Tumgik
#beliefinallah
ilyforallahswt · 29 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস
Belief in Allah
ঈমান বিল্লাহ বা আল্লাহর প্রতি ঈমান বলতে কী বুঝায়
আল্লাহ্‌র উপর ঈমান আনার অর্থ হলো- “তাঁর অস্তিত্বের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা। কোন সন্দেহ সংশয় ছাড়া এবিশ্বাস স্থাপন করা যে- তিনি একমাত্র প্রতিপালক (রব্ব), তিনি একমাত্র উপাস্য (মাবুদ) এবং তাঁর অনেকগুলো নাম ও গুণ রয়েছে।” সুতরাং আল্লাহ্‌র উপর ঈমান চারটি বিষয়কে শামিল করে। যে ব্যক্তি এই চারটি বিষয়কে বাস্তবায়ন করবে, তিনি প্রকৃত মুমিন হিসেবে বিবেচিত হবেন।
প্রথমত: আল্লাহ্‌র অস্তিত্বের প্রতি ঈমান আনা: ইসলামী শরিয়তের অসংখ্য দলীল যেমন আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমাণ করে তেমনি মানুষের বিবেক-বুদ্ধি ও সাধারণ প্রবৃত্তি দ্বিধাহীনভাবে আল্লাহ্‌র অস্তিত্বের প্রমাণ সাব্যস্ত করে।
দ্বিতীয়ত: আল্লাহ্‌র কর্তৃত্ব ও প্রতিপালকত্বে বিশ্বাস স্থাপন: অর্থাৎ এ বিশ্বাসে অটল থাকতে হবে যে, আল্লাহ্‌ একমাত্র রব, একমাত্র প্রতিপালক। এই মহাবিশ্ব পরিচালনায় তার আর কোন অংশীদার বা সহযোগী নেই।
তৃতীয়তঃ আল্লাহ্‌র উপাস্যত্বে বিশ্বাস স্থাপন:
অর্থাৎ মনেপ্রাণে একথা বিশ্বাস করতে হবে যে- আল্লাহ্‌ই একমাত্র ইলাহ্‌ তথা সত্য উপাস্য। উপাসনা প্রাপ্তিতে আর কেউ তাঁর অংশীদার নয়।
চতুর্থত: আল্লাহ্‌র সুন্দর নাম ও সিফাতসমূহের উপর বিশ্বাস স্থাপন:অর্থাৎ আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীন তাঁর নিজের জন্য তাঁর কিতাবে বা তাঁর রাসূলের সুন্নতে যে সমস্ত উপযুক্ত সুন্দর নাম ও সিফাত সাব্যস্ত করেছেন সেগুলোকে কোন ধরনের তাহরীফ (تحريف-গুণকে বিকৃত করা), তা’তীল (تعطيل-গুণকে অস্বীকার করা), তাকয়ীফ (تكييف-গুণ বা বৈশিষ্ট্যের অবয়ব নির্ধারণ করা) বা তামসীল (تمثيل-মাখলুকের গুণের সাথে সাদৃশ্য দেয়া)ছাড়া নিঃসঙ্কোচে মেনে নেয়া।
আল্লাহ্ তায়ালা আছেন আসমানে
মহান আরশের উরধে সমুন্নত,
সবকিছু তাঁরই ক্ষমতা, জ্ঞান, দৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণে
কোথাও কিছু নেই আল্লাহ্র মতো।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ ব্যতীত ইবাদত পাবার যোগ্য কেউ নেই ।
আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস
আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস রাখা ঈমানের মূল বুনিয়াদ। আল্লাহর একত্বে সন্দেহ, সংশয় থাকা মানে ঈমানের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি করা। সুতরাং ঈমানকে বিশুদ্��� করার জন্য তাওহিদের মৌলিক বিষয়াদি জানা ও সেগুলোর প্রতি যথাযথ বিশ্বাস রাখা একান্ত জরুরি।
তাওহিদের মর্মকথা : তাওহিদ অর্থ একত্ববাদ। আল্লাহ তায়ালা নিজ সত্তায়, গুণাবলিতে ও কর্মে একক ও অদ্বিতীয়। সত্তাগতভাবে তিনি অদ্বিতীয়। দুনিয়ার কোনো বস্তু তাঁর সদৃশ্য নয়। গুণাবলির ক্ষেত্রেও তিনি অদ্বিতীয়। তাঁর গুণাবলি দুনিয়ার মানুষের গুণাবলির মতো নয়। কর্মেও আল্লাহ তায়ালা একক ও অদ্বিতীয়। একজন ঈমানদারের জন্য এসব বিষয়ের প্রতি ঈমান রাখা জরুরি।
সত্তাগতভাবে আল্লাহ একক : সত্তাগতভাবে আল্লাহ তায়ালা একক ও অদ্বিতীয়। সৃষ্টির কোনো বস্তুর সঙ্গে আল্লাহর সত্তার সাদৃশ্য নেই। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআন মাজিদে ইরশাদ করেন, ‘তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের স্রষ্টা। তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জন্য যুগল সৃষ্টি করেছেন এবং চতুষ্পদ জন্তুদের মধ্য থেকে জোড়া সৃষ্টি করেছেন। এভাবে তিনি তোমাদের বংশ বিস্তার করেন। কোনো কিছুই তার অনুরূপ নয়। তিনি সব শুনেন, সব দেখেন।’ (সুরা শূরা : ১১)। অন্য আয়াতে বলেন, ‘বলুন, তিনি আল্লাহ একক।’ (সুরা ইখলাস : ১)। আল্লাহ তায়ালা বিদ্যমান রয়েছেন, কিন্তু মানুষের মতো তার দেহ নেই। তিনি আরশের ওপর সমাসীন রয়েছেন, কিন্তু কীভাবে কোন অবস্থায় রয়েছেন তা মানুষের চিন্তা ও বোধগম্যের ঊর্ধ্বে।
আল্লাহ তায়ালার হাত রয়েছে, কিন্তু তার আকার-আকৃতি কেমন তা মানুষের জ্ঞানের ঊর্ধ্বে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘ইহুদিরা বলে আল্লাহর হাত বন্ধ হয়ে গেছে। তাদেরই হাত বন্ধ হোক। এ কথা বলার কারণে তাদের প্রতি অভিসম্পাত। বরং তাঁর উভয় হাত উন্মুক্ত। তিনি যেরূপ ইচ্ছা ব্যয় করেন।’ (সুরা মায়েদা : ৬৪)। এই আয়াত দ্বারা আল্লাহর হাত থাকা প্রমাণিত হয়। কিন্তু তা কেমন তা আল্লাহ ভালো জানেন।
গুণাবলিতে অদ্বিতীয় : কোরআন ও হাদিসে আল্লাহ তায়ালার অনেক গুণাবলি বর্ণিত হয়েছে। এর কিছু গুণ বাহ্যত মানুষের মধ্যেও বিদ্যমান আছে মনে হয়। কিন্তু আল্লাহ তায়ালার গুণাবলির সঙ্গে মানুষের গুণাবলির সাদৃশ্য নেই। আল্লাহ তায়ালা কথা বলেন, কিন্তু তা মানুষের মতো নয়। কোরআন মাজিদে রয়েছে, ‘আল্লাহ মুসার সঙ্গে কথোপকথন করেছেন সরাসরি।’ (সুরা নিসা : ১৬৪)। আল্লাহ তায়ালা দেখেন, শুনেন, কথা বলেন, কাজ করেন। তিনি জ্ঞানী, বিজ্ঞ, কৌশল অবলম্বনকারী, প্রতিশোধ গ্রহণকারী, শাস্তি প্রদানকারী, পুরস্কার দানকারী। কিন্তু এসব গুণাবলিতে আল্লাহ তায়ালা অদ্বিতীয়। কোনো সৃষ্টির সঙ্গে এসব গুণের সাদৃশ্য নেই। আল্লাহর দেখা আর মানুষের দেখা, আল্লাহর শোনা আর মানুষের শোনা এক নয়। মানুষ কান ছাড়া শুনতে পায় না, একসঙ্গে অনেক কথা শুনতে ও বুঝতে পারে না। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা কান ব্যতীতই শোনার ক্ষমতা রাখেন। তিনি একই সঙ্গে পৃথিবীর তাবৎ শব্দ শুনতে পান ও বুঝতে পারেন। তার দেখা ও শোনা একক ও অদ্বিতীয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘দৃষ্টিসমূহ তাকে পেতে পারে না, অবশ্য তিনি দৃষ্টিসমূহকে পেতে পারেন। তিনি অত্যন্ত সুক্ষদর্শী, সুবিজ্ঞ।’ (সুরা আনআম : ১০৩)
কর্মে অদ্বিতীয় : আল্লাহ তায়ালা কর্ম সম্পাদনকারী। চাঁদ, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্রসহ সাত আসমান ও সাত জমিন আল্লাহ তায়ালা নিয়ন্ত্রণ করেন। এসব নিয়ন্ত্রণ করে তিনি ক্লান্ত হন না। যখন যা খুশি তাই করেন। আল্লাহ কোনো কাজে বাধাপ্রাপ্ত হন না। কোনো কাজে কাউকে পরোয়া করেন না। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তিনি যা চান তাই করেন।’ (সুরা বুরুজ : ১৬)
আল্লাহ তায়ালা বিশ্ব জগৎ সৃষ্টি করেছেন। মানুষ ও পশুপাখি সৃষ্টি করেছেন। গাছপালা তরুলতা সৃষ্টি করেছেন। ফল-ফসলে পৃথিবী সাজান। আল্লাহ তায়ালা মানুষের জন্ম ও মৃত্যু দেন। এসব কর্মে আল্লাহ তায়ালা একক। তাকে ছাড়া কেউ এসব করতে পারে না। তার ইচ্ছা ব্যতীত কারও মৃত্যু হয় না। আল্লাহর সৃষ্টি করা বিভিন্ন উপাদান একত্রিত করে মানুষ নতুন বস্তু আবিষ্কার করে মাত্র। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তিনিই সে সত্তা যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য যা কিছু জমিনে রয়েছে সে সমস্ত।’ (সুরা বাকরা : ২৯)
আল্লাহ একক মাবুদ : ইবাদত পাওয়ার হকদার একমাত্র আল্লাহ তায়ালা। তিনি ব্যতীত দৃশ্য বা অদৃশ্য কেউ ইবাদতের উপযুক্ত নয়। গুণাবলি ও সত্তাগতভাবে যেমন আল্লাহ তায়ালা অদ্বিতীয় ইবাদত পাওয়ার ক্ষেত্রেও তিনি অদ্বিতীয়। আল্লাহ তায়ালা কোরআন মাজিদের অসংখ্য আয়াতে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘তোমাদের উপাস্য একমাত্র উপাস্য। তিনি ছাড়া মহা করুণাময় দয়ালু কেউ নেই।’ (সুরা বাকারা : ১৬৩)
ঈমানের জন্য শর্ত হলো তাওহিদ বা একত্ববাদ। তাওহিদের বিশ্বাস ব্যতীত শুধুমাত্র আল্লাহর সত্তা ও গুণাবলিতে ঈমান আনলে কেউ ঈমানদার হয় না। মক্কার মুশরিক লোকেরা আল্লাহ তায়ালার সত্তা ও গুণাবলির প্রতি বিশ্বাস রাখত, কিন্তু আল্লাহকে এসব গুণাবলিতে একক মনে করত না। তারা আল্লাহকে মাবুদ হিসেবে স্বীকৃতি দিত, কিন্তু একক মাবুদ হিসেবে মানত না। তারা মনে করত বিভিন্ন কাজে ও গুণাবলিতে আল্লাহর সদৃশ্য রয়েছে। অথচ কোরআনে আল্লাহ তায়ালা অনেক আয়াতে উল্লেখ করেছেন কেউ তার সমকক্ষ বা সদৃশ্য নেই। আল্লাহ বলেন, ‘তার সমতুল্য কেউ নেই।’ (সুরা ইখলাস : ৪)। ফলে আল্লাহ তায়ালা তাদের কাফের হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। নবীজি (সা.) তাদের মূর্তি ও দেবদেবীর পূজা পরিত্যাগ করে তাওহিদের পথে চলার আহ্বান করেছেন।
আল্লাহ একক বিধানদাতা : আল্লাহ তায়ালা মানুষ সৃষ্টি করেছেন এবং মানবজাতির জন্য বিধান প্রণয়ন করে দিয়েছেন। যুগে যুগে নবীগণ আল্লাহর সেই বিধান মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। আল্লাহপ্রদত্ত সেই বিধান এতটাই পরিপূর্ণ যে, মানবজীবনের যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয় তাতে বিদ্যমান রয়েছে। কেউ যদি মনে করে আধুনিক যুগে চৌদ্দশ বছরের পুরনো কোরআনের বিধান অচল অথবা অপূর্ণ তাহলে তার ঈমান নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘শুনে রাখ, তারই কাজ সৃষ্টি করা এবং আদেশ দান করা।’ (সুরা আরাফ : ৫৪)। এসব আয়াত দ্বারা বোঝা যায়, আল্লাহ তায়ালাই একমাত্র বিধানদাতা। সুতরাং একজন ঈমানদারের কর্তব্য হলো এর প্রতি ঈমান রাখা এবং বাস্তব জীবনে আল্লাহর বিধানকে অনুসরণ করা।
আল্লাহর প্রতি ঈমান অর্থ কী? 
youtube
আল্লাহ ও আখিরাতের বিশ্বাস কেন করবো 
youtube
আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের ধরণ কেমন হবে ? 
আল্লাহর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসের উপায় কি? 
youtube
আল্লাহর উপর বিশ্বাস:আল্লাহকে কেন বিশ্বাস করব?
