panchalispeaks

[panchalispeaks]

**অ্যান্টিপোয়েটিক** #২

পার্পল্ আলোট এসে বিঁধেছে ঘাড়ের ঠিক ডান পাশে; বাঁ চোয়াল বেয়ে নামছে বেগুনী আঁক। কিকার লাইট। অবয়বটা এগিয়ে চলেছে, ডান কাঁধে দুনিয়ার ভারসাম্য বয়ে নিয়ে। কাঁধ বরাবর ঢেউ গুলো ফেরত যাওয়ার পথে পায়ের তলা থেকে হু হু করে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পলিমাটির খাতিরজমা। মাথার ওপর ঠা ঠা রোদ্দুর। উইন্ডমিলের সাঁই সাঁই আওয়াজ, ঢেউয়ের আছড়ে পড়া, কারখানার সাইরেন, বিকলাঙ্গ ভিক্ষুকের কর্কশ প্রার্থনা, মুগডালে শুকনো লঙ্কা ফোড়ন, মুরগির কাটা পড়ার আগের মুহূর্তের চিৎকার, কেরোসিনের লাইনে রেষারেষি, গড়িয়াহাট মোড়ের ক্যাকাফোনী, আর দুপুরবেলা শান্ত পুকুরের জলে ঝপাৎ করে ডুব দেয়া ঢিলের শব্দ, কান ঘেঁষে হারিয়ে যাচ্ছে আলুলায়িত চুলের কোলাহলে। নোনা জলে গোড়ালি ডুবিয়ে অদূরেই দাঁড়িয়ে একা ট্রাফিক সিগন্যালে গোলাপি আলোটা জলে উঠছে মাঝে মাঝে: দব দব করে, অ্যাসিংক্রোনাসলি। নোনা বাতাসের পলল জমছে ঠোঁটের কোনায়। আঙুলের ডগা জমাট বেঁধে নীল, রক্তহীন, হিমশীতল। কপালে জমছে বিন্দু বিন্দু ঘাম। বুড়ো অশ্বত্থ গাছটার মরা ডালে জমাট বাঁধা পিঁপড়ের বাসা, একা কাকটা বসে বসে ঠোকরাচ্ছে। অবসন্ন পা দুটো টেনে টেনে এগোবার চেষ্টা। অবয়বটা এগোচ্ছে শ্লথ গতিতে, পিছন ফিরে, ছোট হয়ে আসছে। ভিউ ফাইন্ডার ট্র্যাক আউট করছে দ্রুত।একটা আস্ত সমুদ্র লুকিয়ে রাখা আছে চিলেকোঠার ঘরে; দ্বীপান্তরে। সেখানে ছাদ বরাবর ঢেউ ওঠে। নোনা জল জানালার ফাঁক দিয়ে চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ে চুনের পলেস্তারার উপর; আঁকে নাম না জানা শহরের মানচিত্রে। কখনো বা ছিটকে বেরোতে চায় বদ্ধ নিনাদের বেপরোয়া আস্ফালন। একতলার ঘরের কুলুঙ্গীতে রাখা নিভু নিভু প্রদীপে হঠাৎ দমকা বাতাসের ইন্ধন। মুহূর্তের মুগ্ধতা ছাপিয়ে গতানুগতিক গুমোট নেমে আসে। শিরদাঁড়া বয়ে নেমে আসে ঘাম। কোনো এক কৌতূহলী ভোরে একফালি ঢেউ ভেন্টিলেটরের ফাঁক দিয়ে পালিয়ে আটকা পড়ে ভাঙা অ্যান্টেনাতে। ছলাৎ ছলাৎ শব্দে আড়মোড়া ভাঙে। একা কাকটার ঘুম ভাঙে, সে ঘাড় বেঁকিয়ে এদিক ওদিক দেখে যদি কোথাও পোকাটা, উপুড় হয়ে পড়ে যাওয়া তরকারির বাটিটা, আধখাওয়া পাউরুটির মাথাটা পরে থাকে; বাড়ির কার্নিশে, ওয়াচ টাওয়ারের মাথায়, কিংবা কাপড় শুকোতে দেওয়ার তারে। একা ঢেউটা খালি ডানা ঝাপটায় আর ভাবে, এই তো উড়ছি, এই বুঝি উড়ছি। চাঁদের আলোয় ঝলমল করে মিঠে পানির বুদবুদ: লাল, সবুজ, নীল, গোলাপি। চিলেকোঠার সমুদ্রেটা ছোট হতে থাকে ক্রমশ ক্রমশ।অবয়বটা এগিয়ে চলেছে শ্লথ গতিতে, পিছন ফিরে। মাথার ওপর ঠা ঠা রোদ্দুর। ডান হাতটা নুইয়ে পড়েছে মাটির কাছাকাছি। কাঁধের ওপর ঝুলে থাকা প্রাণহীন দেহটার চোয়াল বেয়ে নামছে পার্পল আলো; কপালে টাটকা ক্ষত, ডান কাঁধে কালসিটে। নোনা বাতাসের পলল জমেছে মরা ঠোঁটের কোনায়। আঙুলের ডগা জমাট বেঁধে নীল, রক্তহীন, হিমশীতল। সিগনালে গোলাপি আলোটা জলে উঠছে মাঝে মাঝে, দব দব করে, অ্যাসিংক্রোনাসলি। অবয়বটা এগোচ্ছে, কপালে জমা বিন্দু বিন্দু ঘাম মুছে নিচ্ছে সাবধানে, ক্ষতটা বাঁ��িয়ে। নাক বরাবর নেমে আসা রক্তের আঁক ঠোঁট ছুঁলে তা জিভ দিয়ে চেটে ফেলছে। পায়ের চাপে গুঁড়ো বরফ জমাট বেঁধে রেখে যাচ্ছে ক্ষণস্থায়ী ছাপ। বুড়ো অশ্বত্থ গাছটার মরা ডালে জমাট বাঁধা পিঁপড়ের বাসা, একা কাকটা বসে বসে ঠোকরাচ্ছে। গাছের ছায়াটা হাত বাড়াচ্ছে ওই দূরে, মরীচিকার নাগাল পেতে। সেখানে নোনা জলে ঢেউ উঠছে, গর্জে উঠে আছড়ে পড়ছে বুকের ভাঁজে, পায়ের পাতায়, অগোছাল চুলের কোলাহলে। আর দুই পা এগোতেই সমুদ্রেটা হঠাৎ গায়েব হয়ে গেল।

[panchalispeaks]

It's been a Wonderful Li-e

There was a time when I would not go out without minimal makeup, at least without kohl lined eyes and a lip tint. Mental illness empowered me to get over this self induced mandate. For the first time when I realised that getting out of the bed can feel like moving a mountain, I did not have an option to think if I'm looking too pale. And slowly I absorbed my paleness into my skin. I still do wear makeup, however not wearing makeup doesn't make me anxious anymore.

