Tumgik
#করত
alibaba1xk · 1 year
Text
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চান না জাপান রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায় না বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি। বুধবার (৩ মে) ঢাকাস্থ দূতাবাসে প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর নিয়ে ব্রিফিংকালে নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।  এ সময় টোকিওতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত। ব্রিফিংকালে…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
Text
ফারাহ সাজিদকে পূর্ণ করতে পৌঁছেছে, ঝাঁঝালোভাবে
ফারাহ সাজিদকে পূর্ণ করতে পৌঁছেছে, ঝাঁঝালোভাবে
বিগ বস 16 প্রতিস্থাপন: বর্তমান ‘বিগ বস 16’ দুর্দান্তভাবে এগিয়ে চলেছে। বর্তমান সাফল্যের ফলস্বরূপ, এটি 4 সপ্তাহের বর্ধিত হয়েছে। একই সময়ে, একের পর এক প্রতিযোগীদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে প্রবেশ করে তাদের উত্সাহিত করতে দেখা যায়। ফারাহ খানকে তার ভাই সাজিদ খানকে সহায়তা করতে উপস্থিত হতে দেখা যাবে, যার প্রোমো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। বিগ বস 16 প্রতিস্থাপন করুন Colors TV তার অফিসিয়াল…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
tawhidislamictv · 11 months
Video
youtube
বাস্তব একটি ঘটনা ✅এক ভাই ওয়াজ পছন্দ করত না ✅ mohila waz mohila der waz...
0 notes
sohelmusicbangla · 2 years
Video
এসব অদ্ভুত ঘটনা ক্যামেরায় রেকর্ড না হলে কেউ বিশ্বাস করত না । New Funny ...
0 notes
myladytara · 3 months
Text
অনেকে হয়তো জনপ্রিয় সিটকম 'The big bang theory ' দেখেছেন। ৪ উলটা চরিত্র বন্ধুর কাহিনি। তবে মূল কাহিনি গড়ে উঠে শেলডন কুপারকে নিয়ে। এই সিরিজের প্রিকুয়েল Young Sheldon. নাহ সিরিজ নিয়ে রিভিউ দিবো না। এই সিরিজের একটা ইমোশনাল সিন আছে। সেটার কথা বলছি। ভালোবাসা কেমন হওয়া উচিত তা আবার নতুন করে রিয়ালাইজ করলাম আরকি।
জর্জ কুপার, শেলডনের বাবা মারা যায়। জর্জের মরনোত্তম অনুষ্ঠানে সবাই আসে জর্জের স্মৃতি রোমহন্থনে। ম্যারি কথা শেষ করার আগে কান্নায় ভেঙে পড়ে। ম্যারিকে সামলানোর জন্য তার মা, জর্জের শাশুড়ি উঠে। সে তখন জর্জের কাহিনি বলে।
বলে রাখা ভালো, ম্যারির কোনো ভাই নেই। ছোটোবেলা থেকে ম্যারি বেশ ধার্মিক ছিল। জর্জ ম্যারিকে পছন্দ করত প্রায় ম্যারির বাসায় যেত। কিন্তু জর্জ ছিল বেশ সিম্পল একটা ছেলে, ম্যারির মায়ের ভালো লাগত না। তাই জর্জকে খারাপ বানানোর জন্য কিংবা তার দৃষ্টি ম্যারি থেকে সরানোর জন্য জর্জ যখনি ম্যারির বাসায় যেত ম্যারির মা ম্যারির সুন্দরী, ফ্লার্টি বান্ধবীকে ডাকত।
দেখা গেল, জর্জের চোখ ম্যারি থেকে সরত না, ওই বান্ধবী খোলামেলা থাকলেও জর্জ বোকা ম্যারির দিকেই মোহগ্রস্ত থাকত। আর এই মোহগ্রস্ত ছিল মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। জর্জ বেশ অল্প বয়সে মারা যায়। আমরা যারা দেখছি big bang এ ম্যারিকে, তারা জানি, ম্যারি তখনো সিংগেল ছিল।
ভালোবাসা কমিটমেন্ট ছাড়া কিছু না। এটা বিশ্বাস ও না, মায়া ও না। এটা হলো কমিটমেন্ট। আমি কাওকে ভালোবাসছি মানেই আমি তার কাছে চুক্তিবদ্ধ। আমার সমস্ত ফোকাস, বিশ্বাস, মায়া সে পাবে।
এ যুগে ভালোবাসার মধ্যে সব আছে। কমিটমেন্ট নাই। তাই ভালোবাসা হারিয়ে যায় যখন সম্পর্ক ও ডিভোর্সের রূপ নেই। যখন কমিটমেন্ট থাকে ভালোবাসা হারানোর পরও সম্পর্ক থাকে, আবার নতুন করে ভালোবাসা আসে।
ম্যারি-জর্জ young sheldon এ বারবার এটা বলছে। ইভেন জর্জকে মোটা বললে ম্যারি ভয়াবহ ক্ষেপে যেত। অপরদিকে জর্জকে দেখা যায় যত বিপদ আসত, তা ম্যারিকে ছোঁয়ার আগেই সে সামনে দাঁড়াতো। ম্যারি অসুস্থ হলে রান্নাবান্না করতো,বাচ্চাদের সামলাতো।
আমরা একটু বেশি আত্মকেন্দ্রিকতা প্রমোট করছি। 'নিজেকে ভালোবাসুন' বুলি আওড়াতে আওড়াতে একটা সেলফিশ প্রজন্ম হচ্ছি। ভালোবাসা গিভ এন্ড টেইকের বিষয় না। ৫০-৫০ এর ও বিষয় না। এটা এর থেকে বেশি কিছু। এটা হল যখন আমার কেউ থাকবে না, আমিও আমার থাকবে না, তখন কেউ আমার থাকবে--এটাই ভালোবাসা।
🖊️ এম. জে. বাবু
2 notes · View notes
guardianpubs17 · 8 months
Text
Tumblr media
মুসলিম ইতিহাসে একজন খলিফা ছিলেন, যিনি পরিচিত ছিলেন ‘পাগলা খলিফা’ নামে। তার নাম ছিল আল হাকিম। মিশরের ফাতেমি খিলাফতের খলিফা ছিলেন তিনি।
আল হাকিমের হুকুমগুলো ছিল খুব অদ্ভুত!
তিনি হুকুম জারি করলেন----দিনের বেলা বাজার বসবে না, বাজার বসবে রাতের বেলা। দিনে দোকানপাট বন্ধ থাকত, রাতে সবাই বাজার করত।
তিনি হুকুম জারি করলেন----নারীরা বাইরে বের হতে পারবে না। দেখা গেল, তার সিদ্ধান্ত অনেক নারী মানছে না। তিনি জুতা প্রস্তুতকারীদের জানিয়ে দিলেন নারীদের জন্য জুতা না বানাতে। জুতা ছাড়া তো নারীরা বাইরে বের হতে পারবে না!
মিশরে তখন বন্যা হতো, বন্যায় অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হতো। আল হাকিম পরিকল্পনা করলেন নীলনদে বাঁধ দিবেন, যাতে বন্যা প্রতিরোধ করা যায়।
তার পরিকল্পনা শুনতে পেলেন একজন বিজ্ঞানী। তিনি জানালেন, ‘আমি নীলনদে বাঁধ দেওয়ার কাজটি করতে পারব।’
বিজ্ঞানী বসরা থেকে কায়রোতে আসলেন। নীলনদ দেখে বুঝতে পারলেন, এটাতে বাঁধ দেওয়ার সাধ্য তার নেই। অক্ষমতা প্রকাশ করলে পাগল খলিফা তাকে হত্যা করবেন।
বিজ্ঞানী ভাবলেন, পাগলের সাথে পাগলামি করবেন।
তিনি পাগল হওয়ার অভিনয় করলেন।
আল হাকিম নির্দেশ দিলেন---- ‘এই পাগলকে বন্দি করো।’
বন্দি হলেন বিজ্ঞানী। মিশরের কারাগারে ১০ বছর ছিলেন। এই সময় তিনি একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার করেন। একদিন তিনি লক্ষ করেন, কারাগারের দেওয়ালের গর্ত দিয়ে আলোর সঙ্গে একটি বস্তুর উলটো প্রতিবিম্ব দেওয়ালে পড়ছে। তার এই ভাবনা পালটে দেয় আলোকবিদ্যার গতিপথ। শুরু হয় আলো নিয়ে এক নতুন পৃথিবীর সূচনা!
জেলে বসে গবেষণা করা সেই বিজ্ঞানী সেই বিজ্ঞানীর নাম ইবনুল হাইসাম! অনেকের মতে তিনি আধুনিক আলোকবিদ্যার জনক।
তার লেখা ৭ খণ্ডের ‘কিতাবুল মানাজির’ বা ‘Book of Optics’ ছিল মধ্যযুগের আলোকবিদ্যার রেফারেন্স বুক।
মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদান এবং বর্তমানের বিজ্ঞান-প্রযুক্তি কীভাবে মুসলিম বিজ্ঞানীদের ওপর নির্ভরশীল, এটা জানতে পড়তে পারেন গার্ডিয়ান প্রকাশিত ‘মুসলিম মস্তিষ্ক: বিজ্ঞানের অনবদ্য গল্প’।
2 notes · View notes
kanej-jabin · 1 year
Text
গভীর সমুদ্রের অন্ধকারে লুকিয়ে থাকা ভয়ংকর দানব, যার কামড় খেলে মৃত্যু নিশ্চিত
Tumblr media
মেগালোডন হল একটি বিলুপ্তপ্রায় হাঙর প্রজাতি যা আজ থেকে ২ কোটি থেকে ৩০ লক্ষ বছর আগে পৃথিবীতে বাস করত। এটি ছিল সবচেয়ে বড় শিকারী হাঙর, যার দৈর্ঘ্য ছিল ৫৫ ফুট। মেগালোডন সাধারণত তিমি, ডলফিন এবং অন্যান্য বড় সামুদ্রিক প্রাণীদের শিকার করত। মেগালোডনকে প্রায়শই "সমুদ্রের দৈত্য" বলা হয়। সমুদ্রের তলদেশে জানা অজানা আরো এমন হাজারো প্রাণী রয়েছে, যেগুলো মেগালোডন থেকেও ভয়ংকর। যার কামড় খেলে মৃত্যু নিশ্চিত। আরও পড়ুন...
2 notes · View notes
sozibhassan · 2 years
Text
বউয়ের বান্ধবী এবং বাসার কাজের মেয়ে কে একসাথে ..
বউ সবে মাত্র ইন্টার পাশ করেছে। বিয়রে পর আমার বউ কে ঢাকানিয়েএসেছি। আমি একটা ছোট সরকারি চাকরি করছি।আমার জবটা হচ্ছে টুরিং জব। এইজন্য মাসে ৬/৭ দিনঢাকারবাহিরে থাকতে হয়। এই কারনে একটি কাজের মেয়ে রাখা হয়েছে। বাসায় কেবল একটি কাজের মেয়ে। বয়স ১৪/১৫হবে।
কাজের মেয়েটির নাম শাহানা। আমার শ্বশুড় বাড়ি থেকে ��কে আনা। আবার ও আমার দুর সম্পর্কেরখালাতশালি। সে কারনে সে আমাকে দুলাভাই ডাকে। দেখতে শুনতে ভালই, শরিরের গঠন সুন্দর, ব্রেস্ট বেশ বড় বড়আরসব সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকে।
আমার বউ এর পুরোন ছালোয়ার কামিজ গুলো ওই পড়ে বলে ওকে আরো বেশি সুন্দর লাগে।
আমি কখনো শাহানার প্রতি খারাপ নজর দেইনি। নতুন বিয়ে করেছি, ৬/৭ মাস হয়েছে। বউ এর কাছেফেইথথাকবার চেষ্টা করেছি। বাসার ভেতর যুবতি মেয়ে। তারপরও আমার বউ আমাকে দারুন বিশ্বাষ করতো। আমিতারবিশ্বাষ রাখার চেষ্টা করেছি।
বাসায় একটি মাত্র রুম, শাহানা প্রথম প্রথম রান্না ঘরে ঘুমাত। আমার প্রতি তার অগাধ বিশ্বাষের কারনে আমারবউশাহানা কে আমাদের রুমে আলনার আড়ালে শুতে দেয়। একটা বেপারে আমার বউ ওকে ফ্রী করে ফেলছিল, তাহলআমরা স্বামী-স্ত্রী যখন বিছানায় একসাথে শুয়ে থাকতাম বা চোদাচুদি করতাম তখন মাঝে মাঝে ও রুমের ভেতরদিয়েচলাচল করত, কেউ কিছু মনে করতাম না। Moheni biswas
আমাদের রুমে ঘুমানোর পরেও শাহানার প্রতি আমি দৃষ্টি দিতাম না, ভাবতাম আমার বউ ওর চেয়ে অনেক সুন্দরি, আমার সকল ডিমান আমার বউ ই তো পুরন করছে। তাতে আমার উপর বউ এর বিশ্বাষ আরো বেড়ে যায়।
চোদাচুদি করতাম যা শাহানা প্রায়ই দেখতে পেত। এতে আমার বউওশাহানা দুজনেই মনে কিছু করত না! আমিও মজা পেতাম। দিনে দিনে বেপারটা ডাল ভাতের মত হয়ে গেল।
আমার বউ এর একটি ক্লোজ বন্ধবি ছিল, নাম সীমা। বিয়ের দিন ওকে আমি দেখেছিলাম। দেখতে শ্যামলা বর্নের, কিন্ত অসম্ভব সেক্সি। বউ এর কাছে শুনেছি ওর নাকি চরিত্র ভাল না, বেশ কয়েক জনের কাছে নাকি চোদাখেয়েছে।চোদার ব্যাপারে নাকি আমার বউকে নাকি পটাতে চেয়েছিল। কিন্তু আমার বউ পথে পা দেয়নি। বিয়ের দিন এবং বিয়ের পরে শ্বশুর বাড়িতে সীমাকে বেশ কয়েকবার দেখেছি আর কথা বলেছি, মনে হয়েছে ওর ভেতরে সত্যিই একটিকাম ভাব আছে।
একদিন সীমা ঢাকাতে ওর বড় বোনের বাসায় বেড়াতে আসল। ঢকায় থাকবে বেশ কয়েকদিন। আমাদেরবাসায়ওনাকি দুই তিন দিনের জন্য বড়াতে আসবে। আমার অফিস ট্যুরের প্রোগ্রাম পড়ল। পটুয়াখালীতে যেতে হবে৬/৭দিনের জন্য। যেদিন আমি ট্যুরে যাব সেইদিন সীমা আমার বাসায় এল। আমি ব্যাগ ট্যাগ নিয়ে সোজা অফিসেচলেগেলাম পরে পটুয়াখালীতে।
অফিসে গিয়ে শুনলাম, ট্যুর প্রোগ্রাম বাতিল। ট্যুরে যাওয়া হল না। সন্ধযায় বাসায় চলে এলাম। বাসায় আমাকেদেখেআমার বউ তো অবাক। বললাম ট্যুর বাতিল হয়েছে। আমার বউ আর সীমা খুবই খুশি হল, বলল আমরা সবাই মিলে মজা করতে পারব। ,
Moheni Biswas#রাতে খাওয়া দাওয়া করে আমরা গল্প করতে শুরু করলাম। আমার বউএর অনুপস্থিতিতে সীমা আমাকে একবার বলল, আপনি খুবই হ্যান্ডসম। উত্তরে আমিও বললাম তুমিও অনেক কিউট আর সেক্সি। সীমা মুচকি হেসে বলল, তাইনাকি? আমিঃ হ্যাঁ।
রাতে আমাকে খাটে শুতে হল। সীমা আর আমার বউ শুয়ে পড়ল নিচে তোশক পেতে। আমার বউ ম্যাক্সি আরসীমাসালোয়ার কামিজ পড়েছে। দুই বান্ধবি গল্প করছিল এইভাবেঃ …
সীমাঃ তোদের অসুবিধা করলাম।
বউঃ কিসের অসুবিধা?
