বিজয়ের মাসে বর্ণিল আলোয় সেজেছে বিরামপুর উপজেলা
বিজয়ের মাসে বর্ণিল আলোয় সেজেছে বিরামপুর উপজেলা
বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি, দিনাজপুরের বিরামপুরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের ভবনগুলোতে শোভা পাচ্ছে রঙ্গিন আলোর ঝলকানি। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ। এবার ৫১তম বিজয়ের মাসে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবসকে সামনে রেখে বর্ণিল আলোক সজ্জায় সাজতে শুরু করেছে উপজেলা শহরের বিভিন্ন সরকারী অফিসসহ ব্যক্তি মালিকানাধীন স্থাপনা। ইতোমধ্যে সরকারী অফিস, বিভিন্ন…
View On WordPress
0 notes
জাকাত বঞ্চিতদের অধিকার,এটি করুণার দান নয়
Zakat is the right of the deprived, it is not a gift of mercy
পবিত্র কুরআনের সূরা আত-তাওবার ৬০ নাম্বার আয়াতে যাকাত বণ্টনে আটটি খাত আল্লাহ তায়ালা নির্ধারন করেছেন। । এই খাতগুলো সরাসরি কুরআন দ্বারা নির্দিষ্ট এবং যেহেতু তা আল্লাহর নির্দেশ, তাই এর বাইরে যাকাত বণ্টন করলে তা ইসলামী শরিয়তসম্মত হয় না।
রমজান মাসে সিয়াম সাধনা মানবিক গুণাবলি বিকাশে সহায়ক। সিয়াম সাধনার মাধ্যমে ধনীরা গরিবের দুঃখ–কষ্ট বুঝতে পারেন; ক্ষুধা-তৃষ্ণার জ্বালা অনুভব করতে পারেন। অসহায় নিরন্ন মানুষের যন্ত্রণা বুঝতে পারেন। তাদের ঘৃণা ও উপেক্ষা নয়, তাদের জন্য ভালোবাসা ও সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। এই অনুভূতি জাগ্রত হওয়াই রোজা ও রমজানের অন্যতম শিক্ষা।
দানখয়রাত ও ফিতরা–জাকাত ইত্যাদি রমজানের অতি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা সমাজের অবহেলিত–বঞ্চিত মানুষের জন্য সহায়ক। কিন্তু কখনো কখনো এ মহতী কাজেও অনেকে ভুল করেন। কোথাও কোথাও দেখা যায়, অনেক কাপড় ব্যবসায়ী অসম্মানজনকভাবে জাকাতের কাপড় বিক্রির ব্যানার ঝোলান। বিজ্ঞাপন দিয়ে কিছু কম দামি নিম্নমানের শাড়ি কাপড় ও লুঙ্গি বিক্রি করেন।
কোনো কোনো জাকাতদাতারাও এমন আছেন, যাঁরা এগুলো কিনে জাকাত হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করেন। যাঁরা এসব করেন, তাঁরা প্রথম��� জাকাতকে অসম্মান করেন; দ্বিতীয়ত, জাকাতদাতাকে হীন কাজে প্রলুব্ধ করেন; যা অনৈতিক।
হাদিস শরিফে আছে, ‘মন্দ কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধকারী অনুরূপ মন্দ কাজের সমান প্রতিফল পাবে এবং ভালো কাজের প্রতি উৎসাহ প্রদানকারী সেরূপ ভালো কাজ করার সমান সুফল পাবে।’
যেসব জাকাতদাতা এ ধরনের নিম্নমানের শাড়ি–লুঙ্গি জাকাত হিসেবে দিচ্ছেন, তাঁরা একদিকে জাকাতকে অসম্মান করছেন, অন্যদিকে জাকাত গ্রহীতাকেও অমর্যাদা করছেন। সব মিলে ইসলামের পঞ্চ ভিত্তির অন্যতম খোদায়ি বিধান জাকাতের অবমাননা হচ্ছে আর মানবতার সঙ্গে উপহাস করা হচ্ছে; সর্বোপরি ইমান ও ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ একটি মৌলিক ইবাদতে ছলচাতুরীর মাধ্যমে খেল-তামাশায় পরিণত করা হচ্ছে।
রমজানের মূল লক্ষ্য মানবভ্রাতৃত্বের শিক্ষা থেকে বঞ্চিতই রয়ে যাচ্ছে।
জাকাত ফরজ ইবাদত, জাকাত করুণার দান নয়, দয়া দাক্ষিণ্যও নয়; এটি বঞ্চিতদের পাওনা অধিকার। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের সম্পদে বঞ্চিত যাঞ্চাকারীদের নির্দিষ্ট অধিকার রয়েছে।’ (সুরা-৫১ জারিয়াত, আয়াত: ১৯; সুরা-৭০ মাআরিজ, আয়াত: ২৪-২৫)।
পাওনাদারের টাকা দিয়ে পাওনাদারকে নিম্নমানের কিছু কিনে দেওয়া ধোঁকাবাজি ছাড়া আর কী? আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত প্রকৃত কল্যাণ পাবে না, যতক্ষণ না তোমাদের প্রিয় জিনিস দান করবে। আর তোমরা যা দান কর, আল্লাহ তা সে বিষয়ে অবগত।’ (সুরা-৩ আলে ইমরান, আয়াত: ৯২)।
যেহেতু এটি তার পাওনা, সুতরাং প্রাপককে তার পাওনা সসম্মানে প্রদান করতে হবে; যাতে তিনি তা পেয়ে সন্তুষ্ট হন। জাকাত প্রদান করা ফরজ ও সদকা আদায় করা ওয়াজিব; কিন্তু কোনো মানুষকে হেয় জ্ঞান করা, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা, কারও সম্মানহানি করা নাজায়েজ ও হারাম কাজ।
