#সহপাঠীগন
সহপাঠী বন্ধু শব্দ গুলো কেবলই আবেগ তাড়িত শব্দ। বাস্তব জীবনে আসলে এ শব্দ গুলোর মূল্যায়ন বেশ কম হয়ে থাকে। ও আমার সহপাঠী বন্ধু কেবলমাত্র মনে স্বান্তনাই দেয়। আর, বাস্তবতা সে এক কঠিন ভিন্ন বিষয়। আর্থিকভাবে স্বচ্ছল থাকলে আপনি কারো সহপাঠী হলেও অন্তরঙ্গ বন্ধুর চেয়ে বেশী ভালোবাসা পাবেন। আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল হলে তো কথাই নেই। তখন তো আপনার সহপাঠীরা আপনাকে চিনবেও না। তবে ক্ষেত্র বিশেষে ব্যতিক্রম তো অবশ্যই আছে। আজ আমার একজন প্রিয় সহপাঠী বন্ধুর ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান হয়ে গেল। সহপাঠী অনেক বন্ধুরাই ঐ অনুষ্ঠানে দাওয়াত পেয়েছে, বিশেষ করে যারা ধনী সহপাঠী বন্ধু, ব্যবসা বানিজ্য করে অঢেল টাকার মালিক হয়েছে, বাড়ি-গাড়ি আছে এমন সহপাঠীরা দাওয়াত পেয়েছে।
>
0 notes
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহর অর্থ, ব্যাখ্যা, শর্ত
La-Ilaha Illallah Meaning, Explanation, Terms
সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হলো ঈমান। ঈমানের বিপরীত কুফর। ঈমান সত্য, কুফর মিথ্যা। ঈমান আলো, কুফর অন্ধকার।
ঈমানই জীবন, কুফর মৃত্যুতুল্য। ঈমান সরল পথ, আর কুফর ভ্রষ্টতার পথ।
ঈমানের কালেমা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’। এ কালেমার জন্য সৃষ্টিজগতের সৃষ্টি।
এ কালেমার জন্য মানুষ কাফির ও মুমিন—দুই ভাগে বিভক্ত। কেউ সৌভাগ্যবান—তারা জান্নাতি। আর কেউ হতভাগা—তারা জাহান্নামি।
এ কালেমার বাণী প্রচারের জন্য মহান আল্লাহ যুগে যুগে অসংখ্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন।
মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমার আগে আমি যত রাসুল প্রেরণ করেছি, তাদের সবার ওপর আমার এই মর্মে নির্দেশ ছিল যে আমি ছাড়া আর কোনো ইলাহ (উপাস্য) নেই। সুতরাং তোমরা আমারই ইবাদত করো।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ২৫)
‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র অর্থ হলো, আল্লাহ ছাড়া কোনো (সত্য) মাবুদ (উপাস্য) নেই। আল্লাহ ছাড়া কোনো বস্তু বা সত্তার ইলাহ হওয়ার যোগ্যতা নেই। ইবাদতের একমাত্র উপযুক্ত মহান আল্লাহ।
মহান আল্লাহ পৃথিবীর প্রকৃত মালিক। আকাশ ও পৃথিবী তিনি নিজ ক্ষমতাবলে সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টির ওপর তাঁর একচ্ছত্র মালিকানা, কর্তৃত্ব ও নিরঙ্কুশ ক্ষমতা। আর তা অবিভাজ্য ও অংশীদারহীন। সুতরাং তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তিনিই (আল্লাহ) সেই সত্তা, যিনি আকাশ ও পৃথিবীর ইলাহ (উপাস্য)।’ (সুরা জুখরুফ, আয়াত : ৮৪)
‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র দুই রুকন বা স্তম্ভ। অর্থাৎ এই বাক্যের মধ্যে ইতিবাচক ও নেতিবাচক—দুই ধরনের অর্থ আছে :
১. ‘না’ সূচক : আর তা হলো, ‘লা-ইলাহা’। ‘লা’ মানে না বা নেই। ‘ইলাহ’ মানে মাবুদ (উপাস্য/ইবাদতের উপযুক্ত)। অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোনো (সত্য) ইলাহ নেই।
প্রত্যেক পূজনীয় বস্তুকে ‘ইলাহ’ বলা হয়। ইমাম রাগেব ইসফাহানি (রহ.) লিখেছেন, কারো কারো মতে, আল্লাহ শব্দের মূল হলো ‘ইলাহ’। আর আরবের লোকেরা ‘ইলাহ’ শব্দ মাবুদ (যার ইবাদত করা হয়) অর্থে ব্যবহার করে। (আল-মুফরাতাদ ফি গারিবিল কোরআন, পৃষ্ঠা ৩১, ইলাহ)
সুতরাং ‘লা-ইলাহা’ মানে ইবাদত ও উপাসনায় আল্লাহর কোনো শরিক নেই। ‘লা-ইলাহা’ অংশীদারত্বের সব প্রকারকে সম্পূর্ণরূপে বাতিল করে দেয়। আল্লাহ ছাড়া যাদের ইবাদত করা হয়, সবগুলো বর্জন করা অপরিহার্য করে দেয় ‘লা-ইলাহা’। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর এটা এ জন্য যে নিশ্চয়ই আল্লাহই সত্য এবং তার পরিবর্তে তারা যা ডাকে, অবশ্যই তা বাতিল। আর নিশ্চয়ই তিনিই তো সমুচ্চ, সুমহান।’ (সুরা হজ, আয়াত : ৬২)
২. ‘হ্যাঁ’ সূচক : আর তা হলো ‘ইল্লাল্লাহ’। ‘ইল্লা’ মানে ছাড়া, ব্যতীত। ‘ইল্লাল্লাহ’ মানে আল্লাহ ছাড়া (আর কোনো ইলাহ নেই)।
সুতরাং এই কালেমার ‘না’ সূচক ‘লা-ইলাহা’ এবং ‘হ্যাঁ’ সূচক ‘ইল্লাল্লাহ’ দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা দেয়—একমাত্র ইলাহ মহান আল্লাহ।
তাই ‘ইল্লাল্লাহ’ বান্দার ইবাদতকে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য সাব্যস্ত করে। ইবাদতের যোগ্য একমাত্র আল্লাহ—তা অপরিহার্য করে দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর তোমাদের ইলাহ এক ইলাহ। তিনি ছাড়া অন্য কোনো ইলাহ নেই। তিনি অতি দয়াময়, পরম দয়ালু।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৩)
এই পবিত্র কালেমায় যথাযথ বিশ্বাসী হতে হলে সাতটি শর্ত পূরণ করতে হবে। এসব শর্ত কোরআন-হাদিস থেকে গৃহীত।
শর্তগুলো হলো : ১. ‘ইলম’ অর্থাৎ (কালেমার অর্থ ও দাবি) জানা। ২. ‘ইয়াকিন’ তথা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা। ৩. ‘ইখলাস’ অর্থাৎ একনিষ্ঠ ও বিশুদ্ধ হওয়া। ৪. ‘সিদক’ তথা সত্যায়ন করা। ৫. ‘মাহাব্বাহ’ তথা ভালোবাসা। ৬. ‘ইনকিয়াদ’ তথা নিঃশর্ত আনুগত্য প্রদর্শন করা। ৭. ‘কবুল’ তথা শর্তহীনভাবে গ্রহণ করা।
শর্তগুলোর সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
প্রথম শর্ত : এ কালেমার ‘না’ বাচক এবং ‘হ্যাঁ’ বাচক দুটি অংশের অর্থ সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান থাকা জরুরি।
দ্বিতীয় শর্ত : ইয়াকিন বা দৃঢ় প্রত্যয়। অর্থাৎ এ কালেমার মাধ্যমে যে কথার স্বীকৃতি দেওয়া হয়, তাতে বিন্দু পরিমাণ সন্দেহ থাকতে পারবে না।
তৃতীয় শর্ত : ইখলাস বা নিষ্ঠা। অর্থাৎ অংশীদারত্বমুক্ত হয়ে বিশুদ্ধচিত্তে কালেমার দাবি মেনে নেওয়া। এই শর্ত ব্যক্তিকে শিরক ও রিয়া থেকে মুক্ত রাখবে।
চতুর্থ শর্ত : এই কালেমা পাঠকারীকে সত্যের পরাকাষ্ঠা হতে হবে। অর্থাৎ একই সঙ্গে মুখে ও অন্তরে এই কালেমায় বিশ্বাসী হতে হবে। এই শর্ত তাকে মুনাফিকি আচরণ থেকে বিরত রাখবে।
পঞ্চম শর্ত : ভালোবাসা। এই কালেমাকে হৃদয় দিয়ে গ্রহণ, ধারণ ও লালন করতে হবে এবং মনেপ্রাণে ভালোবাসতে হবে।
ষষ্ঠ শর্ত : আনুগত্য করা। এই কালেমার শর্ত ও দাবি হলো, পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করা। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য ইসলামী শরিয়তের যাবতীয় আদেশ-নিষেধ মেনে চলা।
সপ্তম শর্ত : আন্তরিকভাবে এ কালেমা কবুল করা। দ্বিনের কোনো কাজ প্রত্যাখ্যান ও বর্জন থেকে নিজেকে বিরত রাখা। (ফাতহুল মাজিদ, শায়খ আবদুর রহমান বিন হাসান, পৃষ্ঠা ৯১)
কোনো কোনো আলেম উল্লিখিত সাতটি শর্তের সঙ্গে অষ্টম শর্ত যোগ করেছেন, আর তা হচ্ছে, তাগুতের সঙ্গে কুফরি করা। অর্থাৎ আল্লাহর প্রতি ঈমান এবং তাগুতের প্রতি কুফরি।
তাগুত হলো, ওই সব বাতিল উপাস্য, আল্লাহকে ছাড়া যাদের উপাসনা করা হয়।
তাগুত শব্দের অর্থ সীমা লঙ্ঘনকারী, দুষ্কৃতির মূল বস্তু, যা মানুষকে বিভ্রান্ত করে। শয়তান, কল্পিত উপাস্য, যাবতীয় বিভ্রান্তিকর উপায়-উপকরণ তাগুতের অন্তর্ভুক্ত। [আল-কোরআনুল করিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, টীকা নম্বর : ১৭৭ (অবলম্বনে)]
সুতরাং কালেমা পাঠকারী এগুলো বর্জন করবে—এটাই স্বাভাবিক। মহান আল্লাহ বলেন, ‘...সুতরাং যে ব্যক্তি তাগুত অস্বীকার করে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, অবশ্যই সে মজবুত হাতল আঁকড়ে ধরে, যা কখনো ভাঙবে না। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৫৬)
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ সঠিক অর্থ এবং ব্যাখ্যা
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'র অর্থ ও শর্তসমূহ
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'র শর্ত গুলো কি কি?