Why will you believe in Allah
youtube
আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস
Belief in Allah
আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস
Belief in the Oneness of Allah
Belief in the Oneness of God
0 notes
myreligionislam · 29 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস
Belief in Allah
ঈমান বিল্লাহ বা আল্লাহর প্রতি ঈমান বলতে কী বুঝায়
আল্লাহ্‌র উপর ঈমান আনার অর্থ হলো- “তাঁর অস্তিত্বের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা। কোন সন্দেহ সংশয় ছাড়া এবিশ্বাস স্থাপন করা যে- তিনি একমাত্র প্রতিপালক (রব্ব), তিনি একমাত্র উপাস্য (মাবুদ) এবং তাঁর অনেকগুলো নাম ও গুণ রয়েছে।” সুতরাং আল্লাহ্‌র উপর ঈমান চারটি বিষয়কে শামিল করে। যে ব্যক্তি এই চারটি বিষয়কে বাস্তবায়ন করবে, তিনি প্রকৃত মুমিন হিসেবে বিবেচিত হবেন।
প্রথমত: আল্লাহ্‌র অস্তিত্বের প্রতি ঈমান আনা: ইসলামী শরিয়তের অসংখ্য দলীল যেমন আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমাণ করে তেমনি মানুষের বিবেক-বুদ্ধি ও সাধারণ প্রবৃত্তি দ্বিধাহীনভাবে আল্লাহ্‌র অস্তিত্বের প্রমাণ সাব্যস্ত করে।
দ্বিতীয়ত: আল্লাহ্‌র কর্তৃত্ব ও প্রতিপালকত্বে বিশ্বাস স্থাপন: অর্থাৎ এ বিশ্বাসে অটল থাকতে হবে যে, আল্লাহ্‌ একমাত্র রব, একমাত্র প্রতিপালক। এই মহাবিশ্ব পরিচালনায় তার আর কোন অংশীদার বা সহযোগী নেই।
তৃতীয়তঃ আল্লাহ্‌র উপাস্যত্বে বিশ্বাস স্থাপন:
অর্থাৎ মনেপ্রাণে একথা বিশ্বাস করতে হবে যে- আল্লাহ্‌ই একমাত্র ইলাহ্‌ তথা সত্য উপাস্য। উপাসনা প্রাপ্তিতে আর কেউ তাঁর অংশীদার নয়।
চতুর্থত: আল্লাহ্‌র সুন্দর নাম ও সিফাতসমূহের উপর বিশ্বাস স্থাপন:অর্থাৎ আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীন তাঁর নিজের জন্য তাঁর কিতাবে বা তাঁর রাসূলের সুন্নতে যে সমস্ত উপযুক্ত সুন্দর নাম ও সিফাত সাব্যস্ত করেছেন সেগুলোকে কোন ধরনের তাহরীফ (تحريف-গুণকে বিকৃত করা), তা’তীল (تعطيل-গুণকে অস্বীকার করা), তাকয়ীফ (تكييف-গুণ বা বৈশিষ্ট্যের অবয়ব নির্ধারণ করা) বা তামসীল (تمثيل-মাখলুকের গুণের সাথে সাদৃশ্য দেয়া)ছাড়া নিঃসঙ্কোচে মেনে নেয়া।
আল্লাহ্ তায়া���া আছেন আসমানে
মহান আরশের উরধে সমুন্নত,
সবকিছু তাঁরই ক্ষমতা, জ্ঞান, দৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণে
কোথাও কিছু নেই আল্লাহ্র মতো।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ ব্যতীত ইবাদত পাবার যোগ্য কেউ নেই ।
আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস
আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস রাখা ঈমানের মূল বুনিয়াদ। আল্লাহর একত্বে সন্দেহ, সংশয় থাকা মানে ঈমানের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি করা। সুতরাং ঈমানকে বিশুদ্ধ করার জন্য তাওহিদের মৌলিক বিষয়াদি জানা ও সেগুলোর প্রতি যথাযথ বিশ্বাস রাখা একান্ত জরুরি।
তাওহিদের মর্মকথা : তাওহিদ অর্থ একত্ববাদ। আল্লাহ তায়ালা নিজ সত্তায়, গুণাবলিতে ও কর্মে একক ও অদ্বিতীয়। সত্তাগতভাবে তিনি অদ্বিতীয়। দুনিয়ার কোনো বস্তু তাঁর সদৃশ্য নয়। গুণাবলির ক্ষেত্রেও তিনি অদ্বিতীয়। তাঁর গুণাবলি দুনিয়ার মানুষের গুণাবলির মতো নয়। কর্মেও আল্লাহ তায়ালা একক ও অদ্বিতীয়। একজন ঈমানদারের জন্য এসব বিষয়ের প্রতি ঈমান রাখা জরুরি।
সত্তাগতভাবে আল্লাহ একক : সত্তাগতভাবে আল্লাহ তায়ালা একক ও অদ্বিতীয়। সৃষ্টির কোনো বস্তুর সঙ্গে আল্লাহর সত্তার সাদৃশ্য নেই। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআন মাজিদে ইরশাদ করেন, ‘তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের স্রষ্টা। তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জন্য যুগল সৃষ্টি করেছেন এবং চতুষ্পদ জন্তুদের মধ্য থেকে জোড়া সৃষ্টি করেছেন। এভাবে তিনি তোমাদের বংশ বিস্তার করেন। কোনো কিছুই তার অনুরূপ নয়। তিনি সব শুনেন, সব দেখেন।’ (সুরা শূরা : ১১)। অন্য আয়াতে বলেন, ‘বলুন, তিনি আল্লাহ একক।’ (সুরা ইখলাস : ১)। আল্লাহ তায়ালা বিদ্যমান রয়েছেন, কিন্তু মানুষের মতো তার দেহ নেই। তিনি আরশের ওপর সমাসীন রয়েছেন, কিন্তু কীভাবে কোন অবস্থায় রয়েছেন তা মানুষের চিন্তা ও বোধগম্যের ঊর্ধ্বে।
আল্লাহ তায়ালার হাত রয়েছে, কিন্তু তার আকার-আকৃতি কেমন তা মানুষের জ্ঞানের ঊর্ধ্বে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘ইহুদিরা বলে আল্লাহর হাত বন্ধ হয়ে গেছে। তাদেরই হাত বন্ধ হোক। এ কথা বলার কারণে তাদের প্রতি অভিসম্পাত। বরং তাঁর উভয় হাত উন্মুক্ত। তিনি যেরূপ ইচ্ছা ব্যয় করেন।’ (সুরা মায়েদা : ৬৪)। এই আয়াত দ্বারা আল্লাহর হাত থাকা প্রমাণিত হয়। কিন্তু তা কেমন তা আল্লাহ ভালো জানেন।
গুণাবলিতে অদ্বিতীয় : কোরআন ও হাদিসে আল্লাহ তায়ালার অনেক গুণাবলি বর্ণিত হয়েছে। এর কিছু গুণ বাহ্যত মানুষের মধ্যেও বিদ্যমান আছে মনে হয়। কিন্তু আল্লাহ তায়ালার গুণাবলির সঙ্গে মানুষের গুণাবলির সাদৃশ্য নেই। আল্লাহ তায়ালা কথা বলেন, কিন্তু তা মানুষের মতো নয়। কোরআন মাজিদে রয়েছে, ‘আল্লাহ মুসার সঙ্গে কথোপকথন করেছেন সরাসরি।’ (সুরা নিসা : ১৬৪)। আল্লাহ তায়ালা দেখেন, শুনেন, কথা বলেন, কাজ করেন। তিনি জ্ঞানী, বিজ্ঞ, কৌশল অবলম্বনকারী, প্রতিশোধ গ্রহণকারী, শাস্তি প্রদানকারী, পুরস্কার দানকারী। কিন্তু এসব গুণাবলিতে আল্লাহ তায়ালা অদ্বিতীয়। কোনো সৃষ্টির সঙ্গে এসব গুণের সাদৃশ্য নেই। আল্লাহর দেখা আর মানুষের দেখা, আল্লাহর শোনা আর মানুষের শোনা এক নয়। মানুষ কান ছাড়া শুনতে পায় না, একসঙ্গে অনেক কথা শুনতে ও বুঝতে পারে না। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা কান ব্যতীতই শোনার ক্ষমতা রাখেন। তিনি একই সঙ্গে পৃথিবীর তাবৎ শব্দ শুনতে পান ও বুঝতে পারেন। তার দেখা ও শোনা একক ও অদ্বিতীয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘দৃষ্টিসমূহ তাকে পেতে পারে না, অবশ্য তিনি দৃষ্টিসমূহকে পেতে পারেন। তিনি অত্যন্ত সুক্ষদর্শী, সুবিজ্ঞ।’ (সুরা আনআম : ১০৩)
কর্মে অদ্বিতীয় : আল্লাহ তায়ালা কর্ম সম্পাদনকারী। চাঁদ, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্রসহ সাত আসমান ও সাত জমিন আল্লাহ তায়ালা নিয়ন্ত্রণ করেন। এসব নিয়ন্ত্রণ করে তিনি ক্লান্ত হন না। যখন যা খুশি তাই করেন। আল্লাহ কোনো কাজে বাধাপ্রাপ্ত হন না। কোনো কাজে কাউকে পরোয়া করেন না। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তিনি যা চান তাই করেন।’ (সুরা বুরুজ : ১৬)
আল্লাহ তায়ালা বিশ্ব জগৎ সৃষ্টি করেছেন। মানুষ ও পশুপাখি সৃষ্টি করেছেন। গাছপালা তরুলতা সৃষ্টি করেছেন। ফল-ফসলে পৃথিবী সাজান। আল্লাহ তায়ালা মানুষের জন্ম ও মৃত্যু দেন। এসব কর্মে আল্লাহ তায়ালা একক। তাকে ছাড়া কেউ এসব করতে পারে না। তার ইচ্ছা ব্যতীত কারও মৃত্যু হয় না। আল্লাহর সৃষ্টি করা বিভিন্ন উপাদান একত্রিত করে মানুষ নতুন বস্তু আবিষ্কার করে মাত্র। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তিনিই সে সত্তা যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য যা কিছু জমিনে রয়েছে সে সমস্ত।’ (সুরা বাকরা : ২৯)
আল্লাহ একক মাবুদ : ইবাদত পাওয়ার হকদার একমাত্র আল্লাহ তায়ালা। তিনি ব্যতীত দৃশ্য বা অদৃশ্য কেউ ইবাদতের উপযুক্ত নয়। গুণাবলি ও সত্তাগতভাবে যেমন আল্লাহ তায়ালা অদ্বিতীয় ইবাদত পাওয়ার ক্ষেত্রেও তিনি অদ্বিতীয়। আল্লাহ তায়ালা কোরআন মাজিদের অসংখ্য আয়াতে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘তোমাদের উপাস্য একমাত্র উপাস্য। তিনি ছাড়া মহা করুণাময় দয়ালু কেউ নেই।’ (সুরা বাকারা : ১৬৩)
ঈমানের জন্য শর্ত হলো তাওহিদ বা একত্ববাদ। তাওহিদের বিশ্বাস ব্যতীত শুধুমাত্র আল্লাহর সত্তা ও গুণাবলিতে ঈমান আনলে কেউ ঈমানদার হয় না। মক্কার মুশরিক লোকেরা আল্লাহ তায়ালার সত্তা ও গুণাবলির প্রতি বিশ্বাস রাখত, কিন্তু আল্লাহকে এসব গুণাবলিতে একক মনে করত না। তারা আল্লাহকে মাবুদ হিসেবে স্বীকৃতি দিত, কিন্তু একক মাবুদ হিসেবে মানত না। তারা মনে করত বিভিন্ন কাজে ও গুণাবলিতে আল্লাহর সদৃশ্য রয়েছে। অথচ কোরআনে আল্লাহ তায়ালা অনেক আয়াতে উল্লেখ করেছেন কেউ তার সমকক্ষ বা সদৃশ্য নেই। আল্লাহ বলেন, ‘তার সমতুল্য কেউ নেই।’ (সুরা ইখলাস : ৪)। ফলে আল্লাহ তায়ালা তাদের কাফের হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। নবীজি (সা.) তাদের মূর্তি ও দেবদেবীর পূজা পরিত্যাগ করে তাওহিদের পথে চলার আহ্বান করেছেন।
আল্লাহ একক বিধানদাতা : আল্লাহ তায়ালা মানুষ সৃষ্টি করেছেন এবং মানবজাতির জন্য বিধান প্রণয়ন করে দিয়েছেন। যুগে যুগে নবীগণ আল্লাহর সেই বিধান মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। আল্লাহপ্রদত্ত সেই বিধান এতটাই পরিপূর্ণ যে, মানবজীবনের যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয় তাতে বিদ্যমান রয়েছে। কেউ যদি মনে করে আধুনিক যুগে চৌদ্দশ বছরের পুরনো কোরআনের বিধান অচল অথবা অপূর্ণ তাহলে তার ঈমান নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘শুনে রাখ, তারই কাজ সৃষ্টি করা এবং আদেশ দান করা।’ (সুরা আরাফ : ৫৪)। এসব আয়াত দ্বারা বোঝা যায়, আল্লাহ তায়ালাই একমাত্র বিধানদাতা। সুতরাং একজন ঈমানদারের কর্তব্য হলো এর প্রতি ঈমান রাখা এবং বাস্তব জীবনে আল্লাহর বিধানকে অনুসরণ করা।
আল্লাহর প্রতি ঈমান অর্থ কী? 
youtube
আল্লাহ ও আখিরাতের বিশ্বাস কেন করবো 
youtube
আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের ধরণ কেমন হবে ? 
আল্লাহর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসের উপায় কি? 
youtube
আল্লাহর উপর বিশ্বাস:আল্লাহকে কেন বিশ্বাস করব?
