Tumgik
#ProcedureofHajj
quransunnahdawah · 4 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
হজের গুরুত্ব ও ফজিলত
Importance and virtues of Hajj
সামর্থবান মুসলমানদের জন্য হজ্ব একটি অত্যাবশ্যকীয় ইবাদত। হজ্বের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে অনেককেই বিভ্রান্তির শিকার হতে দেখা যায়। সে কারণে হজ্বের পূর্বে ও হজ্বে থাকা��ালীন হজের বিধি-বিধান সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
হজের মাধ্যমে মুমিনের আত্মিক, দৈহিক ও আর্থিক ইবাদতের সমাবেশ ঘটে। প্রত্যেক সামর্থ্যবান প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের ওপর জীবনে একবার হজ করা ফরজ এবং এর অস্বীকারকারী কাফের।
মহান আল্লাহ তাআলা এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন, আর এই ঘরের হজ করা হলো মানুষের ওপর আল্লাহর প্রাপ্য; যার সামর্থ্য রয়েছে বাইতুল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছার। আর যে এটা অস্বীকার করবে—আল্লাহ বিশ্বজগতের সবকিছু থেকে অমুখাপেক্ষী। (সুরা আল ইমরান, আয়াত :৯৭) মহান আল্লাহ তাআলা মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে আরো ইরশাদ করেন, আর মানুষের মধ্যে হজের ঘোষণা করুন। তারা আপনার কাছে আসবে দূর-দূরান্ত থেকে পদযোগে ও সর্বপ্রকার কৃশকায় উটের পিঠে আরোহণ করে। (সুরা হজ, আয়াত:২৭)
ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে হজ অন্যতম। হজ শব্দের অর্থ হলো ইচ্ছা করা, দৃঢ় সংকল্প করা। মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিনের সান্নিধ্য লাভের আশায় নির্দিষ্ট কার্যাবলি সম্পাদনের মাধ্যমে পবিত্র কাবা ঘর জিয়ারত করাই হলো হজ। প্রত্যেক সম্পদশালী প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের ওপর হজ একটি ফরজ ইবাদত। হজ তিন প্রকার।
১. হজে ইফরাদ: শুধু হজের মৌসুমে হজের নিয়ত করে ইহরাম বেঁধে হজের করণীয় কাজ সমাপন করাকে হজে ইফরাদ বলে।
২. হজে কিরান : হজের মৌসুমে একসঙ্গে ওমরাহ ও হজের নিয়তে ইহরাম বেঁধে প্রথমে ওমরাহ (পরে ইহরাম না খুলে) একই ইহরামে হজের যাবতীয় কার্যাবলি সম্পন্ন করাকে হজে কিরান বলে।
৩. হজে তামাত্তু : হজের মৌসুমে প্রথমে ওমরাহর নিয়তে ইহরাম বেঁধে ওমরাহ করার পর ইহরাম খুলে নতুনভাবে হজের নিয়ত করে হজের যাবতীয় কার্যাবলি সম্পন্ন করাকে তামাত্তু হজ বলে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আর প্রত্যেক সামর্থ্যবান মানুষের ওপর আল্লাহর জন্য বায়তুল্লাহর হজ করা ফরজ। আর যে কুফরি করে তার জেনে রাখা উচিত, আল্লাহ তো নিশ্চয়ই সৃষ্টিকুলের প্রতি মুখাপেক্ষী নন’ (সুরা আলে ইমরান-৯৭)। এ আয়াতে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ আদায় করতে হবে। আল্লাহ আরও বলেন, ‘তুমি মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা প্রচার করে দাও, যাতে তারা তোমার কাছে পায়ে হেঁটে এবং কৃশকায় দুর্বল উটের পিঠে করে আসবে দূর-দূরান্তের পথ অতিক্রম করে’ (সুরা হজ-২৭)।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনোরূপ অ��্লীল কথা বা গুনাহের কাজে লিপ্ত না হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ আদায় করল, সে সদ্য ভূমিষ্ট শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে ফিরে এলো’ (বুখারি) সুবহানাল্লাহ। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, ইয়া রসুলুল্লাহ, আমরা (মহিলারা) জিহাদকে সর্বোত্তম আমল মনে করি। সুতরাং আমরা কি জিহাদে শরিক হব না? তিনি বললেন না, বরং তোমাদের জন্য সর্বোত্তম জিহাদ হচ্ছে হজে মাবরুর (বুখারি)। হজে মাবরুর হলো কবুল হজ। রসুল (সা.) বলেছেন, হজে মাবরুরের প্রতিদান একমাত্র জান্নাত ব্যতীত আর কিছু নয়।  আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ ও ওমরাহ পালন কর।’ (সুরা বাকারা-১৯৬)। ‘অতঃপর তারা যেন এখানে এসে তাদের যাবতীয় ময়লা, কালিমা দূর করে, নিজেদের মানতসমূহ পুরো করে, বিশেষ করে তারা যেন এ প্রাচীন ঘরটির তাওয়াফ করে’ (সুরা হজ-২৯)। 
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, ‘নবী (সা.) কীভাবে তালবিয়া পাঠ করতেন তা আমি অবশ্যই জানি। তাঁর তালবিয়া ছিল, লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারিকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ানি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক।’ হজের ফরজ তিনটি। ১. মিকাত থেকে ইহরাম বাঁধা। ২. ৯ জিলহজ তারিখে আরাফাত ময়দানে অবস্থান করা। ৩. ১০ জিলহজ সুবহে সাদিকের পর থেকে নিয়ে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্বে বায়তুল্লাহ শরিফ তাওয়াফে জিয়ারত করা। হজের ওয়াজিব ছয়টি। ১. ৯ জিলহজ সূর্যাস্তের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত মুজদালিফায় অবস্থান করা। ২. সাফা মারওয়ায় সায়ী করা (সাতবার)। ৩. মিনায় শয়তানকে কঙ্কর মারা। ৪. ইহরাম খোলার জন্য মাথা মুন্ডানো ৫. বিদায়ী তাওয়াফ করা। ৬. কোরবানি করা।  আল্লাহর ঘর কাবাকে তাওয়াফকারীদের জন্য পবিত্র রাখার জন্য আল্লাহ বলেন, ‘আর স্মরণ কর, যখন আমি কাবাকে মানুষের জন্য মিলনকেন্দ্র ও নিরাপদ স্থান বানালাম এবং আদেশ দিলাম যে, তোমরা মাকামে ইবরাহিমকে সালাতের স্থানরূপে গ্রহণ কর। আর আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম যে, তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু সিজদাহকারীদের জন্য পবিত্র কর।’ (সুরা বাকারা-১২৫)। আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে এবং যারা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হজ আদায় করতে মক্কায় মিলিত হয়েছেন তাদের সবাইকে সুস্থ রাখুন ও মাবরুর হজ আদায় করার তৌফিক দান করুন।
আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার মসজিদ তথা মসজিদে নববিতে লাগাতার ৪০ ওয়াক্ত নামাজ এমনভাবে আদায় করে যে, এর মধ্যে এক ওয়াক্ত নামাজও ছোটেনি, তাকে মুনাফেকি ও জাহান্নামের আজাব থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। (মুসনাদে আহ্মদ :১২৫৮৩) 
তাই প্রত্যেক বাইতুল্লাহর মুসাফিরের উচিত অত্যন্ত আদব, ভক্তি, বিনয় ও মহব্বত নিয়ে মদিনায় হাজির হয়ে রসুলুল্লাহ (স.)-এর রওজা জিয়ারত করা এবং তার শানে অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করা।
0:31 / 43:23
হজ্বের পদ্ধতি (মিকাত থেকে বিদায়ী তাওয়াফ পর্যন্ত)
youtube
হজ্জ করার নিয়ম
youtube
হজ্জের নিয়ম কানুন
youtube
হজের গুরুত্ব ও ফজিলত
Importance and virtues of Hajj
রাসুল সাঃ এর হজ্জ
Hajj of the Prophet PBUH
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 4 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
হজের গুরুত্ব ও ফজিলত
Importance and virtues of Hajj
সামর্থবান মুসলমানদের জন্য হজ্ব একটি অত্যাবশ্যকীয় ইবাদত। হজ্বের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে অনেককেই বিভ্রান্তির শিকার হতে দেখা যায়। সে কারণে হজ্বের পূর্বে ও হজ্বে থাকাকালীন হজের বিধি-বিধান সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
হজের মাধ্যমে মুমিনের আত্মিক, দৈহিক ও আর্থিক ইবাদতের সমাবেশ ঘটে। প্রত্যেক সামর্থ্যবান প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের ওপর জীবনে একবার হজ করা ফরজ এবং এর অস্বীকারকারী কাফের।
মহান আল্লাহ তাআলা এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন, আর এই ঘরের হজ করা হলো মানুষের ওপর আল্লাহর প্রাপ্য; যার সামর্থ্য রয়েছে বাইতুল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছার। আর যে এটা অস্বীকার করবে—আল্লাহ বিশ্বজগতের সবকিছু থেকে অমুখাপেক্ষী। (সুরা আল ইমরান, আয়াত :৯৭) মহান আল্লাহ তাআলা মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে আরো ইরশাদ করেন, আর মানুষের মধ্যে হজের ঘোষণা করুন। তারা আপনার কাছে আসবে দূর-দূরান্ত থেকে পদযোগে ও সর্বপ্রকার কৃশকায় উটের পিঠে আরোহণ করে। (সুরা হজ, আয়াত:২৭)
ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে হজ অন্যতম। হজ শব্দের অর্থ হলো ইচ্ছা করা, দৃঢ় সংকল্প করা। মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিনের সান্নিধ্য লাভের আশায় নির্দিষ্ট কার্যাবলি সম্পাদনের মাধ্যমে পবিত্র কাবা ঘর জিয়ারত করাই হলো হজ। প্রত্যেক সম্পদশালী প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের ওপর হজ একটি ফরজ ইবাদত। হজ তিন প্রকার।
১. হজে ইফরাদ: শুধু হজের মৌসুমে হজের নিয়ত করে ইহরাম বেঁধে হজের করণীয় কাজ সমাপন করাকে হজে ইফরাদ বলে।
২. হজে কিরান : হজের মৌসুমে একসঙ্গে ওমরাহ ও হজের নিয়তে ইহরাম বেঁধে প্রথমে ওমরাহ (পরে ইহরাম না খুলে) একই ইহরামে হজের যাবতীয় কার্যাবলি সম্পন্ন করাকে হজে কিরান বলে।
৩. হজে তামাত্তু : হজের মৌসুমে প্রথমে ওমরাহর নিয়তে ইহরাম বেঁধে ওমরাহ করার পর ইহরাম খুলে নতুনভাবে হজের নিয়ত করে হজের যাবতীয় কার্যাবলি সম্পন্ন করাকে তামাত্তু হজ বলে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আর প্রত্যেক সামর্থ্যবান মানুষের ওপর আল্লাহর জন্য বায়তুল্লাহর হজ করা ফরজ। আর যে কুফরি করে তার জেনে রাখা উচিত, আল্লাহ তো নিশ্চয়ই সৃষ্টিকুলের প্রতি মুখাপেক্ষী নন’ (সুরা আলে ইমরান-৯৭)। এ আয়াতে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ আদায় করতে হবে। আল্লাহ আরও বলেন, ‘তুমি মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা প্রচার করে দাও, যাতে তারা তোমার কাছে পায়ে হেঁটে এবং কৃশকায় দুর্বল উটের পিঠে করে আসবে দূর-দূরান্তের পথ অতিক্রম করে’ (সুরা হজ-২৭)।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনোরূপ অশ্লীল কথা বা গুনাহের কাজে লিপ্ত না হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ আদায় করল, সে সদ্য ভূমিষ্ট শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে ফিরে এলো’ (বুখারি) সুবহানাল্লাহ। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, ইয়া রসুলুল্লাহ, আমরা (মহিলারা) জিহাদকে সর্বোত্তম আমল মনে করি। সুতরাং আমরা কি জিহাদে শরিক হব না? তিনি বললেন না, বরং তোমাদের জন্য সর্বোত্তম জিহাদ হচ্ছে হজে মাবরুর (বুখারি)। হজে মাবরুর হলো কবুল হজ। রসুল (সা.) বলেছেন, হজে মাবরুরের প্রতিদান একমাত্র জান্নাত ব্যতীত আর কিছু নয়।  আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ ও ওমরাহ পালন কর।’ (সুরা বাকারা-১৯৬)। ‘অতঃপর তারা যেন এখানে এসে তাদের যাবতীয় ময়লা, কালিমা দূর করে, নিজেদের মানতসমূহ পুরো করে, বিশেষ করে তারা যেন এ প্রাচীন ঘরটির তাওয়াফ করে’ (সুরা হজ-২৯)। 
