There must be some writings in you which need to be expressed somewhere
Don't wanna be here? Send us removal request.
Text
ধর্ষণ এবং তার শাস্তির সমীক্ষা
বাইবেলে কথিত আছে যে ইভ পাপের ফল বা ফরবিডেন ফ্রুট খেয়েছিল এবং সেই থেকে শুরু পাপ আর হিংসার প্রত্যয় । যদিও কিছু মানুষ এইমত পোষণ করেন যে সেই ফরবিডেন ফ্রুট খেয়ে ইভ একপ্রকার ভালোই করেছিল তা না হলে পুণ্যের কোন অস্তিত্বই থাকত না ।
সত্যিই হয়তো তাই যে পাপের স্খলন যদি না থাকে তাহলে পুণ্যের বিচার কিভাবে সম্ভব! খারাপ না থাকলে ভালোর সমীক্ষা কিভাবে করা যাবে ! এই পাপ বা মন্দের সবচেয়ে বড় মুশকিল হল এর কোন নির্দিষ্ট গণ্ডি নেই । সীমাহীন মানুষের লোভ আর আক্রো�� বড় অদ্ভুত কিছু কাজ করে বসে যা বিচারের মাত্রা নির্ধারণ করার ক্ষেত্রেও গতানুগতিক হিসেবে উপনীত হয় না । আর এরকমই এক পাপ কর্ম হলো ধর্ষণ।
ধর্ষণ'এর সংজ্ঞা সে ভাবে লিপিবদ্ধ করা না গেলেও সামগ্রিকভাবে বলা যায় যে কোন এক ব্যাক্তিস্বত্তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যদি তার সাথে জোরপূর্বক যৌন মিলন করা হয় তবেই তাকে ধর্ষন বলা যায়। পৃথিবীর নিকৃষ্টতম জঘন্য অপরাধের মধ্যে একটি অন্যতম হলো ধর্ষণ ।
এখন প্রশ্ন হল ধর্ষণ কবে প্রথম হয়েছিল বা ধর্ষণ শব্দটি কিভাবে এসেছে । এ বিষয়ে কোনো সঠিক তথ্য ইতিহাসে না থাকলেও প্রাচীন গ্রিক ও রোমান সভ্যতায় ধর্ষণ নিয়ে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যায় । স্বনামধন্য লেখিকা Trisha Olson তাঁর " The Medicval Blood Sanction and The Divine Beneficence of Pain " - গ্রন্থে লিখেছেন যে প্রাচীন গ্রীস ও রোমে ধর্ষণ একপ্রকার পৈশাচিক পাপকর্ম হিসেবে গণ্য হতো এবং এর শাস্তি হতো চরম নিষ্ঠুরতম এবং এর শাস্তিকে অনেক সময় দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিস্থাপন করা হত ।
তিনি আরো লিখেছিলেন যে ১২০০ শতাব্দীতে ইংল্যান্ডে ধর্ষণের শাস্তি ছিল আরো সাংঘাতিক। যিনি ধর্ষণ হয়েছেন তাকে বলা হতো ধর্ষককে নিজের হাতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার জন্য। এছাড়াও তাঁর বইতে আরও একটি বিষয়ে তিনি আলোকপাত করেছিলেন যে চোদ্দশ শতাব্দীতে ধর্ষকের শাস্তি স্বরূপ ইংল্যান্ডের রাজা আদেশ দিত সেই ব্যক্তির চোখ উপড়ে নেওয়ার বা যৌনাঙ্গ কেটে ফেলার জন্য ।
তবে এত চরম শাস্তির পরেও ধর্ষণ নিয়ে মানুষের চিত্ত কখনো বিগলিত হয়নি। মধ্য ইউরোপে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যে মেয়েরা ধর্ষণ হতো তাদের উপযুক্ত শাস্তির দিকে না গিয়ে ধর্ষককে সামান্য অর্থ দিয়ে শাস্তি থেকে নিষ্পত্তি দেওয়া হতো বা অনেক ক্ষেত্রে ধর্ষণকারীর সাথে বিবাহ দেওয়া হতো। যে রেওয়াজ আজও বর্তমান। ( Eckman,Zoe 2009 ." An oppressive Silence: The Evolution of the Raped Women in Medicval France and England")