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর ৭টি শর্ত
"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" এই কালেমার শর্ত সমূহ
তাওহীদ - তাওহীদের ৯টি মূলনীতি
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহর অর্থ, ব্যাখ্যা, শর্ত
La-Ilaha Illallah Meaning, Explanation, Terms
0 notes
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহর অর্থ, ব্যাখ্যা, শর্ত
La-Ilaha Illallah Meaning, Explanation, Terms
সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হলো ঈমান। ঈমানের বিপরীত কুফর। ঈমান সত্য, কুফর মিথ্যা। ঈমান আলো, কুফর অন্ধকার।
ঈমানই জীবন, কুফর মৃত্যুতুল্য। ঈমান সরল পথ, আর কুফর ভ্রষ্টতার পথ।
ঈমানের কালেমা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’। এ কালেমার জন্য সৃষ্টিজগতের সৃষ্টি।
এ কালেমার জন্য মানুষ কাফির ও মুমিন—দুই ভাগে বিভক্ত। কেউ সৌভাগ্যবান—তারা জান্নাতি। আর কেউ হতভাগা—তারা জাহান্নামি।
এ কালেমার বাণী প্রচারের জন্য মহান আল্লাহ যুগে যুগে অসংখ্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন।
মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমার আগে আমি যত রাসুল প্রেরণ করেছি, তাদের সবার ওপর আমার এই মর্মে নির্দেশ ছিল যে আমি ছাড়া আর কোনো ইলাহ (উপাস্য) নেই। সুতরাং তোমরা আমারই ইবাদত করো।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ২৫)
‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র অর্থ হলো, আল্লাহ ছাড়া কোনো (সত্য) মাবুদ (উপাস্য) নেই। আল্লাহ ছাড়া কোনো বস্তু বা সত্তার ইলাহ হওয়ার যোগ্যতা নেই। ইবাদতের একমাত্র উপযুক্ত মহান আল্লাহ।
মহান আল্লাহ পৃথিবীর প্রকৃত মালিক। আকাশ ও পৃথিবী তিনি নিজ ক্ষমতাবলে সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টির ওপর তাঁর একচ্ছত্র মালিকানা, কর্তৃত্ব ও নিরঙ্কুশ ক্ষমতা। আর তা অবিভাজ্য ও অংশীদারহীন। সুতরাং তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তিনিই (আল্লাহ) সেই সত্তা, যিনি আকাশ ও পৃথিবীর ইলাহ (উপাস্য)।’ (সুরা জুখরুফ, আয়াত : ৮৪)
‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র দুই রুকন বা স্তম্ভ। অর্থাৎ এই বাক্যের মধ্যে ইতিবাচক ও নেতিবাচক—দুই ধরনের অর্থ আছে :
১. ‘না’ সূচক : আর তা হলো, ‘লা-ইলাহা’। ‘লা’ মানে না বা নেই। ‘ইলাহ’ মানে মাবুদ (উপাস্য/ইবাদতের উপযুক্ত)। অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোনো (সত্য) ইলাহ নেই।
প্রত্যেক পূজনীয় বস্তুকে ‘ইলাহ’ বলা হয়। ইমাম রাগেব ইসফাহানি (রহ.) লিখেছেন, কারো কারো মতে, আল্লাহ শব্দের মূল হলো ‘ইলাহ’। আর আরবের লোকেরা ‘ইলাহ’ শব্দ মাবুদ (যার ইবাদত করা হয়) অর্থে ব্যবহার করে। (আল-মুফরাতাদ ফি গারিবিল কোরআন, পৃষ্ঠা ৩১, ইলাহ)
সুতরাং ‘লা-ইলাহা’ মানে ইবাদত ও উপাসনায় আল্লাহর কোনো শরিক নেই। ‘লা-ইলাহা’ অংশীদারত্বের সব প্রকারকে সম্পূর্ণরূপে বাতিল করে দেয়। আল্লাহ ছাড়া যাদের ইবাদত করা হয়, সবগুলো বর্জন করা অপরিহার্য করে দেয় ‘লা-ইলাহা’। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর এটা এ জন্য যে নিশ্চয়ই আল্লাহই সত্য এবং তার পরিবর্তে তারা যা ডাকে, অবশ্যই তা বাতিল। আর নিশ্চয়ই তিনিই তো সমুচ্চ, সুমহান।’ (সুরা হজ, আয়াত : ৬২)
২. ‘হ্যাঁ’ সূচক : আর তা হলো ‘ইল্লাল্লাহ’। ‘ইল্লা’ মানে ছাড়া, ব্যতীত। ‘ইল্লাল্লাহ’ মানে আল্লাহ ছাড়া (আর কোনো ইলাহ নেই)।
সুতরাং এই কালেমার ‘না’ সূচক ‘লা-ইলাহা’ এবং ‘হ্যাঁ’ সূচক ‘ইল্লাল্লাহ’ দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা দেয়—একমাত্র ইলাহ মহান আল্লাহ।
তাই ‘ইল্লাল্লাহ’ বান্দার ইবাদতকে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য সাব্যস্ত করে। ইবাদতের যোগ্য একমাত্র আল্লাহ—তা অপরিহার্য করে দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর তোমাদের ইলাহ এক ইলাহ। তিনি ছাড়া অন্য কোনো ইলা��� নেই। তিনি অতি দয়াময়, পরম দয়ালু।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৩)
এই পবিত্র কালেমায় যথাযথ বিশ্বাসী হতে হলে সাতটি শর্ত পূরণ করতে হবে। এসব শর্ত কোরআন-হাদিস থেকে গৃহীত।
শর্তগুলো হলো : ১. ‘ইলম’ অর্থাৎ (কালেমার অর্থ ও দাবি) জানা। ২. ‘ইয়াকিন’ তথা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা। ৩. ‘ইখলাস’ অর্থাৎ একনিষ্ঠ ও বিশুদ্ধ হওয়া। ৪. ‘সিদক’ তথা সত্যায়ন করা। ৫. ‘মাহাব্বাহ’ তথা ভালোবাসা। ৬. ‘ইনকিয়াদ’ তথা নিঃশর্ত আনুগত্য প্রদর্শন করা। ৭. ‘কবুল’ তথা শর্তহীনভাবে গ্রহণ করা।
শর্তগুলোর সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
প্রথম শর্ত : এ কালেমার ‘না’ বাচক এবং ‘হ্যাঁ’ বাচক দুটি অংশের অর্থ সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান থাকা জরুরি।
দ্বিতীয় শর্ত : ইয়াকিন বা দৃঢ় প্রত্যয়। অর্থাৎ এ কালেমার মাধ্যমে যে কথার স্বীকৃতি দেওয়া হয়, তাতে বিন্দু পরিমাণ সন্দেহ থাকতে পারবে না।
তৃতীয় শর্ত : ইখলাস বা নিষ্ঠা। অর্থাৎ অংশীদারত্বমুক্ত হয়ে বিশুদ্ধচিত্তে কালেমার দাবি মেনে নেওয়া। এই শর্ত ব্যক্তিকে শিরক ও রিয়া থেকে মুক্ত রাখবে।
চতুর্থ শর্ত : এই কালেমা পাঠকারীকে সত্যের পরাকাষ্ঠা হতে হবে। অর্থাৎ একই সঙ্গে মুখে ও অন্তরে এই কালেমায় বিশ্বাসী হতে হবে। এই শর্ত তাকে মুনাফিকি আচরণ থেকে বিরত রাখবে।
পঞ্চম শর্ত : ভালোবাসা। এই কালেমাকে হৃদয় দিয়ে গ্রহণ, ধারণ ও লালন করতে হবে এবং মনেপ্রাণে ভালোবাসতে হবে।
ষষ্ঠ শর্ত : আনুগত্য করা। এই কালেমার শর্ত ও দাবি হলো, পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করা। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য ইসলামী শরিয়তের যাবতীয় আদেশ-নিষেধ মেনে চলা।
সপ্তম শর্ত : আন্তরিকভাবে এ কালেমা কবুল করা। দ্বিনের কোনো কাজ প্রত্যাখ্যান ও বর্জন থেকে নিজেকে বিরত রাখা। (ফাতহুল মাজিদ, শায়খ আবদুর রহমান বিন হাসান, পৃষ্ঠা ৯১)
কোনো কোনো আলেম উল্লিখিত সাতটি শর্তের সঙ্গে অষ্টম শর্ত যোগ করেছেন, আর তা হচ্ছে, তাগুতের সঙ্গে কুফরি করা। অর্থাৎ আল্লাহর প্রতি ঈমান এবং তাগুতের প্রতি কুফরি।
তাগুত হলো, ওই সব বাতিল উপাস্য, আল্লাহকে ছাড়া যাদের উপাসনা করা হয়।
তাগুত শব্দের অর্থ সীমা লঙ্ঘনকারী, দুষ্কৃতির মূল বস্তু, যা মানুষকে বিভ্রান্ত করে। শয়তান, কল্পিত উপাস্য, যাবতীয় বিভ্রান্তিকর উপায়-উপকরণ তাগুতের অন্তর্ভুক্ত। [আল-কোরআনুল করিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, টীকা নম্বর : ১৭৭ (অবলম্বনে)]
সুতরাং কালেমা পাঠকারী এগুলো বর্জন করবে—এটাই স্বাভাবিক। মহান আল্লাহ বলেন, ‘...সুতরাং যে ব্যক্তি তাগুত অস্বীকার করে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, অবশ্যই সে মজবুত হাতল আঁকড়ে ধরে, যা কখনো ভাঙবে না। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৫৬)
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ সঠিক অর্থ এবং ব্যাখ্যা
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'র অর্থ ও শর্তসমূহ
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'র শর্ত গুলো কি কি?