There was a time when I was shy about not having enough money. I would make excuses of being busy or of illness for not going out. I have been earning since I was in Xth standard. Dance tuitions, teaching students who were two, three, four years younger than me. I paid for B.Tech from my own pocket, I bought my first mobile when I was in XIIth, or my first desktop during my second semester of college, paying EMIs from my own pocket. People often wonder why do I still have the shirt that I bought when I was in XIth standard? And I have no words to explain how did buying a pair of bootcut denims feel like etching on a milestone for a self-supporting teenager; the story that I cannot part with.

I was a good student, I had good scores; however my priority always was more of seeking knowledge than a being a scorer. I however did my entire graduation with the intent of bagging a job. My professors would say that I could have topped the university if I had put in more effort, but the only thing on my mind was financial stability. My hesitation regarding financial crunch at the end of the month still remained even after years of earning, until recently. Paying EMIs have drained me so badly that don't care anymore. I can tell people that I don't want to hang out because I have 500 rupees left for the month, and I am not ashamed of it.

I have always been strongly opinionated and never shyed away from debates, when I had to stand by whatever I believed in. My mother often told me, the girl child, that nobody likes me because I am not polite, and nobody is going to like me ever. And she was right. I however have been in denial for most part of my life. I sure have people around who like me for who I am, however when it comes to emotional intimacy, maybe my strong self-identity is what drives people away. I have never experienced anyone else love me with the amount of passion, affection, and tenderness that I have extended to them, and I don't see it as a personal failure anymore, unlike the way my mother taught me.

[panchalispeaks]

পরিবৃত্তি...

কলকাতায় হেমন্ত এবং বসন্ত ঠিক টের পাওয়া যায়না। শীতকালীন ঠান্ডা ঠিকঠাক ধরলে দিন দশেক থাকে। লোকজন স্টেটাস ক্যুও'র মত ডিসেম্বর মাস আসলেই শীতবস্ত্র পরতে শুরু করে দেয়। বাইরে বেজায় রোদ, তাপমাত্রা ২৪℃-র কাছাকাছি, এদিকে পাব্লিক ট্রান্সপোর্টে মানুষ সোয়েটার, টুপি, চাদর, জ্যাকেট যা পারছে চাপিয়ে আপিস যাচ্ছে।

বসন্তের যে মন কেমন করা হওয়ার কথা ছোট বেলা থেকে বিভিন্ন গল্প কবিতায় পড়েছি, তা প্রথম অনুভব করি চাকরি জীবনে এসে, হলদিয়ায় থাকা কালীন। পড়ন্ত বিকেল, সরু পিচের রাস্তার বাঁ দিকে খাল বয়ে গেছে, খালের ধার বেয়ে সারি সারি গাছ মৃদুমন্দ তালে দুলছে, একটা ক্ষীণ শোঁ শোঁ আওয়াজ, আর খালের জলের উপর এলোমেলো হওয়া বিলি কেটে যাচ্ছে।

তারপর কত পৃথিবী দেখলাম, কত বসন্ত পার করলাম, বরফের আস্তরণ সরিয়ে নতুন পাতাদের উঁকি মারতে দেখলাম, ফাগুন রঙে রেঞ্জে ওঠা গলির গোলকধাঁধায় হারিয়ে যাওয়া দেখলাম, কিন্তু হলদিয়ার সুনসান বিকেলে বসন্তের যে ছবি আমার অবচেতনে গেঁথে গিয়েছে, চোখ বুজলে বারবার সেখানেই ফিরে যাই। অথচ হলদিয়া মোটেও আমার মন টানেনি; শুক্রবারের অপেক্ষায় থাকতাম বাড়ি ফিরবো বলে। কিন্তু ওই একটা বিকেল চিরকালীন ভাবে ফ্রেমবন্দি হয়ে রয়ে গিয়েছে আমার স্মৃতিতে।

হেমন্তের কোন স্মৃতি নেই। শরতের ঝলমলে নীল আকাশ আর পেঁজা তুলো মেঘের হারিয়ে যাওয়া; মনে রাখার মত চিত্রপট নয় বটেই। শুধু মনে আছে ছোটবেলায় কালিপুজ���র রাতে হালকা সোয়েটার টুপি পরিয়ে দিত মা, বাজি জ্বালাতে যাওয়ার আগে। আবারও, সেজে গুজে তার ওপর সোয়েটার চাপানো মনে রাখার মত সুখস্মৃতি যে নয়, তা বলাই বাহুল্য।

কিন্তু হপ্তা শুরুর বৃষ্টির পর একটা বদল অনুভব করছি, যা সচরাচর অনুধাবন করতে পারি না। ত্বকে সামান্য টান ধরছে, কিন্তু ফুটিফাটা হয়ে যাচ্ছে না। ইউবার ড্রাইভার এসি না চালালে মাথা গরম হচ্ছে না, দিনের বেলা রাস্তায় হাঁটলে দুই মিনিটে মেকআপ গলে গলদঘর্ম অবস্থা হচ্ছে না। রাতে ফ্যান না চালালে অস্বস্তি হচ্ছে, আবার চালালে সিরসিরানী এক পর্দা চাদরে মানছে না, একটা কাঁথা নামানো যেতে পারে। আবহাওয়া, জলবায়ুকে ঘিরে সমস্ত অনুভূতি চিত্রাপম হতেই হবে এমন কোন মানে হয়তো নেই। এই হেমন্ত মনে থাকবে।

পুনশ্চঃ ― ছবিটা নোকিয়া মিউজিক সিরিজের ফোনে তোলা। হলদিয়া, ২০১১'র ফেব্রুয়ারি। তখনও বেশিরভাগ মানুষের হাতে হাতে মাল্টিমিডিয়া ফোন। স্মার্টফোন আসার ঠিক আগের স্টেজ। ছবিটা কিঞ্চিৎ এডিট করে, খানিক ঝলমলে করে দিলাম; এটাও থাক।

[panchalispeaks]

Sedated Monograph: 3

Some of us didn't die because, maybe, our cat was choking on kibbles in the middle of the night, and we lost ourselves while drawing 2ml of concoction from a bottle of liquid antacid.