সদকাতুল ফিতর ও জাকাত এবং যেকোনো ফরজ–ওয়াজিব সদকা, যা নির্দিষ্ট খাতে ব্যয় করতে হয় এবং যেসব শুধুই গরিবের হক। তাই দেওয়ার আগে তিনি প্রকৃত হকদার কি না, তা নিশ্চিত হতে হবে। তবে সেসব প্রদান করার ক্ষেত্রে গ্রহীতাকে এমন বলার প্রয়োজন নেই, ‘এটা জাকাত’ বা ‘এটা ফিতরা’। এমনভাবে বলা উচিতও নয়; কেননা এতে গ্রহীতা লজ্জিত, অপমানিত বোধ করবেন। শুধু ফরজ–ওয়াজিব দান নয়, বরং নফল দানখয়রাতের মাধ্যমেও কাউকে অসম্মান করা যাবে না।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘উত্তম কথা ও ক্ষমা সেই দান অপেক্ষা উত্তম, যার সঙ্গে অনুগামী হয় যন্ত্রণা। আর আল্লাহ তাআলা ধনী ও সহিষ্ণু।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ২৬৩)।
সদকা ও জাকাত এমনভাবে দেওয়া উত্তম, যা গ্রহীতা স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে মুদ্রা বা টাকাই অগ্রগণ্য, কেননা এর দ্বারা গ্রহণকারী নিজের রুচি ও ইচ্ছামতো প্রয়োজন মেটাতে পারেন। কোনো কাপড়চোপড় বা খাদ্যদ্রব্য অথবা অন্য কোনো বস্তু কিনে দিলে ব্যবহার উপযোগী মানসম্পন্ন জিনিসই দেওয়া উচিত।
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
জাকাত হল একটি ইসলামী অর্থ পরিভাষা যা একজন ব্যক্তিকে প্রতি বছর দাতব্য কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট অনুপাত সম্পদ দান করতে হয় এমন বাধ্যবাধকতাকে নির্দেশ করে।
জাকাত: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটির মৌলিক নিয়ম
জাকাত হল একটি ইসলামী অর্থ পরিভাষা যা একজন ব্যক্তিকে প্রতি বছর দাতব্য কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট অনুপাত সম্পদ দান করতে হয় এমন বাধ্যবাধকতাকে নির্দেশ করে।
যাকাত কি?
যাকাত হল একটি দাতব্য সংস্থা যা আল্লাহ্ মুসলমানদেরকে তাদের অর্থ, সম্পত্তি এবং ফসলের উপর বাৎসরিক বা ফসল কাটার সময় দিতে বাধ্য করেন। যাকাত এর অর্থ প্রদান করা হয় আটটি শ্রেণির দরিদ্র, অরক্ষিত এবং যোগ্যদের জন্য যা আল্লাহ নিজেই কুরআনে উল্লেখ করেছেন (সূরা আল-তওবাহ, 9:60)। নবী মুহাম্মদ, তাঁর উপর শান্তি, জাকাতকে ইসলামের বিখ্যাত পাঁচটি স্তম্ভের তৃতীয় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
(ফরয) স্বাদক্বাসমূহ শুধুমাত্র নিঃস্ব,অভাবগ্রস্ত এবং জাকাত (আদায়ের) কাজে নিযুক্ত কর্মচারীদের জন্য, যাদের মনকে ইসলামের প্রতি অনুরাগী করা আবশ্যক তাদের জন্য, দাসমুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে (সংগ্রামকারী) ও (বিপদগ্রস্ত) মুসাফিরের জন্য। এ হল আল্লাহর পক্ষ হতে নির্ধারিত (ফরয বিধান)। আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়। আল কোরআন, সূরা তাওবা আয়াত ৬০
যাকাতের তাফসীর পূর্ণাঙ্গ
ইসলামে যাকাত ও ছদাক নিয়ে ওয়াজ
যাকাত দেওয়ার সঠিক নিয়ম
ইসলামে যাকাত ও সদকার বিধান
যাকাত আদায়ের সঠিক নিয়ম
জাকাত ভিক্ষা নয়, অধিকার |
জাকাত বঞ্চিতদের অধিকার,এটি করুণার দান নয়
Zakat is the right of the deprived, it is not a gift of mercy
যাকাত
0 notes
রমজান মাসে বিশেষ দিনগুলোতে নারীদের ইবাদত
Worship of women on special days in the month of Ramadan
রমজান মাসে বিশেষ দিনগুলোতে নারীদের ইবাদত
Worship of women on special days in the month of Ramadan
ইফতার করানো
মা-বোনদের প্রতি মাসেই স্বাভাবিক নিয়মে কিছুদিন অসুস্থ থাকতে হয়। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে। এতে তাদের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। এ সময় নারীদের নামাজ-রোজা কোনো কিছুই করতে হয় না।
রোজার ক্ষেত্রে পরে তা কাজা করতে হয়। নামাজ সম্পূর্ণ মাফ হয়ে যায়। অনেক নারীর ধারণা, যেহেতু এই মাসে কোনো একসময়ে নামাজ-রোজা করতে হয় না, তাই আর তার জন্য কোনো ইবাদত নেই। সম্পূর্ণ হেলায়-খেলায় সময়গুলো কাটিয়ে দাও।
