিত্তিক ছিল। এই পদ্ধতিতে একক থেকে ৬০ পর্যন্ত সংখ্যাগুলি নির্দিষ্ট চিহ্নের মাধ্যমে প্রকাশ করা হত। যেমন, ১ থেকে ৫৯ পর্যন্ত সংখ্যাগুলির জন্য আলাদা চিহ্ন ব্যবহার করা হত, তবে ৬০-এর জন্য একই চিহ্ন পুনরায় ব্যবহার করা হত, যেভাবে আমরা দশমিক পদ্ধতিতে ১০০-এর জন্য শূন্য ও একক অঙ্ক ব্যবহার করি। (খ) দুটি মূল চিহ্ন: মেসোপটেমীয়রা দুটি চিহ্ন ব্যবহার করত—একটি ছিল 'দশ' নির্দেশক এবং অন্যটি ছিল 'এক' নির্দেশক। তারা এই চিহ্নগুলির পুনরাবৃত্তি ও সংমিশ্রণ করে বিভিন্ন সংখ্যা তৈরি করত। উদাহরণস্বরূপ, ৪৫ লিখতে চারটি 'দশ' চিহ্ন ও পাঁচটি 'এক' চিহ্ন ব্যবহার করা হত। (গ) স্থানীয় মান পদ্ধতি: মেসোপটেমীয় সংখ্যা পদ্ধতিতে স্থানীয় মান (positional value) পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছিল, যা আধুনিক সংখ্যার পদ্ধতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। স্থান অনুযায়ী সংখ্যার মান নির্ধারণ করা হতো, যা ছিল অত্যন্ত উন্নত একটি ধারণা। তবে, এই পদ্ধতিতে শূন্যের কোনো চিহ্ন বা ধারণা ছিল না, ফলে মাঝে মাঝে সংখ্যা বিভ্রান্তিকর হয়ে উঠত। মেসোপটেমীয় সংখ্যার ব্যবহার মেসোপটেমীয়রা এই সংখ্যা পদ্ধতি দৈনন্দিন জীবনে অনেক কিছুর হিসাব করতে ব্যবহার করত। বিশেষ করে, জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং সময় গণনায় এটি ব্যবহৃত হত। বর্তমান সময়েও আমরা ৬০-এর ভিত্তিক পদ্ধতির কিছু অংশ ব্যবহার করি, যেমন মিনিট ও সেকেন্ডে ৬০ সেকেন্ড এবং ৬০ মিনিট। মেসোপটেমীয় সংখ্যা পদ্ধতির প্রভাব মেসোপটেমীয় সংখ্যা পদ্ধতি তাদের জ্যোতির্বিজ্ঞান ও সময় গণনার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী ছিল এবং তা আধুনিক গণিতের বিকাশেও প্রভাব ফেলেছে। এই পদ্ধতির কারণে আমরা এখনও সময়ের গণনা এবং কিছু জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক হিসাবের ক্ষেত্রে ৬০-এর ভিত্তিক পদ্ধতি ব্যবহার করি। মিশরীয় সংখ্যা পদ্ধতি মিশরীয় সংখ্যা পদ্ধতি (Egyptian Numeral System) প্রাচীন মিশরের একটি প্রাচীন সংখ্যা পদ্ধতি যা আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ বছর পূর্বে ব্যবহৃত হতে শুরু হয়েছিল। এটি একটি অ-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি ছিল এবং ১০ ভিত্তিক (ডেসিমাল) পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। মিশরীয় সংখ্যা পদ্ধতিতে বিভিন্ন প্রতীক ব্যবহৃত হত, যা বিভিন্ন সংখ্যা নির্দেশ করত। মিশরীয় সংখ্যা পদ্ধতির প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ: (ক) অ-পজিশনাল পদ্ধতি: - এই পদ্ধতিতে সংখ্যার মান নির্ধারণের জন্য অক্ষরের অবস্থান কোনো ভূমিকা রাখে না। প্রতিটি প্রতীক বা চিহ্নের নির্দিষ্ট মান আছে, যা পুনরাবৃত্তি করে বা একত্রিত করে সংখ্যা তৈরি করা হয়। - উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি প্রতীক ১০ নির্দেশ করে তবে সেটি যেকোনো স্থানে ব্যবহৃত হলেও ১০-ই নির্দেশ করবে। (খ) ডেসিমাল ভিত্তি: - মিশরীয় সংখ্যা পদ্ধতি দশমিক ভিত্তিক হলেও প্রতিটি সংখ্যা চিহ্নিত করার জন্য আলাদা আলাদা প্রতীক ব্যবহৃত হত, যা গণনায় কিছুটা জটিলতা সৃষ্টি করত। মিশরীয় সংখ্যা প্রতীকসমূহ: মিশরীয় সংখ্যা পদ্ধতিতে বিভিন্ন প্রতীক দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা বোঝানো হত। কিছু প্রধান প্রতীক নিচে উল্লেখ করা হলো: - একক (১) - একটি উল্লম্ব রেখা (|) - দশ (১০) - একটি অঙ্গুলির মতো চিহ্ন (∩ বা কুঞ্চিত আঙ্গুল) - একশত (১০০) - একটি সর্পিল চিহ্ন (Ω) - এক হাজার (১,০০০) - একটি পদ্ম ফুল (𓁶) - দশ হাজার (১০,০০০) - একটি আঙুলের