অস্থির নাচ আর গান । দেখতে দেখতে আর কয়দিন তোর আশায় থাকবো । ভাইরাল বৃষ্ট...
0 notes
বড় হতে হতে একটা পর্যায় আবিষ্কার করলাম, while living in solitary I had totally forgotten about living. শুনতে অদ্ভুত হলেও সত্য যে, যেই মেয়েটা এক সময় একা থাকতে খুব পছন্দ করত, এখন সে মানুষের মাঝে থাকতেও পছন্দ করে, তাই আর কি এই কথাটা বলা।
ছোটকাল থেকেই আমার ক্লাসের সবার সাথে পরিচয় থাকলেও বন্ধুমহল ছিল সীমিত। এর মাঝে এখনো কিছু বাঁচা কুচা কই মাছের প্রাণ মোমবাতির শেষ আলোর মত বেচেঁ আছে।
বেশ কিছুদিন আগে কেও একজন আমাকে নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন আমি নাকি খুব people pleaser টাইপ এর মানুষ। তো সাধারণত এইসব বিষয়ে আমি তেমন পাত্তা দেই না। কিন্তু ওই কথাটা এতটাই কাঁটা গায়ে নুন ছিটার মতন লেগেছিলো যে ধীরে ধীরে নিজেকে বদলানোর আত্ম সমালোচনার শেষ পর্যায় গিয়ে আবিষ্কার করলাম, বিষয়টা কেন এতটা সত্য!
আসে পাশের সবাই কে খুশি করতে গিয়ে নিজের জগৎ সংসারটাকে হাতের মুঠোয় করে ফেলেছিলাম। সেই থেকে আজ অব্দি খালি সেই ভ্রান্ত ধারণা থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায় ছুটেই চলেছি।
কিন্তু, আবার যেন সেই আত্ম সমালোচনার জোরে পুনরায় নতুন করে আবিষ্কার করলাম নিজের জগৎ সংসারটাকে বড় করতে গিয়ে নিজের অনেক কিছুকেই অজান্তে হারিয়ে ফেলেছি।
মানুষ কি করে এত উত্থাল-পাথাল পরিবর্তনের মাঝে দিয়ে চলা ফেরা করে বুঝি না। আমার তো এই পরিবর্তনের মাঝে নিজেকে, পাগল পাগল লাগে। কারণ হঠাৎ মনে হয়, অনেক বেশি পরিবর্তন এনে ফেলি আবার হঠাৎ করে অনেক কম। মাঝামাঝিতে থাকা যেন অনেক অনেক বেশিই কঠিন।
2 notes
·
View notes
𝐋𝐎𝐍𝐆𝐈𝐍𝐆
শিউলি ঝরে পাখি ডাকে কুসুম ভাসে আকাশে
বিদর্ভীর মন যে তার প্রিয়র জন্যে কাঁদে।।
নিসি যায় দিন যায় আর যায় সময়
রুক্মিণী বসে রয় সেই মনহরার আশায়।।
~ কমল (KrishaKamal)
© 𝐊𝐑𝐈𝐒𝐇𝐀𝐊𝐀𝐌𝐀𝐋 𝟐𝟎𝟐𝟑, 𝐀𝐋𝐋 𝐑𝐈𝐆𝐇𝐓𝐒 𝐑𝐄𝐒𝐄𝐑𝐕𝐄𝐃 — all content rights belongs to KRISHAKAMAL. Do not plagiarize any works and do not repost or translate onto any other sites.
All the rights and credits of the pictures used here belongs to their rightful owners.
4 notes
·
View notes
সরস্বতী পূজার জন্য সুন্দর এবং আকর্ষণীয় সংঘের নাম
হ্যালো প্রিয় সনাতনী দাদা ও দিদিরা, বিদ্যাময়ী দেবীর পুজো ত প্রায় চলেই এলো। আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন মা সরস্বতী দেবীর পুজো করবেন। মা সরস্বতীকে বলা হয় বিদ্যার এবং শিল্পকলার দেবী। মনে করা হয়ে থাকে মা সরস্বতীর পূজা করলে তিনি প্রসন্ন হন, এবং আমাদের আশির্বাদ দেন।
মায়ের আশির্বাদে আমাদের বিদ্যা অর্জনে বিশেষ উন্নতি হয়। শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বাসাতে পালন করা হয়ে থাকে, বিদ্যাদেবীর আশির্বাদ পাওয়ার আশায়। বিশেষ করে মা সরস্বতীর পূজা বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা পালন করে থাকে, যাতে মায়ের আশির্বাদে তাদের শিক্ষাজীবন আলোকিত হয়। সরস্বতী পূজা যে শুধুমাত্র শিক্ষার্থীরা পালন করে থাকে এমনটা মোটেও নয়।
শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা বিভিন্ন পেশাধারী মানুষও পালন করে থাকেন। সরস্বতী পূজা করতে কোনো বয়সের প্রয়োজন নেই, আবার এমনটাও নয় যে আপনাকে শিক্ষার্থী কিংবা কোনো নির্দিষ্ট পেশাধারী হতে হবে। মা সরস্বতীর পূজা যে কেউ চাইলেই করতে পারে। আপনিও হয়তোবা মনবাসনা করেছেন সরস্বতী পূজা করবেন। কিন্তু সরস্বতী পূজার সংঘের নাম কি দিবেন?
সনাতনী লাইফস্টাইল
যদি কয়েকজন মিলেমিশে কোনো কিছু পালন করার চেষ্টা করা হয়, তবে তাকে সংঘ বলে আখ্যায়িত করা হয়। আর যদি আপনারা কয়েকজন মিলে সরস্বতী পূজা পালন করার করার মনবাসনা করেন, তবে ত একটা সংঘের নাম দিতেই হয়। আর মিলেমিশে মা সরস্বতীর পূজা করার আনন্দ টাই অন্যরকম।
বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন ��াম দেওয়ার চেষ্টা করবে, কিন্তু আপনি ত সেই নাম টাই গ্রহণ করবেন যে নামটা মা সরস্বতীর নামের সঙ্গে যায় এবং সরস্বতী পূজার সংঘের নামটা সবার থেকে আলাদা হয়। আর সরস্বতী পূজার সংঘের নাম হিসেবে সবার থেকে আলাদা নাম খুজে পাওয়া একটু কঠিন। কিন্তু মা সরস্বতীর কৃপা সাথে থাকলে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়।
ওয়েল, আজকের এই পোস্টে আমি রিম্পা মল্লিক আপনাদের সাথে শেয়ার করবো মা সরস্বতীর পূজার জন্য সুন্দর এবং আকর্ষণীয় সংঘের নাম। যেগুলো মা সরস্বতীর নামের সঙ্গে এবং সরস্বতী পূজার সঙ্গে মিল রেখে তৈরি করা হয়েছে। আপনিও চাইলে এই পোস্ট থেকে সরস্বতী পূজার সংঘের নামের আইডিয়া নিতে পারেন।
আরো পড়ুন...
হ্যালো প্রিয় সনাতনী দাদা ও দিদিরা, বিদ্যাময়ী দেবীর পুজো ত প্রায় চলেই এলো। আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন মা সরস্বতী দেবীর পুজো করবেন। মা সরস্বতীকে বলা হয় বিদ্যার এবং শিল্পকলার দেবী। মনে করা হয়ে থাকে মা সরস্বতীর পূজা করলে তিনি প্রসন্ন হন, এবং আমাদের আশির্বাদ দেন।
মায়ের আশির্বাদে আমাদের বিদ্যা অর্জনে বিশেষ উন্নতি হয়। শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বাসাতে পালন করা হয়ে থাকে, বিদ্যাদেবীর আশির্বাদ পাওয়ার আশায়। বিশেষ করে মা সরস্বতীর পূজা বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা পালন করে থাকে, যাতে মায়ের আশির্বাদে তাদের শিক্ষাজীবন আলোকিত হয়। সরস্বতী পূজা যে শুধুমাত্র শিক্ষার্থীরা পালন করে থাকে এমনটা মোটেও নয়।
এখানে ক্লিক করে গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন!
শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা বিভিন্ন পেশাধারী মানুষও পালন করে থাকেন। সরস্বতী পূজা করতে কোনো বয়সের প্রয়োজন নেই, আবার এমনটাও নয় যে আপনাকে শিক্ষার্থী কিংবা কোনো নির্দিষ্ট পেশাধারী হতে হবে। মা সরস্বতীর পূজা যে কেউ চাইলেই করতে পারে।
আপনিও হয়তোবা মনবাসনা করেছেন সরস্বতী পূজা করবেন। কিন্তু সরস্বতী পূজার সংঘের নাম কি দিবেন?সনাতনী লাইফস্টাইলযদি কয়েকজন মিলেমিশে কোনো কিছু পালন করার চেষ্টা করা হয়, তবে তাকে সংঘ বলে আখ্যায়িত করা হয়। আর যদি আপনারা কয়েকজন মিলে সরস্বতী পূজা পালন করার করার মনবাসনা করেন, তবে ত একটা সংঘের নাম দিতেই হয়। আর মিলেমিশে মা সরস্বতীর পূজা করার আনন্দ টাই অন্যরকম।
বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন নাম দেওয়ার চেষ্টা করবে, কিন্তু আপনি ত সেই নাম টাই গ্রহণ করবেন যে নামটা মা সরস্বতীর নামের সঙ্গে যায় এবং সরস্বতী পূজার সংঘের নামটা সবার থেকে আলাদা হয়। আর সরস্বতী পূজার সংঘের নাম হিসেবে সবার থেকে আলাদা নাম খুজে পাওয়া একটু কঠিন। কিন্তু মা সরস্বতীর কৃপা সাথে থাকলে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়।
ওয়েল, আজকের এই পোস্টে আমি রিম্পা মল্লিক আপনাদের সাথে শেয়ার করবো মা সরস্বতীর পূজার জন্য সুন্দর এবং আকর্ষণীয় সংঘের নাম। যেগুলো মা সরস্বতীর নামের সঙ্গে এবং সরস্বতী পূজার সঙ্গে মিল রেখে তৈরি করা হয়েছে। আপনিও চাইলে এই পোস্ট থেকে সরস্বতী পূজার সংঘের নামের আইডিয়া নিতে পারেন।
আরো পড়ুন...
2 notes
·
View notes
ইবাদত কাকে বলে
ইবাদাত (عبادات) হলো ইবাদাহ এর বহুবচন। ইবাদাহ একাধিক অর্থ থাকলেও এটি ইসলামে উপাসনা পরিচালনার বিধি বা সমস্ত মুসলমানের নির্ধারিত বয়সের পরে ধর্মীয় উপাসনা কর্তব্য সম্পর্কে ইসলামী আইনশাস্ত্র (ফিকাহ) মেনে তাদের দেহ ও মন পরিচালিত কার। ইসলাম ধর্মে ইবাদত এর পাঁচটি স্তম্ভ রয়েছে।
ইবাদত কী ও কিভাবে
ইবাদত আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ অনুগত হওয়া, নত হওয়া, বিনম্র হওয়া, আনুগত্য করা ইত্যাদি। ইবাদতের আসল অর্থ হচ্ছে আনুগত্য করা। ইবাদত হচ্ছে বিনয়ের সঙ্গে আনুগত্য।(মিরআত ১/৬১)
‘ইবাদতের শাব্দিক অর্থ হলো নীচতা-হীনতা। আর পারিভাষিক অর্থে ইবাদত বলা হয় পরিপূর্ণ ভালোবাসা, বিনয় ও ভীতির সমষ্টিকে।’ (ইবনে কাসির, তাফসিরুল কুরআনিল আজিম, ১/১৩৪)
‘ইবাদত হলো আল্লাহর একত্বের ঘোষণা দেওয়া এবং তাঁর দ্বিনের বিধানসমূহের অনুসরণ করা। আর ইবাদতের মূল হলো নম্রতা ও নিজেকে হীন করে প্রকাশ করা।’ (আল-জামে লি আহকামিল কোরআন, ১/২৫৫)
ইবাদতের ভিত্তি
ইবাদতের মধ্যে আসল হচ্ছে আনুগত্য। এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহর কিতাব এবং তাঁর রাসুলের সুন্নতে যে বিষয় প্রমাণিত নয় তাকে ইবাদত ভাবা কোনো মাখলুকের জন্য বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো কাজ করল অথচ ওই কাজে আমার কোনো অনুমোদন নেই, তা প্রত্যাখ্যাত।’ (বুখারি, হাদিস : ২৪৯৯)
রাসুল (সা.)-এর নির্দেশনাবহির্ভূত কোনো ইবাদত কবুল হয় না।সে ইবাদত যত ভালো আর বড়ই হোক না কেন।
ব্যাপক অর্থে ইবাদত
মানব সৃষ্টির তাৎপর্য হচ্ছে, আল্লাহর ইবাদত করা। আল্লাহভীতি অর্জন করা। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায়, বছরের নির্দিষ্ট দিনে সিয়াম পালন, জান-মাল পবিত্র করার জন্য সম্পদের জাকাত প্রদান, জীবনে একবার হজ পালনের মধ্যে ইবাদতকে সীমাবদ্ধ করা ঠিক নয়। এগুলো অবশ্যই বড় ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত।
কিন্তু এ কথা সত্য, উল্লিখিত ইবাদতগুলো পালনে একজন মানুষের জীবনের খুব কম সময়ই ব্যয় হয়। কোনো বিবেকসম্পন্ন মানুষ কি এটা মেনে নেবে যে সে তার জীবনের বেশির ভাগ সময় আল্লাহর ইবাদত ছাড়াই অতিবাহিত করবে? অথচ সে জানে যে আল্লাহ তাকে ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তুমি বলো, আমার সালাত, আমার কোরবানি এবং আমার জীবন ও আমার মরণ বিশ্ব জাহানের রব আল্লাহর জন্য। তাঁর কোনো শরিক নেই, আমি এর জন্য আদিষ্ট হয়েছি, আর আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে আমি হলাম প্রথম।’ (সুরা আন আম, আয়াত : ১৬২-১৬৩)
ইবাদতের তাৎপর্য
ইবাদতের তাৎপর্য ইবাদত শব্দের আভিধানিক অর্থ হল- চূড়ান্ত বিনয়, আনুগত্য ও বশ্যতা বা দাসত্ব। শরী’আতের পরিভাষায়- প্রকাশ্য কিংবা গোপনীয় যতসব কথা ও কাজ আল্লাহ তা’আলা ভালবাসেন ও পছন্দ করেন, এবং যেগুলো করতে আদেশ করেছেন সেগুলোকে পালন করা এবং যা করতে নিধেষ করেছেন তা ছেড়ে দেওয়া, এ সবের একটি সামষ্টিক নাম হল ইবাদত।
তাই যতসব কথাবার্তা ও কাজ-কর্মকে আল্লাহ তা’আলা পছন্দ করেন যেমন- নামায কায়েম করা, রোযা পালন করা, কুরবানী, নযর-মানত প্রদান করা,যাকাত-ছাদক্বা প্রদান করা, আল্লাহর নিকট প্রা দো’আ করা, আল্লাহর উপর ভরসা রাখা, এবং রাসূলের আনুগত্য করা। কুরআনে কারীম তিলাওয়াত করা, কুরআন-সুন্নাহতে বর্ণিত ও নির্দেশিত দো’আ ও যিকর-আযকার করা, রাসূল (সা.) -এর প্রতি ছালাত ও ছালাম পাঠ করা ইত্যাদি – এ সব প্রতিটি কাজ হল একেকটি ইবাদত।