Why will you believe in Allah
youtube
আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস
Belief in Allah
আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস
Belief in the Oneness of Allah
Belief in the Oneness of God
0 notes
allahisourrabb · 29 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস
Belief in Allah
ঈমান বিল্লাহ বা আল্লাহর প্রতি ঈমান বলতে কী বুঝায়
আল্লাহ্‌র উপর ঈমান আনার অর্থ হলো- “তাঁর অস্তিত্বের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা। কোন সন্দেহ সংশয় ছাড়া এবিশ্বাস স্থাপন করা যে- তিনি একমাত্র প্রতিপালক (রব্ব), তিনি একমাত্র উপাস্য (মাবুদ) এবং তাঁর অনেকগুলো নাম ও গুণ রয়েছে।” সুতরাং আল্লাহ্‌র উপর ঈমান চারটি বিষয়কে শামিল করে। যে ব্যক্তি এই চারটি বিষয়কে বাস্তবায়ন করবে, তিনি প্রকৃত মুমিন হিসেবে বিবেচিত হবেন।
প্রথমত: আল্লাহ্‌র অস্তিত্বের প্রতি ঈমান আনা: ইসলামী শরিয়তের অসংখ্য দলীল যেমন আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমাণ করে তেমনি মানুষের বিবেক-বুদ্ধি ও সাধারণ প্রবৃত্তি দ্বিধাহীনভাবে আল্লাহ্‌র অস্তিত্বের প্রমাণ সাব্যস্ত করে।
দ্বিতীয়ত: আল্লাহ্‌র কর্তৃত্ব ও প্রতিপালকত্বে বিশ্বাস স্থাপন: অর্থাৎ এ বিশ্বাসে অটল থাকতে হবে যে, আল্লাহ্‌ একমাত্র রব, একমাত্র প্রতিপালক। এই মহাবিশ্ব পরিচালনায় তার আর কোন অংশীদার বা সহযোগী নেই।
তৃতীয়তঃ আল্লাহ্‌র উপাস্যত্বে বিশ্বাস স্থাপন:
অর্থাৎ মনেপ্রাণে একথা বিশ্বাস করতে হবে যে- আল্লাহ্‌ই একমাত্র ইলাহ্‌ তথা সত্য উপাস্য। উপাসনা প্রাপ্তিতে আর কেউ তাঁর অংশীদার নয়।
চতুর্থত: আল্লাহ্‌র সুন্দর নাম ও সিফাতসমূহের উপর বিশ্বাস স্থাপন:অর্থাৎ আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীন তাঁর নিজের জন্য তাঁর কিতাবে বা তাঁর রাসূলের সুন্নতে যে সমস্ত উপযুক্ত সুন্দর নাম ও সিফাত সাব্যস্ত করেছেন সেগুলোকে কোন ধরনের তাহরীফ (تحريف-গুণকে বিকৃত করা), তা’তীল (تعطيل-গুণকে অস্বীকার করা), তাকয়ীফ (تكييف-গুণ বা বৈশিষ্ট্যের অবয়ব নির্ধারণ করা) বা তামসীল (تمثيل-মাখলুকের গুণের সাথে সাদৃশ্য দেয়া)ছাড়া নিঃসঙ্কোচে মেনে নেয়া।
আল্লাহ্ তায়ালা আছেন আসমানে
মহান আরশের উরধে সমুন্নত,
সবকিছু তাঁরই ক্ষমতা, জ্ঞান, দৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণে
কোথাও কিছু নেই আল্লাহ্র মতো।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ ব্যতীত ইবাদত পাবার যোগ্য কেউ নেই ।
আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস
আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস রাখা ঈমানের মূল বুনিয়াদ। আল্লাহর একত্বে সন্দেহ, সংশয় থাকা মানে ঈমানের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি করা। সুতরাং ঈমানকে বিশুদ্ধ করার জন্য তাওহিদের মৌলিক বিষয়াদি জানা ও সেগুলোর প্রতি যথাযথ বিশ্বাস রাখা একান্ত জরুরি।
তাওহিদের মর্মকথা : তাওহিদ অর্থ একত্ববাদ। আল্লাহ তায়ালা নিজ সত্তায়, গুণাবলিতে ও কর্মে একক ও অদ্বিতীয়। সত্তাগতভাবে তিনি অদ্বিতীয়। দ���নিয়ার কোনো বস্তু তাঁর সদৃশ্য নয়। গুণাবলির ক্ষেত্রেও তিনি অদ্বিতীয়। তাঁর গুণাবলি দুনিয়ার মানুষের গুণাবলির মতো নয়। কর্মেও আল্লাহ তায়ালা একক ও অদ্বিতীয়। একজন ঈমানদারের জন্য এসব বিষয়ের প্রতি ঈমান রাখা জরুরি।
সত্তাগতভাবে আল্লাহ একক : সত্তাগতভাবে আল্লাহ তায়ালা একক ও অদ্বিতীয়। সৃষ্টির কোনো বস্তুর সঙ্গে আল্লাহর সত্তার সাদৃশ্য নেই। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআন মাজিদে ইরশাদ করেন, ‘তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের স্রষ্টা। তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জন্য যুগল সৃষ্টি করেছেন এবং চতুষ্পদ জন্তুদের মধ্য থেকে জোড়া সৃষ্টি করেছেন। এভাবে তিনি তোমাদের বংশ বিস্তার করেন। কোনো কিছুই তার অনুরূপ নয়। তিনি সব শুনেন, সব দেখেন।’ (সুরা শূরা : ১১)। অন্য আয়াতে বলেন, ‘বলুন, তিনি আল্লাহ একক।’ (সুরা ইখলাস : ১)। আল্লাহ তায়ালা বিদ্যমান রয়েছেন, কিন্তু মানুষের মতো তার দেহ নেই। তিনি আরশের ওপর সমাসীন রয়েছেন, কিন্তু কীভাবে কোন অবস্থায় রয়েছেন তা মানুষের চিন্তা ও বোধগম্যের ঊর্ধ্বে।
আল্লাহ তায়ালার হাত রয়েছে, কিন্তু তার আকার-আকৃতি কেমন তা মানুষের জ্ঞানের ঊর্ধ্বে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘ইহুদিরা বলে আল্লাহর হাত বন্ধ হয়ে গেছে। তাদেরই হাত বন্ধ হোক। এ কথা বলার কারণে তাদের প্রতি অভিসম্পাত। বরং তাঁর উভয় হাত উন্মুক্ত। তিনি যেরূপ ইচ্ছা ব্যয় করেন।’ (সুরা মায়েদা : ৬৪)। এই আয়াত দ্বারা আল্লাহর হাত থাকা প্রমাণিত হয়। কিন্তু তা কেমন তা আল্লাহ ভালো জানেন।
গুণাবলিতে অদ্বিতীয় : কোরআন ও হাদিসে আল্লাহ তায়ালার অনেক গুণাবলি বর্ণিত হয়েছে। এর কিছু গুণ বাহ্যত মানুষের মধ্যেও বিদ্যমান আছে মনে হয়। কিন্তু আল্লাহ তায়ালার গুণাবলির সঙ্গে মানুষের গুণাবলির সাদৃশ্য নেই। আল্লাহ তায়ালা কথা বলেন, কিন্তু তা মানুষের মতো নয়। ক���রআন মাজিদে রয়েছে, ‘আল্লাহ মুসার সঙ্গে কথোপকথন করেছেন সরাসরি।’ (সুরা নিসা : ১৬৪)। আল্লাহ তায়ালা দেখেন, শুনেন, কথা বলেন, কাজ করেন। তিনি জ্ঞানী, বিজ্ঞ, কৌশল অবলম্বনকারী, প্রতিশোধ গ্রহণকারী, শাস্তি প্রদানকারী, পুরস্কার দানকারী। কিন্তু এসব গুণাবলিতে আল্লাহ তায়ালা অদ্বিতীয়। কোনো সৃষ্টির সঙ্গে এসব গুণের সাদৃশ্য নেই। আল্লাহর দেখা আর মানুষের দেখা, আল্লাহর শোনা আর মানুষের শোনা এক নয়। মানুষ কান ছাড়া শুনতে পায় না, একসঙ্গে অনেক কথা শুনতে ও বুঝতে পারে না। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা কান ব্যতীতই শোনার ক্ষমতা রাখেন। তিনি একই সঙ্গে পৃথিবীর তাবৎ শব্দ শুনতে পান ও বুঝতে পারেন। তার দেখা ও শোনা একক ও অদ্বিতীয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘দৃষ্টিসমূহ তাকে পেতে পারে না, অবশ্য তিনি দৃষ্টিসমূহকে পেতে পারেন। তিনি অত্যন্ত সুক্ষদর্শী, সুবিজ্ঞ।’ (সুরা আনআম : ১০৩)
কর্মে অদ্বিতীয় : আল্লাহ তায়ালা কর্ম সম্পাদনকারী। চাঁদ, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্রসহ সাত আসমান ও সাত জমিন আল্লাহ তায়ালা নিয়ন্ত্রণ করেন। এসব নিয়ন্ত্রণ করে তিনি ক্লান্ত হন না। যখন যা খুশি তাই করেন। আল্লাহ কোনো কাজে বাধাপ্রাপ্ত হন না। কোনো কাজে কাউকে পরোয়া করেন না। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তিনি যা চান তাই করেন।’ (সুরা বুরুজ : ১৬)
আল্লাহ তায়ালা বিশ্ব জগৎ সৃষ্টি করেছেন। মানুষ ও পশুপাখি সৃষ্টি করেছেন। গাছপালা তরুলতা সৃষ্টি করেছেন। ফল-ফসলে পৃথিবী সাজান। আল্লাহ তায়ালা মানুষের জন্ম ও মৃত্যু দেন। এসব কর্মে আল্লাহ তায়ালা একক। তাকে ছাড়া কেউ এসব করতে পারে না। তার ইচ্ছা ব্যতীত কারও মৃত্যু হয় না। আল্লাহর সৃষ্টি করা বিভিন্ন উপাদান একত্রিত করে মানুষ নতুন বস্তু আবিষ্কার করে মাত্র। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তিনিই সে সত্তা যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য যা কিছু জমিনে রয়েছে সে সমস্ত।’ (সুরা বাকরা : ২৯)
আল্লাহ একক মাবুদ : ইবাদত পাওয়ার হকদার একমাত্র আল্লাহ তায়ালা। তিনি ব্যতীত দৃশ্য বা অদৃশ্য কেউ ইবাদতের উপযুক্ত নয়। গুণাবলি ও সত্তাগতভাবে যেমন আল্লাহ তায়ালা অদ্বিতীয় ইবাদত পাওয়ার ক্ষেত্রেও তিনি অদ্বিতীয়। আল্লাহ তায়ালা কোরআন মাজিদের অসংখ্য আয়াতে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘তোমাদের উপাস্য একমাত্র উপাস্য। তিনি ছাড়া মহা করুণাময় দয়ালু কেউ নেই।’ (সুরা বাকারা : ১৬৩)
ঈমানের জন্য শর্ত হলো তাওহিদ বা একত্ববাদ। তাওহিদের বিশ্বাস ব্যতীত শুধুমাত্র আল্লাহর সত্তা ও গুণাবলিতে ঈমান আনলে কেউ ঈমানদার হয় না। মক্কার মুশরিক লোকেরা আল্লাহ তায়ালার সত্তা ও গুণাবলির প্রতি বিশ্বাস রাখত, কিন্তু আল্লাহকে এসব গুণাবলিতে একক মনে করত না। তারা আল্লাহকে মাবুদ হিসেবে স্বীকৃতি দিত, কিন্তু একক মাবুদ হিসেবে মানত না। তারা মনে করত বিভিন্ন কাজে ও গুণাবলিতে আল্লাহর সদৃশ্য রয়েছে। অথচ কোরআনে আল্লাহ তায়ালা অনেক আয়াতে উল্লেখ করেছেন কেউ তার সমকক্ষ বা সদৃশ্য নেই। আল্লাহ বলেন, ‘তার সমতুল্য কেউ নেই।’ (সুরা ইখলাস : ৪)। ফলে আল্লাহ তায়ালা তাদের কাফের হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। নবীজি (সা.) তাদের মূর্তি ও দেবদেবীর পূজা পরিত্যাগ করে তাওহিদের পথে চলার আহ্বান করেছেন।
আল্লাহ একক বিধানদাতা : আল্লাহ তায়ালা মানুষ সৃষ্টি করেছেন এবং মানবজাতির জন্য বিধান প্রণয়ন করে দিয়েছেন। যুগে যুগে নবীগণ আল্লাহর সেই বিধান মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। আল্লাহপ্রদত্ত সেই বিধান এতটাই পরিপূর্ণ যে, মানবজীবনের যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয় তাতে বিদ্যমান রয়েছে। কেউ যদি মনে করে আধুনিক যুগে চৌদ্দশ বছরের পুরনো কোরআনের বিধান অচল অথবা অপূর্ণ তাহলে তার ঈমান নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘শুনে রাখ, তারই কাজ সৃষ্টি করা এবং আদেশ দান করা।’ (সুরা আরাফ : ৫৪)। এসব আয়াত দ্বারা বোঝা যায়, আল্লাহ তায়ালাই একমাত্র বিধানদাতা। সুতরাং একজন ঈমানদারের কর্তব্য হলো এর প্রতি ঈমান রাখা এবং বাস্তব জীবনে আল্লাহর বিধানকে অনুসরণ করা।
আল্লাহর প্রতি ঈমান অর্থ কী? 
youtube
আল্লাহ ও আখিরাতের বিশ্বাস কেন করবো 
youtube
আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের ধরণ কেমন হবে ? 
আল্লাহর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসের উপায় কি? 
youtube
আল্লাহর উপর বিশ্বাস:আল্লাহকে কেন বিশ্বাস করব?