মধ্যে বাঁকানো মণ্ডলাকার (𓂭 বা ব্যাঙের মতো চিহ্ন) - এক লক্ষ (১,০০,০০০) - একটি দৈত্যিক মূর্তি বা দৈত্য (𓆼) - দশ লক্ষ (১০,০০,০০০) - আশীর্বাদিত উত্থিত বাহু বা 𓆣 (ফ্রগ বা মানুষ) সংখ্যা লেখার নিয়মাবলী: (ক) পুনরাবৃত্তি ব্যবহার: যেকোনো সংখ্যা লেখার জন্য প্রতীকগুলোর পুনরাবৃত্তি করা হত। উদাহরণস্বরূপ, ৩ নির্দেশ করতে তিনটি উল্লম্ব রেখা (|||), ২০ নির্দেশ করতে দুইটি ১০-এর প্রতীক (∩∩) ব্যবহার করা হত। (খ) সংমিশ্রণ: বড় সংখ্যা তৈরি করার জন্য বিভিন্ন প্রতীক একত্রিত করে সংখ্যা লেখা হত। উদাহরণস্বরূপ, ২,৪৩৫ সংখ্যা বোঝানোর জন্য একটি ১,০০০-এর পদ্মফুল, চারটি ১০০-এর সর্পিল চিহ্ন, তিনটি ১০-এর অঙ্গুলির চিহ্ন, এবং পাঁচটি ১-এর উল্লম্ব রেখা ব্যবহার করা হত। উদাহরণসমূহ: - ৩: ||| - ১৪: ∩ |||| - ২৭৮: ΩΩΩ ∩∩∩ |||| |||| - ৪,৫৬৭: 𓁶 𓁶 𓁶 ∩∩∩∩∩ ||||| ||| মিশরীয় সংখ্যা পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা: (ক) পজিশনাল পদ্ধতির অভাব: এই পদ্ধতিতে পজিশনাল সংখ্যা ব্যবহৃত হয় না, যার কারণে সংখ্যাগুলো লেখা বেশ জটিল হয়ে পড়ে এবং বড় সংখ্যার ক্ষেত্রে অনেক বেশি প্রতীক প্রয়োজন হয়। (খ) গাণিতিক জটিলতা: মিশরীয় সংখ্যা পদ্ধতিতে গাণিতিক ক্রিয়াকলাপ যেমন যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগের ক্ষেত্রে বেশ জটিলতা ছিল, কারণ প্রতীকগুলোর পুনরাবৃত্তি করতে হত এবং পজিশনাল মানের অভাব ছিল। (গ) শূন্যের অভাব: মিশরীয় সংখ্যা পদ্ধতিতে শূন্যের কোনো ধারণা ছিল না। এটি পরে ভারতীয় সংখ্যা পদ্ধতিতে উদ্ভাবিত হয়। মিশরীয় সংখ্যা পদ্ধতির ঐতিহাসিক গুরুত্ব: - প্রাচীন মিশরে নির্মাণকর্ম, কৃষিকাজ, এবং সরকারি হিসাবপত্র সংরক্ষণে এই সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করা হত। বিশেষ করে পিরামিড নির্মাণ ও কৃষি জমির পরিমাপ করার সময় এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হত। - মিশরীয় প্যাপিরাসের নথিপত্রে এবং মিশরীয় মন্দিরের দেওয়ালে এই সংখ্যা পদ্ধতির বহু উদাহরণ পাওয়া যায়, যা সেই সময়কার গণিতের উন্নতির প্রমাণ দেয়। উপসংহার: মিশরীয় সংখ্যা পদ্ধতি গণিতের প্রাচীন শাখা হিসেবে প্রাচীন মিশরের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতির দিকে ইঙ্গিত দেয়। যদিও এটি আধুনিক সংখ্যা পদ্ধতির মতো সহজ নয়, তবে এটি ছিল মিশরের সভ্যতার সময়কার একটি গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যার সিস্টেম যা আজও ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়। মায়ান সংখ্যা পদ্ধতি মায়ান সংখ্যা পদ্ধতি প্রাচীন মেসোআমেরিকান সভ্যতার অত্যন্ত উন্নত একটি সংখ্যা পদ্ধতি, যা কেবল গণিতেই নয় বরং জ্যোতির্বিদ্যা ও ক্যালেন্ডার ব্যবস্থার জন্যও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হত। এটি ২০ ভিত্তিক হওয়া সত্ত্বেও, তাদের ক্যালেন্ডার পদ্ধতিতে কিছু ক্ষেত্রে ১৮ ভিত্তি ব্যবহার করা হত। এই সংখ্যা পদ্ধতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হলো: (ক) সংখ্যা প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি বিন্দু (•) দ্বারা ১ থেকে ৪ পর্যন্ত সংখ্যা নির্দেশ করা হত। প্রতিটি বিন্দু একটি একক সংখ্যাকে নির্দেশ করত। ফালা (—) দ্বারা ৫ নির্দেশ করা হত। একটির বেশি ফালা একত্রে ব্যবহার করে ৫, ১০, ১৫ পর্যন্ত সংখ্যা নির্দেশ করা যেত। শূন্য (∩ বা শাঁস চিহ্ন): এই চিহ্নের মাধ্যমে মায়ানরা শূন্য ধারণা প্রতিষ্ঠা করেছিল, যা আধুনিক পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতির মূল ভিত্তি। এই শূন্য চিহ্ন ছাড়া কোনো সংখ্যায় পদ পরিবর্তন বা এককের