অথচ নামাজ-রোজা ছাড়াও আরো বহু কাজ আছে, এর মাধ্যমে এই মূল্যবান মাসকে কাজে লাগাতে পারে। আবার অনেক নারী এ ব্যাপারে চিন্তিত থাকে যে রমজান মাস, এত ফজিলত পূর্ণ মাসেও যদি বিশেষ দিন শুরু হয় তাহলে অনেক সওয়াব থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়! আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) তাঁর কাছে প্রবেশ করলেন। অথচ মক্কায় প্রবেশ করার আগেই ‘সারিফ’ নামক স্থানে তাঁর বিশেষ দিন শুরু হলো। তখন তিনি কাঁদতে লাগলেন।
নবী (সা.) বলেন, তোমার কী হয়েছে? বিশেষ দিন শুরু হয়েছে না কি? তিনি বলেন, হ্যাঁ। তিনি বলেন, এটা তো এমন এক বিষয়, যা আল্লাহ আদম (আ.)-এর কন্যাসন্তানের ওপর নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সুতরাং তুমি আদায় করে যাও, হাজিরা যা করে থাকে, তুমিও অনুরূপ করে যাও। তবে তুমি বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করবে না।
(সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫১৫০) তাই এটি নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।
তবে বিশেষ দিনে নারীরা কিছু বিষয়ে যত্নবান হলে এ মাসের এই সময়কে অনেক মূল্যবান করে তুলতে পারে।
বিশেষ দিনে নারী নিজে রোজা রাখতে না পারলেও রোজাদারকে ইফতার করিয়ে বিশাল সওয়াবের অধিকারী হতে পারে। যায়েদ ইবনে খালিদ জুহানি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, কেউ যদি কোনো রোজাদারকে ইফতার করায় তবে তার জন্যও অনুরূপ (রোজার) সওয়াব হবে। কিন্তু এতে রোজা পালনকারীর সওয়াবে কোনো ঘাটতি হবে না।
(জামে তিরমিজি, হাদিস : ৮০৭)
কোরআন তিলাওয়াত শোনা
বিশেষ দিনে নারীর জন্য কোরআন তিলাওয়াত নিষিদ্ধ। তবে তার জন্য কোরআন তিলাওয়াত শোনার মধ্যে নিষেধাজ্ঞা নেই। কোরআন তিলাওয়াত শোনার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার রহমত বর্ষিত হতে থাকে। কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তোমরা মনোযোগসহ তা শোনো এবং নিশ্চুপ হয়ে থাকো, যাতে তোমাদের প্রতি রহমত করা হয়।’
(সুরা : আরাফ, আয়াত : ২০৪)
তাই নারীরা সেই নির্ধারিত সময়ে বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত শুনতে পারে।
দান-সদকা করা
বিশেষ দিনে নারীরা এই সময়ে তাদের সাধ্য অনুযায়ী বেশি বেশি দান-সদকা করতে পারে। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, নবী (সা.) ধন-সম্পদ ব্যয় করার ব্যাপারে সবার চেয়ে দানশীল ছিলেন। রমজানে জিবরাইল (আ.) যখন তাঁর সঙ্গে দেখা করতেন, তখন তিনি আরো বেশি দান করতেন। রমজান শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি রাতেই জিবরাইল (আ.) তাঁর সঙ্গে একবার সাক্ষাৎ করতেন। আর নবী (সা.) তাঁকে কোরআন শুনাতেন। জিবরাইল (আ.) যখন তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন তখন তিনি রহমতসহ প্রেরিত বায়ুর চেয়ে বেশি ধন-সম্পদ দান করতেন। (বুখারি, হাদিস : ১৭৮১)
লাইলাতুল কদরে রাত জাগরণ করা
শেষ দশকে, বিশেষত কদরের রজনীতে, কারও যদি বিশেষ দিন শুরু হয় তবুও সম্ভাব্য রাতগুলোতে জাগবে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রাত জেগে ইবাদত করে, তার পেছনের সব গুনাহ ক্ষমা করা হবে। আর যে ব্যক্তি ঈমানসহ সওয়াবের আশায় রমজানে রোজা পালন করবে, তারও অতীতের সব গুনাহ মাফ করা হবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৭৮০)
জিকির ও ইস্তিগফার পড়া
বিশেষ দিনে নারীরা তাদের রমজান মাসকে তাওবা-ইস্তিগফার ও জিকির-আজকারে কাটাতে পারে। হাদিসে এসেছে, রমজান মাসের প্রতিটি রাত ও দিনের বেলায় বহু মানুষকে আল্লাহ তাআলা জাহান্নাম থেকে মুক্তির ঘোষণা দেন। এ মাসে প্রত্যেক মুসলমানের দোয়া কবুল করা হয়। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৭৪৫০)
তাই রমজান মাসে তাওবা ও ইস্তিগফারের প্রতি মনোযোগ দেওয়া, পাশাপাশি দ্বিনি বই-পুস্তক পড়া, কাউকে কোনো কিছু শেখানো—এগুলোর মধ্যেও এই মূল্যবান সময় ব্যয় করা উচিত।
রমজান মাসে নারীদের জন্য বিশেষ আমল কি কি?