Some of us didn't die because there was a bunch of clouds that resembled an old woman, with her head hung. A stray beam of sun etching through the nape of her neck painted a tiny rainbow on the tinted glass of our window. She was longing for company.

Some of us didn't die because we pictured the end to be a remorseless exchange; spurting out the whirlpool of animosity that we've been nurturing in our gut. The anticlimax that we deserve. Stories that ended with a peck on the lip deserve bloody hands … Warm blood tricking down the breast, etching rosy patches on the thighs. Cold blood leaving a bloody autograph as we stomp through the void. A poetic justice to the salty aftertaste that we're hung up on.

Some of us didn't die because the words bygone are chocking us to death. Stories, centuries old, wrinkled through our muscles, asphyxiating us in the epiglottis, and retching on a morbid blank canvas. Our epitaph was supposed to be a fucking volcano.

Some of us just didn't die; don't presume, why!

[panchalispeaks]

চিমনীর কালো ধোঁয়া উল-কাঁটায় বাহারী ঘূর্ণি বোনে কিনার ঘেঁষে। আবর্জনার স্তুপ ক্ষীণ থেকে ক্ষিণতর হচ্ছে দেহপট। চীনা বাদামের খোল, ভাঙা পুতুলটার একপাটি জুতো, যুদ্ধ-যুদ্ধ ভাব, বাসী তরকারি, গেল বছরের হাফ পঞ্জিকা, আকন্ঠ বিরোক্তি… ছোট ছোট ঢেউগুলো খেলার মাঠ ভেবে ডোবায় দাপাদাপি করছে; ওই শোনা যায় ট্রাফিক পুলিশের কর্কশ হুইসিল! ওই সোনা যায় কুল কুল শব্দ, স্নিগ্ধ, শীতল, গরমের দুপুরে মায়ের ঠান্ডা পিঠে হাত রাখার মত স্পর্শ মাত্র পায়ের আঙুলে ছেঁকা লাগে– "তোর কি জ্বর?" আই সকেটের কোলে তেলচিটে ছোপ। আবর্জনার স্তুপ, ক্ষীণ থেকে ক্ষিণতর হচ্ছে দেহপট। উত্তাপ বাড়ছে ক্রমশ। ব্যারোমিটারের মার্কারি লেভেল ঊর্ধ্বমুখী… আ্যন্ড ব্যাং!!!!

বাষ্পের দেহ নেই, অবয়ব নেই, ব্যথা লাগে না। শুশ্রূষাও লাগে না!

(Image sourced from the internet)

[panchalispeaks]

** অপরিজ্ঞাতর প্রতি **

অমসৃণ পৃষ্টের উপর ছলাৎ ছলাৎ শব্দে পায়ে হেঁটে চলেছে। টাইপরাইটার ফন্ট, সাইজ দশ … না বারো। বিন্দু বিন্দু জুড়ে ফুটে উঠেছে আমার মুখাবয়ব, দেহপট কফি কাপের তলানি ছেঁকে যত্নে আঁকা কণ্ঠার হাড়, পিঠের ভাঁজ। চুলে পাহাড়ি ফলের বুনো গন্ধ। আল-অহমার লাল বালি পকেটে ভরে আনছিস আমার জন্য, উপহার না নিবেদন। যুগান্তরের ইতিহাস যত্নে রাখা বালিকণার গহ্বরে।

কথা দিয়েছিস: মানাকুইরির শুষ্ক দেহের ভাঁজে জমে থাকা শেওলায় যত্রতত্র আঁচড় কাটব আমরা, লিখব আদিমের ইতিহাস। সব স্বপ্ন যত্নে রাখা কাগুজে ইশতেহারে, ভাষার গোপনীয়তায়। একটা শুষ্ক জিভ আমার শুখা অঙ্কুরে আশ্রয় খোঁজে… আমার ঠোঁটে কাগজের রুক্ষতা। এই জলবায়ুহীন বুদবুদের মধ্��ে জীর্ণ ক্ষতর টাটকা গন্ধ আর আমার ধীরূজ আত্ম! বাস্তব নিদ্রান্বিত ঠান্ডা কফিনের কালাপানিতে, আমি ঘুমের অপেক্ষায় কম্পাসের কাঁটার দিকে ঠায়ে তাকিয়ে।

ফটকের ওপারে কুল কুল শব্দ জিন্দিগী তরতরিয়ে নামছে পাথরের গায়ে আছাড় খেতে খেতে। মলাটের কোনে সিগারেটের আগুন কুঁকড়ে কুঁকড়ে ওপর দিকে উঠছে অক্সিজেনের অপরিচিত অম্লঘ্রাণ প্রাণের ইঙ্গিত সহস্রাব্দের জমে থাকা তেলচিটে মুছে যদি একটু ঘুম আসে! সিগারেটের আগুন নিভু নিভু দস্তাবেজের দেহভস্মে মুছে দিয়েছি আমার কল্পকাহিনী; "What visiting card shall a man with a cover name produce?"

"যুদ্ধ শেষ, এবার শান্তি কুড়িয়ে কবর দেওয়ার পালা।" অমসৃণ পাথুরে মাটির সোঁদা গন্ধ আমায় বাকিটা পথ চিনিয়ে নিয়ে যাবে দীর্ঘ পথ পথের বাঁকে নতুন ঘাসের শীষ গজিয়েছে, এখন ফসল ফলানোর সময়।

যদি কোনোদিন অকস্মাৎ দেখা হয়ে যায়, আবার আমায় কবিতায় রাখিস।

[panchalispeaks]

My father (and many fathers for that matter) appears fantastic from a distance ― witty, knowledgeable, progressive, writes well, talks smooth, reads voraciously, is a renowned teacher, a successful lawyer, pens down powerful poetry, has thorough knowledge of Marxist literature, is well known amongst the cultural pool of the 70s and 80s Kolkata, etc. etc. Living with him however has always been an impossible thing to do, which my mother did for no reason at all.

