Tumgik
#পাকিস্তানের কে হবে প্রধানমন্ত্রী
mdjahangiralam946 · 9 months
Text
Tumblr media
Assalamualaikum. Do you like politics? Do you want to know anything about world politics? If you want to know updated news about world politics then you can watch my videos
. This video is currently available on youtube. –https://youtu.be/FOnbQAXEHIg
This video is currently available on Facebook. - https://fb.watch/moEZdjFxey/
My YouTube Link- https://www.youtube.com/channel/UCCoZdXa-oajWPCllQLulP0g
My facebook link- https://www.facebook.com/Newsbela23
0 notes
khulnabazar · 2 years
Text
শাহবাজের মন্ত্রিসভায় বিলাওয়াল ভুট্টো!
নিউজনাউ ডেস্ক: দেশজুড়ে উত্তেজনার মধ্যে অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ছাড়েন ইমরান খান। এরপর সোমবার পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন পিএমএল–এন সভাপতি শাহবাজ শরিফ। সোমবার বিকেলে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে ১৭৪ ভোট পেয়ে তিনি নির্বাচিত হন। নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন শাহবাজ শরিফ। এখন শুরু হয়েছে শাহবাজের নতুন মন্ত্রিসভা কেমন হবে কিংবা কে স্থান পাচ্ছেন…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
ainadalatprotidin · 2 years
Text
শাহবাজের মন্ত্রিসভায় বেনজির পুত্র বিলাওয়াল!
শাহবাজের মন্ত্রিসভায় বেনজির পুত্র বিলাওয়াল!
দেশজুড়ে উত্তেজনার মধ্যে শনিবার মধ্যরাতে অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ছাড়েন ইমরান খান। এরপর সোমবার পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন পিএমএল–এন সভাপতি শাহবাজ শরিফ।সোমবার বিকেলে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে ১৭৪ ভোট পেয়ে তিনি নির্বাচিত হন।   নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন শাহবাজ শরিফ। এখন শুরু হয়েছে শাহবাজের নতুন মন্ত্রিসভা কেমন হবে কিংবা কে স্থান…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
americabangla · 3 years
Text
মার্কিন চাপে কাজ হবে না, চীন পরীক্ষিত বন্ধু, চীনের বিপক্ষে যাচ্ছি না : ইমরান খান
মার্কিন চাপে কাজ হবে না, চীন পরীক্ষিত বন্ধু, চীনের বিপক্ষে যাচ্ছি না : ইমরান খান
আমেরিকা বাংলা ডেস্ক : চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পাশ্চাত্যের দেশগুলো ইসলামাবাদের ওপর চাপ দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেছেন, যত চাপই আসুক, চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না পাকিস্তান। চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক বা সিজিটিএন-কে গতকাল (মঙ্গলবার) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি  আরও বলেন, চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের ৭০ বছরের বেশি সময় ধরে…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
banglarchokhbdnews · 3 years
Text
চীন পরীক্ষিত বন্ধু, মার্কিন চাপে কাজ হবে না: ইমরান খান
চীন পরীক্ষিত বন্ধু, মার্কিন চাপে কাজ হবে না: ইমরান খান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পাশ্চাত্যের দেশগুলো ইসলামাবাদের ওপর চাপ দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেছেন, যত চাপই আসুক, চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না পাকিস্তান। চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক বা সিজিটিএন-কে গতকাল (মঙ্গলবার) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের ৭০ বছরের বেশি সময় ধরে…
Tumblr media
View On WordPress
0 notes
paathok · 4 years
Photo
Tumblr media
New Post has been published on https://paathok.news/113959
“পান থেকে চুন খষলেই হৈ হৈ রৈ রৈ করা সঠিক নয়” সাংবাদিকদের তথ্যমন্ত্রী
.
“পান থেকে চুন খষলেই হৈ হৈ রৈ রৈ করা সঠিক নয়” বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন বিশেষজ্ঞদের মতামতকে ভুল প্রমাণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্ব প্রমাণ করেছে সঠিক নেতৃত্ব দিতে পারলে করোনা ভাইরাসের মতো দুর্যোগ মোকাবেলা সম্ভব।
তিনি আজ সোমবার (৩ আগস্ট) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্��াম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাধারন সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম। এসময় সিইউজে নেতৃবৃন্দ তথ্যমন্ত্রীকে বিভিন্ন দাবি-ধাওয়া সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের বিরোধী দল ঘরের মধ্যে বসে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে টেলিভিশনে উঁকি দিয়ে দিয়ে কথা বলে ঘর থেকে বের হয় না। উঁকি দিয়ে কথা বলে সরকারের সমালোচনা করে। আমরা একদিনও বসে ছিলাম না, জনগণের পাশে থাকতে গিয়ে আমাদের দলের অনেক নেতা, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী আক্রান্ত হয়েছে, মৃত্যুবরণ করেছে। আমরা জানি করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হলে কি হতে পারে, সেটি মাথায় রেখে কাজ করেছি। সংকট মোকাবেলায় জনগণের পাশে থাকতে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে এমন শিক্ষা দিয়েছেন।
.
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনাভাইরাস শুরু হওয়ার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা মাথায় রেখে নানা ধরনের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। সাংবাদিকদের মধ্যে যারা বেতন পাচ্ছেনা, যারা চাকরীচ্যুত কিংবা দীর্ঘদিন ধরে বেকার এই তিন ক্যাটাগরির সাংবাদিকদের মধ্যে যাতে অসুবিধা না হয় সেজন্য এককালীন সহায়তা প্রদান করার জন্য তিনি আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে আমরা প্রথম ধাপে সারাদেশে দেড় হাজার সাংবাদিকদের এককালীন ১০ হাজার টাকা করে অনুদানের চেক হস্তান্তর করেছি। এটি এই দেড় হাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবেনা, পরবর্তী পর্যায়ে আরো চেক বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, আপনারা জেনে নিশ্চিত খুশি হবেন আমাদের আশপাশের দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কায়ও সাংবাদিকদের এধরনের সহায়তা করা হচ্ছেনা। সেখানে সহায়তা করা হচ্ছে শুধুমাত্র যারা করোনায় মৃত্যুবরণ করেছে তাদেরকে।
আমরাও সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের কারণে কেউ যদি মৃত্যুবরণ করে তাহলে তাদেরকেও এককালীন তিন লাখ টাকা করে অনুদান দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন কে দেয়া হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের মধ্যে প্রথম মাসে সবকিছু বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে অনেককিছু খুললেও এখনো অনেক কিছু খুলেনি। কিন্তু সাংবাদিকদের কাজকর্ম কখনো বন্ধ ছিলনা। সাংবাদিকরা এই করোনা ভাইরাসের মধ্যে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছে। সংবাদ সংগ্রহ করেছে, সংবাদ পরিবেশন করেছে, যে কারণে পত্রিকা বের হয়েছে, টেলিভিশনে সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে। সাংবাদিক ভাই-বোনেরা যদি এভাবে ঝুঁকি নিয়ে কাজ না করতো তাহলে পত্রিকায় ও টেলিভিশনের সংবাদ পরিবেশন করা সম্ভবপর হতো না। এর জন্য বহু সাংবাদিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ভাই-বোন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে।
তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে আমি তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে শুরু থেকেই সংবাদপত্র টেলিভিশন এবং অনলাইন মিডিয়ার মালিকপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ জানিয়েছিলাম যাতে সাংবাদিক ভাই-বোনদের বেতন ভাতা ঠিকমতো দেয়া হয়। করোনা ভাইরাসের কারণে এমন কোন সেক্টর নাই নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি, সমগ্র বিশ্বব্যাপী এটি হচ্ছে চিত্র। তাই আমি বারংবার অনুরোধ জানিয়েছিলাম এই করোনাভাইরাসের মধ্যে আমরা কষ্টটা যেন ভাগ করে নিই। এই দুর্যোগ কিন্তু সব সময় থাকবেনা, তাই দুর্যোগের সময় আমাদের অসুবিধা হলেও আমি সমস্ত গণমাধ্যমের কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাবো সাংবাদিকদের বেতন ভাতা যতোটুকু সম্ভব সঠিক ভাবে যেন পরিশোধ করা হয়।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক দেশের তুলনায় সফলভাবে মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে। যদি তাই না হতো তাহলে আমাদের দেশে মৃত্যুর হার এত কম হতো না। মৃত্যুর হার উন্নত দেশগুলোর চেয়ে তো কম বটেই এমনকি আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার ভারত পাকিস্তানের চেয়েও কম।
পান থেকে চুন খষলেই হৈ হৈ রৈ রৈ করা সঠিক নয় জানিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় প্রথম দিকে চট্টগ্রামে অনেক অসুবিধা ছিল, আইসিইউ বেড থেকে শুরু করে নরমাল বেডের সমস্যা ছিল। আজকে আইসিইউ বেড খালি আছে, নরমাল বেডও খালি। প্রথমদিকের পত্র-পত্রিকায় যে সংবাদ গুলো এসেছে সেগুলো আমার চোখে পড়েছে। চট্টগ্রামে রোগী ৫’শ বেড আছে ৪’শ এধরণের খবর পরিবেশিত হয়েছে। অথচ করোনা আক্রান্ত শতকরা ৮০ ভাগের বেশি হাসপাতালে যেতে হয় না।
তিনি বলেন, সংবাদপত্র এবং গণমাধ্যম হচ্ছে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সংবাদপত্র সমাজকে সঠিক খাতে প্রবাহিত করার জন্য, সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়ার জন্য, দায়িত্বশীলদের ভূমিকা যাতে আরো সঠিক ভাবে পালন করতে পারে সেই ক্ষেত্রে গণমাধ্যম সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে। সুতরাং যখন কাজের ত্রুটি হয় সেটি অবশ্যই গণমাধ্যম উঠে আসবে। যখন কাজ ভাল হয় তখন সেটিও গণমাধ্যমে উঠে আসা প্রয়োজন। আজকে যে ভালো পরিস্থিতিতে আমরা আসতে পেরেছি সেটিও গণমাধ্যমে উঠে আসা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
পরে চট্টগ্রাম বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে করোনা ভাইরাসসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন তথ্যমন্ত্রী। এসময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন, সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বিসহ চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।
0 notes
dailynobobarta · 4 years
Text
এক নজরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
New Post has been published on https://is.gd/tbD309
এক নজরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
Tumblr media
বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও ভারতীয় উপমহাদেশের প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। প্রাচীন বাঙালি সভ্যতার আধুনিক স্থপতি তিনি। দেশের মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার কারণে তাকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধী দিয়েছিল ছাত্র-জনতা। বঙ্গবন্ধুর জন্ম ও শিক্ষা: ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ তৎকালীন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার পাটগাতি ইউনিয়নের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার বাবা শেখ লুৎফর রহমান গোপালগঞ্জ দায়রা আদালতের সেরেস্তাদার ছিলেন এবং মা'র নাম সায়েরা খাতুন। চার কন্যা এবং দুই পুত্রের সংসারে শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন তৃতীয় সন্তান। তার বড় বোনের নাম ফাতেমা বেগম, মেজ বোন আছিয়া বেগম, সেজ বোন হেলেন ও ছোট বোন লাইলী; তার ছোট ভাইয়ের নাম শেখ আবু নাসের। ১৯২৭ সালে শেখ মুজিব গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। ১৯২৯ সালে গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন তিনি। ১৯৩৭ সালে গোপালগঞ্জে মাথুরানাথ ইনস্টিটিউট মিশন স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৩৪ থেকে চার বছর তিনি বিদ্যালয়ের পাঠ চালিয়ে যেতে পারেননি। কারণ তার চোখে জটিল রোগের কারণে সার্জারি করাতে হয়েছিল এবং সেরে উঠতে বেশ সময় লেগেছিল। গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুল থেকে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। রাজনৈতিক সক্রিয়তা: শেখ মুজিবের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল ১৯৩৯ সালে মিশনারি স্কুলে পড়ার সময়। এ বছর স্কুল পরিদর্শনে এসেছিলেন তদানীন্তন বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক এবং পরবর্তীতে বাংলার প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী। তিনি স্কুলের ছাদ সংস্কারের দাবির উপর ভিত্তি করে একটি দল নিয়ে তাদের কাছে যান। ১৯৪০ সালে নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগ দেন তিনি। ১৯৪২ সালে এনট্র্যান্স পাস করার পর কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে আইন পড়ার জন্য ভর্তি হন। ১৯৪৩ সালে তিনি বেঙ্গল মুসলিম লীগে যোগ দেন এবং বাঙালি মুসলিম নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সান্নিধ্যে আসেন। ১৯৪৩ সালে বঙ্গীয় মুসলিম লীগের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন শেখ মুজিবুর রহমান । ১৯৪৪ সালে কুষ্টিয়ায় নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্র লীগের সম্মেলনে শেখ মুজিব বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। তিনি কলকাতায় বসবাসকারী ফরিদপুরবাসীদের নিয়ে গঠিত ফরিদপুর ডিস্ট্রিক্ট অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি মনোনীত হন। এর দুই বছর পর নির্বাচিত হন ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের মহাসচিব। ১৯৪৭ সালে ইসলামিয়া কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন। ভারত ও পাকিস্তান পৃথক হওয়ার সময়ে দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক তৎপরতায় শরিক হন তিনি। পাকিস্তান-ভারত পৃথক হয়ে যাওয়ার পর শেখ মুজিব পূর্ব পাকিস্তানে ফিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা করেন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ। যার মাধ্যমে তিনি ওই প্রদেশের অন্যতম প্রধান ছাত্রনেতায় পরিণত হন। বাংলা ভাষা আন্দোলন: ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমউদ্দিন গণ-পরিষদের অধিবেশনে বলেন, উর্দূই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। তার এই মন্তব্যে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদী শেখ মুজিব অবিলম্বে মুসলিম লীগের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরুর সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৪৮ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নীতিমালা নিয়ে আলোচনা করা হয় যাতে শেখ মুজিব একটি প্রস্তাব পেশ করেন। এখান থেকেই সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই পরিষদের আহ্বানে ১১ মার্চ ঢাকায় ধর্মঘট পালিত হয়। ধর্মঘট পালনকালে শেখ মুজিবসহ কয়েকজন রাজনৈতিক কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। ছাত্রসমাজের তীব্র প্রতিবাদের মুখে ১৫ মার্চ শেখ মুজিব এবং অন্য ছাত্র নেতাদেরকে মুক্তি দেয়া হয়। পুলিশি কার্যক্রমের প্রতিবাদে শেখ মুজিব ১৯৪৮ সালের ১৭ মার্চ দেশব্যাপী ছাত্র ধর্মঘটের ঘোষণা দেন। ১৯ মার্চ তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে একটি আন্দোলন পরিচালনা করেন। এ ঘটনায় ১১ সেপ্টেম্বর তাকে আটক করা হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হন। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা: ১৯৪৯ সালের ২১ জানুয়ারি শেখ মুজিবকে জেল থেকে মুক্তি দেয়া হয়। ২৩ জুন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং মাওলানা ভাসানী পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন করার পর শেখ মুজিব মুসলিম লীগ ছেড়ে এই নতুন দলে যোগ দেন। তাকে দলের পূর্ব পাকিস্তান অংশের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। ১৯৫০ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথমদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খানের পূর্ব পাকিস্তান আগমনকে উপলক্ষ করে আওয়ামী মুসলিম লীগ ঢাকায় দুর্ভিক্ষবিরোধী মিছিল বের করে। মিছিলের নেতৃত্ব দেয়ায় শেখ মুজিব আটক হন এবং তার দুই বছর জেল হয়েছিল। ১৯৫২ সালের ২৬ জানুয়ারি খাজা নাজিমুদ্দিন ঘোষণা করেন, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এ ঘোষণার পর জেল থেকে নির্দেশনা দেয়ার মাধ্যমে তিনি ভূমিকা রাখেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি তাকে জেল থেকে মুক্তি দেয়া হয়। যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন: ১৯৫৩ সালের ১৪ নভেম্বর সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য অন্যান্য দল নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ১৯৫৪ সালের ১০ মার্চ সাধারণ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট ২৩৭টি আসনের মধ্যে ২২৩ টিতে বিজয় অর্জন করে, যার মধ্যে ১৪৩টি আসন পায় আওয়ামী মুসলিম লীগ। শেখ মুজিব গোপালগঞ্জ আসনে বিজয় লাভ করেন। ১৫ মে তাকে কৃষি ও বন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়। ২৯ মে কেন্দ্রীয় সরকার যুক্তফ্রন্ট ভেঙে দেয়। ৩০ মে করাচি থেকে ঢাকা ফেরার পর বিমান বন্দর থেকেই তাকে আটক করা হয়। ওই বছরের ২৩ ডিসেম্বর মুক্তি লাভ করেন তিনি। ১৯৫৫ সালের ৫ জুন শেখ মুজিব আইন পরিষদের সদস্য মনোনীত হন। ১৭ জুন আওয়ামী মুসলিম লীগ পল্টন ময়দানে এক সম্মেলনে ২১ দফা দাবি পেশ করে, যার মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯৫৫ সালের ২১-২৩ অক্টোবর আওয়ামী মুসলিম লীগের বিশেষ অধিবেশনে দলের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেয়া হয়। শেখ মুজিব পুনরায় দলের মহাসচিব নির্বাচিত হন। ৩ ফেব্রয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের বৈঠকে দল থেকে খসড়া সংবিধানে স্বায়ত্ত্বশাসন অন্তর্ভ���ক্ত করার দাবি জানানো হয়। ১৪ জুলাই রাষ্ট্রীয় প্রশাসনে সামরিক উপস্থিতির বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব রাখা হয়, যা তিনিই সরকারের কাছে পেশ করেন। ১৬ সেপ্টেম্বর শেখ মুজিব কোয়ালিশন সরকারে যোগ দিয়ে একযোগে শিল্প, বাণিজ্য, শ্রম, দুর্নীতিরোধ এবং গ্রামীণ সহায়তা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দলের জন্য সম্পূর্ণ সময় ব্যয় করার তাগিদে ১৯৫৭ সালে ৩০ মে মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন। ৭ আগস্ট সরকারি সফরে চীন এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন গমন করেন। ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল ইস্কান্দার মির্জা এবং সেনাবাহিনী প্রধান আইয়ুব খান দেশে সামরিক আইন জারি করে সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। ওই বছরের ১১ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুকে আবারো আটক করা হয়। তিনি ১৯৬১ সালে জেল থেকে ছাড়া পান। এবার তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা আদায়ের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন। ১৯৬২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি জননিরাপত্তা আইনে তাকে আবারো আটক করা হয়। ২ জুনের চার বছরব্যাপী মার্শাল ল' অপসারণের পর একই মাসের ১৮ তারিখে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। ২৫ জুন তিনি অন্য রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে মিলে আইয়ুব খান আরোপিত বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুর বিরুদ্ধে সংগ্রামে নেমে পড়েন। ২৪ সেপ্টেম্বর তিনি লাহোরে গিয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে মিলে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট গড়ে তোলেন। অক্টোবর মাস জুড়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে মিলে যুক্তফ্রন্টের সমর্থন আদায়ে তিনি বাংলার বিভিন্ন স্থান সফর করেন। ছয় দফা আন্দোলন: সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর ১৯৬৪ সালের ২৫ জানুয়ারি এক বৈঠকের প্রস্তাবের ভিত্তিতে শেখ মুজিব আওয়ামী লীগের মহাসচিব ও মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ওই বছরের ১১ মার্চ একটি সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের সামরিক শাসন, রাজনীতির নামে মৌলিক গণতন্ত্র প্রচলন (বেসিক ডেমোক্রেসি) এবং পাকিস্তানের কাঠামোতে এক-ইউনিট পদ্ধতির বিরোধী নেতাদের মধ্যে অগ্রগামী ছিলেন শেখ মুজিব। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে মুজিব আইয়ুব-বিরোধী সর্বদলীয় প্রার্থী ফাতিমা জিন্নাহকে সমর্থন করেন। ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী দলগুলোর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনেই শেখ মুজিব ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবি পেশ করেন যা ছিল কার্যত পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের পরিপূর্ণ রূপরেখা। এই দাবি সম্মেলনের উদ্যোক্তারা প্রত্যাখান করেন এবং শেখ মুজিবকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে চিহ্নিত করেন। ১৯৬৬ সালে মার্চ মাসের ১ তারিখে শেখ মুজিব আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ছয় দফার পক্ষে সমর্থন আদায়ে দেশব্যাপী প্রচার কার্য পরিচালনা করেন। এই সময় তিনি বেশ কয়েকবার কারাবন্দী হন। আইয়ুব-বিরোধী আন্দোলন: ১৯৬৮ সালের প্রথমদিকে পাকিস্তান সরকার শেখ মুজিব এবং আরো ৩৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে যা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নামে পরিচিত। এতে শেখ মুজিবকে পাকিস্তান বিভক্তিকরণের ষড়যন্ত্রের মূল হোতা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ১৯ জুন ঢাকা সেনানিবাসে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে অভিযুক্ত আসামীদের বিচারকার্য শুরু হয়। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান: বিচারকার্য চলাকালে ১৯৬৯ সালের ৫ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ তাদের ১১ দফা দাবি পেশ করে যার মধ্যে শেখ মুজিবের ছয় দফা অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গণ আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলনই ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান নামে পরিচিত। এ আন্দোলনের পর মামলা প্রত্যাহার করে শেখ মুজিবসহ অভিযুক্ত সবাইকে মুক্তি দেয়া হয়। এই বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের এক সভায় শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেয়া হয়। ১৯৬৯ সালে আইয়ুব খানের আহ্বানে একটি সর্বদলীয় সম্মেলনে শেখ মুজিব ছয়-দফাসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের চাহিদাগুলো মেনে নেয়ার আহ্বান জানান এবং তা প্রত্যাখ্যাত হলে সম্মেলন থেকে বের হয়ে আসেন। ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক জনসভায় শেখ মুজিব ঘোষণা করেন, এখন থেকে পূর্ব পাকিস্তানকে ‘বাংলাদেশ’ নামে অভিহিত করা হবে। এরপর মুজিব পূর্ব পাকিস্তানে ব্যাপক জনমত গড়ে তুলতে সমর্থ হন এবং ১৯৭০ সাল নাগাদ কার্যত ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন। ১৯৭০-এর নির্বাচন: ১৯৭০ সালের নির্বাচনে শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ প্রাদেশিক আইনসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। নির্বাচনের ফলাফল পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে মেরুকরণ সৃষ্টি করে। পশ্চিম পাকিস্তানের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের নেতা জুলফিকার আলি ভুট্টো, মুজিবের স্বায়ত্বশাসনের নীতির বিরোধিতা করেন। তিনি ঘোষণা দেন, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান শেখ মুজিবকে সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানালে তিনি সে সরকার মেনে নেবেন না। অধিকাংশ পশ্চিম পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা ও ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো শেখ মুজিবের আসন্ন প্রধানমন্ত্রিত্ব লাভের বিরোধিতা করে। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা: রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে ইয়াহিয়া সংসদ ডাকতে দেরি করছিলেন। বাঙালিরা বুঝতে পারেন, মুজিবের দল আওয়ামী লীগকে সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও সরকার গঠন করতে দেয়া হবে না। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে এক জনসভায় শেখ মুজিব স্বাধীনতার ডাক দেন এবং জনগণকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত করেন। এদিকে ইয়াহিয়া খান সামরিক আইন জারি করেন। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে শেখ মুজিবসহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতাদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী রাজনৈতিক ও জনসাধারণের অসন্তোষ দমনে ২৫ মার্চ অপারেশন সার্চলাইট শুরু করে। এ অভিযান শুরু হলে শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে ওয়্যারলেসের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এদিন তাকে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ফয়সালাবাদের একটি জেলে কড়া নিরাপত্তায় রাখা হয়। ১৯৭১ সালে ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপ্রধান ও সশস্ত্র বাহিনীসমূহের সর্বাধিনায়ক ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। তার অনুপস্থিতিতে উপরাষ্ট্রপ্রধান সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পরিচালিত অভিযান অল্প সময়ের মধ্যেই হিংস্রতা ও তীব্র রক্তপাতে রূপ নেয়। রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাঙালি বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ ও ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ মানুষকে আক্রমণ করে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে ও পুলিশ রেজিমেণ্টে কর্মরত পূর্ব বাংলার সদস্যবৃন্দ দ্রুত বিদ্রোহ ঘোষণা করে এবং আওয়ামী লীগ সদস্যরা কলকাতায় তাজউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্ব প্রবাসে বাংলাদেশ সরকার গঠন করে। ৯ মাস যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানী সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ঢাকায় ফিরে সরকার গঠন করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি মুক্তি দেয় পাকিস্তান সরকার। এরপর তিনি লন্ডন হয়ে নতুন দিল্লিতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী’র সঙ্গে সাক্ষাত করেন। তিনি ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে ফিরে আসেন। নবরাষ্ট্র পুনর্গঠন সংগ্রাম: শেখ মুজিবুর রহমান অল্পদিনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি ছিলেন এবং ��রবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। প্রায় ১ কোটি শরনার্থীকে পুনর্বাসন করার জন্য বৃহৎ সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। ১৯৭৩ সালে কৃষি, নগর অবকাঠামো ও কুটিরশিল্পের উপর রাষ্ট্রীয় তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পাঁচ-বছরের একটি প���িকল্পনা করা হয়। বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে স্বীকৃতি লাভের পর বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের স্বীকৃতি এবং ওআইসি, জাতিসংঘ ও জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলনে বাংলাদেশের সদস্যপদ নিশ্চিত করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশ ভ্রমণ করে দেশের উন্নয়নে সহযোগিতা চান। বঙ্গবন্ধু ভারতের সঙ্গে একটি ২৫ বছর মেয়াদি মিত্রতা চুক্তি স্বাক্ষর করেন। বঙ্গবন্ধু তার অন্তর্বর্তী সংসদকে একটি নতুন সংবিধান রচনার দায়িত্ব দেন এবং চারটি মূলনীতি হিসেবে ‘জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র’ ঘোষণা করেন। ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে নতুন সংবিধান কার্যকর করা হয়। ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে এবং তিনি সরকার গঠন করেন। হত্যাকাণ্ড: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল বিপথগামী সেনা কর্মকর্তা ট্যাঙ্ক দিয়ে ধানমণ্ডিস্থ বাসভবনে নারকীয় হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত হয়। এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের সদস্য এবং তার ব্যক্তিগত কর্মচারীদের হত্যা করা হয়। শুধুমাত্র শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় বেঁচে যান। বঙ্গবন্ধুর মরদেহ তার জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়ায় হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সামরিক তত্ত্বাবধানে দাফন করা হয়। নিহত অন্যান্যদের ঢাকার বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়। ব্যক্তিগত জীবন: ১৯৩৪ সালে ১৪ বছর বয়সী শেখ মুজিবের সঙ্গে ৩ বছরের বেগম ফজিলাতুন্নেসার বিয়ে হয়। বিয়ের ৯ বছর পর ১৯৪২ সালে শেখ মুজিব ও ফজিলতুন্নেসার দাম্পত্যজীবন শুরু হয়। এই দম্পতির ঘরে দুই কন্যা এবং তিন পুত্রের জন্ম হয়। কন্যারা হলেন শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা। আর পুত্রদের নাম শেখ কামাল, শেখ জামাল এবং শেখ রাসেল। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিনাশ করতে চেয়েছিল। তারা বঙ্গবন্ধুর নাম ইতিহাস থেকে মুছে দিতে নানা ষড়যন্ত্র করলেও বাঙালি জাতি তা প্রতিহত করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে আসে। তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ২০০৯ সাল থেকে টানা তিনবার সরকার গঠন করে। মুজিব আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। এই মহান নেতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ১৭ মার্চ থেকে বছরব্যাপী সারাবিশ্বে পালন করা হবে ‘মুজিববর্ষ’।
0 notes
Text
ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর
Tumblr media
Bangla breaking news
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের আজকের অঙ্গীকার। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। রোববার সকালে ধানমণ্ডি-৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে স্থাপিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, সারা বিশ্বে বাঙালি জাতি মর্যাদা অর্জন করেছে। বাংলার হারানো স্বাধীনতাকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যেই আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দেশের সেই সম্মান আমরা ফিরিয়ে এনেছি। কারণ আওয়ামী লীগই দেশকে দেয়, মানুষকে দেয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করব- আজকের দিনে এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা। বক্তৃতার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী দেশের সব থেকে প্রাচীন এবং বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, চার জাতীয় নেতা এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আত্মাহুতি দানকারী দলের নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। পরে দলের সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে তিনি শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। এ সময় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পায়রা ও বেলুন উড়ানো হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে কিছু সময় অবস্থান করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, ড. আবদুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান ও পিযুষ কান্তি ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী এসএস রেজাউল করিম, রেলওয়েমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া দলের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আহমেদ হোসেন ও অ্যাডভোকেট মেজবাহউদ্দিন সিরাজসহ দলের কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের পাশাপাশি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পর্যায়ক্রমে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: ভোটে জিতে ছাত্রদলের সভাপতি–সা. সম্পাদক হতে হবে
ধানমণ্ডি-৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় যুবলীগ। ঢাকা মহানগর আওয়ামী যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, সহসভাপতি মাইনুদ্দিন রানা, সোহরাব হোসেন স্বপন, আনোয়ার ইকবাল সান্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক সারোয়ার হোসেন বাবু, মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমানসহ মহানগর ও ওয়ার্ডের শত শত নেতাকর্মী পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল সমাবেশ, র‌্যালি ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে। র‌্যালি-পূর্ব সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. হারুন-অর-রশিদ। বক্তব্য দেন সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আওয়ামী লীগ নেতা সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ শরীফ উদ্দিন প্রমুখ।
দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদ এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ডা. এসএ মালেক বক্তৃতা করেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভা আজ : আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার বিকাল ৪টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন। সভায় দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবী এবং জাতীয় নেতারা অংশ নেবেন। এ সভা সফল করতে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দল ও দলের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার তথ্য জানানো হয়।
কাজটাকে কেবল চাকরি হিসেবে নিলে হবে না -নবীন কর্মকর্তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী : বাসস জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবীন সরকারি কর্মচারীদের কেবল চাকরির জন্য চাকরি নয়, সেবার মানসিকতায় দেশপ্রেম, কর্তব্যনিষ্ঠা এবং উদ্ভাবনী চিন্তার প্রসার ঘটিয়ে কর্মক্ষেত্রে আত্মনিয়োগের আহবান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের কাজটাকে কেবল চাকরি হিসেবে নিলে হবে না। দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য দেশপ্রেম এবং কর্তব্যনিষ্ঠা নিয়ে কাজ করতে হবে।
রোববার সকালে রাজধানীর শাহবাগের বিসিএস প্রশাসন একাডেমি মিলনায়তনে ১১০, ১১১ ও ১১২তম আইন ও প্রশাসন কোর্সের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজের ভেতরে ইনোভেটিভ চিন্তা-ভাবনা থাকতে হবে। নিজের ভেতরে একটা আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। কোনো কাজ পারব কি পারব না এই দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগলে চলবে না। হ্যাঁ, আমি পারব, সেই বিশ্বাসটা সব সময় নিজের ওপর রাখতে হবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা চাইতেন বাঙালিরা রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে তাই পৃথিবীতে সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে একদিন নিজের পায়ে দাঁড়াবে এবং আমরা তা করতে পারব। এ কথাটা সব সময় মনে রাখতে হবে, এই আত্মবিশ্বাসটা থাকতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, কর্মক্ষেত্রে সব থেকে বড় কথা আত্মবিশ্বাস। যে কোনো একটা কাজ করতে গেলে কিভাবে করব, কিভাবে হবে, কয় টাকা আসবে, কোথা থেকে টাকা পাব- একদম দুশ্চিন্তা না করে কোন কাজটা করে উন্নতি করা সম্ভব সেটা নিজেকেই খুঁজে বের করতে হবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এইচএম আশিকুর রহমান, জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। প্রতিষ্ঠানের রেক্টর কাজী রওশন আরা আখতার স্বাগত বক্তৃতা করেন। ১১০, ১১১ ও ১১২তম কোর্সের রেক্টর পদকজয়ী তিন শিক্ষার্থী মাহবুব উল্লাহ মজুমদার, রঞ্জন চন্দ্র দে এবং মাবরুল আহমেদ অনিক অনুষ্ঠানে নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ১১০, ১১১ এবং ১১২তম আইন ও প্রশাসন কোর্সের শিক্ষার্থীদের মঝে সনদ বিতরণ করেন এবং তাদের সঙ্গে পৃথক ফটো সেশনে অংশগ্রহণ করেন। পরে তিনি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও উপভোগ করেন।
প্রধানমন্ত্রী তার উন্নয়নের সুফল এ সময় তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সরকারি কর্মচারীদের নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সরকারি নবীন কর্মচারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো কাজ যে ছোট কাজ নয়, এ কথাটাও মানুষকে বোঝাতে হবে। লেখাপড়া শিখলেই আমি ধান কাটতে পারব না, এই যে মানসিকতা তা পরিহার করতে হবে। ধান কাটার লোক না পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ছাত্রলীগকে নিজ নিজ এলাকায় ধান কাটায় নেমে যাওয়ার হুকুম দেন বলে জানান।
১৭৫৭ সালে ২৩ জুন, পলাশীর আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হওয়ার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সৃষ্টিই হয়েছিল এ দেশকে স্বাধীনতা এনে দেয়ার মাধ্যমে শোষিত-বঞ্চিত মানুষকে অর্থনৈতিক মুক্তি দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে। তাই এই দিনেই পুরান ঢাকার কেএম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে দলটির জন্ম। তিনি এ সময় ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের ডন পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী সামরিক ও বেসামরিক চাকরিতে পূর্ববাংলার জনগণের বঞ্চনার চিত্র উল্লেখ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশিদের মাঝে বাঙালি জাতিসত্তার উন্মেষ ঘটানোর ২৩ বছরের প্রাণান্তকর প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের গত ১০ বছরের ধারাবাহিক শাসনে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি অনেক উজ্জ্বল হয়েছে।
 আরও পড়ুন : Today bangla news
0 notes
Video
youtube
ভারত ও পাকিস্তান। দুই দেশের হাতেই রয়েছে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র। এক দেশ থেকে আরেক দেশে ভয়াবহ আঘাত করতে সক্ষম এসব অস্ত্র। ভারতের হাতে আছে অগ্নি-৩ ক্ষেপণাস্ত্রসহ ৯ ধরনের অপারেশনাল ক্ষেপণাস্ত্র। এগুলোর পাল্লা ৩০০০ থেকে ৫০০০ কিলোমিটার। অন্যদিকে পাকিস্তানের হাতে আছে শাহিন-২ ক্ষেপণাস্ত্র। এর পাল্লা ২০০০ কিলোমিটার। এ ছাড়া আছে ১৪০ থেকে ১৫০টি পারমাণবিক ওয়ারহেড। সে তুলনায় পিছিয়ে আছে ভারত। ভারতের হাতে আছে এমন ১৩০ থেকে ১৪০টি অস্ত্র। যদি এই মুহূর্তে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ লেগে যায় তাহলে এসব পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সমূহ ঝুঁকি রয়েছে। আর যদি তাই হয় তাহলে জিতবে কে? বিশেষ করে গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পালওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলায় ভারতের কমপক্ষে ৪০ জন সিআরপিএফ সদস্য নিহত হওয়ার ফলে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছে। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী জৈশ-ই-মোহাম্মদ। এর জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করছে ভারত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ হামলার কড়া জবাব দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলে দিয়েছেন, এক্ষেত্রে সেনাবাহিনীকে স্বাধীনতা দেবেন। অন্যদিকে পাকিস্তানও সমস্বরে জবাব দিয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যদি তার দেশে হামলা চালানো হয় তবে প্রতিশোধ নেবেন তারাও। দুই দেশের সামরিক কর্তারাও কম যাননি। তারাই একই রকম হুমকি দিয়েছেন। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর এ দুটি দেশের মধ্যে কাশ্মির ইস্যুতে দুটি যুদ্ধ হয়েছে। এখন যদি সত্যিই আরেকটি যুদ্ধ বেধে যায় তাহলে কে জিতবে আর কে হারবে? এমন বিশ্লেষণ শুরু হয়ে গেছে। এখানে দুই দেশের সামরিক শক্তির তুলনামূলক একটি বিশ্লেষণ তুলে ধরা হলো: সামরিক বাজেট ২০১৮ সালে ভারত সামরিক খাতে বরাদ্দ দিয়েছে ৪ লাখ কোটি রুপি, যা তার জাতীয় প্রবৃদ্ধির শতকরা প্রায় ২.১ ভাগ। দেশটিতে রয়েছে ১৪ লাখ সক্রিয় সেনাসদস্য। এ তথ্য ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (আইআইএসএস)। অন্যদিকে গত বছর পাকিস্তান তার সামরিক খাতে খরচ করেছে এক লাখ ২৬ হাজার কোটি রুপি, যা তার জাতীয় প্রবৃদ্ধির শতকরা প্রায় ৩.৬ ভাগ। দেশটিতে রয়েছে ৬ লাখ ৫৩ হাজার ৮০০ সেনা সদস্য। ২০১৮ সালে তারা সামরিক খাতে বৈদেশিক সহায়তা পেয়েছে ১০ কোটি ডলার। ১৯৯৩ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে পাকিস্তানে সরকারের মোট বার্ষিক খরচের মধ্যে শতকরা ২০ ভাগেরও বেশি খরচ করা হয়েছে সামরিক খাতে। এ তথ্য স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্স ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআআই)। এতে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে সরকারি খাতের শতকরা ১৬.৭ ভাগ খরচ হয়েছে সামরিক খাতে। তুলনামূলকভাবে ২০১৮ সালে ভারতে সামরিক খাতে সরকারি খরচের পরিমাণ শতকরা ১২ ভাগের নিচে রয়েছে। ২০১৭ সালে তা ছিল শতকরা ৯.১ ভাগ। ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্র কার বেশি? ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশের হাতেই আছে ব্যাপক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। এগুলো পারমাণবিক অস্ত্র। ভারতের আছে ৯ ধরনের অপারেশনাল ক্ষেপণাস্ত্র। ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের (সিএসআইএস) তথ্যমতে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র হলো অগ্নি-৩। এর পাল্লা ৩০০০ কিলোমিটার থেকে ৫০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। অন্যদিকে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি গড়ে উঠেছে চীনের সহায়তায়। তাদের রয়েছে মোবাইল শর্ট এবং মধ্যম পাল্লার অস্ত্র। সিএসআইএস বলছে, এসব অস্ত্র ভারতের যেকোনো স্থানে হামলা চালাতে সক্ষম। তাদের হাতে রয়েছে যেসব ক্ষেপণাস্ত্র তার মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হলো শাহিন-২। এর পাল্লা ২০০০ কিলোমিটার। কোন সেনাবাহিনী শক্তিশালী বেশি? আইআইএসএসের মতে, ভারতের আছে ১২ লাখ শক্তিশালী সেনাসদস্য। তাদের সহায়তায় রয়েছে কমপক্ষে ৩৫৬৫টি যুদ্ধক্ষেত্রে মোতায়েনযোগ্য ট্যাংক, ৩১০০ ইনফ্যান্ট্রি যুদ্ধযান, ৩৩৬টি আর্মড পারসোনেল ক্যারিয়ার এবং ৯৭১৯ পিস আর্টিলারি। এক্ষেত্রে পাকিস্তান অনেকটা খর্ব। তাদের কাছে আছে মাত্র ৫ লাখ ৬০ হাজার সেনা সদস্য। ট্যাংক আছে ২৪৯৬টি। আছে ১৬০৫টি আর্মড পারসোনেল ক্যারিয়ার। ৪৪৭২টি আর্টিলারি গান। আরো আছে ৩৭৫টি স্বচালিত ছোট কামানবিশেষ। এ মাসে আইআইএসএসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের কাছে সেনাসদস্য বেশি থাকা সত্ত্বেও তাদের সক্ষমতা কম। কারণ, তাদের পর্যাপ্ত লজিস্টিক, রক্ষাবেক্ষণ, গোলাবারুদ ও খুচরা যন্ত্রাংশের ঘাটতি রয়েছে। বিমান বাহিনী ভারতের বিমান বাহিনীতে আছেন ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ সদস্য। তাদের কাছে আছে ৮১৪টি যুদ্ধজাহাজ। ভারতের বিমান বাহিনী পাকিস্তানের চেয়ে যথেষ্ট বড়। কিন্তু তাদের যুদ্ধজাহাজের উড্ডয়ন নিয়ে উদ্বেগ আছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের বিমানবাহিনীতে আছে রাশিয়ার পুরনো জেট। যেমন মিগ-২১। এগুলো ১৯৬০ এর দশকে প্রথম ব্যবহার হয়েছিল। এসব জেট বিমান শিগগিরই সরিয়ে ফেলা হবে। অন্যদিকে ২০৩২ সাল নাগাদ ভারতের হাতে আসতে পারে ২২টি স্কোয়াড্রন। পাকিস্তানের হাতে আছে ৪২৫টি যুদ্ধবিমান। এর মধ্যে রয়েছে চীনা প্রযুক্তির এফ-৭ পিজি এবং আমেরিকান এফ-১৬ ফাইটিং ফলকন জেট। এ ছাড়া তাদের হাতে আছে ৭টি আগাম সতর্কতা ও নিয়ন্ত্রণবিষয়ক এয়ারক্রাফট। ভারতের চেয়ে এক্ষেত্রে পাকিস্তানের হাতে আছে তিনটি এয়ারক্রাফট বেশি। আইআইএসএস তার ২০১৯ সালের এক হিসাবে বলেছে, পাকিস্তানের বিমানবাহিনী আরো সমৃদ্ধ হচ্ছে। নৌ বিাহিনী ভারতের নৌবাহিনীর হাতে আছে একটি যুদ্ধজাহাজ বহনকারী জাহাজ। আছে ১৬টি সাবমেরিন, ১৪টি ডেস্ট্রয়ার, ১৩টি ফ্রিগেট, ১০৬টি পেট্রোল ও উপকূলীয় যুদ্ধবিষয়ক যান, ৭৫টি যুদ্ধে ব্যবহারযোগ্য এয়ারক্রাফট। তা ছাড়া ভারতের নৌবাহিনীতে আছে ৬৭ হাজার ৭০০ সদস্য। তবে পাকিস্তানের উপকূলভাগ ভারতের চেয়ে কম। তাদের এ জন্য অস্ত্রের পরিমাণও অত বেশি নয়। তাদের কাছে আছে ৯টি ফ্রিগেট, ৮টি সাবমেরিন, ১৭টি পেট্রোল ও উপকূলে ব্যবহারযোগ্য যান, ৮টি যুদ্ধে ব্যবহারযোগ্য যুদ্ধজাহাজ। by channel 40
0 notes
crime-protidin-blog · 5 years
Photo
Tumblr media
'যুদ্ধে' কে জিতলেন ইমরান না মোদি? ক্রাইম প্রতিদিন : গত কয়েকদিন ধরে বিশ্ববাসীর সবার নজর ভারত-পাকিস্তানের দিকে। যদিও দু'দেশের মধ্যকার সেই উত্তেজনা অনেকটা প্রশমিত হয়েছে। হেফাজতে থাকা ভারতীয় বিমান বাহিনী পাইলট অভিনন্দনকে মুক্তি দেওয়ার কথা যখন বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, তখন থেকেই ভারতে ফেসবুক-টুইটারসহ সামাজিক গণমাধ্যমেও এ নিয়ে ব্যতিব্যস্ত এবারের যুদ্ধে কে জিতলেন? অনেকে খোলাখুলি ইমরান খানের প্রশংসা করছেন। আবার, কট্টর ভারতীয়দের মতে, মোদির দৃঢ়চেতা নেতৃত্বের কারণেই পাকিস্তান বিনা শর্তে পাইলটকে ফেরত দিচ্ছে। ফেসবুক টুইটারের মতো সামাজিক মাধ্যম হোক বা হোয়াটসঅ্যাপের মতো যোগাযোগ মাধ্যম - সব মাধ্যমেই গত ৪-৫ দিন ধরে চর্চার বিষয় মূলত একটাই - ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা। পাকিস্তানের সীমানায় ঢুকে ভারতীয় বিমান থেকে যখন বোমাবর্ষণ হল, সেইদিনটা ছিল নরেন্দ্র মোদির পক্ষ নিয়ে ব্যাপক উচ্ছ্বাস প্রকাশের দিন। পরের দিন আবার ভারতের আকাশসীমা অতিক্রম করে পাকিস্তানি বিমান ঢুকে পড়ায় সেই উচ্ছ্বাসে ভাটা পরেছিল একটু। আর উত্তেজনাময় তৃতীয় দিন, বৃহস্পতিবার যখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ঘোষণা করলেন যে গ্রেপ্তার হওয়া পাইলটকে মুক্তি দেবেন তারা, সেদিন পাল্লাটা যে কোন পক্ষে ভারি, সেটা গবেষণার বিষয়। এক ফেসবুক ব্যবহারকারী অমিতাভ আইচ লিখেছেন, '১৯৮১ সালে যখন পাকিস্তানে খেলতে যায় ভারত, তখন রিভার্স সুইং সম্বন্ধে কোনো ধারণা ছিল না। ইমরান খানেরই আবিষ্কার ওটা। গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথের মতো ব্যাটসম্যান, যাকে ফাস্ট বোলিং সামলানোর অন্যতম সেরা বলে মনে করা হত, তিনি বারেবারেই ওই রিভার্স সুইংয়ে আউট হয়ে যাচ্ছিলেন। তার ক্যারিয়ারই এক রকম শেষ হয়ে গিয়েছিল ইমরানের ওই বলে।' মি আইচ বলেন, 'গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথের ক্যারিয়ারই ইমরানের খানের রিভার্স সুইং আর ইনডীপারের সামনে প্রায় হারিয়ে গেল, তাহলে নরেন্দ্র মোদির কী হবে, সেটাই ভাবছি।" নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপির পক্ষ নিয়ে নিয়মিতই ফেসবুক পোস্ট করেন বিজেপির এক নেতা দীপ্তিমান সেনগুপ্ত। তার কথায়, "পাকিস্তান নানা উগ্রপন্থী সংগঠনকে দিয়ে একটা ইয়র্কার দিতে গিয়েছিলেন, কিন্তু নরেন্দ্র মোদি নিঃসন্দেহে একটা ছক্কা মেরেছেন। আমাদের কিছু সৈনিক মারা গেছেন ঠিকই, কিন্তু দেশ একত্রিত হয়ে গেছে। ১৯৪৭ এর পর থেকে এত বড় চাপ পাকিস্তানের ওপরে আর কেউ তৈরি করতে পারেনি।" সামাজিক মাধ্যমে খুবই অ্যাক্টিভ কলকাতার অধ্যাপক গর্গ চ্যাটার্জী। তিনি অবশ্য কে হারল কে জিতল তার বাইরে গিয়ে একটু অন্যভাবে দেখতে চান এই ঘটনাক্রমে। তিনি বলেন, "একটা যুদ্ধে উভয় পক্ষেরই সাধারণ মানুষই হারে। তবে এক্ষেত্রে বলব যে পাকিস্তানে বেশ কিছু সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের ঘাঁটি রয়েছে, সেই দেশই যখন একজন ভারতীয় পাইলটকে ছেড়ে দেয়, তাতে বলাই যায় অ্যাডভান্টেজ পাকিস্তান। কারণ তারপরে ভারতের বাহিনীও কিন্তু বলেছে এরপরে আর আগ্রাসন না হলে তারাও আর কিছু করবে না " যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাকলি সেনগুপ্তও নজর রেখেছিলেন সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত মতামতগুলির ওপরে। তিনি বলছেন, "ইমরান খানের ঘোষণার পরে সামাজিক মাধ্যমে নানাভাবে সেটাকে ব্যাখ্যা করছেন মানুষ। এইরকম দুটি দেশের মধ্যে যখন একটা উত্তেজনাকর পরিস্থিতি থাকে, তার মধ্যেই যদি কোনও পক্ষ একটা শান্তির বার্তা দেয়, তাহলে তাদের একটা আশঙ্কা থাকেই যাতে অপর পক্ষ সেই বার্তাটাকে তাদের দুর্বলতা হিসেবে না দেখে। আবার অন্য দেশটিও ব্যাখ্যা করতে পারে যে তাদের কাছে মাথা নোয়াতে হল অন্য দেশটিকে।" "আমার মতে এভাবে বিষয়টাকে ব্যাখ্যা করাই উচিত নয়। কারণ যখন ঐতিহাসিকভাবেই বৈরিতা আছে এমন দুটি দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমন করাটাই সবথেকে জরুরি। প্রয়োজন আলোচনায় বসার," বলছিলেন মিজ সেনগুপ্ত। সামাজিক মাধ্যমে যেমন নানা জন নানা মত প্রকাশ করছেন ভারত পাকিস্তানের মধ্যকার এই কদিনের উত্তেজনা নিয়ে, তেমনই চলছে বেশ কিছু হ্যাশট্যাগও - হাজার হাজার টুইট করছেন সেখানে মানুষ - কেউ আবার নানা ধরণের কার্টুনও শেয়ার করছেন। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে ভারতের পশ্চিম সীমান্তে যুদ্ধ না হলেও ফেসবুক টুইটারে রীতিমতো যুদ্ধই বেধে গেছে ভারত পাকিস্তানের দুই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আর ইমরান খানের পক্ষে এবং বিপক্ষে। - বিবিসি বাংলা
0 notes
bangladaily · 4 years
Text
সার্ক নেতাদের সঙ্গে ভিডিও করফারেন্সে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী
কূটনৈতিক সংবাদঃ সার্কভূক্ত দেশ সমূহের নেতাদের সঙ্গে করোনা মোকাবেলায় জরুরী পদক্ষেপ নিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সার্কভুক্ত দেশের নেতারা। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রদুর্ভাব মোকাবেলায় কৌশল ঠিক করতেই এই ভিডিও কনফারেন্সের আহ্বান জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ১৫, মার্চ, রবিবার বিকালে এই ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানান, শুক্রবার টুইটে করোনাভাইরাসের কৌশল ঠিক করতে সার্কভুক্ত দেশের নেতাদের ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিনই মোদির আহ্বানে সাড়া দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে সম্মতি জানান সার্কভুক্ত দেশের সব নেতারা। তবে একমাত্র পাকিস্তান শনিবার ওই কনফারেন্সে যুক্ত হওয়ার কথা জানায়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, রবিবার বিকাল ৫টায় (নয়াদিল্লির সময়) ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হবেন সার্কভুক্ত সাতটি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা। আর পাকিস্তানের পক্ষে তাদের একজন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা যুক্ত হবেন এই কনফারেন্সে। এতে নেতারা করোনাভাইরাস থেকে নাগরিকদের সুরক্ষার কৌশল নিয়ে কথা বলবেন। -কেএম Read the full article
0 notes
muktimusician · 5 years
Text
a k m mozammel haque, will see you
মহান মুক্তিযুদ্ধে যে সব উন্মাদ পাগল নিজের জীবন দিয়ে দেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করার জন্য ঝাপিয়ে পড়েছিল; তারা কেন অবহেলিত? আ ক ম মোজাম্মেল হক?  মহান আল্লাহ্‌র দরবারে আপনাকে জবাব দিহি করতে হবে। ভুলে যাবেন না-জাতিরজনক তাঁর নিজের ৩ সন্তানের চেয়ে কোন মুক্তিযোদ্ধাকে কম ভালো বাসেননি। কাউকে সন্মান না দেখাতে পারেন, কোন মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করার অধিকার আপনার নেই; আপনি হোন মন্ত্রী সাংসদ বা কোন ব্রিগেডিয়ার অথবা জেনারেল আব্দুল্লাহ । শেখ হাসিনারও কোন অধিকার নেই কোন মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করার। mind it. ৭ দিন কি ৮ দিন পায়ে হেটে না খেয়ে মুজিবনগরে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম একটি স্বাধীন সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নেশায়। এ নেশা সাড়ে সাত কোটি মানুষের রক্তে মাংসে অস্তিত্বে মগজে সেলের মত বিধেছিল ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ “পশ্চিমা হানাদার বাহিনীর হাত থেকে বাংলাকে মুক্ত করতে হবে” জাতিরজনকের এই উদাত্ত আহবানে সারা দেয়া কী ভুল সিদ্ধান্ত ছিল? তাই আমি মুক্তিযোদ্ধা। নামবিহীন অস্তিত্ববিহীন মুক্তিযোদ্ধা! নাম বদলে দিলাম। মোঃ মোকতেল হোসেন থেকে নাম বদলে হয়ে গেলাম মোকতেল হোসেন মুক্তি। পরবর্তীতে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু ১৩ই এপ্রিল ১৯৭২ সালে মন্ত্রী পরিষদ গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হলে মাদারীপুরের কৃতি সন্তান মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক খাদ্যমন্ত্রী প্রয়াত ফনি ভূষন মজুমদারের অনুস্বাক্ষরে বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবীল থেকে এক হাজার টাকার অনুমোদন (মাদারীপুর মহকুমা প্রশাসক অফিসে) এবং ৩ বান ঢেউ টিন প্রদান করেন। ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের রেকর্ডে একজন মুক্তিযোদ্ধার কোটায় আমার চাকুরী হয়েছিল। স্বাধীন বাংলাদেশের সচিবালয়ে আমিই ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রথম নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী ছিলাম। আমার ডিউটি ছিল জননেত্রী শেখ হাসিনার ফুফা, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি, সাবেক চীপ হুইপ আলহাজ্ব হাসনাত আব্দুল্লাহ সেরনিয়াবাত এর গর্বিত পিতা, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনি ভাইয়ের শ্বশুর, সাংসদ ব্যারিষ্ঠার তাপসের নানা সাবেক কৃষক লীগের সভাপতি ভুমি মন্ত্রী ও পরবর্তীতে পানি সম্পদ মন্ত্রী শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের বাসায়।