Tumgik
#tagoot
quransunnahdawah · 2 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ঈমান আনার আগে জরুরি হলো‘তাগুত’ বর্জন করা।
তাগুত শব্দের মূল অর্থ হলো সীমা লঙ্ঘন। পরিভাষায়, মানুষ আল্লাহ ছাড়া অন্য যা কিছু #প্রভু ও উপাস্য হিসেবে গ্রহণ করে, তা-ই ‘তাগুত’। একজন মানুষ মুসলিম হওয়ার প্রথম ধাপ হলো ঈমান_আনা। কিন্তু ঈমান আনার আগে তার জন্য জরুরি হলো তাগুত_বর্জন করা। এদিকে ইঙ্গিত করে প্রথমে ‘তাগুত’ ত্যাগ করতে বলা হয়েছে, পরে ঈমান আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি তাগুতকে অস্বীকার করে ও আল্লাহর ওপর ঈমান আনে, অবশ্যই সে দৃঢ়তর রজ্জু আঁকড়ে ধরে, যা কখনো ছিন্ন হওয়ার নয়...।’ আল কোরআন, (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৫৬)
তাওহীদের মৌলিক উপাদান (রুকন) তথা لا إله إلا لله ‘র মৌলিক উপাদান
রুকন হচ্ছে এমন বিষয়, যার অনুপস্থিতিতে অন্য একটি বিষয়ের অনুপস্থিতি অপরিহার্য হয়ে উঠে। রুকন অবশ্যই মূল বিষয়টির অন্তর্গত হওয়া চাই। যেহেতু রুকন কোন জিনিসের আভ্যন্তরীণ বা ভেতরের বিষয়,সেহেতু শুদ্ধ হওয়ার বিষয়টি এর উপর নির্ভরশীল। অতএব কোন জিনিসের রুকন ব্যতীত তা সহীহ বা শুদ্ধ হয় না। রুকন কি জিনিস, এটা জানার পর আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে যে, যে তাওহীদ আল্লাহ তায়ালা আপনার ওপর ওয়াজিব করে দিয়েছেন, সে তাওহীদেরও সালাতের মতোই রুকন আছে। সালাত যেমন তার রুকন যথা- তাকবীরে তাহরিমা, রকু, সেজদা, শেষ বৈঠক ইত্যাদি আদায় করা ব্যতীত শুদ্ধ হয় না, কোনো ব্যক্তি যদি সালাতের কোনো রুকন বাদ দেয় তাহলে তার সালাত যেমন ভাবে বাতিল হয়ে যায়, তেমনি ভাবে কোনো ব্যক্তি যদি তাওহীদের কোনো একটি রুকন বাদ দেয়, তাহলে সে ব্যক্তিও আল্লাহর একত্বে বিশ্বাসী ব্যক্তিতে পরিণত হতে পারবে না। এমতাবস্থায় কলেমা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ‘ তার কোনো কাজে আসবে না, সে আর মুসলিম থাকবে না বরং সে কাফেরে পরিণত হয়ে যাবে।
তাওহীদের দুটি রুকন (মৌলিক উপাদান) তাওহীদ��র প্রথম রুকন বা মৌলিক বিষয় হচ্ছে “কুফর বিত ত্বাগুত বা তাগুতকে অস্বীকার করা”। আর দ্বিতীয় রুকন বা মৌলিক বিষয় হচ্ছে “ঈমান বিল্লাহ বা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা”। এর প্রমাণ হচ্ছে, আল্লাহ তায়ালার নিম্মোক্ত বানীঃ “যে ব্যক্তি তাগুতকে অস্বীকার করলো আর আল্লাহর প্রতি ঈমান আনলো, সে এমন এক শক্ত রজ্জু ধারণ করলো যা কখনো ছিড়ে যাবার নয়”। (আল-বাক্বারাহ ২: ২৫৬)
ﺎ ﻣ ﺑ ﻠ উপরোক্ত আয়াতের فمن يكفر الطاغوت হচেছ ১ম রোকন, ﺆن ﺑ ہ ل হচেছ ২য় রোকন এবং العروة الوثقى (শক্ত রজ্জু) বলতে কলেমা কে বুঝানো হয়েছে। আর এটাই মূলতঃ তাওহীদের কলেমা।
সহীহ মুসলিম বর্ণিত হাদীসে রাসল (সঃ) ইরশাদ করেছেনঃ “যে ব্যক্তি লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বললো আর আল্লাহ ছাড়া অন্য সকল উপাস্যকে অস্বীকার করলো তার জান ও মাল পবিত্র “(অর্থাৎ কাফেরদের জান ও মালের মতো গনিমতের মাল নয়।) এবং তার হিসাবের ভার আল্লাহর ওপরই ন্যস্ত (অর্থাৎ মনের কুফরীর বিচার আল্লাহই করবেন।)
প্রথম রুকনঃ তাগুতকে অস্বীকার করা
প্রিয় পাঠক ! (আল্লাহ আপনাকে সঠিক পথের দিশা দান করন) আপনাকে জেনে রাখতে হবে যে, তাগুতের কুফরী ব্যতীত একজন বান্দা কখনো “মুওয়াহ্যিদ” (আল্লাহর একত্বে বিশ্বাসী) হতে পারে না। আর তাগুত কি জিনিস তা জানা ব্যতীত, তাগুতকে অস্বীকার করা কখনো সম্ভব নয়।
তাগুত এর আভিধানিক সংজ্ঞাঃ তাগুত শব্দের অর্থ হচ্ছে সীমালংঘনকারী, আল্লাহদ্রোহী, বিপথে পরিচালনাকারী। তাগুত শব্দটি আরবী (তুগইয়ান) শব্দ থেকে উৎসারিত, যার অর্থ সীমালংঘন করা, বাড়াবাড়ি করা, স্বেচ্ছাচারিতা। শব্দের ক্রিয়ামূল (ত্বগা) এবং বহুবচন । যেমন পানির একটি নির্দিষ্ট সীমা আছে। নূহ (আঃ) এর সময় যখন জলোচ্ছাস হয়েছিল তখন পানি তার এ সীমা অতিক্রম করেছিল, এ ঘটনাকে কোরআনে এভাবে বলা হয়েছেঃ ‘‘যখন জ্বলোচ্ছাস হয়েছিল তখন আমি তোমাদেরকে চলন্ত নৌযানে আরোহন করিয়েছিলাম”। (সূরা, হাক্কা-৬৯:১১)
কুরআনুল কারীমে আল্লাহ বলেন. আর আমি অবশ্যই প্রত্যেক জাতিতে একজন রাসূল প্রেরণ করেছি যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর এবং পরিহার কর তাগূতকে। অতঃপর তাদের মধ্য থেকে আল্লাহ কাউকে হিদায়াত দিয়েছেন এবং তাদের মধ্য থেকে কারো উপর পথভ্রষ্টতা সাব্যস্ত হয়েছে। সুতরাং তোমরা যমীনে ভ্রমণ কর অতঃপর দেখ, অস্বীকারকারীদের পরিণতি কীরূপ হয়েছে। সুরা নাহল আয়াত ৩৬
লা ইলাহা: কোন উপাস্য নেই, ইল্লাল্লাহ: আল্লাহ ব্যতীত। এই বাক্যটি সংক্ষেপে : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বাক্যটি আরবি ভাষার বিশেষ রীতিতে গঠিত। প্রথম অংশ না বাচক দ্বারা সব উপাস্যকে বাদ দেয়া হয়েছে। পরের অংশ দ্বারা আল্লাহকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এভাবে কোন বিষয়কে জোর দেয়া হয়। এর তাৎপর্য হচ্ছে - আল্লাহ একক ও একমাত্র উপাস্য। জীবনের প্রতিটি বিষয়ে একমাত্র আল্লাহর আদেশ-নিষেধের অনুসরণ করতে হবে। আল্লাহ প্রদত্ত কোন বিধানের বিপরীতে অন্য কারো বিন্দুমাত্র অনুসরণ করা যাবে না। এই বিষয়গুলো জেনে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বাক্যটি উচ্চারণ করার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি ইসলামে প্রবেশ করে।
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহ্‌ ছাড়া কোনো 'সত্য উপাস্য' নাই।
তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্‌র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্‌র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
 'লাইলাহা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব বা তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্‌র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্‌র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
