Tumgik
Text
যেভাবে ‘নয়ন বন্ড গ্যাং ০০৭’ এর জন্ম
Tumblr media
Bangla breaking news
বরগুনায় আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা নয়ন বন্ড। পুরো নাম সাব্বির আহম্মেদ নয়ন। দিনে দুপুরে রিফাত শরীফকে তার স্ত্রীর সামনে কুপিয়ে হত্যা করে আলোচনায় আসে এই নয়ন বন্ড।
তার প্রকৃত নাাম সাব্বির আহম্মেদ। নয়ন তার ডাকনাম। হলিউডের নায়ক জেমস বন্ডকে পছন্দ করতো নয়ন। অনুসরণ করতো তাকে। নয়ন বন্ডের ইচ্ছা ছিল হলিউড নায়ক জেমস বন্ডের অনুকরণে নিজেকে গড়ে তোলা। আর সেই চিন্তা থেকেই নিজের ডাকনাম নয়নের সঙ্গে জেমস বন্ডের শেষাংশ যোগ করে হয়ে যায় ‘নয়ন বন্ড’।
গড়ে তোলে ‘নয়ন বন্ড’ বাহিনী। সন্ত্রাস, মাদক চোরাকারবার, ছিনতাই, হত্যা, কুপিয়ে আহত করার মতো বহু ঘটনা ঘটিয়েছে নয়নের এই ‘বন্ড বাহিনী’। বরগুনা শহরে এক ভীতির রাজত্ব কায়েম করেছিলো সে। বরগুনা সরকারি কলেজের পিছনেই তার বাড়ি। কলেজকে কেন্দ্র করে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিলো সে। নিরীহ পথচারী, কিংবা সাধারণ মানুষ তার এলাকা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতেন।
ফেসবুক মেসেঞ্জারে ‘নয়ন বন্ড গ্যাং ০০৭’ নামে একটি গ্রুপ করেছিল সে। মেসেঞ্জারে এই গ্রুপের মাধ্যমে সংগঠিত হয়েই নানা অপকর্ম করতো ‘নয়ন বন্ড বাহিনী’।
আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের আগে মাদকসহ নানা অপরাধে জড়িত থাকায় তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নয়ন বন্ডের বিরুদ্ধে ৮টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় নয়ন বন্ডকে অভিযুক্ত করে বিভিন্ন সময় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। এসব মামলার মধ্যে দুটি মাদক মামলা, একটি অস্ত্র মামলা এবং হত্যাচেষ্টাসহ পাঁচটি মারামারির মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট
নয়ন বন্ডকে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ ২০১৭ সালে সর্বশেষ গ্রেফতার করা হয়েছিলো। পুলিশের খাতায় মাদক চোরাকারবারি হিসেবে তার নাম থাকলেও গত ২ বছরে থেকে সে তার নিজের বাড়িতেই মাদকের আখড়া চালিয়ে এসেছে। অভিযোগ রয়েছে- উঠতি বয়সী ও বখাটেরা নিয়মিত তার বাড়িতে যেতো মাদক সেবনের জন্য।
 আরও পড়ুন : Today bangla news
0 notes
Text
রিফাত হত্যায় জড়িত কেউ রেহাই পাবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
Tumblr media
Today bangla news:
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, রিফাত হত্যা মামলায় জড়িত গ্রেপ্তার অন্য আসামিদের মতো নয়নকেও জীবিত গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। তাকে কেন জীবিত গ্রেপ্তার করা যায়নি সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় সাথে যতো প্রভাবশালী লোকই জড়িত থাকুক না কেন, তাদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। কেউ রেহাই পাবে না। আমরা কেউ চাই না, বরগুনার রিফাত হত্যার মতো কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটুক।
মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘শতবর্ষের পথে বঙ্গবন্ধু ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার শেষে বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি সাব্বির হোসেন নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়া প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন যে, তিনজন নৃশংসভাবে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করেছিল, আমরা তাদের খুঁজছিলাম। আমাদের পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী, আমাদের গোয়েন্দা বাহিনী তার (নয়ন) পিছু নিয়ে সর্বক্ষণ প্রচেষ্টা করছিল তাকে ধরার জন্য। সে ছিলো পলাতক। পুলিশ যখন তাকে ধরার চেষ্টা করছিল তখন সে অস্ত্র প্রদর্শন করেছিল। এই জন্য পুলিশ নিজের জীবন রক্ষার্থেই গুলিবিনিময় করেছে। আর তাতে নয়ন বন্ড নিহত হয়।
তিনি বলেন, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে যে বর্বরতা ছেলেরা চালিয়েছে, এ ধরনের ঘটনা যেন বাংলাদেশে আর না হয় আমরা সেটিই চাই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য যা যা করা দরকার সবই করছেন। এর জন্য কোনো প্রভাবশালী, কোনো জনপ্রতিনিধি বা কোনো নেতা আমাদের কাছে অন্তরায় নয়। যে অন্যায় করবে সে আইনের মুখোমুখি হবে।
এর আগে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বাংলাদেশ থেকে শক্তহাতে জঙ্গি সন্ত্রাস দূর করতে পেরেছি বলেই দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। এ দেশকে আমরা অনেক দূর নিয়ে যাব। বঙ্গবন্ধু যে দেশ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন আমরা তার সেই সোনার বাংলা গড়ে তুলবো। এখন এসে ২০৩০ সালে আমরা যে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে সেই বাংলাদেশ অনেক আগেই হয়ে যেত।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানানোর জন্য তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু যে স্থানে যেতে চেয়েছিলেন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে পথেই হাঁটছেন। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ একটি দেশ উপহার দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিএনপি আমলে এ দেশে জঙ্গির উত্থান হয়েছে। বিএনপি নেতারা সরাসরি জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে জঙ্গিদের উত্থান ঘটেছিল।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। শ্যামলী নাসরীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল এর সঞ্চালনায় সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কবি ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, ক‚টনীতিক ও সাবেক সচিব আতিকুর রহমান, অ্যারোমা দত্ত, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, জাতীয় প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, সোওরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক উত্তম বড়ুয়া, শহীদ কন্যা ডা. নুজহাত চৌধুরী প্রমুখ।
আরও পড়ুন : Today bangla news
0 notes
Text
অপারেশন শেষে আইসিইউতে শাহীন, তদারকি করছেন প্রধানমন্ত্রী
Tumblr media
Today bangla news
ভ্যান চালাতে গিয়ে যাত্রীবেশের দুর্বৃত্তদের আঘাতে গুরুতর আহত কিশোর শাহীনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ(ঢামেক) হাসপাতালে অপারেশন শেষে আইসিইউ’তে রাখা হয়েছে। শনিবার (২৯ জুন) দিবাগত রাত ৩টায় অপারেশন শেষে আইসিইউ’তে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) রাখা হয় তাকে।
এদিকে তার চিকিৎসায় তদারকি করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া এবং ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আশরাফুল আলম খোকন।
ঢামেকে অবস্থানরত ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, শাহীনের চিকিৎসার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। রাত ১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আশরাফুল আলম খোকন ঢামেকে এসে শাহীনের স্বজনের হাতে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে যান। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী তার চিকিৎসা ব্যয়ের পুরো দায়িত্ব নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ছাত্র নেতারা। জানা যায়, অভাবের সংসার ও পারিবারিক অবস্থানের কারণে বেশ কয়েকমাস আগে পড়াশোনা ছেড়ে ভ্যান চালানো শুরু করে শাহীন। একটি ভ্য��ন হওয়ায় বাবা-ছেলে দু’জনে শিফট মেনে ভাড়া চালায় তারা।
আরও পড়ুন: অনলাইন পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদনের সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে: তথ্যমন্ত্রী
শুক্রবার সকালে প্রতিদিনের মতো ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান নিয়ে টাকা রোজগারে বেরিয়েছিল শিশু শাহীন (১৪)। দুপুরের দিকে কয়েকজন ভদ্রবেশধারী দুর্বৃত্ত শাহীনের রিকশা-ভ্যানটি ভাড়া নেয়। শাহীন তাদের নিয়ে সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়ার দিকে রওনা হয়। ধানদিয়া গ্রামের মাঠে ঢুকে একটি পাটখেতের পাশে ওই দুর্বৃত্তরা শাহীনের মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে রিকশা-ভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিল সে। পরে জ্ঞান ফিরে কান্না শুরু করলে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অব��তি হলে তাকে ঢামেকে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন : Today bangla news
0 notes
Text
রেড অ্যালার্টের পর সীমান্তে-বেনাপোলে রিফাত হত্যাকারীদের তালিকা
Tumblr media
Bangla breaking news
বরগুনায় স্ত্রীর সামনে স্বামী রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতারে আগেই রেড অ্যালার্ট জারি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এ ব্যাপারে যশোরের বেনাপোল ও শার্শাসহ দেশের বিভিন্ন সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শনিবার বিকেল থেকে এই সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে ইমিগ্রেশন পুলিশ, থানা পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পাশাপাশি আসামিদের তালিকাও পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে সতর্কতার কারণে বহিরাগতদের ইমিগ্রেশন ভবনে প্রবেশ নিষেধ রয়েছে। পাসপোর্টের ছবির সঙ্গে যাত্রীর চেহারা ও ফিঙ্গার প্রিন্ট মিলিয়ে তবেই ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এদিকে সীমান্ত এলাকাতেই বিজিবির বাড়তি সতর্কতা দেখা গেছে। সন্দেহ হলেই বিজিবি সদস্যরা সীমান্তে বিভিন্ন প্রয়োজনে চলাচলকারীদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) থেকে রিফাত হত্যা মামলার আসামিরা যাতে বেনাপোল ইমিগ্রেশন হয়ে ভারতে যেতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সতর্কতার সঙ্গে প্রতিটি পাসপোর্টযাত্রীর পাসপোর্ট মেশিনে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সেলিম রেজা জানান, সীমান্ত পথে যাতে রিফাত হত্যাকারীরা কোনোভাবে ভারতে পালাতে না পারে, এজন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাদেরকে আসামিদের তথ্য পাঠিয়েছে। বিজিবি সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় আছে। সীমান্ত পথে পালাতে গেলেই তারা ধরা পড়বে।