সীমাঃ তোকে নিচে শুতে হল।
বউঃ আমার ভালই লাগছে।
সীমাঃ (আস্তে করে) যদি তোদের করতে ইচ্ছে করে?
বউঃ করব।
সীমাঃ আমি দেখে ফেললে?
বউঃ দেখলে দেখবি।
সীমাঃ শাহানার জন্য তোদের অসুবিধা হয় না?
বউঃ না।
সীমাঃ শাহানা কি দেখেছে কখনো?
বউঃ অনেক দেখেছে। এখনতো শাহানার সামনে করি। ওকে দেখিয়ে দেখিয়ে করতে আলাদা মজা আছে।
সীমাঃ তোর জামাই শাহানাকে কি কিছু করে?
বউঃ ও খুব ভালো। এগুলো কিছু করে না, কোন আকর্ষন নেই।
সীমাঃ ও! আচ্ছা!
সীমা আর আমার বউ মনে করেছে আমি ঘুমিয়ে গেছি। কিন্তু আমি চুপ করে শুনছি ওদের কথাবার্তা।
বউঃ তোদের সেই খালেদ ভাইয়ার খবর কি?
সীমাঃ এখন আমি আর ধরা দেই না, ভেবেছে আমি ওকে বিয়ে করব।
বউঃ বিয়ে করবিনা?
সীমাঃ না।
বউঃ তুই কি এসব আনন্দের জন্য করিস?
সীমাঃ হ্যা।
কতক্ষন ওরা চুপ হয়ে থাকল। তারপর সীমা বলতে লাগল …
সীমাঃ তোর কি ভাইয়ের কাছে যেতে ইচ্ছা করছে?
বউঃ কিছু কিছু
সীমাঃ যা
বউঃ তুই যে জেগে?
সীমাঃ কিছুই হবে না।
সীমা আমার বউকে খাটের উপর আমার কাছে পাঠিয়ে দিল। আমার বউ আমার পাশে শুয়ে আমাকে জাগাবারচেষ্টাকরল। আমি সারা দিলাম। আমার বউকে জড়িয়ে ধরলাম। ম্যাক্সি উপরের দিকে টেনে ভোদায় হাত দিলাম।আমারবউএর ভোদা আংগুলি করলাম। ভোদার লিপস এ চিমটি কাটলাম। ম্যাক্সি পুরুটাই খুলে ফেললাম। আমার ধনখাড়াহয়ে গেল।
বেশি দেরি না করে বউএর ভোদার ভেতর আমার ধন ঢুকালাম। খুব জোরে ঠাপ দিতে লাগলাম। বউউঃআহঃ … শব্দ করতে লাগল। দেখলাম সীমা নড়াচড়া করছে। আমি আরো জোরে ঠাপাতে লগলাম। বউ তাতেতারশব্দ করা বাড়িয়ে দিল। এতে সীমার নড়াচড়াও বেড়ে গেল। সম্ভবত সীমার সেক্স উঠেছ।
এবার বউএর দুইপা উপরের দিকে তুলে ধন খেচতে লাগলাম। সীমাকে খুব লাগাতে ইচ্ছা করল। সিমার কথা মনেকরেবউএর ভোদা আরো বেশি করে মারলাম। দেখলাম ভোদার মধ্যে ছির ছির করে মাল বের হচ্ছে। আমার বউ আস্তে আস্তে যেয়ে সীমার পাশে শুয়ে পড়ল। Moheni biswas সকালে আমার আগে ঘুম ভেংগে গেল। দেখলাম আমার বউ আর সীমা এখনো ঘুমাচ্ছে। শাহানা রান্না ঘরেনাস্তাবানাচ্ছে। সীমা চিত হয়ে শুয়ে আছে। বুকে কোন উর্���া নাই। দুধগুলো বেশ বড় বড়। কামিজের উপরের ফাকদিয়েদুধের উপরের অংশ দেখ যাচ্ছে।
বাথরুমে চলে গেলাম আমি। গোসল করে এসে দেখি আমার বউ এবং সীমা ঘুম থেকে উঠে পরেছে। আমার বউবাথরুমএ চলে গেল।
সীমাকে বললাম কেমন ঘুম হল আপনার?
সীমাঃ ভাল না।
আমিঃ কেন?
সীমাঃ আপনারা ঘুমাতে দিয়েছেন?
আমিঃ বুঝলাম না।
সীমাঃ আমি সব জানি, সব দেখেছি।
আমিঃ আপনার কি ইচ্ছে করছিল?
সীমাঃ ইচ্ছে করলেই কি আপনাকে পাব?
আমিঃ ইচ্ছে করেই দেখেন না?
সীমাঃ ঠিক আছে আমি ইচ্ছে করলাম।
আমিঃ আজ রাতে হবে নাকি?
সীমাঃ ঠিক আছে।
আজকে ছুটির দিন ছিল। দুপুর পর্যন্ত বেশ গল্প করলাম আমরা। ৩ টার সময় সিনেমা দেখতে গেলাম আমরা।বাংলাসিনেমা। অন্ধকার হলের মধ্যে অনেকবার সীমার দুধ টিপেছি, বেশ আনন্দ করে বাসায় ফিরলাম।
রাতে আমার বউ আর সীমা নিচেই শুল। আমি খাটের উপর শুলাম। কতক্ষন আমার তিন জন আলাপ গল্পকরলাম।একটু পরে আমি ঘুমের ভান করে ঘুমিয়ে থাকলাম। আমার বউ আমাকে ডাকার চেস্টা করল আমি সাড়াদিলাম না।
আমার বউ সীমাকে বলল ও ঘুমিয়ে গেছ।
সীমাঃ কাল করেছ, আজ সারাদিন বেচারা আমাদের নিয়ে ঘুরে বেরিয়েছে, ঘুমাবে না?
বউঃ আমার ও ঘুম পাচ্ছে, ঘুমিয়ে যাব।
সীমাঃ কেন? আজ করবি না?
বউঃ না।
কিছুক্ষন পর দেখালাম, আমার বউ সত্যি ঘুমিয়ে গেছে। আরও এক দেড় ঘন্টা চলে যাবার পর আমার বউ যখনগভীরঘুমে তখন সীমা এসে আমার শরীর স্পর্শ করতে লাগল। আমি আস্তে করে সীমাকে আমার পাশে শুইয়ে নিলাম।রুম এআধো আধো অন্ধকার। কথাও বলা যাচ্ছে না, যদি বউ জেগে যায়।
প্রথমেই আমি সীমার ব্রেস্ট এ হাত দিলাম। হাতের মুঠোয় দুধ চেপে ধরে টিপতে লাগলাম। কামিজ পুরুটা খুললামনা।উপরের দিকে টেনে দিয়ে নিচ দিয়ে হাত দিয়ে আবার দুধ টিপলাম। খুবই ভাল লাগছিল সীমার দুধ টিপতে। গালেচুমুখেলাম, ঠোটে চুমু খেলাম, নিপল মুখে নিয়ে চুষলাম। সীমা নিজেউ আমার পেনিস ধরল আর মেসেজ করতেলাগল।সীমার পাজামার ফিতে খুলে পাজামাটা নিচের দিকে নামিয়ে দিলাম। ভোদায় হাত দিলাম, দেখলাম ভিজেগেছে। আঙ্গুলদিয়ে ওর ভোদা লিকিং করলাম, ভেতরটা অনেক পিচ্ছিল। আমি দেরি না করে আমার ধন ঢুকিয়ে দিলামওর ভোদারভেতর। আস্তে আস্তে ঠাপ দিতে লাগলাম।আমি অনেকক্ষন ধরে উত্তেজিত ছিলাম তাই বেশি সময় মালধরে রাখতেপারলাম না। ওর ভোদার মধ্যেই মাল আউট করতে থাকলম। হঠাৎ দেখলম শাহানা উঠে বাথরুমেযাচ্ছে, শাহানাসব দেখে ফেলল। যাই হোক সীমা আমার বউ এর কাছে আস্তে করে গিয়ে শুয়ে পড়ল।
সকালে আমি ঘুম থেকে আগে আগে উঠে রান্না ঘরে গেলাম, শাহানা নাশ্তা বানাচ্ছে। শাহানাকে বললাম কাল রাতেকিছুদেখেছিস?
শাহানাঃ দেখেছি।
আমিঃ কি দেখেছিস?
শাহানাঃ সীমা আপার সাথে আপনি করছেন।
আমিঃ তোর আপাকে বলিস না, কেমন?
শাহানাঃ আচ্ছা।
আমিঃ তোর কি কিছু করতে ইচ্ছে করে?
শাহানাঃ হ্যাঁ করে।
আমিঃ আমার সাথে করবি?
শাহানাঃ হ্যাঁ করব।
আমি অফিসে চলে গেলাম। বিকেলে বাসায় আসি। দেখি আমার বউ বাসায় নেই। সীমা আর আমার বউমার্কেটেগেছে। আমি শাহানাকে একা পেয়ে গেলাম। শরীরের মধ্যে সেক্স এর ঝিলিক বয়ে গেল। দেখলাম শাহানাওঘোরাঘোরিকরছে, ওকে ডাক দিয়ে বিছানায় বসালাম, হাটুর উপর শুইয়ে দুধ টিপলাম। ছেরির দুধগুলো বেশ ভালো, সুঢৌল স্তনযাকে বলে। আমি বেশ জোরে টিপতে থাকলাম, বললাম তাড়ারাড়ি পাজামা খুল, তোর আপু চলে আসতেপারে।
শাহানা পাজামা খুলে ফেললে ওকে খাটের উপর চিৎ করে শুয়ালাম। ওর ভোদা একদম দেখলাম, খুব সুন্দরআরমাংসল, একদম ক্লিন শেভড। ওকে বললাম কিরে তোর ভোদায় তো কোন বাল নেই, একদম ফর্সা। শাহানাবললআপনি লাগাবেন দেখে আজকেই সব সাফ করছি। ভোদা সুন্দর করে কতক্ষন হাতালাম, টিপলাম, আংগুলিকরলাম।খুব বেশি দেরি করলাম না, কনডম পড়ে নিলাম। দুই পা উপরের দিকে তুলে বাংলা স্টাইলে শাহানার ভোদার ভেতরআমার ধন ঢুকিয়ে দিলাম। দুধ টিপতে টিপতে আর ঘন ঘন ঠাপাতে ঠাপাতে মাল আউট করলাম।
শাহানা অনেক মজা পেল, আমাকে ছাড়তে চাইছিল না। বলল, দুলাভাই আপনি যখন চাইবেন তখনি আমি আপনারকাছে আসব আর আপনি আমাকে লাগাবেন !!!
কিছুক্ষন পর আমার বউ আর সীমা চলে এল। আমি বাথ রুম থেকে হাত মুখ ধুয়ে বের হচ্ছিলাম, আমার বউ বলল, তুমি কখন এসেছ? বললাম, এইতো একটু আগেই এসেছি, এসেই হাতমুখ ধুলাম।
রাতে আমর বউ আমার কাছে শুল। কতক্ষন গল্প করলাম, মাঝে মাঝে আমার বউএর ব্রেস্ট এ হাত দিচ্ছিলাম, টিপছিলাম, বললাম লাগাবো? দেখলাম বউএর ইচ্ছা আছে। বললাম, লাইট অফ করে দিই? বউ বলল, দিতে হবেনা।আস্তে করে বললাম সীমা দেখে ফেলবে। ও বলল, দেখুক, কিছু হবে না।
বউএর ম্যাক্সি খুলে ফেললাম, একটু কাত করে নিয়ে এক পা উপরের দিকে তুলে ভোদার মধ্যে ধন ঢুকিয়ে দিলাম, দেখলাম ভোদার মধ্যে পচ পচ করে আওয়াজ হচ্ছে। আমি জোড়ে ঠাপাতে লাগলাম, বউ উহঃ আহঃ … আওয়াজকরছে। কিছুক্ষন পড়ে দেখলাম বউ তার ভোদা থেকে আমার ধন বের করে নিল। আমাকে চিৎ করে শুইয়েআমারধন ভদায় ঢুকিয়ে বসে বসে ঠাপ দিতে লাগল। Moheni biswas
আমি অনেকক্ষন ধরে উত্তেজিত ছিলাম তাই বেশি সময় মালধরে রাখতেপারলাম না। ওর ভোদার মধ্যেই মাল আউট করতে থাকলম। হঠাৎ দেখলম শাহানা উঠে বাথরুমেযাচ্ছে, শাহানাসব দেখে ফেলল। যাই হোক সীমা আমার বউ এর কাছে আস্তে করে গিয়ে শুয়ে পড়ল।
সকালে আমি ঘুম থেকে আগে আগে উঠে রান্না ঘরে গেলাম, শাহানা নাশ্তা বানাচ্ছে। শাহানাকে বললাম কাল রাতেকিছুদেখেছিস?
শাহানাঃ দেখেছি।
আমিঃ কি দেখেছিস?
শাহানাঃ সীমা আপার সাথে আপনি করছেন।
আমিঃ তোর আপাকে বলিস না, কেমন?
শাহানাঃ আচ্ছা।
আমিঃ তোর কি কিছু করতে ইচ্ছে করে?
শাহানাঃ হ্যাঁ করে।
আমিঃ আমার সাথে করবি?
শাহানাঃ হ্যাঁ করব। Moheni biswas
আমি অফিসে চলে গেলাম। বিকেলে বাসায় আসি। দেখি আমার বউ বাসায় নেই। সীমা আর আমার বউমার্কেটেগেছে। আমি শাহানাকে একা পেয়ে গেলাম। শরীরের মধ্যে সেক্স এর ঝিলিক বয়ে গেল। দেখলাম শাহানাওঘোরাঘোরিকরছে, ওকে ডাক দিয়ে বিছানায় বসালাম, হাটুর উপর শুইয়ে দুধ টিপলাম। ছেরির দুধগুলো বেশ ভালো, সুঢৌল স্তনযাকে বলে। আমি বেশ জোরে টিপতে থাকলাম, বললাম তাড়ারাড়ি পাজামা খুল, তোর আপু চলে আসতেপারে।
শাহানা পাজামা খুলে ফেললে ওকে খাটের উপর চিৎ করে শুয়ালাম। ওর ভোদা একদম দেখলাম, খুব সুন্দরআরমাংসল, একদম ক্লিন শেভড। ওকে বললাম কিরে তোর ভোদায় তো কোন বাল নেই, একদম ফর্সা। শাহানাবললআপনি লাগাবেন দেখে আজকেই সব সাফ করছি। ভোদা সুন্দর করে কতক্ষন হাতালাম, টিপলাম, আংগুলিকরলাম।খুব বেশি দেরি করলাম না, কনডম পড়ে নিলাম। দুই পা উপরের দিকে তুলে বাংলা স্টাইলে শাহানার ভোদার ভেতরআমার ধন ঢুকিয়ে দিলাম। দুধ টিপতে টিপতে আর ঘন ঘন ঠাপাতে ঠাপাতে মাল আউট করলাম।
শাহানা অনেক মজা পেল, আমাকে ছাড়তে চাইছিল না। বলল, দুলাভাই আপনি যখন চাইবেন তখনি আমি আপনারকাছে আসব আর আপনি আমাকে লাগাবেন !!!