প্রধান প্রধান তাগুত
তাগুতের সংখ্যা অনেক। তবে পাঁচ ধরণের তাগুত নেতৃত্বের আসনে রয়েছেঃ
১. গায়রুলাহর ইবাদতের দিকে আহবানকারী শয়তান;
২. আল্লাহর আইন পরিবর্তনকারী জালেম শাসক;
৩. আল্লাহ তা‘য়ালার নাযিলকৃত বিধান ছাড়া যে বিচার-ফায়সালা করে;
৪. আল্লাহ ব্যতীত যে ব্যক্তি এলমে গায়েব জানে বলে দাবী করে;
৫. আল্লাহ ছাড়া যার ইবাদত করা হয় এবং সে এই ইবাদত গ্রহণে রাজি বা খুশি থাকে;
নিজেকে ঈমানদার বলে দাবী করতে হলে সবার আগে তাগুতকে অস্বীকার করতে হবে! ওয়াল্লাহি! তাগুতকে অস্বীকার করা ব্যতীত, কেউ মুসলিম হতে পারে না।
ঈমান আনার আগে জরুরি হলো‘তাগুত’ বর্জন করা।
রাজনীতির সর্বোচ্চ হল 'লাইলাহা ইল্লাল্লাহ
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 2 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ঈমান আনার আগে জরুরি হলো‘তাগুত’ বর্জন করা।
তাগুত শব্দের মূল অর্থ হলো সীমা লঙ্ঘন। পরিভাষায়, মানুষ আল্লাহ ছাড়া অন্য যা কিছু #প্রভু ও উপাস্য হিসেবে গ্রহণ করে, তা-ই ‘তাগুত’। একজন মানুষ মুসলিম হওয়ার প্রথম ধাপ হলো ঈমান_আনা। কিন্তু ঈমান আনার আগে তার জন্য জরুরি হলো তাগুত_বর্জন করা। এদিকে ইঙ্গিত করে প্রথমে ‘তাগুত’ ত্যাগ করতে বলা হয়েছে, পরে ঈমান আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি তাগুতকে অস্বীকার করে ও আল্লাহর ওপর ঈমান আনে, অবশ্যই সে দৃঢ়তর রজ্জু আঁকড়ে ধরে, যা কখনো ছিন্ন হওয়ার নয়...।’ আল কোরআন, (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৫৬)
তাওহীদের মৌলিক উপাদান (রুকন) তথা لا إله إلا لله ‘র মৌলিক উপাদান
রুকন হচ্ছে এমন বিষয়, যার অনুপস্থিতিতে অন্য একটি বিষয়ের অনুপস্থিতি অপরিহার্য হয়ে উঠে। রুকন অবশ্যই মূল বিষয়টির অন্তর্গত হওয়া চাই। যেহেতু রুকন কোন জিনিসের আভ্যন্তরীণ বা ভেতরের বিষয়,সেহেতু শুদ্ধ হওয়ার বিষয়টি এর উপর নির্ভরশীল। অতএব কোন জিনিসের রুকন ব্যতীত তা সহীহ বা শুদ্ধ হয় না। রুকন কি জিনিস, এটা জানার পর আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে যে, যে তাওহীদ আল্লাহ তায়ালা আপনার ওপর ওয়াজিব করে দিয়েছেন, সে তাওহীদেরও সালাতের মতোই রুকন আছে। সালাত যেমন তার রুকন যথা- তাকবীরে তাহরিমা, রকু, সেজদা, শেষ বৈঠক ইত্যাদি আদায় করা ব্যতীত শুদ্ধ হয় না, কোনো ব্যক্তি যদি সালাতের কোনো রুকন বাদ দেয় তাহলে তার সালাত যেমন ভাবে বাতিল হয়ে যায়, তেমনি ভাবে কোনো ব্যক্তি যদি তাওহীদের কোনো একটি রুকন বাদ দেয়, তাহলে সে ব্যক্তিও আল্লাহর একত্বে বিশ্বাসী ব্যক্তিতে পরিণত হতে পারবে না। এমতাবস্থায় কলেমা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ‘ তার কোনো কাজে আসবে না, সে আর মুসলিম থাকবে না বরং সে কাফেরে পরিণত হয়ে যাবে।
তাওহীদের দুটি রুকন (মৌলিক উপাদান) তাওহীদের প্রথম রুকন বা মৌলিক বিষয় হচ্ছে “কুফর বিত ত্বাগুত বা তাগুতকে অস্বীকার করা”। আর দ্বিতীয় রুকন বা মৌলিক বিষয় হচ্ছে “ঈমান বিল্লাহ বা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা”। এর প্রমাণ হচ্ছে, আল্লাহ তায়ালার নিম্মোক্ত বানীঃ “যে ব্যক্তি তাগুতকে অস্বীকার করলো আর আল্লাহর প্রতি ঈমান আনলো, সে এমন এক শক্ত রজ্জু ধারণ করলো যা কখনো ছিড়ে যাবার নয়”। (আল-বাক্বারাহ ২: ২৫৬)
ﺎ ﻣ ﺑ ﻠ উপরোক্ত আয়াতের فمن يكفر الطاغوت হচেছ ১ম রোকন, ﺆن ﺑ ہ ل হচেছ ২য় রোকন এবং العروة الوثقى (শক্ত রজ্জু) বলতে কলেমা কে বুঝানো হয়েছে। আর এটাই মূলতঃ তাওহীদের কলেমা।
সহীহ মুসলিম বর্ণিত হাদীসে রাসল (সঃ) ইরশাদ করেছেনঃ “যে ব্যক্তি লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বললো আর আল্লাহ ছাড়া অন্য সকল উপাস্যকে অস্বীকার করলো তার জান ও মাল পবিত্র “(অর্থাৎ কাফেরদের জান ও মালের মতো গনিমতের মাল নয়।) এবং তার হিসাবের ভার আল্লাহর ওপরই ন্যস্ত (অর্থাৎ মনের কুফরীর বিচার আল্লাহই করবেন।)
প্রথম রুকনঃ তাগুতকে অস্বীকার করা
প্রিয় পাঠক ! (আল্লাহ আপনাকে সঠিক পথের দিশা দান করন) আপনাকে জেনে রাখতে হবে যে, তাগুতের কুফরী ব্যতীত একজন বান্দা কখনো “মুওয়াহ্যিদ” (আল্লাহর একত্বে বিশ্বাসী) হতে পারে না। আর তাগুত কি জিনিস তা জানা ব্যতীত, তাগুতকে অস্বীকার করা কখনো সম্ভব নয়।
তাগুত এর আভিধানিক সংজ্ঞাঃ তাগুত শব্দের অর্থ হচ্ছে সীমালংঘনকারী, আল্লাহদ্রোহী, বিপথে পরিচালনাকারী। তাগুত শব্দটি আরবী (তুগইয়ান) শব্দ থেকে উৎসারিত, যার অর্থ সীমালংঘন করা, বাড়াবাড়ি করা, স্বেচ্ছাচারিতা। শব্দের ক্রিয়ামূল (ত্বগা) এবং বহুবচন । যেমন পানির একটি নির্দিষ্ট সীমা আছে। নূহ (আঃ) এর সময় যখন জলোচ্ছাস হয়েছিল তখন পানি তার এ সীমা অতিক্রম করেছিল, এ ঘটনাকে কোরআনে এভাবে বলা হয়েছেঃ ‘‘যখন জ্বলোচ্ছাস হয়েছিল তখন আমি তোমাদেরকে চলন্ত নৌযানে আরোহন করিয়েছিলাম”। (সূরা, হাক্কা-৬৯:১১)
কুরআনুল কারীমে আল্লাহ বলেন. আর আমি অবশ্যই প্রত্যেক জাতিতে একজন রাসূল প্রেরণ করেছি যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর এবং পরিহার কর তাগূতকে। অতঃপর তাদের মধ্য থেকে আল্লাহ কাউকে হিদায়াত দিয়েছেন এবং তাদের মধ্য থেকে কারো উপর পথভ্রষ্টতা সাব্যস্ত হয়েছে। সুতরাং তোমরা যমীনে ভ্রমণ কর অতঃপর দেখ, অস্বীকারকারীদের পরিণতি কীরূপ হয়েছে। সুরা নাহল আয়াত ৩৬
লা ইলাহা: কোন উপাস্য নেই, ইল্লাল্লাহ: আল্লাহ ব্যতীত। এই বাক্যটি সংক্ষেপে : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বাক্যটি আরবি ভাষার বিশেষ রীতিতে গঠিত। প্রথম অংশ না বাচক দ্বারা সব উপাস্যকে বাদ দেয়া হয়েছে। পরের অংশ দ্বারা আল্লাহকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এভাবে কোন বিষয়কে জোর দেয়া হয়। এর তাৎপর্য হচ্ছে - আল্লাহ একক ও একমাত্র উপাস্য। জীবনের প্রতিটি বিষয়ে একমাত্র আল্লাহর আদেশ-নিষেধের অনুসরণ করতে হবে। আল্লাহ প্রদত্ত কোন বিধানের বিপরীতে অন্য কারো বিন্দুমাত্র অনুসরণ করা যাবে না। এই বিষয়গুলো জেনে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বাক্যটি উচ্চারণ করার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি ইসলামে প্রবেশ করে।