তাই যতসব কথা-বার্তা ও কাজ-কর্মকে আল্লাহ অনুসৃত ও রাসূল (সা.) প্রদর্শিত পন্থানুযায়ী একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের উদ্দেশ্যে তাঁরই সন্তুষ্টি লাভের নিমিত্তে তাঁরপ্রতি শ্রদ্ধাপূর্ণ ভয় ও সর্বোচ্চ ভালোবাসা নিয়ে, তাঁর প্রতি পূর্ণ বশ্যতা ও আনুগত্য প্রদর্শণ পূর্বক তাঁর মহত্বের সম্মুখে অবনত মস্তকে চূড়ান্ত বিনয়ের সাথে ছওয়াবের (আল্লাহর নিকট উত্তম প্রতিদান লাভের) আগ্রহ ও সুদৃঢ় আশা নিয়ে উপরিউক্ত যে কোন কর্ম সম্পাদন করাকে আল্লাহর ইবাদত বলে।
ইবাদতের রোকনসমূহ: ইবাদতের রোকন তিনটি
১। ইখলাস: বান্দা যখনই যে কোনো ইবাদত করবে, তার নিয়তকে বিশুদ্ধ করতে হবে, যে আমি এই আমলটি করছি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য এবং পরকালে এর প্রতিদান পাবার আশায়। রাসূলে কারীম (সা.) এরশাদ করেন:
উমার রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, “আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, ‘‘যাবতীয় কার্য নিয়ত বা সংকল্পের উপর নির্ভরশীল। আর মানুষের জন্য তাই প্রাপ্য হবে, যার সে নিয়ত করবে। অতএব যে ব্যক্তির হিজরত (সবদেশত্যাগ) আল্লাহর (সন্তোষ লাভের) উদ্দেশ্যে ও তাঁর রাসূলের জন্য হবে; তার হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্যই হবে। আর যে ব্যক্তির হিজরত পার্থিব সম্পদ অর্জন কিংবা কোন মহিলাকে বিবাহ করার উদ্দেশ্যেই হবে, তার হিজরত যে সংকল্প নিয়ে করবে তারই জন্য হবে।
২। সততা: সততার সাথে আল্লাহর আদেশ ও নিষেধগুলো পালন করতে হবে। আল্লাহর ইবাদতের ক্ষেত্রে ভীরুতা ও অলসতা ছেড়ে দিয়ে সাহসিকতার পালন করতে হবে।
৩। রাসূলের আনুগত্য করা: কোন ইবাদতই রাসূলের আনুগত্য ছাড়া আল্লাহ গ্রহণ করবেন না। রাসূলের তরীকা ছাড়া যে ইবাদত হবে, তা বিদআত হিসেবে গণ্য হবে।
আল্লাহ আমাদের কেন সৃষ্টি করেছেন?
কুরআনের আলোকে মানব সৃষ্টির রহস্য
আল্লাহ আমাদের দুনিয়াতে কেন পাঠিয়েছেন?
https://www.youtube.com/watch?v=04p7rnbFXr4
মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য কি ||
ইবাদত একমাত্র আল্লাহরই জন্য
0 notes
ইবাদত কাকে বলে
ইবাদাত (عبادات) হলো ইবাদাহ এর বহুবচন। ইবাদাহ একাধিক অর্থ থাকলেও এটি ইসলামে উপাসনা পরিচালনার বিধি বা সমস্ত মুসলমানের নির্ধারিত বয়সের পরে ধর্মীয় উপাসনা কর্তব্য সম্পর্কে ইসলামী আইনশাস্ত্র (ফিকাহ) মেনে তাদের দেহ ও মন পরিচালিত কার। ইসলাম ধর্মে ইবাদত এর পাঁচটি স্তম্ভ রয়েছে।
ইবাদত কী ও কিভাবে
ইবাদত আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ অনুগত হওয়া, নত হওয়া, বিনম্র হওয়া, আনুগত্য করা ইত্যাদি। ইবাদতের আসল অর্থ হচ্ছে আনুগত্য করা। ইবাদত হচ্ছে বিনয়ের সঙ্গে আনুগত্য।(মিরআত ১/৬১)
‘ইবাদতের শাব্দিক অর্থ হলো নীচতা-হীনতা। আর পারিভাষিক অর্থে ইবাদত বলা হয় পরিপূর্ণ ভালোবাসা, বিনয় ও ভীতির সমষ্টিকে।’ (ইবনে কাসির, তাফসিরুল কুরআনিল আজিম, ১/১৩৪)
‘ইবাদত হলো আল্লাহর একত্বের ঘোষণা দেওয়া এবং তাঁর দ্বিনের বিধানসমূহের অনুসরণ করা। আর ইবাদতের মূল হলো নম্রতা ও নিজেকে হীন করে প্রকাশ করা।’ (আল-জামে লি আহকামিল কোরআন, ১/২৫৫)
ইবাদতের ভিত্তি
ইবাদতের মধ্যে আসল হচ্ছে আনুগত্য। এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহর কিতাব এবং তাঁর রাসুলের সুন্নতে যে বিষয় প্রমাণিত নয় তাকে ইবাদত ভাবা কোনো মাখলুকের জন্য বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো কাজ করল অথচ ওই কাজে আমার কোনো অনুমোদন নেই, তা প্রত্যাখ্যাত।’ (বুখারি, হাদিস : ২৪৯৯)
রাসুল (সা.)-এর নির্দেশনাবহির্ভূত কোনো ইবাদত কবুল হয় না।সে ইবাদত যত ভালো আর বড়ই হোক না কেন।
ব্যাপক অর্থে ইবাদত
মানব সৃষ্টির তাৎপর্য হচ্ছে, আল্লাহর ইবাদত করা। আল্লাহভীতি অর্জন করা। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায়, বছরের নির্দিষ্ট দিনে সিয়াম পালন, জান-মাল পবিত্র করার জন্য সম্পদের জাকাত প্রদান, জীবনে একবার হজ পালনের মধ্যে ইবাদতকে সীমাবদ্ধ করা ঠিক নয়। এগুলো অবশ্যই বড় ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত।
কিন্তু এ কথা সত্য, উল্লিখিত ইবাদতগুলো পালনে একজন মানুষের জীবনের খুব কম সময়ই ব্যয় হয়। কোনো বিবেকসম্পন্ন মানুষ কি এটা মেনে নেবে যে সে তার জীবনের বেশির ভাগ সময় আল্লাহর ইবাদত ছাড়াই অতিবাহিত করবে? অথচ সে জানে যে আল্লাহ তাকে ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তুমি বলো, আমার সালাত, আমার কোরবানি এবং আমার জীবন ও আমার মরণ বিশ্ব জাহানের রব আল্লাহর জন্য। তাঁর কোনো শরিক নেই, আমি এর জন্য আদিষ্ট হয়েছি, আর আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে আমি হলাম প্রথম।’ (সুরা আন আম, আয়াত : ১৬২-১৬৩)
ইবাদতের তাৎপর্য
ইবাদতের তাৎপর্য ইবাদত শব্দের আভিধানিক অর্থ হল- চূড়ান্ত বিনয়, আনুগত্য ও বশ্যতা বা দাসত্ব। শরী’আতের পরিভাষায়- প্রকাশ্য কিংবা গোপনীয় যতসব কথা ও কাজ আল্লাহ তা’আলা ভালবাসেন ও পছন্দ করেন, এবং যেগুলো করতে আদেশ করেছেন সেগুলোকে পালন করা এবং যা করতে নিধেষ করেছেন তা ছেড়ে দেওয়া, এ সবের একটি সামষ্টিক নাম হল ইবাদত।