মধ্যযুগীয় ধর্মতত্ত্ববিদ Thomas Aquinas এর মতে , মধ্যযুগের ইউরোপে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ধর্ষিত নারীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষকের সাথে বিবাহিত দেওয়া হতো। এতে ধর্ষক একপর্যায়ে সেই মহিলাকে ধর্ষণ করার লাইসেন্স পেয়ে যেত। তিনি আরও বলেছেন যে ধর্ষণ পাপকর্ম হলেও হস্তমৈথুন (কোন মহিলা দেখে সর্বসমক্ষে) সেই ধর্ষণের মতোই ��ঘন্য পাপ কর্ম হিসেবে বিবেচিত হওয়া প্রয়োজন।
বিশ্বব্যাপী এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে পৃথিবীতে মোট ধর্ষণের শতাংশ অনুযায়ী প্রায় 46 শতাংশ মহিলা ধর্ষিত হয় তার প্রেমিকের দ্বারা আর 22 % ধর্ষিত হয় নিজের পরিচিত কোন মানুষের দ্বারা। সারা পৃথিবীতে ধর্ষকের পরিমাণ মাপতে বসলে সবার আগেই উঠে আসে আমেরিকার নাম ।যেখানে পৃথিবীর প্রায় 72 শতাংশ ধর্ষক ঘুরে বেড়ায়।
পূর্বে মনে করা হতো যে ধর্ষণ হলো এক প্রকার মানসিক চাহিদা যা মানুষ তার দেহের তারা পরিতৃপ্ত করে এবং ধর্ষণ হল বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অশিক্ষিত সম্প্রদায়ের কাজ। যুগ যত বদলেছে ততই পাল্টেছে এই ধারণা ।এখন ধর্ষণ হল এমন এক বৈশিষ্ট্য যা পৃথিবীর প্রথম বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে বেশি দেখা যায়।
ধর্ষণের শাস্তি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকমের হলেও প্রায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফাঁসি বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। যদিও সৌদি আরবে এই পাপ কর্মের শাস্তি হিসেবে জনসমক্ষে শিরশ্ছেদ করা হয়ে থাকে
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (w.h.o.) এর মতে ধর্ষণের কোন চরম শাস্তি বলে কিছু হয়না এবং এটি একটি সাময়িক মানসিক বিকৃতি । সেক্স বা যৌনতা মানুষকে কিছু সময়ের জন্য পাশবিক হতে সাহায্য করে । কিছু মানুষ নিজেকে সংযম করলেও অনেক মানুষ তা পারে না এবং নিজের দৈহিক লালসা পূর্ণ করতে এগিয়ে চলে। সেই সময় সেই মানুষের মাথায় এই পাপ কর্মের শাস্তি নিয়ে কোনো হেলদোল থাকে না। কারণ তার ভালো-মন্দ বা সঠিক ভুলের পার্থক্য নির্ধারণ করার মানসিক ক্ষমতা তখন তার লোপ পায়
w.h.o. এর কথা মেনে নিলে বলা যায় যে আমাদের দেশের দুটি নারকীয় ধর্ষণের ঘটনা এই যুক্তিকে সমর্থন করার জন্য যথেষ্ট ।একটি কলকাতার ধনঞ্জয় কান্ড এবং অপরটি দিল্লির নির্ভয়া কান্ড । এই দুই ক্ষেত্রেই দেখা যায় ধর্ষণকারীরা ধর্ষিতার উপর অমানবিক অত্যাচার চালিয়েছিল । ধনঞ্জয় যেমন শরীরের তৃপ্তি চরিতার্থ করে ধর্ষিতার হাতের নালী কেটে দিয়েও তার গলা শক্ত করে টিপে রেখেছিল বহুক্ষণ। দিল্লির নির্ভয়াকান্ডে ধর্ষণকারীরা লোহার রড ঢুকিয়ে দিয়েছিল ধর্ষিতার যৌনাঙ্গে।
এইসব ঘটনা প্রমাণ করে যে কোন চরম বা বিভীষিকাময় শাস্তিই ধর্ষণের জন্য উপযুক্ত নয় বরং এর জন্য দরকার চেতনা এবং মানসিক বন্ধনের। হয়তো পৃথিবী যতদিন থাকবে ততদিন চলতে থাকবে ধর্ষণ । তবে এর সংখ্যা কমাতে আমাদেরকেই সমাজচেতনা প্রচার করতে হবে ।
বাকিটা আমাদের ভাগ্য ও মানুষের শারীরিক চাহিদা। যার বিলোপ কোনোকালেই সম্ভব নয়।
0 notes
Text
রেপ! নাকি পৌরুষত্বের আস্ফালন !