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহ্‌ ছাড়া কোনো 'সত্য উপাস্য' নাই।
তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্‌র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্‌র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
 'লাইলাহা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব বা তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্‌র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্‌র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
প্রধান প্রধান তাগুত
তাগুতের সংখ্যা অনেক। তবে পাঁচ ধরণের তাগুত নেতৃত্বের আসনে রয়েছেঃ
১. গায়রুলাহর ইবাদতের দিকে আহবানকারী শয়তান;
২. আল্লাহর আইন পরিবর্তনকারী জালেম শাসক;
৩. আল্লাহ তা‘য়ালার নাযিলকৃত বিধান ছাড়া যে বিচার-ফায়সালা করে;
৪. আল্লাহ ব্যতীত যে ব্যক্তি এলমে গায়েব জানে বলে দাবী করে;
৫. আল্লাহ ছাড়া যার ইবাদত করা হয় এবং সে এই ইবাদত গ্রহণে রাজি বা খুশি থাকে;
নিজেকে ঈমানদার বলে দাবী করতে হলে সবার আগে তাগুতকে অস্বীকার করতে হবে! ওয়াল্লাহি! তাগুতকে অস্বীকার করা ব্যতীত, কেউ মুসলিম হতে পারে না।
ঈমান আনার আগে জরুরি হলো‘তাগুত’ বর্জন করা।
রাজনীতির সর্বোচ্চ হল 'লাইলাহা ইল্লাল্লাহ
0 notes
ilyforallahswt · 2 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ঈমান আনার আগে জরুরি হলো‘তাগুত’ বর্জন করা।
তাগুত শব্দের মূল অর্থ হলো সীমা লঙ্ঘন। পরিভাষায়, মানুষ আল্লাহ ছাড়া অন্য যা কিছু #প্রভু ও উপাস্য হিসেবে গ্রহণ করে, তা-ই ‘তাগুত’। একজন মানুষ মুসলিম হওয়ার প্রথম ধাপ হলো ঈমান_আনা। কিন্তু ঈমান আনার আগে তার জন্য জরুরি হলো তাগুত_বর্জন করা। এদিকে ইঙ্গিত করে প্রথমে ‘তাগুত’ ত্যাগ করতে বলা হয়েছে, পরে ঈমান আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি তাগুতকে অস্বীকার করে ও আল্লাহর ওপর ঈমান আনে, অবশ্যই সে দৃঢ়তর রজ্জু আঁকড়ে ধরে, যা কখনো ছিন্ন হওয়ার নয়...।’ আল কোরআন, (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৫৬)
তাওহীদের মৌলিক উপাদান (রুকন) তথা لا إله إلا لله ‘র মৌলিক উপাদান
রুকন হচ্ছে এমন বিষয়, যার অনুপস্থিতিতে অন্য একটি বিষয়ের অনুপস্থিতি অপরিহার্য হয়ে উঠে। রুকন অবশ্যই মূল বিষয়টির অন্তর্গত হওয়া চাই। যেহেতু রুকন কোন জিনিসের আভ্যন্তরীণ বা ভেতরের বিষয়,সেহেতু শুদ্ধ হওয়ার বিষয়টি এর উপর নির্ভরশীল। অতএব কোন জিনিসের রুকন ব্যতীত তা সহীহ বা শুদ্ধ হয় না। রুকন কি জিনিস, এটা জানার পর আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে যে, যে তাওহীদ আল্লাহ তায়ালা আপনার ওপর ওয়াজিব করে দিয়েছেন, সে তাওহীদেরও সালাতের মতোই রুকন আছে। সালাত যেমন তার রুকন যথা- তাকবীরে তাহরিমা, রকু, সেজদা, শেষ বৈঠক ইত্যাদি আদায় করা ব্যতীত শুদ্ধ হয় না, কোনো ব্যক্তি যদি সালাতের কোনো রুকন বাদ দেয় তাহলে তার সালাত যেমন ভাবে বাতিল হয়ে যায়, তেমনি ভাবে কোনো ব্যক্তি যদি তাওহীদের কোনো একটি রুকন বাদ দেয়, তাহলে সে ব্যক্তিও আল্লাহর একত্বে বিশ্বাসী ব্যক্তিতে পরিণত হতে পারবে না। এমতাবস্থায় কলেমা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ‘ তার কোনো কাজে আসবে না, সে আর মুসলিম থাকবে না বরং সে কাফেরে পরিণত হয়ে যাবে।
তাওহীদের দুটি রুকন (মৌলিক উপাদান) তাওহীদের প্রথম রুকন বা মৌলিক বিষয় হচ্ছে “কুফর বিত ত্বাগুত বা তাগুতকে অস্বীকার করা”। আর দ্বিতীয় রুকন বা মৌলিক বিষয় হচ্ছে “ঈমান বিল্লাহ বা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা”। এর প্রমাণ হচ্ছে, আল্লাহ তায়ালার নিম্মোক্ত বানীঃ “যে ব্যক্তি তাগুতকে অস্বীকার করলো আর আল্লাহর প্রতি ঈমান আনলো, সে এমন এক শক্ত রজ্জু ধারণ করলো যা কখনো ছিড়ে যাবার নয়”। (আল-বাক্বারাহ ২: ২৫৬)
ﺎ ﻣ ﺑ ﻠ উপরোক্ত আয়াতের فمن يكفر الطاغوت হচেছ ১ম রোকন, ﺆن ﺑ ہ ل হচেছ ২য় রোকন এবং العروة الوثقى (শক্ত রজ্জু) বলতে কলেমা কে বুঝানো হয়েছে। আর এটাই মূলতঃ তাওহীদের কলেমা।
সহীহ মুসলিম বর্ণিত হাদীসে রাসল (সঃ) ইরশাদ করেছেনঃ “যে ব্যক্তি লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বললো আর আল্লাহ ছাড়া অন্য সকল উপাস্যকে অস্বীকার করলো তার জান ও মাল পবিত্র “(অর্থাৎ কাফেরদের জান ও মালের মতো গনিমতের মাল নয়।) এবং তার হিসাবের ভার আল্লাহর ওপরই ন্যস্ত (অর্থাৎ মনের কুফরীর বিচার আল্লাহই করবেন���)
প্রথম রুকনঃ তাগুতকে অস্বীকার করা
প্রিয় পাঠক ! (আল্লাহ আপনাকে সঠিক পথের দিশা দান করন) আপনাকে জেনে রাখতে হবে যে, তাগুতের কুফরী ব্যতীত একজন বান্দা কখনো “মুওয়াহ্যিদ” (আল্লাহর একত্বে বিশ্বাসী) হতে পারে না। আর তাগুত কি জিনিস তা জানা ব্যতীত, তাগুতকে অস্বীকার করা কখনো সম্ভব নয়।
তাগুত এর আভিধানিক সংজ্ঞাঃ তাগুত শব্দের অর্থ হচ্ছে সীমালংঘনকারী, আল্লাহদ্রোহী, বিপথে পরিচালনাকারী। তাগুত শব্দটি আরবী (তুগইয়ান) শব্দ থেকে উৎসারিত, যার অর্থ সীমালংঘন করা, বাড়াবাড়ি করা, স্বেচ্ছাচারিতা। শব্দের ক্রিয়ামূল (ত্বগা) এবং বহুবচন । যেমন পানির একটি নির্দিষ্ট সীমা আছে। নূহ (আঃ) এর সময় যখন জলোচ্ছাস হয়েছিল তখন পানি তার এ সীমা অতিক্রম করেছিল, এ ঘটনাকে কোরআনে এভাবে বলা হয়েছেঃ ‘‘যখন জ্বলোচ্ছাস হয়েছিল তখন আমি তোমাদেরকে চলন্ত নৌযানে আরোহন করিয়েছিলাম”। (সূরা, হাক্কা-৬৯:১১)
কুরআনুল কারীমে আল্লাহ বলেন. আর আমি অবশ্যই প্রত্যেক জাতিতে একজন রাসূল প্রেরণ করেছি যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর এবং পরিহার কর তাগূতকে। অতঃপর তাদের মধ্য থেকে আল্লাহ কাউকে হিদায়াত দিয়েছেন এবং তাদের মধ্য থেকে কারো উপর পথভ্রষ্টতা সাব্যস্ত হয়েছে। সুতরাং তোমরা যমীনে ভ্রমণ কর অতঃপর দেখ, অস্বীকারকারীদের পরিণতি কীরূপ হয়েছে। সুরা নাহল আয়াত ৩৬