আরও পড়ুন: অনলাইন পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদনের সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে: তথ্যমন্ত্রী
এদিকে রিফাত শরীফের খুনিরা এখনো গ্রেফতার হয়নি। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় তারা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের দাবি, তারা চেষ্টা চালাচ্ছে গ্রেফতারে। অন্যদিকে চার দিনেও গ্রেফতার না হওয়ায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ এবং বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ মানুষ। তারা হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারসহ সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেছে।
আরও পড়ুন : Today bangla news
0 notes
Text
সিরিয়ায় যাওয়া সিলেটের ‘জিহাদি’ পরিবারের সেই ১২ সদস্য বেঁচে নেই
Tumblr media
Today bangla news
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের মাইজগাঁওয়ের আবদুল মান্নান সপরিবারে স্থায়ীভাবে বসবাস করতো যুক্তরাজ্যের লুটন শহরে। ২০১৫ সালের ১০ এপ্রিল পরিবারের ১২ সদস্যকে নিয়ে বেড়াতে এসেছিলেন গ্রামের বাড়িতে।
একমাস পর ১১ মে তুরস্ক হয়ে তাদের যুক্তরাজ্যে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু তুরস্ক থেকে তারা কথিত জিহাদের জন্য চলে যায় সিরিয়ায়। ফেঞ্চুগঞ্জের সেই ‘জিহাদী’ পরিবারের ১২ সদস্যের কেউই এখন আর বেঁচে নেই। রোগে-শোকে আর বিমান হামলায় মারা গেছেন পরিবারের সবাই।
জানা গেছে, আবদুল মান্নান ডায়াবেটিস ও তার স্ত্রী মিনারা খাতুন ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। তাদের মৃত্যু হয়েছে অসুস্থতায়। পরিবারের তিন পুরুষ সদস্য সিরিয়ায় গিয়ে যোগ দিয়েছিল আইএসে। যুদ্ধে তাদের মৃত্যু হয়। পরিবারের বাকি ৭ নারী ও শিশুর মৃত্যু হয় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায়। ২০১৫ সালের মে মাসে সিরিয়া গেলেও প্রায় দুইমাস পর সিরিয়া থেকে আবদুল মান্নান পরিবারের সদস্যরা একটি বার্তা পাঠিয়ে নিজেদের ইসলামিক স্টেটের প্রতি সমর্থন ঘোষণার কথা জানায়। ওই সময় অনলাইনে একটি ছবিও পোস্ট করে তারা।
ডেইলি মেইল জানায়, মান্নানই ছিলেন যুক্তরাজ্য থেকে আইএস সমর্থন করে সিরিয়ায় পাড়ি জমানো সবচেয়ে বয়স্ক কোন ব্রিটিশ নাগরিক। তবে সিরিয়ায় পাড়ি জমানের কিছু দিনের মধ্যেই রাক্কা শহরে মারা যান আবদুল মান্নান। এর কিছুদিন পর একই শহরে মারা যান তার স্ত্রী মিনারা বেগমও।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে গুরুত্ব পাবে রোহিঙ্গা সংকট
আবদুল মান্নানের তিন ছেলে মোহাম্মদ জায়েদ হোসেন (২৫), মোহাম্মদ তৌফিক হোসেন (১৯) ও মোহাম্মদ আবুল কাশেম (৩১) রাক্কা শহরে অবস্থানকালে আমেরিকান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেয়। এরপর ২০১৭ সালের অক্টোবরে রাক্কা শহর দখলে নেয় আমেরিকান সেনাবাহিনী। এসময় যুদ্ধে জায়েদ ও তৌফিক মারা যান।
রাক্কা শহর আমেরিকান সেনাবাহিনী দখলে নিলে অন্য জিহাদিদের সঙ্গে মান্নানের পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যান বারগুজ শহরে। তবে সেখানেও তাদের শেষ রক্ষা হয়নি। আইএস নিয়ন্ত্রণাধীন শেষ শহর ছিল বারগুজ। গত বছর সেখানে যুদ্ধ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আবদুল মান্নানের বড় ছেলে আবুল কাশেম।
বারগুজ থেকে পালানোর সময় উপর্যুপরি বোমা হামলায় নিহত হন আবদুল মান্নানের পরিবারের নারী ও শিশুসহ ৭ সদস্য। তারা হলেন- আবদুল মান্নানের মেয়ে রাজিয়া খাতুন, ছেলে মোহাম্মদ সালেহ হোসেন, তার স্ত্রী রোশনারা বেগম, তাদের তিন সন্তান ও মান্নানের আরেক পুত্রবধূ সাইদা খানম।
 আরও পড়ুন : Today bangla news
0 notes
Text
হত্যাকারীরা সংগঠিত হয় ‘007’ ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে, স্ক্রিনশট ফাঁস
Tumblr media
Bangla breaking news
বরগুনার চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যার ঘটনায় নিত্য নতুন তথ্য সামনে আসছে। সম্প্রতি এ ঘটনায় অভিযুক্তদের ফেসবুকে কথোপকথন প্রকাশ্যে এসেছে। রিফাতকে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়েও সেখানে কথা হয়। হত্যাকাণ্ডেঅংশ নিতে সেখানে অস্ত্র নিয়ে আসার বিষয়েও নির্দেশনা দেয়া হয়।
ফেসবুকের ওই গ্রুপটির নাম ‘007’। ধারণা করা হচ্ছে হলিউডের জনপ্রিয় থ্রিলার মুভি জেমস বন্ড সিরিজের কোড ‘007’ এর সাথে মিল রেখে গ্রুপটি তৈরি করা হয়। গ্রুপের প্রোফাইলেও সাম্প্রতিক জেমস বন্ড খ্যাত ব্রিটিশ অভিনেতা ডেনিয়েল ক্রেগের ছবিও আছে। এই গ্রুপের প্রধান নয়ন বন্ড। আর সেকেন্ড ইন কমান্ড রিফাত ফরাজী। ফেসবুক গ্রুপে পরিকল্পনাকারীদের কথোপকথনের কিছু স্ক্রিনশটে লেখা ছিল:
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে গুরুত্ব পাবে রোহিঙ্গা সংকট
রিফাত ফরাজী: ‘007’ এর সবাইরে কলেজে দেখতে চাই। মোহাম্মদ: কোথায়?
(কথোপকথনের এই পর্যায়ে সাগর যোগ দেন এবং রিফাত ফরাজীর প্রস্তাবে ‘বিজয় চিহ্ন’র ইমো দেন)
মোহাম্মদ: কোথায় ভাই, রিফাত ফরাজী?