স্থানে শূন্য রাখার কোনো উপায় থাকত না। (খ) পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি মায়ান সংখ্যা পদ্ধতিতে প্রতিটি স্তর ক্রমান্বয়ে ২০ গুণ বৃদ্ধি পেত। অর্থাৎ প্রথম স্তর ছিল ১ থেকে ১৯ পর্যন্ত, দ্বিতীয় স্তর ছিল ২০ থেকে ৩৯৯ পর্যন্ত, তৃতীয় স্তর ৪০০ থেকে ৭৯৯৯ পর্যন্ত ইত্যাদি। তারা উপর থেকে নিচের দিকে সংখ্যা লিখত। অর্থাৎ, সবচেয়ে নিচের সারি একক সংখ্যা নির্দেশ করত, এর উপরে ২০ গুণের সংখ্যা, এরপর ৪০০ গুণের সংখ্যা এমনভাবে স্তরিত পদ্ধতিতে সংখ্যান উপস্থাপন করা হত। (গ) মায়ান ক্যালেন্ডার সিস্টেমের সাথে সংযোগ মায়ানরা ক্যালেন্ডার তৈরির জন্য তাদের সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করত, বিশেষত হাব এবং ত্জোলকিন ক্যালেন্ডার সিস্টেম। হাব ক্যালেন্ডারটি ৩৬৫ দিনের একটি বছর চক্র নির্দেশ করত, যেখানে ত্জোলকিন ছিল ২৬০ দিনের একটি আধ্যাত্মিক চক্র। বিশেষ করে "বাকতুন," "কাতুন," এবং "তুন" ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করে তারা বিভিন্ন চক্রকে সংজ্ঞায়িত করত, যেখানে প্রতিটি চক্র নির্দিষ্ট দিনের সংখ্যা নির্দেশ করত। (ঘ) মায়ান সংখ্যার লিখন পদ্ধতির উদাহরণ ধরা যাক, আপনি ৩৯৯ সংখ্যাটি লিখতে চাইছেন। একক স্থানে থাকবে ১৯ (•••••••••••••••••)। পরবর্তী স্তরে ১ (যা ২০ গুণ) যোগ হবে। এর ফলে চূড়ান্ত সংখ্যা হবে ৩৯৯। মায়ান সংখ্যা পদ্ধতিতে ৪০০ থেকে বড় সংখ্যাগুলো একাধিক স্তরে লেখা হত। (ঙ) মায়ান গণিতের ব্যবহার মায়ান সভ্যতার লোকেরা এই সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করে বিভিন্ন স্থাপত্য এবং জ্যোতির্বিদ্যার ক্ষেত্রে হিসাব রাখত। তারা জ্যোতির্বিদ্যার মাধ্যমে সূর্যের চক্র, চাঁদের গতিপথ, এবং গ্রহের অবস্থান নির্ধারণ করত। বিশেষত, চন্দ্র ও সৌর ক্রিয়াকলাপের ওপর ভিত্তি করে তারা অত্যন্ত নিখুঁত ক্যালেন্ডার তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল, যা মায়ান সভ্যতার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষের পরিচয় বহন করে। (চ) মায়ান সংখ্যা ও জ্যোতির্বিদ্যা মায়ানরা জ্যোতির্বিজ্ঞানে এতটাই দক্ষ ছিল যে তারা তাদের ক্যালেন্ডারে বিভিন্ন গ্রহের গতিপথ, বিশেষ করে শুক্রগ্রহের চক্র অত্যন্ত নিখুঁতভাবে রেকর্ড করতে পারত। তাদের জ্যোতির্বিজ্ঞানের অনেক ধারণা আজও ব্যবহৃত হয়। মায়ান সংখ্যা পদ্ধতির এক আশ্চর্য দিক হলো, তারা জ্যোতির্বিদ্যার সাথে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও দৈনন্দিন জীবনযাত্রার সংযোগ স্থাপন করত। মায়ান সংখ্যা পদ্ধতির এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যসমূহ এটিকে অত্যন্ত জটিল এবং গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। প্রাচীন সভ্যতাগুলোর মধ্যে এ ধরনের পদ্ধতির ব্যবহার তাদের গণিত, ধর্ম, এবং জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে গভীর আগ্রহ এবং উন্নতির প্রমাণ দেয়। ৪. রোমান সংখ্যা পদ্ধতি রোমান সংখ্যা পদ্ধতি হলো প্রাচীন রোমানদের ব্যবহৃত একটি সংখ্যা পদ্ধতি, যা লাতিন বর্ণমালার অক্ষর দিয়ে সংখ্যা নির্দেশ করে। এটি মূলত একটি অ-বিজ্ঞানী এবং পজিশনাল পদ্ধতি, অর্থাৎ সংখ্যা লেখার জন্য বর্ণমালার নির্দিষ্ট প্রতীকগুলোর পুনরাবৃত্তি এবং সংযোগের মাধ্যমে বড় সংখ্যা তৈরি করা হয়। এই পদ্ধতিটি আধুনিক কালের গণিতের থেকে ভিন্ন, কারণ এতে কোনো শূন্যের ধারণা নেই এবং বিশিষ্ট পজিশনাল গুণন নেই। প্রধান রোমান সংখ্যাগুলো: রোমান সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত প্রধান অক্ষরগুলো হলো: I = 1 V = 5 X = 10 L = 50 C = 100 D = 500 M = 1000 