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর ৭টি শর্ত
"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" এই কালেমার শর্ত সমূহ
তাওহীদ - তাওহীদের ৯টি মূলনীতি
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহর অর্থ, ব্যাখ্যা, শর্ত
La-Ilaha Illallah Meaning, Explanation, Terms
0 notes
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহর অর্থ, ব্যাখ্যা, শর্ত
La-Ilaha Illallah Meaning, Explanation, Terms
সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হলো ঈমান। ঈমানের বিপরীত কুফর। ঈমান সত্য, কুফর মিথ্যা। ঈমান আলো, কুফর অন্ধকার।
ঈমানই জীবন, কুফর মৃত্যুতুল্য। ঈমান সরল পথ, আর কুফর ভ্রষ্টতার পথ।
ঈমানের কালেমা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’। এ কালেমার জন্য সৃষ্টিজগতের সৃষ্টি।
এ কালেমার জন্য মানুষ কাফির ও মুমিন—দুই ভাগে বিভক্ত। কেউ সৌভাগ্যবান—তারা জান্নাতি। আর কেউ হতভাগা—তারা জাহান্নামি।
এ কালেমার বাণী প্রচারের জন্য মহান আল্লাহ যুগে যুগে অসংখ্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন।
মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমার আগে আমি যত রাসুল প্রেরণ করেছি, তাদের সবার ওপর আমার এই মর্মে নির্দেশ ছিল যে আমি ছাড়া আর কোনো ইলাহ (উপাস্য) নেই। সুতরাং তোমরা আমারই ইবাদত করো।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ২৫)
‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র অর্থ হলো, আল্লাহ ছাড়া কোনো (সত্য) মাবুদ (উপাস্য) নেই। আল্লাহ ছাড়া কোনো বস্তু বা সত্তার ইলাহ হওয়ার যোগ্যতা নেই। ইবাদতের একমাত্র উপযুক্ত মহান আল্লাহ।
মহান আল্লাহ পৃথিবীর প্রকৃত মালিক। আকাশ ও পৃথিবী তিনি নিজ ক্ষমতাবলে সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টির ওপর তাঁর একচ্ছত্র মালিকানা, কর্তৃত্ব ও নিরঙ্কুশ ক্ষমতা। আর তা অবিভাজ্য ও অংশীদারহীন। সুতরাং তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তিনিই (আল্লাহ) সেই সত্তা, যিনি আকাশ ও পৃথিবীর ইলাহ (উপাস্য)।’ (সুরা জুখরুফ, আয়াত : ৮৪)
‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র দুই রুকন বা স্তম্ভ। অর্থাৎ এই বাক্যের মধ্যে ইতিবাচক ও নেতিবাচক—দুই ধরনের অর্থ আছে :
১. ‘না’ সূচক : আর তা হলো, ‘লা-ইলাহা’। ‘লা’ মানে না বা নেই। ‘ইলাহ’ মানে মাবুদ (উপাস্য/ইবাদতের উপযুক্ত)। অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোনো (সত্য) ইলাহ নেই।
প্রত্যেক পূজনীয় বস্তুকে ‘ইলাহ’ বলা হয়। ইমাম রাগেব ইসফাহানি (রহ.) লিখেছেন, কারো কারো মতে, আল্লাহ শব্দের মূল হলো ‘ইলাহ’। আর আরবের লোকেরা ‘ইলাহ’ শব্দ মাবুদ (যার ইবাদত করা হয়) অর্থে ব্যবহার করে। (আল-মুফরাতাদ ফি গারিবিল কোরআন, পৃষ্ঠা ৩১, ইলাহ)
সুতরাং ‘লা-ইলাহা’ মানে ইবাদত ও উপাসনায় আল্লাহর কোনো শরিক নেই। ‘লা-ইলাহা’ অংশীদারত্বের সব প্রকারকে সম্পূর্ণরূপে বাতিল করে দেয়। আল্লাহ ছাড়া যাদের ইবাদত করা হয়, সবগুলো বর্জন করা অপরিহার্য করে দেয় ‘লা-ইলাহা’। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর এটা এ জন্য যে নিশ্চয়ই আল্লাহই সত্য এবং তার পরিবর্তে তারা যা ডাকে, অবশ্যই তা বাতিল। আর নিশ্চয়ই তিনিই তো সমুচ্চ, সুমহান।’ (সুরা হজ, আয়াত : ৬২)
২. ‘হ্যাঁ’ সূচক : আর তা হলো ‘ইল্লাল্লাহ’। ‘ইল্লা’ মানে ছাড়া, ব্যতীত। ‘ইল্লাল্লাহ’ মানে আল্লাহ ছাড়া (আর কোনো ইলাহ নেই)।
সুতরাং এই কালেমার ‘না’ সূচক ‘লা-ইলাহা’ এবং ‘হ্যাঁ’ সূচক ‘ইল্লাল্লাহ’ দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা দেয়—একমাত্র ইলাহ মহান আল্লাহ।
তাই ‘ইল্লাল্লাহ’ বান্দার ইবাদতকে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য সাব্যস্ত করে। ইবাদতের যোগ্য একমাত্র আল্লাহ—তা অপরিহার্য করে দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর তোমাদের ইলাহ এক ইলাহ। তিনি ছাড়া অন্য কোনো ইলাহ নেই। তিনি অতি দয়াময়, পরম দয়ালু।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৩)
এই পবিত্র কালেমায় যথাযথ বিশ্বাসী হতে হলে সাতটি শর্ত পূরণ করতে হবে। এসব শর্ত কোরআন-হাদিস থেকে গৃহীত।
শর্তগুলো হলো : ১. ‘ইলম’ অর্থাৎ (কালেমার অর্থ ও দাবি) জানা। ২. ‘ইয়াকিন’ তথা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা। ৩. ‘ইখলাস’ অর্থাৎ একনিষ্ঠ ও বিশুদ্ধ হওয়া। ৪. ‘সিদক’ তথা সত্যায়ন করা। ৫. ‘মাহাব্বাহ’ তথা ভালোবাসা। ৬. ‘ইনকিয়াদ’ তথা নিঃশর্ত আনুগত্য প্রদর্শন করা। ৭. ‘কবুল’ তথা শর্তহীনভাবে গ্রহণ করা।
শর্তগুলোর সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
প্রথম শর্ত : এ কালেমার ‘না’ বাচক এবং ‘হ্যাঁ’ বাচক দুটি অংশের অর্থ সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান থাকা জরুরি।
দ্বিতীয় শর্ত : ইয়াকিন বা দৃঢ় প্রত্যয়। অর্থাৎ এ কালেমার মাধ্যমে যে কথার স্বীকৃতি দেওয়া হয়, তাতে বিন্দু পরিমাণ সন্দেহ থাকতে পারবে না।
তৃতীয় শর্ত : ইখলাস বা নিষ্ঠা। অর্থাৎ অংশীদারত্বমুক্ত হয়ে বিশুদ্ধচিত্তে কালেমার দাবি মেনে নেওয়া। এই শর্ত ব্যক্তিকে শিরক ও রিয়া থেকে মুক্ত রাখবে।
চতুর্থ শর্ত : এই কালেমা পাঠকারীকে সত্যের পরাকাষ্ঠা হতে হবে। অর্থাৎ একই সঙ্গে মুখে ও অন্তরে এই কালেমায় বিশ্বাসী হতে হবে। এই শর্ত তাকে মুনাফিকি আচরণ থেকে বিরত রাখবে।
পঞ্চম শর্ত : ভালোবাসা। এই কালেমাকে হৃদয় দিয়ে গ্রহণ, ধারণ ও লালন করতে হবে এবং মনেপ্রাণে ভালোবাসতে হবে।
ষষ্ঠ শর্ত : আনুগত্য করা। এই কালেমার শর্ত ও দাবি হলো, পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করা। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য ইসলামী শরিয়তের যাবতীয় আদেশ-নিষেধ মেনে চলা।
সপ্তম শর্ত : আন্তরিকভাবে এ কালেমা কবুল করা। দ্বিনের কোনো কাজ প্রত্যাখ্যান ও বর্জন থেকে নিজেকে বিরত রাখা। (ফাতহুল মাজিদ, শায়খ আবদুর রহমান বিন হাসান, পৃষ্ঠা ৯১)
কোনো কোনো আলেম উল্লিখিত সাতটি শর্তের সঙ্গে অষ্টম শর্ত যোগ করেছেন, আর তা হচ্ছে, তাগুতের সঙ্গে কুফরি করা। অর্থাৎ আল্লাহর প্রতি ঈমান এবং তাগুতের প্রতি কুফরি।
তাগুত হলো, ওই সব বাতিল উপাস্য, আল্লাহকে ছাড়া যাদের উপাসনা করা হয়।
তাগুত শব্দের অর্থ সীমা লঙ্ঘনকারী, দুষ্কৃতির মূল বস্তু, যা মানুষকে বিভ্রান্ত করে। শয়তান, কল্পিত উপাস্য, যাবতীয় বিভ্রান্তিকর উপায়-উপকরণ তাগুতের অন্তর্ভুক্ত। [আল-কোরআনুল করিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, টীকা নম্বর : ১৭৭ (অবলম্বনে)]
সুতরাং কালেমা পাঠকারী এগুলো বর্জন করবে—এটাই স্বাভাবিক। মহান আল্লাহ বলেন, ‘...সুতরাং যে ব্যক্তি তাগুত অস্বীকার করে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, অবশ্যই সে মজবুত হাতল আঁকড়ে ধরে, যা কখনো ভাঙবে না। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৫৬)
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ সঠিক অর্থ এবং ব্যাখ্যা
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'র অর্থ ও শর্তসমূহ
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'র শর্ত গুলো কি কি?