রিফাত ফরাজী: (দায়ের ছবি দিয়ে) পারলে এইটা সহ।
মোহাম্মদ: দা নিয়া আমুনে।
গত বুধবার সকালে বরগুনা সরকারী কলেজ রোডে প্রকাশ্যে স্ত্রীর সামনে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্তরা যাতে পালাতে না পারে সে জন্য সারা দেশে রেড অ্যালার্ট জারি করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
 আরও পড়ুন : Today bangla news
0 notes
Text
ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর
Tumblr media
Bangla breaking news
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের আজকের অঙ্গীকার। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। রোববার সকালে ধানমণ্ডি-৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে স্থাপিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, সারা বিশ্বে বাঙালি জাতি মর্যাদা অর্জন করেছে। বাংলার হারানো স্বাধীনতাকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যেই আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দেশের সেই সম্মান আমরা ফিরিয়ে এনেছি। কারণ আওয়ামী লীগই দেশকে দেয়, মানুষকে দেয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করব- আজকের দিনে এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা। বক্তৃতার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী দেশের সব থেকে প্রাচীন এবং বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, চার জাতীয় নেতা এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আত্মাহুতি দানকারী দলের নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। পরে দলের সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে তিনি শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। এ সময় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পায়রা ও বেলুন উড়ানো হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে কিছু সময় অবস্থান করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, ড. আবদুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান ও পিযুষ কান্তি ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী এসএস রেজাউল করিম, রেলওয়েমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া দলের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আহমেদ হোসেন ও অ্যাডভোকেট মেজবাহউদ্দিন সিরাজসহ দলের কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের পাশাপাশি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পর্যায়ক্রমে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: ভোটে জিতে ছাত্রদলের সভাপতি–সা. সম্পাদক হতে হবে
ধানমণ্ডি-৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় যুবলীগ। ঢাকা মহানগর আওয়ামী যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, সহসভাপতি মাইনুদ্দিন রানা, সোহরাব হোসেন স্বপন, আনোয়ার ইকবাল সান্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক সারোয়ার হোসেন বাবু, মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমানসহ মহানগর ও ওয়ার্ডের শত শত নেতাকর্মী পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল সমাবেশ, র‌্যালি ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে। র‌্যালি-পূর্ব সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. হারুন-অর-রশিদ। বক্তব্য দেন সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আওয়ামী লীগ নেতা সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ শরীফ উদ্দিন প্রমুখ।
দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদ এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ডা. এসএ মালেক বক্তৃতা করেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভা আজ : আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার বিকাল ৪টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন। সভায় দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবী এবং জাতীয় নেতারা অংশ নেবেন। এ সভা সফল করতে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দল ও দলের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের ন��তাকর্মীসহ সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার তথ্য জানানো হয়।
কাজটাকে কেবল চাকরি হিসেবে নিলে হবে না -নবীন কর্মকর্তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী : বাসস জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবীন সরকারি কর্মচারীদের কেবল চাকরির জন্য চাকরি নয়, সেবার মানসিকতায় দেশপ্রেম, কর্তব্যনিষ্ঠা এবং উদ্ভাবনী চিন্তার প্রসার ঘটিয়ে কর্মক্ষেত্রে আত্মনিয়োগের আহবান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের কাজটাকে কেবল চাকরি হিসেবে নিলে হবে না। দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য দেশপ্রেম এবং কর্তব্যনিষ্ঠা নিয়ে কাজ করতে হবে।