যে কোনো সময় যদি কোনো রকম রোগ দেখা দেয় তাহলে বিজ্ঞানীরা সবার প্রথমে ইতিহাস ঘেঁটে দেখে যে সেই রোগ আগে কখনও হয়েছিল কিনা। ‘রেপ’ - ঘটনাক্রমে ঘটানো এক প্রকার ঘটনা যার ইতিহাস সুদূর প্রাচ্যের।
ঠিক কবে এই ধরণীতে রেপ নামক এই নিকৃষ্ট কার্য - সম্লেলন সম্পন্ন হয়েছিল তার কোনোই সঠিক বিবরণ নেই ইতিহাসে। তবে ইতিহাস যে বিবরণ দেয় সেই অনুযায়ী প্রাচীন গুহা মানব কোনো রমণীকে পছন্দ করলে তাকে বেশিরভাগ সময়ই বল পূর্বক মিলন করতো।তার পর যখন মানুষ উন্নত হয় তখন আসে নানা রকম বাহানা রেপ করার উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য।যেমন, প্রাচীন গ্রীসে নাকি একবার ১৪ বছরের মেয়েকে চার্চে নিয়ে গিয়ে রেপ করা হয়েছিল,পরে এই কার্যকে দেবতার ‘অর্ডার’ বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ১৯৪৫ সালে রেড আর্মির সৈন্যরা বার্লিনে গণ রেপ করেছিল।সংখ্যাটা প্রায় ১ লক্ষ্যের উপর। প্রাচীন কালের অনেক জমিদার বা রাজারা শুধু মাসের একদিন তার রাজ্যে ঘুরতে বেড়াতো আর কোনো সুন্দরী মেয়েকে পছন্দ হলে তার দিকে ফুল ছুঁড়ে মারতো। এমনও হয়েছে যে একবার একটি ২ বছরের শিশু এক রাজাকে ফুল দিতে এসেছিল তবে সে রাতে তাকে হতে হয়েছিল সেই রাজার লালসার শিকার। এই সব কিছুর ঊর্ধে আমাদের উগান্ডার প্রেসিডেন্ট আমিন দাদা।সে শুধুমাত্র রেপ করতো না , শরীরের ক্ষিদে মিটিয়ে সে সেই মেয়েটার মাংস কেটে খেতো। এমন অনেক রাত গেছে যখন কোনো মেয়েকে টেনে হিচড়ে ঢোকানো হয়েছে আমিন দাদার ঘরে আর পর দিন সকালে তার বিছানায় পাওয়া গেছে শুধু কয়েকটি হাড় আর রক্ত। ইতিহাসে এরকম ঘটনা গাদা গাদা আছে।
তবে আমাদের আলোচনা অন্য বিষয়ে।প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী মেয়েরা অপেক্ষাকৃত দুর্বল পুরুষদের থেকে। তা তারা যতই ডাম্বেল তুলুক আর চেঁচিয়ে জগৎ ফাটাক এটাই ধ্রুব সত্য যে প্রকৃতি মেয়েদের তৈরি করেছে ধারণের জন্য - যুদ্ধের জন্য নয়।পৃথিবীর তাবড় তাবড় ডাক্তাররা বলেছেন যে রেপ হওয়ার সময় একটি মেয়ে যে রকম যন্ত্রনা বা কষ্টের মধ্যে দিয়ে যায় তার ৬০ ভাগ যদি কোনো পুরুষের হতো তাহলে সে মারা যেত।
এবার আমি যার কথা বলবো তার আমি নাম দিয়েছি রেপের আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার। কেন ? শুনুন তাহলে।এই মহান মানুষটির নাম জোসেফ ফ্রিৎজিল।বাসিন্দা অস্ট্রিয়ার।ইনি নিজের মেয়েকে বাড়ির তলায় এক কাঠের ঘরে বন্দি করে প্রায় ২৪ বছর ধরে রেপ করে। মোট রেপের সংখ্যা ১৪৯ বার।যদিও এটা এলিজাবেথ মানে তার মেয়ের দেওয়া পরিসংখ্যান।কারণ সে এতবার রেপ হয়েছিল যে শেষে আর নাকি গুনতনা।