কিছুক্ষন পর আমার বউ আর সীমা চলে এল। আমি বাথ রুম থেকে হাত মুখ ধুয়ে বের হচ্ছিলাম, আমার বউ বলল, তুমি কখন এসেছ? বললাম, এইতো একটু আগেই এসেছি, এসেই হাতমুখ ধুলাম।
রাতে আমর বউ আমার কাছে শুল। কতক্ষন গল্প করলাম, মাঝে মাঝে আমার বউএর ব্রেস্ট এ হাত দিচ্ছিলাম, টিপছিলাম, বললাম লাগাবো? দেখলাম বউএর ইচ্ছা আছে। বললাম, লাইট অফ করে দিই? বউ ��লল, দিতে হবেনা।আস্তে করে বললাম সীমা দেখে ফেলবে। ও বলল, দেখুক, কিছু হবে না।
বউএর ম্যাক্সি খুলে ফেললাম, একটু কাত করে নিয়ে এক পা উপরের দিকে তুলে ভোদার মধ্যে ধন ঢুকিয়ে দিলাম, দেখলাম ভোদার মধ্যে পচ পচ করে আওয়াজ হচ্ছে। আমি জোড়ে ঠাপাতে লাগলাম, বউ উহঃ আহঃ … আওয়াজকরছে। কিছুক্ষন পড়ে দেখলাম বউ তার ভোদা থেকে আমার ধন বের করে নিল। আমাকে চিৎ করে শুইয়েআমারধন ভদায় ঢুকিয়ে বসে বসে ঠাপ দিতে লাগল। Moheni biswas
চুল গুলো এলমেল হয়ে যাচ্ছিল, দেখলাম আমার বউ সীমারদিকেতাকিয়ে মিট মিট করে হাসছে। এবার আমার বউকে হাটু গেরে বসতে বললাম, ডগি স্টাইলে ওর ভোদায় ধন চালালাম। বউএর মাল আউট হল, কিছুক্ষন পর আমারটাও হল।
শুয়ে আছি, ঘন্টা খানেক পরে দেখলাম, বউ গভির ঘুমে আচ্ছন্ন। আমি উঠে সীমার কাছে গেলাম। সীমা জেগে আছে, লাইট জ্বালানই আছে, নিভালাম না। সীমার সালোয়ার কামিজ খুলে ফেললাম। ভোদাট আবার দেখা হয়ে গেল।একটুএকটু বাল আছে, বেশ খাসা ভোদা।
ভোদার লিপ্স নাড়াচাড়া করলাম, জ্বিভ দিয়ে চুষলাম। ব্রেস্ট টিপছিলাম, নিপলদুটি খুব সুন্দর। নিপলে আংগুল ঘষলাম, সীমা খুবই হন্নে হয়ে গেল। আমি ওর দু পা ফাক করে ভোদার ভেতরধনদিলাম। কতক্ষন ঠাপানোর পর ওকে কাত করে শুইয়ে আমার বউএর স্টাইলে আবার ঠাপাতে লাগলাম।
নদীরউত্তালঢেউএর মত ঠাপাতে লাগলাম। দেখলাম মাগী একটু নিস্তেজ হল, মনে হল ভোদার ভেতর থেকে গরম পানি বেরহচ্ছে।আমি আরো জোড়ে ঠাপিয়ে আমার মাল আউট করলাম।\
Tumblr media
2 notes · View notes
maroonpaper · 2 years
Text
মরক্কোর জাতীয়তাবাদি আন্দোলন ও সুলতান মুহাম্মাদ
Tumblr media
মরক্কো উত্তর আফ্রিকার একটি স্বাধীন ও আরব রাষ্ট্র। এর রাজধানী রাবাত। পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগরের তীরবর্তী অঞ্চল জুড়ে এবং উত্তরে ভূমধ্য সাগরের জিব্রাল্টার প্রনালী পর্যন্ত বিস্তৃত। মরক্কোর পূর্বে আলজেরিয়া, উত্তরে ভূমধ্যসাগর ও স্পেন এবং পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর অবস্থিত। এর দক্ষিণে পশ্চিম সাহারা অবস্থিত।
মরক্কো রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন
মরক্কোর গোড়াপত্তনের ইতিহাস বলে যে, কথা প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে হোমিনিডরা তথা বর্তমান মানুষদের পূর্বসূরীরা কমপক্ষে ৪০০,০০০ বছর আগে এই অঞ্চলে বাস করত। খ্রিস্টপূর্ব অষ্টম ও ষষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যে মরোক্কোর উপকূলে ফিনিশীয় উপনিবেশ স্থাপনের আগে প্রায় দুই হাজার বছর ধরে এই অঞ্চলে স্থানীয় বার্বাররা বসবাস করত। এটাই মরক্কোর সভ্যতার প্রথম নথিভুক্ত ইতিহাস।
খ্রিষ্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে নগর-রাষ্ট্র কার্থজের আওতায় মরক্কোর উপকূলীয় অঞ্চলও চলে আসে। তারা খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীর শেষভাগ পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেছিল। এই সময়ে স্থানীয় শাসকরা উপকূল ���েকে ভেতরের দিকের অঞ্চলে শাসন পরিচালনা করেছিলেন। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী থেকে চল্লিশ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত যখন এই অঞ্চল রোমান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল, স্থানীয় বার্বার রাজারাই এই অঞ্চল শাসন করেছিলেন। খ্রিস্টীয় ৫ম শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে এটি জার্মানীয় ভান্ডালদের দখলদারিত্বের শিকার হয়েছিল। কিন্তু বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য ষষ্ঠ শতাব্দীতে মরক্কোকে পুনরুদ্ধার করে।
খ্রিস্টীয় অষ্টম শতাব্দীর গোড়ার দিকে  এই অঞ্চলটি মুসলমানরা বিজয় করেছিল, তবে ৭৪০ সালের বার্বার বিদ্রোহের পরে উমাইয়া খিলাফত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়  । অর্ধ শতাব্দী পরেই ৭৮৮ খ্রিষ্টাব্দে ইদ্রিস রাজবংশই প্রথম মরোক্কো রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরবর্তীকালে এটি একাধিক স্বাধীন রাজবংশ, আলমোরাভিড এবং আলমোহাদ রাজবংশের অধীনে মরক্কো মাগরেব এবং মুসলিম স্পেনে আধিপত্য বিস্তার করেছিল।
একাদশ  এবং দ্বাদশ শতাব্দীতে আঞ্চলিক শক্তি হিসাবে মরক্কো শীর্ষে পৌঁছেছিল। সাদি রাজবংশ ১৫৪৯ থেকে ১৬৫৯ সাল পর্যন্ত দেশ শাসন করেছিল, তারপরে  ১৬৬৭ সাল থেকে আলাওয়িরা মরক্কোর শাসক রাজবংশ ছিল।
জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ক্রমবিকাশ
নানা বাঁধা-বিপত্তি, রক্তক্ষয়য়ী সংগ্রামের বিনিময়ে ১৯৫৬ সালের ২ মার্চ মরক্কো ফ্রান্সের থেকে স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করে। এ স্বাধীনতা আন্দোলনে পঞ্চম মুহাম্মদ ও ইশতিকলাল দলের ভূমিকা অবিস্মরনীয়। বিশেষ আফ্রিকার স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মরক্কোর জাতীয়তাবাদী আন্দোলন এক বিশেষ স্থান অর্জন করেছে। মরক্কোর এই জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে বুঝতে হলে আগে আমাদেরকে মরক্কোতে উপনিবেশবাদের সাথে পরিচত হতে হবে।
ভৌগলিকভাবে ইউরোপের সাথে আফ্রিকার বিভাজন হয়েছে জিব্রাল্টার প্রণালীর মাধ্যমে। মাত্র কয়েক কিলোমিটার ব্যবধানে এই মহাদেশ দুটির অবস্থানের কারণে ১৭ শতক থেকেই আলমোরাভিড এবং আলমোহাদ রাজবংশের অধীনে মরোক্কোকে উত্তরে স্প্যানিশ আক্রমণ এবং পশ্চিমদিকে উসমানীয় সাম্রাজ্যের আগ্রাসনের সাথে মুখোমুখি হতে হয়েছে।
ইউরোপে শিল্পায়নের ছোয়া এলে তাদের লোলুপ দৃষ্টি প্রতিবেশিদের ওপর পড়তে শুরু করে। শিল্প বিপ্লবের সাথে সাথে ইউরোপ উত্তর-পশ্চিম আফ্রিয়ায় নিজেদের উপনিবেশ স্থাপনের পায়তারা শুরু করে। এদিক থেকে স্পেন ও ফ্রান্স দুটি দেশেরই ভৌগলিকভাবে নিকটতম প্রতিবেশি মরক্কো নজরে পড়ে। দুটি দেশেরই উপনিবেশ স্থাপনের এক সম্ভাবনাময় আদর্শ অঞ্চল হয়ে ওঠে মরক্কো।
উপনিবেশবাদের গোড়াপত্তন
সাদি রাজবংশের পতনের সময় রাজনৈতিক বিভাজন এবং সংঘাতের পরে আলাউই সুলতান আল-রশিদ, ১৬৬০ এর দশকের শেষের দিকে পুনরায় মরক্কোকে একত্রিত করেছিলেন। স্থানীয় উপজাতির বিরোধিতার বিরুদ্ধে ইসমাইল ইবনে শরীফ একটি একক রাষ্ট্র গঠন শুরু করেন। বিভিন্ন সময়ে স্প্যানিশ, ইংরেজদের অতর্কিত হামলা, দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তার রিফিয়ান আর্মি ইংরেজদের কাছ থেকে ট্যাঙ্গিয়ার দখল পুনরুদ্ধার করেছিল এবং ১৬৮৯  সালে স্প্যানিশদের লারাচে থেকে  তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। পর্তুগিজরাও ১৭৬৯ সালে মরোক্কোতে তাদের শেষ অঞ্চল মাজাগাও ত্যাগ করে। তবে এই প্রতিরোধ বেশিদিন টিকে থাকতে পারেনি।মরক্কোর স্বাধীনতা বেহাত হয় স্প্যানিশদের  বিরুদ্ধে ‘মেলিলার অবরোধ’ ১৭৭৫ সালে পরাজয়ের মাধ্যমে।
এই সময়ে আটলান্টিক সাগরে আমেরিকান জাহাজগুলো হর-হামেশাই বার্বার জলদস্যুদের আক্রমণের শিকার হতো। মরক্কোর তৃতীয় সুলতান মোহাম্মাদ আমেরিকান জাহাজগুলোকে বার্বার দস্যুদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা প্রদান করেন। ১৭৮৬ সালেই আমেরিকা-মরক্কো বন্ধুত্ব চুক্তি সাক্ষরিত হয়। সেই থেকে আমেরিকা ও মরক্কো একে অপরের দিকে সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়।
মরক্কোর প্রতিবেশী আলজেরিয়ায় আগেই ফ্রান্স উপনিবেশ স্থাপন করেছিল। সেই সুবাদে তারা মরক্কোতে খুব কাছ থেকেই নজর রাখছিল। ১৮৩০ সালের শুরুর দিকে সর্ব প্রথম ফ্রান্স মরক্কো দখলের পায়তারা শুরু করে। একই সময়ে স্পেনের সাথে মরক্কোর দীর্ঘদিনের কোন্দল ধীরে ধীরে মাথাচাড়া দেয়া শুরু করে। ১৮৬০ সালে সেউতা ছিটমহল নিয়ে বিরোধের কারণে স্পেন মরক্কোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এই যুদ্ধে সেউতাসহ আরো একটি ছিটমহল দখল করে নেয় স্পেন। কার্যত ১৮৮৪ সালে মরক্কোর উপকূলীয় অঞ্চলে স্পেনই উপনিবেশ গড়ে তোলে। ফ্রান্সই সর্বপ্রথম উপনিবেশ করার পায়তারা করলেও, এক্ষেত্রে স্পেনই প্রথম সফল হয়।
১৯০৪ সাল থেকে ফ্রান্স ও স্পেন মরক্কোতে প্রত্যক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার শুরু করে। হাজার হাজার ইউরোপীয় মরক্কোতে অনুপ্রবেশ করে জমাজমি কেনা শুরু করে। শিল্পোন্নয়ের নামে তারা বিভিন্ন দ্বীপ, খনিতে প্রভাব খাটানো শুরু করে। তাদের এহেন কাজকর্মে সুবিধার জন্য ফ্রান্সকে চাপ দেয়া শুরু করে মরক্কোকে বাগে আনতে। ফ্রান্স মরক্কোকে বাগে রাখতে ফ্রান্স-মরক্কো সহযোগিতামূলক কার্যক্রম শুরু করতে সক্ষম হয়। পরবর্তিতে তারা বিভিন্নভাবে মরক্কোর ওপর প্রভাব বিস্তার শুরু করে।
মরক্কোতে ফ্রান্সের এহেন প্রভাব বিস্তারে যুক্তরাজ্য সম্মতি ছিল। তবে মরক্কোর পুরনো মিত্র আমেরিকা এসময় মরক্কোকে কূটনৈতিক সহযোগিতা প্রদান করে।
১৯০৫ সালে পরাশক্তি গুলোর মাঝে একটি সংকট দেখা দেয়। ১৯১১ সালে ‘আপাদির সংকট’ ইউরোপীয় শক্তিগুলোর মাঝে উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে।
১৯১২ সালে মরক্কোর সুলতান আবদুল হাফিজের সঙ্গে ‘ফেজ চুক্তি’ স্বাক্ষর করে ফ্রান্স। এ চুক্তি অনুযায়ী মরক্কোকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। উত্তর উপকূলীয় অঞ্চল, দক্ষিণ- পশ্চিম অঞ্চল ও পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে স্পেনের দখল প্রতিষ্ঠিত হয় আর বাকি অংশ চলে যায় ফরাসীদের অধীনে। এ চুক্তির মধ্য দিয়েই মরক্কোকে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি ফরাসি ‘আশ্রিত ভূখণ্ড’ বানানো হয়। এর পরের বছরগুলোতে ফ্রাস সেখানে উপনিবেশ স্থাপন করে বসে। স্পেনীয় অঞ্চলে একজন হাইকমিশনার এবং ফরাসি অঞ্চলে একজন আবাসিক জেনারেল শাসন করতেন।
জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ও গাজী আব্দুল করিম
ফরাসীরা মরক্কোতে তাদের উপনিবেশ কায়েম করে তাদের আশ্রিত অঞ্চল হিসেবে শাসন কার্য পরিচালনা শুরু করে। ফলে জনগণ তাদের ওপর ধীরে ধীরে ক্ষুব্ধ হতে থাকে। ১৯১২ সালে মরক্কোর জাতীয়তাবাদী নেতা গাজী আব্দুল করিম উপজাতীদের সঙ্ঘবদ্ধ করে ফরাসী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ফেজ নগর পুনরুদ্ধার করে নেয়। ১৯২৬ সালে ফরাসীরা গাজী আব্দুল করিমকে পরাজিত করে এবং নির্বাসনে পাঠায়। ফরাসীরা মরক্কোর সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করলেও মরক্কোবাসী বিদেশী আধিপত্যকে কখনোই মেনে নিতে পারেনি।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকেই মরক্কোতে উপনিবেশবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। মরক্কোর জাতীয়তাবাদী নেতা আব্দুল করিমের নেতৃত্বে প্রগতিশীল জনগণ ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে আবার আন্দোলন শুরু করেন। এই আন্দোলনে স্পেনীর উপনিবেশের পতন ঘটে। আব্দুল করিম বিজয়ী হয়ে “বিজা প্রজাতন্ত্র” গঠন করেন। তবে ১৯২৭ সালে স্পেন ও ফ্রান্স জোটবদ্ধ হয়ে আব্দুল করিমকে পরাজিত করে। ফরাসীদের কঠোর দমননীতি মরক্কোবাসীদের ভেতরে পুনরায় জাতীয়তাবাদকে জাগিয়ে তোলে। ১৯৩০ সালে দাহিব নামক এক নির্যাতনমূলক আইন জারি করলে দেশের জনগণ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন শুরু করে।
১৯২০ সালে মরক্কোতে একটি বিদ্রোহ দমন করছে ফরাসী বাহিনী। ছবিঃ বিবিসি
সুলতান মুহাম্মাদ বিন ইউসুফ(পঞ্চম মুহাম্মদ) জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকারীদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে ফরাসী উৎখাতের সংগ্রাম শুরু করেন। জাতীয়তাবাদী নেতারা দেশের স্বাধীনতার জন্য জোরেশোরেই সংগ্রাম শুরু করে। ১৯৩৪ সালে ফরাসী কর্তৃপক্ষের নিকট একটি সংস্কারমূলক প্রস্তাব পেশ করা হয়। ১৯৩৭ সালে এই প্রস্তাবের সাথে আরো কিছু দাবি যুক্ত করা হয়। এসব দাবীর মধ্যে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান, বিচার বিভাগের সংস্কার অন্যতম। স্বাধীনতাকামীরা প্রথমে ন্যাশনাল একশন কমিটি এবং পরবর্তীতে নিউ ইশতিকলাল দলের মাধ্যমে দাবি আদায়ের আন্দোলন শুরু করে। আব্দুল খালেক তোরণের ‘আল ইসলাহ’ এওবং মক্কা আল নাসিরের ‘মরক্কো ইউনিট” দল জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে শামিল হলে আন্দোলন আরো বেগবান হয়। এ সময় পঞ্চম মুহাম্মদের প্রচারণায় মরক্কোর স্বাধীনতা আন্দোলন চুড়ান্ত রূপ ধারণ করে।