সংখ্যা লেখার নিয়মাবলী: রোমান সংখ্যা পদ্ধতিতে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করে সংখ্যা লেখা হয়: যোগের নিয়ম: রোমান সংখ্যা পদ্ধতিতে একটি অক্ষর যদি তার ডানদিকে সমান বা ছোট অক্ষরের সাথে থাকে, তাহলে সেগুলোর মান যোগ হয়। উদাহরণ: VI = 5 + 1 = 6, এবং XIII = 10 + 1 + 1 + 1 = 13 বিয়োগের নিয়ম: একটি ছোট মানের অক্ষর যদি একটি বড় মানের অক্ষরের বাঁ পাশে থাকে, তাহলে তা বড় মান থেকে বিয়োগ হয়। উদাহরণ: IV = 5 - 1 = 4, এবং IX = 10 - 1 = 9 একই অক্ষরের পুনরাবৃত্তি: I, X, C, এবং M এই অক্ষরগুলো সর্বাধিক তিনবার একত্রে ব্যবহার করা যায়। উদাহরণ: III = 3, XXX = 30, এবং CCC = 300 V, L, এবং D অক্ষরের পুনরাবৃত্তি নিষিদ্ধ: V, L, এবং D অক্ষরগুলো কখনো পুনরাবৃত্তি করা হয় না, অর্থাৎ এই অক্ষরগুলো কেবল একবার ব্যবহৃত হতে পারে। উদাহরণ: VV লিখে ১০ প্রকাশ করা যায় না, তার বদলে X ব্যবহার করতে হবে। উদাহরণ সমূহ: VIII = 5 + 3 = 8 XIV = 10 + (5 - 1) = 14 XXIX = 10 + 10 + (10 - 1) = 29 XLII = (50 - 10) + 2 = 42 XC = (100 - 10) = 90 CXLVII = 100 + (50 - 10) + 5 + 2 = 147 MCMXCIV = 1000 + (1000 - 100) + (100 - 10) + (5 - 1) = 1994 রোমান সংখ্যা পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা: বড় সংখ্যা লেখা কষ্টকর: এই পদ্ধতিতে বড় সংখ্যা লেখার জন্য অনেক বেশি অক্ষর প্রয়োজন হয়, যা এটি কম কার্যকরী করে তোলে। শূন্যের ধারণা নেই: রোমান সংখ্যা পদ্ধতিতে কোনো শূন্যের ধারণা নেই, তাই এটি আধুনিক গণিতের অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে না। গাণিতিক ক্রিয়াকলাপ কষ্টকর: সাধারণ গণিতের ক্ষেত্রে (যেমন যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ) রোমান সংখ্যাগুলি ব্যবহার করে হিসাব করা বেশ জটিল। রোমান সংখ্যা পদ্ধতি মূলত প্রতীকী কাজের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং আধুনিক সংখ্যার পদ্ধতির আগমন হওয়ার পর থেকে এর ব্যবহার কমে এসেছে। তবে এটি এখনও কিছু ঐতিহ্যবাহী ক্ষেত্রে, যেমন ঘড়ি, বইয়ের অধ্যায়, এবং গুরুত্বপূর্ণ উৎসবের তারিখ নির্ধারণের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। গ্রীক সংখ্যা পদ্ধতি গ্রীক সংখ্যা পদ্ধতি হলো প্রাচীন গ্রীক সভ্যতার একটি সংখ্যা ব্যবস্থাপনা, যা লাতিন বর্ণমালার পরিবর্তে গ্রীক বর্ণমালা ব্যবহার করে সংখ্যা প্রকাশ করত। এটি একটি পজিশনাল নয়, বরং একটি আক্ষরিক সংখ্যা পদ্ধতি যেখানে প্রতিটি অক্ষরের নির্দিষ্ট মান থাকে এবং সেগুলোর সংমিশ্রণেই সংখ্যা তৈরি হয়। প্রাচীন গ্রীক সংখ্যা পদ্ধতিতে দুটি প্রধান ধরন রয়েছে: আক্রোফোনিক পদ্ধতি (Acrophonic System) আইওনিক বা আলফাবেটিক পদ্ধতি (Ionic or Alphabetic System) (ক) আক্রোফোনিক পদ্ধতি গ্রীক সংখ্যা ব্যবস্থার প্রাথমিক ধাপ ছিল আক্রোফোনিক পদ্ধতি, যা সাধারণত এথেনীয় গণন পদ্ধতি নামেও পরিচিত। এখানে কয়েকটি প্রধান প্রতীক ব্যবহার করে সংখ্যা প্রকাশ করা হত: Ι = 1 Π = 5 Δ = 10 Η = 100 Χ = 1000 Μ = 10000 এই পদ্ধতি মূলত জটিল সংখ্যার ক্ষেত্রে সমস্যাজনক হয়ে পড়েছিল, তাই এর বিকাশ ঘটে আইওনিক পদ্ধতিতে। (খ) আইওনিক বা আলফাবেটিক পদ্ধতি আইওনিক সংখ্যা পদ্ধতিতে গ্রীক বর্ণমালার ২৪টি বর্ণ ছাড়াও অতিরিক্ত ৩টি প্রাচীন বর্ণ যুক্ত করা হয়, যা মোট ২৭টি বর্ণের ব্যবহার করে সংখ্যা প্রকাশ করত। এই পদ্ধতি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গ্রীক সংখ্যা হিসাবে পরিচিত। প্রধান প্রতীকসমূহ: ১ থেকে ৯: α (১), β (২), γ (৩), δ (৪), ε (৫), ς (৬), ζ (৭), η (৮), θ (৯) ১০ থেকে ৯০ পর্যন্ত (১০ এর গুণ): ι (১০), κ (২০), λ (৩০), μ (৪০), ν (৫০), ξ (৬০), ο (৭০), π (৮০), ϟ (৯০) ১০০ থেকে ৯০০ পর্যন্ত (১০০ এর গুণ): ρ (১০০), σ (২০০), τ (৩০০), υ (৪০০), φ (৫০০), χ (৬০০), ψ (৭০০), ω (৮০০), ϡ (৯০০) সংখ্যা লেখার পদ্ধতি: প্রতিটি সংখ্যা আলাদা আলাদা বর্ণ দ্বারা প্রকাশ করা হয়। যেমন, ২৪৭ সংখ্যাটি হবে σμζ, যেখানে σ = ২০০, μ = ৪০, এবং ζ = ৭। বৃহত্তর সংখ্যার ক্ষেত্রে, সংখ্যার উপরের দিকে একটি ছাঁকা চিহ্ন ব্যবহার করা হত। যেমন, ১০০০-এর উপরে একটি উল্লম্ব রেখা বা ছাঁকা চিহ্ন দিয়ে লেখা হত: α̅ উদাহরণসমূহ: α = 1 ιγ = 13 (ι = ১০, γ = ৩) λβ = 32 (λ = ৩০, β = ২) ωξ = 860 (ω = ৮০০, ξ = ৬০) ρλβ = 132 (ρ = ১০০, λ = ৩০, β = ২) α̅γ = 1003 (α̅ = ১০০০, γ = ৩) গ্রীক সংখ্যা পদ্ধতির বৈশিষ্ট্যসমূহ: শূন্যের অভাব: গ্রীক সংখ্যা পদ্ধতিতে শূন্যের কোনো ধারণা ছিল না, ফলে এটি পূর্ণাঙ্গ গাণিতিক ক্রিয়াকলাপের জন্য ব্যবহার করা কঠিন ছিল। পজিশনাল নয়: গ্রীক সংখ্যা পদ্ধতিতে বর্ণের অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে মান নির্ধারণ করা হয় না; প্রতিটি বর্ণের নিজস্ব একটি নির্দিষ্ট মান রয়েছে। ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ব্যবহার: গ্রীক সংখ্যা পদ্ধতি প্রাচীনকালে বিভিন্ন ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হত। উদাহরণস্বরূপ, তারা সংখ্যাকে পবিত্র বা আধ্যাত্মিক মানে ব্যবহার করত, বিশেষ করে পাইথাগোরিয়ানরা, যারা সংখ্যা এবং তত্ত্বের সংযোগ স্থাপন করেছিল। গ্রীক সংখ্যা পদ্ধতির প্রভাব: গ্রীক সংখ্যা পদ্ধতির ব্যবহারে বিশেষত জ্যোতির্বিজ্ঞান, গণিত এবং দর্শনের ক্ষেত্রে এটি গ্রীকদের প্রাচীনকালের গভীর জ্ঞান ও বিদ্যাকে প্রকাশ করে। যদিও এই পদ্ধতি আধুনিক সংখ্যার পদ্ধতির সাথে খাপ খায় না, তবুও গ্রীক সভ্যতার উন্নত চিন্তাভাবনা ও প্রতীকী যোগাযোগে এটি এক অনন্য উদাহরণ। হিন্দু-আরবিক সংখ্যা পদ্ধতি হিন্দু-আরবিক সংখ্যা পদ্ধতি (Hindu-Arabic Numeral System) হলো আধুনিক বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত সংখ্যা পদ্ধতি, যা হিন্দু-মুসলিম সভ্যতা থেকে বিকশিত হয়ে আরব ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে পশ্চিমা বিশ্বে পৌঁছেছে। এই সংখ্যা পদ্ধতির মূল বৈশিষ্ট্য হলো দশমিক পদ্ধতি বা ডেসিমাল সিস্টেম (Decimal System), যা ১০-ভিত্তিক এবং পজিশনাল। হিন্দু-আরবিক সংখ্যা পদ্ধতির মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ: দশমিক ভিত্তি: এই পদ্ধতি ১০ ভিত্তিক, অর্থাৎ সংখ্যাগুলি ০ থেকে ৯ পর্যন্ত দশটি অঙ্কের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। প্রতিটি অঙ্কের মান তার অবস্থানের উপর নির্ভর করে; যেমন, ৩৫২ সংখ্যাটির ক্ষেত্রে ৩ শতকের স্থানে, ৫ দশকের স্থানে, এবং ২ এককের স্থানে আছে। শূন্যের ব্যবহার: হিন্দু-আরবিক সংখ্যা পদ্ধতিতে শূন্য (০) একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শূন্যের উপস্থিতি সংখ্যা নির্দেশনায় পজিশনাল বা অবস্থানমূলক গুণনকে সম্ভব করেছে, যা গণিতকে আরও সহজ এবং কার্যকর করেছে। শূন্যের ব্যবহার বিখ্যাত ভারতীয় গণিতবিদ আর্যভট্ট এবং ব্রহ্মগুপ্তের মাধ্যমে বিকশিত হয় এবং এটি হিন্দু সভ্যতার গাণিতিক অবদানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পজিশনাল পদ্ধতি: হিন্দু-আরবিক পদ্ধতিতে সংখ্যাগুলির মান তাদের অবস্থানের ওপর নির্ভর করে; যেমন, ১ থেকে ১০ পর্যন্ত একক স্থানে বসানোর মাধ্যমে মূল্য গুণিতক হয়। এ কারণে একই অঙ্ক বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন মূল্য নির্দেশ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ৩২৭ সংখ্যাটিতে ৩ শতকের স্থানে, ২ দশকের স্থানে, এবং ৭ এককের স্থানে আছে। এটি সম্মিলিতভাবে ৩০০ + ২০ + ৭ = ৩২৭ নির্দেশ করে। দশমিক বিন্দু: হিন্দু-আরবিক সংখ্যা পদ্ধতিতে দশমিক সংখ্যার জন্য দশমিক বিন্দু (Decimal Point) ব্যবহার করা হয়। এই বিন্দুর মাধ্যমে পূর্ণ সংখ্যা ও ভগ্নাংশকে আলাদা করা যায়, যা মাপ ও পরিমাপে অত্যন্ত কার্যকর। উদাহরণস্বরূপ, ১২.