লা ইলাহা: কোন উপাস্য নেই, ইল্লাল্লাহ: আল্লাহ ব্যতীত। এই বাক্যটি সংক্ষেপে : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বাক্যটি আরবি ভাষার বিশেষ রীতিতে গঠিত। প্রথম অংশ না বাচক দ্বারা সব উপাস্যকে বাদ দেয়া হয়েছে। পরের অংশ দ্বারা আল্লাহকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এভাবে কোন বিষয়কে জোর দেয়া হয়। এর তাৎপর্য হচ্ছে - আল্লাহ এক�� ও একমাত্র উপাস্য। জীবনের প্রতিটি বিষয়ে একমাত্র আল্লাহর আদেশ-নিষেধের অনুসরণ করতে হবে। আল্লাহ প্রদত্ত কোন বিধানের বিপরীতে অন্য কারো বিন্দুমাত্র অনুসরণ করা যাবে না। এই বিষয়গুলো জেনে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বাক্যটি উচ্চারণ করার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি ইসলামে প্রবেশ করে।
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহ্‌ ছাড়া কোনো 'সত্য উপাস্য' নাই।
তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্‌র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্‌র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
 'লাইলাহা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব বা তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্‌র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্‌র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
প্রধান প্রধান তাগুত
তাগুতের সংখ্যা অনেক। তবে পাঁচ ধরণের তাগুত নেতৃত্বের আসনে রয়েছেঃ
১. গায়রুলাহর ইবাদতের দিকে আহবানকারী শয়তান;
২. আল্লাহর আইন পরিবর্তনকারী জালেম শাসক;
৩. আল্লাহ তা‘য়ালার নাযিলকৃত বিধান ছাড়া যে বিচার-ফায়সালা করে;
৪. আল্লাহ ব্যতীত যে ব্যক্তি এলমে গায়েব জানে বলে দাবী করে;
৫. আল্লাহ ছাড়া যার ইবাদত করা হয় এবং সে এই ইবাদত গ্রহণে রাজি বা খুশি থাকে;
নিজেকে ঈমানদার বলে দাবী করতে হলে সবার আগে তাগুতকে অস্বীকার করতে হবে! ওয়াল্লাহি! তাগুতকে অস্বীকার করা ব্যতীত, কেউ মুসলিম হতে পারে না।
ঈমান আনার আগে জরুরি হলো‘তাগুত’ বর্জন করা।
রাজনীতির সর্বোচ্চ হল 'লাইলাহা ইল্লাল্লাহ
0 notes
myreligionislam · 2 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ঈমান আনার আগে জরুরি হলো‘তাগুত’ বর্জন করা।
তাগুত শব্দের মূল অর্থ হলো সীমা লঙ্ঘন। পরিভাষায়, মানুষ আল্লাহ ছাড়া অন্য যা কিছু #প্রভু ও উপাস্য হিসেবে গ্রহণ করে, তা-ই ‘তাগুত’। একজন মানুষ মুসলিম হওয়ার প্রথম ধাপ হলো ঈমান_আনা। কিন্তু ঈমান আনার আগে তার জন্য জরুরি হলো তাগুত_বর্জন করা। এদিকে ইঙ্গিত করে প্রথমে ‘তাগুত’ ত্যাগ করতে বলা হয়েছে, পরে ঈমান আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি তাগুতকে অস্বীকার করে ও আল্লাহর ওপর ঈমান আনে, অবশ্যই সে দৃঢ়তর রজ্জু আঁকড়ে ধরে, যা কখনো ছিন্ন হওয়ার নয়...।’ আল কোরআন, (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৫৬)
তাওহীদের মৌলিক উপাদান (রুকন) তথা لا إله إلا لله ‘র মৌলিক উপাদান
রুকন হচ্ছে এমন বিষয়, যার অনুপস্থিতিতে অন্য একটি বিষয়ের অনুপস্থিতি অপরিহার্য হয়ে উঠে। রুকন অবশ্যই মূল বিষয়টির অন্তর্গত হওয়া চাই। যেহেতু রুকন কোন জিনিসের আভ্যন্তরীণ বা ভেতরের বিষয়,সেহেতু শুদ্ধ হওয়ার বিষয়টি এর উপর নির্ভরশীল। অতএব কোন জিনিসের রুকন ব্যতীত তা সহীহ বা শুদ্ধ হয় না। রুকন কি জিনিস, এটা জানার পর আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে যে, যে তাওহীদ আল্লাহ তায়ালা আপনার ওপর ওয়াজিব করে দিয়েছেন, সে তাওহীদেরও সালাতের মতোই রুকন আছে। সালাত যেমন তার রুকন যথা- তাকবীরে তাহরিমা, রকু, সেজদা, শেষ বৈঠক ইত্যাদি আদায় করা ব্যতীত শুদ্ধ হয় না, কোনো ব্যক্তি যদি সালাতের কোনো রুকন বাদ দেয় তাহলে তার সালাত যেমন ভাবে বাতিল হয়ে যায়, তেমনি ভাবে কোনো ব্যক্তি যদি তাওহীদের কোনো একটি রুকন বাদ দেয়, তাহলে সে ব্যক্তিও আল্লাহর একত্বে বিশ্বাসী ব্যক্তিতে পরিণত হতে পারবে না। এমতাবস্থায় কলেমা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ‘ তার কোনো কাজে আসবে না, সে আর মুসলিম থাকবে না বরং সে কাফেরে পরিণত হয়ে যাবে।
তাওহীদের দুটি রুকন (মৌলিক উপাদান) তাওহীদের প্রথম রুকন বা মৌলিক বিষয় হচ্ছে “কুফর বিত ত্বাগুত বা তাগুতকে অস্বীকার করা”। আর দ্বিতীয় রুকন বা মৌলিক বিষয় হচ্ছে “ঈমান বিল্লাহ বা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা”। এর প্রমাণ হচ্ছে, আল্লাহ তায়ালার নিম্মোক্ত বানীঃ “যে ব্যক্তি তাগুতকে অস্বীকার করলো আর আল্লাহর প্রতি ঈমান আনলো, সে এমন এক শক্ত রজ্জু ধারণ করলো যা কখনো ছিড়ে যাবার নয়”। (আল-বাক্বারাহ ২: ২৫৬)
ﺎ ﻣ ﺑ ﻠ উপরোক্ত আয়াতের فمن يكفر الطاغوت হচেছ ১ম রোকন, ﺆن ﺑ ہ ل হচেছ ২য় রোকন এবং العروة الوثقى (শক্ত রজ্জু) বলতে কলেমা কে বুঝানো হয়েছে। আর এটাই মূলতঃ তাওহীদের কলেমা।
সহীহ মুসলিম বর্ণিত হাদীসে রাসল (সঃ) ইরশাদ করেছেনঃ “যে ব্যক্তি লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বললো আর আল্লাহ ছাড়া অন্য সকল উপাস্যকে অস্বীকার করলো তার জান ও মাল পবিত্র “(অর্থাৎ কাফেরদের জান ও মালের মতো গনিমতের মাল নয়।) এবং তার হিসাবের ভার আল্লাহর ওপরই ন্যস্ত (অর্থাৎ মনের কুফরীর বিচার আল্লাহই করবেন।)
প্রথম রুকনঃ তাগুতকে অস্বীকার করা
প্রিয় পাঠক ! (আল্লাহ আপনাকে সঠিক পথের দিশা দান করন) আপনাকে জেনে রাখতে হবে যে, তাগুতের কুফরী ব্যতীত একজন বান্দা কখনো “মুওয়াহ্যিদ” (আল্লাহর একত্বে বিশ্বাসী) হতে পারে না। আর তাগুত কি জিনিস তা জানা ব্যতীত, তাগুতকে অস্বীকার করা কখনো সম্ভব নয়।