ইশতিকলাল দল গঠন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মরক্কোর জাতীয়তাবাদী আন্দোলন এক নতুন মাত্রা বেগবান হয়। ১৯৪৩ সালে মরক্কর জাতীয়তাবাদী নেতারা প্রথমবারের মত ইশতিকলাল নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করে। অনেকগুলো ছোট ছোট দলের সমন্বয়ে গঠিত এ দলটি খুব অল্প সময়ের মধ্যে মরক্কোবাসীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করে। সুলতান নিজেও এই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানান। ফলে নির্বিঘ্নে এ আন্দোলন চলতে থাকে। ১৯৪৬ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত দেশের ভেতরে ব্যাপক সমর্থন লাভ করে এবং কায়রো ও নিউইয়র্কে তাদের বিদেশ অফিস চালু করা হয়।
আরো পড়ুনঃ পশতুনিস্তান সমস্যা ও সমাধান
১৯৫২ সালের ডিসেম্বরে তিউনিশিয়ার শ্রমিক নেতা ফারহাত হাচেদের হত্যার প্রতিবাদে কাসাব্লাঙ্কায় ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়; এই ঘটনা মরোক্কোর রাজনৈতিক দল এবং ফরাসি কর্তৃপক্ষের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি পরিস্থিতি দাড় করায়। দাঙ্গার পরে, ফরাসী সরকার মরোক্কোর কমিউনিস্ট পার্টি ও ইস্তিকলাল পার্টিকে বে-আইনি ও নিষিদ্ধ  ঘোষণা করে এবং দলের বহু নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে।
সুলতান পঞ্চম মুহাম্মদের নির্বাসন ও ষষ্ঠ মুহাম্মদের ক্ষমতায় আরোহন
মরক্কোর জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে ফরাসীরা কঠোরভাবে দমন করার চেষ্টা করে। আর সুলতান পঞ্চম মুহাম্মদ জাতীয়তাবাদী নেতাদের প্রতি সমর্থণ ও সহানুভূতি জ্ঞাপন এবং বিশেষ ভূমিকার কারণে তিনি ফরাসী সরকারের বিরাগভাজন হন।
মরক্কোর স্বাধীনতা আন্দোলনে ভীত ফরাসি সরকার ১৯৫৩ সালের ২০ আগস্ট ঈদ উল আজহায় সুলতান পঞ্চম মোহাম্মদকে সপরিবারে কর্সিয়ায় নির্বাসনে পাঠায়। এসময় ফরাসিরা মোহাম্মদ বেন আরাফাকে কাঠের পুতুল হিসেবে ক্ষমতায় বসায়। সুলতান আরাফা মরক্কোতে ‘ফরাসি সুলতান নামে পরিচিতি পান। ১৯৫৪ সালের জানুয়ারীতে পঞ্চম মোহাম্মদকে মাদাগাস্কারে সরিয়ে নেয় ফরাসি সরকার। এই নির্বাসন ও পুতুল শাসক আরাফার  আগমন মরক্কোর জাতীয়তাবাদী ও ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষকে ক্ষুব্ধ করে তোলে। উভয় পক্ষই ফরাসীদের এই কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে।  সুলতান মুহাম্মদের ক্যারিশমাটিক নেতৃতে মুগ্ধ মরক্কোবাসী তাকে জাতীয় নেতা হিসেবে গ্রহণ করেন। মরক্কোর স্বাধীনতাকামী জনগণ সুলতান মুহাম্মদের দিকনির্দেশনায় আন্দোলন চালিয়ে যায় তার অনুপস্থিতেই।  
ফরাসীদের দমননীতি
ফরাসীরা পঞ্চম মুহাম্মদকে সরিয়ে ষষ্ঠ মুহাম্মদকে ক্ষমতায় বসালে প্রতিশোধ হিসাবে, মুহাম্মদ জারকতুনি সেই বছরের  ক্রিসমাসে ইউরোপীয় ভিলে নুভেলের কাসাব্লাঙ্কার মার্চে সেন্ট্রালে  বোমা  হামলা করেছিলেন। যাইহোক, ফরাসিদের মদদে ষষ্ঠ মুহাম্মদ ক্ষমতায় এসে এক নতুন শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। তার এ শাসন ব্যবস্থায় মরক্কোর স্বার্থবিরোধী কতগুলো সুযোগ-সুবিধা ফরাসীদের জন্য প্রণয়ন করা হয়। যেমনঃ
রাজা নিজের ইচ্ছায় দেশ পরিচালনা না করে মরক্কোকে আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করবে।
ভবিষ্যতে সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করে ফরাসী ও সুলতানি শাসন রক্ষা করবে।
বিচারকদের একই সাথে শাসন ও বিচারের ক্ষমতা প্রদান করা হবে।
শ্রমিকদের জন্য নতুন আইন প্রণয়ন করবে।
নাগরিক অধিকার প্রদান করা হবে যদিও তখন পর্যন্ত দেশে সামরিক শাসন জারি ছিল।
ফরাসীদের দমননীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম
মরক্কোর স্বাধীনতা সংগ্রামে জাতীয়তাবাদি নেতাদের সহায়তা করার জন্য ফরাসী কর্তৃপক্ষের অভ্যন্তরে বিরোধ দেখা দেয়। ফরাসীরা নতুন সুলতানের মাধ্যমে মরক্কোর নাগরিক অধিকার খর্ব করে। স্বাধীনতাকামী নেতারা কারাগারেই বিক্ষোভ শুরু করে। ফলে মরক্কোর বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করলে সুলতান ও ফরাসীরা কঠোর হস্তে আন্দোলন দমন করা শুরু করে। এতে বহুসংখ্যক নাগরিক মারা যায় আন্দোলনে সমর্থন করার দায়ে।
এর দুই বছর পরে, আন্দোলনকারীদের সমর্থন করার অভিযোগে পঞ্চম মুহাম্মদকে ক্ষমতাচ্যুত করার দ্বিতীয় বার্ষিকীতে সমগ্র দেশে বিক্ষোভ হয়। সুলতানের প্রত্যাবর্তনের জন্য মরোক্কোর ঐক্যবদ্ধ দাবি ওঠে এবং মরক্কোতে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার পাশাপাশি আলজেরিয়াতেও পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হয়। এছাড়াও পুনরায় ফরাসী কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি দেয়া হয়।
সুলতান মুহাম্মাদ নির্বাসন থেকে ফিরছেন। ছবিঃ মরক্কো ওয়ার্ল্ড নিউজ
ইসতিকলাল দল, ট্রেড ইউনিয়ন ও অন্যান্য জাতীয়তাবাদী দলগুলো পুনরায় পঞ্চম মুহাম্মদকে ক্ষমতায় বসানোর প্রচেষ্টা চালায়। মরক্কোর স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের আন্দোলন পার্শ্ববর্তি লিবিয়া, আলিজেরিয়া, মিশরের জনসাধারনেরও সমর্থণ পায়। তারা পঞ্চম মুহাম্মদের নামে মসজিদে মসজিদে খুৎবা পাঠ করতে শুরু করে। কিন্তু তিনি আশ্রিত সুলতান হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণে অস্বীকার করেন। পরিস্থিতি অনুধাবণ করে শেষ পর্যন্ত উভয় সংকটের মুখোমুখি হয়ে ফরাসি সরকার শর্ত প্রত্যাহার করে তাকে দেশে ফিরে আসার আহবান জানায় এবং পঞ্চম মোহাম্মদকে মরক্কোতে ফিরিয়ে আনে। অবশেষে ১৯৫৫ সালের ১৬ নভেম্বর সুলতান বিজয়ীর বেশে দেশে ফিরে আসেন। এবং পরের বছর উভয়পক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হয় যা মরক্কোর স্বাধীনতার দিকে ধাবিত হয়।
মরক্কোর স্বাধীনতা ঘোষণা
সুলতান পঞ্চম মুহাম্মদ ১৯৫৫ সালের শেষের দিকে ফরাসি-মরোক্কোর পারস্পরিক নির্ভরশীলতার কাঠামোর মধ্যে মরোক্কোর স্বাধীনতা ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধারের জন্য আলোচনা করতে সফল হন, যা রাজা এবং জনগণের বিপ্লব নামে পরিচিতি লাভ করে। সুলতান এমন পরিবর্তনগুলি বাস্তবায়নে সম্মতি দিয়েছিলেন যা মরক্কোকে একটি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার সাথে একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্রে পরিণত করবে। ১৯৫৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে মরক্কোকে সীমিত পরিসরে স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়েছিল।
১৯৫৬ সালের ২ মার্চ প্যারিসে স্বাক্ষরিত ফরা���ি-মরোক্কো চুক্তি হয়। ১৯৫৬ সালের �� এপ্রিল, ফ্রান্স আনুষ্ঠানিকভাবে মরক্কোস্থত উপনিবেশ ত্যাগ করে। ১৯৫৬ সালের ২৯ শে অক্টোবর ট্যানজিয়ার প্রোটোকল স্বাক্ষরের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকীকৃত শহর ট্যানজিয়ার পুনরায় মরক্কোর সাথে সংযুক্ত হয়েছিল।
স্পেন কর্তৃক মরোক্কোর স্বাধীনতার স্বীকৃতি এবং স্প্যানিশ উপনিবেশ বিলুপ্তি পৃথকভাবে আলোচনা করা হয়েছিল এবং ১৯৫৬ সালের এপ্রিলের যৌথ ঘোষণায় চূড়ান্ত করা হয়েছিল। তবে, স্পেনের সাথে এই চুক্তি এবং ১৯৫৮ সালে পৃথক আরেকটি চুক্তির মাধ্যমে কিছু স্প্যানিশ-শাসিত অঞ্চলে মরক্কোর নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করা করা সম্ভব হলেও সামরিক পদক্ষেপের মাধ্যমে অন্যান্য স্প্যানিশ উপনিবেশগুলো দাবি করার প্রচেষ্টা  ততটা সফল হয়েছিল।
১৯৫৬ ও ১৯৫৮ সালে সাক্ষরিত ফরাসি-মরোক্কো ও স্প্যানিশ -মরোক্কো চুক্তিগুলোর মাধ্যমে স্পেন ও ফরাসী সৈন্যরা চলে যেতে শুরু করে। এবং শেষ পর্যন্ত স্পেনীয়  ও ফরাসীদের বিতাড়িত করার মাধ্যমে পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে মরক্কো।
সুলতান পঞ্চম মুহাম্মদের অবদান
মাত্র সতের বছর বয়সে মরক্কোর সিংহাসনে বসেন সুলতান পঞ্চম মুহাম্মদ। তার বলিষ্ঠ নেতৃতের কারণেরি মরক্কোবাসী স্পেন ও ফরাসীদের দখলদারীত্বের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে সক্ষম হয়েছিল। ফরাসীরা মুহাম্মদকে তাদের অনুগত ভৃত্য হিসেবে সিং হাসনে বসালেও তিনি তাদের আনুগত্য মেনে নেননি। যারফলে ফরাসীদের রোষানলে পড়েন এবং নির্যাতিত হন। বিদেশী শাসনে মরক্কোর জনগণ যখন নিষ্পেষিত এবং একজন জাতীয় নেতার অভাব অনুভব করছিল ঠিক তখনই পঞ্চম মুহাম্মদ ক্ষমতায় আসেন এবং দেশের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালান এবং স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারে সফল হন।
স্বাধীনতার কয়েক মাসের মধ্যেই পঞ্চম মোহাম্মদ একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের অধীনে একটি আধুনিক সরকারী কাঠামো তৈরি করতে অগ্রসর হন  যেখানে সুলতান একটি সক্রিয় রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করবেন। তিনি সতর্কভাবে ইস্তিকলালকে তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং একদলীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা থেকে বিরত রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন।তিনি ১৯৫৭ সালের ১১ আগস্ট রাজতন্ত্র গ্রহণ করেন এবং সেই তারিখ থেকে দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে ‘মরক্কো কিংডম’ নামে পরিচিতি লাভ করে। মরক্কোর স্বধীনতা পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে সুলতান মোহাম্মদের অবদান, নিঃস্বার্থ ত্যাগ ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য মরক্কোবাসীর নিকট জাতীয় বীর হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
মরক্কোর স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল উত্তর আফ্রিকার ইতিহাসে এক অবিস্মরণিয় অধ্যায়। মরক্কোবাসীরা দীর্ঘ প্রত্যাশিত স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে মহুমুখী ত্যাগতিতিক্ষা ও লড়াইয়ের বিনিময়ে। এ অর্জনে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল সুলতাবন পঞ্চম মুহাম্মদের ত্যাগ, সংগ্রাম। ফরাসীদের মনোনীত শাসক হলেও দেশের গণমানুষের জন্য তিনি সব স্বার্থকে তুচ্ছ করে সংগ্রাম করেছেন ফরাসীদের বিরুদ্ধে। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কাছে ফরাসীরা পরাজিত হয় এবং ১৯৫৬ সালে মরক্কো স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়। মরক্কোর এই সংগ্রাম আফ্রিকার অন্যান্য দেশগুলোর জন্য এক অনুকরণিয় আদর্শ।
1 note · View note
Text
কন্যা নিতারার সঙ্গে অটোতে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে টুইঙ্কেলকে
কন্যা নিতারার সঙ্গে অটোতে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে টুইঙ্কেলকে
টুইঙ্কেল খান্না ভিডিও: বলিউড অভিনেত্রী টুইঙ্কেল খান্না সাধারণত শিরোনামে থাকেন। এর সাথে, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তার সোনালী মুহুর্তগুলির ঝলক দেওয়া বজায় রেখেছেন। এর মধ্যে, অবশ্যই তার একটি সিনেমা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ভিডিওতে, শিল্পাকে মুম্বাইয়ের রাস্তায় একটি অটোরিকশা যাত্রার সাথে মজা করতে দেখা যায়। ভিডিওতে শিল্পা শেঠিকে তার মেয়ের সঙ্গে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে। টুইঙ্কল খান্নার অটোরিকশা…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
quransunnahdawah · 2 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামের আলোকে জীবনে সুখী হওয়ার পাঁচ উপায়
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ারা পবিত্র কোরআনুল কারিমে ইরশাদ করেন,
‘যে সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং সে ঈমাণদার, পুরুষ হোক কিংবা নারী আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং প্রতিদানে তাদেরকে তাদের উত্তম কাজের কারণে প্রাপ্য পুরষ্কার দেব যা তারা করত।’
 (সূরা: নাহল, আয়াত: ৯৭)
জীবনের পথচলায় কখনো কখনো এমন কিছু দুঃখবোধ সামনে চলে আসে, এমন কিছু হতাশার মুহুর্ত আসে, যা একজন মানুষের স্বচ্ছ মনটাকে বিষিয়ে তোলে। অবসাদে ভরে যায় স্রষ্টা প্রদত্ত এই টুকরো জীবন!