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, ‘নবী (সা.) কীভাবে তালবিয়া পাঠ করতেন তা আমি অবশ্যই জানি। তাঁর তালবিয়া ছিল, লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারি���া লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ানি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক।’ হজের ফরজ তিনটি। ১. মিকাত থেকে ইহরাম বাঁধা। ২. ৯ জিলহজ তারিখে আরাফাত ময়দানে অবস্থান করা। ৩. ১০ জিলহজ সুবহে সাদিকের পর থেকে নিয়ে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্বে বায়তুল্লাহ শরিফ তাওয়াফে জিয়ারত করা। হজের ওয়াজিব ছয়টি। ১. ৯ জিলহজ সূর্যাস্তের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত মুজদালিফায় অবস্থান করা। ২. সাফা মারওয়ায় সায়ী করা (সাতবার)। ৩. মিনায় শয়তানকে কঙ্কর মারা। ৪. ইহরাম খোলার জন্য মাথা মুন্ডানো ৫. বিদায়ী তাওয়াফ করা। ৬. কোরবানি করা।  আল্লাহর ঘর কাবাকে তাওয়াফকারীদের জন্য পবিত্র রাখার জন্য আল্লাহ বলেন, ‘আর স্মরণ কর, যখন আমি কাবাকে মানুষের জন্য মিলনকেন্দ্র ও নিরাপদ স্থান বানালাম এবং আদেশ দিলাম যে, তোমরা মাকামে ইবরাহিমকে সালাতের স্থানরূপে গ্রহণ কর। আর আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম যে, তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু সিজদাহকারীদের জন্য পবিত্র কর।’ (সুরা বাকারা-১২৫)। আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে এবং যারা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হজ আদায় করতে মক্কায় মিলিত হয়েছেন তাদের সবাইকে সুস্থ রাখুন ও মাবরুর হজ আদায় করার তৌফিক দান করুন।
আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, ��ে ব্যক্তি আমার মসজিদ তথা মসজিদে নববিতে লাগাতার ৪০ ওয়াক্ত নামাজ এমনভাবে আদায় করে যে, এর মধ্যে এক ওয়াক্ত নামাজও ছোটেনি, তাকে মুনাফেকি ও জাহান্নামের আজাব থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। (মুসনাদে আহ্মদ :১২৫৮৩) 
তাই প্রত্যেক বাইতুল্লাহর মুসাফিরের উচিত অত্যন্ত আদব, ভক্তি, বিনয় ও মহব্বত নিয়ে মদিনায় হাজির হয়ে রসুলুল্লাহ (স.)-এর রওজা জিয়ারত করা এবং তার শানে অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করা।
0:31 / 43:23
হজ্বের পদ্ধতি (মিকাত থেকে বিদায়ী তাওয়াফ পর্যন্ত)
youtube
হজ্জ করার নিয়ম
youtube
হজ্জের নিয়ম কানুন
youtube
হজের গুরুত্ব ও ফজিলত
Importance and virtues of Hajj
রাসুল সাঃ এর হজ্জ
Hajj of the Prophet PBUH
0 notes
ilyforallahswt · 4 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
হজের গুরুত্ব ও ফজিলত
Importance and virtues of Hajj
সামর্থবান মুসলমানদের জন্য হজ্ব একটি অত্যাবশ্যকীয় ইবাদত। হজ্বের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে অনেককেই বিভ্রান্তির শিকার হতে দেখা যায়। সে কারণে হজ্বের পূর্বে ও হজ্বে থাকাকালীন হজের বিধি-বিধান সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
হজের মাধ্যমে মুমিনের আত্মিক, দৈহিক ও আর্থিক ইবাদতের সমাবেশ ঘটে। প্রত্যেক সামর্থ্যবান প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের ওপর জীবনে একবার হজ করা ফরজ এবং এর অস্বীকারকারী কাফের।
মহান আল্লাহ তাআলা এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন, আর এই ঘরের হজ করা হলো মানুষের ওপর আল্লাহর প্রাপ্য; যার সামর্থ্য রয়েছে বাইতুল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছার। আর যে এটা অস্বীকার করবে—আল্লাহ বিশ্বজগতের সবকিছু থেকে অমুখাপেক্ষী। (সুরা আল ইমরান, আয়াত :৯৭) মহান আল্লাহ তাআলা মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে আরো ইরশাদ করেন, আর মানুষের মধ্যে হজের ঘোষণা করুন। তারা আপনার কাছে আসবে দূর-দূরান্ত থেকে পদযোগে ও সর্বপ্রকার কৃশকায় উটের পিঠে আরোহণ করে। (সুরা হজ, আয়াত:২৭)
ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে হজ অন্যতম। হজ শব্দের অর্থ হলো ইচ্ছা করা, দৃঢ় সংকল্প করা। মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিনের সান্নিধ্য লাভের আশায় নির্দিষ্ট কার্যাবলি সম্পাদনের মাধ্যমে পবিত্র কাবা ঘর জিয়ারত করাই হলো হজ। প্রত্যেক সম্পদশালী প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের ওপর হজ একটি ফরজ ইবাদত। হজ তিন প্রকার।
১. হজে ইফরাদ: শুধু হজের মৌসুমে হজের নিয়ত করে ইহরাম বেঁধে হজের করণীয় কাজ সমাপন করাকে হজে ইফরাদ বলে।
২. হজে কিরান : হজের মৌসুমে একসঙ্গে ওমরাহ ও হজের নিয়তে ইহরাম বেঁধে প্রথমে ওমরাহ (পরে ইহরাম না খুলে) একই ইহরামে হজের যাবতীয় কার্যাবলি সম্পন্ন করাকে হজে কিরান বলে।
৩. হজে তামাত্তু : হজের মৌসুমে প্রথমে ওমরাহর নিয়তে ইহরাম বেঁধে ওমরাহ করার পর ইহরাম খুলে নতুনভাবে হজের নিয়ত করে হজের যাবতীয় কার্যাবলি সম্পন্ন করাকে তামাত্তু হজ বলে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আর প্রত্যেক সামর্থ্যবান মানুষের ওপর আল্লাহর জন্য বায়তুল্লাহর হজ করা ফরজ। আর যে কুফরি করে তার জেনে রাখা উচিত, আল্লাহ তো নিশ্চয়ই সৃষ্টিকুলের প্রতি মুখাপেক্ষী নন’ (সুরা আলে ইমরান-৯৭)। এ আয়াতে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ আদায় করতে হবে। আল্লাহ আরও বলেন, ‘তুমি মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা প্রচার করে দাও, যাতে তারা তোমার কাছে পায়ে হেঁটে এবং কৃশকায় দুর্বল উটের পিঠে করে আসবে দূর-দূরান্তের পথ অতিক্রম করে’ (সুরা হজ-২৭)।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনোরূপ অশ্লীল কথা বা গুনাহের কাজে লিপ্ত না হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ আদায় করল, সে সদ্য ভূমিষ্ট শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে ফিরে এলো’ (বুখারি) সুবহানাল্লাহ। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, ইয়া রসুলুল্লাহ, আমরা (মহিলারা) জিহাদকে সর্বোত্তম আমল মনে করি। সুতরাং আমরা কি জিহাদে শরিক হব না? তিনি বললেন না, বরং তোমাদের জন্য সর্বোত্তম জিহাদ হচ্ছে হজে মাবরুর (বুখারি)। হজে মাবরুর হলো কবুল হজ। রসুল (সা.) বলেছেন, হজে মাবরুরের প্রতিদান একমাত্র জান্নাত ব্যতীত আর কিছু নয়।  আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ ও ওমরাহ পালন কর।’ (সুরা বাকারা-১৯৬)। ‘অতঃপর তারা যেন এখানে এসে তাদের যাবতীয় ময়লা, কালিমা দূর করে, নিজেদের মানতসমূহ পুরো করে, বিশেষ করে তারা যেন এ প্রাচীন ঘরটির তাওয়াফ করে’ (সুরা হজ-২৯)। 
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, ‘নবী (সা.) কীভাবে তালবিয়া পাঠ করতেন তা আমি অবশ্যই জানি। তাঁর তালবিয়া ছিল, লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারিকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ানি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক।’ হজের ফরজ তিনটি। ১. মিকাত থেকে ইহরাম বাঁধা। ২. ৯ জিলহজ তারিখে আরাফাত ময়দানে অবস্থান করা। ৩. ১০ জিলহজ সুবহে সাদিকের পর থেকে নিয়ে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্বে বায়তুল্লাহ শরিফ তাওয়াফে জিয়ারত করা। হজের ওয়াজিব ছয়টি। ১. ৯ জিলহজ সূর্যাস্তের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত মুজদালিফায় অবস্থান করা। ২. সাফা মারওয়ায় সায়ী করা (সাতবার)। ৩. মিনায় শয়তানকে কঙ্কর মারা। ৪. ইহরাম খোলার জন্য মাথা মুন্ডানো ৫. বিদায়ী তাওয়াফ করা। ৬. কোরবানি করা।  আল্লাহর ঘর কাবাকে তাওয়াফকারীদের জন্য পবিত্র রাখার জন্য আল্লাহ বলেন, ‘আর স্মরণ কর, যখন আমি কাবাকে মানুষের জন্য মিলনকেন্দ্র ও নিরাপদ স্থান বানালাম এবং আদেশ দিলাম যে, তোমরা মাকামে ইবরাহিমকে সালাতের স্থানরূপে গ্রহণ কর। আর আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম যে, তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু সিজদাহকারীদের জন্য পবিত্র কর।’ (সুরা বাকারা-১২৫)�� আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে এবং যারা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হজ আদায় করতে মক্কায় মিলিত হয়েছেন তাদের সবাইকে সুস্থ রাখুন ও মাবরুর হজ আদায় করার তৌফিক দান করুন।
আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার মসজিদ তথা মসজিদে নববিতে লাগাতার ৪০ ওয়াক্ত নামাজ এমনভাবে আদায় করে যে, এর মধ্যে এক ওয়াক্ত নামাজও ছোটেনি, তাকে মুনাফেকি ও জাহান্নামের আজাব থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। (মুসনাদে আহ্মদ :১২৫৮৩) 
তাই প্রত্যেক বাইতুল্লাহর মুসাফিরের উচিত অত্যন্ত আদব, ভক্তি, বিনয় ও মহব্বত নিয়ে মদিনায় হাজির হয়ে রসুলুল্লাহ (স.)-এর রওজা জিয়ারত করা এবং তার শানে অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করা।
0:31 / 43:23
হজ্বের পদ্ধতি (মিকাত থেকে বিদায়ী তাওয়াফ পর্যন্ত)
youtube
হজ্জ করার নিয়ম
youtube
হজ্জের নিয়ম কানুন
youtube
হজের গুরুত্ব ও ফজিলত
Importance and virtues of Hajj
রাসুল সাঃ এর হজ্জ