তাগুত এর আভিধানিক সংজ্ঞাঃ তাগুত শব্দের অর্থ হচ্ছে সীমালংঘনকারী, আল্লাহদ্রোহী, বিপথে পরিচালনাকারী। তাগুত শব্দটি আরবী (তুগইয়ান) শব্দ থেকে উৎসারিত, যার অর্থ সীমালংঘন করা, বাড়াবাড়ি করা, স্বেচ্ছাচারিতা। শব্দের ক্রিয়ামূল (ত্বগা) এবং বহুবচন । যেমন পানির একটি নির্দিষ্ট সীমা আছে। নূহ (আঃ) এর সময় যখন জলোচ্ছাস হয়েছিল তখন পানি তার এ সীমা অতিক্রম করেছিল, এ ঘটনাকে কোরআনে এভাবে বলা হয়েছেঃ ‘‘যখন জ্বলোচ্ছাস হয়েছিল তখন আমি তোমাদেরকে চলন্ত নৌযানে আরোহন করিয়েছিলাম”। (সূরা, হাক্কা-৬৯:১১)
কুরআনুল কারীমে আল্লাহ বলেন. আর আমি অবশ্যই প্রত্যেক জাতিতে একজন রাসূল প্রেরণ করেছি যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর এবং পরিহার কর তাগূতকে। অতঃপর তাদের মধ্য থেকে আল্লাহ কাউকে হিদায়াত দিয়েছেন এবং তাদের মধ্য থেকে কারো উপর পথভ্রষ্টতা সাব্যস্ত হয়েছে। সুতরাং তোমরা যমীনে ভ্রমণ কর অতঃপর দেখ, অস্বীকারকারীদের পরিণতি কীরূপ হয়েছে। সুরা নাহল আয়াত ৩৬
লা ইলাহা: কোন উপাস্য নেই, ইল্লাল্লাহ: আল্লাহ ব্যতীত। এই বাক্যটি সংক্ষেপে : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বাক্যটি আরবি ভাষার বিশেষ রীতিতে গঠিত। প্রথম অংশ না বাচক দ্বারা সব উপাস্যকে বাদ দেয়া হয়েছে। পরের অংশ দ্বারা আল্লাহকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এভাবে কোন বিষয়কে জোর দেয়া হয়। এর তাৎপর্য হচ্ছে - আল্লাহ একক ও একমাত্র উপাস্য। জীবনের প্রতিটি বিষয়ে একমাত্র আল্লাহর আদেশ-নিষেধের অনুসরণ করতে হবে। আল্লাহ প্রদত্ত কোন বিধানের বিপরীতে অন্য কারো বিন্দুমাত্র অনুসরণ করা যাবে না। এই বিষয়গুলো জেনে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বাক্যটি উচ্চারণ করার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি ইসলামে প্রবেশ করে।
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহ্‌ ছাড়া কোনো 'সত্য উপাস্য' নাই।
তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্‌র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্‌র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
 'লাইলাহা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব বা তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্‌র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্‌র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
প্রধান প্রধান তাগুত
তাগুতের সংখ্যা অনেক। তবে পাঁচ ধরণের তাগুত নেতৃত্বের আসনে রয়েছেঃ
১. গায়রুলাহর ইবাদতের দিকে আহবানকারী শয়তান;
২. আল্লাহর আইন পরিবর্তনকারী জালেম শাসক;
৩. আল্লাহ তা‘য়ালার নাযিলকৃত বিধান ছাড়া যে বিচার-ফায়সালা করে;
৪. আল্লাহ ব্যতীত যে ব্যক্তি এলমে গায়েব জানে বলে দাবী করে;
৫. আল্লাহ ছাড়া যার ইবাদত করা হয় এবং সে এই ইবাদত গ্রহণে রাজি বা খুশি থাকে;
নিজেকে ঈমানদার বলে দাবী করতে হলে সবার আগে তাগুতকে অস্বীকার করতে হবে! ওয়াল্লাহি! তাগুতকে অস্বীকার করা ব্যতীত, কেউ মুসলিম হতে পারে না।
ঈমান আনার আগে জরুরি হলো‘তাগুত’ বর্জন করা।
রাজনীতির সর্বোচ্চ হল 'লাইলাহা ইল্লাল্লাহ
0 notes
allahisourrabb · 2 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ঈমান আনার আগে জরুরি হলো‘তাগুত’ বর্জন করা।
তাগুত শব্দের মূল অর্থ হলো সীমা লঙ্ঘন। পরিভাষায়, মানুষ আল্লাহ ছাড়া অন্য যা কিছু #প্রভু ও উপাস্য হিসেবে গ্রহণ করে, তা-ই ‘তাগুত’। একজন মানুষ মুসলিম হওয়ার প্রথম ধাপ হলো ঈমান_আনা। কিন্তু ঈমান আনার আগে তার জন্য জরুরি হলো তাগুত_বর্জন করা। এদিকে ইঙ্গিত করে প্রথমে ‘তাগুত’ ত্যাগ করতে বলা হয়েছে, পরে ঈমান আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি তাগুতকে অস্বীকার করে ও আল্লাহর ওপর ঈমান আনে, অবশ্যই সে দৃঢ়তর রজ্জু আঁকড়ে ধরে, যা কখনো ছিন্ন হওয়ার নয়...।’ আল কোরআন, (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৫৬)
তাওহীদের মৌলিক উপাদান (রুকন) তথা لا إله إلا لله ‘র মৌলিক উপাদান
রুকন হচ্ছে এমন বিষয়, যার অনুপস্থিতিতে অন্য একটি বিষয়ের অনুপস্থিতি অপরিহার্য হয়ে উঠে। রুকন অবশ্যই মূল বিষয়টির অন্তর্গত হওয়া চাই। যেহেতু রুকন কোন জিনিসের আভ্যন্তরীণ বা ভেতরের বিষয়,সেহেতু শুদ্ধ হওয়ার বিষয়টি এর উপর নির্ভরশীল। অতএব কোন জিনিসের রুকন ব্যতীত তা সহীহ বা শুদ্ধ হয় না। রুকন কি জিনিস, এটা জানার পর আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে যে, যে তাওহীদ আল্লাহ তায়ালা আপনার ওপর ওয়াজিব করে দিয়েছেন, সে তাওহীদেরও সালাতের মতোই রুকন আছে। সালাত যেমন তার রুকন যথা- তাকবীরে তাহরিমা, রকু, সেজদা, শেষ বৈঠক ইত্যাদি আদায় করা ব্যতীত শুদ্ধ হয় না, কোনো ব্যক্তি যদি সালাতের কোনো রুকন বাদ দেয় তাহলে তার সালাত যেমন ভাবে বাতিল হয়ে যায়, তেমনি ভাবে কোনো ব্যক্তি যদি তাওহীদের কোনো একটি রুকন বাদ দেয়, তাহলে সে ব্যক্তিও আল্লাহর একত্বে বিশ্বাসী ব্যক্তিতে পরিণত হতে পারবে না। এমতাবস্থায় কলেমা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ‘ তার কোনো কাজে আসবে না, সে আর মুসলিম থাকবে না বরং সে কাফেরে পরিণত হয়ে যাবে।
তাওহীদের দুটি রুকন (মৌলিক উপাদান) তাওহীদের প্রথম রুকন বা মৌলিক বিষয় হচ্ছে “কুফর বিত ত্বাগুত বা তাগুতকে অস্বীকার করা”। আর দ্বিতীয় রুকন বা মৌলিক বিষয় হচ্ছে “ঈমান বিল্লাহ বা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা”। এর প্রমাণ হচ্ছে, আল্লাহ তায়ালার নিম্মোক্ত বানীঃ “যে ব্যক্তি তাগুতকে অস্বীকার করলো আর আল্লাহর প্রতি ঈমান আনলো, সে এমন এক শক্ত রজ্জু ধারণ করলো যা কখনো ছিড়ে যাবার নয়”। (আল-বাক্বারাহ ২: ২৫৬)
ﺎ ﻣ ﺑ ﻠ উপরোক্ত আয়াতের فمن يكفر الطاغوت হচেছ ১ম রোকন, ﺆن ﺑ ہ ل হচেছ ২য় রোকন এবং العروة الوثقى (শক্ত রজ্জু) বলতে কলেমা কে বুঝানো হয়েছে। আর এটাই মূলতঃ তাওহীদের কলেমা।
সহীহ মুসলিম বর্ণিত হাদীসে রাসল (সঃ) ইরশাদ করেছেনঃ “যে ব্যক্তি লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বললো আর আল্লাহ ছাড়া অন্য সকল উপাস্যকে অস্বীকার করলো তার জান ও মাল পবিত্র “(অর্থাৎ কাফেরদের জান ও মালের মতো গনিমতের মাল নয়।) এবং তার হিসাবের ভার আল্লাহর ওপরই ন্যস্ত (অর্থাৎ মনের কুফরীর বিচার আল্লাহই করবেন।)