My mother was any day more capable, more talented, more knowledgeable, way more well known & well accepted, unquestionably a better writer, a better poet, and a better critic than my father. As long as I remember, there was no love, no compatibility, there was no hatred either, it was just routined cycle of habit. My mother was Whirlpool of emotions, which she always subdued to match up with dad's coldness. My dad was always a kind person, but that is not enough reason to stay, to live an unfulfilling life with a person with no dreams, no passion, no ambition, no sense of responsibility or accountability or compassion. His answer to everything that did not work was silence.

But they chose each other because they were madly in love. They left their respective families and sources of income, with five rupees in hand and settled in a one room tunnel like apartment in the ground flood of a three storeyed building, with no money to buy one square meal for the night. They were never formally married. They took vows over a plate of kochuri & daal at Sree Hari Misthanna Bhandar, in presence of a handful of friends, and came all the way to Dum Dum to stay together. It was a long lime-washed room with a cot at one end, a yellow filament bulb, and a saree hanging in the middle of the room to create an illusion of a kitchen on the other side; the smoke of the kerosene stove however remained unaffected of the makeshift saree curtain. Mum said that they rented a ceiling fan for the first time after I was born. People probably do all these crazy shit because of love.

I remember that room. I remember that my mum still had hope while stuck in that maze. She adopted two bunnies. I remember she invited ten people for lunch on my first birthday, she had to save for six months to be able to arrange it. I remember she used to sing while cooking. She was a fantastic singer. I remember that she suffered a stroke at the age of 29 and was paralysed for six months straight. I was above two years of age then, my brother was an infant.

Love dies down, I don't know what remains. I know for sure what should not remain ― People. People should not remain in mazes with no love, no compassion, no madness, and no fire. Splitting should be normalised in peaceful & outwardly happy connections: marriages, families, friendships, between parents & children, workplaces, everywhere. It shouldn't take a war between people to decide that this isn't worth living for. A journey needs to stop when it loses track of the initial reason of why it started in the first place.

All I ever wanted to be is not my mother. That's all for father's day.

[panchalispeaks]

**অ্যান্টিপোএটিক**

১

গুমোট অন্ধকার ভ্যাপসা টানেলেটার দেওয়ালগুলোর দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলে উত্তর আসে। উত্তর-প্রত্যুত্তর আদান-প্রদান চলতে থাকে। অন্ধকার খানিক অগভীর বোধ হয়। ভ্যাপসা ভাবের অস্বস্তি দম বন্ধ করে কিঞ্চিত কম। তারপর হঠাৎ শব্দের ঘোর কেটে দেওয়ালের মুখোমুখি দাঁড়ানো। প্রতিক্ষিপ্ত শব্দে উত্তর থাকেনা কোনোদিনও। অন্ধকার এত ভয়ানক গাঢ় না হলে হয়তো আয়নায় চোখ চলে যেত, হয়তো মুচকি হাসতাম।

২

অনুভূতির রঙগুলোর ঠিকঠাক একটা নাম থাকেনা। পচা মাংসের মতো গা গুলিয়ে ওঠা খয়েরি বললে তুমি জানবে না তাতে কতটা লাল, কতটা কালো, কতটা হলুদ, কতটা সবুজ মেশানো আছে। নীল? আছে কি?

৩

পেন্ডুলামটা দুলছে ভ্যাকুমের মধ্যে। শীর্ণ সুতোর এক দিকে ভর, অপর প্রান্ত অনন্তের আঙুলে জড়ানো। অনন্ত মহা শূন্য: এখানে ভগবান ছিলেন না কোনদিন, ভূতকে দেখেনি কেউ। স্মৃতি-চিত্ত কবর দেওয়া কয়েক হাত মাটির তলায়। দেহটা ঝুলে আছে। এগোচ্ছে, পিছচ্ছে ... টু অ্যান্ড ফ্রো ... টু অ্যান্ড ফ্রো ...

৪

হাও পিঙ্ক ইজ টুউউ পিঙ্ক?

আই সকেটের মধ্যে থেকে চোখটা কেটে বের করে আনার প্রসিডিওরটা সহজ। স্ক্যাপেল দিয়ে চোখের পাশের অংশ কেটে আইবলটা টুইজার দিয়ে তুলে ধরে একটা কাঁচি দিয়ে কানেকটিং নার্ভ গুলো কেটে ফেলা। রক্ত বেরোয় না। মৃতদেহের মুখের উপর মুখ রাখলে গহ্বরের মধ্যে দেখা যায় সাদা-লাল বুনোটে যত্নে তৈরি মিহি নকশা, সিরা উপশিরা ছুটে বেড়াচ্ছে এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে। তুলতুলে নরম, সিক্ত, লাল, সাদা, গোলাপি, রক্তহীন। নীল? থাকে কি?

৫

বিজ্ঞান বলে মুখের লালার মধ্যে যে এনজাইম থাকে তার অ্যান্টিসেপটিক গুণমান অব্যর্থ। ক্ষত স্থান চেটে পরিস্কার করতে ভয় করে, যদি আঘাতের চিহ্ন মিলিয়ে যায়!!

৬

- শেষ কবে চুমু খেয়েছিলেন?

- মাউথ ফ্রেশনরের বিজ্ঞাপনে।

৭

মাঝরাতের গুমোট ঘরের কোনে কুপির পলতেটা কোনো মতে দপ দপ করে জ্বলছে। তেল শেষ হয়ে এসেছে, হওয়ার ইন্ধন নেই। ভোরের আলো ফোটার আগেই পড়ে থাকবে জমে থাকা তেলচিটে। চোখের কোলে, আই সকেটের ঠিক নীচে, কালি জমে নিবন্ত শিখার। মরা নদীর ভাঁজে জমে শেওলার আস্তরণ। অনেক বিভ্রান্ত পথ চলার পর পায়ের তলায় জমে থাকা কড়া এক ঝটকায় টেনে বার করেলে রক্ত বেরোয় না।

৮

কপিকলের ক্যাঁচ-ক্যাঁচ আওয়াজটার এক লেয়ার নিচে কুওর মধ্যে পড়ে যাওয়া বুড়ো বিড়ালটার ক্ষীণ আর্তনাদ শুনতে পাওয়া যাচ্ছে কান পাতলেই। রাত পোহাতেই সব আওয়াজ পেরিয়ে নিস্তব্ধতা ভর করে। কুলকুচির জলটা কি একটু বেশি নোনতা ঠেকেছিল জিভের ডগায়?