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর ৭টি শর্ত
"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" এই কালেমার শর্ত সমূহ
তাওহীদ - তাওহীদের ৯টি মূলনীতি
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহর অর্থ, ব্যাখ্যা, শর্ত
La-Ilaha Illallah Meaning, Explanation, Terms
0 notes
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহর অর্থ, ব্যাখ্যা, শর্ত
La-Ilaha Illallah Meaning, Explanation, Terms
সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হলো ঈমান। ঈমানের বিপরীত কুফর। ঈমান সত্য, কুফর মিথ্যা। ঈমান আলো, কুফর অন্ধকার।
ঈমানই জীবন, কুফর মৃত্যুতুল্য। ঈমান সরল পথ, আর কুফর ভ্রষ্টতার পথ।
ঈমানের কালেমা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’। এ কালেমার জন্য সৃষ্টিজগতের সৃষ্টি।
এ কালেমার জন্য মানুষ কাফির ও মুমিন—দুই ভাগে বিভক্ত। কেউ সৌভাগ্যবান—তারা জান্নাতি। আর কেউ হতভাগা—তারা জাহান্নামি।
এ কালেমার বাণী প্রচারের জন্য মহান আল্লাহ যুগে যুগে অসংখ্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন।
মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমার আগে আমি যত রাসুল প্রেরণ করেছি, তাদের সবার ওপর আমার এই মর্মে নির্দেশ ছিল যে আমি ছাড়া আর কোনো ইলাহ (উপাস্য) নেই। সুতরাং তোমরা আমারই ইবাদত করো।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ২৫)
‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র অর্থ হলো, আল্লাহ ছাড়া কোনো (সত্য) মাবুদ (উপাস্য) নেই। আল্লাহ ছাড়া কোনো বস্তু বা সত্তার ইলাহ হওয়ার যোগ্যতা নেই। ইবাদতের একমাত্র উপযুক্ত মহান আল্লাহ।
মহান আল্লাহ পৃথিবীর প্রকৃত মালিক। আকাশ ও পৃথিবী তিনি নিজ ক্ষমতাবলে সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টির ওপর তাঁর একচ্ছত্র মালিকানা, কর্তৃত্ব ও নিরঙ্কুশ ক্ষমতা। আর তা অবিভাজ্য ও অংশীদারহীন। সুতরাং তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তিনিই (আল্লাহ) সেই সত্তা, যিনি আকাশ ও পৃথিবীর ইলাহ (উপাস্য)।’ (সুরা জুখরুফ, আয়াত : ৮৪)
‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র দুই রুকন বা স্তম্ভ। অর্থাৎ এই বাক্যের মধ্যে ইতিবাচক ও নেতিবাচক—দুই ধরনের অর্থ আছে :
১. ‘না’ সূচক : আর তা হলো, ‘লা-ইলাহা’। ‘লা’ মানে না বা নেই। ‘ইলাহ’ মানে মাবুদ (উপাস্য/ইবাদতের উপযুক্ত)। অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোনো (সত্য) ইলাহ নেই।
প্রত্যেক পূজনীয় বস্তুকে ‘ইলাহ’ বলা হয়। ইমাম রাগেব ইসফাহানি (রহ.) লিখেছেন, কারো কারো মতে, আল্লাহ শব্দের মূল হলো ‘ইলাহ’। আর আরবের লোকেরা ‘ইলাহ’ শব্দ মাবুদ (যার ইবাদত করা হয়) অর্থে ব্যবহার করে। (আল-মুফরাতাদ ফি গারিবিল কোরআন, পৃষ্ঠা ৩১, ইলাহ)
সুতরাং ‘লা-ইলাহা’ মানে ইবাদত ও উপাসনায় আল্লাহর কোনো শরিক নেই। ‘লা-ইলাহা’ অংশীদারত্বের সব প্রকারকে সম্পূর্ণরূপে বাতিল করে দেয়। আল্লাহ ছাড়া যাদের ইবাদত করা হয়, সবগুলো বর্জন করা অপরিহার্য করে দেয় ‘লা-ইলাহা’। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর এটা এ জন্য যে নিশ্চয়ই আল্লাহই সত্য এবং তার পরিবর্তে তারা যা ডাকে, অবশ্যই তা বাতিল। আর নিশ্চয়ই তিনিই তো সমুচ্চ, সুমহান।’ (সুরা হজ, আয়াত : ৬২)
২. ‘হ্যাঁ’ সূচক : আর তা হলো ‘ইল্লাল্লাহ’। ‘ইল্লা’ মানে ছাড়া, ব্যতীত। ‘ইল্লাল্লাহ’ মানে আল্লাহ ছাড়া (আর কোনো ইলাহ নেই)।
সুতরাং এই কালেমার ‘না’ সূচক ‘লা-ইলাহা’ এবং ‘হ্যাঁ’ সূচক ‘ইল্লাল্লাহ’ দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা দেয়—একমাত্র ইলাহ মহান আল্লাহ।
তাই ‘ইল্লাল্লাহ’ বান্দার ইবাদতকে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য সাব্যস্ত করে। ইবাদতের যোগ্য একমাত্র আল্লাহ—তা অপরিহার্য করে দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর তোমাদের ইলাহ এক ইলাহ। তিনি ছাড়া অন্য কোনো ইলাহ নেই। তিনি অতি দয়াময়, পরম দয়ালু।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৩)
এই পবিত্র কালেমায় যথাযথ বিশ্বাসী হতে হলে সাতটি শর্ত পূরণ করতে হবে। এসব শর্ত কোরআন-হাদিস থেকে গৃহীত।
শর্তগুলো হলো : ১. ‘ইলম’ অর্থাৎ (কালেমার অর্থ ও দাবি) জানা। ২. ‘ইয়াকিন’ তথা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা। ৩. ‘ইখলাস’ অর্থাৎ একনিষ্ঠ ও বিশুদ্ধ হওয়া। ৪. ‘সিদক’ তথা সত্যায়ন করা। ৫. ‘মাহাব্বাহ’ তথা ভালোবাসা। ৬. ‘ইনকিয়াদ’ তথা নিঃশর্ত আনুগত্য প্রদর্শন করা। ৭. ‘কবুল’ তথা শর্তহীনভাবে গ্রহণ করা।
শর্তগুলোর সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
প্রথম শর্ত : এ কালেমার ‘না’ বাচক এবং ‘হ্যাঁ’ বাচক দুটি অংশের অর্থ সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান থাকা জরুরি।
দ্বিতীয় শর্ত : ইয়াকিন বা দৃঢ় প্রত্যয়। অর্থাৎ এ কালেমার মাধ্যমে যে কথার স্বীকৃতি দেওয়া হয়, তাতে বিন্দু পরিমাণ সন্দেহ থাকতে পারবে না।
তৃতীয় শর্ত : ইখলাস বা নিষ্ঠা। অর্থাৎ অংশীদারত্বমুক্ত হয়ে বিশুদ্ধচিত্তে কালেমার দাবি মেনে নেওয়া। এই শর্ত ব্যক্তিকে শিরক ও রিয়া থেকে মুক্ত রাখবে।
চতুর্থ শর্ত : এই কালেমা পাঠকারীকে সত্যের পরাকাষ্ঠা হতে হবে। অর্থাৎ একই সঙ্গে মুখে ও অন্তরে এই কালেমায় বিশ্বাসী হতে হবে। এই শর্ত তাকে মুনাফিকি আচরণ থেকে বিরত রাখবে।
পঞ্চম শর্ত : ভালোবাসা। এই কালেমাকে হৃদয় দিয়ে গ্রহণ, ধারণ ও লালন করতে হবে এবং মনেপ্রাণে ভালোবাসতে হবে।
ষষ্ঠ শর্ত : আনুগত্য করা। এই কালেমার শর্ত ও দাবি হলো, পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করা। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য ইসলামী শরিয়তের যাবতীয় আদেশ-নিষেধ মেনে চলা।
সপ্তম শর্ত : আন্তরিকভাবে এ কালেমা কবুল করা। দ্বিনের কোনো কাজ প্রত্যাখ্যান ও বর্জন থেকে নিজেকে বিরত রাখা। (ফাতহুল মাজিদ, শায়খ আবদুর রহমান বিন হাসান, পৃষ্ঠা ৯১)
কোনো কোনো আলেম উল্লিখিত সাতটি শর্তের সঙ্গে অষ্টম শর্ত যোগ করেছেন, আর তা হচ্ছে, তাগুতের সঙ্গে কুফরি করা। অর্থাৎ আল্লাহর প্রতি ঈমান এবং তাগুতের প্রতি কুফরি।
তাগুত হলো, ওই সব বাতিল উপাস্য, আল্লাহকে ছাড়া যাদের উপাসনা করা হয়।
তাগুত শব্দের অর্থ সীমা লঙ্ঘনকারী, দুষ্কৃতির মূল বস্তু, যা মানুষকে বিভ্রান্ত করে। শয়তান, কল্পিত উপাস্য, যাবতীয় বিভ্রান্তিকর উপায়-উপকরণ তাগুতের অন্তর্ভুক্ত। [আল-কোরআনুল করিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, টীকা নম্বর : ১৭৭ (অবলম্বনে)]
সুতরাং কালেমা পাঠকারী এগুলো বর্জন করবে—এটাই স্বাভাবিক। মহান আল্লাহ বলেন, ‘...সুতরাং যে ব্যক্তি তাগুত অস্বীকার করে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, অবশ্যই সে মজবুত হাতল আঁকড়ে ধরে, যা কখনো ভাঙবে না। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৫৬)
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ সঠিক অর্থ এবং ব্যাখ্যা
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'র অর্থ ও শর্তসমূহ
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'র শর্ত গুলো কি কি?