এই মেয়েটি আবার ৭টি সন্তানের জন্মও দিয়েছিল সেই ২৪ বছরে। কিন্তু সবচেয়ে আসল বিষয় হলো জোসেফ যখন ধরা পরে পুলিশের হাতে তখন পৃথিবীর নাম করা মনস্তাত্বিকবিদেরা তার সাথে কথা বলে জানতে পারে যে যতনা সে যৌন চাহিদা মেটাতে রেপ করেছিল তার থেকে অনেক বেশি ছিল তার হতাশা আর পৌরুষত্ব প্রমানের প্রচেষ্টা। জোসেফকে দেখতে একদম ভালো ছিলোনা তাই স্কুল বা কলেজে মেয়েরা তাকে পাত্তাই দিতনা।তাই সে নিজেকে প্রমান করেছিল এই কাজ করে যে সে এক পুরুষ । জোসেফ যখন অত্যাচার চালাত তখন মুখে নানান মেয়ের নাম নিতো যা এলিজাবেথ বলেছিল পরে পুলিশকে।আর পুলিশ পরে জানতে পারে যে সেই সব মেয়েরা ছিল জোসেফের বান্ধবী যারা তাকে দূরছাই করতো।
এই ঘটনার পর গোটা পৃথিবীতে একটা আলোড়ন পরে গেছিলো আর মনস্তাত্বিকরা এই সিদ্ধান্তে আসে যে রেপ জিনিষটা বহু মাত্রায় এক শক্তির আস্ফালন।এক পুরুষ মানসিক ভাবে অনেক বেশি প্রস্তুত থাকে রেপ করার আগে কারণ সে জানে যে তার শিকার অনেক দুর্বল শক্তির দিক থেকে - তাই জয় তার নিশ্চিত। এক পুরুষ এক রমণীর দিকে তাকাবে এটাই প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়ম কিন্তু যখন তা লালসায় পরিণত হয় তখন সেই পুরুষটি শুধুমাত্র নিজের পৌরুষত্ব দেখাতেই সেই মেয়েটির উপর ঝাপিয়ে পরে।
এর সাথে অবশ্যই যুক্ত হয় সেই পুরুষটির মানসিক অস্থিরতা। চুল চেঁরা বিশ্লেষণ করলে হয়তো অনেক কারণ বেড়োবে কিন্তু সব কিছুর উর্ধে হলো পুরুষের জোড় খাটানোর তত্ত্ব।
আমরা কেউই স্বামী বিবেকানন্দ নই।খারাপ ভালো মিশিয়েই আমরা তৈরি।তবে আমাদের মধ্যে যদি কারোর লালসার অভিপ্রায় আসে তাহলে তা আমরা মানে পুরুষেরাই আগে বুঝতে পারবো কারণ সে আমাদেরই বন্ধু হতে পারে বা আমাদের সন্তান। তাই রেপ বন্ধ যদি করতে হয় তাহলে আমাদের মানে পুরুষদেরকেই এগিয়ে আস্তে হবে। না হলে এরকম অনেক জোসেফ আমাদের মধ্যে আছে যাদের আমরা হয়তো থামাতে পারবো না তাদের পৌরুষত্বের আস্ফালনের আগে।
1 note
·
View note
Text
কুকুর শৈলীর ইতিহাস
১৯৬৭ সালের মার্চ মাস।
ইরাকের দক্ষিণ দিকে প্রায় ১৫৬ কিলোমিটার দূরে চার জন নৃতত্ত্ববিদ মাটি খুঁড়ছিলেন । হঠাৎ তাদের লাঙলের আঘাতে বালিমাটি ধসে যায় আর তারা চারজনই প্রায় ১০ মিটার গভীর এক গর্তে পড়ে যায় ।
সৌভাগ্যবশতঃ কেউ হতাহত হয়নি। তবে সেই গর্তে পড়ে যাবার পর তারা দেখতে পায় যে সেই গর্ত আসলে একটি সুড়ঙ্গ পথ । তারা সবাই সেই পথে হাঁটতে থাকে এবং প্রায় দশ মিনিট হাঁটার পর তারা এক প্রকাণ্ড গুহার সামনে এসে উপস্থিত হয়।
হাতের টর্চ চারিদিকে ঘুড়ি’এ তারা যা দ্যাখে তাতে তাদের চোখ কপালে উঠে যায় ।
সমস্ত গুহা জুড়ে শুকনো পাতা আর সরু বাঁশের কঞ্চি পরে আছে । আর তার সাথে সেই গুহার দেওয়ালে প্রচুর চিত্র আঁকা যা মূলতঃ কাঠ কয়লা মিশ্রণে তুলির টান।