তাই যতসব কথাবার্তা ও কাজ-কর্মকে আল্লাহ তা’আলা পছন্দ করেন যেমন- নামায কায়েম করা, রোযা পালন করা, কুরবানী, নযর-মানত প্রদান করা,যাকাত-ছাদক্বা প্রদান করা, আল্লাহর নিকট প্রা দো’আ করা, আল্লাহর উপর ভরসা রাখা, এবং রাসূলের আনুগত্য করা। কুরআনে কারীম তিলাওয়াত করা, কুরআন-সুন্নাহতে বর্ণিত ও নির্দেশিত দো’আ ও যিকর-আযকার করা, রাসূল (সা.) -এর প্রতি ছালাত ও ছালাম পাঠ করা ইত্যাদি – এ সব প্রতিটি কাজ হল একেকটি ইবাদত।
তাই যতসব কথা-বার্তা ও কাজ-কর্মকে আল্লাহ অনুসৃত ও রাসূল (সা.) প্রদর্শিত পন্থানুযায়ী একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের উদ্দেশ্যে তাঁরই সন্তুষ্টি লাভের নিমিত্তে তাঁরপ্রতি শ্রদ্ধাপূর্ণ ভয় ও সর্বোচ্চ ভালোবাসা নিয়ে, তাঁর প্রতি পূর্ণ বশ্যতা ও আনুগত্য প্রদর্শণ পূর্বক তাঁর মহত্বের সম্মুখে অবনত মস্তকে চূড়ান্ত বিনয়ের সাথে ছওয়াবের (আল্লাহর নিকট উত্তম প্রতিদান লাভের) আগ্রহ ও সুদৃঢ় আশা নিয়ে উপরিউক্ত যে কোন কর্ম সম্পাদন করাকে আল্লাহর ইবাদত বলে।
ইবাদতের রোকনসমূহ: ইবাদতের রোকন তিনটি
১। ইখলাস: বান্দা যখনই যে কোনো ইবাদত করবে, তার নিয়তকে বিশুদ্ধ করতে হবে, যে আমি এই আমলটি করছি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য এবং পরকালে এর প্রতিদান পাবার আশায়। রাসূলে কারীম (সা.) এরশাদ করেন:
উমার রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, “আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, ‘‘যাবতীয় কার্য নিয়ত বা সংকল্পের উপর নির্ভরশীল। আর মানুষের জন্য তাই প্রাপ্য হবে, যার সে নিয়ত করবে। অতএব যে ব্যক্তির হিজরত (সবদেশত্যাগ) আল্লাহর (সন্তোষ লাভের) উদ্দেশ্যে ও তাঁর রাসূলের জন্য হবে; তার হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্যই হবে। আর যে ব্যক্তির হিজরত পার্থিব সম্পদ অর্জন কিংবা কোন মহিলাকে বিবাহ করার উদ্দেশ্যেই হবে, তার হিজরত যে সংকল্প নিয়ে করবে তারই জন্য হবে।
২। সততা: সততার সাথে আল্লাহর আদেশ ও নিষেধগুলো পালন করতে হবে। আল্লাহর ইবাদতের ক্ষেত্রে ভীরুতা ও অলসতা ছেড়ে দিয়ে সাহসিকতার পালন করতে হবে।
৩। রাসূলের আনুগত্য করা: কোন ইবাদতই রাসূলের আনুগত্য ছাড়া আল্লাহ গ্রহণ করবেন না। রাসূলের তরীকা ছাড়া যে ইবাদত হবে, তা বিদআত হিসেবে গণ্য হবে।
আল্লাহ আমাদের কেন সৃষ্টি করেছেন?
কুরআনের আলোকে মানব সৃষ্টির রহস্য
আল্লাহ আমাদের দুনিয়াতে কেন পাঠিয়েছেন?
https://www.youtube.com/watch?v=04p7rnbFXr4
মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য কি ||
ইবাদত একমাত্র আল্লাহরই জন্য
0 notes
ইবাদত কাকে বলে
ইবাদাত (عبادات) হলো ইবাদাহ এর বহুবচন। ইবাদাহ একাধিক অর্থ থাকলেও এটি ইসলামে উপাসনা পরিচালনার বিধি বা সমস্ত মুসলমানের নির্ধারিত বয়সের পরে ধর্মীয় উপাসনা কর্তব্য সম্পর্কে ইসলামী আইনশাস্ত্র (ফিকাহ) মেনে তাদের দেহ ও মন পরিচালিত কার। ইসলাম ধর্মে ইবাদত এর পাঁচটি স্তম্ভ রয়েছে।
ইবাদত কী ও কিভাবে
ইবাদত আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ অনুগত হওয়া, নত হওয়া, বিনম্র হওয়া, আনুগত্য করা ইত্যাদি। ইবাদতের আসল অর্থ হচ্ছে আনুগত্য করা। ইবাদত হচ্ছে বিনয়ের সঙ্গে আনুগত্য।(মিরআত ১/৬১)
‘ইবাদতের শাব্দিক অর্থ হলো নীচতা-হীনতা। আর পারিভাষিক অর্থে ইবাদত বলা হয় পরিপূর্ণ ভালোবাসা, বিনয় ও ভীতির সমষ্টিকে।’ (ইবনে কাসির, তাফসিরুল কুরআনিল আজিম, ১/১৩৪)
‘ইবাদত হলো আল্লাহর একত্বের ঘোষণা দেওয়া এবং তাঁর দ্বিনের বিধানসমূহের অনুসরণ করা। আর ইবাদতের মূল হলো নম্রতা ও নিজেকে হীন করে প্রকাশ করা।’ (আল-জামে লি আহকামিল কোরআন, ১/২৫৫)
ইবাদতের ভিত্তি
ইবাদতের মধ্যে আসল হচ্ছে আনুগত্য। এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহর কিতাব এবং তাঁর রাসুলের সুন্নতে যে বিষয় প্রমাণিত নয় তাকে ইবাদত ভাবা কোনো মাখলুকের জন্য বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো কাজ করল অথচ ওই কাজে আমার কোনো অনুমোদন নেই, তা প্রত্যাখ্যাত।’ (বুখারি, হাদিস : ২৪৯৯)
রাসুল (সা.)-এর নির্দেশনাবহির্ভূত কোনো ইবাদত কবুল হয় না।সে ইবাদত যত ভালো আর বড়ই হোক না কেন।
ব্যাপক অর্থে ইবাদত
মানব সৃষ্টির তাৎপর্য হচ্ছে, আল্লাহর ইবাদত করা। আল্লাহভীতি অর্জন করা। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায়, বছরের নির্দিষ্ট দিনে সিয়াম পালন, জান-মাল পবিত্র করার জন্য সম্পদের জাকাত প্রদান, জীবনে একবার হজ পালনের মধ্যে ইবাদতকে সীমাবদ্ধ করা ঠিক নয়। এগুলো অবশ্যই বড় ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত।
কিন্তু এ কথা সত্য, উল্লিখিত ইবাদতগুলো পালনে একজন মানুষের জীবনের খুব কম সময়ই ব্যয় হয়। কোনো বিবেকসম্পন্ন মানুষ কি এটা মেনে নেবে যে সে তার জীবনের বেশির ভাগ সময় আল্লাহর ইবাদত ছাড়াই অতিবাহিত করবে? অথচ সে জানে যে আল্লাহ তাকে ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তুমি বলো, আমার সালাত, আমার কোরবানি এবং আমার জীবন ও আমার মরণ বিশ্ব জাহানের রব আল্লাহর জন্য। তাঁর কোনো শরিক নেই, আমি এর জন্য আদিষ্ট হয়েছি, আর আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে আমি হলাম প্রথম।’ (সুরা আন আম, আয়াত : ১৬২-১৬৩)