Why will you believe in Allah
youtube
আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস
Belief in Allah
আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস
Belief in the Oneness of Allah
Belief in the Oneness of God
0 notes
mylordisallah · 29 days
Text
Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media Tumblr media
আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস
Belief in Allah
ঈমান বিল্লাহ বা আল্লাহর প্রতি ঈমান বলতে কী বুঝায়
আল্লাহ্‌র উপর ঈমান আনার অর্থ হলো- “তাঁর অস্তিত্বের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা। কোন সন্দেহ সংশয় ছাড়া এবিশ্বাস স্থাপন করা যে- তিনি একমাত্র প্রতিপালক (রব্ব), তিনি একমাত্র উপাস্য (মাবুদ) এবং তাঁর অনেকগুলো নাম ও গুণ রয়েছে।” সুতরাং আল্লাহ্‌র উপর ঈমান চারটি বিষয়কে শামিল করে। যে ব্যক্তি এই চারটি বিষয়কে বাস্তবায়ন করবে, তিনি প্রকৃত মুমিন হিসেবে বিবেচিত হবেন।
প্রথমত: আল্লাহ্‌র অস্তিত্বের প্রতি ঈমান আনা: ইসলামী শরিয়তের অসংখ্য দলীল যেমন আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমাণ করে তেমনি মানুষের বিবেক-বুদ্ধি ও সাধারণ প্রবৃত্তি দ্বিধাহীনভাবে আল্লাহ্‌র অস্তিত্বের প্রমাণ সাব্যস্ত করে।
দ্বিতীয়ত: আল্লাহ্‌র কর্তৃত্ব ও প্রতিপালকত্বে বিশ্বাস স্থাপন: অর্থাৎ এ বিশ্বাসে অটল থাকতে হবে যে, আল্লাহ্‌ একমাত্র রব, একমাত্র প্রতিপালক। এই মহাবিশ্ব পরিচালনায় তার আর কোন অংশীদার বা সহযোগী নেই।
তৃতীয়তঃ আল্লাহ্‌র উপাস্যত্বে বিশ্বাস স্থাপন:
অর্থাৎ মনেপ্রাণে একথা বিশ্বাস করতে হবে যে- আল্লাহ্‌ই একমাত্র ইলাহ্‌ তথা সত্য উপাস্য। উপাসনা প্রাপ্তিতে আর কেউ তাঁর অংশীদার নয়।
চতুর্থত: আল্লাহ্‌র সুন্দর নাম ও সিফাতসমূহের উপর বিশ্বাস স্থাপন:অর্থাৎ আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীন তাঁর নিজের জন্য তাঁর কিতাবে বা তাঁর রাসূলের সুন্নতে যে সমস্ত উপযুক্ত সুন্দর নাম ও সিফাত সাব্যস্ত করেছেন সেগুলোকে কোন ধরনের তাহরীফ (تحريف-গুণকে বিকৃত করা), তা’তীল (تعطيل-গুণকে অস্বীকার করা), তাকয়ীফ (تكييف-গুণ বা বৈশিষ্ট্যের অবয়ব নির্ধারণ করা) বা তামসীল (تمثيل-মাখলুকের গুণের সাথে সাদৃশ্য দেয়া)ছাড়া নিঃসঙ্কোচে মেনে নেয়া।
আল্লাহ্ তায়ালা আছেন আসমানে
মহান আরশের উরধে সমুন্নত,
সবকিছু তাঁরই ক্ষমতা, জ্ঞান, দৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণে
কোথাও কিছু নেই আল্লাহ্র মতো।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ ব্যতীত ইবাদত পাবার যোগ্য কেউ নেই ।
আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস
আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস রাখা ঈমানের মূল বুনিয়াদ। আল্লাহর একত্বে সন্দেহ, সংশয় থাকা মানে ঈমানের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি করা। সুতরাং ঈমানকে বিশুদ্ধ করার জন্য তাওহিদের মৌলিক বিষয়াদি জানা ও সেগুলোর প্রতি যথাযথ বিশ্বাস রাখা একান্ত জরুরি।
তাওহিদের মর্মকথা : তাওহিদ অর্থ একত্ববাদ। আল্লাহ তায়ালা নিজ সত্তায়, গুণাবলিতে ও কর্মে একক ও অদ্বিতীয়। সত্তাগতভাবে তিনি অদ্বিতীয়। দুনিয়ার কোনো বস্তু তাঁর সদৃশ্য নয়। গুণাবলির ক্ষেত্রেও তিনি অদ্বিতীয়। তাঁর গুণাবলি দুনিয়ার মানুষের গুণাবলির মতো নয়। কর্মেও আল্লাহ তায়ালা একক ও অদ্বিতীয়। একজন ঈমানদারের জন্য এসব বিষয়ের প্রতি ঈমান রাখা জরুরি।
সত্তাগতভাবে আল্লাহ একক : সত্তাগতভাবে আল্লাহ তায়ালা একক ও অদ্বিতীয়। সৃষ্টির কোনো বস্তুর সঙ্গে আল্লাহর সত্তার সাদৃশ্য নেই। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআন মাজিদে ইরশাদ করেন, ‘তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের স্রষ্টা। তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জন্য যুগল সৃষ্টি করেছেন এবং চতুষ্পদ জন্তুদের মধ্য থেকে জোড়া সৃষ্টি করেছেন। এভাবে তিনি তোমাদের বংশ বিস্তার করেন। কোনো কিছুই তার অনুরূপ নয়। তিনি সব শুনেন, সব দেখেন।’ (সুরা শূরা : ১১)। অন্য আয়াতে বলেন, ‘বলুন, তিনি আল্লাহ একক।’ (সুরা ইখলাস : ১)। আল্লাহ তায়ালা বিদ্যমান রয়েছেন, কিন্তু মানুষের মতো তার দেহ নেই। তিনি আরশের ওপর সমাসীন রয়েছেন, কিন্তু কীভাবে কোন অবস্থায় রয়েছেন তা মানুষের চিন্তা ও বোধগম্যের ঊর্ধ্বে।
আল্লাহ তায়ালার হাত রয়েছে, কিন্তু তার আকার-আকৃতি কেমন তা মানুষের জ্ঞানের ঊর্ধ্বে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘ইহুদিরা বলে আল্লাহর হাত বন্ধ হয়ে গেছে। তাদেরই হাত বন্ধ হোক। এ কথা বলার কারণে তাদের প্রতি অভিসম্পাত। বরং তাঁর উভয় হাত উন্মুক্ত। তিনি যেরূপ ইচ্ছা ব্যয় করেন।’ (সুরা মায়েদা : ৬৪)। এই আয়াত দ্বারা আল্লাহর হাত থাকা প্রমাণিত হয়। কিন্তু তা কেমন তা আল্লাহ ভালো জানেন।
গুণাবলিতে অদ্বিতীয় : কোরআন ও হাদিসে আল্লাহ তায়ালার অনেক গুণাবলি বর্ণিত হয়েছে। এর কিছু গুণ বাহ্যত মানুষের মধ্যেও বিদ্যমান আছে মনে হয়। কিন্তু আল্লাহ তায়ালার গুণাবলির সঙ্গে মানুষের গুণাবলির সাদৃশ্য নেই। আল্লাহ তায়ালা কথা বলেন, কিন্তু তা মানুষের মতো নয়। কোরআন মাজিদে রয়েছে, ‘আল্লাহ মুসার সঙ্গে কথোপকথন করেছেন সরাসরি।’ (সুরা নিসা : ১৬৪)। আল্লাহ তায়ালা দেখেন, শুনেন, কথা বলেন, কাজ করেন। তিনি জ্ঞানী, বিজ্ঞ, কৌশল অবলম্বনকারী, প্রতিশোধ গ্রহণকারী, শাস্তি প্রদানকারী, পুরস্কার দানকারী। কিন্তু এসব গুণাবলিতে আল্লাহ তায়ালা অদ্বিতীয়। কোনো সৃষ্টির সঙ্গে এসব গুণের সাদৃশ্য নেই। আল্লাহর দেখা আর মানুষের দেখা, আল্লাহর শোনা আর মানুষের শোনা এক নয়। মানুষ কান ছাড়া শুনতে পায় না, একসঙ্গে অনেক কথা শুনতে ও বুঝতে পারে না। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা কান ব্যতীতই শোনার ক্ষমতা রাখেন। তিনি একই সঙ্গে পৃথিবীর তাবৎ শব্দ শুনতে পান ও বুঝতে পারেন। তার দেখা ও শোনা একক ও অদ্বিতীয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘দৃষ্টিসমূহ তাকে পেতে পারে না, অবশ্য তিনি দৃষ্টিসমূহকে পেতে পারেন। তিনি অত্যন্ত সুক্ষদর্শী, সুবিজ্ঞ।’ (সুরা আনআম : ১০৩)
কর্মে অদ্বিতীয় : আল্লাহ তায়ালা কর্ম সম্পাদনকারী। চাঁদ, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্রসহ সাত আসমান ও সাত জমিন আল্লাহ তায়ালা নিয়ন্ত্রণ করেন। এসব নিয়ন্ত্রণ করে তিনি ক্লান্ত হন না। যখন যা খুশি তাই করেন। আল্লাহ কোনো কাজে বাধাপ্রাপ্ত হন না। কোনো কাজে কাউকে পরোয়া করেন না। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তিনি যা চান তাই করেন।’ (সুরা বুরুজ : ১৬)
আল্লাহ তায়ালা বিশ্ব জগৎ সৃষ্টি করেছেন। মানুষ ও পশুপাখি সৃষ্টি করেছেন। গাছপালা তরুলতা সৃষ্টি করেছেন। ফল-ফসলে পৃথিবী সাজান। আল্লাহ তায়ালা মানুষের জন্ম ও মৃত্যু দেন। এসব কর্মে আল্লাহ তায়ালা একক। তাকে ছাড়া কেউ এসব করতে পারে না। তার ইচ্ছা ব্যতীত কারও মৃত্যু হয় না। আল্লাহর সৃষ্টি করা বিভিন্ন উপাদান একত্রিত করে মানুষ নতুন বস্তু আবিষ্কার করে মাত্র। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তিনিই সে সত্তা যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য যা কিছু জমিনে রয়েছে সে সমস্ত।’ (সুরা বাকরা : ২৯)
আল্লাহ একক মাবুদ : ইবাদত পাওয়ার হকদার একমাত্র আল্লাহ তায়ালা। তিনি ব্যতীত দৃশ্য বা অদৃশ্য কেউ ইবাদতের উপ��ুক্ত নয়। গুণাবলি ও সত্তাগতভাবে যেমন আল্লাহ তায়ালা অদ্বিতীয় ইবাদত পাওয়ার ক্ষেত্রেও তিনি অদ্বিতীয়। আল্লাহ তায়ালা কোরআন মাজিদের অসংখ্য আয়াতে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘তোমাদের উপাস্য একমাত্র উপাস্য। তিনি ছাড়া মহা করুণাময় দয়ালু কেউ নেই।’ (সুরা বাকারা : ১৬৩)
ঈমানের জন্য শর্ত হলো তাওহিদ বা একত্ববাদ। তাওহিদের বিশ্বাস ব্যতীত শুধুমাত্র আল্লাহর সত্তা ও গুণাবলিতে ঈমান আনলে কেউ ঈমানদার হয় না। মক্কার মুশরিক লোকেরা আল্লাহ তায়ালার সত্তা ও গুণাবলির প্রতি বিশ্বাস রাখত, কিন্তু আল্লাহকে এসব গুণাবলিতে একক মনে করত না। তারা আল্লাহকে মাবুদ হিসেবে স্বীকৃতি দিত, কিন্তু একক মাবুদ হিসেবে মানত না। তারা মনে করত বিভিন্ন কাজে ও গুণাবলিতে আল্লাহর সদৃশ্য রয়েছে। অথচ কোরআনে আল্লাহ তায়ালা অনেক আয়াতে উল্লেখ করেছেন কেউ তার সমকক্ষ বা সদৃশ্য নেই। আল্লাহ বলেন, ‘তার সমতুল্য কেউ নেই।’ (সুরা ইখলাস : ৪)। ফলে আল্লাহ তায়ালা তাদের কাফের হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। নবীজি (সা.) তাদের মূর্তি ও দেবদেবীর পূজা পরিত্যাগ করে তাওহিদের পথে চলার আহ্বান করেছেন।
আল্লাহ একক বিধানদাতা : আল্লাহ তায়ালা মানুষ সৃষ্টি করেছেন এবং মানবজাতির জন্য বিধান প্রণয়ন করে দিয়েছেন। যুগে যুগে নবীগণ আল্লাহর সেই বিধান মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। আল্লাহপ্রদত্ত সেই বিধান এতটাই পরিপূর্ণ যে, মানবজীবনের যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয় তাতে বিদ্যমান রয়েছে। কেউ যদি মনে করে আধুনিক যুগে চৌদ্দশ বছরের পুরনো কোরআনের বিধান অচল অথবা অপূর্ণ তাহলে তার ঈমান নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘শুনে রাখ, তারই কাজ সৃষ্টি করা এবং আদেশ দান করা।’ (সুরা আরাফ : ৫৪)। এসব আয়াত দ্বারা বোঝা যায়, আল্লাহ তায়ালাই একমাত্র বিধানদাতা। সুতরাং একজন ঈমানদারের কর্তব্য হলো এর প্রতি ঈমান রাখা এবং বাস্তব জীবনে আল্লাহর বিধানকে অনুসরণ করা।
আল্লাহর প্রতি ঈমান অর্থ কী? 
youtube
আল্লাহ ও আখিরাতের বিশ্বাস কেন করবো 
youtube
আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের ধরণ কেমন হবে ? 
আল্লাহর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসের উপায় কি? 
youtube
আল্লাহর উপর বিশ্বাস:আল্লাহকে কেন বিশ্বাস করব?
Why will you believe in Allah
youtube
আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস
Belief in Allah
আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস
Belief in the Oneness of Allah
Belief in the Oneness of God
0 notes
tmevents-blog1 · 5 years
Photo
Tumblr media
Another view of the Stage set up. Event Design by @tmevents_ @nowman_kareem #tajmahalevents #5pillarsofislam #quranverse #pillarsofislam #muslimummah #islamislove #islamisbeautiful #beliefinallah #islamicevents #australianmuslims #islamicplanner #muslimsinsydney #sydneyblogger #australianmuslim #muslim #islamic #islam #islamgram #islamictheme #sydneymuslims #photooftheday #design #creative #sydneyfestival #multiculturalNSW #visitnsw #sydney #multicultural #Sydneyevents #sydneylocal (at Sydney, Australia) https://www.instagram.com/p/By7ADI2nXGG/?igshid=15xmn6xd0ipug
0 notes
hijabiservantblog · 5 years
Photo
Tumblr media
Ar-Rum 30:21 وَمِنْ ءَايَٰتِهِۦٓ أَنْ خَلَقَ لَكُم مِّنْ أَنفُسِكُمْ أَزْوَٰجًا لِّتَسْكُنُوٓا۟ إِلَيْهَا وَجَعَلَ بَيْنَكُم مَّوَدَّةً وَرَحْمَةًۚ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَٰتٍ لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ And of His signs is that He created for you from yourselves mates that you may find tranquillity in them; and He placed between you affection and mercy. Indeed in that are signs for a people who give thought. #islam #allah #Allah #Quran #islampost #islamicposts #islamicreminder #hijab #hijabi #dawah #deen #islameverywhere #pbuh #loveislam #theummati #oneummah #muslimummah #muslimreminder #islamislove #islamisbeautiful #beliefinallah #aqirahoverduniya #islamicquotes #halallove #halalrelationshipgoals #halalrelationship (at Relationship Goals) https://www.instagram.com/p/BymOq4NFMU7/?igshid=1vxbei83lm54o
0 notes
khutbahs · 5 years
Photo
Tumblr media
Who is Allah?