Hajj of the Prophet PBUH
1 note · View note
myreligionislam · 4 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
হজের গুরুত্ব ও ফজিলত
Importance and virtues of Hajj
সামর্থবান মুসলমানদের জন্য হজ্ব একটি অত্যাবশ্যকীয় ইবাদত। হজ্বের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে অনেককেই বিভ্রান্তির শিকার হতে দেখা যায়। সে কারণে হজ্বের পূর্বে ও হজ্বে থাকাকালীন হজের বিধি-বিধান সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
হজের মাধ্যমে মুমিনের আত্মিক, দৈহিক ও আর্থিক ইবাদতের সমাবেশ ঘটে। প্রত্যেক সামর্থ্যবান প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের ওপর জীবনে একবার হজ করা ফরজ এবং এর অস্বীকারকারী কাফের।
মহান আল্লাহ তাআলা এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন, আর এই ঘরের হজ করা হলো মানুষের ওপর আল্লাহর প্রাপ্য; যার সামর্থ্য রয়েছে বাইতুল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছার। আর যে এটা অস্বীকার করবে—আল্লাহ বিশ্বজগতের সবকিছু থেকে অমুখাপেক্ষী। (সুরা আল ইমরান, আয়াত :৯৭) মহান আল্লাহ তাআলা মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে আরো ইরশাদ করেন, আর মানুষের মধ্যে হজের ঘোষণা করুন। তারা আপনার কাছে আসবে দূর-দূরান্ত থেকে পদযোগে ও সর্বপ্রকার কৃশকায় উটের পিঠে আরোহণ করে। (সুরা হজ, আয়াত:২৭)
ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে হজ অন্যতম। হজ শব্দের অর্থ হলো ইচ্ছা করা, দৃঢ় সংকল্প করা। মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিনের সান্নিধ্য লাভের আশায় নির্দিষ্ট কার্যাবলি সম্প��দনের মাধ্যমে পবিত্র কাবা ঘর জিয়ারত করাই হলো হজ। প্রত্যেক সম্পদশালী প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের ওপর হজ একটি ফরজ ইবাদত। হজ তিন প্রকার।
১. হজে ইফরাদ: শুধু হজের মৌসুমে হজের নিয়ত করে ইহরাম বেঁধে হজের করণীয় কাজ সমাপন করাকে হজে ইফরাদ বলে।
২. হজে কিরান : হজের মৌসুমে একসঙ্গে ওমরাহ ও হজের নিয়তে ইহরাম বেঁধে প্রথমে ওমরাহ (পরে ইহরাম না খুলে) একই ইহরামে হজের যাবতীয় কার্যাবলি সম্পন্ন করাকে হজে কিরান বলে।
৩. হজে তামাত্তু : হজের মৌসুমে প্রথমে ওমরাহর নিয়তে ইহরাম বেঁধে ওমরাহ করার পর ইহরাম খুলে নতুনভাবে হজের নিয়ত করে হজের যাবতীয় কার্যাবলি সম্পন্ন করাকে তামাত্তু হজ বলে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আর প্রত্যেক সামর্থ্যবান মানুষের ওপর আল্লাহর জন্য বায়তুল্লাহর হজ করা ফরজ। আর যে কুফরি করে তার জেনে রাখা উচিত, আল্লাহ তো নিশ্চয়ই সৃষ্টিকুলের প্রতি মুখাপেক্ষী নন’ (সুরা আলে ইমরান-৯৭)। এ আয়াতে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ আদায় করতে হবে। আল্লাহ আরও বলেন, ‘তুমি মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা প্রচার করে দাও, যাতে তারা তোমার কাছে পায়ে হেঁটে এবং কৃশকায় দুর্বল উটের পিঠে করে আসবে দূর-দূরান্তের পথ অতিক্রম করে’ (সুরা হজ-২৭)।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনোরূপ অশ্লীল কথা বা গুনাহের কাজে লিপ্ত না হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ আদায় করল, সে সদ্য ভূমিষ্ট শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে ফিরে এলো’ (বুখারি) সুবহানাল্লাহ। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, ইয়া রসুলুল্লাহ, আমরা (মহিলারা) জিহাদকে সর্বোত্তম আমল মনে করি। সুতরাং আমরা কি জিহাদে শরিক হব না? তিনি বললেন না, বরং তোমাদের জন্য সর্বোত্তম জিহাদ হচ্ছে হজে মাবরুর (বুখারি)। হজে মাবরুর হলো কবুল হজ। রসুল (সা.) বলেছেন, হজে মাবরুরের প্রতিদান একমাত্র জান্নাত ব্যতীত আর কিছু নয়।  আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ ও ওমরাহ পালন কর।’ (সুরা বাকারা-১৯৬)। ‘অতঃপর তারা যেন এখানে এসে তাদের যাবতীয় ময়লা, কালিমা দূর করে, নিজেদের মানতসমূহ পুরো করে, বিশেষ করে তারা যেন এ প্রাচীন ঘরটির তাওয়াফ করে’ (সুরা হজ-২৯)। 
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, ‘নবী (সা.) কীভাবে তালবিয়া পাঠ করতেন তা আমি অবশ্যই জানি। তাঁর তালবিয়া ছিল, লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারিকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ানি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক।’ হজের ফরজ তিনটি। ১. মিকাত থেকে ইহরাম বাঁধা। ২. ৯ জিলহজ তারিখে আরাফাত ময়দানে অবস্থান করা। ৩. ১০ জিলহজ সুবহে সাদিকের পর থেকে নিয়ে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্বে বায়তুল্লাহ শরিফ তাওয়াফে জিয়ারত করা। হজের ওয়াজিব ছয়টি। ১. ৯ জিলহজ সূর্যাস্তের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত মুজদালিফায় অবস্থান করা। ২. সাফা মারওয়ায় সায়ী করা (সাতবার)। ৩. মিনায় শয়তানকে কঙ্কর মারা। ৪. ইহরাম খোলার জন্য মাথা মুন্ডানো ৫. বিদায়ী তাওয়াফ করা। ৬. কোরবানি করা।  আল্লাহর ঘর কাবাকে তাওয়াফকারীদের জন্য পবিত্র রাখার জন্য আল্লাহ বলেন, ‘আর স্মরণ কর, যখন আমি কাবাকে মানুষের জন্য মিলনকেন্দ্র ও নিরাপদ স্থান বানালাম এবং আদেশ দিলাম যে, তোমরা মাকামে ইবরাহিমকে সালাতের স্থানরূপে গ্রহণ কর। আর আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম যে, তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু সিজদাহকারীদের জন্য পবিত্র কর।’ (সুরা বাকারা-১২৫)। আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে এবং যারা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হজ আদায় করতে মক্কায় মিলিত হয়েছেন তাদের সবাইকে সুস্থ রাখুন ও মাবরুর হজ আদায় করার তৌফিক দান করুন।
আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার মসজিদ তথা মসজিদে নববিতে লাগাতার ৪০ ওয়াক্ত নামাজ এমনভাবে আদায় করে যে, এর মধ্যে এক ওয়াক্ত নামাজও ছোটেনি, তাকে মুনাফেকি ও জাহান্নামের আজাব থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। (মুসনাদে আহ্মদ :১২৫৮৩) 
তাই প্রত্যেক বাইতুল্লাহর মুসাফিরের উচিত অত্যন্ত আদব, ভক্তি, বিনয় ও মহব্বত নিয়ে মদিনায় হাজির হয়ে রসুলুল্লাহ (স.)-এর রওজা জিয়ারত করা এবং তার শানে অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করা।
0:31 / 43:23
হজ্বের পদ্ধতি (মিকাত থেকে বিদায়ী তাওয়াফ পর্যন্ত)
youtube
হজ্জ করার নিয়ম
youtube
হজ্জের নিয়ম কানুন
youtube
হজের গুরুত্ব ও ফজিলত
Importance and virtues of Hajj
রাসুল সাঃ এর হজ্জ
Hajj of the Prophet PBUH
0 notes
allahisourrabb · 4 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
হজের গুরুত্ব ও ফজিলত
Importance and virtues of Hajj
সামর্থবান মুসলমানদের জন্য হজ্ব একটি অত্যাবশ্যকীয় ইবাদত। হজ্বের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে অনেককেই বিভ্রান্তির শিকার হতে দেখা যায়। সে কারণে হজ্বের পূর্বে ও হজ্বে থাকাকালীন হজের বিধি-বিধান সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
হজের মাধ্যমে মুমিনের আত্মিক, দৈহিক ও আর্থিক ইবাদতের সমাবেশ ঘটে। প্রত্যেক সামর্থ্যবান প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের ওপর জীবনে একবার হজ করা ফরজ এবং এর অস্বীকারকারী কাফের।
মহান আল্লাহ তাআলা এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন, আর এই ঘরের হজ করা হলো মানুষের ওপর আল্লাহর প্রাপ্য; যার সামর্থ্য রয়েছে বাইতুল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছার। আর যে এটা অস্বীকার করবে—আল্লাহ বিশ্বজগতের সবকিছু থেকে অমুখাপেক্ষী। (সুরা আল ইমরান, আয়াত :৯৭) মহান আল্লাহ তাআলা মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে আরো ইরশাদ করেন, আর মানুষের মধ্যে হজের ঘোষণা করুন। তারা আপনার কাছে আসবে দূর-দূরান্ত থেকে পদযোগে ও সর্বপ্রকার কৃশকায় উটের পিঠে আরোহণ করে। (সুরা হজ, আয়াত:২৭)
ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে হজ অন্যতম। হজ শব্দের অর্থ হলো ইচ্ছা করা, দৃঢ় সংকল্প করা। মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিনের সান্নিধ্য লাভের আশায় নির্দিষ্ট কার্যাবলি সম্পাদনের মাধ্যমে পবিত্র কাবা ঘর জিয়ারত করাই হলো হজ। প্রত্যেক সম্পদশালী প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের ওপর হজ একটি ফরজ ইবাদত। হজ তিন প্রকার।
১. হজে ইফরাদ: শুধু হজের মৌসুমে হজের নিয়ত করে ইহরাম বেঁধে হজের করণীয় কাজ সমাপন করাকে হজে ইফরাদ বলে।
২. হজে কিরান : হজের মৌসুমে একসঙ্গে ওমরাহ ও হজের নিয়তে ইহরাম বেঁধে প্রথমে ওমরাহ (পরে ইহরাম না খুলে) একই ইহরামে হজের যাবতীয় কার্যাবলি সম্পন্ন করাকে হজে কিরান বলে।
৩. হজে তামাত্তু : হজের মৌসুমে প্রথমে ওমরাহর নিয়তে ইহরাম বেঁধে ওমরাহ করার পর ইহরাম খুলে নতুনভাবে হজের নিয়ত করে হজের যাবতীয় কার্যাবলি সম্পন্ন করাকে তামাত্তু হজ বলে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আর প্রত্যেক সামর্থ্যবান মানুষের ওপর আল্লাহর জন্য বায়তুল্লাহর হজ করা ফরজ। আর যে কুফরি করে তার জেনে রাখা উচিত, আল্লাহ তো নিশ্চয়ই সৃষ্টিকুলের প্রতি মুখাপেক্ষী নন’ (সুরা আলে ইমরান-৯৭)। এ আয়াতে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ আদায় করতে হবে। আল্লাহ আরও বলেন, ‘তুমি মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা প্রচার করে দাও, যাতে তারা তোমার কাছে পায়ে হেঁটে এবং কৃশকায় দুর্বল উটের পিঠে করে আসবে দূর-দূরান্তের পথ অতিক্রম করে’ (সুরা হজ-২৭)।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনোরূপ অশ্লীল কথা বা গুনাহের কাজে লিপ্ত না হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ আদায় করল, সে সদ্য ভূমিষ্ট শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে ফিরে এলো’ (বুখারি) সুবহানাল্লাহ। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, ইয়া রসুলুল্লাহ, আমরা (মহিলারা) জিহাদকে সর্বোত্তম আমল মনে করি। সুতরাং আমরা কি জিহাদে শরিক হব না? তিনি বললেন না, বরং তোমাদের জন্য সর্বোত্তম জিহাদ হচ্ছে হজে মাবরুর (বুখারি)। হজে মাবরুর হলো কবুল হজ। রসুল (সা.) বলেছেন, হজে মাবরুরের প্রতিদান একমাত্র জান্নাত ব্যতীত আর কিছু নয়।  আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ ও ওমরাহ পালন কর।’ (সুরা বাকারা-১৯৬)। ‘অতঃপর তারা যেন এখানে এসে তাদের যাবতীয় ময়লা, কালিমা দূর করে, নিজেদের মানতসমূহ পুরো করে, বিশেষ করে তারা যেন এ প্রাচীন ঘরটির তাওয়াফ করে’ (সুরা হজ-২৯)। 