৯

অবসন্ন পা দুটো টেনে-টেনে এগোনোর চেষ্টা। পায়ের তলায় ঠান্ডা বরফ না অত্যুষ্ণ বালি তা পার্থক্য করা যাচ্ছেনা, প্রয়োজন ও পড়ছেনা। আলো কমে আসছে, পায়ের পেশির স্বয়ংক্রিয় ভেলসিটি কমে আসছে। অচৈতনের, অর্থহীনতার হিমশীতল স্রোত চুঁইয়ে চুঁইয়ে নামছে, কাঁধ ছুঁয়ে আঙুলের ডগায়; বুক ছুঁয়ে নাভিমূলের অনন্তে। অবয়বটা এগোচ্ছে ধীরে ধীরে, পিছন ফিরে, ছোট হয়ে আসছে। ভিউ ফাইন্ডার ট্র্যাক আউট করছে দ্রুত। অ্যান্ড সাডেনলি, এভরিথিং ফেইডস্ টু পার্পল্।

[panchalispeaks]

Sedated Monograph - 2

It was getting darker with every passing second. The clouds enveloped the magnanimous sky. Heavy downpour rinsed away every molecule of the memories deposited on the windshield. The phone rang, and I applied the brakes, almost instantaneously. Information: work has been called off for the day. How frustrating it feels to leave something midway, half baked, and take a U-turn! Decided to park by the pavement to slip into the tiny café and sip on to my usual -- black coffee with sugarfree naturals. Things weren’t usual nonetheless. My subconscious was brooding with bouts of unsettlement; a lump stuck somewhere down the oesophagus, adding to some uneasiness. Droplets on the glass pane made a spray painted motif, with splashes of colour on the background.

As the fluid level in the cup reduced, leaving behind brown scars on white porcelain, my fingers scrolled over the newsfeed. Suddenly an article had my attention: two young girls killed themselves drinking cola infused with poison. They took selfies with the venom in their hand, before the final call. They even baked a cake to mark the celebration: a departure with such magnificence. I cried. Tears rolled down my cheeks. My fingers did not rattle to find a tissue. I just let them flow. The guy at the counter did notice, however over time my biggest achievement has been wearing my emotions on my sleeves, irrespective of where I am, who is watching, and all such insignificant information. I was crying, not because someone died, but because I so wanted to hug them once before they waved the final goodbye. Those two women are complete strangers to me, however they are special, because they could just fuck it all instead of carrying the baggage of toxicity of life and claiming it to be pro life and shit. A dear friend of mine committed suicide in 2013, just a week before his wedding. I wrote a letter to him post demise, where I remember quoting George Eastman’s suicide note, “My work is done – Why wait?” I remembered the conversation with Tanmay, which I had a week or two ago regarding space for all thoughts, where we discussed about choice to live and die, Jack Kevorkian, Euthanasia, Between The Dying And The Dead, Derek Humphry, Jean’s Way, Final Exit and so much more.

No, I am not even remotely suicidal. I never would become one for sure. However with every passing day I am becoming more and more pro suicide with every argument that calls suicide a cowardly activity, or claims that the person committing suicide should have thought about what got left behind: friends and family. With every person teaching a passive aggressive lesson regarding life is beautiful and death is not a solution, I understand why the person committing suicide should be better off this superficial world. I remembered hundreds of deaths that I have witnessed. I remember documenting my mother’s hospitalisation till her final departure; a battlefield between humane capacities and undivulged impossibilities, between pain and suffering, between expectation and gambling, between science and prayers, and I conclude with utmost surety that suicide deserves to be noted as the purest form of natural death. Before feeding the so called positivity and crap, humans must shed their hypocrite-mask and admit that it takes a mountain of courage to draw the permanent end to one’s own life. Then we shall talk about how to elongate one’s being span through the stench trap of such a life where living isn’t the best choice.

No, this article is not in support of suicide, but in solidarity and love with those who chose that path. How is it different, or why is it necessary, you ask? The problem is not with suicide, the problem is how we deal with mental health issues. Mental health is a serious issue and definitely not an upper or middle class luxury. I have been suffering from clinical depression and trauma for a long time now. I wanted to seek for help; nothing really helped. People did try their level best to cooperate however that turned out to be the other way round. I wasn't looking for a solution, neither a revenge, nor a joke to lighten up my mood. Professional help was great, however with adequate knowledge in psychology, I knew which pattern my counselor was trying to fit me in. That option got opted out hence. All I just wanted to be is fucking listened, and every single person I opened up to came up with an additional baggage depositing on one of the banks while the other half eroded constantly. I knew they had good intentions, however that does not help my situation is something nobody gets. I fucking don't need someone to save me. I can do that for myself. I want someone to walk alongside with me, over the pebbles, slime, rocks and the water.

I am pretty much sorted with my loneliness. I keep myself abnormally busy; I keep overworking so that I get a sound sleep once I crash on the bed. However there are a few instances when I get up at 3:30 on a winter morning, trembling with my despondency. Those are the instances the lump in the oesophagus reach up to my throat and expand, chocking my breath. Absence of love and affection could be physically painful. I try to drag my body off the bed to fetch some water however the muscles give up, giving rise to a whirlpool of rattling pulses stinging me in the chest. I try to cry out loud and my vocal chord doesn't assist me to vent out at full throttle. Those are the times I want to just fall asleep quicker and never wake up with the daybreak. It usually gets to 6 in the morning when I get to close my eyes, when another day in usual boredom has already begun.