প্রথম রুকনঃ তাগুতকে অস্বীকার করা
প্রিয় পাঠক ! (আল্লাহ আপনাকে সঠিক পথের দিশা দান করন) আপনাকে জেনে রাখতে হবে যে, তাগুতের কুফরী ব্যতীত একজন বান্দা কখনো “মুওয়াহ্যিদ” (আল্লাহর একত্বে বিশ্বাসী) হতে পারে না। আর তাগুত কি জিনিস তা জানা ব্যতীত, তাগুতকে অস্বীকার করা কখনো সম্ভব নয়।
তাগুত এর আভিধানিক সংজ্ঞাঃ তাগুত শব্দের অর্থ হচ্ছে সীমালংঘনকারী, আল্লাহদ্রোহী, বিপথে পরিচালনাকারী। তাগুত শব্দটি আরবী (তুগইয়ান) শব্দ থেকে উৎসারিত, যার অর্থ সীমালংঘন করা, বাড়াবাড়ি করা, স্বেচ্ছাচারিতা। শব্দের ক্রিয়ামূল (ত্বগা) এবং বহুবচন । যেমন পানির একটি নির্দিষ্ট সীমা আছে। নূহ (আঃ) এর সময় যখন জলোচ্ছাস হয়েছিল তখন পানি তার এ সীমা অতিক্রম করেছিল, এ ঘটনাকে কোরআনে এভাবে বলা হয়েছেঃ ‘‘যখন জ্বলোচ্ছাস হয়েছিল তখন আমি তোমাদেরকে চলন্ত নৌযানে আরোহন করিয়েছিলাম”। (সূরা, হাক্কা-৬৯:১১)
কুরআনুল কারীমে আল্লাহ বলেন. আর আমি অবশ্যই প্রত্যেক জাতিতে একজন রাসূল প্রেরণ করেছি যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর এবং পরিহার কর তাগূতকে। অতঃপর তাদের মধ্য থেকে আল্লাহ কাউকে হিদায়াত দিয়েছেন এবং তাদের মধ্য থেকে কারো উপর পথভ্রষ্টতা সাব্যস্ত হয়েছে। সুতরাং তোমরা যমীনে ভ্রমণ কর অতঃপর দেখ, অস্বীকারকারীদের পরিণতি কীরূপ হয়েছে। সুরা নাহল আয়াত ৩৬
লা ইলাহা: কোন উপাস্য নেই, ইল্লাল্লাহ: আল্লাহ ব্যতীত। এই বাক্যটি সংক্ষেপে : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বাক্যটি আরবি ভাষার বিশেষ রীতিতে গঠিত। প্রথম অংশ না বাচক দ্বারা সব উপাস্যকে বাদ দেয়া হয়েছে। পরের অংশ দ্বারা আল্লাহকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এভাবে কোন বিষয়কে জোর দেয়া হয়। এর তাৎপর্য হচ্ছে - আল্লাহ একক ও একমাত্র উপাস্য। জীবনের প্রতিটি বিষয়ে একমাত্র আল্লাহর আদেশ-নিষেধের অনুসরণ করতে হবে। আল্লাহ প্রদত্ত কোন বিধানের বিপরীতে অন্য কারো বিন্দুমাত্র অনুসরণ করা যাবে না। এই বিষয়গুলো জেনে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বাক্যটি উচ্চারণ করার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি ইসলামে প্রবেশ করে।
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহ্‌ ছাড়া কোনো 'সত্য উপাস্য' নাই।
তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-���ুবুবিয়াহ (আল্লাহ্‌র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্‌র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
 'লাইলাহা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব বা তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্‌র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্‌র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
প্রধান প্রধান তাগুত
তাগুতের সংখ্যা অনেক। তবে পাঁচ ধরণের তাগুত নেতৃত্বের আসনে রয়েছেঃ
১. গায়রুলাহর ইবাদতের দিকে আহবানকারী শয়তান;
২. আল্লাহর আইন পরিবর্তনকারী জালেম শাসক;
৩. আল্লাহ তা‘য়ালার নাযিলকৃত বিধান ছাড়া যে বিচার-ফায়সালা করে;
৪. আল্লাহ ব্যতীত যে ব্যক্তি এলমে গায়েব জানে বলে দাবী করে;
৫. আল্লাহ ছাড়া যার ইবাদত করা হয় এবং সে এই ইবাদত গ্রহণে রাজি বা খুশি থাকে;
নিজেকে ঈমানদার বলে দাবী করতে হলে সবার আগে তাগুতকে অস্বীকার করতে হবে! ওয়াল্লাহি! তাগুতকে অস্বীকার করা ব্যতীত, কেউ মুসলিম হতে পারে না।
ঈমান আনার আগে জরুরি হলো‘তাগুত’ বর্জন করা।
রাজনীতির সর্বোচ্চ হল 'লাইলাহা ইল্লাল্লাহ
0 notes
mylordisallah · 2 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ঈমান আনার আগে জরুরি হলো‘তাগুত’ বর্জন করা।
তাগুত শব্দের মূল অর্থ হলো #সীমা_লঙ্ঘন। পরিভাষায়, মানুষ আল্লাহ ছাড়া অন্য যা কিছু #প্রভু ও উপাস্য হিসেবে গ্রহণ করে, তা-ই ‘তাগুত’। একজন মানুষ মুসলিম হওয়ার প্রথম ধাপ হলো ঈমান_আনা। কিন্তু ঈমান আনার আগে তার জন্য জরুরি হলো তাগুত_বর্জন করা। এদিকে ইঙ্গিত করে প্রথমে ‘তাগুত’ ত্যাগ করতে বলা হয়েছে, পরে ঈমান আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি তাগুতকে অস্বীকার করে ও আল্লাহর ওপর ঈমান আনে, অবশ্যই সে দৃঢ়তর রজ্জু আঁকড়ে ধরে, যা কখনো ছিন্ন হওয়ার নয়...।’ আল কোরআন, (���ুরা বাকারা, আয়াত : ২৫৬)
তাওহীদের মৌলিক উপাদান (রুকন) তথা لا إله إلا لله ‘র মৌলিক উপাদান
রুকন হচ্ছে এমন বিষয়, যার অনুপস্থিতিতে অন্য একটি বিষয়ের অনুপস্থিতি অপরিহার্য হয়ে উঠে। রুকন অবশ্যই মূল বিষয়টির অন্তর্গত হওয়া চাই। যেহেতু রুকন কোন জিনিসের আভ্যন্তরীণ বা ভেতরের বিষয়,সেহেতু শুদ্ধ হওয়ার বিষয়টি এর উপর নির্ভরশীল। অতএব কোন জিনিসের রুকন ব্যতীত তা সহীহ বা শুদ্ধ হয় না। রুকন কি জিনিস, এটা জানার পর আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে যে, যে তাওহীদ আল্লাহ তায়ালা আপনার ওপর ওয়াজিব করে দিয়েছেন, সে তাওহীদেরও সালাতের মতোই রুকন আছে। সালাত যেমন তার রুকন যথা- তাকবীরে তাহরিমা, রকু, সেজদা, শেষ বৈঠক ইত্যাদি আদায় করা ব্যতীত শুদ্ধ হয় না, কোনো ব্যক্তি যদি সালাতের কোনো রুকন বাদ দেয় তাহলে তার সালাত যেমন ভাবে বাতিল হয়ে যায়, তেমনি ভাবে কোনো ব্যক্তি যদি তাওহীদের কোনো একটি রুকন বাদ দেয়, তাহলে সে ব্যক্তিও আল্লাহর একত্বে বিশ্বাসী ব্যক্তিতে পরিণত হতে পারবে না। এমতাবস্থায় কলেমা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ‘ তার কোনো কাজে আসবে না, সে আর মুসলিম থাকবে না বরং সে কাফেরে পরিণত হয়ে যাবে।