ইতিহাসের ঘৃণ্য কালো অধ্যায় ১৫ই আগস্টের মধ্যযূগীয় বর্বর হত্যাকান্ডের লাশ দেখে আমি পাগল হয়ে যাই। পিজি হাসপাতালে আমার ৩ মাস চিকিৎসা চলে এবং সে তিন মাসের বেতন ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তন করে। এ কথা সকলেই জানেন। আমি ভারতের প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। আমার ঘরের সব কাগজপত্র আমার ভাইদের শিক্ষার সনদ, জমির দলিল দস্তাফেজ সমূহ সব মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ছিড়ে ফেলি। আমার পরিবারের সব আমি ধংস করে ফেলেছিলাম। ভুমি মন্ত্রনালয় তার প্রমান। আমি মন্ত্রীকে এসব কথা বলাতে আমাকে অপমান করতে পারেন না। আমি প্রবাসে থাকি। আমাকে আবেদনের সুযোগ না দিয়ে অপমান করার অধিকার মন্ত্রীর নাই। তিনি আমার দরখাস্ত গ্রহন করা ও না করার অধিকার রাখেন কিন্তু মেজর জেনারেল সুবিদ আলীর নির্দেশে আমাকে অপমান করতে পারেন না। তিনি আমার আবেদনে লিখেছেন “যেহেতু আবেদনকারী বহুবার দেশে এসেছিলেন এবং আবেদন করেন নি তাই তার আবেদন গ্রহন করা গেল না” তিনি মেজর জেনারেল সুবিদ আলীর শিখানো কথা মত বললেনঃ ৪৫ বছর পরে মুক্তিযোদ্ধা হতে এসেছে। বের করে দেন”। আমি মুক্তিযোদ্ধাই নই, একজন সক্রিয় আওয়ামি যোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধ ছাড়া আমার জীবনে অন্য কোন বিষয় কাজ করেনি এবং এ মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগই আমার ধ্যান ধারনা চিন্তা চেতনা আদর্শ এ কথা প্রমান করে আমার ৬০ হাজার প্রায় লীফলেটস, ব্যানার ও পোষ্টার এশিয়ায় ইন্টারনেট চালু হবার পর থেকেই কার বিনা প্ররোচনায় করে এসেছি। শুধু তাই নয় আমি ২০০ ওয়েব সাইট ও ব্লগ মেইনটেইন করি যা’শুধু যুদ্ধাপরাধী মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ সংক্রান্ত। এ সকল ছবি ও ব্লগ/ওয়েবসা���টগুলোই প্রমান করে যে আমি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রীতিমত একজন বদ্ধ উন্মাদসম গবেষক। Just write my name on the google search engine where you’ll get real Identity of mine “write Moktel Hossain Mukthi or muktimusician. এ ছাড়াও আমি একজন একনিষ্ঠ অনলাইন আওয়ামী যোদ্ধা। মালদ্বীপের বঙ্গবন্ধু পরিষদ এবং আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, মালদ্বীপের মাটিতে আমিই সর্ব প্রথম মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধু এবং পাকিস্তানের ৩০ লক্ষ বাঙ্গালী হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য জনসভায় বক্তৃতা প্রদান করে পাকিস্তান হাই কমিশনের মামলা খাওয়া একজন মালদ্বীপ সরকারের শিক্ষক। মন্ত্রী মহোদয় এ সব পরিচয় জানার পরেও বলেন নি যে আপনি বসেন বা কিছু বরং তাঁর আচার ব্যবহার এতই রুঢ় ছিল যা’ শিবির বা জামাতের কারো সাথে করছেন বলে অনুমেয়। আমার সাথে ভদ্র ভাষায় কথাও বলেন নি। এক পর্যায়ে জেনারেল সুবিদ আলীর কথায় তিনি আমাকে ঘাড় ধরে তাঁর কক্ষ থেকে বেড় করে দেয়ার কথা বলেন এবং অতঃপর………।। তিনি মন্ত্রী না হলে হয়তো সেখানেই কোন দুর্ঘটনা ঘটে যেতো। আমি আমার নিজেকে নিয়ন্ত্রন করে চলে আসি। আমার সহযোদ্ধারা এখনো অনেকেই বেচে আছেন। ড: গোলাপ আমার সাথের একই ক্যাম্পের যোদ্ধা। আওয়ামি যোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী সব সময় প্রচন্ড মিথ্যা কথা বলেন। যা’ মিডিয়া ও বক্তৃতায় বলেন, বাস্তবের সাথে তার কোন মিল নেই; তিনি যা বলেন সব মিথ্যা কথা মিথ্যা তথ্য। এখনো বহু আসল মুক্তিযোদ্ধার নাম তালিকাভুক্ত করতে পারেনি অথচ তিনি বক্তৃতায় ঘোষনা করলেন সকল জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের কথা রেকর্ড করা হবে। আসল অনেক মুক্তিযোদ্ধার নামই সংগ্রহ করতে পারেন নি-তিনি কিভাবে এ ঘোষনা প্রদান করেন? তার দেয়া সব তথ্য জাতিকে বিভক্ত করছে; মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কলঙ্কিত হচ্ছে। নতুন তালিকা প্রণয়নের নামে এগুলো প্রতারণা। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী মিথ্যাচার করছেন। মিডিয়া, দেশবাসী এমন কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে প্রতারণা করছেন । দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উপজেলা ও জেলাসমূহে যে দুর্নীতি চলছে, যে সনদ ও মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ের নামে ব্যবসা বাণিজ্য শুরু হয়েছে তাতে আওয়ামী লীগের বিগত বছরগুলোর সকল সফলতা এমন কি মহান মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের যে অবদান সব মলিন হয়ে যাবে এই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীদের মত স্বজনপ্রীতি দুর্নীতি গ্রস্থ নেতা/কমান্ডারদের কারনে। কারন আপনি আদর্শিক কারনে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষন ও মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন করছেন। সমস্ত মন্ত্রী এম পি দের তৃনমূলের সাথে কোন সম্পর্ক নেই। ক্ষমতা ও অর্থ সম্পদ শালী মধ্য শ্রেণীর নেতা যার মধ্যে অর্ধেকই প্রায় জামাত শিবির ও বি এন পি, তাদের সাথে তাল মিলিয়ে, হাত মিলিয়ে আমার মত পাগল ছাগল নিবেদিত ত্যাগি সৎ নিষ্ঠাবান অভিজ্ঞ উচিত কথাবলার প্রকৃত মুক্তিসেনাদের এভাবেই তারা অপমান তাচ্ছিল্য করে দূরে সরিয়ে রাখে। যে কারনে ছাত্রলীগের ছেলেদের সেনাবাহিনী নৌ বাহিনী বিমান বাহিনী পুলিশ বিজিবি ও অন্যান্য সরকারী ভালো পদে চাকুরী হয় না। কারন ওরা ত টাকা দিতে পারবে না। দলীয় ছাত্র লীগের ছেলেদের নিকট টাকা চাইতেও পারে না; যদি আবার নেত্রীকে বলে দেয় বা জানিয়ে দেয়। তাই গোপনে আওয়ামী লীগের নেত্রীর বিশ্বাসী নেতাগন গোপনে চাকুরী প্রদান করে, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীদের ভর্তির সুপারিশ ও তদবীর করে জামাত বি এন পির ছেলে মেয়েদের । কারন টাকা পাওয়া যাবে।উত্তরা ও এয়ারপোর্ট থানা এলাকায় আমার বাস। আমার জানা মতে ঠিক আমারই মত ত্যাগি জীবনবাজী রেখে নৌকার জন্য ভোট সংগ্রহ কারীর একটি মেয়েকে বঙ্গ মাতা স্কুলে ভর্তির জন্য কি না করেছে? মায়া ভাই পর্যন্ত বিষয়টি জানতেন। সে মেয়েটি সুযোগ পায়নি; দেখা গেছে-ঢাকা এয়ারপোর্ট ও বিমানে চাকুরীরত জামাত বি এন পির ছেলে মেয়েরা অজানা রহস্যের কারনে সবাই সুযোগ পেয়ে গিয়েছে। এর নাম স্বাধীনতা ? মুক্তিযুদ্ধ ? আওয়ামী লীগ ? এত সে বঙ্গবন্ধুর নৌকা ডুবানোর দুরদন্ত শয়তানী মাঝি খন্দকার মোস্তাক আহমেদ, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, চাষী মাহবুবুল আলম, নূরুল ইসলাম, কে এম ওবায়দুর রহমান তাহের উদ্দিন ঠাকুরদের চেয়ে একটূ কম নয়। আমিই হলাম বাঙ্গালী জাতির মধ্যে সবচেয়ে কুলাঙ্গার। ধিক্রিত অবহেলিত লাঞ্ছিত মূর্খ বেয়াকুপ বেয়াক্কেল আহাম্মদ বোকা গাধা । না পারলাম প্রাণ খুলে হাসতে না পারলাম দুটি কন্যা সন্তানকে প্রাণ খুলে হাসাতে। কি লাভ হল? এ স্বাধীনতায়? যে স্বাধীনতা আমার অস্তিত্বকে স্বীকৃতি দেয় না; সে স্বাধীনতাকে আমি কেন স্বীকৃতি দেব? রাষ্ট্রই যদি আমাকে নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি না দেয়, আমি কেন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবো? কেউ দেবে না। এটাই নিয়ম, এটাই লজিক। জানি আমি এতে হবো রাষ্ট্রদ্রোহী। তাও মন্দ কী? একটা কিছু ত হবো? আওয়ামী লীগের একজন মন্ত্রী একজন মুক্তিযোদ্ধাকে ঘাড় ধরে বেড় করে দেয়?? এ স্বাধীনতার অর্থ কী? কেন পেলাম? কি আশায় স্বাধীন হলাম? কিসের নেশায় নৌকা নৌকা মুজিব মুজিব করে জীবনের শেষ অবস্থানটুকুকে ধূলিসাৎ করে দিয়ে নির্বাসিত হলাম এই দ্বীপ রাজ্য মালদ্বীপে । ভুল কোথায়? ভুল তো আছেই হয়তো জানিনা জীবনের কোথায় কোন সিদ্ধান্তে বড় রকমের ভুল ছিল। তাই ভুলের মাশুল দিয়ে গেলাম ৬৫ বছর বয়সের মুক্তিযোদ্ধা মোকতেল হোসেন মুক্তি। ভুল তথ্য দিচ্ছেন। এর সমাধান চাই। এর একটি পরিস্কার ব্যাখ্যা চাই; সত্যের জয় হবে; তাই চাই; জাতিরজনকের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ ক্ষমতায় থেকে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের নিয়ে রঙ তামাশা করবে; মুক্তিযোদ্ধা নির্ধারণের নামে ব্যবসা করবে, এর জন্য যুদ্ধে যাইনি, এর জন্য ৩০ লক্ষ বাঙ্গালী শহীদ হয়নি; এর জন্য ২ লক্ষ ৪০ হাজার মা বোনের ইজ্জত হারায়নি। আসল মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাই করতে ব্যর্থ মোজাম্মেল হক। এই মিথ্যাচারের জন্য আল্লাহ্‌ বিচার করবেন রোজ হাসরের দিন। মহান আল্লাহর বিচারে কারো হাত নেই। আল্লাহর উপরে কোন মন্ত্রী নেই; আল্লাহর উপরে বিচারক নেই; রোজ হাসরের থেকে শক্তিশালী ক্ষমতাবান কোন আদালত নেই। বহু আসল মুক্তিযোদ্ধা এখনো তালিকার বাইরে এবং এ সমস্যা আগামী ১০০ বছরেও কোন সরকার সমাধান করতে পারবে না। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের কথা রেকর্ড হবে । মন্ত্রী নিজেও জানে না যে উপজেলা জেলা গুলোতে এই তালিকা নিয়ে কি পরিমান টাকার ছাড়াছড়ি চলছে? কি পরিমান ব্যবসা করছে নব্য থানা কমান্ডারগণ। এমন কোন উপজেলা নেই যেখানে সত্যকারের মুক্তিযোদ্ধা বাদ পড়ে নাই এবং ভূয়া মিথ্যা তথ্য প্রদানকারী মন্ত্রীর ক্ষমতা বলে নয়তো এম পির ক্ষমতা বলে অথবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ক্ষমতা বলে নতুন তালিকায় নাম লিখিয়েছে। এমন প্রমান আমার গ্রামে আমার ইউনিয়নে রয়েছে। আমি ত অন্যের ক্কথা শূনে এ সব লিখিনি ভাই।ফুরিয়ে যাচ্ছে ৭১ এর সোনার ছেলে মেয়েরা, বেচে থাকবে শুধু ৭১ এ জন্ম নেয়া নব্য মুক্তিযোদ্ধারা, যারা লক্ষ টাকায় মুক্তিযুদ্ধের সনদ কিনে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে। আমরা মুজিবনগরে (ভারতে) প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা এর চেয়ে বড় পরিচয়ের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ডঃ আব্দুস সোবহান গোলাপ ভারতের চাদপাড়া এবং পরবর্তীতে ব্যারাকপুর মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রশিক্ষণ নেয়া মুক্তিযোদ্ধা এবং আমরাও একই সময়ে একই শিবিরে একই কমান্ডারের অধীন প্রশিক্ষণ নেয়া মুক্তিযোদ্ধা। ডঃ আব্দুস সোবহান গোলাপের নাম যদি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের তালিকায় থাকতে পারে, তবে আমাদের নাম থাকবে না কেন? শুধু আমরা নই, সারা বাংলাদেশে বহু অখ্যাত অপরিচিত অশিক্ষিত অজো পাড়া গায়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বহু প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম এখনো তালিকাভুক্ত হয়নি। বহু মুক্তিযোদ্ধা ইতোমধ্যেই পরলোকগমন করেছেন, কোন স্বীকৃতি ও সুযোগ সুবিধা ভোগ না করেই তারা চলে গেছেন বাঙ্গালী জাতিকে মহান স্বাধীনতা প্রদান করে। তাদের নাম কে তালিকাভু��্ত করবে? কেন একটি সঠিক তদন্ত কমিটি কর্তৃক সারা দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করা হয়নি? এ প্রশ্ন সরকার ও দেশবাসীর কাছে। আমরা মনে করি মহান মুক্তিযুদ্ধের নেত্রিত্বদানকারী দল হিসেবে জাতিরজনক বংগবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকারের এ মহান দায়িত্ব মুক্তিযোদ্ধাদের জীবদ্ধশায় সম্পন্ন করা উচিত। সবাই শেয়ার করুন, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সত্যিকারে শ্রদ্ধা থাকে। আমার সার্টিফিকেট দরকার নাই। কোন ভাতার দরকার নাই। আপনি মুসলমান দাবী করলে আমি কেন করবো না? আমিও তো নামাজ পড়ি? মন্ত্রী আমাকে অপমান করতে পারে না। তার চেয়ে আওয়ামী লীগের জন্য আমার অবদান সেই ৬৯ থেকে অদ্যাবধি তিল পরিমান কম নয়; বঙ্গবন্ধু আমাকে চাকুরী দিয়েছিলেন সচিবালয়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে। অমুক্তিযোদ্ধা ভাতা পায় এবং তা আওয়ামী লীগের আমলে এবং আওয়ামী লীগের মন্ত্রীর স্বাক্ষরে কেন? আমার কি ইচ্ছে করে না যে আমার সন্তান মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হোক। আমার সন্তানের কি ইচ্ছে করে না, তার বাবা মুক্কতিযোদ্ধা এ কথা অন্য দশজনের নিকট বলে গৌরব বোধ করতে? মন্ত্রীর ইচ্ছে মত চলতে পারে না; এ সব তথ্য নেত্রীর জানা দরকার। নিবেদক - মোকতেল হোসেন মুক্তি, কন্ঠশিল্পী মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সময়৭১। মালদ্বীপ আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু পরিষদ, মালদ্বীপ শাখা সাধারণ সম্পাদক মালদ্বীপস্থ প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটি এসোসিয়েশন সুরকার গীতিকার ও সঙ্গীত পরিচালক সঙ্গীত শিক্ষক জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু । সমাজের মানুষের সৃষ্ট সকল জঞ্জাল তথা এ ঘুনে ধরা বনাঞ্চল, ডাস্টবিনের ময়লায় কলুষিত নোংড়া নরপৈশাচিক মন মানসিকতায় সিক্ত, ক্ষমতার দাম্ভিকতায় উচ্ছৃঙ্খল সন্ত্রাসী লুটার সর্বস্ব-ঘুনে ধরা সমাজ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হলে যা'করতে হবেঃ ********************** “সমাজপতি, ধনপতি, কোটিপতি, পুঁজিপতি, মওজুতদার, মুনাফাখোর, ঘুষখোর, দুর্নীতিপরায়ণ, মিথ্যাচারী, স্বৈরাচারী, ভন্ড, প্রতারক, জোচ্চর, ধূর্ত, কূটকৌশলী, জ্ঞানপাপি, নাপিতদের সার্ফ এক্সেল দিয়ে মগজ ধোলাই” “বঙ্গবন্ধুর গান” আর হলনা মুক্তির গাওয়াঃ ৩ টি এলবামের জন্য ৩০ টি গান রেডী করেছিলাম “বঙ্গবন্ধুর গান” মিউজিক ট্র্যাক সব ঠিক ঠাক-দেশে যাবো অবসর নেবো মালদ্বীপের সরকারী চাকুরী থেকে আর এই ডিসেম্বরেই প্রকাশ করবো। আর হলনারে সুবিদ আলী ভূইয়া। ভালোভাবে বাচতে দিলিনা।
0 notes
sentoornetwork · 5 years
Text
ইমরানের মনোভাব মধযুগীয়, তোপ ভারতের
New Post has been published on https://sentoornetwork.com/india-strongly-opposed-imrans-comment/
ইমরানের মনোভাব মধযুগীয়, তোপ ভারতের
বিশেষ সংবাদদাতা : পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চকে ব্যবহার করে ভারতের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়িয়েছেন। একজন রাষ্ট্রনেতা হয়ে তাঁর আচরণ ও বক্তব্য ধ্বংসাত্মক। তিনি বিশ্বকে কার্যত দুই শিবিরে বিভক্ত করতে চেয়েছেন। ইমরান খানের ভাষণের জবাব দিতে গিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের ফার্স্ট সেক্রেটারি বিদিশা মৈত্র বলেন, তাঁর ভাষণ অত্যন্ত প্ররোচনামূলক। দুর্ভাগ্যজনক। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও আরএসএদ সম্পর্কে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। যে ভাষা প্রয়োগ করেছেন তা অশোভন ও অনভিপ্রেত। একবিংশ শতকে দাঁড়িয়ে তিনি মধযুগীয় মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন বলে ভারত কড়া আক্রমণ করে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মীর নিয়ে সহানুভূতি না পেয়ে ইমরান খান যে বেপরোয়া হয়ে যা-তা বলবেন তা ভারত জানত বলেই মোদি শিষ্টাচার মেনে ভাষণ দেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে পাকিস্তানে নাম না করে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সব দেশকে একজোট আহ্বান যখন জানালেন। তাঁর একটু পরেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলতে উঠে নির্দিষ্ট সময়সীমার চেয়ে আধ ঘণ্টা বেশি বলে ভারতের বিরুদ্ধে মনের ঝাল মেটান। মোদি ও বিজেপি নেতাদের ফ্যাসিস্ত বলে দেগে, গুজরাত দাঙ্গা থেকে মুসলিম নিধন ইত্যাদি বিষয় উল্লেখ করে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেন। এমনকী রাষ্ট্রসংঘকে কার্যত হুমকি দিয়ে বলে, তাঁর কথায় গুরুত্ব না দিলে পরমাণু যুদ্ধ করতে পারে পাকিস্তান। তখন ঠেলা সামলাতে হবে সবাইকে। জবাবে ভারত জানায়, পাকিস্তান সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কি ব্যবহার করে? কমে এখন তিন শতাংশে নেমে এসেছে। নিজেদের দেশে মুসলিমদের ওপর কি অত্যাচার করছে সেনাবাহিনী তা সবাই জানে। রাষ্ট্রসংঘের তালিকার ১৩০ জন জঙ্গি পাকিস্তানে রয়েছে। ওসামা বিন লাদেনকে কে আশ্রয় দিয়েছিল?