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর ৭টি শর্ত
"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" এই কালেমার শর্ত সমূহ
তাওহীদ - তাওহীদের ৯টি মূলনীতি
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহর অর্থ, ব্যাখ্যা, শর্ত
La-Ilaha Illallah Meaning, Explanation, Terms
0 notes
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহর অর্থ ও শর্ত
Meaning and Terms of La-Ilaha IllAllah
সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হলো ঈমান। ঈমানের বিপরীত কুফর। ঈমান সত্য, কুফর মিথ্যা। ঈমান আলো, কুফর অন্ধকার।
ঈমানই জীবন, কুফর মৃত্যুতুল্য। ঈমান সরল পথ, আর কুফর ভ্রষ্টতার পথ।
ঈমানের কালেমা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’। এ কালেমার জন্য সৃষ্টিজগতের সৃষ্টি।
এ কালেমার জন্য মানুষ কাফির ও মুমিন—দুই ভাগে বিভক্ত। কেউ সৌভাগ্যবান—তারা জান্নাতি। আর কেউ হতভাগা—তারা জাহান্নামি।
এ কালেমার বাণী প্রচারের জন্য মহান আল্লাহ যুগে যুগে অসংখ্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন।
মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমার আগে আমি যত রাসুল প্রেরণ করেছি, তাদের সবার ওপর আমার এই মর্মে নির্দেশ ছিল যে আমি ছাড়া আর কোনো ইলাহ (উপাস্য) নেই। সুতরাং তোমরা আমারই ইবাদত করো।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ২৫)
‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র অর্থ হলো, আল্লাহ ছাড়া কোনো (সত্য) মাবুদ (উপাস্য) নেই। আল্লাহ ছাড়া কোনো বস্তু বা সত্তার ইলাহ হওয়ার যোগ্যতা নেই। ইবাদতের একমাত্র উপযুক্ত মহান আল্লাহ।
মহান আল্লাহ পৃথিবীর প্রকৃত মালিক। আকাশ ও পৃথিবী তিনি নিজ ক্ষমতাবলে সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টির ওপর তাঁর একচ্ছত্র মালিকানা, কর্তৃত্ব ও নিরঙ্কুশ ক্ষমতা। আর তা অবিভাজ্য ও অংশীদারহীন। সুতরাং তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তিনিই (আল্লাহ) সেই সত্তা, যিনি আকাশ ও পৃথিবীর ইলাহ (উপাস্য)।’ (সুরা জুখরুফ, আয়াত : ৮৪)
‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র দুই রুকন বা স্তম্ভ। অর্থাৎ এই বাক্যের মধ্যে ইতিবাচক ও নেতিবাচক—দুই ধরনের অর্থ আছে :
১. ‘না’ সূচক : আর তা হলো, ‘লা-ইলাহা’। ‘লা’ মানে না বা নেই। ‘ইলাহ’ মানে মাবুদ (উপাস্য/ইবাদতের উপযুক্ত)। অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোনো (সত্য) ইলাহ নেই।
প্রত্যেক পূজনীয় বস্তুকে ‘ইলাহ’ বলা হয়। ইমাম রাগেব ইসফাহানি (রহ.) লিখেছেন, কারো কারো মতে, আল্লাহ শব্দের মূল হলো ‘ইলাহ’। আর আরবের লোকেরা ‘ইলাহ’ শব্দ মাবুদ (যার ইবাদত করা হয়) অর্থে ব্যবহার করে। (আল-মুফরাতাদ ফি গারিবিল কোরআন, পৃষ্ঠা ৩১, ইলাহ)
সুতরাং ‘লা-ইলাহা’ মানে ইবাদত ও উপাসনায় আল্লাহর কোনো শরিক নেই। ‘লা-ইলাহা’ অংশীদারত্বের সব প্রকারকে সম্পূর্ণরূপে বাতিল করে দেয়। আল্লাহ ছাড়া যাদের ইবাদত করা হয়, সবগুলো বর্জন করা অপরিহার্য করে দেয় ‘লা-ইলাহা’। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর এটা এ জন্য যে নিশ্চয়ই আল্লাহই সত্য এবং তার পরিবর্তে তারা যা ডাকে, অবশ্যই তা বাতিল। আর নিশ্চয়ই তিনিই তো সমুচ্চ, সুমহান।’ (সুরা হজ, আয়াত : ৬২)
২. ‘হ্যাঁ’ সূচক : আর তা হলো ‘ইল্লাল্লাহ’। ‘ইল্লা’ মানে ছাড়া, ব্যতীত। ‘ইল্লাল্লাহ’ মানে আল্লাহ ছাড়া (আর কোনো ইলাহ নেই)।
সুতরাং এই কালেমার ‘না’ সূচক ‘লা-ইলাহা’ এবং ‘হ্যাঁ’ সূচক ‘ইল্লাল্লাহ’ দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা দেয়—একমাত্র ইলাহ মহান আল্লাহ।
তাই ‘ইল্লাল্লাহ’ বান্দার ইবাদতকে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য সাব্যস্ত করে। ইবাদতের যোগ্য একমাত্র আল্লাহ—তা অপরিহার্য করে দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর তোমাদের ইলাহ এক ইলাহ। তিনি ছাড়া অন্য কোনো ইলাহ নেই। তিনি অতি দয়াময়, পরম দয়ালু।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৩)
এই পবিত্র কালেমায় যথাযথ বিশ্বাসী হতে হলে সাতটি শর্ত পূরণ করতে হবে। এসব শর্ত কোরআন-হাদিস থেকে গৃহীত।
শর্তগুলো হলো : ১. ‘ইলম’ অর্থাৎ (কালেমার অর্থ ও দাবি) জানা। ২. ‘ইয়াকিন’ তথা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা। ৩. ‘ইখলাস’ অর্থাৎ একনিষ্ঠ ও বিশুদ্ধ হওয়া। ৪. ‘সিদক’ তথা সত্যায়ন করা। ৫. ‘মাহাব্বাহ’ তথা ভালোবাসা। ৬. ‘ইনকিয়াদ’ তথা নিঃশর্ত আনুগত্য প্রদর্শন করা। ৭. ‘কবুল’ তথা শর্তহীনভাবে গ্রহণ করা।
শর্তগুলোর সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
প্রথম শর্ত : এ কালেমার ‘না’ বাচক এবং ‘হ্যাঁ’ বাচক দুটি অংশের অর্থ সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান থাকা জরুরি।
দ্বিতীয় শর্ত : ইয়াকিন বা দৃঢ় প্রত্যয়। অর্থাৎ এ কালেমার মাধ্যমে যে কথার স্বীকৃতি দেওয়া হয়, তাতে বিন্দু পরিমাণ সন্দেহ থাকতে পারবে না।
তৃতীয় শর্ত : ইখলাস বা নিষ্ঠা। অর্থাৎ অংশীদারত্বমুক্ত হয়ে বিশুদ্ধচিত্তে কালেমার দাবি মেনে নেওয়া। এই শর্ত ব্যক্তিকে শিরক ও রিয়া থেকে মুক্ত রাখবে।
চতুর্থ শর্ত : এই কালেমা পাঠকারীকে সত্যের পরাকাষ্ঠা হতে হবে। অর্থাৎ একই সঙ্গে মুখে ও অন্তরে এই কালেমায় বিশ্বাসী হতে হবে। এই শর্ত তাকে মুনাফিকি আচরণ থেকে বিরত রাখবে।
পঞ্চম শর্ত : ভালোবাসা। এই কালেমাকে হৃদয় দিয়ে গ্রহণ, ধারণ ও লালন করতে হবে এবং মনেপ্রাণে ভালোবাসতে হবে।
ষষ্ঠ শর্ত : আনুগত্য করা। এই কালেমার শর্ত ও দাবি হলো, পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করা। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য ইসলামী শরিয়তের যাবতীয় আদেশ-নিষেধ মেনে চলা।
সপ্তম শর্ত : আন্তরিকভাবে এ কালেমা কবুল করা। দ্বিনের কোনো কাজ প্রত্যাখ্যান ও বর্জন থেকে নিজেকে বিরত রাখা। (ফাতহুল মাজিদ, শায়খ আবদুর রহমান বিন হাসান, পৃষ্ঠা ৯১)
কোনো কোনো আলেম উল্লিখিত সাতটি শর্তের সঙ্গে অষ্টম শর্ত যোগ করেছেন, আর তা হচ্ছে, তাগুতের সঙ্গে কুফরি করা। অর্থাৎ আল্লাহর প্রতি ঈমান এবং তাগুতের প্রতি কুফরি।
তাগুত হলো, ওই সব বাতিল উপাস্য, আল্লাহকে ছাড়া যাদের উপাসনা করা হয়।
তাগুত শব্দের অর্থ সীমা লঙ্ঘনকারী, দুষ্কৃতির মূল বস্তু, যা মানুষকে বিভ্রান্ত করে। শয়তান, কল্পিত উপাস্য, যাবতীয় বিভ্রান্তিকর উপায়-উপকরণ তাগুতের অন্তর্ভুক্ত। [আল-কোরআনুল করিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, টীকা নম্বর : ১৭৭ (অবলম্বনে)]
সুতরাং কালেমা পাঠকারী এগুলো বর্জন করবে—এটাই স্বাভাবিক। মহান আল্লাহ বলেন, ‘...সুতরাং যে ব্যক্তি তাগুত অস্বীকার করে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, অবশ্যই সে মজবুত হাতল আঁকড়ে ধরে, যা কখনো ভাঙবে না। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৫৬)
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ সঠিক অর্থ এবং ব্যাখ্যা
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'র অর্থ ও শর্তসমূহ
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'র শর্ত গুলো কি কি?