৫৬ সংখ্যাটির ক্ষেত্রে ১২ পূর্ণ সংখ্যা এবং .৫৬ ভগ্নাংশ নির্দেশ করে। হিন্দু-আরবিক সংখ্যা পদ্ধতির উদাহরণ: ১৫০৮: এখানে ১ হাজার, ৫ শতক, ০ দশক, এবং ৮ এককের স্থানে আছে। ৪৩৯: এটি ৪ শতক, ৩ দশক, এবং ৯ এককের স্থানে আছে। ৭.২৫: এখানে পূর্ণ সংখ্যা ৭ এবং দশমিক পর ভগ্নাংশ ২৫ আছে। ইতিহাস ও বিকাশ: এই সংখ্যা পদ্ধতির বিকাশ ভারতীয় উপমহাদেশে প্রাচীনকালে শুরু হয় এবং সময়ের সাথে আরব ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে এটি ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে। পশ্চিমা দুনিয়া হিন্দু-আরবিক সংখ্যা পদ্ধতি গ্রহণ করে এবং এটি আধুনিক বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। ভারতীয় গণিতবিদ ব্রহ্মগুপ্ত (৫৯৮–৬৬৮ খ্রিস্টাব্দে) প্রথম শূন্যের গাণিতিক প্রয়োগ ও নিয়মাবলী নির্ধারণ করেন। পরে আরব গণিতবিদ আল-খোয়ারিজমি (৭৮০–৮৫০ খ্রিস্টাব্দে) এই পদ্ধতিকে প্রচার ও জনপ্রিয় করেন। হিন্দু-আরবিক সংখ্যা পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য ও সুবিধা: সুবিন্যস্ত ও সহজ গাণিতিক ক্রিয়াকলাপ: হিন্দু-আরবিক সংখ্যা পদ্ধতিতে গণিতের চারটি প্রধান ক্রিয়াকলাপ (যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ) সহজে করা যায়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে প্রভাব: এই পদ্ধতি বর্তমান বিজ্ঞানের ভিত্তি হয়ে উঠেছে, কারণ এর সাহায্যে জটিল গাণিতিক হিসাব খুব সহজে করা সম্ভব। জ্যামিতি এবং গণিতের উন্নয়নে অবদান: এই পদ্ধতি পিথাগোরাস তত্ত্ব, ক্যালকুলাস, এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমান যুগে, হিন্দু-আরবিক সংখ্যা পদ্ধতি বিশ্বের প্রতিটি দেশেই ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি গণিতের সহজতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করেছে এবং বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে অবদান রেখেছে। শূন্যের ধারণা ও উদ্ভব শূন্যের ধারণা ও উদ্ভব মানব সভ্যতার গণিতের ইতিহাসে একটি বিপ্লবী পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। শূন্য কেবলমাত্র একটি সংখ্যা নয়, বরং এটি গণিতের পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতিতে অগ্রগতি আনার মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে। শূন্যের ধারণা মূলত ভারতীয় উপমহাদেশে উদ্ভব ঘটে, যা পরে আরব ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। শূন্যের উদ্ভব ও ইতিহাস: প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতা: শূন্যের ধারণা প্রথমে ভারতেই বিকশিত হয়েছিল। খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ অব্দ থেকে এর ব্যবহার দেখা যায়, তবে খ্রিস্টাব্দ ৫ম এবং ৬ষ্ঠ শতকে এটি আরও প্রতিষ্ঠিত হয়ে ওঠে। ভারতীয় গণিতবিদ আর্যভট্ট এবং পরে ব্রহ্মগুপ্ত শূন্যের গাণিতিক নিয়ম তৈরি করেন এবং এর ব্যবহারিক প্রয়োগ প্রদর্শন করেন। ব্রহ্মগুপ্ত শূন্যের গুণ, ভাগ, যোগ এবং বিয়োগ সম্পর্কিত নিয়মাবলী নির্ধারণ করেন। ব্রহ্মগুপ্তের অবদান (৫৯৮–৬৬৮ খ্রিস্টাব্দে): ব্রহ্মগুপ্ত প্রথম গণিতবিদ যিনি শূন্যকে গণিতের পূর্ণাঙ্গ সংখ্যা