0 notes
w3ibrahims · 5 years
Video
ইসলামের বিরুদ্ধে কূটক্তি একটা ফ্যাশন!
ইসলামের ব��রুদ্ধে কূটক্তি একটা ফ্যাশন!
ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ইসলামের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্য ষড়যন্ত্র করছে না: আল ইসা ইসলামের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের নয়া উসকানি; ভয়াবহ পরিণতির আশঙ্কা যুদ্ধাপরাধীর বিচার ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র? ইসলামের বিরুদ্ধে বুদ্ধিবৃত্তিক হামলা... - ওলামায়ে কেরামের ইসলামের বিরুদ্ধে কাফিরদের ষড়যন্ত্রঃ খুটিনাটি বিশ্লেষণ বিশ্বের যে স্থানেই ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র সেটাই ইহুদী 'ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখতে আলেমদের সীমাহীন ভূমিকা রাখতে ইসলামের বিরুদ্ধে কাফিরদের অর্থায়ন: জঙ্গিবাদ ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ইসলামের বিরুদ্ধে যারাই ষড়যন্ত্র করেছিল, তারাই ধ্বংস হয়েছে ইসলামের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র এক ব্রিটিশ গোয়েন্দা ডায়েরী ইসলামের বিরুদ্ধে পশ্চিমা ষড়যন্ত্র : ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ সেনাবাহিনীর লে. কর্ণেল ফাঁস করলেন কিভাবে মানুষকে গুম করা হয়! ( ১৫ মিনিট: প্রথম পর্ব) সব কিছুই ছিলো সাজানো নাটক, নাইমের মা , তবে টাকা পাচ্ছে নাইম ,সামি গোপন চিঠি ফাঁস '15 MINUTES'-এ! বাজারে এলো ইলিয়াছ হোসাইনের নতুন এ্যালবাম! যাদের জন্মে দোষ আছে তারাই এসব করে৷ ভিআইপি কে জনগন নাকি সচিব? সবাইকে স্বাগতম৷ আসল চোরটার নাম বলতে আসলাম৷ কে আসল চোর পার্ট ২ আমাদের নিজেদের ঠিক হওয়া প্রয়োজন আগে৷
In 2011, Ekushey became the first Bangladeshi channel to live stream all its content online to viewers around the globe, through its official website. The channel was considered the most popular TV channel in Bangladesh due to its news and other innovative programs.
elias hossain biography
ekushe tv journalist md elias hossain
elias hossain ekusher chokh
hossain elias pathao
elias hossain 15 minutes
elias hossain youtube
ekushey tv program list
ekushey tv owner
This is MD. Elias Hossain, I was a former reporter of ekushey Television. This is my personal youtube channel where I express freelance journalism.
আমি ওয়াদা করছি, কাশ্মীর স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত লড়াই করবো : ইমরান খান মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, কাশ্মীর স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে সব পদক্ষেপ নেয়া হবে জাতির কাছে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছেন তিনি। সোমবার একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি একথা বলেন। খবর- ডন উর্দূরতিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত কাশ্মীর স্বাধীন না হবে, প্রতিটি ফোরামে আমি এ বিষয়ে সর্বোচ্চ আওয়াজ তুলবো। এটি জাতির সঙ্গে আমার ওয়াদা। এসময় নিজেকে ‘কাশ্মীরি দূত’ আখ্যায়িত করে ইমরান খান।
পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাশ্মীর স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত আমার চেষ্টা চলবে। কাশ্মীরি জনগণের কাছেও আমি ওয়াদা করছি, কাশ্মীর ইস্যুটি নিয়ে আমি সারাবিশ্বে কাজ করব।
তিনি আরও বলেন, কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের মনোভাব বুঝতে পেরেছিলেন। যদি পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা না হতো, তাহলে আমাদের সঙ্গেও সেই আচরণ করা হতো, যা এখন কাশ্মীরি মুসলমানদের সঙ্গে করা হচ্ছে।
ইসলামের বিরুদ্ধে কূটক্তি একটা ফ্যাশন! হজ্ব ও রাসূল (সা.) সম্পর্কে কটূক্তিকারী লতিফ সিদ্দিকীর ফাঁসি দাবি স্টাফ রিপোর্টার : সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী পবিত্র হজ্ব, মুহাম্মদ সা. ও  তাবলিগ জামায়াত নিয়ে কটূক্তি করায় সারাদেশে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় বইছে। প্রবাসেও চলছে বিক্ষোভ। সারাদেশে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ বিক্ষোভ মিছিল করেছে। বিক্ষোভে তার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়েছে। বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেয়া হয়েছে। লতিফ সিদ্দিকীকে মুরতাদ ঘোষণা করে অবিলম্বে তাকে সরকার থেকে বহিস্কার করে ফাঁসি দেয়ার দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন। তাকে গ্রেফতার করে শাস্তি দেয়া না হলে সরকার অচল করে দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। পবিত্র হজ্বকে অস্বীকার করলে কিংবা হজ্ব নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করলে সে মুসলমান থাকতে পারে না। অনুরূপ রাসূলের প্রতি কটূক্তি করলে সেও মুসলমান থাকতে পারে না। সুতরাং আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে একজন মুরতাদ বলে আখ্যায়িত করেছে আলেম সমাজ। গতকাল মঙ্গলবার সারাদেশে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার প্রতিবাদে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ। রাজধানীতেও বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলন করে বিক্ষোভ মিছিল �� সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন। খেলাফত আন্দোলন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রধান মাওলানা শাহ্ আহমাদুল্লাহ আশরাফ বলেছেন, মহাজোট সরকারের বিতর্কিত মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী কর্তৃক মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সা:, ইসলামের ফরজ ইবাদত পবিত্র হজ্জ ও মহান ধর্ম প্রচারের দাওয়াতি কাফেলা তাবলিগ জামাত ও বিশ্ব ইজতেমার বিরেুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ধৃষ্টতামূলক বক্তব্যে জন সমর্থনহীন বিনা ভোটে নির্বাচিত অগণতান্ত্রিক জবরদখলকারী আওয়ামী মোহাজোট সরকারের দ্বীন ধর্ম, দেশ জনগণের বিরুদ্ধে কুদৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে । তিনি বলেন, লতিফ সিদ্দিকী তার বক্তব্যের দ্বারা নিজেই নিজেকে মুরতাদ ঘোষণা করেছে। এই ধরনের আত্মস্বীকৃত মুরতাদদেরকে রাষ্ট্রদ্রোহীদের মতো মৃত্যুদ- কার্যকর করতে হবে। তিনি অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করে শাস্তি দেয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, অন্যথায় জনগণ সরকার অচল করে দিবে। তিনি নাস্তিক মুরতাদদের বিচারের দাবিতে সারাদেশে বিক্ষোভ পালন করার জন্য ধর্মপ্রাণ জনতার প্রতি আহবান জানান। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার সময় রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর জামিয়া নুরিয়া থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে সভাপতির ভাষণে তিনি এই কথাগুলো বলেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের মহা সচিব মাওলানা মুহাম্মাদ জাফরুল্লাহ খান, যুগ্ন মহাসচিব মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজি, সহকারী মহাসচিব ও  ঢাকা মহানগরির আমীর মাওলানা মুজিবর রহমান হামিদী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী ফখরুল ইসলাম প্রমুখ। মাওলানা আশরাফ আরো বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর এই বক্তব্যই আওয়ামী মোহাজোট সরকারের আত্ম প্রকৃতি। যে সরকার সংবিধান থেকে সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ তায়ালার উপর পুর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসকে মুছে দিয়ে শয়তানের প্ররোচনা তথা কথিত ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে তাদের থেকে এই ধরনের ধর্ম বিদ্ধেষী বক্তব্য আশ্চর্যজনক নয়। এই সরকার দ্বীন, দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে যে কত জঘন্য ও বিপদজনক তার চাক্ষুস প্রমাণ। মাওলানা জাফরুল্লাহ খান বলেন, হযরত মুহাম্মাদ সা: পবিত্র হজ্জ ও তাবলিগ জামাত সম্পর্কে কটুক্তি করে লতিফ সিদ্দিকী স্বঘোষিত মুরতাদ হয়ে গেছে। লতিফ সিদ্দিকী একজন অখ্যাত ব্যাক্তি। তাকে বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকীর বড় ভাই হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতে হয়। ধর্ম বিদ্ধেষী বক্তব্য দিয়ে তিনি এখন কুখ্যাত হয়েছেন। হেফাজতে ইসলাম গতকাল হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরীর আহবায়ক আল্লামা নূর হোসেন কাসেমী এক সাংবাদিক সস্মেলনে লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা থেকে অতিসত্ত্বর অপসারণ, গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানিয়েছে। সেই সাথে নবী-রাসূল ও ধর্ম অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ-ের আইন প্রণয়নের জোর দাবি জানান। অন্যথায় হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইট থেকে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দিচ্ছে। উক্ত মিছিল থেকে পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা দেয়া হবে বলে তিনি জানান। নূর হোসেন কাসেমী বলেন, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী- প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়ে বিদেশের মাটিতে মহানবী সা.,  হজ্ব এবং তাবলীগ জামাত সম্পর্কে কটূক্তিপূর্ণ জগণ্য মন্তব্য করে বিশ্বের সর্বস্তরের মুসলমানের অন্তরে চরম আঘাত দিয়েছেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেছেন- “আব্দুল্লার ছেলে মোহাম্মদ আরবের ডাকাতদের রুটি-রুজির ব্যবস্থা করার জন্য প্রতি বছর হজ্বের ব্যবস্থা করেছেন”। তিনি তার এই বক্তব্যে রীতিমত মহানবী স.কে কটাক্ষ এবং হজ্বকে চরমভাবে অবজ্ঞা করেছেন। হজ্ব ইসলামের পাঁচটি স্তম্বের মাঝে একটি অন্যতম স্তম্ভ। যা সামর্থবান ব্যক্তিদের উপর অবশ্য পালনীয় বিষয়। আল্লাহপাক পবিত্র কালামে এরশাদ করেন- “প্রতিটি সামার্থবান ব্যক্তির উপর বাইতুল্লাহর হজ্ব করা ফরজ। (আলে ইমরান-৯৭) লতিফ সিদ্দিকী আরো বলেন, “আব্দুল্লাহর পুত্র মুহাম্মদ চিন্তা করলো- জাজিরাতুল আরবের লোকেরা কীভাবে চলবে, তারাতো ছিলো ডাকাত, তখন একটা ব্যবস্থা করলো যে, আমার অনুসারীরা প্রতি বছর একবার এক সঙ্গে মিলিত হবে। এরই মধ্যে একটা আয় ইনকামের ব্যবস্থা হবে।” (নাউযুবিল্লাহ) তিনি বলেন, পবিত্র হজ্বকে অস্বীকার করলে কিংবা হজ্ব নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করলে সে মুসলমান থাকতে পারে না। অনুরূপ রাসূলের প্রতি কটূক্তি করলে সেও মুসলমান থাকতে পারে না। সুতরাং আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী একজন মুরতাদ। অবিলম্বে তাকে তাওবা করার আহবান জানানো হয়। এদিকে হেফাজতে ইসলাম লালবাগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। সমাবেশ শেষে মিছিল লালবাগ চৌরাস্তা থেকে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আজিমপুর এতীমখানার সামনে গিয়ে মুনাজাতের মাধ্যমে কর্মসূচি সমাপ্ত করে। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা লতিফ সিদ্দিকীর একাধিক কুশপুত্তলিকায় অগ্নিসংযোগ করে এবং তার ফাঁসির দাবিতে শ্লোগান দিয়ে রাজপথ প্রকম্পিত করে তুলে। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার অন্যতম সদস্য ও লালবাগ জোন সভাপতি মাওলানা জসিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ, ঢাকা মহানগর যুগ্ম আহবায়ক মুফতী তৈয়্যেব হোসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও ঢাকা মহানগর যুগ্ম আহবায়ক মাওলানা যুবায়ের আহমদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও ঢাকা মহানগর যুগ্ম আহবায়ক মাওলানা আবু তাহের জেহাদী, মজলিসে শুরার সদস্য ও ঢাকা মহানগর যুগ্ম সদস্য সচিব মাওলানা আবুল কাশেম, ঢাকা মহানগর প্রচার সেলের প্রধান মাওলানা আহলুল্লাহ ওয়াসেল প্রমুখ। সমাবেশ থেকে আগামী শুক্রবার সারা দেশের সকল মসজিদ থেকে মুরতাদ লতিফ সিদ্দিকীর ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। উলামা মাশায়েখ পরিষদ সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের শীর্ষ উলামায়ে কিরাম এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, সরকারের বহিস্কৃত মন্ত্রী লতিফ সিদ্দীকি মহানবী (সা) ও পবিত্র হজ্জ নিয়ে যে কটুক্তি করেছেন তা ক্ষমার অযোগ্য। তিনি আপত্তিকর ও অন্যায় মন্তব্য করে বিশ্বের সকল মুসলমানদের ঈমানের উপর আঘাত দিয়েছেন। ইহা ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী বাতিল চক্রের ধারাবাহিকতার অংশ। বিদ্রƒপাত্মক ভাষায় তাচ্ছিল্য করার স্পর্ধা দেখিয়ে তিনি যে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন তা কেবলমাত্র একজন উগ্র নাস্তিকের পক্ষেই সম্ভব। তার এহেন ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য ইসলাম প্রিয় তৌহিদী জনতা ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে। তাকে মন্ত্রিসভা থেকে শুধু বহিস্কার করলেই চলবে না, বরং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে বিশ্ব মুসলিমকে শান্ত করুন। নচেৎ ইসলাম প্রিয় তৌহিদী জনতা তাকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে সালমান রুশদী ও তাসলিমা নাসরিনের ভাগ্য বরণ করতে বাধ্য করবে। শীর্ষ উলামায়ে আরো বলেন, জনগণের টাকায় বিদেশ সফরে গিয়ে তিনি কিভাবে কোন সাহসে এ ধরনের মন্তব্য করতে পারেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। এ পর্যন্ত সরকারের বিভিন্ন নীতি নির্ধারক একের পর এক ইসলাম বিরোধী বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে একটি ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়নি। আমরা সরকারকে হুশিয়ার করে দিতে চাই ইসলামের বিরোধীতা করে এদেশে কেউ চিরস্থায়ী হতে পারেনি কখনও পারবেও না। আলেমগণ মনে করেন দেশকে অস্থিতিশীল করতেই মাঝে মাঝে বাতিলের প্রেতাত্মারা এভাবে বেশামাল হয়ে পড়ে। এ অশুভ চক্র ইসলাম, মানবতা, দেশ ও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি স্বরূপ। শীর্ষ উলামায়ে কেরাম কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন ৪৮ ঘন্টার মধ্যে উক্ত মন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে হবে, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি  দিতে হবে এবং তাকে নিঃশর্তভাবে জাতির সামনে তওবা করতে হবে। অন্যথায় আমরা হরতাল-অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দিতে বাধ্য হবো। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন- রাবেতা আলম আল-ইসলামীর স্থায়ী সদস্য ও সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের সভাপিত মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রধান আমীরে শরীয়ত মাওলানা শাহ আহমদুল্লাহ আশরাফ, খেলাফত মজলিশের আমীর মাওলানা মোহাম্মাদ ইসহাক, ইসলামী ঐক্যজোটের আমীর মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, হাফেজ মাওলানা আতাউল্লাহ, মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, মাওলানা মহিউদ্দীন রব্বানী, ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, আন্দরকিল্লা জামে মসজিদের খতীব মাওলানা তাহের জাবেরী আল-মাদানী, শাহতলীর পীর ও হক্কানী পীর মাশায়েখ পরিষদের আমীর মাওলানা আবুল বাশার, ফরায়েজী আন্দোলনের আমীর মাওলানা আব্দুল্লাহ মোহাম্মাদ হাসান, মুফতি হাফেজ নুর হোসাইন কাসেমী, জামেয়া এমদাদিয়া মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, মাওঃ আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মুফতি আবদুর রহমান চৌধুরী, শর্ষীনার পীর মাওলানা শাহ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী প্রমুখ। Famous presenter Elias Hossain - Greenwatch Dhaka Elias Hossain Profiles | Facebook Ekushey Television - Wikipedia Elias Hossain Bio, Height, Age (Journalist), Wiki, Facts & Net Ekushey TV chairman lands in jail | The Daily Star Md. Elias Hossain | Dr. | University of Rajshahi, Rājshāhi | RU
Launched in April 2000 as the country's first private terrestrial TV channel, Ekushey Television (ETV) covered half the country's population and turned out to be the most popular channel offering quality programmes.[4]
The most notable feature of the channel was introducing a new approach to television journalism. The objective and investigative reports turned its group of young journalists into national stars.