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, ‘নবী (সা.) কীভাবে তালবিয়া পাঠ করতেন তা আমি অবশ্যই জানি। তাঁর তালবিয়া ছিল, লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারিকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ানি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক।’ হজের ফরজ তিনটি। ১. মিকাত থেকে ইহরাম বাঁধা। ২. ৯ জিলহজ তারিখে আরাফাত ময়দানে অবস্থান করা। ৩. ১০ জিলহজ সুবহে সাদিকের পর থেকে নিয়ে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্বে বায়তুল্লাহ শরিফ তাওয়াফে জিয়ারত করা। হজের ওয়াজিব ছয়টি। ১. ৯ জিলহজ সূর্যাস্তের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত মুজদালিফায় অবস্থান করা। ২. সাফা মারওয়ায় সায়ী করা (সাতবার)। ৩. মিনায় শয়তানকে কঙ্কর মারা। ৪. ইহরাম খোলার জন্য মাথা মুন্ডানো ৫. বিদায়ী তাওয়াফ করা। ৬. কোরবানি করা।  আল্লাহর ঘর কাবাকে তাওয়াফকারীদের জন্য পবিত্র রাখার জন্য আল্লাহ বলেন, ‘আর স্মরণ কর, যখন আমি কাবাকে মানুষের জন্য মিলনকেন্দ্র ও নিরাপদ স্থান বানালাম এবং আদেশ দিলাম যে, তোমরা মাকামে ইবরাহিমকে সালাতের স্থানরূপে গ্রহণ কর। আর আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম যে, তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু সিজদাহকারীদের জন্য পবিত্র কর।’ (সুরা বাকারা-১২৫)। আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে এবং যারা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হজ আদায় করতে মক্কায় মিলিত হয়েছেন তাদের সবাইকে সুস্থ রাখুন ও মাবরুর হজ আদায় করার তৌফিক দান করুন।
আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার মসজিদ তথা মসজিদে নববিতে লাগাতার ৪০ ওয়াক্ত নামাজ এমনভাবে আদায় করে যে, এর মধ্যে এক ওয়াক্ত নামাজও ছোটেনি, তাকে মুনাফেকি ও জাহান্নামের আজাব থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। (মুসনাদে আহ্মদ :১২৫৮৩) 
তাই প্রত্যেক বাইতুল্লাহর মুসাফিরের উচিত অত্যন্ত আদব, ভক্তি, বিনয় ও মহব্বত নিয়ে মদিনায় হাজির হয়ে রসুলুল্লাহ (স.)-এর রওজা জিয়ারত করা এবং তার শানে অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করা।
0:31 / 43:23
হজ্বের পদ্ধতি (মিকাত থেকে বিদায়ী তাওয়াফ পর্যন্ত)
youtube
হজ্জ করার নিয়ম
youtube
হজ্জের নিয়ম কানুন
youtube
হজের গুরুত্ব ও ফজিলত
Importance and virtues of Hajj
রাসুল সাঃ এর হজ্জ
Hajj of the Prophet PBUH
0 notes
mylordisallah · 4 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
হজের গুরুত্ব ও ফজিলত
Importance and virtues of Hajj
সামর্থবান মুসলমানদের জন্য হজ্ব একটি অত্যাবশ্যকীয় ইবাদত। হজ্বের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে অনেককেই বিভ্রান্তির শিকার হতে দেখা যায়। সে কারণে হজ্বের পূর্বে ও হজ্বে থাকাকালীন হজের বিধি-বিধান সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
হজের মাধ্যমে মুমিনের আত্মিক, দৈহিক ও আর্থিক ইবাদতের সমাবেশ ঘটে। প্রত্যেক সামর্থ্যবান প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের ওপর জীবনে একবার হজ করা ফরজ এবং এর অস্বীকারকারী কাফের।
মহান আল্লাহ তাআলা এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন, আর এই ঘরের হজ করা হলো মানুষের ওপর আল্লাহর প্রাপ্য; যার সামর্থ্য রয়েছে বাইতুল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছার। আর যে এটা অস্বীকার করবে—আল্লাহ বিশ্বজগতের সবকিছু থেকে অমু���াপেক্ষী। (সুরা আল ইমরান, আয়াত :৯৭) মহান আল্লাহ তাআলা মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে আরো ইরশাদ করেন, আর মানুষের মধ্যে হজের ঘোষণা করুন। তারা আপনার কাছে আসবে দূর-দূরান্ত থেকে পদযোগে ও সর্বপ্রকার কৃশকায় উটের পিঠে আরোহণ করে। (সুরা হজ, আয়াত:২৭)
ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে হজ অন্যতম। হজ শব্দের অর্থ হলো ইচ্ছা করা, দৃঢ় সংকল্প করা। মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিনের সান্নিধ্য লাভের আশায় নির্দিষ্ট কার্যাবলি সম্পাদনের মাধ্যমে পবিত্র কাবা ঘর জিয়ারত করাই হলো হজ। প্রত্যেক সম্পদশালী প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের ওপর হজ একটি ফরজ ইবাদত। হজ তিন প্রকার।
১. হজে ইফরাদ: শুধু হজের মৌসুমে হজের নিয়ত করে ইহরাম বেঁধে হজের করণীয় কাজ সমাপন করাকে হজে ইফরাদ বলে।
২. হজে কিরান : হজের মৌসুমে একসঙ্গে ওমরাহ ও হজের নিয়তে ইহরাম বেঁধে প্রথমে ওমরাহ (পরে ইহরাম না খুলে) একই ইহরামে হজের যাবতীয় কার্যাবলি সম্পন্ন করাকে হজে কিরান বলে।
৩. হজে তামাত্তু : হজের মৌসুমে প্রথমে ওমরাহর নিয়তে ইহরাম বেঁধে ওমরাহ করার পর ইহরাম খুলে নতুনভাবে হজের নিয়ত করে হজের যাবতীয় কার্যাবলি সম্পন্ন করাকে তামাত্তু হজ বলে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আর প্রত্যেক সামর্থ্যবান মানুষের ওপর আল্লাহর জন্য বায়তুল্লাহর হজ করা ফরজ। আর যে কুফরি করে তার জেনে রাখা উচিত, আল্লাহ তো নিশ্চয়ই সৃষ্টিকুলের প্রতি মুখাপেক্ষী নন’ (সুরা আলে ইমরান-৯৭)। এ আয়াতে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ আদায় করতে হবে। আল্লাহ আরও বলেন, ‘তুমি মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা প্রচার করে দাও, যাতে তারা তোমার কাছে পায়ে হেঁটে এবং কৃশকায় দুর্বল উটের পিঠে করে আসবে দূর-দূরান্তের পথ অতিক্রম করে’ (সুরা হজ-২৭)।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনোরূপ অশ্লীল কথা বা গুনাহের কাজে লিপ্ত না হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ আদায় করল, সে সদ্য ভূমিষ্ট শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে ফিরে এলো’ (বুখারি) সুবহানাল্লাহ। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, ইয়া রসুলুল্লাহ, আমরা (মহিলারা) জিহাদকে সর্বোত্তম আমল মনে করি। সুতরাং আমরা কি জিহাদে শরিক হব না? তিনি বললেন না, বরং তোমাদের জন্য সর্বোত্তম জিহাদ হচ্ছে হজে মাবরুর (বুখারি)। হজে মাবরুর হলো কবুল হজ। রসুল (সা.) বলেছেন, হজে মাবরুরের প্রতিদান একমাত্র জান্নাত ব্যতীত আর কিছু নয়।  আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ ও ওমরাহ পালন কর।’ (সুরা বাকারা-১৯৬)। ‘অতঃপর তারা যেন এখানে এসে তাদের যাবতীয় ময়লা, কালিমা দূর করে, নিজেদের মানতসমূহ পুরো করে, বিশেষ করে তারা যেন এ প্রাচীন ঘরটির তাওয়াফ করে’ (সুরা হজ-২৯)। 
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, ‘নবী (সা.) কীভাবে তালবিয়া পাঠ করতেন তা আমি অবশ্যই জানি। তাঁর তালবিয়া ছিল, লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারিকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ানি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক।’ হজের ফরজ তিনটি। ১. মিকাত থেকে ইহরাম বাঁধা। ২. ৯ জিলহজ তারিখে আরাফাত ময়দানে অবস্থান করা। ৩. ১০ জিলহজ সুবহে সাদিকের পর থেকে নিয়ে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্বে বায়তুল্লাহ শরিফ তাওয়াফে জিয়ারত করা। হজের ওয়াজিব ছয়টি। ১. ৯ জিলহজ সূর্যাস্তের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত মুজদালিফায় অবস্থান করা। ২. সাফা মারওয়ায় সায়ী করা (সাতবার)। ৩. মিনায় শয়তানকে কঙ্কর মারা। ৪. ইহরাম খোলার জন্য মাথা মুন্ডানো ৫. বিদায়ী তাওয়াফ করা। ৬. কোরবানি করা।  আল্লাহর ঘর কাবাকে তাওয়াফকারীদের জন্য পবিত্র রাখার জন্য আল্লাহ বলেন, ‘আর স্মরণ কর, যখন আমি কাবাকে মানুষের জন্য মিলনকেন্দ্র ও নিরাপদ স্থান বানালাম এবং আদেশ দিলাম যে, তোমরা মাকামে ইবরাহিমকে সালাতের স্থানরূপে গ্রহণ কর। আর আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম যে, তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু সিজদাহকারীদের জন্য পবিত্র কর।’ (সুরা বাকারা-১২৫)। আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে এবং যারা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হজ আদায় করতে মক্কায় মিলিত হয়েছেন তাদের সবাইকে সুস্থ রাখুন ও মাবরুর হজ আদায় করার তৌফিক দান করুন।
আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার মসজিদ তথা মসজিদে নববিতে লাগাতার ৪০ ওয়াক্ত নামাজ এমনভাবে আদায় করে যে, এর মধ্যে এক ওয়াক্ত নামাজও ছোটেনি, তাকে মুনাফেকি ও জাহান্নামের আজাব থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। (মুসনাদে আহ্মদ :১২৫৮৩) 
তাই প্রত্যেক বাইতুল্লাহর মুসাফিরের উচিত অত্যন্ত আদব, ভক্তি, বিনয় ও মহব্বত নিয়ে মদিনায় হাজির হয়ে রসুলুল্লাহ (স.)-এর রওজা জিয়ারত করা এবং তার শানে অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করা।
0:31 / 43:23
হজ্বের পদ্ধতি (মিকাত থেকে বিদায়ী তাওয়াফ পর্যন্ত)
youtube
হজ্জ করার নিয়ম
youtube
হজ্জের নিয়ম কানুন
youtube
হজের গুরুত্ব ও ফজিলত
Importance and virtues of Hajj
রাসুল সাঃ এর হজ্জ
Hajj of the Prophet PBUH