কষ্টবোধের করাল গ্রাসে নিপতিত হয় মুসলিম অমুসলিম সবাই! অথচ প্রতিটি মানুষের, বিশেষত প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দুনিয়ার সময়গুলো খুব দামী। কোনো বিষয় আসলে আমাদের অসুখী করতে পারে না, অশান্তির দাবানলে কত মূল্যবান সময় হারিয়ে যায়, অথচ সুখী হওয়াটা সম্পূর্ণ নিজের হাতে! যে বিষয় বা মানুষটি আপনার সুখী হওয়ার পথে অন্তরায়, তার ভার আপনার প্রভুর হাতে ছেড়ে দিন।
পৃথিবীতে প্রতিটি জিনিসই ফিরে ফিরে আসে। যে আপনাকে কষ্ট দিয়েছে, ঠকিয়েছে প্রতিনিয়ত, ব্যথায় জর্জরিত করে আপনাকে সুখী হতে বাঁধা প্রদান করেছে, দেখবেন দুনিয়া ও আখিরাতে সে তার প্রতিদান পাবেই। তো! আপনি কেন শুধু শুধু পারিপার্শ্বিকতার প্রভাবে বা বৈশ্বিক ব্যর্থতায় সুখ বিকিয়ে দিচ্ছেন? মানুষ চাইলেই সুখ নামের পরশ পাথরটাকে নিজের করে নিতে পারে সহজেই। আসুন জেনে নেই সুখী জীবনের পথে পাঁচটি কার্যকরী টিপস!
(১) হতাশা নয়, কৃতজ্ঞ থাকুন
কৃতজ্ঞতার অভাববোধ থেকেই হতাশার জন্ম। জীবন, জগতের দুর্বিষহ কিছু সময় মাঝে মাঝে আমাদের হতাশার পথে ঠেলে দেয় এবং শয়তানও এক্ষেত্রে আমাদের সাহায্য করতে ভালোবাসে। পৃথিবীতে কৃতজ্ঞ হওয়ার মতো অনেক কিছু আছে আসলে! এই যে এখনও আপনি নিঃশ্বাস নিচ্ছেন, এই লেখাটা পড়তে পারছেন, এর জন্য কতখানি কৃতজ্ঞ হয়েছেন? আপনার বিনামূল্যে প্রাপ্ত নিঃশ্বাসের মূল্য জানেন কী? যে নিউরণে আপনি মন খারাপের বসতি গড়ছেন, সে মস্তিষ্কের ক্ষমতা নিয়ে ভেবেছেন কখনো? অনেক গবেষণা করেও মানুষের ব্রেইনের ক্ষমতা নির্ণয় করতে সক্ষম হয়নি বিজ্ঞানীরা। তবে বিজ্ঞানীরা মানুষের মস্তিষ্কের মেমোরি ক্যাপাসিটির যে হিসাব দিয়েছেন তা জানলে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি সম্পর্কেও আপনার ধারণা বদলে যাবে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, সারা জীবনেও আমাদের মস্তিষ্কের মেমোরি কার্ডটি পরিপূর্ণ করতে পারিনা আমরা। আমরা যদি ৩০ লক্ষ্য ঘণ্টা বা ৩৪২ বছর এক নাগাড়ে মস্তিষ্কের মেমোরি কার্ডে সারাক্ষণ ভিডিও ধারণ করি তবুও আমাদের মস্তিষ্ক নামের সুপার কম্পিউটারের মেমোরির স্পেস পূরণ হবে না। আর অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মূল্য হিসেব নাই বা দিলাম। আসলে বুদ্ধিমানদের জন্য পুরো পৃথিবীতেই কৃতজ্ঞতার উপকরণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ভালো কাজ করুন, কৃতজ্ঞতা আদায় করুন আর খুব ভালো থাকুন। সঙ্গে সঙ্গে আপনার রবের বাণীটি স্মরণ করুন-
‘যখন তোমাদের পালনকর্তা ঘোষণা করলেন যে, যদি কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর, তবে তোমাদেরকে আরও দেব এবং যদি অকৃতজ্ঞ হও তবে নিশ্চয়ই আমার শাস্তি হবে কঠোর।’ (সূরা: ইব্রাহিম; ১৪, আয়াত: ৭)
এছাড়া — শাইখ হামজা ইউসুফের কথাটিও মনে রাখতে পারেন-
‘ভালো কাজের মেঘ থেকে বৃষ্টি ঝরে। যখন সময় হয় কেবল তখনই তার বর্ষণ হয়। আল্লাহ বৃষ্টি বর্ষণ করেন শুকনো মৃত মাটির ওপরে; একদম সঠিক সময়েই। যখন পথ অবারিত হবার সময় হবে, তখনই সেই পথটি প্রশস্ত হবে। আল্লাহ তার সময় অনুযায়ীই সেই কাজটি করেন, আমাদের সময়ের হিসেবে নয়। আর এটা আমাদের ক্বাদরের ব্যাপারে সন্তুষ্ট থাকার একটি অংশ; যা হয়েছে তা আপনার জন্য নির্ধারিত ছিলো বলেই হয়েছে।’ (সংক্ষেপিত, ২০১১ রিহলা)
(২) অলসতা নয় কাজ করুন:
‘অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা’ প্রবাদটির গূঢ় মর্ম হলো- আপনি যদি কোনোভাবে আপনার ব্রেইনকে খানিক ফাঁকা রাখতে চান, তবে সেই ফাঁকা স্থান কখনো ফাঁকা থাকবে না, বরং সে জায়গা দখল করবে স্বয়ং শয়তান। সবসময় কাজে ব্যস্ত থাকাতেই প্রশান্তি! এছাড়া আপনাকে আমাকে এমনি এমনি এই গ্রহে পাঠানো হয়নি। মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য নিয়ে গভীরভাবে ভাবুন। নিজের অক্সিজেনের মূল্য পরিশোধ করতে হলেও কাজ করুন! পৃথিবীর কাছে ঋণী হওয়াতে কোনো কৃতিত্ব নেই! এছাড়া কর্ম মুখী জীবনের জন্য আপনার প্রভু আপনাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ বলেনَ
‘অতঃপর নামাজ সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সূরা জুমআ, আয়াত: ১০)
(৩) অপচয় নয় সাদাকাহ করুন:
পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থা আমাদের ভোগবাদীতা আর অপচয় করতে প্রলুব্ধ করে। সম্পদ আহরণের অসুস্থ প্রতি্যোগিতা মৃত্য পর্যন্ত আমাদের মাতিয়ে রাখে। অথচ নশ্বর এ পৃথিবীতে মানুষ বেঁচে থাকে কর্মের মধ্যে, অর্থের দিক থেকে নয়। ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের এক যৌথ গবেষণায় প্রকাশিত হয়, যারা দান করেছেন, অন্যদের উপহার দেবার জন্যে ব্যয় করেছেন, তারা অনেক বেশি সুখী মনে করছেন নিজেকে! অন্যদিকে নিজের জন্য সঞ্চয়কারী মানুষগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দুঃখবোধ আর অশান্তিসহ পৃথিবী ছেড়েছেন। গোপন দাতা হন, সুখী হতে চাইলে দান করুন প্রতিদিন। তাছাড়া দান মানে শুধু অর্থের কোরবানী নয়, বরং হাসিমুখে কথা বলাও সাদাকাহ! ইহকাল ও পরকাল দুটোই সুন্দর করতে চাইলে সাদাকাহ এর বিকল্প নেই!
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
‘যখন আল্লাহর ছায়া ব্যতিত কোনো ছায়া থাকবে না, তখন আল্লাহ তায়ালা সাত শ্রেণির লোককে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন। (তাদের মধ্যে একজন হলো) যে ব্যক্তি এতো গোপনে সাদকাহ বা দান করে যে, ডান হাত যা দান করে, বাম হাত তা টের পায় না।’ (বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি, মুসনাদে আহমদ)
(৪) রাগ নয় ক্ষমা করুন:
জীবনে তিক্ত অভিজ্ঞতাগুলো যত দ্রুত সম্ভব ভুলে যাওয়াই কল্যাণ। পৃথিবীতে যা কিছু হয় বা আসে ভালোর জন্যই আসে। ভালো মানুষগুলো আমাদের জীবনে ��সে কল্যাণ শেখাতে, আর খারাপ মানুষগুলো দিয়ে যায় অভিজ্ঞতা! বৈশ্বিক কোনো কিছুর জন্য রেগে যাওয়া বোকামী। ভেবে দেখুন, আমাদের নিজেদের প্রত্যেকটা অনুশোচনার জন্য নিজেরই বেখেয়ালী রাগটাই দায়ী। ক্ষমা মহৎ গুণ, সবাই ক্ষমা করতে পারেনা, তাই সুখীও হতে পারেনা! আসুন না! সুখী হওয়ার পথে হজরত আলী (রা.) এর মতো আমরাও শুধু আল্লাহর জন্যই ক্ষমা করে দেই।
(৫) নেতিবাচকতা নয় ইতিবাচক হোন:
গ্লাস শূন্য-পূর্ণ নিয়ে অনেক গল্পই আমরা শুনেছি। তবে আমি মনে করি, যেহেতু পূর্ণ গ্লাস দেখলেই আপনার কল্যাণ, সে ক্ষেত্রে পূর্ণ গ্লাসই দেখুন না! মানুষের কদর্যতা নিয়ে ঘাটাঘাটি করলে শুধু দুর্গন্ধই ছড়াবে, আর তার খানিক গন্ধ কিন্তু আপনার শরীরেও লেগে যেতে পারে। ভালো কিছুর চর্চা করুন, কল্যাণকামী হন। আপনি যখন কোনো নেতিবাচক বিষয় নিয়ে ভাবছেন, তখন আপনার নিউরণই কিন্তু সর্বপ্রথম অবচেতন ভাবে নেতিবাচকতাকেই গ্রহণ করছে। ইতিবাচক হন, কল্যাণে ভরে যাবে আপনার জীবন।
পবিত্র কোরআন মুমিনদেরকে ইতিবাচকতা ও প্রফুল্লতার দিকে আহ্বান জানিয়েছে। সূরা ইউনুসের ৫৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে: َ
‘হে নবী! বলুন এ জিনিসটি যে, তিনি পাঠিয়েছেন এটি আল্লাহর অনুগ্রহ এবং তার মেহেরবানী। এ জন্য লোকেরা যেন আনন্দিত হয়, কেননা তারা যা কিছু জমা করছে সে সবের চেয়ে এটি অনেক ভালো।’
সুতরাং, সুযোগ পেলেই পদ্ধতিগুলো প্রয়োগ করুন, প্রাণ খুলে হাসুন, আর সৃষ্টির সেবায় নিমগ্ন হোন। সুখী হওয়ার পথে আপনাকে অভিনন্দন!
সুখ আসলেই কি?
https://www.youtube.com/watch?v=IuhAnc1ghR0
 
সুখী জীবনের জন্য যে চারটি জিনিসের প্রয়োজন হবে 
youtube
জীবনে সুখী হওয়ার উপায় |
সুখী হওয়ার সহজ উপায়
সুখী হতে কী প্রয়োজন
youtube
হাদীস থেকে সুখী হওয়ার চারটি উপায়।
youtube
দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার ১০টি গোপন টিপস্ 
জীবনে সুখী হওয়ার উপায়
Ways To Be Happy In Life
0 notes
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামের আলোকে জীবনে সুখী হওয়ার পাঁচ উপায়
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ারা পবিত্র কোরআনুল কারিমে ইরশাদ করেন,
‘যে সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং সে ঈমাণদার, পুরুষ হোক কিংবা নারী আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং প্রতিদানে তাদেরকে তাদের উত্তম কাজের কারণে প্রাপ্য পুরষ্কার দেব যা তারা করত।’
 (সূরা: নাহল, আয়াত: ৯৭)
জীবনের পথচলায় কখনো কখনো এমন কিছু দুঃখবোধ সামনে চলে আসে, এমন কিছু হতাশ���র মুহুর্ত আসে, যা একজন মানুষের স্বচ্ছ মনটাকে বিষিয়ে তোলে। অবসাদে ভরে যায় স্রষ্টা প্রদত্ত এই টুকরো জীবন!
কষ্টবোধের করাল গ্রাসে নিপতিত হয় মুসলিম অমুসলিম সবাই! অথচ প্রতিটি মানুষের, বিশেষত প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দুনিয়ার সময়গুলো খুব দামী। কোনো বিষয় আসলে আমাদের অসুখী করতে পারে না, অশান্তির দাবানলে কত মূল্যবান সময় হারিয়ে যায়, অথচ সুখী হওয়াটা সম্পূর্ণ নিজের হাতে! যে বিষয় বা মানুষটি আপনার সুখী হওয়ার পথে অন্তরায়, তার ভার আপনার প্রভুর হাতে ছেড়ে দিন।
পৃথিবীতে প্রতিটি জিনিসই ফিরে ফিরে আসে। যে আপনাকে কষ্ট দিয়েছে, ঠকিয়েছে প্রতিনিয়ত, ব্যথায় জর্জরিত করে আপনাকে সুখী হতে বাঁধা প্রদান করেছে, দেখবেন দুনিয়া ও আখিরাতে সে তার প্রতিদান পাবেই। তো! আপনি কেন শুধু শুধু পারিপার্শ্বিকতার প্রভাবে বা বৈশ্বিক ব্যর্থতায় সুখ বিকিয়ে দিচ্ছেন? মানুষ চাইলেই সুখ নামের পরশ পাথরটাকে নিজের করে নিতে পারে সহজেই। আসুন জেনে নেই সুখী জীবনের পথে পাঁচটি কার্যকরী টিপস!