হিসেবে ব্যবহার করেছেন এবং এর গাণিতিক নিয়মাবলী তৈরি করেছেন। তিনি শূন্যকে ‘শূন্যম’ নামে উল্লেখ করেছেন এবং দেখিয়েছেন কিভাবে শূন্যকে অন্য সংখ্যার সাথে যোগ, বিয়োগ, গুণ এবং ভাগের মাধ্যমে ব্যবহৃত করা যায়। বিশেষ করে তিনি দেখিয়েছিলেন শূন্য এবং একটি নেগেটিভ সংখ্যার গুণফল শূন্য হয়। আরব দুনিয়ায় শূন্যের প্রচলন: ভারতীয় শূন্য ধারণা আরব গণিতবিদদের মাধ্যমে পশ্চিমা দুনিয়ায় পৌঁছায়। আরব বিজ্ঞানী আল-খোয়ারিজমি (৭৮০–৮৫০ খ্রিস্টাব্দে) হিন্দু-আরবিক সংখ্যা পদ্ধতি ও শূন্যের ধারণা সম্পর্কে বিস্তারিত লেখেন, যা ইউরোপে গণিতের উন্নতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। শূন্যকে "সিফর" নামে উল্লেখ করা হয়, যা পরে "সিফার" বা "সিফরো" নামে পরিচিতি পায় এবং ‘সিফার’ শব্দটি থেকে ‘সিফারো’ বা ‘জিরো’ শব্দের উৎপত্তি ঘটে। ইউরোপে শূন্যের প্রবেশ ও গৃহীত হওয়া: ইতালিয় গণিতবিদ ফিবোনাচ্চি (লিওনার্দো অব পিসা) তার বই “লিবার আবাচি” (১২০২ Read the full article
0 notes
iotrecruiter · 3 years ago
Photo
Tumblr media
What Can You Expect from IoT Recruiting.
Our promise to you is that you’ll always know what to expect from us. When you submit your CV to IoT Recruiting, you’re going to find that you’re working with a company that is unlike any other search company, any other headhunter, any other IoT recruiter that you’ve ever worked with.
We use state of the art technology to find our clients and to vet our talent. At IoT Recruiting, we’re known for our expertise in the industry. We offer top career choices with globally known brands and companies who offer you growth and assistance in your career.
At IoT Recruiting we’ll help to prepare you for the interview process, offering you training and preparation for the interview, acceptance, resignation and even counter offers by your current employer so that you know what to do in any given situation.
IOT Recruiting provides you with tools and educational resources to help you to get where you want to be.
If you’re a job seeker who would like to speak with us, we’d love the opportunity to talk to you.
For More Information Visit My Website:- https://iotrecruiter.co/
0 notes
datanext-blog · 6 years ago
Photo
Tumblr media
Apart from this we also help you gain complete knowledge in various tools like R programming, Python, Statistics, Machine Learning (ML), Deep Learning, Natural Language Process (NLP), Neural Networks, Artificial Intelligence (AI), etc. Over a period of time, these tools have gained the most significant place in the process of learning a data science course. Therefore, for the one who is aspiring to be a data scientist, it becomes very essential to learn these tools. Also, one could easily get access to analytical thinking as the statistical and analytical with algorithms have always been the core of the data science course.
Also, apart from being the most demanded jobs, a person who learns a Data Science course can also work for different fields like a Machine learning engineer, or an Application development analyst, Full-stack engineer, Big Data developer. It has got many diversified roots in a single course.