ইবাদতের তাৎপর্য
ইবাদতের তাৎপর্য ইবাদত শব্দের আভিধানিক অর্থ হল- চূড়ান্ত বিনয়, আনুগত্য ও বশ্যতা বা দাসত্ব। শরী’আতের পরিভাষায়- প্রকাশ্য কিংবা গোপনীয় যতসব কথা ও কাজ আল্লাহ তা’আলা ভালবাসেন ও পছন্দ করেন, এবং যেগুলো করতে আদেশ করেছেন সেগুলোকে পালন করা এবং যা করতে নিধেষ করেছেন তা ছেড়ে দেওয়া, এ সবের একটি সামষ্টিক নাম হল ইবাদত।
তাই যতসব কথাবার্তা ও কাজ-কর্মকে আল্লাহ তা’আলা পছন্দ করেন যেমন- নামায কায়েম করা, রোযা পালন করা, কুরবানী, নযর-মানত প্রদান করা,যাকাত-ছাদক্বা প্রদান করা, আল্লাহর নিকট প্রা দো’আ করা, আল্লাহর উপর ভরসা রাখা, এবং রাসূলের আনুগত্য করা। কুরআনে কারীম তিলাওয়াত করা, কুরআন-সুন্নাহতে বর্ণিত ও নির্দেশিত দো’আ ও যিকর-আযকার করা, রাসূল (সা.) -এর প্রতি ছালাত ও ছালাম পাঠ করা ইত্যাদি – এ সব প্রতিটি কাজ হল একেকটি ইবাদত।
তাই যতসব কথা-বার্তা ও কাজ-কর্মকে আল্লাহ অনুসৃত ও রাসূল (সা.) প্রদর্শিত পন্থানুযায়ী একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের উদ্দেশ্যে তাঁরই সন্তুষ্টি লাভের নিমিত্তে তাঁরপ্রতি শ্রদ্ধাপূর্ণ ভয় ও সর্বোচ্চ ভালোবাসা নিয়ে, তাঁর প্রতি পূর্ণ বশ্যতা ও আনুগত্য প্রদর্শণ পূর্বক তাঁর মহত্বের সম্মুখে অবনত মস্তকে চূড়ান্ত বিনয়ের সাথে ছওয়াবের (আল্লাহর নিকট উত্তম প্রতিদান লাভের) আগ্রহ ও সুদৃঢ় আশা নিয়ে উপরিউক্ত যে কোন কর্ম সম্পাদন করাকে আল্লাহর ইবাদত বলে।
ইবাদতের রোকনসমূহ: ইবাদতের রোকন তিনটি
১। ইখলাস: বান্দা যখনই যে কোনো ইবাদত করবে, তার নিয়তকে বিশুদ্ধ করতে হবে, যে আমি এই আমলটি করছি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য এবং পরকালে এর প্রতিদান পাবার আশায়। রাসূলে কারীম (সা.) এরশাদ করেন:
উমার রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, “আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, ‘‘যাবতীয় কার্য নিয়ত বা সংকল্পের উপর নির্ভরশীল। আর মানুষের জন্য তাই প্রাপ্য হবে, যার সে নিয়ত করবে। অতএব যে ব্যক্তির হিজরত (সবদেশত্যাগ) আল্লাহর (সন্তোষ লাভের) উদ্দেশ্যে ও তাঁর রাসূলের জন্য হবে; তার হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্যই হবে। আর যে ব্যক্তির হিজরত পার্থিব সম্পদ অর্জন কিংবা কোন মহিলাকে বিবাহ করার উদ্দেশ্যেই হবে, তার হিজরত যে সংকল্প নিয়ে করবে তারই জন্য হবে।
২। সততা: সততার সাথে আল্লাহর আদেশ ও নিষেধগুলো পালন করতে হবে। আল্লাহর ইবাদতের ক্ষেত্রে ভীরুতা ও অলসতা ছেড়ে দিয়ে সাহসিকতার পালন করতে হবে।
৩। রাসূলের আনুগত্য করা: কোন ইবাদতই রাসূলের আনুগত্য ছাড়া আল্লাহ গ্রহণ করবেন না। রাসূলের তরীকা ছাড়া যে ইবাদত হবে, তা বিদআত হিসেবে গণ্য হবে।
আল্লাহ আমাদের কেন সৃষ্টি করেছেন?
কুরআনের আলোকে মানব সৃষ্টির রহস্য
আল্লাহ আমাদের দুনিয়াতে কেন পাঠিয়েছেন?
https://www.youtube.com/watch?v=04p7rnbFXr4
মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য কি ||
ইবাদত একমাত্র আল্লাহরই জন্য
0 notes
ইবাদত কাকে বলে
ইবাদাত (عبادات) হলো ইবাদাহ এর বহুবচন। ইবাদাহ একাধিক অর্থ থাকলেও এটি ইসলামে উপাসনা পরিচালনার বিধি বা সমস্ত মুসলমানের নির্ধারিত বয়সের পরে ধর্মীয় উপাসনা কর্তব্য সম্পর্কে ইসলামী আইনশাস্ত্র (ফিকাহ) মেনে তাদের দেহ ও মন পরিচালিত কার। ইসলাম ধর্মে ইবাদত এর পাঁচটি স্তম্ভ রয়েছে।
ইবাদত কী ও কিভাবে
ইবাদত আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ অনুগত হওয়া, নত হওয়া, বিনম্র হওয়া, আনুগত্য করা ইত্যাদি। ইবাদতের আসল অর্থ হচ্ছে আনুগত্য করা। ইবাদত হচ্ছে বিনয়ের সঙ্গে আনুগত্য।(মিরআত ১/৬১)
‘ইবাদতের শাব্দিক অর্থ হলো নীচতা-হীনতা। আর পারিভাষিক অর্থে ইবাদত বলা হয় পরিপূর্ণ ভালোবাসা, বিনয় ও ভীতির সমষ্টিকে।’ (ইবনে কাসির, তাফসিরুল কুরআনিল আজিম, ১/১৩৪)
‘ইবাদত হলো আল্লাহর একত্বের ঘোষণা দেওয়া এবং তাঁর দ্বিনের বিধানসমূহের অনুসরণ করা। আর ইবাদতের মূল হলো নম্রতা ও নিজেকে হীন করে প্রকাশ করা।’ (আল-জামে লি আহকামিল কোরআন, ১/২৫৫)
ইবাদতের ভিত্তি
ইবাদতের মধ্যে আসল হচ্ছে আনুগত্য। এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহর কিতাব এবং তাঁর রাসুলের সুন্নতে যে বিষয় প্রমাণিত নয় তাকে ইবাদত ভাবা কোনো মাখলুকের জন্য বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো কাজ করল অথচ ওই কাজে আমার কোনো অনুমোদন নেই, তা প্রত্যাখ্যাত।’ (বুখারি, হাদিস : ২৪৯৯)
রাসুল (সা.)-এর নির্দেশনাবহির্ভূত কোনো ইবাদত কবুল হয় না।সে ইবাদত যত ভালো আর বড়ই হোক না কেন।
ব্যাপক অর্থে ইবাদত