(১) হতাশা নয়, কৃতজ্ঞ থাকুন
কৃতজ্ঞতার অভাববোধ থেকেই হতাশার জন্ম। জীবন, জগতের দুর্বিষহ কিছু সময় মাঝে মাঝে আমাদের হতাশার পথে ঠেলে দেয় এবং শয়তানও এক্ষেত্রে আমাদের সাহায্য করতে ভালোবাসে। পৃথিবীতে কৃতজ্ঞ হওয়ার মতো অনেক কিছু আছে আসলে! এই যে এখনও আপনি নিঃশ্বাস নিচ্ছেন, এই লেখাটা পড়তে পারছেন, এর জন্য কতখানি কৃতজ্ঞ হয়েছেন? আপনার বিনামূল্যে প্রাপ্ত নিঃশ্বাসের মূল্য জানেন কী? যে নিউরণে আপনি মন খারাপের বসতি গড়ছেন, সে মস্তিষ্কের ক্ষমতা নিয়ে ভেবেছেন কখনো? অনেক গবেষণা করেও মানুষের ব্রেইনের ক্ষমতা নির্ণয় করতে সক্ষম হয়নি বিজ্ঞানীরা। তবে বিজ্ঞানীরা মানুষের মস্তিষ্কের মেমোরি ক্যাপাসিটির যে হিসাব দিয়েছেন তা জানলে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি সম্পর্কেও আপনার ধারণা বদলে যাবে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, সারা জীবনেও আমাদের মস্তিষ্কের মেমোরি কার্ডটি পরিপূর্ণ করতে পারিনা আমরা। আমরা যদি ৩০ লক্ষ্য ঘণ্টা বা ৩৪২ বছর এক নাগাড়ে মস্তিষ্কের মেমোরি কার্ডে সারাক্ষণ ভিডিও ধারণ করি তবুও আমাদের মস্তিষ্ক নামের সুপার কম্পিউটারের মেমোরির স্পেস পূরণ হবে না। আর অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মূল্য হিসেব নাই বা দিলাম। আসলে বুদ্ধিমানদের জন্য পুরো পৃথিবীতেই কৃতজ্ঞতার উপকরণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ভালো কাজ করুন, কৃতজ্ঞতা আদায় করুন আর খুব ভালো থাকুন। সঙ্গে সঙ্গে আপনার রবের বাণীটি স্মরণ করুন-
‘যখন তোমাদের পালনকর্তা ঘোষণা করলেন যে, যদি কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর, তবে তোমাদেরকে আরও দেব এবং যদি অকৃতজ্ঞ হও তবে নিশ্চয়ই আমার শাস্তি হবে কঠোর।’ (সূরা: ইব্রাহিম; ১৪, আয়াত: ৭)
এছাড়া — শাইখ হামজা ইউসুফের কথাটিও মনে রাখতে পারেন-
‘ভালো কাজের মেঘ থেকে বৃষ্টি ঝরে। যখন সময় হয় কেবল তখনই তার বর্ষণ হয়। আল্লাহ বৃষ্টি বর্ষণ করেন শুকনো মৃত মাটির ওপরে; একদম সঠিক সময়েই। যখন পথ অবারিত হবার সময় হবে, তখনই সেই পথটি প্রশস্ত হবে। আল্লাহ তার সময় অনুযায়ীই সেই কাজটি করেন, আমাদের সময়ের হিসেবে নয়। আর এটা আমাদের ক্বাদরের ব্যাপারে সন্তুষ্ট থাকার একটি অংশ; যা হয়েছে তা আপনার জন্য নির্ধারিত ছিলো বলেই হয়েছে।’ (সংক্ষেপিত, ২০১১ রিহলা)
(২) অলসতা নয় কাজ করুন:
‘অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা’ প্রবাদটির গূঢ় মর্ম হলো- আপনি যদি কোনোভাবে আপনার ব্রেইনকে খানিক ফাঁকা রাখতে চান, তবে সেই ফাঁকা স্থান কখনো ফাঁকা থাকবে না, বরং সে জায়গা দখল করবে স্বয়ং শয়তান। সবসময় কাজে ব্যস্ত থাকাতেই প্রশান্ত���! এছাড়া আপনাকে আমাকে এমনি এমনি এই গ্রহে পাঠানো হয়নি। মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য নিয়ে গভীরভাবে ভাবুন। নিজের অক্সিজেনের মূল্য পরিশোধ করতে হলেও কাজ করুন! পৃথিবীর কাছে ঋণী হওয়াতে কোনো কৃতিত্ব নেই! এছাড়া কর্ম মুখী জীবনের জন্য আপনার প্রভু আপনাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ বলেনَ
‘অতঃপর নামাজ সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সূরা জুমআ, আয়াত: ১০)
(৩) অপচয় নয় সাদাকাহ করুন:
পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থা আমাদের ভোগবাদীতা আর অপচয় করতে প্রলুব্ধ করে। সম্পদ আহরণের অসুস্থ প্রতি্যোগিতা মৃত্য পর্যন্ত আমাদের মাতিয়ে রাখে। অথচ নশ্বর এ পৃথিবীতে মানুষ বেঁচে থাকে কর্মের মধ্যে, অর্থের দিক থেকে নয়। ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের এক যৌথ গবেষণায় প্রকাশিত হয়, যারা দান করেছেন, অন্যদের উপহার দেবার জন্যে ব্যয় করেছেন, তারা অনেক বেশি সুখী মনে করছেন নিজেকে! অন্যদিকে নিজের জন্য সঞ্চয়কারী মানুষগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দুঃখবোধ আর অশান্তিসহ পৃথিবী ছেড়েছেন। গোপন দাতা হন, সুখী হতে চাইলে দান করুন প্রতিদিন। তাছাড়া দান মানে শুধু অর্থের কোরবানী নয়, বরং হাসিমুখে কথা বলাও সাদাকাহ! ইহকাল ও পরকাল দুটোই সুন্দর করতে চাইলে সাদাকাহ এর বিকল্প নেই!
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
‘যখন আল্লাহর ছায়া ব্যতিত কোনো ছায়া থাকবে না, তখন আল্লাহ তায়ালা সাত শ্রেণির লোককে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন। (তাদের মধ্যে একজন হলো) যে ব্যক্তি এতো গোপনে সাদকাহ বা দান করে যে, ডান হাত যা দান করে, বাম হাত তা টের পায় না।’ (বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি, মুসনাদে আহমদ)
(৪) রাগ নয় ক্ষমা করুন:
জীবনে তিক্ত অভিজ্ঞতাগুলো যত দ্রুত সম্ভব ভুলে যাওয়াই কল্যাণ। পৃথিবীতে যা কিছু হয় বা আসে ভালোর জন্যই আসে। ভালো মানুষগুলো আমাদের জীবনে আসে কল্যাণ শেখাতে, আর খারাপ মানুষগুলো দিয়ে যায় অভিজ্ঞতা! বৈশ্বিক কোনো কিছুর জন্য রেগে যাওয়া বোকামী। ভেবে দেখুন, আমাদের নিজেদের প্রত্যেকটা অনুশোচনার জন্য নিজেরই বেখেয়ালী রাগটাই দায়ী। ক্ষমা মহৎ গুণ, সবাই ক্ষমা করতে পারেনা, তাই সুখীও হতে পারেনা! আসুন না! সুখী হওয়ার পথে হজরত আলী (রা.) এর মতো আমরাও শুধু আল্লাহর জন্যই ক্ষমা করে দেই।
(৫) নেতিবাচকতা নয় ইতিবাচক হোন:
গ্লাস শূন্য-পূর্ণ নিয়ে অনেক গল্পই আমরা শুনেছি। তবে আমি মনে করি, যেহেতু পূর্ণ গ্লাস দেখলেই আপনার কল্যাণ, সে ক্ষেত্রে পূর্ণ গ্লাসই দেখুন না! মানুষের কদর্যতা নিয়ে ঘাটাঘাটি করলে শুধু দুর্গন্ধই ছড়াবে, আর তার খানিক গন্ধ কিন্তু আপনার শরীরেও লেগে যেতে পারে। ভালো কিছুর চর্চা করুন, কল্যাণকামী হন। আপনি যখন কোনো নেতিবাচক বিষয় নিয়ে ভাবছেন, তখন আপনার নিউরণই কিন্তু সর্বপ্রথম অবচেতন ভাবে নেতিবাচকতাকেই গ্রহণ করছে। ইতিবাচক হন, কল্যাণে ভরে যাবে আপনার জীবন।
পবিত্র কোরআন মুমিনদেরকে ইতিবাচকতা ও প্রফুল্লতার দিকে আহ্বান জানিয়েছে। সূরা ইউনুসের ৫৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে: َ
‘হে নবী! বলুন এ জিনিসটি যে, তিনি পাঠিয়েছেন এটি আল্লাহর অনুগ্রহ এবং তার মেহেরবানী। এ জন্য লোকেরা যেন আনন্দিত হয়, কেননা তারা যা কিছু জমা করছে সে সবের চেয়ে এটি অনেক ভালো।’
সুতরাং, সুযোগ পেলেই পদ্ধতিগুলো প্রয়োগ করুন, প্রাণ খুলে হাসুন, আর সৃষ্টির সেবায় নিমগ্ন হোন। সুখী হওয়ার পথে আপনাকে অভিনন্দন!
সুখ আসলেই কি?
https://www.youtube.com/watch?v=IuhAnc1ghR0
 
সুখী জীবনের জন্য যে চারটি জিনিসের প্রয়োজন হবে 
youtube
জীবনে সুখী হওয়ার উপায় |
সুখী হওয়ার সহজ উপায়
সুখী হতে কী প্রয়োজন
youtube
হাদীস থেকে সুখী হওয়ার চারটি উপায়।
youtube
দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার ১০টি গোপন টিপস্ 
জীবনে সুখী হওয়ার উপায়
Ways To Be Happy In Life
0 notes
myladytara · 4 months
Text
'প্রাক্তন' — এই মুভিতে প্রথম বৌটার দোষ গুলো কি কি এবং সে আসলে ভালো বউ না হতে পারার কারণ কী তা আমি খুঁজে পাইনি। তার স্বামী তাকে দিনের-পর-দিন ইগনোর করে, অপমান করে, প্রায়োরিটি দেয় না, সময় দেয় না,জন্মদিন ও ভুলে যায়...!
এমনকি ব্যবসা নিয়ে যদি তাকে কিছু বলা হয় যে তুমি এভাবে ব্যবসাটা করো কিংবা তুমি এই জব টা করো তখন সে রেগে যেতো ভাবতো ছোট করছে।
এমনকি তার জন্য সে ভালোবেসে উপহার নিয়ে আসলেও সে ভাবতো তাকে ছোট করছে...!
প্রথম বউ নিজের সন্তান টাও হারিয়েছিল...! কিন্তু তারপরও মূল্যায়ন করেনি তাকে।
যখন দ্বিতীয় বিয়ে করে ওই বউয়ের জন্য সে সবকিছুই করে, ট্রেনে এসে সারপ্রাইজ দেয় বার্থডেতে,সে যখন যেভাবে বলছে সেভাবে বিজনেস সেট করেছে, তার বউ কি পছন্দ করে, তার বউকে সময় দেওয়া, বাচ্চার সাথে সময় কাটানো সবই করেছে আর বলে তার এই বৌ অনেক আন্ডারস্ট্যান্ডিং এবং সাপোর্টিভ ছিল, তার জীবনটাই নাকি বদলে দিয়েছে।
আমি কোথাও দেখি নাই যে তাঁর প্রথম বউ কোন ভাবেই তাকে অপমান করে কিংবা সাপোর্ট করে নাই...!
তার থেকে বেশি এডুকেটেড এবং ফিনান্সিয়ালি ভালো পজিশনে ছিল এজন্য সে বিষয়টাকে নিতেই পারে নি। লেকিংস এবং ইনসিকিউরিটিস এর রাগ তার উপর দেখাতো সারাদিন।
যখন প্রথম বৌ চিরদিনের জন্য ছেড়ে চলে যায় তখন সে তার ভুল বুঝতে পারে , নিজেকে পরিবর্তন করে আর দ্বিতীয় বউ এর সাথে সব সুন্দরভাবে চালায়।বরঞ্চ প্রথম বৌ যে অবস্থায় পেয়েছিল দিনের পর দিন যেভাবে স্যাক্রিফাইস এবং এডজাস্ট করে গেছে তার দ্বিতীয় বৌকে এগুলো কিছুই করতে হয়নি। তার দ্বিতীয় বৌ তার জন্য কিছু করলে সেও তার দ্বিতীয় বৌয়ের জন্য করত, এক তারফা ছিল না কোন কিছুই।কিন্তু তারপরও সে বলে দ্বিতীয় বউ তাকে একেবারে বদলে দিয়েছে ,তার জীবন গুছিয়ে দিয়েছে।
দ্বিতীয় বৌ তার জীবন গুছিয়ে দেয় নি...!
সে গুছিয়ে নিয়েছে ��ার দ্বিতীয় বৌয়ের সাথে।
দ্বিতীয় বৌ একটি ডায়লগ বলে যে
"আমার কাছে এডজাস্টমেন্ট মানে হেরে যাওয়া নয় দিদি ভাই, আমার কাছে আর জাস্ট ওয়ান্ট মানে হল সুন্দর করে বাঁচা" আপনি তখনই সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে পারবেন যখন আপনি কোন ব্যক্তির জন্য আ্যডজাস্ট করলে সেই ব্যক্তিও আপনার জন্য কিছুটা অ্যাডজাস্টে এবং সেক্রিফাইস করবে.
প্রথম বউ শুধু অ্যাডজাস্ট করে গেছে দ্বিতীয় বউ এর জন্য সে এডজাস্ট করেছে এবং সেক্রিফাইস ও করেছে।
দিনশেষে ভালোবাসা শেখায় একজন ভালোবাসা পায় আরেকজন।
🖊️ Piyali Roy
3 notes · View notes
ilyforallahswt · 2 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামের আলোকে জীবনে সুখী হওয়ার পাঁচ উপায়
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ারা পবিত্র কোরআনুল কারিমে ইরশাদ করেন,
‘যে সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং সে ঈমাণদার, পুরুষ হোক কিংবা নারী আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং প্রতিদানে তাদেরকে তাদের উত্তম কাজের কারণে প্রাপ্য পুরষ্কার দেব যা তারা করত।’
 (সূরা: নাহল, আয়াত: ৯৭)
জীবনের পথচলায় কখনো কখনো এমন কিছু দুঃখবোধ সামনে চলে আসে, এমন কিছু হতাশার মুহুর্ত আসে, যা একজন মানুষের স্বচ্ছ মনটাকে বিষিয়ে তোলে। অবসাদে ভরে যায় স্রষ্টা প্রদত্ত এই টুকরো জীবন!
কষ্টবোধের করাল গ্রাসে নিপতিত হয় মুসলিম অমুসলিম সবাই! অথচ প্রতিটি মানুষের, বিশেষত প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দুনিয়ার সময়গুলো খুব দামী। কোনো বিষয় আসলে আমাদের অসুখী করতে পারে না, অশান্তির দাবানলে কত মূল্যবান সময় হারিয়ে যায়, অথচ সুখী হওয়াটা সম্পূর্ণ নিজের হাতে! যে বিষয় বা মানুষটি আপনার সুখী হওয়ার পথে অন্তরায়, তার ভার আপনার প্রভুর হাতে ছেড়ে দিন।
পৃথিবীতে প্রতিটি জিনিসই ফিরে ফিরে আসে। যে আপনাকে কষ্ট দিয়েছে, ঠকিয়েছে প্রতিনিয়ত, ব্যথায় জর্জরিত করে আপনাকে সুখী হতে বাঁধা প্রদান করেছে, দেখবেন দুনিয়া ও আখিরাতে সে তার প্রতিদান পাবেই। তো! আপনি কেন শুধু শুধু পারিপার্শ্বিকতার প্রভাবে বা বৈশ্বিক ব্যর্থতায় সুখ বিকিয়ে দিচ্ছেন? মানুষ চাইলেই সুখ নামের পরশ পাথরটাকে নিজের করে নিতে পারে সহজেই। আসুন জেনে নেই সুখী জীবনের পথে পাঁচটি কার্যকরী টিপস!