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর ৭টি শর্ত
"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" এই কালেমার শর্ত সমূহ
তাওহীদ - তাওহীদের ৯টি মূলনীতি
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহর অর্থ, ব্যাখ্যা, শর্ত
La-Ilaha Illallah Meaning, Explanation, Terms
0 notes
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহর অর্থ ও শর্ত
Meaning and Terms of La-Ilaha IllAllah
সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হলো ঈমান। ঈমানের বিপরীত কুফর। ঈমান সত্য, কুফর মিথ্যা। ঈমান আলো, কুফর অন্ধকার।
ঈমানই জীবন, কুফর মৃত্যুতুল্য। ঈমান সরল পথ, আর কুফর ভ্রষ্টতার পথ।
ঈমানের কালেমা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’। এ কালেমার জন্য সৃষ্টিজগতের সৃষ্টি।
এ কালেমার জন্য মানুষ কাফির ও মুমিন—দুই ভাগে বিভক্ত। কেউ সৌভাগ্যবান—তারা জান্নাতি। আর কেউ হতভাগা—তারা জাহান্নামি।
এ কালেমার বাণী প্রচারের জন্য মহান আল্লাহ যুগে যুগে অসংখ্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন।
মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমার আগে আমি যত রাসুল প্রেরণ করেছি, তাদের সবার ওপর আমার এই মর্মে নির্দেশ ছিল যে আমি ছাড়া আর কোনো ইলাহ (উপাস্য) নেই। সুতরাং তোমরা আমারই ইবাদত করো।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ২৫)
‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র অর্থ হলো, আল্লাহ ছাড়া কোনো (সত্য) মাবুদ (উপাস্য) নেই। আল্লাহ ছাড়া কোনো বস্তু বা সত্তার ইলাহ হওয়ার যোগ্যতা নেই। ইবাদতের একমাত্র উপযুক্ত মহান আল্লাহ।
মহান আল্লাহ পৃথিবীর প্রকৃত মালিক। আকাশ ও পৃথিবী তিনি নিজ ক্ষমতাবলে সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টির ওপর তাঁর একচ্ছত্র মালিকানা, কর্তৃত্ব ও নিরঙ্কুশ ক্ষমতা। আর তা অবিভাজ্য ও অংশীদারহীন। সুতরাং তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তিনিই (আল্লাহ) সেই সত্তা, যিনি আকাশ ও পৃথিবীর ইলাহ (উপাস্য)।’ (সুরা জুখরুফ, আয়াত : ৮৪)
‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র দুই রুকন বা স্তম্ভ। অর্থাৎ এই বাক্যের মধ্যে ইতিবাচক ও নেতিবাচক—দুই ধরনের অর্থ আছে :
১. ‘না’ সূচক : আর তা হলো, ‘লা-ইলাহা’। ‘লা’ মানে না বা নেই। ‘ইলাহ’ মানে মাবুদ (উপাস্য/ইবাদতের উপযুক্ত)। অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোনো (সত্য) ইলাহ নেই।
প্রত্যেক পূজনীয় বস্তুকে ‘ইলাহ’ বলা হয়। ইমাম রাগেব ইসফাহানি (রহ.) লিখেছেন, কারো কারো মতে, আল্লাহ শব্দের মূল হলো ‘ইলাহ’। আর আরবের লোকেরা ‘ইলাহ’ শব্দ মাবুদ (যার ইবাদত করা হয়) অর্থে ব্যবহার করে। (আল-মুফরাতাদ ফি গারিবিল কোরআন, পৃষ্ঠা ৩১, ইলাহ)
সুতরাং ‘লা-ইলাহা’ মানে ইবাদত ও উপাসনায় আল্লাহর কোনো শরিক নেই। ‘লা-ইলাহা’ অংশীদারত্বের সব প্রকারকে সম্পূর্ণরূপে বাতিল করে দেয়। আল্লাহ ছাড়া যাদের ইবাদত করা হয়, সবগুলো বর্জন করা অপরিহার্য করে দেয় ‘লা-ইলাহা’। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর এটা এ জন্য যে নিশ্চয়ই আল্লাহই সত্য এবং তার পরিবর্তে তারা যা ডাকে, অবশ্যই তা বাতিল। আর নিশ্চয়ই তিনিই তো সমুচ্চ, সুমহান।’ (সুরা হজ, আয়াত : ৬২)
২. ‘হ্যাঁ’ সূচক : আর তা হলো ‘ইল্লাল্লাহ’। ‘ইল্লা’ মানে ছাড়া, ব্যতীত। ‘ইল্লাল্লাহ’ মানে আল্লাহ ছাড়া (আর কোনো ইলাহ নেই)।
সুতরাং এই কালেমার ‘না’ সূচক ‘লা-ইলাহা’ এবং ‘হ্যাঁ’ সূচক ‘ইল্লাল্লাহ’ দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা দেয়—একমাত্র ইলাহ মহান আল্লাহ।
তাই ‘ইল্লাল্লাহ’ বান্দার ইবাদতকে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য সাব্যস্ত করে। ইবাদতের যোগ্য একমাত্র আল্লাহ—তা অপরিহার্য করে দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর তোমাদের ইলাহ এক ইলাহ। তিনি ছাড়া অন্য কোনো ইলাহ নেই। তিনি অতি দয়াময়, পরম দয়ালু।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৩)
এই পবিত্র কালেমায় যথাযথ বিশ্বাসী হতে হলে সাতটি শর্ত পূরণ করতে হবে। এসব শর্ত কোরআন-হাদিস থেকে গৃহীত।
শর্তগুলো হলো : ১. ‘ইলম’ অর্থাৎ (কালেমার অর্থ ও দাবি) জানা। ২. ‘ইয়াকিন’ তথা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা। ৩. ‘ইখলাস’ অর্থাৎ একনিষ্ঠ ও বিশুদ্ধ হওয়া। ৪. ‘সিদক’ তথা সত্যায়ন করা। ৫. ‘মাহাব্বাহ’ তথা ভালোবাসা। ৬. ‘ইনকিয়াদ’ তথা নিঃশর্ত আনুগত্য প্রদর্শন করা। ৭. ‘কবুল’ তথা শর্তহীনভাবে গ্রহণ করা।
শর্তগুলোর সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
প্রথম শর্ত : এ কালেমার ‘না’ বাচক এবং ‘হ্যাঁ’ বাচক দুটি অংশের অর্থ সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান থাকা জরুরি।
দ্বিতীয় শর্ত : ইয়াকিন বা দৃঢ় প্রত্যয়। অর্থাৎ এ কালেমার মাধ্যমে যে কথার স্বীকৃতি দেওয়া হয়, তাতে বিন্দু পরিমাণ সন্দেহ থাকতে পারবে না।
তৃতীয় শর্ত : ইখলাস বা নিষ্ঠা। অর্থাৎ অংশীদারত্বমুক্ত হয়ে বিশুদ্ধচিত্তে কালেমার দাবি মেনে নেওয়া। এই শর্ত ব্যক্তিকে শিরক ও রিয়া থেকে মুক্ত রাখবে।
চতুর্থ শর্ত : এই কালেমা পাঠকারীকে সত্যের পরাকাষ্ঠা হতে হবে। অর্থাৎ একই সঙ্গে মুখে ও অন্তরে এই কালেমায় বিশ্বাসী হতে হবে। এই শর্ত তাকে মুনাফিকি আচরণ থেকে বিরত রাখবে।
পঞ্চম শর্ত : ভালোবাসা। এই কালেমাকে হৃদয় দিয়ে গ্রহণ, ধারণ ও লালন করতে হবে এবং মনেপ্রাণে ভালোবাসতে হবে।
ষষ্ঠ শর্ত : আনুগত্য করা। এই কালেমার শর্ত ও দাবি হলো, পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করা। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য ইসলামী শরিয়তের যাবতীয় আদেশ-নিষেধ মেনে চলা।
সপ্তম শর্ত : আন্তরিকভাবে এ কালেমা কবুল করা। দ্বিনের কোনো কাজ প্রত্যাখ্যান ও বর্জন থেকে নিজেকে বিরত রাখা। (ফাতহুল মাজিদ, শায়খ আবদুর রহমান বিন হাসান, পৃষ্ঠা ৯১)
কোনো কোনো আলেম উল্লিখিত সাতটি শর্তের সঙ্গে অষ্টম শর্ত যোগ করেছেন, আর তা হচ্ছে, তাগুতের সঙ্গে কুফরি করা। অর্থাৎ আল্লাহর প্রতি ঈমান এবং তাগুতের প্রতি কুফরি।
তাগুত হলো, ওই সব বাতিল উপাস্য, আল্লাহকে ছাড়া যাদের উপাসনা করা হয়।
তাগুত শব্দের অর্থ সীমা লঙ্ঘনকারী, দুষ্কৃতির মূল বস্তু, যা মানুষকে বিভ্রান্ত করে। শয়তান, কল্পিত উপাস্য, যাবতীয় বিভ্রান্তিকর উপায়-উপকরণ তাগুতের অন্তর্ভুক্ত। [আল-কোরআনুল করিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, টীকা নম্বর : ১৭৭ (অবলম্বনে)]
সুতরাং কালেমা পাঠকারী এগুলো বর্জন করবে—এটাই স্বাভাবিক। মহান আল্লাহ বলেন, ‘...সুতরাং যে ব্যক্তি তাগুত অস্বীকার করে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, অবশ্যই সে মজবুত হাতল আঁকড়ে ধরে, যা কখনো ভাঙবে না। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৫৬)
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ সঠিক অর্থ এবং ব্যাখ্যা
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'র অর্থ ও শর্তসমূহ
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'র শর্ত গুলো কি কি?
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর ৭টি শর্ত
"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" এই কালেমার শর্ত সমূহ
তাওহীদ - তাওহীদের ৯টি মূলনীতি
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহর অর্থ, ব্যাখ্যা, শর্ত
La-Ilaha Illallah Meaning, Explanation, Terms
0 notes
মারেফত অর্থ কি ? মুফতি আমির হামজা | Amir Hamza New waz Mahfil 2024
0 notes
রাব্বি হাবলি মিনাস সালেহীন কখন পড়তে হয়
আমাদের জীবনে অনেক দম্পতি আছে যাদের বিয়ের অনেক বছর পার হয়ে যাবার পরেও একটা সন্তান হচ্ছে না । সে ক্ষেত্রে তাদের মনে অনেক কষ্ট থাকে দুঃখ থাকে । কারণ সকলেই চায় বাপ মা হওয়ার স্বাদ পেতে । কিন্তু আল্লাহ সুবহানাতায়ালা যতক্ষণ পর্যন্ত না চাইবেন যে আপনার সন্তান হোক ততক্ষণ এটা সম্ভব নয় । তাই বিয়ের বেশ কিছু বছর হয়ে গেলেও অনেকের অনেক এবং শত চেষ্টার পরেও সন্তান লাভ করতে সক্ষম হন না । তাদের মনে অনেক কষ্ট থাকে দুঃখ থাকে যেটা আমরা বাইরে থেকে দেখলে বুঝিনা । তাই আজকে বেশ কিছু আমল শেয়ার করব এবং আল্লাহ সুবহানাতায়ালা চাইলে এটা দ্বারা সন্তান লাভ করতে সক্ষম হবে । আরো পড়তে
1 note
·
View note
অর্থ সম্পদ আর বিপদ | আল্লামা হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী | allama habibullal mahmud kasemi
0 notes
Al Quddus Meaning
The Most Holy
Quddus (Quddūs قدوس) is one of the names of God in Islam, meaning "The Most Holy".