রোববার সকালে রাজধানীর শাহবাগের বিসিএস প্রশাসন একাডেমি মিলনায়তনে ১১০, ১১১ ও ১১২তম আইন ও প্রশাসন কোর্সের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজের ভেতরে ইনোভেটিভ চিন্তা-ভাবনা থাকতে হবে। নিজের ভেতরে একটা আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। কোনো কাজ পারব কি পারব না এই দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগলে চলবে না। হ্যাঁ, আমি পারব, সেই বিশ্বাসটা সব সময় নিজের ওপর রাখতে হবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা চাইতেন বাঙালিরা রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে তাই পৃথিবীতে সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে একদিন নিজের পায়ে দাঁড়াবে এবং আমরা তা করতে পারব। এ কথাটা সব সময় মনে রাখতে হবে, এই আত্মবিশ্বাসটা থাকতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, কর্মক্ষেত্রে সব থেকে বড় কথা আত্মবিশ্বাস। যে কোনো একটা কাজ করতে গেলে কিভাবে করব, কিভাবে হবে, কয় টাকা আসবে, কোথা থেকে টাকা পাব- একদম দুশ্চিন্তা না করে কোন কাজটা করে উন্নতি করা সম্ভব সেটা নিজেকেই খুঁজে বের করতে হবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এইচএম আশিকুর রহমান, জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। প্রতিষ্ঠানের রেক্টর কাজী রওশন আরা আখতার স্বাগত বক্তৃতা করেন। ১১০, ১১১ ও ১১২তম কোর্সের রেক্টর পদকজয়ী তিন শিক্ষার্থী মাহবুব উল্লাহ মজুমদার, রঞ্জন চন্দ্র দে এবং মাবরুল আহমেদ অনিক অনুষ্ঠানে নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ১১০, ১১১ এবং ১১২তম আইন ও প্রশাসন কোর্সের শিক্ষার্থীদের মঝে সনদ বিতরণ করেন এবং তাদের সঙ্গে পৃথক ফটো সেশনে অংশগ্রহণ করেন। পরে তিনি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও উপভোগ করেন।
প্রধানমন্ত্রী তার উন্নয়নের সুফল এ সময় তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সরকারি কর্মচারীদের নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সরকারি নবীন কর্মচারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো কাজ যে ছোট কাজ নয়, এ কথাটাও মানুষকে বোঝাতে হবে। লেখাপড়া শিখলেই আমি ধান কাটতে পারব না, এই যে মানসিকতা তা পরিহার করতে হবে। ধান কাটার লোক না পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ছাত্রলীগকে নিজ নিজ এলাকায় ধান কাটায় নেমে যাওয়ার হুকুম দেন বলে জানান।
১৭৫৭ সালে ২৩ জুন, পলাশীর আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হওয়ার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সৃষ্টিই হয়েছিল এ দেশকে স্বাধীনতা এনে দেয়ার মাধ্যমে শোষিত-বঞ্চিত মানুষকে অর্থনৈতিক মুক্তি দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে। তাই এই দিনেই পুরান ঢাকার কেএম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে দলটির জন্ম। তিনি এ সময় ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের ডন পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী সামরিক ও বেসামরিক চাকরিতে পূর্ববাংলার জনগণের বঞ্চনার চিত্র উল্লেখ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশিদের মাঝে বাঙালি জাতিসত্তার উন্মেষ ঘটানোর ২৩ বছরের প্রাণান্তকর প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের গত ১০ বছরের ধারাবাহিক শাসনে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি অনেক উজ্জ্বল হয়েছে।
 আরও পড়ুন : Today bangla news
0 notes
Text
কুলাউড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনা: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫
Tumblr media
Today bangla news
সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া আন্ত নগর উপবন এক্সপ্রেস ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। রবিবার রাত পৌণে ১২টার দিকে ট্রেনটির দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে খালে পড়ে যায় এবং একটি বগি উল্টে যায়। এ দুর্ঘটনায় নারীসহ ৫ জন নিহত ও অন্তত দুইশতাধিক যাত্রী আহতের খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর।
পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শাহজালাল ঘটনাস্থলে থেকে গণমাধ্যমকে জানান, এখন পর্যন্ত ৫ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। উদ্ধার কাজ এখনো চলছে। কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার ডা. নূরুল হক জানান, এখন পর্যন্ত এ হাসপাতালে নারীসহ ৪ জনের মরদেহ আনা হয়েছে। আহতাবস্থায় ভর্তি রয়েছে আরও ৬০ জন।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল স্টেশন থেকে ২০০ মিটার দূরে কালা মিয়া বাজার সংলগ্ন একটি ব্রিজে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রেনের যাত্রী জৈন্তাপুর ইমরান আহমদ ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহেদ আহমদ জানান, কুলাউড়ার বরমচাল স্টেশন সংলগ্ন একটি ব্রিজে হঠাৎ ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে খালে পড়ে যায় এবং একটি বগি উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলে দুই জনের মৃত্যু হয় এবং লাইনচ্যুত ব���ির যাত্রী ছাড়াও মারাত্মক ঝাঁকুনিতে অন্তত দুইশতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ব : প্রধানমন্ত্রী
জানা গেছে, সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে ভারী যান চলাচল বন্ধ থাকায় ট্রেনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন ঢাকাগামী যাত্রীরা। ফলে ধারণক্ষমতার চেয়েও বেশি যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি সিলেট থেকে ছেড়ে যায়।
 আরও পড়ুন : Today bangla news
0 notes
Text
শিক্ষা অধিদপ্তর করছে কী
Tumblr media
Today bangla news:
দেশের সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজে কোচিং বাণিজ্য বন্ধে ২০১২ সালে নীতিমালা জারি করে সরকার। এ নীতিমালা শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানগুলোতে ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি না তা দেখভালের দায়িত্ব মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি)। অথচ শিক্ষকরা এ নীতিমালা না মেনে পুরোদমে প্রাইভেট টিউশনিতে ব্যস্ত। তাহলে মাউশি কী করছে ?
সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য, শুধু কোচিং বাণিজ্য বন্ধে নীতিমালা নয়, শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে যে বিষয়গুলোতে নজর দেওয়া দরকার তা করছে না মাউশি। মাঠপর্যায়ের চিত্র বিশ্লেষণে বলা যায়, স্কুল-কলেজে নেই কোনো মনিটরিং। স্কুল-কলেজগুলোতে কী হচ্ছে তা জানেন না মাউশির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। যেন গাছাড়া ভাব।
অথচ মাউশির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছাড়া উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে রয়েছে কার্যালয়। রয়েছে ৯টি আঞ্চলিক কার্যালয়ও যেখানে পরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তাও রয়েছেন। এসব কার্যালয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা ছাড়াও আছেন মনিটরিং কর্মকর্তা। কিন্তু কোনো মনিটরিং নেই। দেশের সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষার মান নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে একাধিক বিধিমালা করা হয়েছে। এ বিধিমালা ঠিকমতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানা হচ্ছে কি না তা দেখার দায়িত্ব মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি)। কিন্তু মাউশি কি তার এসব দায়িত্ব পালন করছে— এমন প্রশ্ন অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্টদের।
রাজধানীর মণিপুর স্কুলের এক অভিভাবক জানান, স্কুলটির বিভিন্ন শ্রেণিতে পুরোদমে বাধ্যতামূলক কোচিং করানো হচ্ছে। কোচিংয়ের নামে লাখ লাখ টাকা তুলে শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানপ্রধান ভাগবাটোয়ারা করে নিচ্ছেন। অথচ সরকারের নীতি অনুযায়ী কোনো স্কুল-কলেজে বাধ্যতামূলক কোচিং করা যাবে না। মণিপুর স্কুল নয়, দেশের অধিকাংশ স্কুল-কলেজের একই চিত্র। মাউশি এ বাধ্যতামূলক কোচিং বন্ধে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) নির্ধারিত বই পাঠ্য না করার জন্য সরকারের নির্দেশনা রয়েছে। অথচ দেশের স্কুল-কলেজে সহপাঠ নিয়ে চলছে বাণিজ্য। নোট গাইড ব্যবসায়ীরা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি ও প্রতিষ্ঠানপ্রধানকে ঘুষ দিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে সহপাঠ পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করছেন। ফলে বাড়তি দামে বই কিনতে হচ্ছে অভিভাবকদের। গোপনে নয়, এটা প্রকাশ্যেই চলছে।
চলতি বছর ভিকারুননিসা নূন স্কুলে প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী ভর্তি করে কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, এসব ভর্তি বেশিরভাগ টাকার বিনিময়ে হয়েছে। এ অবৈধ ভর্তি বাণিজ্য চলে মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজসহ নামি প্রতিষ্ঠানগুলোতে। এভাবে বছরের পর বছর ধরে আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে অবৈধভাবে ভর্তি বাণিজ্য চলছে। এ অবৈধ ভর্তি বাণিজ্যের বিষয়ে মাউশি কার্যত কোনো ভূমিকাই রাখছে না। একটি তদন্ত কমিটি করে দায়িত্ব শেষ করছে।
শিক্ষকদের ভোগান্তি কমাতে এমপিওভুক্তি বিকেন্দ্রীকরণ করে সরকার। কিন্তু দুর্নীতি কমাতে গিয়ে আরো বেড়েছে। চার থেকে পাঁচ স্তরের কর্মকর্তা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত যার বেশিরভাগই মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা। সূত্র জানায়, প্রথমে স্কুল থেকে এমপিওভুক্তির জন্য প্রধান শিক্ষককে ম্যানেজ করতে হয় ঘুষ দিয়ে। এরপর উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সেখান থেকে জেলা শিক্ষা অফিসারকে ঘুষ দিতে হয়। উপপরিচালক পর্যন্ত এই অনৈতিক সুবিধা দিতে হয়। প্রতি স্তরে ঘুষ দিতে হয় ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এতে প্রতি শিক্ষকের এমপিওতে মোট ঘুষ দিতে হয় ৫০ হাজার টাকা থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত। মাউশির কাছে এমন অভিযোগ আসছে প্রতিনিয়ত। তাহলে মাউশি কার্যকর কেন ভূমিকা রাখছে না। অভিযুক্ত কতজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
আরও পড়ুন: ‘উন্নয়নের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে যেতে হলে সততা-দক্ষতা প্রয়োজন’
দেশের স্কুল-কলেজে চলছে স্বেচ্ছাচারিতা। ইচ্ছেমতো শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি, পরীক্ষা ফি, ভর্তি ফি নির্ধারণ করছে। এ নিয়ে অভিভাবকদের ভোগান্তির শেষ নেই। এ নিয়ে শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগও করছেন কিন্তু কোনো ফল পাচ্ছেন না অভিভাবকরা। আবার ব্যয়েও কোনো স্বচ্ছতা নেই।
মাউশির প্রাক্তন মহাপরিচালক অধ্যাপক নোমান উর রশীদ বলেন, মাউশির উপজেলা পর্যন্ত নিজস্ব কর্মকর্তা আছেন। আছে জেলা ও আঞ্চলিক পর্যায়ের অফিসও। মাউশির এসব কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মিত মনিটরিং করা দরকার। কিন্তু তারা কতটা মনিটরিং করেন সেটা দেখা দরকার। শিক্ষকরা নিয়মনীতি না মানলে যেভাবে তাদের বিরুদ্ধে মাউশির মহাপরিচালক ব্যবস্থা নিতে পারেন সেভাবে মাউশির মহাপরিচালক তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করলে তার বিরুদ্ধেও মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিতে পারে।
মাউশির বর্তমান মহা���রিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, কোচিং বাণিজ্য শতভাগ বন্ধ হয়নি। মাঠপর্যায়ে মনিটরিং কার্যক্রম চলছে বলে দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন : Today bangla news