0 notes
quransunnahdawah · 4 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
হজের গুরুত্ব ও ফজিলত
Importance and virtues of Hajj
সামর্থবান মুসলমানদের জন্য হজ্ব একটি অত্যাবশ্যকীয় ইবাদত। হজ্বের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে অনেককেই বিভ্রান্তির শিকার হতে দেখা যায়। সে কারণে হজ্বের পূর্বে ও হজ্বে থাকাকালীন হজের বিধি-বিধান সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
হজের মাধ্যমে মুমিনের আত্মিক, দৈহিক ও আর্থিক ইবাদতের সমাবেশ ঘটে। প্রত্যেক সামর্থ্যবান প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের ওপর জীবনে একবার হজ করা ফরজ এবং এর অস্বীকারকারী কাফের।
মহান আল্লাহ তাআলা এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন, আর এই ঘরের হজ করা হলো মানুষের ওপর আল্লাহর প্রাপ্য; যার সামর্থ্য রয়েছে বাইতুল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছার। আর যে এটা অস্বীকার করবে—আল্লাহ বিশ্বজগতের সবকিছু থেকে অমুখাপেক্ষী। (সুরা আল ইমরান, আয়াত :৯৭) মহান আল্লাহ তাআলা মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে আরো ইরশাদ করেন, আর মানুষের মধ্যে হজের ঘোষণা করুন। তারা আপনার কাছে আসবে দূর-দূরান্ত থেকে পদযোগে ও সর্বপ্রকার কৃশকায় উটের পিঠে আরোহণ করে। (সুরা হজ, আয়াত:২৭)
ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে হজ অন্যতম। হজ শব্দের অর্থ হলো ইচ্ছা করা, দৃঢ় সংকল্প করা। মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিনের সান্নিধ্য লাভের আশায় নির্দিষ্ট কার্যাবলি সম্পাদনের মাধ্যমে পবিত্র কাবা ঘর জিয়ারত করাই হলো হজ। প্রত্যেক সম্পদশালী প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের ওপর হজ একটি ফরজ ইবাদত। হজ তিন প্রকার।
১. হজে ইফরাদ: শুধু হজের মৌসুমে হজের নিয়ত করে ইহরাম বেঁধে হজের করণীয় কাজ সমাপন করাকে হজে ইফরাদ বলে।
২. হজে কিরান : হজের মৌসুমে একসঙ্গে ওমরাহ ও হজের নিয়তে ইহরাম বেঁধে প্রথমে ওমরাহ (পরে ইহরাম না খুলে) একই ইহরামে হজের যাবতীয় কার্যাবলি সম্পন্ন করাকে হজে কিরান বলে।
৩. হজে তামাত্তু : হজের মৌসুমে প্রথমে ওমরাহর নিয়তে ইহরাম বেঁধে ওমরাহ করার পর ইহরাম খুলে নতুনভাবে হজের নিয়ত করে হজের যাবতীয় কার্যাবলি সম্পন্ন করাকে তামাত্তু হজ বলে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আর প্রত্যেক সামর্থ্যবান মানুষের ওপর আল্লাহর জন্য বায়তুল্লাহর হজ করা ফরজ। আর যে কুফরি করে তার জেনে রাখা উচিত, আল্লাহ তো নিশ্চয়ই সৃষ্টিকুলের প্রতি মুখাপেক্ষী নন’ (সুরা আলে ইমরান-৯৭)। এ আয়াতে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ আদায় করতে হবে। আল্লাহ আরও বলেন, ‘তুমি মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা প্রচার করে দাও, যাতে তারা তোমার কাছে পায়ে হেঁটে এবং কৃশকায় দুর্বল উটের পিঠে করে আসবে দূর-দূরান্তের পথ অতিক্রম করে’ (সুরা হজ-২৭)।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনোরূপ অশ্লীল কথা বা গুনাহের কাজে লিপ্ত না হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ আদায় করল, সে সদ্য ভূমিষ্ট শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে ফিরে এলো’ (বুখারি) সুবহানাল্লাহ। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, ইয়া রসুলুল্লাহ, আমরা (মহিলারা) জিহাদকে সর্বোত্তম আমল মনে করি। সুতরাং আমরা কি জিহাদে শরিক হব না? তিনি বললেন না, বরং তোমাদের জন্য স��্বোত্তম জিহাদ হচ্ছে হজে মাবরুর (বুখারি)। হজে মাবরুর হলো কবুল হজ। রসুল (সা.) বলেছেন, হজে মাবরুরের প্রতিদান একমাত্র জান্নাত ব্যতীত আর কিছু নয়।  আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ ও ওমরাহ পালন কর।’ (সুরা বাকারা-১৯৬)। ‘অতঃপর তারা যেন এখানে এসে তাদের যাবতীয় ময়লা, কালিমা দূর করে, নিজেদের মানতসমূহ পুরো করে, বিশেষ করে তারা যেন এ প্রাচীন ঘরটির তাওয়াফ করে’ (সুরা হজ-২৯)। 
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, ‘নবী (সা.) কীভাবে তালবিয়া পাঠ করতেন তা আমি অবশ্যই জানি। তাঁর তালবিয়া ছিল, লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারিকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ানি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক।’ হজের ফরজ তিনটি। ১. মিকাত থেকে ইহরাম বাঁধা। ২. ৯ জিলহজ তারিখে আরাফাত ময়দানে অবস্থান করা। ৩. ১০ জিলহজ সুবহে সাদিকের পর থেকে নিয়ে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্বে বায়তুল্লাহ শরিফ তাওয়াফে জিয়ারত করা। হজের ওয়াজিব ছয়টি। ১. ৯ জিলহজ সূর্যাস্তের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত মুজদালিফায় অবস্থান করা। ২. সাফা মারওয়ায় সায়ী করা (সাতবার)। ৩. মিনায় শয়তানকে কঙ্কর মারা। ৪. ইহরাম খোলার জন্য মাথা মুন্ডানো ৫. বিদায়ী তাওয়াফ করা। ৬. কোরবানি করা।  আল্লাহর ঘর কাবাকে তাওয়াফকারীদের জন্য পবিত্র রাখার জন্য আল্লাহ বলেন, ‘আর স্মরণ কর, যখন আমি কাবাকে মানুষের জন্য মিলনকেন্দ্র ও নিরাপদ স্থান বানালাম এবং আদেশ দিলাম যে, তোমরা মাকামে ইবরাহিমকে সালাতের স্থানরূপে গ্রহণ কর। আর আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম যে, তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু সিজদাহকারীদের জন্য পবিত্র কর।’ (সুরা বাকারা-১২৫)। আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে এবং যারা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হজ আদায় করতে মক্কায় মিলিত হয়েছেন তাদের সবাইকে সুস্থ রাখুন ও মাবরুর হজ আদায় করার তৌফিক দান করুন।
আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার মসজিদ তথা মসজিদে নববিতে লাগাতার ৪০ ওয়াক্ত নামাজ এমনভাবে আদায় করে যে, এর মধ্যে এক ওয়াক্ত নামাজও ছোটেনি, তাকে মুনাফেকি ও জাহান্নামের আজাব থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। (মুসনাদে আহ্মদ :১২৫৮৩) 
তাই প্রত্যেক বাইতুল্লাহর মুসাফিরের উচিত অত্যন্ত আদব, ভক্তি, বিনয় ও মহব্বত নিয়ে মদিনায় হাজির হয়ে রসুলুল্লাহ (স.)-এর রওজা জিয়ারত করা এবং তার শানে অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করা।
0:31 / 43:23
হজ্বের পদ্ধতি (মিকাত থেকে বিদায়ী তাওয়াফ পর্যন্ত)
youtube
হজ্জ করার নিয়ম
youtube
হজ্জের নিয়ম কানুন
youtube
হজের গুরুত্ব ও ফজিলত
Importance and virtues of Hajj
রাসুল সাঃ এর হজ্জ
Hajj of the Prophet PBUH
0 notes
tawhidrisalatakhirah · 4 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
হজের গুরুত্ব ও ফজিলত
Importance and virtues of Hajj
সামর্থবান মুসলমানদের জন্য হজ্ব একটি অত্যাবশ্যকীয় ইবাদত। হজ্বের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে অনেককেই বিভ্রান্তির শিকার হতে দেখা যায়। সে কারণে হজ্বের পূর্বে ও হজ্বে থাকাকালীন হজের বিধি-বিধান সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
হজের মাধ্যমে মুমিনের আত্মিক, দৈহিক ও আর্থিক ইবাদতের সমাবেশ ঘটে। প্রত্যেক সামর্থ্যবান প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের ওপর জীবনে একবার হজ করা ফরজ এবং এর অস্বীকারকারী কাফের।
মহান আল্লাহ তাআলা এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন, আর এই ঘরের হজ করা হলো মানুষের ওপর আল্লাহর প্রাপ্য; যার সামর্থ্য রয়েছে বাইতুল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছার। আর যে এটা অস্বীকার করবে—আল্লাহ বিশ্বজগতের সবকিছু থেকে অমুখাপেক্ষী। (সুরা আল ইমরান, আয়াত :৯৭) মহান আল্লাহ তাআলা মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে আরো ইরশাদ করেন, আর মানুষের মধ্যে হজের ঘোষণা করুন। তারা আপনার কাছে আসবে দূর-দূরান্ত থেকে পদযোগে ও সর্বপ্রকার কৃশকায় উটের পিঠে আরোহণ করে। (সুরা হজ, আয়াত:২৭)
ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে হজ অন্যতম। হজ শব্দের অর্থ হলো ইচ্ছা করা, দৃঢ় সংকল্প করা। মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিনের সান্নিধ্য লাভের আশায় নির্দিষ্ট কার্যাবলি সম্পাদনের মাধ্যমে পবিত্র কাবা ঘর জিয়ারত করাই হলো হজ। প্রত্যেক সম্পদশালী প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের ওপর হজ একটি ফরজ ইবাদত। হজ তিন প্রকার।
১. হজে ইফরাদ: শুধু হজের মৌসুমে হজের নিয়ত করে ইহরাম বেঁধে হজের করণীয় কাজ সমাপন করাকে হজে ইফরাদ বলে।
২. হজে কিরান : হজের মৌসুমে একসঙ্গে ওমরাহ ও হজের নিয়তে ইহরাম বেঁধে প্রথমে ওমরাহ (পরে ইহরাম না খুলে) একই ইহরামে হজের যাবতীয় কার্যাবলি সম্পন্ন করাকে হজে কিরান বলে।
৩. হজে তামাত্তু : হজের মৌসুমে প্রথমে ওমরাহর নিয়তে ইহরাম বেঁধে ওমরাহ করার পর ইহরাম খুলে নতুনভাবে হজের নিয়ত করে হজের যাবতীয় কার্যাবলি সম্পন্ন করাকে তামাত্তু হজ বলে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আর প্রত্যেক সামর্থ্যবান মানুষের ওপর আল্লাহর জন্য বায়তুল্লাহর হজ করা ফরজ। আর যে কুফরি করে তার জেনে রাখা উচিত, আল্লাহ তো নিশ্চয়ই সৃষ্টিকুলের প্রতি মুখাপেক্ষী নন’ (সুরা আলে ইমরান-৯৭)। এ আয়াতে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ আদায় করতে হবে। আল্লাহ আরও বলেন, ‘তুমি মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা প্রচার করে দাও, যাতে তারা তোমার কাছে পায়ে হেঁটে এবং কৃশকায় দুর্বল উটের পিঠে করে আসবে দূর-দূরান্তের পথ অতিক্রম করে’ (সুরা হজ-২৭)।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনোরূপ অশ্লীল কথা বা গুনাহের কাজে লিপ্ত না হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ আদায় করল, সে সদ্য ভূমিষ্ট শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে ফিরে এলো’ (বুখারি) সুবহানাল্লাহ। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, ইয়া রসুলুল্লাহ, আমরা (মহিলারা) জিহাদকে সর্বোত্তম আমল মনে করি। সুতরাং আমরা কি জিহাদে শরিক হব না? তিনি বললেন না, বরং তোমাদের জন্য সর্বোত্তম জিহাদ হচ্ছে হজে মাবরুর (বুখারি)। হজে মাবরুর হলো কবুল হজ। রসুল (সা.) বলেছেন, হজে মাবরুরের প্রতিদান একমাত্র জান্নাত ব্যতীত আর কিছু নয়।  আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ ও ওমরাহ পালন কর।’ (সুরা বাকারা-১৯৬)। ‘অতঃপর তারা যেন এখানে এসে তাদের যাবতীয় ময়লা, কালিমা দূর করে, নিজেদের মানতসমূহ পুরো করে, বিশেষ করে তারা যেন এ প্রাচীন ঘরটির তাওয়াফ করে’ (সুরা হজ-২৯)। 