Allah is The One and Only True God
Know the True God Allah through His Names and Attributes
0 notes
yourstorydb · 3 years
Photo
Tumblr media
Real Facts #blackknowledge #knowledgeisthenewmoney #knowledges #beliefinallah #motivatedmoms #getmotivated #slimebelief #newbeliefs #motivatedaily #beliefispower #motivatedgangsta #knowledgesociety #stonedbeyondbelief #fact💯 #tagify_app #beliefingod #extraordinarybeliefs #knowledgemarathi #knowledgehub #motivatedmind #facto #motivateddedicated #knowledgeiskey #knowledgeisthekey #mybelief #beliefmatters #knowledgeispower📚 #factsdaily #beliefnyc #beyondbeliefdancecompany https://www.instagram.com/p/CPfs2zbL4Y6/?utm_medium=tumblr
0 notes
sabofukov · 3 years
Photo
Tumblr media
Indeed we creations don't have the level of understanding to understand our CREATOR'S plans ! No matter how DIFFICULT the situation is or may be, we must always have FULL BELIEF that our ALLAH will never LEAVE US ALONE !! #allahﷻ #beliefinallah #bewise #justamhuman — view on Instagram https://ift.tt/3e5skOu
0 notes
naderbilal · 7 years
Photo
Tumblr media
https://goo.gl/PtXymX
The Sweetness of Faith
#ArticlesofFaith, #BeliefinAllah, #SocialSphere, #SocietyRelations
0 notes
ilyforallahswt · 29 days
Text
ঈমান বিল্লাহ বা আল্লাহর প্রতি ঈমান
আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস
Belief in Allah
ঈমান বিল্লাহ বা আল্লাহর প্রতি ঈমান বলতে কী বুঝায়
আল্লাহ্‌র উপর ঈমান আনার অর্থ হলো- “তাঁর অস্তিত্বের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা। কোন সন্দেহ সংশয় ছাড়া এবিশ্বাস স্থাপন করা যে- তিনি একমাত্র প্রতিপালক (রব্ব), তিনি একমাত্র উপাস্য (মাবুদ) এবং তাঁর অনেকগুলো নাম ও গুণ রয়েছে।” সুতরাং আল্লাহ্‌র উপর ঈমান চারটি বিষয়কে শামিল করে। যে ব্যক্তি এই চারটি বিষয়কে বাস্তবায়ন করবে, তিনি প্রকৃত মুমিন হিসেবে বিবেচিত হবেন।
প্রথমত: আল্লাহ্‌র অস্তিত্বের প্রতি ঈমান আনা: ইসলামী শরিয়তের অসংখ্য দলীল যেমন আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমাণ করে তেমনি মানুষের বিবেক-বুদ্ধি ও সাধারণ প্রবৃত্তি দ্বিধাহীনভাবে আল্লাহ্‌র অস্তিত্বের প্রমাণ সাব্যস্ত করে।
দ্বিতীয়ত: আল্লাহ্‌র কর্তৃত্ব ও প্রতিপালকত্বে বিশ্বাস স্থাপন: অর্থাৎ এ বিশ্বাসে অটল থাকতে হবে যে, আল্লাহ্‌ একমাত্র রব, একমাত্র প্রতিপালক। এই মহাবিশ্ব পরিচালনায় তার আর কোন অংশীদার বা সহযোগী নেই।
তৃতীয়তঃ আল্লাহ্‌র উপাস্যত্বে বিশ্বাস স্থাপন:
অর্থাৎ মনেপ্রাণে একথা বিশ্বাস করতে হবে যে- আল্লাহ্‌ই একমাত্র ইলাহ্‌ তথা সত্য উপাস্য। উপাসনা প্রাপ্তিতে আর কেউ তাঁর অংশীদার নয়।
চতুর্থত: আল্লাহ্‌র সুন্দর নাম ও সিফাতসমূহের উপর বিশ্বাস স্থাপন:অর্থাৎ আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীন তাঁর নিজের জন্য তাঁর কিতাবে বা তাঁর রাসূলের সুন্নতে যে সমস্ত উপযুক্ত সুন্দর নাম ও সিফাত সাব্যস্ত করেছেন সেগুলোকে কোন ধরনের তাহরীফ (تحريف-গুণকে বিকৃত করা), তা’তীল (تعطيل-গুণকে অস্বীকার করা), তাকয়ীফ (تكييف-গুণ বা বৈশিষ্ট্যের অবয়ব নির্ধারণ করা) বা তামসীল (تمثيل-মাখলুকের গুণের সাথে সাদৃশ্য দেয়া)ছাড়া নিঃসঙ্কোচে মেনে নেয়া।
আল্লাহ্ তায়ালা আছেন আসমানে
মহান আরশের উরধে সমুন্নত,
সবকিছু তাঁরই ক্ষমতা, জ্ঞান, দৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণে
কোথাও কিছু নেই আল্লাহ্র মতো।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ ব্যতীত ইবাদত পাবার যোগ্য কেউ নেই ।
আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস
আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস রাখা ঈমানের মূল বুনিয়াদ। আল্লাহর একত্বে সন্দেহ, সংশয় থাকা মানে ঈমানের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি করা। সুতরাং ঈমানকে বিশুদ্ধ করার জন্য তাও���িদের মৌলিক বিষয়াদি জানা ও সেগুলোর প্রতি যথাযথ বিশ্বাস রাখা একান্ত জরুরি।
তাওহিদের মর্মকথা : তাওহিদ অর্থ একত্ববাদ। আল্লাহ তায়ালা নিজ সত্তায়, গুণাবলিতে ও কর্মে একক ও অদ্বিতীয়। সত্তাগতভাবে তিনি অদ্বিতীয়। দুনিয়ার কোনো বস্তু তাঁর সদৃশ্য নয়। গুণাবলির ক্ষেত্রেও তিনি অদ্বিতীয়। তাঁর গুণাবলি দুনিয়ার মানুষের গুণাবলির মতো নয়। কর্মেও আল্লাহ তায়ালা একক ও অদ্বিতীয়। একজন ঈমানদারের জন্য এসব বিষয়ের প্রতি ঈমান রাখা জরুরি।
সত্তাগতভাবে আল্লাহ একক : সত্তাগতভাবে আল্লাহ তায়ালা একক ও অদ্বিতীয়। সৃষ্টির কোনো বস্তুর সঙ্গে আল্লাহর সত্তার সাদৃশ্য নেই। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআন মাজিদে ইরশাদ করেন, ‘তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের স্রষ্টা। তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জন্য যুগল সৃষ্টি করেছেন এবং চতুষ্পদ জন্তুদের মধ্য থেকে জোড়া সৃষ্টি করেছেন। এভাবে তিনি তোমাদের বংশ বিস্তার করেন। কোনো কিছুই তার অনুরূপ নয়। তিনি সব শুনেন, সব দেখেন।’ (সুরা শূরা : ১১)। অন্য আয়াতে বলেন, ‘বলুন, তিনি আল্লাহ একক।’ (সুরা ইখলাস : ১)। আল্লাহ তায়ালা বিদ্যমান রয়েছেন, কিন্তু মানুষের মতো তার দেহ নেই। তিনি আরশের ওপর সমাসীন রয়েছেন, কিন্তু কীভাবে কোন অবস্থায় রয়েছেন তা মানুষের চিন্তা ও বোধগম্যের ঊর্ধ্বে।
আল্লাহ তায়ালার হাত রয়েছে, কিন্তু তার আকার-আকৃতি কেমন তা মানুষের জ্ঞানের ঊর্ধ্বে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘ইহুদিরা বলে আল্লাহর হাত বন্ধ হয়ে গেছে। তাদেরই হাত বন্ধ হোক। এ কথা বলার কারণে তাদের প্রতি অভিসম্পাত। বরং তাঁর উভয় হাত উন্মুক্ত। তিনি যেরূপ ইচ্ছা ব্যয় করেন।’ (সুরা মায়েদা : ৬৪)। এই আয়াত দ্বারা আল্লাহর হাত থাকা প্রমাণিত হয়। কিন্তু তা কেমন তা আল্লাহ ভালো জানেন।
গুণাবলিতে অদ্বিতীয় : কোরআন ও হাদিসে আল্লাহ তায়ালার অনেক গুণাবলি বর্ণিত হয়েছে। এর কিছু গুণ বাহ্যত মানুষের মধ্যেও বিদ্যমান আছে মনে হয়। কিন্তু আল্লাহ তায়ালার গুণাবলির সঙ্গে মানুষের গুণাবলির সাদৃশ্য নেই। আল্লাহ তায়ালা কথা বলেন, কিন্তু তা মানুষের মতো নয়। কোরআন মাজিদে রয়েছে, ‘আল্লাহ মুসার সঙ্গে কথোপকথন করেছেন সরাসরি।’ (সুরা নিসা : ১৬৪)। আল্লাহ তায়ালা দেখেন, শুনেন, কথা বলেন, কাজ করেন। তিনি জ্ঞানী, বিজ্ঞ, কৌশল অবলম্বনকারী, প্রতিশোধ গ্রহণকারী, শাস্তি প্রদানকারী, পুরস্কার দানকারী। কিন্তু এসব গুণাবলিতে আল্লাহ তায়ালা অদ্বিতীয়। কোনো সৃষ্টির সঙ্গে এসব গুণের সাদৃশ্য নেই। আল্লাহর দেখা আর মানুষের দেখা, আল্লাহর শোনা আর মানুষের শোনা এক নয়। মানুষ কান ছাড়া শুনতে পায় না, একসঙ্গে অনেক কথা শুনতে ও বুঝতে পারে না। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা কান ব্যতীতই শোনার ক্ষমতা রাখেন। তিনি একই সঙ্গে পৃথিবীর তাবৎ শব্দ শুনতে পান ও বুঝতে পারেন। তার দেখা ও শোনা একক ও অদ্বিতীয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘দৃষ্টিসমূহ তাকে পেতে পারে না, অবশ্য তিনি দৃষ্টিসমূহকে পেতে পারেন। তিনি অত্যন্ত সুক্ষদর্শী, সুবিজ্ঞ।’ (সুরা আনআম : ১০৩)
কর্মে অদ্বিতীয় : আল্লাহ তায়ালা কর্ম সম্পাদনকারী। চাঁদ, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্রসহ সাত আসমান ও সাত জমিন আল্লাহ তায়ালা নিয়ন্ত্রণ করেন। এসব নিয়ন্ত্রণ করে তিনি ক্লান্ত হন না। যখন যা খুশি তাই করেন। আল্লাহ কোনো কাজে বাধাপ্রাপ্ত হন না। কোনো কাজে কাউকে পরোয়া করেন না। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তিনি যা চান তাই করেন।’ (সুরা বুরুজ : ১৬)
আল্লাহ তায়ালা বিশ্ব জগৎ সৃষ্টি করেছেন। মানুষ ও পশুপাখি সৃষ্টি করেছেন। গাছপালা তরুলতা সৃষ্টি করেছেন। ফল-ফসলে পৃথিবী সাজান। আল্লাহ তায়ালা মানুষের জন্ম ও মৃত্যু দেন। এসব কর্মে আল্লাহ তায়ালা একক। তাকে ছাড়া কেউ এসব করতে পারে না। তার ইচ্ছা ব্যতীত কারও মৃত্যু হয় না। আল্লাহর সৃষ্টি করা বিভিন্ন উপাদান একত্রিত করে মানুষ নতুন বস্তু আবিষ্কার করে মাত্র। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তিনিই সে সত্তা যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য যা কিছু জমিনে রয়েছে সে সমস্ত।’ (সুরা বাকরা : ২৯)
আল্লাহ একক মাবুদ : ইবাদত পাওয়ার হকদার একমাত্র আল্লাহ তায়ালা। তিনি ব্যতীত দৃশ্য বা অদৃশ্য কেউ ইবাদতের উপযুক্ত নয়। গুণাবলি ও সত্তাগতভাবে যেমন আল্লাহ তায়ালা অদ্বিতীয় ইবাদত পাওয়ার ক্ষেত্রেও তিনি অদ্বিতীয়। আল্লাহ তায়ালা কোরআন মাজিদের অসংখ্য আয়াতে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘তোমাদের উপাস্য একমাত্র উপাস্য। তিনি ছাড়া মহা করুণাময় দয়ালু কেউ নেই।’ (সুরা বাকারা : ১৬৩)
ঈমানের জন্য শর্ত হলো তাওহিদ বা একত্ববাদ। তাওহিদের বিশ্বাস ব্যতীত শুধুমাত্র আল্লাহর সত্তা ও গুণাবলিতে ঈমান আনলে কেউ ঈমানদার হয় না। মক্কার মুশরিক লোকেরা আল্লাহ তায়ালার সত্তা ও গুণাবলির প্রতি বিশ্বাস রাখত, কিন্তু আল্লাহকে এসব গুণাবলিতে একক মনে করত না। তারা আল্লাহকে মাবুদ হিসেবে স্বীকৃতি দিত, কিন্তু একক মাবুদ হিসেবে মানত না। তারা মনে করত বিভিন্ন কাজে ও গুণাবলিতে আল্লাহর সদৃশ্য রয়েছে। অথচ কোরআনে আল্লাহ তায়ালা অনেক আয়াতে উল্লেখ করেছেন কেউ তার সমকক্ষ বা সদৃশ্য নেই। আল্লাহ বলেন, ‘তার সমতুল্য কেউ নেই।’ (সুরা ইখলাস : ৪)। ফলে আল্লাহ তায়ালা তাদের কাফের হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। নবীজি (সা.) তাদের মূর্তি ও দেবদেবীর পূজা পরিত্যাগ করে তাওহিদের পথে চলার আহ্বান করেছেন।
আল্লাহ একক বিধানদাতা : আল্লাহ তায়ালা মানুষ সৃষ্টি করেছেন এবং মানবজাতির জন্য বিধান প্রণয়ন করে দিয়েছেন। যুগে যুগে নবীগণ আল্লাহর সেই বিধান মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। আল্লাহপ্রদত্ত সেই বিধান এতটাই পরিপূর্ণ যে, মানবজীবনের যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয় তাতে বিদ্যমান রয়েছে। কেউ যদি মনে করে আধুনিক যুগে চৌদ্দশ বছরের পুরনো কোরআনের বিধান অচল অথবা অপূর্ণ তাহলে তার ঈমান নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘শুনে রাখ, তারই কাজ সৃষ্টি করা এবং আদেশ দান করা।’ (সুরা আরাফ : ৫৪)। এসব আয়াত দ্বারা বোঝা যায়, আল্লাহ তায়ালাই একমাত্র বিধানদাতা। সুতরাং একজন ঈমানদারের কর্তব্য হলো এর প্রতি ঈমান রাখা এবং বাস্তব জীবনে আল্লাহর বিধানকে অনুসরণ করা।
আল্লাহর প্রতি ঈমান অর্থ কী? 
youtube
আল্লাহ ও আখিরাতের বিশ্বাস কেন করবো 
youtube
আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের ধরণ কেমন হবে ? 
আল্লাহর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসের উপায় কি? 
youtube
আল্লাহর উপর বিশ্বাস:আল্লাহকে কেন বিশ্বাস করব?