0 notes
ideatorstech · 6 years ago
Link
How to Become a Data Scientist.Read More: //bit.ly/2OPMrmc
0 notes
afsainfosystems · 4 years ago
Photo
Tumblr media
7 Big Data wishes for 2021to know more Visit: http://afsainfosystems.com #AFSAInfosystems#BigData #BigDataScience #IoT #ML #AI #DigitalTransformation #businessgrowth #GrowthHacking #FullStack #security #Cloud #CloudComputing #fullstackdevelopment #DataScience #Business #Growth 
6 notes · View notes
domnicw031992 · 4 years ago
Photo
Tumblr media
7 Big Data wishes for 2021
to know more Visit: -  http://afsainfosystems.com
#AFSAInfosystems
#BigData #BigDataScience #IoT #ML #AI #DigitalTransformation #businessgrowth #GrowthHacking #FullStack #security #Cloud #CloudComputing #fullstackdevelopment #DataScience #Business #Growth
0 notes
pantechelearning · 5 years ago
Photo
Tumblr media
DATA SCIENCE TOP FREE ONLINE COURSE Currently, in the industry, there is a high demand for skilled and certified Data Scientists. They are one of the highest-paid professionals in the IT industry. The courses in the field of Data Science teach students how to apply statistical techniques, business intelligence, and analytical systems to reach their targets. Stay ahead of the competitors in the job market by doing a course. Pantech eLearning is an Online Learning Service provider in Chennai. We are offering courses in Data Science. These courses will help you to learn the techniques and skills necessary to build a successful career as a Data Scientist. The courses are totally free of cost and you will get a lifetime access. The total course duration is 2 weeks. Also, you will get guidance from our experienced trainers at Pantech. https://ift.tt/3m8XQMD #datascience #datascienceforbusiness #datasciencefordummies #datasciencemachinelearning #bigdatascience #becomingadatascientist #learningdatascience #datascienceplatform #datasciencesoftware #datascienceandbigdataanalytics #datascienceanalytics #datasciencetechnologies #aidatascience #datasciencetraining #datascienceeducation #learning #training #online #besttraining #course #education #career #development #skillsdevelopment #chennai #India https://instagr.am/p/CIqFrSJpMO4/
0 notes
iotrecruiter · 3 years ago
Text
IOT recruiter | Career In Artificial Intelligence | Big Data Technologies
https://iotrecruiter.co/
We operate within a number of defined sectors across the IoT Markets.
(Digital Transformation)
Digital transformation is the integration of digital technology into all areas of a business, fundamentally changing how you operate and deliver value to customers.
(Machine Learning)
Machine learning (ML) is a type of artificial intelligence (AI) that allows software applications to become more accurate at predicting outcomes without being explicitly programmed to do so
(Industrial Automation)
Industrial automation is the use of control systems, such as computers or robots, and information technologies for handling different processes.
(Artificial Intelligence)
Artificial intelligence (AI) refers to the simulation of human intelligence in machines that are programmed to think like humans and mimic their actions.
(Big Data)
The definition of big data is data that contains greater variety, arriving in increasing volumes and with more velocity.
(Blockchain)
A blockchain is a decentralized, distributed, and oftentimes public, digital ledger consisting of records called blocks that are used to record transactions.
1 note · View note
datanext-blog · 6 years ago
Text
Importance of Informatics Research Labs in Big Data Analytics Training
Tumblr media
Data Next intends to produce the best and finest professionals from our institute as Big data Developer, Big data Architect, Big data Engineer, Admin and so on. The significance of big data meets the demand for skillful experts and we apprehend the desire of many professionals as well as industries who are keen to be part of the big data business, as we produced nearly 200 certified professionals within few years and accommodated them in top industries. Our industry expert trainers can train professionals and beginners with flexibility, dedication towards every individual.
Data Next with peculiar training methods of its own and 100% job assurance with huge success rate, destined to be the best software institute for Big Data Analytics training across the world. Apart from Big Data Analytics training, we offer ADVANCED DATA SCIENCE training, AMAZON WEB SERVICES (AWS) training, ROBOTIC PROCESS AUTOMATION (RPA) course training and DIGITAL MARKETING course training programs with certification from Innomatics research labs and other top MNCs. FOR MORE 
0 notes
gsearchnetwork3 · 4 years ago
Photo
Tumblr media Tumblr media
Best Data Science Training in Bangalore. NPN Training is the Best Data Scientist Certification Training Institute in Bangalore with real time projects
0 notes
afsainfosystems · 3 years ago
Photo
Tumblr media
7 Big Data wishes for 2022
To know more Visit:- http://afsainfosystems.com
#AFSAInfosystems
#BigData #BigDataScience #IoT #ML #AI #DigitalTransformation #businessgrowth #GrowthHacking #FullStack #security #Cloud #CloudComputing #fullstackdevelopment #DataScience #Business #Growth
1 note · View note
pantechelearning · 5 years ago
Photo
Tumblr media
ONLINE DATA SCIENCE COURSE FOR BEGINNERS Data science is an essential part of any industry today, given the massive amounts of data that are produced. Data science is one of the most debated topics in the industries these days. Its popularity has grown over the years, and companies have started implementing data science techniques to grow their business and increase customer satisfaction. It uses complex machine learning algorithms to build predictive models. A Beginner’s Guide to Data Science. Pantech eLearning is providing a course in Data Science for beginners. One of the most relevant data science skills is the ability to evaluate Machine Learning and the knowledge in Python programming language. We also have these courses for those who wish to learn. You can find all the details about the courses in our website. https://ift.tt/37qQr5Y #datasciencecourseforbeginners #datascieceforbeginners #datascience #datascienceforbusiness #datasciencefordummies #datasciencemachinelearning #bigdatascience #becomingadatascientist #learningdatascience #datascienceplatform #datasciencesoftware #datascienceandbigdataanalytics #datascienceanalytics #datasciencetechnologies #aidatascience #datasciencetraining #datascienceeducation https://instagr.am/p/CIVfqkZJdIV/
0 notes