The ETV productions were unique in nature: children's programme Muktokhabor, for instance, was a news-based show in which the child performers would handle news with social relevance. Fifty percent of the young team were from underprivileged families.
ETV played a vital role in promoting talented young artistes the result of which was so obvious—many innovative ideas and commitment produced quality programmes and the channel gained huge popularity within a short time. ETV was an organised and professional media, which was accumulated by professional, creative, talented and committed people. To ensure quality the authority trained up the behind-the-scene people as well as the artistes and performers of a programme.
To name other successful items, entertainment programmes Ekusher Dupur, Priyotomashu, quiz show Shobdo Jabdo, Shofol Jara Kemon Tara, informative programme Ekatturer Ei Diney, Ajker Shongbadpotro, Ei Shoptaher Biswa, talk show Amrao Boltey Chai, cookery show Radhunir Rannaghar, and of course a number of plays by gifted directors.
ETV had been leading the nation's seemingly aimless youth to a healthy and capable citizenship through its promising and unique programme roster. ETV protected the Bangladeshi viewers from the formidable influence of the satellite-culture and steered them gently to the tasteful bouquet of Bangla programmes, discarding the Hindi channels.
After being in operation for two years, on 29 August 2002, Managing Director Simon Dring and three other executives had their work permits cancelled and the station was taken off-air.[5][6] However, permission for the station to continue transmission once more was granted on 14 April 2005, and only satellite transmission was resumed on 1 December 2006 on a test basis. Its official satellite transmission started 29 March 2007 and, started 24-hour transmission on 1 June. Present chairman of ETV is Mohammed Saiful Alam.
ETV also broadcasts a dedicated band for business news everyday from 10 am to 2:30 pm during the trading hours in the Dhaka Stock Exchange with real-time updates, live discussions and breaking news, the first channel in the country to do so.
The channel has developed a reputation for providing current stock market news and incisive discussions on business related issues and is a clear leader in the business news space, setting editorial and production standards for the Bangladesh TV news market.
0 notes
freedomfighter71 · 5 years
Text
মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান মোকতেল হোসেন মুক্তি
মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান মোকতেল হোসেন মুক্তি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি বিশেষ্য বিশেষন দিয়ে তোষামোদি করতে জানিনা। তাই সরাসরি আমার কিছু না বলা কথা এবং কিছু হতভাগা মুক্তিযোদ্ধাদের করুন ইতিহাস আপনার সদয় অবগতির জন্য মিডিয়ার সাহায্য নিতে বাধ্য হলাম। আপা, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুজিবনগরে প্রশিক্ষণ নেয়া যোদ্ধা। স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে ১৯৭২ সালের ২রা মার্চ জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু/বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী শহীদ তাজুদ্দিন আহমেদ একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেই ১০ মিনিটের নির্দেশে ভূমি মন্ত্রণালয়ে চাকুরী প্রদান করেছিলেন। ৭ দিন কি ৮ দিন পায়ে হেটে না খেয়ে মুজিবনগরে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম একটি স্বাধীন সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নেশায়। এ নেশা সাড়ে সাত কোটি মানুষের রক্তে মাংসে অস্তিত্বে মগজে সেলের মত বিধেছিল ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ "পশ্চিমা হানাদার বাহিনীর হাত থেকে বাংলাকে মুক্ত করতে হবে" জাতিরজনকের এই উদাত্ত আহবানে সারা দেয়া কী ভুল সিদ্ধান্ত ছিল? তাই আমি মুক্তিযোদ্ধা। নামবিহীন অস্তিত্ববিহীন মুক্তিযোদ্ধা! নাম বদলে দিলাম। মোঃ মোকতেল হোসেন থেকে নাম বদলে হয়ে গেলাম মোকতেল হোসেন মুক্তি। পরবর্তীতে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু ১৩ই এপ্রিল ১৯৭২ সালে মন্ত্রী পরিষদ গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হলে মাদারীপুরের কৃতি সন্তান মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক খাদ্যমন্ত্রী প্রয়াত ফনি ভূষন মজুমদারের অনুস্বাক্ষরে বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবীল থেকে এক হাজার টাকার অনুমোদন (মাদারীপুর মহকুমা প্রশাসক অফিসে) এবং ৩ বান ঢেউ টিন প্রদান করেন। ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের রেকর্ডে একজন মুক্তিযোদ্ধার কোটায় আমার চাকুরী হয়েছিল। স্বাধীন বাংলাদেশের সচিবালয়ে আমিই ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রথম নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী ছিলাম। আমার ডিউটি ছিল জননেত্রী শেখ হাসিনার ফুফা, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি, সাবেক চীপ হুইপ আলহাজ্ব হাসনাত আব্দুল্লাহ সেরনিয়াবাত এর গর্বিত পিতা, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনি ভাইয়ের শ্বশুর, সাংসদ ব্যারিষ্ঠার তাপসের নানা সাবেক কৃষক লীগের সভাপতি ভুমি মন্ত্রী ও পরবর্তীতে পানি সম্পদ মন্ত্রী শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের বাসায়।ইতিহাসের ঘৃণ্য কালো অধ্যায় ১৫ই আগস্টের মধ্যযূগীয় বর্বর হত্যাকান্ডের ��াশ দেখে আমি পাগল হয়ে যাই। পিজি হাসপাতালে আমার ৩ মাস চিকিৎসা চলে এবং সে তিন মাসের বেতন ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তন করে। এ কথা সকলেই জানেন। আমি ভারতের প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। আমার ঘরের সব কাগজপত্র আমার ভাইদের শিক্ষার সনদ, জমির দলিল দস্তাফেজ সমূহ সব মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ছিড়ে ফেলি। আমার পরিবারের সব আমি ধংস করে ফেলেছিলাম। ভুমি মন্ত্রনালয় তার প্রমান। আমি মন্ত্রীকে এসব কথা বলাতে আমাকে অপমান করতে পারেন না। আমি প্রবাসে থাকি। আমাকে আবেদনের সুযোগ না দিয়ে অপমান করার অধিকার মন্ত্রীর নাই। তিনি আমার দরখাস্ত গ্রহন করা ও না করার অধিকার রাখেন কিন্তু মেজর জেনারেল সুবিদ আলীর নির্দেশে আমাকে অপমান করতে পারেন না। তিনি আমার আবেদনে লিখেছেন “যেহেতু আবেদনকারী বহুবার দেশে এসেছিলেন এবং আবেদন করেন নি তাই তার আবেদন গ্রহন করা গেল না” তিনি মেজর জেনারেল সুবিদ আলীর শিখানো কথা মত বললেনঃ ৪৫ বছর পরে মুক্তিযোদ্ধা হতে এসেছে। বের করে দেন”। আমি মুক্তিযোদ্ধাই নই, একজন সক্রিয় আওয়ামি যোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধ ছাড়া আমার জীবনে অন্য কোন বিষয় কাজ করেনি এবং এ মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগই আমার ধ্যান ধারনা চিন্তা চেতনা আদর্শ এ কথা প্রমান করে আমার ৬০ হাজার প্রায় লীফলেটস, ব্যানার ও পোষ্টার এশিয়ায় ইন্টারনেট চালু হবার পর থেকেই কার বিনা প্ররোচনায় করে এসেছি। শুধু তাই নয় আমি ২০০ ওয়েব সাইট ও ব্লগ মেইনটেইন করি যা’শুধু যুদ্ধাপরাধী মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ সংক্রান্ত। এ সকল ছবি ও ব্লগ/ওয়েবসাইটগুলোই প্রমান করে যে আমি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রীতিমত একজন বদ্ধ উন্মাদসম গবেষক। Just write my name on the google search engine where you’ll get real Identity of mine “write Moktel Hossain Mukthi or muktimusician. এ ছাড়াও আমি একজন একনিষ্ঠ অনলাইন আওয়ামী যোদ্ধা। মালদ্বীপের বঙ্গবন্ধু পরিষদ এবং আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, মালদ্বীপের মাটিতে আমিই সর্ব প্রথম মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধু এবং পাকিস্তানের ৩০ লক্ষ বাঙ্গালী হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য জনসভায় বক্তৃতা প্রদান করে পাকিস্তান হাই কমিশনের মামলা খাওয়া একজন মালদ্বীপ সরকারের শিক্ষক। মন্ত্রী মহোদয় এ সব পরিচয় জানার পরেও বলেন নি যে আপনি বসেন বা কিছু বরং তাঁর আচার ব্যবহার এতই রুঢ় ছিল যা’ শিবির বা জামাতের কারো সাথে করছেন বলে অনুমেয়। আমার সাথে ভদ্র ভাষায় কথাও বলেন নি। এক পর্যায়ে জেনারেল সুবিদ আলীর কথায় তিনি আমাকে ঘাড় ধরে তাঁর কক্ষ থেকে বেড় করে দেয়ার কথা বলেন এবং অতঃপর.........।। তিনি মন্ত্রী না হলে হয়তো সেখানেই কোন দুর্ঘটনা ঘটে যেতো। আমি আমার নিজেকে নিয়ন্ত্রন করে চলে আসি। আমার সহযোদ্ধারা এখনো অনেকেই বেচে আছেন। ড: গোলাপ আমার সাথের একই ক্যাম্পের যোদ্ধা। আওয়ামি যোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী সব সময় প্রচন্ড মিথ্যা কথা বলেন। যা' মিডিয়া ও বক্তৃতায় বলেন, বাস্তবের সাথে তার কোন মিল নেই; তিনি যা বলেন সব মিথ্যা কথা মিথ্যা তথ্য। এখনো বহু আসল মুক্তিযোদ্ধার নাম তালিকাভুক্ত করতে পারেনি অথচ তিনি বক্তৃতায় ঘোষনা করলেন সকল জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের কথা রেকর্ড করা হবে। আসল অনেক মুক্তিযোদ্ধার নামই সংগ্রহ করতে পারেন নি-তিনি কিভাবে এ ঘোষনা প্রদান করেন? তার দেয়া সব তথ্য জাতিকে বিভক্ত করছে; মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কলঙ্কিত হচ্ছে। নতুন তালিকা প্রণয়নের নামে এগুলো প্রতারণা। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী মিথ্যাচার করছেন। মিডিয়া, দেশবাসী এমন কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে প্রতারণা করছেন । দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উপজেলা ও জেলাসমূহে যে দুর্নীতি চলছে, যে সনদ ও মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ের নামে ব্যবসা বাণিজ্য শুরু হয়েছে তাতে আওয়ামী লীগের বিগত বছরগুলোর সকল সফলতা এমন কি মহান মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের যে অবদান সব মলিন হয়ে যাবে এই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীদের মত স্বজনপ্রীতি দুর্নীতি গ্রস্থ নেতা/কমান্ডারদের কারনে। কারন আপনি আদর্শিক কারনে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষন ও মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন করছেন। সমস্ত মন্ত্রী এম পি দের তৃনমূলের সাথে কোন সম্পর্ক নেই। ক্ষমতা ও অর্থ সম্পদ শালী মধ্য শ্রেণীর নেতা যার মধ্যে অর্ধেকই প্রায় জামাত শিবির ও বি এন পি, তাদের সাথে তাল মিলিয়ে, হাত মিলিয়ে আমার মত পাগল ছাগল নিবেদিত ত্যাগি সৎ নিষ্ঠাবান অভিজ্ঞ উচিত কথাবলার প্রকৃত মুক্তিসেনাদের এভাবেই তারা অপমান তাচ্ছিল্য করে দূরে সরিয়ে রাখে। যে কারনে ছাত্রলীগের ছেলেদের সেনাবাহিনী নৌ বাহিনী বিমান বাহিনী পুলিশ বিজিবি ও অন্যান্য সরকারী ভালো পদে চাকুরী হয় না। কারন ওরা ত টাকা দিতে পারবে না। দলীয় ছাত্র লীগের ছেলেদের নিকট টাকা চাইতেও পারে না; যদি আবার নেত্রীকে বলে দেয় বা জানিয়ে দেয়। তাই গোপনে আওয়ামী লীগের নেত্রীর বিশ্বাসী নেতাগন গোপনে চাকুরী প্রদান করে, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীদের ভর্তির সুপারিশ ও তদবীর করে জামাত বি এন পির ছেলে মেয়েদের । কারন টাকা পাওয়া যাবে।