Why will you believe in Allah
youtube
আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস
Belief in Allah
আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস
Belief in the Oneness of Allah
Belief in the Oneness of God
0 notes
myreligionislam · 29 days
Text
ঈমান বিল্লাহ বা আল্লাহর প্রতি ঈমান
আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস
Belief in Allah
ঈমান বিল্লাহ বা আল্লাহর প্রতি ঈমান বলতে কী বুঝায়
আল্লাহ্‌র উপর ঈমান আনার অর্থ হলো- “তাঁর অস্তিত্বের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা। কোন সন্দেহ সংশয় ছাড়া এবিশ্বাস স্থাপন করা যে- তিনি একমাত্র প্রতিপালক (রব্ব), তিনি একমাত্র উপাস্য (মাবুদ) এবং তাঁর অনেকগুলো নাম ও গুণ রয়েছে।” সুতরাং আল্লাহ্‌র উপর ঈমান চারটি বিষয়কে শামিল করে। যে ব্যক্তি এই চারটি বিষয়কে বাস্তবায়ন করবে, তিনি প্রকৃত মুমিন হিসেবে বিবেচিত হবেন।
প্রথমত: আল্লাহ্‌র অস্তিত্বের প্রতি ঈমান আনা: ইসলামী শরিয়তের অসংখ্য দলীল যেমন আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমাণ করে তেমনি মানুষের বিবেক-বুদ্ধি ও সাধারণ প্রবৃত্তি দ্বিধাহীনভাবে আল্লাহ্‌র অস্তিত্বের প্রমাণ সাব্যস্ত করে।
দ্বিতীয়ত: আল্লাহ্‌র কর্তৃত্ব ও প্রতিপালকত্বে বিশ্বাস স্থাপন: অর্থাৎ এ বিশ্বাসে অটল থাকতে হবে যে, আল্লাহ্‌ একমাত্র রব, একমাত্র প্রতিপালক। এই মহাবিশ্ব পরিচালনায় তার আর কোন অংশীদার বা সহযোগী নেই।
তৃতীয়তঃ আল্লাহ্‌র উপাস্যত্বে বিশ্বাস স্থাপন:
অর্থাৎ মনেপ্রাণে একথা বিশ্বাস করতে হবে যে- আল্লাহ্‌ই একমাত্র ইলাহ্‌ তথা সত্য উপাস্য। উপাসনা প্রাপ্তিতে আর কেউ তাঁর অংশীদার নয়।
চতুর্থত: আল্লাহ্‌র সুন্দর নাম ও সিফাতসমূহের উপর বিশ্বাস স্থাপন:অর্থাৎ আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীন তাঁর নিজের জন্য তাঁর কিতাবে বা তাঁর রাসূলের সুন্নতে যে সমস্ত উপযুক্ত সুন্দর নাম ও সিফাত সাব্যস্ত করেছেন সেগুলোকে কোন ধরনের তাহরীফ (تحريف-গুণকে বিকৃত করা), তা’তীল (تعطيل-গুণকে অস্বীকার করা), তাকয়ীফ (تكييف-গুণ বা বৈশিষ্ট্যের অবয়ব নির্ধারণ করা) বা তামসীল (تمثيل-মাখলুকের গুণের সাথে সাদৃশ্য দেয়া)ছাড়া নিঃসঙ্কোচে মেনে নেয়া।
আল্লাহ্ তায়ালা আছেন আসমানে
মহান আরশের উরধে সমুন্নত,
সবকিছু তাঁরই ক্ষমতা, জ্ঞান, দৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণে
কোথাও কিছু নেই আল্লাহ্র মতো।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ ব্যতীত ইবাদত পাবার যোগ্য কেউ নেই ।
আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস
আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস রাখা ঈমানের মূল বুনিয়াদ। আল্লাহর একত্বে সন্দেহ, সংশয় থাকা মানে ঈমানের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি করা। সুতরাং ঈমানকে বিশুদ্ধ করার জন্য তাওহিদের মৌলিক বিষয়াদি জানা ও সেগুলোর প্রতি যথাযথ বিশ্বাস রাখা একান্ত জরুরি।
তাওহিদের মর্মকথা : তাওহিদ অর্থ একত্ববাদ। আল্লাহ তায়ালা নিজ সত্তায়, গুণাবলিতে ও কর্মে একক ও অদ্বিতীয়। সত্তাগতভাবে তিনি অদ্বিতীয়। দুনিয়ার কোনো বস্তু তাঁর সদৃশ্য নয়। গুণাবলির ক্ষেত্রেও তিনি অদ্বিতীয়। তাঁর গুণাবলি দুনিয়ার মানুষের গুণাবলির মতো নয়। কর্মেও আল্লাহ তায়ালা একক ও অদ্বিতীয়। একজন ঈমানদারের জন্য এসব বিষয়ের প্রতি ঈমান রাখা জরুরি।
সত্তাগতভাবে আল্লাহ একক : সত্তাগতভাবে আল্লাহ তায়ালা একক ও অদ্বিতীয়। সৃষ্টির কোনো বস্তুর সঙ্গে আল্লাহর সত্তার সাদৃশ্য নেই। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআন মাজিদে ইরশাদ করেন, ‘তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের স্রষ্টা। তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জন্য যুগল সৃষ্টি করেছেন এবং চতুষ্পদ জন্তুদের মধ্য থেকে জোড়া সৃষ্টি করেছেন। এভাবে তিনি তোমাদের বংশ বিস্তার করেন। কোনো কিছুই তার অনুরূপ নয়। তিনি সব শুনেন, সব দেখেন।’ (সুরা শূরা : ১১)। অন্য আয়াতে বলেন, ‘বলুন, তিনি আল্লাহ একক।’ (সুরা ইখলাস : ১)। আল্লাহ তায়ালা বিদ্যমান রয়েছেন, কিন্তু মানুষের মতো তার দেহ নেই। তিনি আরশের ওপর সমাসীন রয়েছেন, কিন্তু কীভাবে কোন অবস্থায় রয়েছেন তা মানুষের চিন্তা ও বোধগম্যের ��র্ধ্বে।
আল্লাহ তায়ালার হাত রয়েছে, কিন্তু তার আকার-আকৃতি কেমন তা মানুষের জ্ঞানের ঊর্ধ্বে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘ইহুদিরা বলে আল্লাহর হাত বন্ধ হয়ে গেছে। তাদেরই হাত বন্ধ হোক। এ কথা বলার কারণে তাদের প্রতি অভিসম্পাত। বরং তাঁর উভয় হাত উন্মুক্ত। তিনি যেরূপ ইচ্ছা ব্যয় করেন।’ (সুরা মায়েদা : ৬৪)। এই আয়াত দ্বারা আল্লাহর হাত থাকা প্রমাণিত হয়। কিন্তু তা কেমন তা আল্লাহ ভালো জানেন।
গুণাবলিতে অদ্বিতীয় : কোরআন ও হাদিসে আল্লাহ তায়ালার অনেক গুণাবলি বর্ণিত হয়েছে। এর কিছু গুণ বাহ্যত মানুষের মধ্যেও বিদ্যমান আছে মনে হয়। কিন্তু আল্লাহ তায়ালার গুণাবলির সঙ্গে মানুষের গুণাবলির সাদৃশ্য নেই। আল্লাহ তায়ালা কথা বলেন, কিন্তু তা মানুষের মতো নয়। কোরআন মাজিদে রয়েছে, ‘আল্লাহ মুসার সঙ্গে কথোপকথন করেছেন সরাসরি।’ (সুরা নিসা : ১৬৪)। আল্লাহ তায়ালা দেখেন, শুনেন, কথা বলেন, কাজ করেন। তিনি জ্ঞানী, বিজ্ঞ, কৌশল অবলম্বনকারী, প্রতিশোধ গ্রহণকারী, শাস্তি প্রদানকারী, পুরস্কার দানকারী। কিন্তু এসব গুণাবলিতে আল্লাহ তায়ালা অদ্বিতীয়। কোনো সৃষ্টির সঙ্গে এসব গুণের সাদৃশ্য নেই। আল্লাহর দেখা আর মানুষের দেখা, আল্লাহর শোনা আর মানুষের শোনা এক নয়। মানুষ কান ছাড়া শুনতে পায় না, একসঙ্গে অনেক কথা শুনতে ও বুঝতে পারে না। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা কান ব্যতীতই শোনার ক্ষমতা রাখেন। তিনি একই সঙ্গে পৃথিবীর তাবৎ শব্দ শুনতে পান ও বুঝতে পারেন। তার দেখা ও শোনা একক ও অদ্বিতীয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘দৃষ্টিসমূহ তাকে পেতে পারে না, অবশ্য তিনি দৃষ্টিসমূহকে পেতে পারেন। তিনি অত্যন্ত সুক্ষদর্শী, সুবিজ্ঞ।’ (সুরা আনআম : ১০৩)
কর্মে অদ্বিতীয় : আল্লাহ তায়ালা কর্ম সম্পাদনকারী। চাঁদ, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্রসহ সাত আসমান ও সাত জমিন আল্লাহ তায়ালা নিয়ন্ত্রণ করেন। এসব নিয়ন্ত্রণ করে তিনি ক্লান্ত হন না। যখন যা খুশি তাই করেন। আল্লাহ কোনো কাজে বাধাপ্রাপ্ত হন না। কোনো কাজে কাউকে পরোয়া করেন না। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তিনি যা চান তাই করেন।’ (সুরা বুরুজ : ১৬)
আল্লাহ তায়ালা বিশ্ব জগৎ সৃষ্টি করেছেন। মানুষ ও পশুপাখি সৃষ্টি করেছেন। গাছপালা তরুলতা সৃষ্টি করেছেন। ফল-ফসলে পৃথিবী সাজান। আল্লাহ তায়ালা মানুষের জন্ম ও মৃত্যু দেন। এসব কর্মে আল্লাহ তায়ালা একক। তাকে ছাড়া কেউ এসব করতে পারে না। তার ইচ্ছা ব্যতীত কারও মৃত্যু হয় না। আল্লাহর সৃষ্টি করা বিভিন্ন উপাদান একত্রিত করে মানুষ নতুন বস্তু আবিষ্কার করে মাত্র। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তিনিই সে সত্তা যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য যা কিছু জমিনে রয়েছে সে সমস্ত।’ (সুরা বাকরা : ২৯)
আল্লাহ একক মাবুদ : ইবাদত পাওয়ার হকদার একমাত্র আল্লাহ তায়ালা। তিনি ব্যতীত দৃশ্য বা অদৃশ্য কেউ ইবাদতের উপযুক্ত নয়। গুণাবলি ও সত্তাগতভাবে যেমন আল্লাহ তায়ালা অদ্বিতীয় ইবাদত পাওয়ার ক্ষেত্রেও তিনি অদ্বিতীয়। আল্লাহ তায়ালা কোরআন মাজিদের অসংখ্য আয়াতে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘তোমাদের উপাস্য একমাত্র উপাস্য। তিনি ছাড়া মহা করুণাময় দয়ালু কেউ নেই।’ (সুরা বাকারা : ১৬৩)
ঈমানের জন্য শর্ত হলো তাওহিদ বা একত্ববাদ। তাওহিদের বিশ্বাস ব্যতীত শুধুমাত্র আল্লাহর সত্তা ও গুণাবলিতে ঈমান আনলে কেউ ঈমানদার হয় না। মক্কার মুশরিক লোকেরা আল্লাহ তায়ালার সত্তা ও গুণাবলির প্রতি বিশ্বাস রাখত, কিন্তু আল্লাহকে এসব গুণাবলিতে একক মনে করত না। তারা আল্লাহকে মাবুদ হিসেবে স্বীকৃতি দিত, কিন্তু একক মাবুদ হিসেবে মানত না। তারা মনে করত বিভিন্ন কাজে ও গুণাবলিতে আল্লাহর সদৃশ্য রয়েছে। অথচ কোরআনে আল্লাহ তায়ালা অনেক আয়াতে উল্লেখ করেছেন কেউ তার সমকক্ষ বা সদৃশ্য নেই। আল্লাহ বলেন, ‘তার সমতুল্য কেউ নেই।’ (সুরা ইখলাস : ৪)। ফলে আল্লাহ তায়ালা তাদের কাফের হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। নবীজি (সা.) তাদের মূর্তি ও দেবদেবীর পূজা পরিত্যাগ করে তাওহিদের পথে চলার আহ্বান করেছেন।
আল্লাহ একক বিধানদাতা : আল্লাহ তায়ালা মানুষ সৃষ্টি করেছেন এবং মানবজাতির জন্য বিধান প্রণয়ন করে দিয়েছেন। যুগে যুগে নবীগণ আল্লাহর সেই বিধান মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। আল্লাহপ্রদত্ত সেই বিধান এতটাই পরিপূর্ণ যে, মানবজীবনের যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয় তাতে বিদ্যমান রয়েছে। কেউ যদি মনে করে আধুনিক যুগে চৌদ্দশ বছরের পুরনো কোরআনের বিধান অচল অথবা অপূর্ণ তাহলে তার ঈমান নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘শুনে রাখ, তারই কাজ সৃষ্টি করা এবং আদেশ দান করা।’ (সুরা আরাফ : ৫৪)। এসব আয়াত দ্বারা বোঝা যায়, আল্লাহ তায়ালাই একমাত্র বিধানদাতা। সুতরাং একজন ঈমানদারের কর্তব্য হলো এর প্রতি ঈমান রাখা এবং বাস্তব জীবনে আল্লাহর বিধানকে অনুসরণ করা।
আল্লাহর প্রতি ঈমান অর্থ কী? 
youtube
আল্লাহ ও আখিরাতের বিশ্বাস কেন করবো 
youtube
আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের ধরণ কেমন হবে ? 
আল্লাহর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসের উপায় কি? 
youtube
আল্লাহর উপর বিশ্বাস:আল্লাহকে কেন বিশ্বাস করব?