I keep Altush close; cat purrs are amazing healers, and this is no myth, trust me. The more I get attached to animals, the more I disrelish human connections. It is amazing how animals trust instincts and study signals. It is amazing how a little kitten of a few months of age abandoned from his mum could identify the bond of trust, of love from the touch of a human, who's completely from a different species. It is unbelievable that a white furball looks into my eyes and reads up my mood and curls up on my lap to snuggle with without a single second of verbal communication. It is astonishing that every animal I meet, pet or stray, get that positive vive from my proximity and know that I care. Why on earth do we, the humans, dare to claim ourselves superior species when our touches don't communicate, where we don't read the message in the eyes of the beholder, when we shield ourselves from the proximity of the people of our species, when we don't trust our instincts, when we are always unsure? With bigger and better brains we are spinning bigger and better form of mediocre human connections, reason why the planet is so much unloved.

With the last sip of the coffee, I leave behind a trail of orange lipstick scars on white porcelain; fading colours just like a whispering love bite on the earlobe that fades away unnoticed, because there are bigger battles to take care of, bigger scars to heal.

It was getting darker with every passing second. The clouds enveloped the magnanimous sky. Heavy downpour rinsed away every molecule of the memories deposited on the windshield. I switched off my phone. Hoping to get a magnificent death someday on an otherwise non fulfilling planet.

[panchalispeaks]

Of nothingness!

Life sometimes is a personification of a telephone directory. You tend to search yourself, and you end up coming across hundreds of namesakes. Your name, the primary key to your entity, is not unique. The streets you walk on have been walked over, worn out and reconstructed by hundreds of busy feet. They don't belong to you. The words you speak have been coined from the same dictionary which hundreds mug up, everyday. The dreams... Ah! The dreams... passed on to you from some generation lost. In the end you are nobody and everybody; the face being a mere illusion. You are nothing but a host of electrons, protons and neutrons, with huge void space between those tiny particles; just like everybody else.

[panchalispeaks]

Motherhood and its internalised hegemony.

When the world goes ga-ga over the auspiciously commercialised occasion of Mothers' Day, every year, here is a note to all those women who can't have a child, aren't born with a vagina or female reproductive organs, don't want to have a child due to biological reasons, won't have a child due to career or economic reasons, are not comfortable with the idea of permanent physical and/or lifestyle changes that come with motherhood, are fighting a battle with her family to make them understand that motherhood is not on her priority list, are not happy after giving birth to a child and doesn't feel that motherhood is the best thing that has happened to her; you don't have to. You are not a reproductive machine. Motherhood does not make you complete. You are complete in yourself.

[panchalispeaks]

দাওয়াত-এ-ইফতার।

বাজেশিবপুর, পি.এম.বস্তি।

2.6.2018, সন্ধ্যা 6:22.

ইফতার তো কতই দেখেছি ― কর্পোরেট হাউসের অর্গানাইজ করা ইফতার যেখানে যাঁরা রোজা রেখেছেন শুধুমাত্র তাঁরাই এলাউড। বন্ধুর বাড়িতে পরসীদের নিয়ে ইফতার। আমার ভাই কলেজে পড়াকালীন দুইবার রোজা রেখেছিল, ওর বন্ধুদের দেখে; বাড়িতে বাধা দেওয়ার প্রশ্নই আসে না, বরং মা-বাবা সূর্যোদয়ের আগে সেহরি, ও সূর্যাস্তের পর ইফতারের ছোট বন্দোবস্ত করতেন। কিংবা যেই সংস্থার হয়ে আমি ভলেনটিয়ার করি, তাদের তদারকিতে পার্ক সার্কাস রেইল বস্তিতে কয়েকশ পরিবারের জন্য ইফতার অর্গানাইজ করতে এক মাস ধরে প্ল্যানিং এবং দৌড়াদৌড়ি করা। এত কিছুর পরেও কিছু-কিছু দিন অন্য ভাবে দাগ কেটে যায়।

কিছু-কিছু দিন আমাদের ভাবনায় ঐতিহাসিক হয়ে থেকে যায়। না, সেই ইতিহাস বইয়ের পাতায় প্রকাশিত হয় না। তাতে কী! বইয়ের পাতায় ছাপা অক্ষরে লেখা না থাকলে কি ইতিহাসের ভ্যালিডিটি কমে যায় নাকি?

আজ দুপুরে বাড়ি থেকে রওনা দেওয়ার সময় জানতাম যে অনেকটা সময় কয়েকশ অপরিচিত মানুষের সাথে কাজ করতে হবে। পৌঁছানোর পর সেই ধারণা কখন যে নিজে থেকেই উবে গিয়েছিল, তা টেরও পাইনি। অনাড়ম্বর অথচ অসম্ভব আত্মীষ্য ছিল মানুষগুলোর চোখে-মুখে। ছবি তুলছিলাম, ইন ফ্যাক্ট ডকুমেন্ট করার জন্য মানুষের ঘাড়ের উপর দিয়েই ছবি তুলেছিলাম; এক মুহূর্তের জন্য কেউ বিরক্ত হননি, উল্টে সাহায্য করেছেন। আমাদের বন্ধুরা কেউ বাজার করেছেন, কেউ ফল কেটেছেন, কেউ রান্নার তদারকি করেছেন, কেউ চেয়ার-টেবিল পাতার কাজে হাত লাগিয়েছেন, তো কেউ খাবার পরিবেশনের কাজে। আর এই হাজারো কাজের ভিড়ে আমরা-ওরার ফাইন লাইনটা জাস্ট ভ্যানিশ্ হয়ে গিয়েছিল। তখন আমরা কয়েকশ বন্ধু-বান্ধব হই-হই করে নিমেষের মধ্যে পাঁচশো মানুষের জন্য ইফতারের আয়োজন করেছি, এবং এক সাথে বসে ইফতার করেছি।

এই এত মানুষের আদর, আপ্যায়ন, ব্যক্তিগত ভালোলাগা মিলে যে সমষ্টিগত ইতিহাস তৈরি হয়, তা মানুষ ঘটনা হিসেবে মনে না রাখলেও, অনুভূতিতে মনে রাখে। আর এই অনুভূতিই বৃহত্তর ইতিহাসের দিক নির্ধারণ করে, যা আমরা বইয়ের পাতায় পড়ি। এই ভালোবাসার ইতিহাস যাতে গড়ে না ওঠে সেই মর্মে বিভেদের রাজনীতি মুখিয়ে থাকে অহরহ; কারণ মানুষ মানুষের কাছে এলে তাদের মননে বিদ্বেষের বদলে সৌভ্রাত্বিত্ব জায়গা করে নেবে।