(১) হতাশা নয়, কৃতজ্ঞ থাকুন
কৃতজ্ঞতার অভাববোধ থেকেই হতাশার জন্ম। জীবন, জগতের দুর্বিষহ কিছু সময় মাঝে মাঝে আমাদের হতাশার পথে ঠেলে দেয় এবং শয়তানও এক্ষেত্রে আমাদের সাহায্য করতে ভালোবাসে। পৃথিবীতে কৃতজ্ঞ হওয়ার মতো অনেক কিছু আছে আসলে! এই যে এখনও আপনি নিঃশ্বাস নিচ্ছেন, এই লেখাটা পড়তে পারছেন, এর জন্য কতখানি কৃতজ্ঞ হয়েছেন? আপনার বিনামূল্যে প্রাপ্ত নিঃশ্বাসের মূল্য জানেন কী? যে নিউরণে আপনি মন খারাপের বসতি গড়ছেন, সে মস্তিষ্কের ক্ষমতা নিয়ে ভেবেছেন কখনো? অনেক গবেষণা করেও মানুষের ব্রেইনের ক্ষমতা নির্ণয় করতে সক্ষম হয়নি বিজ্ঞানীরা। তবে বিজ্ঞানীরা মানুষের মস্তিষ্কের মেমোরি ক্যাপাসিটির যে হিসাব দিয়েছেন তা জানলে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি সম্পর্কেও আপনার ধারণা বদলে যাবে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, সারা জীবনেও আমাদের মস্তিষ্কের মেমোরি কার্ডটি পরিপূর্ণ করতে পারিনা আমরা। আমরা যদি ৩০ লক্ষ্য ঘণ্টা বা ৩৪২ বছর এক নাগাড়ে মস্তিষ্কের মেমোরি কার্ডে সারাক্ষণ ভিডিও ধারণ করি তবুও আমাদের মস্তিষ্ক নামের সুপার কম্পিউটারের মেমোরির স্পেস পূরণ হবে না। আর অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মূল্য হিসেব নাই বা দিলাম। আসলে বুদ্ধিমানদের জন্য পুরো পৃথিবীতেই কৃতজ্ঞতার উপকরণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ভালো কাজ করুন, কৃতজ্ঞতা আদায় করুন আর খুব ভালো থাকুন। সঙ্গে সঙ্গে আপনার রবের বাণীটি স্মরণ করুন-
‘যখন তোমাদের পালনকর্তা ঘোষণা করলেন যে, যদি কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর, তবে তোমাদেরকে আরও দেব এবং যদি অকৃতজ্ঞ হও তবে নিশ্চয়ই আমার শাস্তি হবে কঠোর।’ (সূরা: ইব্রাহিম; ১৪, আয়াত: ৭)
এছাড়া — শাইখ হামজা ইউসুফের কথাটিও মনে রাখতে পারেন-
‘ভালো কাজের মেঘ থেকে বৃষ্টি ঝরে। যখন সময় হয় কেবল তখনই তার বর্ষণ হয়। আল্লাহ বৃষ্টি বর্ষণ করেন শুকনো মৃত মাটির ওপরে; একদম সঠিক সময়েই। যখন পথ অবারিত হবার সময় হবে, তখনই সেই পথটি প্রশস্ত হবে। আল্লাহ তার সময় অনুযায়ীই সেই কাজটি করেন, আমাদের সময়ের হিসেবে নয়। আর এটা আমাদের ক্বাদরের ব্যাপারে সন্তুষ্ট থাকার একটি অংশ; যা হয়েছে তা আপনার জন্য নির্ধারিত ছিলো বলেই হয়েছে।’ (সংক্ষেপিত, ২০১১ রিহলা)
(২) অলসতা নয় কাজ করুন:
‘অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা’ প্রবাদটির গূঢ় মর্ম হলো- আপনি যদি কোনোভাবে আপনার ব্রেইনকে খানিক ফাঁকা রাখতে চান, তবে সেই ফাঁকা স্থান কখনো ফাঁকা থাকবে না, বরং সে জায়গা দখল করবে স্বয়ং শয়তান। সবসময় কাজে ব্যস্ত থাকাতেই প্রশান্তি! এছাড়া আপনাকে আমাকে এমনি এমনি এই গ্রহে পাঠানো হয়নি। মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য নিয়ে গভীরভাবে ভাবুন। নিজের অক্সিজেনের মূল্য পরিশোধ করতে হলেও কাজ করুন! পৃথিবীর কাছে ঋণী হওয়াতে কোনো কৃতিত্ব নেই! এছাড়া কর্ম মুখী জীবনের জন্য আপনার প্রভু আপনাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ বলেনَ
‘অতঃপর নামাজ সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সূরা জুমআ, আয়াত: ১০)
(৩) অপচয় নয় সাদাকাহ করুন:
পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থা আমাদের ভোগবাদীতা আর অপচয় করতে প্রলুব্ধ করে। সম্পদ আহরণের অসুস্থ প্রতি্যোগিতা মৃত্য পর্যন্ত আমাদের মাতিয়ে রাখে। অথচ নশ্বর এ পৃথিবীতে মানুষ বেঁচে থাকে কর্মের মধ্যে, অর্থের দিক থেকে নয়। ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের এক যৌথ গবেষণায় প্রকাশিত হয়, যারা দান করেছেন, অন্যদের উপহার দেবার জন্যে ব্যয় করেছেন, তারা অনেক বেশি সুখী মনে করছেন নিজেকে! অন্যদিকে নিজের জন্য সঞ্চয়কারী মানুষগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দুঃখবোধ আর অশান্তিসহ পৃথিবী ছেড়েছেন। গোপন দাতা হন, সুখী হতে চাইলে দান করুন প্রতিদিন। তাছাড়া দান মানে শুধু অর্থের কোরবান�� নয়, বরং হাসিমুখে কথা বলাও সাদাকাহ! ইহকাল ও পরকাল দুটোই সুন্দর করতে চাইলে সাদাকাহ এর বিকল্প নেই!
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
‘যখন আল্লাহর ছায়া ব্যতিত কোনো ছায়া থাকবে না, তখন আল্লাহ তায়ালা সাত শ্রেণির লোককে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন। (তাদের মধ্যে একজন হলো) যে ব্যক্তি এতো গোপনে সাদকাহ বা দান করে যে, ডান হাত যা দান করে, বাম হাত তা টের পায় না।’ (বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি, মুসনাদে আহমদ)
(৪) রাগ নয় ক্ষমা করুন:
জীবনে তিক্ত অভিজ্ঞতাগুলো যত দ্রুত সম্ভব ভুলে যাওয়াই কল্যাণ। পৃথিবীতে যা কিছু হয় বা আসে ভালোর জন্যই আসে। ভালো মানুষগুলো আমাদের জীবনে আসে কল্যাণ শেখাতে, আর খারাপ মানুষগুলো দিয়ে যায় অভিজ্ঞতা! বৈশ্বিক কোনো কিছুর জন্য রেগে যাওয়া বোকামী। ভেবে দেখুন, আমাদের নিজেদের প্রত্যেকটা অনুশোচনার জন্য নিজেরই বেখেয়ালী রাগটাই দায়ী। ক্ষমা মহৎ গুণ, সবাই ক্ষমা করতে পারেনা, তাই সুখীও হতে পারেনা! আসুন না! সুখী হওয়ার পথে হজরত আলী (রা.) এর মতো আমরাও শুধু আল্লাহর জন্যই ক্ষমা করে দেই।
(৫) নেতিবাচকতা নয় ইতিবাচক হোন:
গ্লাস শূন্য-পূর্ণ নিয়ে অনেক গল্পই আমরা শুনেছি। তবে আমি মনে করি, যেহেতু পূর্ণ গ্লাস দেখলেই আপনার কল্যাণ, সে ক্ষেত্রে পূর্ণ গ্লাসই দেখুন না! মানুষের কদর্যতা নিয়ে ঘাটাঘাটি করলে শুধু দুর্গন্ধই ছড়াবে, আর তার খানিক গন্ধ কিন্তু আপনার শরীরেও লেগে যেতে পারে। ভালো কিছুর চর্চা করুন, কল্যাণকামী হন। আপনি যখন কোনো নেতিবাচক বিষয় নিয়ে ভাবছেন, তখন আপনার নিউরণই কিন্তু সর্বপ্রথম অবচেতন ভাবে নেতিবাচকতাকেই গ্রহণ করছে। ইতিবাচক হন, কল্যাণে ভরে যাবে আপনার জীবন।
পবিত্র কোরআন মুমিনদেরকে ইতিবাচকতা ও প্রফুল্লতার দিকে আহ্বান জানিয়েছে। সূরা ইউনুসের ৫৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে: َ
‘হে নবী! বলুন এ জিনিসটি যে, তিনি পাঠিয়েছেন এটি আল্লাহর অনুগ্রহ এবং তার মেহেরবানী। এ জন্য লোকেরা যেন আনন্দিত হয়, কেননা তারা যা কিছু জমা করছে সে সবের চেয়ে এটি অনেক ভালো।’
সুতরাং, সুযোগ পেলেই পদ্ধতিগুলো প্রয়োগ করুন, প্রাণ খুলে হাসুন, আর সৃষ্টির সেবায় নিমগ্ন হোন। সুখী হওয়ার পথে আপনাকে অভিনন্দন!
সুখ আসলেই কি?
https://www.youtube.com/watch?v=IuhAnc1ghR0
 
সুখী জীবনের জন্য যে চারটি জিনিসের প্রয়োজন হবে 
youtube
জীবনে সুখী হওয়ার উপায় |
সুখী হওয়ার সহজ উপায়
সুখী হতে কী প্রয়োজন
youtube
হাদীস থেকে সুখী হওয়ার চারটি উপায়।
youtube
দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার ১০টি গোপন টিপস্ 
জীবনে সুখী হওয়ার উপায়
Ways To Be Happy In Life
0 notes
myreligionislam · 2 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
জীবনে সুখী হওয়ার উপায়
Ways To Be Happy In Life
ইসলামের আলোকে জীবনে সুখী হওয়ার পাঁচ উপায়
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ারা পবিত্র কোরআনুল কারিমে ইরশাদ করেন,
‘যে সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং সে ঈমাণদার, পুরুষ হোক কিংবা নারী আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং প্রতিদানে তাদেরকে তাদের উত্তম কাজের কারণে প্রাপ্য পুরষ্কার দেব যা তারা করত।’
 (সূরা: নাহল, আয়াত: ৯৭)
জীবনের পথচলায় কখনো কখনো এমন কিছু দুঃখবোধ সামনে চলে আসে, এমন কিছু হতাশার মুহুর্ত আসে, যা একজন মানুষের স্বচ্ছ মনটাকে বিষিয়ে তোলে। অবসাদে ভরে যায় স্রষ্টা প্রদত্ত এই টুকরো জীবন!
কষ্টবোধের করাল গ্রাসে নিপতিত হয় মুসলিম অমুসলিম সবাই! অথচ প্রতিটি মানুষের, বিশেষত প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দুনিয়ার সময়গুলো খুব দামী। কোনো বিষয় আসলে আমাদের অসুখী করতে পারে না, অশান্তির দাবানলে কত মূল্যবান সময় হারিয়ে যায়, অথচ সুখী হওয়াটা সম্পূর্ণ নিজের হাতে! যে বিষয় বা মানুষটি আপনার সুখী হওয়ার পথে অন্তরায়, তার ভার আপনার প্রভুর হাতে ছেড়ে দিন।
পৃথিবীতে প্রতিটি জিনিসই ফিরে ফিরে আসে। যে আপনাকে কষ্ট দিয়েছে, ঠকিয়েছে প্রতিনিয়ত, ব্যথায় জর্জরিত করে আপনাকে সুখী হতে বাঁধা প্রদান করেছে, দেখবেন দুনিয়া ও আখিরাতে সে তার প্রতিদান ��াবেই। তো! আপনি কেন শুধু শুধু পারিপার্শ্বিকতার প্রভাবে বা বৈশ্বিক ব্যর্থতায় সুখ বিকিয়ে দিচ্ছেন? মানুষ চাইলেই সুখ নামের পরশ পাথরটাকে নিজের করে নিতে পারে সহজেই। আসুন জেনে নেই সুখী জীবনের পথে পাঁচটি কার্যকরী টিপস!
(১) হতাশা নয়, কৃতজ্ঞ থাকুন
কৃতজ্ঞতার অভাববোধ থেকেই হতাশার জন্ম। জীবন, জগতের দুর্বিষহ কিছু সময় মাঝে মাঝে আমাদের হতাশার পথে ঠেলে দেয় এবং শয়তানও এক্ষেত্রে আমাদের সাহায্য করতে ভালোবাসে। পৃথিবীতে কৃতজ্ঞ হওয়ার মতো অনেক কিছু আছে আসলে! এই যে এখনও আপনি নিঃশ্বাস নিচ্ছেন, এই লেখাটা পড়তে পারছেন, এর জন্য কতখানি কৃতজ্ঞ হয়েছেন? আপনার বিনামূল্যে প্রাপ্ত নিঃশ্বাসের মূল্য জানেন কী? যে নিউরণে আপনি মন খারাপের বসতি গড়ছেন, সে মস্তিষ্কের ক্ষমতা নিয়ে ভেবেছেন কখনো? অনেক গবেষণা করেও মানুষের ব্রেইনের ক্ষমতা নির্ণয় করতে সক্ষম হয়নি বিজ্ঞানীরা। তবে বিজ্ঞানীরা মানুষের মস্তিষ্কের মেমোরি ক্যাপাসিটির যে হিসাব দিয়েছেন তা জানলে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি সম্পর্কেও আপনার ধারণা বদলে যাবে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, সারা জীবনেও আমাদের মস্তিষ্কের মেমোরি কার্ডটি পরিপূর্ণ করতে পারিনা আমরা। আমরা যদি ৩০ লক্ষ্য ঘণ্টা বা ৩৪২ বছর এক নাগাড়ে মস্তিষ্কের মেমোরি কার্ডে সারাক্ষণ ভিডিও ধারণ করি তবুও আমাদের মস্তিষ্ক নামের সুপার কম্পিউটারের মেমোরির স্পেস পূরণ হবে না। আর অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মূল্য হিসেব নাই বা দিলাম। আসলে বুদ্ধিমানদের জন্য পুরো পৃথিবীতেই কৃতজ্ঞতার উপকরণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ভালো কাজ করুন, কৃতজ্ঞতা আদায় করুন আর খুব ভালো থাকুন। সঙ্গে সঙ্গে আপনার রবের বাণীটি স্মরণ করুন-
‘যখন তোমাদের পালনকর্তা ঘোষণা করলেন যে, যদি কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর, তবে তোমাদেরকে আরও দেব এবং যদি অকৃতজ্ঞ হও তবে নিশ্চয়ই আমার শাস্তি হবে কঠোর।’ (সূরা: ইব্রাহিম; ১৪, আয়াত: ৭)
এছাড়া — শাইখ হামজা ইউসুফের কথাটিও মনে রাখতে পারেন-
‘ভালো কাজের মেঘ থেকে বৃষ্টি ঝরে। যখন সময় হয় কেবল তখনই তার বর্ষণ হয়। আল্লাহ বৃষ্টি বর্ষণ করেন শুকনো মৃত মাটির ওপরে; একদম সঠিক সময়েই। যখন পথ অবারিত হবার সময় হবে, তখনই সেই পথটি প্রশস্ত হবে। আল্লাহ তার সময় অনুযায়ীই সেই কাজটি করেন, আমাদের সময়ের হিসেবে নয়। আর এটা আমাদের ক্বাদরের ব্যাপারে সন্তুষ্ট থাকার একটি অংশ; যা হয়েছে তা আপনার জন্য নির্ধারিত ছিলো বলেই হয়েছে।’ (সংক্ষেপিত, ২০১১ রিহলা)
(২) অলসতা নয় কাজ করুন:
‘অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা’ প্রবাদটির গূঢ় মর্ম হলো- আপনি যদি কোনোভাবে আপনার ব্রেইনকে খানিক ফাঁকা রাখতে চান, তবে সেই ফাঁকা স্থান কখনো ফাঁকা থাকবে না, বরং সে জায়গা দখল করবে স্বয়ং শয়তান। সবসময় কাজে ব্যস্ত থাকাতেই প্রশান্তি! এছাড়া আপনাকে আমাকে এমনি এমনি এই গ্রহে পাঠানো হয়নি। মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য নিয়ে গভীরভাবে ভাবুন। নিজের অক্সিজেনের মূল্য পরিশোধ করতে হলেও কাজ করুন! পৃথিবীর কাছে ঋণী হওয়াতে কোনো কৃতিত্ব নেই! এছাড়া কর্ম মুখী জীবনের জন্য আপনার প্রভু আপনাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ বলেনَ
‘অতঃপর নামাজ সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সূরা জুমআ, আয়াত: ১০)
(৩) অপচয় নয় সাদাকাহ করুন:
পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থা আমাদের ভোগবাদীতা আর অপচয় করতে প্রলুব্ধ করে। সম্পদ আহরণের অসুস্থ প্রতি্যোগিতা মৃত্য পর্যন্ত আমাদের মাতিয়ে রাখে। অথচ নশ্বর এ পৃথিবীতে মানুষ বেঁচে থাকে কর্মের মধ্যে, অর্থের দিক থেকে নয়। ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের এক যৌথ গবেষণায় প্রকাশিত হয়, যারা দান করেছেন, অন্যদের উপহার দেবার জন্যে ব্যয় করেছেন, তারা অনেক বেশি সুখী মনে করছেন নিজেকে! অন্যদিকে নিজের জন্য সঞ্চয়কারী মানুষগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দুঃখবোধ আর অশান্তিসহ পৃথিবী ছেড়েছেন। গোপন দাতা হন, সুখী হতে চাইলে দান করুন প্রতিদিন। তাছাড়া দান মানে শুধু অর্থের কোরবানী নয়, বরং হাসিমুখে কথা বলাও সাদাকাহ! ইহকাল ও পরকাল দুটোই সুন্দর করতে চাইলে সাদাকাহ এর বিকল্প নেই!