তাওহীদের দুটি রুকন (মৌলিক উপাদান) তাওহীদের প্রথম রুকন বা মৌলিক বিষয় হচ্ছে “কুফর বিত ত্বাগুত বা তাগুতকে অস্বীকার করা”। আর দ্বিতীয় রুকন বা মৌলিক বিষয় হচ্ছে “ঈমান বিল্লাহ বা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা”। এর প্রমাণ হচ্ছে, আল্লাহ তায়ালার নিম্মোক্ত বানীঃ “যে ব্যক্তি তাগুতকে অস্বীকার করলো আর আল্লাহর প্রতি ঈমান আনলো, সে এমন এক শক্ত রজ্জু ধারণ করলো যা কখনো ছিড়ে যাবার নয়”। (আল-বাক্বারাহ ২: ২৫৬)
ﺎ ﻣ ﺑ ﻠ উপরোক্ত আয়াতের فمن يكفر الطاغوت হচেছ ১ম রোকন, ﺆن ﺑ ہ ل হচেছ ২য় রোকন এবং العروة الوثقى (শক্ত রজ্জু) বলতে কলেমা কে বুঝানো হয়েছে। আর এটাই মূলতঃ তাওহীদের কলেমা।
সহীহ মুসলিম বর্ণিত হাদীসে রাসল (সঃ) ইরশাদ করেছেনঃ “যে ব্যক্তি লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বললো আর আল্লাহ ছাড়া অন্য সকল উপাস্যকে অস্বীকার করলো তার জান ও মাল পবিত্র “(অর্থাৎ কাফেরদের জান ও মালের মতো গনিমতের মাল নয়।) এবং তার হিসাবের ভার আল্লাহর ওপরই ন্যস্ত (অর্থাৎ মনের কুফরীর বিচার আল্লাহই করবেন।)
প্রথম রুকনঃ তাগুতকে অস্বীকার করা
প্রিয় পাঠক ! (আল্লাহ আপনাকে সঠিক পথের দিশা দান করন) আপনাকে জেনে রাখতে হবে যে, তাগুতের কুফরী ব্যতীত একজন বান্দা কখনো “মুওয়াহ্যিদ” (আল্লাহর একত্বে বিশ্বাসী) হতে পারে না। আর তাগুত কি জিনিস তা জানা ব্যতীত, তাগুতকে অস্বীকার করা কখনো সম্ভব নয়।
তাগুত এর আভিধানিক সংজ্ঞাঃ তাগুত শব্দের অর্থ হচ্ছে সীমালংঘনকারী, আল্লাহদ্রোহী, বিপথে পরিচালনাকারী। তাগুত শব্দটি আরবী (তুগইয়ান) শব্দ থেকে উৎসারিত, যার অর্থ সীমালংঘন করা, বাড়াবাড়ি করা, স্বেচ্ছাচারিতা। শব্দের ক্রিয়ামূল (ত্বগা) এবং বহুবচন । যেমন পানির একটি নির্দিষ্ট সীমা আছে। নূহ (আঃ) এর সময় যখন জলোচ্ছাস হয়েছিল তখন পানি তার এ সীমা অতিক্রম করেছিল, এ ঘটনাকে কোরআনে এভাবে বলা হয়েছেঃ ‘‘যখন জ্বলোচ্ছাস হয়েছিল তখন আমি তোমাদেরকে চলন্ত নৌযানে আরোহন করিয়েছিলাম”। (সূরা, হাক্কা-৬৯:১১)
কুরআনুল কারীমে আল্লাহ বলেন. আর আমি অবশ্যই প্রত্যেক জাতিতে একজন রাসূল প্রেরণ করেছি যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর এবং পরিহার কর তাগূতকে। অতঃপর তাদের মধ্য থেকে আল্লাহ কাউকে হিদায়াত দিয়েছেন এবং তাদের মধ্য থেকে কারো উপর পথভ্রষ্টতা সাব্যস্ত হয়েছে। সুতরাং তোমরা যমীনে ভ্রমণ কর অতঃপর দেখ, অস্বীকারকারীদের পরিণতি কীরূপ হয়েছে। সুরা নাহল আয়াত ৩৬
লা ইলাহা: কোন উপাস্য নেই, ইল্লাল্লাহ: আল্লাহ ব্যতীত। এই বাক্যটি সংক্ষেপে : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বাক্যটি আরবি ভাষার বিশেষ রীতিতে গঠিত। প্রথম অংশ না বাচক দ্বারা সব উপাস্যকে বাদ দেয়া হয়েছে। পরের অংশ দ্বারা আল্লাহকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এভাবে কোন বিষয়কে জোর দেয়া হয়। এর তাৎপর্য হচ্ছে - আল্লাহ একক ও একমাত্র উপাস্য। জীবনের প্রতিটি বিষয়ে একমাত্র আল্লাহর আদেশ-নিষেধের অনুসরণ করতে হবে। আল্লাহ প্রদত্ত কোন বিধানের বিপরীতে অন্য কারো বিন্দুমাত্র অনুসরণ করা যাবে না। এই বিষয়গুলো জেনে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বাক্যটি উচ্চারণ করার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি ইসলামে প্রবেশ করে।
youtube
youtube
youtube
youtube
আল্লাহ্‌ ছাড়া কোনো 'সত্য উপাস্য' নাই।
তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্‌র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবল��র একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্‌র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
youtube
 'লাইলাহা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ তাওহীদ হলো আল্লাহর একত্ব ও অদ্বিতীয়তা জানা, বিশ্বাস করা, ঘোষণা করা, মান্য করা। আল্লাহর একত্ব বা তাওহীদ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ (আল্লাহ্‌র প্রভুত্বের ঐক্য বজায় রাখা)। (ii) তাওহীদ আল-আসমা-ওয়াস-সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব বজায় রাখা)। (iii) তাওহীদ আল-ইবাদাহ (ইবাদতের ঐক্য বজায় রাখা)। আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্‌র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আল্লাহ্ এক, একক, চুড়ান্ত, পরিপূর্ণ ও অংশীদারমুক্ত। তাঁর কোনো সমকক্ষ বা সমতুল্য নেই। আল্লাহকে জানতে হবে তাঁর সুন্দরতম নাম ও পরিপূর্ণ গুণাবলী দ্বারা। প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী আদম (আ।) থেকে শেষনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলদের মূল আহবান ছিল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' (আল্লাহ ব্যতীত কোনো 'সত্য উপাস্য' নেই)। যথা: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু শফিউল্লাহ'', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' নুহুন নাজিউল্লাহ '', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ', 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ'। তাওহীদের মূল রোকন তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা।
প্রধান প্রধান তাগুত
তাগুতের সংখ্যা অনেক। তবে পাঁচ ধরণের তাগুত নেতৃত্বের আসনে রয়েছেঃ
১. গায়রুলাহর ইবাদতের দিকে আহবানকারী শয়তান;
২. আল্লাহর আইন পরিবর্তনকারী জালেম শাসক;
৩. আল্লাহ তা‘য়ালার নাযিলকৃত বিধান ছাড়া যে বিচার-ফায়সালা করে;
৪. আল্লাহ ব্যতীত যে ব্যক্তি এলমে গায়েব জানে বলে দাবী করে;
৫. আল্লাহ ছাড়া যার ইবাদত করা হয় এবং সে এই ইবাদত গ্রহণে রাজি বা খুশি থাকে;
নিজেকে ঈমানদার বলে দাবী করতে হলে সবার আগে তাগুতকে অস্বীকার করতে হবে! ওয়াল্লাহি! তাগুতকে অস্বীকার করা ব্যতীত, কেউ মুসলিম হতে পারে না।
ঈমান আনার আগে জরুরি হলো‘তাগুত’ বর্জন করা।
রাজনীতির সর্বোচ্চ হল 'লাইলাহা ইল্লাল্লাহ
0 notes
khutbahs · 3 years
Photo
Tumblr media