রমজান মাসে বিশেষ দিনগুলোতে নারীদের ইবাদত
Worship of women on special days in the month of Ramadan
0 notes
রমজান মাসে বিশেষ দিনগুলোতে নারীদের ইবাদত
Worship of women on special days in the month of Ramadan
রমজান মাসে বিশেষ দিনগুলোতে নারীদের ইবাদত
Worship of women on special days in the month of Ramadan
ইফতার করানো
মা-বোনদের প্রতি মাসেই স্বাভাবিক নিয়মে কিছুদিন অসুস্থ থাকতে হয়। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে। এতে তাদের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। এ সময় নারীদের নামাজ-রোজা কোনো কিছুই করতে হয় না।
রোজার ক্ষেত্রে পরে তা কাজা করতে হয়। নামাজ সম্পূর্ণ মাফ হয়ে যায়। অনেক নারীর ধারণা, যেহেতু এই মাসে কোনো একসময়ে নামাজ-রোজা করতে হয় না, তাই আর তার জন্য কোনো ইবাদত নেই। সম্পূর্ণ হেলায়-খেলায় সময়গুলো কাটিয়ে দাও।
অথচ নামাজ-রোজা ছাড়াও আরো বহু কাজ আছে, এর মাধ্যমে এই মূল্যবান মাসকে কাজে লাগাতে পারে। আবার অনেক নারী এ ব্যাপারে চিন্তিত থাকে যে রমজান মাস, এত ফজিলত পূর্ণ মাসেও যদি বিশেষ দিন শুরু হয় তাহলে অনেক সওয়াব থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়! আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) তাঁর কাছে প্র���েশ করলেন। অথচ মক্কায় প্রবেশ করার আগেই ‘সারিফ’ নামক স্থানে তাঁর বিশেষ দিন শুরু হলো। তখন তিনি কাঁদতে লাগলেন।
নবী (সা.) বলেন, তোমার কী হয়েছে? বিশেষ দিন শুরু হয়েছে না কি? তিনি বলেন, হ্যাঁ। তিনি বলেন, এটা তো এমন এক বিষয়, যা আল্লাহ আদম (আ.)-এর কন্যাসন্তানের ওপর নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সুতরাং তুমি আদায় করে যাও, হাজিরা যা করে থাকে, তুমিও অনুরূপ করে যাও। তবে তুমি বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করবে না।
(সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫১৫০) তাই এটি নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।
তবে বিশেষ দিনে নারীরা কিছু বিষয়ে যত্নবান হলে এ মাসের এই সময়কে অনেক মূল্যবান করে তুলতে পারে।
বিশেষ দিনে নারী নিজে রোজা রাখতে না পারলেও রোজাদারকে ইফতার করিয়ে বিশাল সওয়াবের অধিকারী হতে পারে। যায়েদ ইবনে খালিদ জুহানি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, কেউ যদি কোনো রোজাদারকে ইফতার করায় তবে তার জন্যও অনুরূপ (রোজার) সওয়াব হবে। কিন্তু এতে রোজা পালনকারীর সওয়াবে কোনো ঘাটতি হবে না।
(জামে তিরমিজি, হাদিস : ৮০৭)
কোরআন তিলাওয়াত শোনা
বিশেষ দিনে নারীর জন্য কোরআন তিলাওয়াত নিষিদ্ধ। তবে তার জন্য কোরআন তিলাওয়াত শোনার মধ্যে নিষেধাজ্ঞা নেই। কোরআন তিলাওয়াত শোনার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার রহমত বর্ষিত হতে থাকে। কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তোমরা মনোযোগসহ তা শোনো এবং নিশ্চুপ হয়ে থাকো, যাতে তোমাদের প্রতি রহমত করা হয়।’
(সুরা : আরাফ, আয়াত : ২০৪)
তাই নারীরা সেই নির্ধারিত সময়ে বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত শুনতে পারে।
দান-সদকা করা
বিশেষ দিনে নারীরা এই সময়ে তাদের সাধ্য অনুযায়ী বেশি বেশি দান-সদকা করতে পারে। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, নবী (সা.) ধন-সম্পদ ব্যয় করার ব্যাপারে সবার চেয়ে দানশীল ছিলেন। রমজানে জিবরাইল (আ.) যখন তাঁর সঙ্গে দেখা করতেন, তখন তিনি আরো বেশি দান করতেন। রমজান শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি রাতেই জিবরাইল (আ.) তাঁর সঙ্গে একবার সাক্ষাৎ করতেন। আর নবী (সা.) তাঁকে কোরআন শুনাতেন। জিবরাইল (আ.) যখন তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন তখন তিনি রহমতসহ প্রেরিত বায়ুর চেয়ে বেশি ধন-সম্পদ দান করতেন। (বুখারি, হাদিস : ১৭৮১)
লাইলাতুল কদরে রাত জাগরণ করা