গুহার চিত্রের উপর টর্চের আলো আরও ভালোভাবে পড়লে দেখা যায় সমস্ত দেওয়াল জুড়ে এক নারী ও পুরুষের কুকুর শৈলের ভিন্ন ভিন্ন ছবি আঁকা । গুহার ভিতরে আরও খোঁজাখুঁজির পর তারা একটি মাটির ফলক পায় যাতে সুস্পষ্টভাবে এক নারী ও পুরুষের কুকুর শৈলের খোদাই করা প্রতিকৃতি ফুঁটে আছে ।
এই ঘটনার পর সারা বিশ্বের নৃতত্ত্ববিদের মধ্যে আলোড়ন পড়ে যায় এবং বিভিন্ন পরীক্ষার পর জানা যায় যে -
গুহার মধ্যেকার সব ছবিই একই নারী ও পুরুষের । এমনকি যে মাটির ফলক পাওয়া গেছিল সেটিও সেই একই নারী ও পুরুষের ।
মাটির ফলকটি খ্রিস্টাব্দ পূর্ব ২০০০ থেকে ২৫০০ বছর অর্থাৎ প্রায় আজ থেকে ৫০০০ বছর আগের
গুহার সেই চিত্র ও মাটির ফলকটিতে যে নারী রয়েছে তিনি ইরাকের তেঁজুন নামক এক প্রদেশের রানী ছিলেন এবং পুরুষটি ছিল একজন ক্রীতদাস ।
এরপর বহু চর্চিত এই বিষয় নিয়ে ডিসকভারি চ্যানেল একটি প্রতিবেদন বানায় প্রায় তিরিশ বছর পর এবং সেই প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে সেই রানির নাম ছিল সেলুপ এবং তার মৃত্যু দণ্ড হয়েছিল । কী জন্য মৃত্যু দণ্ড হয়েছিল তা জানা যায়নি তবে আমরা নিশ্চয়ই আন্দাজ করতে পারছি ।
আরোও জানা যায় যে সেই রানি ওই একজন কৃতিদাসের সাথেই শুধু কুকুর শৈলীর আঙ্গিকে সঙ্গম করত এবং এই তথ্য রীতিমতন ইরাকের বহু প্রাচীন পুঁথিতে পাওয়াও গেছে।
ইরাকের এই ঘটনা মোটেই কোনও বিচ্ছন্ন ঘটনা নয় । সঙ্গমের বহুল আঙ্গিকের মধ্যে সবচেয়ে চর্চিত হলো এই শৈলী । কারণ সবার দ্বারা কুকুর শৈলী করা সম্ভব হয় না । এই আঙ্গিকের জন্য প্রয়জন হয় নারীর অদম্য সহ্য ক্ষমতা ও পুরুষের নিজের কাম আয়ত্তে রাখা - একটু বেশি সময় যাবৎ।
কুকুর শৈলী ঠিক কতটা পুরনো বা কবে থেকে এর অধ্যায় শুরু হয়েছিল তার কোনো প্রকৃত প্রমাণ না পাওয়া গেলেও এই অধ্যায় যে আজ থেকে ৫০০০ বছর আগেও বিদ্যমান ছিল তার প্রমাণ ইরাকে পাওয়া যায় ।
এবং এই শৈলী বাকি সমস্ত আঙ্গিক শৈলীর মধ্যে সবচেয়ে রোমাঞ্চময় তা বলা বাহুল্য । প্রকৃতই এক নারী তার শরীরের সবচেয়ে উচ্চ মার্গের যৌনভূতি অনুভব করে এই শৈলীর মাধ্যমে - এবং তা আজ বিজ্ঞান দ্বারা প্রমাণিত ও স্বীকৃত ।
কুকুর শৈলীর সবচেয়ে বেশি প্রয়োগ ল্যাটিন আমেরিকা , ইতালি ও ইউরোপ’এ হয়ে থাকে। এর পিছনের কারণ হলো ওই সব দেশের নারীরা বেশিরভাগ মেদহীন শরীর ও রীতিমতন শরীর চর্চা করে থাকে। যদিও এই শৈলীর জন্য বিশেষ কোনো ব্যায়াম এর দরকার হয় না। এবং আজকের দিনে ভারতেও অনেক বেশি এই শৈলীর প্রচলন হয়েছে।
গুগল এর সৌজ্জন্যে সেই রানির সেই ছবি নিচে দিলাম যা আজ থেকে ৫০০০ বছর পুরনো ।।

0 notes
Text
The latest theory of getting importance from your partner is to avoid him/her a bit.