মানুষের ভালোবাসার ইতিহাস ভীষণ, ভীষণ রকম পলিটিক্যাল।

[panchalispeaks]

৫-ঐ জানুয়ারি, ২০১৫ || ঈদ-এ-মিলাদ / মিলাদ উন-নবী || পার্ক সার্কাস অঞ্চল

আজ থেকে ৩ বছর আগে, অন দিস ভেরি ডে।

ছবিটা তুলেছিলাম নার্সিংহোমে ঢোকার ঠিক আগে। সেদিন ভোরে আধ-ঘুম ভেঙেছিল এক ফ্যামিলি-ফ্রেন্ড কাকুর ফোন পেয়ে। হুড়মুড়িয়ে ফোনটা ধরার পর ওপার থেকে আওয়াজ আসে: তাড়াতাড়ি চলে এসো, তোমার মা ক্রিটিকাল। বাবা আর ভাই আগের রাতে ওখানেই ছিল। ফোনটা বাজার মুহূর্ত থেকেই আমি জানতাম মা আর নেই। কাকুর কথাটা সোনার পর আমি জানতাম এটা একটা বোকা বোকা ট্রেন্ড: কেউ ট্রাভেল করে এলে তার পৌঁছনো পর্যন্ত তাকে মৃত্যু সংবাদ না দেওয়া। কিন্তু, জানিনা কি কারণে সেই কাকুর কথা সত্যি বলে মনে হচ্ছিল। নিজের কনশাস সেল্ফ-কে ওই কথাটাই সত্যি ভাবতে কন্ডিশন করছিলাম। বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, এটসেটেরা এটসেটেরা। ঠান্ডা মাথায় পোশাক বদলে বাড়ি থেকে বেরোলাম, ক্যাব ধরলাম, পার্ক সার্কাসের কাছে পৌঁছে ক্যাবটা ছেড়ে দিলাম, বাকিটা পথ হেঁটে যাবো ফর নো রিজন অট অল। বা হয়ত সাবকনশাসলি সত্যিটা জানতাম, তাই ফেইস করতে সময় লাগছিলো। বাংলাদেশ হাই কমিশনের আগের মোড়টাতে দাঁড়িয়ে একটা চা আর মালাই-টোস্ট খেলাম। পকেট থেকে ফোন বের করে এই ছবিটা তুললাম। মা তো এখনো বেঁচে আছে, কাকু বলেছে, আমি ট্রেইন করছি আমার কনশাস সেল্ফ-কে সেটা বিশ্বাস করতে।

সাবকনশাসটা জাস্ট হাল ছেড়ে দিয়েছে, ফাংশন করছে না। ভালোই একদিকে। ট্রমা যত এফেক্টিভলি শোক ভোলায়, তত এফেক্টিভ অন্য কোনো থেরাপি কাজ করেনা। হ্যাঁ, এনক্সাইটি ডিসঅর্ডার, ক্রনিক ডিপ্রেশন ইত্যাদি আল-বাল সাইড এফেক্ট আছে বৈকি, কিন্তু ট্রমা জিনিসটা শোক বস্তুটা ভুলে থাকতে কাজ দেয় বস।

সেই দিনটা আমার জীবনের একটা টার্নিং পয়েন্ট হতে পারতো; হতে পারতো যদি আমি রাশ টানতাম, যদি জাস্ট এক ঝটকায় ছেঁটে ফেলতাম সেই সব আবালদের যারা শুধু নিজের স্বার্থের সময় বন্ধুত্ব, সম্পর্ক ইত্যাদি নিয়ে দিনের পর দিন হেদিয়েছে আর তার বদলে ক্রাইসিসের সময় জাস্ট ভ্যানিশ হয়ে গেছে কিছু ডাম্ব এক্সকিউজ দিয়ে। বাট বাট বাট ... আই হ্যাভ বিন দ্য কন্সিডারেট ফুল, অলওয়েজ, হু বিলিভস ইন গিভিং চান্সেস। কারণ ওই বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, এটসেটেরা এটসেটেরা। বা হয়ত সাবকনশাসলি সত্যিটা জানতাম, তাই ফেইস করতে সময় লাগছিলো। সব মিথ্যে গুলো বিশ্বাস করতে ট্রেইন করেছি আমার কনশাস সেল্ফ-কে, ইনক্লুডিং মা তখনো বেঁচে আছে, ক্রিটিকাল, কাকু বলেছে। সাবকনশাসটা এত দিনে জাস্ট হাল ছেড়ে দিয়েছে। বেচারার ওপর অজুহাত আর অবহেলার প্রলেপ। অনেক দিনের সেডিমেন্টেশন।

নার্সিংহোমে পৌঁছতে সেই কাকুই খবরটা দিলো। আমি শান্ত, নিস্তেজ, নিরুত্তাপ। ICU যে ঢুকলাম, গায়ে হাত রাখতেই যেন হার্ট-বীট ফীল করতে পারলাম। আমি চিৎকার করে উঠলাম, একি, বেঁচে আছে তো, এখনো হার্ট চলছে��� নার্স উত্তর দিলো, না ম্যাডাম, ওটা ভেন্টিলেশন চলছে। কি লজ্জার ব্যাপার ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার হয়ে এরকম ভুল কেউ করে! হাত সরিয়ে নিলাম। ওটাই ছিল ডিসিসিভ মোমেন্ট, ওটাই।

চুপচাপ একটা টুলে বসে ছিলাম। কিছুক্ষণ পর সিলভারলাইন আই হসপিটাল থেকে এলো আই ডোনেশন নিতে, আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলাম প্রোসিডিওর। ওরা শুধু কর্নিয়াটা নেয়না, পুরো আইবলটাই নিয়ে যায়। চোখ খুলে স্ক্যাপেল দিয়ে পাশের চামড়া কেটে আইবলটা যত্ন করে তুলে আনে আই-সকেট থেকে, তারপর কানেকটিং নার্ভ-টা কাঁচি দিয়ে কেটে চোখটা বার করে নেয়, তারপর ওই চোখ-হীন ফাঁকা সকেটটা চোখের পাতা দিয়ে বুজিয়ে সেলাই করে দেয়। আমি দেখলাম, সেলাইয়ের আগের মুহূর্ত চোখের সকেটের ভেতরে শিরা-উপশিরার লাল-নীল এন্ডিং গুলো দেখা যাচ্ছিল; আমি দেখলাম। আমি দেখলাম চোখটা করোটি থেকে বের করে আনার সময় নার্স গুলো মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছিল।