The one who is clear of any imperfection, weakness, or shortcoming. Allah سُبْحَٰنَهُۥ وَتَعَٰلَىٰ is Al-Quddus (in Arabic: ٱلْقُدُّوسُ), meaning the most pure or the most holy. He is so far removed from any imperfection and does not suffer from any shortcomings.
Allah’s // 99 Names // Al-Quddus meaning and explanation🤍
Meaning of Allah's name Al Quddus and it's benefits
Al Qudoos | Names of Allah #7 | Ustadh Baajour
Allah's Names - Al Quddus
The Names of Allah – 5 Al-Quddus القُدُّوسُ
The Names of Allah – 5 Al-Quddus القُدُّوسُ
AL-QUDDUS: The Most Sacred | 99 Names of Allah
আল-কুদ্দূস অর্থঃ নিষ্কলুষ, অতি পবিত্র
(পূত:পবিত্র, নিখুঁত)
আল্লাহর নামসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো আল-কুদ্দূস (পূত:পবিত্র, নিখুঁত), আস-সালাম (ত্রুটিমুক্ত) অর্থাৎ সর্ব প্রকারের কমতি, দোষ-ত্রুটি ও সৃষ্টিকুলের সাদৃশ্য থেকে তিনি মহান, পুত:পবিত্র। তিনি যাবতীয় দোষমুক্ত, তাঁর পূর্ণতার সমকক্ষ হওয়ার সাদৃশ্য হওয়া থেকে তিনি পবিত্র। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, “তাঁর মতো কিছুই নেই।” [সূরা আশ-শূরা, আয়াত: ১১] আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেছেন, “আর তাঁর কোন সমকক্ষও নেই।” [সূরা আল-ইখলাস, আয়াত: ৪]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“তুমি কি তাঁর সমতুল্য কাউকে জান?” [সূরা মারইয়াম, আয়াত: ৬৫]
“সুতরাং তোমরা আল্লাহর জন্য সমকক্ষ নির্ধারণ করো না।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২২] অত:এব, কুদ্দূস সালামের মতোই, উভয় নামই সর্বদিক থেকে আল্লাহকে দোষ-ত্রুটিমুক্ত করে এবং সর্ব দিক থেকে সর্বময় পরিপূর্ণতা শামিল করে। কেননা যখন ত্রুটিমুক্ত হয় তখন তাতে পরিপূর্ণ পূর্ণতা সাব্যস্ত হয়। তিনি মহাপবিত্র, মহান, সমস্ত দোষ-ত্রুটি মুক্ত, সৃষ্টির কারো সাথে সাদৃশ্য হওয়া থেকে মুক্ত, দোষ-ত্রুটি ও পূর্ণতার পরিপন্থী যাবতীয় অপূর্ণতা থেকে তিনি মুক্ত। এ মূলনীতি তাঁকে পবিত্র রাখে এবং সর্বদিক বিবেচনায় যত প্রকারের অপূর্ণতা ও ত্রুটি রয়েছে তা থেকে তিনি মুক্ত। তাঁর মতো বা সাদৃশ বা অনুরূপ বা সমকক্ষ বা সমতুল্য বা অংশীদার বা প্রতিপক্ষ ইত্যাদি থেকে তিনি মুক্ত, পুত:পবিত্র। যা কিছু তাঁর মহান ও প্রশস্ত গুণাবলীর কোন একটি গুণকে অপূর্ণ করে বা ত্রুটিযুক্ত করে তা থেকে তিনি সম্পূর্ণ মুক্ত, পুত:পবিত্র।
আল-কুদ্দুস নামের ক্ষমতা ও ৯টি বৈশিষ্ট্য||আল্লাহর ৯৯ নাম
আল-কুদ্দুস (القدوس) নামের অর্থ সহ ফজিলত ও আমল।
আল-কুদ্দুস নামের মহিমা ও ফজিলত|| কীভাবে আমল করলে মনের বিদ্বেষ দূর হয়❔
আল কুদ্দূস অর্থ
Al Quddus Meaning
0 notes
Al Quddus Meaning
The Most Holy
Quddus (Quddūs قدوس) is one of the names of God in Islam, meaning "The Most Holy".
The one who is clear of any imperfection, weakness, or shortcoming. Allah سُبْحَٰنَهُۥ وَتَعَٰلَىٰ is Al-Quddus (in Arabic: ٱلْقُدُّوسُ), meaning the most pure or the most holy. He is so far removed from any imperfection and does not suffer from any shortcomings.
Allah’s // 99 Names // Al-Quddus meaning and explanation🤍
Meaning of Allah's name Al Quddus and it's benefits
Al Qudoos | Names of Allah #7 | Ustadh Baajour
Allah's Names - Al Quddus
The Names of Allah – 5 Al-Quddus القُدُّوسُ
The Names of Allah – 5 Al-Quddus القُدُّوسُ
AL-QUDDUS: The Most Sacred | 99 Names of Allah
আল-কুদ্দূস অর্থঃ নিষ্কলুষ, অতি পবিত্র
(পূত:পবিত্র, নিখুঁত)
আল্লাহর নামসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো আল-কুদ্দূস (পূত:পবিত্র, নিখুঁত), আস-সালাম (ত্রুটিমুক্ত) অর্থাৎ সর্ব প্রকারের কমতি, দোষ-ত্রুটি ও সৃষ্টিকুলের সাদৃশ্য থেকে তিনি মহান, পুত:পবিত্র। তিনি যাবতীয় দোষমুক্ত, তাঁর পূর্ণতার সমকক্ষ হওয়ার সাদৃশ্য হওয়া থেকে তিনি পবিত্র। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, “তাঁর মতো কিছুই নেই।” [সূরা আশ-শূরা, আয়াত: ১১] আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেছেন, “আর তাঁর কোন সমকক্ষও নেই।” [সূরা আল-ইখলাস, আয়াত: ৪]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“তুমি কি তাঁর সমতুল্য কাউকে জান?” [সূরা মারইয়াম, আয়াত: ৬৫]
“সুতরাং তোমরা আল্লাহর জন্য সমকক্ষ নির্ধারণ করো না।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২২] অত:এব, কুদ্দূস সালামের মতোই, উভয় নামই সর্বদিক থেকে আল্লাহকে দোষ-ত্রুটিমুক্ত করে এবং সর্ব দিক থেকে সর্বময় পরিপূর্ণতা শামিল করে। কেননা যখন ত্রুটিমুক্ত হয় তখন তাতে পরিপূর্ণ পূর্ণতা সাব্যস্ত হয়। তিনি মহাপবিত্র, মহান, সমস্ত দোষ-ত্রুটি মুক্ত, সৃষ্টির কারো সাথে সাদৃশ্য হওয়া থেকে মুক্ত, দোষ-ত্রুটি ও পূর্ণতার পরিপন্থী যাবতীয় অপূর্ণতা থেকে তিনি মুক্ত। এ মূলনীতি তাঁকে পবিত্র রাখে এবং সর্বদিক বিবেচনায় যত প্রকারের অপূর্ণতা ও ত্রুটি রয়েছে তা থেকে তিনি মুক্ত। তাঁর মতো বা সাদৃশ বা অনুরূপ বা সমকক্ষ বা সমতুল্য বা অংশীদার বা প্রতিপক্ষ ইত্যাদি থেকে তিনি মুক্ত, পুত:পবিত্র। যা কিছু তাঁর মহান ও প্রশস্ত গুণাবলীর কোন একটি গুণকে অপূর্ণ করে বা ত্রুটিযুক্ত করে তা থেকে তিনি সম্পূর্ণ মুক্ত, পুত:পবিত্র।
আল-কুদ্দুস নামের ক্ষমতা ও ৯টি বৈশিষ্ট্য||আল্লাহর ৯৯ নাম
আল-কুদ্দুস (القدوس) নামের অর্থ সহ ফজিলত ও আমল।
আল-কুদ্দুস নামের মহিমা ও ফজিলত|| কীভাবে আমল করলে মনের বিদ্বেষ দূর হয়❔
আল কুদ্দূস অর্থ
Al Quddus Meaning
0 notes
Al Quddus Meaning
The Most Holy
Quddus (Quddūs قدوس) is one of the names of God in Islam, meaning "The Most Holy".
The one who is clear of any imperfection, weakness, or shortcoming. Allah سُبْحَٰنَهُۥ وَتَعَٰلَىٰ is Al-Quddus (in Arabic: ٱلْقُدُّوسُ), meaning the most pure or the most holy. He is so far removed from any imperfection and does not suffer from any shortcomings.