মানব সৃষ্টির তাৎপর্য হচ্ছে, আল্লাহর ইবাদত করা। আল্লাহভীতি অর্জন করা। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায়, বছরের নির্দিষ্ট দিনে সিয়াম পালন, জান-মাল পবিত্র করার জন্য সম্পদের জাকাত প্রদান, জীবনে একবার হজ পালনের মধ্যে ইবাদতকে সীমাবদ্ধ করা ঠিক নয়। এগুলো অবশ্যই বড় ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত।
কিন্তু এ কথা সত্য, উল্লিখিত ইবাদতগুলো পালনে একজন মানুষের জীবনের খুব কম সময়ই ব্যয় হয়। কোনো বিবেকসম্পন্ন মানুষ কি এটা মেনে নেবে যে সে তার জীবনের বেশির ভাগ সময় আল্লাহর ইবাদত ছাড়াই অতিবাহিত করবে? অথচ সে জানে যে আল্লাহ তাকে ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তুমি বলো, আমার সালাত, আমার কোরবানি এবং আমার জীবন ও আমার মরণ বিশ্ব জাহানের রব আল্লাহর জন্য। তাঁর কোনো শরিক নেই, আমি এর জন্য আদিষ্ট হয়েছি, আর আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে আমি হলাম প্রথম।’ (সুরা আন আম, আয়াত : ১৬২-১৬৩)
ইবাদতের তাৎপর্য
ইবাদতের তাৎপর্য ইবাদত শব্দের আভিধানিক অর্থ হল- চূড়ান্ত বিনয়, আনুগত্য ও বশ্যতা বা দাসত্ব। শরী’আতের পরিভাষায়- প্রকাশ্য কিংবা গোপনীয় যতসব কথা ও কাজ আল্লাহ তা’আলা ভালবাসেন ও পছন্দ করেন, এবং যেগুলো করতে আদেশ করেছেন সেগুলোকে পালন করা এবং যা করতে নিধেষ করেছেন তা ছেড়ে দেওয়া, এ সবের একটি সামষ্টিক নাম হল ইবাদত।
তাই যতসব কথাবার্তা ও কাজ-কর্মকে আল্লাহ তা’আলা পছন্দ করেন যেমন- নামায কায়েম করা, রোযা পালন করা, কুরবানী, নযর-মানত প্রদান করা,যাকাত-ছাদক্বা প্রদান করা, আল্লাহর নিকট প্রা দো’আ করা, আল্লাহর উপর ভরসা রাখা, এবং রাসূলের আনুগত্য করা। কুরআনে কারীম তিলাওয়াত করা, কুরআন-সুন্নাহতে বর্ণিত ও নির্দেশিত দো’আ ও যিকর-আ��কার করা, রাসূল (সা.) -এর প্রতি ছালাত ও ছালাম পাঠ করা ইত্যাদি – এ সব প্রতিটি কাজ হল একেকটি ইবাদত।
তাই যতসব কথা-বার্তা ও কাজ-কর্মকে আল্লাহ অনুসৃত ও রাসূল (সা.) প্রদর্শিত পন্থানুযায়ী একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের উদ্দেশ্যে তাঁরই সন্তুষ্টি লাভের নিমিত্তে তাঁরপ্রতি শ্রদ্ধাপূর্ণ ভয় ও সর্বোচ্চ ভালোবাসা নিয়ে, তাঁর প্রতি পূর্ণ বশ্যতা ও আনুগত্য প্রদর্শণ পূর্বক তাঁর মহত্বের সম্মুখে অবনত মস্তকে চূড়ান্ত বিনয়ের সাথে ছওয়াবের (আল্লাহর নিকট উত্তম প্রতিদান লাভের) আগ্রহ ও সুদৃঢ় আশা নিয়ে উপরিউক্ত যে কোন কর্ম সম্পাদন করাকে আল্লাহর ইবাদত বলে।
ইবাদতের রোকনসমূহ: ইবাদতের রোকন তিনটি
১। ইখলাস: বান্দা যখনই যে কোনো ইবাদত করবে, তার নিয়তকে বিশুদ্ধ করতে হবে, যে আমি এই আমলটি করছি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য এবং পরকালে এর প্রতিদান পাবার আশায়। রাসূলে কারীম (সা.) এরশাদ করেন:
উমার রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, “আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, ‘‘যাবতীয় কার্য নিয়ত বা সংকল্পের উপর নির্ভরশীল। আর মানুষের জন্য তাই প্রাপ্য হবে, যার সে নিয়ত করবে। অতএব যে ব্যক্তির হিজরত (সবদেশত্যাগ) আল্লাহর (সন্তোষ লাভের) উদ্দেশ্যে ও তাঁর রাসূলের জন্য হবে; তার হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্যই হবে। আর যে ব্যক্তির হিজরত পার্থিব সম্পদ অর্জন কিংবা কোন মহিলাকে বিবাহ করার উদ্দেশ্যেই হবে, তার হিজরত যে সংকল্প নিয়ে করবে তারই জন্য হবে।
২। সততা: সততার সাথে আল্লাহর আদেশ ও নিষেধগুলো পালন করতে হবে। আল্লাহর ইবাদতের ক্ষেত্রে ভীরুতা ও অলসতা ছেড়ে দিয়ে সাহসিকতার পালন করতে হবে।
৩। রাসূলের আনুগত্য করা: কোন ইবাদতই রাসূলের আনুগত্য ছাড়া আল্লাহ গ্রহণ করবেন না। রাসূলের তরীকা ছাড়া যে ইবাদত হবে, তা বিদআত হিসেবে গণ্য হবে।
আল্লাহ আমাদের কেন সৃষ্টি করেছেন?
কুরআনের আলোকে মানব সৃষ্টির রহস্য
আল্লাহ আমাদের দুনিয়াতে কেন পাঠিয়েছেন?
https://www.youtube.com/watch?v=04p7rnbFXr4
মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য কি ||
ইবাদত একমাত্র আল্লাহরই জন্য
1 note
·
View note
বৃষ্টির অপেক্ষায় বিশেষ নামাজ | Special prayers | The News বৃষ্টির অপেক্ষায় বিশেষ নামাজ | Special prayers | The Newsবৃষ্টির অপেক্ষায় বিশেষ নামাজ #Special_prayers #thenews #News #rain #heatwabeThe News Entertainment,the news,দ্য নিউজ,Bangladesh news,breaking news,নিউজ,বৃষ্টির নামাজ,বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা আরও ২ দিন,বৃষ্টির আশায় কুষ্টিয়ায় ইস্তিসকার নামাজ,বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজ,বৃষ্টি,বৃষ্টির দোয়া,চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা,বৃষ্টি আনার দোয়া,বৃষ্টি হবে কবে,নামাজ,ভয়াবহ শিলা বৃষ্টি,শিলা বৃষ্টি,ঢা��া বৃষ্টি,নির্দিষ্ট সময়ের আগে নামায পড়া,বৃষ্টি চাওয়ার দোয়া,বৃষ্টি কবে হবে,জুমার নামাজ,১ সপ্তাহ পর্যন্ত বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই.
0 notes
নতুন বছরে সকলের জীবন হোক নতুন আশায়, আনন্দে, সমৃদ্ধিতে এবং সুস্থতায় পূর্ণ। 𝗣𝗗𝗦 𝗧𝗲𝗰𝗵𝗻𝗼𝗹𝗼𝗴𝘆 𝗜𝗻𝗱𝗶𝗮 এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা। 🙏🏻🍨🌼🎊
.
.
.