শেষ দশকে, বিশেষত কদরের রজনীতে, কারও যদি বিশেষ দিন শুরু হয় তবুও সম্ভাব্য রাতগুলোতে জাগবে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রাত জেগে ইবাদত করে, তার পেছনের সব গুনাহ ক্ষমা করা হবে। আর যে ব্যক্তি ঈমানসহ সওয়াবের আশায় রমজানে রোজা পালন করবে, তারও অতীতের সব গুনাহ মাফ করা হবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৭৮০)
জিকির ও ইস্তিগফার পড়া
বিশেষ দিনে নারীরা তাদের রমজান মাসকে তাওবা-ইস্তিগফার ও জিকির-আজকারে কাটাতে পারে। হাদিসে এসেছে, রমজান মাসের প্রতিটি রাত ও দিনের বেলায় বহু মানুষকে আল্লাহ তাআলা জাহান্নাম থেকে মুক্তির ঘোষণা দেন। এ মাসে প্রত্যেক মুসলমানের দোয়া কবুল করা হয়। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৭৪৫০)
তাই রমজান মাসে তাওবা ও ইস্তিগফারের প্রতি মনোযোগ দেওয়া, পাশাপাশি দ্বিনি বই-পুস্তক পড়া, কাউকে কোনো কিছু শেখানো—এগুলোর মধ্যেও এই মূল্যবান সময় ব্যয় করা উচিত।
রমজান মাসে নারীদের জন্য বিশেষ আমল কি কি?
রমজান মাসে বিশেষ দিনগুলোতে নারীদের ইবাদত
Worship of women on special days in the month of Ramadan
রমজান মাসে বিশেষ দিনগুলোতে নারীদের ইবাদত
Worship of women on special days in the month of Ramadan
রমজান মাসে বিশেষ দিনগুলোতে নারীদের ইবাদত
0 notes
রমজান মাসে বিশেষ দিনগুলোতে নারীদের ইবাদত
Worship of women on special days in the month of Ramadan
রমজান মাসে বিশেষ দিনগুলোতে নারীদের ইবাদত
Worship of women on special days in the month of Ramadan
ইফতার করানো
মা-বোনদের প্রতি মাসেই স্বাভাবিক নিয়মে কিছুদিন অসুস্থ থাকতে হয়। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে। এতে তাদের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। এ সময় নারীদের নামাজ-রোজা কোনো কিছুই করতে হয় না।
রোজার ক্ষেত্রে পরে তা কাজা করতে হয়। নামাজ সম্পূর্ণ মাফ হয়ে যায়। অনেক নারীর ধারণা, যেহেতু এই মাসে কোনো একসময়ে নামাজ-রোজা করতে হয় না, তাই আর তার জন্য কোনো ইবাদত নেই। সম্পূর্ণ হেলায়-খেলায় সময়গুলো কাটিয়ে দাও।
অথচ নামাজ-রোজা ছাড়াও আরো বহু কাজ আছে, এর মাধ্যমে এই মূল্যবান মাসকে কাজে লাগাতে পারে। আবার অনেক নারী এ ব্যাপারে চিন্তিত থাকে যে রমজান মাস, এত ফজিলত পূর্ণ মাসেও যদি বিশেষ দিন শুরু হয় তাহলে অনেক সওয়াব থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়! আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) তাঁর কাছে প্রবেশ করলেন। অথচ মক্কায় প্রবেশ করার আগেই ‘সারিফ’ নামক স্থানে তাঁর বিশেষ দিন শুরু হলো। তখন তিনি কাঁদতে লাগলেন।
নবী (সা.) বলেন, তোমার কী হয়েছে? বিশেষ দিন শুরু হয়েছে না কি? তিনি বলেন, হ্যাঁ। তিনি বলেন, এটা তো এমন এক বিষয়, যা আল্লাহ আদম (আ.)-এর কন্যাসন্তানের ওপর নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সুতরাং তুমি আদায় করে যাও, হাজিরা যা করে থাকে, তুমিও অনুরূপ করে যাও। তবে তুমি বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করবে না।
(সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫১৫০) তাই এটি নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।
তবে বিশেষ দিনে নারীরা কিছু বিষয়ে যত্নবান হলে এ মাসের এই সময়কে অনেক মূল্যবান করে তুলতে পারে।
বিশেষ দিনে নারী নিজে রোজা রাখতে না পারলেও রোজাদা��কে ইফতার করিয়ে বিশাল সওয়াবের অধিকারী হতে পারে। যায়েদ ইবনে খালিদ জুহানি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, কেউ যদি কোনো রোজাদারকে ইফতার করায় তবে তার জন্যও অনুরূপ (রোজার) সওয়াব হবে। কিন্তু এতে রোজা পালনকারীর সওয়াবে কোনো ঘাটতি হবে না।
(জামে তিরমিজি, হাদিস : ৮০৭)
কোরআন তিলাওয়াত শোনা
বিশেষ দিনে নারীর জন্য কোরআন তিলাওয়াত নিষিদ্ধ। তবে তার জন্য কোরআন তিলাওয়াত শোনার মধ্যে নিষেধাজ্ঞা নেই। কোরআন তিলাওয়াত শোনার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার রহমত বর্ষিত হতে থাকে। কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তোমরা মনোযোগসহ তা শোনো এবং নিশ্চুপ হয়ে থাকো, যাতে তোমাদের প্রতি রহমত করা হয়।’