আমার মায়ের মৃত্যু স্বাভাবিক ছিলোনা, ছিল একটা নিদর্শন, কলেক্টিভ হিউম্যান নেগ্লিজেন্সের। শুধু মেডিক্যাল নেগ্লিজেন্স বলে দায় এড়াতে পারবোনা। কারণ এই নেগ্লিজেন্সে আমি সমান ভাবে দায়ী। ভীষণ ভাবে দায়ী মা নিজে, দায়ী বাবা, ভাই, ব্যবসায়ী ডাক্তার, নার্সিংহোম, সবাই। শুধু দায় নেই তাদের যাদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে মায়ের ক্রাইসিসের সময় দাঁড়াতে পারলাম না। তাদের দায় নেই পাল্টা পাশে দাঁড়ানোর, দায় নেই দিনের শেষে জিগেস করার সারাদিনে নার্সিংহোমে দৌড়াদৌড়ির পর খেয়েছি কি না, বা সামান্য সমবেদনার, বা "স্টে স্ট্রং" টুকু বলার। দায় তাদের নয় যাদের কাছে আমাদের রোল-টা ছিল ATMএর, বা রিসোর্সফুল অলিয়ান্স-এর, বা ওয়ান স্টপ শপ ফর অল নেসেসিটিজ-এর; দায় আমাদের কারণ এত কিছুর পর ও আমরা তাদের ওপরেই বিশ্বাস রেখেছিলাম: ইন দ্য এন্ড ইটস গোয়িং টু বি অল রাইট, কারণ বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, এটসেটেরা এটসেটেরা।

সেই দিনটা আমার জীবনের একটা টার্নিং পয়েন্ট হয়ে রয়ে গেছে, কারণ সেই মুহূর্তে আর কিছু ছেঁটে ফেলতে পারি কি না পারি, সেদিন থেকে কনশাস-সেল্ফটাকে ট্রেইন করার অভ্যেসটা ছেঁটে দিয়েছিলাম। নাও আই জাস্ট ফোকাসড অন দ্য অবভিআস, হুইচ ইজ ক্লিয়ারলি ভিসিবল, এন্ড নট অন এনি রিমোট পসিবিলিটি ইন দ্য 'মেই বি' জোন। নো মোর বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, এন্ড আদার বুলশিট। সেটা পেরেছিলাম বলেই খুব অল্প দিনের মধ্যেই বাকি বাড়তি বোঝা গুলো কাঁধ থেকে নামিয়ে ফেলতে পেরেছিলাম; পেরেছিলাম এক ঝটকায়। ওটাই ছিল ডিসিসিভ মোমেন্ট, ওটাই। এই ছবিটা ওই ডিসিসিভ মোমেন্টের সাক্ষী হয়ে রয়ে গেছে।

[panchalispeaks]

Sedated Monograph - 1

"And I find it kinda funny, I find it kinda sad;

The dreams in which I'm dying, are the best I've ever had."

I have been told time and again that I need to tone down my writing. They are often too grotesque; too much blood oozing out in doldrums, too many deaths gone unnoticed, profusion of sorrow disguised into a poetic word salad. What if I tell you, I always, always wanted to write about love, all the while. Love, and nothing else; and always found that the civilised expression of emotions are incompetent to articulate the colossal entity that love is. Death on the other hand is wholesome, pain is more reassuring than half baked amore, and blood ... a nectar so pure and uncontaminated from the subvert of scepticism! I am no masochist, at all, reason why I am dyspathetic to the mediocrity that's been sold in the name of love.

Little gestures leave me moonstruck; gestures like a genuine smile, holding hands, exchanging gazes, brushing your feet against someone else's, smiling like a lunatic for no reason at all, leaning on to someone's shoulder and retracting away from every bit of worldly agony for a fraction of forever... all these and so much more. And all of these come with abundance of humane baggage. Isn't it exasperating when you need to look away to maintain your dignity, or hold someone less tightly, because expression of ardour is apparently a hopeless thing to do. Maybe because it's not about love anymore, it's not sex anymore; it's all about power, an efficacy to hold a position of supremacy in the world war between two bodies. Love today has been burned down to the stipulation of exchanging emotions; a give and take policy, where the system constantly haunts you telling: play safe, play safe.

We settle for a win-win situation and call it liaison, where as our passion lacks a grain of salt. What kind of love it is if it can't move a mountain of vantage in our head, or doesn't give us a chill of blizzards in the chest. What kind of love it is if it doesn't break the wall of hesitation and run a wallop of undercurrent down every single cell of the body. There are too many inferior emotions, love shouldn't be one of them.

It is not about how much we give makes the difference, it's about how much we let ourselves receive. We restrain our dexterity to receive love, we don't let the window open in jitters: what if it wasn't love knocking at the door, what if they were just lashes of the gigantic storm that would leave the inner child abandoned in the middle of Neverland? And we remain stuck in the cocoon of hesitation without taking a leap of faith. We don't read our intuition anymore in this maze of concrete vehemence.

I asked unanimously, "¿Cuánto tiempo te quedarás conmigo? ¿Preparo café o preparo mi vida?" To which my friend adviced, "Preferiro la vida, por favor."

I asked unanimously, "How long will you stay with me? Should I prepare coffee? Or prepare my life?" To which my friend adviced, "Save your life, Please."

In this praxis of winning it all, let's have the valour to lose it all in their eyes, or a glimpse of their touch. Maybe someday we won't dither and hesitate and distrust when love comes running all the way. Maybe someday we'll become capable of accepting the love we have been looking for all the while. Maybe someday the planet Earth is a little less unloved because of the circumspection we nurture. Because we all deserve one commandment breaking, earth shaking kiss for a fraction of forever; a taste that will linger in the mouth till the curtain drops.