It increases the desire of lusting.
0 notes
Text
নারী শরীরে নিতম্ব
নারী শরীরে নিতম্ব
নারী শরীরের প্রতিটি ইঞ্চি তার নিজস্ব সৌন্দর্য বহন করে। সেই সৌন্দর্য ভিন্ন মানুষের চোখে ভিন্ন ভাবে ধরা দেয়।
তবে এক নারীর শরীরের অতি আকর্ষণীয় অঙ্গ হলো তার নিতম্ব যা এক নারীর শরীরকে পূর্ণতা দেয়।
আমি বহু নারী দেখেছি যারা অতীব সুন্দরী কিন্তু তাদের নিতম্বের আদল একেবারেই মন্দ তাই ত্বকের ঔদার্য থাকা সত্ত্বেও সেই নারী এক সাধারণ শরীরের মালিকানা বহন করে।
নিতম্বের উদল্লতা ও বক্রতা যদি সঠিক হয় তাহলে একটি নারী তার শরীরকে আকর্ষণের তীব্র সীমানায় নিয়ে যেতে পারে। নিতম্ব যতই সুউচ্চ হবে নারীর চলনের বাঁক ও হিল্লতা ততই গজের সমতুল্য হয়ে উঠবে। তাই এক নারীর শরীরের আকার ও তার যৌন হিংস্রতা যাচাই করতে তাকে সামনে থেকে নয় পিছন থেকে দেখা উচিত।
সমীক্ষায় ��েখা গেছে , উন্নত ও সুডোল বক্ষ যুগলের অধিকারী নারী অনেক সময়ই যৌন উদ্দীপনায় তার প্র��য়কে সুখ দিতে পারে না তবে মেদবহুল নিতম্বের অধিকারিণী প্রতিটি সঙ্গমে সমান ভাবে তার সঙ্গীকে উপভোগ করতে পারে।
বিদেশে তাই অস্রপ্রচারের মাধ্যমে নিতম্ব ও বক্ষ যুগল উন্নত করা হয় কারণ বিজ্ঞান মতে এক পুরুষের কাঁধ ও এক নারীর সুউচ্চ মাংসবহুল নিতম্ব তাদের নিজ নিজ শরীরের আকর্ষণ বৃদ্ধি করে।
কামসূত্রের মোট ৬৪টি আঙ্গিক সঙ্গম লহমার মধ্যে সবচেয়ে তীব্র যৌনাঘাত ও সুখময় অধ্যায় হলো Doggy Style বা কুকুর শৈলী। এর পিছনের প্রধান কারণ যৌনতার সাথে নিতম্বের আঙ্গিক সম্পর্ক।
এক পুরুষ এক নারীর শরীরের ভিন্ন অংশে ঘুরে এসে যখন নিতম্বে পৌঁছায় তখন তার হাত এবং তার মন কোনো এক জায়গায় থামতে চায়। সেই থামাটা অত্যন্ত জারুরী এক পূর্ণাঙ্গ যৌন লাস্যময়তার জন্য। এক নিটোল ও মসৃণ নিতম্ব পুরুষকে সেই কাজে সাহায্য করে।
এক উলঙ্গ নারীর থেকে অনেকে বেশি কামনার উদ্দীপনা জাগায় এক পদ্ম ফুলের সমতুল্য নিতম্বের কুকুর শৈলী ধরণে এক নারীর বসে থাকা। এতে যোনিমুখ ফুলে থাকে আর নিতম্বের ছিদ্র অনেক উন্মুক্ত হয়। এই জগতের কোনো পুরুষ নেই যে এক নারীকে ‘ওই’-ভাবে বসে থাকতে দেখে নিজেকে আটকে রাখবে। নারীর ওই ভাবে বসা এক ধরণের শিল্প যা হয়তো সব নারী পারে না কারণ সবার পূর্বে উল্লেখিত নিতম্ব অলংকার নেই।
#darkweb
#darkwebwritings
8 notes
·
View notes