Why will you believe in Allah
youtube
আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস
Belief in Allah
#আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস
Belief in the Oneness of Allah
Belief in the Oneness of God
0 notes
allahisourrabb · 29 days
Text
ঈমান বিল্লাহ বা আল্লাহর প্রতি ঈমান
আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস
Belief in Allah
ঈমান বিল্লাহ বা আল্লাহর প্রতি ঈমান বলতে কী বুঝায়
আল্লাহ্‌র উপর ঈমান আনার অর্থ হলো- “তাঁর অস্তিত্বের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা। কোন সন্দেহ সংশয় ছাড়া এবিশ্বাস স্থাপন করা যে- তিনি একমাত্র প্রতিপালক (রব্ব), তিনি একমাত্র উপাস্য (মাবুদ) এবং তাঁর অনেকগুলো নাম ও গুণ রয়েছে।” সুতরাং আল্লাহ্‌র উপর ঈমান চারটি বিষয়কে শামিল করে। যে ব্যক্তি এই চারটি বিষয়কে বাস্তবায়ন করবে, তিনি প্রকৃত মুমিন হিসেবে বিবেচিত হবেন।
প্রথমত: আল্লাহ্‌র অস্তিত্বের প্রতি ঈমান আনা: ইসলামী শরিয়তের অসংখ্য দলীল যেমন আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমাণ করে তেমনি মানুষের বিবেক-বুদ্ধি ও সাধারণ প্রবৃত্তি দ্বিধাহীনভাবে আল্লাহ্‌র অস্তিত্বের প্রমাণ সাব্যস্ত করে।
দ্বিতীয়ত: আল্লাহ্‌র কর্তৃত্ব ও প্রতিপালকত্বে বিশ্বাস স্থাপন: অর্থাৎ এ বিশ্বাসে অটল থাকতে হবে যে, আল্লাহ্‌ একমাত্র রব, একমাত্র প্রতিপালক। এই মহাবিশ্ব পরিচালনায় তার আর কোন অংশীদার বা সহযোগী নেই।
তৃতীয়তঃ আল্লাহ্‌র উপাস্যত্বে বিশ্বাস স্থাপন:
অর্থাৎ মনেপ্রাণে একথা বিশ্বাস করতে হবে যে- আল্লাহ্‌ই একমাত্র ইলাহ্‌ তথা সত্য উপাস্য। উপাসনা প্রাপ্তিতে আর কেউ তাঁর অংশীদার নয়।
চতুর্থত: আল্লাহ্‌র সুন্দর নাম ও সিফাতসমূহের উপর বিশ্বাস স্থাপন:অর্থাৎ আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীন তাঁর নিজের জন্য তাঁর কিতাবে বা তাঁর রাসূলের সুন্নতে যে সমস্ত উপযুক্ত সুন্দর নাম ও সিফাত সাব্যস্ত করেছেন সেগুলোকে কোন ধরনের তাহরীফ (تحريف-গুণকে বিকৃত করা), তা’তীল (تعطيل-গুণকে অস্বীকার করা), তাকয়ীফ (تكييف-গুণ বা বৈশিষ্ট্যের অবয়ব নির্ধারণ করা) বা তামসীল (تمثيل-মাখলুকের গুণের সাথে সাদৃশ্য দেয়া)ছাড়া নিঃসঙ্কোচে মেনে নেয়া।
আল্লাহ্ তায়ালা আছেন আসমানে
মহান আরশের উরধে সমুন্নত,
সবকিছু তাঁরই ক্ষমতা, জ্ঞান, দৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণে
কোথাও কিছু নেই আল্লাহ্র মতো।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ ব্যতীত ইবাদত পাবার যোগ্য কেউ নেই ।
আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস
আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস রাখা ঈমানের মূল বুনিয়াদ। আল্লাহর একত্বে সন্দেহ, সংশয় থাকা মানে ঈমানের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি করা। সুতরাং ঈমানকে বিশুদ্ধ করার জন্য তাওহিদের মৌলিক বিষয়াদি জানা ও সেগুলোর প্রতি যথাযথ বিশ্বাস রাখা একান্ত জরুরি।
তাওহিদের মর্মকথা : তাওহিদ অর্থ একত্ববাদ। আল্লাহ তায়ালা নিজ সত্তায়, গুণাবলিতে ও কর্মে একক ও অদ্বিতীয়। সত্তাগতভাবে তিনি অদ্বিতীয়। দুনিয়ার কোনো বস্তু তাঁর সদৃশ্য নয়। গুণাবলির ক্ষেত্রেও তিনি অদ্বিতীয়। তাঁর গুণাবলি দুনিয়ার মানুষের গুণাবলির মতো নয়। কর্মেও আল্লাহ তায়ালা একক ও অদ্বিতীয়। একজন ঈমানদারের জন্য এসব বিষয়ের প্রতি ঈমান রাখা জরুরি।
সত্তাগতভাবে আল্লাহ একক : সত্তাগতভাবে আল্লাহ তায়ালা একক ও অদ্বিতীয়। সৃষ্টির কোনো বস্তুর সঙ্গে আল্লাহর সত্তার সাদৃশ্য নেই। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআন মাজিদে ইরশাদ করেন, ‘তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের স্রষ্টা। তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জন্য যুগল সৃষ্টি করেছেন এবং চতুষ্পদ জন্তুদের মধ্য থেকে জোড়া সৃষ্টি করেছেন। এভাবে তিনি তোমাদের বংশ বিস্তার করেন। কোনো কিছুই তার অনুরূপ নয়। তিনি সব শুনেন, সব দেখেন।’ (সুরা শূরা : ১১)। অন্য আয়াতে বলেন, ‘বলুন, তিনি আল্লাহ একক।’ (সুরা ইখলাস : ১)। আল্লাহ তায়ালা বিদ্যমান রয়েছেন, কিন্তু মানুষের মতো তার দেহ নেই। তিনি আরশের ওপর সমাসীন রয়েছেন, কিন্তু কীভাবে কোন অবস্থায় রয়েছেন তা মানুষের চিন্তা ও বোধগম্যের ঊর্ধ্বে।
আল্লাহ তায়ালার হাত রয়েছে, কিন্তু তার আকার-আকৃতি কেমন তা মানুষের জ্ঞানের ঊর্ধ্বে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘ইহুদিরা বলে আল্লাহর হাত বন্ধ হয়ে গেছে। তাদেরই হাত বন্ধ হোক। এ কথা বলার কারণে তাদের প্রতি অভিসম্পাত। বরং তাঁর উভয় হাত উন্মুক্ত। তিনি যেরূপ ইচ্ছা ব্যয় করেন।’ (সুরা মায়েদা : ৬৪)। এই আয়াত দ্বারা আল্লাহর হাত থাকা প্রমাণিত হয়। কিন্তু তা কেমন তা আল্লাহ ভালো জানেন।
গুণাবলিতে অদ্বিতীয় : কোরআন ও হাদিসে আল্লাহ তায়ালার অনেক গুণাবলি বর্ণিত হয়েছে। এর কিছু গুণ বাহ্যত মানুষের মধ্যেও বিদ্যমান আছে মনে হয়। কিন্তু আল্লাহ তায়ালার গুণাবলির সঙ্গে মানুষের গুণাবলির সাদৃশ্য নেই। আল্লাহ তায়ালা কথা বলেন, কিন্তু তা মানুষের মতো নয়। কোরআন মাজিদে রয়েছে, ‘আল্লাহ মুসার সঙ্গে কথোপকথন করেছেন সরাসরি।’ (সুরা নিসা : ১৬৪)। আল্লাহ তায়ালা দেখেন, শুনেন, কথা বলেন, কাজ করেন। তিনি জ্ঞানী, বিজ্ঞ, কৌশল অবলম্বনকারী, প্রতিশোধ গ্রহণকারী, শাস্তি প্রদানকারী, পুরস্কার দানকারী। কিন্তু এসব গুণাবলিতে আল্লাহ তায়ালা অদ্বিতীয়। কোনো সৃষ্টির সঙ্গে এসব গুণের সাদৃশ্য নেই। আল্লাহর দেখা আর মানুষের দেখা, আল্লাহর শোনা আর মানুষের শোনা এক নয়। মানুষ কান ছাড়া শুনতে পায় না, একসঙ্গে অনেক কথা শুনতে ও বুঝতে পারে না। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা কান ব্যতীতই শোনার ক্ষমতা রাখেন। তিনি একই সঙ্গে পৃথিবীর তাবৎ শব্দ শুনতে পান ও বুঝতে পারেন। তার দেখা ও শোনা একক ও অদ্বিতীয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘দৃষ্টিসমূহ তাকে পেতে পারে না, অবশ্য তিনি দৃষ্টিসমূহকে পেতে পারেন। তিনি অত্যন্ত সুক্ষদর্শী, সুবিজ্ঞ।’ (সুরা আনআম : ১০৩)
কর্মে অদ্বিতীয় : আল্লাহ তায়ালা কর্ম সম্পাদনকারী। চাঁদ, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্রসহ সাত আসমান ও সাত জমিন আল্লাহ তায়ালা নিয়ন্ত্রণ করেন। এসব নিয়ন্ত্রণ করে তিনি ক্লান্ত হন না। যখন যা খুশি তাই করেন। আল্লাহ কোনো কাজে বাধাপ্রাপ্ত হন না। কোনো কাজে কাউকে পরোয়া করেন না। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তিনি যা চান তাই করেন।’ (সুরা বুরুজ : ১৬)
আল্লাহ তায়ালা বিশ্ব জগৎ সৃষ্টি করেছেন। মানুষ ও পশুপাখি সৃষ্টি করেছেন। গাছপালা তরুলতা সৃষ্টি করেছেন। ফল-ফসলে পৃথিবী সাজান। আল্লাহ তায়ালা মানুষের জন্ম ও মৃত্যু দেন। এসব কর্মে আল্লাহ তায়ালা একক। তাকে ছাড়া কেউ এসব করতে পারে না। তার ইচ্ছা ব্যতীত কারও মৃত্যু হয় না। আল্লাহর সৃষ্টি করা বিভিন্ন উপাদান একত্রিত করে মানুষ নতুন বস্তু আবিষ্কার করে মাত্র। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তিনিই সে সত্তা যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য যা কিছু জমিনে রয়েছে সে সমস্ত।’ (সুরা বাকরা : ২৯)
আল্লাহ একক মাবুদ : ইবাদত পাওয়ার হকদার একমাত্র আল্লাহ তায়ালা। তিনি ব্যতীত দৃশ্য বা অদৃশ্য কেউ ইবাদতের উপযুক্ত নয়। গুণাবলি ও সত্তাগতভাবে যেমন আল্লাহ তায়ালা অদ্বিতীয় ইবাদত পাওয়ার ক্ষেত্রেও তিনি অদ্বিতীয়। আল্লাহ তায়ালা কোরআন মাজিদের অসংখ্য আয়াতে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘তোমাদের উপাস্য একমাত্র উপাস্য। তিনি ছাড়া মহা করুণাময় দয়ালু কেউ নেই।’ (সুরা বাকারা : ১৬৩)
ঈমানের জন্য শর্ত হলো তাওহিদ বা একত্ববাদ। তাওহিদের বিশ্বাস ব্যতীত শু��ুমাত্র আল্লাহর সত্তা ও গুণাবলিতে ঈমান আনলে কেউ ঈমানদার হয় না। মক্কার মুশরিক লোকেরা আল্লাহ তায়ালার সত্তা ও গুণাবলির প্রতি বিশ্বাস রাখত, কিন্তু আল্লাহকে এসব গুণাবলিতে একক মনে করত না। তারা আল্লাহকে মাবুদ হিসেবে স্বীকৃতি দিত, কিন্তু একক মাবুদ হিসেবে মানত না। তারা মনে করত বিভিন্ন কাজে ও গুণাবলিতে আল্লাহর সদৃশ্য রয়েছে। অথচ কোরআনে আল্লাহ তায়ালা অনেক আয়াতে উল্লেখ করেছেন কেউ তার সমকক্ষ বা সদৃশ্য নেই। আল্লাহ বলেন, ‘তার সমতুল্য কেউ নেই।’ (সুরা ইখলাস : ৪)। ফলে আল্লাহ তায়ালা তাদের কাফের হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। নবীজি (সা.) তাদের মূর্তি ও দেবদেবীর পূজা পরিত্যাগ করে তাওহিদের পথে চলার আহ্বান করেছেন।
আল্লাহ একক বিধানদাতা : আল্লাহ তায়ালা মানুষ সৃষ্টি করেছেন এবং মানবজাতির জন্য বিধান প্রণয়ন করে দিয়েছেন। যুগে যুগে নবীগণ আল্লাহর সেই বিধান মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। আল্লাহপ্রদত্ত সেই বিধান এতটাই পরিপূর্ণ যে, মানবজীবনের যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয় তাতে বিদ্যমান রয়েছে। কেউ যদি মনে করে আধুনিক যুগে চৌদ্দশ বছরের পুরনো কোরআনের বিধান অচল অথবা অপূর্ণ তাহলে তার ঈমান নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘শুনে রাখ, তারই কাজ সৃষ্টি করা এবং আদেশ দান করা।’ (সুরা আরাফ : ৫৪)। এসব আয়াত দ্বারা বোঝা যায়, আল্লাহ তায়ালাই একমাত্র বিধানদাতা। সুতরাং একজন ঈমানদারের কর্তব্য হলো এর প্রতি ঈমান রাখা এবং বাস্তব জীবনে আল্লাহর বিধানকে অনুসরণ করা।
আল্লাহর প্রতি ঈমান অর্থ কী? 
youtube
আল্লাহ ও আখিরাতের বিশ্বাস কেন করবো 
youtube
আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের ধরণ কেমন হবে ? 
আল্লাহর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসের উপায় কি? 
youtube
আল্লাহর উপর বিশ্বাস:আল্লাহকে কেন বিশ্বাস করব?