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
‘যখন আল্লাহর ছায়া ব্যতিত কোনো ছায়া থাকবে না, তখন আল্লাহ তায়ালা সাত শ্রেণির লোককে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন। (তাদের মধ্যে একজন হলো) যে ব্যক্তি এতো গোপনে সাদকাহ বা দান করে যে, ডান হাত যা দান করে, বাম হাত তা টের পায় না।’ (বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি, মুসনাদে আহমদ)
(৪) রাগ নয় ক্ষমা করুন:
জীবনে তিক্ত অভিজ্ঞতাগুলো যত দ্রুত সম্ভব ভুলে যাওয়াই কল্যাণ। পৃথিবীতে যা কিছু হয় বা আসে ভালোর জন্যই আসে। ভালো মানুষগুলো আমাদের জীবনে আসে কল্যাণ শেখাতে, আর খারাপ মানুষগুলো দিয়ে যায় অভিজ্ঞতা! বৈশ্বিক কোনো কিছুর জন্য রেগে যাওয়া বোকামী। ভেবে দেখুন, আমাদের নিজেদের প্রত্যেকটা অনুশোচনার জন্য নিজেরই বেখেয়ালী রাগটাই দায়ী। ক্ষমা মহৎ গুণ, সবাই ক্ষমা করতে পারেনা, তাই সুখীও হতে পারেনা! আসুন না! সুখী হওয়ার পথে হজরত আলী (রা.) এর মতো আমরাও শুধু আল্লাহর জন্যই ক্ষমা করে দেই।
(৫) নেতিবাচকতা নয় ইতিবাচক হোন:
গ্লাস শূন্য-পূর্ণ নিয়ে অনেক গল্পই আমরা শুনেছি। তবে আমি মনে করি, যেহেতু পূর্ণ গ্লাস দেখলেই আপনার কল্যাণ, সে ক্ষেত্রে পূর্ণ গ্লাসই দেখুন না! মানুষের কদর্যতা নিয়ে ঘাটাঘাটি করলে শুধু দুর্গন্ধই ছড়াবে, আর তার খানিক গন্ধ কিন্তু আপনার শরীরেও লেগে যেতে পারে। ভালো কিছুর চর্চা করুন, কল্যাণকামী হন। আপনি যখন কোনো নে��িবাচক বিষয় নিয়ে ভাবছেন, তখন আপনার নিউরণই কিন্তু সর্বপ্রথম অবচেতন ভাবে নেতিবাচকতাকেই গ্রহণ করছে। ইতিবাচক হন, কল্যাণে ভরে যাবে আপনার জীবন।
পবিত্র কোরআন মুমিনদেরকে ইতিবাচকতা ও প্রফুল্লতার দিকে আহ্বান জানিয়েছে। সূরা ইউনুসের ৫৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে: َ
‘হে নবী! বলুন এ জিনিসটি যে, তিনি পাঠিয়েছেন এটি আল্লাহর অনুগ্রহ এবং তার মেহেরবানী। এ জন্য লোকেরা যেন আনন্দিত হয়, কেননা তারা যা কিছু জমা করছে সে সবের চেয়ে এটি অনেক ভালো।’
সুতরাং, সুযোগ পেলেই পদ্ধতিগুলো প্রয়োগ করুন, প্রাণ খুলে হাসুন, আর সৃষ্টির সেবায় নিমগ্ন হোন। সুখী হওয়ার পথে আপনাকে অভিনন্দন!
সুখ আসলেই কি?
https://www.youtube.com/watch?v=IuhAnc1ghR0
 
সুখী জীবনের জন্য যে চারটি জিনিসের প্রয়োজন হবে 
youtube
জীবনে সুখী হওয়ার উপায় |
সুখী হওয়ার সহজ উপায়
সুখী হতে কী প্রয়োজন
youtube
হাদীস থেকে সুখী হওয়ার চারটি উপায়।
youtube
দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার ১০টি গোপন টিপস্ 
0 notes
allahisourrabb · 2 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
ইসলামের আলোকে জীবনে সুখী হওয়ার পাঁচ উপায়
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ারা পবিত্র কোরআনুল কারিমে ইরশাদ করেন,
‘যে সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং সে ঈমাণদার, পুরুষ হোক কিংবা নারী আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং প্রতিদানে তাদেরকে তাদের উত্তম কাজের কারণে প্রাপ্য পুরষ্কার দেব যা তারা করত।’
 (সূরা: নাহল, আয়াত: ৯৭)
জীবনের পথচলায় কখনো কখনো এমন কিছু দুঃখবোধ সামনে চলে আসে, এমন কিছু হতাশার মুহুর্ত আসে, যা একজন মানুষের স্বচ্ছ মনটাকে বিষিয়ে তোলে। অবসাদে ভরে যায় স্রষ্টা প্রদত্ত এই টুকরো জীবন!
কষ্টবোধের করাল গ্রাসে নিপতিত হয় মুসলিম অমুসলিম সবাই! অথচ প্রতিটি মানুষের, বিশেষত প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দুনিয়ার সময়গুলো খুব দামী। কোনো বিষয় আসলে আমাদের অসুখী করতে পারে না, অশান্তির দাবানলে কত মূল্যবান সময় হারিয়ে যায়, অথচ সুখী হওয়াটা সম্পূর্ণ নিজের হাতে! যে বিষয় বা মানুষটি আপনার সুখী হওয়ার পথে অন্তরায়, তার ভার আপনার প্রভুর হাতে ছেড়ে দিন।
পৃথিবীতে প্রতিটি জিনিসই ফিরে ফিরে আসে। যে আপনাকে কষ্ট দিয়েছে, ঠকিয়েছে প্রতিনিয়ত, ব্যথায় জর্জরিত করে আপনাকে সুখী হতে বাঁধা প্রদান করেছে, দেখবেন দুনিয়া ও আখিরাতে সে তার প্রতিদান পাবেই। তো! আপনি কেন শুধু শুধু পারিপার্শ্বিকতার প্রভাবে বা বৈশ্বিক ব্যর্থতায় সুখ বিকিয়ে দিচ্ছেন? মানুষ ���াইলেই সুখ নামের পরশ পাথরটাকে নিজের করে নিতে পারে সহজেই। আসুন জেনে নেই সুখী জীবনের পথে পাঁচটি কার্যকরী টিপস!
(১) হতাশা নয়, কৃতজ্ঞ থাকুন
কৃতজ্ঞতার অভাববোধ থেকেই হতাশার জন্ম। জীবন, জগতের দুর্বিষহ কিছু সময় মাঝে মাঝে আমাদের হতাশার পথে ঠেলে দেয় এবং শয়তানও এক্ষেত্রে আমাদের সাহায্য করতে ভালোবাসে। পৃথিবীতে কৃতজ্ঞ হওয়ার মতো অনেক কিছু আছে আসলে! এই যে এখনও আপনি নিঃশ্বাস নিচ্ছেন, এই লেখাটা পড়তে পারছেন, এর জন্য কতখানি কৃতজ্ঞ হয়েছেন? আপনার বিনামূল্যে প্রাপ্ত নিঃশ্বাসের মূল্য জানেন কী? যে নিউরণে আপনি মন খারাপের বসতি গড়ছেন, সে মস্তিষ্কের ক্ষমতা নিয়ে ভেবেছেন কখনো? অনেক গবেষণা করেও মানুষের ব্রেইনের ক্ষমতা নির্ণয় করতে সক্ষম হয়নি বিজ্ঞানীরা। তবে বিজ্ঞানীরা মানুষের মস্তিষ্কের মেমোরি ক্যাপাসিটির যে হিসাব দিয়েছেন তা জানলে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি সম্পর্কেও আপনার ধারণা বদলে যাবে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, সারা জীবনেও আমাদের মস্তিষ্কের মেমোরি কার্ডটি পরিপূর্ণ করতে পারিনা আমরা। আমরা যদি ৩০ লক্ষ্য ঘণ্টা বা ৩৪২ বছর এক নাগাড়ে মস্তিষ্কের মেমোরি কার্ডে সারাক্ষণ ভিডিও ধারণ করি তবুও আমাদের মস্তিষ্ক নামের সুপার কম্পিউটারের মেমোরির স্পেস পূরণ হবে না। আর অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মূল্য হিসেব নাই বা দিলাম। আসলে বুদ্ধিমানদের জন্য পুরো পৃথিবীতেই কৃতজ্ঞতার উপকরণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ভালো কাজ করুন, কৃতজ্ঞতা আদায় করুন আর খুব ভালো থাকুন। সঙ্গে সঙ্গে আপনার রবের বাণীটি স্মরণ করুন-
‘যখন তোমাদের পালনকর্তা ঘোষণা করলেন যে, যদি কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর, তবে তোমাদেরকে আরও দেব এবং যদি অকৃতজ্ঞ হও তবে নিশ্চয়ই আমার শাস্তি হবে কঠোর।’ (সূরা: ইব্রাহিম; ১৪, আয়াত: ৭)
এছাড়া — শাইখ হামজা ইউসুফের কথাটিও মনে রাখতে পারেন-
‘ভালো কাজের মেঘ থেকে বৃষ্টি ঝরে। যখন সময় হয় কেবল তখনই তার বর্ষণ হয়। আল্লাহ বৃষ্টি বর্ষণ করেন শুকনো মৃত মাটির ওপরে; একদম সঠিক সময়েই। যখন পথ অবারিত হবার সময় হবে, তখনই সেই পথটি প্রশস্ত হবে। আল্লাহ তার সময় অনুযায়ীই সেই কাজটি করেন, আমাদের সময়ের হিসেবে নয়। আর এটা আমাদের ক্বাদরের ব্যাপারে সন্তুষ্ট থাকার একটি অংশ; যা হয়েছে তা আপনার জন্য নির্ধারিত ছিলো বলেই হয়েছে।’ (সংক্ষেপিত, ২০১১ রিহলা)
(২) অলসতা নয় কাজ করুন:
‘অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা’ প্রবাদটির গূঢ় মর্ম হলো- আপনি যদি কোনোভাবে আপনার ব্রেইনকে খানিক ফাঁকা রাখতে চান, তবে সেই ফাঁকা স্থান কখনো ফাঁকা থাকবে না, বরং সে জায়গা দখল করবে স্বয়ং শয়তান। সবসময় কাজে ব্যস্ত থাকাতেই প্রশান্তি! এছাড়া আপনাকে আমাকে এমনি এমনি এই গ্রহে পাঠানো হয়নি। মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য নিয়ে গভীরভাবে ভাবুন। নিজের অক্সিজেনের মূল্য পরিশোধ করতে হলেও কাজ করুন! পৃথিবীর কাছে ঋণী হওয়াতে কোনো কৃতিত্ব নেই! এছাড়া কর্ম মুখী জীবনের জন্য আপনার প্রভু আপনাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ বলেনَ
‘অতঃপর নামাজ সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সূরা জুমআ, আয়াত: ১০)
(৩) অপচয় নয় সাদাকাহ করুন:
পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থা আমাদের ভোগবাদীতা আর অপচয় করতে প্রলুব্ধ করে। সম্পদ আহরণের অসুস্থ প্রতি্যোগিতা মৃত্য পর্যন্ত আমাদের মাতিয়ে রাখে। অথচ নশ্বর এ পৃথিবীতে মানুষ বেঁচে থাকে কর্মের মধ্যে, অর্থের দিক থেকে নয়। ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের এক যৌথ গবেষণায় প্রকাশিত হয়, যারা দান করেছেন, অন্যদের উপহার দেবার জন্যে ব্যয় করেছেন, তারা অনেক বেশি সুখী মনে করছেন নিজেকে! অন্যদিকে নিজের জন্য সঞ্চয়কারী মানুষগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দুঃখবোধ আর অশান্তিসহ পৃথিবী ছেড়েছেন। গোপন দাতা হন, সুখী হতে চাইলে দান করুন প���রতিদিন। তাছাড়া দান মানে শুধু অর্থের কোরবানী নয়, বরং হাসিমুখে কথা বলাও সাদাকাহ! ইহকাল ও পরকাল দুটোই সুন্দর করতে চাইলে সাদাকাহ এর বিকল্প নেই!
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
‘যখন আল্লাহর ছায়া ব্যতিত কোনো ছায়া থাকবে না, তখন আল্লাহ তায়ালা সাত শ্রেণির লোককে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন। (তাদের মধ্যে একজন হলো) যে ব্যক্তি এতো গোপনে সাদকাহ বা দান করে যে, ডান হাত যা দান করে, বাম হাত তা টের পায় না।’ (বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি, মুসনাদে আহমদ)
(৪) রাগ নয় ক্ষমা করুন:
জীবনে তিক্ত অভিজ্ঞতাগুলো যত দ্রুত সম্ভব ভুলে যাওয়াই কল্যাণ। পৃথিবীতে যা কিছু হয় বা আসে ভালোর জন্যই আসে। ভালো মানুষগুলো আমাদের জীবনে আসে কল্যাণ শেখাতে, আর খারাপ মানুষগুলো দিয়ে যায় অভিজ্ঞতা! বৈশ্বিক কোনো কিছুর জন্য রেগে যাওয়া বোকামী। ভেবে দেখুন, আমাদের নিজেদের প্রত্যেকটা অনুশোচনার জন্য নিজেরই বেখেয়ালী রাগটাই দায়ী। ক্ষমা মহৎ গুণ, সবাই ক্ষমা করতে পারেনা, তাই সুখীও হতে পারেনা! আসুন না! সুখী হওয়ার পথে হজরত আলী (রা.) এর মতো আমরাও শুধু আল্লাহর জন্যই ক্ষমা করে দেই।
(৫) নেতিবাচকতা নয় ইতিবাচক হোন:
গ্লাস শূন্য-পূর্ণ নিয়ে অনেক গল্পই আমরা শুনেছি। তবে আমি মনে করি, যেহেতু পূর্ণ গ্লাস দেখলেই আপনার কল্যাণ, সে ক্ষেত্রে পূর্ণ গ্লাসই দেখুন না! মানুষের কদর্যতা নিয়ে ঘাটাঘাটি করলে শুধু দুর্গন্ধই ছড়াবে, আর তার খানিক গন্ধ কিন্তু আপনার শরীরেও লেগে যেতে পারে। ভালো কিছুর চর্চা করুন, কল্যাণকামী হন। আপনি যখন কোনো নেতিবাচক বিষয় নিয়ে ভাবছেন, তখন আপনার নিউরণই কিন্তু সর্বপ্রথম অবচেতন ভাবে নেতিবাচকতাকেই গ্রহণ করছে। ইতিবাচক হন, কল্যাণে ভরে যাবে আপনার জীবন।
পবিত্র কোরআন মুমিনদেরকে ইতিবাচকতা ও প্রফুল্লতার দিকে আহ্বান জানিয়েছে। সূরা ইউনুসের ৫৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে: َ
‘হে নবী! বলুন এ জিনিসটি যে, তিনি পাঠিয়েছেন এটি আল্লাহর অনুগ্রহ এবং তার মেহেরবানী। এ জন্য লোকেরা যেন আনন্দিত হয়, কেননা তারা যা কিছু জমা করছে সে সবের চেয়ে এটি অনেক ভালো।’
সুতরাং, সুযোগ পেলেই পদ্ধতিগুলো প্রয়োগ করুন, প্রাণ খুলে হাসুন, আর সৃষ্টির সেবায় নিমগ্ন হোন। সুখী হওয়ার পথে আপনাকে অভিনন্দন!
সুখ আসলেই কি?
https://www.youtube.com/watch?v=IuhAnc1ghR0
 
সুখী জীবনের জন্য যে চারটি জিনিসের প্রয়োজন হবে 
youtube
জীবনে সুখী হওয়ার উপায় |
সুখী হওয়ার সহজ উপায়
সুখী হতে কী প্রয়োজন
youtube
হাদীস থেকে সুখী হওয়ার চারটি উপায়।
youtube
দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার ১০টি গোপন টিপস্ 
জীবনে সুখী হওয়ার উপায়
Ways To Be Happy In Life
0 notes