0 notes
Text
আইনের ফাঁক দিয়ে পালাতে পারবেন না ডিআইজি মিজান: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
Tumblr media
Today bangla news:
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিষয়ে তদন্ত শেষ পর্যায়ে, তিনি আইনের ফাঁক দিয়ে পালাতে পারবেন না।
শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা জানান। তিনি বলেন, তার (ডিআইজি মিজান) বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ পর্যায়ে। খুব শিগগিরই জানা যাবে তদন্ত প্রতিবেদন। সে যাতে আইনের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে যেতে না পারে সে জন্য সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গ, ২০১৮ সালে একটি জাতীয় দৈনিকে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে এক সংবাদ পাঠিকাকে জোর করে বিয়ে করার সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে। ওই ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরসহ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এরপর নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে বিতর্কিত এই ডিআইজি মিজানকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়।
এদিকে, পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিপুল অংকের অবৈধ সম্পদের খোঁজ পায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুসন্ধান শেষে সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। ডিআইজি মিজান ছাড়াও তার এক ভাই ও ভাগ্নের নামে করা সম্পদসহ ৪ কোটি ২ লাখ ৮৭ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির তার (মিজান) কাছ থেকে রিপোর্ট পরিবর্তনের জন্য ৪০ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। তথ্য পাচারের অভিযোগে এরইমধ্যে তদন্ত কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে দুদক। এছাড়া ডিআইজি মিজানকে এখনও কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না মর্মে গত ১৬ জুন এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
আরও পড়ুন: ‘উন্নয়নের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে যেতে হলে সততা-দক্ষতা প্রয়োজন’
 আরও পড়ুন : Today bangla news
0 notes
Link
0 notes
Link
0 notes
Link
0 notes
Link
0 notes
Link
0 notes
Text
ইসরায়েলকে ভারতের নজিরবিহীন সমর্থন, মোদিকে নেতানিয়াহুর ধন্যবাদ
Tumblr media
ফিলিস্তিনি জাতিমুক্তির লড়াইয়ের প্রতি ভারতের ঐতিহাসিক অঙ্গীকার থেকে বের হয়ে এসে ইসরায়েলের পক্ষে প্রকাশ্য অবস্থান নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি সংগঠনের বিপক্ষে ভোট দিয়ে ইসরায়েলের ধন্যবাদও পেয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, মোদির গত সরকারের সময় জাতিসংঘে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ভোটাভুটিতে অংশ নেওয়া থেকে বিরত ছিল ভারত। তবে এবারই প্রথম ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ভোট দিলো দেশটি।
মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ায় ভারতের অবস্থান খুবই স্পষ্ট এবং ধারবাহিক। দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানই তাদের বৈদেশিক নীতি। এছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ফিলিস্তিনের সমর্থন আদায়ে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে ভারত। মোদির শাসনামলে এসে ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো গাজার সহিংসতা প্রশ্নে ইসরায়েলবিরোধী এক ভোটাভুটিতে অংশ নেওয়া থেকে বিরত ছিল ভারত। এবার প্রথমবারের মতো এক ফিলিস্তিনি সংগঠনের পর্যবেক্ষক মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার ইসরায়েলি দাবির পক্ষে ভোট দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির দেশ।
৬ জুন জাতিসংঘ ফোরামে লেবাননভিত্তিক ফিলিস্তিনি সংগঠন ‘শাহেদ’ এর পর্যবেক্ষক স্ট্যাটাসের কেড়ে নেওয়া প্রস্তাব দেয় ইসরায়েল। ‘শাহেদ’ মানবাধিকার নিয়ে কাজ করলেও ইসরায়েলের দাবি এটি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। ওই ভোটাভুটিতে ভারত ছাড়াও ইসরায়েলকে সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডও সহ ২৮টি দেশ। জাতিসংঘের ফোরামের ভোটাভুটিতে ইসরায়েরের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় চীন, রাশিয়া, ইরান, তুরস্ক, পাকিস্তান, সুদান, আজারবাইজান, ইয়েমেন, সৌদি আরব, মিসর, বেলারুস, অ্যাঙ্গোলা, মরক্কো, এবং ভেনেজুয়েলা। বিলটি পাস হয় ২৮-১৪ ভোটে।
আরও পড়ুন: ‘ওমান উপসাগরে হামলায় ইরান জড়িত নেই’
জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদে উত্থাপিত প্রস্তাবে সমর্থন দেওয়ায় মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, জাতিসংঘে ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়ায় আপনাকে ধন্যবাদ নরেন্দ্র মোদি। ধন্যবাদ ভারতকে। এছাড়া ভারতে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত মায়া কাদোস এক টুইটে বলেন, ‘সন্ত্রাসী সংগঠন শাহেদের অনুরোধ উপেক্ষা করে জাতিসংঘে ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ভারতকে ধন্যবাদ।’