(সুরা : আরাফ, আয়াত : ২০৪)
তাই নারীরা সেই নির্ধারিত সময়ে বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত শুনতে পারে।
দান-সদকা করা
বিশেষ দিনে নারীরা এই সময়ে তাদের সাধ্য অনুযায়ী বেশি বেশি দান-সদকা করতে পারে। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, নবী (সা.) ধন-সম্পদ ব্যয় করার ব্যাপারে সবার চেয়ে দানশীল ছিলেন। রমজানে জিবরাইল (আ.) যখন তাঁর সঙ্গে দেখা করতেন, তখন তিনি আরো বেশি দান করতেন। রমজান শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি রাতেই জিবরাইল (আ.) তাঁর সঙ্গে একবার সাক্ষাৎ করতেন। আর নবী (সা.) তাঁকে কোরআন শুনাতেন। জিবরাইল (আ.) যখন তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন তখন তিনি রহমতসহ প্রেরিত বায়ুর চেয়ে বেশি ধন-সম্পদ দান করতেন। (বুখারি, হাদিস : ১৭৮১)
লাইলাতুল কদরে রাত জাগরণ করা
শেষ দশকে, বিশেষত কদরের রজনীতে, কারও যদি বিশেষ দিন শুরু হয় তবুও সম্ভাব্য রাতগুলোতে জাগবে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রাত জেগে ইবাদত করে, তার পেছনের সব গুনাহ ক্ষমা করা হবে। আর যে ব্যক্তি ঈমানসহ সওয়াবের আশায় রমজানে রোজা পালন করবে, তারও অতীতের সব গুনাহ মাফ করা হবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৭৮০)
জিকির ও ইস্তিগফার পড়া
বিশেষ দিনে নারীরা তাদের রমজান মাসকে তাওবা-ইস্তিগফার ও জিকির-আজকারে কাটাতে পারে। হাদিসে এসেছে, রমজান মাসের প্রতিটি রাত ও দিনের বেলায় বহু মানুষকে আল্লাহ তাআলা জাহান্নাম থেকে মুক্তির ঘোষণা দেন। এ মাসে প্রত্যেক মুসলমানের দোয়া কবুল করা হয়। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৭৪৫০)
তাই রমজান মাসে তাওবা ও ইস্তিগফারের প্রতি মনোযোগ দেওয়া, পাশাপাশি দ্বিনি বই-পুস্তক পড়া, কাউকে কোনো কিছু শেখানো—এগুলোর মধ্যেও এই মূল্যবান সময় ব্যয় করা উচিত।
রমজান মাসে নারীদের জন্য বিশেষ আমল কি কি?
রমজান মাসে বিশেষ দিনগুলোতে নারীদের ইবাদত
Worship of women on special days in the month of Ramadan
রমজান মাসে বিশেষ দিনগুলোতে নারীদের ইবাদত
0 notes
1 note
·
View note
চার মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার | পাঁচ মাসের গর্ভবতী বাচ্চার নড়াচড়া | Baby Movement in Pregnancy
গর্ভবতী মায়ের ডায়েট চার্ট
গর্ভবতী মায়ের চার মাস
গর্ভবতী মায়ের ওজন চার্ট
চার মাসের গর্ভবতী খাবার
চার মাসের গর্ভবতী বাচ্চার নড়াচড়া
চার মাস গর্ভবতী
চার মাসের গর্ভবতী
চার মাসের গর্ভবতী হালকা রক্তপাত
চার মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার
গর্ভবতী মায়ের খাবার চার্ট
পাঁচ মাসের গর্ভবতী বাচ্চা
পাঁচ মাসের গর্ভবতী
পাঁচ মাসের গর্ভবতী বাচ্চার নড়াচড়া
পাঁচ মাস গর্ভবতী
পাঁচ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার
ছয় মাসের গর্ভবতী ভিডিও
ছয় মাসের গর্ভবতী
ছয় মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার
গর্ভবতী হলে ছয় মাসে আলট্রাসনোগ্রাফি
গর্ভবতী মায়ের ছয় মাস
ছয় মাসের গর্ভবতী বাচ্চার নড়াচড়া
গর্ভবতী মাসের হিসাব
৬ মাসের গর্ভবতী বাচ্চার নড়াচড়া
৯ মাসের গর্ভবতী বাচ্চার ওজন
গর্ভবতী অবস্থায় মাসিক হয় কেন
৭ মাসের গর্ভবতী বাচ্চার নড়াচড়া
৪ মাসের গর্ভবতী বাচ্চার নড়াচড়া
৮ মাসের গর্ভবতী বাচ্চার নড়াচড়া
৫ মাসের গর্ভবতী মায়ের ওজন
গর্ভবতী হলে কি মাসিক হয়
৫ মাসের গর্ভবতী ছবি
গর্ভবতী সাত মাস
সাত মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা
সাত মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার
সাত মাসের গর্ভবতী
গর্ভবতী আট মাস
আট মাসের গর্ভবতী
আট মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার
গর্ভবতী নয় মাস
নয় মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার
নয় মাসের গর্ভবতী
নয় মাসের গর্ভবতী মহিলা