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, ‘নবী (সা.) কীভাবে তালবিয়া পাঠ করতেন তা আমি অবশ্যই জানি। তাঁর তালবিয়া ছিল, লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারিকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ানি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক।’ হজের ফরজ তিনটি। ১. মিকাত থেকে ইহরাম বাঁধা। ২. ৯ জিলহজ তারিখে আরাফাত ময়দানে অবস্থান করা। ৩. ১০ জিলহজ সুবহে সাদিকের পর থেকে নিয়ে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্বে বায়তুল্লাহ শরিফ তাওয়াফে জিয়ারত করা। হজের ওয়াজিব ছয়টি। ১. ৯ জিলহজ সূর্যাস্তের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত মুজদালিফায় অবস্থান করা। ২. সাফা মারওয়ায় সায়ী করা (সাতবার)। ৩. মিনায় শয়তানকে কঙ্কর মারা। ৪. ইহরাম খোলার জন্য মাথা মুন্ডানো ৫. বিদায়ী তাওয়াফ করা। ৬. কোরবানি করা।  আল্লাহর ঘর কাবাকে তাওয়াফকারীদের জন্য পবিত্র রাখার জন্য আল্লাহ বলেন, ‘আর স্মরণ কর, যখন আমি কাবাকে মানুষের জন্য মিলনকেন্দ্র ও নিরাপদ স্থান বানালাম এবং আদেশ দিলাম যে, তোমরা মাকামে ইবরাহিমকে সালাতের স্থানরূপে গ্রহণ কর। আর আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম যে, তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু সিজদাহকারীদের জন্য পবিত্র কর।’ (সুরা বাকারা-১২৫)। আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে এবং যারা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হজ আদায় করতে মক্কায় মিলিত হয়েছেন তাদের সবাইকে সুস্থ রাখুন ও মাবরুর হজ আদায় করার তৌফিক দান করুন।
আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার মসজিদ তথা মসজিদে নববিতে লাগাতার ৪০ ওয়াক্ত নামাজ এমনভাবে আদায় করে যে, এর মধ্যে এক ওয়াক্ত নামাজও ছোটেনি, তাকে মুনাফেকি ও জাহান্নামের আজাব থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। (মুসনাদে আহ্মদ :১২৫৮৩) 
তাই প্রত্যেক বাইতুল্লাহর মুসাফিরের উচিত অত্যন্ত আদব, ভক্তি, বিনয় ও মহব্বত নিয়ে মদিনায় হাজির হয়ে রসুলুল্লাহ (স.)-এর রওজা জিয়ারত করা এবং তার শানে অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করা।
0:31 / 43:23
হজ্বের পদ্ধতি (মিকাত থেকে বিদায়ী তাওয়াফ পর্যন্ত)
youtube
হজ্জ করার নিয়ম
youtube
হজ্জের নিয়ম কানুন
youtube
হজের গুরুত্ব ও ফজিলত
Importance and virtues of Hajj
রাসুল সাঃ এর হজ্জ
Hajj of the Prophet PBUH
0 notes
ilyforallahswt · 4 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
হজের গুরুত্ব ও ফজিলত
Importance and virtues of Hajj
সামর্থবান মুসলমানদের জন্য হজ্ব একটি অত্যাবশ্যকীয় ইবাদত। হজ্বের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে অনেককেই বিভ্রান্তির শিকার হতে দেখা যায়। সে কারণে হজ্বের পূর্বে ও হজ্বে থাকাকালীন হজের বিধি-বিধান সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
হজের মাধ্যমে মুমিনের আত্মিক, দৈহিক ও আর্থিক ইবাদতের সমাবেশ ঘটে। প্রত্যেক সামর্থ্যবান প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের ওপর জীবনে একবার হজ করা ফরজ এবং এর অস্বীকারকারী কাফের।
মহান আল্লাহ তাআলা এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন, আর এই ঘরের হজ করা হলো মানুষের ওপর আল্লাহর প্রাপ্য; যার সামর্থ্য রয়েছে বাইতুল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছার। আর যে এটা অস্বীকার করবে—আল্লাহ বিশ্বজগতের সবকিছু থেকে অমুখাপেক্ষী। (সুরা আল ইমরান, আয়াত :৯৭) মহান আল্লাহ তাআলা মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে আরো ইরশাদ করেন, আর মানুষের মধ্যে হজের ঘোষণা করুন। তারা আপনার কাছে আসবে দূর-দূরান্ত থেকে পদ���োগে ও সর্বপ্রকার কৃশকায় উটের পিঠে আরোহণ করে। (সুরা হজ, আয়াত:২৭)
ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে হজ অন্যতম। হজ শব্দের অর্থ হলো ইচ্ছা করা, দৃঢ় সংকল্প করা। মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিনের সান্নিধ্য লাভের আশায় নির্দিষ্ট কার্যাবলি সম্পাদনের মাধ্যমে পবিত্র কাবা ঘর জিয়ারত করাই হলো হজ। প্রত্যেক সম্পদশালী প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের ওপর হজ একটি ফরজ ইবাদত। হজ তিন প্রকার।
১. হজে ইফরাদ: শুধু হজের মৌসুমে হজের নিয়ত করে ইহরাম বেঁধে হজের করণীয় কাজ সমাপন করাকে হজে ইফরাদ বলে।
২. হজে কিরান : হজের মৌসুমে একসঙ্গে ওমরাহ ও হজের নিয়তে ইহরাম বেঁধে প্রথমে ওমরাহ (পরে ইহরাম না খুলে) একই ইহরামে হজের যাবতীয় কার্যাবলি সম্পন্ন করাকে হজে কিরান বলে।
৩. হজে তামাত্তু : হজের মৌসুমে প্রথমে ওমরাহর নিয়তে ইহরাম বেঁধে ওমরাহ করার পর ইহরাম খুলে নতুনভাবে হজের নিয়ত করে হজের যাবতীয় কার্যাবলি সম্পন্ন করাকে তামাত্তু হজ বলে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আর প্রত্যেক সামর্থ্যবান মানুষের ওপর আল্লাহর জন্য বায়তুল্লাহর হজ করা ফরজ। আর যে কুফরি করে তার জেনে রাখা উচিত, আল্লাহ তো নিশ্চয়ই সৃষ্টিকুলের প্রতি মুখাপেক্ষী নন’ (সুরা আলে ইমরান-৯৭)। এ আয়াতে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ আদায় করতে হবে। আল্লাহ আরও বলেন, ‘তুমি মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা প্রচার করে দাও, যাতে তারা তোমার কাছে পায়ে হেঁটে এবং কৃশকায় দুর্বল উটের পিঠে করে আসবে দূর-দূরান্তের পথ অতিক্রম করে’ (সুরা হজ-২৭)।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনোরূপ অশ্লীল কথা বা গুনাহের কাজে লিপ্ত না হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ আদায় করল, সে সদ্য ভূমিষ্ট শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে ফিরে এলো’ (বুখারি) সুবহানাল্লাহ। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, ইয়া রসুলুল্লাহ, আমরা (মহিলারা) জিহাদকে সর্বোত্তম আমল মনে করি। সুতরাং আমরা কি জিহাদে শরিক হব না? তিনি বললেন না, বরং তোমাদের জন্য সর্বোত্তম জিহাদ হচ্ছে হজে মাবরুর (বুখারি)। হজে মাবরুর হলো কবুল হজ। রসুল (সা.) বলেছেন, হজে মাবরুরের প্রতিদান একমাত্র জান্নাত ব্যতীত আর কিছু নয়।  আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ ও ওমরাহ পালন কর।’ (সুরা বাকারা-১৯৬)। ‘অতঃপর তারা যেন এখানে এসে তাদের যাবতীয় ময়লা, কালিমা দূর করে, নিজেদের মানতসমূহ পুরো করে, বিশেষ করে তারা যেন এ প্রাচীন ঘরটির তাওয়াফ করে’ (সুরা হজ-২৯)। 
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, ‘নবী (সা.) কীভাবে তালবিয়া পাঠ করতেন তা আমি অবশ্যই জানি। তাঁর তালবিয়া ছিল, লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারিকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ানি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক।’ হজের ফরজ তিনটি। ১. মিকাত থেকে ইহরাম বাঁধা। ২. ৯ জিলহজ তারিখে আরাফাত ময়দানে অবস্থান করা। ৩. ১০ জিলহজ সুবহে সাদিকের পর থেকে নিয়ে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্বে বায়তুল্লাহ শরিফ তাওয়াফে জিয়ারত করা। হজের ওয়াজিব ছয়টি। ১. ৯ জিলহজ সূর্যাস্তের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত মুজদালিফায় অবস্থান করা। ২. সাফা মারওয়ায় সায়ী করা (সাতবার)। ৩. মিনায় শয়তানকে কঙ্কর মারা। ৪. ইহরাম খোলার জন্য মাথা মুন্ডানো ৫. বিদায়ী তাওয়াফ করা। ৬. কোরবানি করা।  আল্লাহর ঘর কাবাকে তাওয়াফকারীদের জন্য পবিত্র রাখার জন্য আল্লাহ বলেন, ‘আর স্মরণ কর, যখন আমি কাবাকে মানুষের জন্য মিলনকেন্দ্র ও নিরাপদ স্থান বানালাম এবং আদেশ দিলাম যে, তোমরা মাকামে ইবরাহিমকে সালাতের স্থানরূপে গ্রহণ কর। আর আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম যে, তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু সিজদাহকারীদের জন্য পবিত্র কর।’ (সুরা বাকারা-১২৫)। আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে এবং যারা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হজ আদায় করতে মক্কায় মিলিত হয়েছেন তাদের সবাইকে সুস্থ রাখুন ও মাবরুর হজ আদায় করার তৌফিক দান করুন।
আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার মসজিদ তথা মসজিদে নববিতে লাগাতার ৪০ ওয়াক্ত নামাজ এমনভাবে আদায় করে যে, এর মধ্যে এক ওয়াক্ত নামাজও ছোটেনি, তাকে মুনাফেকি ও জাহান্নামের আজাব থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। (মুসনাদে আহ্মদ :১২৫৮৩) 
তাই প্রত্যেক বাইতুল্লাহর মুসাফিরের উচিত অত্যন্ত আদব, ভক্তি, বিনয় ও মহব্বত নিয়ে মদিনায় হাজির হয়ে রসুলুল্লাহ (স.)-এর রওজা জিয়ারত করা এবং তার শানে অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করা।
0:31 / 43:23
হজ্বের পদ্ধতি (মিকাত থেকে বিদায়ী তাওয়াফ পর্যন্ত)
youtube
হজ্জ করার নিয়ম
youtube
হজ্জের নিয়ম কানুন
youtube
হজের গুরুত্ব ও ফজিলত
Importance and virtues of Hajj
রাসুল সাঃ এর হজ্জ
Hajj of the Prophet PBUH
0 notes