Allah’s // 99 Names // Al-Quddus meaning and explanation🤍
Meaning of Allah's name Al Quddus and it's benefits
Al Qudoos | Names of Allah #7 | Ustadh Baajour
Allah's Names - Al Quddus
The Names of Allah – 5 Al-Quddus القُدُّوسُ
The Names of Allah – 5 Al-Quddus القُدُّوسُ
AL-QUDDUS: The Most Sacred | 99 Names of Allah
আল-কুদ্দূস অর্থঃ নিষ্কলুষ, অতি পবিত্র
(পূত:পবিত্র, নিখুঁত)
আল্লাহর নামসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো আল-কুদ্দূস (পূত:পবিত্র, নিখুঁত), আস-সালাম (ত্রুটিমুক্ত) অর্থাৎ সর্ব প্রকারের কমতি, দোষ-ত্রুটি ও সৃষ্টিকুলের সাদৃশ্য থেকে তিনি মহান, পুত:পবিত্র। তিনি যাবতীয় দোষমুক্ত, তাঁর পূর্ণতার সমকক্ষ হওয়ার সাদৃশ্য হওয়া থেকে তিনি পবিত্র। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, “তাঁর মতো কিছুই নেই।” [সূরা আশ-শূরা, আয়াত: ১১] আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেছেন, “আর তাঁর কোন সমকক্ষও নেই।” [সূরা আল-ইখলাস, আয়াত: ৪]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“তুমি কি তাঁর সমতুল্য কাউকে জান?” [সূরা মারইয়াম, আয়াত: ৬৫]
“সুতরাং তোমরা আল্লাহর জন্য সমকক্ষ নির্ধারণ করো না।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২২] অত:এব, কুদ্দূস সালামের মতোই, উভয় নামই সর্বদিক থেকে আল্লাহকে দোষ-ত্রুটিমুক্ত করে এবং সর্ব দিক থেকে সর্বময় পরিপূর্ণতা শামিল করে। কেননা যখন ত্রুটিমুক্ত হয় তখন তাতে পরিপূর্ণ পূর্ণতা সাব্যস্ত হয়। তিনি মহাপবিত্র, মহান, সমস্ত দোষ-ত্রুটি মুক্ত, সৃষ্টির কারো সাথে সাদৃশ্য হওয়া থেকে মুক্ত, দোষ-ত্রুটি ও পূর্ণতার পরিপন্থী যাবতীয় অপূর্ণতা থেকে তিনি মুক্ত। এ মূলনীতি তাঁকে পবিত্র রাখে এবং সর্বদিক বিবেচনায় যত প্রকারের অপূর্ণতা ও ত্রুটি রয়েছে তা থেকে তিনি মুক্ত। তাঁর মতো বা সাদৃশ বা অনুরূপ বা সমকক্ষ বা সমতুল্য বা অংশীদার বা প্রতিপক্ষ ইত্যাদি থেকে তিনি মুক্ত, পুত:পবিত্র। যা কিছু তাঁর মহান ও প্রশস্ত গুণাবলীর কোন একটি গুণকে অপূর্ণ করে বা ত্রুটিযুক্ত করে তা থেকে তিনি সম্পূর্ণ মুক্ত, পুত:পবিত্র।
আল-কুদ্দুস নামের ক্ষমতা ও ৯টি বৈশিষ্ট্য||আল্লাহর ৯৯ নাম
আল-কুদ্দুস (القدوس) নামের অর্থ সহ ফজিলত ও আমল।
আল-কুদ্দুস নামের মহিমা ও ফজিলত|| কীভাবে আমল করলে মনের বিদ্বেষ দূর হয়❔
আল কুদ্দূস অর্থ
Al Quddus Meaning
0 notes
Al Quddus Meaning
The Most Holy
Quddus (Quddūs قدوس) is one of the names of God in Islam, meaning "The Most Holy".
The one who is clear of any imperfection, weakness, or shortcoming. Allah سُبْحَٰنَهُۥ وَتَعَٰلَىٰ is Al-Quddus (in Arabic: ٱلْقُدُّوسُ), meaning the most pure or the most holy. He is so far removed from any imperfection and does not suffer from any shortcomings.
Allah’s // 99 Names // Al-Quddus meaning and explanation🤍
Meaning of Allah's name Al Quddus and it's benefits
Al Qudoos | Names of Allah #7 | Ustadh Baajour
Allah's Names - Al Quddus
The Names of Allah – 5 Al-Quddus القُدُّوسُ
The Names of Allah – 5 Al-Quddus القُدُّوسُ
AL-QUDDUS: The Most Sacred | 99 Names of Allah
আল-কুদ্দূস অর্থঃ নিষ্কলুষ, অতি পবিত্র
(পূত:পবিত্র, নিখুঁত)
আল্লাহর নামসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো আল-কুদ্দূস (পূত:পবিত্র, নিখুঁত), আস-সালাম (ত্রুটিমুক্ত) অর্থাৎ সর্ব প্রকারের কমতি, দোষ-ত্রুটি ও সৃষ্টিকুলের সাদৃশ্য থেকে তিনি মহান, পুত:পবিত্র। তিনি যাবতীয় দোষমুক্ত, তাঁর পূর্ণতার সমকক্ষ হওয়ার সাদৃশ্য হওয়া থেকে তিনি পবিত্র। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, “তাঁর মতো কিছুই নেই।” [সূরা আশ-শূরা, আয়াত: ১১] আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেছেন, “আর তাঁর কোন সমকক্ষও নেই।” [সূরা আল-ইখলাস, আয়াত: ৪]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“তুমি কি তাঁর সমতুল্য কাউকে জান?” [সূরা মারইয়াম, আয়াত: ৬৫]
“সুতরাং তোমরা আল্লাহর জন্য সমকক্ষ নির্ধারণ করো না।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২২] অত:এব, কুদ্দূস সালামের মতোই, উভয় নামই সর্বদিক থেকে আল্লাহকে দোষ-ত্রুটিমুক্ত করে এবং সর্ব দিক থেকে সর্বময় পরিপূর্ণতা শামিল করে। কেননা যখন ত্রুটিমুক্ত হয় তখন তাতে পরিপূর্ণ পূর্ণতা সাব্যস্ত হয়। তিনি মহাপবিত্র, মহান, সমস্ত দোষ-ত্রুটি মুক্ত, সৃষ্টির কারো সাথে সাদৃশ্য হওয়া থেকে মুক্ত, দোষ-ত্রুটি ও পূর্ণতার পরিপন্থী যাবতীয় অপূর্ণতা থেকে তিনি মুক্ত। এ মূলনীতি তাঁকে পবিত্র রাখে এবং সর্বদিক বিবেচনায় যত প্রকারের অপূর্ণতা ও ত্রুটি রয়েছে তা থেকে তিনি মুক্ত। তাঁর মতো বা সাদৃশ বা অনুরূপ বা সমকক্ষ বা সমতুল্য বা অংশীদার বা প্রতিপক্ষ ইত্যাদি থেকে তিনি মুক্ত, পুত:পবিত্র। যা কিছু তাঁর মহান ও প্রশস্ত গুণাবলীর কোন একটি গুণকে অপূর্ণ করে বা ত্রুটিযুক্ত করে তা থেকে তিনি সম্পূর্ণ মুক্ত, পুত:পবিত্র।
আল-কুদ্দুস নামের ক্ষমতা ও ৯টি বৈশিষ্ট্য||আল্লাহর ৯৯ নাম
আল-কুদ্দুস (القدوس) নামের অর্থ সহ ফজিলত ও আমল।
আল-কুদ্দুস নামের মহিমা ও ফজিলত|| কীভাবে আমল করলে মনের বিদ্বেষ দূর হয়❔
আল কুদ্দূস অর্থ
Al Quddus Meaning
#ALLAHMeanings #WhoisAllah #AsmaWaSsifat #AsmaAlHusna #99NamesofAllah #আলকুদ্দূস
0 notes
Al Quddus Meaning
The Most Holy
Quddus (Quddūs قدوس) is one of the names of God in Islam, meaning "The Most Holy".
The one who is clear of any imperfection, weakness, or shortcoming. Allah سُبْحَٰنَهُۥ وَتَعَٰلَىٰ is Al-Quddus (in Arabic: ٱلْقُدُّوسُ), meaning the most pure or the most holy. He is so far removed from any imperfection and does not suffer from any shortcomings.
Allah’s // 99 Names // Al-Quddus meaning and explanation🤍
Meaning of Allah's name Al Quddus and it's benefits
Al Qudoos | Names of Allah #7 | Ustadh Baajour
Allah's Names - Al Quddus
The Names of Allah – 5 Al-Quddus القُدُّوسُ
The Names of Allah – 5 Al-Quddus القُدُّوسُ
AL-QUDDUS: The Most Sacred | 99 Names of Allah
আল-কুদ্দূস অর্থঃ নিষ্কলুষ, অতি পবিত্র
(পূত:পবিত্র, নিখুঁত)
আল্লাহর নামসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো আল-কুদ্দূস (পূত:পবিত্র, নিখুঁত), আস-সালাম (ত্রুটিমুক্ত) অর্থাৎ সর্ব প্রকারের কমতি, দোষ-ত্রুটি ও সৃষ্টিকুলের সাদৃশ্য থেকে তিনি মহান, পুত:পবিত্র। তিনি যাবতীয় দোষমুক্ত, তাঁর পূর্ণতার সমকক্ষ হওয়ার সাদৃশ্য হওয়া থেকে তিনি পবিত্র। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, “তাঁর মতো কিছুই নেই।” [সূরা আশ-শূরা, আয়াত: ১১] আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেছেন, “আর তাঁর কোন সমকক্ষও নেই।” [সূরা আল-ইখলাস, আয়াত: ৪]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“তুমি কি তাঁর সমতুল্য কাউকে জান?” [সূরা মারইয়াম, আয়াত: ৬৫]
“সুতরাং তোমরা আল্লাহর জন্য সমকক্ষ নির্ধারণ করো না।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২২] অত:এব, কুদ্দূস সালামের মতোই, উভয় নামই সর্বদিক থেকে আল্লাহকে দোষ-ত্রুটিমুক্ত করে এবং সর্ব দিক থেকে সর্বময় পরিপূর্ণতা শামিল করে। কেননা যখন ত্রুটিমুক্ত হয় তখন তাতে পরিপূর্ণ পূর্ণতা সাব্যস্ত হয়। তিনি মহাপবিত্র, মহান, সমস্ত দোষ-ত্রুটি মুক্ত, সৃষ্টির কারো সাথে সাদৃশ্য হওয়া থেকে মুক্ত, দোষ-ত্রুটি ও পূর্ণতার পরিপন্থী যাবতীয় অপূর্ণতা থেকে তিনি মুক্ত। এ মূলনীতি তাঁকে পবিত্র রাখে এবং সর্বদিক বিবেচনায় যত প্রকারের অপূর্ণতা ও ত্রুটি রয়েছে তা থেকে তিনি মুক্ত। তাঁর মতো বা সাদৃশ বা অনুরূপ বা সমকক্ষ বা সমতুল্য বা অংশীদার বা প্রতিপক্ষ ইত্যাদি থেকে তিনি মুক্ত, পুত:পবিত্র। যা কিছু তাঁর মহান ও প্রশস্ত গুণাবলীর কোন একটি গুণকে অপূর্ণ করে বা ত্রুটিযুক্ত করে তা থেকে তিনি সম্পূর্ণ মুক্ত, পুত:পবিত্র।
আল-কুদ্দুস নামের ক্ষমতা ও ৯টি বৈশিষ্ট্য||আল্লাহর ৯৯ নাম
আল-কুদ্দুস (القدوس) নামের অর্থ সহ ফজিলত ও আমল।
আল-কুদ্দুস নামের মহিমা ও ফজিলত|| কীভাবে আমল করলে মনের বিদ্বেষ দূর হয়❔
আল কুদ্দূস অর্থ
Al Quddus Meaning
0 notes