0 notes
প্রতিশ্রুতি রাখে নি , ভিন রাজ্যের শ্রমিক নিয়োগ চলছে বামুনাড়ার বেকারদের চাকরি দেওয়া হচ্ছে না বিক্ষোভে স্থানীয় বাসিন্দাদের
মহুয়া ঘোষাল দুর্গাপুর
কারখানার জমি দিয়েছিল জমি মালিকেরা এই আশায় তাদের ঘরের ছেলেরা পাবে চাকরি । কিন্তু চাকরি মিলেছিল মাত্র জনা ২৪ জনের । যারা মারা গিয়েছিল তাদের পরিবারের আর কেউ চাকরি পায় নি । অথচ সেই সময় বলা হয়েছিল দেওয়া হবে মৃত শ্রমিকদের পোষ্যদের একজনকে চাকরি । কিন্তু কথা রাখে নি মালিক পক্ষ । এরপরে কারখানা সম্প্রসারণের জন্য মালিকপক্ষ পঞ্চায়েতে বসে জমি মালিকদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল…
View On WordPress
0 notes
খতমে শিফা পড়ার নিয়ম । খতমে শিফা পড়ার রাসুলের নির্দেশনা
খতমে শিফা পড়ার নিয়ম: প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আজকে আমরা খতমে শিফা পড়ার নিয়ম , খতমে শিফা পড়ার রাসুলের নির্দেশনা, খতমে শিফা কখন পড়তে হবে এবং কিভাবে পড়বেন এ সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে চলুন আজকের প্রতিবেদনটি শুরু করা যাক:
শিফা শব্দের আরবি মূল হল 'شِفاء' যার অর্থ রোগ উপশম বা নিরাময় করা। সুতরাং 'খতমে শিফা' অর্থ: খতমে রোগ নিরাময় করা। কেউ অসুস্থ হলে রোগ থেকে মুক্তির আশায় এই খতম পড়ানো হয়। এই খতমটি আমাদের দেশের একটি জনপ্রিয় কিতাবে উপস্থাপন করা হয়েছে:
0 notes
জীবন থেকে শিক্ষা পর্ব - ১
জীবন থেকে নেওয়া কয়েকটা ছোট ছোট শিক্ষা যেগুলো আমি মনে রাখতে চাই বলে মাঝে মাঝে পোস্ট করি। এটা তেমনি একটা পোস্টঃ
লেসন – 1
বড়ো কিছুর প্রত্যাশা করে ছোট ছোট প্রাপ্তির সুযোগ বা সুখ-আনন্দ কে মাটি করে ফেলা উচিৎ নয়। ভবিষ্যতে হাতি-ঘোড়া হবে এই আশায় বর্তমানের ছোট ছোট সুযোগ গুলোকে হাত ছাড়া করতে থাকলে একটা সময় পর গিয়ে দেখবেন ছোট ছোট না পাওয়ার যোগফল এত বড় দাঁড়িয়েছে যে হাতি-ঘোড়া প্রাপ্তির সুখ…
View On WordPress
0 notes
নতুন বছরে, নতুন আশায়, নতুন উদ্যোমে ডিজিটাল সম্ভাবনায় প্রসারিত হোক আপনার ব্যবসা! DMS এর পক্ষ থেকে সবাই কে জানাই নতুন বছরের শুভেচ্ছা
0 notes
লাইলাতুল কদরের রাত
Lailatul Qadr Night
শবে কদর (ফার্সি: شب قدر) বা লাইলাতুল কদর (আরবি: لیلة القدر) এর অর্থ "অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত" বা "পবিত্র রজনী"। ফার্সি ভাষায় "শাব" ও আরবি ভাষায় "লাইলাতুল" অর্থ হলো রাত্রি বা রজনী, অন্যদিকে 'কদর' শব্দের অর্থ সম্মান, মর্যাদা, মহাসম্মান। এ ছাড়া এর অন্য অর্থ হল ভাগ্য, পরিমাণ ও তাকদির নির্ধারণ করা।
লাইলাতুল কদরে কোরআন নাজিল হয়েছে, এটি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম এবং এ রাতে ফেরেশতারা আল্লাহর নির্দেশে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। এ রাতে ফজর পর্যন্ত প্রশান্তি বর্ষিত হয়।'
শবে কদর বা লাইলাতুল কদর ইসলামের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ রাত। এই রাতে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। শবে কদরের সম্মানে ‘সুরাতুল কদর’ নামে একটি পূর্ণাঙ্গ সুরাও আছে। এ সুরায় বলা হয়েছে—‘লাইলাতুল কদরে কোরআন নাজিল হয়েছে, এটি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম এবং এ রাতে ফেরেশতারা আল্লাহর নির্দেশে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। এ রাতে ফজর পর্যন্ত প্রশান্তি বর্ষিত হয়।’ সুরা কদর: ১-৫
এই মহান রাতে গুরুত্বের সঙ্গে নামাজ-দোয়া ও জিকির-আজকারসহ প্রত্যেকটি নেক আমলের সীমাহীন ফজিলত বর্ণিত হয়েছে হাদিসে। প্রিয়নবী (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় কদরের রাতে ইবাদতের মধ্যে রাত জাগবে, তার আগের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে’ (সহিহ বুখারি: ৩৫)
বিভিন্ন হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী, রমজানের শেষ দশকের প্রত্যেক বিজোড় রাতেই শবে কদরের সম্ভাবনা রয়েছে। মহানবী (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদর তালাশ করো।’ (বুখারি: ২০১৭)
জোড়-বেজোড় যেকোনো রাতেই কদর হতে পারে। (শারহুল মুমতি: ৬/৪৯২)ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ (রাহ.) একটি বিশুদ্ধ হাদিসের আলোকে বলেছেন, যদি রমজান মাস ৩০ দিনে হয়, তবে শেষ দশকের জোড় রাতগুলোতেও কদর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, যদি রমজান মাস ২৯ দিনের হয়, তাহলে উক্ত হাদিস অনুযায়ী কদরের রাত পড়বে শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে। অতএব, ঈমানদারদের উচিত, রমজানের শেষ দশকের প্রতিটি রাতেই লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করা। (মাজমুউ ফতোয়া: ২৫/২৮৪-২৮৫
আমরা হাদিসে দেখি, নবীজি শুধু বেজোড় রাতে নয়, শেষ দশকের প্রতিটি রাতেই ইবাদত করতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (স.) (রমজানের) শেষ দশকে যে পরিমাণ আমল করতেন, অন্যকোনো সময়ে সে পরিমাণ আমল করতেন না।’ (মুসলিম: ২৬৭৮)
‘লাইলাতুল কদর এক অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত পবিত্র রজনী। সিয়াম সাধনার মাসের এই রাত্রিতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা মানবজাতির পথ নির্দেশক পবিত্র আল-কোরআন পৃথিবীতে নাযিল করেন।
মহান আল্লাহ কোরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তা (কোরআন) অবতীর্ণ করেছি কদরের রাতে। আর কদরের রাত সম্বন্ধে তুমি কি জানো? কদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সে রাতে ফেরেশতারা ও রুহ [জিবরাইল (আ.)] অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিময় সে রাত বিরাজ করে ফজরের আবির্ভাব পর্যন্ত।
(সূরা আল-কদর, আয়াত ১-৫)।
কদরের রজনীর অপার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনের সূরা আদ-দুখানে বলেছেন নিশ্চয়ই আমি তা (কোরআন) এক মোবারকময় রজনীতে অবতীর্ণ করেছি, নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ফয়সালা হয়।
মহান আল্লাহ তায়ালা লাইলাতুল কদরের রজনীকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন
‘হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম।
এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এই রজনীতে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। অর্জন করতে পারি তাঁর অসীম রহমত, বরকত ও মাগফিরাত।’
এই রাতে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। শবে কদরের সম্মানে 'সুরাতুল কদর' নামে একটি পূর্ণাঙ্গ সুরাও আছে। এ সুরায় বলা হয়েছে—'লাইলাতুল কদরে কোরআন নাজিল হয়েছে, এটি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম এবং এ রাতে ফেরেশতারা আল্লাহর নির্দেশে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। এ রাতে ফজর পর্যন্ত প্রশান্তি বর্ষিত হয়।'
মহানবী সা. উম্মতের জন্য শুধু এক রাত্রির ইবাদতকেই (লাইলাতুল কদর) সে ইবাদতকারীর এক হাজার মাসের ইবাদত অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ প্রতিপন্ন করেছেন। (তাফসিরে মাজহারি) যার বর্ণনা সুরা আল-কদরে সুস্পষ্টভাবে পাওয়া যায়। মহান আল্লাহ কদরের রাতকে হাজার মাস অপেক্ষা অধিক উত্তম হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
মুহাদ্দিসগণ বলেন, লাইলাতুল কদরের রাতটি গোপন রাখার উদ্দেশ্য হলো, যাতে মানুষ শেষ দশকের প্রতিটি রাতকেই কদরের রাত মনে করে ইবাদত করে। হাদিসেও এমনটি এসেছে যে, নবীজিকে কদরের রাতটির কথা তার অন্তর থেকে উঠিয়ে নেওয়া হয়, ফলে তিনি সেটি ভুলে যান। তখন তিনি বলেন, ‘হয়ত এর মধ্যেই তোমাদের জন্য কল্যাণ নিহিত রয়েছে।’ (বুখারি: ২০২৩)
লাইলাতুল কদর দোয়া
লাইলাতুল কদরের রাত কি সুনির্দিষ্ট? এটি আমরা কীভাবে খুঁজে পাবো?