myreligionislam · 4 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
হজের গুরুত্ব ও ফজিলত
Importance and virtues of Hajj
সামর্থবান মুসলমানদের জন্য হজ্ব একটি অত্যাবশ্যকীয় ইবাদত। হজ্বের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে অনেককেই বিভ্রান্তির শিকার হতে দেখা যায়। সে কারণে হজ্বের পূর্বে ও হজ্বে থাকাকালীন হজের বিধি-বিধান সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
হজের মাধ্যমে মুমিনের আত্মিক, দৈহিক ও আর্থিক ইবাদতের সমাবেশ ঘটে। প্রত্যেক সামর্থ্যবান প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের ওপর জীবনে একবার হজ করা ফরজ এবং এর অস্বীকারকারী কাফের।
মহান আল্লাহ তাআলা এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন, আর এই ঘরের হজ করা হলো মানুষের ওপর আল্লাহর প্রাপ্য; যার সামর্থ্য রয়েছে বাইতুল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছার। আর যে এটা অস্বীকার করবে—আল্লাহ বিশ্বজগতের সবকিছু থেকে অমুখাপেক্ষী। (সুরা আল ইমরান, আয়াত :৯৭) মহান আল্লাহ তাআলা মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে আরো ইরশাদ করেন, আর মানুষের মধ্যে হজের ঘোষণা করুন। তারা আপনার কাছে আসবে দূর-দূরান্ত থেকে পদযোগে ও সর্বপ্রকার কৃশকায় উটের পিঠে আরোহণ করে। (সুরা হজ, আয়াত:২৭)
ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে হজ অন্যতম। হজ শব্দের অর্থ হলো ইচ্ছা করা, দৃঢ় সংকল্প করা। মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিনের সান্নিধ্য লাভের আশায় নির্দিষ্ট কার্যাবলি সম্পাদনের মাধ্যমে পবিত্র কাবা ঘর জিয়ারত করাই হলো হজ। প্রত্যেক সম্পদশালী প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের ওপর হজ একটি ফরজ ইবাদত। হজ তিন প্রকার।
১. হজে ইফরাদ: শুধু হজের মৌসুমে হজের নিয়ত করে ইহরাম বেঁধে হজের করণীয় কাজ সমাপন করাকে হজে ইফরাদ বলে।
২. হজে কিরান : হজের মৌসুমে একসঙ্গে ওমরাহ ও হজের নিয়তে ইহরাম বেঁধে প্রথমে ওমরাহ (পরে ইহরাম না খুলে) একই ইহরামে হজের যাবতীয় কার্যাবলি সম্পন্ন করাকে হজে কিরান বলে।
৩. হজে তামাত্তু : হজের মৌসুমে প্রথমে ওমরাহর নিয়তে ইহরাম বেঁধে ওমরাহ করার পর ইহরাম খুলে নতুনভাবে হজের নিয়ত করে হজের যাবতীয় কার্যাবলি সম্পন্ন করাকে তামাত্তু হজ বলে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আর প্রত্যেক সামর্থ্যবান মানুষের ওপর আল্লাহর জন্য বায়তুল্লাহর হজ করা ফরজ। আর যে কুফরি করে তার জেনে রাখা উচিত, আল্লাহ তো নিশ্চয়ই সৃষ্টিকুলের প্রতি মুখাপেক্ষী নন’ (সুরা আলে ইমরান-৯৭)। এ আয়াতে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ আদায় করতে হবে। আল্লাহ আরও বলেন, ‘তুমি মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা প্রচার করে দাও, যাতে তারা তোমার কাছে পায়ে হেঁটে এবং কৃশকায় দুর্বল উটের পিঠে করে আসবে দূর-দূরান্তের পথ অতিক্রম করে’ (সুরা হজ-২৭)।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনোরূপ অশ্লীল কথা বা গুনাহের কাজে লিপ্ত না হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ আদায় করল, সে সদ্য ভূমিষ্ট শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে ফিরে এলো’ (বুখারি) সুবহানাল্লাহ। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, ইয়া রসুলুল্লাহ, আমরা (মহিলারা) জিহাদকে সর্বোত্তম আমল মনে করি। সুতরাং আমরা কি জিহাদে শরিক হব না? তিনি বললেন না, বরং তোমাদের জন্য সর্বোত্তম জিহাদ হচ্ছে হজে মাবরুর (বুখারি)। হজে মাবরুর হলো কবুল হজ। রসুল (সা.) বলেছেন, হজে মাবরুরের প্রতিদান একমাত্র জান্নাত ব্যতীত আর কিছু নয়।  আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্��াহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ ও ওমরাহ পালন কর।’ (সুরা বাকারা-১৯৬)। ‘অতঃপর তারা যেন এখানে এসে তাদের যাবতীয় ময়লা, কালিমা দূর করে, নিজেদের মানতসমূহ পুরো করে, বিশেষ করে তারা যেন এ প্রাচীন ঘরটির তাওয়াফ করে’ (সুরা হজ-২৯)। 
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, ‘নবী (সা.) কীভাবে তালবিয়া পাঠ করতেন তা আমি অবশ্যই জানি। তাঁর তালবিয়া ছিল, লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারিকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ানি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক।’ হজের ফরজ তিনটি। ১. মিকাত থেকে ইহরাম বাঁধা। ২. ৯ জিলহজ তারিখে আরাফাত ময়দানে অবস্থান করা। ৩. ১০ জিলহজ সুবহে সাদিকের পর থেকে নিয়ে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্বে বায়তুল্লাহ শরিফ তাওয়াফে জিয়ারত করা। হজের ওয়াজিব ছয়টি। ১. ৯ জিলহজ সূর্যাস্তের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত মুজদালিফায় অবস্থান করা। ২. সাফা মারওয়ায় সায়ী করা (সাতবার)। ৩. মিনায় শয়তানকে কঙ্কর মারা। ৪. ইহরাম খোলার জন্য মাথা মুন্ডানো ৫. বিদায়ী তাওয়াফ করা। ৬. কোরবানি করা।  আল্লাহর ঘর কাবাকে তাওয়াফকারীদের জন্য পবিত্র রাখার জন্য আল্লাহ বলেন, ‘আর স্মরণ কর, যখন আমি কাবাকে মানুষের জন্য মিলনকেন্দ্র ও নিরাপদ স্থান বানালাম এবং আদেশ দিলাম যে, তোমরা মাকামে ইবরাহিমকে সালাতের স্থানরূপে গ্রহণ কর। আর আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম যে, তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু সিজদাহকারীদের জন্য পবিত্র কর।’ (সুরা বাকারা-১২৫)। আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে এবং যারা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হজ আদায় করতে মক্কায় মিলিত হয়েছেন তাদের সবাইকে সুস্থ রাখুন ও মাবরুর হজ আদায় করার তৌফিক দান করুন।
আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার মসজিদ তথা মসজিদে নববিতে লাগাতার ৪০ ওয়াক্ত নামাজ এমনভাবে আদায় করে যে, এর মধ্যে এক ওয়াক্ত নামাজও ছোটেনি, তাকে মুনাফেকি ও জাহান্নামের আজাব থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। (মুসনাদে আহ্মদ :১২৫৮৩) 
তাই প্রত্যেক বাইতুল্লাহর মুসাফিরের উচিত অত্যন্ত আদব, ভক্তি, বিনয় ও মহব্বত নিয়ে মদিনায় হাজির হয়ে রসুলুল্লাহ (স.)-এর রওজা জিয়ারত করা এবং তার শানে অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করা।
0:31 / 43:23
হজ্বের পদ্ধতি (মিকাত থেকে বিদায়ী তাওয়াফ পর্যন্ত)
youtube
হজ্জ করার নিয়ম
youtube
হজ্জের নিয়ম কানুন
youtube
হজের গুরুত্ব ও ফজিলত
Importance and virtues of Hajj
রাসুল সাঃ এর হজ্জ
Hajj of the Prophet PBUH
0 notes
allahisourrabb · 4 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
হজের গুরুত্ব ও ফজিলত
Importance and virtues of Hajj
সামর্থবান মুসলমানদের জন্য হজ্ব একটি অত্যাবশ্যকীয় ইবাদত। হজ্বের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে অনেককেই বিভ্রান্তির শিকার হতে দেখা যায়। সে কারণে হজ্বের পূর্বে ও হজ্বে থাকাকালীন হজের বিধি-বিধান সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
হজের মাধ্যমে মুমিনের আত্মিক, দৈহিক ও আর্থিক ইবাদতের সমাবেশ ঘটে। প্রত্যেক সামর্থ্যবান প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের ওপর জীবনে একবার হজ করা ফরজ এবং এর অস্বীকারকারী কাফের।
মহান আল্লাহ তাআলা এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন, আর এই ঘরের হজ করা হলো মানুষের ওপর আল্লাহর প্রাপ্য; যার সামর্থ্য রয়েছে বাইতুল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছার। আর যে এটা অস্বীকার করবে—আল্লাহ বিশ্বজগতের সবকিছু থেকে অমুখাপেক্ষী। (সুরা আল ইমরান, আয়াত :৯৭) মহান আল্লাহ তাআলা মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে আরো ইরশাদ করেন, আর মানুষের মধ্যে হজের ঘোষণা করুন। তারা আপনার কাছে আসবে দূর-দূরান্ত থেকে পদযোগে ও সর্বপ্রকার কৃশকায় উটের পিঠে আরোহণ করে। (সুরা হজ, আয়াত:২৭)
ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে হজ অন্যতম। হজ শব্দের অর্থ হলো ইচ্ছা করা, দৃঢ় সংকল্প করা। মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিনের সান্নিধ্য লাভের আশায় নির্দিষ্ট কার্যাবলি সম্পাদনের মাধ্যমে পবিত্র কাবা ঘর জিয়ারত করাই হলো হজ। প্রত্যেক সম্পদশালী প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের ওপর হজ একটি ফরজ ইবাদত। হজ তিন প্রকার।
১. হজে ইফরাদ: শুধু হজের মৌসুমে হজের নিয়ত করে ইহরাম বেঁধে হজের করণীয় কাজ সমাপন করাকে হজে ইফরাদ বলে।
২. হজে কিরান : হজের মৌসুমে একসঙ্গে ওমরাহ ও হজের নিয়তে ইহরাম বেঁধে প্রথমে ওমরাহ (পরে ইহরাম না খুলে) একই ইহরামে হজের যাবতীয় কার্যাবলি সম্পন্ন করাকে হজে কিরান বলে।
৩. হজে তামাত্তু : হজের মৌসুমে প্রথমে ওমরাহর নিয়তে ইহরাম বেঁধে ওমরাহ করার পর ইহরাম খুলে নতুনভাবে হজের নিয়ত করে হজের যাবতীয় কার্যাবলি সম্পন্ন করাকে তামাত্তু হজ বলে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আর প্রত্যেক সামর্থ্যবান মানুষের ওপর আল্লাহর জন্য বায়তুল্লাহর হজ করা ফরজ। আর যে কুফরি করে তার জেনে রাখা উচিত, আল্লাহ তো নিশ্চয়ই সৃষ্টিকুলের প্রতি মুখাপেক্ষী নন’ (সুরা আলে ইমরান-৯৭)। এ আয়াতে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ আদায় করতে হবে। আল্লাহ আরও বলেন, ‘তুমি মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা প্রচার করে দাও, যাতে তারা তোমার কাছে পায়ে হেঁটে এবং কৃশকায় দুর্বল উটের পিঠে করে আসবে দূর-দূরান্তের পথ অতিক্রম করে’ (সুরা হজ-২৭)।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনোরূপ অশ্লীল কথা বা গুনাহের কাজে লিপ্ত না হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ আদায় করল, সে সদ্য ভূমিষ্ট শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে ফিরে এলো’ (বুখারি) সুবহানাল্লাহ। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, ইয়া রসুলুল্লাহ, আমরা (মহিলারা) জিহাদকে সর্বোত্তম আমল মনে করি। সুতরাং আমরা কি জিহাদে শরিক হব না? তিনি বললেন না, বরং তোমাদের জন্য সর্বোত্তম জিহাদ হচ্ছে হজে মাবরুর (বুখারি)। হজে মাবরুর হলো কবুল হজ। রসুল (সা.) বলেছেন, হজে মাবরুরের প্রতিদান একমাত্র জান্নাত ব্যতীত আর কিছু নয়।  আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ ও ওমরাহ পালন কর।’ (সুরা বাকারা-১৯৬)। ‘অতঃপর তারা যেন এখানে এসে তাদের যাবতীয় ময়লা, কালিমা দূর করে, নিজেদের মানতসমূহ পুরো করে, বিশেষ করে তারা যেন এ প্রাচীন ঘরটির তাওয়াফ করে’ (সুরা হজ-২৯)। 