নয় মাসের গর্ভবতী বাচ্চার নড়াচড়া
0 notes
এলাকায় অবস্থান না করেও প্রতি মাসে ভাতা তুলছেন আনসার দলনেত্রী ভাবণা রাণী
এলাকায় অবস্থান না করেও প্রতি মাসে ভাতা তুলছেন আনসার দলনেত্রী ভাবণা রাণী
সানজিম মিয়া, রংপুর প্রতিনিধি : রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে দায়িত্বরত আনসার (ভিডিপি) বাহিনীর দলনেতা- দলনেত্রীরা নিজ কর্মস্থলে মাসের পর মাস অনুপস্থিত থেকেও প্রতি মাসে তাদের সম্মানি ভাতা উত্তোলন করছেন।
কিছুদিন পূর্বে উপজেলার বেতগাড়ী ইউনিয়নের দায়িত্বরত একজন দলনেত্রীর নামে ইউএনও-র কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ইউনিয়নবাসী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,বেতগাড়ী ইউনিয়নের আনসার ও ভিডিপি…
View On WordPress
0 notes
রমজান মাসে বিশেষ দিনগুলোতে নারীদের ইবাদত
Worship of women on special days in the month of Ramadan
রমজান মাসে বিশেষ দিনগুলোতে নারীদের ইবাদত
Worship of women on special days in the month of Ramadan
ইফতার করানো
মা-বোনদের প্রতি মাসেই স্বাভাবিক নিয়মে কিছুদিন অসুস্থ থাকতে হয়। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে। এতে তাদের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। এ সময় নারীদের নামাজ-রোজা কোনো কিছুই করতে হয় না।
রোজার ক্ষেত্রে পরে তা কাজা করতে হয়। নামাজ সম্পূর্ণ মাফ হয়ে যায়। অনেক নারীর ধারণা, যেহেতু এই মাসে কোনো একসময়ে নামাজ-রোজা করতে হয় না, তাই আর তার জন্য কোনো ইবাদত নেই। সম্পূর্ণ হেলায়-খেলায় সময়গুলো কাটিয়ে দাও।
অথচ নামাজ-রোজা ছাড়াও আরো বহু কাজ আছে, এর মাধ্যমে এই মূল্যবান মাসকে কাজে লাগাতে পারে। আবার অনেক নারী এ ব্যাপারে চিন্তিত থাকে যে রমজান মাস, এত ফজিলত পূর্ণ মাসেও যদি বিশেষ দিন শুরু হয় তাহলে অনেক সওয়াব থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়! আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) তাঁর কাছে প্রবেশ করলেন। অথচ মক্কায় প্রবেশ করার আগেই ‘সারিফ’ নামক স্থানে তাঁর বিশেষ দিন শুরু হলো। তখন তিনি কাঁদতে লাগলেন।
নবী (সা.) বলেন, তোমার কী হয়েছে? বিশেষ দিন শুরু হয়েছে না কি? তিনি বলেন, হ্যাঁ। তিনি বলেন, এটা তো এমন এক বিষয়, যা আল্লাহ আদম (আ.)-এর কন্যাসন্তানের ওপর নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সুতরাং তুমি আদায় করে যাও, হাজিরা যা করে থাকে, তুমিও অনুরূপ করে যাও। তবে তুমি বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করবে না।
(সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫১৫০) তাই এটি নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।
তবে বিশেষ দিনে নারীরা কিছু বিষয়ে যত্নবান হলে এ মাসের এই সময়কে অনেক মূল্যবান করে তুলতে পারে।
বিশেষ দিনে নারী নিজে রোজা রাখতে না পারলেও রোজাদারকে ইফতার করিয়ে বিশাল সওয়াবের অধিকারী হতে পারে। যায়েদ ইবনে খালিদ জুহানি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, কেউ যদি কোনো রোজাদারকে ইফতার করায় তবে তার জন্যও অনুরূপ (রোজার) সওয়াব হবে। কিন্তু এতে রোজা পালনকারীর সওয়াবে কোনো ঘাটতি হবে না।
(জামে তিরমিজি, হাদিস : ৮০৭)
কোরআন তিলাওয়াত শোনা
বিশেষ দিনে নারীর জন্য কোরআন তিলাওয়াত নিষিদ্ধ। তবে তার জন্য কোরআন তিলাওয়াত শোনার মধ্যে নিষেধাজ্ঞা নেই। কোরআন তিলাওয়াত শোনার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার রহমত বর্ষিত হতে থাকে। কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তোমরা মনোযোগসহ তা শোনো এবং নিশ্চুপ হয়ে থাকো, যাতে তোমাদের প্রতি রহমত করা হয়।’
(সুরা : আরাফ, আয়াত : ২০৪)
তাই নারীরা সেই নির্ধারিত সময়ে বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত শুনতে পারে।
দান-সদকা করা