https://www.youtube.com/watch?v=M9iHuIOZXU0
লাইলাতুল কদর চেনার উপায় এবং এই রাতের আমল |
https://www.youtube.com/watch?v=oSCyP5nqlF0
লাইলাতুল কদরের দোয়া
https://www.youtube.com/watch?v=B2hnt3ZsTHo
*Emotional* Witr
লাইলাতুল কদরের রাত
Lailatul Qadr Night
হাজার মাসের চেয়েও উত্তম
Better than a thousand months
0 notes
লাইলাতুল কদরের রাত
Lailatul Qadr Night
শবে কদর (ফার্সি: شب قدر) বা লাইলাতুল কদর (আরবি: لیلة القدر) এর অর্থ "অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত" বা "পবিত্র রজনী"। ফার্সি ভাষায় "শাব" ও আরবি ভাষায় "লাইলাতুল" অর্থ হলো রাত্রি বা রজনী, অন্যদিকে 'কদর' শব্দের অর্থ সম্মান, মর্যাদা, মহাসম্মান। এ ছাড়া এর অন্য অর্থ হল ভাগ্য, পরিমাণ ও তাকদির নির্ধারণ করা।
লাইলাতুল কদরে কোরআন নাজিল হয়েছে, এটি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম এবং এ রাতে ফেরেশতারা আল্লাহর নির্দেশে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। এ রাতে ফজর পর্যন্ত প্রশান্তি বর্ষিত হয়।'
শবে কদর বা লাইলাতুল কদর ইসলামের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ রাত। এই রাতে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। শবে কদরের সম্মানে ‘সুরাতুল কদর’ নামে একটি পূর্ণাঙ্গ সুরাও আছে। এ সুরায় বলা হয়েছে—‘লাইলাতুল কদরে কোরআন নাজিল হয়েছে, এটি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম এবং এ রাতে ফেরেশতারা আল্লাহর নির্দেশে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। এ রাতে ফজর পর্যন্ত প্রশান্তি বর্ষিত হয়।’ সুরা কদর: ১-৫
এই মহান রাতে গুরুত্বের সঙ্গে নামাজ-দোয়া ও জিকির-আজকারসহ প্রত্যেকটি নেক আমলের সীমাহীন ফজিলত বর্ণিত হয়েছে হাদিসে। প্রিয়নবী (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় কদরের রাতে ইবাদতের মধ্যে রাত জাগবে, তার আগের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে’ (সহিহ বুখারি: ৩৫)
বিভিন্ন হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী, রমজানের শেষ দশকের প্রত্যেক বিজোড় রাতেই শবে কদরের সম্ভাবনা রয়েছে। মহানবী (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদর তালাশ করো।’ (বুখারি: ২০১৭)
জোড়-বেজোড় যেকোনো রাতেই কদর হতে পারে। (শারহুল মুমতি: ৬/৪৯২)ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ (রাহ.) একটি বিশুদ্ধ হাদিসের আলোকে বলেছেন, যদি রমজান মাস ৩০ দিনে হয়, তবে শেষ দশকের জোড় রাতগুলোতেও কদর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, যদি রমজান মাস ২৯ দিনের হয়, তাহলে উক্ত হাদিস অনুযায়ী কদরের রাত পড়বে শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে। অতএব, ঈমানদারদের উচিত, রমজানের শেষ দশকের প্রতিটি রাতেই লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করা। (মাজমুউ ফতোয়া: ২৫/২৮৪-২৮৫
আমরা হাদিসে দেখি, নবীজি শুধু বেজোড় রাতে নয়, শেষ দশকের প্রতিটি রাতেই ইবাদত করতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (স.) (রমজানের) শেষ দশকে যে পরিমাণ আমল করতেন, অন্যকোনো সময়ে সে পরিমাণ আমল করতেন না।’ (মুসলিম: ২৬৭৮)
‘লাইলাতুল কদর এক অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত পবিত্র রজনী। সিয়াম সাধনার মাসের এই রাত্রিতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা মানবজাতির পথ নির্দেশক পবিত্র আল-কোরআন পৃথিবীতে নাযিল করেন।
মহান আল্লাহ কোরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তা (কোরআন) অবতীর্ণ করেছি কদরের রাতে। আর কদরের রাত সম্বন্ধে তুমি কি জানো? কদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সে রাতে ফেরেশতারা ও রুহ [জিবরাইল (আ.)] অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিময় সে রাত বিরাজ করে ফজরের আবির্ভাব পর্যন্ত।
(সূরা আল-কদর, আয়াত ১-৫)।
কদরের রজনীর অপার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনের সূরা আদ-দুখানে বলেছেন নিশ্চয়ই আমি তা (কোরআন) এক মোবারকময় রজনীতে অবতীর���ণ করেছি, নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ফয়সালা হয়।
মহান আল্লাহ তায়ালা লাইলাতুল কদরের রজনীকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন
‘হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম।
এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এই রজনীতে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। অর্জন করতে পারি তাঁর অসীম রহমত, বরকত ও মাগফিরাত।’
এই রাতে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। শবে কদরের সম্মানে 'সুরাতুল কদর' নামে একটি পূর্ণাঙ্গ সুরাও আছে। এ সুরায় বলা হয়েছে—'লাইলাতুল কদরে কোরআন নাজিল হয়েছে, এটি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম এবং এ রাতে ফেরেশতারা আল্লাহর নির্দেশে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। এ রাতে ফজর পর্যন্ত প্রশান্তি বর্ষিত হয়।'
মহানবী সা. উম্মতের জন্য শুধু এক রাত্রির ইবাদতকেই (লাইলাতুল কদর) সে ইবাদতকারীর এক হাজার মাসের ইবাদত অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ প্রতিপন্ন করেছেন। (তাফসিরে মাজহারি) যার বর্ণনা সুরা আল-কদরে সুস্পষ্টভাবে পাওয়া যায়। মহান আল্লাহ কদরের রাতকে হাজার মাস অপেক্ষা অধিক উত্তম হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
মুহাদ্দিসগণ বলেন, লাইলাতুল কদরের রাতটি গোপন রাখার উদ্দেশ্য হলো, যাতে মানুষ শেষ দশকের প্রতিটি রাতকেই কদরের রাত মনে করে ইবাদত করে। হাদিসেও এমনটি এসেছে যে, নবীজিকে কদরের রাতটির কথা তার অন্তর থেকে উঠিয়ে নেওয়া হয়, ফলে তিনি সেটি ভুলে যান। তখন তিনি বলেন, ‘হয়ত এর মধ্যেই তোমাদের জন্য কল্যাণ নিহিত রয়েছে।’ (বুখারি: ২০২৩)
লাইলাতুল কদর দোয়া
লাইলাতুল কদরের রাত কি সুনির্দিষ্ট? এটি আমরা কীভাবে খুঁজে পাবো?
https://www.youtube.com/watch?v=M9iHuIOZXU0
লাইলাতুল কদর চেনার উপায় এবং এই রাতের আমল |
https://www.youtube.com/watch?v=oSCyP5nqlF0
লাইলাতুল কদরের দোয়া
https://www.youtube.com/watch?v=B2hnt3ZsTHo
*Emotional* Witr
লাইলাতুল কদরের রাত
Lailatul Qadr Night
হাজার মাসের চেয়েও উত্তম
Better than a thousand months
0 notes