Why will you believe in Allah
youtube
আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস
Belief in Allah
আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস
Belief in the Oneness of Allah
Belief in the Oneness of God
0 notes
mylordisallah · 29 days
Text
ঈমান বিল্লাহ বা আল্লাহর প্রতি ঈমান
আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস
Belief in Allah
ঈমান বিল্লাহ বা আল্লাহর প্রতি ঈমান বলতে কী বুঝায়
আল্লাহ্‌র উপর ঈমান আনার অর্থ হলো- “তাঁর অস্তিত্বের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা। কোন সন্দেহ সংশয় ছাড়া এবিশ্বাস স্থাপন করা যে- তিনি একমাত্র প্রতিপালক (রব্ব), তিনি একমাত্র উপাস্য (মাবুদ) এবং তাঁর অনেকগুলো নাম ও গুণ রয়েছে।” সুতরাং আল্লাহ্‌র উপর ঈমান চারটি বিষয়কে শামিল করে। যে ব্যক্তি এই চারটি বিষয়কে বাস্তবায়ন করবে, তিনি প্রকৃত মুমিন হিসেবে বিবেচিত হবেন।
প্রথমত: আল্লাহ্‌র অস্তিত্বের প্রতি ঈমান আনা: ইসলামী শরিয়তের অসংখ্য দলীল যেমন আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমাণ করে তেমনি মানুষের বিবেক-বুদ্ধি ও সাধারণ প্রবৃত্তি দ্বিধাহীনভাবে আল্লাহ্‌র অস্তিত্বের প্রমাণ সাব্যস্ত করে।
দ্বিতীয়ত: আল্লাহ্‌র কর্তৃত্ব ও প্রতিপালকত্বে বিশ্বাস স্থাপন: অর্থাৎ এ বিশ্বাসে অটল থাকতে হবে যে, আল্লাহ্‌ একমাত্র রব, একমাত্র প্রতিপালক। এই মহাবিশ্ব পরিচালনায় তার আর কোন অংশীদার বা সহযোগী নেই।
তৃতীয়তঃ আল্লাহ্‌র উপাস্যত্বে বিশ্বাস স্থাপন:
অর্থাৎ মনেপ্রাণে একথা বিশ্বাস করতে হবে যে- আল্লাহ্‌ই একমাত্র ইলাহ্‌ তথা সত্য উপাস্য। উপাসনা প্রাপ্তিতে আর কেউ তাঁর অংশীদার নয়।
চতুর্থত: আল্লাহ্‌র সুন্দর নাম ও সিফাতসমূহের উপর বিশ্বাস স্থাপন:অর্থাৎ আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীন তাঁর নিজের জন্য তাঁর কিতাবে বা তাঁর রাসূলের সুন্নতে যে সমস্ত উপযুক্ত সুন্দর নাম ও সিফাত সাব্যস্ত করেছেন সেগুলোকে কোন ধরনের তাহরীফ (تحريف-গুণকে বিকৃত করা), তা’তীল (تعطيل-গুণকে অস্বীকার করা), তাকয়ীফ (تكييف-গুণ বা বৈশিষ্ট্যের অবয়ব নির্ধারণ করা) বা তামসীল (تمثيل-মাখলুকের গুণের সাথে সাদৃশ্য দেয়া)ছাড়া নিঃসঙ্কোচে মেনে নেয়া।
আল্লাহ্ তায়ালা আছেন আসমানে
মহান আরশের উরধে সমুন্নত,
সবকিছু তাঁরই ক্ষমতা, জ্ঞান, দৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণে
কোথাও কিছু নেই আল্লাহ্র মতো।
আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ ব্যতীত ইবাদত পাবার যোগ্য কেউ নেই ।
আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস
আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস রাখা ঈমানের মূল বুনিয়াদ। আল্লাহর একত্বে সন্দেহ, সংশয় থাকা মানে ঈমানের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি করা। সুতরাং ঈমানকে বিশুদ্ধ করার জন্য তাওহিদের মৌলিক বিষয়াদি জানা ও সেগুলোর প্রতি যথাযথ বিশ্বাস রাখা একান্ত জরুরি।
তাওহিদের মর্মকথা : তাওহিদ অর্থ একত্ববাদ। আল্লাহ তায়ালা নিজ সত্তায়, গুণাবলিতে ও কর্মে একক ও অদ্বিতীয়। সত্তাগতভাবে তিনি অদ্বিতীয়। দুনিয়ার কোনো বস্তু তাঁর সদৃশ্য নয়। গুণাবলির ক্ষেত্রেও তিনি অদ্বিতীয়। তাঁর গুণাবলি দুনিয়ার মানুষের গুণাবলির মতো নয়। কর্মেও আল্লাহ তায়ালা একক ও অদ্বিতীয়। একজন ঈমানদারের জন্য এসব বিষয়ের প্রতি ঈমান রাখা জরুরি।
সত্তাগতভাবে আল্লাহ একক : সত্তাগতভাবে আল্লাহ তায়ালা একক ও অদ্বিতীয়। সৃষ্টির কোনো বস্তুর সঙ্গে আল্লাহর সত্তার সাদৃশ্য নেই। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআন মাজিদে ইরশাদ করেন, ‘তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের স্রষ্টা। তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জন্য যুগল সৃষ্টি করেছেন এবং চতুষ্পদ জন্তুদের মধ্য থেকে জোড়া সৃষ্টি করেছেন। এভাবে তিনি তোমাদের বংশ বিস্তার করেন। কোনো কিছুই তার অনুরূপ নয়। তিনি সব শুনেন, সব দেখেন।’ (সুরা শূরা : ১১)। অন্য আয়াতে বলেন, ‘বলুন, তিনি আল্লাহ একক।’ (সুরা ইখলাস : ১)। আল্লাহ তায়ালা বিদ্যমান রয়েছেন, কিন্তু মানুষের মতো তার দেহ নেই। তিনি আরশের ওপর সমাসীন রয়েছেন, কিন্তু কীভাবে কোন অবস্থায় রয়েছেন তা মানুষের চিন্তা ও বোধগম্যের ঊর্ধ্বে।
আল্লাহ তায়ালার হাত রয়েছে, কিন্তু তার আকার-আকৃতি কেমন তা মানুষের জ্ঞানের ঊর্ধ্বে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘ইহুদিরা বলে আল্লাহর হাত বন্ধ হয়ে গেছে। তাদেরই হাত বন্ধ হোক। এ কথা বলার কারণে তাদের প্রতি অভিসম্পাত। বরং তাঁর উভয় হাত উন্মুক্ত। তিনি যেরূপ ইচ্ছা ব্যয় করেন।’ (সুরা মায়েদা : ৬৪)। এই আয়াত দ্বারা আল্লাহর হাত থাকা প্রমাণিত হয়। কিন্তু তা কেমন তা আল্লাহ ভালো জানেন।
গুণাবলিতে অদ্বিতীয় : কোরআন ও হাদিসে আল্লাহ তায়ালার অনেক গুণাবলি বর্ণিত হয়েছে। এর কিছু গুণ বাহ্যত মানুষের মধ্যেও বিদ্যমান আছে মনে হয়। কিন্তু আল্লাহ তায়ালার গুণাবলির সঙ্গে মানুষের গুণাবলির সাদৃশ্য নেই। আল্লাহ তায়ালা কথা বলেন, কিন্তু তা মানুষের মতো নয়। কোরআন মাজিদে রয়েছে, ‘আল্লাহ মুসার সঙ্গে কথোপকথন করেছেন সরাসরি।’ (সুরা নিসা : ১৬৪)। আল্লাহ তায়ালা দেখেন, শুনেন, কথা বলেন, কাজ করেন। তিনি জ্ঞানী, বিজ্ঞ, কৌশল অবলম্বনকারী, প্রতিশোধ গ্রহণকারী, শাস্তি প্রদানকারী, পুরস্কার দানকারী। কিন্তু এসব গুণাবলিতে আল্লাহ তায়ালা অদ্বিতীয়। কোনো সৃষ্টির সঙ্গে এসব গুণের সাদৃশ্য নেই। আল্লাহর দেখা আর মানুষের দেখা, আল্লাহর শোনা আর মানুষের শোনা এক নয়। মানুষ কান ছাড়া শুনতে পায় না, একসঙ্গে অনেক কথা শুনতে ও বুঝতে পারে না। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা কান ব্যতীতই শোনার ক্ষমতা রাখেন। তিনি একই সঙ্গে পৃথিবীর তাবৎ শব্দ শুনতে পান ও বুঝতে পারেন। তার দেখা ও শোনা একক ও অদ্বিতীয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘দৃষ্টিসমূহ তাকে পেতে পারে না, অবশ্য তিনি দৃষ্টিসমূহকে পেতে পারেন। তিনি অত্যন্ত সুক্ষদর্শী, সুবিজ্ঞ।’ (সুরা আনআম : ১০৩)
কর্মে অদ্বিতীয় : আল্লাহ তায়ালা কর্ম সম্পাদনকারী। চাঁদ, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্রসহ সাত আসমান ও সাত জমিন আল্লাহ তায়ালা নিয়ন্ত্রণ করেন। এসব নিয়ন্ত্রণ করে তিনি ক্লান্ত হন না। যখন যা খুশি তাই করেন। আল্লাহ কোনো কাজে বাধাপ্রাপ্ত হন না। কোনো কাজে কাউকে পরোয়া করেন না। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তিনি যা চান তাই করেন।’ (সুরা বুরুজ : ১৬)
আল্লাহ তায়ালা বিশ্ব জগৎ সৃষ্টি করেছেন। মানুষ ও পশুপাখি সৃষ্টি করেছেন। গাছপালা তরুলতা সৃষ্টি করেছেন। ফল-ফসলে পৃথিবী সাজান। আল্লাহ তায়ালা মানুষের জন্ম ও মৃত্যু দেন। এসব কর্মে আল্লাহ তায়ালা একক। তাকে ছাড়া কেউ এসব করতে পারে না। তার ইচ্ছা ব্যতীত কারও মৃত্যু হয় না। আল্লাহর সৃষ্টি করা বিভিন্ন উপাদান একত্রিত করে মানুষ নতুন বস্তু আবিষ্কার করে মাত্র। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তিনিই সে সত্তা যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য যা কিছু জমিনে রয়েছে সে সমস্ত।’ (সুরা বাকরা : ২৯)
আল্লাহ একক মাবুদ : ইবাদত পাওয়ার হকদার একমাত্র আল্লাহ তায়ালা। তিনি ব্যতীত দৃশ্য বা অদৃশ্য কেউ ইবাদতের উপযুক্ত নয়। গুণাবলি ও সত্তাগতভাবে যেমন আল্লাহ তায়ালা অদ্বিতীয় ইবাদত পাওয়ার ক্ষেত্রেও তিনি অদ্বিতীয়। আল্লাহ তায়ালা কোরআন মাজিদের অসংখ্য আয়াতে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘তোমাদের উপাস্য একমাত্র উপাস্য। তিনি ছাড়া মহা করুণাময় দয়ালু কেউ নেই।’ (সুরা বাকারা : ১৬৩)
ঈমানের জন্য শর্ত হলো তাওহিদ বা একত্ববাদ। তাওহিদের বিশ্বাস ব্যতীত শুধুমাত্র আল্লাহর সত্তা ও গুণাবলিতে ঈমান আনলে কেউ ঈমানদার হয় না। মক্কার মুশরিক লোকেরা আল্লাহ তায়ালার সত্তা ও গুণাবলির প্রতি বিশ্বাস রাখত, কিন্তু আল্লাহকে এসব গুণাবলিতে একক মনে করত না। তারা আল্লাহকে মাবুদ হিসেবে স্বীকৃতি দিত, কিন্তু একক মাবুদ হিসেবে মানত না। তারা মনে করত বিভিন্ন কাজে ও গুণাবলিতে আল্লাহর সদৃশ্য রয়েছে। অথচ কোরআনে আল্লাহ তায়ালা অনেক আয়াতে উল্লেখ করেছেন কেউ তার সমকক্ষ বা সদৃশ্য নেই। আল্লাহ বলেন, ‘তার সমতুল্য কেউ নেই।’ (সুরা ইখলাস : ৪)। ফলে আল্লাহ তায়ালা তাদের কাফের হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। নবীজি (সা.) তাদের মূর্তি ও দেবদেবীর পূজা পরিত্যাগ করে তাওহিদের পথে চলার আহ্বান করেছেন।
আল্লাহ একক বিধানদাতা : আল্লাহ তায়ালা মানুষ সৃষ্টি করেছেন এবং মানবজাতির জন্য বিধান প্রণয়ন করে দিয়েছেন। যুগে যুগে নবীগণ আল্লাহর সেই বিধান মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। আল্লাহপ্রদত্ত সেই বিধান এতটাই পরিপূর্ণ যে, মানবজীবনের যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয় তাতে ��িদ্যমান রয়েছে। কেউ যদি মনে করে আধুনিক যুগে চৌদ্দশ বছরের পুরনো কোরআনের বিধান অচল অথবা অপূর্ণ তাহলে তার ঈমান নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘শুনে রাখ, তারই কাজ সৃষ্টি করা এবং আদেশ দান করা।’ (সুরা আরাফ : ৫৪)। এসব আয়াত দ্বারা বোঝা যায়, আল্লাহ তায়ালাই একমাত্র বিধানদাতা। সুতরাং একজন ঈমানদারের কর্তব্য হলো এর প্রতি ঈমান রাখা এবং বাস্তব জীবনে আল্লাহর বিধানকে অনুসরণ করা।
আল্লাহর প্রতি ঈমান অর্থ কী? 
youtube
আল্লাহ ও আখিরাতের বিশ্বাস কেন করবো 
youtube
আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের ধরণ কেমন হবে ? 
আল্লাহর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসের উপায় কি? 
youtube
আল্লাহর উপর বিশ্বাস:আল্লাহকে কেন বিশ্বাস করব?
Why will you believe in Allah
youtube
আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস
Belief in Allah
আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস
Belief in the Oneness of Allah
Belief in the Oneness of God
0 notes
tmevents-blog1 · 5 years
Photo
Tumblr media
5 pillars of Islam took the centre Stage and the metallic screens were used to display 99 names of Allah. Event Design by @tmevents_ @nowman_kareem #tajmahalevents #5pillarsofislam #quranverse #pillarsofislam #muslimummah #islamislove #islamisbeautiful #beliefinallah #islamicevents #australianmuslims #muslimsinsydney #australianmuslim #muslim #islamic #islam #islamictheme #sydneymuslims #photooftheday #design #creative #sydneyfestival #multiculturalNSW #visitnsw #sydney #multicultural #Sydneyevents #sydneylocal #99nameofallah #99namesofallah #asmaulhusna99 (at Sydney, Australia) https://www.instagram.com/p/By60-xrHOfU/?igshid=91tnb856mjap
0 notes
hijabiservantblog · 5 years
Photo
Tumblr media
The signs by which Lailatul Qadr is known The first sign: Ubay Ibn Ka’ab said that the Prophet (Peace be upon him) announced that one of its signs was that when the sun rose on the following morning, it had no (visible) rays.” [Muslim] The second sign: Ibn Abbas narrated by Ibn Khuzaimah, and by al-Tayalisi in his Musnad, with a Sahih isnad, that the Prophet (Peace be upon him) said: “Lailatul Qadr is a pleasant night, neither hot nor cold, and the following day the sun rises red and weak.” [See Sahih Ibn Khuzaimah and Musnad of al-Tayalisi] The third sign: Wathilah Ibn al-Asqa said that the Prophet (Peace be upon him) said: “Lailatul Qadr is a bright night, neither hot nor cold, in which no meteors are seen.” [Narrated by al-Tabarani in al-Kabir also See Majma’ al-Zawa’id and Musnad of Imam Ahmad] These three Sahih Ahadith explain the signs which indicate Lailatul Qadr. It is not essential for the one who “catches” Lailatul Qadr to know that he has “caught” it. The point is to strive hard and to be sincere in worship, whether or not one knows that one has “caught” it. It may be that some of those who do not know that may be better with Allah and higher in status than those who did know which night it was, because the former strove hard. Don’t Miss The Last Ten Days Of Ramadan❗❗❗ Respected Brothers and Sisters! The last ten nights of Ramadan are very special. These are the nights that the Prophet (Peace be upon him) would spend in constant worship. Among these nights is Lailatul Qadr – a night more blessed than a thousand months. The Prophet (Peace be upon him) used to single these nights out for worship and the performance of good deeds. He would exert himself in worship during these ten nights more than any other nights of the year. #islam #allah #Allah #islampost #islamicposts #islamicreminder #hijab #hijabi #dawah #deen #islameverywhere #pbuh #loveislam #theummati #oneummah #muslimummah #muslimreminder #islamislove #islamisbeautiful #beliefinallah #aqirahoverduniya #islamicquotes #ramadan2019 #ramadan #ramadanreminders #lailatulqadar #nightofpower (at Lailatul Qadr) https://www.instagram.com/p/Bx72U3Rh7-W/?igshid=aklzv2ble423
0 notes