ঐতিহাসিকভাবেই ভারত চায় আলোচনার মাধ্যমে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র তৈরি হোক, যার রাজধানী হবে পূর্ব জেরুজালেম। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবনা ও রোডম্যাপ অনুযায়ী ইসরায়েলের সঙ্গে নিরাপদ ও স্বীকৃতি সীমান্তের পাশাপাশি অবস্থান করবে ফিলিস্তিনিরা। ২০১৫ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনে গাজায় সহিংসতা নিয়ে ইসরায়েলবিরোধী এক ভোটাভুটি থেকে ভারত বিরত থাকার সময়ই একে ‘বিশেষ পদক্ষেপ’ বিবেচনা করা হচ্ছিলো। তখন থেকেই ধারণা করা হচ্ছিলো নেতানিয়াহুর সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে।
আরও পড়ুন : Today bangla news
0 notes
Text
নারায়ণগঞ্জের আকাশ বানাল গাড়ি
Tumblr media
প্রথম দর্শনে মনে হতে পারে বিদেশি কোনো গাড়ি, কিংবা মনে হতে পারে- বিদেশি গাড়ির বডি খুলে এনে নতুন করে রিকন্ডিশন করা হয়েছে। কিন্তু মোটেও তা নয়। পুরোপুরি নিজের হাতে ‘ল্যাম্বোরগিনির’ আদলে গাড়ি তৈরি করেছে ফতুল্লার লামাপাড়ার সন্তান আকাশ আহমেদ। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাশে অবস্থিত অটোরিকশাওয়ার্কশপে তৈরি হয়েছে এই গাড়ি। এটি ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার বেগে চলে। পুরো দেশীয় প্রযুক্তিতে এই অসম্ভবকে সম্ভব করা হয়েছে। ছোট থেকেই আকাশের শখ ছিল নিজের তৈরি গাড়িতে চড়বে। যেখানে আজ অবধি কোনো গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান দাঁড়াতে পারেনি, সেখানে ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকার কিশোরের স্বপ্নকে তখন অনেকেই গুরুত্ব দেননি। অবশেষে সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছে মো. নবী হোসেনের ছেলে আকাশ আহমেদ। তার স্বপ্নের শুরু দেড় বছর আগে। অটোরিকশা নির্মাণের গ্যারেজ থেকে বডি তৈরি করতে করতে একসময় আকাশ বাবার কাছে প্রস্তাব দিয়েছিল গাড়ি বানাবে সে। বাবা নবী হোসেন না করতে গিয়েও চিন্তা করেন- ছেলেটাই সবচেয়ে বেশি কাজ করে ওয়ার্কশপে। না করলে হয়তো কাজে আর মন দেবে না। তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও ছেলেকে অনুমতি দেন গাড়ি নির্মাণের। আর সেই থেকেই যাত্রা শুরু। ক্যালেন্ডারের পাতায় ইতালির বিখ্যাত গাড়ি প্রতিষ্ঠান ল্যাম্বোরগিনি গাড়ির মডেল দেখেই সেটিকে অনুসরণ করে সামনে এগোতে থাকে সে। বাবার কাছ থেকে প্রতিদিন ১০০/২০০ করে টাকা নিয়ে অল্প অল্প করে কাজ শুরু করে। ইউটিউব থেকে টিউটোরিয়াল ফলো করে।
আরও পড়ুন: পাবনায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রীসহ ৫ জনের মৃত্যু
জাহাজ কাটার অভিজ্ঞতা থেকে ইস্পাতের পাত কেটে কেটে গাড়ির বডির শেপ তৈরি হয়। ল্যাম্বোরগিনির আদলে গাড়ির নকশা প্রণয়ন হয়। নির্মাণ, জোড়াতালি সবই নিজের হাতে করে আকাশ। আকাশ বলে, ‘গাড়ির চাকা আর স্টিয়ারিং হুইলটাই কেবল কিনে আনা হয়েছে। বাকি সব কিছু আমার নিজের হাতে তৈরি। চাকার সাসপেশন, হেডলাইট, ব্যাকলাইট, গিয়ার নিজের হাতে তৈরি করেছি আমি। যা অনেকের কাছেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। প্রায় দেড় বছরের টানা প্রচেষ্টায় আজ সেটি পূর্ণাঙ্গ গাড়িতে পরিণত হয়েছে।’ আকাশ জানায়, গাড়িটিতে প্রায় পাঁচটি ব্যাটারি লাগানো হয়েছে। যেটি প্রায় ১০ ঘণ্টা চলতে সক্ষম। আর এই ব্যাটারি পূর্ণ চার্জ হতে লাগবে পাঁচ ঘণ্টা। দুজন আরোহী নিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারবে। পুরো গাড়িটি এ অবস্থায় দাঁড় করাতে তার ব্যয় হয়েছে সাড়ে ৩ লাখ টাকা। তবে গাড়ির বডি কার্বন ফাইবারে নিয়ে এলে ৩ লাখ টাকায়ও বানানো যাবে। সে আরও বলেছে, ‘গাড়ি নির্মাণের দেড় বছরে প্রতিনিয়তই সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় অনেকটা অনুমাননির্ভর করেই পাড়ি দিতে হয়েছে অধিকাংশ পথ। কিন্তু লক্ষ্য ছিল একটাই। আর সে কারণেই আমি গাড়িটি তৈরি করতে পেরেছি। ছোটবেলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে যেহেতু শুরু করেছি তাই শেষ করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। ঈদের ছুটিতে গাড়িটি নামানোর পরেই অসাধারণ সাড়া পেয়েছি। কেউ কেউ হিংসায় বাজে মন্তব্য করলেও তাতে পাত্তা দিইনি। নিজের তিল তিল করে গড়া পরিশ্রমে তৈরি করেছি এই গাড়িটি। তবে আরও কিছু কাজ বাকি আছে।’ আকাশের বাবা নবী হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলে এই গাড়ি বানিয়েছে এটা এখনো এলাকার অনেকেই বিশ্বাস করতে চায় না। আমি তাদের বলিও না তারা বিশ্বাস করুক। কিন্তু আমার ছেলের ওপর হিংসা করে তার ক্ষতি যাতে না করে এই অনুরোধ রাখি। অনেকেই এসে বিরক্ত করে ছেলেকে। সম্প্রতি একজন জোর করে গাড়ি চালাতে গিয়ে এক্সিডেন্ট করে সামনের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলেছে। ছেলে দুই দিন ধরে কষ্টে খায়নি কিছু। আবার গাড়ি খুলে তা মেরামত করতে হবে। শুরু অনুরোধ করি, ছেলের গাড়িটা অনেক শখের। কেউ যাতে এসে বিরক্ত না করে।’ গাড়িটি নিয়ে পরবর্তী লক্ষ্য কী জানতে চাইলে আকাশ বলেছে, ‘আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করব যাতে আমাকে গাড়িটি বাজারজাত করার অনুমতি দেয়। অন্য কারও কাছে আমি এটির নকশা বিক্রি করতে চাই না। শুধু অনুমতি দিলেই আমার জন্য অনেক বড় সুবিধা হবে। দেশীয় প্রযুক্তি ও পরিবেশবান্ধব এই গাড়িটি দেখে আমি আরও ২৫টি গাড়ি তৈরির অর্ডার পেয়েছি। বাজারজাত করলে ৪ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকাতেই মানুষ পরিবেশবান্ধব এই গাড়িটি ব্যবহার করতে পারবেন। ব্যক্তিগতভাবে আরেকটি গাড়ি বানানোর ইচ্ছা আছে। তবে সেটির মডেল আপাতত অপ্রকাশিতই থাকুক।’
আরও পড়ুন : Today bangla news
0 notes