তাওহীদের মূল স্তম্ভ হলো তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা #Shahadah #Taghut #Taghout #Tauhid #Tawhid #Allah #LailahaillAllah #Tawheed # #pillar #Faith #Declaration #Eman #Kalema #তাওহিদ উপাস্যের প্রকৃতিকে বুঝায়। তাওহিদ বা তৌহিদ বা তাওহীদ মানে এক করা, একত্ব জাহির করা”। ইসলামে এর অর্থ  উপাস্যের একত্ব, এই অর্থে যে আল্লাহ একমাত্র 'সত্য মাবুদ'। আল্লাহ্‌ এক এবং তিনি ছাড়া কোনো ঈশ্বর নেই, তাওহিদ ইসলাম ধর্মের কেন্দ্রীয়, একক এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ  বিষয়। #তাওহীদের বিপরীত #তাগুত। তাগুত হচ্ছে এমন কিছু আল্লাহর পরিবর্তে বা আল্লাহ্‌র পাশাপাশি যার উপাসনা করা হয়। আগে তাগুত বর্জন করে তাওহীদ গ্রহণ করতে হয়। তাওহীদের ওপর একজন মুসলিমের সম্পূর্ণ ধর্মীয় ��নুগত্য নির্ভর করে। শাহাদাতের প্রথম অংশ (বিশ্বাসের ইসলামী ঘোষণা) হলো ঈশ্বরের একত্বে বিশ্বাসের ঘোষণা। শাহাদাহ তাওহিদের চরম সত্যের সাথে মুসলিমের সংযোগ স্থাপন করে।আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ তাওহীদ ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের প্রথম স্তম্ভ, যা শাহাদার ভিত্তি স্থাপন করে। রাওহীদ মানে এই বিশ্বাস যে একমাত্র আল্লাহ 'সত্য উপাস্য'। আল্লাহ্‌ ছাড়া কোনো সত্য মাবুদ নেই। শাহাদা হচ্ছে আল্লাহর একত্বের পরম সত্য বা মহাসত্যের সাক্ষ্য। শাহাদাহর স্বীকৃতি ও সাক্ষ্য মুসলিমদের নিশ্চিত হতে দেয় যে তাদের সম্পূর্ণ মনোযোগ আল্লাহর দিকে রয়েছে। তাওহীদকে শাহাদাতে পুনরায় জোর করা হয় এবং মুসলমানদেরকে ক্রমাগত আল্লাহর একত্বের কথা মনে করিয়ে দেয়। তাওহিদে বিশ্বাস আল্লাহকে আমাদের স্র��্টা হিসাবে ব্যাখ্যা করে, এটি মানুষের উদ্দেশ্য দেয় এবং একটি বিশ্বাসকে সমর্থন করে যে বিজ্ঞান এবং ধর্ম একসাথে কাজ করতে পারে কারণ বিজ্ঞান আমাদের ঈশ্বরের সৃষ্টি সম্পর্কে বোঝার জন্য সাহায্য করে। https://www.youtube.com/watch?v=a8stioEDbSw&t=6s
https://www.youtube.com/watch?v=cYy0-o94Ey0&t=288s
0 notes
khutbahs · 3 years
Text
Tawheed's main pillar is rejecting Taghut
Tawheed's main pillar is rejecting Taghoot
Tauheed refers to the nature of God. Tawhid or Tawheed or Tauhid means to unite, to show unity ". In Islam, it means the Oneness of God, in the sense that Allah is the Only 'true God'. Allah is the One and there is no God but Him, Tawheed is the central, single and most important aspect of Islam. The opposite of #Tauhid is #Taghut. Taghut is something which is worshiped instead of Allah or besides Allah. Tawheed has to be accepted by rejecting Taghut first. A Muslim's complete religious allegiance depends on Tauhid. The first part of the Shahada (Islamic declaration of faith) is the declaration of faith in the Oneness of God. The Shahada connects the Muslim with the ultimate truth of Tawheed. Tawhid means the belief that Allah Alone is the 'True God'. There is no true God but Allah. Shahada is the proof of the absolute truth of the Oneness of Allah. The recognition and testimony of Shahadah allows Muslims to be sure that their full attention is on Allah. https://www.youtube.com/watch?v=Xnvr8EntOM8&t=326s
https://www.youtube.com/watch?v=Bdn4YKh6tek
4 notes · View notes
khutbahs · 3 years
Link
'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'র অর্থ ও ব্যাখ্যা
তাওহীদ ও তাগুত
তাওহিদ ঈশ্বরের প্রকৃতিকে নির্দেশ করে।
তাওহিদের বিপরীত হলো #তাগুত। তাগুত বর্জন করুন এবং একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করুন। তাগুত হচ্ছে এমন সব কিছু যা আল্লাহর পরিবর্তে ব আল্লাহ্‌র পাশাপাশি উপাসনা করা হয়। তাগুত 'ঈশ্বর ব্যতীত অন্য উপাসনা'র কেন্দ্রবিন্দুকে নির্দেশ করে। শব্দটি পার্থিব অত্যাচারী ক্ষমতার ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা হয়, যেমনটি সূরা আন-নিসা আয়াত ৬০-এ উহ্য রয়েছে। আমরা যখনই আল্লাহর একত্ব বা তাওহিদের কালেমা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ এবং তাঁর রাসুলকে ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (সা.) বলে স্বীকৃতি দেব, তখনই আমাদের সকল প্রকার তাগুতকে অস্বীকার করতে হবে। তাগুতের দোষত্রুটি যাতে আমাদের মধ্যে না থাকে, তার জন্য তাগুতের বিরুদ্ধে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে এবং সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। আল্লাহ ছাড়া যত কিছুর ইবাদত করা হয় সবই তাগুতের অন্তর্ভুক্ত। তাগুত অনেক। তন্মধ্যে প্রধান পাঁচটি। আল্লাহর অভিশাপপ্রাপ্ত ইবলিস, যার পূজা বা উপাসনা করা হয় অথচ সে তাতে রাজি থাকে, যে ব্যক্তি নিজের উপাসনার দিকে মানুষকে আহ্বান করে, যে ব্যক্তি গায়েব জানার দাবী করে এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর অবতীর্ণ শরীয়ত বাদ দিয়ে অন্য কিছু দ্বারা শাসন করে।
তাওহীদ মানে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার একত্বে এবং তাঁর বাণীর স্বতন্ত্রতাকে গ্রহণ এবং বিশ্বাস করা। এর অর্থ একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার ইবাদত তাঁরই বিধান অনুযায়ী করা। এটি আল্লাহর একত্বে বিশ্বাসের স্বাভাবিক পরিণতি। আল্লাহর প্রকৃতি জেনে-বুঝে, তাঁকে সন্তুষ্ট করে ইহকাল ও পরকালে সফলতা লাভের উপায় ও পথ নির্দেশন��� পবিত্র কোরআনে রয়েছে। তাওহিদ - ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের প্রথম শাহাদাতে ব্যক্ত আল্লাহর একত্ব ও একত্বের বিশ্বাস। তাগুত (তাগুত) প্রত্যাখ্যান করা এবং তাওহীদ গ্রহণ করে একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা প্রত্যেক মুসলিমের  ফরজ (বাধ্যতামূলক)।
https://www.youtube.com/watch?v=a8stioEDbSw
https://www.youtube.com/watch?v=nprfXvuGpgM
0 notes