উত্তরা ও এয়ারপোর্ট থানা এলাকায় আমার বাস। আমার জানা মতে ঠিক আমারই মত ত্যাগি জীবনবাজী রেখে নৌকার জন্য ভোট সংগ্রহ কারীর একটি মেয়েকে বঙ্গ মাতা স্কুলে ভর্তির জন্য কি না করেছে? মায়া ভাই পর্যন্ত বিষয়টি জানতেন। সে মেয়েটি সুযোগ পায়নি; দেখা গেছে-ঢাকা এয়ারপোর্ট ও বিমানে চাকুরীরত জামাত বি এন পির ছেলে মেয়েরা অজানা রহস্যের কারনে সবাই সুযোগ পেয়ে গিয়েছে। এর নাম স্বাধীনতা ? মুক্তিযুদ্ধ ? আওয়ামী লীগ ? এত সে বঙ্গবন্ধুর নৌকা ডুবানোর দুরদন্ত শয়তানী মাঝি খন্দকার মোস্তাক আহমেদ, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, চাষী মাহবুবুল আলম, নূরুল ইসলাম, কে এম ওবায়দুর রহমান তাহের উদ্দিন ঠাকুরদের চেয়ে একটূ কম নয়। আমিই হলাম বাঙ্গালী জাতির মধ্যে সবচেয়ে কুলাঙ্গার। ধিক্রিত অবহেলিত লাঞ্ছিত মূর্খ বেয়াকুপ বেয়াক্কেল আহাম্মদ বোকা গাধা । না পারলাম প্রাণ খুলে হাসতে না পারলাম দুটি কন্যা সন্তানকে প্রাণ খুলে হাসাতে। কি লাভ হল? এ স্বাধীনতায়? যে স্বাধীনতা আমার অস্তিত্বকে স্বীকৃতি দেয় না; সে স্বাধীনতাকে আমি কেন স্বীকৃতি দেব? রাষ্ট্রই যদি আমাকে নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি না দেয়, আমি কেন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবো? কেউ দেবে না। এটাই নিয়ম, এটাই লজিক। জানি আমি এতে হবো রাষ্ট্রদ্রোহী। তাও মন্দ কী? একটা কিছু ত হবো? আওয়ামী লীগের একজন মন্ত্রী একজন মুক্তিযোদ্ধাকে ঘাড় ধরে বেড় করে দেয়?? এ স্বাধীনতার অর্থ কী? কেন পেলাম? কি আশায় স্বাধীন হলাম? কিসের নেশায় নৌকা নৌকা মুজিব মুজিব করে জীবনের শেষ অবস্থানটুকুকে ধূলিসাৎ করে দিয়ে নির্বাসিত হলাম এই দ্বীপ রাজ্য মালদ্বীপে । ভুল কোথায়? ভুল তো আছেই হয়তো জানিনা জীবনের কোথায় কোন সিদ্ধান্তে বড় রকমের ভুল ছিল। তাই ভুলের মাশুল দিয়ে গেলাম ৬৫ বছর বয়সের মুক্তিযোদ্ধা মোকতেল হোসেন মুক্তি। ভুল তথ্য দিচ্ছেন। এর সমাধান চাই। এর একটি পরিস্কার ব্যাখ্যা চাই; সত্যের জয় হবে; তাই চাই; জাতিরজনকের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ ক্ষমতায় থেকে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের নিয়ে রঙ তামাশা করবে; মুক্তিযোদ্ধা নির্ধারণের নামে ব্যবসা করবে, এর জন্য যুদ্ধে যাইনি, এর জন্য ৩০ লক্ষ বাঙ্গালী শহীদ হয়নি; এর জন্য ২ লক্ষ ৪০ হাজার মা বোনের ইজ্জত হারায়নি। আসল মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাই করতে ব্যর্থ মোজাম্মেল হক। এই মিথ্যাচারের জন্য আল্লাহ্‌ বিচার করবেন রোজ হাসরের দিন। মহান আল্লাহর বিচারে কারো হাত নেই। আল্লাহর উপরে কোন মন্ত্রী নেই; আল্লাহর উপরে বিচারক নেই; রোজ হাসরের থেকে শক্তিশালী ক্ষমতাবান কোন আদালত নেই। বহু আসল মুক্তিযোদ্ধা এখনো তালিকার বাইরে এবং এ সমস্যা আগামী ১০০ বছরেও কোন সরকার সমাধান করতে পারবে না। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের কথা রেকর্ড হবে । মন্ত্রী নিজেও জানে না যে উপজেলা জেলা গুলোতে এই তালিকা নিয়ে কি পরিমান টাকার ছাড়াছড়ি চলছে? কি পরিমান ব্যবসা করছে নব্য থানা কমান্ডারগণ। এমন কোন উপজেলা নেই যেখানে সত্যকারের মুক্তিযোদ্ধা বাদ পড়ে নাই এবং ভূয়া মিথ্যা তথ্য প্রদানকারী মন্ত্রীর ক্ষমতা বলে নয়তো এম পির ক্ষমতা বলে অথবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ক্ষমতা বলে নতুন তালিকায় নাম লিখিয়েছে। এমন প্রমান আমার গ্রামে আমার ইউনিয়নে রয়েছে। আমি ত অন্যের ক্কথা শূনে এ সব লিখিনি ভাই।ফুরিয়ে যাচ্ছে ৭১ এর সোনার ছেলে মেয়েরা, বেচে থাকবে শুধু ৭১ এ জন্ম নেয়া নব্য মুক্তিযোদ্ধারা, যারা লক্ষ টাকায় মুক্তিযুদ্ধের সনদ কিনে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে। আমরা মুজিবনগরে (ভারতে) প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা এর চেয়ে বড় পরিচয়ের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ডঃ আব্দুস সোবহান গোলাপ ভারতের চাদপাড়া এবং পরবর্তীতে ব্যারাকপুর মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রশিক্ষণ নেয়া মুক্তিযোদ্ধা এবং আমরাও একই সময়ে একই শিবিরে একই কমান্ডারের অধীন প্রশিক্ষণ নেয়া মুক্তিযোদ্ধা। ডঃ আব্দুস সোবহান গোলাপের নাম যদি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের তালিকায় থাকতে পারে, তবে আমাদের নাম থাকবে না কেন? শুধু আমরা নই, সারা বাংলাদেশে বহু অখ্যাত অপরিচিত অশিক্ষিত অজো পাড়া গায়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বহু প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম এখনো তালিকাভুক্ত হয়নি। বহু মুক্তিযোদ্ধা ইতোমধ্যেই পরলোকগমন করেছেন, কোন স্বীকৃতি ও সুযোগ সুবিধা ভোগ না করেই তারা চলে গেছেন বাঙ্গালী জাতিকে মহান স্বাধীনতা প্রদান করে। তাদের নাম কে তালিকাভুক্ত করবে? কেন একটি সঠিক তদন্ত কমিটি কর্তৃক সারা দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করা হয়নি? এ প্রশ্ন সরকার ও দেশবাসীর কাছে। আমরা মনে করি মহান মুক্তিযুদ্ধের নেত্রিত্বদানকারী দল হিসেবে জাতিরজনক বংগবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকারের এ মহান দায়িত্ব মুক্তিযোদ্ধাদের জীবদ্ধশায় সম্পন্ন করা উচিত। সবাই শেয়ার করুন, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সত্যিকারে শ্রদ্ধা থাকে। আমার সার্টিফিকেট দরকার নাই। কোন ভাতার দরকার নাই। আপনি মুসলমান দাবী করলে আমি কেন করবো না? আমিও তো নামাজ পড়ি? মন্ত্রী আমাকে অপমান করতে পারে না। তার চেয়ে আওয়ামী লীগের জন্য আমার অবদান সেই ৬৯ থেকে অদ্যাবধি তিল পরিমান কম নয়; বঙ্গবন্ধু আমাকে চাকুরী দিয়েছিলেন সচিবালয়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে। অমুক্তিযোদ্ধা ভাতা পায় এবং তা আওয়ামী লীগের আমলে এবং আওয়ামী লীগের মন্ত্রীর স্বাক্ষরে কেন? আমার কি ইচ্ছে করে না যে আমার সন্তান মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হোক। আমার সন্তানের কি ইচ্ছে করে না, তার বাবা মুক্কতিযোদ্ধা এ কথা অন্য দশজনের নিকট বলে গৌরব বোধ করতে? মন্ত্রীর ইচ্ছে মত চলতে পারে না; এ সব তথ্য নেত্রীর জানা দরকার। নিবেদক - মোকতেল হোসেন মুক্তি, কন্ঠশিল্পী মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সময়৭১। মালদ্বীপ আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু পরিষদ, মালদ্বীপ শাখা সাধারণ সম্পাদক মালদ্বীপস্থ প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটি এসোসিয়েশন সুরকার গীতিকার ও সঙ্গীত পরিচালক সঙ্গীত শিক্ষক জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু । সমাজের মানুষের সৃষ্ট সকল জঞ্জাল তথা এ ঘুনে ধরা বনাঞ্চল, ডাস্টবিনের ময়লায় কলুষিত নোংড়া নরপৈশাচিক মন মানসিকতায় সিক্ত, ক্ষমতার দাম্ভিকতায় উচ্ছৃঙ্খল সন্ত্রাসী লুটার সর্বস্ব-ঘুনে ধরা সমাজ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হলে যা'করতে হবেঃ ********************** "সমাজপতি, ধনপতি, কোটিপতি, পুঁজিপতি, মওজুতদার, মুনাফাখোর, ঘুষখোর, দুর্নীতিপরায়ণ, মিথ্যাচারী, স্বৈরাচারী, ভন্ড, প্রতারক, জোচ্চর, ধূর্ত, কূটকৌশলী, জ্ঞানপাপি, নাপিতদের সার্ফ এক্সেল দিয়ে মগজ ধোলাই" "বঙ্গবন্ধুর গান" আর হলনা মুক্তির গাওয়াঃ ৩ টি এলবামের জন্য ৩০ টি গান রেডী করেছিলাম "বঙ্গবন্ধুর গান" মিউজিক ট্র্যাক সব ঠিক ঠাক-দেশে যাবো অবসর নেবো মালদ্বীপের সরকারী চাকুরী থেকে আর এই ডিসেম্বরেই প্রকাশ করবো। আর হলনারে সুবিদ আলী ভূইয়া। ভালোভাবে বাচতে দিলিনা। যদি মুক্তিযুদ্ধ বল, পাবে সেথায় আমার নাম যদি বঙ্গবন্ধু বল, পাবে সেথায় আমার নাম ।। যদি স্বাধ���ন বাংলা বল, পাবে সেথায় আমার নাম যদি বাংলাদেশ কেউ বল পাবে সেথায় আমার নাম .. যদি উন্সত্তুর বল, পাবে সেথায় আমার নাম যদি একাত্তুর কেউ বল, পাবে সেথায় আমার নাম /২ যদি গানের আসর বল পাবে সেথায় আমার নাম যদি মঞ্চের কথা বল, পাবে সেথায় আমার নাম। যদি মুক্তিযুদ্ধ বল, পাবে সেথায় আমার নাম যদি বঙ্গবন্ধু বল, পাবে সেথায় আমার নাম ।। কাউয়া লীগের কারনেই ঘরে ফিরলাম। ছেড়ে দিলাম সব অযাচিত অহেতুক অনাহুত হুমকি ধমকির পথ রাজনীতি। এটা যারা করে, তারাও পচে আর যাদের সাথে করতে হয়, তারাও পচা গান্ধা মন মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামে। তাই আর এই শেষ বয়সে বিনা প্রয়োজনে বনের মোষ তাড়ানো থেকে বিরত থাকলাম। আর এটাত বঙ্গবন্ধুর শাসন বা সময়কাল নয়; এটা ডিজিটাল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এখানে এনালগিদের স্থান কই? এরা অত্যাধুনিক বেয়াদপ! নেতা মন্ত্রী সব একই শুধু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কথা আলাদা । কারন সে আলাদাভাবে সৃষ্ট বংগবন্ধুকন্যা কিন্তু তিনিও অনেকটা গৃহবন্দী। অকটোপাস তাকে ঘিরে রেখেছে। তার বেশীরভাগ ইচ্ছা নির্দেশ মান্য করা হয়না; কার্যকর করা হয়না; বিশেষ করে সাধারন মানুষের দৈনন্দিন ছোট খাটো সমস্যার ক্ষেত্রে নেত্রীর নিকট যারা আসে। ওরা নিজেকে এক একজন বঙ্গবন্ধু বা শেখ হাসিনা মনে করে। ওদের একটারও কোন নৈতিক চরিত্র বলে কিছু নেই। আছে লোভ হুংকার ক্ষমতার দম্ভ হিংসা বিদ্বেষ অহমিকা আর দাম্ভিকতায় পরিপূর্ণ । ওরা নিজেরাই বংগবন্ধু-এমন একটা ভাব গোটা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। কাজেই আমরা সামান্য মূর্খ গরীবের ছেলে। একটা ভোটের মালিক। সেটা না দিলেও তারা চালিয়ে নেবে সমস্যা নেই। আমি ছিলাম একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের সরবকনিষ্ট ছেলে। সব ভাই আত্মীয় পরিজন থেকে আলাদা বাউন্ডেলে ঘর ছাড়া দুর্বিনীত দূরন্ত একরোখা সাংস্কৃতিক মন মানসিকতার যুবক বা কিশোর। স্বাধীনতার অর্থ তেমন করে বোধগম্য না হলেও বুঝতে পারতাম কেন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা আর কেন ৬৯ এর গণ অভ্যুন্থান? সে সময় থেকেই উদীপ্ত যৌবনের রক্তে মিশে গেল বিদ্রোহের অগ্নিময় দাবানল। এল ৭০ এর নির্বাচন। তারপরের সবই আপনি জানেন ৭ ই মারচ এবং মুক্তির সংগ্রাম। নামই বদলে দিলাম মোকতেল হোসেন থেকে মুক্তি। এ মুক্তির একটা ভিন্ন অর্থ ভিন্ন উদ্দেশ্য ছিল, যার নাম রাজনৈতিক ও আরথ সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে অস্ফুট সামাজিক অব্যবস্থাকে বিকশিত করে সামাজিক বিপ্লব ঘটানো। নিজের বদান্যতা ও ব্যর্থতার কারনে সংসার আমাকে ঐ জগত থেকে সরিয়ে নিয়ে আসে ১৯৯১ সালে। অফিস করেছিলাম, অনেকগুলো এন জি ও কথাও দিয়েছিল কিন্তু ক্ষুধার অদম্য অবলীলাক্রমে আমাকে দেশ ছেড়ে পারি দিতে হয় সুদূর প্রাচ্যের স্বর্গরাজ্য জাপানে। আমি স্তব্ধ নির্বাক নিশ্চল নীরব পথভ্রষ্ট প্রবাসী। আর ফিরে পেলাম না ক্ষমতাচ্যুত কর্নেল গাদ্দাফীর সিংহাসন। চূড়ান্ত দন্ড ভারতীয় সমূদ্র বক্ষ মালদ্বীপে ১৫ বছরের জন্য নির্বাসন। মাছ ধরি মাছ খাই, শেখ মুজিবের গান গাই। পিছনে চাহিয়া দেখি আপন কেহ নাই।।
0 notes
dailycomillanews · 5 years
Text
ভারত-পাকিস্তান, অস্ত্র ভাণ্ডারে কে এগিয়ে?
ভারত-পাকিস্তান, অস্ত্র ভাণ্ডারে কে এগিয়ে?
পাকিস্তানের নাম করলেন না। কিন্তু প্রতিবেশী দেশকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অক্ষরে অক্ষরে বুঝিয়ে দিলেন, বড় ভুল করেছে পাকিস্তান। চরম মূল্য চোকাতে হবে তাদের।
শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিল্লিতে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন, বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার কড়া জবাব দেবে ভারত। তার জবাব দিতে সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে…
View On WordPress
0 notes