বিশেষ দিনে নারীরা এই সময়ে তাদের সাধ্য অনুযায়ী বেশি বেশি দান-সদকা করতে পারে। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, নবী (সা.) ধন-সম্পদ ব্যয় করার ব্যাপারে সবার চেয়ে দানশীল ছিলেন। রমজানে জিবরাইল (আ.) যখন তাঁর সঙ্গে দেখা করতেন, তখন তিনি আরো বেশি দান করতেন। রমজান শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি রাতেই জিবরাইল (আ.) তাঁর সঙ্গে একবার সাক্ষাৎ করতেন। আর নবী (সা.) তাঁকে কোরআন শুনাতেন। জিবরাইল (আ.) যখন তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন তখন তিনি রহমতসহ প্রেরিত বায়ুর চেয়ে বেশি ধন-সম্পদ দান করতেন। (বুখারি, হাদিস : ১৭৮১)
লাইলাতুল কদরে রাত জাগরণ করা
শেষ দশকে, বিশেষত কদরের রজনীতে, কারও যদি বিশেষ দিন শুরু হয় তবুও সম্ভাব্য রাতগুলোতে জাগবে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রাত জেগে ইবাদত করে, তার পেছনের সব গুনাহ ক্ষমা করা হবে। আর যে ব্যক্তি ঈমানসহ সওয়াবের আশায় রমজানে রোজা পালন করবে, তারও অতীতের সব গুনাহ মাফ করা হবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৭৮০)
জিকির ও ইস্তিগফার পড়া
বিশেষ দিনে নারীরা তাদের রমজান মাসকে তাওবা-ইস্তিগফার ও জিকির-আজকারে কাটাতে পারে। হাদিসে এসেছে, রমজান মাসের প্রতিটি রাত ও দিনের বেলায় বহু মানুষকে আল্লাহ তাআলা জাহান্নাম থেকে মুক্তির ঘোষণা দেন। এ মাসে প্রত্যেক মুসলমানের দোয়া কবুল করা হয়। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৭৪৫০)
তাই রমজান মাসে তাওবা ও ইস্তিগফারের প্রতি মনোযোগ দেওয়া, পাশাপাশি দ্বিনি বই-পুস্তক পড়া, কাউকে কোনো কিছু শেখানো—এগুলোর মধ্যেও এই মূল্যবান সময় ব্যয় করা উচিত।
রমজান মাসে নারীদের জন্য বিশেষ আমল কি কি?
রমজান মাসে বিশেষ দিনগুলোতে নারীদের ইবাদত
Worship of women on special days in the month of Ramadan
রমজান মাসে বিশেষ দিনগুলোতে নারীদের ইবাদত
0 notes
চলতি মাসে শুরু হতে পারে প্রাথমিকে দুপুরের খাবার
দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম চালুর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। প্রথমিকভাবে চলতি মাসেই দেশের ১৫০টি উপজেলার সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই প্রোগ্রামটি চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। এই কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের ক্লাসে উপস্থিতি বাড়াতে ও বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া কমাতে সহায়তা করবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে পাঁচ বছর মেয়াদী এই প্রকল্পের একটি…
View On WordPress
0 notes
শুধু সোমবার নয়, শ্রাবণ মাসের বুধবার করুন এই কাজ, সংসারে অভাব মিটবে, আসবে সুখ
শ্রাবণ মাস, অত্যন্ত শুভ মাস৷ এই মাসের প্রতি সোমবার শিব ভক্তেরা তাঁদের প্রিয় দেবতা দেবাদিদেব মহাদেবের শুদ্ধাচারে আরাধনা করে থাকেন৷ তবে এই মাসে গণেশের আরাধনা করলেও সংসারে সমৃদ্ধি আসে৷ জীবন সুখের হয়৷
Source link
View On WordPress
0 notes
২০২৩ সালের পবিত্র রমজান মাসের সরকারি অফিসের সময়সূচি নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
1 note
·
View note
শাবান মাসে ৪টি বিশেষ আমল ও শাবান মাসের রোজা | আহমদুল্লাহ | Ahmadullah Waz
0 notes
এমবিবিএস প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের তালিকা প্রকাশ আগস্ট মাসে
এমবিবিএস প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের তালিকা প্রকাশ আগস্ট মাসে
এমবিবিএস প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের তালিকা প্রকাশ আগস্ট মাসে । স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দফার মাইগ্রেশন শেষে অল্প কিছু আসন ফাঁকা হয়েছে। এই অল্প সংখ্যক আসনের বিপরীতে দ্বিতীয় দফার মাইগ্রেশন করতে চায় না স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরবাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় দফার মাইগ্রেশনের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
দেশের সরকারি মেডিকেল…
View On WordPress
0 notes