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, ‘নবী (সা.) কীভাবে তালবিয়া পাঠ করতেন তা আমি অবশ্যই জানি। তাঁর তালবিয়া ছিল, লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারিকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ানি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক।’ হজের ফরজ তিনটি। ১. মিকাত থেকে ইহরাম বাঁধা। ২. ৯ জিলহজ তারিখে আরাফাত ময়দানে অবস্থান করা। ৩. ১০ জিলহজ সুবহে সাদিকের পর থেকে নিয়ে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্বে বায়তুল্লাহ শরিফ তাওয়াফে জিয়ারত করা। হজের ওয়াজিব ছয়টি। ১. ৯ জিলহজ সূর্যাস্তের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত মুজদালিফায় অবস্থান করা। ২. সাফা মারওয়ায় সায়ী করা (সাতবার)। ৩. মিনায় শয়তানকে কঙ্কর মারা। ৪. ইহরাম খোলার জন্য মাথা মুন্ডানো ৫. বিদায়ী তাওয়াফ করা। ৬. কোরবানি করা।  আল্লাহর ঘর কাবাকে তাওয়াফকারীদের জন্য পবিত্র রাখার জন্য আল্লাহ বলেন, ‘আর স্মরণ কর, যখন আমি কাবাকে মানুষের জন্য মিলনকেন্দ্র ও নিরাপদ স্থান বানালাম এবং আদেশ দিলাম যে, তোমরা মাকামে ইবরাহিমকে সালাতের স্থানরূপে গ্রহণ কর। আর আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম যে, তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু সিজদাহকারীদের জন্য পবিত্র কর।’ (সুরা বাকারা-১২৫)। আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে এবং যারা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হজ আদায় করতে মক্কায় মিলিত হয়েছেন তাদের সবাইকে সুস্থ রাখুন ও মাবরুর হজ আদায় করার তৌফিক দান করুন।
আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার মসজিদ তথা মসজিদে নববিতে লাগাতার ৪০ ওয়াক্ত নামাজ এমনভাবে আদায় করে যে, এর মধ্যে এক ওয়াক্ত নামাজও ছোটেনি, তাকে মুনাফেকি ও জাহান্নামের আজাব থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। (মুসনাদে আহ্মদ :১২৫৮৩) 
তাই প্রত্যেক বাইতুল্লাহর মুসাফিরের উচিত অত্যন্ত আদব, ভক্তি, বিনয় ও মহব্বত নিয়ে মদিনায় হাজির হয়ে রসুলুল্লাহ (স.)-এর রওজা জিয়ারত করা এবং তার শানে অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করা।
0:31 / 43:23
হজ্বের পদ্ধতি (মিকাত থেকে বিদায়ী তাওয়াফ পর্যন্ত)
youtube
হজ্জ করার নিয়ম
youtube
হজ্জের নিয়ম কানুন
youtube
হজের গুরুত্ব ও ফজিলত
Importance and virtues of Hajj
রাসুল সাঃ এর হজ্জ
Hajj of the Prophet PBUH
0 notes
mylordisallah · 4 months
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
হজের গুরুত্ব ও ফজিলত
Importance and virtues of Hajj
সামর্থবান মুসলমানদের জন্য হজ্ব একটি অত্যাবশ্যকীয় ইবাদত। হজ্বের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে অনেককেই বিভ্রান্তির শিকার হতে দেখা যায়। সে কারণে হজ্বের পূর্বে ও হজ্বে থাকাকালীন হজের বিধি-বিধান সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
হজের মাধ্যমে মুমিনের আত্মিক, দৈহিক ও আর্থিক ইবাদতের সমাবেশ ঘটে। প্রত্যেক সামর্থ্যবান প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের ওপর জীবনে একবার হজ করা ফরজ এবং এর অস্বীকারকারী কাফের।
মহান আল্লাহ তাআলা এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন, আর এই ঘরের হজ করা হলো মানুষের ওপর আল্লাহর প্রাপ্য; যার সামর্থ্য রয়েছে বাইতুল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছার। আর যে এটা অস্বীকার করবে—আল্লাহ বিশ্বজগতের সবকিছু থেকে অমুখাপেক্ষী। (সুরা আল ইমরান, আয়াত :৯৭) মহান আল্লাহ তাআলা মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে আরো ইরশাদ করেন, আর মানুষের মধ্যে হজের ঘোষণা করুন। তারা আপনার কাছে আসবে দূর-দূরান্ত থেকে পদযোগে ও সর্বপ্রকার কৃশকায় উটের পিঠে আরোহণ করে। (সুরা হজ, আয়াত:২৭)
ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে হজ অন্যতম। হজ শব্দের অর্থ হলো ইচ্ছা করা, দৃঢ় সংক���্প করা। মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিনের সান্নিধ্য লাভের আশায় নির্দিষ্ট কার্যাবলি সম্পাদনের মাধ্যমে পবিত্র কাবা ঘর জিয়ারত করাই হলো হজ। প্রত্যেক সম্পদশালী প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের ওপর হজ একটি ফরজ ইবাদত। হজ তিন প্রকার।
১. হজে ইফরাদ: শুধু হজের মৌসুমে হজের নিয়ত করে ইহরাম বেঁধে হজের করণীয় কাজ সমাপন করাকে হজে ইফরাদ বলে।
২. হজে কিরান : হজের মৌসুমে একসঙ্গে ওমরাহ ও হজের নিয়তে ইহরাম বেঁধে প্রথমে ওমরাহ (পরে ইহরাম না খুলে) একই ইহরামে হজের যাবতীয় কার্যাবলি সম্পন্ন করাকে হজে কিরান বলে।
৩. হজে তামাত্তু : হজের মৌসুমে প্রথমে ওমরাহর নিয়তে ইহরাম বেঁধে ওমরাহ করার পর ইহরাম খুলে নতুনভাবে হজের নিয়ত করে হজের যাবতীয় কার্যাবলি সম্পন্ন করাকে তামাত্তু হজ বলে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আর প্রত্যেক সামর্থ্যবান মানুষের ওপর আল্লাহর জন্য বায়তুল্লাহর হজ করা ফরজ। আর যে কুফরি করে তার জেনে রাখা উচিত, আল্লাহ তো নিশ্চয়ই সৃষ্টিকুলের প্রতি মুখাপেক্ষী নন’ (সুরা আলে ইমরান-৯৭)। এ আয়াতে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ আদায় করতে হবে। আল্লাহ আরও বলেন, ‘তুমি মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা প্রচার করে দাও, যাতে তারা তোমার কাছে পায়ে হেঁটে এবং কৃশকায় দুর্বল উটের পিঠে করে আসবে দূর-দূরান্তের পথ অতিক্রম করে’ (সুরা হজ-২৭)।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনোরূপ অশ্লীল কথা বা গুনাহের কাজে লিপ্ত না হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ আদায় করল, সে সদ্য ভূমিষ্ট শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে ফিরে এলো’ (বুখারি) সুবহানাল্লাহ। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, ইয়া রসুলুল্লাহ, আমরা (মহিলারা) জিহাদকে সর্বোত্তম আমল মনে করি। সুতরাং আমরা কি জিহাদে শরিক হব না? তিনি বললেন না, বরং তোমাদের জন্য সর্বোত্তম জিহাদ হচ্ছে হজে মাবরুর (বুখারি)। হজে মাবরুর হলো কবুল হজ। রসুল (সা.) বলেছেন, হজে মাবরুরের প্রতিদান একমাত্র জান্নাত ব্যতীত আর কিছু নয়।  আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হজ ও ওমরাহ পালন কর।’ (সুরা বাকারা-১৯৬)। ‘অতঃপর তারা যেন এখানে এসে তাদের যাবতীয় ময়লা, কালিমা দূর করে, নিজেদের মানতসমূহ পুরো করে, বিশেষ করে তারা যেন এ প্রাচীন ঘরটির তাওয়াফ করে’ (সুরা হজ-২৯)। 
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, ‘নবী (সা.) কীভাবে তালবিয়া পাঠ করতেন তা আমি অবশ্যই জানি। তাঁর তালবিয়া ছিল, লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারিকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ানি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক।’ হজের ফরজ তিনটি। ১. মিকাত থেকে ইহরাম বাঁধা। ২. ৯ জিলহজ তারিখে আরাফাত ময়দানে অবস্থান করা। ৩. ১০ জিলহজ সুবহে সাদিকের পর থেকে নিয়ে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্বে বায়তুল্লাহ শরিফ তাওয়াফে জিয়ারত করা। হজের ওয়াজিব ছয়টি। ১. ৯ জিলহজ সূর্যাস্তের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত মুজদালিফায় অবস্থান করা। ২. সাফা মারওয়ায় সায়ী করা (সাতবার)। ৩. মিনায় শয়তানকে কঙ্কর মারা। ৪. ইহরাম খোলার জন্য মাথা মুন্ডানো ৫. বিদায়ী তাওয়াফ করা। ৬. কোরবানি করা।  আল্লাহর ঘর কাবাকে তাওয়াফকারীদের জন্য পবিত্র রাখার জন্য আল্লাহ বলেন, ‘আর স্মরণ কর, যখন আমি কাবাকে মানুষের জন্য মিলনকেন্দ্র ও নিরাপদ স্থান বানালাম এবং আদেশ দিলাম যে, তোমরা মাকামে ইবরাহিমকে সালাতের স্থানরূপে গ্রহণ কর। আর আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম যে, তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু সিজদাহকারীদের জন্য পবিত্র কর।’ (সুরা বাকারা-১২৫)। আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে এবং যারা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হজ আদায় করতে মক্কায় মিলিত হয়েছেন তাদের সবাইকে সুস্থ রাখুন ও মাবরুর হজ আদায় করার তৌফিক দান করুন।
আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার মসজিদ তথা মসজিদে নববিতে লাগাতার ৪০ ওয়াক্ত নামাজ এমনভাবে আদায় করে যে, এর মধ্যে এক ওয়াক্ত নামাজও ছোটেনি, তাকে মুনাফেকি ও জাহান্নামের আজাব থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। (মুসনাদে আহ্মদ :১২৫৮৩) 
তাই প্রত্যেক বাইতুল্লাহর মুসাফিরের উচিত অত্যন্ত আদব, ভক্তি, বিনয় ও মহব্বত নিয়ে মদিনায় হাজির হয়ে রসুলুল্লাহ (স.)-এর রওজা জিয়ারত করা এবং তার শানে অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করা।
0:31 / 43:23
হজ্বের পদ্ধতি (মিকাত থেকে বিদায়ী তাওয়াফ পর্যন্ত)
youtube
হজ্জ করার নিয়ম
youtube
হজ্জের নিয়ম কানুন
youtube
হজের গুরুত্ব ও ফজিলত
Importance and virtues of Hajj
রাসুল সাঃ এর হজ্জ
Hajj of the Prophet PBUH
0 notes